User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
আমি বিজয় দেখেছি বলে উনআসলে দালাল দেখেছেন ।
Was this review helpful to you?
or
Full of propaganda . waste of money.
Was this review helpful to you?
or
very very disappointment for the historic lover
Was this review helpful to you?
or
khub khub kharap lagce je boita biased
Was this review helpful to you?
or
মিথ্যা বানোয়াট তথ্যে ভরপুর
Was this review helpful to you?
or
It's totally biased book.
Was this review helpful to you?
or
esob boi ekhon r cole na...egulo ekhon delhi te
Was this review helpful to you?
or
সেরা
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
খুব ভাল বই !!!
Was this review helpful to you?
or
Valuable book.
Was this review helpful to you?
or
One of the authentic archive.
Was this review helpful to you?
or
Very Good Book
Was this review helpful to you?
or
মান সম্মত
Was this review helpful to you?
or
খুব ভালো
Was this review helpful to you?
or
very informative
Was this review helpful to you?
or
boi ta pore santi pailam
Was this review helpful to you?
or
বইটাতে মুক্তিযুদ্ধের অনেক ভিতরের কাহিনী বর্ণিত আছে ।তাছাড়া যুদ্ধে মাওলানা ভাষানীর অবদান, বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের অবদান,মুজিবনগর সরকার,মুক্তিবাহিনী ছাড়া ও কাদেরিয়া বাহিনী,মুজিব বাহিনী গঠন,মুক্তিযুদ্ধে অন্যান্য দেশের ভূমিকা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে গভীর আলোচনা লক্ষ্য করা গেছে ।লেখক যেহেতু চরমপত্রের লেখক এবং পাঠক ছিলেন এবং একই সাথে মুজিবনগর সরকারের তথ্য ও পরিচালনা দপ্তরে কাজ করেছিলেন একারণে মুক্তিযুদ্ধের অনেক অবভন্তরীন বিষয় সুন্দর করে তুলে ধরতে পেরেছেন ।
Was this review helpful to you?
or
এই বইটা পড়ার আগে আমার ধারণা ছিলো,মুক্তিযুদ্ধটার মাঝে কোন কোন্দল ছিলো না। সবাই কাঁধে কাধঁ মিলিয়ে দেশটা স্বাধীন করে ফেলেছে। কিন্তু না! কট্টর মুজীবপন্থী আওয়ামীলীগ, তাজউদ্দীন আহমেদের স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার, ভাসানী, দেশবিরোধী বাম/ডানপন্থী কত যে বিভক্তি ছিলো!!?? বইটা পড়ে তাজউদ্দীন আহমেদের প্রতি শ্রদ্ধা আরো বেড়ে যাবে। তিনি যে কত বাঁধা ডিঙিয়ে দেশের স্বাধীনতার নেতৃত্ব দিয়েছেন। মুজিবনগর সরকার, স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র, বিভিন্ন সেক্টর কমান্ডারদের ভূমিকাসহ আরো কত কিছু জানা যাবে এই বই পড়ে! সব মিলিয়ে চমৎকার একটা বই।
Was this review helpful to you?
or
প্রচন্ড রকমের ভন্ডামি । ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে বই
Was this review helpful to you?
or
very poor condition. There are a few wrong information
Was this review helpful to you?
or
very bad. A lot of misleading information
Was this review helpful to you?
or
মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রচিত অসম্ভব সুন্দর এবং তথ্যবহুল একটি অবশ্যপাঠ্য বই।
Was this review helpful to you?
or
আমি বিজয় দেখেছি বইটির কাগজের মান অনেক খারাপ।
Was this review helpful to you?
or
দারুণ
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামঃ আমি বিজয় দেখেছি লেখকঃ এম আর আখতার মুকুল ঘরনাঃ মুক্তিযুদ্ধ বইয়ের পৃষ্ঠাঃ ৪০০ বিনিময় মূল্যঃ ৩৭৫ টাকা প্রকাশনীঃ অনন্যা ব্যক্তিগত অনুযোগ (রেটিং): ৪.৭/৫ বেপরোয়া ও অপ্রতিরোধ্য, দুঃসাহসী অথচ সংযত ও সহিষ্ণু ৬৩ বছর বর্ষীয় ‘চির যুবা’ এম আর আখতার মুকুল, সেই যে ছোটবেলায় বাঙালি ঘরাণার রেয়াজ মাফিক দু’দুবার বাড়ি থেকে পলায়ন পর্ব দিয়ে শুরু করেছিলেন জীবনের প্রথম পাঠ। তারপর থেকে আজ অবধি বহু দুস্তর ও বন্ধুর চড়াই-উৎরাই, বহু উথান-পতন ও প্রতিকূলতার ভেতর দিয়ে যেতে হলেও আর কখনও তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি; রণে ভঙ্গ দিয়ে পিছ পা হননি কোনও পরিস্থিতিতে। যা আছে কপালে, এমন একটা জেদ নিয়ে রুখে দাঁড়েয়েছেন অকুতোভয়ে। যার ফলে শেষ পর্যন্ত সব ক্ষেত্রে তার বিজয়ী মুকুটে যুক্ত হয়েছে একের পর এক রঙ্গিন পালক। বইটির বিশেষত্ব এই জায়গায় যে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস উপহার দেয়ার জন্য তিনি শুধুমাত্র মুক্তিযুদ্ধের কিংবা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কিছু ঘটনা উল্লেখ করেই ক্ষান্ত হন নি বরং সেই সময়ের রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটসহ বামপন্থী দলগুলোর ভূমিকা নিয়েও আলোচনা করেছেন। বইটি শুরু হয়েছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ উদ্ধৃতির মাধ্যমে। এর পর তিনি অবসান করেছেন স্বাধীনতা ঘোষণা সংক্রান্ত বিতর্কের। রবার্ট পেইনের ম্যাসাকার গ্রন্থের উদ্ধৃতি দিয়েছেন তিনি। যেখানে বলা হয়েছে, ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধু ডিকেটশন দেন, “the Pakistani army has attacked police lines at Razarbagh and East Pakistan Rifles Headquarters at Pilkhana at midnight. Gather strength to resist and prepare for a War of Independence.” এই বার্তাটি প্রথমে চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে পাঠ করেন এমএ হান্নান এবং পরে অধ্যাপক আবুল কাশেম সন্দ্বীপ। এরপর ২৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র প্রচার করেন তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান। লেখক বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা সম্পর্কে এসবই হচ্ছে ঐতিহাসিক ও বাস্তব তথ্য। মুক্তিযুদ্ধকালীন আন্তর্জাতিক মহলের ভূমিকা নিয়ে বলেছেন। কানাডার টরেন্টোতে আন্তর্জাতিক বুদ্ধিজীবীদের এক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। টরেন্টো ঘোষণা নামে পরিচিত সম্মেলনটির বিশ্বের সমস্ত দেশের প্রতি জানানো ৫ দফা ছিল নিম্নরূপঃ ১. পাকিস্তানকে দেয় সমস্ত সমরাস্ত্র বন্ধ ঘোষণা, ২. পাকিস্তানকে দেয় সমস্ত অর্থনৈতিক সহযোগিতা বন্ধ ঘোষণা, ৩. জাতিসংঘের তত্তাবধানে পূর্ব বাংলার অভ্যন্তরে দুর্ভিক্ষ পীড়িত জনসাধারণের মাঝে সম্ভাব্য সকল সাহায্য বিতরণ করা, ৪. শরণার্থীদের জন্য ভারতকে প্রয়োজনীয় রিলিফ প্রদানের ব্যবস্থা করা, ৫. শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন রক্ষার জন্য হস্তক্ষেপ করা। লেখক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের শেষদিকে বাংলাদেশের কূটনৈতিক জয় হয়। শেষদিকে ভারতের স্বীকৃতি প্রদান, মিত্রবাহিনীর মিলিত আক্রমণ, নিরাপত্তা পরিষদে সোভিয়েত ইউনিয়নের অবিরাম ভেটো প্রদান আমাদের বিজয়কে ত্বরাণ্বিত করেছিল। মূল আলোচনার শেষদিকে তিনি অনেকগুলো আন্তর্জাতিক পত্রিকার উদ্ধৃতি উল্লেখ করেছেন। ফলে আমরা ঐ সময়ে বাইরের মহলের মনোভাব বুঝতে পারি। আত্মসমর্পণের দিন কর্নেল ওসমানীর অনুপিস্থিতর সঠিক কারণ আজো অজানা রয়ে গেল। লেখক সাপ্তাহিক বিচিত্রার উদ্ধৃতি দিয়ে বলছেন, “১৯৭১ এর ১৬ ডিসেম্বর নিয়াজীর আত্মসমর্পণ কেন তাঁর কাছে হলো না- এ প্রশ্ন করলে তিনি জবাব এড়িয়ে যেতেন। বলতেন, মুক্তিযুদ্ধের এমন অনেক ঘটনা আমি জানি যাতে অনেকেরই অসুবিধা হবে। আমি একটি বই লিখছি, তাতে সব ঘটনা পাবেন”। নিজের ব্যক্তিগত পাঠ প্রতিক্রিয়া বলতে গেলে অনেকটা ধন্ধে পড়ে যাবো, একই সাথে পাঠকরাও! দেশপ্রেম, স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ ইত্যাদি শব্দগুলো নিয়ে যাদের ভালোবাসা, সম্মান অন্যদের চেয়ে বেশি তারা বইটি এক বসায় পড়ে শেষ করতে পারবেন! হৃদয়ের শিরাগুলো উপচে উঠবে ক্রোধে, ঘৃণায়, ভয়ে। বইটা পড়ে তাজউদ্দীন আহমেদের প্রতি শ্রদ্ধা আরো বেড়ে যাবে। তিনি যে কত বাঁধা ডিঙিয়ে দেশের স্বাধীনতার নেতৃত্ব দিয়েছেন। মুজিবনগর সরকার, স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র, বিভিন্ন সেক্টর কমান্ডারদের ভূমিকাসহ আরো কত কিছু জানা যাবে এই বই পড়ে! সব মিলিয়ে চমৎকার একটা বই। যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন এবং সরাসরি দেখেছেন তাদের পক্ষে এম আর আখতার মুকুলের অবদানের কথা ভুলে যাওয়া সহজ নয়। স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র ছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রধান প্রচার মাধ্যম। দেশাত্মমূলক গান প্রচার ও মুক্তিযুদ্ধের খবর পরিবেশন করে এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিরাট ভূমিকা রাখে। কিন্তু যে অনুষ্ঠানটির জন্য প্রতিদিন মুক্তিযোদ্ধাগণ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতেন তার নাম ছিল “চরম পত্র”, যার পাঠক ছিলেন এম আর মুকুল। পাকিস্তানি সেনা আর রাজাকারদের প্রতি একরাশ ঘৃনা ছড়ানো কন্ঠে তিনি পড়তেন, “আইজ ভেড়ামারার কাছে আমাগো ‘বিচ্ছু’ পোলাপাইনরা এমুন মাইর দিচে, কমসে কম তেরজন পাকি সৈন্য প্যাঁকের মধ্যে পইড়্যা কাঁতরাইতাছে”। মুক্তিযোদ্ধাদেরকে তিনি “বিচ্ছু” বলতেন। কিভাবে আমাদের স্বাধীনতা এল, কিভাবে তখন যুদ্ধ পরিচালনা হত, সবকিছু বাস্তবের মত চোখের সামনে ভেসে উঠলো লেখকের ‘আমি বিজয় দেখেছি’ বইটি পড়ে। বাঙালি জাতিসত্তায় গড়ে উঠা প্রতিটি মানুষকে বইটি পড়ার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি.....
Was this review helpful to you?
or
প্রাণপ্রিয় আমার এ মাতৃভূমির স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল ৩০ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে । ২ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে। সেই মুক্তিযুদ্ধ যিনি প্রত্যক্ষ ভাবে দেখেছেন তিনি হলেন স্যার এম আর আখতার মুকুল। তার লিখা যখন পড়লাম তখন মনে হলো স্যারের কাছ থেকে বাস্তব গল্প শুনছি । বইয়ের পৃষ্ঠা গুলো ছবি হয়ে চোখের সামনে ভেসে ঊঠছিল। নিঃসন্দেহে বইটি পড়ে পাঠকগণ উপভোগ করবেন।
Was this review helpful to you?
or
এই বইটা পড়ার আগে আমার ধারণা ছিলো,মুক্তিযুদ্ধটার মাঝে কোন কোন্দল ছিলো না। সবাই কাঁধে কাধঁ মিলিয়ে দেশটা স্বাধীন করে ফেলেছে। কিন্তু না! কট্টর মুজীবপন্থী আওয়ামীলীগ, তাজউদ্দীন আহমেদের স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার, ভাসানী, দেশবিরোধী বাম/ডানপন্থী কত যে বিভক্তি ছিলো!!?? বইটা পড়ে তাজউদ্দীন আহমেদের প্রতি শ্রদ্ধা আরো বেড়ে যাবে। তিনি যে কত বাঁধা ডিঙিয়ে দেশের স্বাধীনতার নেতৃত্ব দিয়েছেন। মুজিবনগর সরকার, স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র, বিভিন্ন সেক্টর কমান্ডারদের ভূমিকাসহ আরো কত কিছু জানা যাবে এই বই পড়ে! সব মিলিয়ে চমৎকার একটা বই। যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন এবং সরাসরি দেখেছেন তাদের পক্ষে এম আর আখতার মুকুলের অবদানের কথা ভুলে যাওয়া সহজ নয়।স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র ছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রধান প্রচার মাধ্যম। দেশাত্মমূলক গান প্রচার ও মুক্তিযুদ্ধের খবর পরিবেশন করে এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিরাট ভূমিকা রাখে। কিন্তু যে অনুষ্ঠানটির জন্য প্রতিদিন মুক্তিযোদ্ধাগণ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতেন তার নাম ছিল “চরম পত্র”, যার পাঠক ছিলেন এম আর মুকুল। পাকিস্তানি সেনা আর রাজাকারদের প্রতি একরাশ ঘৃনা ছড়ানো কন্ঠে তিনি পড়তেন – “আইজ ভেড়ামারার কাছে আমাগো বিচ্চু পোলাপাইনরা এমুন মাইর দিচে, কমসে কম তেরজন পাকি সৈন্য প্যাঁকের মধ্যে পইড়্যা কাঁতরাইতাছে”। মুক্তিযোদ্ধাদেরকে তিনি “বিচ্ছু” বলতেন। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা আমার পড়া অন্যতম বইগুলোর একটি । কিভাবে আমাদের স্বাধীনতা এল, কিভাবে তখন যুদ্ধ পরিচালনা হত, সবকিছু বাস্তবের মত চোখের সামনে ভেসে উঠে । এম, আর, আখতার মুকুল স্যার এর লেখনি প্রশংসা না করে পারছি না । সত্যিই, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে লেখা বইগুলোর মধ্যে সেরা পাঁচের মধ্যে আমি এই বইটা কে রাখবো ।
Was this review helpful to you?
or
আমি বিজয় দেখেছি' বইটি সম্পর্কে মোটা দাগে তিনটি বিষয় বিশেষভাবে উল্লেখের দাবি রাখে- এক. বইটি মুক্তিযুদ্ধের ভিতর বাহিরকে নানাভাবে-নানা দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার সুযোগ করে দিয়েছে। দুই. যুদ্ধের দিনগুলোতে মুক্তিযোদ্ধা ও অন্যদের জীবনযাপন, লড়াই-সংগ্রাম, দুঃখ-কষ্ট কতটা তীব্র, ভয়ঙ্কর ও অমানবিক ছিল তার রোমহর্ষক ও বেদনাবিধুর বাস্তবতাকে বিশ্বস্ত দলিলরূপে হাজির করেছে। তিন. কিছু মিথ বা ট্যাবু যেমন ভেঙে দিয়েছে বা খণ্ডনের সুযোগ করে দিয়েছে ঠিক তেমনি কিছু মিথকে অমীমাংসিত অবস্থায়ই রেখে দিয়েছে। যেমন মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোতে যারা ওপারে (ভারতে) আশ্রয় নিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে নানাভাবে পরিচালনা করেছেন, তারাও যে কি পরিমাণ কষ্ট ও মানবেতর জীবনযাপন করেছেন তা লেখকের ব্যক্তিক উদাহরণের পাশাপাশি নানাজনের সুবাদে পাঠক সম্মুখে হাজির হয়েছে। অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধে মুজিব বাহিনীর ঐতিহাসিক ভূমিকার কথা আমরা সবাই জানি। আবার এটাও জানি যে, মুজিবনগর সরকারের সঙ্গে তাদের একটা দূরত্ব ছিল, কিন্তু কেন, তা এখনো স্পষ্ট নয়। লেখকও এ বিষয়টার প্রতিও ইঙ্গিতপূর্বক কৌতূহল জারি রেখেছেন। 'আমি বিজয় দেখেছি' আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রণিধানযোগ্য একটি বই। দুঃখজনক হলেও সত্যি, এরকম একটি বইয়ে মুদ্রণপ্রমাদ মাত্রাছাড়া, অসহনীয় রকমের। কিছু অসঙ্গতিও অস্বস্তিকর। বইটির এ কারণে সুসম্পাদনা জরুরি। 'আমি বিজয় দেখেছি' বইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণসহ ঐতিহাসিক অনেক দলিল ও তথ্যাদি হাজির রয়েছে। এই কারণে এ ধরনের একটি বইয়ের ভুল তথ্য কিংবা মুদ্রণপ্রমাদ পাঠকদের জন্য যেমন বেদনা ও কষ্টের তেমনি ঐতিহাসিক বিষয়বস্তুসমূহতে বিভ্রান্তির শঙ্কাও রয়ে যায়। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের পাঠকদের জন্য বইটির আশু সম্পাদনা ও পরিমার্জিত সংস্করণ জরুরি। উত্তর প্রজন্ম আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে বিশেষভাবে জানতে আগ্রহী। তাদের কাছে বিভ্রান্তিকর তথ্য যদি যায় তবে সেটা হবে অমোচনীয় লজ্জা ও বেদনার। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন স্মরিত হবেন জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পাশাপাশি স্মরিত হবে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় অধ্যায়সমূহ। যার ধারাবাহিকতায় হাজির হবে 'আমি বিজয় দেখেছি'র মতো ঐতিহাসিক গ্রন্থরাজি। মুক্তিযুদ্ধকে জানতে-বুঝতে এবং গভীর অভিনিবেশে উপলব্ধি করতে এম আর আখতার মুকুলের আলোচ্য বই অমৃত সঞ্চারী জ্ঞানভাণ্ডার বিশেষ। একারণে এধরণের বইয়ের বহুল পঠন-পাঠন ও প্রচার-প্রচারণা অবশ্যম্ভাবী। মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির ইতিহাসের সবচেয়ে বড়ো অধ্যায় হলেও, সেসব নিয়ে লেখালেখি প্রতুল নয়। আবার যতটুকু আছে তাও মানসম্পন্ন নয়। সেখানে যতোটা গল্প আছে নিজেকে এবং নিজেদেরকে প্রকাশ্যে নিয়ে আসার চেষ্টা আছে ততোটুকু নেই বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন প্রয়াস। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ সামরিক যুদ্ধ না জনযুদ্ধ, তা নিয়েও রয়েছে বিভাজিত অবস্থান। স্বাধীনতাযুদ্ধের দলিলপত্রের বাইরে নেই মুক্তিযুদ্ধের নির্মোহ ও নিরপেক্ষ বয়ান। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পেরিয়ে এসেও এরূপ অবস্থান আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক সীমাবদ্ধতায় নির্দেশিত হয়। আমি বিজয় দেখেছি'র মতো আলোচিত ও পাঠকপ্রিয় বইয়েও বৌদ্ধিক বিষয়গুলোকে যথাযথভাবে অ্যাড্রেস করা হয়নি। এই বইয়ে ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে মুক্তিযুদ্ধকে দেখার প্রয়াস রয়েছে। আদতে হওয়া উচিৎ ছিল উল্টোটা।