User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
একজন ভিনদেশির চোখে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ কেমন ছিল তা হয়তো আমরা অনেকেই জানি না । তাদের বইটি পড়া আবশ্যক । নিরপেক্ষ একজনের দৃষ্টিতে পাকিস্তানিদের অত্যাচার কেমন ছিল তা খুব সুন্দর রুপে তুলে ধরা হয়েছে এই বইয়ে।
Was this review helpful to you?
or
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কে সম্বৃদ্ধ করতে এজাতীয় তথ্য বহুল বই এর প্রয়োজন ।
Was this review helpful to you?
or
খুবই সুন্দর বই,তথ্যগুলো অথেনটিক
Was this review helpful to you?
or
বইটি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের একটি দলিল। আমি মনে করি ১৯৭১ সালের পরের প্রজন্মের এই ধরনের বইগুলো বেশি বেশি করে পড়া দরকার। মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক ভিনদেশিকে আমরা বন্ধু হিসাবে কাছে পেয়েছিলাম। তাদের মধ্যে কেউ সাহায্য করেছিল প্রত্যক্ষ ভাবে কেউ পরোক্ষ ভাবে। তাদেরই একজন হলেন সিডনি শ্যানবার্গ। দি নিউইয়র্ক টাইমস এর এই সাংবাদিকের কাছে বাংলাদেশের মানুষের অনেক ঋন আছে। আমরা অবশ্যই তার প্রতি কৃতজ্ঞ। ২৫শে মার্চের পাকিস্থানিদের চালানো গণহত্যার একজন প্রত্যক্ষ সাক্ষী সিডনি শ্যানবার্গ। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা বিদেশিদের অনেকগুলো বই আছে। সবগুলো পড়ার সৌভাগ্য আমার হয়নি। তবে যেকটি পড়েছি তারমধ্যে ডেটলাইন বাংলাদেশ : নাইন্টিন সেভেন্টিওয়ান বইটিকে বেষ্ট মনে হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় শ্যানবার্গ বাংলাদেশে অবস্থান করছিলেন তার পেশাগত দায়িত্বের কারনে। সেই সময় করা তার রিপোর্টগুলো নিয়েই করা হয়েছে এই বইটি। সিডনি শ্যানবার্গসহ কিছর সাহসী সাংবাদিকদের কারনে বাইরের দুনিয়া জানতে পারে নিষ্ঠুর সেই গণহত্যার কথা। নিজের চোখে দেখা নানা ঘটনা প্রতিবেদন হিসেবে পাঠিয়েছেন নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকায়। তার রিপোর্টগুলোর জন্যই বিশ্ববাসি জানতে পারে পাক বাহিনীর নির্মম হত্যাযজ্ঞের কথা। লক্ষ লক্ষ মানুষ শরণার্থী হয়ে আশ্রয় নিয়ে ছিল ভারতে, তাদের কথা। সিডনি তার রিপোর্টগুলো মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরে ছিলেন বিশ্ববাসীর সামনে। ডেটলাইন বাংলাদেশ : নাইন্টিন সেভেন্টিওয়ান বইটি অনুবাদের জন্যে অনুবাদক মফিদুল হককে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিদেশিদের লেখা বইগুলো অবশ্যই বাংলায় অনুবাদ হওয়া জরুরী। কারন তাহলেই আমরা বুঝতে পারবো বিদেশিরা কি ভেবে ছিল আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে।
Was this review helpful to you?
or
বাঙ্গালী হিসেবে আমাদের জীবনের সাথে মিশে আছে মুক্তিযুদ্ধ । মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী পড়েনি এমন বাঙ্গালী বইপ্রেমী আছে কি?? যদি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে জানতে সত্যিই আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে আর দেরী কেন? পড়ে ফেলুন এই বইটি ! বাঙ্গালী নন এমন কারো চোখে কেমন ছিল মুক্তিযুদ্ধ তা এত পরিষ্কারভাবে জানার সুযোগটা বোধহয় হাতছাড়া করা ঠিক হবে না!! বলে রাখা ভাল বইটিকে একটি সাধারণ গল্পের বই ভাবলে ভুল করবেন । আসলে একজন বিদেশী সাংবাদিকের লেখা মুক্তিযুদ্ধের উপর অসংখ্য খন্ড খন্ড প্রতিবেদনের সংকলন এ বইটি। তাই বইতে যে অনেক না জানা বাস্তবতা উঠে আসবে তা না বললেও চলে।। বইটির লেখক সিডনি শনবার্গ ছিলেন নিউ ইয়র্ক টাইমসের একজন সাংবাদিক। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি বাংলাদেশে ছিলেন। ছিলেন হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে। সেখান দিয়েই তিনি দেখেন ইতিহাসের এক ভয়ানক হত্যাকান্ড ।১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ এর হত্যাকান্ড তিনি খুব কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করেন। তিনি পুরো যুদ্ধকালীন সময়ে মুক্তিযুদ্ধের উপর অসংখ্য খন্ড খন্ড প্রতিবেদন পাঠান যার অধিকাংশ ছিল শরণার্থী বিষয়ক। নিজের চোখে দেখা নানা ঘটনা প্রতিবেদন হিসেবে পাঠিয়েছেন নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকায়। তার প্রতিবেদন পড়ে পুরো বিশ্ব জানতে পারে পাক বাহিনীর নির্মম হত্যাযজ্ঞ এবং ভারতে অবস্থিত শরণার্থীদের অবস্থা ! তাই আমাদের মুক্তিযুদ্ধ বহির্বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে তার অবদান অনেক তা বোঝা যায় বইটি পড়লে । আর কোন বিকৃতি নেই বলেই ধরে নেয়া যায় । “ডেটলাইন বাংলাদেশ : নাইন্টিন সেভেন্টিওয়ান’’ বইটিকে বাংলায় অনুবাদ করার জন্য ধন্যবাদ মফিদুল হককে । এমন সারেজমিন প্রতিবেদন বাংলায় পড়তে পারলে জানতে পারবেন অনেক কিছুই। তাই মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সঠিক কিছু তথ্য পেতে সংগ্রহ করে পড়ে ফেলুন “ডেটলাইন বাংলাদেশ : নাইন্টিন সেভেন্টিওয়ান’’ বইটি ।।
Was this review helpful to you?
or
'book review compitition' somporke porte giye je boitir kotha sobar age mone porlo setie amar adorsho,amar pora boigolor moddhe sobcheye sera boi....mostaque ahamed-er lekha science fiction book 'robo'.. science er kono boi je ato maya momotai jorano thakte pare ta ai boi na porle boja muskil.ai golper main coritro 'robo' je kina akti robot.apnara keo ki kokhono kolponateo vabte paren,akti robot jar kina kono anuvoti nei ,se manusher sarthe,somajer sarthe nijer jibon othsorgo kore dibe???of course ati dharonar urdhe..ai boitite jamon manusher sarthoporotar ollekh ase,tamoni ollekh ase valobashar.boitir sobkoiti lekha atota abeg diye lekha je valo na lege upai nei.aneker dharona je science fiktion er boi mane science er sokol mojar boi..kintu science eo je abeg ase,valobasha ase ta ai boi na porle bojben na. boiti jara poresen tader kamon laglo ba legese ta ami janina.kintu ami akhono jokhon boiti pori,jani na kamon kore chokh diye toltol kore pani ase.mone mone vabi, akjon roboter manusher proti ato valobasha kivabe thakte pare?? akhonow vabci...akjon lakhok ato abeg diye,ato valobasha diye akta science fiktion er boi kivabe sompurno korte paren??? haire! ao somvob?
Was this review helpful to you?
or
ডেটলাইন বাংলাদেশঃ নাইনটিন সেভেনটি ওয়ান- বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন রিপোর্টাজ সংকলন। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ একটি দলিল। মফিদুল হক বাংলায় অনুবাদ করেছেন এ বইটি। মূল বইটির লেখক সিডনি শনবার্গ, নিউইয়র্ক টাইমসের বৈদিশিক সংবাদদাতা। তিনি যখন ১৯৭১ সালে বৈদেশিক দায়িত্ব নিয়ে প্রথমবার দিল্লী আসেন, তখনই শুরু হয় আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। এ বইটার গুরুত্ব বোঝাতে শুধু এটুকু তথ্যই যথেষ্ঠ যে, ২৫ মার্চের হত্যাযজ্ঞ বিশ্ববাসীর সামনে উন্মোচিত হয় সে সব রিপোর্টারের মাধ্যমে-শনবার্গ তাঁদের অন্যতম। ১৯৭১ এর মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ন'মাসের রিপোর্ট একত্র করে বইটি প্রকাশ করা হয়েছে। সংযোজিত রিপোর্টের কয়েকটি: মার্চ ২৭- পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক আক্রমণ অভিযান। মার্চ ২৮- পূর্ব পাকিস্তানে ট্যাংকের বিরুদ্ধে লাঠি-বর্শা। এপ্রিল ৭- পূর্বপাকিস্তান ছেড়ে আসা বিদেশীরা বলছে ভয়ংকর লড়াইয়ের কথা। এপ্রিল ১৩-তছনছ অর্থনীতি । এপ্রিল ১৩- আটক বাঙ্গালি অফিসারের ভয়ংকর প্রহরগুলি। এপ্রিল ১৪- গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাঙ্গালিরা। যুদ্ধের নরকযন্ত্রণা পোহাচ্ছে কেবল একপক্ষই। মে ২১- ভারতে বাঙ্গালি শরণার্থীদের দুর্দশা। জুন ২৫- সেনা অভিযানের তিন মাস পরও ঢাকা ভীতগ্রস্থ। জুন ২৯- পূর্ব পাকিস্তানের শহরে সেনাবাহিনীর সন্ত্রাসের লক্ষ্য হচ্ছে হিন্দু জনগণ। জুলাই ৪-বিদেশী বাহিনী চাপিয়ে দিচ্ছে স্বীয় কর্তৃত্ব। জুলাই ১৪- বাঙ্গালি দমনের নীতি অনুসরণ করছে পশ্চিম পাকিস্তান। সেপ্টেম্বর ১২-সৈন্যদের হত্যা,লুন্ঠন অগ্নিসংযোগ অব্যাহত। সেপ্টেম্বর ২৯- ভারতে শরণার্থী শিশু: হাজারে হাজারে মৃৃত্যু। অক্টোবর ১০- গেরিলা এলাকায় জীবন ফিরে পাচ্ছে পূর্ব পাকিস্তানি শহর। অক্টোবর ১১- বাঙ্গালিদের জন্য অস্ত্রের চালান আসছে কলকাতায়। ডিসেম্বর ৮-মুক্ত যশোর: বাঙ্গালিদের আনন্দনৃত্য। ডিসেম্বর ১১-বড় কথা হচ্ছে পাকিস্তানিদের প্রতি ঘৃণা। ডিসেম্বর ১৬-ঢাকা অভিযানের শেষপর্ব: একক টেবিলে দুজন মানুষ। ডিসেম্বর ২০- যুদ্ধ সংবাদদাতার নোটখাতা। রিপোর্টগুলোতে রয়েছে সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ, উদ্বৃতি, আন্তর্জাতিক বিবেককে জাগানোর প্রয়াস। বইটিতে পাবেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন রণক্ষেত্র-সীমান্ত হতে আন্তর্জাতিক মহল সর্বত্র স্বচ্ছ বর্ণনা। যা আপনাকে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন, ১৯৭১এর মার্চ হতে ডিসেম্বর-নয় মাসের যুদ্ধের একটি বিশ্বাসযোগ্য চিত্র এবং বুঝতে সহয়তা করবে তখনকার আন্তঃরাষ্ট্রীয় প্রেক্ষাপট। সেই সাথে রয়েছে সিডনি শনবার্গের একটি ছবিও। সবচেয়ে বড় কথা, ১৫০ পৃষ্ঠার বেশ ভাল মানের বইটির দাম মাত্র ১০০ টাকা! ডিসকাউন্ট তো আছেই!
Was this review helpful to you?
or
প্রথমত ধন্যবাদ মফিদুল হককে তার এই অসাধারণ কাজটি করার জন্য। অসাধারণ কাজ বলতে বুঝাতে চাচ্ছি ''ডেটলাইন বাংলাদেশ ১৯৭১'' বইটিকে বাংলায় অনুবাদের কাজটিকে। কারণ তার এই কাজের মাধ্যমে অনেক বেশি বাংলাদেশীর পক্ষে সম্ভব হয়েছে বইটি পড়া। ইংরেজি বইটি অনেকেই পড়তে পারেনি যার কারণ সবাই-ই বুঝতে পারছেন। কিন্তু বইটিকে বাংলায়ন করায় অনেক বাংলাদেশীর সামনে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বইটিকে পড়ার। শুধু বইটিকে অনুবাদের উদ্যোগ নেয়াতেই একরাশ শুভেচ্ছা মফিদুল হককে। তবে আরও খুশি হতাম যদি অনুবাদের মান আরেকটু ভাল হত। আমি বলতে চাচ্ছি না যে অনুবাদ ভাল হয়নি। কিন্তু ভালোর তো কোন শেষ নেই, তাই না? এইবার বলা যাক মূল বইটার ব্যাপারে। লেখক সিডনি শ্যানবার্গ যিনি ছিলেন নিউ ইয়র্ক টাইমসের একজন সাংবাদিক। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকেই তিনি বাংলাদেশে অবস্থান করেছেন। নিজের চোখে দেখা নানা ঘটনা সরেজমিন প্রতিবেদন হিসেবে পাঠিয়েছেন নিজের পত্রিকায়। নিউ ইয়র্ক টাইমসে সেগুলো প্রকাশ হলে সারা দুনিয়ার মানুষ বুঝতে পেরেছে বাংলাদেশে সংগঠিত মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহতা। সিডনির কলমের ছোঁয়ায় ফুটে ওঠা মুক্তিযুদ্ধের বাস্তব চিত্র ধরা দিয়েছে বিশ্ববাসীর চোখে। এইসব প্রতিবেদন যেমন বিশ্ববাসীকে জানিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধ, পাক বাহিনীর নির্মমতা আর শরনার্থী শিবিরের মানুষদের অসহায়তা; তেমনি অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে গোটা বিশ্বের রাষ্ট্রসমূহকে বাংলাদেশের প্রতি সহমর্মি হয়ে তার পাশে এসে দাঁড়াতে। আর এইসব প্রতিবেদনেরই সংকলন এটি। এর গুরুত্ব অনেক। কারণ এই গ্রন্থে স্থান পাওয়া প্রতিবেদনগুলোর ঘটনাগুলো রচনার দিনই ঘটেছে, যেমনটা সব পত্রিকার প্রতিবেদনে হয়ে থাকে। তাই এখানে তথ্য বিকৃতি বা কোন অযাচিত ভুলের সম্ভাবনা নেই। আরও একটা কারণ হল এর রচয়িতা কোন বাংলাদেশী না। কথিত আছে, বাঙালির জীবনের সাথে মুক্তিযুদ্ধ এতটা বেশি জড়িত যে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লিখতে গিয়ে অনেক বাঙালি মূল ঘটনার চেয়ে আবেগকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে সিডনি তুলে ধরেছিলেন সেসবই, যা তিনি নিজ চোখে প্রত্যক্ষ করেছিলেন। আর সে কারণে আলোচ্য বইটিতে স্থান পাওয়া প্রতিবেদনগুলো হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একটি বিশ্বাসযোগ্য প্রামাণ্য দলিল। আর পরবর্তিতে সেই সকল প্রতিবেদন যখন দুই মলাটে আবদ্ধ হয়েছে, তখন সেই বইয়ের মহিমা যে কতখানি তা বোধ করি বলবার অপেক্ষা রাখে না। পরিশেষে একটা কথাই বলব, মুক্তিযুদ্ধকে যারা ভালো করে জানতে ও বুঝতে চান, তাদের জন্য এই বইটি অবশ্য পাঠ্য। এবং অবশ্যই সংগ্রহে রাখবার মত একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
সিডনি শ্যানবার্গ ছিলেন দি নিউইয়র্ক টাইমস এর একজন সাংবাদিক। তিনি ১৯৩৪ সালের ১৭ই জানুয়ারী আমেরিকার ক্লিনটন মাসাচুয়েটস এ জন্মগ্রহন করেন ।১৯৫৯ সালে তিনি দি নিউইয়র্ক টাইমস এ যোগদেন। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চএর হত্যাকান্ড তিনি খুব কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করেন। সে সময় তিনি ছিলেন হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে। হোটেলের জানালা দিয়ে তিনি দেখেন ইতিহাসের এক ভয়ানক হত্যাকান্ড । তিনি পুরো যুদ্ধকালীন সময়ে মুক্তিযুদ্ধের উপর অসংখ্য খন্ড খন্ড প্রতিবেদন পাঠান যার অধিকাংশ ছিল শরণার্থী বিষয়ক। তার প্রতিবেদনে পুরো বিশ্ব জানতে পারে পাক বাহিনীর নির্মম হত্যাযজ্ঞ এবং ভারতে অবস্থিত শরণার্থী দের অবস্থা ।তার অসংখ্য প্রতিবেদনের একটি নির্ববাচিত সংকলন এই বই।
Was this review helpful to you?
or
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিদেশীদের লেখা খুব কম বই এই আমাদের সাধারণত পড়া হয়। তাই আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা নিয়ে বিদেশীদের ধারনা ও অভিজ্ঞতা আমরা জানিনা ভালো করে।এবং এর প্রধান ও অন্যতম কারন হল বিদেশীদের রচিত বইগুলোর অনুবাদ এর স্বল্পতা। এ কারনে সিডনি শনবার্গ এর ডেটলাইন বাংলাদেশ : নাইন্টিন সেভেন্টিওয়ান বইটি অনুবাদের জন্যে অনুবাদক মফিদুল হককে ধন্যবাদ। তার এই প্রচেষ্টার কারনে আমরা কিছুটা হলেও জানতে পারছি। লেখক সিডনি শনবার্গ ছিলেন নিউ ইয়র্ক টাইমসের একজন সাংবাদিক।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকেই তিনি বাংলাদেশে অবস্থান করেছেন।১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চএর হত্যাকান্ড তিনি খুব কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করেন।সে সময় তিনি ছিলেন হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে। মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময় তিনি খন্ড খন্ড প্রতিবেদন রচনা করেন গণহত্যা,পাক বাহিনীর অত্যাচার ও শরণার্থী বিষয়ক। অধিকাংশই ভারতে বাংলাদেশী শরণার্থী সম্পর্কিত। তার এই প্রতিবেদন নিউইয়র্ক টাইম্স এ তিনি পাঠাতে থাকেন।এবং নিয়মিত প্রকাশিত হতে থাকে যার কারনে বহির্বিশ্ব মুক্তিযুদ্ধে পাক বাহিনীর ভয়াবহতা সম্পর্কে জানতে পারে। তাই তার এই প্রতিবেদনগুলো বিশ্বের বাকি রাষ্ট্রসমূহকে বাংলাদেশের প্রতি সহমর্মি হয়ে তার পাশে এসে দারানোর সহায়ক হিসাবে ভুমিকা পালন করে। এবং এই প্রতিবেদন এর ঘটনাগুলো রচনার দিনই ঘটেছে।তাই এখানে তথ্য বিকৃতি বা কোন অযাচিত ভুলের সম্ভাবনা নেই।প্রতিবেদনগুলো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একটি বিশ্বাসযোগ্য প্রামাণ্য দলিল। তাই দেশপ্রেমী ও বইপ্রেমী প্রতিটি বাংলাদেশীরই উচিত বইটি পড়া ও সংগ্রহে রাখা।