User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
Gift hishebe diyechilam, tar pochonder boi.
Was this review helpful to you?
or
এমন বিষাদ পাবো ভাবিনি! আসলেই শেষ টা অনেক কষ্টের ছিল। তবে সমসাময়িক এর জন্য এমন বই পাওয়া কষ্ট। অনেক ভালো লিখেছেন লেখক! ??? প্রিয় লেখক ??
Was this review helpful to you?
or
পুরোনো ঘরানার বাংলা সিনেমার প্লট, কিছু অন্তরঙ্গ মূহূর্ত আর একঘেয়েমী চরিত্র কথনকে একটি আকর্ষণীয় চিত্রকর্ম খচিত মলাটে ভিতরে পুরে পাঠকদের বোকা বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এক কথায় ট্রেনের ৮ ঘণ্টার সফরে অনেকবার বই বন্ধ করে হাই তুলতে হয়েছে। কিছুক্ষণ চুপ করে বসে থেকে থেমেই বইটি পড়তে হয়েছে। তবে পাব্লিকেশনের কাগজ এবং প্রিন্টিং এর গুণগতমাণ অনেক ভাল। কিছু বানান ভুল আছে যেটা হয়তো পরবর্তীতে সংশোধিত হবে। শুভকামনা রইলো লেখকের প্রতি
Was this review helpful to you?
or
#কাহিনী_সংক্ষেপঃ গল্পটা দুইটি ভিন্ন সামাজিক পরিবেশে দাম্পত্য জীবনের দুই স্ত্রীর স্বামী-সংসারে বিবিয়ানা টিকিয়ে রাখার গল্প। মৃত বাবা মায়ের সন্তান কালা মিয়া আর জালাল দুই ভাই। সহজ সরল কালা মিয়া নিজে খেতে খামারে কাজ করে তার ছোটভাই জালালকে পড়াশোনা করিয়ছে। জালাল বড় চাকুরি করে এবং শহরে বড়লোকের মেয়ে বিয়ে করেছে। বিয়ের পর থেকে দুই ভাইয়ের সম্পর্কে দূরত্ব বাড়তে থাকে। একদিকে কালা মিয়ার স্ত্রী ফজিলাতের দুই সন্তান রুখসানা ও সৈকতকে নিয়ে স্বামী-সংসার আগলে রাখার চেষ্টা। অন্যদিকে জালালের স্ত্রী সাভেরার স্বামীকে তার ভাই, ভাইয়ের সংসার থেকে আলাদা করে নিজের সংসার সাজানোর স্বপ্ন। এসব নিয়েই গল্প এগোতে থাকে। গল্পের মাঝখানে কালা মিয়ার পরিবারে একটি দুর্ঘটনা ঘটে। কালা মিয়ার ছেলে সৈকত এক্সিডেন্ট করে আহত হয়। এই দুর্ঘটনা দুই পরিবারের মাঝে যোগসূত্র তৈরি করে। অন্যদিকে সাভেরার জরায়ু ক্যান্সার ধরা পরে। এই কঠিন অসুখ হঠাৎ তার মাঝে মানসিক পরিবর্তন এনে দেয়। এভাবেই গল্প এগিয়ে যায়। #নিজস্ব_পাঠ_প্রতিক্রিয়াঃ ১৮৫ পৃষ্ঠার বই শেষ করেছি অনেক ধৈর্য্য নিয়ে। প্রথম ১০০ পৃষ্ঠা পর্যন্ত পড়ে রেখে দিয়েছিলাম আর নিতে পারছিলাম না বলে। পরে আবার ভাবলাম শেষ করেই মন্তব্য করা উচিত। তাই আমি আমার সবটুকু ভালো লাগা মন্দ লাগা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে চাই। #ভালো_লাগাঃ ভালো লাগার প্রথমেই আসবে বইটির সুন্দর প্রচ্ছদের কথা। প্রচ্ছদটা দেখলেই পছন্দ হয়ে যায়। বিবিয়ানা নামের সাথে প্রচ্ছদের মিল রয়েছে। তবুও একটা কথা আছে, Never judge a book by its cover. তারপর আসবে নামকরণ। বিবিয়ানা নামটি অনেক সুন্দর ছোট্ট মিষ্টি নাম। শুনে আগ্রহ জন্মায় বইটি পড়ার। নাম দেখেই প্রথমে আমার বইটি পড়ার আগ্রহ জন্মেছিল। ৫২ পৃষ্ঠার সবগুলো বাক্য আমার ভালো লেগেছে। চরম বাস্তব সত্য কথাগুলো। চরিত্রগুলোর মাঝে কালা মিয়ার চরিত্রটাই মনে জায়গা করতে পেরেছে। তার ভাতৃ প্রেম ছিল অতুলনীয়। #মন্দ_লাগাঃ এই বইটি নিয়ে আমার মন্দ লাগার পরিমাণ একটু বেশিই। সেজন্য একটু বিস্তারিত বর্ণনা দেয়া প্রয়োজন। #বর্ণনা_বিভিন্ন_ত্রুটিঃ বিবিয়ানা বর্ণনা নির্ভর উপন্যাস হলেও বর্ণনায় অনেক ত্রুটি রয়েছে। কিছু জায়গায় একই প্যারায় লেখক বর্ণনায় কর্তাকে কখনো তিনি কখনো সে সম্বোধন করেছেন। যেমন ১৫৫ পৃষ্ঠায় লিখেছেন,"নিজের স্যান্ডো গেঞ্জিটাকে মেঝে মোছার কাপড় বানায় সে।" ১৫৬ পৃষ্ঠায় এই অনুচ্ছেদের ই শেষের দিকে লিখেছেন, "তিনি চোখ মোছেন।" তিনি বর্ণনায় এমন কিছু শব্দ ব্যবহার করেছেন যা বর্ণনাকে দুর্বল করেছে। যেমন, কই, অই, বাইরে ইত্যাদি শব্দ প্রয়োগ করেছেন। ১২ পৃষ্ঠায় কালা মিয়ার আঞ্চলিক ভাষার বিবরণে লিখেছেন "একের অধিক সাপ। একটা আরেকটারে জড়াই ধইরা আছে।" "একের অধিক" কথার মত একটা ভারি কথাকে গ্রাম্য ভাষার সাথে কেমন যেন খাপছাড়া লাগে। #কাহিনীর_ছন্দ_পতনঃ লেখক প্রথমে চরিত্রগুলোকে একভাবে উপস্থাপন করেছেন। মাঝখানে হঠাৎ করে চরিত্রগুলো মাঝে আবেগ ভালোবাসার উপস্থিতি ঘটিয়েছেন। যেটা গল্পের ছন্দপতন হয়েছে। যেখানে কোনো ভালোবাসা ছিল না সেখানে জোর করে এনে ভালোবাসা ঢুকিয়েছেন। জালাল নতুন বিয়ে করে হানিমুনের সময়ই দেখা যায় সাভেরাকে প্রচন্ড ঘৃনা প্রকাশ। কিন্তু এর কোন যুক্তিসংগত কারণে লেখক দেখাতে পারেননি বইতে। হঠাৎই মল্লিকার প্রতি টান অনুভব করে কলকাতা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়। ঠিক তার আগেই হঠাৎ সভেরা জালালের প্রতি দুর্বল হয়। কেমন যেন খাপছাড়া লাগছিল চরিত্র গুলোর সাথে এসব ঘটনা। যে মেয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন বিপদে পড়ে তার বাবার এখানে এসেছিল বলে, তার কান্না পেয়েছিল কারন সে তখন স্বপ্ন সাজাচ্ছিল সংসারের। এমন স্বার্থপর মেয়ে অসুস্থ হয়ে হঠাৎ শ্বশুরবাড়ির জন্য উতলা হয়ে ওঠার ব্যাপারগুলি কেমন যেন অসামঞ্জস্য লাগছিল। এরকম অনেক জায়গায়ই গল্পের সুর কেটেছে। #অতিরিক্ত_ছোট_ছোট_বাক্য_ব্যবহারঃ লেখক বর্ণনা প্রচুর ছোট ছোট বাক্য ব্যবহার করেছেন। দুই শব্দের বাক্য এক শব্দের বাক্য। এমনকি কিছু বাক্য অতিরিক্তও। যেগুলো পড়তে খুবই বিরক্তিকর লাগে। প্রতিটি অনুচ্ছেদের শেষে একাধিক (?) চিহ্ন দিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন ছোট ছোট উত্তর তিনি দিয়েছেন যেগুলো অপ্রয়োজনীয় ছিল। সেগুলো কেবল বই থেকে স্বাস্থবান করতে সাহায্য করেছে। সুন্দৌর্য নষ্ট করেছে। এমন প্রশ্ন ছুড়ে দেয়া, বক্তৃতাকে সুন্দর করে কিন্তু বর্ণনাকে নয়। যেমন, ১৫৪ পৃষ্ঠায়, জালাল চলে গেল কেন? সাভেরাকেও চলে যেতে হবে। পৃথিবী ছেড়ে? কবে? আচ্ছা চলে যাওয়া কখনো সুন্দর হয়? না। হয় না। #রোবটিক_চরিত্র_চিত্রায়নঃ রোবটিক শব্দটা দেখে অবাক হচ্ছেন তো? আচ্ছা বলছি, কালা মিয়া ও ফজিলাতের মেয়ে রুখসানার চরিত্র আমার কাছে রোবটিকই মনে হয়েছে। একটা মেয়ে তার ভাইয়ের এমন অসুস্থতার সময় কিভাবে এতটা নির্লিপ্ত থাকতে পারে? এমনকি তার বাবার মৃত্যুতেও সেই মেয়েটি সামান্যতম বিচলিত হয় না, কষ্ট পায় না। বরং বাবার লাশ দেখতে গ্রামে আসার সময় রাস্তায় বাসে হকারের থেকে সাজুগুজুর জিনিস কিনতে ব্যস্ত হয়ে। আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে, লেখক এমন চরিত্র কোথায় পেলেন? বাঙালি মেয়েরা কবে থেকে এতটা অনুভূতিশূন্য হয়ে গেছে? তাও আবার বাবার প্রতি! যেখানে প্রতিটা মেয়েই থাকে বাবা অন্তপ্রাণ। লেখক লেখাটাকে বেশি বাস্তব করে তুলতে গিয়ে সিনেমাটিক করে তুলেছেন। যেমনটা সিনেমায় দেখেছিলাম রোবটের প্রেম হয়ে গিয়েছিল ঠিক তার উল্টো হল এখানে। #যুক্তিহীন_বাক্য_প্রয়োগঃ লেখক এমন কিছু বাক্য প্রয়োগ করেছেন বইতে যেগুলো পুরোপুরিই যুক্তিহীন। ১। ১২৬ পৃষ্ঠায় আছে, "এত চোখের পানি তবুও দুনিয়ায় পানির অভাব এর কথা কিছু লোকজন কেন বলে কে জানে !" ২। ২৩ পৃষ্ঠায় আছে, "বিয়ের দরকার। বিয়ে ছাড়া থাকা যায়না।" ৩। ১৬৬ পেজটা আছে, "বাসে যেতে যেতে এই সব ডিম ছেলা মানুষগুলোকে অনেক দেখেছে দালাল এরা অনেকটাই অনুভূতি শূন্য হয়।" #প্রচুর_বানান_ভুল_ও_শব্দ_মিসিংঃ বইটা তো প্রচুর বানান ভুল আছে এবং কিছু কিছু বাক্যে শব্দ মিসিং আছে যার কারণে পুরো বাক্যটাই বদলে গিয়েছে। ১৩, ২৪, ১১০,১১১, ১১৩,১৪০,১৭৭ এইসব পৃষ্ঠায় বানান ও বাক্য ভুল আছে। সর্বোপরি আমি বলব, লেখকের শব্দ ভান্ডার আরো সমৃদ্ধ করা প্রয়োজন, বাক্য গঠনে যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন। তবেই লেখা গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠবে। #বিঃদ্রঃ ১। কেউ যদি আমার সাথে একমত না হন, তবে গঠনমূলক সমালোচনা করতে না পারলে আজেবাজে কমেন্ট করবেন না। ২। যারা লেখকের একটি বইও না পড়ে বলেন আমি ওনার ভক্ত তারা এখানে কমেন্ট করবেন না। আবেগে সাহিত্য চলে না। ৩। কেউ এসে বলবেন না সাভেরা নামের বানান ঠিক করুন কারণ লেখক শতবার এই ভাবেই নামটি লিখেছেন।
Was this review helpful to you?
or
এক কথায় ভালো লেগেছে
Was this review helpful to you?
or
বইটি ভাল লাগসে
Was this review helpful to you?
or
Became a fan of কিঙ্কর আহ্সান
Was this review helpful to you?
or
বাস্তবতা ও সমসাময়িক দিক গুলো তুলে ধরা হয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
কেনা হয়েছে এখনো পড়িনি
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নাম: বিবিয়ানা। লেখক: কিঙ্কর আহসান। ক্যাটেগরি : সমকালীন উপন্যাস। প্রকাশনী: অন্বেষা প্রকাশন। --------------------------------------- দুনিয়ায় শেষ বলে কিছু নেই। ক্ষমতাবানের ওপর আছেন আরেক ক্ষমতাবান। এই ক্ষমতার দখলদারিত্ব করতে করতেই জীবনটা শেষ হয়ে আসে। কখনো স্নেহের দখল, কখনো ভালোবাসা, কখনো নিজের মানুষকে আরও নিজের করে নেয়ার দখল! পুকুরে সোনার মোহর ভর্তি কলস উঠে আসার কথা দিয়ে গল্প শুরু। মোহর ভর্তি কলস পেঁচিয়ে ছিলো সাপ। স্বপ্নে সাপ, পাপ- এই লোভ, সাপের ভয় যেন সবটা শেষ করলো। স্বামী কালা মিয়াকে নিয়ে ফজিলাতের আক্ষেপের শেষ নেই। বশ্যতা স্বীকার করে নেবার জন্য প্রস্তুত নারী নীরিহ, গোবেচারা মানুষকে মেনে নিবেই বা কেন! অথচ, কালা মিয়ার এসব নিয়ে কোন মাথাব্যথা নেই। খাওয়া পাগল লোকটার ভাবনা জুড়ে ছোটভাই জালাল। বাব-মা মারা যাবার পর যাকে আগলে রেখে বড় করেছে সে। জালাল আজ বড় অফিসার! উচ্চাশার মোহে বিয়ে করেছে সাভেরাকে। ভীষণ আভিজাত্যের মাঝে বড় হওয়া সাভেরা তাই স্বামীর অতীত, গ্রাম্যজীবন এড়িয়েই চলতে চায়। স্বামীকে অনুগত করে রাখতে চাওয়া মেয়েটারও বুকজুড়ে সংসার করার আকাঙ্খা ছিলো। বারোশো স্কয়ারের একটা ফ্ল্যাটে নিজের স্বামী, ছোট্ট মেয়ে রুপকথাকে নিয়ে অদ্ভূত সুন্দর সংসার করার স্বপ্ন দেখেছিলো সে! সে স্বপ্ন কি আসলেই পূরণ হয়? অহংকারী সাভেরার চোখে কেন জল আসে? জানতে হলে পড়ুন বিবিয়ানা। আপনার চোখেও জল আসবেই।
Was this review helpful to you?
or
বাস্তবতা রয়েছে বইটা তে
Was this review helpful to you?
or
বিবিয়ানা' বলতে ঠিক কী বুঝায় তা আমার জানা নেই।তবে এইটুকু বুঝতে পারি 'বিবিয়ানা' বলতে লেখক বুঝিয়েছেন এই রাজ্যের নারীদের পুরুষদের উপর নিয়ন্ত্রণ! যেনো পুরুষ হলো তাদের দাস কিংবা এই সময়ের বলা রোবট।মানুষ বিয়ে করলেই স্ত্রীর কাছে জীবন সঁপে দেয়!স্ত্রীই সব!সবকিছুই স্ত্রীরই নিয়ন্ত্রিত। বাবা মারা গেলে আদরের ছেলেটা বড় হয়ে যায়।মনে হয় বয়সটা আরো দশ বছর বেড়ে গেলো।দশ বছর? নাকি আরো বেশি? গুজবে গুজবে জীবন ছারখার। এই আধুনিক যুগেও গুজবে ছড়াছড়ি।এখনও যে মানুষ গুজব বিশ্বাস করে তা খুব সুন্দর ভাবেই ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক।একসময় গ্রামের মানুষ মুর্খ ছিল।সময়ের অগ্রগতির ফলে গ্রাম্য মানুষ শিক্ষিত হচ্ছে।কিন্তু, গ্রাম্য মানুষ যতই শিক্ষিত হোক না কেন তারা কুসংস্কারে বিশ্বাসী।অলৌকিক বিষয়ে তাদের আগ্রহও অধিক বেশি এই দিকগুলো 'বিবিয়ানা'য় উল্লেখযোগ্য।
Was this review helpful to you?
or
প্রচ্ছদ অসাধারণ লেগেছে।বইয়ের পাতা গুলো ভারি ধরনের। উপন্যাসটি সত্যিকার ভাবেই সাধারণ জীবনের জটিলতার গল্প।বইটি মোটামুটিরকম লেগেছে আমার কাছে।লেখকের লেখার ধরণ ভালো। শুভ কামনা।
Was this review helpful to you?
or
এক কথায় বলতে গেলে চিত্তাকর্ষক বই। ১৮৪পৃষ্ঠার প্রতিটা পাতায় ডুবে ছিলাম৷ হারিয়ে গিয়েছিলাম গল্পের মাঝে। প্রথমদিকে বইয়ের প্রতিটি চরিত্রকে নির্মম,নিষ্ঠুর, ভালোবাসাহীন, স্বার্থপর মনে হয়েছিল (কালা মিয়া ব্যতীত)। কিন্তু আস্তে আস্তে প্রতিটি চরিত্রের স্বার্থপরতা কেটে তাদের হৃদয়ের উজার করা ভালোবাসা ফুটে উঠেছে। শুরুর দিকে সাভেরাকে একদম পছন্দ হয়নি কিস্তু শেষদিকে সেই সাভেরা এতটাই মুগ্ধ করে ফেলেছে যে,সাভেরা যখন কাঁদছিলো তখন আমার বুকের ভেতরেটাও হুহু করে কেঁদেছে। সাভেরার হাহাকার,অপ্রাপ্তি, ভালোবাসা সবকিছু কখন জানি আমার হৃদয়ে এসে মিশে গেছে। সব মিলিয়ে শুধুই মুগ্ধতা। পুনশ্চঃ প্রতিটা বই পড়ার পরে কিছু মুগ্ধকর লাইন বইয়ের ছবির সাথে লিখে রাখি। যাতে পরবর্তীতে প্রিয় লাইনগুলো আবার পড়তে সুবিধা হয়৷ কিন্তু এই বইতে আমার অজস্র প্রিয় লাইন, এতো লাইন আমি কোথায় লিখবো? ফেসবুক ওয়ালে কি এত জায়গা হবে? তবুও কিছু লাইন লিখে রাখতেই হবে। মুগ্ধতাঃ ★খারাপ মানুষরা নাকি রাতে ঘুমাতে পারে না পাপের জন্য।ডাহা মিথ্যা কথা।ফজিলাত ছেলের জন্য ঘুমায় না।রোখসানা সবুজের পেশি,সুঠাম দেহের কথা ভেবে ঘুমায় না। জালাল সাভেরার জন্য ক্ষোভ বুকে পুষে ঘুমায় না।সাভেরা জালালের কিছু না বলে বাইরে থাকার কারণ নিয়ে ভাবতে ভাবতে ঘুমায় না কিন্তু কালাম তো ঘুমায়।শান্তির ঘুম! খুব বেশি খারাপ মানুষরাই ভালো থাকে পৃথিবীতে। এটাই নিয়ম। ★মেযেরা কী অদ্ভুত তাই না? কখনো কখনো পৃথিবীর চেয়েও সংসারটা তাদের কাছে আকারে বড় হয় ওঠে। ওটাই যেন সুবিশাল মহাবিশ্ব। এই মমতা, মায়া কই হতে আসে?
Was this review helpful to you?
or
কিঙ্কর আহসানের সাথে পরিচয় এই বইয়ের মাধ্যমেই। নতুন লেখক হিসেবে উনি বইমেলায় বেশ আলোড়ল তৈরী করেন, যেকারণেই বইটি পড়া। মোটামুটি উপভোগ্য ছিল। আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার কিছুটা দৃষ্টিকটু লেগেছে কেন জানি। তবে লেখকের কাছে প্রত্যাশা রইল সামনে আরো ভাল কিছু উপহার দেওয়ার। শুভ কামনা রইল।
Was this review helpful to you?
or
গল্পটা জালাল আর সাভেরার। ছোট বেলায় বাবা-মা মারা যায় জালালের।বড় ভাই কালা মিয়া অনেক কষ্টে তাকে ইঞ্জিনিয়ার বানায়।কালামিয়ার নিজের জীবন সংসার সব কিছুর উপরে জালাল। গল্প এগুতে থাকে জালাল আর সাভেরা কে নিয়ে,জালালের অসম্ভব ভদ্রতা,যৌবনের প্রথম প্রেম সব উঠে আসে গল্পে। আর ঐদিকে সমান্তরালে চলতে থাকে কালামিয়া- ফজিলত এবং তাদের দুই সন্তান সৈকত ও রোখসানার গল্প। ফজিলত চায় তার ছেলেকেও জালালের মত বড় করে তুলবে, জালারের নিমকহারামির যোগ্য জবাব দিবে। একই সাথে উঠে আসে আরো একটা বিষয় জালাল আর কালামিয়ার ভ্রাতৃপ্রেমে,পুরানো দিনের স্মৃতি। গল্প এগোতে থাকে, মাঝ পথে নতুন বাঁক নেয়। সর্বপুরি ভালো লেগেছে আঞ্চলিক সংলাপ কে পুরোপুরি আঞ্চলিক করে জটিলতা তৈরি করেনি। আর একদম শেষে এসে নামকরণের সার্থকতা খুঁজে পাওয়া যায়।
Was this review helpful to you?
or
ফালতু বই
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামঃবিবিয়ানা লেখকঃকিঙ্কর আহসান্ প্রকাশনীঃঅন্বেষা প্রকাশনী মূল্যঃ৩৪০টাকা কিঙ্কর আহসানের লেখা "বিবিয়ানা" ছোট ছোট বাক্যে রচিত বর্ণনা নির্ভর এক অসাধারণ উপন্যাস।উপন্যাসটিতে দুটি ভিন্ন সামাজিক শ্রেণীর দুজন স্ত্রীর নিজেদের স্বামী-পরিবারকে আকড়ে ধরে রাখা, নিজেদের কর্তৃত্ব বজায় রাখা, তাদের প্রতি আবেগ-ভালোবাসার গল্প ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।বাবা-মা মারা যাওয়ার পর ছোট ভাই জালালের সকল দায়িত্ব পালন করে বড় ভাই কালা মিয়া। নিজে ক্ষেতে-খামারে কাজ করে, ছোট ভাইকে শিক্ষিত করে। জালাল বড় অফিসার হয়। ভাইকে না জানিয়েই অভিজাত শ্রেণির এক মেয়েকে বিয়ে করে। তারপর থেকে ঘটতে থাকা নানা ঘটনা প্রবাহ। পুরো গল্প জুড়েই দুঃখ দুঃখ ভাবটা রয়ে যায়।এই গল্প হয়ত কালা মিয়ার কিংবা জালালের। তবে তার থেকে অনেক বেশি ফজিলাত ও সাভেরার। চরিত্রগুলো প্রথমে যেমন দেখানো হলো ধীরে ধীরে তা যেন আরো শক্তিশালী হয়ে উঠল । ঘটনাপ্রবাহ চরিত্রগুলোর সাথে গম্ভীরভাবে সংযোজন হচ্ছিল। কিছু কিছু জায়গায় মনে হয়েছে লেখক জোর করে আবেগ ঢুকিয়ে দিয়েছেন। পুরো গল্প জুড়েই তাদের 'বিবিয়ানা' অটুট থেকেছে।ছোট ছোট বাক্যে ভিন্ন এক বিষাদমাখা ধাচে পুরো উপন্যাসটি লেখা। মুগ্ধ হয়েছি।
Was this review helpful to you?
or
বইটি পড়ে ভালো লেগেছে। সমকালীন উপন্যাসের মধ্য এই বইটি খুবই ভালো । লেখকের অন্যান্য বইও ভালো। কাউকে গিফট করার জন্য বইটি ভালো উপযোগী।
Was this review helpful to you?
or
বাস্তবতা সম্পন্ন একটি বই।অসাধারণ লেখনী। আশা করি সকলের বইটি পড়ে ভালো লাগবে এবং লেখকে ধন্যবাদ এত সুন্দর করে বইটি লেখার জন্য
Was this review helpful to you?
or
মধ্যবিত্ত জীবনের একটা অংশ তুলে ধরেছেন লেখক বইতে,কিন্তু সেটা হয়ে গেছে কিছুটা খাপছাড়া। গল্পের প্লট আমার কাছে কিছুটা দুর্বল মনে হয়েছে। হয়তো লেখক যা বলতে চেয়েছেন সেটা পু্রোপুরি ফুটিয়ে তুলতে পারেন নি। একটা অধ্যায়ের পরে আর একটা অধ্যায়ের সংযোগে আরও যত্নবান হওয়া দরকার ছিলো। বেশ কয়েক জায়গায় একটা অধ্যায় শেষ করার পর আর একটা অধ্যায় শুরু করতে গিয়ে মনে হয়েছে হয়তো অন্য একটা বইয়ের অংশ পড়ছি। চরিত্রগুলো সেভাবে মনে দাগ কাটতে পারেনি,কারোর মৃত্যুতে যেখানে খারাপ লাগার কথা,সেখানে বরং বিরক্তি এসেছে। হয়তো কাহিনি বর্ণনা বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠেনি তার জন্য। বইতে গ্রাম্য কিছু কুসংস্কারের বিষয় পেয়েছি,সেগুলো সস্পর্কে লেখক স্পষ্ট কিছু বলেন নি,আসলেই কুসংস্কার নাকি সত্যি? । বার বার সাপের বিষয়টা এনেছেন,অথচ সেটা নিছক কল্পনা নাকি সত্যি,সেটা পাঠককে নিজে থেকেই ভেবে নিতে হবে বোধহয়।
Was this review helpful to you?
or
সরল-সুন্দর লেখা। একই লেখায় বেশ কয়েকটা শ্রেণীর গল্প বলে গিয়েছেন লেখক। এবং উপন্যাসের কোথায় সূতাে কেটে গেছে এমন মনে হয় নি, সাবলীল বর্ণনা। কিঙ্কর আহসানের লেখার মধ্যে কেমন একটা দুঃখ দুঃখ ভাব আছে, বিবিয়ানাতেও ব্যাপারটা ভালই বােঝা গেছে। তবে কয়েক জায়গায় মনে হলাে তাড়াহুড়াে করা হয়েছে। ছাপানাের আগে। 'ছাপাখানার ভূত' এর আধিপত্য দেখলাম। ভালই।
Was this review helpful to you?
or
এমন একটা বই রকুমারিতে রাখার জন্য ধন্যবাদ
Was this review helpful to you?
or
ফালতু
Was this review helpful to you?
or
কিঙ্কর আহ্সানের লেখা ভাল লাগে।
Was this review helpful to you?
or
মোটামুটি ভালো লেগেছে। বেশী আগ্রহ নিয়ে পড়েছিলাম, এ জন্য আরো হভে আশা করেছিলাম।
Was this review helpful to you?
or
বইটি পড়েছি, লেখকের পড়া আমার প্রথম বই।ভাগ্য হয়তো বেশিই ভালো ছিলো। লেখকের অটোগ্রাফ ও পেয়ে গেছি। বইয়ের প্রথম দিকের চেয়ে শেষ দিকটা কিছুটা অগোছালো মনে হয়েছে।তবুও পাঁচ স্টার দিচ্ছি, কেননা,সামগ্রিকভাবে বইটি আমার খুব ভালো লেগেছে, এমন আরো বই আমাদের উপহার দিয়ে যাবেন আশা করি, লেখকের জন্য শুভকামনা রইলো ।
Was this review helpful to you?
or
CHOROM BASTOBOTA
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার একটি বই । রোমান্টিক প্রিয় পাঠকরা আশাকরি পছন্দ করবে ।
Was this review helpful to you?
or
কভারটা অসাধারণ! গল্পটা এভারেজ, বর্ণনাটাও সাবলিল...
Was this review helpful to you?
or
বুক রিভিউ বইয়ের নামঃ বিবিয়ানা লেখকের নামঃ কিঙ্কর আহ্সান বইয়ের ধরনঃ সমকালিন উপন্যাস প্রচ্ছদঃ রহমান আজাদ প্রকাশনীর নামঃ অন্বেষা প্রকাশন পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১৮৪ ISBN: 978 984 435 023 6 মুদ্রিত মুল্যঃ ৪০০ টাকা। পুকুরে মাছ ধরতে গিয়ে সোনা ভর্তি কলস পাওয়া বা ডেগ পাওয়া, সোনার কলসি নিয়ে গ্রামের মানুষদের মধ্যে হানাহানিএমনকি খুন পর্যন্ত হয়ে যেত।। এইসব কিছুই গ্রাম বাংলার চিত্র। যদিও বর্তমানকালে এইসব আর তেমনটা দেখা যায় না। এই রকম মুখরোচক অনেক গল্পই আমার আমাদের দাদা/দাদি বা নানা/নানী মুখ থেকে অনেক শুনেছি। তেমনই কালা মিয়া পুকুরে ওযু করতে গিয়ে দেখেন সোনা ভর্তি একটি কলস ভেসে ওঠে। কলসির গলায় ছোট ছোট সরু সরু বিষাক্ত শাপ পেচিঁয়ে আছে। কালা মিয়া তা দেখে জ্ঞান হারায়। স্ত্রী ফজিলাতের চোখে সে বাতিল মানুষ। দুই ছেলে মেয়েও ঠিক মত বাবাকে সম্মান দিতে শিখেনি। মা বাবা মারা যাবার পর কালা মিয়ার একমাত্র ছোট ভাই জালাকে পড়াশুনার দায়িত্ব তিনিই পালন করেন। নিজের জীবনে ঠিকমত দুমুঠো ডাল ভাতের ব্যবস্থা না থাকলে ও ভাইয়ের পড়াশুনার জন্য কালা মিয়ার চেষ্টার ঘাটতি ছিলনা। তাই জালাল এখন বড় চাকরীজীবী। কালা মিয়ার স্ত্রী ফজিলাতের ও ইচ্ছা তার আদরের ছেলেকে চাচার মত উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করা। জালাল উচ্চ পদের চাকরীরর সুবাদে অফিসের বসের মেয়ে সাবেরা বিয়ের প্রস্তাব পান। সাবেরা ও তার বাবার এমন এক জন ছেলেকে পছন্দ যে কিনা সাবেরারসকল চাওয়া পাওয়াকে পূর্ণতা দিতে পারে। ফলে উপন্যাসটি যেমন একটি গ্রামীন চিত্র ফুটে উঠেছে, তেমনি শহরের একটি খন্ড চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন লেখক। এই শহুরে প্রভাব মানুষের জীবনে কিভাবে প্রভাব বিস্তার করে। মানুষ যত বড়ই হোক না কেন সে তার শিকর কি ভুলে, এবং এই শহুরে প্রভাব জালাল ও কালামিয়ার মধ্যে ভাই যে বন্ধন, তসে বন্ধন কি আরো পোক্ত হয় নাকি দুরে ঠেলে দেয়, এমনটাই তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন লেখক। বিবিয়ানা উপন্যাসটি একটি বর্ণনামুলক উপন্যাস। তবে লেখক মাঝে এমন কিছু বর্ণনা নিয়ে এসছে যা আমার কাছে মনে হয়েছে এগুলো না হলেই ভাল হত। কেননা এতে করে প্রায় একটি কথা বারবার ঘুরে ফিরে চলে এসেছে। যা বইটি পড়তে গিয়ে সামান্য বিরক্তই হয়েছি। মোহরভর্তি কলসি, কলসির প্রতি গ্রামের প্রভাবশালী মানুষদের লোভ, অভিশাপের ভয়, মসজিদের ইমাম, চেয়ারম্যান, আবদু ডাকাত এই চরিত্র গুলোর মাধ্যমে লেখক গ্রামীন চিত্র খুব ভাল ভাবেই ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন। তবে বাকি চরিত্র গুলো ফুটিয়ে তোলার বিষয়ে লেখক আমার মতে খুব একটা দক্ষতার পরিচয় দিতে পারেন নি। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় ছিল বানানে ভুল যে দিকে লেখকের আরো দৃষ্টি দেয়া উচিত ছিল বলে মনে হয়। তবে বইটি প্রচ্ছদ সম্পর্কে কিছু বলতেই হয়, এক কথায় প্রচ্ছদটি অসাধারণ। আমার মনে হয় অনেকে বইটির প্রচ্ছদ সংগ্রহ করেছেন। শিল্পী রহমান আজাদ অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার এবং লেখকের জন্য অনেক শুভ কামনা রইল।
Was this review helpful to you?
or
লেখকের খুব নাম ডাক শুনে বইটা পড়েছিলাম৷ প্রচার অনুয়ায়ী বইটা তেমন ভালো লাগেনি৷ সে আগ্রহ নিয়ে বইটি পড়তে শুরু করেছিলাম বইয়ের শেষে সে আগ্রহ জলে ডুব দিয়েছে৷ মনে হয়েছে লেখক বইটি টেনে বড় করেছেন৷ বইটি আরেকটু সংক্ষীপ্ত হলে ভালো হতো৷ তবে লেখকের খাবারের বর্ণনাগুলো খুউব লোভনীয়৷ জিহ্বে পানি এসে যায়৷ নবীন লেখক হিসেবে লেখকের শুভ কামনা করছি৷
Was this review helpful to you?
or
বিবিয়ানা রিভিউ সন্ধ্যা নেমে এসেছে । পুকুরের মাঝ থেকে উঠে এসেছে সোনার মোহর ভর্তি কলস । কলসের গলা পেঁচিয়ে আছে বিষধর সাপ। এ দেখেই অজ্ঞান হয় কালামিয়া। গ্রামের সহজ সাধারণ মানুষ সে। তার স্ত্রীর কাছে সে ভোঁতা পুরুষ । এই মোহরের লোভেই শুরু হয় নানা ষড়যন্ত্র । কালামিয়ার ছোট ভাই জালাল । কালামিয়া যাকে অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করিয়ে ইঞ্জিনিয়ার বানিয়েছেন। সে পড়াশোনা করে থিতু হয়েছে ঢাকায়। গ্রামের গন্ধ মুছে ফেলতে সে বিয়ে করে প্রতিপত্তিশালী বাবার মেয়ে সাভেরা কে । সাভেরার চাওয়া ছিলো হাতের মুঠোয় থাকা একজন স্বামী । জালাল উঁচু বংশে বিয়ে করেছিলো শহুরে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য । এক রকমের সমঝোতাই ছিলো তাদের বিয়ে। কিন্তু সমঝোতার মাঝেও কি জন্ম নেয় ভালোবাসা? নাকি জালালের মনে ছিলো অন্য কারো বসবাস ? মোহরের অভিশাপে কালামিয়ার সংসারে নামে অশান্তির ঝড়। জালাল সাভেরার সমঝোতার মাঝে সৃষ্টি হতে চাওয়া ভালোবাসার মাঝে আসে নতুন বাঁক। এসব নিয়েই পুড়ে যাওয়া জীবনের গল্প বিবিয়ানা । পাঠ প্রতিক্রিয়া উপন্যাসে লেখক বর্ণনাভঙ্গিকে গুরুত্ব দিয়েছেন বেশি। পুরো উপন্যাস জুড়েই গ্রাম ও শহরের সুখপাঠ্য বর্ণনা। গ্রাম ও শহর উভয় জীবনের প্রতিচ্ছবিই বর্ণনা করেছেন সাবলীল ভাবে । প্রতিটা অনুচ্ছেদ শুরু করেছেন ভিন্ন ভিন্ন ছবি, শিরোনাম এবং তার নিচে একটি লাইন দিয়ে ।কিছু কিছু অনুচ্ছেদের নাম ও শুরু হওয়া লাইনের সূত্রপাত বোঝা যায় না। গল্পে দুর্বলতা ছিলো বিশেষ করে শেষের দিকে ছিলো প্রচুর অসঙ্গতি এবং চরিত্র গুলোর অসঙ্গতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। চরিত্রগুলো আচরণ একেক সময়ে একেক রকম মনে হয়েছে যা গল্পের স্বাভাবিক ধারাবাহিকতা নষ্ট করেছে। কিছু কিছু চরিত্র ছিলো মন ছোঁয়ার মতো। আবার কিছু চরিত্রের কাহিনীতে বিরক্তি এসে গেছে । পুরো বই জুড়ে অনেক বানান ভুল, বিরাম চিহ্নের ভুল ব্যবহার বাক্য গঠনের ভুল। এমনকি ফ্ল্যাপের লেখাতেও বানান ভুল রয়েছে । বইয়ের প্রচ্ছদ খুব সুন্দর লেগেছে আর বাধাই ও সুন্দর একদম ঝা চকচকে । তবে চরিত্রের গাঁথুনি আরো ভালো হলে গল্পের বাস্তবতা আরো সুন্দর ভাবে ফুটে উঠতো। লেখকের জন্য শুভকামনা ।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_এপ্রিল ভর সন্ধ্যা। কালা মিয়া পুকুর ঘাটে ওজু করতে গিয়ে দেখে পুকুরের পানির ভেতর থেকে একটা মোহরভরা কলসি উঠে আসছে, কলসির গলা পেঁচিয়ে আছে সরু সরু সুতার মতো কালো সাপ! ভয়ে অজ্ঞান হয়ে গেলো কালা মিয়া। কালা মিয়া গ্রামের সরল নিরীহ গৃহস্থ, চাষবাস করে, গরু পালে। অভাবের সংসারে স্ত্রী ফজিলাতের চোখে সে বাতিল মানুষ। দুই ছেলে-মেয়েও তাই বাপকে ঠিক সম্মান দিতে শেখেনি। কালা মিয়ার দুর্বলতা একটাই, তার ছোট ভাই জালাল। কম বয়সে মা-বাবা মারা যাওয়ার পর কালা মিয়াই সংসারের হাল ধরে। ভাইটি মেধাবী ছিল, তাই নিজের সন্তানের মতো বুক আগলে তাকে লেখা পড়া করিয়েছে। জালাল ঢাকায় থাকে, পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। গা থেকে আঁশটে মাটির গেঁয়ো গন্ধ মুছে ফেলতে বিয়ে করে শহরের প্রতিপত্তিশীল ব্যক্তির মেয়ে সাভেরাকে। বিয়েটা অনেকটা সমঝোতাই বলা চলে। সাভেরা আর তার বাবা চেয়েছিল হাতের মুঠোয় থাকা একজনকে আর জালাল চেয়েছিল শহুরে পরবর্তী প্রজন্ম। হিসেব কষা এই সম্পর্কের মধ্যেও কি গজাতে পারে ভালোবাসার শেকড়? নাকি সামাজিক ব্যবধান উলটো দূরে ঠেলে দিল দু'ভাইকে? মোহরের অভিশাপ কালা মিয়ার সংসারে নামালো অশান্তির ঝড়। এসব কিছু নিয়েই পুড়ে যাওয়া জীবনের গল্প 'বিবিয়ানা'। পাঠপ্রতিক্রিয়া: 'বিবিয়ানা' জুড়ে আছে গ্রাম এবং শহুরে জীবনের চিত্র। গ্রামের মসজিদ, পুকুরঘাট, মাছ ধরার গ্রাম্যমেলা ইত্যাদির বর্ণনা পড়তে ভালো লাগে। পুকুরে ভেসে ওঠা মোহর ভর্তি কলসির প্রতি মানুষের লোভ, অভিশাপের ভয়, এবং মসজিদের ঈমাম, চেয়ারম্যান, আবদু ডাকাইত প্রমুখ চরিত্রগুলোও ছিল গ্রামীণ জীবনের প্রতিচ্ছবি। কিঙ্কর আহসানের লেখনী গতানুগতিক ধারা থেকে ভিন্ন। তিনি সংলাপের চেয়ে বর্ণনায় বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন। বর্ণনাগুলো দীর্ঘ নয়, ছোট ছোট বাক্য গঠন ও সহজ শব্দ ব্যবহার করায় একঘেয়েমী আসে না। বর্ণনার মাঝে মাঝে তিনি ভাববাচ্য ব্যবহার করেছেন। হঠাৎ পড়তে একটু অসুবিধা হলেও নতুন ধরণের লেখার জন্য লেখককে সাধুবাদ জানানো যায়। গল্পে কিছু কিছু বর্ণনা চমৎকার ছিল। বিভিন্ন খাবারের বর্ণনা একেবারে জিভে পানি আনায়। খুব সাধারণ ডাল বা আলু ভর্তাও গরম ভাতে মেখে খেতে ইচ্ছে করবে। গভীর অন্ধকার রাতকে 'গুঁড়ো গুঁড়ো অন্ধকার' বা বজ্রপাতকে 'আকাশ থেকে কে যেন টর্চ জ্বালিয়ে কি খুঁজছে' উল্লেখ করা সুন্দর ছিল। লেখকের ভিন্নধারার লেখা কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি করেছে। জায়গায় জায়গায় আঞ্চলিক শব্দ ব্যবহার করে আবার ব্র্যাকেটে তার অর্থ বলে দেওয়ার দরকার ছিল না। ত্যানা, হাউস, পাকঘর শব্দগুলো পাঠক মাত্রই জানেন। ওই'কে 'অই' লেখাটা একেবারেই ভালো লাগেনি। বইয়ের পাতায় ভাবপ্রকাশের খাতিরেও 'লম্বাআআআ' লেখাটা দৃষ্টিকটু। চরিত্রগুলো কথা বলা শুরু করছিলো চলিত ভাষায়, বাক্য শেষ করছিলো শুদ্ধভাবে। একই ব্যক্তিকে কখনো তুমি কখনো আপনি বলে সম্বোধন করা হয়েছে। এগুলো লেখনীকে সুখপাঠ্য না করে ধারাবাহিকতা নষ্ট করেছে। প্রতিটি পরিচ্ছেদ শুরু করা হয়েছে ছোট ছোট শিরোনাম এবং এরপরে একটি পাঞ্চ লাইন দিয়ে। মাঝেমধ্যে বাক্যগুলোর সুত্রপাত বোঝা যায় না। অধ্যায়ের মাঝখানেও হঠাৎই এভাবে বাক্য ব্যবহার করেছেন লেখক। গল্পে মূল সমস্যা সৃষ্টি করেছে চরিত্রগুলোর অসঙ্গতি। জালাল স্ত্রীকে ঘৃণা করে, ভালোবাসতে পারে না, অন্য নারীর প্রতি তার মোহও রয়েছে। সাভেরা যখন ডাক্তারের চেম্বার থেকে ফেরার পথে কাঁদছে তখনও সে ভেবে যায় মল্লিকার কথা। সেই জালালই সাভেরার সাথে বিচ্ছেদের কষ্টে আত্মহত্যার চিন্তা করা যুক্তিযুক্ত মনে হয়নি। ফজিলাত প্রথম থেকেই স্বামীকে অপ্রয়োজনীয় মনে করে, অসুস্থ স্বামীকে গভীর রাতে পুকুরে জাল ফেলতে পাঠায়, সেই স্ত্রী কেন শেষের দিকে স্বামীর প্রতি এতোটা আকুলতা প্রকাশ করে তার যুক্তিসঙ্গত ব্যাখা নেই। চরিত্রের একই রূপবদল ছিল সাভেরার মধ্যেও। কালা মিয়ার মধ্যে দেখানো হয়েছে ছোট ভাইয়ের প্রতি মমতা, কিন্তু সন্তানদের জন্য তার তেমন অনুভূতি নেই। কেবল গল্পের শেষাংশে অসুস্থ ছেলেকে দেখতে চাওয়া ছাড়া বাকি পুরো সময়ই কালা মিয়া নিজের ভোজনরস এবং শরীর নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। রোখসানার চরিত্রটি একটু বেশিই অনুভূতি শুন্য ছিলো। ভাইয়ের চরম বিপদে বা বাপের মৃত্যুতেও তার কিছুই আসে যায় না। লেখক তাঁর সৃষ্ট চরিত্রগুলোতে মানবিক গুণাবলি ঠিকমতো ফুটিয়ে তুলতে পারেননি আমার মনে হয়েছে। গল্পে ভালো লাগার মতো চরিত্র হিসেবে কালা মিয়া আর সাভেরাকে বলা যায়। এদের চরিত্র দুটো কিছুটা হলেও মন ছুঁতে পারবে। বইয়ের মুদ্রণে ছিল প্রচন্ড অযত্নের ছাপ। ফ্ল্যাপে লেখা অংশ থেকে শুরু করে পুরো বইয়ে বানান, যতিচিহ্ন, বাক্যগঠনে অসংখ্য ভুল। কোথাও এক চরিত্রের জায়গায় অন্য চরিত্রের নাম বসানো হয়েছে। ঝকঝকে বাইন্ডিং আর ভারি পাতার বইটির প্রচ্ছদ খুবই সুন্দর, এরজন্য প্রচ্ছদশিল্পী রহমান আজাদকে ধন্যবাদ। বইয়ের নামকরণও গল্পের জন্য মানানসই। লেখককে ধন্যবাদ 'বিবিয়ানা'র জন্য। গল্পের পাতায় পাতায় তিনি যে জীবনের বাস্তবতা তুলে আনতে চেয়েছেন, তা পাঠকের জন্য অনেক বেশী হৃদয়গ্রাহী হওয়া সম্ভব ছিল, যদি চরিত্রের গাঁথুনি আরো শক্ত হতো।
Was this review helpful to you?
or
#বই - বিবিয়ানা #লেখক - কিঙ্কর আহসান 'বিবিয়ানা' শব্দের প্রচলিত অর্থটি চেতনে - অবচেতনে এমনভাবে বিরাজমান যে নাম শুনেই উপন্যাসের মূল উপজীব্য বিষয় সম্পর্কে ধারণা করতে সক্ষম হয়েছিলাম।পড়তে শুরু করলাম ও গল্প সুন্দর গতিতে এগোতে থাকলো।আমিও এগোতে থাকলাম গল্পের ভুবনে, চরিত্রদের হাত ধরে। কারোর প্রতি ভালবাসা, মমতা ও সহমর্মিতা জন্ম নিল, আবার কারোর প্রতি হয়তো একটু বীতরাগ হলাম।কিন্তু প্রত্যেকের সাথেই একটা আত্মীয়তা অনুভব করলাম।উপলব্ধি করলাম এরা সবাই আমার খুব চেনা।প্রাত্যহিক জীবনে এদের সাথে আমাদের ওঠা বসা। নারী চরিত্র চিত্রনে লেখক যে মুনসিয়ানা দেখিয়েছেন, তা এক কথায় অনবদ্য।লেখক বা যে কোন প্রকৃত শিল্পীই opposite sex এর psychology অনুধাবন করার ক্ষমতা রাখেন। বিভিন্ন বয়সের এবং সামাজিক অবস্থানের নারী চরিত্রগুলিকে লেখক অত্যন্ত দক্ষতার সাথে মূর্ত করেছেন। তাদের নির্মম হতে দেখলাম, তাদের উদাসীনতা দেখলাম, কখনো মনে হলো তারা স্বার্থপর, অনুভূতিহীন - কিন্তু শেষে তাদের দুর্বল জায়গা গুলো পাঠকের কাছে স্পষ্ট হয়।পাঠক বুঝতে পারে যে তাদের প্রিয় মানুষগুলির জন্য তারা সব কিছু করতে প্রস্তুত।আর এখানেই সার্থক তাদের বিবিয়ানা।জীবন যুদ্ধে ক্লান্ত, বিধ্বস্ত ফজিলাত বিবির একমাত্র চাওয়া তার সন্তানদের ভবিষ্যৎ জীবনের সুখ ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা।জাগতিক হিসাব নিকাশ বুঝতে অপারগ কালা মিয়ার প্রতি তার অভিযোগের পাহাড় জমা আছে।সাভেরা চরিত্রটি উপন্যাসের শুরুতে পাঠকের কাছে উপস্থাপিত হয়েছে বিলাসী বিবি রূপে।আত্মমগ্ন, আত্মকেন্দ্রিক সাভেরা ও তার স্বামী জালাল - দুজন দুটি সমান্তরাল রেখা মাত্র।রোখসানা তার বয়ঃসন্ধিকালীন স্বার্থপরতা ও নিষ্ঠুরতা নিয়ে বিবি হয়ে ওঠার জন্য অপেক্ষমান।উপন্যাসের শেষে এই বিবিরাই ভেঙেচুরে অন্য মানুষ হয়ে ওঠে এবং পাঠকের সহানুভূতি আদায় করে নেয়। এবার আসি পুরুষ চরিত্রদের প্রসঙ্গে। আপাত সরল, খাওয়া পাগল কালা মিয়া মনের মধ্যে অজস্র কাটা ছেঁড়া, জটিলতা নিয়ে জীবন যাপন করে।আসলে সে একটু ভালোবাসার কাঙাল।জাগতিক লাভ লোকসানের ব্যাপারে উদাসীন লোকটা সংসারে উপেক্ষিত থেকে যায়। সন্তানরা তাকে গণনার মধ্যে রাখে না। স্ত্রীর কাছেও সে একটি উপদ্রব মাত্র।লেখক যথার্থই বলেছেন যে মেয়েরা এমন পুরুষের বশ্যতা স্বীকার করে না।ভাই জালালের জন্য এক বুক মায়া ও ভালোবাসা নিয়ে অপেক্ষা করে থাকে কালা মিয়া।কোন একদিন জালাল ফিরবে, তাকে ভরিয়ে দেবে মখমলি মাফলারের উষ্ণতায়।অন্য দিকে জালাল ও ব্যর্থ হয় সাভেরার রক্ত মাংসের শরীর কে অতিক্রম করে তার নারী হৃদয়টিকে স্পর্শ করতে।হতাশা ও অসহায়তা নিয়ে ছুটে যায় মল্লিকার কাছে, কিন্তু মুখোমুখি দাঁড়িয়ে মল্লিকার মধ্যে প্রত্যক্ষ করে সাভেরাকে যে কিনা তার কাছে চিরকাল অধরা। সামাজিক জীবনের বেশ কিছু দিক লেখক তুলে ধরতে চেয়েছেন অন্য চরিত্র গুলির মাধ্যমে।চেয়ারম্যানের কার্যকলাপের মধ্যে দেখা যায় ক্ষমতাবান মানুষের শোষণের মনবৃত্তি যা জগতের চিরকালের নিয়ম।সবুজ চরিত্রটিও আমাদের পরিচিত গ্রাম্য যুবকের ধারনার সাথে বেশ মিলে যায়।স্বল্প পরিসরে পেলেও মন ছুঁয়ে যায় আবদু ডাকাতের চরিত্রটি।অপরাধী, সমাজ বিরোধী তকমা প্রাপ্ত লোকটির মানবিক গুণগুলি সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়নি।কালাম পরজীবি শ্রেণীর লোক যে কিনা সমাজের অর্থবান ও ক্ষমতাবান লোকদের ছত্রছায়ায় থেকে নিজের আখের গুছিয়ে কোন রকমে ভালো থাকতে চায়। 'বিবিয়ানা' নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকল মানুষের জীবনের গল্প।জীবন চলতে চলতে এক সময় ফুরিয়ে যায়।কিন্তু ফুরায় না মানুষের মায়া,মমতা, ভালোবাসা।বাকী থেকে যায় অনেক কথা যা কোন দিন বলা হয়ে ওঠে না। সাভেরার অন্তরের কথা জালালের শোনা হয় না কোনদিন। ফজিলাতের ভালোবাসা উপলব্ধি করা হয় না কালা মিয়ার।জালাল তার ভাইকে দিতে পারে না মখমলি মাফলারের স্পর্শ।এই সব 'না হওয়া' র কাহিনী নিয়ে শেষ হয় 'বিবিয়ানা'।রেখে যায় এক বিষাদের সুর। এই বিষণ্ণতা সৃষ্টিতেই লেখকের কৃতিত্ব ।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_মার্চ অনেকদিন পর মনে হলো বর্ণনানির্ভর একটি উপন্যাস পড়েছি। বর্তমানে যারা উপন্যাস লিখছেন তারা বর্ণনার অংশ এতটাই কমিয়ে দিচ্ছেন যে, উপন্যাস না বলে সেগুলোকে নাটক বললেই বোধ হয় ভালো হতো। কিঙ্কর আহসানের লেখা "বিবিয়ানা" ছোট ছোট বাক্যে রচিত বর্ণনা নির্ভর এক উপন্যাস। সংলাপ থেকে বর্ণনা'কেই উপন্যাসে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। "বিবিয়ানা" দু'টি ভিন্ন সামাজিক শ্রেণীর দুজন স্ত্রীর নিজেদের স্বামী-পরিবারকে আকড়ে ধরে রাখা, নিজেদের কর্তৃত্ব বজায় রাখা, তাদের প্রতি আবেগ-ভালোবাসার গল্প। বাবা-মা মারা যাওয়ার পর ছোট ভাই জালালের সকল দায়িত্ব পালন করে বড় ভাই কালা মিয়া। নিজে ক্ষেতে-খামারে কাজ করে, ছোট ভাইকে শিক্ষিত করে। জালাল বড় অফিসার হয়। ভাইকে না জানিয়েই অভিজাত শ্রেণির এক মেয়েকে বিয়ে করে। তারপর থেকে ঘটতে থাকা নানা ঘটনা প্রবাহ। পুরো গল্প জুড়েই দুঃখ দুঃখ ভাবটা রয়ে যায়। এই গল্প হয়ত কালা মিয়ার কিংবা জালালের। তবে তার থেকে অনেক বেশি ফজিলাত ও সাভেরার। পুরো গল্প জুড়েই তাদের 'বিবিয়ানা' অটুট থেকেছে। গল্পের লেখার ধরণ সুন্দর। ছোট ছোট বাক্যে পুরো গল্প লিখা। এজন্য বর্ণনা প্রধান লেখা হলেও বিরক্তি লাগে নি একেবারেই। একটানে পড়ে ফেলা যায়। বর্তমানে নতুন লেখকদের মধ্যে হুমায়ুন আহমেদের লেখনীর প্রভাব অনেক বেশি প্রত্যক্ষ করা যায়। যেহেতু কয়েক প্রজন্ম বড়ই হয়েছি হুমায়ুন আহমেদের লেখা পড়ে, তাই তাদের খুব একটা দোষও দেয়া যায় না। তবে কিঙ্কর আহসান এক্ষেত্রে প্রশংসার দাবিদার। 'বিবিয়ানা" বইয়ের উপর কেউ ভুলেও এই অভিযোগ তুলতে পারবে না। ছোট ছোট বাক্যে ভিন্ন এক বিষাদমাখা ধাচে পুরো গল্পটি লেখা। মুগ্ধ হয়েছি। প্রথমে ভেবেছি কিছু দূর পড়েই হয়ত এই ধাচের ছন্দপতন ঘটবে। তবে ১৮৪ পৃষ্ঠার এই বইয়ের শেষ পাতা পর্যন্ত লেখক এই ছন্দপতন ঘটতে দেন নি। এক্ষেত্রে তিনি বাহবা পেতেই পারেন। উপন্যাসের প্রথম অংশ পড়ে মুগ্ধ হয়েছি। ক্যারেক্টার বিল্ড আপ, গল্পের গতি সবকিছুতেই মুন্সিয়ানা। কিন্তু কিছুদুর যেতেই হোচট খেতে হয়েছে। চরিত্রগুলো প্রথমে যেমন দেখানো হলো ধীরে ধীরে কেমন জানি ছন্দপতন। ঘটনাপ্রবাহ চরিত্রগুলোর সাথে মানানসই হচ্ছে না। কিছু কিছু জায়গায় মনে হয়েছে লেখক জোর করে আবেগ ঢুকিয়ে দিয়েছেন। যেখানে কোনো ভালোবাসাই ছিল না, সেখানে জোর করে ভালোবাসা এনে, বিচ্ছেদ। বিষাদের ছায়া ধরে রাখার জন্য। মল্লিকার প্রতি জালালের হুট করে আবেগ উঠে আসা, তারপর সেই আবেগ চলে যাওয়া কোনোটিই পরিষ্কার নয়। ঠিক তার আগেই সাভেরার জালালের প্রতি দুর্বলতা দেখা দেয়। মনে হয় কেমন যেন জোর করে সবকিছু ঘটানো। এরকম বেশ কয়েক জায়গাতেই সুর কেটেছে। লেখক বিষাদমাখা লেখার ধরণটা ঠিক রাখতে যেয়ে গল্পের কাহিনীতে গোলমাল করে ফেলেছেন। চরিত্রগুলো ঠিকমত ধরতে পারেন নি। বইটি নিয়ে বইয়ের বিভিন্ন গ্রুপে আগ্রহের অন্যতম কারণ বইটির সুন্দর প্রচ্ছদ। বইটিকে নিয়ে ফটোগ্রাফিও অনেক দেখলাম। তারা কি ফটোগ্রাফির জন্যেই বইটি কিনেছে, নাকি তারা পড়েও দেখবে, তা জানা নেই! বইটি যে পরিমাণ 'হাইপ' তুলেছিল, সেই তুলনায় আশাহত হয়েছি। বইটির প্রচ্ছদ আসলেই অনেক সুন্দর। কিন্তু বলে না, Never Judge a Book by its Cover. পৃষ্ঠার মান অনেক উন্নত। কিন্তু সেজন্য আপনার গুণতে হবে ৪০০টাকা। ১৮৪ পৃষ্ঠার বইয়ের গায়ের মূল্য ৪০০টাকা, এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। যদিও বইমেলায় ২৫% ছাড়ে, ৩০০টাকায় পাবেন। তবুও এই দামকে অনেক বেশিই বলব। এক্ষেত্রে বলা হয়ে থাকে, দাম নির্ধারণ প্রকাশকের উপর। লেখকের কোনো ভূমিকা নেই। লেখকের ভূমিকা অবশ্যই আছে। লেখক বাধ্য নয়, ঐ প্রকাশনা থেকেই বইটি প্রকাশ করার জন্য। প্রথমেই দামের ব্যাপারটি পাঠক-ভক্তদের নাগালে রাখার ব্যাপারে কথা বলে নিলেই এরকম ঝামেলা হয় না। নামকরা লেখকদের বই যেকোনো প্রকাশনীই আগ্রহ নিয়ে প্রকাশ করতে চাইবে। এছাড়া বইয়ে বেশ অনেক জায়গায় বানান ভুল, প্রিন্টিক মিস্টেক চোখে পড়েছে। এদিকে আরেকটু নজর দেয়া যেত। সব মিলিয়ে বলব খারাপ না। চরিত্রগুলো আরেকটু ঠিকঠাক ফুটিয়ে তোলা হলে বেশ ভালো বলা যেত। ভিন্ন ধাচের লেখাটি পাঠক অবশ্যই পড়ে দেখতে পারেন। ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৩/৫। ৩.৫ দেয়া যেত। কিন্তু বইয়ের মূল্য নাগালের বাইরে রাখার জন্য ভগ্নাংশকে বাদ দেয়া হলো। বইঃ বিবিয়ানা লেখকঃ কিঙ্কর আহসান প্রকাশনীঃ অন্বেষা প্রকাশন।
Was this review helpful to you?
or
Amon boi rokonari ato publicity day kano bujhlam na.bangla cinemar golpo .so disgusting writing.
Was this review helpful to you?
or
লেখকের লেখার ধরণ আমার মোটেও পছন্দ হয়নি। উনার লেখার ধরণ অনেকটা এরকম, আমরা সাধারণত "আমি ভাত খেয়েছি" বলি, আর লেখক বলেন "ভাত খেয়েছি আমি"। উনি হয়তো কবিতা আর উপন্যাসের ভাষা এক করে ফেলতে চেয়েছিলেন। উনার লেখা পড়ে মনে হয়েছে উনি পাঠকদের আবেগাপ্লুত করতে গিয়ে নিজেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন। লেখক হিসেবে উনি উনার মতো করে যেমন লেখার স্বাধীনতা রাখেন তেমনি পাঠক হিসেবে আমিও আমার মতামতটা জানালাম। হয়তো অন্য পাঠকদের উনার বই ভালোও লাগতে পারে।
Was this review helpful to you?
or
'বিবিয়ানা' সহজ সরল জীবনের জটিলতা নিয়ে কথা বলে।আস্ত জীবন নয়, জীবনের কোনো এক খণ্ড যেন। আচমকাই শুরু আবার বোকা বানিয়ে ফুরিয়ে যায় । অসম্ভব ভুল উপমায ভরা। বইযের দাম ও বেশি।
Was this review helpful to you?
or
অনেক ভালো লাগসে বইটা। লেখক গল্পের মাধ্যমে কিছু বাস্তবতা তুলে ধরেছে। কিন্তু অনেক জায়গায় একঘেয়েমি লেগেছে। এক কথা বার বার বলছে। শেষটা ভাল লেগেছে, *Spoiler Alert* কিন্তু আর একটু বেশি লেখেল ভাল হতো(সাভারে কে নিয়ে)। আর একটা জিনিস বুজলাম না ১০৮ নম্বর পাতায়, কালা মিয়া মারা গেলো কিন্তু পরে সে বেঁচে থাকলো কেমন করে।
Was this review helpful to you?
or
বাস্তবতা রয়েছে বইতে
Was this review helpful to you?
or
বিবিয়ানা কিংকর আহসান বুক মিভিউঃ উপন্যাসের কভারটা সুন্দর। আইডিয়াটা সুন্দর। মনে হচ্ছে কারো ভয়ে চা টা ঢেলেই যাচ্ছে। কিন্তু ওদিকে যে হাত থেকে পড়ে যাচ্ছে চা সেদিকে খেয়াল নেই। নিথর। পড়ছি আর ভাবছি কে সে? রোকসানা, রোকসানার মা, নাকি সাভেরা। নাহ সাভেরার তো এরকম হবার কথা না? সে নিজে থেকে চা ঢেলে খাবে মাথা খারাপ!! বাস্তব আর উপন্যাসের পাতা একভাবে চলেনা। অল্পক্ষনেই একবার সবকিছু সাভেরার চোখ দিয়ে দেখছি, মাঝে মাঝে কালা মিয়া, ফজিলাত। গ্রামের নিখুত বিবরন। বিভিন্ন চরিত্র নিজের মত করে নিয়ে মনে হয় দুনিয়াতে সবাই ঠিক। ডাকাত ও ঠিক, চেয়ারম্যান ও ঠিক। আমি যা করছি তা হয়তো ঠিকই। প্রথমটা শুরু হয়েছিল সাভেরার উপর একরাশ ঘৃনা নিয়ে। বড়লোকের মেয়ে, দেমাগী, কন্ট্রোল করতে চায়। এখন শেষটা কেমন হল।অইযে বললাম- নিজের মনের কথা কেউ বলে বা বুঝে নেবে নারে। কেউ তোকে বুঝবেনা। এই বোঝা না বোঝার অপুর্ব বানে মখমলি মাফলারে সাপ পেচিয়ে থাকে। আমরা চলে যাই। লেখক কিছু নাড়া দিয়েছেন। যতক্ষন পড়েছি আবেশিত হয়েছি। কিন্তু মাধুকরী, পার্থিব, গর্ভধারিনীতে একেকটি মৃত্যু যেভাবে নাড়া দিয়েছে, যেভাবে চরিত্রের সাথে মিশেছি- এক্ষেত্রে তা হয়নি। আরো বড় উপন্যাস চাই। ওহ হ্যা মলাটের মেয়েটি সম্ভবত সাভেরা। আসছে সামনে লেখক তিন চার বছর ধরে লেখক লিখবেন। আমরা মাসের পর মাস কলকাতা বইয়ের স্টাইলে মুগ্ধ হয়ে থাকবো, লেখকের আকাশে উড়ার সাধ পুরন হবেই।
Was this review helpful to you?
or
Baje ekta boi. Disgusting.
Was this review helpful to you?
or
আশা করি বই টা খুব ভালো হবে,লেখকের আগের সব বই খুব ভালো ছিলো