User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
পাঁচ মিশালী বিজ্ঞানের বই একটা। নাঈম হোসেন ফারুকীর বিজ্ঞানে অজ্ঞান। এটা লেখকের প্রথম বই। পড়ে কিন্তু বোঝা যাবে না অতটা। লেখার মধ্যে পরিপক্কতার ছাপ স্পষ্ট। লেখকের যেকোনো বইয়ের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ আমার কাছে যেটা মনে হয়, গল্পে গল্পে বোঝানো। এই জিনিসটা বাজারের আর দশটা বিজ্ঞানের বইয়ে হয়ত পাওয়া যাবে না। গেলেও সে গল্পগুলো এতটা স্মুথ হবে না। গল্পে গল্পে সিরিয়াস সব জিনিসপত্র ভেঙ্গে বুঝিয়েছেন লেখক। এই কাজটা সহজ তো নয়ই, বরং ভয়ঙ্কর কঠিন। কখনো প্রশ্ন রেখেছেন, ভাবিয়েছেন পাঠককে। যারা সায়েন্সভোঞ্চার আর মিনি মন্সটার্স পড়েছে, তারা কিছু ব্যাপার কমন পাবে। তাছাড়া ফিজিক্সের নাম করা কিছু টপিক বলতে গেলে গণিত ছাড়াই সোজা বাংলায় বুঝানো হয়েছে, ডিপ থেকে। বাংলাদেশের একটা গবেষণাকেন্দ্র, যেখানে গরুর কৃত্রিম প্রজনন নিয়ে কাজ করা হচ্ছে, সেখানকার গল্প আছে। আরো আছে জীবজগতের অদ্ভুত, ভয়ানক শক্তিশালী কিছু প্রাণীদের কথা। তবে আমার কাছে বইয়ের সেরা অংশ কনশাসনেস সিরিজ। ব্রেইনস্টর্মিং জিনিসপত্র। তার আগে আবার পাঠককে প্রাচীন পৃথিবী থেকেও ঘুরিয়ে এনেছেন লেখক। কার্বোনিফেরাসের দানব পোকাদের দেশ থেকে। দেখিয়েছেন সাগর দানোর ভয়। শেষের চ্যাপ্টারটার কথা মাথা থেকে বেরোতে চাচ্ছে না। ঐরকম একটা সিচুয়েশন আমার জন্য চিন্তা করা খুব কঠিন। মায়াবী। লেখক বিজ্ঞান নিয়ে হোক, বা তার ব্যক্তিগত অনুভূতিগুলো নিয়ে হোক, সমস্ত যত্ন ঢেলে লিখতে জানেন। এই বইটা বিজ্ঞানের প্রতি ভালোবাসা বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ। সবশেষে, বিজ্ঞানের সৌন্দর্য অনুভব করতে চাইলে, পড়তে হবে বিজ্ঞানে অজ্ঞান।
Was this review helpful to you?
or
পাঁচ মিশালী বিজ্ঞানের বই একটা। নাঈম হোসেন ফারুকীর বিজ্ঞানে অজ্ঞান। এটা লেখকের প্রথম বই। পড়ে কিন্তু বোঝা যাবে না অতটা। লেখার মধ্যে পরিপক্কতার ছাপ স্পষ্ট। লেখকের যেকোনো বইয়ের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ আমার কাছে যেটা মনে হয়, গল্পে গল্পে বোঝানো। এই জিনিসটা বাজারের আর দশটা বিজ্ঞানের বইয়ে হয়ত পাওয়া যাবে না। গেলেও সে গল্পগুলো এতটা স্মুথ হবে না। গল্পে গল্পে সিরিয়াস সব জিনিসপত্র ভেঙ্গে বুঝিয়েছেন লেখক। এই কাজটা সহজ তো নয়ই, বরং ভয়ঙ্কর কঠিন। কখনো প্রশ্ন রেখেছেন, ভাবিয়েছেন পাঠককে। যারা সায়েন্সভোঞ্চার আর মিনি মন্সটার্স পড়েছে, তারা কিছু ব্যাপার কমন পাবে। তাছাড়া ফিজিক্সের নাম করা কিছু টপিক বলতে গেলে গণিত ছাড়াই সোজা বাংলায় বুঝানো হয়েছে, ডিপ থেকে। বাংলাদেশের একটা গবেষণাকেন্দ্র, যেখানে গরুর কৃত্রিম প্রজনন নিয়ে কাজ করা হচ্ছে, সেখানকার গল্প আছে। আরো আছে জীবজগতের অদ্ভুত, ভয়ানক শক্তিশালী কিছু প্রাণীদের কথা। তবে আমার কাছে বইয়ের সেরা অংশ কনশাসনেস সিরিজ। ব্রেইনস্টর্মিং জিনিসপত্র। তার আগে আবার পাঠককে প্রাচীন পৃথিবী থেকেও ঘুরিয়ে এনেছেন লেখক। কার্বোনিফেরাসের দানব পোকাদের দেশ থেকে। দেখিয়েছেন সাগর দানোর ভয়। শেষের চ্যাপ্টারটার কথা মাথা থেকে বেরোতে চাচ্ছে না। ঐরকম একটা সিচুয়েশন আমার জন্য চিন্তা করা খুব কঠিন। মায়াবী। লেখক বিজ্ঞান নিয়ে হোক, বা তার ব্যক্তিগত অনুভূতিগুলো নিয়ে হোক, সমস্ত যত্ন ঢেলে লিখতে জানেন। এই বইটা বিজ্ঞানের প্রতি ভালোবাসা বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ। সবশেষে, বিজ্ঞানের সৌন্দর্য অনুভব করতে চাইলে, পড়তে হবে বিজ্ঞানে অজ্ঞান।
Was this review helpful to you?
or
Would love to thank the writer. Thanks man for writing the book for that few people who love science, knows how to appreciate. Thanks for writing the book for that much less audience sacrificing the income from it <3
Was this review helpful to you?
or
বিজ্ঞান বিষয়ক বইয়ের সাথে সাদা চালের রুটি আর জংলি মধু কেন? বলছি বলছি একটু সবুর করুন। স্নো গ্লোব দেখেছেন? ঐ যে বলের মতো, ভেতরে ছোট ছোট মানুষ, গাছপালাসহ অনেক কিছু থাকে। আমাদের ড্রইং রুমে কিছুটা জায়গা জুড়ে স্পেচ ছোট হলে ঠিক তেমনটাই না-কি হবে। আমরা সেই জায়গা দিয়ে হেঁটে গেলে নিজেরাও না-কি পিচ্চি হয়ে যাবো-আবার বের হলে বড় হয়ে যাবো! অর্থাৎ যে জায়গায় স্পেচ ছোট সেখানে গেলে সবকিছু ছোট হয়ে যাবে। - লেখক স্পেচ টাইম ছোট হওয়াকে ঠিক এভাবে ব্যাখা করেছেন। আর আমি "Big-জ্ঞানে, অগ-gun" বইটিকে ঠিক ঐ স্নো গ্লোবের সাথে তুলনা করছি। মাত্র ১২৪ পৃষ্ঠার ছোট্ট (না-কি মাঝারি) এই বইটির ভেতরে এত এত বিষয় নিখুঁতভাবে সাজানো যে একটি পার্ফেক্ট বিজ্ঞান গ্লোব বললে ভুল হবে না। আর স্পেচ টাইমের এই গ্লোব থেকে বের হলে যেমন আপনি বড় হয়ে যাবেন ঠিক তেমনি এই বইটি পড়া শেষ হলে আপনার বিজ্ঞান সম্পর্কে ভাবনার জগৎ আরও বিস্তৃত হবে। কি নেই এই বইয়ে! প্রাচীন পৃথিবী থেকে শুরু করে কনশাসনেস, আ্যরিস্টটল, লাইট, এডওয়ার্ড মুর, ইন্টারস্টেলার ট্রাভেল, রিলেটিভিটি, সলিড, নক্ষত্রের জীবন, মনস্টার, Artificial Intelligence, এনট্রপি এবং এই সবগুলো বিষয় আরও কয়েক বিভাগে বিভক্ত করে লেখক গল্পের ছলে চমৎকারভাবে বিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা করেছেন। বইয়ের ভূমিকায় লেখক অকপটে স্বীকার করেছেন তিনি চেয়েছেন আবদুল্লাহ আল মুতির মত মানুষকে স্বপ্ন দেখতে শেখাতে, স্টিফেন হকিং এ-র মতো সন্ধান দিতে বিজ্ঞানের আশ্চর্য রহস্যময় জগতের, কার্লো রাভোলির মত বলতে 'দেখো, বিজ্ঞানে কোনো ভয় নেই, একটু চেষ্টা চিন্তা কর, সব বুঝে যাবে। একজন পাঠক হিসেবে আমিও অকপটে স্বীকার করছি তিনি সফল। তার গল্প বলার ছলে বিজ্ঞানের এত চমকপ্রদ জানা-অজানা বিষয়কে তিনি এত সহজে আলোকপাত করেছেন যে পাঠক তা অস্বীকার করবে কীভাবে! এত অল্প কথায় বিজ্ঞানের এত এত বিষয় গুছিয়ে লেখা চাট্টিখানি কথা নয়। তিনি ভেবেছেন, লিখেছেন এবং সফলভাবে পাঠকের সামনে তা উপস্থাপন করেছেন। তার সকল পরিশ্রম সার্থক। এই বইয়ে লেখক বিজ্ঞানের পাশাপাশি তার পাঠক জীবন ও বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহের সূচনা কিভাবে হলো তা শেয়ার করেছেন, অতিপ্রাকৃত বিষয়কে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন, সমাজের প্রচলিত কিছু রোগ নিয়ে কুসংস্কার কে দূর করার চেষ্টা করেছেন-যা অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য। এই বইয়ের শুরুর দিকে লেখক তার রেমা-কালেঙ্গা অরণ্যের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। সেই অরণ্যে কালবৈশাখী ঝড়ের মুখোমুখি হবার পর গাইড ব্রেকফাস্ট হিসেবে বাসা থেকে চালের আটার রুটি আর জংলা মধু এনে খাইয়েছিলেন। অমৃতসম ব্রেকফাস্ট। আর এই বইটাও সেই ব্রেকফাস্টের মতোই অমৃতসম। বই : Big-জ্ঞানে, অগ-gun লেখক : Nayeem Hossain Faruque P.R : 4/5
Was this review helpful to you?
or
গুড
Was this review helpful to you?
or
valo
Was this review helpful to you?
or
খুব ভালো
Was this review helpful to you?
or
Wow সাইন্স বুক
Was this review helpful to you?
or
great
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
Good at all
Was this review helpful to you?
or
বিজ্ঞানের প্রতি নেশা জন্মানোর মতো চমৎকার একটি বই । পড়া শেষ হলেও পড়তে মন চাইবে ! এবং বই এর লেখক নাঈম হোসেন ফারুকি ভাইকে গালি দিতে মনে চাইবে, এখানেই কেনো শেষ করলো । প্রচুর জ্ঞান পিপাসার জন্ম হবে
Was this review helpful to you?
or
এটা বিজ্ঞান প্রেমিদের জন্য অসাধারন একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
সাধারণ মানুষকে বিজ্ঞানে আগ্রহী করার জন্য সেরা বই ❤️
Was this review helpful to you?
or
valo...
Was this review helpful to you?
or
এককথায় জোস একটা বই। বিজ্ঞানকে যদি ফিল করতে চান তাহলে এই বইটা অবশ্যই পড়বেন। HAPPY READING...
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ লেখনী ?
Was this review helpful to you?
or
বইয়ে লেখক আপনাকে ঘুরিয়ে আনবে প্রাচীন পৃথিবীর কয়েকটা যুগ থেকে, মহাকাশ ভ্রমণ করাবে। আছে কনশাসনেসের আলোচনা। আত্মা, ভূত, মাইন্ড রিডিং নিয়েও ব্যাখ্যা আছে। আরো আছে রিলেটিভিটি, মনস্টার, নক্ষত্রের জীবন নিয়ে অনেক কথা। বইটা আপনাকে ভাবতে বাধ্য করবে। প্রত্যেকটা আলোচনার পর লেখক কিছু প্রশ্ন করবেন। আপনাকে কনফিউজড করবেন। তাছাড়া এর মধ্যে আপনি পাবেন অনেক বইয়ের রিভিউ। তবে বইয়ের সাইজ দেখে হতাশ হয়েছি। আরো অনেক বড় হওয়া উচিত ছিল। আরো কিছু অনেক যোগ করার দরকার ছিল। বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ জন্মানোর জন্য এই বইটা বেস্ট অপশন।
Was this review helpful to you?
or
লেখকের লেখা ভালো হলেও আচরণ উগ্র। মানসিকভাবে অসুস্থ।
Was this review helpful to you?
or
His delivery language is quite poor. Requesting the writer to learn about the language, grammer and vocubulary.
Was this review helpful to you?
or
Nayem Bhai is genius! Awesome history of this book..Too much interesting book.❣
Was this review helpful to you?
or
#bcb book review বই নামঃ বিজ্ঞানে অজ্ঞান sorry(Big-জ্ঞানে,অগ-Gun) লেখকঃ Nayeem Hossain Faruque Personal rating : 0/10 এই বই টি একদম বাজে একটা বই। আমি লেখক এর উপর খুব রাগ কিরেছি।কারণ তিনি এই বইয়ে এত জস ভাবে আমার মাথায় প্রশ্ন জাগিয়েছে যে আমার ঘুম হারাম হয়ে গেছে??। কিছু চিন্তা করতে পারতেসিনা, এই বিজ্ঞান এর adventure এর জন্য! খালি এইসব এই এখন মাথায় ঘুরছে । লেখক আমাকে psychology নিয়ে মারাত্তক ডিপ্রেশনে ফেলেছে। আমরা কি রিএলিটি তে আছি? আমারা যে এখন সপ্ন দেখছিনা সেটার প্রমান কি? এইসব নিয়ে আমার মাথা শেষ ?। biology যে এত মজার আর adventure এ ভরা, আমি এই বই পরেই জানলাম। biology এর animals নিয়ে ভালো লাগলো সাথে একটা বনে যাওয়ার ইচ্ছা জাগলো। biology আর psychology এর দুনিয়ায় ভাবতে ভাবতে প্রবেশ করলাম আমার প্রিয় বিষয় physics এ। কিন্তু লেখক আমাকে এখানেও শান্তিতে রাখেনি।এখানে relativity এর জালাই আমার মনে হচ্ছে আজকে আমার কিছু চুল পেকেছে। General relativity এর এমন এমন চিন্তা আমাকে ভাবিয়েছে অনেক্ষন। তার পরে হাল্কা কোয়ান্টাম মেকানিক্স ভাবিয়েছে! তারপর আমাকে সূর্য থেকে adventure এর মাধ্যমে গেলাম black hole এ। O my god.. এত খারাপ লেখক আর দরকার নেই।।?? কারণ মনে করেছি এই বই এর মজা জাক এখানেই শেষ হইলো। কিন্তু নাহ। botany এর মত বাজে একটা topic আনল। আর আমি পুরাই shocked। গাছ যে প্রাণী দের খেতে পারে সেটা পরেই জানলাম।তারপরে লেখক আমাকে সাতার কাটতে নিয়ে গেল গভীর সমুদ্রে। তারপর ল্যাব এ গিয়েছি। এইভাবেই আমার সায়েন্সভেঞ্চার শেষ হলো। লেখক আমার আসলে খুবই প্রিয় একজন মানুষ। উনার সাথে আমার অনেক দেখা করার ইচ্ছা। উয়ানর সাথে বসে বিজ্ঞান এর এরকম আরো অনেক adventure করতে চাই। স্যার আপনার থেকে অবশ্যই এরকম আরো বাজে বই আশা করছি। এইবার rating দিঃ ৯/১০ ১ no. কেটেছি!!?। কারন লেখক আমাকে চিনেনা ঠিক মতো তাই। ? যাওয়ার আগে একটা কথা, বিজ্ঞান এর দুনিয়ায় যে এত মজা। সেটা এই বই না পরলে মিস করবেন।। সবাইকে বইটি পড়ার পরামর্শ দিয়ে আজকের জন্য বিদায় দিলাম। ধন্যবাদ Nayeem hossain Faruque sir we love you?
Was this review helpful to you?
or
#Book_Review Big-জ্ঞানে অগ-Gun লেখক: নাঈম হোসেইন ফারুকী পৃষ্ঠা সংখ্যা :১২৪ মুদ্রিত মূল্য :২০০ টাকা পার্সোনাল রেটিং : ৯.৫/১০ বইয়ের শুরুতেই বলা আছে এটি গল্পের বই,বিজ্ঞানের গল্প। একটু আগাতেই চোখে পরলো অদ্ভুত উৎসর্গ। শেষ অব্ধি না পড়লে সেটা বুঝাই বাহুল্য। বইয়ে লেখক পাঠকদের ভ্রমণ করিয়েছেন।ভ্রমণ করিয়েছেন ডাইনোসরদের যুগেরও আরো আগের সময়ে।ভ্রমণ করিয়েছেন বড় বড় পোকাদের রাজ্যে।নিয়ে গেছেন রোমা কালেঙ্গা অরণ্যে।লেখক শুনিয়েছেন কনশাসনেস এর গল্প। চেতনা কি অদ্ভুত জিনিস তা এই বইতে লেখক দেখিয়েছেন। রিলেটিভিটির মতো জটিল জিনিসকেও যে সহজে বুঝা সম্ভব তা এই বইয়ে দেখিয়েছেন লেখক।এছাড়াও জটিল জটিল গল্প পড়তে পড়তে হঠাৎ করেই নিয়ে গেছেন মনস্টারদের রাজ্যে। পরিচয় করিয়েছেন কার্নিভোরাস নামক রাক্ষস গাছের সঙ্গে। A.I. ল্যাব সম্পর্কেও লিখেছেন। তবে এই ল্যাব আধুনিক দেশগুলোর artificial intelligence ল্যাব নয়। এই ল্যাব ছিলো এক গরিব দেশের Artificial Insemination ল্যাব। শুধু এই নয় লেখক নক্ষত্রের জীবন মৃত্যু সম্পর্কেও এই বইয়ে উল্লেখ করেছেন। তবে সবচেয়ে বেশি অনুভব করা যায় শেষ অধ্যায়টাকে।সন্মান।সেখানে তিনি শিখিয়েছেন কোনো কিছুকে তুচ্ছ মনে না করে তাকে তার যাথাযথ মর্যাদা দিতে। হতেও পারে আমাদের তুচ্ছতাচ্ছিল্যে ঢেকে যাওয়া সেই জিনিসটা একদিন আমাদের কাছে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় একটি জিনিস হয়ে দাঁড়াবে, কিন্তু সেদিন তাকে আর পাওয়া যাবেনা। এককথায় বছরের শুরুর সাথে সাথে এমন একটা চমৎকার বই পড়তে পেরে অনেক ভালো লাগলো। বলা আছে এটি বিজ্ঞানের গল্পের বই। কিন্তু আমি বলবো, শুধুই গল্প নয়,এটি বিজ্ঞানের ভ্রমণের বই।বিজ্ঞানের রাজ্যে ভ্রমণের। জটিল বিজ্ঞানের রাজ্যকে সহজসরল পথে ভ্রমণ করতে চাইলে যেকোনো কাওকে এই বইটি পড়া উচিৎ। [নাঈম্ভাইয়ার অটোগ্রাফ সহ পেয়েছি?।]
Was this review helpful to you?
or
বইটা দুইদিনে পড়ে শেষ করেছি। আমার পড়া সব বইগুলোর মধ্যে অসাধরন বইগুলোর এটি একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
খুবই মজার একটা বই।
Was this review helpful to you?
or
বইঃ big-জ্ঞানে, অগ-gun লেখকঃ নাইম হোসেন ফারুকী মুদ্রিত মূল্যঃ ২০০৳, পৃষ্ঠাঃ ১২৪ প্রান্ত প্রকাশন ---------- --- শুরুটা করেছেন রেমা কালেঙ্গা আর পাবলাখালির জঙ্গলের অভিজ্ঞতা দিয়ে। তারপর পাঠকের কল্পনার সক্ষমতাকে লেখক বাধ্য করেন ৩০ কোটি বছর পেছনের একটা সময়ে যেতে, যে সময়টা বিন্দুসার-অশোকের ধূসর জগতের চেয়েও ধূসর, নাম তার কার্বনিফেরাস। যেখানে পৃথিবীর প্রাচীনতম নির্মাতারা সমুদ্রের ফেনীল জলরাশি থেকে উঠে এসে ভূমিতে তাদের দেহ ছোঁয়ায়। যেখানে দৈত্যাকার পোকামাকড়দের গগন বিদারী চিৎকার আর অবিশ্বাস্য বিশালাকার গাছেদের নৈঃশব্দে রচিত হচ্ছিলো পৃথিবীর প্রথম বাক্য। পাঠকের সামনে নির্বাক চলচ্চিত্রের মতো রচিত হতে থাকে পৃথিবীর প্রথম একক ভূখন্ড প্যাঞ্জিয়া, একমাত্র মহাসমুদ্র প্যান্থালাসা, আর স্তন্যপায়ীর পূর্বপুরুষদের ক্ষমতার দ্বন্ধ! সৃষ্টির অনুকাব্যে যুক্ত হয়- প্যাঞ্জিয়ার পাঁজরের হাঁড় দিয়ে তৈরি হওয়া লরেসিয়া আর গন্ডোয়ানার কথা, আর পৃথিবীর একদা প্রতাপশালী অধিবাসী ডাইনোসরের আগমনী ধ্বনি। গল্প বলা শেষ হওয়া মাত্রই তিনি পাঠককে ছুঁড়ে ফেলে দেন ভরহীন কোন স্থানে। যেখানে তাবৎ বাস্তবতা একধরণের ইলিউশন! আসলে এটা একটা টেকনিক, গল্প বলার। তবে সত্যি সত্যি এবার ভয়ের গল্পই বলা হয়। গল্প নয় সত্যি! লকড ইন সিনড্রোম, এ্যান্টন ব্যাবিনস্কি সিনড্রোম, ছোট ছোট বায়ো ম্যাশিন, সিজোফ্রেনিয়া, সাবসনিক সাউন্ড- এসবকে গল্পের মতো এমনভাবে বলা হয়, পাঠকের সত্যি বলে মনে হতে বাধ্য!! আপনি ঘুমান, খান, বই পড়েন সব নিজের ইচ্ছাতেইতো, তাই নাহ? কিন্তু লেখক আপনাকে ধাঁধাঁ'য় ফেলে দেবেন! কর্টেক্সের ব্যবচ্ছেদ করেন, ড্যানিয়েল সি ডেনেটের কনশাসনেস এক্সপেরিমেন্টের কথা বলেন, ইন্টিগ্রেটেড ইনফর্মেশন থিওরির সাথে আপনাকে পরিচয় করিয়ে দেন, কিন্তু, মানুষের কনশাসনেসকে ঝুলিয়ে রাখেন ভরহীনতায়! এবার ভদ্রলোক একটু গলা ভারী করে লাইট নিয়ে সিরিয়াস আলোচনায় বসেন। আলোকে কখনো সরলপথে, কখনো ঢেউয়ের মতো করে নাড়াতে থাকেন ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ডের ভেতর দিয়ে। যেখান থেকে জন্ম নেয় ফোটন। এভাবে গল্পের প্রহরগুলো পাড়ি দিতে থাকে ঝিকিমিকি তারাদের দেশ, কার্ণিভোরাস প্ল্যান্টের জগৎ, টার্ডিগ্রেড আর বডি কন্ট্রোলিং ফাঙ্গাসের উপাখ্যানের ভেতর দিয়ে। কল্পনার জগৎ তৈরি করে গল্পের ছলে কঠিন কথা সহজে বলে ফেলার এক অদ্ভুত মুন্সিয়ানা আছে লেখকের। যদিও বইয়ের নামকরণে সেই মুন্সিয়ানা দেখাতে পারেননি তিনি। কিন্তু, এক লহমায় শেষ করার আগ পর্যন্ত চুম্বকের মতো ধরে রাখে বইটি!
Was this review helpful to you?
or
সুন্দর বই।
Was this review helpful to you?
or
#book_review বইয়ের নামঃ Big-জ্ঞানে অগ-Gun লেখকঃ নাঈম হোসেন ফারুকী রেটিংঃ ৯.৫/১০ শুরুতেই লেখক আপনাকে নিয়ে যাবেন সূদুর অতীতে, ৩৬ কোটি বছর আগে। কার্বোনিফেরাস যুগ চলছে,সন্ধ্যা হয়ে এসেছে, নদীর তীরে দাড়িয়ে থাকার সময় হঠাৎ আপনার সামনে দিয়ে চলে যাবে ৮ ফুট লম্বা চ্যারা আর্থোপ্লুরা! ভয়ে আপনি দৌড় দিয়ে একটা গাছে চড়ে বসবেন, চোখ বন্ধ করে ঘুমিয়ে যাবেন। ১০ ফুট লম্বা বাঘ খেতে আসবে আপনাকে! দুঃস্বপ্ন ভাঙলে দেখবেন পার্মিয়ান যুগ এসে গেছে, হঠাৎ-ই কেয়ামত শুরু হবে, অন্ধকারে ছেয়ে যাবে পৃথিবী! ১৫ কোটি বছর পর আলোর দেখা মিলবে, ইতিমধ্যেই ট্রায়াসিক যুগ শুরু হয়ে গেছে । আপনি নৌকায় বসে মাছ ধরছেন, আপনার দিকে ধেয়ে আসবে ২০০ ফুটের শনিসরাস! ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলেছেন, খুলে দেখবেন আপনি এখন বর্তমানে। লেখক আপনার ব্রেইনের নিউরন কেটে তার থেকে কনশাসনেস বের করে আনবেন। বোঝাবেন কেন আপনি কনশাস হলেও আপনার হাতের মোবাইলটা কনশাস না! লেখক অনেকদিন বাসায় অলস বসে থাকতে থাকতে এখন মোটা হয়ে গেছেন। তিনি তার ভর দিয়ে আপনাকে স্পেস-টাইম বাঁকিয়ে দেখাবেন। সূর্যকে একে একে নিউট্রন স্টার, কোয়ার্ক স্টার, প্রিয়ন স্টার, বোজোন স্টারে পরিণত করে দিবেন, একসময় সেটা শুন্য সাইজের ব্ল্যাকহোল হয়ে সময়কে থামিয়ে দিবে, আর কখনো ঘড়ির টিক-টক হয়তো শোনা হবে না। এরপর মহাবিশ্বের বিশৃঙ্খলার মধ্যকার শৃঙ্খলা বোঝাবেন আর আপনার মনে থেকে যাবে অনেকটা অতৃপ্তি - কেন বইটা আরো বড় করা হলো না! রিলেটিভিটি সিরিজটা আমার ফেবারিট, কনশাসনেস সিরিজটা আপনাকে নতুন করে ভাবতে শিখাবে। অনেকগুলা টপিক নিয়ে আরো বিস্তারিত জানতে ইচ্ছা করছিলো। যদিও বইটা এককথায় অসাধারণ! পরবর্তী বইয়ে সব টপিকে আরো বিস্তারিত জানতে চাই। এই অভিযোগে ১০ এ ৯.৫ দিয়েছি।
Was this review helpful to you?
or
বইটির নাম দেখে ভাবছিলাম শিশুতোষ বিজ্ঞানের কোন বইটই হবে। একটি রিভিউ পড়ে বইটি কিনে ফেললাম, আমার স্টুডেন্টরা পড়তে পারবে। এর আগে বইটির লেখক নাঈম হোসেন ফারুকীর 'চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স' পড়ে আমি যারপরনাই মুগ্ধ ছিলাম। তবে বইটির নামের কারণে 'বিজ্ঞানে অজ্ঞান' আমায় ততটা আকর্ষন করেনি। এক স্টুডেন্ট বইটি পড়ে ফেরত দেওয়ার পর ভাবলাম একটু পড়ে দেখি। কিন্তু পড়তে গিয়ে শেষ না হওয়া পর্যন্ত আর থামতে পারিনি। চোখের পলকে একটা দুপুর কেটে গেল আমার। আমাকে তিনঘন্টার এক রোমাঞ্চকর আনন্দভ্রমণ করানোর জন্য লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই লেখায় বইটি সম্পর্কে আমি কিচ্ছু বলবনা, কেবল নিজের অনুভূতিগুলো শেয়ার করবো। ছোটবেলা থেকেই আমি বই পড়ুয়া। পাঠক হিসেবে আমি সর্বোচ্চ শ্রেণির খাদক, সামনে যা পেতাম তাই পড়ে ফেলতাম। আমার বড় ভাই বোনের নিজ নিজ ক্লাসের পাঠ্যবইগুলোও বাদ যেতোনা। তখন সম্ভবত আমি ক্লাস নাইনে পড়ি। একদিন গল্পের বইয়ের খোঁজে পুরোনো বইয়ের স্তুপ ঘেঁটে কিছু না পেয়ে বড় ভাইয়ের "সহজ তর্কবিদ্যা" পড়ে শেষ করেছিলাম। ছাত্রজীবনে পড়ার এই আগ্রহটা বিন্দুমাত্র কমেনি বরং উত্তরোত্তর বেড়েছে। কর্মক্ষেত্রে এসে সেই আগ্রহে ভাটা নেমেছে, দিনদিন লোপ পেয়েছে নতুন বইয়ের নেশা, তবে এখনো নতুন কোন বই দেখলে লোলুপ দৃষ্টিতে তাকাই কিন্তু হাতে নেয়ার পর ধৈর্য্যে কুলায় না। নানা ব্যস্ততার ফাঁকে বই হাতে নিলেই যেন রাজ্যের ক্লান্তি ঝেঁপে ধরে। যেটা দু ঘন্টার বই, ওইটা পড়তে দু সপ্তাহ লাগাই। কিন্তু কী অদ্ভুত, বিজ্ঞানে অজ্ঞান হাতে নেয়ার পর কখন যে বইয়ের শেষ প্রান্তে চলে আসছি টেরই পাইনি। বইটি আমাকে এতটাই মুগ্ধ করেছে যে সেই মুগ্ধতা স্ত্রীর সাথে শেয়ার করার তর সইছিলনা। তাই ক্ষণিকের জন্য বইটি বন্ধ করে তার সাথে নিজের মুগ্ধতা শেয়ার করলাম। মজার ব্যাপার হল সে বইটি নিয়ে সেই যে পড়া শুরু করল, শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমি ফেরত পাইনি। আমি মনে করি যেকোন শ্রেণির পাঠককে বইয়ের শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারাটাই একজন লেখকের বড় স্বার্থকতা। এদিক থেকে বইটির লেখক নাঈম হোসেন ফারুকী পুরোপুরি স্বার্থক। আচ্ছা বইটিতে লেখক কী এমন লিখেছেন যার জন্য এত মুগ্ধতা? বইটিতে লেখক বিজ্ঞানের বিভিন্ন টপিক নিয়ে লিখেছেন। আপনি যদি বিজ্ঞানপ্রেমি পাঠক হয়ে থাকেন তবে হয়ত অনেক টপিকই আপনার জানা থাকার কথা। কিন্তু আপনি নিশ্চিত থাকুন, বইটি পাঠে আপনি আপনার জানা বিষয়গুলো নতুন করে জানবেন, বইটি আপনাকে ভিন্নভাবে ভাবতে শেখাবে। এছাড়া জানা বিষয়গুলো ভিন্ন আঙ্গিকে জানতে চাইলে বইটি আপনার অবশ্যপাঠ্য। এছাড়া যেসব শিক্ষার্থীর বিজ্ঞান ভীতি আছে তাদের জন্য বইটি একটি সেরা উপহার হতে পারে। বইটির দুটো বিষয়ে আমি লেখককে অভিযোগ জানাতে চাই। প্রথমটি হল বইটির নাম। বইটির নামটি আমার নিকট আকর্ষনীয় মনে হয়নি। রিভিউ না পড়লে হয়ত চমৎকার এই বইটি আমার অপঠিত থেকে যেতো। দ্বিতীয় অভিযোগ হল স্পেশাল থিওরি অব রিলেটিভিটি পার্টটা আরেকটু বিস্তৃত হতে পারতো (আমার ক্ষুধা মেটেনি)। সবশেষে লেখককে আবারও ধন্যবাদ। লেখকের পরবর্তী বইয়ের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।
Was this review helpful to you?
or
সারাজীবন সাথে রাখার মতো বই আমার পরের প্রজন্মও এটা আনন্দের সহিত গ্রহণকরবে
Was this review helpful to you?
or
This book will teach you to love science ❤❤
Was this review helpful to you?
or
such an excellent book :)
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামঃ "BiG-জ্ঞানে অগ-GuN" লেখকঃ নাঈম হোসেন ফারুকী ধরনঃ নন ফিকশন বইটা প্রথমে হাতে নেওয়ার পর একটা প্রিমিয়াম ফীল আসবে আপনার ভেতর। হলুদ কমলা সবুজ সাদা রঙ মিলিয়ে বইয়ের নামটা লেখা "BiG-জ্ঞানে অগ-GuN"। হাতে স্কেল নিয়ে বইয়ের দৈঘ্য প্রস্থ আর পুরুত্ব মাপলাম। ২২ সেমি লম্বা, ১৪ সেমি প্রস্থ আর মাত্র ১.৫ সেমি পুরুত্বের এই বইটার ভেতরেই লুকিয়ে আছে সমগ্র মহাবিশ্বের টুকরো টুকরো জ্ঞান। আছে রিলেটিভিটি, আছে কনসাসনেসের গল্প। আপনার আস্ত মাথাটাকে খুলে একটা জারের ভেতর ঢুকিয়ে দিলাম। আপনাকে উপযুক্ত পরিবেশ দিলাম। কি ভাবছেন? আপনি মারা যাচ্ছেন? আরে রাখেন দাদা। আপনি দিব্যি বেচে থাকবেন। আপনি দেখবেন আপনার একটা শরীর আছে। আপনি চলছেন,হাটছেন,রাতের তারা গুলো দেখবেন মিটিমিটি করে আপনার দিকে ভেটকাচ্ছে। অনেক মজা না! পুরো বইটাতে লেখক মোট 6 টা সিরিজ লিখেছেন। প্রতিটা সিরিজের পর লেখক ভিন্ন ভিন্ন গল্প যুক্ত করেছেন। প্রাচীন পৃথিবী সিরিজ পড়ে আপনি কল্পনার টাইম ট্রেভেলে করে চলে যাবেন সেই কার্বোনিফেরাস,পার্মিয়ান আর ট্রায়াসিক যুগে। আপনি বুজতে পারবেন চারিদিকের এই পরিবেশ দূষণ আমাদের এবং এই পৃথিবীর জন্য কতটা হেল্পফুল।একেবারে ভিন্নধর্মী চিন্তা চেতনার বই এটা। বিলিভ মি প্রাচীন পৃথিবী সিরিজ পড়ে যদি আপনি বিন্দুমাত্র বায়োলজিতে আগ্রহী না হোন তখন বইলেন। আমাদের পাঠ্যবইয়ের তথাকথিত আতেল লেখকদের বায়োলজি বই পড়লে আপনি কোন মজা খুজে পাবেন না। রসকস ছাড়া বই। বায়োলজির আসল রুপ অনেক সুন্দর। যা এই রাইটাররা উপলব্ধি করতে পারেনি।তবে নাঈম ভাই অনেক সুন্দর করে অনেক বিষয় গল্পকারে প্রকাশ করেছেন। যা আমাকে বায়োলজিতে আরো আগ্রহী করে তুলেছে। জেনারেল রিলেটিভিটি এতদিন একটা আতঙ্কের নাম ছিলো। টাইম আবার কিভাবে স্লো হয়? দৈঘ্য কিভাবে সংকোচন হয়? আলো কি বক্র পথে চলে? মানলাম আলো বক্রপথে চলে কিন্তু টাইম? টাইম আবার কিভাবে বাকা হয়? আপনি আলোর বেগে চললেন। আপনার আবার এক্সট্রা ভর কেন যোগ হবে? লেখক এই জটিল বিষয়টা যেভাবে হাস্যরসাত্মক ভাবে উপস্থাপন করেছে তাতে এটা এখন কিছুটা হলেও পানিভাত লাগছে। আপনি আপনার হাত দিয়ে যে ফোনটি ধরে আছেন, আদৌ কি সেটা আপনি ধরে আছেন? আপনার হাত আর মোবাইলের মাঝে রয়েছে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফোর্স। আমাদের সৌরজগত কেন বড় হয় না? কিংবা কিভাবে জন্ম হয় নেবুলার? স্পেস টাইম কি? স্পেস ছোট বড় হওয়া বলতে কি বুঝায়? আপনি একটা গ্লোভ এর ভেতর বসে আছেন। বাইরের জগতকে বসে বসে দেখছেন। প্রায় 1 ঘন্টা যাবত সব কিছু পর্যবেক্ষণ করলেন। আপনি ভাবতেও পারবেন না আপনার গ্লোবের ভেতরে কাটানো 1 ঘন্টায় বাইরের জগতে 1 বছর কেটে গেছে। ফিজিক্স খুব ইন্টারেস্টিং। খুবই ইন্টারেস্টিং। যতই জানবেন আপনি ততই ভাবতে থাকবেন আসলেই আপনি কিছুই জানেন না, জানার আছে আরো বহু কিছু। এই বই পড়ে আপনি জানতে পারবেন টার্ডিগ্রেডদের সম্পর্কে। কি অসাধারণ সুপার পাওয়ার তাদের। মাইনাস ২৭২ কিংবা ১৫০ ডিগ্রিতে নিয়ে গেলেও এরা বেচে থাকবে।সমুদ্রের গভীরে যে মারাত্মক চাপ আছে তার থেকেও 6 গুণ চাপ সহ্য করার ক্ষমতা এরা রাখে। মানুষের থেকেও কয়েকশো গুণ বেশি রেডিয়েশন এরা সহ্য করতে পারে। কোন না কোন ভাবে তো এদের মারতেই হবে। রেখে আসলাম মহাকাশে। সমস্যা নেই খাবার ছাড়াও এরা 30 বছর বেচে থাকবে। তাহলে উপায়? টার্ডিগ্রেডকে খাওয়ায় দাওয়ায় মানুষ করার চেষ্টা করলে এরা কয়েক মাসেই মারা যাবে। অজপাড়া গায়ের এক মূর্খছেলে ফ্যারাডে কিভাবে হয়ে গেল জগত বিখ্যাত। ফাঙ্গাস নামে ভয়ংকর এক বডি কন্ট্রোলিং কীট কিভাবে আপনার ব্রেইন কে কন্ট্রোল করে,তাও জানতে পারবেন এই বইয়ে। উফফ সবই তো একে একে বলে দিচ্ছি। মাত্র ১২৩ পৃষ্ঠার এই বই ভয়ংকর ভাবে আপনাকে বিজ্ঞানে আগ্রহী করে তুলবে। হাটে-ঘাটে-রাস্তায়-রুমে-বাথরুমে সব জায়গায় আপনি সাইন্স খুজবেন। সাইন্স যে কত মজার একটা বিষয় তা বুঝতে শিখবেন। যখন আপনার পাশে থাকা বন্ধু ভূতের ভয়ে আতঙ্কিত তখন আপনি সেখানে সুন্দর সুন্দর ব্যাখ্যা দাড় করাবেন। জীবনটাকে অনেক ছোট মনে হবে। প্রতিটা দিন নতুন নতুন বিষয় শিখতে মন চাইবে। যাই হোক অনেক কথা বলে ফেলেছি। বইয়ের রেটিংঃ 9 আউট অফ 10। 1 কম কারণ প্রাচীন পৃথিবী সিরিজে আমি আরো কিছু আশা করেছিলাম।বিশেষ করে মানুষের বিবর্তন টা নিয়ে কিছু লেখা উচিত ছিলো। অনেক চেষ্টা করেও কোন ফল্ট ধরতে পারলাম না। বিঃদ্রঃ বিশ্বাস করেন বইটা পড়ে আপনি আশাহত হবেন না। বরং বিজ্ঞান কে অন্যমাত্রায় চিন্তা করতে শুরু করবেন। ধন্যবাদ এতক্ষণ কষ্ট করে রিভিউ পড়ার জন্য। রিভিউ শেষ করছি বইয়ের একটি লাইন দিয়ে, "রহস্যই সর্বাতীত সৌন্দর্যের প্রতীক " - আলবার্ট আইনষ্টাইন
Was this review helpful to you?
or
এক কথায় যদি কেউ বিজ্ঞান শিখতে চায় জ্ঞান অর্জন করতে চায় বিজ্ঞানের সৌন্দর্যতা উপলব্ধি করতে চায় তাদের জন্য এই বইটি উপযুক্ত। লেখক চমৎকার ভাবে লিখেছেন। একঘেয়েমি আসার প্রশ্নই আসে না। বাংলা ভাষায় এরকম বই আরোও দরকার
Was this review helpful to you?
or
অস্থির একটা বই যা কাউকে বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে সক্ষম।
Was this review helpful to you?
or
Awesome science book,would recommend to any science lover out there.It covers many interesting topics like the stages of life in the history of our planet as well as the mystery of consciousness and the absurdness of Relativity and Quantum Mechanics.
Was this review helpful to you?
or
l এই বইটা পড়ে একটা বিখ্যাত প্রবাদ Don't judge a book by its cover কথা মনে পড়ে গেল । মলাট এতো আকর্ষণীয় কিন্তু বইটা পড়ে satisfy হওয়ার কিছু নেই । এতো কঠিন করে বুঝালে বিজ্ঞানে অজ্ঞান হয়াই তো স্বাভাবিক
Was this review helpful to you?
or
বিজ্ঞান এ অজ্ঞান একটি বিজ্ঞান ভিত্তিক বই। এখানে লেখক তার কল্পনায়, বিজ্ঞান ও বাস্তবতাকে যেভাবে একসুতায় বেধেছে তা আসলেই প্রশংসার দাবিদার।
Was this review helpful to you?
or
One of the best science book I have ever read
Was this review helpful to you?
or
বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ ছোট বেলা থেকেই ছিল। ছোটতে পদার্থবিজ্ঞানের প্রাতিষ্ঠানিক ভাষার সাথে খুব সামান্যই পরিচয় ছিল, তবে আগ্রহ চড়ম মাত্রায় ছিল। কিন্তু জীববিজ্ঞানে তেমন কোন আগ্রহই ছিল না। কিরকম খটমটে ভাষা ছিল এটায়, উচ্চারনে বেশ কষ্ট হত, তাই হয়তো পছন্দ করতাম না। কিন্তু নাইম ভায়ের এই বই টা আমাকে জীববিজ্ঞানের প্রতি উৎসাহিত করেছে। না আপনি ভুল বুঝছেন; বোর্ড বই এর প্রতি ভালোবাসা এতটুকুও বাড়ে নাই।বইটি পড়ার পর জীববিজ্ঞান কে আলাদা দৃষ্টিতে দেখতে শুরু করেছি। বই টার প্রথমেই আছে প্রাচীন পৃথিবী নিয়ে গল্প, আপনি অনুভব করতে পারবেন আপনার সাথে একই বিছানায় ঘুমাচ্ছে একটা মাকড়সা, যে কিনা মাত্র ১ ফুট চওড়া (Goliath Bird Eating Spider)।কি অবস্থা হবে সেটা আপনি ভালোই অনুভব করতে পারছেন? তারপর জানতে পারবেন তারা কেন এর থেকে বড় হতে পারে না(কার্বোনিফেরাসের দুনিয়া)।তারপর আস্তেধীরে আসবে সেই সব জন্তুদের কথা যাদের সাথে আপনি কখনি একা দেখা করতে চাইবেন না, আগের পৃথিবীর জন্তু ছিল তারা।(বেশ ভয়ংকর)। এদের মধ্যে শনিসরয়াসকে বেশ পছন্দ আমার, নাম টাকে সার্থক করেছে সে?। রেমা কালেঙ্গা গল্প টা বেশ মজার ছিল, সময় পেলে একদিন ঘুরতে যাব। তারপর আসে কনশাসনেস সিরিজ, সেখানে একের পর এক আমাদের ভুল ধারনাকে ভাঙা হয়, বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার মাধ্যমে। ভূত,আত্মার গল্প, মাইন্ড রিডিং এর গল্প ইত্যাদি। এরপর আসে অ্যারিস্টটল এর গল্প, আমার বেস ভালই লাগছে?।মজা পাইছি এটা পড়ে?।আনেকেই হলুদ জিনিশ টা কি সেটা ধরতে পারে নাই?। বত্ব আপনার অনুভুতি টা বলে যাবেন।? এর পরের লাইট সিরিজ আর এডওয়ার্ড মুর। *(এডওয়ার্ড মুর গল্পের টেকনিকটা সেই ছিল, জীবণে কাজে লাগবে) ইন্টারস্টেলার ট্র্যাভেল সিরিজ, সলিড, নক্ষত্রের জীবন A.I ল্যাব মোটামুটি ভালো। ইগ নোবেল প্রাইজ এর ব্যাপারে আগেও জানতাম, তবে ভুলে গেছিলাম। লেখককে ধন্যবাদ মনে করানোর জন্য?। এবার আসি সবথেকে ভালো লাগার বিষয়ে......মনস্টার সিরিজ নিয়ে.....এখানের প্রতিটা লেখাই আমাকে শিহরিত করেছে, কল্পনা করতেই একটা ভয় করে। এবার আসা যাক অন্য কথায়......বই টার ২ টা জিনিস ভালো লাগে নাই...১) রিলেটিভিটি সিরিজ আর ২) এন্ট্রপি। *২ টার মধ্যে কোন লেখা টা সব থেকে বাজে হয়েছে? - আমি বলব ১ নাম্বার টা। জানি না তিনি কিভাবে বিষয় টা লিখেছেন বিন্দু পরিমাণ ও বুঝতে পারি নাই, আগে যা সামান্য জানতাম শুধু অতটুকুই আমি এখনো জানি। যদি তিনি আমাকে শুধু মাত্র এই লেখা টার রেটিং দিতে___তবে আমি ১০ এ ১ ও দিব না?। উনার লেখা গুলোর মধ্যে আমার পড়া লেখাগুলোর মাঝে কোন লেখা টা সবচেয়ে বাজে লিখেছেন সেখানে প্রথমেই এই লেখার নাম টা থাকবে। ২য় বা ৩য় তে কোন লেখাই থাকবে না,,,শুধু এই লেখা টাই থাকবে। আর "এন্ট্রপি" ব্যাপারে, অই টা বাকি গুলোর তুলনায় এক্টু খারাপ হইছে, এই আর কি। রেটিং 3/5 ** রিলেটিভিটি সিরিজ বাদে রেটিং 4.5/5
Was this review helpful to you?
or
কিছুই না, জাস্ট নাম আর লেখক দেখেই বই অর্ডার করেছিলাম। হাতে পাওয়ার ৩ দিন কিছুই পড়া হলো না। আজ সুর্যাস্তের পর পড়তে বসলাম। তিন পেজ ওল্টাতেই দেখি অদ্ভুত উৎসর্গ ! উৎসর্গটা পড়ে কিছুই বুঝলাম না। শেষ পেজ পড়তে মন চাইল। আমার আবার প্রথম আর শেষ পেজ আগে পড়ে দেখার বদ/ভালো অভ্যাস আছে। কিন্তু এর আগে লেখকের চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স বইয়ের শেষ পেজ পড়ে দাঁত ভাঙ্গার উপক্রম হয়েছিল, লেখকের ফিডব্যাকের কথা না বলাই ভালো। শেষ পেজ পড়া হলো না। অদ্ভুত উৎসর্গ নিয়ে চিন্তা করার সময় পড়ে আছে, ভেবে নিয়ে এগোলাম। বড়ো বড়ো পোকার কথা, অক্সিজেনের বৃদ্ধির ফলাফল কি হয়েছিল, আরো অনেক অনেক গল্পে গল্পে এই অদ্ভুত পৃথিবীর ইতিহাসে ঘুরিয়ে আনার পর লেখক যা ধরলেন, আমার মনে হয় তা পৃথিবীর ইতিহাসের চেয়েও বেশি ভয়ংকর জটিল! কনসাস কি?কেন?কিভাবে?এমন কি আছে? কেন নেই? প্রশ্নের পর প্রশ্ন চলতে চলতে আমাদের চেতনার শুরুর দিকে হাত বাড়িয়েছেন লেখক। লজিক গেইটের সাথে ব্রেইনের কাজের ব্যাখ্যা – এতো সুন্দর করে লেখা যায়, তা কোনোদিন ভেবেই দেখিনি। পুরো বইটা যদি কোনো পাঠক পড়েন, তাহলে এই কনসাস নিয়ে সিরিজটা সব থেকে বেশি পছন্দ হবে বলে আমি মনে করি। তারপর আছে আলোর কথা। ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভের কথা। আরো কতো কি! SR খুবই সংক্ষেপে অথচ চিন্তাবহুল ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, সংক্ষিপ্ত GR এ আছে ব্ল্যাকহোলের কথা। স্থানকাল নিয়ে কথা। আছে কোয়ান্টামতত্ত্বের কথা। এগুলো নিয়ে প্রশ্ন-উত্তর পর্বে আছে সুন্দর সব প্রশ্নের উত্তর। এন্ট্রপি নিয়ে কথা দিয়ে শেষ হলো বিজ্ঞানযাত্রা। শেষে এসে বুঝলাম অদ্ভুত সেই উৎসর্গের মানেটা কি। আসলে হয়ত আমার আজকে প্রথমেই শেষ পেজ পড়া উচিত ছিল। ? ??
Was this review helpful to you?
or
#Book_Review ☺ Book name: Big-জ্ঞানে,অগ-Gun goodread ratings:4.55/5 Rokomari ratings: 4.68/5 Personal ratings: 4.90/5 প্রথমেই লেখকের কাছে নিকট অনেক ধন্যবাদ। বইয়ের শেষ কয়েকটি(১২) পেজ ছিল না। তিনি নিজে ছবি তুলে আমাকে পাঠিয়েছেন। এবার আসি বইয়ের কথায়, " it is a small gap. It is the gap between small
Was this review helpful to you?
or
#বইমেলায়_বিজ্ঞানের_বই_রিভিউ_প্রযোগিতা_১ বই:Big-জ্ঞানে, অগ-gun লেখক:Nayeem Hossain Faruque লেখকের কথা দিয়েই শুরু করি : এই বইটাতে আমি চেয়েছি আব্দুল্লাহ আল মুক্তির মতো স্বপ্ন দেখাতে , স্টেফেন হকিংয়ের মতো সন্ধান দিতে বিজ্ঞানের আশ্চর্য রহস্যময় জগতের , কার্লো রভেলির মতো বলতে , দেখো , বিজ্ঞানে কোন ভয় নেই একটু চিন্তা করো সব বুঝে যাবে । লেখকের এই চেষ্টা যে একেবারে বিফলে যায়নি বইটা পড়ে অন্তত আমি এইটুকু নিশ্চিত হয়ে বলতে পারি । বইটার প্রথম সিরিজটা পড়ে আপনি একটু অনুভব করতে পারবেন প্রাচীন পৃথিবীর ২৫-৩৬ কোটি বছরের সময়কাল কিরকম ছিল । লেখক চেয়েছিল আমি টাইম ট্রাভেল করে ঐ সময়টাতে গেলে অনুভূতি কিরকম হতে পারে সেটা বুঝিয়ে দিতে । বলা যায় লেখকের এই চেষ্টা বৃথা যায়নি । তবে লেখকের প্রাচীন পৃথিবী নিয়ে সংক্ষিপ্ত লেখায় আমাকে এখন তৃষ্ণার্থ হয়ে ঘুরতে হচ্ছে । লেখকের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে এই প্রাচীন পৃথিবী সিরিজ নিয়ে একটা বই বের করার জন্য । তারপরে কনশাসনেস সিরিজ যেটা আমার সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে । এটা পড়ে আপনি নিজেকে প্রশ্ন করতে বাধ্য হবেন আমি কে ? আমি কি একটা মেশিন ? এখানে আলোচিত হয়েছে (১)আত্মার গল্প , (২ রিয়েলিটির গল্প ), (৩ কর্টেক্সের গল্প ), মাঝখানে পাবেন ভূতে ধরার গল্প আর কিছুটি অনুমান করতে পারবেন ভূত জিনিসটা বলতে আমরা আসলে কি বুঝি , (৪ মাইন্ড রিডিংয়ের গল্প) , (৫ নিউরাল নেটওয়ার্কের গল্প , এখানে ধারণা নিতে পারবেন একটা কম্পিউটার কিভাবে ইনপুট নেয় আর আউটপুট দেয় আর ঠিক এই কাজটা নিউরন করে কিভাবে ? লেখক সেটাও বোঝানোর চেষ্টা করেছেন অল্প কিছু বাক্যে ) , (৬ আই আই টি মানে ইন্টেগ্রেটেড ইনফরমেশন থিওরি , এখানে চেতনা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে ), সাথে পাবেন লেখকের ছোটবেলার কিছু অদ্ভুদ স্মৃতি যা তিনি ফলস মেমরি হিসেবে উল্লেখ করেছেন । এই তো গেল কনশাসনেস সিরিজ । আচ্ছা আপনি কি জানেন আলো আসলে কি ? কিভাবে আপনি সব চেয়ে সহজ উপায়ে আলো জ্বালাতে পারবেন ? এই বিষয় নিয়েই লেখা হয়েছে লাইট সিরিজে । এখানে প্রথম পর্বে ইলেকট্রোমেগনেটি ওয়েভ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে আর তার ভিতরে ফিল্ড নিয়ে বিজ্ঞানীদের আগের ধারণা ও বর্তমান ধারণাও তুলে ধারা হয়েছে । দ্বিতীয় পর্ব হচ্ছে ফোটন নিয়ে । আর লেখকের অসাধারণ সৃজনশীল চিন্তা দ্বারা উপস্থাপিত তথ্য দিয়ে আমাকে বুঝতে বাধ্য করা হয়েছে যে , ফোটন আসলে কি ? পরের সিরিজের নাম , ইন্টারস্টেলার ট্রাভেল সিরিজ । এখানে প্রথম পর্বে ভয়েজার নিয়ে লেখা হয়েছে। আর দ্বিতীয় পর্বে আলোচনা হয়েছে ইন্টারস্টেলার মিশন নিয়ে । যেখানে ধারনা দেওয়া হয়েছে কি ধরনের রকেট আবিষ্কার করলে আমাদের সব থেকে কাছের নক্ষত্রের সাথে যোগাযোগ করতে পারবো ৪০ বছর সময়ের ব্যাবধানে । তারপর রিলেটিভিটি সিরিজ । এই সিরিজটা একটু কঠিনই বলা যায় তবে আমাকে প্রচুর চিন্তা করতে হচ্ছে এটা বোঝার জন্য । যদি আপনি চিন্তা করতে মানে কোন একটা রসহ্যের কুল কিনারা না পাওয়া পর্যন্ত প্রচুর ভাবতে পছন্দ করেন আর কল্পনাশক্তির সর্বোচ্ছ ব্যাবহার করতে চান তাহলে এই সিরিজটা আপনার জন্য একেবারে পারফেক্ট । আর এই সিরিজটার মাধ্যমে আমি এটাই উপলব্ধি করতে পেরেছি যে , লেখক চেষ্টা করেছে আমার ভাবনার জগৎটা আরেকটু বড় করতে আর অল্প কিছু বাক্যে মহাবিশ্বের রহস্যের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে । আপনার যদি সূর্যে যেয়ে মারা শখ জাগে তাহলে আপনি কত দ্রুত আর অল্প সময়ে সূর্যে যেয়ে মরতে পারবেন ? আমরা যে শুনি কাল দীর্ঘায়ন , দৈর্ঘ সংকোচন , ভর যোগ হওয়া এগুলো কি তা দুই-চার লাইনে সামান্য ধারণা পাবেন । আর E=mc^2 মানে কি ? পৃথিবী ঘুরে কেন ? স্থান বাঁকে কিভাবে ? গ্র্যাভিটি কি ? ব্ল্যাকহোল কি করে ? আপনি ব্ল্যাকহোলের কাছাকাছি থাকলে কি অনুভব করবেন ? একটা শূন্য সাইজের ব্ল্যাকহোলের কাছাকাছি থাকলে আপনার অবস্থা কি হবে ? ব্ল্যাকহোলের কাছাকাছি স্পেস টাইম খুব মারাত্মক কম্প্রেসড মানে সংকুচিত হয়ে আছে । আর এই স্পেস টাইম কে সংকুচিত করলে কি হয় ? স্পেস টাইম কি ? স্পেস ছোট হওয়া বড় হওয়া মানে কি ? স্পেস মানে কি ? যদি স্পেস ছোট বড় হয় তাহলে সৌরজগত বড় হয়না কেন ? ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি । এই অদ্ভুদ রহস্যময় প্রশ্নগুলোর সামান্য ধারনা পাওয়া যাবে এই সিরিজটায় । এই সিরিজে পর্ব আকারে আলোচনা করা হয়েছে ১) স্পেশাল রিলেটিভিটি , ২)প্রশ্ন-উত্তর , ৩)জেনেরেল রিলেটিভিটি , এই পর্বে লেখক জেনেরেল রিলেটিভিটি নিয়ে অল্প কয়টা বাক্য দিয়ে ধারণা দেওয়া দুঃসাহসিক কাজ টাও করেছেন । ৪)স্থান কালের বক্রতা , ৫) স্পেস টাইম । এই সিরাজ শেষ করার আগে কঠিন পদার্থ বলতে আমার আসলে কি বুঝি ? একটা মার্বেলকে টোকা দিলে আসলে কি ঘটে ? এই বিষয়গুলো নিয়ে সলিড শিরোনামে আলোচনা করা হয়েছে । আবার একটা নক্ষত্রের শেষ পরিণতি কি হয় ? নক্ষত্ররা কখন ব্ল্যাকহোলে পরিণত হয় ? ইভেন্ট হরাইজন বা ঘটনা দিগন্ত কি ? লোহা , তামা , সিসা ,এই ধনের ভারি মৌলগুলো কিভাবে তৈরি হয় ? এই ধরনের প্রশ্নের উত্তর পাবেন অথবা নিজে নিজে চিন্তা করে উত্তর পাওয়ার ধারণা পাবেন নক্ষত্রের জীবন শিরোনামে একটা অনুচ্ছেদ পড়ে । তারপরে শুরু মন্সটার সিরিজ । এখানে ক্রিপ্টো , জম্বি , কার্নিভোরাস , টার্ডিগ্রেডের মতো অদ্ভুদ প্রাণি যে -২৭২ আবার +১৫০ ডিগ্রিতে বেঁচে থাকে আবার মানুষের থেকে ১০০ গুন বেশি তেজস্ক্রিয়তা সহ্য করতে পারে , এইরকম মন্সাটারদের নিয়ে আলোচনা হয়েছে । তারপর গভীর সমুদ্রে শিরোনামে দুই -চার লাইন লিখে , লেখেছেন এন্ট্রপি নিয়ে এইটা আমি এখনো উপলদ্ধি করতে পারিনি , এরপর সম্ভবত লেখক বিশেষ কারণ উল্লেখ করে লেখকের মা এবং কিছু আত্ম উৎসর্গকারি বিজ্ঞানীদের প্রতি সম্মান জানিয়ে বইটা শেষ করেছেন । আমি আশ্চর্য হই ১২৩ পৃষ্ঠার একটা বইতে লেখক কিভাবে পাঠকদের প্রতি আস্থা রাখতে পারলেন যে , তারা এগুলো নিতে পারবে ! বইটা পড়ে আমি বুঝতে পেরেছি যে ,আসলে লেখক তো ঐ সকল পাঠকদের উদ্যেশ্য করে লিখেছেন যারা ভাবতে ভালোবাসেন , রহস্য চোখে পড়লে যাদের মস্তিষ্কের সিন্যাপ্সগুলো দ্রুত কাজ করতে শুরু করে । বইয়ের ভিতরে কিছু শব্দ ছিল দুর্বোদ্ধ যা লেখক চাইলে বইয়ের শেষে উল্লেখ করে বর্ণনা করতে পারতেন । সব মিলিয়ে আপনি যদি সত্যি একজন বিজ্ঞান প্রিয় মানুষ হন তাহলে বইটা কিনে টাকাটা জলে ফেলে দেওয়ার মতো বই এটা না।
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার একটা বই।??
Was this review helpful to you?
or
আত্মা নিয়ে বিজ্ঞান কি বলে? অনুভূতি আসলে কি জিনিস? আপনি কেন কনশান,মোবাইলটা কেন নয়? স্পেস -টাইম রিলেটিভিটি এগুলো কি জিনিস? কি আছে ব্ল্যাকহোলের অতলে? "এটা গল্পের বই,বিজ্ঞানের গল্প" বইয়ের প্রথমেই শুরু করা হয়েছে প্রাচীন পৃথিবীর সময় থেকে। একে একে এসেছে কার্বোনিফেরাসের যুগ,পার্মিয়ান এর সময়,ট্রায়াকিস আর রোমা-কালেনঙ্গার সেই রোমাঞ্চকর অনুভূতি। আমরা অনেক বইয়েই পড়েছি আদিম যুগের ইয়া বড় বড় দানবদের কথা।কিন্তু কখনো নিজের উপস্থিতির মাধ্যমে সেই সময়টাকে উপলব্ধি করিনি।লেখক সেই পথটাকেই বেছে নিয়েছেন।যাই হোক এইটা ছিল আমার কাছে বইয়ের সবচেয়ে ভালো একটা দিক।❤ এরপর আসে কনশাসনেস সিরিজ,,,, "there are known knowns.then there are known unknowns.and then there are unknown unknowns..." এইভাবেই শুরু করা হয়েছে অধ্যায়টি।।কখোনো ভেবে দেখিনি যে আমার বিছানাটা কেন আমার মতো খায় না,হাসি তামাশা করে নাহ,আমার বালিশ টা কেন বলে নাহ যে,যাহ পাগলা আমি বুঝি ব্যাথা পাইনা!! কিন্তু এই অধ্যায় টা পড়ে সেটা ভাবতে শিখেছি এবং তার বিস্তৃতি করা হয়েছে।আছে ৮৬ বিলিয়ন নিউরনের বদলে ৮৬ বিলিয়ন চিপ,,একবারে না বুঝলে আবার পড়তে হবে যেমনটা আমি করেছি,,,, এরপর আসে রিয়েলিটির গল্প,, "i think,therefore i am" কর্টেক্সের গল্প অধ্যায়ে স্লিপ প্যারালাইসিস এর কথা বর্ণনা করা হয়েছে সাথে বিভিন্ন সিন্ড্রোম এর গল্প ও রয়েছে। ম্যাথম্যাটিকাল অধ্যায়ের মধ্যে রয়েছে নিউরাল নেটওয়ার্ক এর গল্প। এরপর সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং লেগেছে অ্যারিস্টটল এর গল্প,ইগনোবেল প্রাইজ এর ঐতিহাসিক কাহিনী?,ফোটন,ইন্টারস্টেলার ট্রাভেল সিরিজ ইত্যাদি। রিলেটিভিটি সিরিজ ছিল আমার জন্য সবচেয়ে বড় কিছু।নগন্য জ্ঞান কে একটু হলেও সম্প্রাসারিত করতে পেরেছি। স্থান কালের বক্রতা স্পেশাল রিলেটিভিটি সম্পর্কে বেসিক রয়েছে এই বইয়ে। সবচেয়ে ভালো হয়েছিল আমার ভুল ধারণ যেখানে ভেঙেছিল।গাড়ির বেগ ২লক্ষ কিমি পার সেকেণ্ড আর গাড়ি থেকে আমার ২ লক্ষ কিমি পার সেকেণ্ড।সুতরাং আমার মোট বেগ v u =৪ লক্ষ কিমি পার সেকেন্ড।যা একদমই ভুল।হয়ত চিন্তন দক্ষতা তে অনেকেরই এমন ধারণা রয়েছে যাহ ভবিষ্যতে এমনই বইয়ের মাধ্যমে সংশোধিত হবে, এক কথায় বিজ্ঞানের বেসিকের জন্য আমি বইটা সবাইকে সাজেস্ট করি।
Was this review helpful to you?
or
কাউকে বিজ্ঞানমুখী করার জন্য যা লাগবে এই বইয়ে তার সবই আছে। এই বই পড়ে যে অনেক কিছু শেখা যাবে এরকম না। তবে আপনার প্রচুর শেখার আগ্রহ জন্মাবে। বিজ্ঞানের মজা উপলব্ধি করতে পারবেন। যারা বায়োলোজি ঘৃণা করেন তারা পড়ে দেখতে পারেন। আসলে বায়োলোজিতেও মজা আছে (আমাদের পাঠ্যবইয়ে যা পাওয়া যায় না)। আমরা জানি এন্ট্রপি হলো বিশৃঙ্খলা। কিন্তু না। এন্ট্রপিই আসল শৃঙ্খলা! আলোর বেগে ট্রাভেল করা যায় না কেন (কখন যায়)? ৩০ কোটি বছর আগের যুগের সম্বন্ধে কোনো আইডিয়া আছে? মৃত মানুষকেও বাঁচিয়ে তোলা যেতে পারে? আপনি কি ভাবছেন তা কি আমি বলে দিতে পারবো? জানার আছে ফিল্ড নিয়ে! স্পেসটাইম কি? টাইম আবার বাঁকে কিভাবে? প্রায় পরমশূন্য তাপমাত্রায় (-২৭২ ডিগ্রি সেলসিয়াস) কোন প্রাণী বেঁচে থাকতে পারে? মাংসাসী উদ্ভিদও আছে! একটা সাধারণ ফাঙ্গাস ভূতের চেয়েও ভয়াবহ হতে পারে! এসব বিষয়ে জানতে আশা করি আপনার খারাপ লাগবে না। বইয়ের আরো একটা দিক আমার পছন্দ হয়েছে, সেটা হলো প্রশ্ন এবং উত্তর। আপনার মনে পড়ার সময় যেসব প্রশ্ন আসতে পারে লেখক সেটিও মাথায় রেখে তার উত্তরগুলো দিয়ে দিয়েছেন। এই বই এমন বিশেষ কিছু একটা আছে যেটা অন্য কোনো বইয়ে আমি দেখিনি, তা হলো এটি আপনাকে চিন্তা করা শেখাবে। চিন্তা আমাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা চিন্তা করার পরই বুঝতে পারবেন। আপনি প্রশ্ন করবেন। লেখক উত্তর দেবেন। আবার লেখক আপনাকে প্রশ্ন করবেন। আপনি চিন্তা করবেন। যদি বইটা নিউজ পেপারের মতো না পড়া হয় তাহলে আরো ভালোভাবে শেখা যাবে। লেখকের একটা উক্তি আমার কাছে দারুন লেগেছে- "সব সময় স্বাভাবিক বলে মেনে নিয়ে আমরা ভুলে গেছি, "স্বাভাবিক" কতটা অস্বাভাবিক!" বিজ্ঞান নিয়ে বই লেখা অনেক কঠিন কাজ। এটা সায়েন্স ফিকশন নয় যে মনে যা আসল তার সাথে সামান্য বিজ্ঞান মাখিয়ে লিখে দিলাম। এরজন্য কঠোর পরিশ্রম এবং প্রচুর জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। একারণে সাধারণত দেশি রাইটারের ভালো মানের বিজ্ঞানের বই পাওয়া যায় না। রেয়ার কেসে যদি দুই একটা বই পেয়ে যান তবে তার মধ্যে Big-জ্ঞানে অগ-gun অবশ্যই থাকবে।
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ুন আহমেদ তার আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ বলপয়েন্টে বলেছিলেন "লেখককে চিনব তার লখা দিয়ে ব্যক্তিগতভাবে তাকে চেনার দরকার নেই"। একারণে লেখকের গুনের কথা বললাম না পাঠকরাই সেটা ঠিক করবেন। এখন আসি বইয়ের কথায় বইটাতে লেখক ঘুরিয়ে এনেছেন কার্বোনিফেরাস, পার্মিয়ান, ট্রায়াসিক যুগের বন্য পৃথিবী থেকে, শুনিয়েছেন রিলেটিভিটির গল্প, আলোর কথাও জানাতে ভুলেননি, নিয়ে গেছেন নক্ষত্রের কাছে,এনট্রপির কথাও বাদ দেননি।বইটা পড়ে আপনি বিজ্ঞানের জাহাজ হয়ে যাবেন বিষয়টা তা নয় তবে আপনার মধ্যে জানার আগ্রহ জন্ম নিবে। জানতে পারবেন গোলিয়াথ বার্ড ইটিং ট্যারান্টুলা নামের ১১ ইঞ্চি চওড়া মাকড়শা, ঈগল সাইজের ফড়িং, পার্মিয়ান- ট্রায়াসিক একটিঙ্কশনের কথা। আপনাকে দুইভাগ করার পর বেঁচে থাকতে কোন পার্টটা আপনি হতেন? রেনে দেকার্তেকে যখন আমাদের অস্তিত্বের সত্যতা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি কি উত্তর দিয়েছিলেন?কনশাসনেসের ইন্টিগ্রেটেড ইনফরমেশন থিওরি কি? এসব প্রশ্নের উত্তর মিলবে বইটাতে। জানতে পারবেন স্থান কাল বক্রতার মতো বিষয়। গভীর সমুদ্রের কাহিনীও কিন্ত বাদ যাবে না এসব কিছু শুনে অনেকের কাছে মনে হতে পারে এতবিষয় একসাথে লেখার দরকার কি?কিন্তু বিশ্বাস করেন বইটা ধরলে শেষ না করে পারবেন না আর শেষ করার পর মনে হবে আরও কিছু টপিক থাকলে ভালো হতো। সবশেষে সেই মানুষটা সম্পর্কে জানেন যার কবরের ফলকে লেখা আছে S=K log W? না জানলে পড়েই আসুন না বইটা। বইয়ের একটা কথা মাথায় ঘুরছে "সবসময় স্বাভাবিক বলে মেনে নিয়ে আমরা ভুলে গেছি স্বাভাবিক কতটা অস্বাভাবিক! "
Was this review helpful to you?
or
বিজ্ঞানের অনেক সাধারণ বিষয় সম্পর্কে আমি জানতাম না। কিন্তু এই বই টা আমাকে সে সব জানতে সাহায্য করেছে। নতুনদের জন্য এটি খুব ভালো একটা বই।
Was this review helpful to you?
or
This book is one of the best and of a new kind. Literally contains Physics, biology and kinda Chemistry (?). Not to mention a bit of cosmology and geography, specially travel story too. Well maybe it's the first Bengali book that contains writing about "Consciousness". The chapter "Ancient Earth" was a cool one. And Consciousness Chap. was totally mind blowing. The Chapter about Monsters is gonna create some great nightmares. Relativity chapter was great for beginners. Overall, A great and highly recommended book for basic and for the Beginners. Eagerly waiting for the next book by this author.
Was this review helpful to you?
or
Very nice book. The use of logic and extraordinary explanation will make you to read this book with joy. I myself as well as my friends are also loving this book.
Was this review helpful to you?
or
অনেক ভালো বিজ্ঞান ভিত্তিক বই। খুব সহজ ভাষায় বোঝানো হয়েছে। যদিও কিছু ছোট খাট সমস্যা আছে,কিন্তু দিন শেষে বইটা অসাধারণ।
Was this review helpful to you?
or
it is the best ...belive me after reading this you will think you got all your money back...
Was this review helpful to you?
or
বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানের সেরা বই গুলোর একটা
Was this review helpful to you?
or
আরো বই আশা করছি :) এইটা অসাধারণ ছিল
Was this review helpful to you?
or
Vaia apner next book ar jonno wait kortaci Khub vlo cilo kintu
Was this review helpful to you?
or
khub a vala
Was this review helpful to you?
or
This is a good book! The way in which writer discussed about various scientific topics definitely boasts our interest to know more about our universe and origin.
Was this review helpful to you?
or
বিজ্ঞানের প্রতি নতুন করে আকর্শন গড়ে তুলতে এক অসাধারন বই, নতুন লেখক হলেও অসাধারন ভাবে গল্পের সাথে সাথে বিজ্ঞানের কিছু আকর্শনীয় বিষয় তুলে ধরেছে।
Was this review helpful to you?
or
? বিগ- জ্ঞানে অগ-Gun ?️ লেখক- নাঈম হোসেন ফারুকী মূল্য: ৳২০০ পৃষ্ঠা: ১২৪ এটা গল্পের বই বিজ্ঞানের গল্প। বইয়ের ভূমিকা থেকে লেখকের ব্যক্তিগত আগ্রহ, ভালো লাগা, ভালবাসা ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। খুব অল্প বয়স থেকেই বিজ্ঞানের নানা বিষয়ে আকর্ষণ লেখককে নিয়ে গেছে বইয়ের রাজ্যে। দেখা যায় তিনি ছোটো কাল থেকে ডাইনোসর, ব্লাকহোল, তারা ইত্যাদি নিয়ে লেখা ছোটোদের বই গুলো গো গ্রাসে গিলতেন। এমনকি পড়তে শেখার আগে থেকেই পিতা-মাতার মুখে এসব শুনে শুনে রোমাঞ্চিত হতেন। এর ওর মুখ থেকে আমরা সাধরণত বিবর্তন তত্ত্বকে ভুয়া বলেই জেনে এসেছি। কিন্তু লেখক বিবর্তনের গল্পগুলো ছোটো কাল থেকেই শুনে আসছেন। প্রাণিজগতের শ্রেণি বিন্যাস সম্পর্কে ঘাটাঘাটি করে সুদুর অতীতের ও বর্তমানের নানান চিত্তাকর্ষক প্রাণীর দেহাবয়, আচরণ ও তাদের মধ্যে আন্তসম্পর্ক নিয়ে লেখক ভাবতেন। তাছাড়া গভীর সাগরের হরেক রকম কৌতুহলী প্রাণী কিংবা আমাজনের গভীর থেকে গভীরতম বনের উদ্ভিদ-প্রাণী বা সুদুর মহাকাশে জ্বলজ্বলায়মান তারারা লেখককে শিশুকাল থেকেই ভাবিয়েছে। স্টিফেন হকিং এর বিশ্বখ্যাত 'ব্রিফ হিস্ট্রি অফ টাইম' বইটি লেখকের মনে এতই দাগ কেটেছে যে তিনি যে কাউকে পদার্থবিজ্ঞানে আগ্রহী করতে এই বই পড়ার পরামর্শ দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আব্দুল্লাহ আল মুতির লেখা লেখক নাঈম হোসেন ফারুকীকে বিশেষভাবে ছুঁয়ে গেছে। এই বইটাতে সর্বোপরি তিনি চেয়েছেন আব্দুল্লাহ আল মুতির মত করে মানুষকে স্বপ্ন দেখা শিখাতে, স্টিফেন হকিং-এর মত সন্ধান দিতে বিজ্ঞানের আশ্চর্য রহস্যময় জগতের, কার্লো রভেলির মত বলতে- দেখো, বিজ্ঞানে কোনো ভয় নেই, একটু চিন্তা করো সব বুঝে যাবে। ১. বইয়েত প্রথমেই প্রাচীন পৃথিবীর আশ্চর্য সব জীব-যন্তুর সাথে দেখা হয়ে যাবে পাঠকের। প্রায় এক ফুট চওড়া, সারা গা লোমে ঢাকা এক জাতের মাকড়সা, এগারো ইঞ্চি, ১৭৫ গ্রাম চওড়া হেলিকপ্টার সাইজের মশা যারা পাখিও খেয়ে ফেলে, বিধায় নাম হয়েছে বার্ড ইটিং ট্যারান্টুলা; এক ফুট লম্বা অ্যাটলাস মথ আর সমান লম্বা প্রজাপতি; টানা দুই ইঞ্চি লম্বা পিঁপড়ে; এক ফুট লম্বা তেলাপোকার দেখা মেলে প্রথম অধ্যায়েই। তবে এত বড় বড় প্রাণীরা যদি সত্যিই একসময় পৃথিবীতে ছিল তবে আজ সব গেল কোথায়? নেই কেন আজকালকার দুনিয়ায়? এসব প্রাণীদের হারিয়ে যাওয়ার কারণ কী? কেনই বা আজকালকার পোকামাকড় রা এত ছোট সাইজের? কিসের অভাবে অত্ত বড় সব প্রাণীরা আজ ক্ষুদে সাইজ নিয়ে জীবনযাপন করছে? জানা যাবে বইয়ের শুরুর দিকেই। পোকামাকড় যদি এত্ত বড় বড় হয়ে থাকে তবে গাছও কি পিছিয়ে ছিল? তারাও কি বিশাল বিশাল আকৃতি নেয়নি? যদি নিয়েই থাকে তবে তার ফল কী হয়েছিল? সবুজ পৃথিবী মরুভূমিতে পরিণত হওয়ার জন্য স্বয়ং গাছই কি দায়ী ছিল? সারা পৃথিবীর সব মহাদেশ মিলেমিশে একাকার হয়েছিল কবে? কত কোটি বছর আগে? তা জানা যায় ২১ পৃষ্ঠা পড়লেই। সে যুগকে বলা হয় পার্মিয়ান যুগ। এই পার্মিয়ানবাসীর ওপর আবার কেয়ামত নেমে আসলো ২৫ কোটি বছর আগে। কেন ওরকম দৈত্যাকার সব প্রাণি, যাদের গল্প পড়ে আমরা শিহরিত হলাম একটু আগেই ওদের ওপর গজব নেমে এলো? কোটি কোটি পার্মিয়ান প্রাণীর বংশ নির্বংশ হয়ে সৃষ্টি হলো ট্রায়াসিক এক্সটিঙ্কশন। তাহলে পার্মিয়ান-ট্র্যাসিক এই এক্সটিঙ্কশনকে কি পৃথিবীর ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ মার্ডার মিস্ট্রি বলা যাবে না? চারপাশের লাশের স্তুপ থেকে কে ও মাথা তুলে তাকায়? এত বড় ধ্বংস যজ্ঞের পরেও বেঁচে আছে কার আশির্বাদে? এত বড় আঘাত সয়ে যখন ও বেঁচে আছে তখন ওর পরবর্তী প্রজন্ম কি ভবিষ্যতে সারা পৃথিবী দাপিয়ে বেড়াবে নাকি? সেই অত কোটি বছর পরেও ওর কোন কোন উত্তরসূরী দুনিয়া কাপাচ্ছে? ২. এই বঙ্গদেশে তো আমাজানের জঙ্গল নাই। কিন্তু রেমা-কালেঙ্গা তো আছে! রোমাঞ্চপ্রিয় লেখক তাই কোনো এক নিশুতিরাতে পৌঁছেছিলেন রেমা-কালেঙ্গায়। শায়েস্তাগঞ্জ হতে চুনারুঘাট হয়ে রেমা-কালেঙ্গায় যাওয়া যায়। অ্যাডভেঞ্চারের নেশায় বুঁদ হয়ে সেখানে পৌঁছান লেখক। সাথে একজন সহচর। এই জঙ্গলের গাইডের সর্দারের আতিথেয়তা, রাতে তাবু ঘাটিয়ে জঙ্গলের ঘ্রাণ, শব্দ শুষে নেয়া, হঠাৎ পথ হারিয়ে দিগ্বিদিক হয়ে পড়া, আচমকা বৃষ্টির পানিতে ভিজে চুপচুপ হওয়া, দূর দিগন্তে চিতাবাঘের অস্তিত্বের কথা জেনে শিহরিত হওয়া সহ রেমা-কালেঙ্গা ভ্রমণের চমৎকার শৈল্পিক বর্ণনা পাওয়া যায় বইয়ের প্রথম অধ্যায়েই। ৩. কনশাসনেস সিরিজ। "আমি সুস্থ মস্তিষ্কে, সজ্ঞানে অত্র চুক্তিনামায় স্বাক্ষর করিলাম" এই কথা সব দলিল-পত্রেই লেখা দেখি। আসলে সজ্ঞানে বলতে বুঝায় টা কী? আমি দেখি, শুনি, বলি। আমার মোবাইল ফোনটাও তো দেখে (ক্যামেরা) শোনে (মাউথার), বলে (স্পিকার)। তাহলে আমার জ্ঞান থাকলেও মোবাইল ফোনের নেই কেন? কী আমাকে যন্ত্র থেকে আলাদা করলো? জ্ঞান কি সব প্রাণিরই আছে? তা জানা যাবে এই বেলায়। রিয়ালিটি, অর্থাৎ বাস্তবতা আসলে কী? চোখ দিয়ে আলো গিয়ে ব্রেনে উদ্দীপনা দেয় বলে আমরা দেখি। কী হবে যদি চোখে আলো না ফেলে ব্রেনের যে অংশ আমাদের দেখার অনুভূতি যাগায় সেখানে সরাসরি সিগনাল দেয়া হয়? একটা সময় লাইফিকে অতিপ্রাকৃতিক কোনো বস্তু ভাবা হতো। অনেকেই গর্ব মুখ ভেংচি দিয়ে বলে, " বিজ্ঞানীরা এত কিছু পারে, পারলে একটা প্রাণ বানায় দেখাতে বলো"। আমরা জানি জীবদেহ কোটি কোটি কোষ দিয়ে গঠিত। কিন্তু একটা কোষ দিয়ে গঠিত প্রাণীও তো আছে। কী হবে ওই একটা কোষওয়ালা প্রাণি যা যা দিয়ে তৈরি তা তা যদি ল্যাবে একত্রিত করে উপযুক্ত পরিবেশ দেয়া হয়! তবে কী হবে? ওটা কি বেঁচে উঠবে? না কি পণ্ডশ্রম হবে? জানা যাবে এই পর্বে। যগতে এমনও প্রাণী আছে যাকে কেটে দু'টুকরো করে ফেলেও দুই অংশ আলাদা করে বেঁচে থাকতে পারে। জানতেন আগে? জানতে পারবেন এই বইয়ে। আমাদের হাত-পা নাড়াচাড়া, কথা বলা ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে ব্রেনের যে অংশ তার নাম+ কর্টেক্স। কী হবে যদি কর্টেক্স কাজ করা বন্ধ করে দেয় অথচ অন্যান্য ব্রেনের অন্যান্য অংশ সচল থাকে? ৪. ভূত পেত্নি নিয়ে বিজ্ঞান কী বলে? শুনেছি বিজ্ঞান নাকি ভূতে বিশ্বাস করে না? কিন্তু আমার মামা যে নিজের চোখে ভূত দেখেছে তার কী হবে? আর পাড়ার ওই চাচা যে একবার ভূতের সাথে লড়াই করলো তারই বা কী হয়েছিল তাহলে? আচ্ছা, মানলাম ভূত নাই। কিন্তু এলাকার ওঝা যে প্রায়ই এর ওর ঘাড় থেকে জিন তাড়ায়? ওসব কিছু না থাকলে তাহলে জিন তাড়ানোর পরেই মানুষ ভালো কেন হয়ে যায়? এসব বিশ্লেষণ বিজ্ঞানের আলোকে এই পর্বে দেয়া আছে। ৫. কেন মানুষ গেমে আসক্ত হয়ে পড়ে? কেন সিরিয়াল কিলাররা একের পর এক মানুষ মারে? ওদের কি জেলের ভয় নাই? ওদের কি ফাঁসির ভয় নাই? ওর ডিসিশন কে নেয়? একজন মানুষের ব্রেন ভাগ হয়ে একই সাথে কি দুইজনের ন্যয় আচরণ করত পারে? ব্রেনে তার-টার, নাট-বল্টু লাগিয়ে কি আমি কী ভাবছি তা কি বের করা সম্ভব? এ ছাড়াও এই পর্বে নিউরাল নেটওয়ার্কের গল্প, (IIT) ইন্টিগ্রেটেড ইনফরমেশন থিওরি নিয়ে মাথা হ্যাং করা বিষয়গুলো পানির মত করে বুঝানো হয়েছে। IIT বুঝতে কষ্ট হবে না কিন্তু এ নিয়ে একটু ভাবলেই মাথা হ্যাং হয়ে যাবে। চেতনা কি পরিমাপ করা যায়? গেলে এর একক কী? আমরা যা ব্রেনে ধরে রাখি তাইই তো মেমোরি। কিন্তু আপনি জানেন কি মেমোরি 'সত্য মেমোরি' আর 'মিথ্যে মেমোরি' নামের আলাদা আলাদা মেমোরি হতে পারে। এই মিথ্যে মেমোরি আবার কী, তা জানা যাবে বইটি হতে। ৬. মহামতি অ্যারিস্টটল এর নাম আমরা সবাইই জানি। তিনি একাধারে দার্শনিক, পদার্থবিদ, রসায়নবিদ, জীববিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞানী, রাষ্ট্রবিজ্ঞানি আরও কত কী? যে বইই খুলি দেখি তার জনক অ্যারিস্টটল! এতকিছুর জনক হতে গিয়ে তার মাঝে কি হিরো আলমের বা সেফুদার ছাপ দেখা গেল নাকি? (হিরো আলম যেমন একাধারে লেখক, পরিচালক, নায়ক, গায়ক, প্রযোজক ইত্যাদি; আবার সেফুদা স্বঘোষিত লেখক, শিক্ষক, দার্শনিক, ইঞ্জিনিয়ার, বিজ্ঞানি, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ইত্যাদি)। হাস্যকর সব কাজের মাধ্যমে সেরাদের সেরা বনে গেলেন নাকি মহামতি অ্যারিস্টটল? তা ছাড়া এডওয়ার্ড মুর নামের এক মহান কাল্পনিক লোক কিভাবে লেখক মনে যায়গা করে নিল? কিভাবে লেখককে বিভিন্ন তরি পার হতে সাহায্য করলো এই ওয়েস্টার্ন মনিষি তাও জানা যাবে। ৭. ইগ নোবেল নামের একটা নোবেল প্রাইজ আছে যা হাস্যকর সব বিরাট কাজের জন্য প্রদান করা হয়। এই যেমন হাইড্রোজেন বোমা আবিষ্কার করে শান্তি শব্দের মানেটাই পরিবর্তন করে দেয়ায় একজন পেল 'শান্তিতে' ইগ নোবেল, আবার আবার ২০০১ সালে নিজেকে চাকা আবিষ্কারক দাবী করে একজন পেয়ে গেল 'টেকনোলজিতে' ইগ নোবেল। এরকম আরো বেশ কিছু হাস্যকর কাণ্ড করে কে কে নোবেল পেয়েছে তা জানা যাবে। আবার এই প্রবন্ধের শেষে ওয়েব লিংকও দেয়া হয়েছে যেন আমরা ইগ নোবেলের আরো বেশ কিছু তালিকা দেখতে পাই। ৮. আলো! এক রহস্যময় জিনিস। না ধরা যায়, না ছোঁয়া যায়, না ওজন পরিমাপ করা যায় অথচ তার কী অসীম মূল্য! আলো কি কনা? নাকি তরঙ্গ? নাকি উভয়ই? উভয় হলে একটা জিনিস একই সাথে দুই রুপ কীভাবে পায়? এই অধ্যায়ে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ ও ফোটন নিয়ে আলোচনা আছে। ৯. ইন্টারস্টেলার ট্রাভেল সিরিজ নামের একটা অধ্যায় আছে। এই অধ্যায়ে দুটি স্পেসশিপ ভয়েজার-১ আর ভয়েজার-২ অনন্ত অসীমের পথে উড়ে যেতে যেতে কী কী আশ্চর্য জনক ব্যপার স্যাপার দেখলো তার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা আছে। এই অধ্যায়টা ছোটো হওয়াতে আমার মন ভরেনি। আরেকটু বড় হলে আশ মিটতো। ১০. বইটাতে রিলেটিভিটি সিরিজ নামের একটা অধ্যায় আছে। এ অধ্যায়ে কিছু গুরুগম্ভীর বিষয়াদির অবতারণা করা হয়েছে। কিছু কিছু ছোটোখাটো হিসাবনিকাশ দেয়া আছে যা বুঝতে পোলাপানদেরও অসুবিধা হবে না। টাইম কিভাবে স্লো হতে পারে আবার ফাস্টই বা হয় কিভাবে? এর উত্তর পাওয়ার পাশাপাশি ব্লাক হোল, ওর্ম হোল, স্পেস টাইম, জেনারেল রিলেটিভিটি, স্থান কালের বক্রতা, স্পেস টাইম ইত্যাদি সম্পর্কে মুটামুটি ধারণা পাওয়া যাবে। ১১. সলিড নামের অধ্যায়টিতে সলিড বস্তু যেমন মার্বেল, ইট, পাথর ইত্যাদি জিনিসগুলোর ভিতরে ঢুকে যাওয়া হয়েছে। দেখা হচ্ছে সলিড বস্তুর রহস্য। কোয়ান্টাম থিওরির আশ্চর্য যগতেও পাঠককে স্বাগত জানাবে এ অধ্যায়। ১২. অন্যান্য ভিন্ন ভিন্ন অধ্যায়ের মাধ্যমে নক্ষত্রের জীবন-মরণ, উত্থান-পতনের আশ্চর্য সব গল্পের দেখা পাওয়া যাবে। পাওয়া যাবে 'এনট্রপি' নামের বিশৃঙ্খলার জটিল টপিক সহজ করে বুঝে তারপর ডিপে ঢোকার অধ্যায়টি। ১৩. আবার 'মনস্টার সিরিজ' নামের অধ্যায়টিতে আশ্চর্য সব দানব যেমন মাংস খেকো বেশ কিছু আলাদা গাছ, কই মাছের প্রাণের চেয়ে হাজার গুন শক্ত প্রাণ যাদের হত্যা করতে মানুষের কালঘাম ছুটে যাবে তার বিবরণ, বাস্তবের চেয়েও ভয়ঙ্কর জম্বির বিবরণ যা মানব দেহের কন্ট্রোল নিয়ে নিজের কাজ হাসিল করতে পারে। এমন সব দানবের বিবরণ পড়তে পড়তে শিহরিত হতে হবে। লেখনশৈলী: বইটি লেখার সময় লেখক যখন তখন অতীত, বর্তমান কালের সীমা অতিক্রম করে এদিক সেদিকে টুস করে স্লাইড করে ঢুকে যায়। এরকম যেমন এই বাক্যগুলো— "অত্যন্ত মজার এই ডাবল স্লিট এক্সপেরিমেন্ট থেকেই কিন্তু একদিন কোয়ান্টাম থিওরি জন্ম নেবে।", আগামী ১৫ কোটি বছর ম্যামালরা ইঁদুর-ছুঁচোর আকৃতি নিয়ে ভয়ে ভয়ে লুকিয়ে দিন কাটাবে।" আবার "একদিন এই আর্কোসরের বংশধররা চারটা ভাগ হয়ে ছড়িয়ে পড়বে সারা পৃথিবীতে"। এভাবে অতীত কালের জবানিতে লেখা বাক্য দেখলে মনে হয় বুঝি পনের কোটি বছর আগে চলে এসেছি এবং ভবিষ্যতে কী হতে যাচ্ছে তা পড়ছি। বেশ চমৎকার অনুভূতি। সর্ব শেষের 'সম্মান' নামের অধ্যায়টিতে লেখক তার পরম শ্রদ্ধেয় মায়ের ওপর অশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের সাথে সাথে বিজ্ঞানের সব মহান মহান সারথিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন যারা বেঁচে থাকতে তাঁদের প্রাপ্য সম্মান পাননি। এবং তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল আমরা ভোগ করছি আজও। দাবী: লেখকের প্রতি অনুরোধ— যে সকল ওয়েবসাইটের লিংক দেয়া হয় সেগুলোর QR কোড যেন দেয়া হয়। তাতে আমরা সহজেই ওয়েবসাইট অ্যাক্সেস করতে পারি। আফসোস: বইয়ের কিছু অধ্যায় অনেক সংক্ষিপ্ত। আরো একটু বিস্তৃত হলে মজাটা আরো একটু বাড়তো।
Was this review helpful to you?
or
#bcb_book_review নামঃ বিজ্ঞানে অজ্ঞান লেখকঃ নাঈম হোসেন ফারুকী রেটিংঃ ৯.৫/১০ "শেষ হয়ে হইল না শেষ "ছোট গল্প সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের সেই চরনটির সাথে এই বইয়ের মিল অনুভব করছি,তাই রেটিং ০.৫ কম দিলাম??।বিশেষ করে কনশাসনেস নিয়ে লেখাগুলো পড়ে,অতৃপ্তই রয়ে গেছি?।(যদিও জ্ঞানের তৃষ্ণা কখনো পুরোপুরি মিটানো সম্ভব না) মূল কথায় আসা যাক।বইটির নাম যেমন, লেখাগুলোও ঠিক তেমনি। একদম পার্ফেক্ট নেম।বইটির শুরুতেই লেখক আমাদের প্রাচিন পৃথিবী থেকে ঘুরিয়ে এনেছেন(কল্পনায় টাইম ট্রাভেল)।মনে হয়,কল্পনার জগতে চলে গেছিলাম,রূপকথার সেই রাজ্যে, যেখানে বিশাল বিশাল দানবের বাস,, সেইই ৩০-৩৫ কোটি বছরের আগের দুনিয়ায়,, যেখানে আজকের এক ইঞ্চি পোকাগুলো ছিল ১ মিটার! গা শিওরে উঠার মতো। তবে একটা জিনিস স্পষ্ট অনুভব করছি যে,প্রকৃতিতে কার্বনডাইঅক্সাইড গ্যাস& অক্সিজেন গ্যাসের অনুপাত জীবজগতে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে। বইটিতে সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং লেগেছে, কনশাসনেসের সিরিজটা।আমি আমার অস্তিত্ব সম্পর্কে সন্দিহান,,আমি কে,কিরকম আমার অস্তিত্ব। একটা কাচের জারে বিশেষ উপায়ে প্রিজার্বড করে রাখা একটা মস্তিষ্ক নয়তো?প্রকৃতিকে আমরা মানুষ যেমনটা (মানুষ ভেদেও অনুভূতি অনেক চেঞ্জ হয়) অনুভব করি,,অন্যান্য প্রানীরা তেমনটা অনুভব করে না।কিরকম তাদের অনুভূতি? আমরা যেমন দেখি,তারাও কি তেমনই দেখে?আমরাই বা কিভাবে দেখি?চোখ না থাকলে কি দেখা সম্ভব? কান না থাকলে কি শুনা সম্ভব? নাক না থাকলে ঘ্রাণ নিয়া সম্ভব? একটা মানব দেহে দুই বা ততোধিক ভিন্ন চেতনা থাকা সম্ভব?যদি কনশাসনেস একদম আলাদা করা হয়,তাহলে কোন ভাগ হবে এখনকার আমি?ডান অংশ নাকি বাম অংশ?প্রশ্ন+ উত্তর, খুবই ইন্টারেস্টিং। যাহোক আমি আমার অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত ?।রেনে দেকার্তের মতো বলতে গেলে," I think, therefore I am." কনশাসনেসের সিরিজের পরে আছে,নাইট সিরিজ( এখানে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক অয়েভ& ফোটন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে)।এরপরে ইন্টারস্টেলার ট্রাভেল সিরিজ....... রিলেটিভিটি সিরিজে স্পেশাল রিলেটিভিটি & জেনারেল রিলেটিভিটি, স্পেস-টাইম, স্থান কালের বক্রতা এবং তৎসংক্রান্ত কিছু প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়েছে।(যেমনঃ E=mc^2 মানে কি আসলে,পৃথিবী ঘুরে কেন,স্পেসের সাথে টাইম কে মিলানো হয় কেন,স্পেস ছোট-বড় হওয়া মানে কি,স্পেস মানে কি,স্পেস মানে কি ফাকা জায়গা, স্পেস ছোট করে কে,বড় করে কে,,সৌরজগত বড় হয়না কেন,ইন্টারগ্যালাক্টিক স্পেস বড় হয় কেন,স্পেস ছোট বড় হলে সময় কেমন হবে,সময় স্লো হলে স্নোগ্লোবের ভিতরে যে আছে সে কি টের পাবে,গ্রেভিটি খুব বেশি হলে কি সময় থেমে যাবে,সময় থেমে গেলে কি হবে,,,,ইত্যাদি ইত্যাদি)। এরপরে আছে,, সলিড,নক্ষত্রের জীবন,মনস্টার সিরিজ,এন্ট্রোপি.......... আলোচনার মাঝে মাঝে,লেখক বিভিন্ন প্রশ্ন নিক্ষেপ করছে,যা অনেক ভাবিয়েছে। (বইটির সম্পর্কে আরো লিখা যেতো,কিন্তু কথা সাজায়ে লিখতে পারি না??) সর্বোপরি, বইটা অনেক অনেক উপভোগ করেছি।অনেক অনেক ধন্যবাদ & শুভকামনা লেখকের জন্য ??❤।
Was this review helpful to you?
or
The first thing came in my mind after reading the book was "Where was the writer in the previous days?" He is like: Theory of relativity? - No problem Starting of the Earth? - No problem Blackwhole? - No problem. Also the qustions he asked in the book is so so so so much brilliant. This is an absolute masterpiece. If you wanted to know about the hypothoughtical terms easily I am not only recommended but also requesting you to buy this book. Whishing you a long journey Nayeem Hasan Faruki Waiting for you next book.
Was this review helpful to you?
or
the best book I have ever seen
Was this review helpful to you?
or
Loved the book so far. Very practical and easily explained things we are generally eager to learn. Not so deep but not so childish. Everything from quantum physics to even ghost was explained in very interesting way. I would definitely recommend for new learners of science to the old ones .
Was this review helpful to you?
or
A good book for basic science knowledge.
Was this review helpful to you?
or
love its name and look...looking forward to getting to know more.....best wishes for the creation to Author :)
Was this review helpful to you?
or
This is a great book! The way in which writer discussed about various scientific topics definitely boasts our interest to know more about our universe and origin.
Was this review helpful to you?
or
it's a wonderful science related book.
Was this review helpful to you?
or
This book is so amazing about since related topics. I had no interest in since. But,by reading this book my curiosity is being increased. After all this book is so mind blowing.
Was this review helpful to you?
or
Wonderful Book :)