Our User Product Reviews

outstanding writing! wonderful expressed all the important staff through story telling!! ? absolutely love it!!

এই বইটি খুব অনুপ্রেরণাদায়ক । বিভিন্ন বিষয়ে জানা যায় ।

এই বইটি পড়লে অনেক কিছু জানা যাবে। এখনে অনেক গুলো গল্প যা পড়তে ভালো লাগে এবং অনেক কিছু জানা যায়।

nice ...I loved it..and I wanna suggest all of the science lovers

Nice Book ? Creates interest in science. Science storys are told in a very enjoyable way in this book.Any one who likes science and want to read a Educational and also enjoyble book can read this. However the science stuff is not are not advanced level. The educational stuff is not written in a detailed and academic way.This book mainly focuses on the storys and trys to create interest in science . So dont expect a serious science book.

good

Good one.

nice

ভালো ছিল

ভালো!

Timely delivery

বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী করতে বইটি আপনাকে সহায়তা করবে।

রকমারি রিভিউঃ বইঃ হাইজেনবার্গের গল্প। লেখকঃ শামীর মোন্তাজিদ। প্রকাশনীঃ অধ্যয়ন। মূল্যঃ ২০০ টাকা। পৃষ্ঠাঃ ৯২। বিজ্ঞানের ২৫টি মজার, আশ্চর্যের ও অভাবনীয় কাহিনী ও আবিষ্কার নিয়েই ‘হাইজেনবার্গের গল্প’। যারা বিজ্ঞান নিয়ে একটু হলেও ঘাটাঘাটি করেন, তাদের কাছে অনেকগুলোই পরিচিত মনে হবে। কিন্তু বইটি তাদের জন্য লেখা না। যারা বিজ্ঞানের জগতে একদম নতুন এবং আগ্রহী তাদের জন্য বইটি অনেক ভালো ও সহায়ক হবে। একইসাথে বিজ্ঞানপ্রিয় মানুষদের বইটি পড়তে খারাপ লাগবে না।

ভালো একটা বই

লেখক শামীম ভাইয়ের কাছ থেকে আরও উন্নতমানের ভালো ভালো বই সামনে ভবিষ্যতে পাবো এই আশায় ll আজকের এই বইটি সম্পর্কে একটু লিখি হাইজেনবার্গের গল্প মোটামুটি মানের হয়েছে ll যারা বিজ্ঞানকে ভালোবাসে শামীম ভাইকে ভালোবাসে, তারা বই পড়ে দেখবেন l আমি বই পড়তে ভালোবাসি l রকমারি ধন্যবাদ আমার কাছে বইটি পৌঁছে দেওয়ার জন্যl – ধন্যবাদ–

wow

Amazing!!!

valo boi ta

খুব সুন্দর একটি বই

good

অসাধারন

শিখার কিছুই নাই

মোটামুটি । ওতো আহামরি কিছু না । তবে নতুন কিছু শিখেছি । রেকমেন্ডেড করার মতো না

good

onek balo ponno.

খুবই ভালো একটা বই। ভাষায় প্রকাশ করে বুঝানোর মতো না।

ভাল

oshadharon.

This book is awesome and I really adore it a lot.

এককথায় অসাধারণ

Exuberant.

vishon valo. amar ase khub interesting o mojadar mone hoyese. tomra sobai eta porte paro.

বুক রিভিউ ?✍ ২২ বই : হাইজেনবার্গের গল্প লেখক : শামীর মোন্তাজিদ প্রকাশনী : অধ্যয়ন পার্সোনাল রেটিং - ৫/৫ বিজ্ঞান আপনার ভাল লাগে না, বিজ্ঞানকে আপনি কঠিন মনে করেন? বিজ্ঞান যে কত মজার, ভুল করেই যে পৃথিবীর বড় বড় টেকনোলজি ও ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক আবিষ্কার হয়েছে যার বিনিময়ে বর্তমান বিশ্ব পৌঁছে যাচ্ছে উন্নতির সর্বোচ্চ শিখরে। হাইজেনবার্গের গল্প বইটি পড়লে বিজ্ঞানের অনেক অজানা তথ্য ও রহস্য জানতে পারবেন এবং বিজ্ঞানের প্রতি আলাদা একটা আকর্ষণ অনুভব করবেন। একটি ব্যাকটেরিয়ার (Clostridium acetobutylicum) আবিষ্কার প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ভাগ্য নির্ধারণ করে ইসরাইলের মত একটি রাষ্ট্র পর্যন্ত তৈরি করে দিল। বায়োটেকনোলজির গুরুত্ব কতখানি তা বোঝার জন্য এর থেকে ভালো উদাহরণ আর নেই। শাঈম ওয়াইজম্যানকে ব্রিটেনের রানী ইসরাইল রাষ্ট্র পুরস্কার দিয়েছিলেন তার ব্যাকটেরিয়া (Clostridium acetobutylicum) আবিষ্কার এর ফলস্বরূপ। আচ্ছা শুধু চিন্তা করে কি জগৎ বদলে দেয়া যায় না! কতটা কিছুটা হলেও ভুল। চিন্তা করে জগতের উপর অতিক্ষুদ্র প্রভাব থেকে ফেলা যায়। আমি মাঝে মাঝে ভাবি কেন জামাতে যে নামাজ পড়তে উৎসাহিত করা হয়? কেন হিন্দুরা বিশাল রথযাত্রা করে? কেন লাখো মুসলিম হজ করতে আরাফাতের ময়দানে সমবেত হয়? নিশ্চয়ই কিছু মানুষ বুঝতে পারেন এর আসল প্রভাব। লাখখানেক মানুষের মস্তিষ্ক যখন একই স্রষ্টার চিন্তায় মশগুল হয় তখন হয়তো আরাফাতের ময়দানের চারপাশের ডাইপোলগুলো নিশ্চয় একটা প্যাটার্নে আস্তে আস্তে শৃঙ্খলিত হতে শুরু করে। 1939 সালে শুরু হলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ । আটলান্টিক মহাসাগরের ওপর পাশে যুক্তরাষ্ট্র তার বিখ্যাত "ম্যানহাটান প্রজেক্ট" শুরু করল যেখানে রবার্ট ওপেনহাইমার সাহেবের নেতৃত্বে প্রথম মার্কিন পারমাণবিক বোমা তৈরীর গবেষণা চলছিল। যুদ্ধে টিকে থাকতে হলে হিটলারকেও বানাতে হবে জার্মান এটম বোম! কিন্তু কে বানাবে এই মারণাস্ত্র? হিটলার কড়া নাড়লেন হাইজেনবার্গের দরজায়। চার দশক ধরে যে জার্মান নামকরা বিজ্ঞানীরা পরমাণুর গঠন এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিতে দিন-রাত এক করে ফেলেছিলেন তারা এবার শুরু করলেন জার্মান নিউক্লিয়ার রিচার্জ ইউরেনিয়াম ক্লাব। হাইজেনবার্গ হিটলারের শত্রু থেকে পরিণত হলেন মিত্রে। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ হয়েছিল বিজ্ঞানীদের মধ্যকার যুদ্ধ। বিশ্বযুদ্ধের সময় কালেই বিজ্ঞানের সর্বোচ্চ উৎকর্ষ সাধিত হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানি বৈজ্ঞানিক ভাবে এগিয়ে ছিল বলেই তারা জয়লাভ করে কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশরা এগিয়ে থাকার ফলে জার্মানিরা হেরে যায়। পৃথিবীর এই বর্তমান অবস্থানের পেছনে বিজ্ঞানীদের অবদান অনস্বীকার্য। আর বিজ্ঞানীদের বেশিরভাগ আবিষ্কার কিন্তু ভুল থেকেই হয়েছিল। ভুল একটা অসাধারণ জিনিস। এক সময় একটা মানুষ 10 হাজার বার চেষ্টা করেও বৈদ্যুতিক বাল্ব আবিষ্কার করতে ব্যর্থ হন। তাকে প্রশ্ন করা হলে সে জবাব দেন আমি ব্যর্থ হইনি আমি 10000 টা উপায় শিখেছি যার দ্বারা বাল্ব আবিষ্কার করা সম্ভব না। সে হলেন টমাস আলভা এডিসন। ব্যর্থ হওয়া মানেই সফলতার দ্বার উন্মোচিত হওয়া। বইয়ের ৮৮,৮৯ পৃষ্ঠায় হিটলারের নামের বদলে হিমলার ব্যবহার করা হয়েছে অনেকবার। বইয়ের চুম্বন লাইন - When I meet God, I am going to ask him to questions - why relativity? and why turbulence? really believe he will have an answer for the first one. The first gulp from the glass of natural science will turn you into an atheist, but all the bottom of the glass God is waiting for you. (Werner Heisenberg) Now I am become Death, the destroyer of worlds. The greatest power in this world is called science. Hope is a good thing. Maybe the best things. And no good thing ever dies. (Show Shank Redemption) The book of science is a wonderful read. But it contains that chapters too. No matter what, love always wins. Homo sapiensis the most ferocious species in this planet. An arrested man is lnnocent until proven otherwise. Science is the opposite of ignorance. There is no stupid question in science. You can see with your eyes. But you need your imagination to observe. Science does not guarantee plesant information. It only promises the truth. Think, think & think. Then think some more! it does have some effects. #Book_review #Abu_Yousuf_Akash

Awesome book full of scientific information.

বিজ্ঞান যে কত মজার তাই সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন শামির ভাইয়া । সুন্দর একটি বই

Good

Good

Very good book

****

This is a nice book.

ভালো

খুব ভালো লেগেছে

i bought it almost one year back but when i read again it seems i bought new. its amazing experience and many many thanks to the Montazid vi. hope we will get more books from you and your experience help us, motivate us. thank you so much......

Very nicely articulated and well explained.

সত্যিই বইটি মুগ্ধ করার মতো।জ্ঞ্যানের তৃষ্ণা মেটানোর জন্য বইটি যথেষ্ট উপযোগী।শুধু এই বিষয়ের ছাত্র না, সবাই এই বইটি সমানভাবে উপভোগ করতে পারবে।শিখতেও পারবে অনেক কিছু।বইটি পড়ার পর ভালো লাগা কাজ করবেই।অনেক চিন্তার খোরাক যোগাবে বইটি।আমি সবাইকে রেফার করবো বইটি পড়ার জন্য।

Awesome

শামীর মোন্তাজিদ ভাইয়ার হাইজেনবার্গের গল্প এই বইটিতে তিনি অনেক সুন্দর ভাবে বিজ্ঞানের বিভিন্ন রহস্যময় ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। কেন কোন ঘটনাগুলো ঘটে তাও তিনি বিস্তারিতভাবে বলেছেন। এই বইটি পড়তে সায়েন্সের স্টুডেন্ট হতে হবে তা কিন্তু নয়। যেকেউ খুব সুন্দর ও সহজে বুঝতে পারবে প্রতিটা গল্পের পেছনের কারণটা কী। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে বইটি। জানতে পেরেছি অনেক কিছু। আশা করি অন্যরাও বিভিন্ন ধরনের রহস্যের সম্পর্কে জানতে পারবে বইটি পড়ে।

বইয়ের নামঃ "হাইজেনবার্গের গল্প" লেখকঃ শামীর মোন্তাজিদ আসসালামু আলাইকুম৷ আজ আমরা জানার চেষ্টা করবো আমাদের সবার প্রিয় শামীর ভাইয়ার অনবদ্য সৃষ্টিকর্ম "হাইজেনবার্গের গল্প" বইটি সম্পর্কে। তাহলে চলো, শুরু করা যাক। শামীর ভাইয়া মূলত বইটি লিখেছেন আমাদের তরুণ প্রজন্মকে বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে। আর আমি বলবো সেক্ষেত্রে ভাইয়া শতভাগ সফল। এই বইয়ে শামীর ভাইয়া তুলে ধরেছেন বিজ্ঞানীদের মজার মজার সব কান্ড। বইটি পড়তে গিয়ে কখনো হেসেছি, আবার কখনো বিস্মিত হয়েছি। এই বইয়ে আমরা জানতে পারবো, ফাইজার ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি কিভাবে হৃদরোগের ঔষধ তৈরী করতে গিয়ে ভায়াগ্রা আবিষ্কার করে বসে। আমরা জানবো কিভাবে "থ্যালিডোমাইড" ড্রাগস গর্ভবতীদের জন্য আশীর্বাদের নামে অভিশাপ হয়ে আসে৷ যার ফলে হাজার হাজার বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম হয়। আমরা জানতে পারবো শাঈম ওয়াইজম্যান নামক ইহুদি বিজ্ঞানীর ক্ষুদ্র এক ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কার কিভাবে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়। আলেকজান্ডার ফ্লেমিং-এর ভূল থেকে কিভাবে পেনিসিলিন আবিষ্কৃত হয়, অ্যালান টিউরিং এর কোড ব্রেকিং যেভাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দেয়, এসব মজার মজার বিষয় জানতে দ্রুত পড়ে ফেলো শামীর ভাইয়ার হাইজেনবার্গের গল্প। এমন আরো মজার মজার গল্প-প্রবন্ধ পড়তে ঘুরে আসতে পারো www.shamirmontazid.com থেকে। আল্লাহ হাফেয।।

very nice book

This book was so good to read

This book contains stories of many scientists and their inventions. It could be read in one sitting. A very good book for science enthusiasts. But one thing that I would like to address is that, as the stories are taken from his blog posts, it should have been a bit of edited before publishing as a whole book considering the language.

শামীর মোন্তাজিদ ভাইয়ার লেখা হাইজেনবার্গের গল্প বইটি আসলেই খুব মজার ছিল। বইটিতে বিচিত্র টপিকগুলো সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। সায়েন্সের উপর লেখা হয়েছে বইটি। আমার পড়া বেস্ট টপিক ছিল মশা ও এইডস । তাছাড়া কিছু কিছু ছিল মজার ইনফর্মেশন যা আমাকে আনন্দ দিয়েছে। হাইজেনবার্গের গল্প ২ আসবে জেনে আমি আরো খুশি । So I am waiting for Heisenberger Golpo 2.

জয়, বিজ্ঞানের জয়! বইটি পড়ে অনেক অজানা বিষয় জানতে পেরেছি। এর দ্বিতীয় পর্বের জন্য অপেক্ষায় আছি।

বিজ্ঞানের মজার বিষয়গুলো একটু গভীর ভাবে জানতে পারলাম

অধ্যয়ন পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত শামীর মোন্তাজিদের লিখা হাইজেনবার্গ এর গল্প একটি ভিন্নধর্মী রচনা। এই বইটি বিজ্ঞান প্রেমিদের খুবই ভালো লাগবে।

Review after 1st read: I LOVED THIS BOOK! My favourite chapter is ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়! End of review! :D Review after 2nd read: ব্যাক টু ব্যাক দুইবার পড়লাম বইটা। ইশ! কী সুন্দর লিখে ছেলেটা (ছেলেটা বলছি কারণ লেখক আমার সমবয়সী। তারপরেও কী অসাধারণ লেখে! কী করলাম জীবনে! :'( সতর্কবাণী পড়ে আমি মুগ্ধ। ওইটুকু পড়েই ধারণা পাওয়া যায় কতটা গোছানো আর সাবলীল তার লেখা। এটা তার প্রথম বই। ফেসবুকে তার লেখা প্রায়ই পড়ি। ভালোই লাগে, এযুগের মাপকাঠির বিচারে খুবই পরিচ্ছন্ন চিন্তাভাবনা :) সেই আস্থা থেকেই কেনার ইচ্ছা হল। অনেক কিছু জেনেছি। কিছু প্রচলিত বিশ্বাস ভেঙেছে। যেমন- মা ও বাচ্চার DNA নাও মিলতে পারে! উটপাখি মোটেও বিপদ থেকে বাঁচতে বালিতে মাথা গুজে রাখেনা ...এবং আরো! আমার খুব পছন্দের ৩ টা চ্যাপ্টার ছিল- জঙ্গিবাদের পেছনে আছে DNA, ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় এবং কাইমেরিক মা। আমার খুব পছন্দের ৩ টা চ্যাপ্টার ছিল- জঙ্গিবাদের পেছনে আছে DNA, ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় এবং কাইমেরিক মা। সংগ্রহে রাখার মত বই। বইটা কিনুন। নিজে পড়ুন। আপনার প্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানকে পড়তে দিন। **আপনার অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তান এই বই পড়ে উলটাপালটা প্রশ্ন বর্ষণ শুরু করলে তার জন্য আমি দায়ী নই :p O:)

আবিষ্কারের পেছনের গল্প শুনতে চান? কিংবা নিজেকে কেন গবেষনার জগতে বিলিয়ে দিবেন?? কিংবা কিভাবে অমরত্ব পায় আলাভোলা বিজ্ঞানীরা? এরকম কিছু মজার গল্প নিয়েই সাজানো বইটি! আর হ্যা, এই গল্পের ভূমিকা পড়ে আপনারও ইচ্ছে করবে কম্পিউটার নিয়ে বসে পড়তে কোনো মজার বিজ্ঞান বিষয়ক গল্প লিখতে, সাথে ধূমায়িত কফির কাপ নিয়ে? কারণ সম্পূর্ণ বইটাই লেখা হয়েছে দেশ বিদেশের নানান কফিশপে বসে!!

শামীর মোন্তাজিদ ভাইয়া বইটি লিখেছেন আমাদের তরুণ প্রজন্মকে বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে। আর আমি বলবো সেক্ষেত্রে ভাইয়া শতভাগ সফল। বইটিতে ভাইয়া স্থান দিয়েছেন বিজ্ঞানীদের মজার মজার সব কান্ড আর মজার বিষয় আমাদের দৈনন্দিন ব্যবহার্য কিংবা যে জিনিস ব্যবহার করি কিন্তু জানি না কিভাবে উৎপত্তি তারই কিছু অংশ স্থান পেয়েছে বইটি আর এটা আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে।

শামীর ভাইয়ার "হাইজেনবার্গের গল্প" অত্যন্ত চমৎকার একটি বই। আর বইটিতে তিনি তার লেখা গল্পগুলো এতো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন যে , তা সাইন্স,কমার্স,আর্টস যে কোন বিভাগের শিক্ষার্থীরা পড়তে পারবে এবং আনন্দ উপভোগ করবে। সত্যিই অসাধারণ একটি বই।

সুন্দর একটি বই। ভালো লাগছে

হাইজেনবার্গের গল্প না পড়লে কেও বুঝতে পারব না যে এটা কত সুন্দর একটা বই। সবারই পড়া প্রয়োজন আমার মতে। খুবি সুন্দর একটা বই।

সুন্দর বই। মজার মজার গল্প। পড়ে ছোটদের শোনানো যাবে এমন সব গল্প। দারুন।

? বইয়ের নাম: হাইজেনবার্গের গল্প। ? লেখক: শামীর মোন্তাজিদ ? প্রকাশনা: অধ্যয়ন প্রকাশনী ? পৃষ্ঠা সংখ্যা:৯২ ? মূল্য: ২০০৳ বিজ্ঞান। বিশ্লেষণ করলে, 'বি'-- উপসর্গ পূর্বক 'জ্ঞান', অর্থ্যাৎ সম্প্রসারিত অর্থে জ্ঞানের বিশিষ্ট রূপ হলো বিজ্ঞান। সাহসী মানবজাতির ইতিহাসটা বিজ্ঞানেরই ইতিহাস।বিজ্ঞান অনেক মানুষকে অজ্ঞান করে, আবার অনেক মানুষের মধ্যে নেশা তৈরি করে বিজ্ঞানী গড়ে তুলে। কিন্তু আমরা সবাই জানি বিজ্ঞান ছাড়া আমাদের জীবন অচল।বিজ্ঞানকে তাই ভালোভাবে জানা দরকার, তবেই না হবে এর ব্যবহার! আমি বিশ্বাস করি, শামীর মোন্তাজিদ ভাইয়ের "হাইজেনবার্গের গল্প" বইটি ‌শুধু বিজ্ঞানকে জানাবেই না,বিজ্ঞানের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি করবে--আর হাতছানি দেবে অনেক "পাগল"কে,পৃথিবীর উৎকৃষ্টতম "পাগলাগারদ"--বিজ্ঞানের জগতে। "হাইজেনবার্গের গল্প" শামীর মোন্তাজিদ ভাইয়ের প্রকাশিত প্রথম বই।বইটি প্রকাশিত হয়েছে ২০১৯ এর বইমেলাতে।প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ শেষে বর্তমানে শামীর ভাইয়া পিএইচডি করছেন (পাশ্চাত্যের!) অক্সফোর্ড বি‌শ্ববিদ্যালয় থেকে।তবে তার প্রধান পরিচয় হলো, তিনি জনপ্রিয় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম 'টেন মিনিট স্কুল' এর বিজ্ঞান শিক্ষক। ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির প্রধান অপারেশন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় প্রায় চার শতাধিক ভিডিওতে রসায়ন এবং জীববিজ্ঞান পড়ানোর মাধ্যমে ভীষণ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।তার ক্লাসগুলো অত্যন্ত প্রাণবন্ত এবং বহু জটিল বিষয় অত্যন্ত সহজ এবং রসালো করে বর্ণনা করেছেন তিনি। তার ধারাবাহিকতা শামীর ভাইয়া সদর্পে বজায় রেখেছেন তার বইটিতে। প্রথমেই বইটির যে অংশ আপনার নজর কাড়বে তা হলো এর উৎসর্গ অংশটি, সেখানে শামীর ভাইয়া লিখেছেন, ““আমার বাবা, যিনি মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভ করেছেন। আমার মা, যিনি জীবন যুদ্ধে জয়লাভ করেছেন।”” কতোখানি তাৎপর্যপূর্ণ এবং আবেগময় এ দুটো লাইন, তা পাঠকমাত্রই উপলব্ধি করতে পারেন! বইটিতে সর্বমোট সন্নিবে‌শিত হয়েছে পঁচিশটি নাতিদীর্ঘ আর্টিকেল,শামীর ভাইয়ের ভাষায় 'গল্প'!এর কয়েকটি অং‌শে রয়েছে বেশ কিছু মজার সাইন্স এক্সপেরিমেন্ট,সাইন্টিফিক ফ্যাক্ট,কয়েকজন বিজ্ঞানীর জীবনের চমকপ্রদ কিছু কাহিনী; বিজ্ঞানপাগল মানুষেরা যেগুলো পড়ে রোমাঞ্চিত হন প্রতিনিয়তই । বইয়ের সর্বপ্রথম আর্টিকেলটি হলো "বিজ্ঞান কিভাবে কাজ করে?"। সারাদিন টেস্টটিউব-বিকার নিয়ে নাড়াচাড়া করে পরদিন 'ইউরেকা' বলে চিৎকার দিলেন একজন বিজ্ঞানী --তার পরদিন কোনো এক (সিউডো!)"সাইন্টিফিক" সাইট পোস্ট দিয়ে বসলো,'A new study found that kissing is good for health"-- না, বিজ্ঞানের আসল চিত্র এইটা নয়। Science is a very slow and rigorous process-- নিউজফিডে বিজ্ঞানকে যতটা সহজ মনে হয়, ল্যাবরেটরির দেয়ালের ভেতরে সাদা অ্যাপ্রোন গায়ে দিয়ে কাজটা যে কতোটা চ্যালেঞ্জিং এবং অনি‌শ্চিত সেই ছবিই এখানে তুলে ধরেছেন শামীর ভাইয়া। 'পৃথিবীর প্রথম ভ্যাকসিন' আর্টিকেলে এডওয়ার্ড জেনারের ভ্যাকসিনেশনের আইডিয়ার পাশাপাশি অত্যন্ত সহজ ভাষায় দেহের ইমিউন সিস্টেম এর কাজ করার একটা সংক্ষিপ্ত চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।এরপর 'ব্লু ম্যাজিক পিল', 'পাস্তুরাইজেশন', 'থ্যালিডোমাইড কেলেঙ্কারি','স্পার্ম তিমির তেলের গল্প','নিষ্পাপ ফাঁসির আসামী' প্রভৃতি আর্টিকেল গুলোতে নানা বৈজ্ঞানিক ফ্যাক্ট এবং তাদের পেছনের মজার ইতিহাসটা বর্ণনা করা আছে।'জঙ্গিবাদের পেছনে আছে DNA'তে শামীর ভাইয়া দেখিয়েছেন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পরার পেছনে কিভাবে কাজ করে GR নামক জিন।এই জিনটি Off থাকা শিশুদের বিপথগামী করে ফেলতে পারে! ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজে একটা প্রশ্নে দ্বিধান্বিত ছিলাম,ম‌শা দিয়ে কি এইডস ছড়াতে পারে না? "মশা ও HIV Virus" দিয়েছে তার উত্তর। বেশ জনপ্রিয় একটা পপ-কালচার আছে, উটপাখি নাকি বিপদ দেখলে মাটি খুঁড়ে মাথা ঢুকিয়ে রাখে(বিশেষত 'আপনি জানেন কী' শীর্ষক বহু ফেসবুক পোস্ট ফলাও করে প্রচার করে এ তথ্যটি!)।'উটপাখির যত দোষ' আর্টিকেলটিতে রেফারেন্স সহকারে শামীর ভাইয়া উল্লেখ করেছেন পুরো ব্যাপারটাই একটা মিথ এবং এই মিথের সূত্রপাত একজন রোমান লেখকের লেখা একটি লাইনের সূত্র ধরে। একইরকম ভাবে বিবর্তন বিষয়ে একটি পপুলার প্রশ্ন প্রায়শই জনসমক্ষে আসে --বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইন নাকি বলেছিলেন বানর থেকে মানুষের উৎপত্তি! এটা বেশ প্রচলিত, তবে ভিত্তিহীন।"রোগ যখন জীবন বাঁচায়" প্রবন্ধটি বলছে,''যারা দুই লাইন পড়ে বিজ্ঞান বোঝার চেষ্টা করে ,তারাই সেই গুজবের স্রষ্টা।"ডারউইন প্রস্তাবিত Natural Selection ব্যাখ্যা করে কিভাবে বহু বছর ধরে পরিবে‌শের প্রেশারের কারণে একটি জনগোষ্ঠীর জিন সিকুয়েন্সে পরিবর্তন আসে। বইয়ের শেষদিকে আছে একজন বিস্মৃতপ্রায় প্রতিভা অ্যালেন টিউরিং ('The Imitation Game' মুভিটি যাকে নিয়ে বানানো হয়েছে) এর জীবনের মর্মন্তুদ গল্প। এবং,বইয়ের নাম দেওয়া হয়েছে যার থেকে, রয়েছে সেই মহান বিজ্ঞানী ওয়ার্নার হাইজেনবার্গের কাহিনী। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে Manhattan Project নিয়ে রবার্ট ওপেনহাইমারের নেতৃত্বে মার্কিনরা যখন নেমেছিলো পারমাণবিক বোমা তৈরির কাজে,জার্মানিতে হাইজেনবার্গ তখন হয়ে উঠেছিলেন একই কাজে হিটলারের ভরসা।রোমাঞ্চকর এই কাহিনী দিয়েই শেষ হয়েছে শামীর ভাইয়ের "গল্প বলা" । বইয়ের প্রতিটি আর্টিকেলের শেষে সংযোজিত হয়েছে একটি করে বিজ্ঞানভিত্তিক উক্তি,যা নিঃসন্দেহে বাড়িয়েছে বইটির জৌলুস।আমার প্রিয় কিছু উক্তি এখানে দিয়ে রাখছি:- ➡️Nothing is absolute. This is the only absolute truth ➡️The greatest trick the devil ever pulled was convincing the world he didn't exist! ➡️There is no stupid question in science ➡️You can see with your eyes, but you need your imagination to observe. ? বিজ্ঞানের জ্ঞানতৃষ্ণা মেটানোর জন্য এই বইটি রীতিমত কার্যকর। বইটিতে এতো সুন্দর ও সহজ ভাবে সবকিছু বর্ণনা করা হয়েছে যে শুধু বিজ্ঞান নয়, যেকোনো বিভাগের শিক্ষার্থীই এই বইটি পড়তে পারবে।নিঃসন্দেহে বইটি 'বিজ্ঞান' বিষয়টিকে আরো সুখপাঠ্য করবে--উঠতি শিশু কিশোরসহ সকলকে বিজ্ঞানের প্রতি আকৃষ্ট করবে, আর প্রথমে যেমন বললাম, 'পাগলের দল'কে উৎসাহিত করবে পাগলামি'র চর্চা করতে! ঐ 'পাগল' গুলোর জন্যেই--"পাগল ছাড়া দুনিয়া চলে না! " বিজ্ঞানের জয় হোক। #হ্যাপি রিডিং ?

অনেক সুন্দর করে লেখা বিজ্ঞানভিত্তিক একটি বই।

বাংলা ভাষায় রচিত পদার্থবিজ্ঞানের বইগুলোর মধ্যে এটি অনন্য। এটি পড়ার মাধ্যমে সকল স্তরের, সকল পর্যায়ের ছাত্র ছাত্রীরা পদার্থবিজ্ঞানের নিষ্কলুষ আনন্দ উপভোগ করতে পারবে বলে আমি মনে করি। এ বইটি বাংলাদেশের শামীর মোন্তাজিদ কর্তৃক রচিত। এই বইটিতে রয়েছে নানা রকম সমস্যা যা সমাধানের মাধ্যমে ছাত্র ছাত্রী নিজেদের প্রবলেম সল্ভার হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে।

বইটির নাম হাইজেনবার্গের গল্প হলেও এখানে শুধু বিজ্ঞানী হাইজেনবার্গ সম্পর্কে লেখা হয় নি। এখানে বিজ্ঞানের অনেক বিষয়বস্তু সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। পৃথিবীর প্রথম ভ্যাক্সিন, অ্যালান টিউরিং, হাইজেনবার্গ এর মতো অসাধারণ কিছু লেখা এই বইকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে। সামির মোন্তাজিদ এই বইকে অনেক সুন্দর করে সাজিয়েছেন। সবাই পড়বেন আশা করি।

এটা আসলে বিজ্ঞানের বই নয়। বিজ্ঞানের গল্পের বই। বিজ্ঞান, অনেক আবিস্কারের পেছনের গল্প, বিভিন্ন আত্মভোলা বিজ্ঞানীর জীবনের মজার মজার গল্পগুলো সাবলীলভাবে বর্ণনা করা হয়েছে৷ যারা বিজ্ঞানের গল্প পছন্দ করেন তারা পড়ে দেখতে পারেন৷

অনেক মজা্র একটা বই । অনেক ভাল লাগছে ।

"The first gulp from the glass of natural science will turn you into an atheist, but at the bottom of the glass God is waiting for you." -Werner Heisenberg একবার প্রত্যেকটা শব্দ ভালো করে পড়ুনতো, আসলেই প্রত্যেকটা কথাই মনকে ছুয়ে গেল, বিজ্ঞানের শুরু থেকে শেষ কেবলই আমাদের স্রষ্টা কে উপলব্ধি করায়..... মশার কামড়ে এইডস হয় না,ডারউইনকি আসলেই বানরের কথা বলেছিলেন? এমন অনেক বৈজ্ঞানিক কাহিনী নিয়ে বইটি খুব সুন্দর করে তুলে ধরা হয়েছে। সবচেয়ে ভালো লেগেছে একটা বিষয় এই বইয়ের প্রতিটা অধ্যায়ের শেষে একটি করে উক্তি দেওয়া আছে যা অধ্যায়ের মূল বিষয়ের জানান দেয়। সব মিলিয়ে বৈজ্ঞনিক ছোট ছোট কাহিনি লিখা বইটি সত্যিই অনেক ভালো একটা কথা সবচেয়ে ভালো লেগেছে এই বইয়ে, "Every birth is a death.Perhaps,every death is a birth too."

প্রথমেই বলে রাখি, আমি অক্সফোর্ড পড়ুয়া এই ভাইয়ার প্রতি প্রচুর পরিমানে zealous feel করি।আমি তার website এর একজন নিয়মিত visitor। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে অনেক বিষয়ে তার মতামত ও আগ্রহ আমার সাথে মিলে যায়। বিজ্ঞান, ইতিহাস ও সাইকোলজির অসাধারণ মেলবন্ধন তার লেখাকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। হাইজেনবার্গের গল্প বইয়ের " বিজ্ঞান কিভাবে কাজ করে? "এই লেখাটি ছিল best of the best। গবেষণা নিয়ে অনেক তাচ্ছিল্য আমিও দেখেছি। কোথাকার কোন যদু সরকার যাকে science বানান করতে বললে ৫ জায়গায় ভুল করে বসে সে কিনা NASA এর Project নিয়ে মন্তব্য করে খালি টাকা লস, এসব করে লাভ কি? যাহোক আমি ছোট থেকেই বিজ্ঞান নিয়ে ভীষণ ইন্টারেস্টেড এবং বড় হয়ে একজন বিজ্ঞানী হতে চাই। তার লেখায় আমি পরবর্তী সময়ের দিক নির্দেশনা পাই। Thanks a lot shamir vaiya for your mind blowing writing. শেষ করছি বইটার একটি উক্তি দিয়ে "There is no stupid question in science"

বিজ্ঞান! বিজ্ঞান! বিজ্ঞান! অসভ্য হতে সভ্য হতে যে জিনিস আমাদের সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছে, আলোড়িত করেছে আমাদের চিন্তা-চেতনাকে, বিকশিত করেছে আমাদের মন মানসিকতা তা হচ্ছে বিজ্ঞান। Hope is a good thing.May be the best of things. And no good things ever die. মাঝে মাঝে মনে হয় The Shawshank Redemption এর এই কথার উপরই আবিষ্কার হয়েছে বাঘা বাঘা বিজ্ঞানিদের বাঘা বাঘা আবিষ্কার। সভ্যতার নানা বাক পেরিয়ে যার সুফল পাচ্ছি আমরা, পেয়ে যাবে আমাদের আগামী প্রজন্ম। আঠারো শতাব্দীর ভয়ংকর রোগ "গুটিবসন্ত" যার আবিষ্কার হয় গরুর এক ধরনের বসন্তের জীবানু থেকে।কিন্তুু কিভাবে? জঙ্গিবাদ কি শুধুমাত্র আমাদের মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রিত বিষয়, না এর পিছনে রয়েছে DNA এর প্রভাব? নাকি গল্পটা অন্য কিছুর? Taste এবং Test এর বেড়াজালে পড়ে চিনির চেয়ে মিষ্টি পদার্থ আবিষ্কার কিভাবে হলো? ব্লু ম্যজিক পিল,পাস্তরাইজেশন,MMA, Molecular Evolution এর মত মজার জিনিস আবিষ্কারের পিছনের গল্পগুলো সহজবোধ্যভাবে সাজিয়ে তুলেছেন শামীর মোন্তাজিদ। বিজ্ঞান যে শুধু Science এর মেয়েদের জন্য নয় বরং Arts এর ছেলেদেরও দারুণভাবে রোমাঞ্চিত করতে পারে তা বুঝানোই লেখকের আসল উদ্দেশ্য। বইয়ের প্রচ্ছদ এককথায় অসাধারণ । হাসিখুশি হাইজেনবার্গরুপে শামীর মোন্তাজিদ ভাইয়ের অবয়ব ফুটিয়ে তুলে এ কাজে অনেকটাই সফল "মারযুক রহমান রিফাত"। শেষ করতে চাই হাইজেনবার্গ এর একটি কথা দিয়ে " The first gulp from the glass of natural science will turn you into an atheist, but at the bottom of the glass God is waiting for you."

ইন্সপায়ার্ড ...

বিজ্ঞান ও তথ্যসমৃদ্ধ একটা বই।

অনেকদিন ধরে পড়ি পড়ি করে অবশেষে বইটা পড়ে ফেললাম। তোর ছোটবেলা থেকেই বিজ্ঞানের প্রতি আমার একটু আগ্রহ বেশি কিন্তু বিভিন্ন সমস্যার কারণে সাইন্স নিয়ে পড়া সম্ভব হয়নি। তারপরও কিন্তু আগ্রহ গুলো নষ্ট হয়ে যায়নি তো এই বইটা পড়তে গিয়ে সে আগ্রহ গুলো আরো একটু শানিত হল। আসলে এই বইয়ে বিভিন্ন বিষয়গুলো গল্পাকারে বর্ণনা করা আছে এটাকে গল্পের বই আবার বিজ্ঞানীদের কাহিনী কোন আবিষ্কারের ঘটনা এটাতে বর্ণনা করা আছে। ফিজিক্স কেমিস্ট্রি বায়োলজি কোনটাই বাদ দেওয়া হয়নি দেখলাম একটা গল্পের অংশে বায়োলজির খুব বড় একটা অংশ তুলে ধরা হয়েছে। ডিএনএ আর এন এ নিয়ে প্রচুর কথা বলেছে। তবে বইটা যাই হোক না কেন পড়ার পরে আমি খুব দারুণ একটা ফিল পেয়েছি। অবশ্যই যারা বিজ্ঞানে বিন্দুমাত্র আগ্রহী আছে তারা বইটা পড়ে ফেলতে পারেন। এই বইটা পড়ার জন্য আপনার বিজ্ঞানের স্টুডেন্ট হওয়া লাগবে না আমার কথা যদি বলি তাহলে আমি মাধ্যমিকে মানবিক নিয়ে পড়াশোনা করেছি। উচ্চমাধ্যমিক ব্যবসায় শিক্ষা। তারপরও আমার গল্প গুলো বুঝতে খুব একটা অসুবিধা হয়নি।

ভালো

খুব সুন্দর উপস্থাপনা।

বিজ্ঞান যাদের প্রিয় কিংবা যাদের প্রিয় বিষয় নয়- সবার জন্যেই এই বইটি খুব সুখপাঠ্য হবে। লেখক শামির মোন্তাজিদ গল্পের ভঙ্গিতে বিজ্ঞান কিভাবে কাজ করে, বিজ্ঞানের মজার কিছু তথ্য, বৈজ্ঞানিক গবেষণা কিভাবে কাজ করে, হাইজেনবার্গ কে, বিবর্তনের রুপকথাসহ অনেক বিষয়কে তিনি হাজির করেছেন এই বইতে।

বিজ্ঞান এর আবিষ্কার সমূহের ইতিহাস গুলো এই বইটিতে খুব সুন্দরভাবে উপস্তাপন করা হয়েছে।নতুন অনেক তথ্য জানতে পেরেছি যা পূর্বে জানা ছিলোনা।

Love this

বিজ্ঞানীরা খুবই অদ্ভুত টাইপের কিছু মানুষ। স্বাভাবিক চিন্তার বাইরে গিয়ে তারা এমন সব কিছু বিষয় নিয়ে চিন্তা করে যা সাধারণ মানুষ করতে পারে না। তাদের আবিষ্কারের পথে তারা এবং সবকিছু চিন্তা-ভাবনাকে কাজে লাগায় সাধারণ মানুষ দেখে মনে করে ওরা পাগল। যুগান্তকারী অনেকগুলো আবিষ্কারের পথে বিজ্ঞানীরা এমন সব কিছু কান্ড ঘটিয়েছেন যা সব সময় মানুষের কাছে হাস্যকর মনে হয়েছে। হাস্যকর মনে হলেও বিষয়গুলো ছিল ইতিহাসের দিক পরিবর্তনকারী ঘটনা। এমন সব বিষয় নিয়ে শামীর মোন্তাজিদ তার হাইজেনবার্গের গল্প বইটি সাজিয়েছেন। যারা বিজ্ঞানের বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে নিজেদেরকে রোমাঞ্চিত করতে চান তাদের জন্য বইটি উত্তম হতে পারে।

২৫ টি মজার গল্প দ্বারা বইটি সাজানো, শুধু মজার বললে ভুল হবে, বলতে হয় তথ্যভিত্তিক এবং গবেষণালব্ধ গল্প। বইটি পড়লে আপনার মনে হবে যে আসলেই কিছু দরকারী তথ্য জানলাম যা অনেক বিজ্ঞান বিভাগের অধিবাসীদেরও জানা নেই। পরিশেষে বলবো আপনিও কিন্তু এই চমৎকার বইটিকে আপনার সংগ্রহে রাখতে পারেন এবং দাবী করতে পারেন পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর ধারণা প্রসূত কিছু গল্প আমারও জানা আছে।

বিজ্ঞান অনেক মানুষকে অজ্ঞান করে, আবার অনেক মানুষের মধ্যে নেশা তৈরি করে বিজ্ঞানী গড়ে তুলে। কিন্তু আমরা সবাই জানি বিজ্ঞান ছাড়া আমাদের জীবন অচল। আমরা এক একটা বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারকে যতটা সহজে দেখি ও গ্রহণ করি তার পিছনে রয়েছে বিজ্ঞানীদের বছরের পর বছর কাজ করার ফসল। এই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে বিজ্ঞান। ✨ আর এই শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছে কোটি কোটি চমকপ্রদ জিনিস। বিজ্ঞানের কল্যাণে গুটিবসন্ত নামক ভয়াবহ রোগ দূর করার জন্য আবিষ্কৃত হয়েছে ভ্যাকসিন। হৃদরোগের ব্যর্থ হওয়া ঔষুধ থেকে বের হয়েছে ED রোগের সমাধান। পাস্তুরাইজেশন ও ইউএইচটি পদ্ধতি আছে বলেই আমরা দুধ পান করতে পারছি। আমরা প্রতিনিয়ত বহু মশার কামড় খেয়ে ভাবি মশাটি আবার HIV বহন করছে নাকি। ? কিন্তু এই বইয়ে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে HIV শুধুমাত্র মানবদেহ বহন করতে পারে। বিজ্ঞানের ভুল থেকেই আবিষ্কার হয়ে গিয়েছে পৃথিবীর প্রথম এন্টিবায়োটিক পেনিসিলিন। ? আবার থ্যালিডোমাইড কেলেঙ্কারির মতো অন্ধকার অধ্যায় রয়েছে বিজ্ঞানে। :( জঙ্গিবাদ দমন করার জন্য ডিএনএ এর GR ON করতে পারলেই সমাধান করা যাবে এই সমস্যার। ? ছোটবেলা থেকেই বিজ্ঞানের প্রতি একটু বেশি আকর্ষণ থাকার কারণে হাজারো প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খেত। অনেক প্রশ্নের উত্তর পেয়েছি আবার অনেক প্রশ্নের উত্তর পাইনি। এই বইটি আমার কাছে একটা মাস্টার পিস মনে হয়েছে। ? নানান প্রশ্নের একসাথে জবাব পেয়েছে এই বইটিতে। আর যে জিনিসটি সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে তা হলো প্রত্যেকটা চ্যাপ্টারের নিচে রয়েছে আনুষাঙ্গিক কিছু সুন্দর উক্তি। এই বইয়ের আমার প্রিয় উক্তি দুটি হলো: "Nothing is absolute. This is the only absolute truth." ? "Take that immortality as your payment." ? বিজ্ঞানের জ্ঞানতৃষ্ণা মেটানোর জন্য এই বইটি অনেক কার্যকর এবং এই বইটি পড়ার পড় কারও না কারোর মধ্যে বিজ্ঞানী হওয়ার সুপ্তবাসনা জেগে উঠবে ঠিক আমার মতো। ? বইটিতে এতো সুন্দর ও সহজ ভাবে সবকিছু বর্ণনা করা হয়েছে যে যেকোনো বিভাগের শিক্ষার্থী এই বইটি পড়তে পারবে। ? এর পাশাপাশি যেকোনো বয়সের মানুষ তার জ্ঞানের বিস্তৃতির জন্য এই বইটি পড়তে পারে। বিজ্ঞানের জয় হোক। ?

ওনেক সুন্দর একটা বই।

Wow... This book is very interesting, i feel that i was in book... Writer sir is very creative... I found hare a lot of knowledge and i learn something more...

Shamim vai ar boi ta bar hoaca sunai mon ta khuse ta vora galo...kono rokom eid anondo ar acaya kom noi.....1st malay gia i boita kinlam. science bivhagar jonno kicu boi r o dorkar. science ar students ra jate base kicu jinis akhan thakay received korta pare. thank You shamim vai.

অসম্ভব ভালো একটি বই।। উপকারীও বটে।। বই পড়া নি সন্দেহে ভালো অভ্যাস আর বই যদি হয় এমন রসপূর্ণ তাহলে কার না ভালো লাগবে।। এমন কিছু লেখক এর জন্য বই পরার আগ্রহ জাগে।। বিগেনার দের জন্য অসাধারন একটি বই।। নিতে পারেন।।ধন্যবাদ এমন একটি বই উপহার দেওয়ার জন্য।।

শামীম মোন্তাজিদে হাইজেনবার্গের গল্প বইটা অসাধারণ!বিজ্ঞান বিষয়ক গবেষনা জার্নাল এর উপর ভিওি করে বইটি লেখা হয়েছে!অধ্যয়ন প্রকাশনীর এই বইটির বাইন্ডিং ও খুব উন্নতমানের তাছাড়াও পৃষ্ঠা গুলোও খুব উন্নতমানের! বইটিতে মোট ২৫টি প্রবন্ধ আছে!প্রত্যেকটির বিষয়বস্তু অত্যন্ত চমৎকার!বইটির মলাট মূল্য হচ্ছে মাত্র ২০০টাকা।সবচেয়ে মজার হলো জঙ্গিবাদের পেছনে রয়েছে DNA.প্রতিটি প্রবন্ধতেই অন্তত্য সুন্দর ভাবে মূল প্লটটি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে!

??

বিজ্ঞান! বিজ্ঞান! বিজ্ঞান! অসভ্য হতে সভ্য হতে যে জিনিস আমাদের সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছে, আলোড়িত করেছে আমাদের চিন্তা-চেতনাকে, বিকশিত করেছে আমাদের মন মানসিকতা তা হচ্ছে বিজ্ঞান। Hope is a good thing.May be the best of things. And no good things ever die. মাঝে মাঝে মনে হয় The Shawshank Redemption এর এই কথার উপরই আবিষ্কার হয়েছে বাঘা বাঘা বিজ্ঞানিদের বাঘা বাঘা আবিষ্কার। সভ্যতার নানা বাক পেরিয়ে যার সুফল পাচ্ছি আমরা, পেয়ে যাবে আমাদের আগামী প্রজন্ম। আঠারো শতাব্দীর ভয়ংকর রোগ "গুটিবসন্ত" যার আবিষ্কার হয় গরুর এক ধরনের বসন্তের জীবানু থেকে।কিন্তুু কিভাবে? জঙ্গিবাদ কি শুধুমাত্র আমাদের মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রিত বিষয়, না এর পিছনে রয়েছে DNA এর প্রভাব? নাকি গল্পটা অন্য কিছুর? Taste এবং Test এর বেড়াজালে পড়ে চিনির চেয়ে মিষ্টি পদার্থ আবিষ্কার কিভাবে হলো? ব্লু ম্যজিক পিল,পাস্তরাইজেশন,MMA, Molecular Evolution এর মত মজার জিনিস আবিষ্কারের পিছনের গল্পগুলো সহজবোধ্যভাবে সাজিয়ে তুলেছেন শামীর মোন্তাজিদ।

চমৎকার সব লেখা আর প্রতিটি গল্পের ফিনিসিং এ দেয়া ইংরেজী প্রবাদ গুলো সত্যিই অসাধারন

বইটি সত্যিই অসাধারণ, গল্পে গল্পে সাইন্স শেখা যায় এটি এই বই এ ফুস্ফটিত হয়েছে

একবিংশ শতাব্দীর এই পৃথিবীতে মানুষের জীবনের হাজারো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কাজ হতে শুরু করে বিশাল পরিসরের ও সময়সাপক্ষ কাজ গুলো চোখের পলকে সম্পন্ন করার পেছনের কৃতিত্ব বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানীদের। বিজ্ঞান মানুষকে দিয়েছে অভাবনীয় গতি , সভ্যতার অগ্রযাত্রাকে করেছে দ্রুততর ও বহুমাত্রিক। এসবের পেছনে রয়েছে হাজারো বিজ্ঞানীদের শত শত বছরের গভীর গবেষণা ও অক্লান্ত পরিশ্রম।বিজ্ঞান কি শুধুই আমাদের জীবনকে সহজ করে? নাকি আরও কোনো সেক্টর এ সে অবদান রাখতে সক্ষম? বিজ্ঞান জানার অধিকার কি শুধুই বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের? নিশ্চয়ই না। যে বিজ্ঞান কোটি কোটি নিরক্ষর মানুষের জীবনমান উন্নত করে -তাকে জানার অধিকার শুধু মুষ্টিমেয় কয়েকজন জনগোষ্ঠীর হতে পারে না।সাধারণ মানুষের কাছে এই বিজ্ঞান কে সহজে তুলে ধরা হয়েছে শামীর মোন্তাজিদের "হাইজেনবার্গের গল্প" বইটিতে। কিভাবে একটি কম ক্ষতিকর জীবাণুকে দেহে প্রবেশ করিয়ে মানবজাতিকে বাঁচানো হয়েছে মরণঘাতী জীবাণুর আক্রমণ হতে? একটি রোগের ঔষধ আবিষ্কার করতে গিয়ে কিভাবে অন্য একটি রোগের ঔষধ আবিষ্কৃত হয়? কীভাবে বিজ্ঞানীদের করা ভুলগুলোও কখনো কখনো মানুষের প্রাণ বাঁচাতে সক্ষম হয়? এসব প্রশ্নের উত্তর মিলবে বইটিতে। শুধু তাই নয়, একটি বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার কীভাবে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম দেয়? কীভাবে কিছু গণিতবিদদের আবিষ্কার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ব্যাপ্তি কমিয়ে এনেছে? বাঁচিয়েছে কোটি কোটি মানুষের প্রাণ? বিজ্ঞান কীভাবে একটি ফাঁসির আসামিকে দিয়েছে নতুন জীবন? 200 বছর পর মৃত সন্তানকে দিয়েছে তার বাবার পরিচয়? এমন প্রশ্ন গুলোর উত্তর খুঁজে পাবেন বইটিতে। বিজ্ঞানের বদৌলতে হাইজেনবার্গের হিটলারের শত্রু হতে মিত্রে পরিণত হওয়ার ঘটনাটি অত্যন্ত চমকপ্রদ। বইটিতে প্রতিটি গল্পের শেষে একটি করে উক্তি উদ্ধৃত করেছেন লেখক। বইটির শুরু তে এবং শেষে লেখক হাইজেনবার্গের অসাধারণ একটি উক্তি উদ্ধৃত করেছেন। "The first gulp from the glass of natural science will turn you into an atheist but at the bottom of the glass God is waiting for you." Heisenburg কী সুন্দর ভাবেই না বিশাল একটা বিষয় কয়েকটা শব্দের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। যখন তুমি বিজ্ঞানের জগতে মাত্র প্রবেশ করেছে তখন নাস্তিকতা তোমাকে ঘিরে ধরবে।কিন্তু যখনই তুমি এর গভীরে প্রবেশ করবে তুমি স্রষ্টার অস্তিত্ব অনুধাবন করবে। এজন্যই হয়তো বলা হয় অল্প বিদ্যা ভয়ংকরারী। তবে আমাদের অবশ্যই মনে রাখা প্রয়োজন বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। বিজ্ঞান কখনোই আমাদের শিষ্টাচার শেখাতে সক্ষম নয়। অপরাধ করলে কেন শাস্তি দেয়া হবে ? বিজ্ঞান তা ব্যাখ্যা করতে পারে না। বিজ্ঞানের ধর্ম ও তা নয়। যেহেতু বিজ্ঞান আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অধিকাংশ বিষয়বস্তুর সাথে সম্পৃক্ত। তাই বিজ্ঞানকে জানার এই অদম্য আকাঙ্ক্ষা তৈরি হোক বিশ্বের সকল মানুষের মাঝে। So, read books, Gain knowledge, Only then you will realise the existence of God and will able to know about this mysterious universe.

বই:হাইজেনবার্গের গল্প লেখক:শামীর মোন্তাজিদ ধরন:বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণা,জার্নাল ও রেফারেন্স শুরুতেই বলতে হয়, এই বইটিতে লেখক অত্যন্ত সহজ, সরল, সাবলীল ভাষায় একেবারে সাদাসিধেভাবে বিভিন্ন জটিল বৈজ্ঞানিক ঘটনাকে সুন্দর করে গল্প আকারে সাজিয়ে আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন। বিজ্ঞান তো কেবল যারা সায়েন্স বিভাগে পড়ে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি নয়। এই বইটি সব বয়সের সকল বিভাগের উপযোগী করে লেখা হয়েছে যাতে করে আমাদের সবার মাঝেই বিজ্ঞানের প্রতি ভালবাসা তৈরি হয়। লেখক গল্পের সাথে রসিকতা করে বিজ্ঞানের বিভিন্ন আবিষ্কারের পেছনের মজার মজার গল্প তুলে আনার চেষ্টা করেছেন। আমি অনেকের কাছেই শুনেছি, মশার কামড়ের মাধ্যমে HIV ছড়ায়; মনে মনে প্রশ্ন জাগতো, মশার কামড়ের দ্বারা কি আসলেও HIV ছড়াতে পারে? অবশেষে বইটি পড়ার পর উত্তর মিলল – না, HIV তে আক্রান্ত মানুষকে দংশনকারী মশা একজন সুস্থ ব্যক্তিকে যদি কামড় দেয় তাহলে সুস্থ সবল ব্যক্তি HIV তে আক্রান্ত হবে না। তার মানে এতে করে আসলে HIV ছড়ায় না। পুরো লেখাটুকু পড়ে এর পেছনের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাটাও জানতে পারলাম। বেশ অবাক হয়েছি তখন, যখন জানতে পারলাম বর্তমানের ইসরাইল রাষ্ট্র সৃষ্টির পেছনে ‘শাঈম ওয়াইজম্যান’ নামক এক বিজ্ঞানীর হাত ছিল এবং উনার একটি ব্যাকটেরিয়ার আবিষ্কার প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ভাগ্য নির্ধারণ করে ইসরাইলের মতো একটি রাষ্ট্র পর্যন্ত তৈরি করে দিল। আরোও অবাক হয়েছি এটা জেনে যে স্পার্ম তিমি (Sperm Whale) নামক এক তিমির মাথায় ৩,৬০০ কেজি ‘স্পার্মাসেটি’ তেল থাকে এবং এই তেল নিয়ে পানির ১-২ কিলোমিটার নিচে ডুব দিয়ে দিব্যি সাঁতার কেটে স্কুইড ডিনার করে আসে। আশ্চর্য হয়েছি তবে ভয়ংকর কথা হচ্ছে আমরা লোভী মানুষরা এদেরকে মেরে ফেলছি শুধুমাত্র ঐ তেলটুকু পাবার আশায় কারণ স্পার্ম তিমির মাথার তেল যে অতি উত্তম লুব্রিকেটিং জেল ও বাতির জ্বালানি। যাই হোক, পুরো বইয়ের এই অংশগুলি পড়ে মজা পেয়েছি অনেক। ডারউইন কী আসলেও বানরের কথা বলেছিলো? মানুষদের জন্ম-মৃত্যুর মাঝে কোন জিনিসটির সাদৃশ্য রয়েছে? কীভাবে থ্যালিডোমাইড নামক ড্রাগ সেবনকারী মায়েদের গর্ভে হাত-পা বিহীন বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম হয়েছিল? উটপাখি কী আসলেও বিপদ থেকে রক্ষা পেতে ভয় পেয়ে বালির ভেতর মাথা ঢুকিয়ে রাখে? পৃথিবীর সর্বপ্রথম অ্যান্টিবায়োটিক পেনিসিলিন আবিষ্কার ও যুদ্ধাস্ত্র থেকে মাইক্রোওভেন যে ভূলবশত আবিষ্কৃত হয় তার পেছনের গল্প সহ সাজানো এরকম বিজ্ঞানের আরোও মজার মজার বিষয়ে শামীর ভাইয়া খুব সুন্দরভাবে কাহিনীগুলো লিখে ফুটিয়ে তুলেছেন তার এই ‘হাইজেনবার্গ গল্প’ বইটিতে। বাচ্চারা বড় হয়ে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও নানা রকমের অসামাজিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়ে পড়ে এবং এর পেছনেও কিন্তু DNA তে অবস্থিত GR নামক একটি জিন OFF থাকার উপর নির্ভর করে। আবার, মানবদেহের জন্য নিষ্ক্রিয় এমন জীবানু শরীরে প্রবেশ করিয়ে দেহের বড় বড় রোগ বা ক্ষতিকর জীবানু থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। এরকম গল্পে গল্পে জেনেটিক্স ও মজার মজার বিজ্ঞান বিষয়ক তথ্যের সমাহার এই বইটি। আমরা হয়তো সোশাল মিডিয়াতে বিভিন্ন ক্লিক বেইট সাইটের বিজ্ঞান বিষয়ক নিউজ পড়ে মনে করি সায়েন্স তো অনেক সহজ। এমনকি আমাদের প্রায় সবার ধারণা যে গবেষকরা শুধু ল্যাবে বসে টেস্টটিউব নিয়ে নাড়াচাড়া করেন আর যা আবিষ্কৃত হয় তা দিনশেষে আমাদের হাতে চলে আসে। কিন্তু, সত্যি বলতে সায়েন্স আসলেই অনেক কঠিন ও সূক্ষ্ম। অনেকগুলো টেস্ট, বছরের পর বছর ফান্ডিং শেষে একটা রিসার্চ দাড়া করাতে গিয়ে বিজ্ঞানীদের প্রচন্ড ধৈর্যশক্তির পরীক্ষা দিতে হয় তা হয়তো আমরা অনেকেই জানি না। “বিজ্ঞান কীভাবে কাজ করে?” বইয়ের এই অংশ না পড়লে হয়তো আমি নিজেও ঠিকমতো বিজ্ঞানীদের এই কঠিন ত্যাগ স্বীকার অনুধাবন করতে পারতাম না। এই বইয়ের প্রত্যেকটি টপিকের শেষে লেখক একটি করে উক্তি জুড়ে দিয়েছেন এবং এই উক্তিগুলোর মাধ্যমে প্রত্যেকটি গল্পের সারমর্ম উঠে আসে। আমার সবথেকে ভাল লাগা প্রিয় উক্তিগুলোঃ 1. Take that immortality as your payment. 2. In the fields of observation, chance favors only the prepared mind. সবশেষে বলতে চাই, বিজ্ঞানের উপর বিভিন্ন গবেষণামূলক বিষয়ে লিখা বইগুলো এমন সহজ, প্রাঞ্জল ও চমৎকার হওয়া উচিৎ। তাহলেই দেখা যাবে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক পাঠ্যপুস্তক পড়ার পাশাপাশি এই ধরণের দারুন বইগুলো পড়লে বিজ্ঞান নিয়ে তাদের আগ্রহ অনেকগুণ বেড়ে যাবে।

অসাধারণ??

বিজ্ঞানকে নতুনভাবে জানলাম। অনেক ভাল একটা বই।

ছোট বেলায় এই ধরনের একটা বই পড়েছিলাম; যেখানে বিজ্ঞানের বিভিন্ন আবিষ্কারের পেছনের ঘটনা সুন্দর ভাবে দেয়া ছিল। বইটার নাম মনে নেই। এই বইটা পড়তে গিয়ে সেই স্মৃতি মনে পড়ে গেল। সুন্দর বই, লিখেছেন ভালো। ভবিষত্যে বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার উপর এই ধরনের বই লেখকের কাছ থেকে পাব বলে আশা করছি।

"শামীর মোন্তাজিদ এর হাইজেনবার্গের গল্প" বইয়ের গল্প গুলো চমৎকার লেগেছে।

খুব সুন্দরভাবে লেখা ইতিহাস বিজ্ঞানের বই।

গল্পে গল্পে বিজ্ঞান।বিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র আমি,বর্তমানে বিজ্ঞানের ছাত্র না হলেও বিজ্ঞানের প্রতি ভালবাসা থেকে এখনো আছি বিজ্ঞানের সাথেই৷ ভবিষ্যতেও থাকব ইনশাল্লাহ।শামীর ভাইয়ের এই বইটি পড়ে বিজ্ঞানকে নতুন করে ভালবাসতে পেরেছি বলে আজ ভাবলাম এই বইয়ের রিভিউটা না হয় লিখেই ফেলি!এবছর যতগুলো বই পড়েছি তার মধ্য অন্যতম পছন্দের বই এটি ? একজন মানুষের শরীরে যে দুইরকমের ভিন্ন ডিএনএ থাকতে পারে সেটা কি জানি?এবং জঙ্গীবাদের পিছনে যে এই ডিএনএ দায়ী থাকতে পারে তা কি জানি? আচ্ছা মশা কেন এইচআইভি ছড়ায় না?ডারউইনের বিবর্তন বাদ কেমন ছিল আর আমরা কি বুঝেছি? কেন উটপাখির মুখ বালিতে গুঁজে দেয়াকে তার বিপদের মুখোমুখি না হতে চাওয়ার প্রবণতা হিসেবে ধরে নেয়া হয়? আমরা যে ওষুধ খাই তা একজন বিজ্ঞানীর কত বছরের সাধনার ফল?এবং কিভাবে কতদিনে তার অনুমোদন আসে, মহাকাশে যদি আমরা এক বছর ছুটি কাটিয়ে আসি তাহলে ডিএনএ সিকুয়েন্সের কি কোনো পরিবর্তন হবে? আমরা তো নানা রোগে আক্রান্ত হই, কিন্তু রোগ কি আমাদের জন্য ভালোও হতে পারে? আচ্ছা যারা মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে অনুভব করেছে তাদের সকলের ঐ সময়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল এবং তারা কে কি দেখেছিল এবং জন্ম মৃত্যু কি একই পদ্ধতি? মানুষ কি শুধু তাকিয়ে থেকে একটা চামচকে বাঁকাতে পারে?মস্তিষ্কের পাওয়ার? -এই প্রশ্নগুলোসহ অসংখ্য প্রশ্নের উত্তর আপনি জানতে পারবেন এই বইটি পড়ে। তাছাড়া পেনিসিলিন, ভায়াগ্রা?, যুদ্ধাস্র থেকে মাইক্রোওভেন আবিস্কার , পাস্তুরাইজেশনসহ নানা আবিষ্কারের পেছনের মজার গল্প সম্পর্কেও জানা যাবে বইটি থেকে৷ শেষে 'The Imitation Game' মুভিটি যাকে নিয়ে বানানো হয়েছে সেই অ্যালেন টিউরিং এর জীবনের গল্প তো আছেই৷ আমি কি কিছু মিস করে গেছি? :/ ও হ্যাঁ!! হাইজেনবার্গের গল্পে স্বয়ং ওয়ার্নার হাইজেনবার্গ থাকবেন না তা কি করে হয়! হাইজেনবার্গের সেই এটম বোমার পিছনে ছুটে চলার কাহিনীও আছে বইটিতে? আশা করি বইটি সকল বিজ্ঞানপ্রেমীক/প্রেমিকাদের ভালো লাগবে?র্যাটিং ৯/১০

শুরু থাকে মাঝ পর্যন্ত অনেক ভালো লাগলো, কিন্তু শেষের দিকটা কোনো যেন অতটা ভালো লাগেনি (হয়তোবা বিজ্ঞান সম্পর্কে অজ্ঞ বলে ) , সর্বসাফল্যে অনেক ভালো লিখছেন।

সাইন্সের এই বইটি খুবই দারুন একটি বই যা সাইন্সকে ভালোবেসে মজাকরে গল্পগুলো লেখা। পড়লেই বুঝবেন। খুবই চমৎকার।

❤️❤️

শুরুতেই বেশ বাস্তববাদী কথা । বিজ্ঞানী হলে কিন্তু কষ্ট করতে হবে। স্কলারশীপের ধান্ধায় বিজ্ঞানী বিজ্ঞানী ভাব মারলে কিন্তু হবেনা। বিজ্ঞানীদের হয়তো খুব টাকা পয়সা থাকবেনা। জীবদ্দশায় কেউ না চিনেও মরে যেতে হতে পারে। অবশ্য জাফর ইকবাল স্যার হলে অন্য ভাবে বলতেন মনে হয়। ক্লাস ৯-১০ এর বইতে এরকম কথা আছে যে বেশি বেশি পড়, বেশি বেশি শাকসব্জী খাও-;নিশ্চয়ই নভোচারী হতে পারবে। স্বপ্ন দেখত ত মানা নেই। লেখক বলেছেন তার গল্পগুলি স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য। টার্গেট ধরতে একটু আধটু ছবি দিলে আরো ভাল হত। একটু খানি বিজ্ঞান আরেকটু খানি বিজ্ঞান জাফর ইকবাল স্যারের বেশ উপভোগ্য ছিল। যাই হোক তুলনা বাদ। পড়ে মনে হচ্ছিল জীবনে কি আর করলাম। পড়লাম মুখস্থ করলাম, উগড়ে দিয়ে আসলাম। ব্যাস ভাল ছাত্র। কিন্তু ওইযে Problem solving, Critical thinking, Creative হইতে পারলাম কই। বিশেষ করে অ্যালান টিউরিং এর উপরে লেখা পড়ে যারপরনাই অনুপ্রানিত। হাইজেনবার্গ তো আরেক বস। নোট সাজেশন মুখস্থ, আর প্রেম আমার টাইপ সিনেমা দেখে জীবনটাই ধ্বংস করে দিলাম মনে হচ্ছে। স্কুল কলেজ না বলে ক্লাস ১১-১২ এর ছাত্র ছাত্রীদের মাস্ট রিড বই।

Very nice

দ্বিতীয় সিরিজের জন্য অপেক্ষা রইলো, ভাইয়া। আর অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা নিয়েন ?

অসাধারন বই। শামির ভাইয়া ও রকমারিকে ধন্যবাদ

জসসস

just speechless. every story is written very nicely, simple, short that a class 2 student wants to read it. i go through the book 5 times

ধন্যবাদ শামীর মোন্তাজিদ ৷ ভালো লিখেছেন৷ গল্পগুলি অনুপ্রেরণাদায়ক ৷ এই রকম বই আরো লিখা দরকার৷

Onak din por science ar upor ato supatho boi porlam

Not that good what I expected.

sotti vai r kas theke lekha valo akta boi.....apnader hat dhorei akdin jogantor ghotbe

বিজ্ঞান অনেক মানুষকে অজ্ঞান করে, আবার অনেক মানুষের মধ্যে নেশা তৈরি করে বিজ্ঞানী গড়ে তুলে। কিন্তু আমরা সবাই জানি বিজ্ঞান ছাড়া আমাদের জীবন অচল। আমরা এক একটা বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারকে যতটা সহজে দেখি ও গ্রহণ করি তার পিছনে রয়েছে বিজ্ঞানীদের বছরের পর বছর কাজ করার ফসল। এই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে বিজ্ঞান। ✨ আর এই শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছে কোটি কোটি চমকপ্রদ জিনিস। বিজ্ঞানের কল্যাণে গুটিবসন্ত নামক ভয়াবহ রোগ দূর করার জন্য আবিষ্কৃত হয়েছে ভ্যাকসিন। হৃদরোগের ব্যর্থ হওয়া ঔষুধ থেকে বের হয়েছে ED রোগের সমাধান। পাস্তুরাইজেশন ও ইউএইচটি পদ্ধতি আছে বলেই আমরা দুধ পান করতে পারছি। আমরা প্রতিনিয়ত বহু মশার কামড় খেয়ে ভাবি মশাটি আবার HIV বহন করছে নাকি। ? কিন্তু এই বইয়ে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে HIV শুধুমাত্র মানবদেহ বহন করতে পারে। বিজ্ঞানের ভুল থেকেই আবিষ্কার হয়ে গিয়েছে পৃথিবীর প্রথম এন্টিবায়োটিক পেনিসিলিন। ? আবার থ্যালিডোমাইড কেলেঙ্কারির মতো অন্ধকার অধ্যায় রয়েছে বিজ্ঞানে। :( জঙ্গিবাদ দমন করার জন্য ডিএনএ এর GR ON করতে পারলেই সমাধান করা যাবে এই সমস্যার। ? ছোটবেলা থেকেই বিজ্ঞানের প্রতি একটু বেশি আকর্ষণ থাকার কারণে হাজারো প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খেত। অনেক প্রশ্নের উত্তর পেয়েছি আবার অনেক প্রশ্নের উত্তর পাইনি। এই বইটি আমার কাছে একটা মাস্টার পিস মনে হয়েছে। ? নানান প্রশ্নের একসাথে জবাব পেয়েছে এই বইটিতে। আর যে জিনিসটি সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে তা হলো প্রত্যেকটা চ্যাপ্টারের নিচে রয়েছে আনুষাঙ্গিক কিছু সুন্দর উক্তি। এই বইয়ের আমার প্রিয় উক্তি দুটি হলো: "Nothing is absolute. This is the only absolute truth." ? "Take that immortality as your payment." ? বিজ্ঞানের জ্ঞানতৃষ্ণা মেটানোর জন্য এই বইটি অনেক কার্যকর এবং এই বইটি পড়ার পড় কারও না কারোর মধ্যে বিজ্ঞানী হওয়ার সুপ্তবাসনা জেগে উঠবে ঠিক আমার মতো। ? বইটিতে এতো সুন্দর ও সহজ ভাবে সবকিছু বর্ণনা করা হয়েছে যে যেকোনো বিভাগের শিক্ষার্থী এই বইটি পড়তে পারবে। ? এর পাশাপাশি যেকোনো বয়সের মানুষ তার জ্ঞানের বিস্তৃতির জন্য এই বইটি পড়তে পারে। বিজ্ঞানের জয় হোক। ?

অনেক সুন্দর একটা বই।যে কেউ এই বইটা পড়ে বিজ্ঞানের আজব রহস্য জানতে পারবে। এই বইয়ের আমার প্রিয় গল্পটা হচ্ছে এ‍্যালান টিউরি়ং

অনেক তথ্যবহুল একটি। বিজ্ঞানের সাথে সম্পর্কিত এমন অনেক ঘটনায় আছে যেগুলো আমরা একাডেমিক বই পড়ে জানতে পারি না। ইসরাইল রাষ্ট্রের জন্মের সাথে বিজ্ঞানের আবিষ্কারের এতো বড় সম্পর্ক আছে তাতো এই বইটি পড়ার আগে আমি জানা তো দূরের কথা, ভাবতেও পারিনি। এমন তথ্যবহুল আরো বই ভবিষ্যতেও লেখার জন্য আহ্বান রইল লেখকের প্রতি।

বইটি বিজ্ঞানের নানান রকম আশ্চর্য রকমের ঘটনায় ঘেরা, এখানে আছে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ঘটে যাওয়া কিছু ভুলের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা। বিজ্ঞানের বিভিন্ন আবিষ্কারের পিছনের ভয়াবহ গল্প। অতি সাধারণভাবে বিজ্ঞানকে বুঝতে পারার জন্য এটি অনেক ভাল একটি বই।

nice book

এই বইয়ের একটা ভালো ব্যাপার আমার কাছে এইটা লাগছে যে,জঙ্গী বাদের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারের কারনো এখানে রাখা হয়েছে!শিশুদের জন্য যে তাদের বাবা মার ভালোবাসা কতটা জরুরি টা এই বইয়ে ফুটে উঠেছে!আশা করসি এমন আরো ভালো লেখা আমরা শামীর ভাইয়ের কাছ থেকে পাবো!

the best! ♥

brilliant!

valoo boi

অসাধারণ একটি বই। ২য় পর্বেও এমন সাবলীল ভাষায় বিজ্ঞানের নানান জানা, অজানা চমকপ্রদ গল্পগুলো জানতে চাই।

হাইজেনবার্গের নাম দেখে কেউ ভাববেন না বইটি হাইজেনবার্গ সম্পর্কে লেখা,বইটির অনেকগুলো গল্পের মধ্যে শুধুমাত্র একটা গল্প হাইজেনবার্গ রিলেটেড,কিছু নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছি ঠিকই কিন্তু আমার এক্সপেকটেশন পূরণ করেনি।

Trash... Waste of Money

আজকে যেই বইটির সম্পর্কে আমি জানাতে চাই সেটি যারা আগেই পড়ে ফেলেছে তারা খুব ভাল করেই জানে বইটি কতটা অসাধারণ। নাম শুনে মনে হতে পারে বইটিতে হয়ত হাইজেনবার্গের জীবনকাহিনী তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু আপনি যদি এমনটা মনে করা থাকেন তাহলে আপনি কিছুটা ভুল। কারণ বইটিতে হাইজেনবার্গের সম্পর্কে বলা হয়েছে ঠিক কিন্তু এর পাশাপাশি আরও অনেকের সম্পর্কেই বলা হয়েছে। লেখক খুবই সহজ ভাষায় লেখার চেষ্টা করেছেন তা বইটির সুচিপত্র দেখলেই বুঝতে পারা যায়। বইটিতে আমার সবচেয়ে অবাক করার মত ব্যাপারগুলো হল, পাস্তুরাইজেশন, জঙ্গিবাদের পেছনে আছে DNA, মা যখন খুনি(নয়), রোগ যখন জীবন বাঁচায় ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি বিষয়ই আমাকে অবাক করেছে। ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় নামের একটা পরিচ্ছেদ আমাকে বেশ ভাবায়। বইটির মাধ্যমে আমি বেশ কিছু নতুন বিষয় জানতে পারি যা আমাকে বিজ্ঞানের প্রতি আরও বেশি উৎসাহিত করে। তাই বইটি আপনিও পড়ে দেখতে পারেন।

হাইজেনবার্গ। একজন বিজ্ঞানী। কিন্তু এই বইটির নাম হাইজেনবার্গের গল্প কেন ? আসলে শামীর মোন্তাজিদ ভাই হয়তো হাইজেনবার্গ এর কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই এই বইটি লিখেছেন। সে নাম যাই হোক না কেন, এটি একটি অসাধারন বই। বিজ্ঞানের বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয় সহ অনেক কিছুই খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। বিজ্ঞানের সাধারণ কিছু বিষয়কে এখানে অসাধারণ ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। ডিম থেকে শুরু করে তিমি মাছের তেল কোন কিছু এখানে বাদ যায়নি।।। ডিএনএ কিংবা মশার ভাইরাস তাও আছে এই বইয়ে। এক কথায় যদি বলতে চাই তবে বিজ্ঞানের গভীর থেকে শুরু করে অনেক কিছু লেখা হয়েছে। এবং তা খুব সহজ ভাষায়। আশা করা যায় আপনাদের বইটি পড়ে খুব ভালো লাগবে।।। And be the future scientist........ ------ ফাইয়াদ আহমেদ সুদীপ্ত,৮ম। নীলফামারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, নীলফামারী।

শামীর মোন্তাজিদ এর প্রথম প্রকাশিত বই "হাইজেনবার্গের গল্প" । বাংলাদেশে বিজ্ঞান নিয়ে এত সহজ ভাষায় সহজপাঠ্য বই খুবই দুর্লভ । বইটি পড়লে যে কেউ বিজ্ঞানের প্রতি আকৃষ্ট হবে । বইটি পড়ার পড় কিছু প্রচলিত ভুল ধারণা ভাঙবে বলে আশা করি । অসাধারণ লেগেছে বইটি ।

হাইজেনবার্গের গল্প বই নাম শুনেই বোঝা কোনো Scientific বই এটা। হ্যাঁ এটা সেধরনেরই বই। কিন্তু বইটা মোটেও শুধু বিজ্ঞানের ছাত্রদের জন্যই নয়। বইটা যেকোনো বয়সী যেকোনো স্তরের মানুষের জন্য। সহজ কথায় বিজ্ঞানের বিষয়গুলো এত যে চমৎকারভাবে উপস্থাপন করা যায়! সবচেয়ে অবাক করা বিষয় লেগেছে টেলিপ্যাথি। এছাড়া মাইক্রোওয়েভ ওভেন, পেনিসিলিন, অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়াও যেসকল বিষয় দেয়া আছে তার সবই সকলের পাঠের উপযোগী।

গল্পের মাধ্যমে মানুষকে বিজ্ঞানের প্রতি আকৃষ্ট করা লেখকের মূল উদ্দেশ্য। তিনি এখন ক্যান্সার ও স্টেম সেলের উপর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করছেন। লেখক তার নিজের ব্লগ সাইট www.shamirmontazid.com এর ১৫টি বিজ্ঞান বিষয়ক কাহিনী ও বইটি প্রকাশের জন্য পরবর্তী ১০টি কাহিনী, মোট ২৫টি কাহিনী নিয়ে বইটি প্রকাশ করেছেন। বইটির একটি কাহিনীও লেখকের কল্পনাপ্রসূত নয়। পৃথিবীতে এ পর্যন্ত যুগান্তকারী কিছু বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের পেছনের ঘটনাই মূলত গল্পের ছলে তুলে ধরা হয়েছে। একজন বিজ্ঞানী আসলে কিভাবে কাজ করেন, উনি কিভাবে একটা আবিষ্কার করেন তার বর্ণনা এসেছে একেবারে শুরুর দিকে। পরে এসেছে কাহিনীগুলো। এক সময়ের মরণঘাতী রোগ গুটি বসন্তের টিকার জনক হিসেবে আমরা জেনারের নাম সাধারণ জ্ঞানের বইতে পড়েছি। গরুর গায়েও বসন্ত হত, কিন্তু সেই বসন্ত কিভাবে এই গুটি বসন্তের টিকা আবিষ্কারের প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছিল? পাস্তুরাইজেশনের মাধ্যমে দুধ আজ আর খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায় না। কিন্তু লুই পাস্তুর আসলে কি করতে গিয়ে পাস্তুরাইজেশনের জনক হয়ে যান? আমরা যে আজ বিভিন্ন ধরনের তরল UHT দুধ বাজারে পাই, পাস্তুরাইজেশনের সাথে তার সম্পর্কটা কিভাবে? একটি ব্যাক্টেরিয়ার আবিষ্কার কিভাবে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ভাগ্য নির্ধারণ করে একটি রাষ্ট্রই তৈরি করে দিয়েছে? আজ আইন আদালতে DNA টেস্ট কোন ঘটনার প্রেক্ষাপটে এত বহুল প্রচলিত? একটা ভুল থেকে কিভাবে আলেক্সান্ডার ফ্লেমিং জীবন রক্ষাকারী antibiotic এর জনক হয়ে গেলেন? ২০০ বছর পর কিভাবে আমেরিকার ৩য় প্রেসিডেন্ট থমাস জেফারসনের সাথে তার পুত্রের পরিচয় হয়? বিজ্ঞানীরা কিভাবে এক জিনিস আবিষ্কার করতে গিয়ে আরেক জিনিস আবিষ্কার করে ফেলেন? একটা জাতিকে কিভাবে একটা রোগ তার নিজের চেয়েও আরো ভয়ানক একটা মহামারী থেকে রক্ষা করে আসছে? এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে বইটি অবশ্যই পড়তে হবে। আর প্রচ্ছদ - এত সুন্দর একটা প্রচ্ছদের জন্য হলেও বইয়ের সব গল্প কারো কাছ থেকে নিয়ে পড়ে ফেললেও মনে হবে যে বইটা ব্যক্তিগত সংগ্রহে থাকা দরকার। অত্যন্ত সুখপাঠ্য বইটি একবার শুরু করে ফেললে শেষ না করে উঠা যাবে না।

বইটি পড়ে ভালই লাগল,অাশা করি ভবিষ্যতে আরো ধারুণ ধারুণ বই উপহার দিবেন অামাদের।

প্রথমেই মোন্তাজিদ ভাই কে ধন্যবাদ এতো সুন্দর বই লেখার জন্য। বইটিতে তিনি বিজ্ঞানের কঠিন বিষয়গুলোকে সহজ সরল সাবলীল ভাষায় উপস্থাপন করেছেন যা কিনা বিজ্ঞানের ছাত্র না হয়েও অবলীলায় বুঝতে পারা সম্ভব। বইটিতে তিনি আমাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোকে বিজ্ঞানের আলোকে উপস্থাপন করেছেন। কম্পিউটার সাইন্স এর ছাত্র হিসেবে আমার Alan Turing গল্পটা বেশি ভালো লেগেসে। ২য় পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

Waiting for the book, waiting for the included letter & autograph! Thank Shamir vaiya .

আমারা সবাই মনে করি সায়েন্স অনেক সহজ বিষয় এতো সহজেই সব কিছু জানা যায় নেটে সার্চ দিলেই সব পেয়ে যাই কত সহজ তাই না? এ ধারনা আমাদের মধ্যে অধিকাংশ মানুষের।এ বইটা সাযেন্স সম্পর্কে একটি ধারনা দিবে ।একবার পড়ে দেখতে পারেন আশা করি সময়টুকু বিফলে যাবে না।

Poorly Written and Mr. Montazid's writings have been appeared too much narcissistic. This book is full with lots of digressions which is clearly disturbing to a reader. I wish I could give less than one star.

শুরুতেই বেশ বাস্তববাদী কথা । বিজ্ঞানী হলে কিন্তু কষ্ট করতে হবে। স্কলারশীপের ধান্ধায় বিজ্ঞানী বিজ্ঞানী ভাব মারলে কিন্তু হবেনা। বিজ্ঞানীদের হয়তো খুব টাকা পয়সা থাকবেনা। জীবদ্দশায় কেউ না চিনেও মরে যেতে হতে পারে। অবশ্য জাফর ইকবাল স্যার হলে অন্য ভাবে বলতেন মনে হয়। ক্লাস ৯-১০ এর বইতে এরকম কথা আছে যে বেশি বেশি পড়, বেশি বেশি শাকসব্জী খাও-;নিশ্চয়ই নভোচারী হতে পারবে। স্বপ্ন দেখত ত মানা নেই। লেখক বলেছেন তার গল্পগুলি স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য। টার্গেট ধরতে একটু আধটু ছবি দিলে আরো ভাল হত। একটু খানি বিজ্ঞান আরেকটু খানি বিজ্ঞান জাফর ইকবাল স্যারের বেশ উপভোগ্য ছিল। যাই হোক তুলনা বাদ। পড়ে মনে হচ্ছিল জীবনে কি আর করলাম। পড়লাম মুখস্থ করলাম, উগড়ে দিয়ে আসলাম। ব্যাস ভাল ছাত্র। কিন্তু ওইযে Problem solving, Critical thinking, Creative হইতে পারলাম কই। বিশেষ করে অ্যালান টিউরিং এর উপরে লেখা পড়ে যারপরনাই অনুপ্রানিত। হাইজেনবার্গ তো আরেক বস। নোট সাজেশন মুখস্থ, আর প্রেম আমার টাইপ সিনেমা দেখে জীবনটাই ধ্বংস করে দিলাম মনে হচ্ছে। স্কুল কলেজ না বলে ক্লাস ১১-১২ এর ছাত্র ছাত্রীদের মাস্ট রিড বই।

বিজ্ঞান। বিশ্লেষণ করলে, 'বি'-- উপসর্গ পূর্বক 'জ্ঞান', অর্থ্যাৎ সম্প্রসারিত অর্থে জ্ঞানের বিশিষ্ট রূপ হলো বিজ্ঞান। সাহসী মানবজাতির ইতিহাসটা বিজ্ঞানেরই ইতিহাস।বিজ্ঞান অনেক মানুষকে অজ্ঞান করে, আবার অনেক মানুষের মধ্যে নেশা তৈরি করে বিজ্ঞানী গড়ে তোলে। কিন্তু আমরা সবাই জানি বিজ্ঞান ছাড়া আমাদের জীবন অচল।বিজ্ঞানকে তাই ভালোভাবে জানা দরকার, তবেই না হবে এর ব্যবহার! আমি বিশ্বাস করি, শামীর মোন্তাজিদ ভাইয়ের "হাইজেনবার্গের গল্প" বইটি ‌শুধু বিজ্ঞানকে জানাবেই না,বিজ্ঞানের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি করবে--আর হাতছানি দেবে অনেক "পাগল"কে,পৃথিবীর উৎকৃষ্টতম "পাগলাগারদ"--বিজ্ঞানের জগতে। "হাইজেনবার্গের গল্প" শামীর মোন্তাজিদ ভাইয়ের প্রকাশিত প্রথম বই।বইটি প্রকাশিত হয়েছে ২০১৯ এর বইমেলাতে।প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ শেষে বর্তমানে শামীর ভাইয়া পিএইচডি করছেন (পাশ্চাত্যের!) অক্সফোর্ড বি‌শ্ববিদ্যালয় থেকে।তবে তার প্রধান পরিচয় হলো, তিনি জনপ্রিয় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম 'টেন মিনিট স্কুল' এর বিজ্ঞান শিক্ষক। ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির প্রধান অপারেশন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় প্রায় চার শতাধিক ভিডিওতে রসায়ন এবং জীববিজ্ঞান পড়ানোর মাধ্যমে ভীষণ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।তার ক্লাসগুলো অত্যন্ত প্রাণবন্ত এবং বহু জটিল বিষয় অত্যন্ত সহজ এবং রসালো করে বর্ণনা করেছেন তিনি। তার ধারাবাহিকতা শামীর ভাইয়া সদর্পে বজায় রেখেছেন তার বইটিতে। প্রথমেই বইটির যে অংশ আপনার নজর কাড়বে তা হলো এর উৎসর্গ অংশটি, সেখানে শামীর ভাইয়া লিখেছেন, ““আমার বাবা, যিনি মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভ করেছেন। আমার মা, যিনি জীবন যুদ্ধে জয়লাভ করেছেন।”” কতোখানি তাৎপর্যপূর্ণ এবং আবেগময় এ দুটো লাইন, তা পাঠকমাত্রই উপলব্ধি করতে পারেন! বইটিতে সর্বমোট সন্নিবে‌শিত হয়েছে পঁচিশটি নাতিদীর্ঘ আর্টিকেল,শামীর ভাইয়ের ভাষায় 'গল্প'!এর কয়েকটি অং‌শে রয়েছে বেশ কিছু মজার সাইন্স এক্সপেরিমেন্ট,সাইন্টিফিক ফ্যাক্ট,কয়েকজন বিজ্ঞানীর জীবনের চমকপ্রদ কিছু কাহিনী; বিজ্ঞানপাগল মানুষেরা যেগুলো পড়ে রোমাঞ্চিত হন প্রতিনিয়তই । বইয়ের সর্বপ্রথম আর্টিকেলটি হলো "বিজ্ঞান কিভাবে কাজ করে?"। সারাদিন টেস্টটিউব-বিকার নিয়ে নাড়াচাড়া করে পরদিন 'ইউরেকা' বলে চিৎকার দিলেন একজন বিজ্ঞানী --তার পরদিন কোনো এক (সিউডো!)"সাইন্টিফিক" সাইট পোস্ট দিয়ে বসলো,'A new study found that kissing is good for health"-- না, বিজ্ঞানের আসল চিত্র এইটা নয়। Science is a very slow and rigorous process-- নিউজফিডে বিজ্ঞানকে যতটা সহজ মনে হয়, ল্যাবরেটরির দেয়ালের ভেতরে সাদা অ্যাপ্রোন গায়ে দিয়ে কাজটা যে কতোটা চ্যালেঞ্জিং এবং অনি‌শ্চিত সেই ছবিই এখানে তুলে ধরেছেন শামীর ভাইয়া। 'পৃথিবীর প্রথম ভ্যাকসিন' আর্টিকেলে এডওয়ার্ড জেনারের ভ্যাকসিনেশনের আইডিয়ার পাশাপাশি অত্যন্ত সহজ ভাষায় দেহের ইমিউন সিস্টেম এর কাজ করার একটা সংক্ষিপ্ত চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।এরপর 'ব্লু ম্যাজিক পিল', 'পাস্তুরাইজেশন', 'থ্যালিডোমাইড কেলেঙ্কারি','স্পার্ম তিমির তেলের গল্প','নিষ্পাপ ফাঁসির আসামী' প্রভৃতি আর্টিকেল গুলোতে নানা বৈজ্ঞানিক ফ্যাক্ট এবং তাদের পেছনের মজার ইতিহাসটা বর্ণনা করা আছে।'জঙ্গিবাদের পেছনে আছে DNA'তে শামীর ভাইয়া দেখিয়েছেন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পরার পেছনে কিভাবে কাজ করে GR নামক জিন।এই জিনটি Off থাকা শিশুদের বিপথগামী করে ফেলতে পারে! ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজে একটা প্রশ্নে দ্বিধান্বিত ছিলাম,ম‌শা দিয়ে কি এইডস ছড়াতে পারে না? "মশা ও HIV Virus" দিয়েছে তার উত্তর। বেশ জনপ্রিয় একটা পপ-কালচার আছে, উটপাখি নাকি বিপদ দেখলে মাটি খুঁড়ে মাথা ঢুকিয়ে রাখে(বিশেষত 'আপনি জানেন কী' শীর্ষক বহু ফেসবুক পোস্ট ফলাও করে প্রচার করে এ তথ্যটি!)।'উটপাখির যত দোষ' আর্টিকেলটিতে রেফারেন্স সহকারে শামীর ভাইয়া উল্লেখ করেছেন পুরো ব্যাপারটাই একটা মিথ এবং এই মিথের সূত্রপাত একজন রোমান লেখকের লেখা একটি লাইনের সূত্র ধরে।একইরকম ভাবে বিবর্তন বিষয়ে একটি পপুলার প্রশ্ন প্রায়শই জনসমক্ষে আসে --বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইন নাকি বলেছিলেন বানর থেকে মানুষের উৎপত্তি! এটা বেশ প্রচলিত, তবে ভিত্তিহীন।"রোগ যখন জীবন বাঁচায়" প্রবন্ধটি বলছে,''যারা দুই লাইন পড়ে বিজ্ঞান বোঝার চেষ্টা করে ,তারাই সেই গুজবের স্রষ্টা।বরং ডারউইন প্রস্তাবিত Natural Selection ব্যাখ্যা করে কিভাবে বহু বছর ধরে পরিবে‌শের প্রেশারের কারণে একটি জনগোষ্ঠীর জিন সিকুয়েন্সে পরিবর্তন আসে।" বইয়ের শেষদিকে আছে একজন বিস্মৃতপ্রায় প্রতিভা অ্যালেন টিউরিং ('The Imitation Game' মুভিটি যাকে নিয়ে বানানো হয়েছে) এর জীবনের মর্মন্তুদ গল্প। এবং,বইয়ের নাম দেওয়া হয়েছে যার থেকে, রয়েছে সেই মহান বিজ্ঞানী ওয়ার্নার হাইজেনবার্গের কাহিনী। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে Manhattan Project নিয়ে রবার্ট ওপেনহাইমারের নেতৃত্বে মার্কিনরা যখন নেমেছিলো পারমাণবিক বোমা তৈরির কাজে,জার্মানিতে হাইজেনবার্গ তখন হয়ে উঠেছিলেন একই কাজে হিটলারের ভরসা।রোমাঞ্চকর এই কাহিনী দিয়েই শেষ হয়েছে শামীর ভাইয়ের "গল্প বলা" । বইয়ের প্রতিটি আর্টিকেলের শেষে সংযোজিত হয়েছে একটি করে বিজ্ঞানভিত্তিক উক্তি,যা নিঃসন্দেহে বাড়িয়েছে বইটির জৌলুস।বিজ্ঞানের জ্ঞানতৃষ্ণা মেটানোর জন্য এই বইটি রীতিমত কার্যকর। বইটিতে এতো সুন্দর ও সহজ ভাবে সবকিছু বর্ণনা করা হয়েছে যে শুধু বিজ্ঞান নয়, যেকোনো বিভাগের শিক্ষার্থীই এই বইটি পড়তে পারবে।নিঃসন্দেহে বইটি 'বিজ্ঞান' বিষয়টিকে আরো সুখপাঠ্য করবে--উঠতি শিশু কিশোরসহ সকলকে বিজ্ঞানের প্রতি আকৃষ্ট করবে, আর প্রথমে যেমন বললাম, 'পাগলের দল'কে উৎসাহিত করবে পাগলামি'র চর্চা করতে! ঐ 'পাগল' গুলোর জন্যেই--"পাগল ছাড়া দুনিয়া চলে না! " বিজ্ঞানের জয় হোক।

বিজ্ঞানভিত্তিক এই বইটি পড়ে সত্যি এতটা ভালো লাগলো যক আসলে বুঝানো সম্ভব না। এছাড়াও অনেক কিছুই শিখেছি এই বইটি থেকে। বইটিকে আমি স্পেশাল বলবো একারণেই যে বইটিতে গল্পের মাধ্যমে অনেক ইনফরমেশন তুলে ধরা হয়েছে। আমার মনে হয় সবারই এই বইটি একবার হলেও পড়া উচিৎ।

বিজ্ঞান বিষয়ের উপড় লেখা অসাধারন একটা বই।ধন্যবাদ জানাই শামীর মোন্তাজিদ ভাইকে।শত ব্যস্ততার মাঝেও এমন একটি সুন্দর বই লিখার জন্য।বইটি পড়ে অনেক কিছু জানা সম্ভব।খুব ভালই লাগল বইটি পড়ে।অনেক কিছুই জানতে পারলাম।ভবিষ্যতে এমন আরো বই চাই।অপেক্ষাই রইলাম

বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী হিসেবে, 'হাইজেনবার্গের গল্প' পড়ার পরে অনেকাংশেই মনে হয়েছে: বিজ্ঞান শুধু মাত্র একটি বিষয়ই নয়; বিজ্ঞান জীবনের সবচেয়ে বড় সত্য। মানুষের জন্ম এবং মৃত্যুর মধ্যে সাদৃশ্য, প্রথম এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জন্ম হওয়া ইতিহাসের সেরা কিছু আবিষ্কার, জঙ্গিবাদের সাথে সম্পর্ক আছে DNA এর, পৃথিবীর সর্বপ্রথম অ্যান্টিবায়োটিক পেনিসিলিন আসলে ভুল ক্রমে আবিষ্কৃত হয়, 'Sperm Whale' নামক এক তিমির মাথার তেল সম্পর্কিত চমকপ্রদ তথ্য ইত্যাদি - সহ আরো অসংখ্য গল্প দিয়ে সাজানো পুরো বইটি। গল্পের ছলে বোঝানো হয়েছে অসাধারণ সব থিওরি~ তবে, শুধু বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রছাত্রীই যে বইটির পাঠক হবে, তা কিন্তু একদম নয়! বইটি বাংলাদেশের সকল বিজ্ঞানমনা মানুষদের জন্য। শেষ করছি বইটি থেকে আমার সবচেয়ে প্রিয় উক্তি দিয়ে: "Every birth is a death. Perhaps, every death is a birth too. We die only to be born in another universe. A new Amniotic Universe."

অসাধারণ একটা বই।।যে কেউ পড়তে পারবে।। অসাধারণ ভাবে লিখসে শামীর মোনতাজিদ ভাইয়া।।এরকম বই আরো চাই

বিজ্ঞান মানে যে 'বিশেষ জ্ঞান' সেই সংজ্ঞাটি এখন পুরনো। এখনকার যুগে সবকিছুই আসলে বিজ্ঞান৷ বিজ্ঞানের প্রতি ভালবাসা থেকে এখনো আছি বিজ্ঞানের সাথেই৷ ভবিষ্যতেও থাকব ইনশাল্লাহ। শামীর ভাইয়ের এই বইটি পড়ে বিজ্ঞানকে নতুন করে ভালবাসতে পেরেছি বলে আজ ভাবলাম এই বইয়ের রিভিউটা না হয় লিখেই ফেলি! ? একজন মানুষের শরীরে যে দুইরকমের ভিন্ন ডিএনএ থাকতে পারে সেটা কি জানি? আচ্ছা মশা কেন এইচআইভি ছড়ায় না? কেন উটপাখির মুখ বালিতে গুঁজে দেয়াকে তার বিপদের মুখোমুখি না হতে চাওয়ার প্রবণতা হিসেবে ধরে নেয়া হয়? আমরা যে ওষুধ খাই তা একজন বিজ্ঞানীর কত বছরের সাধনার ফল? মহাকাশে যদি আমরা এক বছর ছুটি কাটিয়ে আসি তাহলে ডিএনএ সিকুয়েন্সের কি কোনো পরিবর্তন হবে? আমরা তো নানা রোগে আক্রান্ত হই, কিন্তু রোগ কি আমাদের জন্য ভালোও হতে পারে? আচ্ছা যারা মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে অনুভব করেছে তাদের সকলের ঐ সময়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? মানুষ কি শুধু তাকিয়ে থেকে একটা চামচকে বাঁকাতে পারে? -এই প্রশ্নগুলোসহ অসংখ্য প্রশ্নের উত্তর আপনি জানতে পারবেন এই বইটি পড়ে। তাছাড়া পেনিসিলিন, ভায়াগ্রা, মাইক্রোওভেন, পাস্তুরাইজেশনসহ নানা আবিষ্কারের পেছনের মজার গল্প সম্পর্কেও জানা যাবে বইটি থেকে৷ শেষে 'The Imitation Game' মুভিটি যাকে নিয়ে বানানো হয়েছে সেই অ্যালেন টিউরিং এর জীবনের গল্প তো আছেই৷ আমি কি কিছু মিস করে গেছি? :/ ও হ্যাঁ!! হাইজেনবার্গের গল্পে স্বয়ং ওয়ার্নার হাইজেনবার্গ থাকবেন না তা কি করে হয়! ? আশা করি বইটি সকল বিজ্ঞানপ্রেমী মানুষের ভাল লাগবে। আর আমি রিভিউ তেমন লিখি না৷ তাই যদি কোনো ভুল হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল৷ ?

পছন্দের মানুষের লেখা! ফেসবুক টাইমলাইনে নিয়মিত ক্ষুদ্র ব্লগ গুলো পড়ছি। বই বের করছে জেনে প্রি-অর্ডার করেছি। অপেক্ষারত আছি পাবার জন্য। ব্লগ লিখা গুলোর মতই আশাকরি বিজ্ঞান ভিত্তিক এই বইটা ভালই লাগবে। শুভ কামনা শামির ভাইয়ার জন্য।

excellent book

অসাধারণ একটি বই। আমি একজন বিজ্ঞানের ছাত্র এবং বিজ্ঞানের প্রতি আগে থেকেই আকর্ষণ।কিন্তু এই বইটি পড়ার পর আকর্ষণ আরও বেড়ে গিয়েছে। সবগুলো গল্পই চমক সৃষ্টি করার মত। আশা করি এইরকম আরও বই আসবে এবং মানুষের বিজ্ঞানের প্রতি ভালোবাসা আরও বাড়বে।

It's amazing to see his story unfold like this. Loved it!

প্রথমত, বইটির নাম "হাইজেনবার্গের গল্প" হওয়ার কারণে, মনে করছিলাম এই বইটি হাইজেনবার্গের জীবন কাহিনী এর বই। কিন্তু এই বইটির ২৫ টা গল্পের মধ্যে একটি গল্প হাইজেনবার্গেরকে নিয়ে। দ্বিতীয়ত, বইটি হাইজেনবার্গের কে নিয়ে না হলেও হাইজেনবার্গের ছিলেন একজন পদার্থবিদ, কিন্তু এই বইয়ের তিনটা গল্পে পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে কথা বলা হয়েছে। এই বইয়ের বাকি সবগুলা গল্প 'মেডিক্যাল সাইন্স', এর ইতিহাস এবং 'মাইক্রোবায়োলজি' নিয়ে। যদিও আমার 'বায়োলজি' খুব একটা পছন্দ না, তারপরও এই বইটি অনেক ভালো লেগেছে, গল্পে গল্পে অনেক কিছু জানতে পেরেছি 'মেডিক্যাল সাইন্স' এবং 'মাইক্রোবায়োলজি' সম্পর্কে, যা আগে আমি জানতাম না। অনেক সহজ ভাষায় বিজ্ঞানের অনেক বড় বড় আবিষ্কারের কথা জানতে পেরেছি। যা আমাদের মতো বিজ্ঞান প্রেমীদের আরো উদ্বুদ্ধ করে। শামির মন্তাজিদ ভাই, প্রত্যেকটা গল্পের শেষে একটা করে উক্তি দিয়েছেন, যা আমার খুব ভালো লেগেছে। আমার মনে হয়, যাদের বিজ্ঞান ভালো লাগে না, তারাও এই বইটি পছন্দ করবে, আর যাদের ভালো লাগে তাদের তো কথাই নেই! এই বইটি গল্প গুলো ভালো হলেও, বইটিতে অনেক গুলা 'পৃষ্ঠা' নষ্ট করা হয়েছে, যা উচিত হয়নি।

খুব বাজে। সাইন্স সম্পর্কে যাদের ধারণা নেই। তারা পড়েন।

শামীর ভাইয়ার বই এবারের বইমেলায় আসছে সেটা জানার পর থেকেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম বইমেলার জন্যে। বইমেলা শুরু হয়ে গেছে! এবার বই মেলায় গিয়ে আমার কেনা সর্বপ্রথম বই ছিলো এটা। পড়েও ফেলেছি এরই মধ্যে! অসাধারণ একটি বই। বেশ ভালো লেগেছে। লেখক হাইজেনবার্গের জন্যে অনেক অনেক শুভকামনা!

অনেক ভালো একটি বই

I read this in one sitting. I have read a lot of Shamir bhaiya's blogs and articles. But this was a little different from those. Immensely enjoyed it.

হাইস্যকর

সায়েন্সের উপর এরকম আরো বই প্রয়োজন। এত সুন্দর করে লেখা গল্পগুলো!