User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
‘দ্য গ্র্যান্ড ডিজাইন; জীবনের চূড়ান্ত জিজ্ঞাসার নতুন সমাধান’ বিশ্বের সবচেয়ে পরিচিত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং ও তার সহলেখক বিজ্ঞানী লিউনার্ড ম্লডিনাও এর লেখা বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় একটি বই । স্টিফেন হকিং কে আমরা সকলেই চিনি , তিনি আইনস্টাইন পরবর্তী সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক । তিনি দুরারোগ্য স্নায়ুরোগে আক্রান্ত , তিনি চলাচল ও বাকশক্তি হারানো সত্বেও চিন্তাশক্তি দিয়ে এখনো গুরুত্বপুর্ন ও জটিল বিষয় সমুহ নিয়ে গবেষনা করে যাচ্ছেন । তার লেখা এই বইটি বিভিন্ন দেশে অনুবাদ করা হয়েছে । বাংলাতে অনুবাদ করেছেন নুর মোহাম্মদ কামু ও ড গোলাম মোরশেদ খান । বইটি ২০১১ সালের আগস্ট মাসে প্রকাশিত হয় সন্দেশ প্রকাশনী থেকে এবং প্রকাশক লুতফর রহমান চৌধুরী । বইটির প্রচ্ছদ ডিজাইন করেছেন বিপ্লব দেব । স্টিফেন হকিং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতশাস্ত্রের লুকাসিয়ান অধ্যাপক পদে ত্রিশ বছর অধিষ্ঠিত ছিলেন, অসংখ্য পদক এবং সম্মানে ভূষিত এবং অতি সম্প্রতি ‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম’ সম্মানে ভূষিত। সাধারণ পাঠকদের জন্য তাঁর লেখা অন্যান্য বইগুলোর মধ্যে আ ব্রিফ হিস্টোরী অব টাইম, ব্লাকে হোলস এণ্ড বেবি ইউনিভার্সেস এন্ড আদার এসেজ , দ্য ইউনিভার্স ইন আ নাটসেল এবং ব্রিফার হিস্টোরী অব টাইম উল্লেখযোগ্য । তিনি ইংল্যান্ডের কেমব্রিজে বসবাস করছেন। পৃথিবীতে মানুষের সবচেয়ে মৌলিক প্রশ্ন সম্ভবত নিজের অস্তিত্ত্ব নিয়েঃ আমরা কোথা থেকে এসেছি, কোথায় যাবো, আমাদের জীবনের তাৎপর্য কী? সভ্যতার শুরু থেকে মানুষ এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে এসেছে ।বিশ্বখ্যাত তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং এবং ক্যালটেক পদার্থবিদ লেনার্ড মিলাডনো তাদের এই বইটিতে বিশ্ব সৃষ্টি নিয়ে কিছু চমকপ্রদ তথ্য এবং মতামত প্রকাশ করেছেন ।যেহেতু তারা বিজ্ঞানের মানুষ, তাই স্বভাবতই বইটিতে শুধু বিজ্ঞানের কথাই আছে, কারো মনগড়া কোনো বিশ্বাসের কথা সেখানে নেই । অসাধারন তথ্যবহিল বইটি আগ্রহী পাঠকদের নিকটে দারুন লাগবে ।
Was this review helpful to you?
or
পৃথিবীতে মানুষের সবচেয়ে মৌলিক প্রশ্ন সম্ভবত নিজের অস্তিত্ত্ব নিয়েঃ আমরা কোথা থেকে এসেছি, কোথায় যাবো, আমাদের জীবনের তাৎপর্য কী? সভ্যতার শুরু থেকে মানুষ এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে এসেছে ।বিশ্বখ্যাত তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং এবং ক্যালটেক পদার্থবিদ লেনার্ড মিলাডনো তাদের এই বইটিতে বিশ্ব সৃষ্টি নিয়ে কিছু চমকপ্রদ তথ্য এবং মতামত প্রকাশ করেছেন ।যেহেতু তারা বিজ্ঞানের মানুষ, তাই স্বভাবতই বইটিতে শুধু বিজ্ঞানের কথাই আছে, কারো মনগড়া কোনো বিশ্বাসের কথা সেখানে নেই ! একটি যুক্তি দিয়ে ঈশ্বরকে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করা হয় ।হকিং বলছেন, ঈশ্বরকে না এনে কিভাবে বিশ্ব সৃষ্টি ব্যাখ্যা করা যায় সেটাই তাদের এই বই এর উদ্দেশ্য ।বিশ্ব সৃষ্টি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত দেওয়ার আগে হকিং এবং মেলাডনো বেশ কয়েকটি অধ্যায় ব্যয় করেছেন কোয়ান্টাম মেকানিক্স এবং কজমোলজির বিভিন্ন বিষয়গুলি বুঝানোর জন্যে । একেবারে শেষ অধ্যায়ে (যেটির নাম বইয়ের নামে – দি গ্র্যান্ড ডিজাইন) একটা ছোট গেইম এর মাধ্যমে দেখানোর চেষ্টা করেছেন কিভাবে কিছু সাধামাটা নিয়ম এবং সূত্র থেকে অনেক জটিল বস্তু তৈরি হতে পারে ।এর উদ্দেশ্য ছিলো এটা বুঝানো যে কয়েকটি সাধারণ তত্ত্ব/সূত্র থেকে এই মহাবিশ্বের সৃষ্টি হতে পারে এবং সেখান থেকে মানুষের মতো জটিল জীবের আবির্ভাব হতে পারে যারা এধরণের জটিল প্রশ্ন করতে পারে – আমাদের সৃষ্টির উদ্দেশ্য কী? বইটি প্রকাশ হওয়ার পর সিএনএন এর ল্যারি কিং স্টিফেন হকিং এর একটি সাক্ষাতকার নেয় ।সেখানে তাকে ল্যারি সরাসরি জিজ্ঞেস করেন– “আপনি কি ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন”? “ঈশ্বর থাকতে পারেন, তবে বিশ্বসৃষ্টি ব্যাখ্যা করার জন্যে আমাদের তাঁকে প্রয়োজন নাই” –এটা ছিলো হকিং এর উত্তর ।