User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By MAHBUBE JAHAN BIJLU

      08 Feb 2025 11:20 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      নির্বাসন একটি হৃদয়স্পর্শী উপন্যাস, যেখানে বাস্তবতা, অনুভূতি, এবং জীবনসংগ্রামের এক অনন্য মিশ্রণ রয়েছে। বইটির মূল উপজীব্য হলো মানুষের একাকীত্ব, অভিবাসন, সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং বেঁচে থাকার লড়াই। উপন্যাসের চরিত্রগুলো বাস্তবসম্মত এবং পাঠকের মনে গভীর ছাপ ফেলার মতো। লেখকের বর্ণনা অত্যন্ত প্রাণবন্ত, যা পাঠককে বইয়ের প্রতিটি দৃশ্য যেন চোখের সামনে জীবন্ত করে তোলে। ভাষার ব্যবহারও চমৎকার, সহজ-সাবলীল অথচ গভীরতা সম্পন্ন। যারা অনুভূতিপ্রবণ গল্প পড়তে ভালোবাসেন, তাদের জন্য নির্বাসন এক আবেগঘন অভিজ্ঞতা হবে। এটি শুধু একটি উপন্যাস নয়, বরং জীবন ও সম্পর্কের এক সুন্দর প্রতিচ্ছবি।

      By Rumana Islam

      16 Nov 2024 12:28 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      দারুণ একটি বই❤️ ধন্যবাদ রকমারি ❤️

      By farzana farida

      25 Oct 2024 10:28 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      প্রত্যেকটা বাক্য মন মুগ্ধকর ?অসাধারণ একটি উপন্যাস ?

      By বই ফেরি

      05 Feb 2024 08:59 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      this book is not interested and I think may you by this book you will be lost your important time in your life.

      By sumi akter

      02 Oct 2023 07:13 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_সাদাত_হোসাইন_বুক_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বই পরিচিতি •বই : নির্বাসন •লেখক : সাদাত হোসাইন •ধরন : উপন্যাস •প্রকাশনী: অন্যধারা •পৃষ্ঠা : ৩৭৬ •মুদ্রিত মূল্য: ৫৯০৳ লেখনীতে- সুমি আক্তার ❝ঝরা পালকের মতো, ঝরে যদি যাই? হলুদ পাতার মতো,মরে যদি যাই? যদি শূন্য এ রাতের মতো হয়ে যাই চুপ? যদি তোমাকে না ডাকি আর? তুমি কী তখন এই আমার মতো, খুঁজে পাবে কাউকে আবার?❞ ভূমিকা: ----------- সামনে পরীক্ষা কিন্তু একাডেমিক বই পড়তে একটুও মন চাচ্ছে না।সারাদিন নিউজফিড স্ক্রল করেই সময় নষ্ট করছিলাম। এর মধ্যেই ভাবলাম শুধু শুধু সময় নষ্ট না করে একটা বই পড়ি তাহলেও কাজে দিবে। যেই ভাবা সেই কাজ। গুগল থেকে পিডিএফ ডাউনলোড করলাম। তারপর তিনদিন ধরে অল্পস্বল্প করে পড়ে পড়ে গতকাল রাত ১০টায় নির্বাসন বইটি শেষ করলাম। সাদাত হোসাইনের লেখা এই প্রথম পড়লাম। এর আগে ওনার লেখার প্রশংসা শুনতাম। পড়ব পড়ব করেও এতকাল পড়া হয়নি। অবশেষে প্রথমবারের মতো সাদাত হোসাইনের লেখা 'নির্বাসন' বইটি পড়লাম। কাহিনী-সংক্ষেপ~ ------------------- লস্করের চরের ডাকাত সর্দার তোরাব আলী লস্করের নাতনী জোহরা। ডাকাতি করতে গিয়ে খু*নখা*রাবি করাও তাদের কাছে কিছুই না। টাকাপয়সায় টান পড়লে ধনী ব্যক্তিদের নিকট থেকে অগ্রীম চিঠি দিয়েও ডাকাতি করে। এমনই একজন ধনী ব্যক্তি হচ্ছেন আজাহার খন্দকার। আজাহার খন্দকারের দুই ছেলে মনসুর ও মঞ্জু। মনসুর ঢাকা মেডিকেলে পড়ত। দেশের পরিস্থিতি ভালো না হওয়াতে আজাহার খন্দকার ছেলেকে ঢাকা থেকে নিয়ে আসেন। মনসুরের বন্ধুর বাড়ি গিয়ে কণার সাথে পরিচয়, তারপরে প্রণয়, পরিনতিতে বিয়ে। সুখেই চলছিল মনসুর আর কণার সংসার। কিন্তু মনসুরের বাবা ডাকাতদের টাকাপয়সা না দিয়ে পুলিশে খবর দিয়ে দুইজনকে ধরিয়ে দেওয়ায় বি*রোধ বাধে ডাকাতদের সাথে। যে দুইজন ডাকাতকে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল,তাদের ছাড়িয়ে আনতে জোহরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। এখানে তার সাহসিকতার পরিচয় পাওয়া যায়। এরপরেও অনেক ঘটনায় তার প্রমাণ মেলে। ডাকাতদের সাথে বিরোধের জেরেই একসময় কণা আর মনসুরের সংসার উলটপালট হয়ে যায়। মনসুরের লাশ পাওয়া যায় নদীতে। কিন্তু মনসুর মনে করে যাকে ক*বর দেওয়া হয়েছিল, সে আসলে মনসুর ছিল না। লস্করের চরে এক নির্বাসিত জীবন শুরু হয় মনসুরের।চরে আসার পর জোহরা প্রেমে পড়ে যায় মনসুরের। মনসুর কী শেষ পর্যন্ত কণার কাছে ফিরে আসতে পেরেছে? নাকি বাকি জীবনটা নির্বাসিতই কাটে ওর? জোহরা কী তার মায়ায় মনসুরকে আটকে রাখতে পেরেছে? কণারই বা কী হয় শেষ পর্যন্ত? চরিত্র বিশ্লেষণ~ ------------------- নির্বাসন উপন্যাসটিতে রয়েছে অসংখ্য চরিত্র। যাদের প্রত্যেকেই ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তবুও সকলকে ছাপিয়ে কয়েকটা চরিত্র কেন্দ্রীয় চরিত্রে রয়েছে। •জোহরা: এই বইটিতে সবচেয়ে আকর্ষণীয় চরিত্র হলো জোহরা। তোরাব আলী লস্করের একমাত্র নাতনী। বুদ্ধিমতী, বেপরোয়া, জেদী ও একগুঁয়ে স্বভাবের মেয়ে জোহরা। কখনো সে খুব কঠিন, আবার কখনো মমতাময়ী, কখনো সে হয়ে উঠে ভালোবাসার কাঙাল। এই বইটিতে সবচেয়ে রহস্যময়ী ও আকর্ষণীয় চরিত্রই জোহরা। •তোরাব আলী: লস্কর চরের প্রধান নেতৃত্ব প্রদানকারী হলো তোরাব আলী লস্কর। যিনি ডা*কাতদের সর্দার। তার শাসনে সকলে ভয়ে তটস্থ হয়ে থাকে। বড় বড় খ্যাপ মারাই তার কাজ। মানুষকে খু*ন করতেও তার দুবার ভাবতে হয় না। •মনসুর: এই উপন্যাসের অন্যতম এক চরিত্র। আজাহার খন্দকারের বড় ছেলে। উড়নচন্ডী ছেলেটা একসময় পুরো পরিবারের দায়ভার নিজের কাঁধে নিয়ে নেয়। গভীর ভালোবাসায় ডুবে যায় কণাকে নিয়ে। •কণা: যে কী না মেধাবী, ভদ্র ও শান্ত স্বভাবের। স্কুল শিক্ষক বাবার একমাত্র মেয়ে কণা এবং মনসুরের একমাত্র ভালোবাসার মানুষ। উপন্যাসের একটা অংশ জুড়ে কণাকে নিয়ে রচিত হয়েছে। অন্যান্য: মঞ্জু, আজাহার খন্দকার, শাহিনা বেগম, দেলোয়ার হোসেন, হামিদুল,বাহাদুর, হানিফ, মতি মিয়া, এসআই একরামুল হক, মঈনুল ইসলাম সহ আরো অনেককেই এই উপন্যাসে দেখা যায়। লেখকের চরিত্র বর্ণনাও বেশ সাবলীল। উপন্যাসটিতে আমরা দেখতে পাই আজাহার খন্দকার ও দেলোয়ার হোসেনের পিতৃস্নেহ ও ভালোবাসা। সন্তানের প্রতি বাবাদের নিঃস্বার্থ ভালোবাসার পরিচয় পাওয়া যায় এই বইয়ে। ভালোবাসায় সিক্ত মানুষগুলো এলসূত্রে গাঁথা। প্রিয় চরিত্র~ ---------------- প্রত্যেক উপন্যাসেই একটি প্রিয় চরিত্র থেকে থাকে। তেমনি আমারও নির্বাসন উপন্যাসটিতে কয়েকটি প্রিয় চরিত্র রয়েছে। সবচেয়ে প্রিয় চরিত্রটি হলো মঞ্জু। কারণ মঞ্জুর চুপ থাকা, ভালোবাসা উপভোগ ও উদাসীনতা আমার বেশ ভালো লেগেছে। এককথায় মঞ্জুর সবকিছু আমার কাছে বেশ আকর্ষণীয় লাগে। এছাড়া আছে কণার চাল-চলন ও আচার ব্যবহার আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। পাঠ-প্রতিক্রিয়া~ -------------------- থ্রিলার একসময় ভালো লাগলেও এখন আর ভালো লাগে না। থ্রিলারে কেমন যেন স্বাদ পাই না। যাই হোক, সেদিন হুট করে মনে হলো অনেক তো প্রশংসা শুনলাম এবার না হয় নিজেই একটা বই পড়ে ফেলি। সাদাত হোসাইনের 'নির্বাসন' বইটা থ্রিলার ক্যাটাগরি নয়। এই বইটা সমকালীন উপন্যাস ক্যাটাগরিতে পড়ে। কিন্তু বইটা পড়তে গেলে আপনি একসাথে থ্রিল, রোমান্টিকতা, সুখ দুঃখে ভাসবেন। বইটা পড়ে আপনি বেশ আরাম পাবেন। উপন্যাসটি পড়তে গিয়ে আপনি যেমন একরাশ মুগ্ধতায় ভরপুর থাকবেন তেমনি একবুক হাহাকারও বুকে ধারণ করতে হবে। উপন্যাসটিতে অনেক চরিত্রের সাথে ঘুরে বেড়াতে হয় পাঠককে। পুরো উপন্যাসটিতে জোহরাকে বেশ প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। জোহরা অসম্ভব দুঃসাহসী, উপস্থিত বুদ্ধিমতী, বিচক্ষণ ও রহস্যময়ী একজন মানুষ। কিন্তু জোহরাকে যেন বুঝা দায়। কখনো সে দুঃসাহসী,কঠোর আবার কখনো সে মমতায় ভরা, আবার কখনো সে ভালোবাসার কাঙাল। মনসুর চরিত্রটি নিখাদ ভালোবাসার। যার প্রতিটি কথায় মুগ্ধতা ছড়ায়। খুব সহসা ভালোবাসায় ডুবে যায়। এককথায় মনসুরের জীবনে ভালোবাসার সাথে একসময় অবসাদগ্রস্ত জীবনের সূচনা হয়। সুখে শান্তিতে দিনাতিপাত করার এক পর্যায়ে মনসুর পরিস্থিতিতে পড়ে লস্করের চরে নির্বাসিত জীবনযাপন করে। অন্যদিকে কণা মনসুরের ভালোবাসায় পাগলপ্রায় হয়ে একসময় সেও নতুন জীবনের খোঁজ নেয়। কিন্তু মনসুরকে কী সে ভুলে যেতে পেরেছে। মনসুর, কণা ও জোহরা তিনজনই ভাগ্যের এক নিষ্ঠুর খেলার শিকার। সেই নিষ্ঠুর খেলাটা উপন্যাসের প্রত্যেক মানুষের জীবনে এক দুঃসহনীয় যন্ত্রণা বয়ে নিয়ে আসে। শেষ পরিণতি টুকু পড়েও আমার মন বইটাতেই পড়ে ছিলো।তাদের পরিণতি আমাকে ভাবাচ্ছে। এক বুক হাহাকার নিয়ে বইটা বন্ধ করলেও আপনি ভাববেন, মনসুর, কণা এবং জোহরাকে নিয়ে। মনে হবে ইশ বইটাতে যদি আরো কিছু থেকে যেতো!!! অনেক অনেক প্রশ্ন আপনার মাথায় ঘুরবে কিন্তু সেই উত্তর খোঁজার জন্য আপনাকে লেখক স্বাধীনতা দিয়ে দিয়েছে। অন্যান্য দিকসমূহ~ ---------------------------------- অন্যধারা প্রকাশনী বই নিয়ে আমার কিছুটা মনখারাপ করি। কারণ তাদের সম্পাদনা ভালো না। তবে তাদের প্রচ্ছদ, বাইন্ডিং ও পেজ কোয়ালিটি বেশ ভালো। যদিও আমি নির্বাসন বইটির পিডিএফ পড়েছি। কিন্তু অন্যধারা অন্যান্য বই পড়েছি৷ নির্বাসন বইটাতে সম্পাদনার অভাব ছিল কিছুটা। এছাড়াও লেখকের কিছু ঘাটতি রয়েছে। লেখক মনে হয় বেশ তাড়াহুড়ো করে লিখেছেন বইটা। এজন্য লেখায় বেশ ঘাটতি পাওয়া যায়। প্রথমদিকে কণাকে নিয়ে একটা বিশেষ অংশ লেখা হলেও শেষদিকে এসে কণাকে নিয়ে তেমনকিছু লেখা হয়নি। কণার জীবনের নতুন মোড়কে তেমনভাবে বিশ্লেষণ করা হয়নি। জোহরাকে পুরো উপন্যাসটিতেই গভীর ভাবে বিশ্লেষণ করা হলেও একদম শেষাংশে এসে লেখক যেন খেই হারিয়ে ফেলেছে। মনসুরকে লস্কর চরে একদমই নির্জীব করে উপস্থাপন করা হয়েছে। এরকম কিছু ভুল-ভ্রান্তি বাদেও ছিল টাইপিং মিস্টেক ও কিছু শব্দ মিসিং ছিল। প্রিয় উক্তি~ -------------------- •আপনি বিহীন এই পৃথিবীটা কী ভীষণ জঘন্য" •মায়া এক ভয়ানক জাল। এই জালে একবার কেউ আটকে গেলে তার পুরোটা জীবন কেটে যায় সেই জাল ছিন্ন করতে করতে। কিন্তু দিন শেষে দেখা যায়,সেই জালে মানুষ আবার জড়িয়েই পড়েছে। আর কখনোই বের হতে পারে না সে।' •অজস্রবার ভালোবাসি বলার পরও ভালোবাসা হয় না। আবার একবার না বলেও পৃথিবীর সবচেয়ে গভীরতম অনুভূতি দিয়ে ভালোবেসে ফেলা যায়।' •জীবনে অভিজ্ঞতার চেয়ে বড় কিছু নেই।একটা বয়স মানুষের কেটে যায় আবেগের আতিশয্যে।আরেকটা বয়স কাটে সেই আবেগের মূল্য চুকাতে। •পৃথিবীতে সবারই একটা নিজের মানুষ থাকে।নিজের একটা জায়গা থাকে।সবচেয়ে শক্ত,কঠিন যে মানুষটা তারও।সে চাই সে জায়গাটাতে গিয়ে সে তার কঠিন আবরন খুলে সম্পূর্ণ নিরাভারণ হয়ে যেতে।ভানহীণ শিশুর মতো। ব্যক্তিগত রেটিং~ ৪.৫/৫ পিক কালেক্টেড

      By Aneek Mahmud

      10 Jul 2023 08:59 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ। লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটা গল্প উপহার দেওয়ার জন্য।

      By Rahat Al Samy

      04 Jun 2022 06:24 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Nice

      By Tanvir Supriyo

      28 May 2022 03:03 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      থ্রিলার টাইপ বই। বই শেষ না করে উঠতে পারছিলাম না সত্যিই অবসাধারণ! তবে চরিত্রগুলো আরেকটু ডিপলি নিলে ভালো ছিলো। বাকীসব ঠিকঠাক!

      By Nur Safa

      27 Apr 2022 11:11 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      নির্বাহন ২য় খন্ড চাই।

      By দ্বীপ

      23 Mar 2022 07:32 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      সাদাত হোসেইন ভাইয়ের লেখা "নির্বাসন" বইটি পড়ার পর যেন নিজেই নির্বাসিত হয়ে গিয়েছি কোনো অজানা জায়গায়।বইটির চরিত্রগুলো যেন আমার জীবনের প্রতিক হয়ে চিত্রায়িত হয়েছে।ধন্যবাদ।

      By Mir Atiqur Rahman

      17 Mar 2022 08:51 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Bad book

      By AL MOHAMMED SHAKIB

      09 Mar 2022 08:45 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      প্রিয় লেখক সাদাত হোসাইন ভাইয়ার অসাধারণ এক উপন্যাস!

      By mitu

      22 Feb 2022 01:09 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ❤️❤️❤️❤️❤️

      By Symon hasan

      20 Feb 2022 07:27 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ

      By Devashis paul

      15 Feb 2022 03:29 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️

      By Afrin Jhumur Khan

      29 Jan 2022 08:26 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ভাল।

      By Dola Biswas

      27 Nov 2021 02:07 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      gd

      By Hujai Faa

      10 Nov 2021 07:14 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ অনুভূতি প্রকাশ করার মতন উপযুক্ত কোন শব্দ খুজে পাচ্ছি না এতটাই ভালো লেগেছে।

      By Rakib

      08 Nov 2021 12:16 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Very good book

      By Adnan Shakib Rone

      19 Oct 2021 12:54 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      নির্বাসন

      By Shahriar Shubo

      23 Aug 2021 11:07 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      osadharan

      By Minhazul Islam royel

      29 Jul 2021 07:24 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      overrated

      By Tanvir Ibn kalam

      25 Jul 2021 06:44 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      এককথায় অসাধারণ ❣️❣️

      By Ahmed Supto

      13 Jul 2021 02:35 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ❤️

      By Md Sabbir Ahammed Shifat

      09 Jun 2021 07:30 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      copy kora tar sob boi????

      By Lamiya Rahman

      07 Jun 2021 01:47 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      জানিনা কি বলবো।শেষটুকু পড়ে এখনো ঝিম মেরে বসে আছি।পড়তে পড়তে যখন আমি শেষ পাতায়,, সামনে তাকিয়ে দেখি আর পৃষ্ঠা নেই।।বলা যায় অনেকটা হতবম্ভই হয়ে গেছি "এই বই এর কি বাকি পৃষ্টা নেই? নাকি এখানেই শেষ?"উফ! যদি এটাই শেষ হয় তাহলে,,,, কি হলো এরপরে উৎকন্ঠায় অস্থির হয়ে উঠছি।।পড়তে পড়তে নিজেকে বই এর ভিতরের ই একজন মনে হয়।মনে হয় ক্যামেরার পিছনের মানুষ!শুধু দেখে যেতে পারবো,, কিছু করা বা আটকানোর অবকাশ হাতে নেই।।।। "আচ্ছা? তারপর কি হলো?"

      By Md Jewel rana

      21 May 2021 10:19 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      Reviews r always helpful to those who r confused to any book. I read this book and found this book extremely pleasurable for the bookworms. Any one can order this book .

      By Mahenur Islam

      06 May 2021 03:13 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Joss boy neshai sara jai na

      By Sharif

      06 May 2021 07:25 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      wonderful book.

      By অর্ঘ্য

      29 Apr 2021 04:02 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ৭/১০

      By Safina E Arabi

      20 Apr 2021 01:49 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      awesome akta book?

      By Mehedi Hasan Rakib

      25 Jul 2021 05:06 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ একটা বই। পুরা কাহিনীর ভিতরে বিভোর থাকা যায় । সাদাত হোসেনের সেরা বই নিঃসন্দেহে ।

      By Fine Er

      12 Apr 2021 03:16 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Book ta onek valo. Onek kisu sikhar ase. Na porle onek kisu miss korben.

      By Mehdi Hassan

      24 Mar 2021 05:28 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      good

      By Alamgir Hossan

      24 Mar 2021 12:13 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      price range is high but doesnt matter ,its an awesome book,you can buy it.

      By Md. Abid Hasan

      20 Mar 2021 10:17 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      হইয়েও হইল না শেষ। ?

      By ahmad shakib

      20 Mar 2021 11:23 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      নির্বাসন পড়ে একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম

      By Md Rasel Islam

      14 Mar 2021 06:55 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ একটি বই।❤️❤️❤️❤️

      By Antor bikash kar

      05 Feb 2021 03:46 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      3/5 ValO legeche

      By opu chandra debnath

      09 Jan 2021 06:42 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Amazing

      By Dr. Dewan Mahboob Hossain

      02 Jan 2021 10:11 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Good

      By Jony

      28 Dec 2020 09:29 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      সেরা। লেখকের সেরা বই। খুব ভালো লেগেছে।

      By Hedaetun Hira

      20 Oct 2020 11:05 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      Best ekta boi

      By Nazmul Ahsan

      30 Sep 2020 10:43 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      It was really good book

      By simoon hasan

      22 Sep 2020 01:41 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ একটা বই❤

      By Sakib Al Hasan

      17 Sep 2020 11:46 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      মন ছুয়ে যাবে, কোন কথা ছাড়াই নিইয়ে নিতে পারেন বইটি।

      By সাদিকুল বাশার

      18 Aug 2020 09:43 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      মোটা অঙ্কের অর্থ জলাঞ্জলি দিয়ে এইসব আমতাবড়ি বই কেনো যে মানুষ পড়ে বুঝিনা। মেয়েরাই অবশ্য বেশি পড়ে এসব ভাঁড়ামো। অর্থ, সময় অপচয় ছাড়া আর কিছু না

      By Khairuzzaman

      15 Aug 2020 02:58 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      মায়া – মানুষের মনের এক অবাধ্য অনুভূতি। কখন কার জন্য মায়া পড়ে যায় তা আমরা নিজেরাও জানি না। নির্বাসন উপন্যাস জুড়ে লেখক সাদাত হোসাইন মায়া ছড়িয়ে গেছেন। কঠোর চরিত্র গুলোর ভেতরের মায়াটাকেও কিভাবে যেন তুলে এনেছেন অবলিলায়। সেই মায়ার টানেই নির্বাসনে যায় একের পর এক উপন্যাসের চরিত্র গুলো। সংসারের মায়া, জীবনের প্রতি মায়া, সম্মানের মায়া, ভালোবাসার মানুষগুলোর জন্য মায়া। নির্বাসন অনেক বড় উপন্যাস হলেও হুট করেই এর গল্পের সাথে মিশে যাবেন আপনি। অনেকটা সময় ধরে আপনার মনেও কাজ করতে পারে বিষন্নতা মাখানো এক মায়া।

      By Sumon AhmEd?

      18 Jul 2020 08:53 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      "ভালো লাগার মতো একটা উপন্যাস!!

      By Safiya

      06 Jul 2020 09:32 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      সাদাত হুসাইন এর লিখা প্রথম পরলাম, নির্বাসন। মনে হচ্ছে আমি ই নির্বাসন এ আছি। আমি সচরাচর হুমায়ূন ভক্ত। উনার বই ই বেশি পড়া হয়। উনার বই পরে আমার মন খারাপ হইসে, খারাপ লাগসে কিন্ত কখন ও কান্না আসে নি। কিন্ত সাদাত হুসাইন এর এই একটা বই পড়ে আমি কাদতে কাদতে চোখ ফুলিয়ে ফেলসি!! কি নিদারুণ কষ্ট হচ্ছিলো। কখন ও মনে হতো আমি ই কণা! আমার কাছে আমার মনসুর নাই! আমার বুক টা ফেটে যাচ্ছে ওকে কাছে পাওয়ার জন্য, একবার দেখার জন্য, একটু কথা শুনার জন্য! কিন্ত ও নাই! এই কঠিন সত্য কিভাবে মেনে নেই!?? আবার একটা সময় মনসুর হয়ে গেলাম। যে জীবিত থেকে ও মৃত! মনসুর এর কবিতা গুলো আমার হৃদয় ছুয়ে দিচ্ছিল। প্রতিটা চরিত্রের কষ্ট আমার বুকে গিয়ে বাঁধছিল। রাগ হচ্ছিলো কথক এর ওপর তিনি কেন এমন করে সব উলোট পালোট করে দিল? অবাক চোখে দেখছিলাম জীবন আমাদের কোথা থেকে কোথায় নিয়ে যায়! যেনো স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি সব! বই টা আমাকে ২ বার পড়তে হইসে। প্রথম বার পড়তে পারিনি। মনসুর এর মৃত্যু, কণার কান্না আমি নিতে পারিনি। পড়তে পড়তে এক সময় suffocating লাগছিল তাই রেখে দিয়েছিলাম। ভুলতে চেষ্টা করেছিলাম। আজ আবার সাহস করে পড়লাম। আবার কেদেছি! কিন্ত আমি পড়েছি, প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত।আমি ভাবিনি একটা বই আমাকে এতটা কাদাবে! লেখক যেন আবেগ নিয়ে খেলছিল! ধন্যবাদ সাদাত হুসাইন কে, এত সুন্দর একটা উপহার এর জন্য!!

      By samina

      06 Jun 2020 12:34 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      when i was reading the book, i thought that it was humayun's book. but this book is so emotional that i cried much after reading the book.it's one kind of tragedy book of middle class family and middle class beautifuk girl's life.

      By Robiul Awal

      17 May 2020 05:46 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ঙ্কিছু অসঙ্গতি বাদ দিলে বেশ প্রাণবন্ত একটা বই! কাহিনীতেও বেশ বৈচিত্র আছে!

      By Faria Rahman

      25 Apr 2020 08:47 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      onk sundor akta golpo

      By Sk. Seam Ahmed

      25 Apr 2020 05:50 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      গল্পের ফ্লো আটকে দিয়ে ইমোশনাল প্যানপ্যানানি আমার খুবই বিরক্ত লাগে৷ এই বইতে ব্যাপারটা বেশ ভালোই প্যারা দিলো। তবে ওভারঅল স্টোরিলাইন ভালোই৷ শেষ হয়েও হলো না শেষ টাইপ একটা ব্যাপার আছে.......

      By Anup Kumar Saha

      06 Apr 2020 08:02 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      নাম:নির্বাসন লেখক:Sadat Hossain - সাদাত হোসাইন ধরণ:উপন্যাস প্রকাশন:অন্যধারা প্রকাশকাল:২০১৯ মুদ্রিত মূল্য:৳৫৯০ ব্যক্তিগত রেটিং:৮.৫/১০ গল্পটা ভালোবাসার,গল্পটা ভয়ের,গল্পটা আশার,গল্পটা নিরাশার।তার চেয়ে বড় কথা হলো গল্পটা মায়ার বন্ধনের।কীভাবে মানুষের মনে সৃষ্টি হয় ভালোবাসার,তারপরে কীভাবে ভালোবাসা মায়ায় পরিণত হয়,আর কীভাবে সে মায়া মানুষকে কাঁদায়,হাসায়,ভাবায় তা জানা যাবে এ গল্পে।এ পৃথিবীতে সব কিছুর বাইরে সবার একটা নিজের মানুষ লাগে,যে মানুষটার কাছে বাহ্যিক আবরণ ছেড়ে নিজের আসল অন্তরটা দেখানো যায়।এমন একটা মানুষ দরকার যার মায়ার বাঁধনে নিজেকে আজন্ম বেঁধে রাখা যায়,যে মানুষটা কারণে-অকারণে হাসাবে-কাঁদাবে,হাসবে-কাঁদবে।নির্বাসন ঠিক এমনটা গল্প।কিছুটা বাস্তবতা,কিছুটা রূপকথা,কিছুটা ভয়,কিছুটা রহস্য সব মিলে এক অনবদ্য উপন্যাস হলো নির্বাসন। গল্পটা এক ডাকাত সমাজের জীবনযাত্রা,তাদের নানা অভিযানের কথা আর এ ডাকাতদের কারণে পুরোপুরি ধসে যাওয়া এক পরিবারের কাহিনী।গল্পের বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য চরিত্র রয়েছে।তবে মূল চরিত্র হিসাবে মনসুর,কণা ও জোহরাকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করা যায়।৩৭৬ পৃষ্ঠার এ গল্প মূলত এই তিন চরিত্রকে নিয়ে আবর্তিত।মনসুর ও কণার চরিত্রে আলাদা বা অতিরিক্ত আকর্ষণের জায়গা তেমন উজ্জ্বল না হলেও,জোহরা চরিত্রটা আসলেই আকর্ষণীয়।জোহরা যেন গোবরে পদ্মফুল।রূপের বর্ণনায় জোহরা অত্যন্ত রূপবতী একজন কিশোরী,যার নিয়তির ছেলেখেলায় জন্ম হয় ডাকাতকূল লস্কর বংশে।তার দাদা ডাকাত সর্দার তোরাব আলী অন্তত তাই মনে করেন।কিন্তু গল্পের প্রবাহে জোহরার আসল পরিচয় ফুটে ওঠে।সে তার দাদার সব ধারণা ভুল প্রমাণ করে হয়ে ওঠে এক দুর্ধর্ষ কিশোরী,যার চোখে মুখে হিংস্রতা আর জিঘাংসা।ক্রমে ক্রমে সে ডাকাতকূলের অঘোষিত সর্দার হয়ে ওঠে।নানা দুঃসাহসিকতায় সে এক নিপুণ হিংস্র বাঘিনী হয়ে ওঠে।কিন্তু তার এই হিংস্র চেহারার পেছনে ভালোবাসা ও মমতা আছে।তার ভেতরেও যে ভালোবাসার তৃষ্ণা আছে তা খুব স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে গল্পের বাঁকে। গল্পের প্রথম দিকটায় রয়েছে মনসুর আর কণার গল্প।মনসুরের সাথে কণার প্রথম দেখা,পরিচয়,আলাপ,প্রেমে পড়া,বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া,আবার মায়ায় জড়িয়ে পড়ার গল্প যেকোনো মানুষকে মুগ্ধ করতে বাধ্য।মনসুরের সাথে কণার মায়াময় ভালোবাসার কাহিনী যেকোনো নির্লিপ্ত মানুষকেও নাড়া দেবে।তাদের এই দুষ্টু-মিষ্টি প্রেমের গল্প এক অনন্য মাত্রা যোগ করেছে এ উপন্যাসে।কিন্তু খটকা বাজে তখনই,যখন তাদের সব স্বপ্ন তছনছ হয়ে যায়।চোখের পলকে কীভাবে জীবন ধ্বংস হতে পারে না এ গল্প না পড়লে জানা যাবে না।মানুষ চলে গেলেও যে তার মায়া পড়ে থাকে তা হয়তো ঐ মানুষটা না চলে গেলে বোঝা যায় না।কিন্তু যখন ঐ মানুষটা হারিয়ে যায় তখন সব শেষ হয়ে যায়,আর ঐ মানুষটার মায়া ধীরে সব শেষ করে দেয়। গল্পের মোড়ে দেখা যায়,মনসুর কোনো একভাবে ডাকাতদের কাছে জিম্মি হয়,আর তখনই জোহরা মনসুরের প্রতি ভালোলাগা অনুভব করে।কিন্তু মনসুর কণার মায়ায় এত তীব্রভাবে জড়িয়ে গিয়েছিল যে জোহরার রূপ,যৌবন,দৈহিক সৌন্দর্য তাকে ছুঁতে পারে না।এ নিয়ে জোহরা অত্যন্ত ব্যথিত হয়।কোনো এক সময় মনসুর ডাকাতদের কবল থেকে রক্ষা পায়।তখন মনসুর নতুন জীবনে যাওয়ার উচ্ছ্বাস অনুভব করলেও জোহরা ভেঙে পড়ে।আর তখন মনসুরও আশ্চর্যজনকভাবে লক্ষ্য করে সেও জোহরার প্রতি কিছু একটা টান অনুভব করে।এটা কী ভালোবাসা নাকি মায়া?বুঝতে পারে না মনসুর। এ উপন্যাস আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।প্রথমত,মনসুর-কণার ভালোবাসা এক অনন্য অনুভূতি দিয়েছে।দ্বিতীয়ত,জোহরার চরিত্র অসম্ভব ভালো লেগেছে।তাছাড়া এ গল্প একটা থ্রিলারেও অনুভূতি দেয়।সাথে তো রহস্যময়তা আছেই।তবে জোহরার জন্য খুব খারাপ লেগেছে।তবে গল্পটা আমার কাছে কিছুটা অসম্পূর্ণও লেগেছে।মনসুরের ফিরে আসার পরে কণার জীবন কেমন হয়েছিল তা জানার তীব্র বাসনা নিয়ে শেষ করলাম উপন্যাসটি। শেষ করার আগে,এ উপন্যাসটি এমন এক উপন্যাস যেটি পড়ে বিরক্ত হওয়া যায় না।এ উপন্যাসটিকে আপনার চোখের সামনে ধরে রাখার প্রয়োজন নেই,উপন্যাসটিই আপনার চোখ দুটিকে ধরে রাখবে,ধরে রাখবে ঐ মনকেও।

      By Najiur Rahman

      18 Apr 2021 01:37 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      এই বইয়ে হয়তো সাহিত্য জগতের বিরাট কিছু নেই তবে পাঠককে শেষ পর্যন্ত ধরে রাখার একটা জাদু আছে। টুইস্ট আছে ভালো।

      By MD Azizul Islam

      16 Mar 2020 08:25 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      আমি তোও ১০ এ ১০ দিবো

      By MR.AHMED

      02 Mar 2020 01:22 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      হুমায়ন স্যারের বই পড়ার সময় যেমন কোনো ক্লান্তি লাগে না তেমনি সাদাত ভাই এর বই পড়তেও ক্লান্তি লাগে না l নির্বাসন বইটি প্রমদিকে খুব সুন্দর l প্রতিটি চরিত্রিও খুবই সুন্দর l গল্প ঠিক ঠাক ভাবেই যাচ্ছিলো কিন্তু শেষের দিকে আইসে কেমন যেনো ছবির গল্পের মতো হয় গেলো ল বড় ভাই নিখোঁজ হয়ে গেলো আর তাই বৌয়ের বিয়ে হয়ে গেলো ছোট ভাইয়ের সাথে আবার এখানেও টুইস্ট বিয়ে হওয়ার পর বড় ভাই ফিরেও এসেছে l যাইহোক ওভারঅল খুব একটা খারাপ না l

      By Abdullah Al Nayem

      02 Mar 2020 07:38 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      গল্পটা একজনের নয়। শুধু জোহরার নয়,শুধু মনসুরের ও নয়, কণা,হানিফ কারোই একার গল্প নয় নির্বাসন। গল্পটা সবার। কেউ দৃশ্যত নির্বাসিত নয়। কিন্তু সবাই নিজেই নিজের কাছে নির্বাসিত । নিজের মনের কাছে। নিজের চাওয়ার কাছে। কাহিনি সংক্ষেপঃ তোরাব আলী লস্কর হলো লস্কর চরের প্রধান । লস্কর চর হলো ডাকাত চর । এ চরের সব মানুষ ডাকাতি করে, যা পায় তা দিয়েই জীবন চালায়। অনেক আগে থেকেই এ চরের ডাকাতির দিক দিয়ে সুখ্যাতি । যদিও বর্তমানে এ চরের অনেক কাজ ই স্থবির হয়ে গেছে । আগের মতো খ্যাতি না থাকলেও সবাই লস্কর ডাকাতদের কথা ভাবলেই ভয় পায়। দীর্ঘ জলরাশি । মাঝে মাঝে চর ভেসে উঠেছে। অসংখ্য চর । বর্ষাকাল ডাকাতির প্রধান মৌসুম। বিভিন্ন লঞ্চে তারা ডাকাতি করে । অনেকসময় ডাকাতির পর লোকজন মেরে অথবা পানিতে ফেলে দিয়ে লঞ্চ নিয়ে আসে তাদের চরে । বিস্তৃত হাওর অঞ্চল ও অসংখ্য চর থাকায় কেউই লস্কর চরের সঠিক অবস্থান জানে না। অচেনা হাওর এলাকায় যতদূর চোখ যায় শুধু পানির মধ্যে পথ হারিয়ে ফেলা ও কঠিন কিছু নয় । পুলিশ অনেকবার চেষ্টা করেও এই লস্করচরের সঠিক অবস্থান বের করতে পারে নি। এই লস্কর চরেই জন্ম জোহরার। তোরাব আলি লস্করের ছেলে ফয়জুলের মেয়ে জোহরা । ফয়জুল অনেক বছর ধরে নিখোঁজ। একবার গঞ্জের আশেপাশে এক অপারেশনে গিয়েছিলো ফয়জুল । এর পর আর ফিরে আসেনি সে । তার সাথের একজনের লাশ পাওয়া গেলেও ফয়জুলের লাশ পাওয়া যায়নি । ছেলেকে অনেক খুজেঁছেন তোরাব আলী । এমাথা থেকে ওমাথা । কোথাও পাননি । শেষে ধারনা করে নিয়েছেন হয়তো ছেলে মারা গেছে । তারপরও তিনি অপেক্ষা করেন । জনমের অপেক্ষা, পিতৃত্বের অপেক্ষা, ভালোবাসার অপেক্ষা। কিন্তু প্রায় ১০ বছর হয়ে গেছে ফয়জুল বাবার ভালোবাসায় সাড়া দেননি । মা মরা জোহরাকে তোরাব আলী লস্কর নিজের মেয়ের সোহাগ দিয়ে বড় করেছেন৷ কোনোকিছুই অপূর্ণ রাখেননি । জোহরা এখন ষোড়শী । নিজে এত বছর ধরে এত কাছে রাখছেন তারপরেও যেন ঠিকমতো চিনতে পারেন না জোহরাকে। কখনো মনে হয় ভালোবাসা -মমত্ববোধে পরিপূর্ণ মেয়ে, আবার কখনো মনে হয় এই মেয়ে চরম নিষ্ঠুর । চরে কলেরা ছড়িয়ে পড়ছে। একের পর এক ঘর থেকে সকরুণ কান্নার আওয়াজ শোনা যায়, আবার কিছুক্ষণ পরেই সেই কান্নার আওয়াজ ছাপিয়ে উঠে পাশের বাড়ির কান্না। জরুরি সভা ডাকেন তোরাব আলী। চরের টাকা পয়সার মজুদ ও কমে এসেছে। ঔষধপত্র কিনতে হবে। তেরাব আলী লস্কর সিদ্ধান্ত নেন তার পূর্বপুরুষের পথে যাবেন । জোহরাকে ডাকেন তিনি। জোহরা চিঠি লিখে দেয়। এই চিঠিগুলো পৌঁছে যাবে গঞ্জের আড়তদারদের কাছে । তারা ঐ দিনে লস্করদের দেবার জন্য টাকা পয়সা আড়তেই রেখে যাবে। লস্করের লোক এসে তা নিয়ে যাবে শুধু । চিঠি দিয়ে ডাকাতি। লোকজন আবার জানবে যে লস্কররা এখনো ফুরিয়ে যায় নি । আজহার খন্দকার ঢাকা এসেছেন। যাবেন ঢাকা মেডিকেল। তার ছেলে মনসুরের কাছে। মনসুর ঢাকা মেডিকেলের শেষ বর্ষের ছাত্র। দেশের অবস্থা ভালো না। ছাত্রদের গনহারে জেলে ঢুকাচ্ছে পুলিশ । এ অবস্থায় আজহার সাহেব শান্তিতে থাকতে পারছেন না। তিনি এসেছেন মনসুরকে নিতে। মনসুরকে নিয়ে যেদিন তিনি বাড়িতে ফিরলেন সেদিন ই লস্করের চিঠি পেলেন। বুধবার রাতে আসবে তারা। কিন্তু কোন বুধবার তা লেখেনি। পুলিশ যেন না ডাকে সে বিষয়েও সতর্ক করে দিয়েছেন চিঠিতে। লস্করদের অবস্থা খারাপ তিনি তা জানেন। ভাবলেন, অনেক দিয়েছেন আর দেয়া যাবে না। তাই তিনি পুলিশে খবর দিলেন। লস্করদের প্রতি পুলিশের কৌতুহল বেশি কিন্তু সাহস কম। তারা খন্দকারের আড়ত পাহারা দিতে যায়। এক,দুই,তিন সপ্তাহ যায় কিন্তু লস্কররা আসে না। পুলিশ চলে যেতে চাইলেও খন্দকার সাহেব দেন না। একবার যখন লস্কররা বলেছে আসবে,তারা আসবেই । পুলিশ থেকে যায়। চতুর্থ বুধবারে তারা আসে। ৫ জন। আগে যতবার যত আড়তে গিয়েছিলে তারা সকলেই টাকার ব্যবস্থা করে রেখেছিলো । কোনো ঝামেলা হয় নি। তারপরও কিছু অস্ত্র তারা সাথে রাখে। কিন্তু ঐ সামান্য কিছু দিয়ে তারা পুলিশের সাথে পেরে উঠে না। ১ জন মারা যায়। ২ জন পুলিশের কাছে ধরা খায়। আর ২ জন চরে ফিরে আসে । চরে আবার সভা বসে। ঐ ২ জনকে ফিরিয়ে আনতেই হবে৷ যদি না আনা যায় তাহলে পুলিশ হয়তো তাদেরকে নিয়ে পথ চিনে লস্কর চরে আক্রমণ করবে। চিন্তায় পড়ে যায় তারা । ঐদিন রাতেই হানিফ আর বাহাদুরকে সাথে নিয়ে গঞ্জে রওনা হয় জোহরা । হানিফ কাজের ছুতোয় হলেও জোহরার কাছে আসতে পেরে খুশি। চাচাতো বোন হলেও তার প্রতি কেমন যেন ভালোলাগা কাজ করে হানিফের। তারা গঞ্জে গিয়ে প্রথমেই যোগাযোগ করে তেরাব আলী লস্করের বন্ধু হারাধনের সাথে। জেলখানায় হারাধন আর তোরাব লস্করের বন্ধুত্ব হয়েছিলো। বিনা অপরাধে হারাধন জেল খাটছিলো শুনে তাকে বের হওয়ার ব্যবস্থা করে দেন তোরাব আলী। সেই থেকে তাদের বন্ধুত্ব। হারাধনের স- মিল আছে। তারা প্ল্যান করে যখন পুলিশ ঐ বন্দী দুজনকে নিয়ে দিঘীনালার সরু খালের ভেতর ঢুকবে তখনই উপর থেকে গাছের গুড়ি ফেলতে থাকবে হারাধনের লোকেরা । এতে রাস্তা ব্লক হয়ে যাবে। এই ফাঁকে বন্দীরা লাফিয়ে পড়বে । যে কথা সে কাজ। বন্দীদের উদ্ধার করে যখন চরে নিয়ে আসা হলো তখন যেন খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছিল চরে। গত কয়েক দশক ধরে জোহরার মতো সাহসিকতা কেউ দেখাতে পারেনি । মনসুর বাড়ি ফিরেই চলে গেলো বন্ধু জসীমের বাড়ি। গোবিন্দপুর। জসীমের চাচাতো বোন কণা। পরিচয় হলো । পরিচয় কেমন যেন অসম্ভব ভালোলাগা তে রূপ নিলো। ভালোলাগা থেকে ভালোবাসা । স্পর্শ না করেও, কথা না বলেও এক গভীর অনূভুতির জোয়ার তাদেরকে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলো । মনসুর ১৫ দিন পরে বাড়ি ফিরলো । বাসায় এসেই কণার ছবি বাবাকে দেখালো । আজহার সাহেব ছবি দেখে থ মেরে দাড়িয়ে রইলেন। এ মেয়ে তো তার হাজার বছরের চেনা । চোখ,চেহারা অনেকটা মনসুরের মায়ের মতো। অনেক বছর হলো মনসুরের মা মারা গিয়েছে। আজহার উদ্দিন সাথে সাথে কণা ও মনসুরের বিয়েতে রাজি হয়ে গেলেন । অনেক ঝামেলার পরও বিয়ে হয়ে গেলো মনসুর আর কণার। ভালোই কাটতে লাগলো সময় । আরে ভালো কাটতো যদি না আজহার খন্দকারের পাটের আড়তে আগুন না লাগতো । সবগুলো আড়ত দাউদাউ করে জ্বললো । নতুন বছরে বেশি দামে বিক্রির জন্য অনেক ধারদেনা করে আড়ত ভরে পাট উঠিয়েছিলেন আজহার সাহেব । সবাই জানলো তোরাব আলী লস্কর পাটের আড়ত পুড়িয়েছে। কিন্তু কেউ জানলো না, রাতের আঁধারে এসে দাদার কথা অমান্য করার প্রতিশোধ নিয়ে গেছে জোহরা৷ হানিফ জোহরাকে পাবার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকে । জোহরার উপযুক্ত ছেলে চরে একমাত্র হানিফ ই আছে। একথা হানিফ, জোহরা যেমন জানে তেমনি চরের সবাই ও জানে । কিন্তু তোরাব আলী লস্করের চিন্তা ছিলো অন্য । তিনি চেয়েছিলেন জোহরাকে চরের বাইরে বিয়ে দিতে৷ এমন বুদ্ধিমতী মেয়ে সচারাচর দেখা যায় না । কিন্তু জোহরার দুঃসাহসিকতা ও চলন-বলন দেখে তিনি নিজেকেই নিজে ধমকে দেন। এ মেয়ের জন্ম এই চরে। ডাকাতি র রক্ত তার প্রতিটা শিরায় শিরায় বইছে । সব ভেবে তিনি বাইরে বিয়ে দেবার চিন্তা ইস্তফা দেন। হানিফ অনেক চেষ্টা করে জোহরার পাশে পাশে, সাথে সাথে থাকতে । জোহরার কাছে থাকলেই মনে হয় সে স্বর্গসুখ পাচ্ছে । আর এদিকে নতুন ডাকাতির জন্য সবাইকে তৈরি হতে বললেন তোরাব আলী । ঠিক আগের মতো । এবার সবাই একসাথে যাবে৷ সবচেয়ে বড় খবর হলো এবার ডাকাতিতে অনেক বছর পর নিজেই যাবেন তোরাব আলী লস্কর। আজহার খন্দকারের পরিবারের অবস্থা ভালো না। তিনি সারাদিন শুয়ে থাকেন। ঘর থেকে বের হন না। পাটের আড়তের জায়গায় নতুন ঔষধের দোকান দেবার চেষ্টা করছে মনসুর। সে কখনো ভাবেনি ভাগ্যের এমন ফেরে পড়তে হবে । বাধ্য হয়ে নিজের জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে ঔষধের দোকান দিলো । এদিকে কণা প্রেগন্যান্ট । তাকে বাবার বাড়ি পাঠানো দরকার৷ আজহার সাহেব জিজ্ঞেস করলেও কিছু বলেন না । চুপচাপ শুয়ে থাকেন। শেষমেশ আজহার সাহেবের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে বাড়ির দিকে যাত্রা করলো কণা। সাথে গেলো মনসুরের ছোট ভাই মঞ্জু। কথা ছিলো কণা যাওয়ার দুই-তিন দিন পর মনসুর যতটুকু সম্ভব দোকান গুছিয়ে দিয়ে চলে আসবে । দুইদিন -তিনদিন -পাঁচদিন যায়। কিন্তু মনসুর আসে না। কণার খুব রাগ হয় মনসুরের উপর । সাতদিনের দিন মঞ্জুকে বাড়ি ফিরে যেতে বলে কণা৷ মনসুর কে গিয়ে পাঠিয়ে দেবার কথা বলে দেয়। মনসুর আসে না। কিন্তু আজহার খন্দকার আসেন । মনসুরের খোঁজে । কিন্তু এখানেও মনসুর নেই। কিন্তু সে তো কণা আসার দুইদিন পরেই রওনা দিয়েছিলো। বাজ ভেঙে পড়ে তাদের দুজনের মাথায়। খবর পাওয়া যায় লঞ্চ ডাকাতির কথা । লাশ সব পঁচে গলে গেছে। কাপড় দেখে শনাক্ত করা হয় মনসুরের লাশ। কণার পৃথিবী টা শূণ্য হয়ে যায়। তার চারদিকে শুধু ধু ধু শূণ্যতা আর মরীচিকা । কণার ছেলে হয়। কণা নাম রাখে মন। মনসুর থেকে মন। কণা ভাবে মনকে নিয়েই জীবন কাটিয়ে দেবে। কিন্তু তার বয়স মাত্র বাইশ ।তার বাকী জীবনটার কথা ভেবে ভেবে কাঁদেন তার বাবা মা। এক বিপত্নীক স্কুল শিক্ষকের সাথে বিয়ের কথা বলেন তার বাবা। কিন্তু কণা বেঁকে বসে । সে কখনোই বিয়ে করবে না। আজহার সাহেব কণাদের বাড়িতে এসে মঞ্জুর সাথে বিয়ের কথা তোলেন৷ তিনি কণাকে অসম্ভব রকমের স্নেহ করেন । তিনি শুধু চান কণা তার ঘরে থাকুক, সুখে থাকুক। একদিন মারা যায় কণার বাবা। কিন্তু এর আগে তিনি মেয়েকে মঞ্জুর সাথে বিয়ের ব্যপারে বলে যান। কণা মরার মতো পড়ে থাকে । সেন্স আছে কিন্তু তিনবার ডাকলেও শোনে না। পারিবারিকভাবেই কণা, মঞ্জুর বিয়ে হয়ে যায়৷ চিরকাল চেনা দুইজন মানুষ যেন চির অচেনা হয়ে বাসর ঘরে প্রবেশ করে । কণা খাটে, সাথে মন। আর মঞ্জু নিচে পাটি বিছিয়ে গুটি হয়ে শুয়ে আছে । কেউই ঘুমায় না। যেন রাজ্যের শূণ্যতা ভর করে আছে ঘরে। শ্বাস আছে কিন্তু প্রাণ নেই শব্দ নেই। আগে মঞ্জু কণাকে আপনি করে বলতো। এখন খুব প্রয়োজন হলে ভাববাচ্যে কথা বলে। কণা অবশ্য উওর দেয় না । মনের অসুখ হয় একদিন। সে থেকে কিছু কিছু কথা হয় তাদের মাঝে। একদিন হঠাৎ মঞ্জু কণাকে তুমি করে বলে । সব স্বাভাবিক ই থাকার কথা। কিন্তু আজহার সাহেব থমকে যান । যদি কেউ মুখের উপর ঠাস করে চর মেরে দেয় তাহলে এমন হয়৷ কিন্তু কি এমন হলো? যে আজহার সাহেব থমকে গেলেন? মনসুরকে দেখা যায় লস্কর চরে। চুল-দাড়ি বড় বড়। কাপড় ময়লা। মনসুর মারা যায় নি। ঐদিন রাতে মনসুর যে ডাক্তার এ কথা শুনে মনসুর কে ধরে নিয়ে আসে লস্কররা। সেই থেকে সে এখানে । জোহরা গভীর রাতে ডাক্তারের ঘরে আসে। ডাক্তার চুপ করে বসে থাকে৷ জোহরা অনর্গল কথা বলতেই থাকে । মনসুর কণার কথা ভাবে। ভাবে তার কি ছেলে হলো না মেয়ে হলো? একদিকে জোহরা ডাক্তারের জন্য পাগলপ্রায় । অন্যদিকে হানিফ ডাক্তারকে যেকোনো সময় খুন করতে প্রস্তুত৷ শুধু করতে পারে না চরের লোকজনের কথা ভেবে। একদিন ঝড়ের রাতে বৃষ্টিতে ভিজে জোহরা ডাক্তারের ঘরে যায় । অনেক ডাকাডাকির পর দরজা খোলে ডাক্তার। জোহরা ডাক্তারের শরীর ঘেঁষে দাঁড়ায় । হঠাৎ ডাক্তারের ওষ্ঠে তার অধর স্পর্শ করে। কুমারীর প্রথম স্পর্শ। জোহরা জোয়ারে ভাসতে থাকে। আর মনসুরের গাল বেয়ে টপটপ করে পানি ঝরে পড়ে। সে পানি কেউ দেখে না। বৃষ্টির পানির সাথে মিশে যায়। মনসুর কি পারবে ফিরে যেতে কণার কাছে? নাকি আজীবন এই নির্বাসন ই তার সঙ্গী হবে? যদি যায়, কণার কি হবে? মঞ্জু? সে কি করবে? আজহার সাহেব কি পারবে এই সুখের চরম দুঃখ সামলাতে? জোহরা? হানিফ? কে নির্বাসনে যাবে? কে ভালোবাসা বিসর্জন দিবে? ব্যক্তিগত মতামতঃ এই বইটা পড়ার পর আমি দুইদিন থ হয়ে ছিলাম। প্রতিটা চরিত্রের মায়া য় আপনি পরবেন ই৷ সবগুলা ছোটছোট ক্লাইমেক্সে আমি অনেকগুলো কেস চিন্তা করেছি । কিন্তু হয়েছে সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস। এজন্যই হয়তো সাদাত হোসাইনের লেখা ভালো লাগে ৷ জীবন মানেই তো অনিশ্চয়তা। যা ভাববো তা যদি হতো তাহলে তো এটি জীবন না হয়ে মুভির স্ক্রিপ্ট হলেই ভালো হতো । তবে আমার মনে হয়েছে শেষটা আরেকটু বিশদ করতে পারতেন লেখক। কিন্তু সবকিছুর পরেও অসাধারণ বলতেই হয়। ব্যক্তিগতভাবে ভালো লেগেছে । তবে যদি নির্বাসনের দ্বিতীয় খন্ড আসে তাহলে সবচেয়ে বেশি ভালো হবে।

      By reshma ahmed jeba

      23 Feb 2020 03:33 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #বই_পর্যালোচনা #নির্বাসন #সাদাত_হোসাইন #বইমেলা_২০১৯ #পৃষ্ঠা_সংখ্যা_৩৭৬ #বই_মূল্য_৫৯০ সুবর্নপুর বিল ছাড়িয়ে জলের বুকে জঙ্গল। তার ওপারে লস্করদের চর। লস্করদের প্রধান তোরাব আলী লস্কর। যার মেজো ছেলে ফয়জুল সাত বছর আগে সোনাপুর বাজারে ডাকাতি করতে গিয়ে গ্রামবাসীদের হাতে ধরা পরে আর ফেরত আসেনি। ফয়জুলের কিশোরী মেয়ে জোহরা কে নিয়ে দাদা তোরাব আলী অন্য জীবনের স্বপ্ন দেখেন। উনি চাননা এমন মায়াবী চেহারার মেয়ের জীবন টা লস্কর চরে কোন লস্করের সাথে কাটুক। উনি চান এই বিল ছাড়িয়ে, চর ছাড়িয়ে দূরে কোথাও নাতনি কে বিয়ে দিতে। গল্পের অন্য পাশে তখন নবীগঞ্জ গ্রামে আজহার খোন্দকারের ঢাকায় মেডিকেলে পড়ুয়া বড় ছেলে মনসুরের সাথে গোবিন্দপুরের স্কুল শিক্ষকের একমাত্র সন্তান কণার পরিচয় এবং প্রনয় সমাপ্ত। খুব বেশিই ভালোবাসাময় ছিলো পুরো উপন্যাস জুড়ে মনসুর- কণার গল্পটি। সম্পর্কের শুরুতে মনসুরের নিশ্চিত হতে চাওয়ার বিষয়টি, যে কণা তার মনের নিছক কল্পনা নাকি সত্যিকারের চাওয়া, যদি মিথ্যে কল্পনা হয় তাহলে সে হীন তার পৃথিবী টা কি ভীষণ জঘন্য হবে, এই ভাবনা টা লেখকের মনের চমৎকার ভালোবাসারই অংশবিশেষ। ঘটনার এগিয়ে যাওয়ার সুত্র ধরে পরবর্তীতে জোহরার লস্কর দলের সাথে সরাসরি কাজ করবার মধ্য দিয়ে খুন, জখমে লিপ্ত হওয়া, মনসুরের গুম হয়ে যাওয়া এবং মনসুর-কণার একমাত্র সন্তান মন এর জন্ম গল্পকে কোন দিকে নিয়ে যাবে তা পাঠক শুরুতে আন্দাজ ও করতে পারবেনা। পুরো উপন্যাস জুড়ে খুব টাচিং বা স্পর্শকাতর দুইটি বিষয় লেগেছে আমার। এক. কণার পিতা দেলোয়ার হোসেন এবং শশুর আজহার খোন্দকারের সাথে প্রতিবারই কণার কথোপকথন গুলো। বাবা'রা কি ভয়ানক ভালোবাসতে পারে মেয়ে সন্তানদের তার অনেকটাই এখানে স্পষ্ট হয়েছে। দুই. একটা মানুষকে আরেকটা মানুষের কেবল দেখতে পাবার, কথা বলতে পাবার, শুনতে পাবার ইচ্ছেটা কি ভয়ংকর তেষ্টা / পিপাসা তে রূপ নিতে পারে সেই বিষয়টা চরমভাবে নিয়ে এসেছেন লেখক মনসুর-কণা চরিত্রের মধ্য দিয়ে। আরেকটা বাস্তব উপলব্ধি দেখিয়েছেন লেখক এই উপন্যাসে যে, ভালোবাসা এমন একটা অদ্ভুত অনুভূতি যে আপনার কারো প্রতি ভালোবাসা হতেই পারে এবং তার প্রতি ভালোবাসার জন্য আপনি সব কিছু বিসর্জন ও দিতে পারেন হয়ত কিন্তু আপনার প্রতি তার অনুভূতি শুন্য হতে পারে। ভালোবাসলে ফেরতে যে ভালোবাসাই পাবেন এমনটা সবসময় নয়। ভালোবাসা কোন ক্ষমতা কে চিনেনা, খ্যাতি কে বুঝেনা কারন ভালোবাসা নিজেই একটা দুরন্ত ক্ষমতা। তাই জোহরার দুর্ধর্ষ আর নির্দয় ডাকাতি করার ক্ষমতাও এক্ষেত্রে মনসুরের মন থেকে কণা কে মুছে দিতে পারেনি। একটা মানুষ, একটা মুখ তীব্রভাবে দেখতে পাবার অপেক্ষার তেষ্টা নিয়ে মনসুর দুইটা বছর পার করে দিতে পেরেছে বিলের চরে। অনিচ্ছায় নির্বাসনের জীবনে কণার মুখটাই মনসুর কে অপেক্ষায় বাঁচিয়ে রেখেছে। যদিও সেই নির্বাসিত জীবন ভালো না মন্দে গড়িয়েছিলো শেষ পর্যন্ত তা জানতে উপন্যাসটি পড়তে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্য লেখকের বরাবরের মতোই একটু ভিন্নতা আছে শেষটায়। সেই ভিন্নতা হলো শেষাংশ টা পাঠক মনোজগতে কল্পনায় এঁকে নিতে পারবে। অর্থাৎ লেখক যেটা লিখে সমাপ্তি টেনেছেন তার পরেও এক বা একাধিক কল্পদৃশ্য পাঠক নিজেই তৈরি করে নিতে পারবেন এবং তৈরিকৃত যেকোনো দৃশ্যই ছুয়ে যাওয়ার মতন হবে। ভাবনার জগতে ধাক্কা দেয়ার মতো দুর্দান্ত কিছু লাইনঃ ? চইলা যাওন যত সহজ, ফিরা আহন তত সহজ নারে। ?জগতে অনিশ্চিত অপেক্ষার চেয়ে ভয়ংকর কিছু নেই। ?ঘৃণা লুকিয়ে রাখা যায়, ভালোবাসা লুকিয়ে রাখা যায়না। ওটা সত্যি সত্যি থাকলে টের না পেয়ে উপায় নাই। ?মায়া এমন এক জিনিস, যা মানুষকে অন্ধ করে দেয়, হিতাহিত জ্ঞান বুদ্ধি লোপ পাইয়ে দেয়। মায়ার প্রভাব ভালোবাসার চেয়েও বেশি। ? সবার বুকের ভেতরেই একান্ত নিজের একটা জগৎ থাকে, নিজের একটা মানুষ থাকে। সেই মানুষ টার কাছে আমরা শিশু হয়ে যেতে চাই। আমরা চাই সেই মানুষ টা আমার খামখেয়ালি বুঝুক। আমার রাগ, অভিমান, ভালোবাসা, দুঃখ, আনন্দ সব বুঝুক। আমি না বলতেই বুঝুক। ?জীবন কি আশ্চর্যরকম অনিশ্চিত, অনির্দেশ্য। আর মানুষ সেখানে কী ভীষণ অসহায়! এখানে নাটকের লিখে রাখা পান্ডুলিপিও মঞ্চস্থ হওয়ার ঠিক আগ মুহুর্তে হুট করে বদলে যায়। হয়ে যায় অচেনা অন্য কোনো গল্প। সেই গল্পে মানিয়ে নিতে হয় কুশীলবদের। কিন্তু সেই মানিয়ে নেয়া বড় কষ্টের। ?জগতে নিঃসঙ্গ মানুষের কান্নার মতো এমন গভীর আর কিছু নেই! শেষটায় মন্তব্যে লিখে দিতে চাই... একজন প্রিয় মানুষের থেকে নির্বাসিত, একটা প্রিয়মুখ থেকে নির্বাসিত জীবন ভয়ানক মানসিক কষ্টের, তীব্র ব্যাথার অনুভূতি যা বোঝানোর কোন কাগুজে ভাষা পৃথিবীতে নেই।

      By MD GOLAM RABBANI

      16 Jul 2020 04:34 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      নির্বাসন, বইটা পড়ার পর টানা ২/৩ দিন মাথায় মধ্যে শুধু সুবর্ণ চর আর লস্ককরের চর ঘুরাঘুরি করত। এমনকি সুবর্ণ চরের আর লস্করের চরের খোজেঁ বেড়িয়েও পড়ছিলাম। ধন্যবাদ Sadat Hossain - সাদাত হোসাইন কে এইরকম একটি বই উপহার দেয়ার জন্য। ❤️

      By Nahid Zaman

      11 Feb 2020 10:20 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      Good read.

      By Ayan Chakraborty

      29 Jan 2020 04:24 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      সাদাত হোসাইন তাঁর আরেক উপন্যাসে বলেছিলেন, "পৃথিবীর সবচেয়ে জটিল ও সরল বিষয় হচ্ছে সম্পর্ক"। এই উপন্যাসেও আছে সম্পর্কের সমীকরণ; আছে উত্তেজনার ডামাডোল। ১৯৮৮ সালের টালমাটাল অবস্থা থেকে শুরু হয় এই উপন্যাসের কাহিনী। মনসুর, কণা, জোহরার কাহিনী পড়লে মনে হয় এ যেন আমারই দেখা কেউ কিংবা আমিই। দীর্ঘ পরিসরের এই বই যেন জাগিয়ে দেয় মনের খারাপ লাগাগুলোকে; পড়তে গিয়ে বারবার তাই মুছতে হয়েছে অশ্রুসজল চোখ। আমার পড়া শ্রেষ্ঠ বই তাই " নির্বাসন"।

      By Mohaiminul Momen

      29 Jan 2020 12:28 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      আমার পড়া অন্যতম সেরা বই। এই বইয়ে আপনারা এই আধুনিক সময়ের একজন সেরা লেখককে আবিষ্কার করবেন।

      By Mehedi

      26 Jan 2020 02:49 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      মনসুর, কণা, জোহরা আর লস্করের এই কাহিনি পাঠকমাত্র হৃদয়গ্রাহী করে তুলবে। আপনি যদি একই সাথে রোমান্টিকতার সাথে রোমাঞ্চকর স্বাদ পেতে চান তাহলে উপন্যাসের জোহরা আপনাকে সেই স্বাদ দিবে। এক কথায় অনবদ্য, শেষ হওয়ার পর আপনি কণা আর মনসুরের প্রেমকে মিস করবেন, উপন্যাসের মধ্যভাগেও রয়েছে তাদের বিরহ কিন্তু কেন? এছাড়া আরো স্বল্প চরিত্রের এই উপন্যাস আমার মনে দাগ কেটে থাকবে আজীবন।

      By Salwa Siraj Khan

      25 Jan 2020 02:55 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      রকমারিতে আমার কেনা প্রথম বই সাদাত হোসাইনের "নির্বাসন", এমনকি উনার কোনো বইও আমি এর আগে পড়িনি। বন্ধুমহলে তার লেখার বেশ সুনাম শুনেছিলাম তবু দ্বিধা কাজ করতোই যে, হয়তো আমার উনার লিখা পড়ে ভালো লাগবে না। তবে তা হয়নি, উপন্যাসটি সবমিলিয়ে বেশ ভালোই। দামটা যদিও একটু বেশি, কিন্তু বইটা পড়লে বুঝতে পারবেন যে এর যোগ্য মূল্যই চাওয়া হয়েছে। রকমারি থেকে নেয়া এই উপন্যাসের প্রিন্টটিও যথেষ্ট ভালো।

    • Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ গল্প৷ একটা জিনিস খুব খারাপ লাগে গল্পটা টেনে অনেক বড় করেছে। হ্যা দাম ও একটু বেশি কিন্তি ফেভারিট রাইটার বলে কথা।আশা করি আরো অনেক বই পাবো।

      By Abu Yousuf Akash

      03 Jan 2020 10:54 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      #নির্বাসন #সাদাত_হোসাইন এটাই আমার পড়া প্রথম সাদাত হসেইন এর উপন্যাস। ইতোপূর্বে আমি অগণিত উপন্যাস পড়েছি কিন্তু কোনো উপন্যাসই আমাকে রিভিউ লিখতে উদ্যত করেনি। অথচ এই উপন্যাসটা পড়া শেষ করা মাত্র কলম হাতে নিতে ইচ্ছে হলো। নির্বাসন উপন্যাসটি যেন সহজ সরল, আবার অসম্ভব ভারী! মানুষের জীবন কখনো সরলরেখায় চলে না, জীবনের পথে নানা উঁচু নিচু জটিলতা আর অপ্রত্যাশিত মোড়ের সম্মুখীন হতে হয় মানুষকে। সেসব মোড় যে কতোটা আকষ্মিক আর বেদনাপূর্ণ তা লেখক শুধু সূক্ষ্মভাবে ফটিয়ে তুলতে পেরেছেন তাই নয়, পাঠকের হৃদয়ের অনুরণনকেও নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছেন। এই বইটি যেন হৃদয়কে বশ করার মন্ত্রে পরিপূর্ণ! উপন্যাসেরি চরিত্রগুলোতে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে যেসব অনুভূতির সঞ্চার ঘটেছে, পাঠক হয়ে সম্ভাবত আমার হৃদয় তার চাইতে এক বিন্দু কমও অনুভব করেনি। আজ পর্যন্ত আর কোনো উপন্যাস আমাকে এতোটা স্পর্শ করেনি! আমি যেন এক বৈঠাহীন নৌকায় নিজেকে ভাসিয়ে দিয়েছিলা। কখনো মনসুর, কখনো কণা, কখনো আজহার খন্দকার, কখনো আবার জোহরার হৃদয়ে পুষে রাখা নদীর জল আমার হৃদয়গাঙে একাকার হয়ে গিয়েছে। উপন্যাসের স্রোত আমাকে ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে যেদিকে খুশি! কতো কতো বার আমাকে অবাক করে দিয়ে আমার চোখ ভেসেছে জলে! কাঁদতে আমার ভালো লাগে না, ভালো লাগে না মানুষের কষ্টের গাথা পড়তে। তবু বিমোহিত আমি থামতে পারিনি একবারও, পড়ে শেষ করেছি বেলা গড়াবার আগেই! অবিকল অনুভূতিগুলোকে ভাষায় রূপান্তর করার এক অসাধারণ ক্ষমতা আছে লেখকের (মাশাআল্লাহ)। মানুষ জন্মই হয় নির্বাসিত হওয়ার জন্য। মানুষের মনে কিছু না কিছু আক্ষেপ থেকেই যায়, থেকে যায় আশাও। আর তাই নির্বাসিত হৃদয়রাও বেঁচে থাকে জীবনে চরে। যেমন নির্বাসন উপন্যাসটাও অসমাপ্তির আক্ষেপ রেখে গিয়েছে পাঠকের মনে! শুভ কামনা প্রিয় লেখক।

      By Aman Ullah Nirob

      28 Dec 2019 10:19 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বুক রিভিউ: নির্বাসন লেখক: সাদাত হোসাইন সাদাত ভাইয়ের লিখার ভাষার মাধুর্যতা সত্যিই প্রশংসনীয়। সব গুলো যেমন আগ্রহ নিয়ে কেনা হয় তেমন আগ্রহ নিয়েই পড়া হয়। নির্বাসন উপন্যাসে মুনসুর আর কনার ভালোবাসা সার্থকতা প্রকাশের দিকটা ভালোই লেগেছে। বই টা পড়ার সময় ভেবেছিলাম হয়তো ওদের মিলটা হবে না। ধারাবাহিক ভাবে পড়ায় ওই ভুল টা ভেংগে ছিলো। তারপর আবার ওদের সংসার যে ধারাবাহিক ভাবে চলেছিলো এটার প্রকাশটা ও ভালো লেগেছিল। সব গুলো চরিত্র সৃষ্টি সত্যিই প্রশংসনীয়। তবে আমার সব চেয়ে ভালো লেগেছে জহুরা চরিত্রটি। এভাবে এই চরিত্র সবাই সৃষ্টি করতে পারে না। উপন্যাসটা পড়ার সময় কেন জানিনা লাস্ট পৃষ্ঠাটা পড়ার ইচ্ছা ছিলোনা। আমি চাইনি উপন্যাসটা এভাবে শেষ হয়ে যাক! বরং আরও বিস্তৃত হলে আরও ভালো লাগতো।

      By Fahimuzzaman Khan

      26 Dec 2019 03:16 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Was highly impressed after reading. To those who think the "price" is more but the truth is this book is totally worthy of the price. You won't be disappointed after reading this just like me.

      By Abdur Rahman Tameem

      20 Dec 2019 08:21 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      *রিভিউ* নির্বাসন সাদাত হোসাইন ৩৭৬ পৃষ্ঠার ঢাউস সাইজের বই দেখেই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম বইটা শেষ করতে পারবো কিনা। লেখকের বই পড়ার ইচ্ছা ছিলো অনেক আগ থেকেই তার সম্পর্কে উড়ো কথা এবং নিজ চোখে দেখা জনপ্রিয়তা দেখে। উড়ো কথা গুলোই বলা যাক প্রথমে , উনার লিখা নাকি হুমায়ূন আহমেদের মত, নতুন বই অথচ প্রথম থেকেই ৫০০ , পেইজের তুলনায় ডাবল দাম, রেকর্ড সংখ্যক নারী ফ্যান আর সেকেন্ডলি জনপ্রিয়তা, তার যে কি পরিমান পাঠক, ফ্যান আছে আর তার বইয়ের জন্য কি বিশাল লাইন তা নিজে না দেখলে বিশ্বাস করা যায়না । দেখেছিলাম এই বছরের বইমেলায়। হুমায়ূন আহমেদের পর সাদাত ই দ্বিতীয় মানুষ এই দেশে, যার এইরকম ক্রেজ দেখা গিয়েছে। . যাইই হোক আমারও মনে হল দেখি কি এমন লিখে ব্যাটায় যার কারনে এতো এতো পাঠক তার ।তার বই কিনার জন্য এতো বড় লাইন, কি এমন লিখে যে হুমায়ূনিয় লিখায় মিল রয়েছে, তাই বিভিন্ন কারনেই পড়ে দেখার ইচ্ছা ছিলো অনেক, কিন্তু তার অন্যান্য বই যেমন আরশিনগর, মানবজনম, অন্দরমহলের মত বই গুলোর দাম দেখে আর সাহস হইলোনা। বলি, থাক আরেক সময়। কিন্তু নির্বাসন আমার পড়া সাদাতের প্রথম বই হলেও নিঃসঙ্গ নক্ষত্র বইটা ছিলো আমার কাছে। কিন্তু এক অদ্ভুত কারনে আর পড়া হয়নি। নির্বাসন বইটা এক বান্ধুবির কাছে দেখেই সুযোগ টা হাত ছাড়া করলাম না আর। পড়ে ফেললাম। . রোমান্টিক জনরার এই কড়া রোমান্টিক উপন্যাসে , রোমান্টিকতা , ভালোবাসার অনুভুতি প্রকাশ করার ভংগিমা এতোই কড়া ছিলো যে সহ্য করার মত ক্ষমতা আমার মত ছোটো মানুষের ছিলোনা, যায়গায় যায়গায় একে অপরকে পাওয়ার যে অসীম আক্ষেপ, না পাওয়ার তিব্রতা এতো কড়া ছিলো , কখনওবা একে অপরকে খানিক ছুয়ে দেখার জন্য যে তিব্র আকুল তেষ্টা, বেদনা বা একে অপরকে ছুয়ে দেখার মত ছোটো ছোটো জিনিষ গুলোকে এত্ত সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন বইতে সেটার জন্য লেখক প্রশংসার দাবিদার। . এই বিশাল বইটা পড়ার জন্য ধৈয্য দরকার ছিলো প্রচুর, কিন্তু লেখকের হাতের ছোয়ানিতে সাথে সাবলীল ভংগিমায় লিখা, একের পর এক ঘটনাবলিকে উপস্থাপন করা বইটা পড়াকে সহজ ও বোধগাম্য করেছেন লেখক। এতে শতভাগ সফল প্রশংসা করতেই হয়! . গল্পের চরিত্র গুলো অনেক স্ট্রং। যে যার যায়গায় একটা একটা শক্ত ভাব রেখেছে। নামকরন গুলো প্রথমে দুর্বল মনে হলেও যতই গল্প এগোবে মনে হয় যুতসুই হয়েছে, মনসুর, কনা, জোহরা, মঞ্জু, আহা চরিত্র গুলো কি শক্তিশালি একেকটা নিজ যায়গায় থেকে। আপন মহিমায় মহিমান্বিত হয়েছে নিজ নিজ যায়গা থেকে । মানে মুল ক্যারেক্টার দুই জন থাকলে সবগুলোই ছিলো মনে দাগ কাটার মত। . কাহিনিটা এগিয়েছে প্রথমে দুই ভাবে এক দিকে লস্কর চর নামক ছোটো একটা চরের সুখ দুক্ষের গল্প নিয়ে । এরা জীবিকা নির্বাহ করে ডাকাতি করে এক সময় এরা দুধর্ষ সব ডাকাতি করে আশেপাশের গ্রামে লুটপাত করে জীবিকা নির্বাহ করতো। তারা সুযোগও পেতো অবশ্য কারন তাদের চর ছিলো শহরের থেকে অনেক দূরে যেইখানে কেউ যাওয়ার সাহসও পেতোনা, এমনকি পুলিশও এটাক করার জন্য সাহস করতোনা যার কারনে দিনকে দিন তারা হয়ে উঠেছিলো অদম্য, দুর্ভেদ্য এক জাতি ধরা ছোয়ার বাহিরে, দিনকে দিন তারা ভয়ংকর দূধর্ষ প্রজাতি। কিন্তু সেই তারাই একসময় নুয়ে পড়ে, শক্তি সামর্থ সব দিকে , দিনকে দিন তারা দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়ে যাচ্ছে। এর কারন হচ্ছেন তোরাব আলি লস্কর, যিনি কিনা এই চরের প্রধান হর্তা কর্তা। এখন বয়সের ভারে যিনি কিনা আজ দুর্বল। নেতা যেইখানে দুর্বল সেইখানে পুরো গোষ্ঠী দুর্বল হবে তাই-ই স্বাভাবিক। তাই তাদের প্রয়োজন ছিলো নতুন নেতৃত্বের যে কিনা এই অবস্থা থেকে পরিত্রান দিতে পারবে। তারা পেয়েছিলও এই অবস্থা থেকে এগিয়ে আসে এক অদ্ভুত, রহস্যময়ী অথচ দুর্দান্ত এক মেয়ে নাম জোহরা তোরাব আলী লস্করের নাতি। . আর , অপরদিকে কাহিনি এগিয়েছে অন্য পথ ধরে যেইখানে আছে এক সুপ্ত ভালোবাসা, যেই ভালোবাসা নিষ্পাপ অথচ দুনিয়ার সবচেয়ে ঘাড়, যেই ভালোবাসায় ছিলোনা কোনো ভেজাল, কোনো খাদ । সেইখানে ছিলো এক পৃথিবী সমান মায়া, যেই মায়ার কোনো ধরা বাধা ছিলোনা। এ যেনো অন্য গ্রহের অন্য কিছুর প্রতি ভালোবাসা। কিন্তু কোনো কিছুই চিরস্থায়ী না!! বাকিটা জানার জন্য পড়তে হবে বইটা। . লেখক যেইভাবে দুইটা কাহিনির মধ্যে একটা বন্ডিং দেখিয়েছেন সেটা যাস্ট অসাধারন ছিলো। তবে সবকিছু ছাপিয়ে লেখক সাবলীলতায় যেইভাবে গল্প বলে গিয়েছেন সেটা সবকিছুর উর্ধে। জিনিষ টা টানের মত। টানবে খালি পাঠককে গল্পে, সে টানে খালি পড়ে যেতেই ইচ্ছা করবে থামতে চাইবেনা, যার কারনেই তো শেষ হয়ে যাবার পর একটা একবুক জুড়ে আক্ষেপ থাকবে। কেনো মাঝ পথে লেখক শেষ করলেন?? তিনি কি পারতেন না একটা হ্যাপি এন্ডিং দিতো? বা এমনিই আরো বড় করতেন? . এতো কিছুর পরেও কিছু সমালোচনা থেকেই যায়, সেটা হচ্ছে তিনি পুরুষ চরিত্র গুলোর থেকে বেশী হাইলাইট করেছেন মেয়ে চরিত্র গুলোকে, মানে পুরুষ চরিত্র গুলোকে হাইলাইট তো করেনইনি বরং বানিয়েছেন কাপুরুষ, গাধা গর্ধব এমন, ইভেন ভালোবাসার ক্ষেত্রেও কনার ভালোবাসাকে বেশী বড় করে দেখিয়েছেন। জিনিষ টা নট ফেয়ার ! তবে হ্যা জোহরার ক্যারেক্টার কে ভালোই লেগেছে অবশ্য একটু স্যাভেজ টাইপের। সব কিছুর জন্য কড়া, পুরুষ দের চেয়েও তেজী দেখালেও ভালোবাসার ক্ষেত্রে দুর্বল! এটা অবশ্য তিনি ভারসাম্য করার চেষ্টা করেছেন। আর শেষে না মিলিয়ে শেষ করে দিয়েছেন , চরিত্র গুলোর সাথে সুবিচার করেন নি , ইচ্ছা করলে তিনি আরো সুন্দর ভাবে মিলিয়ে দিতে পারতেন। . এতো কিছুর পরেও নির্বাসন নিজ যায়গায় অম্লান থাকবে এর এতো বৈচিত্রর কারনে আর না পাওয়ার আক্ষেপের কারনে। . বইটা পড়ে জোহরার মত একটা অসভ্য জোড় করা টাইপ প্রেমিকা পেতে মন চাইবে। মনসুর- কনার মত একটা প্রেম করতে খুব মন চাইবে। আহা কি ভালোবাসা , তাদের একেক দেখা হওার মোমেন্ট, একে অপরকে কতটা চায় সেটা যেইভাবে বলে, প্রকাশ করে সেই মুহুর্ত গুলোতে শরীরের লোম দাঁড়িয়ে যায় । . আপনি বিহীন এই পৃথিবীটা কী ভীষণ জঘন্য...! লাইনটায় কি পরিমান মায়া, কি পরিমান একটা কাছে চাওয়া আছে সেটা এই এক লাইনে পরতে পরতে বুঝিয়ে দেয়। . আর সবশেষ বলবো লাইনটা উপন্যাস টা শেষ করার পর ইউটিউবে চমক হাসানের গাওয়া “আসমানে উইঠাছে চান” গানটা শুইনেন দেখবেন বুকটা হাহাকারে ছেয়ে গেছে। . পার্সোনাল রেটিং ঃ- ৭.৫/১০

      By Tamjid Shajol

      16 Dec 2019 04:41 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      লেখক সাদাত হোসাইনের উপন্যাস সবসময় বড় হয়ে থাকে।বড় না হলে কি তাকে আর উপন্যাস বলা যায়? উপন্যাসের ভিত্তি কিন্তু একটি দীর্ঘ কাহিনি। যেখানে আমাদের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, আশা-আকাঙ্ক্ষা, ঘৃণা-ভালোবাসা ইত্যাদি ঘটনা প্রাধান্য লাভ করে থাকে।নির্বাসন বইটিতেও ঠিক এসব প্রাধান্য পেয়েছে। এত বড় উপন্যাস পড়তে ধৈর্য দরকার হয়।কাহিনী যদি একটু পর পর আপনাকে চমকে দিতে না পারে,গল্পে যদি টুইস্ট না থাকে তবে আপনে সেই উপন্যাস নিশ্চয় পড়তে চাইবেন না।নির্বাসনের কাহিনী একটু পর পর আপনাকে চমকে দিবে,আপনার মনে প্রশ্ন জাগবে এর পরের পাতায় কি আছে? মোট কথা লেখক সাদাত হোসাইন এক অদ্ভুত মায়ার খেলা দেখিয়েছেন নির্বাসন বইটিতে। সংক্ষেপে কাহিনীঃ যুদ্ধের কয়েক বছর পরে স্বাধীন দেশে তখন রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে।রাজধানী ঢাকা উত্তাল।দফায় দফায় মিছিল মিটিং চলছে।ঢাকা মেডিকেলের ছাত্র মনসুরের বাবা আজাহার খন্দকার যিনি নবীগঞ্জের একজন সুনাম ধন্য ব্যবসায়ী, এই উত্তাল ঢাকায় ছেলের জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবে ছেলেকে তাদের নবীগঞ্জের বাড়িতে নিয়ে আসেন। নবীগঞ্জ থেকে গোবিন্দপুর বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে মনসুরের পরিচয় হয় গোবিন্দপুরের স্কুল শিক্ষকের একমাত্র মেয়ে কণার সাথে।এরপর বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কনার সাথে বিয়ে হয় মনসুরের। বি‌য়ের অনেক‌দিন পর কণা বা‌পের বা‌ড়ি যায়।কিন্তু কিছু কারণে মনসুর কনার সাথে যেতে পারে না। কণা‌কে তার দেবর মঞ্জুর সা‌থে বা‌পের বা‌ড়ি‌তে পা‌ঠি‌য়ে ‌দেওয়া হয়। তার ক‌য়েক‌দিন পর মনসুরও কণার বা‌পের বা‌ড়ি‌তে যাওয়ার জন্য রওনা হয় কিন্তু সেই যাওয়া আর হয় না। হঠাৎ করে কি হয় মনসুরের? এর কিছুদিন পরে মনসুরের বাবা আজহার খন্দকার কনাদের বাড়িতে যায়।গিয়ে মনসুর কে না দেখে পাগলের মত হয়ে যায় আজহার খন্দকার।কনাও হয়ে উঠে অস্থির।কনা তার বাপের বাড়ি আসার সময় মনসুর বলেছিল তুমি মঞ্জুর সাথে যাও।আমি ২ দিন পরে আসব।কিন্তু কোথায় মনসুর? পরবর্তীতে খবর আসে লঞ্চ দুর্ঘটনায় মনসুর মারা গিয়েছে।একটি লাশ পায় তারা যার শরীরে ছিল মনসুরের জামা।তাকে মনসুর ভেবে কবর দেয় আজহার খন্দকার।মনসুরকে মৃত ভেবেই এগোতে থাকে কনার জীবন।এরপর ঘটনাক্রমে কনার বিয়ে হয়ে যায় মনসুরের ছোট ভাই মঞ্জুর সাথে। কিন্তু মনসুর তো জীবিত।তাহলে কোথায় গেল মনসুর? পুত্র ভেবে কাকে কবর দিল আজহার খন্দকার? কণা কি কখনো জানতে পারে মনসুর জীবিত? মনসুর কি কখনো ফিরে আসে কণার জীবনে? উপন্যাসের পরবর্তী অংশঃ সুবর্নপুর বিল ছাড়িয়ে জলের বুকে জঙ্গল। তার ওপারে লস্করদের চর। লস্করদের প্রধান তোরাব আলী লস্কর। যার মেজো ছেলে ফয়জুল সাত বছর আগে সোনাপুর বাজারে ডাকাতি করতে গিয়ে গ্রামবাসীদের হাতে ধরা পরে আর ফেরত আসেনি। ফয়জুলের কিশোরী মেয়ে জোহরা কে নিয়ে দাদা তোরাব আলী অন্য জীবনের স্বপ্ন দেখেন। উনি চাননা এমন মায়াবী চেহারার মেয়ের জীবন টা লস্কর চরে কোন লস্করের সাথে কাটুক। উনি চান এই বিল ছাড়িয়ে, চর ছাড়িয়ে দূরে কোথাও নাতনিকে বিয়ে দিতে।দাদা তোরাব আলীর স্বপ্ন কি সত্য হয়? মনসুরের সাথে কি এই চরের কোনো সম্পর্ক আছে? জানতে হলে পড়ে ফেলুন বইটি। লেখক এই দুটি জীবনধারার গল্পের মধ্যে যেভাবে সমন্বয়সাধন ঘটিয়েছেন তা প্রশংসাযোগ্য। উপন্যাসটি পড়ে আমার সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগে যখন কনার সাথে মঞ্জুর বিয়ে হয়ে যায়।উপন্যাসের কিছু কিছু জায়গায় অতিমাত্রায় নাটকীয়তা দেখা গিয়েছে।তাছাড়া বাকিসব ঠিক আছে। বই থেকে নেওয়া কিছু কথাঃ ১.চইলা যাওন যত সহজ, ফিরা আহন তত সহজ নারে। ২.জগতে অনিশ্চিত অপেক্ষার চেয়ে ভয়ংকর কিছু নেই। ৩.ঘৃণা লুকিয়ে রাখা যায়, ভালোবাসা লুকিয়ে রাখা যায় না। ওটা সত্যি সত্যি থাকলে টের না পেয়ে উপায় নাই। ৪.মায়া এমন এক জিনিস, যা মানুষকে অন্ধ করে দেয়, হিতাহিত জ্ঞান বুদ্ধি লোপ পাইয়ে দেয়। মায়ার প্রভাব ভালোবাসার চেয়েও বেশি। ৫.বই থেকে তুলে আনা কিছু কথা- অজস্রবার ভালোবাসি বলার পরও ভালোবাসা হয় না। আবার একবার না বলেও পৃথিবীর সবচেয়ে গভীরতম অনুভূতি নিয়ে ভালোবেসে ফেলা যায়। ৬.মানুষ যখন জেনেশুনে অপরাধ করে, তখন হয় সে নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারায়, অথবা তার অপরাধবোধ কাজ করে না, কিংবা সেই অপরাধ করা ছাড়া তার সামনে আর কোনো বিকল্প পথ খোলা থাকে না।

      By Israt Jahan Ripa

      12 Dec 2019 11:51 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      "নির্বাসন" একটা ভালোবাসা। যারা পড়ে নি তাদের বলব এটা পড়ে নিবেন। বই টার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যে একটা অনুভূতি,ভালো লাগা, খারাপ লাগা সব মিলিয়ে রিভিউ দিতে গেলে কম হয়ে যাবে। "সাদাত" ভাইয়ার লেখা মানেই বিশেষত্ব।

      By Dr. Asif Shufian Arnab

      12 Dec 2019 03:03 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসম্ভব সুন্দর এবং নিখুঁত লেখনী দিয়ে দ্রুত পাঠকের মন করেছেন জয়, কড়া নেড়ে দিয়েছেন মানুষের হৃদয়ে হুম বলছি সাদাত হোসেনের কথা তার এই বইটিও ব্যতিক্রম নয়।

      By Tushti Das

      05 Dec 2019 11:19 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইয়ের পাতা শেষ হয়ে গেলেও ভালো লাগার রেশ শেষ হবে না এমন একটি বই। ??

      By Fahim

      21 Nov 2019 02:13 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      সাদাত হোসেনের নির্বাসন হচ্ছে প্রথম বই যেইটা পড়ে সাদাত হোসেনের ভক্ত হয়ে যাই। এরপর থেকেই তার বইগুলো পড়তে থাকি। সাদাত হোসেনের এই উপন্যাসের সব থেকে আকর্ষণীয় বিষয়টি হচ্ছে চরিত্রগুলোর মধ্যে অদ্ভুত সম্পর্ক। কণা-মনসুরের সম্পর্ক থেকে কণা-মঞ্জুর সম্পর্ক। অন্যদিকে মনসুরের জেলখানার থেকেও বাজে জীবনযাপন। সবমিলিয়ে অসম্ভব সুন্দর৷

      By Riad Hossain

      13 Nov 2019 11:20 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বই পড়ে ভালো লাগছে

      By Effat Ara

      08 Nov 2019 03:39 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      নির্বাসন বইটি লেখকের এক অনবদ্য সৃষ্টি।লেখকের বর্ননায় কাহিনি নিজস্ব গতিতে চলেছে!!বইটি সকলেরই পড়া উচিত।

      By হিমু

      29 Oct 2019 09:22 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      মনসুর বললো, ‘একটু শুনবেন?’ কণা বললো, ‘জ্বি, বলুন?’ ‘আপনার হাতটা একটু দেখি?’ কণা ভারি অবাক হলো। সে রাজ্যের দ্বিধা ও কৌতুহল নিয়ে তার ডান হাতখানা বাড়ালো। মনসুর তার হাতের তালুতে কিছু একটা রাখলো। কোন চিরকুট কি? কণা তখনো জানে না। সে শুধু জানে, এই ভ্যাপসা গরম আর অদ্ভুত নৈঃশব্দ্য ভেদ করেও তার বুকের ভেতর শিরশির করে ঢুকে যাচ্ছে উত্তুরে হাওয়া, পাখির কোলাহল, অজস্র শব্দ, কম্পন ও কান্না। মনসুর কণার হাতের আঙুলগুলোকে আলতো স্পর্শে মুঠো করে দিলো। সেই মুঠোর ভেতর কি? চিঠি? কণা জানে না। সে কেবল জানে, তার সারা শরীর কাঁপছে। বুকের ভেতর বয়ে যাচ্ছে শ্রাবণের উথাল পাথাল নদী। সেই নদী ভাসিয়ে নিতে জানে মন ও মানুষ। সেই রাতে, যখন বাড়ির সবাই ঘুমুচ্ছে, ঠিক তখন কণা তার ঘরের হারিকেনের মৃদু আলোটাকে আরো খানিক মৃদু করে দিয়ে খুব গোপনে চিরকুটখানা খুললো। সে শুনেছে ডাক্তারদের হাতের লেখা জঘন্য হয়। কিন্তু মনসুরের হাতের লেখা মুক্তোর মতো ঝকঝকে। একটা ধবধবে সাদা কাগজে সে লিখেছে,- ‘কণা, এই যে কিছুক্ষণ আগে চিঠিটা দেয়ার সময় আমি ইচ্ছে করেই আপনার হাত স্পর্শ করেছি, আপনি কী তা বুঝতে পেরেছেন? কেন করেছি জানেন? করেছি এটি বোঝার জন্য যে আপনি আমার মনের কোন কল্পনা ননতো? আপনি যদি সত্যি না হয়ে মিথ্যে হন, আমার কল্পনা বা স্বপ্ন হন, তাহলে বিষয়টা খুব বিচ্ছিরি হবে। খুব। আপনিবিহীন এই পৃথিবীটা কী ভীষণ জঘন্য!’ শেষের লাইনটা কণা আরও বার কয়েক পড়লো। তারপর আরও বার করেক। তারপর আবারও। পড়তেই থাকলো। পড়তেই থাকলো। তারপর তার আচমকা মনে হলো, আচ্ছা মানুষটা এতো সুন্দর করে কী করে বললো, 'আপনিবীহিন এই পৃথিবীটা কী ভীষণ জঘন্য!' কণা তাকালো, বাইরে অন্ধকার। একনাগাড়ে ঝিঁঝিঁ পোকা ডেকে যাচ্ছে। চাঁদ কী উঠেছে? সে জানে না, কিন্তু সে এটা জানে, ওই মানুষটাকে ছাড়া তার জগতটাও কী যে জঘন্য, কী ভীষণ জঘন্য ৷ পাঠ প্রতিক্রিয়া :শেষের কবিতা পড়েছিলাম প্রায় এক বছর আগে ৷ শেষের কবিতা পড়ার পর অনেক দিন কোনো বই পড়ে কাঁদিনি ৷ আজকে সাদাত হোসেনের নির্বাসন পড়ে নিজের অজান্তেই চোখের কোণে পানি জমে গেছে ৷

      By Sultan

      27 Oct 2019 10:00 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      একটা চর। যেই চরের নাম লস্করের চর। সেই চরের কাহিনী দিয়েই শুরু হয় এই উপন্যাস। আস্তে আস্তে লেখক পরিচয় করান সেই চরের বাসিন্দা জোহরা,হানিফ, তোরাব আলী লস্কর। লস্করের চরের মানুষজনের অসুখ, তারপর চিঠি দিয়ে ডাকাতি, ডাকাতি করতে গিয়ে লোকজনের কাছে ধরা খাওয়া, পুলিশের কাছ থেকে সেই চরের ডাকাতদের ছিনতাই করা আর আস্তে আস্তে চরের কর্তৃত্ব অন্যজনের কাছে যাওয়া। এই নিয়েই উপন্যাসের কাহিনী এগোতে থাকে। হঠাৎ করে এই চরে এসে পড়ে উপন্যাসের নায়ক মনসুর। তারপর কখনও ভালবাসা, কখনও কর্তৃত্বের রুপ নিয়ে এগোতে থাকে উপন্যাস। অন্যদিকে, ১৯৮৮ সালের ছাত্র আন্দোলন দিয়ে নায়ক অর্থাৎ মনসুরের প্রবেশ ঘটে উপন্যাসে। মেডিকেল পড়ুয়া মনসুর বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে প্রেমে পড়ে কণা নামের এক মেয়ের। সেই মেয়েকে নানা বাধা পেরিয়ে বিয়ে করেন। কণাকে একসময় বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় মনসুর। কণাকে আবার বাড়িতে নিয়ে আসার সময় লঞ্চে ডাকাতির শিকার হয়। মনসুরকে বন্ধী করে নিয়ে লস্করের চরে নিয়ে যায় ডাকাতরা। এদিকে, মনসুরকে বাড়ির সবাই মৃত মনে করে কবর দেয়। মনসুরের মৃত্যু মেনে নিয়েই এগোতে থাকে তাদের গল্প। কণা কি কখনও জানতে পারে মনসুর জীবিত? কিংবা মনসুর কি কখনোও ফিরে আসে কণার কাছে? জোহরার শেষ পরিণতি কি হয়? জানতে হলে পড়ে ফেলুন সাদাত হোসাইনের উপন্যাস, " নির্বাসন "। রিভিউ : এই উপন্যাস ভালোবাসা, চরের জীবনযাপন, বিয়ে না হয়েও মা হওয়ার এক উপন্যাস। ভাল লাগার এক উপন্যাস। ৩৭৬ পৃষ্ঠার উপন্যাস শেষ করার পরও আপনার মনে হবে, লেখক আরো কিছু পৃষ্ঠা যোগ করতে পারতেন। এই উপন্যাস প্রত্যেক চরিত্র আলাদা আলাদা মায়ায় ভরা। কোন এক কারণবশত আপনি উপন্যাসের প্রত্যেকটি চরিত্রের জন্য আলাদা একটা টান অনুভব করবেন। কণার আর ভালোবাসায় আপনি মুগ্ধ হবেন। আবার, জোহরার কাজগুলো কখনও মনে হবে ঠিক, কখনো আবার ভুল। রহস্যময়তায় ঘেরা এক চরিত্র এই জোহরা। বাকি চরিত্রগুলো সম্পর্কে আর কিছু বললাম না। এছাড়াও এই উপন্যাসে লেখকের উপস্থাপনা ভাল ছিল। প্রত্যেক চরিত্র, প্রত্যেক স্থানে নিজেকে আবিষ্কার করবেন আপনি এই " নির্বাসন " উপন্যাস পড়ার সময়। তবে, একটা চরে ডাকাতদল প্রায় ৪০-৫০ বছর ধরে আছে, আর সেই চরের খোঁজ এখন পুলিশ পায় না। এটা কেমন কথা না! উপন্যাসের বাকি সবকিছু ঠিক ছিল। অসাধারণ উপস্থাপনার জন্য কখনো ডাকাতিকেও আপনার খারাপ মনে হবে না এই উপন্যাসে। এই উপন্যাস পড়ে আপনার ভাল লাগবে নবীগঞ্জের বাজার। চরের রোমাঞ্চও টানবে এক সময় আপনাকে। আবার একসময় খারাপ লাগা তৈরি হবে উপন্যাসের চরিত্রগুলোর জন্য। এই বইয়ের সবচেয়ে বেশি ভাল লেগেছে, যখন আজহার খন্দকার তার বড় শ্যালিকাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। আর মনজুর সাথে কণার বিয়েটা সবচেয়ে বেশি খারাপ লেগেছে। [ যদিও অবস্থার প্রেরিপেক্ষিতে ] ( By the way, লেখক যদি আবার ২য় পার্ট লেখেন, তাহলে প্রথমে পুলিশ স্টেশনেই জোহরা সহ বাকি সবাইকে মেরে ফেলিয়েন। মনসুরের সঙ্গে কণার আর দেখা করাইয়েন না প্লিজ। মনসুরকে তার ডাক্তারি পড়া শেষ করতে দিয়েন। )

      By Fahad Hridoy

      25 Oct 2019 04:16 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      আশা করি পড়ে ভালো লাগবে। তবে দামটা আরেকটু কম হলে ভালো হতো।

      By Abdullah Muktadir

      23 Oct 2019 02:48 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      নির্বাসন অনেক বড় একটা উপন্যাস। সবথেকে বড় কথা হল এর কোন সার সংক্ষেপ নাই। লেখক সাদাত হোসাইন সব সময় একটা কথা বলেন, তিনি গল্পের মানুষ। আসলেই তাই। নির্বাসন পড়ার পরে আমার অনুভূতি হয়েছিল অনেকটা এরকম ” এক টুকরো জীবনের গল্প পড়লাম”। মানুষের জীবন যেমন বহতা নদীর মত, তাতে হাসি, কান্না, দুঃখ সব ভাসে, আবার মাঝে মাঝে টর্নেডোর মত সব সমীকরন বদলে দেওয়া ঘটনাও থাকে… তেমনি এই উপন্যাস। এত বড় উপন্যাস পড়তে ধৈর্য দরকার হয়। যদি তাতে মাল মশলা না থাকে তবে আপনি একটুতেই হাল ছেড়ে দেবেন। কাহিনী যদি একটু পরপর আপনাকে চমকে না দিতে পারে, যদি পাঠক মনে প্রশ্ন না জাগে এর পরের পাতায় কি চমক আছে, তবে সেই উপন্যাস বানিজ্যিক ভাবে ফ্লপ। অনেক কঠিন কঠিন উপন্যাস পড়ে আছে বাংলা সাহিত্যে, আপনি হয়ত তাদের নাম শোনেননি। এগুলো পড়তে বসলে ঘুম চলে আসবে। সাহিত্য বিচারে তারা অসাধারন, কিন্তু পাঠক বিচারে তারা দুর্ভেদ্য। এরকম উধাহরন দেয়াই যায়…। আশার বিষয় নির্বাসন আপনাকে হতাশ করবে না, বিরক্ত করবে না। তবে কিছুটা বিষন্ন যে করবে তা অবশ্যই। যে কোন ভালো গল্পের মূল চালিকা শক্তি হল পাঠক যখন গল্পের ভেতের নিজেকে আবিষ্কার করে, নিজেকে কল্পনা করে কোন একটি চরিত্রে তখনই পাঠক মজা পায়। অদ্ভুত বিষয় হল এই গল্পের কোন চরিত্রের সাথে আমি নিজেকে মেলাতে পারিনি, কিন্তু তারপরেও এই বিশাল উপন্যাস পড়তে আমার একটুও কষ্ট হয়নি।

      By Rafi

      21 Oct 2019 02:24 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      এক কথায় বলতে গেলে - " অসাধারণ এর থেকেও বেশি কিছু" । প্রতিটা পাতায়, প্রতিটা অংশে মিশে ছিলাম। মানবজীবনে কত দুঃখ কষ্ট ভালোবাসা কত সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন সাদাত হোসাইন। প্রতিটা অংশে মনসুরের জন্য আক্ষেপ। কণার অপেক্ষা। মনসুরের বেঁচে ফিরে আসা সবকিছু মিলিয়ে অসাধারণ একটা বই। মানবজীবন কত অদ্ভুত হতে পারে তা এই বইটা পড়ার পর আরো বেশি অনুধাবন করেছি। লেখকের কাছ থেকেও সামনে ও এমন ভালো ভালো লেখা আশা করছি।

      By Bayezid Hasan

      19 Oct 2019 11:19 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      এই বইটা পড়তে পড়তে কখন যে ডুবে গেছি এর প্রতিটা চরিত্রের সাথে টেরও পাই নি। বইটি আসলেই অসাধারণ একটি বই।আমাদের আশে পাশে এমন অনেক চরিত্র আছে যাদের আমরা বইতে খুঁজে পাই। লেখক এমন কিছু চরিত্র খুঁজে পেয়েছেন। এই বইটার প্রতিটা পাতায় একটা জীবনের গল্প আছে। প্রতিটা জীবনের গল্প খুব সুন্দর ভাবে সাজানো আছে। এমন গল্প আসলে মানুষের মন ছুঁয়ে যায়। গভীরভাবে ছুঁয়ে যায় সবকিছুকে। সামনেও আরো এমন কিছু লেখা দেখতে চাই তবে বইয়ের দামটা একটু কমানো হলে ভালো হতো। পাঠক সমাজ উপকৃত হত

      By MR Hemal

      11 Oct 2019 10:33 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      সত্যিই শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় পরিসমাপ্তি ঘটল ?? ভাললাগার মতই একটা বই।

      By Sabbir

      11 Oct 2019 12:27 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ফ্ল্যাপের কথাঃ মনসুর গাঢ় কণ্ঠে বললো, ‘একটু শুনবেন?’ কণা বললো, জি, বলুন? আপনার হাতটা একটু দেখি? কণা ভারি অবাক হলো। সে রাজ্যের দ্বিধা ও কৌতূহল নিয়ে তার ডান হাতখানা বাড়ালো। মনসুর তার হাতের তালুতে কিছু একটা রাখলো। কোনো চিরকুট কি? কণা তখনো জানে না। সে শুধু জানে, এই ভ্যাপসা গরম আর অদ্ভুত নৈঃশব্দ্য ভেদ করেও তার বুকের ভেতর শিরশির করে ঢুকে যাচ্ছে উত্তুরে হাওয়া, পাখির কোলাহল, অজস্র শব্দ, কম্পন ও কান্না। মনসুর কণার হাতের আঙুলগুলোকে আলতো স্পর্শে মুঠো করে দিলো। সেই মুঠোর ভেতর কি? চিঠি? কণা জানে না। সে কেবল জানে, তার সারা শরীর কাঁপছে। বুকের ভেতর বয়ে যাচ্ছে শ্রাবণের উথালপাথাল নদী। সেই নদী ভাসিয়ে নিতে জানে মন ও মানুষ। সেই রাতে, যখন বাড়ির সবাই ঘুমুচ্ছে, ঠিক তখন কণা তার ঘরের হারিকেনের মৃদু আলোটাকে আরো খানিক মৃদু করে দিয়ে খুব গোপনে চিরকুটখানা খুললো। সে শুনেছে ডাক্তারদের হাতের লেখা জঘন্য হয়। কিন্তু মনসুরের হাতের লেখা মুক্তোর মতো ঝকঝকে। একটা ধবধবে সাদা কাগজে সে লিখেছে: ‘কণা, এই যে কিছুক্ষণ আগে চিঠিটা দেয়ার সময় আমি ইচ্ছে করেই আপনার হাত স্পর্শ করেছি, আপনি কি তা বুঝতে পেরেছেন? কেন করেছি জানেন? করেছি এটি বোঝার জন্য যে আপনি আমার মনের কোনো কল্পনা ননতো? আপনি যদি সত্যি না হয়ে মিথ্যে হন, আমার কল্পনা বা স্বপ্ন হন, তাহলে বিষয়টা খুব বিচ্ছিরি হবে। খুব। আপনিবিহীন এই পৃথিবীটা কী ভীষণ জঘন্য!' শেষের লাইনটা কণা আরো বার কয়েক পড়লো। তারপর আরো বার কয়েক। তারপর আবারও। পড়তেই থাকলো। পড়তেই থাকলো। তারপর তার আচমকা মনে হলো, আচ্ছা মানুষটা এত সুন্দর করে কী করে বললো, আপনিবিহীন এই পৃথিবীটা কী ভীষণ জঘন্য! কণা তাকালো, বাইরে অন্ধকার। একনাগাড়ে ঝিঁঝি। পোকা ডেকে যাচ্ছে। চাঁদ কী উঠেছে? সে জানে না, কিন্তু সে এটা জানে, ওই মানুষটাকে ছাড়া তার জগৎটাও কী যে জঘন্য, কি ভীষণ জঘন্য!

      By Mahmudur Rahman

      10 Sep 2019 01:34 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      আজকে হাতে পেলাম। ধন্যবাদ রকমারি.কম কে?

      By Safikul Islam Jihad

      12 Sep 2019 01:30 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      "মায়া"-মানুষের মনের এক অবাধ্য অনুভূতি। কখন কার জন্য মায়া পড়ে যায় তা আমরা নিজেরাও জানি না। নির্বাসন উপন্যাস জুড়ে লেখক সাদাত হোসাইন মায়া ছড়িয়ে গেছেন। কঠোর চরিত্র গুলোর ভেতরের মায়াটাকেও কিভাবে যেন তুলে এনেছেন অবলিলায়। সেই মায়ার টানেই নির্বাসনে যায় একের পর এক উপন্যাসের চরিত্র গুলো। সংসারের মায়া, জীবনের প্রতি মায়া, সম্মানের মায়া, ভালোবাসার মানুষগুলোর জন্য মায়া। নির্বাসন অনেক বড় উপন্যাস হলেও হুট করেই এর গল্পের সাথে মিশে যাবেন আপনি। অনেকটা সময় ধরে আপনার মনেও কাজ করতে পারে বিষন্নতা মাখানো এক মায়া। নির্বাসন অনেক বড় একটা উপন্যাস। সবথেকে বড় কথা হল এর কোন সার সংক্ষেপ নাই। লেখক সাদাত হোসাইন সব সময় একটা কথা বলেন, তিনি গল্পের মানুষ। আসলেই তাই। নির্বাসন পড়ার পরে আমার অনুভূতি হয়েছিল অনেকটা এরকম ” এক টুকরো জীবনের গল্প পড়লাম”। মানুষের জীবন যেমন বহতা নদীর মত, তাতে হাসি, কান্না, দুঃখ সব ভাসে, আবার মাঝে মাঝে টর্নেডোর মত সব সমীকরন বদলে দেওয়া ঘটনাও থাকে… তেমনি এই উপন্যাস। এত বড় উপন্যাস পড়তে ধৈর্য দরকার হয়। যদি তাতে মাল মশলা না থাকে তবে আপনি একটুতেই হাল ছেড়ে দেবেন। কাহিনী যদি একটু পরপর আপনাকে চমকে না দিতে পারে, যদি পাঠক মনে প্রশ্ন না জাগে এর পরের পাতায় কি চমক আছে, তবে সেই উপন্যাস বানিজ্যিক ভাবে ফ্লপ। অনেক কঠিন কঠিন উপন্যাস পড়ে আছে বাংলা সাহিত্যে, আপনি হয়ত তাদের নাম শোনেননি। এগুলো পড়তে বসলে ঘুম চলে আসবে। সাহিত্য বিচারে তারা অসাধারন, কিন্তু পাঠক বিচারে তারা দুর্ভেদ্য। এরকম উধাহরন দেয়াই যায়…। আশার বিষয় নির্বাসন আপনাকে হতাশ করবে না, বিরক্ত করবে না। তবে কিছুটা বিষন্ন যে করবে তা অবশ্যই। যে কোনো ভালো গল্পের মূল চালিকা শক্তি হল পাঠক যখন গল্পের ভেতের নিজেকে আবিষ্কার করে, নিজেকে কল্পনা করে কোন একটি চরিত্রে তখনই পাঠক মজা পায়। অদ্ভুত বিষয় হল এই গল্পের কোন চরিত্রের সাথে আমি নিজেকে মেলাতে পারিনি, কিন্তু তারপরেও এই বিশাল উপন্যাস পড়তে আমার একটুও কষ্ট হয়নি। কারন প্রাঞ্জল ভাষায় এক টুকরো জীবনের গল্প অনেক দিন পরে হাতের মুঠোয় ছিল। আমি শহুরে মানুষ, তাই উপন্যাসের পটভুমি আর স্থান আমার কাছে অপরিচিত লাগতেই পারে। কিন্তু নির্বাসন পড়ে বিল অঞ্চল, নদী, চর এবং সেখানকার পরিবেশের যে চিত্র লেখক ফুটিয়ে তুলেছেন তাতে সহজেই অনুমেয় মাটির কাছাকাছি তিনি জীবনের অনেকটা সময় কাটিয়ে এসেছেন। তার ভালোবাসা এবং অভিজ্ঞতা উপন্যাসের স্থান আর কালকে বেশ শক্ত ভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। হয়ত লেখকের শৈশব বা কৈশরের অভিজ্ঞতার কিছুটা নমুনা আমরা দেখলাম নির্বাসন উপন্যাসে। উপন্যাসের চরিত্রদের কথা কিছুটা বলা যাক। কনা এবং মনসুরকে যদিও আপাত দৃষ্টিতে উপন্যাসের নায়ক নায়িকা মনে হবে আপনার কাছে, কিন্তু আমাকে যদি প্রধান চরিত্র বাছাই করতে হয় তবে আমি জোহরাকেই বেছে নেব এই উপন্যাসের ঘটনার কারিগর হিসেবে। উপন্যাসে কনা কিংবা মনসুরের আগেই আবির্ভাব ঘটে জোহরার। চরম স্বাধীনচেতা এক কিশোরী, ডাকাত সর্দার তোরাব আলীর নাতনী, যার পরিনত বুদ্ধির অসাধারন প্রমান মেলে পুরোটা সময়। সব থেকে বেশি সাহস দেখায় সে মনসুরের প্রেমে পড়ে… এবং পরে তাকে মুক্ত করে দিয়ে। নিজ সীদ্ধান্তে অটল থাকার যে কঠিন চরিত্র সাদাত হোসাইন এঁকেছেন তা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। এবার একটু দূর্বল দিকগুলো বিশ্লেষন করি। কনা এবং মনসুরের প্রেমের যে কথপোকথন তা অনেকটাই নাটুকে মনে হয়েছে আমার কাছে। ভালোবাসার মানুষের সাথে ঠিক এভাবে কথা বলে কিনা মানুষ তা নিয়ে আমার যথেষ্ঠ সন্দেহ রয়েছে। আমি গল্প পছন্দ করি কিন্তু অতি নাটুকেপনায় মাঝে মাঝেই খেই হারিয়ে ফেলেছিলাম। তার থেকে জোহরার প্রেমের প্রকাশ এবং চরিত্র অনেক বেশি জান্তব এবং মানবিক। ঐ যে বললাম নির্বাসন উপন্যাস আসলে একটুকরো জীবনের গল্প। এর শুরুটাও নেই শেষটাও নেই। মাঝখানের ঘটনাবলির একটা অংশ আমাদের সামনে দৃশ্যমান শুধু। মনসুরের ফিরে আসা কিন্তু আসলেই একটা নির্বাসন। তোরাব আলী লস্করের সাজানো সাম্রাজ্য ভেঙ্গে পড়াটাও একটা বহমান প্রক্রিয়া। আমাদের আক্ষেপ রয়েই যাবে…। লেখক হিসেবে সাদাত হোসাইন কেমন সেটা বিচার করার ক্ষমতা আমার নেই। তিনি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র। আফসোস তার কাজের সাথে আরো আগে আমার পরিচয় হয়নি। আমি বড়জোর তার নির্বাসন উপন্যাস নিয়ে কি-বোর্ডে কয়েকটা অক্ষর লিখতে পারি। কিন্তু আমি নিশ্চই আশা করতে পারি বাংলা সাহিত্য বেশ ভালো মানের একজন গল্পকার পেতে যাচ্ছে। বয়সে সাদাত ভাই এখনো তরুন। এপার বাংলা ওপার বাংলা সবার জন্যই তিনি মায়া ছড়িয়ে যাবেন আরো অনেক যুগ ধরে।

      By Tamim Siam

      29 Aug 2019 08:01 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বলতে পারেন ভালোবাসা নিয়েও মানুষের মন কেনো নির্বাসনে যায়? সাদাত হোসেনের বইয়ের আদতেও কী কোন রিভিউর প্রয়োজন আছে? নেই। আমার ইচ্ছে করে সাদাত হোসেন-কে লস্কারদের চরে নিয়ে ছেড়ে আসি, কেনো সে এতো সুন্দর একটি বইয়ের আরেক পর্ব বেড় করবেন না। একটি বই আমার মনে গেঁথে আছে। এমনো কী হয়? জী ধন্যবাদ

      By s.m.munna

      01 Oct 2019 10:35 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      নির্বাসন পড়েই সাদাত হোসাইনকে চিনেছি।আগে নামকরা লেখক ছাড়া অন্য লেখকের বই পড়তে ইচ্ছা করতনা।কিন্তু নির্বাসন পড়ার পর এই ধারনার পরিবর্তন হয়েছে।সবাইকে একটা কথস বলতে পারি নির্বাসন পড়ার পর মনে মনে বলবেন যে এইরকম একটা সেরা বইয়ের কাছে ৪৭২ টাকা কিছুই না।

      By সোহান

      27 Jun 2019 08:54 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      সাদাত হোসাইনের বেশকিছু উপন্যাস রয়েছে কিন্তু আমার পড়া এই বইটিই প্রথম "নির্বাসন" আমি খুব অলস পাঠক বলা যায়। বেশ কিছুদিন সময় অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছিলো অর্ধেকটা বই পড়তেই আর বাকি অর্ধেক এক মধ্যরাত থেকে শেষরাত অবধি পড়ে শেষ করেছি। জীবন ও জগতের সবচেয়ে শুদ্ধতম বিষয় হলো কান্না আর সেই কান্নাই যখন একটা উপন্যাসের উপজীব্য বিষয় হয়ে দাড়ায় তখন সেই উপন্যাসটি হৃদয়ে আসন পেতে বসে। আমি বিশ্বাস করি একটা একটা বই মানে একটা একটা জীবন, আর সেই জীবনের বাঁকে বাঁকে লুকিয়ে থাকে হাসি কান্নার সমাহার। কান্নাই বিষাদ আর বিষাদ কখনও ভালোবাসার বিপরীত শব্দ হতে পারেনা। কারও নির্বাসিত হওয়া মানে হয়ত অন্য কারও সারাজীবনের জন্য পাওয়া। কারও পরানের গহীন ভিতরের কোনো আশা সঞ্চারিত বৃক্ষ হয়ত কারও জীবনের অভিশাপ। হাসি আর কান্না এমন পেন্ডুলামের মত দুলতে থাকে। জীবন পড়ে যেন মনে হয় কান্নাই শ্বাশত, হাসি তার একমাত্র ক্ষত! গল্পকথকের বর্ণনার সৌন্দর্য আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমি শুধু অবাক হচ্ছি এটা ভেবে যে গল্পের বর্ণনা কত সাবলীলভাবে আমাদের প্রজন্মের একজন লেখক দিতে পারেন সম্পূর্ণ নিজস্ব ঢঙে। মুহুর্তেই যেন নেমে আসে ঘোরতর এক অনিশ্চয়তার এক তীব্র প্রলেপ। জোহরার কার্যকলাপে বরাবরই চমকপ্রদ হয়েছি। প্রথমদিকে মায়ার প্রতি তার মাতৃত্বের টান দেখে অবাক হয়েছিলাম। পরে এমন কিছু ঘটলে বুঝতাম, এইটাই তো জোহরা। মুহুর্তে যে খুনি, মুহুর্তে যে সকলের ত্রাস আবার মুহুর্তেই সে নির্ভরতার এক বটবৃক্ষ। মনসুরের জন্য একটা কষ্ট ভেতরে রয়ে যাবে। রয়ে যাবে অন্তত একটা পলক কণাকে দেখতে না পাবার আক্ষেপ। সকল ঘোর, অন্ধকার, কান্না আর নির্বাসনের উপরে যেটা আমার বুকের মধ্যে বিঁধে রইলো সেটা হলো "ভালোবাসা'। ভালোবাসার জন্য একজন মানুষ কতটা কাঙাল হতে পারে সেটা মুনসুরের একফোঁটা অশ্রু ছুঁয়ে না দেখলে বোঝার উপায় নেই। আর সেই ভালোবাসার জন্যই একজন মানুষ কতটা দেউলিয়া হয়ে গেলে কাউকে নির্বাসিত করে নিজের কাছে রেখে দেওয়া যায় সেটা জোহরাকে না দেখলো বোঝা দুষ্কর। নির্বাসন উপন্যাসে জীবন ও জগতের তীব্র অন্ধকার আর সুখের মধ্যে যে বিষয়টা বিমূর্ত হয়ে রইলো সেটা নিশ্চয়ই "ভালোবাসা"। নাম হিসাবে " নির্বাসন" থেকে আর শ্রেষ্ঠ কোনো নাম হতে পারতো কিনা আমার বোধগম্য নয়। নির্বাসনকে আমার কাছে একটি সার্থক উপন্যাস বলে মনে হয়েছে। পাঠ প্রতিক্রিয়া নির্বাসন (সাদাত হোসাইন) -শায়েখ উদ্দিন সোহান ২৭-০৬-২০১৯ খ্রিস্টাব্দ

      By Shahariar Sajol

      26 Jun 2019 10:44 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_জুন উপন্যাস - নির্বাসন লেখক - সাদাত হোসাইন 'পৃথিবীতে সবারই একটা নিজের মানুষ থাকে। নিজের একটা জায়গা থাকে। সবচেয়ে শক্ত, কঠিন যে মানুষটা, তারও। সে চায় সেই জায়গাটাতে গিয়ে সে তার কঠিন আবরণটা খুলে সম্পূর্ণ নিরাভারণ হয়ে যেতে। ভানহীন, শিশুর মতো।' দুর্গম চরাঞ্চলে ডাকাতদের বসতি। এতই দুর্গম এলাকা যে বছরের পর বছর কয়েক পুরুষ সেখানে বংশানুক্রমে বাস করে আসলেও প্রশাসন তাদের নাগাল পাচ্ছে না। চর থেকে বেরিয়ে বড় হাটে ঘাটে গঞ্জে ডাকাতি করে। আবার কখনোবা নদীপথে চলাচলকারী লঞ্চে। লস্করের চরের বর্তমান প্রধান তোরাব আলী লস্কর। কুখ্যাত লস্কর ডাকাত দলের সরদারও সে। চিঠি পাঠিয়ে ডাকাতি করার জন্য আশেপাশের অঞ্চলে তাদের বেশ কুখ্যাতি আছে। দীর্ঘদিন বড় কোন ডাকাতি করা হচ্ছে না, এদিকে চরে লেগে আছে মহামারী রোগের প্রকোপ। একের পর এক মানুষ মরে যাচ্ছে কিন্তু তাদের হাতপা বাঁধা। এমতাবস্থায় ডাকাত সরদার তোরাব আলী লস্কর তিনখানা চিঠি লিখে তিন গঞ্জে পাঠিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিতে লাগলো। আশির দশকের শেষ দিকে দেশের রাজনৈতিক অবস্থা থমথমে। এই পরিস্থিতিতে নবীগঞ্জের নামকরা ব্যবসায়ী আজাহার খন্দকার ঢাকায় এসেছে তার বড় ছেলে মনসুরকে বাড়ি নিয়ে যেতে। মনসুর ঢাকা মেডিকেল কলেজের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী। বাড়ি ফেরার পর আজাহার খন্দকার লস্কর ডাকাতের চিঠি পেলো। সেখানে লেখা আছে বুধবার দিবাগত রাতে তার দলবল নিয়ে আজাহার খন্দকারের পাটের আড়তে ডাকাতি করতে আসবে। সে যেনো নগদ পয়সাপাতি রাখে। লস্কর ডাকাতদের কুখ্যাতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকলেও আজাহার খন্দকার দমে যাবার লোক নন। সহজে ছাড় দেবে না। তিনি পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে বুধবার দিবাগত রাতের অপেক্ষা করতে থাকেন। এদিকে ঢাকা থেকে ফিরে মনসুর তার বন্ধুর বাড়ি বেড়াতে গোবিন্দপুরে যায়। সেখানে তার বন্ধু জসিমের চাচাতো বোন কণার সাথে পরিচয় হয়। প্রথম দেখাতেই মনসুর কলেজ পড়ুয়া কণার প্রেমে ডুবে গেল। মনসুরের হাবভাবে কণা প্রথমে কিছুটা বিরক্ত হলো। কেমন যেনো হ্যাংলা ধরণের লোক! কিন্তু কণার মনে অল্প কিছু দিনের মধ্যেই মনসুরের জন্য কেমন যেন হতে লাগলো। দুজনেই জড়িয়ে গেল একে অপরের প্রণয়ে। লস্কর চরের প্রধান ডাকাত সরদার তোরাব আলী লস্কর হলেও আজকাল চরের মানুষজন অন্য আরেকজনের কথায় তাদের সমর্থন জানাচ্ছে। সে হলো তোরাব আলীর নিখোঁজ মেজো ছেলে ফয়জুলের কন্যা জোহরা। ষোড়শী জোহরা বয়সে অপরিপক্ব হলেও বুদ্ধিতে সে বেশ এগিয়ে। বুদ্ধির সাথে রয়েছে অপরিসীম সাহস। সে এতই সাহসী সব কর্মকাণ্ড করে যা লস্করের চরের কেউ আগে কখনো করেনি। পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে আনার মতো দুঃসাহস সে দেখিয়েছে। তার এই সাহসিকতায় চরের অন্যান্য সবাই উল্লসিত হলেও তার দাদা তোরাব আলী লস্কর যেনো অন্য কিছুর আভাস পাচ্ছে। হয়তো এমন কোন অঘটন ঘটতে যাচ্ছে যা আগে কখনো ঘটেনি। বয়সের ভারে ন্যুজ কিন্তু উদ্দীপ্ত কুখ্যাত ডাকাত তোরাব আলী লস্কর চরের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। একইসাথে উদ্বিগ্ন রহস্যময়ী মেয়ে জোহরাকে নিয়ে। লস্করের চর, নবীগঞ্জ, গোবিন্দপুর হয়ে তোরাব আলী লস্কর, জোহরা, আজাহার খন্দকার, মনসুর, কণাসহ আরো অনেকের জীবনজুড়ে বিস্তৃত হয়ে আছে এক নির্বাসিত জীবনের গল্প। ২০১৯ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় অন্যতম সাড়া জাগানিয়া বই সাদাত হোসাইনের 'নির্বাসন'। বইমেলা পরবর্তী সময়েও পাঠক মহলে বইটা নিয়ে বেশ আলোচনা সমালোচনা পরিলক্ষিত হয়। জলাঞ্চল কেন্দ্রিক দুটো আলাদা কিন্তু পাশাপাশি বসবাসকারী জনপদের কাহিনি নিয়ে বইটা। সময়কাল আশির দশকের শেষভাগ। তখন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ডাকাতের বেশ প্রাদুর্ভাব ছিল। লেখক তেমনি এক ডাকাত অধ্যুষিত ও আক্রান্ত অঞ্চলের কাহিনি তুলে ধরেছেন। দীর্ঘ কাহিনিতে সেখানে বসবাসকারী দুটো ভিন্ন রীতির জীবনব্যবস্থা ফুটে উঠেছে। 'নির্বাসন' উপন্যাসে অনেক গুলো চরিত্রের আবির্ভাব ঘটেছে। তারমধ্যে তোরাব আলী লস্কর, জোহরা, আজাহার খন্দকার, মনসুর, কণা, মঞ্জু, হানিফ অন্যতম প্রধান চরিত্র। দীর্ঘ কাহিনিতে অতিরিক্ত চরিত্রের আগমন ঘটেনি। প্রয়োজন অনুযায়ী চরিত্র গুলো তাদের বিন্যাস লাভ করেছে। জোহরা অন্যতম শক্তিশালী একটি চরিত্র। জোহরা এক বুদ্ধিমতী, দুরন্তপনা, দুঃসাহসী, মায়াময় এবং রহস্যময় মেয়ে। তাকে বুঝে ওঠা দুরুহ। পাঠকের মনে এই চরিত্রের আবেদন দীর্ঘদিন থাকবে বলে আমি মনে করি। মনসুর চরিত্রের বিন্যাস আরো বিস্তৃত হতে পারতো। আজাহার খন্দকার চরিত্রের মাঝে এক আবেগী পিতার দেখা মিলে। কণার অভিব্যক্তি ভালোবাসার মানুষের জন্য এক অপরিসীম দৃষ্টান্ত। সংলাপের ক্ষেত্রে শুদ্ধ ভাষার সাথে চরাঞ্চলের মানুষের ভাষাও শোনা যায়। আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার বেশ গোছালো ছিল। কিন্তু কিছু বিষয় কটু লেগেছে। যেমনঃ কিছু শিক্ষিত চরিত্রের মুখেও আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। আমার মনে হয় সেগুলো শুদ্ধ হলে ভালো হতো। তাছাড়া অনেকক্ষেত্রে একই ধরণের সংলাপ বারংবার ব্যবহারও ভালো লাগেনি। মনে দাগ কাঁটার মতো কিছু সংলাপ ছিল। এছাড়া ঘটনাচক্রে ব্যবহৃত কবিতা গুলোও সুখপাঠ্য। পানি কেন্দ্রিক জীবনব্যবস্থা ও তার আশেপাশের পরিবেশ কাহিনিতে বর্ণিত। চরে বসবাসকারী ডাকাতদের জীবনব্যবস্থা ফুটিয়ে তুলতে লেখক যে পরিবেশ বর্ণনা করেছেন তা প্রশংসনীয়। ডাঙ্গার পরিবেশকে আরো দারুণভাবে উপস্থাপন করা যেতে পারতো। লেখকের লিখনশৈলীর মাঝে স্বাতন্ত্র্যতা পরিলক্ষিত হয়। তবে লেখনী আরো জীবন ঘনিষ্ঠ আশা করেছিলাম। লেখকের অন্য বই পূর্বে পড়ার পর এই আশা সঞ্চারিত হয়েছিল। বিস্তৃত পরিসরের গল্প হলেও কেনো যেনো মনে হয়েছে গল্পটা জীবনের কাছাকাছি পুরোপুরি যেতে পারেনি। তবে কয়েক জায়গায় কাহিনি হৃদয়গ্রাহী ছিল। পরিশেষে সমাপ্তি প্রসঙ্গে কিছু বলা যাক। নির্বাসনের পরিসমাপ্তি নিয়ে নানান জনের নানা মত আছে। অনেকেই এর ২য় পার্ট চাইছেন। আমার মতে ২য় পার্ট না হওয়াই ভালো। পাঠক নিজের মতো কিছু কল্পনা করে নিক না। তবে সমাপ্তি আরো গোছালো হতে পারতো। দিনশেষে আমরা সকলে চেনা কিংবা অচেনা জগতে নির্বাসিত। নির্বাসন তেমনই এক জগতের গল্প।

      By Abu Saeed Misho

      07 Apr 2019 01:45 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইটি নাকি অনেক অনেক অনেক অনেক ভালো, আমার বন্ধুরা বলল। কিন্তু আমার এখনো পড়া হয় নি, তাই কিনার জন্য এখানে এসে দেখলাম দাম অনেক। আমার বই কিনা হয় টিউশনির টাকা দিয়ে, নিজের খরচ চালিয়ে বেশি টাকা আর থাকে না বই কিনার জন্য। তাই এত দাম দিয়ে বই কিনা সম্ভব না। তাই এখন বই এর দাম কমার অপেক্ষায় আছি!

      By Syed Rakib

      14 Mar 2019 03:36 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ভালো হয়নি।।

    • Was this review helpful to you?

      or

      100 পেজ শেষ করলাম, ভালোই লাগতাছে

      By Mujahiduzzaman

      22 Apr 2019 07:27 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      খুবই চমৎকার একটি বই।

      By Rakhi

      09 Mar 2019 12:43 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইটির প্রথম দুই তিন পাতা পড়েই এক অসাধারণ তৃপ্তিতে মন ভরে গিয়েছিল আমার। বারবার মনে হচ্ছিল লেখকের লেখার হাত এক বছরে অারো অনেক অনেক বেশি সমৃদ্ধ হয়েছে। বইটি কিনতে যদি দামের চিন্তা করেন তবে আমি বলবো যদি বইপোকা হয়ে থাকেন টাকার কথা না ভেবে বইটি নিয়ে নিন। বইটি পড়া শেষ হলে টাকার কথা মনে থাকবেনা। বইটি নিয়ে বিস্তারিত লিখতে ইচ্ছে খুব। তবে সংক্ষেপেই বলছি বইটি শেষ করে নিজেই যেনো কিছুটা সময় নির্বাসনে থাকবেন। লেখকের পরবর্তী বইয়েই জন্য অপেক্ষায় রইলাম।

      By Faisal Al Mamun

      22 Mar 2021 01:15 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      একেবারে বাংলাদেশর গ্রামাঞ্চলের একটি গল্প। কিছুটা নাটকীয়তা থাকলেও সব মিলিয়ে অসাধারনই ছিল।

      By Abdullah-Al-Zubaer

      27 Jan 2021 08:08 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      pdf পড়ার পরে ব‌ইটা কিনেছি। ব‌ইটা আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। জহুরা চরিত্রটি আমার বেশি ভালো লেগেছে?

      By Yeasir Arafat Sohan

      02 Nov 2020 07:29 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      দাম খুব বেশি। স্টুডেন্টদের কথাও চিন্তা করে দাম রাখা উচিত। :-(

      By Abdul Mannan

      30 Aug 2020 01:46 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      মন,চল নির্বাসনে যাই.... কেও যদি স্বইচ্ছায় নির্বাসনে যেতে চান,তাহলে সাদাত হোসাইনের 'নির্বাসন' উপন্যাসটা পড়ে নিতে পারেন। নদী-মাতৃক এই দেশের নদী কেন্দ্রীক একটি অঞ্চলের বেড়ে উঠা পরিবারের গল্প এই উপন্যাসে ফুটে উঠেছে।সাথে ফুটে এসেছে একটি ছেলে আর একটি মেয়ের ইচ্ছের বির্সজনগুলো।সত্যি অসম্ভব ভালো একটি গল্পকে কেন্দ্র করে উপন্যাসটা। আশা করি আপনাদেরও ভালো লাগবে।

      By RS RABIN

      28 Jan 2020 11:28 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      নির্বাসন-বর্তমান প্রেক্ষাপটে রচিত একটি অসাধারন সমোপযোগী উপন্যাস। আমি মনে করি নির্বাসন সাদাত হোসাইনের সর্বশ্রেষ্ঠ উপন্যাসগুলোর মধ্যে অন্যতম। উপন্যাসটির প্রধান চরিত্র মনসুর এবং কনা। তাদের স্বর্গীয় ভালোবাসা এবং কথোপকথন যেকোনো পাঠকের মন ছুঁয়ে যাবে। পাঠক মনসুরের চরিত্রে নিজেকেও দেখতে পারেন মাঝে মাঝে। আর পাঠক যদি নারী হোন তবে কনার চরিত্রটিকেও তাদের কল্পনার চরিত্র ভাবলেও ভুল ভাবা হবে না। আরেকটি চরিত্র যার কথা না বললেই নয়, সে হলো জোহরা। জোহরা একজন সাহসী আর বুদ্ধিমতি তরুনির চরিত্র। যা পাঠকের মনকে কখনো তার প্রতি মায়া আবার কখনো তার প্রতি রাগের সৃষ্টি করাবে। সব শেষে আমার দিক থেকে বলতে পারি নির্বাসন পড়ে পাঠক নিরাশ হবেন না। উপন্যাসটির শেষের অংশে পাঠকের জন্য এক বিশেষ আশ্চর্য অপেক্ষা করছে। তা শুধুমাত্র পড়লেই জানতে পারবেন।

      By Md Atik

      18 Dec 2019 09:53 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      It's a awasome book

      By mousumi ahmmed

      13 Nov 2019 01:15 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      খুবি দারুন একটি বই। আমার খুবি ভাল লেগেছে অল্প পরেই।

      By Harun-Ar-Rashid

      24 Oct 2019 11:59 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      কেউ কি স্বেচ্ছায় নির্বাসনে যেতে চান? যাওয়ার কথাও না। কেনইবা যাবেন? এতো সুখ, এতো প্রাপ্তি, এতো পিছু টান রেখে কেউ এ কাজ করে নাকি? এ শুধু কল্পকাহিনীতেই মানায়। যা ছোট বেলায় রূপ কথার গল্পে শুনতাম। শুনে আশ্চর্য হবেন না, আমি কিন্তু স্বেচ্ছায় নির্বাসনে গিয়েছিলাম। অবশ্য একা না। বলতে পারেন, গত তিনটা দিনই নির্বাসনে ছিলাম। আজই ফিরে আসলাম। জ্বি, ঠিকই শুনেছেন। সাদাত ভাইয়ের 'নির্বাসন' কে সঙ্গে নিয়েই নির্বাসনে ছিলাম। ফিরে এসে কিছুটা খারাপ লাগছে। মনে মনে ভাবছি, ভালোইতো ছিলাম গত তিনটা দিন। যদিও বইটি এমনিতেই নাদুস নুদুস, তারপরও মনে হচ্ছে ওজনটা আরেকটু বেশি হলে মন্দ হতো না। অন্ততঃ আর ক'টা দিন থাকা যেতো। যাই হোক। চলুন এবার ঘুরে আসি আমার স্বেচ্ছায় যাওয়া নির্বাসনের মূল উপাখ্যান থেকে। প্রেক্ষাপটটা ১৯৮৮ সালের। সারাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা বেড়ে গেলে নবীগঞ্জের পাট ব্যবসায়ী আজহার খন্দকার মেডিকেলে পড়ুয়া তার প্রতিবাদী সন্তান মনসুরকে এক রকম জোর করেই ঢাকা থেকে বাড়ি নিয়ে আসেন। কালোলিপি সঙ্গে থাকলে মনসুর নিশ্চয়ই জানতে পারতো, এই বাড়ি ফেরার অন্তরালেই লুকিয়ে রয়েছে তার মেডিকেল ছাত্রত্ব জীবনের ইতি। সামনে তার জন্য অপেক্ষা করছে ভয়াবহ আর নির্মম ভবিষ্যত। কালোলিপি সঙ্গে না থাকায় ভাগ্য লিপি মনসুরকে দাঁড় করিয়ে দেয় এক কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি। জীবন তার স্বাভাবিক গতিপথ হারিয়ে আচমকা ইউটার্ন নেয় কণাকে ভালোবেসে। নিয়তি যেন পারমাণবিক বোমার মতোই আঘাত হানে মনসুর-কণার বৃত্তাবলয়কে কেন্দ্র করে থাকা প্রিয় মানুষগুলোর উপর। মনসুর-কণার মাঝখানে হঠাৎ করেই দেবীর মতো আবির্ভাব ঘটে ডাকাত সর্দারের একমাত্র নাতনি জোহরার। এ যেন আরেক নিয়তি। জোহরার বিচক্ষণতা, বুদ্ধিমত্তা আর সাহসিকতা লস্করচরের মানব হৃদয় কেড়ে নেয় মুহুর্তের মধ্যেই। মনের অজান্তেই জোহরা তার হৃদয় সঁপে দেয় মনসুরের হাতে। কণার ভালোবাসায় নেমে আসে দুর্যোগের চরম ঘনঘটা। কি করবে মনসুর এখন? কণাকে নিয়েই জীবনের রঙ তুলিতে স্বপ্ন আঁকবে? নাকি ডাকাত সর্দারের একমাত্র নাতনি জোহরাকে ভালোবেসে নির্বাসনে যাবে? সত্যিই আমি অভিভূত হয়েছি সাদাত হোসাইনের গল্প বলার ঢং দেখে। বাংলার সাত্যিকাশে যে উজ্জ্বল নক্ষত্রের আবির্ভাব ঘটেছে, তা সাদাত হোসাইনের নির্বাসনকে সঙ্গে নিয়ে স্বেচ্ছায় নির্বাসনে যাওয়ার মাধ্যমেই জানতে পারলাম। একজন থ্রিলার প্রেমী হয়েও এই বইটি যে আমাকে নিজের ভেতর টেনে নিয়ে চুম্বকের বিপরীত মেরুর মত এতটা আকর্ষণ করবে, পড়ার পূর্ব মুহুর্তেও ভাবতে পারিনি। নির্বাসনের বিস্ময় জাগানো সাহিত্যরস আমাকে চরম আবেগে আপ্লুত করেছে, বুভুক্ষ আত্মার খোরাক জুগিয়েছে। সাহিত্যের কালো বর্ণের প্রভাবে পাঠক হৃদয়কে আবেগের আরশে মাতিয়ে তোলার যে মুন্সিয়ানা লেখক দেখিয়েছেন, তা সত্যিই বিরল। বইটির প্রতিটি প্যারায় প্যারায় রয়েছে চিন্তার খোরাক, প্রতিটি পাতায় পাতায় রয়েছে বিচিত্র সব তথ্য আর অভিনব চমক। প্রেম, ভালোবাসা, রহস্য আর রোমাঞ্চের সমস্ত উপাদান লেখক তার হৃদয় উজাড় করে দিয়ে ব্যাখ্যা করার আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। জীবনের প্রতিটি পরতে পরতে লুকিয়ে থাকা সম্পর্কের সমীকরণ, নিয়তির যাঁতাকলে পিষ্ট হবার নির্মম বাস্তবতা, হিংসা, বিদ্বেষ আর ভালোবাসার এক বাস্তব উপাখ্যান এই নির্বাসন। তবে প্রখ্যাত লেখক হুমায়ূন আহমেদের লেখনীর ধাঁচ যদিও কিছুটা ফুটে উঠেছে, তবুও পড়তে যেয়ে তেমন খারাপ লাগেনি। আমার কাছে মনে হয়েছে গল্পের প্রয়োজনেই গল্পের প্লট বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো লেগেছে রহস্যময়ী নারী জোহরাকে। সবশেষে কিছু রহস্যজনক প্রশ্নের উত্তর খোঁজার দায়িত্বটা পাঠকের উপরই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। শুভ কামনা প্রিয় লেখক সাদাত হোসাইন। যদি কারো স্বেচ্ছায় নির্বাসনে যেতে মন চায়, তবে ঘুরে আসতে পারেন সাদাত হোসাইনের এই নির্বাসন রাজ্যে। শুভ হউক নির্বাসন। হ্যাপি রিডিং। বই : নির্বাসন লেখক : সাদাত হোসাইন প্রকাশনায় : অন্যধারা প্রকাশনী প্রচ্ছদ : হৃদয় চৌধুরী পৃষ্টা সংখ্যা : ৩৭৬ মুদ্রিত মূল্য : ৫৯০ টাকা

      By ummay naju

      15 Oct 2019 07:39 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইটা অসাধারন।।ভালোবাসা,বাস্তবতা,রহস্য,মাতৃত্ব সবকিছুর মিশ্রণ।।।

      By Sanjida Meher Sanju

      26 Nov 2019 05:05 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বই:নির্বাসন। লিখা:সাদাত হোসাইন। প্রচ্ছদ :হৃদয় চৌধুরী। মুদ্রণ :৬ষ্ঠ প্রকাশনী :অন্যধারা। মূল্য:৫৮০টাকা। বিস্তারিত : অনেক গুলো চরিত্রে গল্পটি সাজানো।প্রতিটা চরিত্র ই এজ অন্যরকম জায়গা তৈরি করেছে।কারো চরিত্রে কেউ নেই।লস্কর চর,নবীগঞ্জ আর গোবিন্দগঞ্জ এই তিনটি জায়গাকে কেন্দ্র করে মূল গল্প।তো প্রথমেই শুরু করি লস্কর চরের বাসিন্দাদের নিয়ে।তার হলেন: ১.তোরাব আলী লস্কর (লস্কর =নাবিক,তবে এখানে মুলত ডাকাত অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে।এই তোরাব আলী লস্কর হলেন লস্কর সর্দার )। ২.জোহরা(অন্যতম এক সাহসী চরিত্র।বলা যায় তার অবস্থান দেখে ভবিষ্যৎ লস্কর সর্দারনী।অথচ মনসুরের ভালোবাসা পাবার জন্য পাগল সে।তাকে দেখলে কেউ বলবেই না যে সে কাউকে এত্ত ভালোবাসতে পারে)। ৩.হানিফ(লস্কর এর অন্যতম আর এক চরিত্র। যে কাউকেই পরয়া করেনা অথচ জোহরার কাছে এলেই ভিজাবিড়াল হয়ে যায়।অসম্ভব রকমের ভালোবাসে সে জোহরাকে যদিও সম্পর্কে দুই জন চাচাতো ভাই বোন)। ৪.বাহাদুর (লস্কর চরের বাসিন্দা। অতটা সাহসী নয় সে। তবে লস্করদের প্রতিটা মিশনেই তাকে সাথে নেয়া হয় এবং বহুবার আলোচিত হয়েছে গল্পে তার নামটি)। ৫.মায়া (এক অনবদ্য শিশু চরিত্র। বাহাদুরের মেয়ে। জোহরা তার নিজের মা না। অথচ মায়ার কারণেই জোহরা মাতৃত্বের স্বাধ অনুভব করেছে)। ৬.আয়নাল হক(হানিফের বাবা এবং তোরাব আলী লস্করের বড় ছেলে)।ইত্যাদি, আরো অনেক চরিত্র ই ধারন করা হয়েছে লস্কর চরে। এবার আসা যাক নবীগঞ্জ এর চরিত্রের কাছে।তারা হলেন: ১.আজাহার খন্দকার (নবীগঞ্জের বিখ্যাত বংশ খন্দকার বংশ সেই বংশের ছেলে।এক অদ্ভুত মায়াময় চরিত্র তার।সন্তানের প্রতি আকুতি, নিমিষেই যার রাগ মাটি হয়ে যায় একটু ভালোবাসায়) ২.মনসুর(অসাধারণ এক চরিত্র। অনেকটা অদৃশ্য বলা যায়।খন্দকার সাহেবের বড় ছেলে। ডাক্তারি পড়ার অর্ধেকটা করেই আর করা হয়নি ঘটে যায় তার জীবনের আমূল পরিবর্তন) ৩.মঞ্জু (খন্দকার সাহেবের দ্বিতীয় ছেলে।সবে ম্যাট্রিক দিয়েছে।কারো সাথেই সে কথা বলে না। নিরব দর্শক বলা যায় যাকে।ম্যাট্রিক এর রেসাল্ট না দেয়ার আগেই তাকে হতে হয় পরিপক্ব এক চরিত্র)। ৪.মইনুল হোসেন(নবীগঞ্জ থানার ওসি।যার সমস্ত ক্রোধ লস্করদের নিয়ে)। ৫.একরামুল হক(যার চরিত্র অনেকটা হাস্যরসাত্মক, তবুও মাঝে মাঝে কিছুটা কাজ বুদ্ধিমানদের মত করে ফেলেন)। ৬.নুরন্নবী (পুলিশ কন্সটেবল।এক তীব্র চরিত্র ধারণে বাধ্য হয় সে।লস্করদের ধরতে গিয়ে জোহরার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় তার চেহেরা। নিজের পরিবার থেকেও তাকে হতে হয় বিতাড়িত। যার ফল সরূপ সে এক হিংস্র মানবে পরিণত হয়)। ৭.হারাধন(বিনা অপরাধে যাকে দশ বছর জেল খাটতে হয়।লস্করদের বিরাট এক জায়গা জুড়ে তার অবস্থান। নবীগঞ্জের সকল খবরাখবর সে ই দিয়ে থাকে লস্করদের)। এ ছাড়া ও আরো কিছু ছোট খাটো চরিত্র ও রয়েছে। সর্বশেষ আসে গোবিন্দগঞ্জ বলা যায় পুরোটা জায়গা ই শুধু সুখের কিন্তু এক নিমিষেই সবটা এলোমেলো হয়ে গেলো।এখানের চরিত্র গুলো হলো: ১.কণা(মায়াবী এক নারী। বাবা পাগল ও বলা যায় তাকে।আর অকৃত্রিম ভালোবাসে তার স্বামীকে অর্থাৎ মনসুরকে।। যার অনুপস্থিতিও তাকে এক মুহূর্ত ভুলতে দেয় না স্বামীকে)। ২.দেলোয়ার হোসেন(কনার বাবা।মেয়েকে নিয়ে যার অনেক অনেক স্বপ্ন। ডাক্তার হবে শহরে গিয়ে পড়বে)। ৩.শাহিনা বেগম(কণার মা। সব সময় রাগী রাগী ভাব নিয়ে থাকেন। অথচ অসম্ভব এক নরম মনের মানুষ)। ৪.জসীম (কণার বড় চাচার ছেলে এবং মনসুর এর বন্ধু।যার সূত্র ধরেই শুরু হয় গোবিন্দগঞ্জের কথা)। এই তিনটি জায়গাকে নিয়ে গড়ে উঠে প্রেম ভালোবাসা, হিংসা বিদ্বেষ। কেউ হারায় তার সন্তান, কেউ হারায় তার প্রতিপত্তি। তবুও কেউ থেমে থাকে না। কারো আবার পেতে হয় নির্বাসন।কেউ ভূমিষ্ঠ হবার আগেই হারায় তার পিতাকে। কেউ বা মেয়ে বিধবা হয়ে যাওয়াতে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে ভেবে ব্যাকুল। কেউ প্রতিশোধের নেশায় মত্ব।কে কি নিয়ে গল্পে এসেছে আর কেউ বা সেই নির্বাসিত লোক?? জানতে হলে চোখ রাখতে হবে অন্যধারা প্রকাশনীর অন্যতম এই বইয়ের উপর।কিনে ফেলতে হবে এবং অসাধারণ রিভিউ লিখে অন্যকে পড়তে আগ্রহী করতে হবে। পাঠ প্রতিক্রিয়া : এই বইটা পড়ার মাঝে একটি গল্প আছে।একটা জিদ থেকেই গল্পটি পরা হয় আমার।বইটি আমার নিজের না। এক বড় ভাইয়ের থেকে বইটা নেই।সামনে যেহেতু এইচ এস সি এক্সাম সেহেতু তাকে বলেছিলাম বইটা ২মাস পড়ে তাকে দেবো।কিন্তু সে নারাজ,তার বই এই কয়দিনের মধ্যেই লাগবে তাই জিদ করে( ৬ )ঘন্টা সময় নিয়েই ৩৭৬পেইজের বইটা শেষ করে ফেলি।অসম্ভব রকমের এক টান অনুভব করি বইটার প্রতি। তাই চাইলেও বইটা একটু পড়ে রেখে দিতে পাড়ছিলাম না। সাদাত হোসাইন এত সুন্দর আর নিখুঁত ভাবে সবটা সাজিয়েছেন তা বলার বাহিরে। তবে এত্ত গুলি আগ্রহ থেকে গেলো জোহরার অনাগত সন্তান, মনসুরের ফের আগমন, মঞ্জুর আর কণার সম্পর্ক আর হানিফ!!কি হবে এদের??খুব জানতে ইচ্ছে করছে অথচ কোনো উপায় ই নেই।এক কথায় যাকে বলে, শেষ হইয়া ও হইলো না শেষ। সাদাত হোসাইন কে অসম্ভব রকমের ধন্যবাদ এত্ত সুন্দর একটি গল্প আমাদের উপহার দেবার জন্য।

      By MD Ruhulamin Rohan

      15 Jul 2019 09:33 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বা! চমৎকার খুব সুন্দর একটা বই

      By Mahadi Hasan

      29 Jun 2019 08:10 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      "৩৭৬ পৃষ্ঠার গল্পটা যদি ২৭০ পৃষ্ঠায় শেষ করা যেত তাহলে এই উপন্যাস একটা মাস্টারপিস হলেও হতে পারতো।" লেখক বাহুল্যতা দেখিয়েছেন উপন্যাসে। লেখকের ক্ষমতা অসীম। পাঠকের ক্ষমতা কম। সীমিত ক্ষমতা ব্যবহার করলাম। পাঠপ্রতিক্রিয়ায় বাহুল্যতা দেখালাম না। কোটেশনটুকুই আমার রিভিউ। একজন সাধারণ পাঠক হিসেবে আমি বিশ্বাস করি, সাদাত হোসাইনের "বিশেষ কেউ একজন" হওয়ার ক্ষমতা আছে। আশা করি তিনি সেটা কাজে লাগাতে পারবেন৷ সামনের দিনগুলোতে তিনি নিশ্চই নিজেকে নিজের মতো গুছিয়ে রাখবেন। যে গল্প বলতে চেয়েছেন, বলার ধরন ফুল মার্কস হবে +৫ টেনে বড় করার জন্য মাইনাস হবে -২ কমপ্লিট রেটিং ৩/৫

      By Shuvo

      29 Apr 2019 03:52 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইটি আমি উপহার হিসেবে পাই এক বিশেষ দিনে। ঢাকার বাইরে থাকায় আমি সরাসরি কিনতে পারি নাই। বইটি হাতে পেয়েই অনেক ভাল লাগতেছিল। পড়া শুরু করার পর থেকে অন্যরকম এক নেশা হয়ে গিয়েছিল। মাত্র ২ দিনে বইটি পড়ে শেষ করে দিয়েছিলাম। যদিও আমি তখন হাসপাতালে বসে বসে পড়েছি বইটা। অদ্ভুদ এক টান অনুভব করতাম। খুব কষ্ট লাগতো জোহুরায় জন্য। সবমিলিয়ে দীর্ঘ উপন্যাস, কিন্তু সুর কাটবে না। গল্পে প্রেম আছে, উত্তেজনা আছে, সম্পর্কের সমীকরণ আছে। সবারই ভাল লাগবে আশা করি। লেখককে অনেক ধন্যবাদ এমন একটি বই লেখার জন্য।।

      By Sanjana Payel

      23 Apr 2019 07:38 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      দৃশ্যপট ১: আটাসির সময়। লস্করগো চরে কলেরার প্রকোপে অনেকেই কাইত হয়া পরছে। মইরাও গেছে অনেকে! বাহাদুরের বৌটাও দুধের শিশুটারে রাইখ্যা মইরা গেলো! মাইয়াটা কিসসু মুখে নেয়না, কিয়েকটা অবস্তা! লস্করগো ডাকাইতি করতে যাওয়াও তেমন ফলপ্রসূ হইতাছে না। আজহার খোনকারে পুলিশরে হের আড়তে ডাকাইতি করার চিঠি দিছে তোরাব আলি লস্করে হেইডা কয়া দিছে গিট্টু লাগাইয়া। পুলিশের হাতে একজন যেমন মরলো, আটকও হইল! . দৃশ্যপট ২: দেশের অবস্থা ভালা না তেমন। আজহার খোনকারে মনসুররে ঢাকারতে নবীগঞ্জে লয়া আসছে। ডাক্তারি করানের চেয়ে নিসন্দেহে জানের দাম বেশি। মনসুরের বন্ধুর বাইত বেড়াইতে গিয়া কণার লগে প্রণয়ের সূত্র গাইথা ফেলছে। কিঞ্চিত উথালপাথালের পর একটা পরিণামও হেরা পায় ঠিক, কিন্তুক তোরাব আলি লস্কর কি তার অপমানের বদলা লইতো না? . দৃশ্যপট ৩: এইখানে কোন চরিত্র যদি থাইক্যা থাকে যেইটা মনে প্রাণে প্রভাবিত কইরা ফালাইবো, সেইটা জোহরা। দ্বৈত সত্বার একটা মাইয়া। এক্ষণে মায়ার আধার, এক্ষণে হিংস্র বাঘিনী! দাদা তোরাব আলি লস্কর মেলা কইরা চাইছে ওরে এই ডাকাইত চরেরতন ভালা কুনুহানে যদি বিয়া দেওন যায়! কিন্তুক জোহরার ভিত্রে যেন কোন ভয়ংকর পূর্বপুরুষের আত্মা! লস্করগো কতগুলান মিশন যে এই কিশোরীমতন মাইয়াডা করে, কহনও হোক সেইটা দাদার বিরুদ্দে যাইয়াই! মনসুর যখন লস্করচরে আটকা পরে, তহন যেন এই মাইয়ার আরেকটা রূপই সামনে আহে! . আজ সারাদিনে পড়ে বইটা শেষ করলাম। প্রচন্ড তৃপ্তিলাভ করার মত উপন্যাস মনে হয়েছে আমার। জোহরা আমার মস্তিষ্কে ঢুকে গেছে! কিশোরী একটা মেয়ের মধ্যে মুহূর্তেই এত দুঃসাহস আবার মুহূর্তেই সে যেন অপার্থিব মায়ার উৎস! আজহার খন্দকার চরিত্রটা যে এত মায়াময়, এত শ্রদ্ধাভাজন! কি অপার ভালোবাসায় সে কণাকে আগলে রাখতো নিজের মেয়েররূপে। তার প্রতিটা কঠিনসময় নিজের বাবার মত বটবৃক্ষ হয়ে ছায়া দিয়ে গেছে। . উপন্যাসের প্রতিটা ছোটবড় চরিত্র গুরুত্বপূর্ণ। হোক সেটা মুখ্য বা গৌণ। মনসুরের কণার প্রতি সাবলীল প্রকাশভঙ্গি..কি মায়াময়, কি বিশুদ্ধ! কিন্তু কিছু জিনিস তাসের ঘরের মতই টোকা মারলেও ভেঙ্গে পরে। সে তুলনায় সেখানে ঘটেছিল অনেক বড়কিছু! মনসুর লস্করচরে কিভাবে আটকে গেলো বা এর সঙ্গে জোহরার যোগসূত্র কি খুবই হালকার মধ্যে? নাকি খুব গভীর থেকে গভীরতর সেই সংযোগ? . জোহরার পাষাণ বুকের নিচে যে একটা হৃদয় আছে তার সঞ্চালন যেন মনসুর অজান্তেই হয়ে যায়। কিন্তু যে একবার যায় সে আর ফিরে আসেনা! যেই মনসুর লস্করচরে আটকে গেছে সে ছিলো একজন, কখনো বা যদি সে বের হতেও পারে নিঃসন্দেহ সে আর আগের মানুষটি হয়ে ফিরতে পারবেনা! কণার কি হবে? প্রচন্ড আহাজারি বুকে চেপে সেও কি আগেই মতই অভিমানী কন্যাটি হয়েই থাকবে? নাকি সব কিছু..সব জন বদলে যাবে? . আমরা আশপাশে কিছু গন্ডি নিজের অজান্তেই নিজের জন্য নির্ধারণ করে ফেলি, আর ভাবি এই গন্ডি থেকে বুঝি বের হওয়া যাবে না। কিন্তু জীবনের বাঁক মাঝেমধ্যে এমনভাবেই ঘুরে যে আমরা কিছু পরিস্থিতি চেয়েও এড়াতে পারিনা। ফলাফল যা হয়, তা হলো প্রথম কয়েকদিন মানিয়ে নিতে নিতেই চলে যায়। কিন্তু বিপত্তিটা বাঁধে কখন জানেন? যখন দেখা যায় খুব করে মানিয়ে নিয়েছি...কিংবা নিচ্ছি এর মধ্যে প্রচন্ড রকম কোন ভুল ধরা পরে! কণা, মনসুর, জোহরা এবং আরো একটি চরিত্র যেটিকে কিঞ্চিত উজ্জ্ব রাখলাম স্পয়লার এড়াতে তাদের প্রত্যেকেই নিজের মধ্যে গভীর মর্মার্থ ধারণ করেছেন, যার স্বাদ আস্বাদন করতে যেতে হবে নির্বাসনের গভীরে! . #কিছু_প্রিয়_উক্তি : ১: একবার কেউ চইলা গেলে সে আর ফিরা আহে না, তার ছায়া আহে। ২: জগতে অনিশ্চিত অপেক্ষার চেয়ে ভয়ংকর কিছু নেই! ৩: আপনি যদি সত্যি না হয়ে মিথ্যে হন, আমার কল্পনা হন, তাহলে ব্যপারটা খুব বিচ্ছিরি হবে। খুব। আপনবিহীন এই পৃথিবীটা কী ভীষণ জঘন্য! ৪: অজস্রবার ভালোবাসি বলার পরও ভালোবাসা হয় না। আবার একবার না বলেও পৃথিবীর সবচেয়ে গভীরতম অনুভূতি নিয়ে ভালোবেসে ফেলা যায়!u ৫: ভালোবাসা লুকিয়ে রাখা যায়না। কেউ যদি কাউকে সত্যি সত্যি ভালোবাসে তবে সে তা টের পাবেই। ঘৃণা লুকিয়ে রাখা যায়, ভালোবাসা লুকিয়ে রাখা যায় না। ওটা সত্যি সত্যি থাকলে টের না পেয়ে উপায় নেই। ৬: তোমাকে চেয়েছি অন্ধকারের মতন, একাকী ভীষণ, গভীর ও গাঢ়। ৭: পৃথিবীতে সবচে ভাগ্যবান তারা যাদের মেয়ে নেই। নিজের পেলে পুষে বড় করা মেয়েটাকে কাউকে কখনো দিয়ে দিতে হয়না তাদের। ৮: তোমাকে চেয়েছি প্রার্থনা ও প্রেমে, যতটা রয়েছ তার চেয়ে বেশি আরো! ৯: মায়া এমন এক জিনিস, যা মানুষকে অন্ধ করে দেয়। মায়ার প্রভাব ভালোবাসার চেয়েও বেশি। ১০: চোখের সামনে রোজ একটু একটু করে বাবা-মা মেয়েকে যতই বড় করুক না কেনো, তারা কখনই বুঝতে পারেন না যে অজ্ঞাতসারে কোন এক ফাঁকে সেই মেয়েটি এমন বড় হয়ে যায় যে নিজেই হয়ে যায় তাদেরও বাবা-মা। ১১: মানুষের গভীরতম কান্না আর গভীরতম প্রার্থনা হয় একা, নিঃশব্দে, গোপনে। ১২: এখানে ছায়া থাকে, ওখানে মায়া থাকে,আর থাকে 'মন কেমনে'র লুকোচুরি, কখনো কি কেউ, চলে যেতে পারে পুরোপুরি? . বইয়ের নাম: নির্বাসন লেখক: সাদাত হোসাইন প্রকাশনী: অন্যধারা পৃষ্ঠা সংখ্যা:৩৭৬, মূল্য: ৫৯০(মুদ্রিত)

      By Hate You Rokomari

      25 Feb 2019 03:57 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ। কিনে পড়ুন। উপহার দিন।

      By Shakib Rayhan

      01 Oct 2021 12:19 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      Apart from the strong highlighting of woman-power, the following novel illustrates a great story that is both pleasing to read and a thrilling journey to go forward. The delivery process was flawless as usual. A common objection was its price. I don't really pay attention to the price unless that becomes a problem. So if you have money to spend on this book, it'll probably be worth it. Good luck!

      By Mahmudul Hossain Samir

      07 Oct 2020 10:56 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      দাম খানিকটা বেশি হওয়া সত্ত্বেও সাহস করে উপন্যাসটি কিনলাম। ফলাফল? আমার জীবনে পড়া অন্যতম সেরা উপন্যাস। লেখক সাদাত হোসাইন কে আমার হাজারো সালাম। সত্যিই তিনি আমাকে বিস্মিত  করেছেন তাঁর এই মায়াময় লেখা দিয়ে। অসাধারণ একটি উপন্যাস। আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না আমি কতটা অভিভূত হয়েছি উপন্যাসটি পড়ে। উপন্যাসটি পড়তে পড়তে হেসেছি, কেঁদেছি, উৎফূল্ল হয়েছি, ডুবে গিয়েছি হতাসার গভীর সাগরে। দারুনভাবে উপভোগ করেছি উপন্যাসটাকে।

      By অল্প

      06 Feb 2020 12:51 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      চুম্বক অংশ: ‘কণা, এই যে কিছুক্ষণ আগে চিঠিটা দেয়ার সময় আমি ইচ্ছে করেই আপনার হাত স্পর্শ করেছি, আপনি কী তা বুঝতে পেরেছেন? কেন করেছি জানেন? করেছি এটি বোঝার জন্য যে আপনি আমার মনের কোন কল্পনা ননতো? আপনি যদি সত্যি না হয়ে মিথ্যে হন, আমার কল্পনা বা স্বপ্ন হন, তাহলে বিষয়টা খুব বিচ্ছিরি হবে। খুব। আপনিবিহীন এই পৃথিবীটা কী ভীষণ জঘন্য!’

      By Shahriar Rahman

      15 Jan 2020 05:19 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      গত বইমেলায় কেনা বই পড়তে পড়তে প্রায় এই বইমেলা চলেই এল! তবে বইটার নাম নির্বাসন না হয়ে বোধকরি ঘোর হলে ভাল হত। লেখকের পড়া তৃতীয় উপন্যাস এটা আমার। আগের দুটোর মতই এটাতেও মনে হয়েছে বিনা কারণে টেনে লম্বা করা হচ্ছে কাহিনী। অথচ পড়া থামাতে ইচ্ছে করেনি একবারও, পুরোটা সময়ই যেন কেটে গিয়েছে ঘোরের মধ্য দিয়ে! গোবিন্দপুর গ্রামের স্কুল শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনের পরিবার আর তার কন্যা কণা, শতক্রোশ দূরে থাকা নবীগঞ্জ থানার মহাপ্রতাপশালী আজহার খন্দকার আর তার দুই ছেলে মনসুর, মঞ্জু কিংবা দুর্গম লস্করের চরে থাকা ডাকাতদলের সর্দার তোরাব আলী, জালালুদ্দিন, হানিফ, বাহাদুর, মায়া, জোহরাদেরকে লেখক এত চমৎকারভাবে এক সুতোয় গেঁথেছেন, ঘোরে না পরে আর উপায় কী? ৩৭৫ পৃষ্ঠার এই বইটা পড়া শুরু করেছিলাম চট্টগ্রামগামী মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনে বসে। এরপর তা চলেছে যেন সারা বাংলাদেশ জুড়ে! কখনো বন্দরনগরীর অক্সিজেন এলাকায় বড় ভাইয়ের বাড়িতে, জামালখানে বাঁধানো চেয়ারগুলোতে ল্যাম্পপোস্টের আলোয়, কখনো বিকেল বেলা এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের সামনে ফুটপাথে বসে, আবার চটগ্রাম থেকে সিলেটগামী ইউনিক বাসের ভেতর, সিলেটে ক্যাম্পাসে, সুরমায় আপুর বাসায় বসে কিংবা ঢাকাতে নিজের বিছানায়, সাদাত হোসাইনের লেখায় আচ্ছন্ন হয়েছিলাম পুরোটা সময়।

      By Md. Robiul Islam Robi

      16 Apr 2019 03:51 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      "নির্বাসন লেখক সাদাত হোসাইন" এর লেখা বইটি লেখকের অন্য সব বইয়ের মতোই ভালো হয়েছে।

      By maruf morshed

      29 Mar 2019 12:58 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      নির্বাসন বুক মিভিউ পড়ে ফেললাম নির্বাসন। সাদাত হোসাইন। জনপ্রিয় লেখকের বই নিয়ে কথা বলা মুশকিল। একটু পছন্দ অপছন্দের কথা বললে-মানুষ আমার আমাকেই দোষারোপ করে।তবে বলাই হলে আগের সবকিছুকে ছাড়িয়ে এবারে তিনি আরো পরিণত।আবেগের আতিশয্য কমে এসেছে। এত হয়তোবা তার নারী ভক্তরা রাগ করতে পারেন। তবে এবারে বৈচিত্র্য এসেছে। সব সময় কান্না কান্না ভাব যেটা আগের গুলোতে ছিল তা নেই। কাহিনী এগিয়েছে ধীর লয়ে। ঠিক যেমন উপন্যাস হয়। চিবুতে চিবুতে, গাছের গুড়ির মত গড়াতে গড়াতে এসেছে। এক বসায় পড়া ত যেতই না, কিন্তু আস্তে আস্তে পড়তে গিয়ে ১ মাস লেগে গেল। মনসুর, কণা, জোহরা , হানিফ আস্তে আস্তে তাদের চরিত্র পরিনত হয়েছে। জোহরা সাহসী, জোহরা আনন্দ বেদনায় আশ্রিত চরিত্র। উপন্যাসে সবচাইতে শক্তিশালী মনে হয়েছে তাকে। মোড় ঘোরানো সব কিছুতেই তার পদার্পন। আর টানা পড়ার আগ্রহ নেই বলে সেই যে সাদাত হোসাইনের একটা হুমায়ুন হুমায়ুন যে ভাব ছিল তা এবারে নেই বলেই মনে হচ্ছে। উত্তেজনা ছিল, প্রতিদ্বন্দিতা ছিল, প্রেম আছে কিন্তু গতি নেই। গ্রামের স্নিগ্ধ পরিবেশে, চাদের নিচে সেই ঘাসের গন্ধ নাকে নিতে সমস্যা হয়নি। মনে হয়েছে কনা কে ত আমি চিনিই। মনসুর আর কণার দিক থেকে বিবেচনা করলে একে প্রেমের উপন্যাস ও বলা যেতে পারে। তবে তাকি এটা তেমন প্রেম দিবসে দেবার মত বই নয়। তবে হ্যা কিছু সুন্দর সুন্দর লাইন ধার করে প্রেমের চিঠি লেখার কাজ চালানো যেতে পারে। “সে এসে বসুক পাশে, যেভাবে অসুখ আসে তারপর হয়ে যেবে যন্ত্রনা অনায়াসে তবুও আসুক সে প্রিয় সে অসুখ সে! এই জিনিস যদি কোন ডাক্তার তার প্রেমিকারে দেয়---কি হবে সন্দেহ আছে।

      By Sainur rahman sohan

      29 Oct 2019 03:03 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      সাদাত ভাই প্রত্যেকটা বইই সেই সুন্দর করে লিখেছেন। কেউ না পড়লে সেটা বুঝবে না।ওনার সবগুলো বইয়ের মধ্যে এই বইটা আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। এক কথায় অসাধারণ। সবারই এই বইটা পড়া উচিত

      By Rafiul Bari Chowdhury

      11 Feb 2019 09:58 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      আজকেই হাতে পেলাম!! ধন্যবাদ রকমারি।

      By Mohiuddin Hasan

      05 Feb 2019 06:52 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Jodio. Boita akno hate paini tobe Ami kenar Jonno khub agrohi and Ami eta kine obossoi porbo .......boi er 1st 2 or 1 ta page pore AMR kace khub Valo legece

      By Marjiya

      07 Oct 2021 05:31 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইটা অনেক আগেই পড়া হয়েছে। সাদাত হোসাইনের লেখা প্রথম পড়ি 'অর্ধবৃত্ত' খুব ভালো লেগেছিলো তারপর সবার কাছে অনেক সুনাম শুনেছি এই বইয়ের কিনার পর পড়ে তেমন একটা ভালো লাগেনি। কতটুকু পড়ে আর পড়তেই ইচ্ছে হচ্ছিল না কেনো কে জানে.. লেখকের এ বইয়ে পাঠকে আটকে রাখার ক্ষমতা ছিল না বলেই বোধহয় এ বই শেষ করতে প্রায় ১ মাসের মতো লেগেছে আমার। ব্যাক্তিগত রেটিং ২/৫

      By Md. Adnan

      16 Apr 2019 03:57 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      "সাদাত হোসাইন এর নির্বাসন" উপন্যাসটি কেনা স্বার্থক হয়েছে।

    • Was this review helpful to you?

      or

      বইঃ নির্বাসন লেখকঃ সাদাত হোসাইন; প্রকাশনঃ অন্যধারা "লুইস ম্যাকেন" এর একটি কথা আছে-" ভালোবাসা হচ্ছে এক ধরণের মায়া যেখানে পুরুষ এক নারীকে অন্য নারী থেকে আর, নারী এক পুরুষকে অন্য পুরুষ থেকে আলাদা করে দেখে"। সত্যি তাই - ভালবাসা আর মায়া এক হয়ে নারী পুরুষের মধ্যে যে শক্তিশালী সম্পর্ক তৈরী করে তা ছিন্ন করতে তারা পারে না। এ মায়ার জালে আবদ্ধ হয়ে সব তারা নির্বাসনে যেতেও দ্বিধা করে না। লেখক সাদাত হোসাইন এর নির্বাসন এ রকমই একটা উপন্যাস যেখানে ভালবাসার মায়ায় আবদ্ধ হয়ে উপন্যাসের প্রধান চরিত্রগুলো একে একে নির্বাসনে যায়। সংসারের মায়া, জীবনের প্রতি মায়া, সম্মানের মায়া, ভালোবাসার মানুষগুলোর জন্য মায়া। নির্বাসন বৃহৎ উপন্যাস। বড় উপন্যাস পড়তে গেলে অনেকের বিরক্ত লাগে কিন্তু নির্বাসন পড়তে গেলে আপনি হুট করে এর প্রেমে পড়ে যাবেন। মানুষের জীবন যেমন বহতা নদীর মত, তাতে হাসি, কান্না, দুঃখ সব ভাসে, আবার মাঝে মাঝে টর্নেডোর মত সব সমীকরন বদলে দেওয়া ঘটনাও থাকে তেমনি এই উপন্যাস। এত বড় উপন্যাস পড়তে ধৈর্য দরকার হয়। যদি তাতে মাল মশলা না থাকে তবে আপনি একটুতেই হাল ছেড়ে দেবেন। কাহিনী যদি একটু পরপর আপনাকে চমকে না দিতে পারে, যদি পাঠক মনে প্রশ্ন না জাগে এর পরের পাতায় কি চমক আছে, তবে সেই উপন্যাস বানিজ্যিক ভাবে ফ্লপ। এখন আসি উপন্যাসের মূল কাহিনীতে- সুবর্নপুর বিলের নাম, সেই বিল ছাড়িয়ে জলের বুকে জঙ্গল। লস্করদের চর জঙ্গলের ওপারে। তোরাব আলী লস্কর হলো লস্করদলের সর্দার। সোনাপুর বাজারে ডাকাতি করতে গিয়ে গ্রামবাসীদের হাতে ধরা পড়ে আর ফেরত আসেনি তেরাব আলী লস্করের মেজো ছেলে ফয়জুল। দীর্ঘ সাত বছর তিনি তার মেজো ছেলের জন্য অপেক্ষা করে আছেন। তোরাব আলী লস্কর তার মেজো ছেলের মেয়ে জোহরাকে নিয়ে খুব ভাল সময় কাটান এবং জোহরাকে নিয়ে অন্য জীবনের স্বপ্ন দেখতে থাকে। তোরাব আলী লস্কর চান না জোহরা লস্কর চরে থেকে জীবন অতিবাহিত করুক। নাতনিকে তিনি বিল ছাড়িয়ে, চর ছাড়িয়ে বিয়ে দিতে চান অন্য কোনো সুন্দর জাযগায় সুন্দর কোনো ছেলের সাথে। গল্পের অন্য অংশে তখন ঢাকায় মেডিকেল কলেজে পড়ুয়া মনসুর নবীগঞ্জের আজহার খোন্দকারের বড়ছেলে। মনসুর গোবিন্দপুরের স্কুল মাস্টারের মেয়ে কণার সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। তারই ধারাবাহিকতায় দুই পরিবারের মধ্যে ঝগড়া এবং পরিশেষে মনসুর ও কনার প্রনয় সম্পন্ন হয়। আপনারা উপন্যাসটি পড়লেই জানতে পারবেন মনসুর আর কণার প্রেম অনেক ভালবাসাময় ছিল পুরো উপন্যাস জুড়ে। কনা ছাড়া মনসুরের পৃথিবীতে বেঁচে থাকা কি ভীষন জঘন্য হবে এই কথা দিয়েই লেখক বুঝিয়ে দিয়েছেন তাদের ভালবাসার চমৎকারিত্ব। একটা মানুষের তার নিজের মানুষটিকে শুধুমাত্র পাশে পাবার অপেক্ষায় তার বুকে যে কি ভীষণ তৃষ্ণার উৎপত্তি ঘটে তা কণা-মনসুরের মধ্যে দেখা যায়।- ‘যে হয়েছিল ভোর, অথৈ আদর, নামহীন নদী, একা লাগে যদি, মনে রেখো তাকে।’ ঘটনার এগিয়ে যাওয়ার সূত্র ধরে পরবর্তীতে জোহরার লস্কর দলের সাথে সরাসরি কাজ করবার মধ্য দিয়ে খুন, জখমে লিপ্ত হওয়া, শেষ জীবনের পরিনতি কি হবে। এই লাইন কয়েকটির মতো তা শুধু জোহরাই জানে!-- ‘ও বন্ধু তোমার লগে আমি আমার মন বাইন্ধাছি শুধু আমি জাইনাছি, ‘তোমার ল্যাইগা আমি আমার মন বাইন্ধাছি।’ তার চাচাতো ভাই হানিফের সাথে জোহরার বিয়ে পাকাপাকি হওয়ার পরও ঠিক কেনো জোহরা গড়িমসি করছিল? পাঠক হতচকিত হবেন হঠাৎ হঠাৎ বিভিন্ন জায়গায় উপন্যাসটির মোড় এতো দ্রুত ঘুরে যাওয়া দেখে। এসব ঘটনা গল্পকে কোন দিকে নিয়ে যাবে তা পাঠক শুরুতে আন্দাজ ও করতে পারবেনা। আন্দাজ করতে হলে পড়তে হবে "নির্বাসন" উপন্যাস। পাঠ পর্যালোচনাঃ লেখক হিসেবে সাদাত হোসাইনের যেমন অনেক সুনাম আছে তেমনি তাকে নিয়ে সমালোচনাও কম নেই। সাধারন পাঠক হিসেবে নির্বাসন হলো আমার পড়া লেখকের প্রথম বই। প্রথম বই পড়ে লেখক হিসেবে সাদাত হোসাইন কেমন তা বিচার করার ক্ষমতা আমার নেই। তবে তার বই পড়ে কিছু লিখতে পারছি এটাই অনেক। উপন্যাসের পটভূমি যুদ্ধ পরবর্তী ১৯৮৮ সালের। এ উপন্যাস দুটি অংশ নিয়ে লিখিত। লেখক অত্যান্ত সুন্দরভাবে দুটি অংশের মধ্যে সংযোগ রক্ষা করেছেন বুদ্ধিমানের সাথে এবং সুন্দরভাবে। নির্বাসন উপন্যাস আসলে একটুকরো জীবনের গল্প। এর শুরুটাও নেই শেষটাও নেই। মাঝখানের ঘটনাবলির একটা অংশ আমাদের সামনে দৃশ্যমান শুধু। কোনো পাঠক যখন গল্পের ভিতর নিজেকে আবিষ্কার করেন, নিজেকে কল্পনা করেন কোনো একটি চরিত্রে তখনই পাঠক মজা পায়, আর এটা হলো যে কোনো ভাল গল্পের মূল চালিকা শক্তি। আমি সত্যি কথা বলতে এ উপন্যাস পড়ে নিজেকে কোনো চরিত্রের সাথে মেলাতে পারিনি তারপরও বিশাল উপন্যাস পড়তে আমার কস্ট হয় নি। কারন- প্রাঞ্জল ভাষায় এক টুকরো জীবনের গল্প অনেক দিন পরে হাতের মুঠোয় ছিল। উপন্যাসের চরিত্র নিয়ে যদি কিছু বলতে হয় তাহলে আমি জোহরা চরিত্রকে প্রধান চরিত্র হিসেবে বাছাই করবো। আমার মতে এটা একটা নায়িকা নির্ভর উপন্যাস। যে উপন্যাসে জোহরা চরিত্রের আর্বিভাব আগে ঘটে এবং পুরো উপন্যাস জুড়ে তার বিস্তার ছিল চোখে পড়ার মত। অনেকে হয়তো কনা আর মনসুরকে উপন্যাসের নায়ক নায়িকা মনে করে থাকবে। জোহরা এমন এক চরিত্র যে একই সাথে দুটি রহস্যময় রূপ ধারণ করে থাকে। শান্ত স্নিগ্ধ নদীর মতো সে হঠাৎ কখন যে উত্তাল সমুদ্রে পরিণত হয়ে যায় তা কেউ বুঝে উঠতে পারে না। ডাকাত দলের এক একটি অভিযানে পাঠক দেখবেন জোহরার প্রলয়ঙ্করী রূপ আর সেই সাথে মুখোমুখি হবেন অসংখ্য রোমাঞ্চকর অনুভূতির। সব থেকে বেশি সাহস দেখায় সে মনসুরের প্রেমে পড়ে এবং পরে তাকে মুক্ত করে দিয়ে। নিজ সীদ্ধান্তে অটল থাকার যে কঠিন চরিত্র সাদাত হোসাইন এঁকেছেন তা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। কনা এবং মনসুরের প্রেমের যে কথপোকথন তা অনেকটাই নাটুকে মনে হয়েছে আমার কাছে। ভালোবাসার মানুষের সাথে ঠিক এভাবে কথা বলে কিনা মানুষ তা নিয়ে আমার যথেষ্ঠ সন্দেহ রয়েছে। উপন্যাসের গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি চরিত্র এস আই মইনুল হোসেন, যিনি প্রায় প্রতিটি ঘটনায় কম বেশি জড়িত ছিলেন। নির্বাসন’ পাঠক হৃদয়ে সৃষ্টি করবে এক অব্যক্ত বিষণ্ণতা। আমাদের জীবন যে সত্যিই কতটা অনিশ্চিত তা এই উপন্যাস পড়ে বারবার উপলব্ধি হতে থাকে। তবে উপন্যাসের শেষ পৃষ্ঠা পড়ে আমার মনে চরম অতৃপ্তির উৎপত্তি হয়েছে। সাদাত হোসাইন এমনভাবে উপন্যাসটি শেষ করেছেন যাতে অসমাপ্ত শেষ পাতায় পাঠকের কল্পনায় অনেক রকমের দ্বিধাদ্বন্দ্ব মিশ্রিত সমাপ্তি ঘটতে পারে। আপনারা তাহলে উপন্যাসটি শেষ করে সেই নানা রকম দ্বিধাদ্বন্দ্ব সমাপ্তি কি হতে পারে তা কল্পনা করেন??

      By Muttaky Biswas Kazol

      27 Mar 2019 04:21 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অনেক আগ্রহ নিয়ে বইটা কিনেছিলাম। কেনাটা স্বার্থক হয়েছে। বইয়ের মাঝ বরাবর পর্যন্ত পড়তেই শেষ না করা পর্যন্ত মন শান্ত হচ্ছিলো না। অনেক দিন পর ভালো একটা বই পড়লাম। লেখককে ধন্যবাদ। শেষ হয়েও যেন শেষ হয়নি, তাই "নির্বাসন-২" এর জন্য অপেক্ষায় থাকলাম। আশা করি লেখক এর পরের অংশ অবশ্যই লেখবেন।

      By Sakib Hossain

      23 Feb 2019 03:32 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      চোখ বন্ধ করে বইটি নিয়ে নিন, না পড়লে অনেক কিছু মিস করবেন

      By Al HaseeB

      03 Mar 2019 04:46 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ব‌ইটা কেনার জন্য অনেকবার ঢুঁ মারলাম। প্রতিবার‌ই দেখি,দাম নাগালের বা‌ইরে। আমি গরীব পাঠক।এসব ব‌ই আমার মত গরীবদের জন্য না।তাই লেখা যত‌ই তার সবটুকুন ঐশ্বর্য,রূপ,লাবণ‍্য,সিগ্ধতা নিয়ে হাজির হোক না কেন,যত‌ই সাধারণ জীবনধারার রোমাঞ্চকর কোন পটভূমি,করুণ কোন স্মৃতি মনের চোখে ভেসে উঠুক না কেন;এই ব‌ই আমার জন্য না।উঁচু দরের কাঠের ব‌ইয়ের তাকে রাখার সৌখিন জিনিস। হ্যাঁ,আমার মত একজনের সমালোচনায় আপনার যশ কমবে না।লেখার কাজ থেমে যাবে না।সেটা করা উচিত‌ও নয়।তা চাইও না।শুধু চাই,দাম আরো সীমিত হোক;যেন আমার মত গরীব পাঠকদের অন্যের কাছ থেকে প্রশংসা শুনে আপনার ব‌ই কিনতে না পারার যন্ত্রণায় ব্যথিত হতে না হয়। ✓আল হাসিব ✓চট্টগ্রাম

    • Was this review helpful to you?

      or

      পাঠপ্রতিক্রিয়া: নির্বাসন লেখক: সাদাত হোসাইন প্রকাশনী: অন্যধারা প্রকাশকাল : #বইমেলা ২০১৯ নির্বাসনে ছিলাম। পড়া শেষ হলো, কিন্তু আমার নির্বাসন থেকে তো মুক্তি হল না। উপন্যাসের শুরু সেই ১৯৮৮ সালে, মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী টালমাটাল সময় দেশে। নবীগঞ্জ এর ব্যবসায়ী আজহার খোন্দকার তার পুত্র মেডিকেল ছাত্র মনসুরকে ঢাকা থেকে জোর করেই নিয়ে এলেন বাড়িতে। এই ছাত্র আন্দোলনের সময়ে ছেলেকে ঢাকায় রাখার ঝুঁকি নিলেন না। কিন্তু অদৃষ্ট কি যে রচনা করে চলেছিল তখন কি তিনি জানতেন! মনসুর দেখা পেল কণার, ভালোবাসল তাকে। কিন্তু গল্পটা তো শুধু মনসুর আর কণার নয়, গল্পটা চর - ডাকাত তোরাব আলীর নাতনির জোহরারও। কিভাবে যেন ভাগ্যের খেলায় এক সুতোয় গেঁথে গেল এই তিনজনের জীবন। নাড়িয়ে দিল একজন অসহায় পিতাকে, স্নে্হশীল শ্বশুরকে। লেখক আবেগ নিয়ে খেলতে জানেন বলতেই হয়। পড়তে পড়তে কখনো মনে হচ্ছিল কণার কষ্টের অবসান হোক, আবার লস্কররা ধরা পড়ুক তাও যে আমি চাইতে পারছিলাম না। নবীগঞ্জের বাজারকে ভাল লাগবে, চরের রোমাঞ্চ ও টানবে। চরিত্রগুলোর জন্য একরকম খারাপ লাগা তৈরী হয় একসময়, মনে হয় কারোরই বা কি দোষ, সবাই তো পরিস্থিতির স্বীকার! পাঠককে এমন দ্বিমুখী অনুভুতির মুখোমুখি যে লেখক করতে পারেন তিনি সার্থক। গল্প বলার ধাঁচে বারবার হুমায়ূনীয় ছাপ পাচ্ছিলাম। শুরুতে কণার বর্ননা যেন হুমায়ূন আহমেদ এর ই কোন নায়িকার। আঞ্চলিক কথ্য আর চলিত বর্ননা কিছু কিছু জায়গায় মিশে গেছে, হুট করে গ্রামের চরিত্র শুদ্ধটানে কথা বলে উঠলে অসামঞ্জস্যপূর্ণ লাগে। গল্পে করুণরস লেখক ব্যবহার করেছেন প্রচুর, যার কারণে উপন্যাসের ব্যপ্তি বেড়েছে। কিছু অংশ মনে হয়েছে না থাকলেও চলতো। সবমিলিয়ে দীর্ঘ উপন্যাস, কিন্তু সুর কাটবে না। গল্পে প্রেম আছে, উত্তেজনা আছে, সম্পর্কের সমীকরণ আছে। পড়া শেষ হলেও রেশ কাটবে না, মন খারাপ করা শূণ্যতা পেয়ে বসবে। লেখককে ধন্যবাদ নির্বাসনের জন্য।

      By Emam Hasan

      15 Feb 2019 11:45 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Sadat Vai eto boro boi keno lekhe! dam eto beshi keno hoy! Middle class familyr Students ra J boi gula afford korte pare na sheta ki sadat vaiya bujhe na? ?

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!