Our User Product Reviews

সাহিত্যক্ষেত্রে ইন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যয় এর আবির্ভাব অনেকটা আকস্মিক। তিনি যখন ওকালতি করেন ,তখন কিছুটা খেয়ালের বশেই লিখেন ক্ষুদ্রকায় ব্যাঙ্গকাব্য উৎকৃষ্ট কাব্যম ।পরে লেখেন উপন্যাস কল্পতরু। ইন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যয় ব্যাঙ্গরস কে মূল উপজীব্য করে লিখেছিলেন কল্পতরু। তবে হাস্যরস ও ব্যাঙ্গ এর ক্ষেত্রে ইন্দ্রনাথ যে বঙ্কিমচন্দ্র থেকে অনেক খানি প্রেনা লাভ করেন তাতে সন্দেহ নেই। কল্পতরু বাংলা সাহিত্যের প্রথম ব্যাঙ্গ উপন্যাস।নকশা ও প্রহসনের বিষয় কে উপন্যাসের ক্ষেত্রে তুলে নিয়ে আসা ইন্দ্রনাথের ই উদ্ভাবন। হাস্য রসের তর্জনী সংকেত এ উপন্যাসের ঘটনাবিন্যাস ও চরিত্রায়ন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত হইয়াছে। ফলে ঘটনা ও চরিত্র সবই প্রহসনোচিত অতিরঞ্জিত আক্রান্ত। এর মধ্যে অনেক কিছুই উপভোগ্য ,তবে চরিত্র সমূহ সবই একমুখী। নরেন্দ্রনাথ তরুণ ব্রাহ্ম যুবক , কিন্তু ব্রাহ্মধর্ম পরয়নতা তার স্বভাবের অঙ্গ নয়। কিন্তু একদিকে ক্ষুদ্রতা ও ইন্দ্রিয়োলোলুপতা ,অন্যদিকে লোভ ও ভিরুতাই তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য । রামদাস সকল প্রকার অসৎ কর্মের পথ প্রদর্শক ,শঠতায় তার জুরি নেই। গবেশ চন্দ্র বিশিষ্ট প্রবঞ্চক । শ্রীরুপদাস বাবাজি ও তার বৈষ্ণব সঙ্গিনীরা ইন্দ্রিয় বিলাসী ।কেবল নরেন্দ্রনাথের অগ্রজ মধুসুদন সরল হৃদয় , সততা অ স্নেহ পরায়ণতাই তার বিরম্বনার কারন।বিমলা নানা ভাবে নিপীরিত। কিন্তু তার স্বাধীনতা এর পরিচয় আমরা পাইনা। লেখকের কাছে মানুষ হৃদয়ের সদ গুনের পরিচিতি লেখকের অভিপ্রেত নয়। যা তার অভিপ্রেত তাতে তিনি সফল হয়েছেন ব্লতেই হবে