User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
মুসলমান হিসেবে বইটি পড়া জরুরী। ভারতে হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসনের জবাবে মুসা আল হাফিজের তীক্ষ্ণ বিশ্লেষণ।
Was this review helpful to you?
or
সবকিছুরই গোড়াপত্তন রয়েছে, সূচনার সময় রয়েছে। যেমন রয়েছে আপনার জীবনের শুরু, পৃথিবীর শুরু। বাংলা সাহিত্য, বাংলা ভাষা গঠনেরও ঠিক একইভাবে একটা সূচনালগ্ন রয়েছে, যে সময় এই বাংলা ভাষা ও সাহিত্য নিজেকে প্রকাশ করতে শুরু করেছে। বলা হয় বাংলায় খিলজিদের আগমণে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠার পর, ১২০০ সাল থেকে ১৩৫০ সাল অবধি বাংলা ভাষায় কোনো সাহিত্য রচনা হয়নি। এই দেড়শ বছরের দীর্ঘ সময়টাকে বলা হয় “বাংলা সাহিত্যের অন্ধকার যুগ।” এই ধারণা বিশ্বাস করেন অনেক গবেষক ও ঐতিহাসিক। যেমন শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, ভাষাতাত্ত্বিক সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়, ড. সুকুমার সেনসহ আরো আরো অনেকেই। তাদের ভাষ্যমতে, তৎকালীন সময়ে মুসলিমরা বিজয়ী হওয়ার পর বাংলায় এসে ধ্বংসযজ্ঞ পরিচালনা করেন এবং সমস্ত মঠ, মন্দির, বিহার পুড়িয়ে ফেলেন। ফলত সেই সময়ের যেসব সাহিত্যবিষয়ক বস্তু ও উপাদান মঠ, মন্দির বা বিহারগুলোতে বর্তমান ছিল তাও পুড়ে নিঃশেষ হয়ে যায়। মুসলিমরা সমাজের অন্যান্য হিন্দু ও বৌদ্ধদের প্রতি কঠোর অত্যাচার চালান এবং ইসলাম ধর্ম গ্রহণে জোর করে। ফলে সমাজের সকল মানুষ সবসময় এতই চিন্তাগ্রস্ত ও জীবনাশঙ্কায় থাকতেন যে, তাদের মধ্যে সাহিত্য রচনার মনমানসিকতাই তখন একদম হারিয়ে যায়। কিন্তু এই ধারণা কি আসলেই যৌক্তিক এবং সত্য? ঐতিহাসিক, গবেষক ও কবি মুসা আল হাফিজ তার লেখা এই বইটিতে দেখিয়েছেন যে, বাংলায় মুসলিম বিজয়ের পর বাংলায় ধ্বংসযজ্ঞ বা জোরপূর্বক কোনো কিছু সমাজের লোকদের উপর তো চাপিয়ে দেওয়া হয় নিই। উপরন্তু তারা স্থানীয় ভাষা ও সংস্কৃতির বিকাশের জন্য অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন এবং তখন হিন্দু ব্রাহ্মণদের যে প্রভুত্ব ছিল সমাজের বৌদ্ধ ও নিম্নশ্রেণীর হিন্দুদের উপর, তা একদম হারিয়ে যায়৷ মুসলিম বিজয়ের পর প্রত্যেকটি মানুষ নিজেদের মত প্রকাশ করতে পারত এবং শ্রেণিবিভেদের অবসান ঘটল। মুসলিম বিজয়ের পূর্বে ব্রাহ্মণরা বাংলাকে কোনো ভাষাই মনে করতনা। তারা বাংলা ভাষাকে চরম অবজ্ঞা করত এবং সংস্কৃত ভাষা সকলের উপর জোরপূর্বক চাপিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু মুসলিম বিজয়ের পরই ব্রাহ্মণদের সাথে সাথে সংস্কৃতর প্রভুত্বরও সমাপ্তি হয় এবং বাংলা ভাষা সূক্ষ্মভাবে বিকশিত হয়। এই বইটির মূল বিষয়বস্তু কী? বাংলা সাহিত্যের অন্ধকার যুগ বলে যে সময়টাকে বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও গবেষকরা জ্ঞান করে, ইতিহাস ও বিভিন্ন তথ্য দ্বারা সেই ধারণাকেই মিথ্যা প্রমাণ করেছেন মুসা আল হাফিজ। বইয়ের ব্যাককভারে খেয়াল করলে দেখবেন, সেখানে লেখক উপরোক্ত ধারণা পোষণকারীদের প্রতি চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। বইটিতে মূলত আটটি অধ্যায় রয়েছে। প্রথম অধ্যায়ে লেখক উপরোক্ত ধারণা পোষণকারীদের কথা তুলেছেন, তাদের অভিযোগ বা বইটির মূল আলোচ্য বিষয়টি তুলে ধরেছেন। এরপর আস্তে আস্তে বাকি অধ্যায়গুলোতে উপরোক্ত যুক্তির বিরুদ্ধে ইতিহাস ও তথ্য তুলে ধরেছেন। এই বইটি পড়তে গেলে পাঠক ১৩ শতক ও ১৪ শতকের প্রথম অর্ধাংশের কিঞ্চিৎ কিছু ইতিহাসও জানতে পারবে, যেখানে তৎকালীন সময়ে সমাজে সংস্কৃত ভাষার রাজত্ব এবং বাংলা ভাষার নাজেহাল অবস্থার কথা জানতে পারা যাবে। এটা ভাবতেই অবাক লাগে যে, যেখানে কিছু গবেষক ও ঐতিহাসিক মুসলিম বিজয়ের কারণে বাংলা ভাষার করুণ পরিণতি হয় বলে বিশ্বাস করেন সেখানে এই বইয়ে দেখানো হয়েছে যে মুসলিমরা এদেশে না আসলে বাংলা ভাষা সেই কবেই বিলুপ্ত হয়ে যেত। এখন হয়তো আমাদের সংস্কৃত ভাষাই বলতে হতো। আবার, যে সময় কোনো সাহিত্য রচনা হয়নি বলেই বিশ্বাস করা হয়, সে সময়ই এমন কিছু সাহিত্য রচনা হয়েছিল যা বাংলা সাহিত্যের গোড়াপত্তনে বিস্তর ভূমিকা রেখেছিল। সেইসব রচনা বা গ্রন্থ নিয়েও শেষের দিকে মোটামুটি বিস্তারিত আলোচনা আছে। শেষ পর্যন্ত লেখক এটা প্রমাণ করে ছেড়েছেন যে, বাংলা সাহিত্যের অন্ধকার যুগ বলে যে সময়টাকে ধারণা করা হয় সে সময়টাতেই মূলত বাংলা ভাষা নিজের রূপ ফিরে পায় এবল গঠিত হয় এবং এটাও প্রমাণ হয় যে, মুসলিমরাই বাংলা সাহিত্য সৃষ্টিতে ভূমিকা রেখেছিল। আমি এই ধরনের গবেষণামূলক বই এর পূর্বে পড়িনি। স্বভাবতই এই বয়সে আমার তিন গোয়েন্দা, হুমায়ূন নিয়েই পড়ে থাকার কথা। কিন্তু সব বিষয়েই আমার ইন্টারেস্ট দেখে এই বইটা ধরেছিলাম এবং বইটি আমার এক্সপেকটেশনের থেকেও ভালো ছিল। এককথায় অসাধারণ একটা বই। ধারাবাহিক আলোচনা, ইতিহাসের সাথে সাথে নিজের আলোচনাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, সবকিছু মিলিয়ে দারুণ ছিল। তবে বইটির সম্পাদনা খুবই খুবই বাজে হয়েছে। রেটিং দিতে বললে ১০ এ ০ দিব সম্পাদনায়। একটা ভালো বই নষ্ট করতে এর থেকে বেশি কিছু লাগে না। এতো এতো বানান ভুল, বাক্যে বিরামচিহ্নের ব্যবহারের ভুল পুরো বইটাকে নির্যাতন করেছে। বিশেষত পুরো বইটাতে (—) এইটার ব্যবহার চরম বিরক্ত করেছে পড়তে গিয়ে। খালি খেই হারিয়ে ফেলতে হয়েছে। এতো সম্পাদনায় ভুল। শব্দের অদলবদলও বোধ হয় খেয়াল করলাম। আশা করছি বইটি পরবর্তী মুদ্রণে ভালোভাবে সংস্কার করা হবে। এত সুন্দর একটা বই সম্পাদনার কারণে পাঠক পড়তে না পারুক, বিষয়টা মানা যায় না। এছাড়া কোয়ালিটি দারুণ ছিল। প্রোডাকশনও দারুণ। সবশেষে, বাংলা সাহিত্যের সূচনা ও ভাষা গঠনের ইতিহাস জানার জন্য এই বইটি অবশ্য পঠনীয়। যদিও বইটি বিশালাকার না কিন্তু যথেষ্ট তথ্য ও ইতিহাস উঠে এসেছে। ব্যক্তিগত রেটিং : ৪.৩/৫ (সম্পাদনার কারণে ০.৭ কম দিলাম) বই : বাংলা সাহিত্যের অন্ধকার যুগ : মিথ বনাম বাস্তবতা লেখক : মুসা আল হাফিজ প্রকাশনী : রাইয়ান প্রকাশন পৃষ্ঠা সংখ্যা : ১২০ পৃষ্ঠা
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_ইসলামি_বই_বুক_রিভিউ_প্রতিযোগিতা মুসলিম শাসনের ফলে গণজীবনে অশান্তি ও ধ্বংসযজ্ঞের প্রসারণা একান্তই সারবত্তারিক্ত। কথিত অন্ধকার যুগের ১৫০ বছরে যে সব শাসক বাংলা শাসন করেন, তাদের সময়টা ছিল শান্তিপ্রধান। ওয়াকিল আহমদের ভাষায়–“বাংলা সাহিত্যের কথিত অন্ধকার যুগ মোটেই সাংস্কৃতিক বন্ধ্যাত্বের যুগ ছিল না। ধর্ম,শিক্ষা, শিল্প চর্চার দায়িত্ব যাদের উপর ন্যস্ত ছিল, তারা সীমিত আকারে হলেও শিল্প—সাহিত্য চর্চায় নিয়োজিত ছিলেন।” সুপরিচিত লেখক, কবি ও গবেষক মুসা আল হাফিজের অনবদ্য বই ‘বাংলা সাহিত্যের অন্ধকার যুগ : মিথ বনাম বাস্তবতা’। যেখানে লেখক ঐতিহাসিক সত্যাদর্শনের ছাকুনিতে তুলে এনেছেন বাংলা সাহিত্যের প্রকৃত ডিসকোর্স। ---এক নজরে বইটি---- বই: বাংলা সাহিত্যের অন্ধকার যুগ: মিথ বনাম বাস্তবতা লেখক: মুসা আল হাফিজ প্রকাশনায়: রাইহান প্রকাশন বাঁধাই: হার্ডকাভার পৃষ্ঠাসংখ্যা: ১২০ মুদ্রিত মূল্য: ১৮৫৳ প্রথম প্রকাশ: জানুয়ারি ২০২২ অর্পণ: কালাম আজাদ ও মুহাম্মদ ফজলুর রহমান ◾মূল্যায়ন: শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়,শ্রীসুকুমার সেন, ভূদেব চৌধুরী, গোপাল হালদার আর হুমায়ুন আজাদের মতো কতক সংস্কৃত পন্ডিতরা বখতিয়ার খলজির মুসলিম বিজয়োত্তর দেড়শ বছরের (১২০১-১৩৫০) শাসনপর্বকে বর্বরতা, পাশবিকতা ও অন্ধকার যুগ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তাদের বয়ান আর দাবির খুঁটি হচ্ছে সেই সন্ধিক্ষণ ছিল মুসলিম শাসকদের সীমাহীন নারকীয়তা, নির্মমতা, বীভৎসতা, প্রলয় ধ্বংস ও প্রাণহীন অখণ্ড জড়তা বাঙালির সৃষ্টিশীল সত্তাকে অসাড় করে দিয়েছিল। যার দরুন একে তারা অন্ধকার যুগ এবং সাহিত্যের 'শূন্যস্থান' যুগ আখ্যা দিয়েছেন। অথচ ইতিহাসে কোনো শূন্যস্থান থাকতে পারে না। প্রশ্ন হলো, শূন্য যদি না থাকে, তাহলে অন্ধকার হবে কেন? কমসংখ্যক সৃষ্টিসম্ভারের কারণে? লেখক ঠিক এখান থেকেই চ্যালেজ্ঞ নিয়ে ঐতিহাসিক নিরিখে তার অগাধ অবলোকন,দর্শনসম্বন্ধীয় অনুসন্ধানে তখনকার সাহিত্য নিদর্শনের অস্তিত্বের সত্যাপন অন্বেষণ ও উদ্ঘাটনে তিনি পারঙ্গমতার পরিচয় দিয়েছেন। ফলশ্রুতিতে লেখককে করতে হয়েছে– মুসলিম বিজয়োত্তর ও তার পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী সমাজ-সংস্কৃতি, শিল্প-সাহিত্য, ভাষা ও রাজনীতি নিয়ে করেছেন বিদগ্ধ আলোকপাত। তিনি দেখিয়েছেন বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের জন্য অন্ধকার যুগ যদি একান্ত চিহ্নিত করতেই হয়,সেটা হলো ব্রাহ্মণ্যবাদী সেন রাজত্বের কাল। যারা 'বাংলাকে নরকের ভাষা' বলে আখ্যা দিয়েছিল। তখন বাংলা ছিল অনাদর, অবহেলিত এবং অনুশীলনকারীদের উপর চলতো পীড়ন-লাঞ্চণার ক্রমাগত ইনকুইজিশন। সাথে ফুটে তুলেছেন যখন আবছা আলো, আবছা আঁধারিতে আচ্ছন্ন থাকা বাংলা ভাষা মুসলিম বিজয়ের পরে সেই আবছা আঁধার সরিয়ে আপন চেহারা উন্মোচন করতে শুরু করলো। যেখানে ভাষা সংস্কৃতি উচ্চবর্ণের পাথুরে পাচিলে আড়ষ্ট ছিল, তা দেয়াল ভেঙে গণস্থরে নিজস্ব বিকাশ অর্জন করল। ভাষায় এলো প্রাণাবেগ, সংস্কৃতিতে এলো প্রবাহ বিস্তার। যা সাহিত্যকে দিয়েছে সমৃদ্ধি। বাঙালিকে দিয়েছে মানসিক ঔজ্জ্বল্যতা। এজন্যই দীনেশচন্দ্র সেন ও ড. এম এ রহিমসহ নানা পন্ডিতগণ ব্যক্ত করেছেন– “বাংলা ভাষার বিলুপ্তি এবং অতীতের গর্ভে নিমজ্জিত হওয়া থেকে রক্ষার্থে এবং বঙ্গ—সাহিত্যকে একরূপ মুসলমানদের সৃষ্টি বলিলেও অত্যুক্তি হইবে না।” 'মুসলিম বিজয়: উপাসনালয় ও জ্ঞানাগার নাশের অভিযোগ' শিরোনামে লেখক তুলে ধরেছেন বখতিয়ার খিলজির বঙ্গজয়ের পরে নালন্দা মন্দির, মঠ ও শিক্ষাগার-লাইব্রেরী যে ধ্বংসের দাবি সরোষে উচ্চারিত হয়। তার প্রেক্ষিতে লেখক ইতিহাসের বয়ানকে সযতনে উপেক্ষা করে এবং নিজেদের চোখের সামনে জলন্ত বাস্তবতা দেখতে না পাওয়া বুদ্ধিজীবীদের সামনে আঞ্জাম দিয়েছেন মুসলিম বিজয়ের পরেও নালন্দা মন্দির মঠে ছিল শিক্ষা—দীক্ষার সয়লাব। যৌক্তিক রেফারেন্সে প্রমাণ করেছেন উদন্তপুরীে সেনানিবাস ভেবে ভুল অভিযান করলেও বখতিয়ার খিলজির হাতের দাগ লাগেনি নালন্দার একটি ইটেও। বরং বৌদ্ধবিহার নালন্দার উপর একেরপর এক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ব্রাহ্মণ্যবাদীরা। —এর পরেই 'মুসলিম শাসন বর্বরতা না শান্তি–সমৃদ্ধি' শিরোনামে লেখক তুলে ধরেছেন ধারাবাহিক মুসলিম শাসনের শৃঙ্খলা, সাম্রাজ্যের সীমানা, রাজ্যকে জেলায় বিভক্ত করণ এবং প্রধান অমাত্য ও সামরিক প্রধানদের উপর দায়িত্ব ন্যাস্ত করে শাসনকার্য পরিচালনা পদ্ধতি, নৌবহর গঠন সহ শাসক ও তাদের সময়কাল। সাথে আরো উঠে এসেছে শিক্ষা ও সংষ্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতা সহ মুসলমানদের বহু সংষ্কার ও আবিষ্কারের কথা। এবং ফখরুদ্দিন মোবারক শাহের শাসনামলে (১৩৪৫-৪৬) ইবনে বতুতা বঙ্গদেশে এসে তার প্রত্যক্ষদর্শী ভাষ্যকারের জবানীতে বাংলার বর্বরতার চিত্রায়ন নেই, উল্লেখমাত্র নেই। বরং আছে শান্ত, নিরাপদ, সমৃদ্ধ জীবনের ভাষ্য, যার প্রতি একজন ভ্রমণকারী ঈর্ষা করতে পারে। এভাবেই মূলত লেখক সক্ষম হয় বাংলা সাহিত্য মুসলমানদের সৃষ্টি। যেখানে মুসলিম পূর্ব সময়ে ভাষা হিসেবে বাংলার অস্তিত্ব ছিল না। সেখানে মুসলিম শাসকের রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলা ভাষা পরিপূর্ণ ভাষা হিসেবে আত্মপ্রকাশের যোগ্যতা অর্জন করে। এবং যথারীতি বাংলা ভাষা ও সাহিত্য উৎকর্ষের পথে অগ্রসর হয়েছে। অভিমত: প্রথমত বইটা পড়ে একটু সচকিত হয়েছি। কেননা পাঠ্যপ্রস্তক থেকে বাংলা সাহিত্যের অন্ধকার যুগ হিসেবে ভ্রান্ত ধারনাই এতোদিন জানতাম। অথচ বইটা পড়ে জানলাম বাংলা সাহিত্যের চরম সত্য সমূলে মুছে ফেলা হয়েছে। কতক বুদ্ধিজীবীরা সত্য ইতিহাস মুছে উল্টো ইতিহাস তৈরি করেছে। (এখানে মূলত তাদের জ্ঞানকে অবজ্ঞা নয় বরং আলোচ্য বিষয়ে তাদের এহেন ভুল ইতিহাসকে ইঙ্গিত করা হয়েছে।) যা দুঃখজনকভাবে স্থান পেয়েছে স্কুল-কলেজের পাঠ্যপ্রস্তকে। আমরা সেটাই শিখেছি, শেখানো হচ্ছে! দ্বিতীয়ত লেখক নির্মোহ দৃষ্টিতে ইতিহাসের সত্যানুসন্ধান ও উদ্ঘাটনী বিশ্লেষণপ্রয়াস এককথায় অনবদ্য। তবে লেখক তৎকালীন কিছু অমর সাহিত্য গ্রন্থ (যেমন প্রাকৃত পৈঙ্গল, সেক শুভোদয়া, শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য ইত্যাদি) থেকে উদ্ধৃতি দেয়ায় বইটাতে ভাষিক বৈচিত্র্য ফুটে উঠলেও বুঝতে একটু বেগ পেতে হয়েছে। দেখা যায় এক বাক্য বুঝার জন্য একাধিক বারও পড়তে হয়েছে। সর্বোপরি বইটি বাংলাভাষাভাষী সাধারণ শিক্ষার্থী থেকে নিয়ে ঐতিহাসিক-গবেষকের জন্যও বইটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি। ✍️ আমিনুর ইসলাম রিফাত তারিখ: ২৩.০৯.২০২৩ ঈসায়ী
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই৷ শায়খ মুসা আল হাফিজ বাংলা সাহিত্যে অনন্য এক ব্যক্তিত্ব।
Was this review helpful to you?
or
ভালো।
Was this review helpful to you?
or
গবেষক মূসা আল হাফিজ বইটি রচনার মধ্য দিয়ে একটি অপরিহার্য ঋণ আদায় করেছেন। তার এ বইটি প্রচলিত ও কথিত অভিযোগটিকে অপনোদন করেছে জোড়ালো ভাবে। এ দেশে যারা ইসলাম ও বাঙলাকে বিপরীত মেরুতে দাঁড় করাতে বদ্ধপরিকর, তাদের মুখে বুদ্ধিবৃত্তিক অব্যর্থ চপেটাঘাত। লেখকের উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করছি।