User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
নিজস্ব রেটিং:১০/১০ সাংবাদিকতা করেন আন্তর্জাতিক বিভাগে, কিন্তু নিয়মিত লেখালিখি করে যাচ্ছেন বিজ্ঞান বিষয়ে। জাহাঙ্গীর সুর সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত থাকলেও লেখক হিসেবেই সবার মাঝে স্থান করে নিয়েছেন। তিনি সুতীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে লেখালিখি করছেন স্টিফেন হকিং, চাঁদ, মহাবিশ্বসহ বিজ্ঞানের নানা বিষয় নিয়ে। একই সাথে তার বইগুলো অনেক তথ্যবহুল। "প্রচল ভাঙার ঢেউ" বইটিতে তিনি সমাজিক মাধ্যমের উপকারী অপকারী দিকসহ অনেকদিক তুলে ধরেছেন। যারা নিয়মিত সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করছে তাদের বইটি পড়া অত্যন্ত জরুরী। আমি মন দিয়ে খুব যত্ন সহকারে বইটি পড়লাম। এই বইটি সামাজিক মাধ্যমগুলো নিয়ে লেখা বইগুলোর মধ্যে সেরা একটি বই। নয়জন ইংরেজিভাষী লেখকের গবেষণাধর্মী নিবন্ধ, প্রবন্ধ ও বক্তৃতা নিয়ে বইটি সাজানো হয়েছে। ১৫২ পৃষ্ঠার বইটি পড়তে আমার এতটুকু ক্লান্তি লাগেনি, বরং জানতে পেরেছি সারা বিশ্বে কিভাবে কেন সামাজিক মাধ্যম ব্যবহৃত হয়, সামাজিক মাধ্যমের ইতিবাচক নেতিবাচক, ক্যাটফিশিংসহ সামাজিক মাধ্যম নিয়ে ব্যবহৃত অনেক নতুন শব্দ ও ধারণা। যেটা না বললেই নয়, বইয়ের কভার পেজটা অনেক সুন্দর হয়েছে এবং বাধাই খুব মজবুত। বইটিতে যেসব বিষয়ে লেখা হয়েছেঃ আপনি কি জানেন সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের ফলে গড়ে উঠে স্বপ্রেম? কিভাবে সামাজিক মাধ্যম স্বপ্রেম গড়ে তুলে তা 'উইলিয়াম কিথ ক্যামবেল'-এর কথায় লিখা আছে বইটিতে। বইটিতে আছে মানবসম্পদ নৈতিকতায় সামাজিক মাধ্যমের কিরূপ প্রভাব। বইটিতে আরও আছে বিপনণব্যবস্থায় সামাজিক মাধ্যমের প্রভাব। এছাড়াও আরও আলোচনা করা আছে, সামাজিক মাধ্যমগুলো আমাদের মাঝে জনসংযোগ গড়ে তুললেও, সেটা আনাদের জন্য কতটা উপকারি। বইটিতে পড়লে আপনি বুঝতে পারবেন সামাজিক মাধ্যমগুলো আমরা ব্যবহার করছি নাকি সামাজিক মাধ্যমগুলো আমাদের ব্যবহার করছে। সামাজিক মাধ্যমগুলোর মাধ্যমে চাকরির সাক্ষাৎকার আমাদের জন্য উপকারী নাকি অপকারী জানতে আজই বইটি পড়ে নিন। তাই বইটি পড়ে না থাকলে আপনারাও পড়তে পারেন। ভালো লাগবে নিশ্চয়ই।
Was this review helpful to you?
or
আজকাল আমরা নিজেকে নিজেই প্রচারের জন্য বেছে নিচ্ছি সামাজিক মাধ্যমের আঙিনাগুলো। বাস্তব জীবনের সম্পর্কগুলোতেও সামাজিক মাধ্যমগুলো প্রভাব বিস্তার করছে। তাছাড়া সামাজিক মাধ্যমে আমরা নিজেদের জীবনধারার সাথে অন্যদের জীবনধারা তুলনা করে ঈর্ষান্বিত হচ্ছি, হতাশাগ্রস্ত করে তুলছি নিজেদের জীবনকে। ভুগছি ‘ফেসবুকীয় বিষন্নতা’য়। সামাজিক মাধ্যমে অপরাধকর্মও বেড়ে চলেছে। তাছাড়া ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন ব্যবহারের মাধ্যমে নতুন ধরনের হেনস্তা শুরু হয়েছে একে বলা হচ্ছে ‘সাইবার হেনস্থা’। সামাজিক মাধ্যম আমাদের জীবনে ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। বিপণন ব্যবস্থা বদলে দিচ্ছে সামাজিক মাধ্যম। সামাজিক মাধ্যমে পেশাজীবনের সূত্রপাত হচ্ছে। ভাইরাল হওয়ার মাধ্যমে ব্যবসার ব্যাপক প্রসার বাড়ানো হচ্ছে। সামাজিক মাধ্যম বদলে দিচ্ছে জনসংযোগের ধরন। বইটির উৎসর্গ পত্রটি আমাকে অভিভূত করেছে। তাছাড়া প্রচ্ছদটাও দারুণ লেগেছে। রবীন্দ্রনাথের উক্তি দিয়ে শুরু (‘স্বভাবতই মানুষের মন সকল জিনিসকেই মনের জিনিস করিয়া লইতে চায়’)। এটাও খুব ভালো লেগেছে। ‘মন ও স্বভাব’ পর্বের লেখাগুলো নতুন আঙ্গিকে ভাবিয়ে তুলেছে। লেখার মধ্যে শব্দের পরিভাষা উল্লেখ যেমন স্বপ্রেম (নার্সিসিজম), স্বপ্রেমী (নার্সিসিস্ট), নির্মাতা (ক্রিয়েটর), আধেয় (কনটেন্ট) সাইবার হেনস্তা (সাইবার বুলিং), গোপনীয়তা সুরক্ষা (প্রাইভেসি সেটিংস), গণমঞ্চ (পাবলিক প্ল্যাটফর্ম) এই বিষয়টি চমকপ্রদ লেগেছে। বইটি পাঠকপ্রিয়তা পাক! লেখকের জন্য শুভকামনা।