User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
একটি ছোট্ট গ্রাম নীলতলি। যেখানে কোলাহলহীন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য শান্তির আবরণ হয়ে ছড়িয়ে আছে। বৃষ্টিতে ধুয়ে যাওয়া মাঠ, বৃষ্টিভেজা জারুল ফুল, বর্ষার হাওর অঞ্চল সবকিছু যেন এক কোমলতা এনে দেয় চারপাশে। এই শান্তির মাঝেই গেঁথে আছে এক সামাজিক গল্প। ভয়, লোভ, বিশ্বাসঘাতকতা এবং নারী নিপীড়নের নির্মম চিত্র ফুটে তুলেছেন লেখক। মূল চরিত্র মারুফ ও তানিয়া। শহরের কোলাহল থেকে ছুটে আসে মামার বাড়ি বর্ষাবিলাস করতে। কিন্তু এসে পড়ে যায় এক ভয়ংকর ষড়যন্ত্রের জালে। প্রথম অংশে বর্ষার রোমান্টিক আবেশ, মাঝখানে গ্রামীণ রসায়ন, আর শেষে খানিক থ্রিলের টানাপোড়ন। লেখার ভঙ্গি সহজ, সাদামাটা এবং হুমায়ূনী ছাঁপ স্পষ্ট। নতুনত্ব তেমন একটা চোখে পড়েনি। তবে মনে দাগ না কাটলেও বিরক্তিও জাগায়নি। বৃষ্টির দিনে জানালার পাশে বসে পড়ার মতো একটি নিঃশব্দ সঙ্গী। . মেঘেদের দিন . সাদাত হোসাইন
Was this review helpful to you?
or
এক কথায় অনবদ্য
Was this review helpful to you?
or
বইটি অনেক সুন্দর..... ??
Was this review helpful to you?
or
1 dine puro boi porci onk vlo laglo ??
Was this review helpful to you?
or
প্রথমের দিকে যদিও ইন্টারেস্টিং মনে না হয়, ট্রাস্ট মি মাঝখানে এসে এতো ইন্টারেস্টিং লাগবে এর পর কি হবে তা ভেবে। খুব ভালো লিখা ❤️
Was this review helpful to you?
or
মোটামুটি ভালো
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_সাদাত_হোসাইন_বুক_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বই:মেঘেদের দিন লেখক:সাদাত হোসাইন প্রচ্ছদ :ধ্রুব এষ জনরা:সমকালীন উপন্যাস ফ্ল্যাপ থেকেঃরাতে হঠাৎ করেই প্রচণ্ড গরম পড়েছে। চারপাশটা কেমন স্থির, নিস্পন্দন। কোথাও গাছের পাতা অব্দিও নড়ছে না। যেন প্রলয়ঙ্করী কোনাে ঝড়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রকৃতি। মারুফ খানিকটা সরে এল তানিয়ার কাছে। তানিয়া প্রায় সঙ্গেসঙ্গেই বলল, আমার খুব ভয় করছে মারুফ। মারুফ অবাক গলায় বলল, ভয় করছে কেন ? জানি না কিন্তু প্রচণ্ড ভয় করছে। আমি তােমাকে বােঝাতে পারব না। ধুর বােকা। এখানে ভয় কিসের ? তানিয়ার মুখ শুকিয়ে গেছে। সে শুকনা গলায় বলল, আমি জানি না। কিন্তু টের পাচ্ছি, কোনাে একটা ভয়াবহ বিপদ ঘটতে যাচ্ছে। কিসের বিপদ ? আমি জানি না। কিন্তু সত্যি বলছি ভয়াবহ কোনাে বিপদ। মারুফের আচমকা মনে হলাে তানিয়া যা বলছে তা সত্য। তানিয়ার ভয়টাকে আর অমূলক বা হেসে উড়িয়ে দেওয়ার মতাে কোনাে বিষয় মনে হচ্ছে না তার। বরং মনে হচ্ছে অমােঘ কোনাে সত্য। সে ঘাড় ঘুরিয়ে চারপাশে তাকালাে। মাথার ওপর অশরীরী উপস্থিতির মতাে দুটো আমগাছের ডাল কেমন ছড়িয়ে আছে। একটা বাদুর বা অন কোনাে নিশাচর পাখির ডানা ঝাপটানাের শব্দে আচমকা কেঁপে উঠল চারপাশ। ভেঙে খানখান হয়ে গেল রাতের নৈঃশব্দ্য। সেই শব্দে কেঁপে উঠল তানিয়াও। সে দুহাতে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল মারুফকে। তারপর মারুফের কানের কাছে মুখ নিয়ে ভয়ার্ত কণ্ঠে বলল, আমি আর এখানে থাকব না মারুফ। এক মুহূর্তও না। পাঠ-প্রতিক্রিয়া:'মেঘেদের দিন' জীবনঘনিষ্ঠ এক উপন্যাস। যেখানে রয়েছে শোধন আর বঞ্চনার হাহাকার তা-ই তুলে ধরা হয়েছে এ উপন্যাসে। উপন্যাসে মারুফ তার স্ত্রী তানিয়াকে নিয়ে যায় নীলতলি গ্রামে,বৃষ্টির সময়ে গ্রামীণ পরিবেশ দেখতে।নীলতলিতে মারুফের সৎ দুই মামা থাকেন।তারা হঠাৎ মারুফের আগমনে খুব একটা খুশি হন না।।এই খুশি না হওয়ার পিছনে থাকে এক গভীর কারণ। নীলতলিতে যেয়ে এক বাচ্চা মেয়ের সাথে দেখা হয়,যার নাম বুরি।বুরির মা শাফিয়া অন্তঃস্তা থাকে।বুরির দিকে বুরির বাবার এক বন্ধু খারাপ দৃষ্টিতে তাকায়,,যা শাফিয়া সন্তান জন্ম দেবার পর তার স্বামীকে জানিয়েই মারা যান।আরসেদিন রাতই থাকে মারুফ আর তানিয়ার জীবনের ভয়াবহ এক রাত।তাদের দুইজনের জীবনে নেমে এসেছিল,ভয়াবহ অন্ধকার। এমন কি ঘটেছিল সে রাতে??কি হয়েছিল মারুর আর তানিয়ের সাথে।বুরির বাবা যখন জানতে পারলেন তার বন্ধু তার মেয়ে দিকে কুদৃষ্টিতে তাকায়,কি করেছিল সে।।এইসব কিছুর উত্তর আছে,"মেঘেদের দিন"বইতে।।অসাধারণ একটা বই। একবার শুরু করলে শেষ না করে উঠা দায় হয়ে যাবে। মন্তব্য :মোটকথা সমাজের বাস্তব চিত্র তুলে ধরার এই অভিনব প্রয়াসে সত্যিই আমি বিমুগ্ধ, বিমোহিত।
Was this review helpful to you?
or
loved it
Was this review helpful to you?
or
অসম্ভব সুন্দর একটি বই!
Was this review helpful to you?
or
ভালো লেগেছে । অন্তত এটা দেখে ভালো লেগেছে যে সাদাত হোসাইন এর অন্যান্য বইয়ের মত এর সমাপ্তিটা দুঃখজনক নয়।
Was this review helpful to you?
or
ভালো লেগেছে
Was this review helpful to you?
or
উপন্যাসের মাধ্যমে একটি সুক্ষ বার্তা দিয়েছে লেখক। অন্ধ বিশ্বাস কখনোই ভালো হয় না সে সম্পর্কে যেই হোক।
Was this review helpful to you?
or
আজকে বইটি পরা শেষ করলাম। হানিফ চরিত্রটি আমার মনকে বেশি প্রভাবিত করেছে। যে তার সংসার, বউ ও মেয়ের প্রতি উদাসীন প্রকৃতির, গল্পের শেষ মুহুর্তে কেমন করে যেন তার মাঝে চেতনা ফিরে এসেছে। আসলে বাস্তবেও মানুষের মধ্যে বিষয় লক্ষ্য করা যায়। কোন মানুষ যতই খারাপ কাজ করুক না কেন তার ভিতরে একসময় উপলব্ধি হয় এবং সে তখন একমুহুর্তেই নিজেকে বুঝতে পারে।
Was this review helpful to you?
or
সাদাত হোসেনের লেখা এই বইয়েত মাধ্যমেই এই প্রথম পড়া।পড়ে যতটুকু মনে হলো,উনি আসলে স্ক্রিপ্ট লিখতে বসেছেন,কোন উপন্যাস নয়।লিখে যাচ্ছেন কারণ প্রকাশক হয়তো চাচ্ছে দেখে।উনার লেখায় কোন বৈচিত্র নেই,যেন এক হূমায়ুন বলয়ধারার মধ্যে আছি। বইটা পড়ে যেটা বুঝলাম,উনি চাইলে ইমদাদুল হক মিলনের ১৩০০ পৃষ্ঠার নূরজাহান উপন্যাস কেও ছাড়িয়ে যেতে পারবেন।কারণ, একটা কথা যেখানে এক লাইনে লিখে প্রকাশ করা যায়,তিনি সেটাকে ১০ লাইন পর্যন্ত টেনে নিয়ে যেতে পারবেন পৃষ্ঠা বৃদ্ধি করা জন্য।
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
❤️
Was this review helpful to you?
or
অনেক ভালো একটা বই।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ!
Was this review helpful to you?
or
আমার মন ছুঁয়ে গেছে,সত্যি বলতে খুব ভালো লেগেছে ❤️
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই সাদাত হোসাইন মানেই ভিন্ন কিছু,, আর ধন্যবাদ দিতে চাই রকমারি কে এতো সুন্দর একটি বই আমাকে এতো সুন্দরভাবে পাঠানোর জন্য
Was this review helpful to you?
or
উপন্যাসটি নিঃসন্দেহে ভালো।
Was this review helpful to you?
or
ONEK VALO AKTA BOOK
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
হুম...কি বলব! আর কোথা থেকে বা শুরু করব!! বুঝতে পারছি নাহ!"কখনো কখনো পাঠক লেখকের প্রশংসা কোথা থেকে শুরু করবে ঠিক বুঝে উঠতে পারে নাহ""!! আমি ঠিক তেমনটাই বুঝতেছি নাহ শুরু টা করব কোথা থেকে।। আলহামদুলিল্লাহ ভালোই হয়েছে বইটা।।। বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
nice
Was this review helpful to you?
or
এক কথায় অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
loved the book!
Was this review helpful to you?
or
❤️
Was this review helpful to you?
or
উপন্যাসটা পড়ে মনে হচ্ছিল ওটার ভিতরের একটা চরিত্রে আমি আছি লুকায়িত।
Was this review helpful to you?
or
Very good cover. এখনো পড়ি নি খুব শিগগিরই শেষ করব।
Was this review helpful to you?
or
Worthy of reading
Was this review helpful to you?
or
লেখকের শক্তিমত্তার তারিফ করতেই হয়! নিয়মিত বিরতিতে, অনেক সময় নিয়ে বইটি পড়েছি; তবুও চরিত্রগুলো মাথা থেকে একটুও সরে যায়নি!!
Was this review helpful to you?
or
Its a nice novel
Was this review helpful to you?
or
সাদাত হোসাইনের অসাধারন একটি লেখা।
Was this review helpful to you?
or
????
Was this review helpful to you?
or
অনেক সুন্দর।
Was this review helpful to you?
or
6.5/10
Was this review helpful to you?
or
4.5/5
Was this review helpful to you?
or
সাদাত হোসেনের পড়া প্রথম বই।। ভালো লাগলো পড়ে।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটা বই
Was this review helpful to you?
or
গ্রেট
Was this review helpful to you?
or
সত্যিই খুব ভালো লাগলো। সাদাত ভাই খুব সুন্দর করে বাস্তবতা তুলে ধরতে পারেন। আমরা সত্যিই খুব ভাগ্যবান সাদাত ভাইকে পেয়ে। কেননা তিনিই পারেন তার লেখাদ্বারা আমাদের বর্তমান যুব সমাজকে এক নতুন দিশা দেখাতে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সাদাত ভাই।
Was this review helpful to you?
or
ভালো না।
Was this review helpful to you?
or
Great
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার
Was this review helpful to you?
or
Its a good book.
Was this review helpful to you?
or
keep writing সাদাত ভাই
Was this review helpful to you?
or
Fast delivary
Was this review helpful to you?
or
As usual
Was this review helpful to you?
or
খুবই ভালো বই। পড়তে পেরে খুবই আনন্দিত হলাম।আশা করি লেখক আমাদেরকে এমন আরো নতুন মতুন গল্প লিখে আমাদেরকে মাতিয়ে রাখবেন। ধন্যবাদ লেখক আপনার সুন্দর আর মহান এ সৃষ্টির জন্য। আপনার লেখনীর ধার ও মাহাত্ম্য ছড়িয়ে পড়ুক দিগ্বিদিক। অনেক অনেক ভালোবাসা ও শুভকামনা রইল আমার পক্ষ থেকে আপনার প্রতি।
Was this review helpful to you?
or
one of the best book I've ever read ❤️❤️
Was this review helpful to you?
or
Ex
Was this review helpful to you?
or
এক কথায় বাজে মাল।
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
?
Was this review helpful to you?
or
আমার এবছরে পড়া সব থেকে বাজে একটা বই এটি ছিলো। সাদাত হোসাইনের অনেক নাম ঢাক শুনে বইটি কিনি। কিন্তু পড়ার ওর খুবই হতাশ হই। আমি স্টুডেন্ট মানুষ নিজের হাত খরচের টাকা দিয়ে বই কিনি শখ করে। এইটা কেনাটা জাস্ট ওয়েস্ট অফ মানি। খুবই দুঃখিত এতো বাজে রিভিউ এর জন্য।
Was this review helpful to you?
or
আমার মত যারা একটানা আত্ন উন্নয়নমুলক বই পড়ে, নতুন কিছু খুজছেন... তারা নির্দ্বিধায় বইটি কিনতে পারেন ... কাহিনি খুবই ভাল ... কিন্তু একটু ওভার প্রাইসড
Was this review helpful to you?
or
Nice book
Was this review helpful to you?
or
Average
Was this review helpful to you?
or
Whole experience was better. ♥️
Was this review helpful to you?
or
এক কথায় অসাধারণ একটা উপন্যাস।ফুল পয়সা উসুল
Was this review helpful to you?
or
nice story.
Was this review helpful to you?
or
Bhalo legeche
Was this review helpful to you?
or
Tnx For this type of service?
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই।বর্তমান সময়ের নিকৃষ্ট কিছু ধর্ষকদের কথা সাদাত হোসেন ফুটিয়ে তুলেছেন।শিশু যৌণ হয়রানি সম্পর্কে আরো সচেতনতা বৃদ্ধিতে বইটি সহায়ক হবে।রকমারি কে ধন্যবা।
Was this review helpful to you?
or
very good book.
Was this review helpful to you?
or
সত্যি, মেঘেদের মত সুন্দর একটা বই।
Was this review helpful to you?
or
It's just a bullshit writing with no sagacity
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ুন আহমেদ স্যারের পর এই প্রথম কারো লেখা এত বেশি ভালো লাগল
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ লেখনী!!
Was this review helpful to you?
or
গভীর রাত। মা মেয়ে শুয়ে আছে পরষ্পরকে জড়িয়ে৷ অন্ধকার না হলে দেখা যেতো তাদের মুখভর্তি উৎকন্ঠা আর এক ব্যাখ্যাতীত ঘেন্না। শাফিয়া বিড়বিড় করলো, "আল্লাহ তুমি আমারে আরেকটা মাইয়া দিও না, একটা পোলা দিও আল্লাহ। একটা ছাগল সদকা দিমু। আমি আর মাইয়া চাই না।" বুড়ি বলে উঠলো, "তোমার পোলাও যদি হারু কাকুর লাহান হয়, তহন?" শাফিয়া আর বুড়ি -- সেই আদ্যিকাল থেকে চলে আসা এই ঘুণেধরা সমাজের বিরাট কর্মযজ্ঞের এক তুচ্ছ অংশমাত্র। শাফিয়ার স্বামী হানিফ করাতির বন্ধু হারু। বিয়ের পর থেকেই তার প্রতি হারুর বাজে দৃষ্টি চোখ এড়ায় নি তার। পাত্তা না পেয়ে সুযোগসন্ধানী হারু হাত বাড়িয়েছে সদ্য ফ্রকের সাথে ওড়না ঝোলানো বুড়ির দিকে। সেদিন তানিয়া আর মারুফ না থাকলে হয়তো.... মারুফ আর তানিয়া। দীর্ঘ দশ বছর পর গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসেছে তারা। হুট করেই আসা। ঝুম বৃষ্টি, নদী, পুকুরপাড় সব তাদের আমন্ত্রণ জানালেও খুব একটা উচ্ছ্বাস দেখা যাচ্ছে না আলাল-দুলাল খাঁ এর মুখে। সম্পর্কে তারা মারুফের মামা, সৎ মামা। গ্রামে বেশ প্রভাব প্রতিপত্তি রয়েছে তাদের। মারুফের মা তার প্রাপ্য সম্পত্তির হিসেব-নিকেশ নিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। মুখে হাসি নিয়েও আলাল খাঁ এর কথাবার্তা যেন অজানা আশঙ্কা জন্ম দেয়। কঠিন বিপদ আসছে তানিয়া মারুফের জীবনে। আলাল খাঁ এর ভয়ংকর পরিকল্পনাকে আরো ভয়ংকর রূপ দিয়েছে হারু ও হানিফ। সেই আদিম প্রবৃত্তির সামনে সবসময়ে অসহায় তো মেয়েরাই। তানিয়ার কন্ঠে আকুতি, "আমাকে কোনোভাবে মেরে ফেলতে পারো মারুফ?" বিকৃত পুরুষের লালসার শিকার প্রতিটি মেয়েই সম্ভবত সেই নরক যন্ত্রণার মুহূর্তে যে আর্তনাদ করে সেটাই ফুটে ওঠে তানিয়ার এই আকুতিতে। এর চাইতে বোধহয় মৃত্যু কম যন্ত্রণার! বর্তমানে সামাজিক একটি ব্যাধি হয়ে দাঁড়িয়েছে ধর্ষণ। পরিচিত অপরিচিত কোনো পরিমণ্ডলেই মেয়েরা যেন নিরাপদ না। মেঘেদের দিন বইয়ে তরুণ লেখক সাদাত হোসাইন গ্রাম্য জমিজিরাতের পুরনো বিরোধের সঙ্গে এই সেনসেটিভ ব্যাপারটি মিশিয়ে একটা উপন্যাস দাঁড় করিয়েছেন। ছোট পরিসরের হওয়ায় একটা তাড়াহুড়োর ছাপ রয়ে গেছে উপন্যাসে। সেরকম টুইস্টের বালাই নেই। সহজ সরল গল্প, তবু একধরণের আক্রোশে হাত মুঠো হয়ে আসে। লেখক এর আমার পড়া দ্বিতীয় বই এটা। ছোট হওয়ায় বিরক্তি আসার সেরকম সময় পায় নি। তবে কিছু জায়গায় একই কথা দু-চার রকম বলা ব্যাপারটা এই উপন্যাসেও রয়েছে। এছাড়া বাদবাকি দিক থেকে কোয়ারেন্টাইনে বোরিং সময় কাটাতে চাইলে হালকা বই হিসেবে বেশ ভালো। শুভ পঠন। বই : মেঘেদের দিন লেখক : সাদাত হোসাইন প্রকাশনী : অন্যপ্রকাশ মুদ্রিত মূল্য : ২২৫ টাকা
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ বই।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই । ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয়েছে । আমার কাছে খুব ভাল লাগল । আসা করি সবার ভাল লাগবে । ধন্যবাদ ।
Was this review helpful to you?
or
নামের মতো বইটির বাচনভঙ্গিও সুন্দর। অসাধারন লেগেছে আমার কাছে।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ ?বইয়ের নাম : মেঘেদের দিন ? লেখক : সাদাত হোসাইন ? প্রকাশনা : অন্যপ্রকাশ ? ক্যাটাগরি : উপন্যাস ?পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৯৬ ? মূল্য: ১৬৯ ৳ ✒️রেটিং : ৯/১০ ভাটি অঞ্চলের প্রত্যন্ত গ্রাম নীলতলি।টলটলে জলের বিরাট পুকুর,তার পাড়ে জারুল,সোনালু আর লাল ফুলে ভরা হিজল গাছ,জলে তার বিম্ব,বকের মতো ধপধপে সাদা শাপলা ফুলে ভরা বিল— ঝমঝম বর্ষার দিনে পঁচিশ বছর আগে নানা বাড়িতে ফেলে আসা ছবির মতোন কৈশোরের স্বপ্নিল দিনগুলির হাতছানিকে স্বাগত জানিয়ে জলপথে সেই প্রত্যন্ত গ্রামে সস্ত্রীক চলেছে মারুফ।ওদিকে নীলতলি গ্রামেরই এক দুরন্ত মেয়ে,বুড়ি,তার পোষা হাঁসের ছানাগুলো খুঁজতে গিয়ে লালসার স্বীকার হয় তার পিতৃব্য হারু ব্যাপারীর।মারুফ আর তার স্ত্রী তানিয়ার আকস্মিক উপস্থিতিতে সে যাত্রায় রক্ষা পায় বুড়ি।অনেক আশা-স্বপ্ন-স্মৃতির নীলতলি গ্রামে পা রেখেই বড় ধরণের হোঁচট খায় এই দম্পত্তি।কৈশোরের স্মৃতি বিজড়িত নানাবাড়ির প্রত্যেকটি মানুষের আচার আচরণ নিদারুণভাবে বিস্মিত ও বিব্রত করে তাদের।গ্রামের সেই চিরসজীব প্রাণোচ্ছ্বল পরিবেশ কোথায় যেন হারিয়ে গেছে।শৈশবের স্মৃতির কিছুই প্রায় আর অবশিষ্ট নেই— গ্রামের পরিচিত মানুষগুলোর মধ্যেও নেই আগের মতো হাশিখুশি সহজ-সরল পেলবতা। মামা আলাল আর দুলালের আচরণেও যথেষ্ট আড়ষ্টতা-শান্ত সমাহিত ভাব,স্নেহের বিপরীতে তাদের চাহনিতে বিরক্তি,কেমন যেন নিষ্ঠুরতা ! নীলতলি গ্রামে মাত্র দু'দিনের সফরেই ভয়াবহ সব অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয় মারুফ আর তানিয়া।বুড়ির বাবা হানিফ করাতি,ধূর্ত হারু ব্যাপারী আর মারুফের সৎ মামা আলাল-দুলালের নিষ্ঠুর পরিকল্পনা ছিন্ন ভিন্ন করে দেয় তাদের আনন্দঘন মুহুর্তগুলোকে।পৈতৃক সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারার দ্বন্দ্ব থেকে নিষ্কৃতি পেতে সৎ ভাগ্নে মারুফকেই হত্যার কুটিল চক্রান্ত করে তার মামা'রা।আবার তাদের আগমনের দিনের ঘটনা থেকেই তাদের সাথে জড়িয়ে পড়ে হানিফ করাতির মেয়ে বুড়ি।মদ্যপ,জুয়াখোর,নারীলিপ্সু অসৎ বাবার উদাসীনতা,বেখেয়ালিপনা,তার সঙ্গী হারু ব্যাপারীর ধূর্ততা,হানিফের স্ত্রী শাফিয়ার প্রতি কুদৃষ্টি,সর্বোপরি পরিবারের অভাব-অনটন-দৈন্যে বুড়ির জীবনও কণ্টকাকীর্ণ।কালো মেঘে আবৃত এ শ্বাসরুদ্ধকর-নৈঃশব্দ্য থেকে আনন্দিত নবজীবনের পথ অতিবাহনই "মেঘেদের দিন"-এর উপজীব্য। 'অন্যদিন ঈদ সংখ্যা ২০১৮'তে বের হবার পর বই আকারে "মেঘেদের দিন" প্রকাশিত হয়েছে ২০২০ একুশে বই মেলায়।বস্তুত এটি যাপিত জীবনযুদ্ধের আখ্যান—প্রবাহমান সময়ের জীবনঘনিষ্ঠ উপন্যাস।বুড়ি আর শাফিয়া চরিত্রদুটি ঘুনেধরা পুরুষ-শাসিত সমাজের সকরুণ শিকার।পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীর প্রতি পুরুষের বৈষম্য-বঞ্চনাপূর্ণ আচরণ আর নারীর অসহায়ত্ব সার্থকভাবেই ফুটে ওঠে,যখন মায়ের প্রশ্নের জবাবে বুড়ি অস্ফুটে বলে ফেলে, "হাঁসের ছাওনগুলানরে যে কী সোন্দর দেখায়,মা,কিন্তু পত্যেকদিনই উরা বড় হইয়া যাইতেছে,এইজন্য কম কম খাওন দেই।তুমিই তো আমারে কও,কম কম খা,কম কম খাইলে গায়গতরে মাংস আরো দেরীতে ধরবো-দেরীতে বড় হইবি,মাইয়া মাইনষের শরীল যতো বড় হতে থাকে তাগো দুনিয়াডা ততো ছোটো হতে থাকে,এইহানে মাইয়া মাইনষের যত দেরীতে বড় হওন যায়,ততই ভালা।" শাফিয়া এর পিঠে কোনো কথা বলতে পারেনি,কেবল কান্না ঠেকিয়ে কোনোমতে বুকে জড়িয়ে ধরেছে তার আদুরে মেয়েকে।অবাধ্য মেয়েকে নিয়ে যে তার ভীষণ ভয়,চারপাশে যেখানে শ্বাপদের মতো ওঁত পেতে আছে বিপদ,হাসিখুশি মুখের আড়ালে লকলকিয়ে উঠছে লালসা আর সম্ভোগের নিরেট মাংসল জিভ।অন্তসত্ত্বা শাফিয়া যখন আরেকটি মেয়ে জন্ম দেয়ার অভিশাপ থেকে পরিত্রাণের জন্য বিলাপ করে—আর্তি জানায়, "আল্লাহ,তুমি আমারে আরেকটা মাইয়া দিয়ো না, একটা পোলা দিও আল্লাহ।একটা ছাগল ছদকা দিমু,আমি আর মাইয়া চাই না" ঠিক তক্ষুণি বুড়ি প্রশ্ন করে, "তোমার পোলা'ও যদি হারু কাকুর লাহান হয়,তহন ?" এ যেনো "পুরুষ" নামক দানবের ভয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত এবং পীড়িত নারীকুলেরই শঙ্কা মিশ্রিত খেদোক্তি,সাদাত হোসাইন যা তুলে ধরেছেন ছোট্টো বুড়ির কন্ঠে,অনবদ্য মুনশিয়ানায়।এর উত্তর আদৌ কী আছে কারো কাছে? হানিফ করাতি চরিত্রের মধ্যে দিয়ে পশুত্ব থেকে মানবিকতায় আরোহণের চিত্র অঙ্কিত হয়েছে এ উপন্যাসে।ঘোরের মধ্যে সারা জীবন কাটিয়ে দেয়া মদ্যপ হানিফ করাতি স্ত্রীকে হারিয়ে যখন জানতে পারে তার ছোট্ট মেয়ে বুড়ির উপর হারু ব্যাপারীর লোলুপ দৃষ্টির কথা,পিতা হিসেবে সেটা মেনে নিতে পারেনি সে,কোথায় যেন একটা ক্ষত—একটা অসম বিন্দু প্রতিনিয়ত অপরাধবোধের জন্ম দিয়েছে তার মধ্যে ,আত্মগ্লানির আগুনে দগ্ধ হয়ে প্রতিশোধ নিতে সে উদ্যত হয়েছে নিষ্ঠুর হারু ব্যাপারীর ওপর।তাদের অন্তিম চরিত্রায়ন ছিলো অসাধারণ।মারুফ আর তানিয়া চরিত্র স্বভাবজাত নস্টালজিয়া,মানবপ্রেম,ভালোবাসা,হৃদয়রসের সম্মেলন ঘটেছে,তাদের মিলনাত্মক পরিবেশেই ঘটেছে উপসংহতি।এছাড়া শাফিয়ার শেষ বিদায়টিও বেশ হৃদয়গ্রাহী। মানবজীবন ও মানব-মনস্তত্বের জটিলতা,মানুষে মানুষে বৈপরীত্যের অনুভব,সমাজের অন্তঃপ্রকৃতি,বিপন্নতায় কাতর জীবনের হাহাকার—সবমিলিয়ে "মেঘেদের দিন" হয়ে উঠেছে সমাজের বাস্তব দর্পণ।আমাদের চারপাশে আমরা যে দেখে চলেছি প্রতিদিন,আমাদের চারপাশে—সেসব যে অনুভবের সঞ্চার করেছে,মনের ভেতরে যেসব অব্যক্ত ভাব কুয়াশা হয়ে জমেছে ক্রমাগত, ঝরতে পারে নি ভাষার বৃষ্টিতে কিংবা কথার বৃষ্টিতে—সেই কথাগুলোই বলেছেন সাদাত হোসাইন,এঁকেছেন সেই ছবিই।চরিত্র চিত্রায়ণ-পরিবেশ নির্মাণ—কাহিনীর আঁটসাঁট ভাব ইত্যাদি বিষয়গুলিতে নবীন সাদাত হোসাইন অভিনবত্বের পরিচয় দিয়েছেন।অন্যপ্রকাশের বাঁধাই,প্রিন্টিং,কাগজ এবং ধ্রুব এষের অসাধারণ প্রচ্ছদ পাঠকের ভালো লাগার মতোনই।অতি নগন্য কিছু ভুল বানান চোখে পড়েছে।উল্লেখ্য যে,বুড়ির মা 'শাফিয়া'কে উপন্যাসের শেষ দিকে 'শেফালী' বলে উল্লেখ করা হয়েছে—এটি কিছুটা দৃষ্টিকটু লেগেছে,তবে উপন্যাসের গতিবিস্তৃতিতে তা ব্যাঘাত ঘটায় নি মোটেই।মননশীল পাঠকের কাছে তা ক্ষমার্হ হবে বলেই বিশ্বাস! 'মেঘেদের দিন' আসলে এক ভয়াল রাত্রি কিংবা চারপাশের অন্ধকার সময়ের গল্প।নিঝুম রাত্রির পর ঝলমলে সূর্যস্নাত সকালের প্রত্যাশায় নিরন্তর অপেক্ষার প্রহর গুনে চলেছে থমথমে অন্ধকার মেঘেদের দিন।আর কবিগুরুর সেই কবিতা কে না জানে,"মেঘ দেখে কেউ করিস নে ভয়,আড়ালে তাহার সূর্য হাসে''!সবশেষে তাই লেখকের বরাভয়, "মেঘেদের দিনের আড়ালেও সূর্য হাসে।" হ্যাপি রিডিং ?
Was this review helpful to you?
or
গল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শুধু মেঘে ঢাকা ছিলো। এ কোন প্রাকৃতিক মেঘ নয় ,এ এক মানব সৃষ্ট মেঘ যা ছেয়ে আছে আমাদের পুরো সমাজের রন্ধে রন্ধে।জানি না, আমাদের বুড়িদের জীবনও কি ঢেকে আছে এই কালো মেঘে!!! আজকের সমাজ হাসুদের দখলে। তাই আজও বুড়িদের বড় হতে দেখলে মায়ের মনে হাজারটা ভয় জাগে
Was this review helpful to you?
or
Best one
Was this review helpful to you?
or
গল্প মোটামুটি ভালো হলেও লিখার মান টা ভালো লাগে নাই, কিছুর বর্ণনা করতে যেয়ে অতিরিক্ত কিছু শব্দ ব্যাবহার করে ফেলছেন যেটা বিরক্তির সৃষ্টি করে। আর সম্ভবত উনি ছোটো টাইপের উপন্যাসের জন্য এখনো নিজেকে প্রস্তুত করতে পারেন নি।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ উপন্যাস
Was this review helpful to you?
or
মেঘের দিনে-সাদাত হোসাইন বইয়ের দাম দেখে নেবার ইচ্ছা জাগছিল, যখন দেখলাম নায়কের নাম(ক্যাপশন পড়ে) আমার নামে, তখন কি আর না কিনে উপায় থাকে। সাদাত হোসাইনের যারা আমরা নিয়মিত পাঠক, তাদের অভ্যাস এমন যে আমরা তাঁর বই পড়ে, আবেগে উদ্বেলিত হব। কিছুক্ষন খোলা আকাশের দিকে চেয়ে থাকব। সেই কাজল কালো চোখের প্রেমে পড়ে থাকব। ছোট পরিসরে হবার দরুন তা ছিল না এতে। ঘটনা পরস্পরার দিকেই নজর ছিল বেশি। তবে মুল রহস্য অন্য জায়গায়। এই উপন্যাসটি আসলে অন্যদিন ঈদসংখ্যার জন্য। তাতে সাদাত হোসাইন যদি তাঁর সাধারণ ভঙ্গিতে লিখতেন তাতে এক ম্যাগাজিনে হত না। নিঃসন্দেহে। উপন্যাস টি উপভোগ্য। রোমান্সটাও। তিনি এক হিসেবে প্রেমের কাব্যিক হতে যাচ্ছেন দিনে দিনে। হয়তোবা ১০ বছর পরে হুমায়ুন আহমেদ এর মত কোন এক উপাধিও পেয়ে যেতে পারেন। বুড়ি চরিত্রটি সাংঘর্ষিক। বুড়ি তানিয়া এই সব চরিত্রের মাধ্যমে লেখক গ্রামীন পরিবেশের নিতান্ত সাধারন পরিবেশেও অনেক কিছু বলে গিয়েছেন। চট করে পড়ে নিতে পারেন। © Maruf Morshed
Was this review helpful to you?
or
জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক সাদাত হোসাইনের মেঘেদের দিন বইটি গ্রামগঞ্জে ঘটে যাওয়া এক ভয়াল বাস্তবিক গল্প। যা আমাদের আশেপাশে হরহামেশাই ঘটে যাচ্ছে। কোনো এক বর্ষাকালে এক নবদম্পতি শহর থেকে গ্রামে বেড়াতে গিয়ে সম্মুখীন হোন এসব গল্পের। লেখক এ নবদম্পতির গ্রামে বেড়াতে যাওয়ার দ্বারা কিছু কিছু গ্রামের অবস্থার চিত্রটি তুলে ধরেছেন। যেখানে মারুফ এবং তানিয়া ( এক নবদম্পতি) গ্রাম বেড়াতে গিয়ে সম্মুখীন হন হানিফের পরিবার ও হারু ব্যাপারী এবং বুড়ির ঘটনার মধ্যে। তাছাড়া মারুফদের মামা আলাল - দুলালদের অবস্থার মধ্যে। যা বর্তমানেও কিছু গ্রামগঞ্জে ঘটে যাচ্ছে। লেখক এই গল্পে তা খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন।
Was this review helpful to you?
or
মেঘেদের_দিন বইটির লেখক সাদাত হোসাইন। এই বইটির প্রচ্ছদ করেন ধ্রুব এষ এবং বইটিব প্রকাশ করেন অন্যপ্রকাশ প্রকাশনি। এই উপন্যাসের কাহিনির শুরু হয় 'বুড়ি' নামক এক ছোট্ট মেয়ের হাঁসের ছানা খোঁজার মধ্য দিয়ে। পিতৃবন্ধু হারু ব্যাপারীর সাথে মাঝপথে দেখা হয় হারু ব্যাপারীর সাথে।বুড়ির উপস্থিত বুদ্ধিই তাকে বেচে ফিরতে সাহায্য করে। লেখক বইটি খুবই ছোট পরিসরে তুলে ধরেছেন। তিনি দেখিয়েছেন বৈষয়িক সম্পত্তির প্রতি আসক্তি চেনা মানুষগুলোকে নিমিষেই কেমন অচেনা করে দেয় তা এই উপন্যাসে তুলে ধরা হয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
সাদাত হোসাইনের লেখার অনেক প্রশংসা শুনেছি। কিন্তু সময়ের অভাবে পড়তে পারিনি। এই মাসে যথেষ্টই সময় পেয়েছিলাম। তাই সদ্য তার বের হওয়া 'মেঘেদের দিন' উপন্যাসটি কিনে পড়ে ফেললাম। খুবই ভালো লেগেছে। স্বীকার করতেই হলো তিনি খুবই ভালো মানের একজন সাহিত্যিক। পাঠক হৃদয়ে অনেকটাই জায়গা করে নিয়েছেন। আশা করি তা আরো শক্ত-পোক্ত হবে। মেঘেদের দিন উপন্যাসে তিনি বর্তমান সমাজের কতিপয় পুরুষদের বিকৃত চিন্তা,নারীদের প্রতি তাদের লালসা। যা নারী মনে পুরুষের প্রতি ঘৃণার সঞ্চার করে। একজন মা মেয়ে জন্মদানে ভয় অনুভব করে। অন্যদিকে দেখিয়েছেন সম্পদের নেশা মানুষকে কতটা পশু করে তুলতে পারে,কতটা হৃদয়হীন করে তুলতে পারে। সাবলীল বহমানতা, নিখুত আবেগের মিশ্রণে দরদ ভরা হাতে লেখা উপন্যাসটিকে অসম্ভব সুন্দর রূপ দিয়েছে। শেষে মারুফের কান্নাটা কি সন্দেহ আর কষ্টের ছিল নাকি আনন্দের? একটু দ্বিধায় আছি।
Was this review helpful to you?
or
এক ভয়াল রাতের গল্প মেঘের দিন। রাতে কেটে যাবে, জানালা ভরে যাবে পরিপূর্ণ সূর্যের আলোয় না জানালা ভরে যায়নি সূর্যের আলোয়। আকাশ মেঘে থম থম করে। সাদাত হোসেনের বই আর ভালো লাগবে না এমন হয় না। ভালো লাগতে যেনো বাধ্য। বইটির সবচেয়ে খারাপ দিক হলো মাত্র পড়তে শুরু করলাম মাত্রই শেষ হয়ে গেলো। মনের ভিতরে একটি অনুভূতি ইস বইটি যদি আরেকটু বড় হতো ইশ! জী ধন্যবাদ
Was this review helpful to you?
or
আমি বইটি পড়েছি। আমার জীবনে পড়া সেরা উপন্যাস।।।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_সাদাত_হোসাইন_বুক_রিভিউ_প্রতিযোগিতা ***প্রবল বর্ষণ শেষে জেগে উঠেছে আকাশ। সেই আকাশজুড়ে ঝলমলে করছদ অসংখ্য তারা। কিন্তু বিলের জলে সেই তারাদের প্রতিবিম্ব দেখা যাচ্ছে না। সেখানে দেখা যাচ্ছে টকটকে লাল রক্ত্রর স্রোত।..........*** গ্রামের বিস্তীর্ণ জায়গা জুড়ে সবুজ ঘাসের বিশাল মাঠ, দিগন্তের পর দিগন্ত কেবলই ছুটে চলা। নির্মল বাতাস। যেখানে নেই কোনো যান্ত্রিক কোলাহল। যেখানে যান্ত্রিক জীবন ছেড়ে কোলাহল ছেড়ে আরামে শান্তিতে প্রকৃতির একদম কোলে বসে কাটিয়ে দেওয়া যায় চিন্তামুক্ত কিছু অবকাশ। নিশ্বাস নেওয়া যায় প্রাণভরে দূষণ মুক্ত বাতাস থেকে । আর যদি সময়টা হয় ঘন বর্ষার তাহলে তো কথায় নেই। বর্ষার মৌসুমে প্রকৃতি যে কি সতেজতা নিয় আসে তা গ্রামে বোঝা যায়। মেঘেদের দিন বইটিতে গ্রামের সৌন্দর্য এবং অন্য দিকে থ্রিলার জনরা সত্যিই অসাধারণ। ▪️ বইয়ের থেকে: নীলতলির বৃষ্টিস্নাত প্রেক্ষাপটে প্রকৃতির সুন্দর বর্ণনায় উঠে এসেছে গল্পের চরিত্রগুলো। উপন্যাসের মূল চরিত্র হলো মারুফ ও তানিয়া। এছাড়াও আরও এই উপন্যাসে কতগুলো পার্শ্ব চরিত্র রয়েছে তা হলো বুড়ি,আলাল খাঁ, দুলাল খাঁ,হারু ব্যাপারী,হানিফ করাতি , জয়নাল মাঝি। বর্ষার সময় নীলতলির বৃষ্টির মধ্যে বুড়ি তার হাসের বাচ্চা গুলোর খোঁজে বের হয়। সেসময় হারু ব্যাপারীর সঙ্গে দেখা হয় আর সুযোগ বুঝে হারু ব্যাপারী কিশোরী বুড়িকে ভোগ করার জঘন্য ফন্দি এঁটে নৌকায় করে নির্জন খালের দিকে সরে যায়। কিন্তু সেবার তানিয়া আর মারুফ এই দিক দিয়ে নানার বাড়ি নীলতলিতে আসার কারণে বুড়ি বেঁচে যায়। বুড়ি পুরুষের ভয়ংকর হিংস্র দিকের সাথে পরিচিত হয়ে ভীত হয়ে পড়ে। মারুফের নানাবাড়িতে সে প্রায় পঁচিশ বছর এসেছে তার স্ত্রীর সঙ্গে। তার দুই মামা আলাল খাঁ আর দুলাল খাঁ। সে ছোটবেলায় যেমন নীলতলি দেখে গেছিল সেরকম নীলতলি উপভোগ করতে এসেছিল এখানে কিন্তু চিত্র ভিন্ন, এতো দিনে সব বদলে গেছে। বুড়ির সঙ্গে নৌকায় আসার পথে দেখা হবার পর নীলতলিতে ওদের আবার দেখা হয়। বুড়ি তানিয়ার সঙ্গে বেশ মিশে যায়। বুড়ির অন্তঃসত্ত্বা মায়ের সঙ্গে তানিয়ার পরিচয় হয়। আস্তে আস্তে গল্প এগোতে থাকে। এরমধ্যে হারু আর হানিফের নির্মম হিংস্র চিত্র দেখা যায়। নারীভোজ তাদের নিত্য দিনের ব্যাপার। একসময় আলাল খাঁ আর দুলাল খাঁ তাদের বোনের চিঠি পেয়ে কিছু একটা ছক কষে। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা হারু আর হানিফকে কাজে লাগায়। সম্পত্তির লোভে মারুফ তানিয়াকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে, সে অনুযায়ী হারু ব্যাপারী আর হানিফ করাতিকে কাজে লাগিয়ে দেয়। কিন্তু তাদের পরিকল্পনা সফল হয় না।কি হয় তবে? সেটুকু জানতে হলে উপন্যাসটা পড়ুন। ▪️ পাঠ প্রতিক্রিয়া: উপন্যাসটিতে শুরুতে কিছুটা রোমাঞ্চকর থাকলেও, উপন্যাসের যে বিষয়টি সত্যি তা হলো গ্রামের বৃষ্টিস্নাত প্রেক্ষাপটটা ভালো লেগেছে। তবে উপন্যাসটি পড়ার শেষ সময় এসে মনে হলো যে এখনো যেন শেষ না হয়। কিন্তু শুরুতে রোমাঞ্চকর হলেও উপন্যাসের শেষটা ছিল থ্রিলার জনরার। মারুফ আর তানিয়ার সম্পত্তির জন্য পড়তে হয় জীবন মৃত্যুর ফাদে। শুরুর জার্নি সত্যি মুগ্ধকর ছিলো। শুরুতে বইটিতে রোমাঞ্চকর, তারপর গ্রামের সৌন্দর্য এবং সবশেষে থ্রিলার জনরা। যা সত্যি খুবই ভালো লাগছে। বইয়ের প্রতিটি অংশ রয়েছে আলাদা এক নতুন চমক। মেঘেদের দিন বইটি সত্যি অসাধারণ একটি বই। বই পড়লে গ্রামের সৌন্দর্যের জার্নিটা ভীষণ ভাবে উপভোগ করবেন। • বই : মেঘেদের দিন • লেখক: সাদাত হোসাইন • পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৯৬ • মুদ্রিত মূল্য : ৩০০ টাকা মাত্র • প্রকাশনী : অন্যপ্রকাশ • নিজস্ব রেটিং : ৯.৮/১০ ©শাহরিয়ার নাবিল
Was this review helpful to you?
or
মেঘেদের দিন সাদাত হোসাইন ত্রই উপন্যাসটির মাধ্যমে ত্রকজন পাঠ্যক যে কোনোদিন হাওর দেখেনি বা হাওরের জীবনযাপন কেমন তাযানেনি তাদের জন্য ত্রই উপন্যাসটি হবে ত্রকটি অন্যধরনের অভিজ্ঞতা। ত্রই উপন্যাসে লেখক হাওররে প্রকৃতিক সৌন্দর্যে বর্ণনা যেমন দিয়েছেন তেমনি হাওরের অন্ধকার দিকটি তুলে দরেছেন যেখানে মানুষ নিজ সাত্বে জন্য আপনযনের প্রতি কতটুক নিষ্ঠুর হতে পারে । ত্রই উপন্যাসে যেমন অপরাধ অমানভিকতা কথা রয়েছে তেমনি ভালোবাসা ও মানবিকতা দিকটিরয়েছে ।
Was this review helpful to you?
or
I found this writing average. Also not interesting to read again.
Was this review helpful to you?
or
লেখক তার উপন্যাসটি এত সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেন নি।।।আমরা তার থেকে আরো একটু বেশি কিছু আশা করি
Was this review helpful to you?
or
it was not sooo goood ...but climax was better...and some stories are known
Was this review helpful to you?
or
Good Village story
Was this review helpful to you?
or
আসলে মোটামুটি। ভাল। একবার পড়ার মত। আশা করি লেখক লিখতে লিখতে আস্তে আস্তে নিজের লেখার ইউনিক ধরণ আবিষ্কার করবেন। তার কাছে বলার মত ভাল গল্প আছে। ধরণ অন্য কারো মত।।।
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
সাদাত হোসাইনের লেখা পড়ার যেদিন ইচ্ছে হয়েছিলো সেদিন উনার পেইজে নকদিয়ে জানতে চেয়েছিলাম কোনটি দিয়ে শুরু করবো...লেখক নির্বাসন ধরিয়ে দিয়ে আমাকে তার ভক্তই করে নিলো...এর পর থেকে সবগুলো বই পড়ে ফেলার ইচ্ছে নিয়ে বসেছি...প্রতিনিয়তই পড়ছি তবে শেষ অবধি কোনো লেখা কোনো লেখার সাথে মিলেনা...আলাদা আলাদা স্বাদ দেয়...মেঘেদের দিন ও এর ব্যতিক্রম নয়...ভালোই লেগেছে সবকিছু...তবে লেখকের থেকে আমি আরো অনেক বেশী আশা করি.....
Was this review helpful to you?
or
Loved this.
Was this review helpful to you?
or
I love this .
Was this review helpful to you?
or
সাদাত হোসাইন বড় পরিসরের উপন্যাস লিখে যেমন পাঠকদের মাঝে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন তেমনি ভাবে ছোট পরিসরের লেখা "ছদ্মবেশ"ও সদ্য প্রকাশিত "মেঘেদের দিন" দুটি দিয়েও পাঠক প্রশংসা কুরুচ্ছেন।মেঘেদের দিন উপন্যাসের গল্পের বিষয় বস্তু বিবাহিত স্বামী স্ত্রী মারুফ ও তানিয়া কে নিয়ে।পাশাপাশি ফুটে উঠেছে গ্রামের মেয়েদের সুন্দর ভাবে বেছে থাকার যুদ্ধ।নিকৃষ্ট মনের কিছু পুরুষের লোলুপ দৃষ্টির মধ্যে দিয়ে কিভাবে তাদের জীবন অতিবাহিত করতে হয় তাও ফুটে উঠেছে এই উপন্যাসে।পাঠকগণ উপন্যাসটি পড়ার একটি পর্যায়ে গিয়ে থমকে যাবেন,আপনি আর এগিয়ে জাওয়ার সাহস পাবেন বলে মনে হয় না।"প্রবল বর্ষণ শেষে জেগে উঠেছে আকাশ।সেই আকশজুড়ে ঝলমল করছে অসংখ্য তারা।কিন্তু বিলের জলে সেই তারাদের প্রতিবিম্ব দেখা যাচ্ছে না।সেখানে দেখা যাচ্ছে লাল রক্তের স্রোত" এই অংশটুকু বার বার আপনাকে নাড়া দিবে একটি পর্যায়ে।যেকোনো জনরার পাঠকের এই বইটি পড়ে ভালো লাগবে।
Was this review helpful to you?
or
সাদাত ভাই এর লেখা মানেই এককথায় অসাধারণ। মেঘেদের দিন ঠিক একই। অসাধারণ!
Was this review helpful to you?
or
'প্রবল বর্ষণ শেষে জেগে উঠেছে আকাশ। সেই আকাশজুড়ে ঝলমল করছে অসংখ্য তারা। কিন্তু বিলের জলে সেই তারাদের প্রতিবিম্ব দেখা যাচ্ছে না। সেখানে দেখা যাচ্ছে লাল রক্তের স্রোত।' এই লাইন পড়েতে গিয়ে থমকে যেতে হয়, সামনে আর আগানো যায় না, যেন রক্তের স্রোতের মত ভেসে যায় হৃদয়! টুপটুপ গড়িয়ে বৃষ্টি পড়া পবাল বর্ষার দিনে কৈশোরে পদার্পণ করা নীলতলি গ্রামের ছোট্ট ১০ বছরের বুড়ি নামে এক দুরন্তপনা মেয়ের হাঁসের ছানা খুঁজতে গিয়ে পিতৃতুল্য হারু ব্যাপারী নামে এক জঘন্য মানুষের লালসার শিকার হতে যায়। বৃষ্টির দোহাই দিয়ে হারু ব্যাপারী তাকে ফুঁসলিয়ে নৌকায় তোলে। যেন ক্ষুধার্থ কুকুরের সামনে এক টুকরো মাংস রেখেছে! বুড়ি হারুচাচার এই ভিন্ন রূপ দেখে আশ্চর্যান্বিত হয়ে যায় বুড়ি। হারু ব্যাপারির লালসার শিকারে পরিণত হওয়ার মুহুর্তে সদ্য বিবাহিত শহুরে নব দম্পত্তি মারুফ ও তানিয়ার পরোক্ষ সহযোগিতায় নবজীবনের সূচনায়নের মাধ্যমে উপন্যাসের শুরু। আমায় তোমার আঁচলজুড়ে রেখো, গন্ধে মেখো আমার বুকের ঘ্রাণ, ক্লান্ত দিনের ঋণের হিসেব শেষে, আমায় দিয়ো তোমার সকল গান। দাম্পত্য জীবনে ছ'মাস উনিশ দিন পেরিয়ে গেলেও হানিমুন করা হয়নি তাদের। কুড়ি বার প্ল্যান করেও তাদের কোনো ট্যুরে যাওয়া হয়নি। থাইল্যান্ডের থেকে শুরু করে নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম, ভারতের কাশ্মীর থেকে করে সমুদ্রমগ্ন মালদ্বীপ যাবার পরিকল্পনা করেও যাওয়া হয়নি মারুফের চাকুরীর কারণে। হঠাৎ করে মারুফের অফিসের আচমকা একটা প্রজেক্ট ক্যান্সেল হওয়ায় ৪/৫ দিনের একটা ছুটি পেলো। এমন হঠাৎ ছুটিতে তাদের আগে থেকে কোনো প্ল্যান না থাকায় তারা দূরে কোথাও যেতে পারবে না। তাই মারুফ তার নানাবাড়ি নীলতলি যাওয়ার ইচ্ছে পোষণ করলো।ছোটবেলায় মায়ের সাথে এসে গ্রামের যে রূপ মারুফ প্রত্যক্ষ করেছিল তা পঁচিশ বছরেও ভুলতে পারেনি!২৫ বছর পর স্মৃতির পাতায় দিনগুলো কে মনে করতে লাগলো সেই পুকুর, হিজল ফুলের গাছ, টিনের চালে বৃষ্টির শব্দ সবকিছু তাকে নীলতলি যাওয়ার সুপ্ত বাসনাকে প্রজ্জ্বলিত করে তুললো। মারুফের খুব ইচ্ছে ছায়াঘেরা হিজল, জারুলময় নীলতলিতে বর্ষার দিনে তানিয়াসহ পুকুরপাড়ে বসে উপভোগ করবে। তাই অবশেষে মারুফের নানা বাড়ি নীলতলি গ্রামেই বেড়াতে আসা। গ্রামে এসে মারুফ তার প্রত্যাশার সাথে প্রাপ্তির বড়সড়রকমের বৈসাদৃশ্য উপলব্ধি করতে পারে। নীলতলি গ্রামে প্রবেশ মুখেই চোখে পড়া ছোট্ট বুড়ির সাথে হারু ব্যাপারীর নরপিশাচ রুপ আর কৈশোরের স্মৃতি বিজরিত নানা বাড়ির প্রত্যেকটি মানুষের আচার আচরণ দারুণভাবে বিক্ষুব্ধ করে তাদের। গ্রামের সেই চিরচেনা পরিবেশ কোথায় যেন হারিয়ে গেছে। বাড়ির উত্তর দিকে পুকুর পাড়ে নেই শৈশবের স্মৃতি বিজরিত সেই হিজল গাছ। নেই ঝুম বৃষ্টির দিনে রিনিঝিনি শব্দে বিভোর হওয়া টিনের সেই দোতলা ঘর। গ্রামের মানুষজনের মধ্যেও নেই আগের মতো সরলতা। প্রিয় মামা আলাল আর দুলাল খাঁ’র মাঝে আগের সেই আন্তরিকতা নেই। মারুফ অস্বস্তি বোধ করে। তানিয়ার কাছেও কেমন অদ্ভুত ঠেকে সবকিছুতে।গায়ের আপন জনদের চাহনীতে ফুটে উঠেছে কেমন যেন নিষ্টুরতা, অসভ্যতা, মনে হয় যেন, চেনা পরিবেশে অচেনা রূপ! মারুফ বুঝতে পারে নীলতলি গাঁয়ের কোনোকিছুই আর আগের মত নেই। কী প্রকৃতি, কী মানুষ সবাই যেন কেমন বদলে গেছে। প্রিয় মামা আলাল আর দুলাল খাঁ’র মাঝে আগের সেই আন্তরিকতা নেই মোটেও। মারুফ অস্বস্তি বোধ করে। তানিয়ার কাছেও কেমন অদ্ভুত ঠেকে সবকিছুতে। বুড়ির বাবা হানিফ করাতি, হারু ব্যাপারী আর মারুফের সৎ মামা আলাল-দুলালের নিষ্ঠুর পরিকল্পনা ছিন্ন ভিন্ন করে দেয় মারুফ-তারিয়ার আনন্দঘন মুহুর্তগুলোকে। স্ত্রী শাফিয়ার প্রতি হানিফ করাতির নিষ্টুরতা প্রতিট হৃদয়কে বিপর্যস্ত করে দেয়ার মতো ছিল। ছোট্ট বুড়ির প্রতি হারু ব্যাপারীর লোলুপ দৃষ্টি অসভ্যতার প্রতিনিধিত্ব করে। বেঁচে থাকা মানে জাগা, জীবনের মানেও তাই! মানুষের জীবন বড় বেশি বিচিত্র ও কঠিন। মানুষের ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের শৈল্পিক কাঠামোর মধ্যে আছে অন্যরকম অনুভূতি। সেই অনুভূতি জাগ্রত হয় সময়ের ভয়ঙ্কররুপে! কঠিন আশ্রিত হয়ে।হানিফ করাতি ছিল এর উকৃষ্ট উদাহরণ। ঘোরের মধ্যে জীবন কাটিয়ে দেয়া মদ্যপ হানিফ করাতি স্ত্রী শাফিয়াকে হারিয়ে যখন জানতে পারে তার ছোট্ট মেয়ে বুড়ির উপর হারু ব্যাপারীর লোলুপ দৃষ্টির কথা, পিতা হিসেবে সেটা মেনে নিতে পারেনি মদ্যপ হানিফ করাতিও। হারু ব্যাপারী রক্তলোলুপ চোখের নেশার আগুনে সে নিজেই এক সময় দগ্ধ হয় সুন্দর দৃশ্যপটের মাধ্যমে।হানিফের বিবেক শক্তি জাগ্রত হওয়া হারুকে মেরে ফেলা। আমি ভেবেছি এ বুঝি তানিয়া- মারুফের জীবনের অন্তীম ঘটবে। কিন্তু না, চিন্তার বাইরে গিয়ে সমাপ্তি ঘটালেন লেখক উপন্যাসটি। #পাঠ_প্রতিক্রিয়াঃ সমাজের বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন লেখক এই উপন্যাসের মাধ্যমে। সম্পত্তির প্রতি আসক্তি চেনা মানুষগুলোকে নিমিষেই অচেনা করে দেয়, করে তুলে ভয়ঙ্কর রুপে! উপন্যাসে লেখক, নারীর অসহায়ত্ব ও নারীর প্রতি সমাজের যে অসভ্য চিন্তাভাবনা তা লেখক গাঢ়ত্বভাবে তুলে ধরেছেন। ছোট্ট বুড়িও বুঝতে পেরেছে মেয়ে হয়ে জন্ম নিতে গেলে পদে পদে অনেক অসঙ্গতির মুখোমুখি হতে হয়। তাই সে চায়নি তার মায়ের পেটের সন্তান মেয়ে হয়ে জন্মাক! আবার ছেলে জন্ম নিলেও যে সেই ছেলে অন্য কোনো মেয়ের বিপদের কারণ হবে তা ভেবেও সে আঁতকে উঠেছে। উপন্যাসে আরোও ফুটে ওঠে জীবনের জটিলতা, রহস্যঘেরা মানুষের অমানবিকতা। নারীর প্রতি পুরুষের বৈষম্যমূলক আচরণ ফুটিয়ে তুলতে লেখক দেখিয়েছেন এক অভিনব মুন্সিয়ানা। সমাজের অসংঙ্গতিগুলো লেখক নিপুণ ভাবে তুলে ধরেছেন। কোথায় যেন একটা ক্ষত, একটা অসম বিন্দু প্রতিনিয়ত অপরাধবোধের জন্ম দিয়ে যাচ্ছে অবিরত। সে অপরাধের ক্ষত শুকাতে লেখক দেখিয়েছেন আলোর পথও। জীবনঘনিষ্ঠ উপন্যাস এটি। প্রবহমান সময় ও সমাজ-অন্তর্গত জীবনের রূপকল্প। কাঠামোতে চেতনাপ্রবাহ কল্পনা ও স্বপ্নকে আশ্রয় করে কখনও গল্পের মেজাজে, কখনও কিছুটা ব্যক্তিগত প্রবন্ধের আঙ্গিকে, কিছুটা হয়তো বা জীবনধর্মী কবিতার ছেঁড়া ছেঁড়া আকুতি মিশিয়ে এগিয়ে গেছে গল্পের দৃশ্যপটগুলো। তবুও এর অন্তঃপ্রকৃতি, এর সমগ্র অবয়বে কিছু মানুষের হৃদয় যে বিপন্নতায় কাতর, মানুষের অন্তর্গত চেতনায় যে রয়েছে শোধন আর বঞ্চনার হাহাকার তা-ই তুলে ধরা হয়েছে এ উপন্যাসে। তবে কিছু অসঙ্গতি রয়েছে যেমন:- ১. লেখক শুরতে সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের কবিতার একটি লাইন উদ্ধৃত করেছেন যাতে কিছুটা ভুল আছে। 'মেঘ দেখে তোরা করিসনে ভয়' এর স্থলে 'মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয়' হবে। কারণ, কারো বক্তব্য কিংবা উক্তি বর্ণনা করলে তা অপরিবর্তিতভাবে উদ্ধত করতে হয়। ২. বুড়ির মা শাফিয়াকে কিছু দৃশ্যে শেফালী নামে উপস্থাপন করা হয়েছে। শুরুতে লেখক বুড়ির মায়ের নাম শাফিয়া বলে উল্লেখ করেছেন কিন্তু, পরের পেজেই তা আবার শেফালি হয়ে গেছে। এভাবে বেশ কয়েকটি জায়গায় শাফিয়া- শেফালী সংমিশ্রণ রয়ে গেছে। ৩. শব্দের গাঁথুনিতে রয়েছে কিছু ভুল। বানানে দুই-একটা ভুল ক্রটি রয়েছে যেমন: বৃস্টি, হী। তাবে তা খুব কম। সবশেষ বলি, আপরধের ঘা'য়ে ক্ষত বিক্ষত সমাজকে শুদ্ধ করতে 'মেঘেদের দিন' উপন্যাসটি উপমশ হয়ে থাকবে সমাজে। গ্রামের মেয়েদের সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকার যুদ্ধ। সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে বিরাজমান বৈষম্যমূলক দৃশ্যগুলোকে লেখক খুব নিপুণভাবে তুলে ধরেছেন। উপন্যাসের চরিত্রায়নগুলো লেখক সহজভাবে তুলে ধরেছেন এবং কাহিনী চমৎকারভাবে ব্যালেন্স করেছেন। প্রতিটি লাইন আমাকে মুগ্ধ করেছে। সমাজের চিন্তা ভাবনা পাল্টানোর জন্যে লেখক শেষ অংশে দেখিয়েছেন আলোর পথ। বই সম্পর্কিত তথ্য ✋ বই : মেঘেদের দিন লেখক : সাদাত হোসাইন প্রকাশনায় : অন্যপ্রকাশ প্রচ্ছদ : ধ্রুব এষ পৃষ্টা সংখ্যা : ৯৬ মুদ্রিত মূল্য : ২২৫ টাকা লেখক পরিচিতিঃ সাদাত হোসাইন জন্ম ১৯৮৪ সনের ২৯ শে জুন মাদারীপুর জেলায়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নৃবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর করেছেন। একজন জনপ্রিয় তরুণ লেখক, উপস্থাপক ও নির্মাতা হিসাবে পরিচিত জনসাধারণের কাছে।
Was this review helpful to you?
or
গল্পটা খুবি সাধারণ। ঢাকা থেকে বেড়াতে আসে গ্রামে। গ্রামে থাকে শত মামা- মামী। গল্পের শুরুটা বুড়ি কে নিয়ে। বুড়ির হাস হারিয়ে যায় সেটা খুজতে গিয়ে একশয়তান এর কবলে পড়ে তাকে রেপ করতে চায়... শেষে কি হয় পড়লেই জানতে পারবেন। ২য় কাহিনি নায়ক নায়কা কে নিয়ে। তারা গ্রামে এসে অবাক হয়ে যায়৷ মামা রা কেও আগের মত নেই। সবাই জেনো পরিবর্তন হয়ে গেছে। যতই গোল শত মামা। তারা পরিকল্পনা করে ২ জন কে মেরে সব সম্পত্তির নিজের নামে করে নিতে৷ শেষ পর্যন্ত কি তারা সফল হয় কি না সেটা জানতে পড়ে ফেলুন বইটি। বইটি গল্প খুব সাধারণ কিন্তু লেখা খুব ভাল। সাধারণ একটু গল্পকে লেখক সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। এটাই লেখকের বিশেষত্ব। বইটির দাম হাতের নাগালে। আগে বই গুলোর দাম খুব বেশি রাখলেও এটা সিমিত। আর গল্প যতটুকু লেখা দরকার তাত তুক লেখেছে। অজধা টেনে বড় করেনি। তাহলে আর দেরি নয় আজই কিনে ফেলুন সাহদাত এর সর্ব শেষ পাবলিশ হওয়া বই মেঘেদের দিনে।
Was this review helpful to you?
or
এই উপন্যাসে লেখকের সবচেয়ে বড় ভুল বুড়ির মায়ের নামোল্লেখে। শুরুতে বুড়ির সাথে কথোপকথনকালে লেখক তার মায়ের নাম শাফিয়া বলে উল্লেখ করলেও পরের পেজেই তা আবার শেফালি হয়ে গেছে। এরপর কয়েকবার শাফিয়া আর শেফালি আমার মাথা আউলাঝাউলা করে দিয়েছে। এটাকে খুব সম্ভবত প্রিন্টিং মিস্টেক বলে চালিয়ে দেয়া সম্ভব না। বাদবাকি সব ভালো লেগেছে। ভুল বানান খুব একটা নজরে আসেনি। সবশেষে যারা পড়েননি তারা পড়ে ফেলতে পারেন ছোট্ট এই উপন্যাসখানা।
Was this review helpful to you?
or
Super!!
Was this review helpful to you?
or
কনকনে শীতে "মেঘেদের দিন" বইটা পড়তে কেমন হবে ভাবতে ভাবতে পড়া শুরু করলাম আর কোন কিছু ভাবার আগেই হুট করেই বইটা শেষ হয়ে গেলো। সাদাত ভাইয়ের বড় সরবরের বই পড়ে এমন ছোট বইটা কেমন হবে সেটা নিয়ে একটু ভাবনা ছিল কিন্তু তিনি সেটা ভালো করেই পার করেছেন। মেঘেদের দিন আসলে মেঘেদেরদিন না- আসিম আধার রাতের শেষে চকচকে একটা রোদ্রুজ্জল দিনের আভাস। # সবশেষে আমার কাছে মনে হয়েছে বইটি যদি নাট্যরূপ (টেলিফ্লিম টাইফ) দেওয়া যায় তাহলে কেমন হবে-আমার ভালোই লাগবে। # অটোগ্রাফ সহ পেয়ে খুবই ভালো লেগেছে। ভালোবাসা আপনার জন্য সাদাত ভাই। আপনারও জীবন হউক মায়াময়।
Was this review helpful to you?
or
নতুন ফ্রক গায়ে দিয়ে ঘুরতে বের হয় ছোট একটি মেয়ে , নাম বুড়ি। নৌকায় করে ওপারে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বড়িকে ধর্ষন করতে চায় হারু বেপারী। হারু বেপারী হচ্ছে বুড়ির বাপের বন্ধু। কিন্তু প্রকৃতির কি নির্মম চাহিদা। ঘন কালো আকাশ যেন হারুকে জানান দিচ্ছিল তার দুর্গতি। ঠিক তখনই অই নদীতে নৌকায় করে যাচ্ছিল এক দম্পতি মারুফ ও তানিয়া। হারুর সব চেষ্টা ব্যার্থ হয় । সম্পত্তির জন্যে মারুফের আপন মামা মেরে ফেলতে চেয়েছিল মারুফকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কি আসলেই তার ইচ্ছা পূরণ হয়? নাকি পূরণ হয় হারু বেপারীর তানিয়া কে ধর্ষনের ইচ্ছা। সবই নিয়তির নির্মম পরিহাস বৈ কিছু নয়। সাদাত হোসাইনের এই উপন্যাসটি প্রকাশিত হয় এক পত্রিকায়। আমি লেখকের অনেক মোটা উপন্যাস গুলয় পড়লেও এটি ছিল প্রথম পড়া ছোট উপন্যাস। এটি পড়ে মনে হয়েছে লেখক ছোট উপন্যাস লেখতে পুরোপুরি সার্থক নন।
Was this review helpful to you?
or
মেঘেদের দিনের নামের মতোই সাদাত ভাইয়া এই উপন্যাসে মেঘেদের মতো মুগ্ধতা ছড়িয়ে যাবেন । এবং সবথেকে ভালো কথা হচ্ছে এবার মূল্যটাও সবার হাতের নাগালে, সবাই অবশ্যই বই কিনবে আশা করছি । মেঘেদের দিন তাদের অসাধারণ লাগবে এবং বই কেনাটাকে সার্থক মনে হবেই ।
Was this review helpful to you?
or
মেঘেদের দিন - সাদাত হোসাইন জনপ্রিয় লেখকের বই নিয়ে কিছু বলা বড়ই মুসকিলের ব্যাপার। একদল সবকিছুতেই ভাল তো অন্যদল বলবে খারাপ। কিন্তু অামি অতি সামান্য একজন পাঠক মাত্র। তাই চারপাশের অবস্থা বিবেচনা করে বইটি নিয়ে নিদারুণ দুটি কথা বলে গেলাম। বর্তমান সময়ে তরুণ পাঠকদের জনপ্রিয় মুখ কথাসাহিত্যিক সাদাত হোসাইন। অল্পকিছু সময়ে জনপ্রিয় কিছু বই লিখে দারুণ হয়ে উঠেছেন এই লেখক। এখন বই মেলা মানেই যেন সাদাত হোসাইন। অার ২০২০ বই মেলা উপলক্ষে অন্যপ্রকাশ থেকে প্রকাশ পেয়েছে জনপ্রিয় এই লেখকের মেঘেদের দিন বইটি। এ এক জীবনের গল্প। কোথাও জীবনের সমাপ্তি ঘটে অাবার কোথাও পরিস্ফুটিত হতে থাকে। গল্পের শুরু হয় দশ এগারো বছরের এক মেয়েকে কেন্দ্র করে। যে কিনা বাঁচতে চাই এই সমাজের পুরুষদের কালো থাবা থেকে। কিন্তু তাঁর মায়ের অনাগত সন্তান যেন পুরুষ হয় সেজন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে তার ছিল করুন অাঁকুতি। কিন্তু পুরুষ নিয়ে মেয়েটির এত ভয় কেন? কারণ তার বাবার বন্ধু একদিন জাপটে ধরেছিল তাকে। একমাত্র মায়ের ভরসাতে তার বেঁচে থাকার চেষ্টা। কিন্তু সন্তান জন্মদিতে মৃত্যু হয় মায়ের তাই সেও অাত্মঘাতি হয়। এদিকে যখন জীবন যুদ্ধে পরাজিত হয় এক মেয়ে তখনি বুড়ির গ্রামে বেড়াতে অাসা মারুফ অার মায়া জন্ম দিতে যায় অারেক জীবনের। বহু বছর পর মারুফ বেড়াতে অাসে মামা বাড়িতে। কিন্তু যখন এল তখন মামাদের চক্রান্তের শিকার হয়ে জীবন যেতে যেতে বেঁচে যায় মারুফের। অার মামার লালাসার হাত থেকে বেঁচে যায় ভগিনীপতি মায়াও। তারপর তারা শহরে ফিরে যায় অার শেষ হয়ে যায় এই গল্প। অামি নিতান্তই একজন পাঠক। ২০২০ বইমেলা অাসার অাগেই বইয়ের কয়েক মুদ্রণ। ঠিক খানিকটা সেই লোভেই পড়তে বসেছিলাম। কিন্তু লেখক অামাকে বড়ই হতাশ করেছেন। কিন্তু গল্পের মধ্য রয়েছে বর্তমান সমাজের বাস্তব চিত্র। হয়ত হতে পারতো অসাধারণ কোন গল্প কিন্তু লেখার ভাষায় রয়েছে বেশ অপরিপক্কতা।দূর্বল শব্দচয়ন এবং সাদামাঠা কাহিনী প্রবাহ যেন বইটিকে নিষ্প্রাণ করে দিয়েছে। যা লেখকের কাছে কখনোই কাম্য নয়। খুব সাধারণ এই গল্প যেন নিতান্তই অনিচ্ছায় লেখা। কি জানি এত মারাত্মক সব লেখা প্রকাশের পর তিনি এমন বই কেন লিখলেন! তবে কি সেগুলো অাসলেই মারাত্মক ছিল? সে যায় হোক ৯৬ পাতার এই বই ২২৫ টাকা মূল্যে কেনা ঠিক যেন পাঠকের পকেট ফাঁকা করা। লেখকের জনপ্রিয়তায় হয়তো এই বই হাজার হাজার সংখ্যা বিক্রি হবে। কিন্তু অামার মত যারা নিতান্তই না খেয়ে, পথ হেঁটে টাকা বাঁচিয়ে বই কিনেন তারা লেখক প্রকাশের বিজ্ঞাপনে বিভোর না হয়ে একটু যাচাই বাছাই করে বই কিনবেন।
Was this review helpful to you?
or
মেঘেদের দিনে-সাদাত হোসাইন বইয়ের দাম দেখে নেবার ইচ্ছা জাগছিল, যখন দেখলাম নায়কের নাম(ক্যাপশন পড়ে) আমার নামে, তখন কি আর না কিনে উপায় থাকে। সাদাত হোসাইনের যারা আমরা নিয়মিত পাঠক, তাদের অভ্যাস এমন যে আমরা তাঁর বই পড়ে, আবেগে উদ্বেলিত হব। কিছুক্ষন খোলা আকাশের দিকে চেয়ে থাকব। সেই কাজল কালো চোখের প্রেমে পড়ে থাকব। ছোট পরিসরে হবার দরুন তা ছিল না এতে। ঘটনা পরস্পরার দিকেই নজর ছিল বেশি। তবে মুল রহস্য অন্য জায়গায়। এই উপন্যাসটি আসলে অন্যদিন ঈদসংখ্যার জন্য। তাতে সাদাত হোসাইন যদি তাঁর সাধারণ ভঙ্গিতে লিখতেন তাতে এক ম্যাগাজিনে হত না। নিঃসন্দেহে। উপন্যাস টি উপভোগ্য। রোমান্সটাও। তিনি এক হিসেবে প্রেমের কাব্যিক হতে যাচ্ছেন দিনে দিনে। হয়তোবা ১০ বছর পরে হুমায়ুন আহমেদ এর মত কোন এক উপাধিও পেয়ে যেতে পারেন। বুড়ি চরিত্রটি সাংঘর্ষিক। বুড়ি তানিয়া এই সব চরিত্রের মাধ্যমে লেখক গ্রামীন পরিবেশের নিতান্ত সাধারন পরিবেশেও অনেক কিছু বলে গিয়েছেন।