User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
কোনো সম্পর্কের মূল ভিত্তি কী বলুন তো... ভালোবাসা? না হয়নি। উত্তরটা হবে ❝বিশ্বাস❞। বিশ্বাস যে সম্পর্কে থাকে না তা বেশিদিন টিকেও না আবার কোনোরকমে চললেও ভেতর থেকে ফাঁপা হয়ে যায়। কিন্তু এই কোনোরকমে বা জোর করে সম্পর্ক টেকানোর ফলাফল অনেকসময় এতোটাই বিভৎস হয়ে যায় যে শেষে নিজেকেই দোষ দেওয়া লাগে কেন এমনটা করতে গেলাম! কিন্তু নিজের দোষে যখন অন্যরা ভুক্তভোগী হয় তখন? নবগ্রামের রুলিং পার্টির মেম্বার মণিরঞ্জন হালদার এলাকার একজন নামি-দামি মানুষ। এককালে রেল স্টেশনের ম্যানেজারও ছিলেন। সম্প্রতি তিনি আবারও আলোচনায় এসেছেন ছোট মেয়ের নির্মম হত্যা রহস্যের কারণে। এলাকায় সেরা মেধাবী ছিল মৌপিয়া হালদার। শুধু একাডেমিক না বরং বিভিন্ন কো-কারিকুলার অ্যাকটিভিটিসেও ছিল দারুণ দক্ষ। এমন একটা মেয়ের মৃত্যুর ফরেনসিক রিপোর্ট দেখে কেঁপে ওঠে গোয়েন্দা পুলিশ অফিসার দর্শনা। খুনের পর ধর্ষণ! তবে সবচেয়ে অদ্ভুত ব্যাপার হলো ইনস্ট্রুমেন্ট দিয়ে রেপ! অন্যদিকে দর্শনা যাকে গুরু হিসেবে শ্রদ্ধা করে গণেশদা, তার ভাইয়ের ছেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মৌপিয়ার কেসে। হালদার পরিবারের প্রতিটি সদস্য কোনো না কোনো রহস্য লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। জানা যায় বেশ কিছু সময় ধরে কেউ মৌপিয়াকে স্লো পয়জনিংয়ের মাধ্যমে মারার চেষ্টা করছিল! বিষ দেওয়া ব্যক্তি আর খুন করা ব্যক্তি কি একজনই নাকি ভিন্ন? মৌপিয়ার কেসে কাজ করতে যেয়ে আরও দুটো কেসের সন্ধান পায় দর্শনা। বহুবছর আগে রেল এক্সিডেন্টে মারা গেছে মৌপিয়ার ছোট মামা। এক্সিডেন্ট যেন মনে হয় এমনভাবেই খুন করা হয়েছে বিধানের বাবাকে। আশ্চর্যের বিষয় হলো এই দুটি কেসেই মণিরঞ্জন হালদারকে সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছিল কিন্তু প্রমাণ হয়নি কিছুই। তাহলে কি কেউ প্রতিশোধ নিয়েছে মৌপিয়াকে খুন করে? ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে বইটা পড়া শুরু করেছিলাম। কিন্তু আর শেষ করা হয়নি ব্যস্ততার কারণে। প্রায় ভুলেই বসেছিলাম। কিন্তু গুডরিডসে রেকর্ড চেক করতে যেয়ে হঠাৎ দেখি বইটার একটুখানি পড়ে রেখে দিয়েছি। নতুন করে শুরু করে দেখি আগের পড়া কিছু মনে নেই। কয়েক ঘন্টায় বইটা শেষ করে ফেললাম। কিন্তু আফসোস হচ্ছে ভেবে যে এমন দারুণ বইটা এতো দীর্ঘ সময় না পড়ে রেখে দিয়েছিলাম। শুরুতে সাধারণ একটা মার্ডার মিস্ট্রি মনে হয়েছিল। কিন্তু "বিশ্বাস" নিয়ে যে খেলা দেখানো হয়েছে... অসাধারণ। বইয়ের টুইস্ট তেমন একটা নেই বলতে গেলে। পুলিশি প্রসিডিওর ও ফরেনসিক তদন্তের দারুণ বর্ণনা করা হয়েছে। খুনি কে হতে পারে এটা অনেকটা আগেই বলে দেওয়া হলেও মাস্টারমাইন্ডকে দর্শনা কীভাবে ধরবে এটা দেখার বিষয়। ধাপে ধাপে প্রতিটা অংশ বর্ণনা করা হয়েছে। কিন্তু কোনো অপ্রয়োজনীয় আলোচনা করা হয়নি। প্রায়ই দেখা যায় প্রোটাগনিস্টকে "অসাধারণ" দেখাতে যেয়ে অবাস্তব ক্ষমতাসম্পন্ন দেখানো হয়। কিন্তু বইয়ে দর্শনা বাস্তব চরিত্র হিসেবেই ফুটে উঠেছে। প্রোটাগনিস্ট ও এন্টাগোনিস্ট দু'জনের সাইকোলজিক্যাল খেলা দারুণ জমেছে। লেখনশৈলী একদম ঝরঝরে সুন্দর সাবলীল। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উপভোগ করেছি। পড়ার সময় শুধু একটা সমস্যা হয়েছিল আর সেটা হলো নামে। নবগ্রাম থানার ওসি "সামন্ত" ও গণেশদার সহযোগী "সুমন্ত" প্রায় কাছাকাছি নাম হওয়ার জন্য প্রথমে কনফিউজড হয়ে গেছিলাম একই মানুষ মনে করে। শতদলের মৃত্যু নিয়ে আরও স্পষ্টতা থাকলে ভালো হতো। পরবর্তী বইয়ের হিন্টও এই বইয়ের শেষে রয়েছে। আর এই অংশটাই বেশি চমকে দিয়েছে। দর্শনার একটা অতীত আছে যেটা এই বইয়ে অনেকটা ধোঁয়াশার মধ্যেই রাখা হয়েছে। সমাপ্তি অংশ পড়ে মনে হয়েছে রহস্যের খোলাসা পরের বইয়েই পাওয়া যাবে। বই: বৃশ্চিক লেখক: পিয়া সরকার জনরা: সাইকোলজিক্যাল মিস্ট্রি থ্রিলার প্রচ্ছদ: পরাগ ওয়াহিদ প্রকাশনী: বুকস্ট্রিট প্রথম প্রকাশ: জানুয়ারি ২০২২ পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১৩৬
Was this review helpful to you?
or
থ্রিলার খুব বেশি পড়া হয় না, তবে থ্রিলার কোনো বই হাত নিলে শেষ না করা পর্যন্ত মাথায় অন্য কিছু প্রবেশ করে না! অসাধারণ একটা বাংলা থ্রিলার, যা বেশ আনন্দ নিয়ে পড়লাম৷ অনেকদিন মনে রাখার মতো!
Was this review helpful to you?
or
বাস্তবসম্মত একটি বই। আমার কাছে ভালো লেগেছে।