User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
খুব সুন্দর একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
Valo chilo
Was this review helpful to you?
or
very good
Was this review helpful to you?
or
প্রেমের এক অনন্য নজির এই বইটি,সুখ দুক্ষের মিশেলে কবি গেথেছেন প্রেমের অমর কাব্য।এক কথায় অসাধারন বলা চলে,আমার কাছে ব্যাক্তিগতভাবে বইটী ভালো লেগেছে এবং অসাধারন শব্দচয়ন।আমি চাই লেখকের এসব কর্ম চলুক অবিরাম,কাব্যে বেচে থাকুক অমর প্রেমের কবিতা খানি
Was this review helpful to you?
or
#উপমা___ লক্ষ কোটি মুমূর্ষুর এই কারাগার, এই ধূলি-ধূম্রগর্ভ বিস্তৃত আঁধার ডুবে যায় নীলিমায়-স্বপ্নায়ত মুগ্ধ আঁখিপাতে, -শঙ্খশুভ্র মেঘপুঞ্জে , শুক্লাকাশে, নক্ষত্রের রাতে; ভেঙে যায় কীটপ্রায় ধরণীর বিশীর্ণ নির্মোক, তোমার চকিত স্পর্শে, হে অতন্দ্র দূর কল্পলোক। -----------নীলিমা (জীবনানন্দ দাশ) #গল্প_অল্প_অল্প___ জুয়েল একটু লক্ষ্য করে দেখল মেয়েটা টেনে টেনে হাটে! কেন? মেয়েটার নির্লিপ্ত উত্তর কাটা ফুটেছে। কবে? সেই ছোটবেরলায়! কাটাটার নাম পোলিও। মেয়েটার নাম বিনু। জুয়েলের বন্ধু শহীদের বোন। দেখতে কালো, বুদ্ধিভিত্তিক দিক, শারীরীক দিক সবদিকেই পিছিয়ে। ওদিকে জুয়েল ছেলেটা বেশ সুদর্শন, চনমনে যুবক। জানা গেল বিণুর ভাই শহীদকে শহরে পাঠিয়েছে জুয়েল, অথচ নিজে থাকছে শহীদদের গ্রামের বাড়ি, প্রথমবারের মতো। কারণ জানা নেই বিনুর। কিন্তু সে কি যেন একটা টান অনুভব করছে জুয়েলের প্রতি। ওদিকে জুয়েল উদাস। বিনু ভেবে পায়না তার কি এতো উদাসীনতা! ওদিকে শহীদ গেল দোলনদের বাসায়। মেয়েটা দেখতে বড়ই সাধারণ, কিন্তু সব ছাপিয়ে ব্যক্তিত্ব প্রকাশ পাচ্ছে। শহীদ তানিয়ার খবর জানতে চায়। তানিয়াকে ঘর থেকে বের হতে দেয়া হচ্ছে না। ফোন দেয়া হচ্ছে না। এদিকে চিন্তার কারণ একটা না। জুয়েলের পিছনে ভাড়াটে গুন্ডা লেলিয়ে দিয়েছে তানিয়ার ভাই সাবের। কিন্তু কেন? জানা গেল তানিয়া আর জুয়েল পালিয়ে বিয়ে করে ফেলেছে। জানাজানির পর তানিয়াদের পক্ষে বেশিই চটে গেছে। এদিকে তানিয়া নাছোড়বান্দা, ভাইয়েরাও তেমন রগচটা। ভাই ভাবি বারবার তাকে বুঝাচ্ছে এ বিয়ের ভবিষ্যৎ নেই। একটা বেকার সদ্য পাশ করা ছেলের সাথে থাকা সম্ভব না। ছেলেটা নিতান্ত মধ্যবিত্ত, এদের উমেদারির খোঁজে ধন্না দিতে হয়, সেখানও ভবিষ্যৎ দোদুল্যমান। শহীদ দোলনকে রাজি করাল সে তানিয়াদের বাসায় যাবে খোঁজ নিতে, যদি অপমান করে করুক। ওদিকে হাওরে গিয়ে জুয়েল মুগ্ধ। এত সুন্দর জায়গা গ্রামে থাকতে পারে! পুর্ণিমা রাতে এই নির্জন হাওর কেমন হবে সে ভাবে! বিনুর কথায় জুয়েল জনতে পারে গ্রামে বোস্টমীদি নামের একজন আছেন যে কিনা মানুষের মুখ দেখে সব বলে দিতে পারে । তারা সেখানে যায়। বোস্টমীদি হলো রাধার আরেকনাম। রাধার দুই জন্মের একটাতে সে বৃন্দাবনে থাকত, সহজেই কৃষ্ণের সাথে মিলিত হতে পারত। অন্যটাতে কৃষ্ণ রাধাকে ছেড়ে মথুরা চলে যায়। বিরহিণী রাধা তার ধরা ছোঁয়া পায় না। জুয়েল জানতে চায় বোস্টমীদির এমন কোনো গল্প আছে নাকি! জুয়েলের কথায় বিনু মনে পড়ে বোস্টমীদি তাদের দেখে বলে, বাধা আছে কেটে যাবে সেটা। আবার বলে জগতের নিয়ম একজন হাসে একজন কাঁদে...... এক অদৃশ্য সম্পর্কে মায়ায় বাধা পড়ে জুয়েল, তানিয়া আর বিনু....। তবে কি...?? #বইটার_ভালো_লাগা_ পল্টটা সুন্দর..... সংলাপ গুলো বেশ জুতসই। প্রেমের গল্প হলেও এডাল্ট কিছু ছিল না । বইটার নামের নাথে মিল রেখেই সুখ দুঃখ দুটি সমান করেই দেয়া আছে। ইমদাদুল হক মিলনের অন্যন্য বই এর মতো এখানে বখে যাওয়া কোনো মানুষকে প্রধান চরিত্রে না বসিয়ে একটা রুচিশীল কাজ করেছেন, যেটা ভালো লেগেছে। #বইটার_ভালো_না_লাগা বইটা বর্ণনানির্ভর না বরং সংলাপ নির্ভর। কিছু জায়গাতে আবশ্যক বর্ণনাও স্কিপ করে গেছেন। কয়েক জায়গাতে সংলাপ অযথা টেনে বড় করেছেন। বইটাতে শার্ফ, বাল কি? (বল কি?), হিষাবে (হিসেবে) এই ধরনের আরো কয়েকটা বানানেরর ভুল চোখে পড়েছে। প্রুফ রিডিং আরো ভালো করা দরকার ছিল। কোনটা কার কথা সেই জিনিসটা গুলিয়ে গেছে বারবার পড়তে গিয়ে । কে কোন কথাটা বলছে সেটা পুরা বই এ এক জায়গাতেও পেলাম না... :/ #মতামত___ ইমদাদুল হক মিলনের লেখার ধরন অনেকে ভালো লাগে না, কারণ এটা সংলাপ নির্ভর। তবে উনার পল্টগুলো বেশ লাগে, যদিও সিনেমেটিক একটু। যেমন ধরুন, এই গল্পটা সমরেশ মজুমদার লেখলে হয়ত তিনি দেখাতেন তানিয়ার ভাই ভাবীদের মাঝেও সমস্যা হচ্ছে, সেটার মোড় ধরে আরো কিছু চরিত্র এনে ভিন্ন পথে হাঁটা ধরতেন। ইমদাদুল হক মিলন তা করেনি। তবে তিনি যেভাবে শুরু আর শেষ করেছেন তা অবশ্যই চমকপ্রদ। সর্বসাকুল্যে আমার রেটিং যদিও একটু কম হলো, তবুও পড়ে দেখার আমন্ত্রণ থাকল...