User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
নিসর্গ মেরাজ চৌধুরীর ‘সেই আগুন সেই আলো’ একটি ঐতিহাসিক উপন্যাস, যা ১৯৩১ সালে ত্রিপুরার কুমিল্লা জেলায় ঘটে যাওয়া এক শিক্ষার্থী-বিপ্লবীর সাহসী পদক্ষেপের কাহিনীর আধারে রচিত। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় বিষয় ভারতের ঔপনিবেশিক আধিপত্যের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রেক্ষাপটে একদল স্কুল পড়ুয়া শান্তি–সুনীতি চৌধুরীর অভিনব কর্ম—যা কুমিল্লার তৎকালীন পরিস্থিতিতে এক বিশাল আন্দোলন সৃষ্টি করে। এখানে ১৯২৬ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ বিরোধী বিশাল কর্মযজ্ঞের কথা উল্লেখ করেছেন। যা ফিকশন আকারে প্রকাশের ক্ষেত্রে অনেকটাই সফল হয়েছেন। এখানে ব্রিটিশ শাসনের বর্বরতা ও দেশাত্মবোধের উদ্দীপনা বিশেষ করে নারী ও তরুণ বিপ্লবীদের সাহসিকতা চমৎকারভাবে তুলে ধরা হয়েছে। যেহেতু ঐতিহাসিক উপন্যাস, অনেকগুলো তথ্যের সমন্বয়ে কাহিনী বা ক্যারেক্টার ব্লিড করতে হয়েছে। কেন্দ্রীয় চরিত্র শান্তি সুনীতি থেকে তাদের পরিবার কিংবা অখীল নন্দী থেকে প্রফুল্লসহ গুরুত্বপূর্ণ সবার ক্যারেক্টার বিল্ডিং লেখক ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। 'সেই আগুন সেই আলো' বইয়ে নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বিবরণ, বিশেষ করে একটি কম পরিচিত কিন্তু প্রতিশ্রুতিশীল প্রেক্ষাপট পাঠকের মনে ইতিহাসের গাঢ় ছাপ ফেলতে সক্ষম হয়েছেন।
Was this review helpful to you?
or
১৯২৬-১৯৪৭ এই সময়ে ব্রিটিশবিরোধী নানান আন্দোলন আর এসব আন্দোলনের অনেক মুখপাত্রর অবদান নিয়ে ফিকশন আকারে লেখা। তবে বইয়ের মূল অংশ ছিল কুমিল্লায় শান্তি- সুনীতি নামের দুই স্কুল পড়ুয়া মেয়ের গল্প। ১৫/১৬ বছরের দুই কিশোরী এমনই সাহসীকতার কাজ দিনে দুপুরে এত ঠান্ডা মাথায় করে ফেলে যে সমগ্র ভারতে সাড়া পড়ে যায়। স্বাধীনতার জন্য নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ তারাই প্রথম শুরু করে। স্বাধীনতার একটা বিশাল ধাপ তাদের হাত ধরেই আগায়। ব্রিটিশ রানী পর্যন্ত নজর দিতে বাধ্য হন এই ঘটনায়। ছোট একটা উপন্যাসিকার মধ্যে অনেক বিশাল পরিসরের একটা থ্রিলার। এত বড় পরিসরের মধ্যেও গল্পের মূল ফোকাস অনেক স্পষ্ট। আন্দোলনে শান্তি- সুনীতির অবদান। ঐ সময়ের নারীদের নাম বলতে প্রথমেই মাথায় আসে প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার এর নাম। কিন্তু তার ও সামনে আসা হয়েছে এই শান্তি - সুনীতির দুঃসাহসিক কাজের পরেই। পরিবার থেকে শুরু করে এই দুইজনের ক্যারেক্টার বিল্ডিং আর তাদেরকে শেষ পর্যন্ত নিয়ে যেতে বাকি গুরুত্বপূর্ণ সবার ক্যারেক্টার বিল্ডিং এক কথায় অসাধারণ। প্রচুর তথ্য আছে, সাথে ভারসাম্য রেখে আছে ফিকশন। আর একদম শেষ পর্যন্ত তাদের সবার জন্য যে আবেগটা কাজ করছিল সেটা না পড়লে বুঝা যাবেনা।
Was this review helpful to you?
or
দারুন একটা বই। ব্রিটিশ আমলে লড়াই করা দুইজন নারীকে নিয়ে লেখা এই বই।
Was this review helpful to you?
or
স্বাধীনতার আন্দোলন বলতে আমাদের দেশে বরাবরই আসে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের কথা। আর স্বাধীনতাপূর্ব আন্দোলনের কথা চিন্তা করলে সে বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা বা গণসংযোগ বলতে মোটামুটি ১৯৪৮-১৯৭১ সালের উত্তাল সময়টিকেই তুলে ধরা হয় প্রায় সবক্ষেত্রেই। কিন্তু ব্রিটিশদের অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে এদেশের সর্বস্তরের আপামর জনগণ যে কঠোরভাবে প্রতিবাদ করেছে, হাতে নির্দ্বিধায় অস্ত্র তুলে নিয়েছে সে বিষয়টি অনেক ক্ষেত্রেই অবহেলিত। প্রায় অর্ধ দুনিয়া শাসনকারী ব্রিটিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে অল্পবয়সী তরুন-তরুনীরা যেভাবে প্রতিবাদ করেছিলো, অস্ত্রধারণ করেছিলো তাদের আদর্শেই ভবিষ্যতের স্বাধীনতাকামী ও মুক্তিকামী মানুষেরা প্রেরণা পেয়েছিলো। বাংলায় ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের কথা বলতে এতদিন শুধু মাস্টার দা সূর্যসেন আর প্রীতিলতার কথা জানলেও এই বাংলায় যে আরোও কত শত বীরেন, অখিল, শান্তি, সুনীতি, প্রফুল্লদের মত বীর সেনানীদের আত্মত্যাগ রয়েছে তা অজানাই ছিলো অনেকটা। বিপ্লবীদের পরিবার থেকে শুরু করে লেখকের সকল চরিত্র গঠনের কাজটি বেশ ভালো লেগেছে। প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদানের পাশাপাশি লেখক অত্যন্ত সাবলীলভাবে কাহিনী এগিয়ে নিয়েছেন। ব্রিটিশবিরোধী বাংলার বীরত্বের ইতিহাস জানার জন্য বইটি অবশ্যই পাঠ্য। প্রোডাকশনঃ কভার পেইজের প্রচ্ছদ ডিজাইন, পেজের কোয়ালিটি, ফন্ট সাইজ আমার কাছে ঠিকঠাকই লেগেছে। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমার হার্ডকভার বেশি পছন্দ।