User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
“১২ জুন, ১৯৪২. শুক্রবার । খুব ভোরে আমার ঘুম ভেঙে গেল, আজ আমার জন্মদিন । কিন্তু এত ভোরে শয্যা ত্যাগ করা নিষেধ; তাই বিছানায় ছটফট করে কাটালাম পৌনে সাতটা পর্যন্ত । তারপর এক ঝাটকায় বিছানা ছেড়ে দৌড়ালাম খাবার ঘরে, সেখানে কেবল আমাদের পোষা বেড়ালটাকে পেলাম । সাতটায় গেলাম বাবা-মা’র কাছে । দু’জনেই আমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন । এরপর জন্মদিনের উপহারগুলো দেখলাম । সবার ওপরে রাখা আছে সুন্দর একটি ডায়েরী , সম্ভবত এবারের সবচেয়ে সুন্দর উপহার । আরও আছে । একগুচ্ছ গোলাপ, ফুলের চারা ও কিছু পিওনি ফুল । ............ ” জন্মদিনে পাওয়া সবুজ একখানা ডায়েরীর পাতায় এভাবেই লিখেছে দিনপঞ্জি “অ্যানি ফ্রাঙ্ক”. টানা দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে গুপ্তনিবাসে লুকিয়ে থাকা ছোট্ট একটি ঘরে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রামের এক অনন্য দলিল এই ডায়েরী । কিশোরীর সরল, অকপট লেখার মধ্যে দিয়ে অবিশ্বাস্য স্পষ্টতায় অঙ্কিত হয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার ভয়াবহতা, মনুষ্যত্বের চরম লাঞ্ছনার ইতিহাস। ইহুদিদের উপর জার্মানদের দুঃসহ অত্যাচারের কথা । মানুষের জীবন যে সব অবস্থাতেই প্রবহমান, যে কোন ভয়ংকর দুর্যোগ সাময়িক ভাবে এই বহমানতাকে ক্ষতিগ্রস্থ করলেও একে যে পুরোপুরি থামিয়ে দিতে পারে না তার প্রমাণ এই ডায়েরী । বন্দি জীবন আর অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ মাঝেও যে মানুষ হাসে, কাঁদে, আনন্দে উজ্জ্বল হয়, প্রেমে বিগলিত হয়, সর্বক্ষণ মাথার উপর মৃত্যুর কালো ছায়াকে সঙ্গী করেও ভালোবাসায়-স্নেহে-মমতায় জড়াজড়ি করে বাঁচে – এই লেখা মানুষকে সেই উপলব্ধির দরজায় পৌঁছে দেবে নিমেষেই । মাত্র ১৩ বছর বয়সী মেয়েটির লেখা ডায়েরী আকুল হয়ে পড়ে আসছে সমগ্র বিশ্ববাসী সেই ১৯৪৫ সাল থেকে । অনুদিত হয়েছে অনেকগুলো ভাষায় । ছোট্ট সেই মেয়েটির ডায়েরীটি বিশ্ব্ববিখ্যাত হলো কি কারনে? কেন অনেকগুলো ভাষায় অনুবাদ করা হলো সেটি? আর বাঁচতে কি পেড়েছিল তারা শেষ পর্যন্ত!! জানতে চাইলে হিটলারের ইহুদী বিরোধী অভিযানের সেই ভয়ংকর দিনগুলোর কথা, আর ছোট্ট অ্যানি এবং তাঁর অসহায় পরিবারের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রামের কথা; পড়ে ফেলুন অ্যানি ফ্রাঙ্কের সেই বিখ্যাত ডায়েরী “অ্যানি ফ্রাঙ্কের ডায়েরী” ।