User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
nice
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার। ভালো কন্ডিশন ও দ্রুত পাওয়া যায়। আমার প্রিয় লেখকের বই।
Was this review helpful to you?
or
এই বইটি প্রকৃতপক্ষে অনেক সুন্দর এবং মনোমুগ্ধকর। বইয়ের প্রেক্ষাপট টি আমাকে মুগ্ধ করেছে। পাঠক এই বইটি পড়ে অনেক কিছু অনুধাবন করতে পারবে। লেখকের লেখনি অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এই বইটি গুছিয়ে সুন্দর করে লিখার জন্য লিখককে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আসুন নিজে বই পড়ি এবং অন্যকে বই উপহার দিয়ে বই পড়তে উৎসাহিত করি।
Was this review helpful to you?
or
I am always a fan of James Rolince. Deep Fathom was written on a historical myth which has been involving twelve thousand years of mystery of Pacific islands. Deep sea expedition and Nan Madol island adventures were fantastic. By reading that book, I learned the mystery of Dragon triangle or Devil's sea for the first time, the exact opposite surface place of Bermuda triangle. I think writer should have finished the story with more exciting and realistic way. Whatever, the action and adventures of this story was really fantastic.
Was this review helpful to you?
or
আজকাল আর আগের মত টানা বই পড়তে পারি না। ব্যস্ত থাকি খুব। সারাদিন অফিস শেষে বাড়ি ফিরেই ঘুম। প্রতিদিন যাতায়াতের পথেই যা পড়া হয়। এভাবে পড়ার পর যখন বই শেষ হয় তখন সেটা নিয়ে রিভিউ লেখার সময় পাই না। ডিপ ফ্যাদম বইটি পড়া শেষ হয়েছে গত সপ্তাহের প্রথমেই। অথচ সময় সুযোগের অভাবে রিভিউ লিখতে পারিনি। এবার এক রকম জেদ ধরেই শুরু করলাম। নাহলে ভুলে যেতে পারি পয়েন্টগুলো। বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখাঃ নতুন শতাব্দীর প্রথম সূর্য গ্রহণের দিনে...কেউ ভাবতেও পারেনি যে মানবজাতির ইতিহাস পাল্টে যাবে এমনভাবে! পৃথিবী যখন অন্ধকারের চাদরে মোড়া, তখন সূর্যালোকের কারণে দুনিয়ার কপালে নেমে এল দুর্যোগ! কেঁপে উঠল ধরণী, শুরু হলো আগ্নেয়গিরির লাভা উগরে দেয়া... প্রাক্তন নেভি সিল জ্যাক কার্কল্যাণ্ডের ধারণা, এসবের সঙ্গে কোন-না-কোনভাবে সম্পর্কযুক্ত সমুদ্রের অতল গভীরে পাওয়া অদ্ভুত এক স্ফটিক। যেমন বৈশিষ্ট্য ওদের অদ্ভুত, তেমন অদ্ভুত তার চেহারাও। অজানা কোন এক গোত্র তাতে লিখে রেখেছে সাবধানবাণী ...বারো হাজার বছর আগে!যে অভিশাপ দুনিয়ার বুক থেকে মুছে দিয়েছিল সেই গোত্রকে, আবার সেটা ফিরে আসছে কী? পাঠ-পর্যালোচনাঃ একটি বই সম্পর্কে লিখতে গেলে তার সবদিক থেকেই লিখতে হয়। বইটির ভেতর বাহির সব দিকেরই ভালো মন্দ তুলে ধরতে হয়। তাই এই বইটির পাঠ পর্যালোচনা পর্যায়ক্রমে নিচে দেওয়া হলো। কাহিনী প্রসঙ্গে- যারা থ্রিলার বা এডভেঞ্চারধর্মী বই ভালোবাসেন তাদের জন্য জেমস রোলিন্স একজন আদর্শ লেখক। ডিপ ফ্যাদম ২০০১ সালে প্রকাশিত থ্রিলার উপন্যাস। গল্পের শুরুটা হয় এক সূর্যগ্রহনের দিনে। হঠাৎ পৃথিবী কেঁপে ওঠে। আগ্নেয়গিরি থেকে বেরিয়ে আসে লাভা। সমূদ্রের তলদেশ থেকে বেরিয়ে আসে এক স্ফটিক। সেই স্ফটিকের গায়ে কিছু অদ্ভুত লেখা। সেই লেখার বয়স ১২ হাজার বছর। জানা গেল, সেটি যেন তেন লেখা না। এক ভয়ংকর অভিশাপ! যেই অভিশাপের জোরে পালটে গিয়েছিল পৃথিবীর মানচিত্র... সব মিলিয়ে গল্পটা ইন্টারেস্টিং। জেমস রোলিন্সের অন্যান্য কাহিনীগুলো থেকে এটি বেশ আলাদা। অনেকটা এক্সপেরিমেন্টাল কাজ বলা যেতে পারে। মাইথোলজি আর সায়েন্সের সংমিশ্রণটা ভালো ছিল। তবে যারা আমাজনিয়া কিংবা সিগমা ফোর্সের বইগুলো আগে পড়ে ফেলেছেন, তাদের কাছে খুব আহামরি লাগবে কি না জানিনা! অনুবাদ প্রসঙ্গে- এই বইটির অনুবাদ করেছেন মোঃ ফুয়াদ আল ফিদাহ। ফুয়াদ ভাইয়ের অনুবাদ আমার সবসময়ই ভালো লাগে। সাবলীল, প্রাঞ্জল অনুবাদে তিনি সিদ্ধহস্ত! বিশেষ করে তাঁর অনুদিত অর্টেমেসি ফাউল সিরিজের আমি অন্ধভক্ত! তাছাড়া এর আগে জেমস রোলিন্সের অনেকগুলো বইয়েরই অনুবাদ তিনি করেছেন। কিন্তু সেগুলোর তুলনায় এই বইটির অনুবাদ আমার ভালো লাগে নি। কেমন যেন খাপছাড়া ভাব আছে। একটা অধ্যায় ভালো, তো আরেকটা অধ্যায়ে ঝুলে গেছে কাহিনী। কেন যেন এগোচ্ছিল না বইটা। এই জন্য ৩ মাস লাগিয়ে শেষ করেছি। এখন এটা বইয়ের অনুবাদের সমস্যা নাকি মূল গল্পেরই দোষ তা জানিনা। তবে বলতে বাধ্য হচ্ছি, ফুয়াদ ভাইয়ের অন্যান্য অনুবাদের তুলনায় এই বইটির অনুবাদ খুব ভালো হয়নি। বইয়ের বাহ্যিক দিক প্রসঙ্গে- ‘ডিপ ফ্যাদম’ চিরকুট প্রকাশনীর প্রথম বই। আর সেদিক থেকে যদি ধরি, তাহলে বলবো, প্রথম বই হিসেবে একেবারে ফাটিয়ে দিয়েছে। বইয়ের কোয়ালিটি আমার বেশ লেগেছে। কাগজ ভালো। হার্ড বাইন্ডিং এর কভারে তেমন কোন সমস্যাই চোখে পড়ে নি আমার। বইটির প্রথম প্রচ্ছদটা আমার খুব একটা ভালো না লাগলেও, বর্তমান প্রচ্ছদটি দেখতে অনেক সুন্দর। সাধারণত একটি বই প্রকাশের পর প্রকাশক বইটি নিয়ে বেশ অনেক সময়ের জন্য ভাবা বন্ধ করে দেন। পরবর্তী মূদ্রণে খুব বেশি হলে বানান ও প্রিন্টিং মিস্টেক্সগুলো ঠিক করেন। প্রচ্ছদ বা আউটলুক নিয়ে আর তেমন ভাবেন না। কিন্তু চিরকুট প্রকাশনীকে এক্ষেত্রে বেশ ব্যতিক্রম মনে হলো। এজন্য চিরকুট প্রকাশনীকে বিশেষ সাধুবাদ জানাই। তবে বইটির ভেতরে কিছু ভুল আছে। প্রুফ ঠিক মত দেখা হয়নি। এই জন্য অসংখ্য বানান ভুল পেয়েছি। প্রিন্টিং মিস্টেকসও পেয়েছি অনেক। আশাকরি, পরবর্তী মূদ্রণে এই সমস্যা দূর হবে। সবশেষে এটাই বলবো যে, বইটি খুব খারাপ লাগে নি আমার কাছে। রোলিন্স ফ্যান হলে আপনিও পড়ে দেখতে পারেন।
Was this review helpful to you?
or
ইটি পড়ার সময় মনে হইতেছিলো যেন আরেকটা বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল পড়তেছি। বইটিতে জেমস এর অন্যান্য বইয়ের তুলনায় অ্যাকশন এলিমেন্ট কম, চেজিং এবং "মিস্ট্রি" বেশি। তবে নিঃসন্দেহে জেমস রোলিন্সের সেরা থৃলারের তালিকায় প্রথম দিকেই থাকবে। এর প্রধান কারণ জেমস এর এলিমেন্ট কম্বিনেশন। ইতিহাস, মিথ, জিওগ্রাফি, ফিজিক্স, ফ্যান্টাসি, আন্ডারসী সাইফাই সবকিছু মিলিয়ে যেভাবে গল্পটি বুনেছেন লেখক, অসাধারণ। সবচেয়ে ভালো লেগেছে ডার্ক এনার্জি এবং ডার্ক ম্যাটারকে দুটি চরিত্রের কথোপকথনের মাধ্যমে ক্লিয়ার করেছেন। তাছাড়া, Nan modol এর বর্ননা যেভাবে করেছেন লেখক, যেন মনে হয়েছে আমি ওখানেই ট্রেজার হান্টার করছি। পাশাপাশি আন্ডারওয়াটার ডিস্ক্রিপশন, অসাধারণ।
Was this review helpful to you?
or
☆☆☆☆
Was this review helpful to you?
or
#বই_রিভিউ_০২ #ডিপ ফ্যাদম #লেখক: জেমস রলিন্স (অনুবাদ: মো: ফুয়াদ আল ফিদাহ) #বইয়ের_ধরণ: থ্রিলার ও অ্যাডভেঞ্চার #প্রকাশনী: চিরকুট #পৃষ্ঠা: ৩৯৯ #মুদ্রিত_মূল্য: ৪২০ টাকা #ব্যক্তিগত_রেটিং: ৮/১০ . . থ্রিলার, সায়েন্স ফিকশন, মিথ, ইতিহাস, রোমাঞ্চ, সারভাইভাল, অ্যাডভেঞ্চার সবকিছু এক বইতে চান? যারা এর আগে রলিন্স সাহেবের বই পড়েছেন তাদেরকে নিশ্চয় নতুন করে কিছু বলতে হবেনা। ডিপ ফ্যাদম বইটিতে এগুলোর সবকিছুই পাবেন। . . নতুন শতাব্দীর প্রথম সূর্যগ্রহণের দিনে কাহিনীর সূত্রপাত। এরপর কাহিনী সাবলীলভাবে এগিয়ে যেতে থাকে। রলিন্সের বইয়ের ক্ষেত্রে একটা কথা খুব ভালোভাবে যায়, সেটা হল বই পড়ার সময় মনে হবে আমিও যেন সেই অ্যাডভেঞ্চারের সঙ্গী। পুরো গল্পের সাথে মিশে যেতে শুরু করা লাগবেই এবং মনে হবে সব কিছু যেন নিজ চোখে দেখছি। কাহিনি একটু ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে শুরু হলেও আস্তে আস্তে পুরো গভীরে ঢুকে গিয়েছে। . . কাহিনীর শেষদিকেই মূল চমক রয়েছে। কি চমক সেটা আর রিভিউতে দিলাম না। ওটুকুর জন্যই যে কেউ বইটিকে ১০ এ ৮ দিতে বাধ্য হবে। অজানা এক স্ফটিক, তার বিস্ময়কর ক্ষমতা এবং ধর্ম কিভাবে বারো হাজার বছর আগে মানুষকে অসাধ্য সাধনে সাহায্য করেছে তার এক চমৎকার বর্ণনা পাবেন বইটিতে। . . ফুয়াদ আল ফিদাহ ভাইয়ের অনুবাদ নিয়ে নতুন করে আর কিছু বলার নেই। বরাবরের মতোই খুব ভালো একটা অনুবাদ উপহার দিয়েছে আমাদের। বাইন্ডিং, পেজ কোয়ালিটি যথেষ্ট ভালো ছিলো বইটির। বানান ভুল ও খুব একটা চোখে পড়েনি। তবে প্রচ্ছদ আরেকটু চমকপ্রদ করা যেত হয়তো। এছাড়া প্রিন্ট কোয়ালিটি খুব একটা ভাল ছিলনা। চিরকুট প্রকাশনীর পড়া আমার প্রথম বই এটি। আশা করি তারা তাদের এই মান অক্ষুন্ন রাখবে। . #হ্যাপী_রিডিং।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_মার্চ বইয়ের নামঃ ডিপ ফ্যাদম বইয়ের ধরণঃ রহস্য-রোমাঞ্চপোন্যাস লেখকঃ জেমস রোলিন্স অনুবাদঃ মোঃ ফুয়াদ আল ফিদাহ প্রচ্ছদঃ আদনান আহমেদ রিজন প্রকাশকালঃ জানুয়ারী, ২০১৯ প্রকাশনীঃ চিরকুট প্রকাশনী মূদ্রিত মূল্যঃ ৪২০ টাকা রকমারি মূল্যঃ ২৯৪ টাকা আজকাল আর আগের মত টানা বই পড়তে পারি না। ব্যস্ত থাকি খুব। সারাদিন অফিস শেষে বাড়ি ফিরেই ঘুম। প্রতিদিন যাতায়াতের পথেই যা পড়া হয়। এভাবে পড়ার পর যখন বই শেষ হয় তখন সেটা নিয়ে রিভিউ লেখার সময় পাই না। ডিপ ফ্যাদম বইটি পড়া শেষ হয়েছে গত সপ্তাহের প্রথমেই। অথচ সময় সুযোগের অভাবে রিভিউ লিখতে পারিনি। এবার এক রকম জেদ ধরেই শুরু করলাম। নাহলে ভুলে যেতে পারি পয়েন্টগুলো। বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখাঃ নতুন শতাব্দীর প্রথম সূর্য গ্রহণের দিনে...কেউ ভাবতেও পারেনি যে মানবজাতির ইতিহাস পাল্টে যাবে এমনভাবে! পৃথিবী যখন অন্ধকারের চাদরে মোড়া, তখন সূর্যালোকের কারণে দুনিয়ার কপালে নেমে এল দুর্যোগ! কেঁপে উঠল ধরণী, শুরু হলো আগ্নেয়গিরির লাভা উগরে দেয়া... প্রাক্তন নেভি সিল জ্যাক কার্কল্যাণ্ডের ধারণা, এসবের সঙ্গে কোন-না-কোনভাবে সম্পর্কযুক্ত সমুদ্রের অতল গভীরে পাওয়া অদ্ভুত এক স্ফটিক। যেমন বৈশিষ্ট্য ওদের অদ্ভুত, তেমন অদ্ভুত তার চেহারাও। অজানা কোন এক গোত্র তাতে লিখে রেখেছে সাবধানবাণী ...বারো হাজার বছর আগে!যে অভিশাপ দুনিয়ার বুক থেকে মুছে দিয়েছিল সেই গোত্রকে, আবার সেটা ফিরে আসছে কী? পাঠ-পর্যালোচনাঃ একটি বই সম্পর্কে লিখতে গেলে তার সবদিক থেকেই লিখতে হয়। বইটির ভেতর বাহির সব দিকেরই ভালো মন্দ তুলে ধরতে হয়। তাই এই বইটির পাঠ পর্যালোচনা পর্যায়ক্রমে নিচে দেওয়া হলো। কাহিনী প্রসঙ্গে- যারা থ্রিলার বা এডভেঞ্চারধর্মী বই ভালোবাসেন তাদের জন্য জেমস রোলিন্স একজন আদর্শ লেখক। ডিপ ফ্যাদম ২০০১ সালে প্রকাশিত থ্রিলার উপন্যাস। গল্পের শুরুটা হয় এক সূর্যগ্রহনের দিনে। হঠাৎ পৃথিবী কেঁপে ওঠে। আগ্নেয়গিরি থেকে বেরিয়ে আসে লাভা। সমূদ্রের তলদেশ থেকে বেরিয়ে আসে এক স্ফটিক। সেই স্ফটিকের গায়ে কিছু অদ্ভুত লেখা। সেই লেখার বয়স ১২ হাজার বছর। জানা গেল, সেটি যেন তেন লেখা না। এক ভয়ংকর অভিশাপ! যেই অভিশাপের জোরে পালটে গিয়েছিল পৃথিবীর মানচিত্র... সব মিলিয়ে গল্পটা ইন্টারেস্টিং। জেমস রোলিন্সের অন্যান্য কাহিনীগুলো থেকে এটি বেশ আলাদা। অনেকটা এক্সপেরিমেন্টাল কাজ বলা যেতে পারে। মাইথোলজি আর সায়েন্সের সংমিশ্রণটা ভালো ছিল। তবে যারা আমাজনিয়া কিংবা সিগমা ফোর্সের বইগুলো আগে পড়ে ফেলেছেন, তাদের কাছে খুব আহামরি লাগবে কি না জানিনা! অনুবাদ প্রসঙ্গে- এই বইটির অনুবাদ করেছেন মোঃ ফুয়াদ আল ফিদাহ। ফুয়াদ ভাইয়ের অনুবাদ আমার সবসময়ই ভালো লাগে। সাবলীল, প্রাঞ্জল অনুবাদে তিনি সিদ্ধহস্ত! বিশেষ করে তাঁর অনুদিত অর্টেমেসি ফাউল সিরিজের আমি অন্ধভক্ত! তাছাড়া এর আগে জেমস রোলিন্সের অনেকগুলো বইয়েরই অনুবাদ তিনি করেছেন। কিন্তু সেগুলোর তুলনায় এই বইটির অনুবাদ আমার ভালো লাগে নি। কেমন যেন খাপছাড়া ভাব আছে। একটা অধ্যায় ভালো, তো আরেকটা অধ্যায়ে ঝুলে গেছে কাহিনী। কেন যেন এগোচ্ছিল না বইটা। এই জন্য ৩ মাস লাগিয়ে শেষ করেছি। এখন এটা বইয়ের অনুবাদের সমস্যা নাকি মূল গল্পেরই দোষ তা জানিনা। তবে বলতে বাধ্য হচ্ছি, ফুয়াদ ভাইয়ের অন্যান্য অনুবাদের তুলনায় এই বইটির অনুবাদ খুব ভালো হয়নি। বইয়ের বাহ্যিক দিক প্রসঙ্গে- ‘ডিপ ফ্যাদম’ চিরকুট প্রকাশনীর প্রথম বই। আর সেদিক থেকে যদি ধরি, তাহলে বলবো, প্রথম বই হিসেবে একেবারে ফাটিয়ে দিয়েছে। বইয়ের কোয়ালিটি আমার বেশ লেগেছে। কাগজ ভালো। হার্ড বাইন্ডিং এর কভারে তেমন কোন সমস্যাই চোখে পড়ে নি আমার। বইটির প্রথম প্রচ্ছদটা আমার খুব একটা ভালো না লাগলেও, বর্তমান প্রচ্ছদটি দেখতে অনেক সুন্দর। সাধারণত একটি বই প্রকাশের পর প্রকাশক বইটি নিয়ে বেশ অনেক সময়ের জন্য ভাবা বন্ধ করে দেন। পরবর্তী মূদ্রণে খুব বেশি হলে বানান ও প্রিন্টিং মিস্টেক্সগুলো ঠিক করেন। প্রচ্ছদ বা আউটলুক নিয়ে আর তেমন ভাবেন না। কিন্তু চিরকুট প্রকাশনীকে এক্ষেত্রে বেশ ব্যতিক্রম মনে হলো। এজন্য চিরকুট প্রকাশনীকে বিশেষ সাধুবাদ জানাই। তবে বইটির ভেতরে কিছু ভুল আছে। প্রুফ ঠিক মত দেখা হয়নি। এই জন্য অসংখ্য বানান ভুল পেয়েছি। প্রিন্টিং মিস্টেকসও পেয়েছি অনেক। আশাকরি, পরবর্তী মূদ্রণে এই সমস্যা দূর হবে। সবশেষে এটাই বলবো যে, বইটি খুব খারাপ লাগে নি আমার কাছে। রোলিন্স ফ্যান হলে আপনিও পড়ে দেখতে পারেন। ধন্যবাদ! হ্যাপি রিডিং! রেটিংঃ ৩/৫
Was this review helpful to you?
or
শুধু এতটুকুই বলতে চাই,বইটা পড়ার পরে ঘোর কাটতেই আপনার দিনের পর দিন সময় লাগবে❤
Was this review helpful to you?
or
কাহিনী প্রসঙ্গে- যারা থ্রিলার বা এডভেঞ্চারধর্মী বই ভালোবাসেন তাদের জন্য জেমস রোলিন্স একজন আদর্শ লেখক। ডিপ ফ্যাদম ২০০১ সালে প্রকাশিত থ্রিলার উপন্যাস। গল্পের শুরুটা হয় এক সূর্যগ্রহনের দিনে। হঠাৎ পৃথিবী কেঁপে ওঠে। আগ্নেয়গিরি থেকে বেরিয়ে আসে লাভা। সমূদ্রের তলদেশ থেকে বেরিয়ে আসে এক স্ফটিক। সেই স্ফটিকের গায়ে কিছু অদ্ভুত লেখা। সেই লেখার বয়স ১২ হাজার বছর। জানা গেল, সেটি যেন তেন লেখা না। এক ভয়ংকর অভিশাপ! যেই অভিশাপের জোরে পালটে গিয়েছিল পৃথিবীর মানচিত্র... সব মিলিয়ে গল্পটা ইন্টারেস্টিং। জেমস রোলিন্সের অন্যান্য কাহিনীগুলো থেকে এটি বেশ আলাদা। অনেকটা এক্সপেরিমেন্টালকাজ বলা যেতে পারে। মাইথোলজি আর সায়েন্সের সংমিশ্রণটা ভালো ছিল।
Was this review helpful to you?
or
জেমস রলিন্সের ব্যতিক্রমধর্মী থ্রিলার
Was this review helpful to you?
or
শতাব্দীর প্রথম সূর্য গ্রহনে সূর্য যখন চাঁদটাকে গিলে খাচ্ছিলো তখনই ঘটনার সূত্রপাত। পৃথিবী কেপে উঠলো। আগ্নেয়গিরির লাভা উগরে দেওয়া শুরু হলো। পৃথিবীর ইতিহাস বদলাতে লাগলো। সমুদ্রের নিচে পাওয়া গেলো এক অদ্ভুত স্ফটিক। দেখতেও যেমন আজব তার কাজও আজব। সেই স্ফটিকের গায়ে আবার প্রাচীন ভাষায় কিছু লেখা। তাও নাকি ১২ হাজার বছর আগে! পুরাতন এক অভিশাপ যা বদলে দিয়েছিল পৃথিবীর ইতিহাস ও মানচিত্র, তা কি আবার ফিরে আসছে? মনে করেন আপনি একটা বই পড়তে বসেছেন। অবশ্যই লেখকের নাম পড়বেন। লেখকের নাম যদি দেখেন জেমস রলিন্স তাহলে সাবধান হয়ে যান। এই বই আপনাকে উঠতে দিবে না। নিয়ে যাবে অন্য এক জগতে। যেখানে পাবেন অলৌকিকতা আর বিজ্ঞানের এক বিস্ময়কর মেলবন্ধন। মিথলজি আর বর্তমান যেখানে গলাগলি করে চলে। যারা আগে রলিন্সের বই পড়েছেন তারা জানেন আমি মোটেও বাড়িয়ে বলছি না। যেহেতু এত প্রশংসা করলাম তাহলে আর বইয়ের প্লট নিতে কোনো মন্তব্য করা দরকার নেই মনে হয়। বইটা বেরিয়েছে চিরকুট প্রকাশনী থেকে। চিরকুটের প্রথম প্রকাশনা “ডিপ ফ্যাদম”। প্রকাশক আদন কাছের ছোটভাই। এই বয়সে এত বড় একটা উদ্দোগ্যের জন্য সাধুবাদ দিলেও কম হয়ে যায়। আসলে অনুবাদ গ্রন্থ নিয়ে আমি আলোচনা করার মত কিছু পাই না। তবে অনুবাদের ক্ষেত্রে বলবো যে, আমি ফুয়াদ ভাইয়ের অনুবাদের একজন ভক্ত। তবে এই বইটাতে অন্য বইয়ের তুলনায় অনুবাদের মান একটু কম মনে হয়েছে। বর্তমান থ্রিলার বইগুলোতে যে প্রচুর বানান ভুল থাকে সেটা এই বইতে কম পেয়েছি। বইয়ের কাগজের মান মোটামুটি ভালো হলেও প্রিন্টের মান আরো ভালো করা যেত। সবশেষে বলবো প্রচ্ছদের কথা। প্রথম দেখায় প্রচ্ছদ ভালো লাগলেও বইটা শেষ করার পরে মনে হয়েছে হয়তো আরো ভালো করা যেত। যদিও জানি না আমার প্রচ্ছদের ব্যাপারে সমালোচনা করা ঠিক কিনা। কারন আমি নিজে প্রচ্ছদ শিল্পি না। তবুও সাধারন পাঠকের জায়গা থেকে সমালোচনা করছি। আশা করি ছোট মুখে বড় কথা রিজন ভাই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আদনের কাছে তথা চিরকুটের কাছে প্রত্যাশা অনেক। সেই প্রত্যাশা আর অধিকারের জায়গা থেকে সমালোচনা করলাম। প্রশংসাগুলো তুলে রাখলাম পরের বইয়ের জন্য।
Was this review helpful to you?
or
সুন্দর শুরু, বাজে শেষ।
Was this review helpful to you?
or
আমাদের বায়োলজী ল্যাবে একটা কৌতুক আছে, ইদুরের মত বাচ্চা প্রসব করা। ইদুররা এক জোড়া থেকে বছরের মাঝে হাজারের উপর পৌঁছাতে পারে। এই অনুবাদ দেখে তাই মনে হয় । অরিজিন প্রকাশের ১৫ দিনের মাঝেই দুই প্রকাশনীর মাঝে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই লাগে কে কার আগে বই বের করবে। ফলাফল তাড়াহুড়া করে কোনো কাজ মন দিয়ে না করে করলে যা হয় তাই, জঘন্য জগাখিচুড়ী যা দেখাটাও দৃষ্টিকটু। টাকা আয় করার জন্য কলম ধরা মহান পেশা। একজন সঠিক মানুষের হাতে কলম তরবারির চেয়ে শক্তিশালী। অনুবাদকের!! কাছে অনুরোধ থাকবে ইদুরের মত বাচ্চা প্রসব না করে অন্তত একটা বই একটু মন প্রাণ লাগিয়ে উপযোগী করে বের করুন। তাতে আয় কম হতে পারে, কিন্তু পাঠক মনে জায়গা করে নেওয়া যাবে। যেই টাকা দিয়ে অনুবাদ কিনে টাকা খরচ করি, মাঝে মাঝে মনে হয় নীলক্ষেত থেকেই তো সেই বই অরিজিনাল টা থু উইকিনা যায়। এদিকে একটু লক্ষ্য রাখা উচিত প্রকাশকের প্রতি খোলা চিঠি, পাঠকরা কষ্টের টাকা খরচ করে বই কিনে। তাদের প্রতি ভদ্র আচরণ করা শিখুন আদন সাহেব।