User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
জলময়ূর বইটি নিয়েছিলাম, বইমেলা থেকে। লেখকের অটোগ্রাফের আশাই দাঁড়িয়েছিলাম প্রায় দুই ঘণ্টা। বোরহান ভাই এসেই শুরুতে আমাকে জোড়িয়ে নিয়ে বোধহয়, আমার দাঁড়িয়ে থাকার কষ্টটুকু পরিশোধ করে দিয়েছিলেন। বইটি আমি এক রাতেই পড়েছি। এর মাঝে চলে গেছে প্রায় চারটি বছর। ২০২৫ সালে এসে আবারও জলময়ূর পড়ছি। অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করছে। গল্প পুরানো, কিন্তু ভালো লাগা সেই যেন আগের মতোই। লেখকের লেখায় আমি এতটা মুগ্ধ হই যে, আমার প্রথম বইয়ের ফ্ল্যাপ বোরহান ভাইকে দেওয়ার অনুরোধ করি, রাখেনও তিনি। বোরহান ভাই--লেখক, মানুষ, সাহিত্যিক হিসাবে অনন্য।
Was this review helpful to you?
or
একজন তরুণ লেখকের পরিপক্ব হাতে লেখা একটা মাস্টারপিস বই "জলময়ুর"
Was this review helpful to you?
or
Good One.
Was this review helpful to you?
or
অনেক সুন্দর একটি বই। লেখক যেভাবে গল্পটা এগিয়ে নিয়ে গেছেন তাতে পড়তে অনেক ভালো লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ রিভিউ-২ বই-জল ময়ূর লেখক-বোরহান উদ্দিন প্রকাশনী-বইবাজার প্রচ্ছদ-চারুপিন্টু মূল্য-২৫০ জল ময়ূর এমন একটি পাখি যে পাখি পুরুষ গোষ্ঠী ঘর বাধলেও নারী পাখিটি নির্দিষ্ট সময় পর চলে যায় অন্য কোথাও। ময়ূর থাকে তার সন্তানের কাছে। পালন করে সন্তানদের একসময় তারা বড় হয় আর নিঃসঙ্গ হয়ে যায় বৃদ্ধ জলময়ূর। কাহিনী সংক্ষেপ- উপন্যাসের মূল চরিত্র দবীর বিশ্বাস। ১৯৮৯ সালের পটভূমিতে লেখা এই উপন্যাসের আরো কয়েকটি প্রধান চরিত্র হলো আসলাম বিশ্বাস, তার দুই মেয়ে নিন্তী- বিন্তী,আরতী, মাহতাব, রিপন। দবীর বিশ্বাসের একমাত্র ছেলে আসলাম বিশ্বাস। বাবার সম্পত্তি বা প্রতিপত্তির জোড়ে লিপ্ত হয় একের পর এক পাপ কাজে। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে তার অপরাধের পাল্লা। বিন্তী-নিন্তী দুই বোন।আলাদা স্বভাবের দুই মেয়ে। বিন্তী যেমন শান্ত নিন্তী তেমন চঞ্চল চড়ুই পাখির মতো।দুই বোনের একজন রিপন নামের পাশের এলাকার ছেলেটার দেওয়া প্রেম নামক ক্ষত সারাতেই হয়ত আবার প্রেমে পড়ে সাবলেট মাহাতাবের। কিন্তু দমকা হাওয়ায় মাহতাব হারিয়ে গেল। কোথায় বা ক্যান সে হারিয়ে গেল? বৃদ্ধ দবীর কেনো হঠাৎ ধরা দিলো পুলিশের কাছে?আর সেই বিধবা আরতি তার বা কি পরিণতি? এসব জানতে হলে অবশ্যই পড়তে হবে জলময়ূর৷ ব্যক্তিগত মতামত-বইতে কিছু জায়গায় ভুল রয়েছে। লেখকের দোষ নয় এটা হতে পারে প্রিন্টিং সমস্যা।বইটি পাঠক ধরে রাখতে সক্ষম তবে বইয়ের প্রতি আরো একটু যত্নশীল হতে হবে। প্রিয় চরিত্র নিন্তী। প্রথম থেকে লেখক এই চরিত্রকে বেশ রহস্যের সাথে এগিয়ে নিয়েছেন। নিন্তির মাধ্যমে দিয়েছেন সমাজের সকল নিন্তী কে এক ম্যাসেজ। অনেকদিন পর গ্রামের একটা স্বাদ পেলাম। এটা অবশ্যই লেখকের স্বার্থকতা। এছাড়া হরেক রকম গাছের সমাহার, কদম গাছে তক্ষক এসব উপন্যাসে যেন এক অদ্ভুত মোহ সৃষ্টি করেছে। লেখকের লেখা মন কে নাড়া দিতে নিঃসন্দেহে সক্ষম হয়েছে। প্রিয় লাইন- " কামান দাগা কিংবা বুলেট প্রিয়জন ঘায়েলে ব্যর্থ হলেও অবহেলা নামক অস্ত্র তাতে বরাবরই অব্যর্থ । এ অস্ত্রে রক্ত গড়িয়ে পড়েনা , শরীরে ক্ষত হয়না তবে যেখানে রক্তক্ষরণ হয় সেখানটা কেউ দেখতে পায় না , কেউনা । " "জগতে যারা ভালোবাসার কাঙাল তাদের জীবনে ভালোবাসা জুটে না।" "এবার থেকে কাজল কৌটায় দুফোঁটা বিষ রেখো, তোমার চোখের জল গড়িয়ে পড়ার আগেই তা শুষে নিবো। রেটিং-৪/৫ "ভুল ত্রুটি ক্ষমার সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।"
Was this review helpful to you?
or
এত প্রাণবন্ত, দুর্দান্ত ঘরনার উপন্যাস অনেকদিন পড়িনি। কবিরাজি, গানের দল, চাষার দল, ৮৯ এর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট,মনস্তাত্ত্বিক দন্দ, আর রোমানিটিসিজমকে এমনভাবেও বইয়ের পাতায় আনা যায়!? অভিভূত হয়েছি সিলক, গান, আর দুর্দান্ত কিছু সংলাপে!
Was this review helpful to you?
or
বইটা বেশ ভালোই লেগেছি। লেখকের লেখনী খুব ভালো। ১৯৮৯ সালের গল্পের স্বাদটা পাওয়া গেছে। কিছু কিছু কথা একেবারে আমাদের জীবনের সাথে মিলে যায়,মনে হচ্ছিল এ যেনো আমার জন্যই লিখা হয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
আজকালকার বাংলা সাহিত্য অধিকাংশ শহর বা কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শহর কেন্দ্রিক। একটা সময় যারা গল্প উপন্যাস লিখতেন তারা শহরের পাশাপাশি গ্রামকেন্দ্রিক লেখাও লিখতেন। অবশ্য এটাই এখনকার বাস্তবতা। প্রায় সকল গ্রামই এখন শহরের মত হয়ে গেছে। সত্যিকারের গ্রাম বলতে যা বোঝায় সেটা আর কখনোই পাওয়া যাবেনা। সেই হিসেবে গ্রামকেন্দ্রিক কোন কিছু পাওয়া খুব কঠিন এখন। সেই হিসেবে বলব এই 'জলময়ূর' সম্পূর্ন গ্রামভিত্তিক একটি উপন্যাস যেখানে শহরের ছিটেফোঁটা কিছুই নাই। এইরকম একটা বিষয়ভিত্তিক বই লিখতে সাহস ধাকা দরকার যেটা লেখক বোরহান উদ্দীন দেখিয়েছেন। এই জন্য তাঁর ধন্যবাদপ্রাপ্য। এই উপন্যাসটি ১৯৮৯ সালের পটভূমিতে লেখা। যেখানে গ্রামীন জীবনটা নিখুঁতভাবে উঠে এসেছে। উপন্যাসটিতে নানা রকম শ্লোক দেখলাম যা উপন্যাসটির আকর্ষণ বাড়িয়ে দিয়েছে। গ্রামের মহিলারা কতরকমের শ্লোক জানেন একমাত্র গ্রামে যাদের আত্নীয় আছে তারাই ভাল জানেন। যদিও এটা আঞ্চলিক উপন্যাস কিন্তু পড়তে কোন সমস্যা হয়নি। যারা শুদ্ধভাষায় পড়তে অভ্যস্ত তাদের পড়তে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এটা সত্যিই লেখকের কৃতিত্ব। দবীর বিশ্বাস, আসলাম বিশ্বাস, নিন্তী, 'বিন্তী, হাসনা, আরতি, সিরাজ, মুর্শিদ, মোমেন, জযনব, হালিমা, মাহতাব প্রত্যেকটা চরিত্রেরই নামের প্রতি সুবিচার করা হয়েছে । মনে হয়নি একবারো যে কোন একটা চরিত্রকে একেবারে মাথায় তোলা বা অবহেলা করা হয়েছে। প্রতিটা চরিত্র নিজ নিজ জায়গায় সার্থক। প্রতিটা চরিত্রই বাংলাদেশের গ্রামবাংলার পরিচিত চরিত্র। জলময়ূর উপন্যাসে সংলাপগুলো দেখার মত। কিছু বিছু অংশ চিল দারুন দার্শনিক কিন্তু জীবনবোধের। সেগুলো উল্লেখ করার লোভ সামলাতে পারছিনা। চুপচাপ স্বভাবের মানুষগুলো নিজেদের সবার সামনে প্রকাশ করেনা বলেই তাদের মনের বাঁকগুলো আপাতদৃষ্টিতে দেখা যায়না। এই বিশ্বাস বাড়িটা যেন আস্ত একখানা লজ্জাবতী গাছ। আর প্রতিটাা মানুষ গাছের এককটা পাতা। একজনের মন খারাপের রোগ কিংবা ভারী বিষাদ অন্যদেরকেও মুহূর্তে ছুঁয়ে দেয়। নরম স্বভাবের মানুষগুলোর এই করক সমস্যা, একটু আঘাত পেলেই এরা গায়ের সমস্ত জোর হারিয়ে ফেলে, পা ফেলতে কষ্ট হয়, নিজের দেহটাকে পাহাড়ের মত ভারী মনে হয়। মরে যাওয়া মানুষের জন্য একটা সময় পর্যন্ত কান্না নির্ধারিত থাকে আর হারিয়ে যাওয়া মানুষগুলোর জন্য সারাজীবন কাঁদতে হয়, কখনো চোখে আবার কখনো মনে। একজন মানুষ যখন সঙ্গীকে ছোঁবার অধিকার হারায় কোনো দোষ ছাড়াই তখন তা তার জন্য বড্ড বেশি অবহেলার আর চরম অপমানের হয়। অন্ধকারের অপমান গুলা দিনের আলোর চেয়েও বেশি ধারালো হয়। দিনের আলোর অপমানগুলা লুকাতে মানুষ ব্যস্ত হয়ে পড়ে আর অন্ধকারে অপমান গুলা ধীরেধীরে সয়ে নিতে চাই, অপমান উড়িয়ে দেবার জিনিস ধরে রাখার না কিংবা ধীরেধীরে সয়ে নেবারও না। সইতে গেলেই অপমানের ধারে নিজেকে ফালাফালা হতে হয়। অবহেলা পেয়ে মানুষ সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্তটি নেয় আবার সবচেয়ে মন্দটিও ; আর যারা এই ভালো-মন্দের দোটানায় থাকে তারে মরে যায় কেবল। হুটহাট রেগে যাওয়া মনুষগুলোর মন শরতের শুভ্র মেঘের মত হয়, যে মেঘে হয়না ভারী বৃষ্টিপাত কিংবা বজ্রপাত। কামান দাগা কিংবা বুলেট প্রিয়জন ঘায়েলে ব্যর্থ হলেও অবহেলা নামক অস্ত্র তাতে বরাবরই অব্যর্থ । এ অস্ত্রে রক্ত গড়িয়ে পড়েনা, শরীরে ক্ষত হয়না, তবে যেখানে রক্তক্ষরণ হয় সেখানটা কেউ দেখতে পায়না, কেউনা। । ভালোবেসে দূরে ঠেলে রাখার মতো যন্ত্রণা আর একটিও নেই অথচ ঘৃণার দূরত্বগুলো কত মসৃণ হয়! সবসময় যারা জিইতা যাইতে চায় তারা জিইতা গিয়াও হাইরা যায় যায় হয় নিজের কাছে নইলে অন্যের কাছে। এই হারটা যারা স্বীকার করে তারা আবার জিইতা যায় দুইজনের কাছেই। এইরকম মনস্তাত্ত্বিক বিষয় নিয়ে লেখা পড়তে সত্যি ভাল লাগে। উপন্যাস থেকেও কতকিছু জানা যায় এই বইটি তার প্রমান। বইটির নাম কেন জলময়ূর তার ব্যাখা আছে একট জায়গায়। ব্যাখাটা খুবই ভাল লেগেছে । সেই কারনে বলতেই হয় বইয়ের নামকরন স্বার্থক হয়েছে। উপন্যাসের আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল দুটি গান যা পরিস্থিতির সাথে দারুন মিলে গেছে। অভিযোগ করার মত কিছু পাইনি। কোন বানান ভুল চোখে পড়েনি। এই জন্য প্রকাশনী সংস্থা ধন্যবাদপ্রাপ্য। এটা বোরহান উদ্দীন এর প্রথম উপন্যাস। শুভ কামনা রইল তাঁর প্রতি। সামনের দিনে যেন আরো ভাল ভালো উপন্যাস লিখতে পারেন আর পাঠকপ্রিয়তা সেই সঙ্গে পান।