User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
রবীন্দ্রনাথ ট্রিলজির ২য় বই এটি। তৃতীয় বইয়ের অপেক্ষায় নেই এমন একটি পাঠকও পাবেন না।
Was this review helpful to you?
or
কড়া ?
Was this review helpful to you?
or
One of my favorites
Was this review helpful to you?
or
খুব ভাল থ্রিলার বই
Was this review helpful to you?
or
এতো চমৎকার, থ্রিলার এবং হরোর বই আমি কখনো পড়িনি। আমার জানা সবার থেকে রমাঞ্চকর বই এটি। আমার বইটি অসাধারণ লেগেছে। অনেক recommend করবো বইটি। সর্বদা অপেক্ষায় থাকবো পরের পর্বের জন্য।
Was this review helpful to you?
or
Excellent
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ। ৩য় খন্ডের অপেক্ষায় আছি।
Was this review helpful to you?
or
#আড্ডাখানায়_রকমারি #রিভিউ_২০২৩ ? প্রারম্ভিকা ❝ রবীন্দ্রনাথ এখন বাঙলাদেশের মাটি থেকে নির্বাসিত, তবে আকাশটা তাঁর । বাঙলার আকাশের নাম রবীন্দ্রনাথ ❞, ঠিক এভাবেই বলে গিয়েছিলেন এই দেশের অন্যতম সেরা একজন লেখক হুমায়ুন আজাদ । যে দেশের আকাশটা তার লেখক বলেই গিয়েছেন তার নাম নিয়ে আলোড়ন হবেনা এই দেশে তা কী হতে পারে ? “রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি ” বইটির প্রচ্ছদে প্রথম নাম দেখেও সকল পাঠকের ভিতরে যে প্রশ্নগুলো ঘুরপাক খাচ্ছিলো তার মধ্যে আলোচিত দুইটি প্রশ্ন হলো, রবীন্দ্রনাথ কেন খেতে আসেন নি? এবং রবীন্দ্রনাথ কোথায় খেতে আসেন নি? রবীন্দ্রনাথ যে বাংলার আকাশ হয়েই আছেন তা এই বইয়ের নামকরণ এবং প্রচ্ছদ পরবর্তী পাঠকের আগ্রহের তুমুল উন্মাদনা প্রমাণ করে দিয়েছে বারবার । এবার মূল প্রসঙ্গে চলে আসি, আমি রিভিউ লিখতে যাচ্ছি রবীন্দ্রনাথ সিরিজের দ্বিতীয় বইয়ের যার নাম, “রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও আসেননি”, আচ্ছা রবীন্দ্রনাথ কোথায় আসেন নি? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই আমার লেখাটা পড়ে আমার সাথেই থাকতে হবে,কখনো রহস্যের জট পাকাতে হবে এবং কখনো রহস্যের জট ছাড়াতে হবে । ? চরিত্র পরিচিতি (১) মুশকান জুবেরি (২) নুরে ছফা (৩) আতর আলী (৪) সুস্মিতা সমাদ্দার (৫) ডিবির সাবেক অফিসার কে এস খান (৬) প্রধানমন্ত্রীর পি এস আশেক মাহমুদ (৭) মাস্টার রমাকান্ত কামার (৮) ডাক্তার আসকার ইবনে সায়িদ এবং অপ্রধান চরিত্রে আরও অনেকে । ? কাহিনী সংক্ষেপ “রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি”, বইটি যেখানে শেষ হয়েছিল এই বইটি ঠিক তারপর থেকেই রহস্যের বার্তা নিয়ে যাত্রার সূচনা করেছে । মুসকান জুবেরি নুরে ছফাকে রীতিমতো বোকা বানিয়ে, বুদ্ধির পুলসিরাতে ভর করে জমিদার বাড়িতে আগুন দিয়ে পুলিশের চোখের সামনে দিয়েই পালিয়ে গিয়েছিলেন,এই গল্প সবারই জানা যারা এই সিরিজের প্রথম পর্ব পড়েছে । সুন্দরপুর গ্রামের সেই মুসকান ও ছফার ধরা বা ছোঁয়ার অনতিক্রান্ত লুকোচুরি খেলা নিয়েই লেখক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের বই “রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো আসেন নি ” । ইনভেস্টিগেটর নুরে ছফা ডিবির সবচেয়ে মেধাবী গোয়েন্দাদের একজন হওয়া সত্ত্বেও মুশকান জুবেরিকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হওয়া এই রহস্যের সমাধান করতে পারেননি । জীবনে কোন কেস যে অসমাপ্ত রাখেনি, সেই নুরে ছফাই মুসকান জুবেরির ছলনার কাছে যেন পরাজিত এক মূর্তি । তিন বছরের সূর্যের রোদ হারিয়ে গেছে মুসকান জুবেরি কোথায় কেউ জানেনা! প্রধানমন্ত্রীর পি এস আশেক মাহমুদের বোনের ছেলের অন্তর্ধান রহস্যের জটিলতার চক্রবাকে আশেক মাহমুদের বোন চলে যায় মৃত্যুশয্যায়, মুশকান জুবেরির পরিচ্ছেদের সমাপ্তি টানতেই এবার প্রলুব্ধ করেছেন আশেক মাহমুদ নিজেই । সুন্দরপুর থেকে তার ভাগ্নে হাসিব নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়ার সময়ে তার আমেরিকায় থাকা বোনের প্রতিবেশী ছিলেন মুশকান জুবেরি । ভাগ্নের হত্যার প্রতিশোধ নাকি মুসকান জুবেরির এই নারকীয় খেলা বন্ধের আল্টিমেটাম? নুরে ছফা কেসটি আবারও তার প্রসিদ্ধ চোখে, নতুন মোড়কে সূচনা করেন আশেক মাহমুদের বোনের মৃত্যুর পূর্বে তার আত্মিক প্রশান্তির দ্বার উন্মোচনে, নতুন করে শুরু হয় এই রহস্যজাল ভেদ করার এক অদম্য অভিযান । এবার কী ধরা পড়বে মুসকান নাকি এবারও পাখি খাঁচা ছেড়ে উঁড়ে যাবে? ভুল শোধরাতে শিকড়েই ফিরে যেতে হয় তাই তিন বছর পরেও নুরে ছফা সুন্দরপুর থেকেই মুশকান জুবেরি রহস্য পুনরুদ্ধারে নামেন । এটা যেন কে এস খানের এই বাণীটির সঠিক দৃশ্যায়ন তিনি বলেছিলেন, " যে মাটিতে আপনি আছাড় খেয়েছেন সে মাটিতেই আপনাকে উঠতে হবে "। সুন্দরপুরে গিয়ে তিনি দেখেন রেস্টুরেন্টটা সেখানে আর নেই, সেটা এখন রবীন্দ্রনাথের নামে লাইব্রেরী রুপে পরিচিতি পাচ্ছে । তিনি আরও জানতে পারেন শিক্ষক রমাকান্ত কামার এই লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করেছেন যাকে মুসকান জুবেরি তার সম্পত্তি দিয়ে গিয়েছিলেন । আতর আলী বিবিসি খ্যাত হেল্পিং হ্যান্ড নুরে ছফাকে সাহায্য করতে এবারো এগিয়ে আসেন । আতর আলীও নতুন রুপে এই পর্বে কিছু দৃশ্যে চলে আসেন নুরে ছফার সাথে রহস্যের জট ছাড়ানোর অংশীদার হিসেবে । লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার কারণ দিয়েই তারা প্রথম সন্দেহের তীর ছুঁড়লেন এই বলে যে, মুশকানের সাথে তাদের নির্ঘাত এখনো যোগাযোগ আছে, এতো সম্পত্তি যে মাস্টারকে দিয়ে গেছেন সম্পর্ক থাকাটাই স্বাভাবিক । নুরে ছফা মাস্টারকে জেরা করে সেই সূত্র ধরে একটা চিরকুট পায়,সেই চিরকুটের মাধ্যমে ট্রাস্টের উকিল ময়িজ উদ্দিন কে পায় , তার কাছ থেকে জানতে পারে এই ট্রাস্টের সাথে যুক্ত আছেন সেই ডাক্তার, আসকার ইবনে সায়িদ । ডাক্তারের সম্পর্কের সুতো খুঁজে পেয়ে ডাক্তারের সান্নিধ্যে তিনি জানতে পারেন মুশকান জুবেরির সম্পর্কে নুরে ছফা যা জানতেন সবই মিথ্যা এবং বানোয়াট । সুন্দরপুর কিংবা ঢাকায় নুরে ছফা এবার ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকেননি, তিনি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন রহস্যের ডাল পালা ভেদ করে সেই রহস্যময়ী নারীকে ধরার উন্মাদনায়, বিচ্ছিন্ন ঘটনার সূত্র ধরে তিনি পাড়ি জমান কলকাতাতে,সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন মুসকান জাত শিকারি, তিনি কলকাতাকেও ছাড় দেননি, তার শিকারি হাত সেখানেও থাবা বসিয়েছে আপন মনে । সুশোভন নামের একজন পুলিশ অফিসার কলকাতায় নুরে ছফাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন । নুরে ছফা তার পাওয়া ক্লু গুলোকে সঙ্গী করে এই রহস্যের একটা একটা করে তার জুঁড়ে দেয়ার চেষ্টায় বিভোর কিন্তু প্রকৃতির নিষ্ঠুর গোলকধাঁধা থেকে তিনি রেহাই পাচ্ছেন না, একের পর এক বিচ্ছিন্ন তথ্য এসে তাকে বিভ্রান্তিতে ফেলে দিচ্ছে । নিখোঁজ ডাক্তার দয়াল প্রসাদ মল্লিকের সাথে মুশকান জুবেরির অদ্ভুত যোগাযোগের সেতু খুঁজে পান নুরে ছফা । কলকাতায় থাকা অবস্থায় নুরে ছফা কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্লু পেলেও এই যাত্রার পর্দা নামে দ্রুতই, তিনি আবার ফিরে আসেন বাংলাদেশে । এপার বাংলায় ফেরার পরে সুস্মিতা সমাদ্দার চরিত্রটি গল্পে নতুন মোড় তৈরি করে । মুশকান জুবেরি প্লাস্টিক সার্জারি করে সুস্মিতা সমাদ্দার হিসেবে নতুন পরিচয়ে পৃথিবীর অক্সিজেন নিঃশ্বাস হিসেবে টেনে বেঁচে আছেন এই সন্দেহের সূচনা থেকেই নুরে ছফা গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসেন সেই নারীকে । সেই নারীই কী মুশকান? নাকি এটি নুরে ছফার বিভ্রম? নুরে ছফা এখন ত্রিভুজ সমস্যা নিয়ে পড়েছেন, যেখানে তিনি জানেন না এটা সমকোণী, সমদ্বিবাহু না সমবাহু ত্রিভুজ! মুশকান জুবেরি, সুস্মিতা সমাদ্দার এবং ডাক্তার আসকার এই তিনজনের বিপরীতে তিনি কী পেরে উঠবেন? রহস্যের কালো মেঘ ভেদ করে কী একটা প্রস্ফুটিত সূর্য দেখবেন এই প্রশ্নকে সামনে রেখে তিনি আগাতে লাগলেন । উপন্যাসে প্রধানমন্ত্রীর পিএসের গান ম্যান আসলাম চরিত্রটি কিছু জায়গায় প্রভাব বিস্তার করেছে । উপন্যাসের প্যাঁচগুলো যত রকম প্রশ্ন বাণে জর্জরিত করেছিলো প্রথমের দিকে শেষের দিকে দ্রুতই যেন জটগুলো খুলতে থাকে । নুরে ছফা আর মুশকান জুবেরি কীভাবে শেষটা জমিয়ে তোলে এই লুকোচুরি খেলায় কে জিতবে? মুশকান নাকি ছফা? সেই উত্তেজনার পারদ অনুভব করার জন্য এক নিঃশ্বাসে ধৈর্য্য ধরে পড়ে ফেলতে হবে এই থ্রিলার বইটি । ? পাঠ প্রতিক্রিয়া (ক) পজেটিভ দিক প্রথম পয়েন্ট : উপন্যাসের সূচনাই হয় কয়েক বছর আগের একটি নিরুদ্দেশ হওয়া ঘটনাকে কেন্দ্র করে । সেই ক্ষুদ্র সূচনা থেকেই সন্তর্পণে গল্পের ডাল পালা বাড়িয়ে চমৎকার একটা দৃশ্যপট সাজিয়ে তুলেছেন লেখক । সময়ের সাথে পাল্লা দিয়েই কাহিনী প্রবাহ এগিয়েছে নিজের অনন্ত গতিতে । দ্বিতীয় পয়েন্ট : মুশকান জুবেরি চরিত্রটি যখনই এসেছে বইয়ে তখনই পাঠক থ্রিল বা টুইস্টের আবহ অনুভব করেছে, রহস্যময়ী সেই নারীর বুদ্ধি ও নৈপুণ্যতায় সেই রহস্য বারবার জমে উঠেছে । এই বইয়ের সবচেয়ে বড় রহস্যই হলো মুশকান জুবেরি, সেই-ই উপন্যাসটা পড়ার আগ্রহ পাঠকের মনে ধরিয়ে রেখেছে শেষ পর্যন্ত । তৃতীয় পয়েন্ট : প্রধান বা অপ্রধান দুই ধরণের চরিত্রই সব উপন্যাসে থাকে, এই বইয়েও লেখক প্রধান চরিত্রগুলোকে সময় নিয়ে লিখেছেন, বাস্তবতার নিরিখের ছোঁয়া দিতে কখনো লেখক ইতিহাসের আশ্রয় নিয়েছেন, যা বেশ বুদ্ধিদীপ্ত বলেই মনে হয়েছে । চরিত্রের বিভিন্ন ছায়া তিনি বেশ সুন্দর করে রঙতুলিতে যেন এঁকেছেন,প্রতিটি চরিত্রেরই নিজস্ব একটা বৈচিত্র্য ছিলো, ছিলো একটা সতন্ত্র মনোভাবও । চতুর্থ পয়েন্ট : ক্ষমতা ও পদের যে দ্বন্দ্ব এবং কর্মচারী হয়ে যত বড় পদেই কেউ আসীন থাকুক না কেন তাকেও যে উপর মহলের কারও হ্যাঁ বা না শোনার জন্য অপেক্ষা করে থাকতে হয় কিংবা কখনো সীমাবদ্ধ হয়ে প্রাচীরের ভিতরেই আবদ্ধ থাকতে হয় ,তার একটা বাস্তব দিক লেখক তার লেখায় ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন । পঞ্চম পয়েন্ট : বইয়ের যে অংশে রহস্যের জট ছাড়ানো শুরু করেন লেখক তারপর থেকে পাঠক খুবই উত্তেজনা অনুভব করে এবং শিহরণ নিয়ে বইটা পড়ে শেষ করে তাই পাঠের শেষ অনুভূতিটা টানটান থ্রিলারের স্বাদ দেয় । (খ) নেগেটিভ দিক প্রথম পয়েন্ট : এক অপ্রতিরোধ্য মুশকান জুবেরি ! মুশকান জুবেরি ধরা পড়ে গেলেই উপন্যাসটা শেষ হয়ে যাবে এই ভয় কী পাঠকের মতো লেখকেরও ছিলো? নুরে ছফার মতো এতো বিচক্ষণ মানুষটিও বারবার মুশকানের কাছে বুদ্ধিতে হেরে যাচ্ছে এবং বারবারই সে পুলিশদের বোকা বানিয়ে কীভাবে যেন পালিয়ে যাচ্ছে, এটা যেন নিয়তিই হয়ে গেছে যে ছফা এদিক সেদিক দৌড় ঝাঁপ করবে ঠিকই কিন্তু মুশকান জুবেরিকে ধরতে পারবেনা । রবীন্দ্রনাথ সিরিজের তৃতীয় পর্বে আবার মুশকান জুবেরিকে ফিরিয়ে আনতেই কী তাকে আবার পালাতে সাহায্য করলেন লেখক? এই প্রশ্ন নুরে ছফা করলে এর কী উত্তর দাঁড়াবে আপনারাই বিচার করে দেখবেন। দ্বিতীয় পয়েন্ট : মুশকান জুবেরি তার সকল সম্পত্তি মাষ্টার রমাকান্ত কামারকে দিয়ে গিয়েছিলেন, যিনি রবীন্দ্রনাথ নামের রেস্টুরেন্ট সরিয়ে লাইব্রেরী বানিয়ে ফেললেন! খাবার থেকে বইয়ে চলে এলো প্রেক্ষাপট, কিন্তু সেই লাইব্রেরীতে তেমন রহস্যের কিছু ঘটেনি , অন্যদিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ভেবেছিলাম রমাকান্ত কামারকে কিন্তু পরবর্তীতে তার আসলে তেমন কোনো বিশেষ ভূমিকা পাওয়া যায়নি পুরো উপন্যাসে । তৃতীয় পয়েন্ট : উপন্যাসের প্রথম একশো থেকে দেড়শ পৃষ্ঠার ভিতরে গল্পের মেরুদন্ড দাঁড় করাতে বেশ সময় নিয়েছেন লেখক । আবার হঠাৎ করেই দ্রুত গল্প টেনে নিয়ে গেছেন কখনো, উদাহরণস্বরুপ, ছফা কলকাতায় গিয়ে গত তিন বছরে নিরুদ্দেশ হওয়া মানুষদের তালিকা থেকে ছফা দুজন মানুষকে খুঁজে বের করেন এবং কাকতালীয়ভাবে মুশকান জুবেরির সাথে সেই দুজনের সম্পর্কের সুতো বেরিয়ে আসে । ছফার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের প্রয়োগটি সেই অর্থে বিশ্বাসযোগ্য লাগেনি । চতুর্থ পয়েন্ট : এই সিরিজের প্রথম পর্বে মুশকান জুবেরির চরিত্রটি অত্যন্ত রহস্যের আড়ালে ফুটিয়ে তোলায় সব আকর্ষণ এবার সেই নারীর দিকেই ছিলো পাঠকের , কিন্তু কাহিনীর অতি দ্রুততায় চরিত্রটি শেষ পর্যন্ত প্রথম পর্বের মতো আলো ছড়াতে পারেনি । অন্যদিকে, পি এসের বোনের সাথে মুশকান জুবেরির পূর্ব পরিচয় ছিলো এই বিষয়টিও অদ্ভুত কাকতালীয় লেগেছে । পঞ্চম পয়েন্ট : বইয়ের প্রচ্ছদে দুজন নারীর ছবি দেখেই আন্দাজ করা যাচ্ছিলো নতুন একটা নারী চরিত্রের আগমন হবে গল্পে । সুস্মিতা সমাদ্দারের চরিত্রটি সেই অর্থে খুবই দুর্বল, লেখক এই চরিত্রটিকে আরও একটু স্ট্রং করলে হয়তো গল্পটি আরও নতুনত্ব পেতো । ? বইটি কেন আপনি পড়বেন? মানুষ রহস্য প্রিয় প্রাণী, রহস্য তার শরীরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে আছে । রেস্টুরেন্ট নিয়ে এমন থ্রিলার উপন্যাস বাংলা ভাষায় আগে কখনো লেখা হয়নি । মানুষের শরীরের বিশেষ অঙ্গ খেয়ে ফেলা এক নারী নিজের বয়স নিয়ন্ত্রণে রেখে কীভাবে তার এই সাম্রাজ্য জারি রেখে যায় তা জানতে হলে এই লেখকের বইটি অবশ্যই আপনাকে পড়তে হবে । ? সম্পাদনা, প্রচ্ছদ ও বাঁধাই প্রচ্ছদ বা বাঁধাই নিয়ে আমার কোন দ্বিধাই নেই, প্রচ্ছদ বেশ ভালো এবং বাঁধাইও ছিলো অনবদ্য । কিন্তু সম্পাদনার কাজটি ঠিকমতো হয়নি, বানান ভুল থাকলে সেটাই আগে চোখে ধরা পরে যায় আমার , সেই হিসেবে বইয়ে অনেক বানান ভুল ছিলো । ? ব্যক্তিগত রেটিং ৪.৪/৫ ? লেখক পরিচিতি দুই বাংলায় বর্তমান সময়ে থ্রিলার কিং খ্যাত লেখক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন । তার জন্ম ঢাকায় । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে এক বছর অধ্যয়নের পর সেখান থেকে বেরিয়ে এসে তার সৃজনশীল সত্ত্বা বিকাশের উপযোগী আরেকটি বিষয় তথা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন । মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বাংলার পাঠকের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন ভিনদেশী বিখ্যাত থ্রিলারগুলো অনুবাদ করার মধ্য দিয়ে । ২৬টিরও বেশি বইয়ের এই অনুবাদক পরবর্তীতে মনোনিবেশ করেন মৌলিক থ্রিলার রচনায় । অনুবাদক এবং থ্রিলার লেখক ছাড়াও তার আরেকটি পরিচয় হলো, তিনি বাংলাদেশের বাতিঘর প্রকাশনীর প্রতিষ্ঠাতা প্রকাশক । ? বই পরিচিতি বইঃ রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও আসেননি লেখকঃ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন জনরাঃ থ্রিলার প্রথম প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ত্রয়োদশ মুদ্রণঃ ফেব্রুয়ারি ২০২১ প্রকাশনীঃ বাতিঘর প্রকাশনী প্রচ্ছদঃ সিরাজুল ইসলাম নিউটন মূল্যঃ পাঁচশত টাকা মাত্র প্রকাশনীঃ বাতিঘর প্রকাশনী পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৪৩২ ? বই ফটোগ্রাফি রুদ্র রহমান
Was this review helpful to you?
or
সেই level pinic er boi?? horror+thriller
Was this review helpful to you?
or
Boi ta 2 ta part e end korle e bhalo hoto kintu lekhoker ja iccha. asha kori next part e story ta end hobe
Was this review helpful to you?
or
nice
Was this review helpful to you?
or
BEST THRILLER OF BANGLA
Was this review helpful to you?
or
প্রতিটা পাতায় টুইস্ট,এক কথায় অসাধারণ। ৩য় খন্ডের অপেক্ষায় আছি?
Was this review helpful to you?
or
এক কথায় মাথা নষ্ট। পড়তে বসলে আর ওঠা যায় না
Was this review helpful to you?
or
মোটামুটি মানের
Was this review helpful to you?
or
just awesome
Was this review helpful to you?
or
Not as good as the previous one
Was this review helpful to you?
or
Thrilling..level awesome..can't wait for the 3rd part..but i don't in beg-bastard series i supported bablu..but in here i just go for nure chofa....
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ! তৃতীয় পার্টের অপেক্ষায় রইলাম!
Was this review helpful to you?
or
A full of thrill story specially with both parts
Was this review helpful to you?
or
Extremely gleeful to say just a thing never even imagined such a thrill from a Bangladeshi writer(not underestimating anyone)
Was this review helpful to you?
or
প্রথম খন্ডের তুলনায় কাহিনি অনেকটাই দূর্বল। সবচেয়ে বাজে লেগেছে সাসপেক্টকে ট্রেস করার পদ্ধতি, যেমন মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং একবারও করা হয়নি। আর এতো দীর্ঘ উপন্যাসের পর প্রায় সবকিছুই পরের পার্টের জন্য রেখে দেয়া হয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
Prothmtar mto valo nah
Was this review helpful to you?
or
Kharap
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার
Was this review helpful to you?
or
Good delivery.
Was this review helpful to you?
or
প্রথমটির চেয়েও এই বইটি বেশি ভাল লেগেছে। মুশকান জুবেরি আর নূরে ছফার নিয়ে এই জমজমাট থ্রিলার আমাদেরকে আবারও নতুন করে শিহরণ জাগায়।
Was this review helpful to you?
or
Unnecessary lengthy and boring. Disappointed!!
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ!
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার থ্রিলার। অনেকদিন পর কোন বই পড়ে গল্পে আঁটকে গেছি। এক কথায় অসাধারন
Was this review helpful to you?
or
সুন্দর
Was this review helpful to you?
or
Nice thriller
Was this review helpful to you?
or
Gret
Was this review helpful to you?
or
More than awesome.... really a good book
Was this review helpful to you?
or
?
Was this review helpful to you?
or
nice
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ!!!!!!?
Was this review helpful to you?
or
ভালো
Was this review helpful to you?
or
nice book....bt I expected a bettr ending.
Was this review helpful to you?
or
প্রথম পর্বের মতো বেশি ভালো হয়নি
Was this review helpful to you?
or
লাস্ট এর দিক দিয়ে ভালোই লাগসে বাট এত বড় করার দরকার ছিলো নাহ।৩০০ পাতার মদ্ধে শেষ করে দিলেই ভালো হত কিন্তু করে নাই।প্রথম টার মত এত ভালো না বাট মোটামুটি চলে টাইপ।
Was this review helpful to you?
or
awesome packaging & delivering ?
Was this review helpful to you?
or
A cash grabbing piece of shit. Just don't know how people are even rating this trash more than two. Disappointing! From start to finish! Here's my tip, just read the first one (first one is really good) and pretend this does not exist. This book is like author writing fanfiction of his own novel. What a trash! Regret even reading this.
Was this review helpful to you?
or
এক কথায় অসাধারণ আপনি যদি জানতেন যে এই বই কেমন আপনি রিভিউ পড়ে সময় নষ্ট করতেন না ।
Was this review helpful to you?
or
অপ্রয়োজনীয় বর্ণনা আর অকারণ রহস্য করতে গিয়ে লেখক এটাকে পুরা অখাদ্য বানিয়ে ফেলেছেন। খুবই বিরক্তি লেগেছে বইটা শেষ করতে।
Was this review helpful to you?
or
খুব ভালো লাগলো ❣️
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
লেবু বেশি কচলালে তিতা হয়ে যায় । এই বই এর হয়েছে এই অবস্থা । আরেকটা বই বের হবে , আবার মূশকাণ পালাবে... এই ই চলতে থাকবে মনে হয় । হতাশ !
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই, পড়া শুরু করলে শেষ না করা পর্যন্ত ভালো লাগবে না।
Was this review helpful to you?
or
ভালো লেগেছে
Was this review helpful to you?
or
বেশ ভালোই।তবে প্রথম টাই বেশি থ্রিলিং
Was this review helpful to you?
or
বইটা ভালো
Was this review helpful to you?
or
wonderful
Was this review helpful to you?
or
Excellent
Was this review helpful to you?
or
Good.
Was this review helpful to you?
or
good ❤️❤️
Was this review helpful to you?
or
Too good
Was this review helpful to you?
or
Good but not like first one.
Was this review helpful to you?
or
ঘটনাপ্রবাহ হতাশাজনক, প্রথম বইের তুলনায়। আমার কাছে কাহিনি অযাচিত মনে হয়েছ। শুধু শুধু টেনে লম্বা করার মত।
Was this review helpful to you?
or
খুব ভালো সার্ভিস
Was this review helpful to you?
or
Excellent
Was this review helpful to you?
or
Excellent
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
১ম পর্বের পরে ব্যবসায়িক তাড়নাপূর্বক ২য় পর্ব লেখার কারণ এই হয়তো লেখার মান বাজে হয়ে গেছে।লেখকের মুন্সিয়ানা ১ম পর্বেই পরিষ্কার কিন্তু ২য় পর্বে অযথা কাহিনী লম্বা করার ইচ্ছে আর বাহুল্য দোষ আরও পরিষ্কার। ১ম পর্বের তুলনায় ২য় পর্ব পড়ার পর অনুভূতি - disappointing.
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ কাহিনী..শেষ খণ্ডের অপেক্ষায়...
Was this review helpful to you?
or
মৌলিক থ্রিলারের মধ্যে অন্যতম সেরা কাজ স্যার নাজিম উদ্দিনের এই রবীন্দ্রনাথ সিরিজ।এই সিরিজের শেষ বই রবীন্দ্রনাথ এখানে এসেছিলেন প্রকাশের জন্যে অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি।
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
Very good
Was this review helpful to you?
or
Too many slang language for no reason.
Was this review helpful to you?
or
boi ta onak ajob
Was this review helpful to you?
or
Perfect✨
Was this review helpful to you?
or
সার-সংক্ষেপ: প্রায় তিন বছর ধরে মুশকান জুবেরিকে খুঁজে যাচ্ছে নুরে ছফা। তবে এবার সে একা নয়, প্রবল ক্ষমতাবান আরেকজন মানুষও মরিয়া হয়ে উঠেছে রহস্যময়ি এই নারীকে খুঁজে পেতে। সেই ক্ষমতাবানের সাহায্য নিয়ে নতুন উদ্যমে নেমে পড়ে ছফা, দ্রুতই আবিষ্কার করে মুশকান সম্পর্কে এতোদিন যা জানতো সবটাই মিথ্যে! নতুন গল্পটি বরং অনেক বেশি যৌক্তিক এবং বিশ্বাসযোগ্য! এক গোলকধাঁধায় ঢুকে পড়ে ছফা। তার কোনো ধারনাই নেই কোন্ সত্যটি জানতে পারবে শেষে। এতোদিন এই রহস্যময়ি নারী কোথায় ছিলো-এ প্রশ্নের চেয়েও বড় হয়ে ওঠে, কিভাবে ছিলো! আর পাঠক যখন সেটা জানতে পারবে আরেকবার শিহরিত হবে, আবিষ্কার করবে মুশকানের প্রহেলিকাময় জগত! পাঠ-প্রতিক্রিয়া: যদি এক কথায় বলি তাহলে এই সিক্যুয়ালে প্রথম বইয়ের থ্রিল অনুপস্থিত ছিল। যে রহস্যটি প্রথম বইটিকে এতটা সাসপেন্সফুল করে তুলেছিল তা দ্বিতীয় বইতে কেমন যেন হারিয়ে গিয়েছে। গল্পটি এগিয়ে যায় যখন ডিবি তদন্তকারী নুরে ছফা উদ্ভ্রান্তের মতো মুশকান জুবেরিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছিলেন একজন প্রাক্তন প্রেমিকের মতো, যে তার অতীতকে কাটিয়ে উঠতে পারেননি। তবে তার তদন্ত প্রক্রিয়া আমার বুদ্ধি প্রয়োগের চেয়ে বেশি কাকতালীয় ঘটনার মতো মনে হয়েছে। এছাড়াও, সাধারণ তদন্ত পদ্ধতির চেয়ে রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে তদন্তটির অগ্রগতি হয়। তাও প্রথম গল্পটি ভালো লাগাই দ্বিতীয় বইটি ও শেষ করেছি। এখনো আশা রাখছি শেষ বইটি লেখক কিছু রোমাঞ্চকর, থ্রিলিং এবং আরো কিছু রহস্য যোগ করে ইতি টানবেন।
Was this review helpful to you?
or
beautiful
Was this review helpful to you?
or
প্রচন্ড ভালো একটা বই
Was this review helpful to you?
or
He knows how to keep readers engaged. Loved it also !!
Was this review helpful to you?
or
The book is unnecessarily extended, the story could have been more crisp on this sequel
Was this review helpful to you?
or
অসাধারন একটা বই, আর অসাধারন বইয়ের লেখক মোঃ নাজিম উদ্দীন তবে শেষে দিকটা নূরে ছফার পক্ষে ছিলনা তাই একটু?
Was this review helpful to you?
or
it's really good book ... love this books
Was this review helpful to you?
or
শেষ হয়েও হলোনা শেষ।
Was this review helpful to you?
or
একটুও ভালো না
Was this review helpful to you?
or
Waiting for 3rd part and more like this.
Was this review helpful to you?
or
Inside dhaka the delivery was fast.
Was this review helpful to you?
or
রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি পড়ার পর এতোটা ভালো লেগেছিলো যে পরেরটা পড়ার জন্য ভয়ংকর উৎসুক ছিলাম! কিন্তু রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো আসেননি পড়ার পর সেটা অনেকটাই উবে গেছে! রহস্যের জট খুলে দিলেও চরিত্র গুলোকে কিছুটা দূর্বল মনে হয়েছে।যেমনটা ছফা চরিত্র কে আগের সিরিজে বেশ শক্ত আর দক্ষ মনে হলেও এই বইতে সেটা খুব একটা দেখা যায়নি।মুশকান চরিত্রের তেমন প্রসারণ হয়নি। তেমনি ওই সময়টা ভালো লাগেনি একটুও যখন নূরে ছফা ওদেরকে ধরতে সবগুলো পুলিশ নিয়ে গাড়ীর পিছনে ধাওয়া করে আর এদিক দিয়ে মুশকান আর সুস্মিতা পালিয়ে যায়।এতোবড় ডিবি অফিসার অন্তত এ ভুলটা করতে পারেনা যেভাবে চরিত্রে তার যুক্তিগুণকে ফুটিয়ে তোলা হইছে!. ফিনিশিংটা মোটেও ভালো লাগেনি নাজিম উদ্দীনের মতো এতো শক্ত লেখক আর এতো সাবলীল লেখায় যদিও পড়তে ভালো লেগেছে। কিন্তু এ কাহিনিটা স্বস্তির পরিমাণকে কমিয়ে দিয়েছে। তবুও যদি ৩য় সিরিজ বের হয় আশায় থাকবো যেনো ভালো এন্ডিং আর কিছু শক্ত চরিত্রের যেমনটা তুলে ধরা হয়!!
Was this review helpful to you?
or
অতটা না জমলেও বইটা সেরাদের কাতারেই থাকবে।
Was this review helpful to you?
or
ভালো লেগেছে। তবে প্রথম পর্বটি বেশি ভালো লেগেছিল আমার কাছে। উপন্যাসটির শেষ অংশ পড়ে মনে হলো লেখকের ইচ্ছে আছে এটির পরবর্তী পর্ব প্রকাশ করার।
Was this review helpful to you?
or
BEST THRILLER WRITTEN BY A BENGALI WRITER
Was this review helpful to you?
or
Excellent
Was this review helpful to you?
or
Again got too much thrills!!
Was this review helpful to you?
or
Amazing thriller..
Was this review helpful to you?
or
Most overrated Bengali literature I've ever read. Finding it too difficult to complete the book ?
Was this review helpful to you?
or
Waiting for the next part...
Was this review helpful to you?
or
রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও আসেন নি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন মুশকান জুবেরী, চিরযৌবনা রহস্যময়ী সুন্দরী নরখাদক! তিন বছর ধরে যার খোঁজ করে যাচ্ছে নুরে ছফা। নুরে ছফা হাল ছেড়ে দেওয়ার মানুষ নয়, মুসকান জুবেরীর কেসইটাই একমাত্র অলসলভড কেইস। মুশকানের একজন ভিক্টিম ছিল ক্ষমতাধর প্রধানমন্ত্রীর পিএসের ভাগ্নে। পিএস ব্যক্তিগত কারণেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ করবে তার ভাগ্নের অপহরণকারীকে ধরতে। পিএসের কথায় পূর্ণ উদ্যমে কাজে নেমে পড়ে নুরে ছফা। রমনার বটমূলে ছায়ানটের সমবেত কন্ঠে বৈশাখের গান শুনা যাচ্ছে। নুরে ছফা গান শুনলে তার দুই চোখ খুঁজে বেড়াচ্ছে এক রহস্যময়ী নারীকে। কেননা সুন্দরপুরে মুশকান জুবেরী যখন নুরে ছফাকে ঘোল খাইয়েছিলেন তখন বলেছিলেন রমনার বটমূলে এই অনুষ্ঠান কখনো মিস হয় না তার। কিন্তু নুরে ছফা বুঝতে পারলো না কেইস কোথা থেকে শুরু করবে তাই কেএস খানের কাছের পরামর্শ নিতে গেলে কেএস খান বলেন, " আপনি যে মাটিতে আছাড় খাইছেন সেই মাটি থিকাই আবার উঠতে হবে।" ছফা বুঝতে পারলো তাকে সুন্দরপুরে আবার ফিরে যেতে হবে। সেইখানে গিয়ে বিচিচিখ্যাত আতর আলীর সাহায্য নিল। মাস্টারসাবের সাথে দেখা করলো এবং কিছু প্রশ্ন করলো, মাস্টারসাব যদিও প্রশ্নের উত্তর দিতে চাসচ্ছিলেন তবুও উত্তর দিলেন। ছফার ধারণা মাস্টারসাব তাকে মিথ্যা বলছে কিংবা মুশকান জুবেরীকে বাঁচাতে চাইছে। তবে সেখান থেকেই ছফা ক্লু পেয়ে যায়। ঢাকায় এসে সরাসরি চলে যান উকিলের অফিসে সেখান থেকে ডাক্তার আসকারের বাসা। যদিও ডাক্তারের ঠিকানা বের করা সহজ ছিল না কিন্তু প্রাণ বাঁচাতে সব বলে দিয়েছে উকিল। ডাক্তার আসকার নতুন কাহিনী দিয়ে ছফাকে ভুল পথে চালনা করলেন তবে সেটা কাজে দিল না। তবে আসকারের বুদ্ধির তারিফ করতে হয়! আসকারের পাসপোর্ট দেখে বুঝতে পারলো তিনি ঘন ঘন কলকাতা যাওয়া আসা করেন। ছফার বুঝতে বাকী রইলো না মুশকান কলকাতায় থাকে! ছফা চলে গেলেন কলকাতা, শুরু করলেন তার কাজ। নগরপালের সাহায্য তার কাজ সহজ হয়ে গেল। দুইজন নিখোঁজ ব্যক্তিকে কেন্দ্রকে চলছে ছফার তদন্ত। বেড়িয়ে আসে অদ্ভুদ তথ্য আর সেইখান বেনাপল দিয়ে চলে আসেন সুন্দরপুরে। শুরু হয় মুশকান জুবেরী ও ছফার প্রহেলিকাময় পাশা খেলা। কেউ কারো থেকে কম নয়, যেকোনো মুহূর্তে একজন অপরজনকে টপকে যাবে। কে হারবে, কে জিতবে এই নিয়ে থাকবে উত্তেজনা! 'রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি' এই বই টা পড়ে মরিয়া হয়ে ছিলাম দ্বিতীয় পার্টটি পড়ার জন্য, তবে এখন তৃতীয় পার্টটির জন্য অপেক্ষা করতে হবে। প্রথম বইটা যেমন মুগ্ধ করেছিল দ্বিতীয় বইটা মুগ্ধতা বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। লেখকের সাবলীল লেখার প্রশংসার করতেই হয়! একটা পৃষ্টা পড়ার পরের পৃষ্টা পড়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে ছিলাম। মাঝে মাঝে মনে হচ্ছিলো আমি নিজেই নুরে ছফা!? লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ আকর্ষণীর মৌলিক থৃিলার টার জন্য!♥ বই রিভিউ তেমন লিখতে পারি না, তবে চেষ্টা করে যাই।?
Was this review helpful to you?
or
Not up to the mark
Was this review helpful to you?
or
Khub valo
Was this review helpful to you?
or
Nice thriller indeed!
Was this review helpful to you?
or
Thriller er golpo valo, uttejona o ase but kisu kisu khetre investigator er performance khub durbol mone hoese. police investigator kono ashami k trace and track korar por emon durbol kaj korena jar maddhome ashami khub sohoj er ber hoe jete pare.. Golper theme valo but ashami j sob silly upaiee bar bar foske jai ta khub durbol legege.
Was this review helpful to you?
or
great
Was this review helpful to you?
or
কাকতালীয় ব্যাপারগুলো বেশি বেশি হয়ে গিয়েছিলো। নাহলে বাকি সবকিছুই ভালো লেগেছে। পরের বইয়ের অপেক্ষায় রইলাম।
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া সেরা মৌলিক থ্রিলার।
Was this review helpful to you?
or
'রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি' হলো সুন্দরপুর গ্রামে অবস্থিত একটি রেস্টুরেন্টের নাম।নুরে ছফা নামের একজন রেস্টুরেন্টটিতে যান একটা বিশেষ উদ্দেশ্যে(উদ্দ্যেশটি বলে দিয়ে পাঠকের আগ্রহ নষ্ট করতে চাচ্ছি না)। রেস্টুরেন্টের মালিক মুশকান জুবেরিকে জানতে গিয়ে বের হয়ে আসে রোমহর্ষক সব কাহিনী।তার সাথে যুক্ত হয় গোর খোদক ফালুর অদ্ভুত সব কর্মকান্ড।মুশকান জুবেরিকে জানতে গিয়ে যেসব তথ্য বের হয়ে আসে তা সত্যিই অকল্পনীয়।অসাধারণ নিপুণতায় লেখক আস্তে আস্তে প্লট তৈরি করেছেন এবং শেষে গিয়ে পাঠককে বাকরুদ্ধ করে প্রমাণ করেছেন এই বই শুধুমাত্র টাকা কামানোর জন্য লেখা হয় নি।মুশকান জুবেরি এবং নুরে ছফা সহ বাকি চরিত্রগুলোকে লেখক এমনভাবে উপস্থাপন করেছেন যেন তারা সত্যি সত্যিই আছে। একান্ত ব্যাক্তিগত মতামতঃ ছোটবেলায় 'তিন গোয়েন্দা' পড়ে যেমন অনুভূতি হতো এই বই পড়ার সময়ও একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম 'এরপর কি হবে?'যারা আমার মতো থ্রিলার তেমন একটা পছন্দ করেন না আশা করি তারাও এই বই পড়ে আমার মতো থ্রিলড হবেন।আর এই বইয়ে একটি ঘটনা পুরোপুরি শেষ না করে দ্বিতীয় ঘটনা শুরু করা হয়েছে আবার দ্বিতীয় ঘটনা পুরো শেষ না করে প্রথমটি শেষ করা হয়েছে।ব্যপারটি প্রথমে বিরক্তিকর লাগলেও শেষের দিকে বিরক্তি রূপ নিয়েছে মুগ্ধতায়। হ্যাপি রিডিং।
Was this review helpful to you?
or
এই পার্টটা এত বাজে হবে আমি চিন্তাই করিনি।
Was this review helpful to you?
or
খুবই প্রিয় একটা বই ধন্যবাদ নাজিম উদ্দিন ভাইয়া
Was this review helpful to you?
or
বুক রিভিউ বই : রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও আসেননি(রবীন্দ্রনাথ ট্রিলজির দ্বিতীয় বই) লেখা : মোহাম্মদ নাজিমউদ্দিন প্রকাশনী : বাতিঘর প্রচ্ছদ : সিরাজুল ইসলাম নিউটন প্রথম প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ২০১৯ মুদ্রিত মূল্য : ৫০০ টাকা পৃষ্ঠা : ৪৭১ (সতর্কীকরণ : প্রথম পর্বের কিছুটা স্পয়লার আছে। যারা 'রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি" - বইটা পড়েননি এই রিভিউটা তাদের জন্য নয়।) ● মুশকান জুবেরিকে মনে আছে? ঐযে সেই রহস্যময়ী নারী যে ডিটেকটিভ নূরে ছফাকে পরাস্ত করে পালিয়েছিল? সুন্দরপুর গ্রামের মুশকান জুবরীর সেই বিচিত্র হোটেলটির কথা মনে আছে? "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি।" তিন বছর পর নূরে ছফা এখনো বিষন্ন তার জন্য। বিরহে নয়, তাকে ধরতে না পারার গ্লানি তার পিছু ছাড়ছে না। ক্যারিয়ারের প্রথম আনসলভড কেস এটা, একইসাথে মুশকান তাকে শেষবার একরকম সহজভাবেই হারিয়ে দিয়েছিল। এরইমধ্যে কেটে গেছে তিন তিনটে বছর। এতটা সময় পর আকস্মিকভাবে নূরে ছফা এই কেসে ফেরার একটি কারণ পেয়ে গেল। মুশকানের একজন ভিক্টিম ছিল মহাক্ষমতাধর প্রধানমন্ত্রীর পিএস এর ভাগ্নে। পিএস ব্যক্তিগত কারণেই উঠে পড়ে লেগেছে তার ভাগ্নের অপহরণকারীকে ধরতে। এ কাজটি সে ছফাকে দিল। প্রধানমন্ত্রীর পিএস এর মত শক্ত অবলম্বন ধরে পূর্ণ উদ্যমে মাঠে নেমে পড়ে নূরে ছফা। তবে সে বুঝে উঠতে পারল না কোথা থেকে সে শুরু করবে। সে শরণাপন্ন হল ডিবির অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএস খানের। কেএসকে তার টানাটানা চলিত ভাষায় ছফাকে বলল,'যেই মাটিতে আছাড় খাইছেন, সেইখান থেকেই শুরু করতে হবে।' অর্থাৎ? অর্থাৎ আবার সেই সুন্দরপুরে ফিরতে হবে ছফাকে। সেই রবীন্দ্রনাথে! সুন্দরপুর এসে ছফা দেখলো মুশকান ফেরারী হবার পরে 'রবীন্দ্রনাথ এখানে চখনও খেতে আসেননি' এখন আর বস্তুত রেস্টুরেন্ট নেই। থাকবেই বা কীভাবে! রান্নার কারিগর মুশকান জুবেরি ই যে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছে! বরং সেখানে গড়ে উঠেছে প্রকাণ্ড এক লাইব্রেরি। আর তার পাশেই দাঁড়িয়ে আছে রবীন্দ্রনাথের কপিক্যাট রেস্টুরেন্ট 'রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও আসেননি'। বলা বাহুল্য, এই রেস্টুরেন্ট নিতান্ত ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে খুলেছে কিছু অসাধু মানুষ। এছাড়া সেই জমিদার বাড়ি এখন সুন্দর আবাসিক স্কুল। আর এই স্কুল করেছেন সেই মাষ্টার রমাকান্তকামার। আবারও এগিয়ে সেই ইনফর্মার 'বিবিচি' আতর আলি। শুরু হয় আতর-ছফা আখ্যান। প্রথমেই সন্দেহের তালিকায় প্রথমেই আসে মাস্টারসাব। তিনি কেন এই স্কুল লাইব্রেরি প্রতিষ্টা করলেন তার মানে তার সাথে মুশকানের সম্পর্ক আছে। সেই সূত্র ধরে নুরে ছফা মাস্টারকে জেরা করে একটা চিরকুট পায় সেই চিরকুট এর সূত্র ধরে এই ট্রাষ্টের উকিল ময়িজ উদ্দিনের নাম জানতে পারে ছফা , তার কাছ থেকে জানতে পারে এই ট্রাষ্টের সাথের আরেক জন ব্যক্তি জড়িত আছেন - ডাক্তার আসকার ইবনে সায়িদ। সেই ডাক্তার, তার মানে মুশকান জুবেরির সাথে তার ভালো যোগাযোগ আছে। ডাক্তারকে জিরা করে ছফা যা জানতে পারলো ত জানলে পাঠক চমকে উঠবে নিঃসন্দেহে। বুঝতে পারবেন, মুশকান জুবেরি সম্পর্কে এতোদিন যা জানতেন তা সবই মিথ্যা। সত্যি বলতে রহস্যময়ী মুশকান জুবেরির সম্পর্কে বিশেষ কিছুই জানতো না। এর সূত্র ধরে ছফা চলে আসে কলকাতায়। তারপর কলকাতা থেকে ফিরে নুরে ছফা আর মুশকান জুবরী শুরু করে প্রহেলিকাময় পাশা খেলা। যেন ইঁদুর বেড়াল খেলায় যেকোনো মুহূর্তে একজন অন্যজনকে টপকে যাবে। পাশার দানে দানে পাঠক জড়িয়ে যাবেন আপনিও। কে হারবে আর কে জিতবে মুশকান জুবেরি আর নুরে ছফার এই ভয়ংকর খেলায় প্রিয় পাঠক আপনাকে স্বাগতম। বইয়ের ভালো মন্দ -------------------------------- 'রবীন্দ্রনাথ কখনো এখানে খেতে আসেননি' ট্রিলজির পরবর্তী বই হচ্ছে 'রবীন্দ্রনাথ কখনো এখানে আসেননি'। দুই বাংলার বহুল প্রতিক্ষিত এই বইটি আমি বইমেলায়(অমর একুশে বইমেলা ২০১৯) প্রকাশের পরপরই কিনে ফেলেছি। সাথে জুটেছে প্রিয় লেখকের অটোগ্রাফ এবং নাজিমউদ্দিন ভাইয়ের সাথে একরাশ সেলফি। এবার বইয়ে ফিরি,দারুণ গতির একটা বই এটা। ছোট ছোট অধ্যায়ে বিভক্ত। প্রত্যেকটি অধ্যায় আপনাকে টেনে ধরবে। আগের কাহিনীর সাথে মিল রেখে প্লটটাও অসাধারণ। এবার আসি চরিত্র প্রসঙ্গে। ডিটেকটিভ হিসেবে নূরে ছফা অসাধারণ। তবে একটু শান্ত প্রকৃতির। একজনের কথা না বললেই নয়। তিনি হলেন ডিটেকটিভ কেএস খান। যার উপস্থিতি ছিল গল্পে সামান্য। তবে খুব শক্তিশালী একটা পার্ট সে রিপ্রেজেন্ট করে। এ চরিত্র প্রথম দেখা যায় নাজিম উদ্দিন সাহেবের 'জাল' বইটিতে। সেখান থেকেই আমি এ চরিত্রের ভক্ত এবং আস্থাশীল। আমি ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় বলছে এই অমীমাংসিত কেসের সমাধান কেএস খান ই করবে। নূরে ছফা অনেক বড় রোল প্লে করবে নিঃসন্দেহে। তবে আমার কেন যেন মনে হয় শেষ চালটা কেএস খান চালবেন। এই সিরিজের তৃতীয় বই আগামী বছর প্রকাশিত হবে। লেখক নাম ঘোষণা করেছেন, 'রবীন্দ্রনাথ এখানে এসেছিলেন।' আশা করি শেষ পর্বে কেএস খানের হাত ধরেই গল্পের ইতি টানবেন লেখক। তবে টুইস্টটা কী হবে সেটা শুধু লেখকই ভালো জানেন। আর আতর আলিকে প্রথম পর্বে যতটা স্ক্রিনটাইম দেওয়া হয়েছে দ্বিতীয় পর্বে সে ততটাই নির্লিপ্ত। আশা করি, তৃতীয় অর্থাৎ শেষ পর্বে তাকে পূর্ণ উদ্যমে কাজে নামাবেন নাজিমউদ্দিন ভাই। মুশকান জুবেরিকে নিয়ে কিছুই বলার নেই। চরিত্রটি একই সাথে কাহিনীর মূল উপজীব্য ও খলনায়িকা। তার ক্রাইম সেন্স চরমমাত্রায় পৌঁছেছে এবার। ব্যাপারটা এমন যে সে খলনায়িকা হলেও তাকে আপনি দূরে ঠেলে দিতে পারবেন না। বারবার এই রহস্যময়ী নারীর বুদ্ধিদীপ্ত আচরণ এবং শক্ত স্নায়ু আপনাকে মুগ্ধ করবে। এই নাহলে নারী! Beauty with Brain বলা চলে? হাহা। তবে এমন নারীকে জীবনসঙ্গী করার কথা ভাববেনও না। কেননা.....থাক কারণটা বই পড়ে জেনে নিবেন। কাহিনী বিল্ড-আপ বেশ ভালো ছিল বইয়ের। প্রথম থেকেই গল্পটা ভালো গতিশীল ছিল। প্রথম পর্বের মত স্লো মনে হয়নি আমার। গল্পটা এতোটা ভয়ানক ছিল যা পাঠক শিহরিত হবেই বার বার। বাঁকে বাঁকে গল্পের মোড় নেয়াটা ছিল অসাধারণ। আর টুইস্ট সে আর বলতে, এককথায় ভয়ানক সুন্দর। ঢাউস সাইজের বইটা পড়তে পাঠকের একটুও কষ্ট হবেনা। এবার টুকটাক মন্দ দিকে আসি। মন্দ দিক বলতে টুকটাক কিছু বানান ভুল ছিল বইতে। এত মোটা একটা বইয়ের বাইন্ডিং আরো শক্তপোক্ত দরকার। আর কিছু কিছু জায়গায় মনে হল অকারণে বেশি বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাকিসব মোটামুটি ঠিকঠাক ই মনে হল। আমার কথা ---------------------- 'রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও আসেননি' খুবই ডিমান্ডিং একটা বই ছাল গত বছর বইমেলায়। আমি মনে করতে পারি প্রথম যেদিন বইটা মেলায় এলো সেদিন একরকম কাড়াকাড়ি পড়ে গিয়েছিল। এটাই প্রমাণ করে লেখক হিসেবে মোহাম্মদ নাজিমউদ্দিন কতটা পাঠকপ্রিয় ও সফল। রবীন্দ্রনাথ সিরিজের প্রথম বইটা প্রকাশের তিন বছর পরে প্রকাশ পেল এই সিরিজের দ্বিতীয় বইটা। প্রথম বইটার মত এই বইটাও পাঠককে হতাশ করবেনা। স্নায়ুযুদ্ধে আটঘাট বেঁধে পাঠক নেমে পড়বে এই বইয়ের পাতায় পাতায়। নাজিমউদ্দিন ভাইয়ের লেখার সাথে পরিচয় 'কেউ কেউ কথা রাখে' বইটির মাধ্যমে। বইটা শেষ করে আমি সেদিন একরকম ঘোরের মধ্যে ছিলাম। এত সুন্দর মানুষ কীভাবে লেখে! আমি এখনও কেউ থ্রিলার সাজেশন চাইলে প্রথমেই 'কেউ কেউ কথা রাখে' বইটা সাজেস্ট করি। মানুষ হিসেবেও নাজিমউদ্অংইন ভাই তার লেখলেখির মতই অতুলনীয়। বইমেলার সেদিন অত ভীড়ের মধ্যেও তিনি সহজভাবে আমার সাথে কথা বলেছিলেন, ছবি তুলেছিলেন। সব মিলিয়ে আমার ছোট্ট জীবনে সত্যি বলতে আমি অনেক কিছু পেয়েছি ইতিমধ্যেই। এই তো! আর কী? অনেক কথা হল। এবার পড়ে ফেলুন বইটা। অধরা নূরে ছফার সাথে রহস্যকূপে নেমে পড়ুন অধরা মুশকান জুবেরির উদ্দেশ্যে। আর হ্যাঁ, পিডিএফ এড়িয়ে চলুন। বড়জোর ইবুক পড়তে পারেন। আর নতুন বই কিনে বইয়ের গন্ধে প্রাণ জুড়াতে থাকুন।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ লেখা,প্রতি টা পৃষ্ঠার রোমাঞ্চকর,
Was this review helpful to you?
or
1st part ta besi valo silo
Was this review helpful to you?
or
One of the most exiting mystery thrillers in our country. Writer Nazim Uddin really knows how to make twist, suspense and ambiguity. This sequel is more exciting than the first one. We can find new powerful character like Asheq Mahmud, mysterious Susmita which make the story more interesting. The location of the story are Dhaka, Sundarpur, khulna and even in Kolkata. I think every thriller reader would be fascinated after reading this story.
Was this review helpful to you?
or
Really awesome, fantastic mystery thriller. Twist, suspence, thrill in every chapter of this novel. Puzzles of Mushkan Juberi, mysterious Susmita, power game of Asheq Mahmud, intelligency of Nure Sofa-everything is fantastic. The investigation of Nure Sofa went beyond Bangladesh, to the mystery of Kolkata. Special thanks to writer Mohammad Nazim Uddin sir for creating this amazing thriller.
Was this review helpful to you?
or
"রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি" যারা পড়েছেন তাদের নিশ্চয় মুশকান জুবেরির কথা মনে আছে? সেই রহস্যময়ী নরখাদক। ডিবি অফিসার ছফাকে যার কাছে নাকানিচুবানি খেয়ে সুন্দরপুর ছাড়তে হয়েছিলো। এবারের ঘটনা আরও তিন বছর পরের। ঢাকা-সুন্দরপুর-কলকাতা মিলিয়ে এবারের ঘটনা। পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে মুশকান জুবেরিকে দেখে ছফা। পরবর্তীতে মুশকানের এক শিকার হাসিবের মামার বিশেষ অনুরোধে পুনরায় তদন্ত শুরু করে। প্রথমে সুন্দরপুর পরে কলকাতা। তারপর আবার ঢাকা। মরীচিকার মতো মুশকান জুবেরির পিছনে ধাওয়া করছে কিন্তু সত্যিই কি তার দেখা পাবে? সুন্দরপুরের সেই গানের শিক্ষিকার মধ্যে মুশকানের ছায়া কেন দেখতে পাওয়া যায়? জানতে হলে পড়তে হবে বইটি। ব্যক্তিগত মতামতঃ প্রথমেই বেশ চমক ছিলো। কিন্তু মাঝ পর্যায়ে কাহিনীটি খুব ধীর গতিতে এগিয়েছে বলে মনে হয়েছে। বিশেষত সুন্দরপুরের অংশটি। এবং একই সাথে অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ের অবতারণাও দেখা গিয়েছে। পাঠক যখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে রহস্যের কূলকিনারার, তখন সুন্দরপুরের কোনো পকেটমারের জীবনী বা কারো যৌন জীবন নিয়ে অতিরিক্ত কথা বিরক্তি লাগতেই পারে। তবে, শেষের অধ্যায়টা বেশ ভালো ছিলো, উত্তেজনাপূর্ণ। আর বইয়ের একদম শেষ লাইন- "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো আসেননি "- এটার জন্যই আরও আকর্ষণীয় সমাপ্তি হয়েছে বলে মনে হয়েছে। যে একবার পড়া শুরু করেছেন এই সিরিজ তাকে মুশকানের প্রহেলিকার জগতে হারিয়ে যেতেই হবে।
Was this review helpful to you?
or
ছফার সকল প্রচেষ্টাকে ব্যার্থ করে আবারো গা ঢাকা দিতে সফল মিসেস জুবেরি। প্রথম বইটার মতো দ্বিতীয় বইটাও টুইস্টে ভরা, তাই ভালো লেগেছে। যদিও সুস্মিতা মেয়েটাকে এখন বেশী রহস্যময়ী লাগছে তাও এই বইয়ের ক্যারেক্টার হিসেবে মুশকান ই সেরা। শুধু আফসোস হয় বেচারা নুরে ছফা এখনও মুশকানের দেখা পেলেন না! আশা করি তৃতীয় পর্বটা আরো দারুন হবে কারন ক্যানিবাল রা সংখ্যায় বেড়েই চলেছে। সুস্মিতাও সব জেনে গেছে! তাহলে এবার কি হবে? আরো একগাদা টুইস্টের অপেক্ষায় আছি। শশুড়বাড়ি মধুর হাড়ি হলেও " রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও আসেননি" খুবই দুঃখজনক???
Was this review helpful to you?
or
One of the best thriller series by Bangladeshi writer
Was this review helpful to you?
or
বাংলাদেশী মৌলিক থ্রিলার হিসেবে অসম্ভব ভালো একটা বই! সবার আগে মনযোগ আকর্ষণ করে বইটার নাম। অনেকগুলো প্রশ্ন সৃষ্টি হয় মনের মাঝে। 'রবীন্দ্রনাথ? কোথায় খেতে যাননি? কেন খেতে যাননি?' শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বইয়ের পাতায় পাঠককে ধরে রাখার ক্ষমতা আছে বইটার। আমি দুপুরে বসে রাতের দিকে শেষ করে উঠেছিলাম। বর্ণনাভঙ্গি মোটামুটি ভালো লেগেছে, কাহিনী অনেক ভালো। বলে রাখা ভালো, শুরুর দিকে গল্পের রহস্য-সমাধানকারী নুরে ছফার কাজকর্ম, কথাবার্তা কেন জানি ভাল্লাগে নাই আমার, রহস্যের কূল করতে এসে কেমন জানি কৌতুহলী শিশুর মতো প্রশ্ন করছিলো, সংলাপগুলো তেমনই মনে হচ্ছিলো -_- যা হোক, মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের আরো লেখা পড়ার আগ্রহ তৈরী হয়েছে এই বইয়ের পর। আশাহত হবো না আশা করি :
Was this review helpful to you?
or
Sign up My Books Browse ▾ Community ▾ Join Goodreads and meet your next favorite book! Sign Up Now Book details রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও আসেননি (রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি #2) by Mohammad Nazim Uddin (Goodreads Author) 3.55 273 ratings 62 reviews Want to Read Rate Write a review পরায় তিন বছর ধরে মুশকান জুবেরিকে খুঁজে যাচছে নুরে ছফা। তবে এবার সে একা নয়, পরবল কষমতাবান আরেকজন মানুষও মরিয়া হয়ে উঠেছে রহসযময়ি এই নারীকে খুঁজে পেতে। সেই কষমতাবানের সাহাযয নিয়ে নতুন উদযমে নেমে পড়ে ছফা, দরুতই আবিষকার করে মুশকান সমপরকে এতোদিন যা জানতো... More Get a copy Amazon Stores Libraries and more Friends’ Reviews To see what your friends thought of this book, please sign up . Community Reviews Average rating3.55 · 273 ratings · 62 reviewsAll LanguagesEnglish (6) বাংলা (56)  মাহাতাব রশীদ rated it really liked it 5 months ago Can’t remember the last time I read something for 5 hours straight and finished a 432 page book in one sitting. The writer handled the story pretty well, made it quite well gripped. The first hundred page was a bit mundane, the rest was quite well paced. Had a few issue ...more Like Likes:23  Shaon Arafat rated it liked it 9 months ago রবীন্দ্রনাথ খেতে এসে দু'দন্ড শান্তি দিলেও, এমনি এমনি এসে মোটামুটি হতাশ করেছে। লেখকের উপরে অতিরিক্ত এক্সপেক্টেশন থাকার কারণেও এমনটা মনে হতে পারে। যাইহোক, অভারঅল লেখা এবং গল্পের বুনন বেশ ভালো। তবে থ্রিলের পরিমাণ কম- চমকপ্রদ, পিলে চমকে দেওয়ার মতো কোনকিছুই নাই। না আছে তেমন কোন নতুনত্ব। টুইস্ট আছে, তবে মোটামুটি প্রেডিক্টেড। প্রথম দুইশো পেজ যথেষ্ট বোরিং হলেও, বাকিটা বেশ দ্রুতগতির ছিলো। শেষের দুইশো পেজ এক বসাতেই পড়া গেছে। একটা সময় এসে মনে হচ্ছিলো বইটা অতি দুর্দান্ত হতে যাচ্ছে, কিন্তু শেষ ৫০ পেজ ভালো লাগেনি। বি দ্রঃ তিনটি স্টার দেওয়া হচ্ছে শুধু লেখকের ভালো লেখণী এবং গল্প বুননের অসাধারণ কারুকাজ দেখানোর জন্য।
Was this review helpful to you?
or
☆☆☆
Was this review helpful to you?
or
মফস্বলের এক শহর সুন্দরপুর। মোটামুটি বেমানানভাবেই এখানে রয়েছে অদ্ভুত নামের একটি সুবিখ্যাত রেস্তোরাঁ। সে রেস্তোরাঁর নাম "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেন নি"! নামের পেছনে আছে লুক্কায়িত রহস্য। এই শহরটিতে, কিংবা বলতে গেলে, রেস্তোরাঁটিতে আগমন ঘটে এক আগন্তুকের। রেস্তোরাঁ ও তার মালিককে নিয়ে তার আগ্রহ কিংবা প্রশ্নগুলো অন্যদের চেয়ে একটু আলাদা ধরণের, গতিবিধিও রহস্যজনক। উদ্দেশ্য কি তার?? আর রেস্তোরাঁটিই বা এমন কেন? কি লুকানো কাহিনী রয়েছে এটিকে ঘিরে? পরামর্শ হিসেবে বলছি, এই বইয়ের মেইন থিমটা মিথোলজি ও সাইকোলজিক্যাল কিছু ডিস-অর্ডার বেইসড। যারা ফিকশন এর মধ্যে "যুক্তিভিত্তিক ধ্রুব সত্য" খুঁজতে অভ্যস্ত তারা এই বই পড়বেন না। আপনাদের জন্য থরে থরে সাজানো রয়েছে নন-ফিকশন। কথাটা একারণেই বলা, "বাস্তবতার সাথে এ টু জেড মিল খুঁজতে গিয়ে" অনেকে এ বই পড়ে হতাশ হয়েছেন, পরে অন্যরা তাদের মতামত শুনে বইটা পড়ার চিন্তা বাদ দিয়েছেন। "অন্যের মুখে খাবেন না" - অর্থাৎ কিনা, অন্যের মতামতের ভিত্তিতে বইটা পড়ার চিন্তা বাদ দেবেন না। আপনার নন-ফিকশন, থ্রিল, সাথে ডার্ক কনসেপ্ট এর সাথে পরিচয় থাকলে অবশ্যই অবশ্যই বইটা পড়ুন। বইয়ের মধ্যে আমি সাইকোলজিক্যাল থ্রিল বা শুধু থ্রিল পড়ে অনেক বেশি অভ্যস্ত। সেকারণে অনেক সময় অনেক বইয়ের "টুইস্ট" গুলো খুব সাধারণ আর প্রেডিক্টেবল মনে হয়। সেদিক থেকে এ বইটা সম্পূর্ণ সফল। টুইস্টগুলো ভীষণভাবে চমকে দেয়ার মতো ছিল, লেখককে বাহবা দেওয়ার মতোও ছিল। গল্পের উপস্থাপন ভালো লেগেছে। প্রথম ৫০ পৃষ্ঠা আমি ঢিমেতালে পড়েছি। কাহিনীটা প্রতিষ্ঠা হবার পর আর থামি নি। একবসায় শেষ করা বই। সত্যি বলতে, যতোটা আশা করেছিলাম, তারচেয়েও ভালো লেগেছে। মুশকান জুবেরী চরিত্রটা অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল। কাহিনীর প্রয়োজনে কিছু সত্য ঘটনার রেফারেন্স ব্যবহার করা হয়েছে, যেটা স্বাভাবিক। এবং বেমানান লাগে নি। বরং এরকম একটা কাহিনী সৃষ্টি করা অসাধারণ ছিল।
Was this review helpful to you?
or
খুব খুব নাম শুনার পর বইটা কিনি আর পড়া শুরু করি। খুবই সুন্দর প্লট আর ক্যারেক্টার দিয়ে বইটা শুরু হয়। ভালই লাগতেছিল। কিন্তু আস্তে আস্তে খুবই কনভেনশনাল আর সাদামাটা ভাবে গল্পটা শুধু শুধু টেনে বড় করা হয়েছে মনে হয়েছে। অনেক আগেই গল্পটা শেষ করে দেওয়া যেত, শেষ করে লেখক হয়তো অন্য নতুন কোন উপন্যাস/গল্প লিখতে পারতেন। আআমদেরও অন্য কোণ নতুন গল্প/উপন্যাস পড়ার সুযোগ হত। মানে প্রথম খুব এক্সাইটিং মনে হলেও বোরড হইয়া গেছিলাম শেষ পর্যন্ত। এই ই...
Was this review helpful to you?
or
মোহাম্মদ নাজিমউদ্দিনের অস্পষ্টতা আর ধোঁয়াশায় ভরপুর অসাধারণ থ্রিলার উপন্যাস ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি’ এর দ্বিতীয় পর্ব ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো আসেননি’। ২০১০ সালে নাজিমুদ্দিনের প্রথম মৌলিক থ্রিলার ‘নেমেসিস’ প্রকাশিত হলে ধীরে ধীরে তিনি এদেশের পাঠক ও পশ্চিমবঙ্গের পাঠকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন। ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো আসেননি’ উপন্যাসটি একযোগে ঢাকার বাতিঘর প্রকাশনী ও কলকাতার অভিযান পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত হয়। বইয়ের নাম থেকে ‘খেতে’ শব্দটি বাদ দেয়া হয়েছে যা থেকে ধারনা করে নেয়া যায় যে দ্বিতীয় পর্বে রেস্টুরেন্টের পাট চুকেছে। প্রথম পর্বে রহস্যময়তার পাশাপাশি খাবারের অদ্ভুত আকর্ষণ থাকলেও দ্বিতীয় পর্বের বইয়ের প্রচ্ছদেই চোখ আটকে যেতে বাধ্য। প্রচ্ছদের দুই নারীমূর্তি শুরুতেই মনে ধাঁধার সৃষ্টি করে। সুন্দরপুর থেকে পালিয়ে যাওয়ার দীর্ঘ তিন বছর পরও নুরে ছফা খুঁজে যাচ্ছেন রহস্যময়ী ‘মুশকান জুবেরীকে’। তার ক্যারিয়ারের এই একটি অমীমাংসিত কেসের কারণেই যেনো তার পুরো ক্যারিয়ার ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছে। ডিবির এই জাঁদরেল ইনভেস্টিগেটর তাই নাজেহাল। এমন পরিস্থিতিতে উপন্যাসের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে নেয় ক্ষমতাধর এক ব্যক্তি, যিনি প্রধানমন্ত্রীর পিএস- আশেক মাহমুদ। বোনের ছেলের নিখোঁজ রহস্য উদঘাটনে নিখোঁজের সাথে জড়িত মুশকানকে খুঁজতে মরিয়া হয়ে উঠেন তিনি। সত্যিই কি বোনের ছেলের নিখোঁজ রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা? নাকি আরো কোনো উদ্দেশ্য ছিলো তার? এদিকে ডিবির রিটায়ার্ড সিনিয়র খোদাদাদ শাহবাজ খান নুরে ছফাকে পরামর্শ দেন সুন্দরপুর থেকেই নতুন করে তদন্ত শুরু করার জন্য। তারপরই শুরু হয় চরম উত্তেজনার মুহূর্তগুলো। বই থেকে চোখ সরানোর উপায় ছিলো না। নুরে ছফা একে একে জেনে যায় আরো কিছু রহস্যময় তথ্য। ডাক্তার আসকারের দেওয়া তথ্যসমূহ সাময়িক দ্বন্দ্বে ফেলে দেয় তাকে। সুন্দরপুরের অদ্ভুত কিছু পরিবর্তনও পাঠককে অতি উৎসাহী করে তুলবে। তবে এবারের কাহিনী সুন্দরপুর কিংবা ঢাকায় থেমে থাকেনি। কলকাতায় ছুটে যেতে হয়েছে নুরে ছফাকে। সেখানে নিখোঁজ ডাক্তার দয়াল প্রসাদ মল্লিকের সাথে মুশকান জুবেরীর অদ্ভুত যোগসূত্র মেলে। সেখানে রহস্য আরো জট পাকিয়ে যায়। কে সত্য? মুশকান জুবেরী? রোখসান? নাকি সুষ্মিতা সমাদ্দার? উপন্যাসে আরো একটি চরিত্র কিছু জায়গায় অনেকটা প্রভাব বিস্তার করে- প্রধানমন্ত্রীর পিএসের গানম্যান আসলাম। উপন্যাসের প্যাঁচগুলো শুরুতে যেমন হাজারো প্রশ্নের অবতারণা করে, হঠাৎই একে একে সব প্যাঁচ খুলতে শুরু করে। বইটি পড়ার সময় এতোটাই উত্তেজনা কাজ করছিলো যে এক লাইন শেষ না করেই পরবর্তী লাইনে চলে যাচ্ছিলাম। প্রথম পর্বের তুলনায় কাহিনী আরো বিস্তৃত, কাহিনীর গতি ছিলো অত্যাধিক দ্রুত। মাঝে গা শিরশির করা দুটি খুনের বর্ণনা কাহিনীতে বৈচিত্র আনে। মাষ্টার রমাকান্ত কামারকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ভেবেছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে তার কোনো ভূমিকা পাওয়া যায়নি। প্রথম পর্বে মুশকান জুবেরীর চরিত্রটি অত্যন্ত দারুণভাবে ফুটিয়ে তোলায় সব আকষর্ণ এবার তার দিকে ছিলো, কিন্তু কাহিনীর দ্রুততায় চরিত্রটি শেষ পর্যন্ত ততটা আকর্ষণ ধরে রাখতে পারেনি। ডাক্তার আসকারের চরিত্রটি ছিলো অনেক দ্বিধান্বিত। তাছাড়া পিএসের বোনের সাথে মুশকানের পূর্বপরিচয়ের বিষয়টি অত্যাধিক কাকতালীয় বলে মনে হয়েছে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে লেখক উত্তেজনার চরম সীমায় পৌঁছে দিতে পেরেছেন। পাঠকের প্রধান আকর্ষণ নুরে ছফার সাথে মুশকান জুবেরীর সাক্ষাৎ। তা কি হয়েছিলো? জানতে হলে পড়তে হবে বইটি। রোমহর্ষক এক উত্তেজনাকর অনুভূতির সম্মুখীন হতে ও ভাবনার সাগরে ডুবে যেতে পড়ে ফেলুন- ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো আসেননি’।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_জুন "যে মাটিতে আছাড় খাইছেন সেই মাটি থেইকাই আপনেরে উঠতে হইবো।" কেএস খানের উচ্চারিত এই উক্তিটিই যেন ছফার ঘুমন্ত তেজকে সক্রিয় করে তাকে আবার নিয়ে যায় সুন্দরপুরের মাটিতে। সেই একই স্থান, একই মানুষ...কেবল বদলেছে মাঝের তিনটি বিগত বছর। এই তিনটি বছরেও ছফা তার নাকাম হবার কথা ভুলতে পারেনি! ভুলতে পারেনি কিভাবে মুসকান তাকে ভেলকি দিয়ে পালিয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। আজ এতটা বছর পর তার হারের সূত্র থেকেই আরো সূত্র খুঁজতে সুন্দরপুরে পা পড়ে ডিবি অফিসার নূরে ছফার। বইয়ের নাম: রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো আসেন নি লেখক: মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন প্রকাশনী: বাতিঘর প্রকাশকাল: ফেব্রুয়ারি ২০১৯ পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৪৩২ মুসকান জুবেরি এবং নূরে ছফার চরিত্রটি ইতমধ্যে কেউ ভুলেছে বলে মনে হয়না। কমবেশি সবার এই তথ্যটুকু জানা যে রহস্যজনকভাবে সোশাল মিডিয়ার অপব্যবহার করে কিভাবে মুসকান নামের এই লাস্যময়ী মহিলা তরুণদের তার সুন্দরপুরের রেস্টুরেন্ট "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেন নি" তে নিয়ে আসেন, আর তার পরই অদ্ভুত ভাবে তারা গুম হয়ে যান। এই তদন্ত করতে গিয়ে মুসকানের ব্যাপারে বেফাঁস অনেক কথাই ছফা জেনে যায়, কিন্তু আফসোস! এই লাস্যময়ী এবং রহস্যময়ী নারীর গতি ছিল তার কল্পনারও বাইরে! কিন্তু এবার তাকে ট্রেস করার গতি আরো বাড়াতে হবে। কেননা স্বয়ং প্রধাণমন্ত্রীর পি এস আশেক মাহমুদ এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত। তার ভাগ্নে হাসিবের পরিনতিও এ ঘটনায় অন্যান্য যুবকদের মতই। রবীন্দ্রনাথে গিয়ে হুট করেই গুম হয়ে যাওয়া! এখানে যতরকম লিগ্যাল কিংবা ইলিগ্যাল সাপোর্ট প্রয়োজন সে দিতে রাজী আছে, শর্ত একটাই। মুসকান জুবেরিকে ট্রেস করতে হবেই! পিএস আশেক মাহমুদের এই প্রস্তাব আসার আগেই ছফা পহেলা বৈশাখের দিন কিঞ্চিত অপ্রত্যাশিত ভাবেই মুসকানকে দেখে রমনার পাশেই গাড়িতে করে যেতে! তার স্মৃতির রোমন্থন হয়! আর এখন তো তার কাছে মুসকানের ফটো পর্যন্ত আছে যেটা সে এতদিন অনেক মাথা খরচিয়েও জোগাড় করতে পারেনি। তাজ্জবের ব্যাপার হলো, ছবিটা জোগাড় করে তাকে দিয়েছে পিএস নিজে। তার বৃদ্ধা ক্যান্সারের রোগী বোনের এক জমানার প্রতিবেশি এবং বন্ধুত্বের সম্পর্কের কারনে মুসকানের একটি ছবি ছিল বৃদ্ধার কাছে। সেই হাতিয়ার পুরপুরি কাজে লাগায় ছফা। সুন্দরপুরের বর্তমান অবস্থা দেখে ছফা যারপরনাই অবাক। রবীন্দ্রনাথ রেষ্টুরেন্টটার জায়গায় ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আছে একটি লাইব্রেরী। রমাকান্তকামার তার স্বপ্নের বাস্তবায়নের মাঝপথে ছফাকে দেখে একটি বিঘ্ন হিসেবে, তার ভয় বাড়তে থাকে ছফার ইন্টারোগেশন প্রক্রিয়া দেখে। যদিও স্থানীয় এমপি তার ক্ষমতার জোরে ছফাকে তার এক কালের শিক্ষক, যাকে এখনো সে মারাত্মক সমীহ করে সেই মাস্টার রমাকান্তকামারের যাপিত জীবনে যেন সে বিরক্ত না করে সেটা ভালো করে বুঝাতে চায়। কিন্তু তার হুমকির জোর চাপা পরে যায় পিএস এর একটি ফোনকলই। ছফা সুন্দরপুর থেকে তার কাঙ্খিত তথ্য নিয়ে ফিরে যায়। আর ফিরে যায় সুস্মিতা, মাস্টারের স্কুলের গানের শিক্ষিকার ধোঁয়াটে স্মৃতি নিয়ে। সুন্দরপুর থেকে ফিরার পর কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরুবার মতই একে একে উন্মোচিত হতে থাকে রহস্যের বেড়াজাল। কখনো যেটা দিচ্ছিলো নির্দেশনা আবার একইসঙ্গে বাঁধ সাধছিল তালাশে। এরই মাঝে ডক্টর আসকারের তথ্য অনুযায়ি বের হয় রুখসান নামের আরেকটি নতুন চরিত্রের। নিসন্দেহে যার সংযোগ রয়েছে মুসকানের সঙ্গে। একেরপর এক ধাপ করে মুসকানের কাছে যাবার সূত্র ধরে তার সম্ভাব্য শিকার এ কবছরে কে বা কারা হতে পারে তা ছফাকে ধাবিত করে কলকাতায়! ছফা চরম সাফল্য পেয়েই যাচ্ছিলো প্রায় কিন্তু এক লহমায় তাসের ঘরের মত তার এবং পিএস এর সকল প্রচেষ্টায় ডক্টর আসকারের সহায়তায় মুসকানের পাল্টা চাল প্রতিহত করেই চলে! এই সূক্ষ সূত্রের সংযোগ তার অনেক কাছেই অবস্থান করছিলো যাকে আগলে তীর পর্যন্ত চলে আসা ছফাকে তরীহীন না হতে হয়। ধীরগতিতে উন্মোচিত হতে থাকে প্রচ্ছদে দুটো নারী অবয়বের রহস্য। একদিকে চিরযৌবনা রহস্যময়ী মুসকান, অপরদিকে আরেকটি নারী চরিত্রের সমান তালে আগমন ছফার মত পাঠককেও করবে বিভ্রান্ত, দাঁড় করিয়ে দেবে দুর্ভেদ্য আশঙ্কায়। #পাঠ_প্রতিক্রিয়া: বইটা যতটা আকর্ষণীয় তার কানাকড়িও লেখায় ফুটিয়ে তুলা সম্ভব ছিল না আমার জন্য। প্রতিটা পেজে টানটান উত্তেজনা ধরে রেখেছিলো যেটা বারংবার পাঠককে ভাবিয়ে তুলবে। মুসকান কোথায় ছিল এতদিন? এতদিন কি সে হিউম্যান অর্গানের উপযোগ করেনি যা তাকে চিরযৌবনা করে রেখেছে? এক পর্যায়ে এটিকে মনেহয় পুরো ভিত্তিহীন কথা! কিন্তু সঠিক কোনটি? আদৌ যেটা বর্তমানে ডক্টর আসকার বলছে তা ঠিক এর তো কোন গ্যারান্টি নেই। কিন্তু পুরোপুরি উড়িয়ে দেয়াও তো বিপদ। ছফার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিমুহূর্তে নিজেরও ভীষণ পরাজিত মনে হচ্ছিলো যে কেনো মুসকানের পাশার প্রতিটি দান সেখান থেকেই শুরু হয় যেখান থেকে ছফা শেষ করে! নিজের বন্ধুকে নিকটে রাখো, কিন্তু শত্রুকে রাখো আরো নিকটে! এই প্রবাদের চরম মাত্রার প্রয়োগ পরিলক্ষিত হচ্ছিলো, যদিও সেটা বের করতে ভোগান্তি কম হয়নি। উপরমহলের চাপে আর মুসকানের এমন ধূর্ততায় কি হেরেই যাবে এই ডিবি অফিসার ছফা? নাকি তিনটি বছর পর মুসকানের নিজের সঙ্গে আবৃত করে রাখা আরো কিছু চরিত্রর রহস্য উন্মোচনে নতুন বেগ পাবে ছফা? সেই উত্তর পাঠক পাবে নিশ্চিত। এ যাত্রায় লেখক তা চেপে গেছে সংগোপনে, কিন্তু নিশ্চিত পরবর্তী পর্বে যা হবে তা অকল্পনীয়!
Was this review helpful to you?
or
very disappointing.
Was this review helpful to you?
or
onek onek valo...just amazing... waiting for the next
Was this review helpful to you?
or
৩ বছর ধরে মুশকান জুবেরি কে হন্যে হয়ে খুঁজা, ডাক্তার আসকার এর নতুন রুপে আবির্ভাব, সুস্মিতা এর নতুন কারুকলাপ, কে এস খান এর দূরদর্শিতা এবং ডিবি অফিসার নূরে সফা এর কিছু বোকামি; সব মিলিয়ে যেনো আরো একবার রহস্যময়ের ধারা নিয়ে ফিরে এলো ২য় বইটি। শেষে যেয়ে মুশকান জুবেরি কে যদিও তার পুরনো মুখ নিয়ে ফিরতে দেখা যায় নি, কিছুটা সহমর্মিতার পরিচয় পাওয়া গেছে তার মধ্যে; তার পরেও যেভাবে লেখক গল্পটি তৈরী করেছেন তাতে তাঁর প্রশংসা এর না করে থাকা যাবে না! কিন্তু যেটা না বলে থাকতে পারছি না, সেটা হচ্ছে গল্পের শেষটা আমার কাছে কিছুটা হতাশাজনক মনে হয়েছে। এই কারণে যে ভেবেছিলাম হয়তো এই পর্বে মুশকান কে নূরে ছফা ধরে ফেলতে পারবে তাঁর দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়ে, কিন্তু নূরে ছফা কে লেখক এই পর্বে যেভাবে তুলে ধরেছেন তাতে আমার হতাশা আরো বেড়ে গেলো! মুশকান আবারো পালিয়ে গেলো, কিন্তু তাঁর সাথে আরো একজন যোগ দিয়েছে! আরো ভেবেছিলাম যে তাঁর এই মাংস খাওয়ার হয়তো ইতি টানা হবে, কিন্তু তা না করে এই দলের সদস্য আরো বাড়ানো হলো! এর পরে কি হবে!? এই দলের সদস্য কি আরো বেড়ে যাবে নাকি তারা তাদের সিক্রেট আর কাউকে বলবে না! এই সব প্রশ্ন আমার মাথায় শুধু ঘুরছে আর নতুন নতুন প্রশ্ন তৈরী হচ্ছে। তাই আমি আসা করবো যেনো লেখক এই সিরিজের ৩য় পর্ব বের করে এর ইতি টানেন এবং নূরে ছফা কে যেনো আরো সুকৌশলই হিসেবে তুলে ধরেন, অন্যথায় আমার আকংখা শুধু বাড়তেই থাকবে!! তিনি চাইলে এখানে "জেফ্রি বেগ এবং বাস্টার্ড কেও আনতে পারেন মুশকান কে ধরার জন্যে!!!", যদিও এটা আমার কল্পনা বৈ কিছু নয়!!!!
Was this review helpful to you?
or
একটু অশ্লীলতা থাকলেও সার্বিক বিবেচনায় ভালো।
Was this review helpful to you?
or
রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি যতটা ভালো লেগেছিলো এই বইটা পরে ততোটা হতাশ করেছে আমাকে?হয়তো প্রথম বইটি খুব বেশিই মুগ্ধ করেছে যে ২য় বইটি এখন জায়গা নিতে পারছে না মনের কোঠায়?
Was this review helpful to you?
or
প্রথম বইটির তুলনায় এটায় থ্রিল বেশি পেয়েছি। নুরে ছফা আর মুশকান জুবেরির ইদুর বেড়াল খেলাটা ভালই ছিল। তবে মুশকানের ভূমিকা আরেকটু বেশি হলে ভালো হতো। আর শেষ দিকে মুশকানের পালিয়ে যাবার ব্যাপারে ছফার গাফিলতিতে বিরক্ত লেগেছে। অভার অল ভালো একটা থ্রিলার।লাস্ট বইয়ের অপেক্ষায় থাকলাম।
Was this review helpful to you?
or
রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও আসেননিঃ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনঃ --তিনি আসলেই ভালো লিখেন। বলব না যে অনেক বই পড়েছি, আমার দৌড় সেই ফেলুদা ব্যোমকেশ, মাসুদ রানা, তিন গোয়েন্দা পর্যন্ত। নাম শুনেই তার বই কিনেছিলাম। তিনি আসলেই নামের সুবিচার করেছেন। সামনে তার বাস্টার্ড সিরিজ ও পড়ে ফেলব। দেশি পটভুমি, দেশি চরিত্র, রাবিন্দ্রিক আবহ। বংগদেশে বিস্তৃতি। কল্পনার সবটুকু ছাড়িয়ে আমাদের ছফা বেশ হ্যান্ডসাম ও নন। কিন্তু তিনি ডিবি অফিসার। মুশকান জুবেরি, সুস্মিতা বইয়ের কলেবরে যথেষ্ট সময় ধরে একে নিয়েছেন। কখনো মনে হয়নি অযথা সময় নষ্ট হয়েছে। সময় নিয়ে সাসপেন্স তৈরি করেছেন। প্রথম দিকে ৩-দিনে শেষ করেছি অর্ধেক আর বাকি অর্ধেক একরাত্রে। সেই রাত্রে ঘুমিয়েও আমি কিনা রহস্য উন্মোচন করছিলাম। মাথাটা এতটাই রহস্যপ্লুত ছিল কিনা। স্পয়লার যেহেতু দেয়াই যাবেনা। থ্রিলার বলে কথা। তবুও বলবো মুশকান জুবেরির প্রহলিকা ময় জগতে স্বাগতম। বাংলা ভাষাভাষিরা আরেক নতুন লেখক পেয়ে গিয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
এই বই মূলত রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেনি এর সিক্যুয়াল । যারা রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেনি পড়ছেন তারা সহজেই বুঝতে পারবেন বইটি কতটা রোমাঞ্চকর হতে পারে। এই বইতে মুশকান জুবেরি সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য উঠে আসে ।যা নুরে ছফাকে সত্য মিথ্যার দোলাচলে ফেলে দেয় । শুধু এইটুকু বলার রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেনির পাঠকদের এই বইতেও নিরাশ করেন নি লেখক। বরং এই বইতেও সমান আমেজ বজায় রেখেছেন ।
Was this review helpful to you?
or
রহস্য শুরু হলেও খুব দ্রুত যেন সেটা শেষ! অন্যদিকে কিছুটা টেনে লম্বা করা হয়েছে বলেই আমার মনে হয়েছে। বানান আর টুকটাক কিছু ভুল ছিল। এই গল্পটি নিয়ে ওয়েব সিরিজ হলে অবাক হব না।
Was this review helpful to you?
or
শুধুশুধু প্লট কেন টেনে টেনে এত দীর্ঘ করলো তা অনেকের আমারও ভীষণ বিরক্ত লেগেছে। সবচেয়ে খারাপ লেগেছে এর এন্ডিং, নাজীম ভাইয়ের কাছে এরকমটা আশা করিনি। অর্ধেকের পর রোমাঞ্চের বদলে বিরক্তিই লেগেছে বেশি। একটু গভীরে যেতে গিয়ে একটু বেশিই পাকিয়ে ফেলছে!
Was this review helpful to you?
or
একটা সিক্যুয়েল বটে এই বই। তবে বেশ কমতি আছে পয়লা বই থেকে। এই পর্বে নুরে ছফার ব্যক্তিত্বে কেমন যেন আধাশিক্ষিতদের মতো একটা আচরণ লক্ষ্য করা যায়। যেটা সত্যিই নুরে ছফার মতো চরিত্রের সাথে বেমানান, বিশেষ করে পয়লা পর্বে যেভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছিলো তাকে সেটা বিবেচনায় আনলে। থ্রিলার হলেও থ্রিলিং ফিলিং এবার বেশ কম অনুভব করেছি৷ কেমন যেন অনুমেয় ছিলো প্রত্যেকটা ঘটনা এবং পরবর্তী অংশে কী ঘটবে তা৷ অহেতুক কথা ছিলো ব্যাপক। কোলকাতা নগরপালের মতো একজন মানুষ কেমন হবে আমার সে সম্বন্ধে ধারণা নেই। কিন্তু লেখক যেভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন তাতে সিরিয়াস কোনো উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার চেয়ে একটা ভাঁড়ই বেশী মনে হয়েছে আমার কাছে। বইটার পরিসর আরও ছোট হতে পারতো। আর আমার মতো যারা খুঁতখুঁতে স্বভাবের পাঠক তারা নিঃসন্দেহে এতে অস্বস্তি বোধ করবেন, কারণ লজিক্যালি ধরতে গেলে অনেক জিনিস হাস্যকর লেগেছে আমার কাছে। ভিন্ন একটা দেশে গিয়ে মাত্র একরাতে পলাতক আসামী চিহ্নিত করতে পারাটা কেমন যেন বেখাপ্পা। যা বুঝলাম এই বইটার আরও একটা সিক্যুয়েল আসছে। জানিনা সেটা কতটুকু রোমাঞ্চিত করতে পারবে৷ কিন্তু যদি সেটাও এরকমই হয় তাহলে হতাশই হব৷
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_মার্চ রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো আসেন নি লেখকঃ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন প্রকাশনাঃ বাতিঘর প্রকাশনী প্রকাশকালঃ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ মুদ্রিত মূল্যঃ ৫০০টাকা। পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৪৩২ আমার পড়া One of the First Thriller ছিল "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেন নি"। এই বইটির হাত ধরেই আমার থ্রিলারের ভুবনে প্রবেশ ঘটে। তারপর থেকে বাতিঘরের অনেক থ্রিলার পড়া হয়েছে। কিন্তু এখনো বেস্ট থ্রিলারের লিস্টে " রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেন নি" উপরের দিকেই থাকবে! এবারের বইমেলায় বইটির সিক্যুয়াল বের হলো "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো আসেন নি"। ফেভারিট একটা বইয়ের সিক্যুয়াল, এক্সপেক্টেশন স্বাভাবিকভাবেই অনেক বেশি। রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেন নি, নেমেসিস, নেক্সাস, কন্ট্রাক্ট, ১৯৫২ঃ নিছক কোনো সংখ্যা নয়, কেউ কেউ কথা রাখে এর মত বইগুলির লেখক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের উপর এক্সপেক্টেশন অনেক উঁচুতে থাকবে ইহাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু " রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো আসেন নি" বইয়ে নাজিম উদ্দিন তাঁর নামের প্রতি নায্য বিচার করতে পেরেছেন কি? সবাইকে ধোকা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ৩ বছর হয়ে গেলো মুসকান জুবেরির। এখনো ডিবির ইনভেস্টিগেটর নুরে ছফা মুসকানের টিকিটাও খুজে পায় নি। তবে ৩বছর পর পহেলা বৈশাখে রমনা বটমূলে কি মুসকান'কেই দেখলো নুরে ছফা? নাকি তার চোখের ভুল? সুন্দরপুরে মুসকান জুবেরির শিকারদের মধ্যে একজন ছিল প্রধানমন্ত্রীর পিএস এর ভাগ্নে। পিএস এর বোন মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে। বোনের ইচ্ছা পূরন করতে আবার সে তাগাদা দেয় ডিবির সবচেয়ে তুখোড় ইনভেস্টিগেটর নুরে ছফা'কেই! নুরে ছফা মুসকান'কে খোজার সুত্র ধরে ঘুরে বেড়ালো সুন্দরপুর থেকে কলকাতা। ঘটনা সুত্রে সে জানতে পারে, এতদিন মুসকানের ব্যাপারে যা জেনে এসেছে, সব ঘটনাই আসলে মিথ্যে! বরং নতুন যে ঘটনা সে জানতে পারে, সেটাই অনেক বেশি যৌক্তিক, বিশ্বাসযোগ্য! কোনটা তাহলে ঠিক? এবার কি মুসকানের নাগাল পাবে নুরে ছফা? নাকি মুসকান আবারো ধরা ছোয়ার বাইরেই থেকে যাবে? গল্পটা কেমন? - ভালো। থ্রিল অনেক বেশি? -না অনেক বেশি না। এক্সপেকটেশন পূরন হয়েছে? - যতটা আশা করেছিলাম, ততটা না। এক্সপেকটেশন'টা আসলেই অনেক বেশি ছিল। সেজন্য একটু আশাহত'ই হতে হয়েছে। আর শেষ পর্যন্ত মনে হয়েছে, শুধু শুধুই টেনে গল্পটিকে লম্বা করা হলো না তো? গল্পটি শেষে ইনকম্পলিট লেগেছে। হয়ত আরেকটি পার্ট আসবে গল্পটির। ৪৩২ পেজের ১০১ অধ্যায়ের বিশাল সাইজের বই। গল্পে বেশ কিছু প্লটহোল ছিল। যা নাজিম উদ্দিনের বইয়ে দেখা যায় না বললেই চলে! গল্পের প্রধান চরিত্র ডিবির সবচেয়ে তুখোড় ইনভেস্টিগেটর নুরে ছফা। একটা কেস ও আনসলভড নেই যার ক্যারিয়ারে। কিন্তু এই গল্পে নুরে ছফার ক্যারেক্টারটি ছিল বেশ ম্রিয়মাণ! এত তুখোড় একজন ইনভেস্টিগেটর এমন সব ভুল কিভাবে করেন যা একজন সাধারণ বুদ্ধির লোকও হয়তো করতো না। নুরে ছফার ক্যারেক্টারটি আরো স্ট্রং হতে পারতো। কথায় আছে না, "বাঙালি শক্তের ভক্ত, নরমের জম!" সে হিসেবে মুসকান জুবেরি'র ক্যারেক্টারটি বেশ ভালো লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
"রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি" এর সিকুয়েল । আগের টার মতই অসাধারণ একটি বই । তবে কিছু কিছু ঘটনা প্রবাহ স্বাভাবিকের চাইতে বেশি কাকতালীয় মনে হয়েছে । তবে লেখক যথেষ্ট বুদ্ধিদীপ্ততা দেখিয়েছেন। আগের মতই রহস্য ঘেরা এবং সাসপেন্সে ভরপুর ছিলো। মুশকান জুবেরিকে ঘিরে রহস্যের জট অনেকটাই খোলা হয়েছে । পরবর্তী বইয়ের অপেক্ষায় রইলাম...
Was this review helpful to you?
or
wating for 3rd part.
Was this review helpful to you?
or
প্রথম টার তুলনায় একদমই ভালো লাগেনি,, অহেতুক অশ্লীলতা ও গালাগালি, নুরে ছফার অহরহ ছাগলামি ও কো-ইন্সিডেন্স এর ছড়াছড়ির জন্য।
Was this review helpful to you?
or
সত্যি কথা বলতে এই বইটি খুবই হতাশাজনক! যা লেখকের কাছ থেকে আশা করিনি। পুরো বই টান টান উত্তেজনা নিয়ে পড়লেও এন্ডিংটা আগেরবারের মতই। বুঝলাম আরও একটা সিক্যুয়েল আসবে। ব্যবসার ভালো পলেসি।
Was this review helpful to you?
or
২০১৫ সালে প্রকাশিত হয় 'রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি'। সেখানে আমরা পাঠকরা পরিচিত হই মুশকান জুবেরি নামের অসাধারণ এক কুক ও ক্যানিবালের সাথে, যে আন্দিজ প্লেন ক্র্যাশের একজন সারভাইভার ছিলো। ডিবি'র ইনভেস্টিগেটর নুরে ছফার সাথে আর ইঁদুর বিড়াল খেলার শুরু সেখান থেকেই। আর এই ২০১৯ সালে এসে প্রকাশিত হলো দ্বিতীয় কিস্তি 'রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও আসেননি'। নুরে ছফা যে এখনো কয়েকটা গুম-খুনের আসামী মুশকানকে ধাওয়া করে যাচ্ছে, তা আবারো দেখা গেলো।
Was this review helpful to you?
or
এসো হে বৈশাখ এসো এসো ফেব্রুয়ারি মাসে কেন বৈশাখের গান গাচ্ছি? একচুয়ালি গত বৈশাখের গান এটা। রমনার বটমূলে ছায়ানটের সমবেত কণ্ঠে শোনা যাচ্ছে এই গান। ডিবির দুর্ধর্ষ অফিসার নুরে ছফা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শুনছেন। নাহ, তার মধ্যে হঠাৎ করেই পহেলা বৈশাখ উদযাপনের কীড়া ওঠেনি। সে এসেছে মুশকানকে খুঁজতে। মুশকান জুবেরি। সুন্দরপুরে যখন ছফাকে মুশকান ঘোল খাইয়েছিল, তখন কথা প্রসঙ্গেই একবার বলেছিল রমনা বটমূলের এই অনুষ্ঠান কখনো মিস করেনা মুশকান। "চাইগো আমি তোমারে চাই তোমায় আমি চাই এই কথাটি সদাই মনে বলতে যেনো পাই আর যা-কিছু বাসনাতে...ঘুরে বেড়াই দিনে রাতে..." ছফার সিনিয়র ডিবির প্রাক্তন অফিসার, যাকে বাংলার শার্লক হোমস বলা হয় সেই খোদাদাদ শাহবাজ খান ওরফে কে এস খান ছফাকে এবারও খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা টিপস দেন। "যে মাটিতে আছাড় খাইছেন সেই মাটি থিকাই আবার উঠতে হইব" মানে হলো গিয়ে তিনবছর পর আবার সেই সুন্দরপুর থেকেই তদন্ত শুরু করতে হবে। আচ্ছা আপনাদের মনে নিশ্চয় প্রশ্ন জাগছে এত বছর কেন আবার মুশকানের পিছনে লেগে পড়লো ছফা? ছফার পকেটে এই কেসের আগ পর্যন্ত কোনো আনসলভড কেস ছিল না। ব্যক্তিগত একটা ক্ষোভ তো ছিলই, তার উপরে যোগ হয়েছে সরকারের উপর মহলের ক্ষমতাবান এক লোকের আগ্রহ। যেকোনো মূল্যে তিনি চান ছফা খুঁজে বের করুক মুশকান জুবেরিকে, এজন্য ক্ষমতার পূর্ণ ব্যবহার করতেও রাজি তিনি। "মিথ্যে সেসব মিথ্যে ওগো তোমায় আমি চাই, রাত্রি যেমন লুকিয়ে রাখে আলোর প্রার্থনায়, তেমনি গভীর মোহনাতে তোমায় আমি চাই" আতর আলীকে সাথে নিয়ে সুন্দরপুর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ছফা। সবকিছু প্রায় আগের মতই আছে। জমিদারবাড়িটাকে স্কুল বানানো হয়েছে। আর সেই বিখ্যাত (!) রেস্টুরেন্টটা? ওটাও জায়গামতই আছে। তবে এখন ওটা সবথেকে বড় খাবারের রেস্তোরাঁ। পাঠকের রেস্তোরাঁ। রবীন্দ্রনাথ স্মৃতি পাঠাগার। আর এ-সবকিছুই পরিচালনা করছেন মাস্টার রমাকান্তকামার। শুরুটা এখান থেকেই করতে হবে। যে মাটিতে আছাড় খেয়েছে, সেখান থেকেই উঠতে হবে। "কেনো গো সে মোরে করে না বিশ্বাস। কেন গো বিষণ্ণ আঁখি আমি যবে কাছে থাকি, কেন ওঠে মাঝে মাঝে আকুল নিশ্বাস। আদর করিতে মোরে চায় কতবার, সহসা কী ভেবে যেন ফেরে সে আবার..." খুব দ্রুতই এমন কিছু তথ্য জানতে পারবে ছফা যা তার এতদিনের বিশ্বাস টলিয়ে দেবে। এতোদিন যা জানতো তা যেন লহমায় মিথ্যে হয়ে যাবে। তার কাছে মনে হতে থাকবে এখনকার গল্পটিই যেনো বেশি যৌক্তিক। মুশকান জুবেরি আসলে....... থাক ওসব, আসুন অন্যকিছু নিয়ে গল্প করি। রবীন্দ্রসংগীত শোনেন? কেমন লাগে? প্রিয়? নাকি মোটামুটি ভাল্লাগে তাই শোনেন? নাকি মুশকান জুবেরির মতই রবীন্দ্রনাথ নিয়ে ফ্যাসিনেসন আছে আপনারও?! আচ্ছা এই যে এতোগুলো বছর মুশকানকে খুঁজছে ছফা, কোথায় ছিল মুশকান? আমি বলে দিই? এমন একটি জায়গায় ছিল মুশকান, "যেখানে রবীন্দ্রনাথ কখনও আসেন নি"। "মানুষ সবকিছু পাল্টাইতে পারে, সিটিজেনশীপ, ধর্ম, এমনকি চেহারাও বদলাইতে পারে। কিন্তু অভ্যাস? অভ্যাস সহজে বদলাইতে পারে না...... কে এস খান।" কাট্টাপ্পা নে বাহুবালি কো কিউ মারা? সিনেমাপ্রেমীরা যেমন এই প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে ছিল বাহুবালি সিনেমার দ্বিতীয় পর্বের জন্য তেমনি বই প্রেমীরাও অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ছিল 'রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেন নি" এর দ্বিতীয় পর্ব ' রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো আসেন নি'র জন্য। মুশকান জুবেরি কোথায় গেল? দীর্ঘ তিন বছর পর পাঠক জানতে পারবে মুশকান জুবেরি এতদিন কোথায় ছিল কিভাবে ছিল। আর, একজন থ্রিলারপ্রেমী হিসেবে আমিও অপেক্ষায় ছিলাম বইটির। প্রতিবারের মত মেলার প্রথম দিনেই যাওয়ার সৌভাগ্য না হলেও রবীন্দ্রনাথ আসার দিনই গিয়েছিলাম মেলায়। এবং বাগিয়েও নিয়েছিলাম এক কপি। মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের বেশ কয়েকটা থ্রিলারই ইতোপূর্বে পড়া হয়েছে আমার। একটা জিনিষ বেশ বুঝতে পারছি, তার লেখার হাত দিন দিন পাঁকা হচ্ছে। গত বইমেলায় বের হওয়া পেন্ডুলাম বইয়ের সাথে তুলনা করলে, পেন্ডুলামকে যদি দশে চার/পাঁচ দিই তবে রবীন্দ্রনাথকে দিতে হবে দশে আট/নয়। লেখার ধরণ যেমন উন্নতি করেছে তেমনি গল্পের মোড়ে মোড়ে টুইস্টগুলোও প্রাণ পেয়েছে। পড়তে গিয়ে আপনার কাছে মনে হতে পারে, আরে এটা তো প্রেডিক্টেবল, মনে হতে পারে টুইস্টটি আপনি ধরে ফেলেছেন, কিন্তু কিছুদূর এগিয়েই হোচট খেতে হবে। নাহ, মিলছে না তো! তবে? হ্যাঁ, এখানে বেশ ভালো খেল দেখিয়েছেন লেখক। চিন্তা করার জন্য পাঠককে অনেকগুলো ক্লু দিয়েছেন, তাদেরকে নিয়ে এগিয়েছেন, কিন্তু হুট করেই গোত্তা মেরে সামনে থেকে হারিয়ে গেছেন। খেই হারিয়ে পাঠককে নিজের চিন্তা থেকে বেরিয়ে লেখকের চিন্তাতেই হাঁটতে হবে। রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেন নি বইয়ের পারফেক্ট একটা সিক্যুয়াল বলা যায় একে। একটা ব্যাপার লক্ষ করে যারপরনাই অবাক হয়েছি। বাতিঘরের বই নিয়ে পাঠকের কমন অভিযোগ, বানান ভুল। কিন্তু এই বইয়ে কোনো ভুল বানান চোখে পড়েনি! দুয়েকটা টাইপিং মিস্টেক যে নেই সেটা অস্বীকার করব না, কিন্তু আগের মত বিরক্তিকর ভুল বানানের ছড়াছড়ি একদমই নেই। একজন পাঠক হিসেবে বরাবরই আমার আক্ষেপ ছিল এটা নিয়ে। লেখক এবার বেশ ভালো মনোযোগ দিয়েছেন এইদিকে। সেজন্যে কৃতজ্ঞতা। পৃষ্ঠা সংখ্যার দিক দিয়ে বইয়ের দামও নাগালের মধ্যেই আছে। বাইন্ডিংও চমৎকার, কাগজের মানও মোটামুটি ভালো। যারা মুশকান জুবেরির প্রহেলিকাময় দুনিয়ায় স্বেচ্ছায় প্রবেশ করতে চান তাদের স্বাগতম জানিয়ে শেষ করছি আজকের রিভিউ। "ওই আসে ওই অতি ভৈরব হরষে জলসিঞ্চিত ক্ষিতি সৌরভ রভসে..."
Was this review helpful to you?
or
একটা রেস্টুরেন্ট, যেখানকার মালকিন এবং রাধুনী মুশকান জুবেরির জীবনে একটাই দুঃখ, যেই রবি ঠাকুরের তিনি এত বড় ভক্ত, সেই রবি ঠাকুরকে তিনি তার নিজের হাতে রান্না করা অসাধারণ সব খাবার খাওয়াতে পারেন নি। কিন্তু মুশকান তো নাছোড়বান্দা! তিনি যে করেই হোক, রবীন্দ্রনাথকে তার রান্না খাওয়াবেন-ই! আর তাই তিনি প্ল্যানচেট করে রবীন্দ্রনাথকে ডাকলেন। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ তবুও এলেন না! সেই দুঃখ থেকেই তিনি তার রেস্টুরেন্টের নাম রেখে ফেললেন "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি"! তবে এখানেই কিন্তু শেষ না! মানে আমি বলতে চাচ্ছি, এই রেস্টুরেন্ট পর্যন্ত এসেই কাহিনী শেষ হয়ে যায় নি(যদি হত তাহলে রবীন্দ্রনাথের আসা কিংবা না আসা দিয়ে কি আর এত কিছু আসত যেত?! রবীন্দ্রনাথ তো এই জীবনে কত জায়গায়ই যান নি!)। এমনকি কাহিনীর শুরুও এখানে না। বরং এই কাহিনীর শুরু হয়েছে আজ থেকে চুয়াল্লিশ-পয়তাল্লিশ বছর আগে আন্দিজ পর্বতে। কীসের কাহিনী? সে এক রোমহষর্ক কাহিনী, যা সেই আন্দিজ পর্বত থেকে গড়াতে গড়াতে এসে ঠেকেছে সুন্দরপুরের এই রেস্টুরেন্টে! "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি" রেস্টুরেন্টের অধ্যায় শেষ হয়ে গেলেও কাহিনীর গড়িয়ে যাওয়া কিন্তু শেষ হয় না! কাহিনী গড়াতে গড়াতে এরপর এমন এক জায়গায় গিয়ে ঠেকে, যেখানে যাবার পর আপনি জেনে অবাক হবেন যে "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও আসেন নি"! হ্যা, রবীন্দ্রনাথের সেখানে অবশ্যই যাওয়া উচিত ছিল, কিন্তু তিনি সেখানে যান নি। কেন যান নি, তা হয়ত তিনিই ভালো বলতে পারতেন! তবে রবীন্দ্রনাথ সেখানে না যাওয়া নিয়ে যতটা আফসোস মুশকান জুবেরির, তার চাইতে বেশি আফসোস আমাদের নূরে ছফার সেখানে পৌঁছাতে না পারাটা! জাদরেল ডিবি অফিসার নূরে ছফা, যে কিনা "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি" রেস্টুরেন্টটি বন্ধ হয়ে যাবার পর থেকে বিগত তিন বছর ধরে মুশকানকে খুজে বেড়াচ্ছে, সে তার গুরু খোদাদাদ শাহবাজ খানের পরামর্শে "যেই মাটিতে আছাড় খাইছে সেই মাটি থিকাই উইঠা দাড়াইতে" তিন বছর পর আবার ফিরে যায় সুন্দরপুরে। এবং তারপর এই কেস তাকে যেই পথে নিয়ে যায় সেই পথেই হাটতে হাটতে সে দেশের সীমানাও ছাড়িয়ে যায়! তারপর? তারপর কী হল জানতে হলে প্রথমে পড়তে হবে "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেন নি" এবং তারপর পড়তে হবে "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও আসেন নি".... :) প্রথমটা পড়ার পর দ্বিতীয় বইটা হাতে পাওয়ার জন্যে আমার পক্ষে একদিন অপেক্ষা করাও দুরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিলো! এবং দ্বিতীয়টা হাতে পাওয়ার পর শেষ না করে কোনো ভাবেই উঠতে পারছিলাম না(যদিও কিছু কিছু জায়গায় পড়তে পড়তে আটকে যাচ্ছিলাম ? )। এবং এটা পড়ে শেষ করার পর এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছি এই সিরিজের তৃতীয় বইটির জন্য! :) এই সিরিজে একই সঙ্গে নায়িকা এবং খলনায়িকা মুশকান জুবেরি। অনেকেই হয়ত প্রশ্ন করবেন এটা কী করে সম্ভব? আমি বলব, সম্ভব। অন্তত এই রবীন্দ্রনাথ সিরিজে সম্ভব হয়েছে! আর তার পারসোনালিটিই এমন যে বইয়ে যতবারই তার কথা বলা হচ্ছে, ততবারই যেন কানে রবীন্দ্র সঙ্গীতের সুর ভেসে আসছে! ? আর নায়ক নূরে ছফা। সে একজন চৌকস গোয়েন্দা। তার ক্যারিয়ারে কোনো ব্যর্থ কেস নেই। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি, এই কেসটাতে সে বারবার ব্যর্থ হয়েই যাচ্ছে। ব্যর্থতার একটাই কারণ, এই কেসটাতে তার বারবার ভুল হচ্ছে! কিন্তু বারবার ভুল করা একজন গোয়েন্দা হলেও এই নূরে ছফা চরিত্রটাকে যেকোন পাঠকের কাছে ভালো লাগতে বাধ্য। :) বই দু'টো পড়তে পড়তে একটা ব্যাপার আন্দাজ করলাম, লেখক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন ভাই মনে হয় আহমদ ছফা এবং জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাকের অনেক বড় ভক্ত। তার কারণ, নূরে ছফা এবং তার গুরু খোদাদাদ শাহবাজ খান ওরফে কেএস খানের ভেতরে আমি যথাক্রমে আহমদ ছফা এবং তার গুরু জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাক সাহেবের ছায়া দেখতে পেয়েছি(যদিও এই বিষয়টা কাহিনীর সঙ্গে প্রাসঙ্গিক নয়, তাও বললাম আর কি)। এমনকি এখানে কেএস খানের বাচনভঙ্গি যেরকম দেখানো হয়েছে, জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাকও ঠিক সেভাবেই কথা বলতেন! ? রেটিং........ ভাবছি এই সিরিজের তৃতীয় বইটা পড়ার পর একবারেই দেব। কী বলেন সবাই?? ? যাই হোক, অনেকদিন পর ভিন্ন ধাঁচের দু'টো থ্রিলার পড়লাম। অসংখ্য ধন্যবাদ নাজিম ভাইকে তার অসাধারণ লেখার জন্য। :) রইলাম এই সিরিজের তৃতীয় বইটির অপেক্ষায়.... (Y)
Was this review helpful to you?
or
খুবই হতাসা জনক। এই বইটাই কোন কিছু পাইনি, আগেরটা সাথে মুদ্রার অন্য পিঠ,
Was this review helpful to you?
or
রিভিউঃ রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও আসেননি। লেখকঃ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন। প্রকাশকঃ বাতিঘর। প্রচ্ছদঃ নিউটন। পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৪৩২ মুদ্রিত মূল্যঃ ৫০০ রেটিং: ৪.৫/৫ (মুসকান জুবেরীর কথা মনে আছে কি? সেই চিরযৌবনা অপরূপা সুন্দরী নরখাদক মুসকান জুবেরীর কথা বলছি। সেইযে তিনবছর আগে নুরে ছফার চোখকে ফাঁকি দিয়ে গায়েব হলো আরতো তার কোনো খোঁজ খবর নেই। কিন্তু নূরে ছফাতো হাল ছেড়ে দেয়ার পাত্র নয়।মুসকান জুবেরীর কেইসটাই যে তার জীবনের একমাত্র আনসলভড কেইস। সে যে প্রতিনিয়ত খুজে বেড়াচ্ছে সেই রহস্যময়ী নারীকে।) দূর থেকে ভেসে আসছে শতকণ্ঠের একত্রিত রবীন্দ্র সংগীত। সেইদিকে কোনো দৃষ্টিপাতই নেই নুরে ছফার। তার দুটো চোখ হাজারো মানুষের এই ভীড়ের মাঝেও মরিয়া খুজে বেড়াচ্ছে সেই একটি মুখকে। তার মন বলছে বলছে এই ভীড়ের মধ্যেই মুসকান জুবেরী আছে। কিন্তু যুক্তিবুদ্ধি কি এতে সায় দেয়?! যেই মানুষটির নামে গুম আর হত্যা করার মতো অভিযোগ আছে সে কি করে পহেলা বৈশাখে রমনায় আসতে পারে? এসব ভাবতে ভাবতে যখনই সে চলে যাবার সিদ্ধান্ত নিলো ঠিক তখনই যেনো এক ঝলকের জন্য দেখলো মুসকান জুবেরীকে। কিন্তু এটা কি সত্যিই মুসকান জুবেরী ছিলো নাকি সবটাই তার মনের ভুল! এইবার শুধু নুরে ছফাই নয়। প্রবল ক্ষমতাবান এক ব্যাক্তিও হন্যে খুজছে রহস্যময়ী এই নারীকে।প্রধানমন্ত্রীর ব্যাক্তিগত পি এস অশোক মাহমুদ। তার ভাগ্নে হাসিব গায়েব হয়ে গিয়েছিলো সেই সুন্দরপুরেই। যেকোনো মূল্যেই তার এই রহস্যময়ী নারীকে চাইই চাই। সেই ক্ষমতা বান ব্যাক্তির সাহায্য নিয়ে আবারো নতুন উদ্যমে নতুন করে নেমে পড়ে ছফা। "যে মাটিতে আছাড় খাইছেন সেই মাটি থিকাই আবার উঠতে হবে।" বাংলার শার্লক হোমস খোদাদাদ শাহবাজ খান ওরফে কে এস খানের এই রকম পরামর্শে নুরে ছফা আবারো ফিরে যায় সেই পুরনো সুন্দরপুরে। সেখানে বিচিবি আতর আলীকে নিয়ে দাপিয়ে বেড়ায়। সুন্দরপুরের নতুন এই পরিবর্তন দেখে বিষ্মিত হয়ে যায়। সুন্দরপুর আর আগের সুন্দরপুর নেই। সেই বিখ্যাত রেষ্টুরেন্টটি এখন হয়ে গেছে পাঠাগার। আর পুরে যাওয়া জমিদার বাড়িটা এখন বাইশ গ্রামের সবচেয়ে বড় স্কুল।আর এইসব কিছুর পরিচালনা করছেন রমাকান্ত মাষ্টার। এই নতুন পরিবেশে নতুন করে তদন্ত করতে গিয়ে নুরে ছফা খুব দ্রুতই আবিষ্কার করে মুসকান সম্পর্কে এতোদিন যা জানতো তার সবটাই মিথ্যে। এবারের গল্পটাই যেনো আরো বেশি যৌক্তিক! সত্য মিথ্যার এক গোলকধাঁধায় ডুকে পরে সে।কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা এই নিয়ে কোনো ধারনাই করতে পারে না নুরে ছফা। "মানুষ সবকিছু পাল্টাইতে পারে,সিটিজেনশীপ,ধর্ম এমনকি চেহারাও পাল্টাইতে পারে। কিন্তু অভ্যাস? সহজে বদলাইতে পারে না..." কে এস খানের আবারো এইরকম পরামর্শে নুরে ছফা মুসকানের অভ্যাস গুলোকে ফলো করতে থাকে। সে কোথায় কি অবস্থায় আছে সেটা জানতে চায়। আর নুরে ছফা যখনই এটা জানতে পারে শিহরিত হয়ে উঠে। সত্য মিথ্যার বেড়াজালে আটকে গেছে সে। এর মাঝে আসল সত্যটাকেই বের করতে চায় সে। কিন্তু সেটাকি নুরে ছফা পারবে? মুসকান জুবেরীকে হাতেনাতে পাঁকরাও করতে পারবে কি সে? নাকি আবারো হারিয়ে ফেলবে সেই রহস্যময়ী নারীকে। পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ বছর দুয়েক আগে "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি" বইটি পড়েছিলাম। আর থ্রিলার প্রেমী হিসেবে এই বইটির জন্য অপেক্ষা করে যাচ্ছিলাম। অবশেষে অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে বইটি শেষও করে ফেললাম। বইটি পড়ে আমার মনে হচ্ছে যে আমার অপেক্ষাটা বৃথা যায়নি। "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি" সিক্যুয়েল হিসেবে এই বই পার্ফেক্ট। ৪৩২ পেইজের এই বইটি অনেক মোটাসোটা হলেও পড়তে গিয়ে কোথাও একটুও বিরক্তভাব আসেনি৷ গল্পের মোড়ে মোড়ে লেখক টুইস্ট রেখেছেন। যেগুলো আমাকে পরের অধ্যায়ে যাওয়ার উৎকন্ঠা বাড়িয়ে দিয়েছে।বইটিতে লেখক পাতার পর পাতা শুধু রোমাঞ্চিতই করে গেছেন।গল্পটি পড়তে গিয়ে আমার মনে হচ্ছিলো আমিও যেনো হারিয়ে গেছি মুসকান জুবেরীর প্রহেলিকাময় জগতে। গল্পের চরিত্রগুলোও ছিলো অসাধারণ। একটি চরিত্রের সাথে আরেকটি চরিত্রের মিল লেখক খুব সুন্দর করেই এনেছেন। রবীন্দ্রনাথে প্রথম সিক্যুয়েল টা পড়ে আমার মুসকান জুবেরীর প্রতি ঘৃণা জন্মালেও এই বইটি পড়ে ঘৃনাটা মুসকান সহো আরো দুজনের উপর গিয়ে বর্তেছে। কি করে পারে এইগুলো? শুধু মাত্র নিজের যৌবন ধরে রাখার জন্য এইভাবে মানুষ ........ পারে! সবচেয়ে বাজে লেগেছে গানম্যান আসলাম আর সুস্মিতা চরিত্রটাকে। মানুষ এতোটা ভয়ংকর কি করে হতে পারে আমার জানা নেই! যাই হোক, সবশেষে বলবো অসাধারণ একটা বই। যারা "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি" বইটা পড়েছেন আর এই বইটাও পড়তে চান তাদেরকে মুসকান জুবেরীর প্রহেলিকাময় জগতে আরেকবার স্বাগতম।
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার উপন্যাস। তৃতীয় পর্বের অপেক্ষায়।
Was this review helpful to you?
or
এটা রবীন্দ্রনাথ সিরিজের দ্বিতীয় বই। লেখার ধরণ থেকে আন্দাজ করা যায় যে লেখক কমপক্ষে আরো একটা বই বের করবেন এই সিরিজ থেকে। ট্রিলজি করার জন্যই কি না শিউর নই, এই দ্বিতীয় বইটাকে একটু টেনে বড় করা হয়েছে বলে মনে হয়েছে আমার। আর নুরে ছফাকে প্রথম বইতে যতটা ধারালো মনে হয়েছিলো, এই বইতে তার ধারেকাছেও লাগেনি। আর কে এস খানের তো কোনো ভূমিকাই ছিল না এই বইতে। তাঁকে মুস করেছি । এই উপন্যাসটা ভালো ছিল। টানটান উত্তেজনা ছিল। যদিও ফিনিশিং প্রেডিক্টেবল লেগেছে। তৃতীয় পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
Was this review helpful to you?
or
রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও আসেননি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বাতিঘর প্রকাশনী বইটার আগের পর্ব পড়েই মুগ্ধ ছিলাম। অধীর হয়ে অপেক্ষায় ছিলাম রহস্যময়ী মুসকান জুবেরির পরিণতি জানতে। যার রহস্যের কূল কিনারা করতে দুদে অফিসার নূরে ছফা নিজেই সেই রহস্যের শিকারে পরিণত হতে বসেছিল। হাল ছাড়েনি ছফা। তার সাথে আছে প্রচণ্ড ক্ষমতাবান এক ব্যক্তি যে নিজেও চায় এর শেষ দেখে ছাড়তে। আগের পর্বের প্রায় সকল চরিত্র তাদের নিজস্ব ভঙ্গিমা ধরে রেখে তো আছেই, সাথে যোগ হয়েছে আরো এক প্রবল রহস্যময় চরিত্র যে কিনা কাহিনীর উত্তেজনার পারদ বাড়িয়ে দিয়েছে অনেকখানি। এর থেকে বেশি কিছু না বলাই ভালো, সেটা না হয় পাঠক নিজেই আস্বাদন করে নেবেন বইটি থেকে। ব্যক্তিগত মতামত: আগেই বলেছি প্রথম বই পড়েই আমি মুগ্ধ ছিলাম। সেই মুগ্ধতা বিন্দুমাত্র তো কমেই নি বরং বেড়েছে বহুগুনে। ধন্যবাদ লেখককে বাংলায় এমন আকর্ষণীয় মৌলিক থ্রিলার লেখার জন্য। অনুবাদ থেকে মৌলিক বইয়ের স্বাদ অনেক বেশি, ঠিক মুসকান জুবেরির রান্নার মতো। আর আরো কঠিন থ্রিলার বইয়ের উত্তেজনা শেষ অব্দি ধরে রাখা। লেখক এখানে শতভাগ সফল। আবারও অধীর হয়ে অপেক্ষায় রইলাম পরের পর্বের জন্য।
Was this review helpful to you?
or
dissapointed
Was this review helpful to you?
or
বই: রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো আসেননি লেখক: মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন প্রকাশনী: বাতিঘর (বইমেলা ২০১৯) সেই যে তিন বছর আগে সুন্দরপুর থেকে উধাও হয়ে গেল মুশকান জুবেরি, এরপর থেকেই তাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে নুরে ছফা। ইনভেস্টিগেটর ক্যারিয়ারের এই একটাই কেস অমীমাংসিত রয়ে গেছে তার, ব্যর্থতার আগুন তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে তাকে। এদিকে মুশকানের রহস্যটাও এতটাই উদ্ভট যে তার নামে বিশ্বাসযোগ্য কোন মামলা ও দিতে পারে নি সে। কুল কিনারা পাচ্ছিলো না যখন, তখন দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতাশালী একজন মরিয়া হয়ে উঠলেন, মুশকান জুবেরিকে ধরতেই হবে! তার সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাসে নতুন উদ্যোমে তদন্তে ঝাঁপিয়ে পড়ল নুরে ছফা। কিন্তু কিভাবে শুরু করবে? পথ দেখালেন খোদাদাদ শাহবাজ খান - 'যেখানে মুখ থুবড়ে পড়েছ, সেখান থেকেই উঠো আবার'৷ ফিরে গেল নুরে ছফা সুন্দরপুরে। একের পর এক জানতে শুরু করল বিস্ময়কর সব সূত্র। এবার যে যেতে হবে কলকাতায়! তবে কি কলকাতায় লুকিয়ে আছে মুশকান? তার সম্পর্কে যা জেনেছিল নুরে ছফা তাই কি সত্যি? এবার কি সফল হবে নুরে ছফা? পাঠপ্রতিক্রিয়া: প্রথম পর্ব থেকে দ্বিতীয় পর্ব আমার বেশি ভালো লেগেছে। প্রথম পর্ব পড়তে পড়তে মাঝখানে একটু বেশি টানা হয়েছে মনে হচ্ছিল। এবারের গল্পে তার কোনও সুযোগ নেই, পদে পদে উত্তেজনা! গল্পের গাঁথুনি আগের থেকে শক্ত। লেখক টুইস্ট নিয়ে ভালোই খেলেছেন। যখনই মনে হচ্ছিল কাহিনী এরপরে কি হবে বুঝে ফেলেছি, তখনই নতুন কোন প্যাঁচ খেলে সব হাতের মুঠো থেকে বেড়িয়ে যাচ্ছিল। এবারের চরিত্রগুলোও আগের থেকে বাস্তব কিন্তু বেশি মজাদার মনে হচ্ছিল। একটু একটু করে সূত্রের জট খোলাটা দারুন উপভোগ করেছি। প্রচ্ছদ টা দারুন। এবার নারীমূর্তি দুজন কেন, তা প্রথমবার প্রচ্ছদ দেখার পর থেকেই ভাবছিলাম। উত্তর অবশ্য বই পড়েই পেয়ে গেছি। *স্পয়লার এলার্ট* মুশকানের সাথে নুরে ছফার একবারও সরাসরি মোলাকাত না হওয়ায় হতাশ হয়েছি। রমাকান্তকামারের চরিত্রে কোন মোড় আশা করেছিলাম। ডাক্তার আসকারেরই বা কি হল? সুস্মিতা যেভাবে সব জেনে গেল, তাতে ভয় হচ্ছে ধীরে ধীরে সদস্য বেড়ে এরা একটা ভয়ংকর মানুষখেকো গোষ্ঠীতে পরিনত হবে। সবচেয়ে ভয়ের কথা, আসলাম এর শরীরের কোন অংগটা কেটে নেওয়া হয়েছে জানা গেলে সিক্রেট অর্গানের কথাটা জানাজানি হয়ে যাবে না? আশেক মাহমুদ ও এত সহজে সিক্রেট অর্গানের আশা কি ছেড়ে দিবে? সবমিলিয়ে একটা তৃতীয় পর্ব আমরা আশা করতেই পারি লেখকের কাছে!
Was this review helpful to you?
or
যারা বলতেসেন ভালো লাগসে ্তারা স্টার জলসা র ফ্যান । প্রথম টা ভালো লাগসে ।সাসপেন্স ছিল কানায় কানায় । দ্বিতীয় টা এভাবে টেনে টেনে লম্বা করা আর এত ফালতু এন্ডিং দেওয়ায় আমি হতাশ। মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন এর মত লেখকের কাছে আশা করা যায় না।
Was this review helpful to you?
or
নাজিম উদ্দিনের সাবলীল লেখনী তাঁর অন্যতম শক্তি। রবীন্দ্রনাথ সিরিজেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। রবীন্দ্রনাথ সিরিজের প্রথম বই, "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি" কিছুটা ভিন্নধর্মী একটি উপন্যাস। লেখক বাংলার "হ্যানিবাল লেকটার", মুশকান জুবেরির চরিত্রকে দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন। মুশকানের মূল চরিত্র সম্পর্কে বেশ আগ্রহ তৈরি হয়েছে, আশা করা যাচ্ছিল যে সিরিজের ২য় বইতে একই ধারাবাহিকতা বজায়ে থাকবে। রবীন্দ্রনাথের দ্বিতীয় বইও বেশ সহজে পাঠ্য। হতাশাজনকভাবে বইয়ের ভাল দিক শুধু এইটুকুই। গল্পের মধ্যে প্রথম বইয়ের মত ধারাবাহিকতা ছিল না। গল্প এক জায়গা থেকে আরেক জায়গাতে গিয়েছে, কিন্তু এতে করে কাহিনী বেশি দূরে যায়নি। সেই সাথে চরিত্রগুলোর মধ্যে কিছু দুর্বলতা ফুটে উঠেছে। সামারিঃ বইয়ের "টুইস্ট" গুলো ঠিক টুইস্ট ছিল না। সব শেষে অনেক লেজেগোবরে করে ফিনিশ দেয়া হয়েছে, সেখানে একই ঘটনা বার বার ঘটতে থাকে। মুশকান জুবেরির প্রতি যেই আগ্রহ জন্মেছিল, সেটা আর টিকে থাকেনি। প্রচুর "কাকতাল"-নির্ভর প্লট। কিছু চরিত্রকে লেখক অতি-প্রয়োজনীয় হিসেবে দেখিয়েছেন, কিন্তু আসলে তাদের কোন প্রয়োজন ছিল না (যেমন কে.এস.)। ***** এর পরের অংশে স্পয়লার আছে, বই না পড়ে থাকলে পড়বেন না। ***** বিস্তারিতঃ নূরে ছফাকে প্রথম বইতে যেমন মনে হয়েছে সে একজন দারুণ গোয়েন্দা, নিজের কাজে পটু, দ্বিতীয় বই পড়ে মনে হয়েছে লেখক ঠিক নিশ্চিত নন নূরে ছফা কি আসলে দুর্দান্ত একজন গোয়েন্দা, নাকি বোকার হদ্দ। যেমন, কলকাতা গিয়ে বিশ্বাস করে বসা যে "প্লাস্টিক সার্জারি" করে মুশকানের চেহারা এতটা বদল করা সম্ভব যে সে সুস্মিতা হয়ে গেছে, এবং সামনে দেখেও তাকে চেনা যায়নি। অথচ সুস্মিতা একজন আলাদা মানুষ, তার পরিচিতি নির্ণয় করা কঠিন কিছু ছিল না। তার উপর ছফা নিজের চোখেও মুশকানকে দেখেছে কয় দিন আগে। এরপরেও সে সুন্দরপুর ছুটে গেল! তার থেকেও বড় অবিশ্বাস্য বিষয় ছিল যেভাবে মুশকান, সুস্মিতা পালিয়ে গেল। বাতি নিভিয়ে যেই গাড়িটি ছুটে গেল, সেই গাড়িকে ধরতেই হত, কিন্তু সব পুলিশকে সাথে নিয়ে? এটা কিভাবে সম্ভব? পুরো বই ছিল "কাকতাল" নির্ভর। শুরুতে কাকতালীয়ভাবে ছফা মুশকানকে দেখল (তার আগে কাকতালীয়ভাবে দেখল তার মেন্টরকে), কাকতালীয়ভাবে মাস্টার দেখে ফেলল ছফার পাঠানো চোরকে, কাকতালীয়ভাবে পিএসের বোনের সাথে পরিচয় ছিল মুশকানের, পিএসের বোনের জন্যে যেই সার্ভিস ব্যবহার হচ্ছে, তাও আবার ডা. আসকার ব্যবহার করতে পারে, কাকতালের কোন শেষ নেই। এর বাইরে ড আসকারকে নিয়েও লেখক সম্ভবত অনিশ্চিত ছিলেন। কারণ তিনি যদি কয়েক বছর ধরে মুশকানের বানানো রেসিপি খেয়ে থাকেন, তাহলে কোন ভাবেই কে.এস. এর কাছে তার মুশকানের ইতিহাস স্বীকার করার কারণ নাই। সেটা কোনভাবেই হিসাবে আসেনা। আসকারের ব্যাপারে ছোট বড় আরও অসংগতি আছে। সব থেকে বাজে বিষয়টা ছিল কাহিনীর শেষে, যখন একই ঘটনা বার বার ঘটে চলল। একবার পিএস সুস্মিতাকে কিডন্যাপ করে, এরপরে মুশকান একে ওকে কিডন্যাপ করে, আবার পিএসের বডিগার্ড একজনকে কিডন্যাপ করে (চরিত্রগুলো এক জায়গা থেকে আরেক জায়গাতে এত কম সময়ে কিভাবে যাচ্ছে, সেই প্রশ্ন না হয় বাদই থাকল) - এত বালখিল্যভাবে গল্পটার শেষ সিকুয়েন্সটা তৈরি হয়েছে যা ছিল বেশ বিরক্তিকর। বোকার মত একটা গাড়ির পিছনে সব পুলিশ নিয়ে ছুটে মুশকানদের হারানোর মাধ্যমে এই বালখিল্যতার সমাপ্তি হয় । আরেকটা বিষয় হল, এই বইতে মুশকানের দিকের গল্প ছিল না বললেই চলে। এরপরেও তার চরিত্রের ব্যাপারে যেই আগ্রহের সূত্রপাত হয়েছিল তার সমাপ্তি ঘটেছে এই বইতে। ফলে সিরিজের ৩য় বই সম্পর্কে কোন আগ্রহ তৈরি করতে পারেনি। সেই সাথে নতুন চরিত্র, সুস্মিতা সম্পর্কে কোন মিস্ট্রি তৈরি হয়নি, সুতরাং এই চরিত্রের অবতারণার মাধ্যমে সিরিজের প্রতি নতুন কোন আকর্ষণও তৈরি হয়নি। তেমন ভাবে পিএসের বোনের ব্যাপারেও কোন প্রকার ইমোশনাল অ্যাটাচমেন্ট তৈরি হয়নি। পুরোনো একটা পয়েন্টে ফিরে যাই, এই কারণে যখন মুশকান তার ব্যাপারে হুমকি দিচ্ছিল, তাতে পাঠকের কিছু যায় আসেনি। সব মিলিয়ে এই বইটি সম্পর্কে যেই আগ্রহ তৈরি হয়েছিল, লেখক সেটা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন বলা যায়।