User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
First part is more interesting
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামঃ ঢাকা স্মৃতি বিস্তৃতির নগরী (২য় খণ্ড)। লেখকঃ মুনতাসীর মামুন। পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ২৬৪ প্রচ্ছদ শিল্পীঃ হাশেম খান। প্রকাশকঃ মনিরুল হক (অনন্যা প্রকাশনী) ঢাকা। ৪০০ বছরের পুরনো রাজধানী। সুবেদের ইসলাম খাঁ ১৬১০ সনে তৎকালীন সুবে বাংলার রাজধানী স্থাপন করেন ঢাকায়। সেই থেকে শুরু। আজও সেই চলার ধারা অব্যহত। গুঁটি গুঁটি পায়ের এই সময় পরিক্রমা কিন্তু মোটেও মসৃণ ছিল না। কত যে উত্থান-পতন, ঘাত-সংঘাত, আনন্দ-বেদনা, গৌরব-হতাশার কাহিনী মিশে আছে ঢাকার প্রতিটি ধূলিকণায়, কত যে বর্ণীল ঢাকার প্রতিটি গাছের পাতায় অংকিত নানান রঙের ছবিগুলি, তা হয়ত বর্ণনা করা যাবে না। তা অনুভব করে নিতে হবে। এতদসত্ত্বেও যে কোন প্রাচীন নগরীর কিছু ঐতিহাসিক দলিল থাকা দরকার। এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধিরা তাদের নগরীর ঐতিহ্য, গৌরব, জৌলুস, ইত্যাদি সম্পর্কে অবগত হতে পারবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন সেই লক্ষেই কাজ করে গেছেন নিরলসভাবে এবং সেই প্রয়াসের ফসল হল এই বই। এর আগে ১৯৯৩ সালে ঢাকাঃ স্মৃতি বিস্তৃতির নগরী বইটি প্রকাশিত হয়েছিল। তখন অক্ষর ক্রমিক অনুসারে ভুক্তির সংখ্যা ছিল ২৯৮ টি। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে পরিবর্ধন-পরিমার্জন করতে গিয়ে এর ভুক্তির সংখ্যা দাঁড়ায় ৩২৪ টি। পরিবর্ধনের এই ধারা অব্যহত রাখতে গিয়ে, এবং রাজধানী ঢাকার ৪০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তিনি নতুন এক খণ্ড হিসেবে বইটি প্রকাশ করেন।বর্তমানে পুরনো পরিবর্ধিত সংস্করণটি ১ম খণ্ড, এবং নতুন সংস্করণটি ২য় খণ্ড হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বর্তমান সংস্করণটিতে ভুক্তির সংখ্যা ৪৪৪। প্রতিটি ভুক্তিতে নির্দেশিকার ক্রমিক দেওয়া আছে। প্রথম ২০০ পৃষ্ঠা পর্যন্ত গ্রন্থপঞ্জি, অক্ষরক্রম অনুসারে সাজানো আছে। প্রতিটি বিষয়ে যে সব তথ্য পাওয়া গেছে তাই দিয়েই বইটি সাজানো। এর প্রভাব পড়েছে ভুক্তিগুলির কলেবরের উপর। দেখা গেছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কম তথ্য থাকলেও অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অধিক তথ্য দেওয়া আছে। ঢাকা শহরের বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তি, রাস্তা, এলাকা, প্রতিষ্ঠান, ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি, স্থাপত্য, ইত্যাদি বিষয়ে তথ্য ও পর্যাপ্ত ছবি দেওয়া হয়েছে বইটিতে। এটি আসলে এক ধরনের কোষগ্রন্থ। সুতরাং এর ভুক্তির বিষয়বস্তুর অভাব নাই। কিন্তু বইটির দুই খণ্ড মিলিয়ে প্রধানত ঢাকার ঊনবিংশ শতাব্দীর সিংহভাগ এবং বিংশ শতাব্দীর কিছু ঘটনাবলী ফুটে উঠেছে। যে সকল পাঠক ঢাকার ইতিহাস নিয়ে আগ্রহী, তারা বইটি সংগ্রহ করবেন আশা করি।