User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
Mind blowing !
Was this review helpful to you?
or
ভালো ছিলো
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_জানুয়ারি রিভিউ নংঃ ২০ বই-সাম্ভালা লেখক-শরীফুল হাসান প্রকাশনী-বাতিঘর ধরনঃ ইতিহাস, এডভেঞ্চার, থৃলার মূল্য-২০০টাকা (লিখিত) লেখক পরিচিতিঃ শরীফুল হাসানের জন্ম ময়মনসিংহ শহরে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করেছেন তিনি। বর্তমানে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। থৃলার সাহিত্যের প্রতি অনুরাগ থেকে লেখালেখির জগতে পদার্পন। অনুবাদ দিয়ে যাত্রা শুরু হলেও পরবর্তিতে লিখেছেন সাম্ভালা টৃলোজি (সাম্ভালা, সাম্ভালা দ্বিতীয় যাত্রা, সাম্ভালা শেষ যাত্রা), ঋভু, আঁধারের যাত্রী এবং কালি ও কলম ২০১৬ শিশু ও কিশোর সাহিত্যে পুরষ্কারপ্রাপ্ত অদ্ভূতুড়ে বইঘর। এছাড়া বেশ কিছু গল্পসঙ্কলনে প্রকাশিত হয়েছে তার একাধিক ছোটগল্প। বর্তমানে তিনি ঢাকায় বসবাস করছেন। কাহিনী সংক্ষেপেঃ বাংলাদেশের হাজার হাজার গ্রামের মধ্যে অতি সাধারন এক গ্রাম।কাহিনীর শুরু হয় সেখান থেকেই।কিন্তু এই অসাধারন কাহিনী আটকে থাকেনি ঐ সাধারন গ্রামে।আটকে থাকেনি সময়ের বেড়াজালেও।বাংলাদেশের নানা জায়গা থেকে বিশ্বের নানা স্থানে পৌঁছে গেছে কাহিনীর পরিধি,পৌঁছে গেছে বর্তমান থেকে সুদূর অতীতে। পৃথিবীর পথ ধরে হাজার বছর ধরে ছুটে চলেছে প্রাচীন এক পথিক, সভ্যতার নানা ঘাত সংঘাত পেরিয়ে ক্লান্ত পথিক তার সর্বশেষ গন্তব্য সাম্ভালার খোঁজে বেরিয়েছে অবশেষে। কিন্তু তার এই চলার পথটা কি আসলে এত সরল? ওদিকে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণ রাশেদ। তার বন্ধু শামীম হঠাৎ নিরুদ্দেশ হয়ে যাবার আগে রাশেদের কাছে রেখে গেল অনেকগুলো টাকা আর রহস্যময় এক বই। পরে জানা গেল শতাব্দী প্রাচীন এই বইতে হদিস দেয়া আছে সাম্ভালার। মরিচীকা সদৃশ এই সাম্ভালার খোঁজে বছরের পর বছর ধরে ছুটেছে মানুষ। ড. আরেফিন আর ড. কারসনের সাহায্য নিয়ে এই বই এর রহস্যের সমাধান করার জন্য নামলো রাশেদ। পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ালো আকবর আলী মৃধা নামের এক অমানুষ, প্রেতসাধনা করে নিজেকে শয়তানের কাছে বিলিয়ে দিয়েছে এই লোক। নিজের হারিয়ে যাওয়া সম্পত্তি আবার নিজের অধিকারে ফিরিয়ে আনবার ব্যাপারে কোন ছাড় না দেবার প্রতিজ্ঞা করেছে সে। সাম্ভালা একটি শব্দ-যাকে ঘিরে আবির্ভূত হচ্ছে রহস্য।“সাম্ভালা”।কি এই সাম্ভালার অর্থ?এটা কি কোন জিনিসের নাম?কোন জায়গার নাম?কোন মানুষের নাম?কোন জাতির নাম? নাকি অন্য কিছু!বেশ কিছু মানুষ নেমেছে এই সাম্ভালার খোঁজে।তবে প্রত্যেকেরই উদ্দেশ্য ভিন্ন। সাম্ভালা-অদ্ভুত এক লোক।হাজার বছর ধরে পথ চলছে সে।অন্যদিকে এক শয়তানের সাধক আর তার একনিষ্ঠ বাহিনী।আর সাধারণ ছেলে রাশেদ।নিজ বন্ধুকে হত্যার মিথ্যা অভিযোগে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে তাকে।পিছনে লেগেছে পুলিশ।শুধু পুলিশ নয় তার বন্ধুকে যারা মেরেছে তারাও তাকে খুঁজছে। কি হবে শেষ পর্যন্ত?? শরীফুল হাসান এর প্রথম মৌলিক উপন্যাস সাম্ভালা।আর প্রথম লেখাতেই তিনি যে জটিল প্লট নিয়ে কাজ করেছেন তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।আসলে এধরনের বিষয় নিয়ে বাংলাদেশের কোন লেখকই আগে লেখেননি।তিনিই প্রথম লিখেছেন।আর কাহিনীর পরিধিও সুবিশাল।একসাথে অনেকগুলো ঘটনা তিনি বর্ননা করে গিয়েছেন।অনেকগুলো চরিত্রের কথা পাশাপাশি বলেছেন।এক কথায় বলতে তিনি একটি বহুস্তরবিশিষ্ট কাহিনী আমাদের শুনিয়েছেন।ভাবতে অবাক লাগে এতসব ঘটনা,চরিত্র তিনি কিভাবে মাথায় রেখে লিখেছিলেন।আমি মাঝেমাঝেই সময়,কাল,চরিত্রের খেই হারাচ্ছিলাম।কিন্তু তিনি খেই হারাননি।যথেষ্ট দক্ষতার স্বাক্ষর রেখে কাহিনীকে এগিয়ে গিয়েছেন পরিণতির দিকে। যে ব্যাপারটা পুরো সিরিজে সবচেয়ে চোখে লেগেছে তা হল বেশকিছু অসঙ্গতি।আর অবাক করার ব্যাপার হল প্রথম পর্বে এগুলো খুবই কম ছিল,দ্বিতীয় এবং শেষ যাত্রায় প্রচণ্ডভাবে বেড়ে গিয়েছিল।আমি সবগুলো বলতে গেলে হয়ত স্পয়লার হয়ে যাবে।তাই শুধু ৩ টি উদাহরণ দিচ্ছি।দ্বিতীয় যাত্রার ১৭১-১৭২ পৃষ্ঠা পড়ার সময় এক জায়গায় দেখা যাবে রাশেদ মোবাইল বের করে সময় দেখছে।পরের মুহূর্তেই দেখা যাবে সাথে মোবাইল না থাকায় সে কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারছে না!!আর বইটির বেশকিছু জায়গায় বিনোদ চরিত্রটিকে আকাশ বলা হয়েছে।আবার শেষ যাত্রায় কিছু জায়গায় একটি চরিত্রের নাম কখনো চরনদাস কখনো রামচরন বলা হয়েছে। পাঠ্য প্রতিক্রিয়াঃ এই সিরিজটি পড়ার সময় বা পড়া শেষে প্রথম যে ভাবনাগুলো মাথায় আসে তার মধ্যে অন্যতম হল এই সিরিজটাকে কোন জেনারে ফেলা যায়।কখনো মনে হবে ফ্যান্টাসি,কখনো এডভেঞ্চার।আসলে এই সিরিজটি ফ্যান্টাসি,অ্যাকশন-অ্যাডভেঞ্চার,থৃলার,গুপ্তধন,সিক্রেট সোসাইটি সব কিছুর সংমিশ্রণের একটি অনন্য উদাহরণ।অনেক সময় এতকিছু একত্রে আনতে গিয়ে অনেক লেখক একটা জগাখিচুড়ি পাকিয়ে ফেলেন।কিন্তু এক্ষেত্রে লেখক বিন্দুমাত্র ভুল করেননি।সব মিলিয়ে একটি চরম উপভোগ্য লেখা উপহার দিয়েছেন। বাতিঘর কে ধন্যবাদ এই মানসম্পন্ন মৌলিক লেখা উপহার দেবার জন্য।তারা গত কিছু সময় ধরেই অনুবাদের পাশাপাশি বিভিন্ন মৌলিক লেখা প্রকাশ করে
Was this review helpful to you?
or
#রবিজ_রকমারি_বুক_রিভিউ_কন্টেস্ট বইঃ সাম্ভালা লেখকঃ শরীফুল হাসান প্রকাশনীঃ বাতিঘর প্রকাশনী ধরণঃ থ্রিলার পৃষ্ঠাঃ ২৫৫ মূল্যঃ ২৪০টাকা সাম্ভালা একটি রহস্য। যার খোঁজে হন্যে হয়ে উঠেছে কিছু মানুষ।এটি এমন এক জগত যেখানে মানুষ চির অমর হয়ে থাকে। সেখানে মানুষের যৌবন অক্ষুণ্ণ থাকে। সেখানে নেই কোন হিংসা, বিদ্বেষ, রাহাজানি। সবাই সুখে শান্তি তে বসবাস করে। কারো কারো মতে সাম্ভালা জায়গাটা এই পৃথিবীর কোথাও আছে। যেটা লুকিয়ে আছে লোকচক্ষুর আড়ালে। সেই রহস্য নিয়ে এই সাম্ভালা সিরিজটা তিন খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে। এটা সিরিজের প্রথম বই। . কাহিনী সংক্ষেপঃ একজন মানুষ যিনি মৃত্যুকে জয় করেছেন, পান করেছেন অমরত্বের সুধা। সময়ের শুরু থেকে আজ অবধি তিনি আছেন। সেই আদিকাল থেকে বর্তমানের সবকিছু দেখেছেন তিনি। সভ্যতা নির্মাণ থেকে শুরু করে, পিরামিড নির্মাণ, রাণী শেবার সাম্রাজ্য, বিভিন্ন যুদ্ধ ইত্যাদি এখন পর্যন্ত এমন কোন ঘটনা নেই যেখানে তার অবদান নেই। বিভিন্ন সময়ে নাম, পরিচয় পরিবর্তন করে থাকেন। উনার কাছে এমন একটা জিনিস ছিলো যেটা দিয়ে অমরত্বের ফর্মুলা বানানো যায়। কিন্তু একদিন ঘটনাক্রমে সেটা চুরি হয়ে যায়। জিনিসটা অন্য কারো হাতে পড়লে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। সেটি উদ্ধার করতে নানান ঘটনার পরিক্রমায় লোকটি বাংলাদেশে উপস্থিত হন। কারণ বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে জানতে পারেন যে এটি বাংলাদেশের কোথাও রয়েছে। এদিকে একটা বইকে কেন্দ্র করে নির্মমভাবে একজন খুন হয়ে যায়। বইটার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে আলী মৃধা নামে একজন শয়তানের উপাসক। যে কিনা বইটার জন্য যে কোনো মূল্য দিতে রাজি আছে। সেই বইয়ের ঘটনায় কিডন্যাপ হয় একজন খ্যাতনামা বিদেশী বিজ্ঞানী ও মন্ত্রীর মেয়ে। ঘটনাচক্রে এই বইয়ের সাথে জড়িয়ে পড়েন মৃত্যুঞ্জয়ী সেই মানুষটি ও সাথে আরো অনেক নিরীহ মানুষ। একটি বইয়ের জন্য বিপন্ন হয়ে উঠে কিছু সাধারণ মানুষের জীবন। কিন্তু কেন? কি আছে সেই বইয়ে?? কেন আলী মৃধা সহ অনেকেই একটা বইয়ের জন্য এতো মরিয়া হয়ে উঠেছেন? . পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যে এতো সুন্দর একটা থ্রিলার লেখা সম্ভব সেটা এই বইটি না পড়লে বোঝা যাবেনা। লেখক শরীফুল হাসানের লেখা বই এই প্রথম পড়লাম। অসাধারণ থ্রিলার এবং এডভেঞ্চার ছিলো বইটিতে। এত সুন্দর একটা মৌলিক থ্রিলার বাংলা সাহিত্যে সত্যি এক নতুন মোড় এনেছে। ইতিহাস, রহস্য, মিথ, অ্যাডভেঞ্চার সবকিছু মিলিয়ে একটি দারুন একটা থ্রিলার বই। ঘটনা পরিক্রমায় লেখক কখনও অতীত কখনও বর্তমান কাহিনী সমন্বয়ে লিখে গেছেন। বইটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রুদ্ধশ্বাসে পড়েছি। বারবার ভেবেছি এরপর কি হতে পারে, কি হতে চলছে। বইটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভীষণ অস্থির অস্থির লেগেছে। পড়তে পড়তে কখনও হারিয়ে গিয়েছি ফ্রান্সের রাজা পঞ্চদশ লুই এর আমলে, কখনও হারিয়ে গিয়েছি রাণী শেবার বহরে কিংবা মিশরের ফারাও আমেনহোটেপ এর প্রাসাদে, কখনও বা তিব্বতে। ভেবেছি সত্যি এমন একজন মৃত্যুঞ্জয়ী মানুষ, সাম্ভালা, অমরত্ব লাভ করার ফর্মুলা আছে কিনা। যতই পড়েছি ততোই বিস্মিত হয়েছি। বইয়ের শেষ টা নাটকীয় আর অতি কাকতালীয় মনে হলেও ভালো লেগেছে। এই বইয়ের সাথে মুগ্ধতা কথাটাই বেশি খাটে। এই সিরিজের পরবর্তী দুটি বই এখনও পড়া হয়নি। এগুলোও পড়ে ফেলবো। - Bibi Rasheda Afrin Rumi
Was this review helpful to you?
or
ভালো বই। অনেক বড় বিস্তৃত প্লট, কিন্তু পড়তে খারাপ লাগবে না। এত সুন্দর একটি বই পড়তে গিয়ে বারবার হোঁচট খেতে হয়েছে শুধু বানান ভুলের কারণে। জানি না প্রকাশক কাকে দিয়ে প্রুফ রিডিং করিয়েছেন বা আদৌ করিয়েছেন কি না !! এত্ত এত্ত বানান ভুল। আর ণত্ব বিধান নামে বাংলা ব্যকরণের কোন অধ্যায় আছে, বই পড়লে মনেই হয় না। জানি না প্রকাশকরা এত খামখেয়ালিভাবে, দায়সারাভাবে বই বের করে কেন।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ বই।
Was this review helpful to you?
or
ফ্যান্টাসি- অ্যাডভেঞ্চার- থ্রিলার প্রেমী পাঠকের নিঃসন্দেহে ভাল লাগবে। বেশি ভাল লাগছে কারন, আমার মনে হয় একজন বাংলাদেশী লেখকের নিজস্ব সৃজনশীলতায় ইহাই প্রথম মৌলিক থ্রিলার টৃলোজি। ধন্যবাদ লেখককে, তার প্রচেস্টার জন্য।
Was this review helpful to you?
or
সাম্ভালা ঃ শরীফুল হাসান এর প্রথম মৌলিক উপন্যাস যতদুর জানি, খুব প্রিয় একটি বই, যদিও ট্রিলজি টা বেশ বেশ এবং বেশ বড়, কিছু বাড়তি কাহিনীও আছে যা জোর করে টেনে লম্বা করা মনে হয়েছে আরকি! হাজার বছর আমি পথ হাটিতেছি........... এইভাবেই পৃথিবীর রুক্ষ পথ ধরে হাজার-হাজার বছর ধরে ছুটে চলেছেন, খুঁজে চলছেন সাম্ভালা,প্রাচীন এক পথিক, এক রহস্য মানব, বহু নাম। বহু পরিচয়,কিন্তু যে নাম টা প্রচলিত বেশি তাহলো সেইন্ট জারমেইন, গুগল ঘাটলে এই ব্যক্তির বাস্তব উপস্থিতিও পাবেন, অনাদি কাল থেকে সভ্যতার নানা বাক,পথ, প্রান্তর পেরিয়ে ক্লান্ত পথিক তার সর্বশেষ গন্তব্য সাম্ভালার খোঁজে বেরিয়েছেন অবশেষে। সাম্ভালা কি? কেন??? এই সাম্ভালার খোঁজে বছরের পর বছর ধরে ছুটেছে মানুষ! কেন?? বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণ রাশেদ কিভাবে জড়ালো এই সাম্ভালা যাত্রায়??? তার বন্ধু শামীম হঠাৎ নিরুদ্দেশ হয়ে যাবার আগে রাশেদের কাছে রেখে গেল অনেক টাকা আর রহস্যময় এক বই, কেন?কেন খুন হল শামীম? কোথায় গেল সে?কি এই এই বই?কোথা থেকে আসল এই বই? কারা খুঁজছে এই বই? বহু শতাব্দী প্রাচীন এই বইতে হদিস আছে সাম্ভালার। ড. আরেফিন আর ড. কারসনের সাহায্য নিয়ে এই বই এর রহস্যের সমাধান করার জন্য এক রকম যুদ্ধে নামে রাশেদ, প্রিয় বন্ধু শামীম এর খুন এর রহস্য জানাও উদ্দেশ্য ছিল তাঁরকিন্তু কোন কিছুই তেলের মত সহজ না, পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ালো আকবর আলী মৃধা, যে নামের এক অমানুষ প্রেত সাধক,প্রেতসাধনা করে নিজেকে শয়তানের কাছে সমর্পন করেছেন। সেই প্রাচীন পথিক এর শত্রু কে? কেন খুঁজছে তাকে মজার ব্যাপার হল আমি যতটা শুনেছি এটা নাকি প্রথম থ্রিলার যেটা বাংলা থেকে হিন্দি এবং ইংলিশ এ অনূদিত হয়েছে। বই এর কাহিনী বাংলাদেশ-নেপাল-তিব্বত ঘুরেছে সাথে সাথে সেই অচেনা পথিক সারা বিশ্ব ঘুরেছেন,নীলনদ, ফ্রান্স, প্যারিস ঘুরেছেন, যত বিখ্যাত ঘটনা আছে, সভ্যতার উত্থান-পতন, সেসবের সাক্ষী,এত প্রাচীন কাহিনী গুলো দিয়ে একটি চরিত্র দাঁড় করানোর ব্যাপারটা অদ্ভুতই না এটা করতে অনেক কিছু জানার ও দরকার আছে। বেঁচে ছিলো সেই প্রাচীন কাল থেকে বার বার রুপ বদলেছেন, নিজের বয়শ কে বার বার ফিরিয়ে নিয়ে গেছেন মধ্য বয়স-কিংবা যুবক বয়সে, আসলে বয়স কত তাঁর? এই অমর চরিত্রটি বাদেও তিন খন্ডের বইটিতে আরও অনেক অনেক চরিত্র এসেছে,কিছু কিছু অংশ খাপছারা হলেও অনেক বেশি ভাললাগার বই। প্রসঙ্গত ঃ সেইন্ট জারমেইন একজন বিখ্যাত রসায়নবিদ ছিলেন, অনেক জায়গাতে দেখেছি তিনি নাকি আসলেও অমর, যদিও সেটা সম্ভব না, তিনি এই গল্পে সাম্ভালা নামে এমন এক জায়গাতে যান যেটা......... সাম্ভালা রহস্যই থাক!!
Was this review helpful to you?
or
আসলেই খুব চমৎকার একটি বই ! বাংলাদেশি একজন রাইটারের পক্ষ থেকে এমন চমকপ্রদ থ্রিলার উপহার পাওয়া সত্যিই অবাক বিষয় !! ভবিষ্যতে আরো এমন বই আশা করছি :)
Was this review helpful to you?
or
না পড়লে পুরাই মিস
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ - এই একটি শব্দই যথেষ্ট পুরো বইটা পড়ার অনুভূতি বলতে চাইলে। অনেকদিন আগে যখন আমি প্রথম বিভূতিভূষণের 'চাঁদের পাহাড়' পড়েছিলাম তখন মনে হয়েছিলো, আমাদের উপমহাদেশের, একজন বাঙ্গালির কলম থেকে এই ধরণের লেখা বের হওয়াও সম্ভব? যা পড়ে শেষ করেছি তা কি সত্যি এতোটা চমৎকার ছিল?এ যে স্যার হেনরি রাইডার হ্যাগারডের যেকোনো লেখার থেকেও শ্বাসরুদ্ধকর।সাম্ভালা পড়ে মনে ঠিক একইরকম অনুভূতি অনেকদিন পর ফিরে পেয়েছি।লেখকের লেখনি ঝকঝকে তকতকে সাজানো গুছানো ঘরের মতোন।দেখলেই ভালো লাগে।তাছাড়া কাহিনী বুনন যথেষ্ট শক্তিশালী যা আট থেকে আশি - সকল বয়সের পাঠককে শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে সক্ষম। তিন খণ্ডের বইয়ের প্রথম এই খণ্ডে কাহিনী শুরু হয়েছেই রহস্য দিয়ে। একটি রহস্যময় বই এর অন্তর্ধান, একজন রহস্যময় বৃদ্ধ এবং শয়তান পূজারি দলের নৃশংসতা নিয়ে পাতায় পাতায় যে নিপুণতার সাথে লেখক কাহিনী এগিয়ে নিয়ে গেছেন তা সত্যিই প্রশংসাযোগ্য।অধ্যায়ের পর অধ্যায় একবার অতীত একবার বর্তমান, একবার গ্রাম বাংলা একবার রাজধানির দৃশ্যপট বর্ণনা এবং গল্পের রহস্য এতো সুন্দর ভাবে মিলেমিশে একাকার হয়েছে যা পাঠককে মোটেও বিরক্ত বা রিডারস ব্লকে আক্রান্ত হতে দেয় না।সাম্ভালা নামক স্থানটার প্রতি পথিকের আদিম যাত্রা বা অমরতার প্রতি মানুষের তীক্ষ্ণ পিপাসা কে পুঁজি করে লেখকের এই অ্যাডভেঞ্চার ধর্মী উপন্যাস লেখার প্রয়াস মুগ্ধ করেছে।বইয়ের অনেক চরিত্র কাহিনীর ধারা বর্ণনার সাথে সাথে একজন আরেকজনের সাথে আস্তে আস্তে যেভাবে কানেক্টেড হয়েছে তা আরাম দেয়।এছাড়া টান টান উত্তেজনা তো আছেই। কোন এক সুদূর পাড়াগাঁয়ের এক পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যাক্তি যে কিনা বিপদের কথা আগে থেকেই আঁচ করতে পারেন। যার বাড়িতে আছে নিজস্ব একটি তালাবদ্ধ ঘর- যেখানে কি আছে কেউ জানেনা আজ পর্যন্ত।সেখানে হটাত করেই শুরু হয় রহস্যময় খুন। একই পরিবারের ছেলে রাশেদ ঢাকায় হলে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে।তার বন্ধু শামিম শয়তানপূজারি দলের হাতে নৃশংসভাবে খুন হবার আগে রাশেদের হাতে দিয়ে যায় প্রাচীন এক রহস্যময় বই। এই বইয়ের রহস্য ভেদ করতে গিয়ে রাশেদের সাথে সাথে তার কাছের মানুষজন এবং বিদেশের এক অধ্যাপকও জড়িয়ে পরেন আততায়ীর হাত থেকে নিজের জীবন বাঁচানোর খেলায়। শেষটা জানতে হলে বই পড়তে হবে এবং সেটা এক বসায় শেষ হয়ে যাবে এটুকু নিশ্চিত। বইয়ের কভার সুন্দর।প্রথম থেকেই রহস্যের ঘেরাটোপে বাঁধা কাহিনি। ছোট ছোট অধ্যায় যা পড়ার সময় ক্লান্ত হবার সুযোগ দেয়না।একঘেয়েমি আনেনা টান টান বুননের কাহিনী। এক পাতা পরলে 'কি হবে কি হবে' ভেবে এক নিঃশ্বাসে আরও পাঁচ পাতা পড়তে ইচ্ছা করে। সেশের দিকে যদিও একই চরিত্রের মুখে একই ধরণের কথা বারবার বলতে দেখে খানিকটা খটকা লাগে তবে এডভেঞ্চার এর নেশায় সেগুলো অতো মনে ধরে না।বাংলা সাহিত্যে এর আগেও নানারকম এডভেঞ্চার কাহিনী লেখা হয়েছে এবং তার সিংহভাগই বিদেশি রচনার অনুকরণে।যারা যারা স্বকীয়তা বজায় রেখে লিখেছেন তারা সাহিত্য আকাশে অনন্য হয়ে উঠেছেন খুব সহজে।সাম্ভালা পড়ে মনে হয়েছে আরও একবার নতুন কিছু পেতে যাচ্ছে সাহিত্যজগত।এবং সেটা যদি এই বাংলাদেশ থেকে হয় তবে অহংকার ধরে রাখার জন্য পৃথিবী নামের জায়গাটা খুবই ছোট।
Was this review helpful to you?
or
এটা যে সাম্ভালা ট্রিলোজির প্রথম খন্ড প্রায় সবাই জানেন। বইটা একটু দেরিতে পড়া শুরু করে, গতকাল রাতে শেষ করেছি। যাই হোক, সাম্ভালা প্রথম যাত্রা বইটির সবচেয়ে ভালো দিক হিসেবে আমি বলবো, লেখকের একান্ত নিজস্ব সহজ-সরল বর্ণনাশৈলী। লেখক শরীফুল হাসান বইএর কোথাও কোন জটিলতার আশ্রয় নেননি। বরং, অনেক জটিল সিকোয়েন্সও অতি সহজপাঠ্য করে তুলে ধরেছেন। এটাকে বাংলা থৃলার জগতের এক মাইলস্টোন হিসেবে আমি মনে করি। এখন আসি কাহিনি সংক্ষেপে। সাম্ভালা প্রথম যাত্রা বইটির কাহিনি আবর্তিত হয়েছে, একটি চির রহস্য সাম্ভালাকে ঘিরে। সাম্ভালা হচ্ছে চির যৌবনের শহর, যাকে বেশিরভাগ মানুষ শুধুমাত্র প্রাচীন একটি মিথ হিসেবে মনে করে। কিন্ত্য একজন প্রাচীন পথিক, যাঁর বয়সের কোন গাছপাথর নেই, তিনি এই পথের সন্ধানে হাজার হাজার বছর ধরে লক্ষ্ লক্ষ মাইল পথ অতিক্রম করে চলেছেন আজও। তাঁর কাছেই একমাত্র আছে 'দ্য এলিক্সির অফ লাইফ' বা অমৃতসুধা। যা পান করে তিনি নিজের জীবনকে অবিশ্বাস্যরকম দীর্ঘায়িত করেছেন। হাজার হাজার বছর ধরে তিনি ঘুরে বেড়িয়েছেন মিশর, আফ্রিকা, ফ্রান্স, রোমসহ আরো বহু দেশ। তিনি সময়ের সাথে সাথে বদলে নিয়েছেন নিজের পোশাকি নাম। সত্যি, এক অদ্ভুত চরিত্র। এ কাহিনিতে আরো আছে অমৃতসুধা প্রস্তুতের নিয়মাবলী নিয়ে অপ্রচলিত ভাষায় লিখিত একটি প্রাচীন বইএর পেছনে ধাবিত শয়তান লুসিফারের উপাসক আকবর আলী মৃধার কথা। যে এই বইএর জন্য কারো জীবন নিতেও দ্বিধা করেনা। আছে রাশেদ আর লিলির প্রেমকাহিনি। এ বইএ আছে রাশেদের বন্ধু শামিমের মর্মান্তিক মৃত্যু। আছে জ্ঞানপিপাসু ডক্টর আরেফিন আর ডক্টর কারসনের কথা। আর বিশ্বাসঘাতক ও লোভী ডক্টর শাখাওয়ার তো আছেনই। বইটিতে মূলত এলিক্সির অফ লাইফের পুঁথিটি উদ্ধারের ব্যাপারটাই বেশি প্রাধান্য পেয়েছে। দ্বিতীয় যাত্রায় হয়তো সাম্ভালার ব্যাপারে আরো অগ্রসর হওয়া
Was this review helpful to you?
or
Hardcover (edit) review বইটা আমি কিনেছিলাম ২০১২ সালের বইমেলাতে। নাম আর প্রচ্ছদটা দেখে খুব আগ্রহ জেগেছিল তখন। কিন্তু তখন ভালমত পড়তে পারি নাই, পরীক্ষার কারণে তাড়াহুড়ো করে শেষ করেছিলাম। তাই আবার পড়লাম। এবং আবার ও মুগ্ধ হয়ে গেলাম। বইটা পড়ে মনেই হয় নি কোথাও যে এটা লেখকের প্রথম উপন্যাস। বইটার কাহিনী শুরু হয় একটা খুন এর মধ্যে দিয়ে। একটা বই কে কেন্দ্র করেই ঘটে ঘটনাটা। কিন্তু কি আছে সেই বই এ যার কারনে এতটা নির্মম ভাবে খুন করা হল একটা নিরীহ ছেলে কে?? তার জবাব খুজতেই নেমে পড়ে তার সবচেয়ে কাছের বন্ধু। আর জড়িয়ে পড়ে অদ্ভুত এক রহস্যে। কিন্তু এটাই গল্পের মূল কাহিনী নয়, মূল কাহিনী একজন অদ্ভুত মানুষকে নিয়ে, অনেকের কাছে যিনি হাজার বছরের একটা রহস্য, যে রহস্যের কিনারা করতে একজন ব্রিটিশ প্রফেসর চলে এসেছেন এই দূর বাংলাদেশে। এই রহস্যের কিনারা করতে আর ঐ বইটাতে কই আছে তা জানতে হলে পড়তে হবে বইটা। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে যে বিষয়টা তা হল ইতিহাস এবং সময় এর পাশপাশি চলার বর্ণনাটা। কিছক্ষনের জন্যে হয়তো হারিয়ে গিয়েছি ফ্রান্সের রাজা পঞ্চদশ লুই এর আমলে কিন্তু এর পরেই হঠাৎ আমাদের বগুড়া তে, আবআর কিছুক্ষনের জন্যে রাণী শেবার বহরে কিংবা মিশরের ফারাও আমেনহোটেপ এর প্রাসাদে, কিন্তু এর পড় মুহূর্তেই শান্তিনগর কিংবা টিএসসি তে দৌড়াদৌড়ি। আর বইটার সমাপ্তি ও হয়েছে সুন্দর। সব ঘটনা কে খুব সুন্দর ভাবে জোড়া লাগানো হয়েছে, যদিও কিছু ক্ষেত্রে একটু অতি কাকতলীয় বলে মনে হয়েছে। তবে সেটা চমৎকার বর্ণনার কারণে খুব বেশী একটা দাগ কাটে নি। তবে শেষ করে মনে হয়েছে যে শেষ হয়েও হইলো না শেষ। কিন্তু চিন্তার কিছু নাই হাতে দ্বিতীয় পার্টটা আছে এখন। আর তৃতীয় পার্ট ও এই বই মেলায় বের হবে । আর একটা না বললেই না যে, থ্রিলার এর ক্ষেত্রে আমরা প্রায়ই একটু মাত্রাতিরক্ত swearing কিংবা গালাগালি করতে দেখি। কিন্তু বইটা তে খুবই সুন্দর ভাবে এই দিকটা পরিহার করা হয়েছে। সত্যি বলতে বাংলাদেশী প্রেক্ষাপট এ এই ধরণের থ্রিলার আমি আগে পড়ি নাই। যারা পড়েন নাই নিরদ্বিধায় পড়তে পারেন। ভালো লাগবে।
Was this review helpful to you?
or
ভালো লেগেছে, লেখকের কাছ থেকে এই ধরনের বই আরো আশা করছি, সাইফুল, খুলনা।
Was this review helpful to you?
or
সাম্ভালার লেখককে ধন্যবাদ এতো চমৎকার একটা আডভেঞ্চার, মিস্টরি থ্রিলার আমাদের উপহার দেয়ার জন্য। আমি এক নিশ্বাসে বইটা পড়ে গেছি। মাঝে মাঝে অবাক বিস্ময়ে ভেবেছি আমাদের দেশেও তাহলে বিশ্বমানের থ্রিলার লেখা হয়। থ্যাঙ্কস। কায়কোবাদ
Was this review helpful to you?
or
Onekdin por lekhoker sundor ekta uponnas porlam...ek kothai osadharon...er majhe ache jmon itihas,...temni thrill...ro erokom sundor boi asa korchi..
Was this review helpful to you?
or
Samvala is a real thriller indeed! Every page makes you wait for the next one ,I completed reading the book at a stretch .I am enthralled to find such an exquisite peace of thriller in Bangla literature .To the thriller enthusiasts it will be completely a new experience to turn each page of Samvala. I am especially amazed at the manner of storytelling and story building. Mystery and history-both goes hand in hand in Samvala,one moment you are in the busy steets of Dhaka in another moment the writer takes you to the royal chamber of King Solomon .The story starts in a small village of Bangladesh with a much familiar setting but I can guarantee that the tweaks and twists offered in the story will make you dumbfounded . It is true that the topics such as treasure hunting, black magic etc are not new to the ardent readers as previous attempts have been made by Ali Imam, Tarashonkor to introduce these dark sides of mystery to us but the credit of the writer is that he had been able to interwoven these ideas in such a compelling manner that readers will definitely find it mesmerizing .May be Samvala is the first attempt in Bangla literature to blend historical events with chilling adventures-a daunting task for a writer requiring huge research and devotion.
Was this review helpful to you?
or
সাম্ভালা অপূর্ব একটি উপন্যাস, একবার হাতে নিলে শেষ না করে ছাড়া যাবে না। ইতিহাস, রহস্য, অ্যাডভেঞ্চার সবকিছু মিলিয়ে একটি দারুন লেখা, কিভাবে লেখক সবগুলো টুকরো টুকরো সুতো দিয়ে চমৎকার একটি মালা তৈরি করলেন তাতে মনেই হয় লেখকের প্রথম উপন্যাস পড়ছি। আমি নিশ্চিত বিশ্বের নামকরা সব লেখকদের নাক কেটে দেয়ার মতো ক্ষমতা এখন বাংলাদেশি লেখকদের হয়েছে!!!!
Was this review helpful to you?
or
odvut sundor ekta uponnash.. ek kothai osadharon
Was this review helpful to you?
or
অসাধারন একটি উপন্যাস, অন্তত বাংলায় এতো বিস্তৃত প্লট নিয়ে লেখা কিছু পড়ি নি অন্তত থ্রিলার/ আডভেঞ্চারের ক্ষেত্রে কথাটা সত্যি। লেখকের প্রথম উপন্যাস, কিন্তু লেখায় এমন একটা কিছু ছিল যা শেষ পাতা পর্যন্ত পাঠককে সাথে রাখে। এমন কিছু অদ্ভুত ইতিহাসের বর্ননা আছে যা সাধারনভাবে আমরা কেউ জানি না। লেখকের কাছ থেকে আগামীতেও এ ধরনের কিছু আশা করছি।