User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By Dipto Hossain

      05 Jan 2025 04:30 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      "ফিজিক্স অপ দা ইম্পসিবল" - মিচিও কাকু: মিচিও কাকুর "ফিজিক্স অপ দা ইম্পসিবল" বইটা বিজ্ঞান এবং পদার্থবিদ্যার অনেক অজানা দিক নিয়ে চমৎকার আলোচনা করে। লেখক এখানে এমন বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেছেন, যা আমাদের মনে হতে পারে একেবারে অসম্ভব—যেমন টাইম ট্রাভেল, পারালাল ইউনিভার্স, এবং মহাবিশ্বের বাইরের জগত। কাকু সহজ ভাষায় এই কঠিন বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন, যা পড়তে পড়তে আপনি যেমন মজা পাবেন, তেমনি ভাবনাও প্রবাহিত হবে। বইটি মূলত বিজ্ঞানী কাকুর সেই চিন্তাভাবনাগুলো শেয়ার করার চেষ্টা, যেখানে তিনি দেখান যে অনেক কিছুই যা আজ পর্যন্ত অসম্ভব মনে হয়, তা ভবিষ্যতে সম্ভব হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কীভাবে বর্তমান বিজ্ঞানীরা টাইম ট্রাভেল এবং মহাবিশ্বের গোপন রহস্য নিয়ে কাজ করছেন। বইটি সবার জন্য, যাদের বিজ্ঞানের প্রতি একটু আগ্রহ আছে। এটি শুধু বিজ্ঞানীদের জন্য নয়, যে কেউ এটা পড়তে পারেন, কারণ কাকু খুব সহজভাবে এসব কঠিন বিষয় ব্যাখ্যা করেছেন, যাতে সবারই বুঝতে সুবিধা হয়। আমার বইটা পড়ে সত্যিই খুব ভালো লেগেছে।

      By Shahriar Nafiz

      22 Dec 2024 10:04 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      আমার জীবনে অনেক বড় একটা বাঁক আছে। ক্লাস নাইনে উচ্চতর গণিত আর সাধারণ গণিত, দুইটাতেই ফেইল করি। ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি ভালোই পারতাম। কিন্তু ম্যাথ জিনিসটা কেন জানি মাথায় ঢুকতো না একদমই। ছিলো কোনো কারন। এভাবেই নাইন কেটে যায়। ক্লাস টেনে ওঠার পর আমাকে এক জায়গায় পিকনিকে যাওয়ার জন্য আম্মু জোর করে। আমি যেতে চাচ্ছিলাম না। আমার আসলে ওসব জায়গা ভালো লাগে না। তো শেষমেশ বললাম, যদি তুমি আমাকে এক হাজার টাকা দাও নতুন বই কিনতে তাহলে আমি পিকনিকে যাবো! আম্মু এক কথায় রাজি। কারন আমাকে মানুষের সাথে মেশাতে হবে, আমি বড়ই আনস্যোশ্যাল। যাইহোক, ঐ টাকা দিয়ে আমি দুইটা বই কিনি। ড্যান ব্রাউনের লেখা দ্য ভিঞ্চি কোড আর মিচিও কাকুর লেখা ফিজিক্স অব দ্য ইম্পসিবল। এই ফিজিক্স অব দ্য ইম্পসিবল বইটাই আমার জীবনে বাঁকটা এনে দেয়। আমি কখনো ভাবিনি ম্যাথের ঐসব গ্যাপ পূরন করে ঠিক মতো এসএসসি পাস করতে পারবো। কিন্তু ঐ বইটা পড়তে পড়তে আমি অনুভব করতে শুরু করি যে ফিজিক্স সাবজেক্টটা আসলে কত বিস্তৃত আর ভয়ঙ্কর! আমি এটুকু ভালোই বুঝতাম যে ফিজিক্স ঠিক মতো বুঝতে হলে ম্যাথ জানা থাকা চাই। ফিজিক্স অব দ্য ইম্পসিবল পপ সায়েন্সের বই। সেটা পড়তে ম্যাথ লাগেনি। কিন্তু এই সাবজেক্টকে যতটা সুন্দর ভাবতাম তার চেয়েও যে বহুগুণ বেশি সুন্দর তা এই বই পড়েই বুঝতে পারি। অদৃশ্য হওয়া, টেলিপোর্টেশন, প্রতিবস্তু, বলক্ষেত্র, টাইম ট্রাভেল, প্যারালাল ওয়ার্ল্ডসের মতো মাথা খারাপ করা সব টপিক নিয়ে এই বইয়ে লেখা হয়েছে। এসব পড়ে আমার মনে হয়, ফিজিক্স শিখতে হবে। ম্যাথ পারতে হবে! এসএসসির একাডেমিক ম্যাথে এরপর থেকেই আমি ফোকাস করি। বুঝতে পারি, এবার ফিজিক্সকে আরো ভালোমতো ফিল করতে পারছি। এরপর এসএসসিতে আমি ম্যাথে দুই মার্ক কম পেয়েছিলাম। যাহোক, একাডেমিক কাম ব্যাকের কথা বলা ভাব নেয়ার জন্য না। বইটার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার জন্য। না হলে, আমার সাথে সেবার যারা ফেইল করেছিল, তাদের কেউই অমন রিকভারি করতে পারেনি। এতকিছু বলার উদ্দেশ্য এই যে আমি মনে করি পপুলার সায়েন্সের বইয়ের যে প্রধান উদ্দেশ্য, বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করা, সেখানে ফিজিক্স অব দ্য ইম্পসিবল খুবই সফল। অন্তত আমার জন্য। সবকিছুর পরে যেটা বলা দরকার, এই বইয়ের মধ্যে যেসব টপিক নিয়ে কথা বলা হয়েছে, সেগুলোর বেশিরভাগ আসলে খাতা কলমেই সীমাবদ্ধ হয়ে আছে। বাস্তবায়ন হতেও পারে নাও পারে। হলেও বহু দেরী হয়ত। তাই এই বই পড়ে সবকিছুকে খাটি সত্যি/রিয়েল ভেবে বসা ঠিক হবে না। মিচিও কাকুর বর্ণনা বেশ সাবলীল। আবুল বাসার অনুবাদ করেছেন। সেটাও মন্দ নয়। তথ্যনির্দেশের ব্যাপারটা প্রশংনীয়। নতুন আর জটিল টার্মগুলো নিয়ে হালকা আলোচনা আছে। সেগুলো বেশ কাজের। সবশেষে, ফিজিক্সের জাদুর দুনিয়ায় একবার ঢু মারতে চাইলে ফিজিক্স অব দ্য ইম্পসিবল বেস্ট চয়েস বলে মনে করি

      By SHAHRIAR NAFIZ

      15 Mar 2023 11:13 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইটি এক কথায় অসাধারণ।নতুন অনেক কিছু জানতে পেরেছি।তবে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানটিকে বলব বাইন্ডিং আরো ভালো করতে।

      By Kazi Nazmus Salehin

      22 Jun 2022 10:56 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Good

      By Rafiul Karim

      17 Mar 2022 12:33 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Best books for SCI_FI movie freaks

      By A.M.Miftahul Khayer

      13 Mar 2022 11:42 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইটি বিজ্ঞান অাগ্রহীদের জন্য উপকারী

      By Anando Siddique

      06 Mar 2022 05:49 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Alhamdulillah

      By S. M. Mukim Hasan

      05 Mar 2022 11:14 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      good

      By Swapna Rani Mondal

      10 Jan 2022 03:59 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      nothing to say , perfect writing

      By mahmadur rahman

      10 Dec 2021 12:34 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      Awesome .....

      By AL AMIN HOSSAIN ROHAN

      28 Nov 2021 03:44 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      মাস্ট রিড বুক ফর দ্যা ফিজিক্স স্টুডেন্টস। আবুল বাসার স্যারের অনুবাদ বরাবরের মতোই চমৎকার ; কোনো কৃত্রিমতা নেই।

      By Kamrun Nahar

      14 Nov 2021 08:06 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      What a book, fantastic!

      By Milton Kumar Debnath

      10 Nov 2021 05:44 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      nice book

      By Mohammad Ali

      29 Oct 2021 02:12 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ❤️❤️

      By Delwar Jahan

      30 Jun 2021 01:46 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বাংলা অনুবাদ আরো প্রাঞ্জল করা যায়। অন্তত আমি হলে তাই করতাম। বিজ্ঞান বইষয়ক বই অনুবাদ করার আগে বিজ্ঞানকে বুঝতে হবে।

      By Md Kowsar Ahmed

      08 May 2021 02:45 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      jossss

      By Tanvir Ahamed

      31 Mar 2021 12:57 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      অনেক অনেক অনেক ভালো বই,, ১০/১০।। পড়বেন আর মজা পাবেন।

      By Novel

      14 Mar 2021 02:19 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Well done

      By Rubaiat Sarmin Oishi

      27 Jan 2021 04:32 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ভালো লেগেছে বইটি

      By Ricktom

      16 Jan 2021 12:06 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      nice but some lackings

      By Amdad Hossain Roni

      02 Dec 2020 02:21 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Best

      By shafiul

      04 Nov 2020 09:17 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      গুড

      By Ashek Mahbub Shakil

      17 Oct 2020 09:34 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ একটা বই। বিজ্ঞানপ্রেমিদের অবশ্য পাঠ্য।

      By Mahathir Ahmed

      18 Sep 2020 04:44 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      বিজ্ঞান চিন্তায় লিখে এমন লেখকদের অনুবাদে আমার ভরসা ছিলো। বইটি পড়ে তা আরো দৃঢ় হলো।

      By Md Samiul Islam

      25 Aug 2020 11:10 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      আরো চাই এরকম বই। সুন্দর ছিলো

      By Korno

      19 Aug 2020 04:27 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইটির অনুবাদ ওতটা ভাল না, মনে হয় কোন application এর মাধ্যমে করছে অনুবাদ।?

      By omer faruque

      10 Aug 2020 06:31 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ একটি বই

      By [email protected]

      25 Jul 2020 03:25 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      প্লিজ। মিচিও কাকুর অন্যান্য বই অনুবাদ করুন। আপনার অনুবাদ ভালো।

      By Sheikh Saeem Ferdous

      25 Aug 2024 01:27 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Excellent book. please read the book

      By Shovon Saha

      10 Jan 2021 11:16 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      এক কথায় চমৎকার বই। পদার্থবিজ্ঞান আর বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী যাদের আগ্রহের, তারা কিছু বিষয় নতুন আর সংক্ষিপ্তভাবে বুঝতে পারবেন। অনুবাদ বেশ সাবলীল।

      By Shahidullah

      10 Apr 2021 12:22 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      এক কথায় অসাধারণ।

      By Bristi Day

      23 Jun 2020 02:46 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইটি অসম্ভব ভালো। বইটির মধ্যে পদার্থবিজ্ঞানের সকল অসম্ভবকে বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে সম্ভব দেখানো হয়েছে। বইটি পড়ার পর মনের মধ্যে থাকা বিজ্ঞানের সকল অসম্ভবকে সম্ভব করার বাসনা জেগেছে।।

      By Apurbo Ahmed

      09 Feb 2021 12:15 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      This book proves that Impossible is a relative term in science.Everybody should read this book...

      By Md abdul kaium

      21 Feb 2020 03:46 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ভালো ছিলো বইটা

      By Qazi Akash

      28 Nov 2020 03:07 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বিজ্ঞান কল্পকাহিনীকে বলা হয় ভবিষ্যতের রুপকথা। আজ যেটা বিজ্ঞান কল্পকাহিনীতে জায়গা করে নিয়েছে কাল সেটা হতে পারে কঠিন বাস্তবতা। এর উদাহরণও আছে ভুরিভুরি। আজকের স্যাটেলাইট, ইন্টারনেট,স্মার্ট কার্ড, রোবট, রকেটসহ অনেক প্রযুক্তি প্রথম দেখা গিয়েছিল কল্পকাহিনীর পাতায়। সে সময় বিজ্ঞানীরা এগুলোকে কড়া ভাষায় নাকচ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই অসম্ভব প্রযুক্তিগুলোই আজ আমাদের প্রতিদিনের সঙ্গী। সে রকম ভাবেই বর্তমানের যেসব কল্পগল্পের প্রযুক্তিকে অনেক বিজ্ঞানীরা অসম্ভব বলে দাবী করেছেন, মিচিও কাকু সেগুলোকে সরাসরি অসম্ভব বলতে নারাজ। তাঁর মতে ভবিষ্যতে হয়তো এই প্রযুক্তিগুলো সম্ভব হয়ে উঠবে। যে প্রযুক্তিগুলো বর্তমানে অসম্ভব কিন্তু ভবিষ্যতে সম্ভব হবে বলে ভাবেন মিচিও কাকু সেই প্রযুক্তিগুলো নিয়েই তাঁর লেখা বেস্টসেলার বই ফিজিকস অব দ্য ইমপসিবল। বইটি অনুবাদ করেছেন বিজ্ঞানচিন্তার নির্বাহী সম্পাদক আবুল বাসার। ফিজিকস অব দ্য ইমপসিবল বইয়ের অসম্ভাব্যতাকে তিনটি শ্রেনীতে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি শ্রেনীকে কয়েকটি পর্বে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি পর্বে শুরুতে সেগুলোর ইতিহাস বলা হয়েছে। সেগুলো নিয়ে কারা, কবে গবেষণা করেছেন, সেগুলো কতটা সফলতার মুখ দেখেছে এগুলো বর্ণনা করার পরে লেখক নিজের যুক্তি দিয়েছেন। আপনি যদি সাইফাই মুভি ও টিভি সিরিজের পোকা হয়ে থাকেন তাহলে বইটি বুঝতে আরো সুবিধা হবে। প্রথম শ্রেনীর অসম্ভাব্যতার মধ্যে রাখা হয়েছে, যে প্রযুক্তিগুলো বর্তমানে অসম্ভব কিন্তু এগুলো পদার্থবিদ্যার কোনো সূত্র অমান্য করেনা।কাজেই এগুলোকে এই শতাব্দীতেই বাস্তবায়ন করা সম্ভব হতে পারে। কিংবা রূপান্তরিত ভাবে সম্ভব হতে পারে পরের শতাব্দীতে। এই শ্রেনীতে আছে ১০টি পর্ব। এগুলোর মধ্যে আছে বলক্ষেত্র, অদৃশ্য হওয়া, ফেজার ও মৃত নক্ষত্র, টেলিপোর্টেশন, টেলিপ্যাথি, সাইকোকাইনেসিস, রোবট, এলিয়েন, স্টারশিপ ও প্রতিবস্তু। দ্বিতীয় শ্রেনীর অসম্ভাব্যতা হলো, এসব প্রযুক্তি ভৌত বিশ্বে আমাদের উপলব্ধির দিক থেকে খুবই কাছাকাছি রয়েছে। এগুলো যদি কখনো সম্ভব হয় তাহলে তার জন্য সহস্রাব্দ থেকে কয়েক মিলিয়ন বছর লেগে যেতে পারে। এই শ্রেনীকে তিনটি পর্বে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হলো: আলোর গতি ছাড়িয়ে, টাইম ট্রাভেল ও সমান্তরাল মহাবিশ্ব। তৃতীয় শ্রেনীর সম্ভাব্যতা হলো, এইসব প্রযুক্তি আমাদের বর্তমানে জানা পদার্তবিজ্ঞানের সূত্রগুলোর বিরুদ্ধে। যদিও এইসব প্রযুক্তি হাতেগোনা কয়েকটি। এগুল যদি কোনদিন সম্ভব হয় তাহলে আমাদের উপলব্ধির মৌলিক ধারণা পাল্টে দেবে। এই শ্রেনীর দুইটি পর্ব হলো অবিরাম গতিযন্ত্র ও ভবিষ্যৎ দেখার ক্ষমতা। সবশেষে লেখক অসম্ভবের ভবিষ্যৎ দিয়ে বইয়ের ইতি টেনেছেন। এবার প্রতিটি প্রযুক্তি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা যাক। ফিজিকস অফ দ্য ইমপসিবল লেখক: মিচিও কাকু অনুবাদক: আবুল বাসার প্রকাশনী: প্রথমা মুদ্রিত মূল্য: ৬০০ টাকা পৃষ্ঠা: ৩৬০ ১(ক) বলক্ষেত্র: স্টার ট্রেক সিরিজে দেখানো বলক্ষেত্র একটি পাতলা, অদৃশ্য হলেও অপ্রবেশ্য দেয়াল। এই দেয়াল লেজার ও রকেটের মতো কোনো কিছুকে ঠেকিয়ে পথচ্যুত করে দিতে পারে। কোন সেনাবাহিনী বলক্ষেত্র ব্যবহার করে শত্রুপক্ষের কাছে অভেদ্য হয়ে উঠতে পারে। এর মাধ্যমে শত্রুপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্র ও বুলেটের বিরুদ্ধে অপ্রবেশ্যযোগ্য দেয়াল গড়ে তুলতে পারবে। অথবা একটি বোতাম টিপলে নিমেষেই রাস্তা, সুপারহাইওয়ে বা আস্ত একটি শহর বানানো যাবে বলক্ষেত্র ব্যবহার করে। কিন্তু কথা হলো এই বলক্ষেত্র আসলেই কি আগামী শতকে বানানো সম্ভব? মিচিও কাকু বলেছেন, বিজ্ঞান কল্পকাহিনীতে বলক্ষেত্রকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তা পদার্থবিজ্ঞানের সূত্রগুলোর সাথে খাপ খায়না। তবে এমন কোন কিছু থাকা সম্ভব যা থেকে এধরণের বলক্ষেত্র আবিষ্কার করা যাবে। এই পর্বে সেগুলো নিয়েই বিশদভাবে আলোচনা করেছেন তিনি। ১(খ) অদৃশ্য হওয়া: দ্য লর্ড অব দ্য রিংস মুভিতে আংটি পড়লেই অদৃশ্য হওয়া যায়। আসলেই কি অদৃশ্য হওয়া সম্ভব? কিছু বিজ্ঞানীরা বলেছেন, যেহেতু অদৃশ্য হওয়া আলোক বিদ্যার সূত্র মানে না সেহেতু অদৃশ্য হওয়া সম্ভব নয়। তবে কাকু বলছেন অসম্ভব ব্যাপারটি সম্ভব হতে পারে মেটাম্যাটেরিয়ালের সাহায্যে। যদিও এক সময় মনে করা হতো মেটাম্যাটেরিয়াল তৈরি করা অসম্ভব। তবে ২০০৬ সালে কিছু গবেষকেরা এই পদার্থটি আবিষ্কার করে প্রচলিত নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখান। সে কারণেই কাকু মনে করেন এই পদার্থ দিয়ে সত্যি সত্যি অদৃশ্য হওয়ার ক্ষমতা অর্জন করা যাবে। তবে মুভিতে দেখানো রিং বা চাদরের মত করে নয় নিশ্চই। বাস্তবে কিভাবে অদৃশ্য হওয়া যাবে তার বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে এই পর্বে। ১(গ) ফেজার ও মৃত নক্ষত্র: মৃত নক্ষত্র এক ধরনের প্রকাণ্ড যুদ্ধাস্ত্র। এর আকার প্রায় চাঁদের সমান। এই যুদ্ধাস্ত্র দিয়ে চোখের পলকেই ধ্বংস করা যায় আস্ত একটি গ্রহকে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, স্টার ওয়ার্সে দেখানো এই ডেথ স্টার বা মৃত নক্ষত্র কি আসলেই বানানো সম্ভব? অথবা আলোকরশ্মি দিয়ে বানানো তলোয়ার সম্পর্কেই-বা কি বলা যায়? যে তলোয়ার শক্তিশালী ইস্পাত কেটে টুকরো টুকরো করে দিতে পারে। এই অস্ত্র কি আধুনিক পৃথিবীতে বাস্তবসম্মত কোন মরণাস্ত্র? সমালোচকরা বলেছেন, বিনোদনের জন্য এগুলো খুব ভাল। কিন্তু বাস্তবে অসম্ভব। বিশ্বাস করা কঠিন হলেও সত্যি আলোকরশ্মিকে ঠাসাঠাসি করার জন্য প্রাকৃতিক শক্তির কোন ভৌত সীমানা নেই। পদার্থবিজ্ঞানে এমন কোন সূত্র নেই , যা মৃত নক্ষত্র বা আলোকরশ্মি তলোয়ার বানাতে বাধা দেয়। সুতারং সব অসম্ভাব্যতাকে উড়িয়ে দিয়ে বাস্তবে ফেজার বা মৃত নক্ষত্র বানানো সম্ভব বলে মনে করেন মিচিও কাকু। শুধু মনে করেই খেল খতম করেননি। এর বাস্তবসম্মত ব্যাখ্যাও করেছেন। ১(ঘ) টেলিপোর্টেশন: মানুষ বা বস্তুকে খুব দ্রুত এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় স্থানান্তর করার ক্ষমতাসম্পন্ন প্রযুক্তিই টেলিপোর্টেশন। এই প্রযুক্তি সভ্যতার গতিপথ বদলে দিতে পারে। পাল্টে দিতে পারে বিভিন্ন জাতির ভবিষ্যৎ। বদলে দিতে পারে যুদ্ধের নিয়মকানুন। বিভিন্ন দলের সেনাবাহিনীদের টেলিপোর্টেশনের মাধ্যমে যুদ্ধের ময়দানে নিয়ে যেতে পারে। আবার বিপদে যুদ্ধের ময়দান থেকে ফিরিয়ে আনতে পারে। তেমনি যোগাযোগের জন্যও এই প্রযুক্তি খুবই কাজের। মালামাল বহন করতেও কোন ঝামেলা থাকবেনা। বাস্তবে এই প্রযুক্তির সম্ভবনা কতটুকু? মিচিও কাকুর মতে, টেলিপোর্টেশন এখনো পারমাণবিক পর্যায়ে রয়েছে। বড় ধরনের বস্তুর টেলিপোর্টেশন করতে আগামী কয়েক দশক থেকে কয়েক শতাব্দী অপেক্ষা করতে হতে পারে। ১(ঙ) টেলিপ্যাথি: ঐতিহাসিকভাবে মাইন্ড রিডিং বা মন পড়তে পারার ক্ষমতা এতই গুরুত্বপূর্ণ বলে ভাবা হয়েছে যে, এর সঙ্গে প্রায়ই দেব-দেবীদের জড়িয়ে ফেলা হয়। কোন দেবতার অলৌকিক শক্তির অন্যতম হলো মন পড়তে পারা এবং তাদের গভীর প্রার্থনার উত্তর দেওয়া। অন্যের মন পড়তে পারার ক্ষমতা যে কোন ব্যেক্তিকে সবচেয়ে ধনবান এবং ক্ষমতাবান করে দিতে পারে। হুমায়ুন আহমেদের মিসির আলী সিরিজে টেলিপ্যাথির ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু টেলিপ্যাথির বাস্তবতা কতখানি? কাকুর মতে। বিজ্ঞান কল্পকাহিনীতে দেখানো টেলিপ্যাথির মত মন পড়া কখনো সম্ভব হবেনা। তবে সম্ভবনা কতটুকু সে ব্যাপারে এই চ্যাপ্টারে বিশদভাবে আলোচনা করা হয়েছে। ১(চ) সাইকোকাইনেসিস: মানুষের অলৌকিক কিছু করার ক্ষমতা সাইকোকাইনেসিস। অনেক জাদুকর মঞ্চে চোখের ইশারায় চামচ বাকা করতে পারে। এই ক্ষমতাই সাইকোকাইনেসিস। কিন্তু কথা হলো, আসলেই কি চোখের ইশারায় চামচ বাকা করা সম্ভব? সাইকিক ক্ষমতা দেখাতে পারে এমন কাউকে ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে অ্যামেজিং র‍্যান্ডি। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই পুরস্কারের জন্য কাউকে অংশ নিতে দেখা যায়নি। সাইকিক ক্ষমতা সত্যি সত্যি কারো থাকলে নিশ্চই এতদিন ১ মিলিয়ন ডলার বাগিয়ে নিত। তাহলে ভবিষ্যতে কি কোন প্রযুক্তি আবিষ্কার করা সম্ভব যার মাধ্যমে সাইকিক ক্ষমতা অর্জন করা যাবে? কাকুর মতে, সাইকোকাইনেসিস বর্তমান প্রেক্ষাপটে অসম্ভব। তবে ভবিষ্যতে হয়তো ইইজি, এময়ারআই ও অন্যান্য পদ্ধতিতে আমাদের মস্তিষ্কে চিন্তার মধ্যে ঢুকে আরও অনেক কিছু বুঝতে পারা সম্ভব হবে। ১(ছ) রোবট কল্পকাহিনী বা মুভিতে দেখানো রোবট এখনো তৈরি করা সম্ভব হয়নি। বলিউড রোবট মুভিতে দেখানো হয়েছে, একসময় রোবটটি প্রেমে পরে। সে রোবটের চিন্তা ভাবনা করার ক্ষমতাও আছে। তাহলে বাস্তবে কি রোবট এতই উন্নত হতে পারে যে একদিন আমাদের অস্তিত্বের জন্যও চূড়ান্ত হুমকি হয়ে দাঁড়াবে? কিছু বিজ্ঞানীর মতে এর উত্তর-না। তাদের মতে, চিন্তা করতে পারে এমন যন্ত্র বানানো অসম্ভব। প্রকৃতির এযাবৎকালে বানানো সবচেয়ে জটিল সিস্টেম হলো মানবমস্তিষ্ক। মানুষের চিন্তা প্রতিলিপি বা নকল করতে পারে এমন যন্ত্র বানানোতো দূরের কথা নকশা করাও সম্ভব নয়। এতো গেলো কিছু গবেষক ও বিজ্ঞানীদের কথা। রোবট সম্পর্কে লেখকের কি বক্তব্য? তাঁর দাবি, বাস্তবে রোবট আমাদের চেয়েও বেশি স্মার্ট হয়ে উঠতে পারে। তবে সে জন্য মুরের সূত্র (প্রতি দুই বছরে কম্পিউটারের হিসাব করার ক্ষমতা দ্বিগুণ হবে এবং একই সময়ের মধ্যে দ্বিগুণ হবে সিলিকন চিপের ট্রানজিস্টারের সংখ্যা।) অকার্যকর হওয়া থামাতে হবে এবং সাধারণ বিচারবোধ-সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করতে হবে। সেটি হয়তো সম্ভব হবে এই শতকের শেষের দিকে। ১(জ) মহাকাশের আগুন্তক ও ইউএফও: এলিয়েন বা ভিনগ্রহের প্রাণীদের নিয়ে যুগে যুগে মানুষের আগ্রহ ছিল। অনেকেই দাবী করেছেন, তাঁরা এলিয়েন বা এলিয়েনদের যান দেখেছেন। নিজেদের মতো করে সেগুলোর ব্যাখ্যাও করেছেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো এলিয়েন ও ইউএফও দেখার প্রমাণ কেউ দিতে পারেনি। যারা এলিয়েন দেখার দাবী করেছেন তাদের ব্যাখ্যাকে খুব সহজেই উড়িয়ে দেওয়া যায়(দুই একটি ছাড়া)। সুতারং ধরে নেওয়া যায় এখনো এলিয়েন ও ইউএফও দেখার সৌভাগ্য কারো হয়নি। তবে এখন হয়নি বলে যে কোনদিন হবেনা তা তো নয়। হয়তো ভবিষ্যতে সত্যি সত্যি এলিয়েনের দেখা মিলতে পারে। আমাদের গ্রহের বাইরে এলিয়েন থাকাটা অসম্ভব নয়। তাহলে প্রশ্ন হলো ওরা কোথায় থাকে? তাঁরা দেখতে কেমন হবে? মুভিতে দেখানো দানবের মত? তাঁরা যেখানে থাকে সেখানকার সভ্যতা কি আরো উন্নত? কতটা উন্নত তাদের সভ্যতা? এই সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে এই চ্যাপ্টারে। কাকুর মতে, সেটি (SETI) প্রজেক্টের দ্রুত অগ্রগতি এবং অনেকগুলো বহিঃসৌরজাগতিক গ্রহ আবিষ্কারের কারণে এলিয়েন আমাদের পার্শ্ববর্তী এলাকায় থাকে বলে ধরে নেওয়া যায়। আর তা যদি সত্যি হয় তাহলে তাদের সাথে এই শতকেই যোগাযোগ সম্ভব হবে। কি ভাবে যোগাযোগ করবে এলিয়েনদের সাথে বা কোন ভাষা ব্যবহার করা হবে? জানা যাবে এই পর্বে। ১(ঝ) স্টারশিপ পদার্থবিজ্ঞানের একটি সূত্রমতে , অদূর ভবিষ্যতে (কয়েক বিলিয়ন বছর পর) গোটা মহাকাশ তীব্র আগুনে ছেয়ে যাবে। তাপমাত্রা বাড়ার ফলে কোন পানি থাকবে না। পাহাড়-পর্বত গুলো গলে লাভায় পরিনত হবে। তখন পৃথিবীতে বেঁচে থাকার প্রশ্নই ওঠে না। তাই বাচতে হলে হয়তো আমাদের সৌরজগৎ ছেড়ে অন্য কন নক্ষত্রে পাড়ি দিতে হবে। আমাদের সবচেয়ে কাছের নক্ষত্র আলফা সেন্টুরাই যা পৃথিবী থেকে প্রায় ৪ আলোকবর্ষ দূরে। যদি এই কাছের নক্ষত্রেও যেতে চাই তাহলে ৭০ হাজার বছর লেগে যাবে। তাহলে উপায়? রকেটের নতুন নকশা খুঁজতে হবে। হয় রকেটের থ্রাস্ট বাড়াতে হবে নয়তো সক্রিয়তার সময় বাড়াতে হবে। অনেকে মনে করেন, ভবিষ্যতে স্টারশিপে করে পাড়ি দিতে পারবে এক নক্ষত্র থেকে আরেক নক্ষত্রে? আসলেই কি বাস্তবে স্টারশিপ তৈরি করা সম্ভব হবে? কাকুর মতে, এই শতকে মানুষবাহী স্টারশিপ তৈরি করা অসম্ভব হলেও মানুষবিহীন ন্যানো স্টারশিপ অন্য নক্ষত্রে প্রেরন করা যেতে পারে। ১(ঞ) প্রতিবস্তু ও প্রতি-মহাবিশ্ব আমাদের চেনাজানা জগতের বিষয়-বস্তুর ঠিক বিপরীতে একধরণের বস্তু বিদ্যমান, বিজ্ঞানীরা যাঁদের নামকরণ করেছেন প্রতিবস্তু কিংবা এন্টিম্যাটার নামে। আর প্রতি-মহাবিশ্বে আমাদের চেনাজগতের সব বিপরীত ঘটনা ঘটবে। আমাদের সব অনিয়ম পরিণত হবে তাঁদের নিয়মে। সমস্যা হল যখন বস্তু আর প্রতিবস্তু পরস্পর সংস্পর্শে আসবে, তখন তাঁরা একে অপরকে ধ্বংস করে দেবে। তাই রবার্ট ফাইনম্যান ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কে ধ্বংস হওয়ার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য একটি মজার উক্তি করেছেন! 'কোন মহাজাগতিক প্রাণ যদি তোমার নিকট এসে ডান হাতের বদলে বাম হাত এগিয়ে করমর্দন করতে চায়, তবে তাকে সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করো!' ড্যান ব্রাউনের 'অ্যাঞ্জেল এন্ড ডেমনস' বইয়ে এক দল উগ্রবাদীকে দেখানো হয়েছে। তাঁরা প্রতিবস্তুর তৈরি বোমা দিয়ে ভ্যাটিকান সিটিকে উড়িয়ে দিতে চায়। এই বোমা হাইড্রজেন বোমার চাইতে ১০০ গুন শক্তিশালী। অবশ্য প্রতিবস্তু বোমা এখন পর্যন্ত বাস্তবে দেখা না মিললেও প্রতিবস্তু পুরপুরি বাস্তব। ল্যাবে প্রতিবস্ত তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। তবে খুবই সামান্য। প্রতিবস্তু উৎপাদনের হার বর্তমানে বছরে ১ গ্রামের ১ বিলিয়ন ভাগের ১ ভাগ থেকে ১০ বিলিয়ন ভাগের ১ ভাগ মাত্র। তবে এ বছরে এর হার তিনগুন বাড়ার সম্ভবনা আছে। পৃথিবীর সবচেয়ে দামি বস্তু কি জানেন? প্রতিবস্তু। ১ গ্রাম প্রতিবস্তু তৈরি করতে খরচ হবে ১০০ কোয়াড্রিট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেই সাথে প্রতিবস্তু তৈরির কারখানাকে ১০০ বিলিয়ন বছর ধরে অবিরাম চালু রাখতে হবে। তবে বিজ্ঞানীদের ধারণা, মহাকাশে প্রতিবস্ত পাওয়া যাবে। কিন্তু প্রতিবস্তু দিয়ে হবে কি? প্রতিবস্তু রকেট তৈরি করা যাবে। যে রকেটে অতিদ্রুত এক নক্ষত্র থেকে আরেক নক্ষত্রে পৌছানো সম্ভব হবে। তবে প্রতিবস্তু ইঞ্জিনের প্রযুক্তিগত জটিলতা আছে প্রচুর। তাই এ ধরনের যান পেতে হয়তো এই শতক বা পরের শতক লেগে যেতে পারে। ২(ক) আলোর গতি ছাড়িয়ে আলোর চেয়ে বেশি গতিতে চলাচল করা বিজ্ঞান কল্পকাহিনীতে সবসময় জলভাতের মতই ব্যাপার ছিল। তবে সম্প্রতি এই সম্ভবনা নিয়ে বিজ্ঞানীরা ভাবতে শুরু করেছেন। আইনস্টানের মতে, আলোর বেগই হলো আমাদের মহাবিশ্বের চূড়ান্ত গতিসীমা। তবে কি আলোর বেগ অতিক্রম করা সম্ভব নয়? মিচিও কাকুর মতে, ওয়ার্মহোল ও প্রসারণশীল স্থান হয়তো আলোর গতিসীমা ভাঙতে আমাদের সবচেয়ে বাস্তবসম্মত উপায়ের যোগান দিবে। কিন্তু এই প্রযুক্তি স্থিতিশীল কিনা তা এখনো অজানা। কোন টাইপ থ্রি সভ্যতা (পুরো ছায়াপথের সব শক্তি ব্যবহার করার ক্ষমতা রাখে এই সভ্যতা) হয়তো এরই মধ্যে এ ধরনের প্রযুক্তি হাতের মুঠোয় পেয়ে গেছে। এই প্রযুক্তি অর্জন করতে আমাদের হয়তো আরো ১০০ বছর লাগবে। ২(খ) টাইম ট্রাভেল টাইম ট্রাভেল নিয়ে জল্পনাকল্পনার শেষ নেই। ইতোমধ্যে অনেকেই দাবী করেছেন তাঁরা ভবিষ্যৎ থেকে এসেছেন। যদিও প্রমাণ করতে ব্যার্থ হয়েছেন। সত্যি সত্যি কি সময় ভ্রমন করা সম্ভব? কোন কোন বিজ্ঞানীর মতে, শুধু ভবিষ্যতে ট্রাভেল করা সম্ভব। অতীতে কেন সম্ভব নয়? তাতে প্যারাডক্সের সৃষ্টি হয়। দরুন আপনি অতীতে গিয়ে আপনার শৈশবের দাদাকে খুন করে বসলেন। তাতে আপনার বাবার জন্মানো সম্ভব নয়। তাহলে আপনার অস্তিত্ত্ব নিয়ে সমস্যার জন্ম দেয়। আবার কেউ বলেছেন, কেউ যদি অতীতে গিয়ে তাঁর তরুন মায়ের প্রেমে পড়ে এবং তাদের মধ্যে বিবাহের সম্পর্ক হয় তাহলে তাদের ছেলেয়ের কি অবস্থা হবে? সে কারনে অনেকে অতীতে ভ্রমন করা অসম্ভব বলে মনে করেন। তবে এই চ্যাপ্টারে এই ধরনের প্যারাডক্সের সমাধানও আছে। কাকু মনে করেন, টাইম ট্রাভেল আলোচনার প্রধান উপলব্ধি হলো, কৃষ্ণগহ্বরের ঘটনা দিগন্তের পদার্থবিজ্ঞান বোঝা। আর একটি মাত্র থিওরি অব এভরিথিং এটি ব্যাখা করতে পারবে। পদার্থবিজ্ঞানীরা এখন একমত যে একটি উপায়ে টাইম ট্রাভেল সংক্রান্ত প্রশ্নটির নিশ্চিত সমাধান সম্ভব, সেটি হলো মহাকর্ষ ও স্থান-কালের পরিপূর্ণ একটি তত্ত্ব। সে জন্য হয়তো অপেক্ষা করতে হবে আরো কয়েক শতাব্দী বা তাঁর চেয়েও বেশি সময়। ২(গ) সমান্তরাল মহাবিশ্ব বিকল্প কোন মহাবিশ্ব থাকা কি সত্যই সম্ভব? বিজ্ঞানে বর্তমানে তিন ধরনের সমান্তরাল মহাবিশ্ব নিয়ে আলচনা চলছে। উচ্চতর মাত্রা, বহুবিশ্ব ও কোয়ান্টাম সমান্তরাল মহাবিশ্ব। যদি সত্যি এ মহাবিশ্ব থাকে তাহলে তাদের মধ্যে যোগাযোগ করা কি সম্ভব? অথবা গবেষণাগারে কি একটি শিশু মহাবিশ্ব বানানো সম্ভব? এই চ্যাপ্টারে এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন মিচিও কাকু। তিনি বলছেন, সমান্তরাল মহাবিশ্বের উপস্থিতি প্রমানের জন্য বর্তমানে আমাদের প্রযুক্তি একেবারেই আদিম। তবে এখন অসম্ভব হলেও এটি পদার্থবিজ্ঞানের কোনো সূত্র লঙ্ঘন করেনা। কয়েক হাজার থেকে কয়েক লাক্ষ বছর পরে হয়তো এই অনুমান টাইপ থ্রি সভ্যতার জন্য নতুন প্রযুক্তির ভিত্তি হয়ে দাঁড়াবে। ৩(ক) অবিরাম গতিযন্ত্র ইতিহাসে উদ্ভাবক, বিজ্ঞানি থেকে শুরু করে হাতুড়ে ডাক্তার, ভন্ড ও প্রতারক শিল্পী সবার কাছে অলীক পারপিচুয়াল মোশন মেশিন বা অবিরাম গতিযন্ত্র দেখা যায়। এটি এমন এক যন্ত্র যা শক্তি ছাড়া চিরকাল চলতে পারে। আবার এমন অনেক যন্ত্র দেখা যায়, যেখানে যতটুকু শক্তি খরচ করে তাঁর চেয়ে বেশি শক্তি উৎপাদন করে। অবিরাম গতিযন্ত্রের জনপ্রিয়তা ব্যাপক। ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাবে অনেক বেক্তি অবিরাম গতি যন্ত্রের অবিষ্কার হিসেবে নিজেকে পরিচয় করিয়েছেন। আসলে কি অবিরাম গতিযন্ত্র বানানো সম্ভব? কাকুর মতে, সত্যিকারের কোন অবিরাম গতি যন্ত্র বানানোর জন্য মহাজাগতিক পরিসরে পদার্থবিজ্ঞানের মৌলিক সূত্রগুলো নিয়ে আমাদের নতুন করে মূল্যায়ন করতে হবে। হয় এই যন্ত্র বানানো সত্যি সত্যি অসম্ভব নয়তো মৌলিক পদার্থবিজ্ঞানের পরিবর্তন করতে হবে। ৩(খ) ভবিষ্যৎ দেখার ক্ষমতা ভবিষ্যৎ দখা কি সত্যিই সম্ভব? অনেকেই ভবিষ্যৎ দেখার দাবি করেছেন।পৃথিবীর ধ্বংস নিয়েও ভবিষ্যৎ বানী করা বহু পুরোনো কাহিনী। তবে কোন ভবিষ্যৎ বানী আজ পর্যন্ত সঠিক হয়নি। তবে পৃথিবীর ধ্বংস ছাড়া অন্যান্য বিষয়ে অনেক বেক্তি আছে যাদের ভবিষৎবাণী সত্যি হয়েছে। এই সত্যি হওয়া ভবিষ্যৎ বানী অনেকটা রুপক অর্থে লিখিত। যেমন নস্ত্রাদামাসের চার লাইনের একটি পদ্য আছে। যা যে কেউ তাঁর ইচ্ছা মত ভেবে নিতে পারে। ওয়ার্ল্ড সেন্টার থেকে ঝলসে উঠবে দুনিয়া কাঁপানো আগুন: নিউ সিটির চারপাশে শিহরিত হবে পৃথিবী অর্থহীন এক যুদ্ধের মূল্যচুকাতে হবে বিশাল দুটো লম্বকে বসন্তের দেবী বেরিয়ে আসবে নতুন, লাল এক নদী থেকে নিউটনিয়ান পদার্থবিদ্যায় ভবিষ্যৎ দেখার ক্ষমতা নাকচ করে দেয়। সুতারং ভবিষৎ বানী করার ক্ষমতা বাতিল হয়ে গেল। অত্যন্ত কয়েকশো বছরের মধ্যে ভবিষৎ বানী করা সম্ভব নয়। তবে ভবিষ্যৎ বানী করার ক্ষমতা যদি কখনো বারবার পরীক্ষা করে দেখা সম্ভব বলে প্রমাণিত হয়, তাহলে সেটি হবে আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের জন্য বড় এক ধাক্কা। লেখক পরিচিতি: মিচিও কাকু মার্কিন তাত্ত্বিক পদার্থ বিজ্ঞানী মিচিও কাকুর জন্ম ১৯৪৭ সালের ২ জানুয়ারি, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায়। বহুল আলোচিত স্ট্রিং থিওরি নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা করছেন। ২৫ বছর অধ্যাপনা করেছেন নিউইয়র্ক সিটি কলেজে। সর্বস্তরে বিজ্ঞান জনপ্রিয় করতে একাধিক বই লিখেছেন, উপস্থপণা করেছেন বিজ্ঞান বিষয়ক ভিবিন্ন টিভি ও রেডিও অনুষ্ঠানে।তাঁর লেখা জনপ্রিয় বইগুলোর মধ্যে রয়েছে, ফিজিকস অফ দ্য ইমপসিবল, ফিজিকস অফ দ্য ফিউচার,দ্য ফিউচার মাইন্ড, প্যারালাল ওয়ার্ল্ড, দ্য ফিউচার অব হিউম্যানিটি, ভিশন, হাইপারস্পেস ও আইনস্টাইন কসমস। এর অধিকাংশ বই নিউইয়র্ক টাইমস-এ বেস্ট সেলারের মর্যাদা পেয়েছে। আবুল বাসার (অনুবাদক) আবুল বাসারের জন্ম ১৯৭৭ সালে পাবনায়। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক করেছেন। ইতিমধ্যে স্টিফেন হকিংয়ের পাচটি বই অনুবাদ করেছেন। এর মধ্যে দ্য থিওরি অব এভরিথিং, মাই ব্রিফ হিস্ট্রি, ব্রিফ আনসার টু দ্য বিগ কোয়েশ্চেনস এবং দ্য ইউনিভার্স ইন আ নাটশেল প্রথমা প্রকাশন প্রকাশ করেছে। এছাড়া অ্যা ব্রিফার হিস্ট্রি অব টাইম সাহিত্য প্রকাশ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে। শুধু বিজ্ঞান নয়, শিশু-কিশোর লেখক ও অনুবাদক হিসেবে ইতিমধ্যেই মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন। তুমুল জনপ্রিয় কিশোর আলোর সম্পাদনা বিভাগে দায়িত্ব পালন করেছেন নিষ্ঠার সাথে। বর্তমানে দেশের প্রধান বিজ্ঞান ম্যাগাজিন বিজ্ঞানচিন্তার নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে কর্মরত। ভালোবাসেন বই পড়তে, আড্ডা দিতে, গান শুনতে। প্রকৃতি আর ইতিহাসেও দারুণ আগ্রহ। স্ত্রী শারমীন আফরোজ আর একমাত্র সন্তান নীলকে নিয়ে তাঁর সংসার।

      By Mission Dey

      30 Jan 2020 01:40 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অগ্রিম শুভেচ্ছা রইল

      By M D NAYEM

      13 Feb 2020 09:12 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      মিশিও কাকুর বই খুবই ভালো হয় ।

      By A.A.Hoque

      24 Jan 2020 10:24 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      মিচিও কাকুর বইয়ের এই প্রথম বাংলায় অনুবাদ হল।অনেক অনেক শুভ কামনা বাশার ভাইকে।অপেক্ষায় আছি বইটি হাতে পাবার।

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!