User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
নতুন লেখকের বই কেনার সময় যে আশংকাটা বারবার মাথায় আসে, তা হল - টাকা খরচা করে এই বই কিনে ঠকছি না তো? পুরো টাকাটাই জলে যাবে না তো? "ম্যাগনাম ওপাস ও কয়েকটি গল্প'' নামক গল্পগ্রন্থ কিনবার সময় অবশ্য সেই আশংকা একটু কম হয়েছে আমার। ৮০ পৃষ্ঠার সীমিত কলেবরে ৬টি গল্প যেমন পড়তে বেশি সময় নষ্ট করবে না, তেমনি দাম মাত্র ৬৮ টাকা বলে পকেটের ওজনও খুব বেশি কমবে না। তার সাথে সাথে যদি দুই-একটা গল্প থেকে সাহিত্য রস আস্বাদন করা যায়, সেটা হবে উপরি পাওনা! মূলত এরকম 'আংশিক ইতিবাচক আংশিক নেতিবাচক' ধারণা নিয়ে বইটি কিনেছিলাম। তার কারণ, আমি ব্লগে নিয়মিত নই। তাই মাহবুব আজাদ যিনি নাকি 'হিমু' নামে সমধিক পরিচিত পাঠক মহলে, তার ব্যাপারে বা তার সাহিত্য প্রতিভার ব্যাপারে আমি একেবারেই অজ্ঞ ছিলাম। ফ্ল্যাপে লেখা কথাগুলো আমাকে খুব বেশি ভাবায়নি। তার কারণ ঐ একই যে ব্লগার হিমুর নামের সাথে আমি অপরিচিত। তবে একই ধরণের ফ্ল্যাপে লেখা কথা নতুন লেখকরা লিখতে লিখতে অনেকাংশেই তার মূলভাবটাকে পচিয়ে ফেলেছে। শতকরা ৯০ জনের মধ্যেই কিছুটা আত্মসমালোচনার মাধ্যমে আত্মতৃপ্তি প্রকাশের প্রবণতা দেখা যায়। কিছুটা নিজেকে ছোট করে দেখাতে চাইবার মাধ্যমে পাঠকের আকর্ষন অর্জনের দুরভিসন্ধিও থাকে বৈকি। মাহবুব আজাদ তার ফ্ল্যাপে লেখা কথার মাধ্যমে এই পুরনো ধারণা থেকে বের হতে পারেননি। বরং আমার ধারণাটিকে আরেকটু জোরালোই করেছেন। তবে এটিকে কেউ নেতিবাচকভাবে নেবেন না। এটি কেবলই আমার ব্যক্তিগত অভিমত। এবার গল্পগুলোর দিকে দৃষ্টিপাত করি। পুরনো বাড়িঃ গল্পের বিষয়বস্তু বেশ ইন্টারেস্টিং। কিছুটা নতুনত্ব বা অভিনবত্বের দেখা মিলেছে। গল্পের কাহিনী বর্ণনার কেন্দ্রে রয়েছে টুলু চরিত্রটি। স্মৃতিকাতরতার দিকটি যেমন এখানে বিশেষভাবে জায়গা করে নিয়েছে, তেমনি হাসান চরিত্রটির রহস্যময়তার জাল যেভাবে মনস্তাত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে ছাড়িয়েছেন লেখক, তাতে তার গল্প বলার মুনশিয়ানা বেশ ভালোভাবেই প্রকট হয়ে ওঠে। তাই গল্পের শেষেও বেশ কিছুক্ষণ গল্পের কাহিনীর আবেশ পাঠকের মনে থেকে যেতে ও তাকে ভাবাতে বাধ্য। তাই বইয়ের প্রথম গল্প হিসেবে এটিকে দারুণভাবে মানিয়ে গেছে। সেতু সঙ্কটঃ এই গল্পটাও স্বমহিমায় আবির্ভূত হবে পাঠকের চোখে। গল্পের আড়ালে লেখক কি কোন বার্তা দিতে চেয়েছেন? গল্প পড়ার ফাঁকে ফাঁকে সেটি নিয়েও ভাবতে বসতে হতে পারে। গল্পটি কেমন সেটা না হয় অন্যরা বিচার করুক। আমি একটা কথাই বল, লেখকের লেখা পড়ার এইটা ছিল আমার মাত্র দ্বিতীয় অভিজ্ঞতা। গল্পের কাহিনী ছাপিয়ে তাই আমার বারবার লেখকের লেখনীর উৎকর্ষতা এবং খানিকটা দুর্বলতার দিকটি মাথায় আসছিল। গল্পটা ভাল কিন্তু আরও ভাল হতে পারত। কিংবা কে জানে, আরও খারাপও হতে পারত! তোমার ঘরে বাস করে কারাঃ আড্ডায় কয়েকজনের কথাবার্তার মাধ্যমে এগিয়ে চলা গল্পের বর্ণনা বৈঠকি আমেজ আনবে। পাশাপাশি গল্পের যে বিশেষ বিষয়বস্তু রয়েছে, তা পড়তে খারাপ লাগবে না। লেখকের রসবোধের যথার্থ প্রকাশ কিছু কিছু পাঠককে চমকেও দিতে পারে। নিদপিশাচঃ গল্পের আইডিয়াটা বেশ চমৎকার। কিন্তু লেখকের গল্প বলার স্টাইলটা কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে এই গল্পে। বোধ হয় গল্পের নানা ধাপের যথাযথ প্রকাশে গিয়ে লেখক কিছুটা খেই হারিয়ে ফেলেছেন। তারপরও বিশেষ শ্রেনীর পাঠকের এই গল্পটা ভাল লাগবেই। আবার কেউ কেউ গল্প পড়ে নাও বুঝতে পারেন। তবে লেখকের চিন্তাধারার সাথে পাঠকের চিন্তাধারার মেলবন্ধন ঘটলে গল্পটা ভালোই লাগবে। বিলুপ্তিঃ ''আকাশে গুলির শব্দ মিলিয়ে গেলো কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে, যেভাবে এর আগে অনেকগুলি বছরে মিলিয়ে গেছে অনেক প্রতিশ্রুতির ধ্বনি, প্রতিধ্বনি ।'' পাঠকের মনোজগতে নাড়া দিতে এই একটি লাইনই যথেষ্ট। কিন্তু এরও আগে গল্পের আগাগোড়া যে কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে, তাতে গল্পটা যে অসাধারনের পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে, তা নিঃসংকোচে বলা যায়। গল্প মাত্রই রুপকথা নয়। বাস্তবতার প্রতিমুর্তিও হয়তোবা একদিন হয়ে উঠতে পারে এই গল্প। গল্পের পিছনে যে অসামান্য চিন্তাশক্তি ব্যয় করেছেন লেখক এবং এত সুন্দর একটা বাস্তব থিমকে গল্পের ভাষায় ফুটিয়ে তুলেছেন, তার প্রশংসা না করলেই নয়। ম্যাগনাস ওপাসঃ গোটা বইটাকে হয়ত 'ম্যাগনাস ওপাস' বলা অসম্ভব, তবে আগের গল্পটি প্রায় সেই মাপেরই। তবে এই গল্পটি আক্ষরিক অর্থে ম্যাগনাস ওপাস নয়। শুধু বিষয়বস্তু বিচারে ''ম্যাগনাস ওপাস'' নামটা ঠিকই আছে। এইখানেও মনস্তাত্ত্বিক খেলা খেলেছেন লেখক। গল্পকার আনিস চৌধুরির জীবনালেখ্য নিয়ে গড়ে ওঠা কাহিনী, তার পরিণতি এবং নাটাই হাতে গল্পের ঘুড়ি আর বাকি দুই চরিত্রকে যেভাবে আনিস চৌধুরি শাসন (কিংবা নিয়ন্ত্রন) করেছেন, সেটি আসলেই অদ্ভুত সুন্দর। সবমিলিয়ে বলতে চাই, আলোচ্য গল্পগ্রন্থটির লেখক নতুন হলেও, বইটি কেনার শুরুতে আমার মধ্যে যে আশংকার জন্ম হয়েছিল, তার ভ্রুন শেষ বিন্দু অব্দি মুছে গেছে বইটি পড়ে। গল্পগ্রন্থটি অসাধারণ হয়ত নয়। তবে অবশ্যই ভাল। মনস্ক পাঠককে বিনোদিত করার সব উপাদানই সামান্য পরিমাণে হলেও উপস্থিত। তাই যারা বইটি কিনতে চান তারা নির্দ্বিধায় কিনুন। ঠকবেন না।
Was this review helpful to you?
or
প্রথমেই বলব রিভিউ পড়ার আগেই ফ্ল্যাপে লেখা দারুন লেখাগুলো পড়ে নিন । আমি নিশ্চিত এতে আপনার প্রত্যাশা বেড়ে যাবে আর বইটি সম্পূর্ণ পড়ার পর সে প্রত্যাশা পূরণ ও হবে! বইটিতে মোট ছয়টি গল্প আছে।মজার ব্যাপার হল ছয়টি বই-ই সম্পূর্ণ ভিন্ন ধাচের। প্রথম গল্প "পুরনো বাড়ি"- গল্পটি আবর্তিত হয়েছে বালক টুলুকে ঘিরে। কাকশিকারে ব্যস্ত ছোট্ট শিকারী টুলু করবেট দস্যু বীরাপ্পনের চেহারার এক ডাকাতে লোককে তাঁর বাড়ির আঙ্গিনায়। টুলুর চোখে রহস্যময় লোকটিকে পাঠক ক্রমশঃ আবিষ্কার করে হাসান নামের এক স্মৃতিকাতর ব্যক্তির রুপে যে তের বছর কাটানো বাড়িটির প্রতি স্মৃতি কাতরতাইয় ভোগে !বিশ বছর পর স্মৃতির শহরে ফিরে যে খুঁজে পায়- কেবল কাকেরাই অপরিবর্তনশীল থেকে যায়।গল্পটি শেষে এক তীব্র বিষাদে আচ্ছন্ন করে টুলুকে সম্ভবত পাঠকদেরকে ও ! দ্বিতীয় গল্প " সেতু সঙ্কট"- আকারে ছোট, তবে দারুণ আকর্ষণীয়। গল্পটা অদ্ভুতই বলা চলে । ছোটগল্পের মোড়কে এক আধুনিক রুপকথা যেন। গল্পে উঠে আসে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অপশক্তির ব্যবহার। দুই রাজনৈতিক দল গল্প এগিয়ে যায় অপশক্তির বিরুদ্ধে । "তোমার ঘরে বাস করে কারা" গল্পে দেখা মেলে লেখকের চূড়ান্ত রসবোধের। সম্পূর্ণ ভিন্ন স্বাদের গল্প। গল্পের ভেতরের এক গল্পে চৌধুরী সাহেব, খান সাহেব আর সৈয়দ সাহেবকে বর্ণনা করতে থাকেন পর্যবেক্ষণ ক্ষমতার প্রয়োজনীয়তা। জনৈক ভুঁইয়ার পর্যবেক্ষণ ক্ষমতার স্বল্পতা আর তার ফলে পাড়ায় সৃষ্ট জটিলতার জট উন্মোচিত হতে থাকে আড্ডার মাঝ দিয়ে। সে জটিলতায় থাকে আক্কাস, মরিয়ম, মওদুদ, থাকে সুডোকু খেলা। রসবোধে এ গল্পে যে কোন লেখক মজা পাবেন বলা যায় । পরের গল্প "নিদপিশাচ"- ‘পরিতোষবাবুর মেয়ে স্বাগতকাকে কি আমি ভালবাসি?’ এমন লাইন দিয়ে যে গল্পের শুরু সে গল্পের প্রতি আকর্ষণ জন্মানোটা স্বাভাবিক ! এটা হতে পারে প্রতিবেশী ভিনধর্মী স্বাগতার প্রতি বুয়েট পড়ুয়া নাসিমের তীব্র শারীরিক আকর্ষণের গল্প, হতে পারে তন্ত্রসাধনা করা স্বাগতার পিতা পরিতোষবাবুর অন্যের মনের কথা বুঝবার ক্ষমতা নিয়ে একটি অতিপ্রাকৃত গল্প, হতে পারে ঘটনাক্রমে ছোট্ট শিশিতে বন্দী এক নিদপিশাচের মুক্ত হয়ে নাসিমের উপর ভর করার ভৌতিক গল্প। সংকলনের অন্যান্য গল্পের তুলনায় এ গল্পের প্রথমাংশের ভাষাও একটু যেন অস্থিতিশীল। কল্পনার ভাললাগা, বাস্তব ভাললাগায় পরিণত হবার গল্প ! এক অসাধারণ ছোটগল্প- "বিলুপ্তি"। সেরা গল্প। ২০৩৩ সালের টিভি নিউজ রিপোর্টার নাজনীন আর ক্যামেরাম্যান সাইফুলের গল্প। এক হঠাৎ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠা বৃদ্ধকে নিয়ে মিডিয়া আর রাজনৈতিক দলগুলোর মাতামাতির গল্প। সেই বৃদ্ধ- বাংলাদেশের শেষ জীবিত মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহমানের গল্প। সত্যিই কি এমন হবে? গল্পটি পরে এ ভাবনা আপনার মাথায় ঘুরবেই ! শেষ লাইনটি অসাধারণ ‘আকাশে গুলির শব্দ মিলিয়ে গেলো কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ,যেভাবে এর আগে অনেকগুলি বছরে মিলিয়ে গেছে অনেক প্রতিশ্রুতির ধ্বনি ,প্রতিধ্বনি ।‘ নাম গল্পটি - "ম্যাগনাম ওপাস"। রকিব ,রমা ও লেখক আনিস চৌধুরীর ত্রিভুজ কেমিস্ট্রি এই গল্পের উপজীব্য ।রমা ও রকিব নিজেদের মধ্যে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে ,কিন্তু মজার ব্যাপার হল নাটাইটা লেখক আনিস চৌধুরীর হাতে ,আর তার অদৃশ্য অঙ্গুলি হেলনে রকিব আর রমা দুজনেই জড়িয়ে পড়ে এক প্রহেলিকাময় সম্পর্কে ।তবে সবচে মজার ব্যাপার হল ,শেষ পর্যন্ত দুজনমানব মানবীর সনাতনী সম্পর্কের চাইতে নির্বাসিত লেখকের মহাকীর্তির রহস্যই শেষে প্রকট হয়ে ওঠে এ গল্প রকিব নামের বন্ধুহীন যুবকের, চা-য়ের দোকানে যার সাথে পরিচয় হয় পাঁচ বছর আগে সমালোচকদের কারণে অজ্ঞাতবাসে যাওয়া গল্পকার আনিস চৌধুরীর ও রমা নামের আকর্ষণীয়া যুবতীটির। আনিস চৌধুরী গল্পের জগতে ফিরে আসার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন তার শ্রেষ্ঠতম সৃষ্টি- তার ম্যাগনাম ওপাস রচনার পর। ।গল্পটি আদপেই অন্য গল্পগুলোর চেয়ে খানিকটা ব্যতিক্রম । বইমেলায় সেরা নবীন গল্পকার হিসেবে মাহবুব আজাদ তার “ম্যাগনাম ওপাস ও কয়েকটি গল্প” বইটির জন্য সিটিব্যাংক আনন্দ আলো পুরস্কার পেয়েছেন । তাই সব মিলিয়ে মাহবুব আজাদের "ম্যাগনাম ওপাস ও কয়েকটি গল্প " পড়ে আশাহত হবার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে ! :)
Was this review helpful to you?
or
সেরা নবীন গল্পকার “ম্যাগনাম ওপাস ও কয়েকটি গল্প” বইটির জন্য সিটিব্যাংক আনন্দ আলো পুরস্কার পাওয়া নতুন লেখক মাহবুব আজাদের ম্যাগনাম ওপাস ও কয়েকটি গল্প বইটির ফ্ল্যাপে লেখা কথাগুলো পরার পর খুব বেশি আশাবাদী ছিলাম না।কিন্তু বইটি পরার পর ধারনা পুরটাই পালটে গেলো।গল্পগ্রন্থটি মোট ছয়টি ছোট গল্পের সংকলন। প্রথম গল্প পুরোন বাড়ি। বইয়ের গল্পগুলোর মধ্যে সবচাইতে ভালো লাগার গল্প।ছোট্ট ছেলে টুলু কাকশিকারে ব্যস্ত।দস্যু বীরাপ্পনের চেহারার এক ডাকাতে লোককে সে দেখে তার বাড়ির আঙ্গিনায়।টুলুর চোখে ডাকাতে লোকটি আবিষ্কৃত হয় হাসান নামে এক ব্যাক্তিতে।যে বিশ বছর পর সে তার স্মৃতিকাতরতায় আসে সেই বাড়িতে যেখানে সে তের বছর কাটিয়ে গেছে।কিন্তু সে বুঝতে পারে সবকিছুই পরিবর্তনশীল। শুধু শৈশবের স্মৃতি ও কাকেরাই অপরিবর্তনশীল...একবুক কান্না নিয়ে হাসান নামের লোকটা ওলটপালট হতে থাকে টুলুদের মেঝেতে। পরের গল্প সেতু সঙ্কট। গল্পটি বর্তমান সময়ের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে রচিত। ব্যাঙ্গাত্মক ও রুপক গল্প এটি। সোজা দল আর উলটো দল কে নিয়ে গল্প আগায়। তৃতীয় গল্প তোমার ঘরে বাস করে কারা।গল্পটিতে লেখকের রসবোধের পরিচয় সুস্পষ্ট। চৌধুরী সাহেব,ভুইয়া সাহেব আর খান সাহেব সেই সাথে সৈয়দ সাহেবের পর্যবেক্ষণ ক্ষমতার প্রয়োজনীয়তা ও সল্পতার কাহিনী।তবে লেখকের সক্ষমতার বিচারে গল্পটিকে খানিকটা ক্লিশেই বলা চলে। পরের গল্প নিদপিশাচ।আক্ষরিক অর্থেই একটি অদ্ভুত গল্প । লাস্যময়ী স্বাগতাকে ঘিরে নাসিমের উদ্ভট কল্পনাকে ঘিরে গল্পের শুরু।হতে পারে এটি নাসিমের তীব্র শারীরিক আকর্ষণের গল্প।অথবা তন্ত্রসাধনা নিয়ে একটি অতিপ্রাকৃত গল্প।গল্পটির ভাষা অন্যান্য গল্পের তুলনায় দুর্বল এবং কাহিনী সবার বোধগম্য নাও হতে পারে। পঞ্চম গল্প বিলুপ্তি।অস্থিতিশীল আমাদের এই রাজনৈতিক সময়ের জন্যে একদম যথাযত।আমাদের জাতিগত অন্তসারশুন্যতাকে লেখক চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন।২০৩৩ সালের টিভি নিউজ রিপোর্টার নাজনীন ও ক্যামেরাম্যান সাইফুলের গল্প।এক হটাত বিখ্যাত হয়ে ওঠা বৃদ্ধকে নিয়ে মিডিয়া ও রাজনৈতিক দলগুলার মাতামাতি।হতে পারে এ এক অলীক সময়ের কাহিনী ,হতে পারে তা লেখকের কল্পনাপ্রসূত ,কিন্তু একদিন যে এরকম হবেনা ,তা কে বলতে পারে। গ্রন্থের শেষ গল্পটি ম্যাগনাম ওপাস। ম্যাগনাম ওপাস কোণো শিল্পীর সৃষ্ট কালজয়ী শিল্পকর্ম।রকিব ,রমা ও লেখক আনিস চৌধুরীর ত্রিভুজ কেমিস্ট্রি এই গল্পের উপজীব্য। রকিব ও রমার সম্পর্কের জটিলতা ও লেখক আনিস চৌধুরীর গল্পের শেষ জানতে এগোতে হয় গল্পের সাথে সাথে।কাহিনীর অভিনবত্বের কারণে নাম ভূমিকায় গল্পটির স্থান তাই যথার্থই হয়েছে । গল্পগ্রন্থটি পরে কেউ হতাশ হবেনা এবং পুরুস্কার টি যথাযথ প্রার্থী কেই দেয়া হয়েছে এ কথা অবলীলায় বলা যায়।