User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By Shariar mossaddake

      31 Mar 2023 06:29 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      যতটা আসা করেছিলাম সেরকম হয়নি, সেস্টাতে যে কি গজারমেল ঢুকিয়ে দিয়েছে কিছু বুজলাম না। এর থেকে অনুবাদ লিখলে আরও ভাল করত,গল্পটা একদম ফালতু।

      By Jimam

      02 Jan 2022 07:04 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      প্লট সুন্দর এবং লেখকের লেখনশৈলীও প্রশংসার যোগ্য। বই এর ১ম লাইন থেকে একেবারে শেষ লাইন পর্যন্ত লেখক থ্রিল ধরে রাখতে পেরেছেন, কোথাও সামান্যও ছন্দপতন হয়নি। তবে থ্রিলারের এর স্কেলে ১০ এ এই উপন্যাসটিকে ৭/৮ দেওয়া যায়। একেবারে রগরগে থ্রিলার না তবে বই একবার ধরলে রেখে উঠে যাওয়াও সম্ভব না।

      By Mohammad Arif Elahi Mojumder

      03 Sep 2021 06:31 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      গল্পের শুরুটা বেশ ইন্টারেস্টিং কিন্তু ওপেন এন্ডিং টা আমার অতটা ভাল লাগেনি। তবে বাংলা হরর থ্রিলারের বিবেচনায় বেশ ভাল গল্প

      By Maksudur rahman

      15 Aug 2021 02:52 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      wow

      By Muide Rubaite Yean

      20 Jun 2020 01:26 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      আমার পড়া প্রথম লভক্রাফটিয়ান জনরার বই, ভালো বই। এটা থেকে এই জনরা সম্পর্কে ভালো ধারণা করা যায়।

      By Shahbaz Khan Diganta

      06 Apr 2020 01:33 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      ভাল্লাগছে। কিছু শেষটাতে রহস্যের জট খুল্লো না। সেকেন্ড পার্ট আশা করতেছি!

      By আরিয়ান শুভ

      02 Jul 2020 08:24 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      খুব একটা ভালো লাগেনি। এভারেজ লেভেলের বই

      By Sourav Sarowar

      09 Jan 2020 04:46 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      লা কথুলহু ফইটাগণ! . বইয়ের নাম : কথুলহু . লেখকের নাম : আসিফ রুডলফায . ঘরানা : লভক্রাফটিয়ান থ্রিলার . গুডরিডস রেটিং : ৩.৬ (77 ratings, 27 reviews) http://www.goodreads.com/book/show/43634883 . ব্যক্তিগত রেটিং : ৪/৫ (রেটিং বইয়ের জন্য কোনো মানদণ্ড নয়। এর পুরোটাই রুচিবোধের উপর নির্ভরশীল। তাই চেষ্টা করবেন রেটিং থেকে নয়, বরং আপনার রুচি অনুযায়ী বই সংগ্রহ করতে এবং পড়তে।) . কাহিনী সংক্ষেপ : (হুবহু ফ্ল্যাপ থেকে) . অদ্ভুত এক দুঃস্বপ্ন দেখার রোগে আক্রান্ত হচ্ছে একের পর এক মানুষ। সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে একসময় আত্মহত্যা করে বসছে কেউ কেউ। অথবা ভীষণ আতঙ্কে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে পরিনত হচ্ছে বিবেকহীন খুনে উন্মাদে। সাইক্রিয়াটিস্ট ডক্টর জিয়াউল হক হাজার ভেবেও এই রহস্যের কোনো কুল কিনারা পাচ্ছেন না। এদিকে দেশের মাটিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে মহাক্ষমতাধর এক অশুভচক্র। দুঃস্বপ্নের শিকার মানুষগুলোকে নিয়ে কিছু একটা গোপন অভিসন্ধি আছে তাদের। লোকচক্ষুর আড়ালে কিসের এক্সপেরিমেন্ট চলছে আর্কহাম স্যানেটরিয়ামে? আর সুদুর ইউরোপের নামজাদা নিউক্লিয়ার ফিজিক্স ল্যাবরেটরির সাথেই বা এর সম্পর্ক কী? . চেনাজানা দুনিয়ার ওপাশ থেকে এগিয়ে আসছে এক মহাজাগতিক অপশক্তি। তার আগমন ধ্বনিতে কাঁপছে পৃথিবী। মহাপ্রলয়ের বুঝি আর বেশি বাকি নেই। . পাঠ প্রতিক্রিয়া : . মেলার সময়ে স্টলে বসে দুয়েকবার অল্প অল্প করে কয়েক পৃষ্ঠা পড়া হলেও, পুরো বইটি পড়া হয়নি তখন। দীর্ঘ দেড় বছর পর কাল পুরোপুরিভাবে একটা বই পড়ে শেষ করলাম। মাঝে এতদিনের গ্যাপের কারণে পড়া অনেক স্লো হয়ে গেছে। গত ২ তারিখ রাত ৮ টায় বইটি নিয়ে বসছিলাম, দুয়েক পেজ পড়ার পরই ইলেক্ট্রিসিটি চলে গেছিলো, আসছে ভোর ৫ টার পরে। পরদিন দুপুরে আবার পড়তে বসছি, ৭-৮ পেজ পড়ার পরে আবার লোডশেডিং, ফিরে আসছে সন্ধ্যায়। তারপর ১০ টায় বসে টানা প্রায় রাত ৩ টায় বইটা শেষ দিয়েই ঘুমাতে গেলাম। আর ভাবতেছিলাম, পড়ার মাঝে ইলেক্ট্রিসিটি যে দুইটা দিন এভাবে সমস্যা করলো, এর পেছনে এল্ডার গডদের হাত নেই তো! বইয়েই প্রফেসর আর্মিটেজ বলছিল, "কিছু জ্ঞান মানুষের অজানাই থাকা উচিৎ!" :3 jokes apart ? . এক বসায় পড়ে শেষ দিলাম বইটি। সত্যি বলতে একটি বইয়ের মূল আকর্ষণ হচ্ছে বইয়ের নাম। হ্যাঁ, নামই। এর পরের আকর্ষণটি হচ্ছে প্রচ্ছদ। আর এই বইয়ের নামকরণের আকর্ষণে লেখক সেটার যথার্থ প্রয়োগ করেছেন। বইটির এই অদ্ভুত নামটি সবাইকেই আকর্ষণ করবে। হাওয়ার্ড ফিলপ লভক্রাফটের অন্যন্য সৃষ্ট এই কথুলহু(যেটা প্রথম প্রথম আমি কলুথুলু বলতাম মজা করে?) নামটিও আগ্রহোদ্দীপক। আমিও যখন প্রথম নামটি শুনি/দেখি তখন থেকেই বইটি পড়ার ইচ্ছা। . আর বইটি পড়ার প্রতি আগ্রহের আরো যে-কয়েকটি কারণ ছিল, তারমধ্যমে বইয়ের ফ্ল্যাপের যেই কাহিনী সংক্ষেপ সেটি ফেসবুকের কল্যানে অনেক আগেই পড়া, আগ্রহোদ্দীপক কাহিনী সংক্ষেপ। আরেকটি কারণ হচ্ছে লভক্রাফটিয়ান থ্রিলার জনরার জন্য। লভক্রাফটের কথুলহু মিথোস নিয়ে বাংলা মৌলিক বই। . বইটি পড়ে আমার অনেক অনেক ভালো লেগেছে। দারুণ এক লভক্রাফটিয়ান থ্রিলার। এক কথায় বৈচিত্র্যময় কাহিনী। সাসপেন্স, মিস্ট্রি, সাইন্স এলিমেন্ট, মিথ সবই আছে বইয়ে। বিশাল পরিসরে, দেশীয় প্রেক্ষাপটে ঝড়ের বেগে চলেছে কাহিনী। কী নেই বইয়ে? কাল্ট, লেখকের ব্যক্তিগত দর্শন,অস্তিত্ব বিপন্নতার ভয়, নিউক্লিয়ার ফিজিক্স, টেকনোলজি, চরিত্রগুলোর ব্যক্তিগত জীবনের কিছু আলো-আঁধারী অধ্যায় এবং আরো অজানা অনেক কিছু। . লেখকের লেখনী সম্পর্কে কী বলবো! লেখনী বেশ চমৎকার, বর্ণনাভঙ্গি, শব্দচয়ণ, বাক্যগঠন, সংলাপ সবকিছুই ভালো লেগেছে। কাহিনীতে গ্রামের দৃশ্যায়নটা ভালো লেগেছে, গায়ে কাঁটা দেওয়ার মত ভয়ঙ্কর আবহ তৈরি করেছেন। মনে হচ্ছিলো যেন, ডক্টর জিয়া আমাকে সাথে নিয়েই চরোকি গ্রামের মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং আমার সাথেই সবকিছু ঘটছে ডক্টর জিয়ার সাথে সাথে। বর্ণনাভঙ্গিটা এতোটাই বাস্তবিক ও সাবলীল এবং প্রতিটা জায়গার এত সুন্দর ডিটেইল বর্ণনা দিয়েছেন, মনে হচ্ছিল লেখক আমাকে নিয়ে ওখানে ঘুরতে গিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে জায়গাগুলোর বর্ণনা দিচ্ছেন খুব সন্দরভাবে। গল্পের ঘটনা প্রবাহে যা ঘটছে, তার সবই নিজের সাথেই অনুভব করছিলাম। লেখকের দারুণ লেখনী রহস্য, থ্রিল, সাসপেন্স ধরে রেখেছেন পুরো বইয়ে। পাঠককে বইতে ধরে রাখার মত লেখনী। গল্পের কাহিনীর মাঝে ঢুকে গেলে শেষ করেই উঠতে হবে। . শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কৌতূহল ধরিয়ে রেখেছেন লেখক। কোথাও একটুর জন্যও ঢিল দেয়নি। কোথাও বর্ণনার আধিক্য মনে হয়নি। একদম মেদহীন চমৎকার একটি বই। লেখক শুরু থেকে রহস্যের জাল যেভাবে ছড়িয়েছেন, ঠিক সেভাবেই ধীরে ধীরে রহস্যের জাল গুটিয়েছেন নিপুণভাবে। চমৎকার প্লটে, দক্ষ স্টোরিটেলিংয়ে ভালোভাবে আবহ সৃষ্টি করেছেন লেখক। . ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্ট ভালো লেগেছে। মূল দুটি চরিত্রকে ঘিরে কাহিনী এগিয়েছে। জহির রায়হান, যে একজন চিত্রশিল্পী আর জিয়াউল হক, যে একজন সাইক্রিয়াটিস্ট। দুজনের চরিত্রায়ন অনেক ভালোভাবে করেছেন লেখক। যার কারণে জহিরের জন্য খারাপ লাগা শুরু হয়েছিল, চাচ্ছিলাম কোনোভাবে তাকে রেহাই দেওয়া হোক। অন্যান্য চরিত্রগুলোতেও লেখক ভালোভাবে কাজ করেছেন। কোনো চরিত্রই হুট করে চলে আসেনি বা হুট করে হারিয়ে যায়নি। তবে এই সাব-ক্যারেক্টারগুলোর ক্ষেত্রে চাইলে হয়তো আরো কিছু কাজ করা যেত বলে মনে হলো। . শেষের দিকে একটু ফাস্ট মনে হচ্ছিলো, আমিই কি শেষে এসে স্পিডে পড়ছিলাম নাকি লেখক তাড়াহুড়ো করে ফেলেছেন বুঝতেছি না। তবে, বইয়ের শেষে এসে মজার একটা ব্যপার মনে হলো। মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্সের মুভিগুলোর শেষে যেমন পরবর্তি মুভির হিন্ট হিসেবে "এন্ড ক্রেডিট সীন" থাকে, ঠিক তেমনই একটা আভাস দিয়েছেন বইয়ের সিক্যুয়ালের। যদি সত্যিই সিক্যুয়াল আসে তবে খুশি হবো। . শুরুতে বলেছিলাম বইয়ের দ্বিতীয় আকর্ষণের কথা, প্রচ্ছদ। হ্যাঁ, বইটির প্রচ্ছদটাও খুব ভালো লেগেছে। প্রচ্ছদটি এঁকেছেন নাজিম উদ দৌলা। আর নামলিপি করেছেন জুলিয়ান। . বানান ভুল নেই, প্রিন্টিং মিস্টেক—শব্দ ভেঙে যাওয়া বা শব্দ জোড়া লাগার মত শব্দও চোখে পড়েনি। কোথাও অসামঞ্জস্য ছিল না। ডায়েরির লেখার অংশের ক্ষেত্রে আলাদা ফন্টের ব্যববার ভালো লেগেছে। বইয়ের বাঁধাই, কাগজের মান ভালোই ছিল। . বইটি হররপ্রেমি, থ্রিলারপ্রেমি, রহস্যপ্রিয়, সাসপেন্স পছন্দকারিদের জন্য এবং লভক্রাফটিয়ান হরর/থ্রিলার-প্রিয় পাঠকদের জন্য অবশ্য পাঠ্য। আর যাদের লভক্রাফটিয়ান হরর নিয়া ধারণা নেই, তারাও বইটি অনেক ভালোভাবে উপভোগ করবে, এবং লভক্রাফটের জগৎ সম্পর্কে মোটামুটি একটা ধারণা পেয়ে যাবেন। লেখক প্রথম বই দিয়েই বাজিমাৎ দেখিয়েছেন। পাঠকদের আমন্ত্রণ বইটি পড়ার জন্য। . লেখক পরিচিতি : আসিফ রুডলফায। জন্ম ঢাকা শহরে ১৯৮৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে। এই শহরেই তার বেড়ে ওঠা। পড়াশোনা করেছেন নটরডেম কলেজের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ থেকে। পরবর্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি বিভাগে স্নাতক করেন। বর্তমানে একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত আছেন। তিনি লেখালেখি করেন ব্লগের মাধ্যমে। পাশাপাশি বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকাতেও ফিচার রাইটার হিসেবে কাজ করছেন। কথুলহু তার প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস। . এক নজরে... ক্যাটাগরি : মৌলিক বই : কথুলহু লেখক : আসিফ রুডলফায প্রথম প্রকাশ : ফেব্রুয়ারি ২০১৯ নামলিপি : জুলিয়ান প্রচ্ছদ : নাজিম-উদ-দৌলা বাঁধাই : হার্ভকভার পৃষ্ঠা সংখ্যা : ১৯১ পৃষ্ঠা প্রকাশনী : ভূমিপ্রকাশ মূল্য : ২৬০৳ মাত্র প্রাপ্তিস্থান : অনলাইনে বিবিধ, বুকস্ট্রিট, রকমারিসহ বিভিন্ন অনলাইন শপে। অফলাইনে ভূমিপ্রকাশের শো-রুমসহ, দেশের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন লাইব্রেরিতে। . ব্যক্তিগত মতামত : রিভিউ এর মাধ্যমে একটা বইকে পুরোপুরি তুলে আনা যায় না। তবে ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা সব পাঠকেরই থাকে, তাই বইটি যে সবার একই রকম লাগবে তা নয়। একেকজনের রুচিবোধ একেক রকম, তাই রিভিউ দিয়ে নয়, বই পড়েই বইকে মূল্যায়ন করুন।

      By Kaniz Fatema

      05 Dec 2019 08:18 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ভালো লেগেছে❤❤❤❤

      By Afia Ibnat

      30 Apr 2019 09:55 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইয়ের নাম : কথুলহু লেখকের নাম : অাসিফ রুডলফায প্রচ্ছদ : নাজিম উদ দৌলা ঘরনা : লভক্রাফটিয়ান থ্রিলার প্রকাশনী : ভুমি প্রকাশ প্রকাশ কাল : ফেব্রুয়ারি ২০১৯ মুদ্রিত মূল্য: দুইশত ষাট টাকা মাত্র পৃষ্ঠা সংখ্যা :১৯২ কাহিনী অালোচনা: অাপনি কি দুঃস্বপ্ন দেখেন? অাপনি কি জানেন অাপনার এি দুঃস্বপ্নের উৎস কি? কে দেখায় এ দুঃস্বপ্ন গুলো? তার নাম কথুলহু। সে অাপনাডে ডাকছে। কিন্তু অাপনি তার ডাক শুনতে পাচ্ছেন না কারন অাপন দুর্বল মন তার ডাক অনুধাবনে অক্ষম। অাপনি এক বিকৃত দুর্বোধ্য বার্তা পাচ্ছেন। অাপনি দুঃস্বপ্ন দেখছেন। মনে হচ্ছে ভীষণ ভয়ে অাপনি হয়ত উন্মাদ হয়ে যাবেন। হয়তোবা এই ভয়ংকর রাত্রি থেকে অার কোন মুক্তি নাই। কিন্তু অাপনি জানেন না ঠিক যে মুহুর্তে অাপনার স্বপ্ন ভেঙে যাবে, ঠিক যেই মুহূর্তে অাপনি সত্যি সত্যি জেগে উঠবেন ঠিক সেই মুহূর্তে সব কিছু শেষ হয়ে যাবে।অদ্ভুত এক দুঃস্বপ্ন দেখার রোগে অাক্রান্ত হচ্ছে একের পর এক মানুষ। কেউ কেউ হয়তো অাত্মহত্যা করে বসছে মানসিক ভারসম্য হারিয়ে। চিত্রশিল্পী জহির তেমনই একজন দুঃস্বপ্নে অাক্রান্ত রোগী। নিজের মানসিক সমস্যা এত প্রকট অাবার ধারন করেছে যে শেষ পর্যন্ত ডাক্তারের সরনাপন্ন হতে বাধ্য হয়। সাইক্রিয়াট্রিস্ট ডক্টর জিয়াউল হক হাজার ভেবেও এ রহস্যের কোন কুল কিনারা করতে পারেন। এদিকে দেশের মাটিতে সক্রিয় হয়ে উঠছে এক অশুভ শক্তির চক্র। দুঃস্বপ্নের শিকার মানুষগুলোকে নিয়ে কিছু একটা গোপন অভিসন্ধি অাছে তাদের। লোকচক্ষুর অাড়ালে তারা অার্কহাম স্যানটেরিয়াম নামক মানসিক হাসপাতালে চলে এক্সপেরিমেন্ট। জহির সহ অারও অনেকেই তাদের স্বীকার। অার সবাই একি সুত্রে গাথা শিল্প সাধনার লোক বলে ধারনে করে ঘটনা চক্রে ডক্টর জিয়াউল হক। একসময় রহস্য উদ্ধার করতে গিয়ে নিজেই জড়িয়ে পড়ে তাদের সাথে। পাঠ প্রতিক্রিয়া : এমনিতেই অন্ধকারে একটু বেশিই ভয় কাজ করে অামার। অার কথুলহু পড়ার পর অন্ধকার যেন অারও বেশি ভয়ের হয়ে দাঁড়িয়েছে। মনে হচ্ছে এই বুঝি অন্ধকারে কোন থকথকে শুড় এগিয়ে অাসছে। হাজার খানের চোখ অার শুড়ের কথুলজু বুঝি এখনই গিলে খেয়ে নিবে অন্ধকারে। মাথার চিনচিনে ব্যথার ব্যাখাটাও অাজকাল কথুলহুর প্রভাব বলেই ভ্রম হয়। লা কথুলহু ফহটাগন। কথুলহুর অনুসারীরা বুঝি এি কোন কালো ভ্যানে নিয়ে যাচ্ছে র'লিয়ে নগরীতে। হ্যাঁ বিশুদ্ধ এক ভয়ের অনুভূতিতে মিশে অাছে কথুলহু।

      By হাসান মাহবুব

      03 Mar 2019 02:52 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      শুরুটা ভালো ছিলো। শেষে টিপিক্যাল।

      By Faisal Hossain

      28 Nov 2019 04:10 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অদ্ভুত এক দুঃস্বপ্ন দেখার রোগে আক্রান্ত হচ্ছে একেরপর এক মানুষ। সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে একসময় আত্মহত্যা করে বসছে কেউ কেউ। অথবা ভীষণ আতংকে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে পরিণত হচ্ছে বিবেকহীন খুনে উন্মাদে। সাইকিয়াট্রিস্ট ডক্টর জিয়াউল হক হাজার ভেবেও এই রহস্যের কোনো কুল-কিনারা পাচ্ছেন না। এদিকে দেশের মাটিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে মহাক্ষমতাধর এক অশুভচক্র। দুঃস্বপ্নের শিকার মানুষগুলোকে নিয়ে কিছু একটা গোপন অভিসন্ধি আছে তাদের। লোকচক্ষুর আড়ালে কিসের এক্সপেরিমেন্ট চলছে আর্কহাম স্যানেটরিয়ামে? আর ইউরোপের নামজাদা নিউক্লিয়ার ফিজিক্স ল্যাবরেটরির সাথেই বা এর সম্পর্ক কি? চেনাজানা দুনিয়ার ওপাশ থেকে এগিয়ে আসছে এক মহাজাগতিক অপশক্তি। তার আগমন ধ্বনিতে কাঁপছে পৃথিবী। মহাপ্রলয়ের বুঝি আর বেশি বাকি নেই।

      By Tahmina Yasmin Boishakhi

      30 Oct 2019 11:16 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #বুকরিভিউ #কথুলহু নিজের কথাঃ লভক্র‍্যাফটিয়ান হরর বা থ্রিলার সম্পর্কিত এটাই আমার পড়া প্রথম বই, বুক রিভিউ বলার বা দেবার মতো জ্ঞান আসলে নেই আমার, তাই একে রিভিউ না বলে পাঠক অভিমত বলা যেতে পারে। যেহেতু আমি প্রথমবার পড়ে জেনেছি, তাই আগে একটু লভক্র‍্যাফটিয়ান হরর সম্পর্কে জেনে নেই। লভক্র‍্যাফটিয়ান হররঃ The oldest and strongest emotion of mankind is Fear, and the oldest and kind of fear is Fear OF Unknown. - H.P. Lovecraft লভক্র‍্যাফটিয়ান হরর জনরার প্রবর্তক হাওয়ার্ড ফিলিপস লাভক্র‍্যাফট, ২০শে অগাষ্ট ১৮৯০সালে, আমেরিকার নিউ ইংল্যান্ড প্রদেশের এক ছোট শহর প্রভিডেন্সে জন্মগ্রহণ করেন। তার বয়স যখন তিন, তখন তার বাবা উইনফিল্ড স্কট লাভক্র‍্যাফট হঠাৎ মানসিক রোগে আক্রান্ত হন। তিনি নানারকম অদ্ভুত দৃশ্য দেখতেন এবং অনেক চিকিৎসার পরও তিনি এই রোগ থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হননি উল্টো নিউরোসিফিলসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। স্বামীর অসময়ে মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি মা সুজান, নিজের এবং সম্পর্কের প্রতি অবহেলায় দুরত্ব বেড়ে যায় লভক্রাভটের সাথে। বাবার মৃত্যু, মায়ের সংগে শীতল সম্পর্ক, নানা সামাজিক-আর্থিক প্রতিকূলতা, অবহেলা ও বঞ্চনার মাঝে বেড়ে উঠা লাভক্র‍্যাফটের জীবন ভীষণভাবে বিষাদগ্রস্ততায় ভরে উঠে। এই সবের বিপুল প্রভাব দেখা যায় তার সৃষ্টির মধ্যে। তার সৃষ্ট চরিত্রগুলো হয়ে উঠে বিশ্বস্রষ্টা এবং সৃষ্টির প্রতি প্রতিহিংসাপরায়ণ। মানুষ আসলে অজানাকেই ভয় পায়। ট্র‍্যাডিশনাল হররে মানুষকে ভূত, প্রেত, দৈত্য দানবের ভয় দেখানো হয় কিন্তু লভক্র‍্যাফটিয়ান হররের ভয়টা তৈরি হয় মানুষের Existential crisis বা অস্থিত্বের সংকট থেকে। এই জনরাতে যে এল্ডারগডদের দেখা যায়, তারা ভিন্ন এক ডাইমেনশনে বাস করে, সকল দুঃস্বপ্নের স্রষ্টা তারাই এবং মানুষের আদিম আতংকের মাধ্যমেই টিকে থাকে তাদের অস্তিত্ব। মহাপরাক্রমশালী এই ঈশ্বরেরা চিন্তা বা কল্পনার অতীত ক্ষমতার অধিকারী, এমনকি তাদের কথা ভাবলেও একজন সাধারণ মানুষ পাগল হয়ে যেতে বাধ্য। তারা আমাদের স্রেফ একমুহূর্তে শেষ করে দিতে পারে, আমাদের পালাবার কোন পথ নেই, নিজেকে রক্ষা করার কোন উপায় নেই কিন্তু মানুষের জন্য তাদের কোন দয়ামায়াও নেই। এই যে, নির্মম অসহায়ত্ব, এটাই লভক্র‍্যাফটিয়ান হরর। আসলে কসমিক, ট্র‍্যাডিশনাল আর আধুনিক সাইকোলজিক্যাল হরর মিলেমিশে তৈরি হয়েছে লভক্র‍্যাফটিয়ান হরর। কাহিনী সংক্ষেপঃ চিত্রশিল্পী জহির প্রতিরাতে দুঃস্বপ্ন দেখে, ভয়াবহ সে দুঃস্বপ্ন। দুঃস্বপ্নের আতংকে পাগলপ্রায় জহির ছুটেন সাইক্রিয়াটিস্ট ডা. জিয়াউল হকের কাছে। হঠাৎ করেই জহির খুঁজে পায় তারই মতো আরেকজন বাঁধন'কে, যে কিনা স্যুইসাইড করেছে, সেই বাঁধনের রেখে যাওয়া নোটবুক এবং তার আঁকা কিছু ছবি। এরইমাঝে একজন টিভি আর্টিস্ট নিজের স্ত্রী এবং একমাত্র সন্তানকে খুন করে ফেলেন। তাদের রক্তে মেঝে এবং দেয়ালে আঁকেন কিছু বিচিত্র আঁকিবুঁকি, যা হুবুহু মিলে যায় জহির এবং বাঁধনের আঁকা সেই অদ্ভুত ছবির সাথে। ওদিকে ডা. জিয়া সমস্যার সমাধানে ছুটে চলেন সাবেক রোগী হায়দার আলীর খোঁজে, বেরিয়ে আসে বিদেশি সংস্থা আর্কহাম স্যানিটারিয়াম এবং ড. কায়েস চৌধুরী। কী করছে তারা এভাবে, এদেশে, গোপনে? বেরিয়ে আসতে থাকে একে একে বিভিন্ন সুত্র। ডা. জিয়া বুঝতে পারেন এটা স্রেফ কোন দুঃস্বপ্ন নয়, এর মাঝে লুকিয়ে আছে কোন এক নিগুঢ় রহস্য যা ডুবে রয়েছে সমুদ্রের গহীনগর্ভে, যা হয়তো ফিরে আসতে চলেছে তারই মনোনীতদের মাধ্যমে। ডা. জিয়ার সাথে সমাধানের পথে হেঁটে যাবার দুর্নিবার আকর্ষণ ঠেকাবার উপায় নেই গল্পসুত্র ধরে এগিয়ে যাওয়া ছাড়া। ব্যক্তিগত অভিমতঃ প্রতিটি লভক্র‍্যাফটিয়ান হরর গল্প কিছু কমন ফর্মুলা বা প্যাটার্ন মেনে চলে। একটু একটু করে রহস্যের জট খুলে এগিয়ে যাওয়া এই বই পড়ে মনেই হয়নি এটা লেখকের প্রথম প্রকাশিত বই। ইনফ্যাক্ট আমাদের দেশে এই জনরার এটা সম্ভবত দ্বিতীয় মৌলিক বই। লেখক আসিফ রুডলফাযের সাবলীল লেখায় তরতরিয়ে এগিয়ে গেছে গল্প। গল্প বলার ধরণ সহজ-স্বাভাবিক। বেশ গুছানো ঝরঝরে লেখা, ইমাজিনেশন থেকে ভিজ্যুয়ালাইজেশন সহজ, মনে হচ্ছিল চোখের সামনে ঘটে যাচ্ছে সব। শেষটা অনেকের কাছে কনফিউজিং মনে হতে পারে, তবে আমার মনে হয়েছে এর থেকে ভালো এন্ডিং আসলে হতে পারতোনা, একটা শেষ কিন্তু একটু অশেষ.... । শেষ কথা, বই আপনাকে টেনে ধরে রাখবে শেষ না হওয়া অব্দি। শুধু একটা ব্যাপারে একটু খারাপ লাগা আছে, বইয়ের বাধাই এবং কাগজের মান আরেকটু ভালো হলে, পাঠক সন্তুষ্টি বাড়বে। বইয়ের নামঃ কথুলহু লেখকঃ আসিফ রুডলফায বইয়ের ধরনঃ লভক্র‍্যাফটিয়ান হরর প্রকাশনীঃ ভূমিপ্রকাশ মুদ্রিত মূল্যঃ ২৬০/= ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৯/১০

      By Parvez Alam

      29 Oct 2019 09:59 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইয়ের নামঃ কথুলহু বইয়ের লেখকঃ আসিফ রুডলফায নিজের কথাঃ লভক্র‍্যাফটিয়ান হরর বা থ্রিলার সম্পর্কিত এটাই আমার পড়া প্রথম বই, বুক রিভিউ বলার বা দেবার মতো জ্ঞান আসলে নেই আমার, তাই একে রিভিউ না বলে পাঠক অভিমত বলা যেতে পারে। যেহেতু আমি প্রথমবার পড়ে জেনেছি, তাই আগে একটু লভক্র‍্যাফটিয়ান হরর সম্পর্কে জেনে নেই। লভক্র‍্যাফটিয়ান হররঃ The oldest and strongest emotion of mankind is Fear, and the oldest and kind of fear is Fear OF Unknown. - H.P. Lovecraft লভক্র‍্যাফটিয়ান হরর জনরার প্রবর্তক হাওয়ার্ড ফিলিপস লাভক্র‍্যাফট, ২০শে অগাষ্ট ১৮৯০সালে, আমেরিকার নিউ ইংল্যান্ড প্রদেশের এক ছোট শহর প্রভিডেন্সে জন্মগ্রহণ করেন। তার বয়স যখন তিন, তখন তার বাবা উইনফিল্ড স্কট লাভক্র‍্যাফট হঠাৎ মানসিক রোগে আক্রান্ত হন। তিনি নানারকম অদ্ভুত দৃশ্য দেখতেন এবং অনেক চিকিৎসার পরও তিনি এই রোগ থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হননি উল্টো নিউরোসিফিলসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। স্বামীর অসময়ে মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি মা সুজান, নিজের এবং সম্পর্কের প্রতি অবহেলায় দুরত্ব বেড়ে যায় লভক্রাভটের সাথে। বাবার মৃত্যু, মায়ের সংগে শীতল সম্পর্ক, নানা সামাজিক-আর্থিক প্রতিকূলতা, অবহেলা ও বঞ্চনার মাঝে বেড়ে উঠা লাভক্র‍্যাফটের জীবন ভীষণভাবে বিষাদগ্রস্ততায় ভরে উঠে। এই সবের বিপুল প্রভাব দেখা যায় তার সৃষ্টির মধ্যে। তার সৃষ্ট চরিত্রগুলো হয়ে উঠে বিশ্বস্রষ্টা এবং সৃষ্টির প্রতি প্রতিহিংসাপরায়ণ। মানুষ আসলে অজানাকেই ভয় পায়। ট্র‍্যাডিশনাল হররে মানুষকে ভূত, প্রেত, দৈত্য দানবের ভয় দেখানো হয় কিন্তু লভক্র‍্যাফটিয়ান হররের ভয়টা তৈরি হয় মানুষের Existential crisis বা অস্থিত্বের সংকট থেকে। এই জনরাতে যে এল্ডারগডদের দেখা যায়, তারা ভিন্ন এক ডাইমেনশনে বাস করে, সকল দুঃস্বপ্নের স্রষ্টা তারাই এবং মানুষের আদিম আতংকের মাধ্যমেই টিকে থাকে তাদের অস্তিত্ব। মহাপরাক্রমশালী এই ঈশ্বরেরা চিন্তা বা কল্পনার অতীত ক্ষমতার অধিকারী, এমনকি তাদের কথা ভাবলেও একজন সাধারণ মানুষ পাগল হয়ে যেতে বাধ্য। তারা আমাদের স্রেফ একমুহূর্তে শেষ করে দিতে পারে, আমাদের পালাবার কোন পথ নেই, নিজেকে রক্ষা করার কোন উপায় নেই কিন্তু মানুষের জন্য তাদের কোন দয়ামায়াও নেই। এই যে, নির্মম অসহায়ত্ব, এটাই লভক্র‍্যাফটিয়ান হরর। আসলে কসমিক, ট্র‍্যাডিশনাল আর আধুনিক সাইকোলজিক্যাল হরর মিলেমিশে তৈরি হয়েছে লভক্র‍্যাফটিয়ান হরর। কাহিনী সংক্ষেপঃ চিত্রশিল্পী জহির প্রতিরাতে দুঃস্বপ্ন দেখে, ভয়াবহ সে দুঃস্বপ্ন। দুঃস্বপ্নের আতংকে পাগলপ্রায় জহির ছুটেন সাইক্রিয়াটিস্ট ডা. জিয়াউল হকের কাছে। হঠাৎ করেই জহির খুঁজে পায় তারই মতো আরেকজন বাঁধন'কে, যে কিনা স্যুইসাইড করেছে, সেই বাঁধনের রেখে যাওয়া নোটবুক এবং তার আঁকা কিছু ছবি। এরইমাঝে একজন টিভি আর্টিস্ট নিজের স্ত্রী এবং একমাত্র সন্তানকে খুন করে ফেলেন। তাদের রক্তে মেঝে এবং দেয়ালে আঁকেন কিছু বিচিত্র আঁকিবুঁকি, যা হুবুহু মিলে যায় জহির এবং বাঁধনের আঁকা সেই অদ্ভুত ছবির সাথে। ডা. জিয়া সমস্যার সমাধানে ছুটে চলেন সাবেক রোগী হায়দার আলীর খোঁজে, বেরিয়ে আসে বিদেশি সংস্থা আর্কহাম স্যানিটারিয়াম এবং ড. কায়েস চৌধুরী। কী করছে তারা এভাবে, এদেশে, গোপনে? বেরিয়ে আসতে থাকে একে একে বিভিন্ন সুত্র। ডা. জিয়া বুঝতে পারেন এটা স্রেফ কোন দুঃস্বপ্ন নয়, এর মাঝে লুকিয়ে আছে কোন এক নিগুঢ় রহস্য যা ডুবে রয়েছে সমুদ্রের গহীনগর্ভে, যা হয়তো ফিরে আসতে চলেছে তারই মনোনীতদের মাধ্যমে। ব্যক্তিগত অভিমতঃ প্রতিটি লভক্র‍্যাফটিয়ান হরর গল্প কিছু কমন ফর্মুলা বা প্যাটার্ন মেনে চলে। একটু একটু করে রহস্যের জট খুলে এগিয়ে যাওয়া এই বই পড়ে মনেই হয়নি এটা লেখকের প্রথম প্রকাশিত বই। ইনফ্যাক্ট আমাদের দেশে এই জনরার এটা সম্ভবত দ্বিতীয় মৌলিক বই। লেখক আসিফ রুডলফাযের সাবলীল লেখায় তরতরিয়ে এগিয়ে গেছে গল্প। গল্প বলার ধরণ সহজ-স্বাভাবিক। বেশ গুছানো ঝরঝরে লেখা, ইমাজিনেশন থেকে ভিজ্যুয়ালাইজেশন সহজ, মনে হচ্ছিল চোখের সামনে ঘটে যাচ্ছে সব। শেষটা অনেকের কাছে কনফিউজিং মনে হতে পারে, তবে আমার মনে হয়েছে এর থেকে ভালো এন্ডিং আসলে হতে পারতোনা, একটা শেষ কিন্তু একটু অশেষ.... । শেষ কথা, বই আপনাকে টেনে ধরে রাখবে শেষ না হওয়া অব্দি। শুধু একটা ব্যাপারে একটু খারাপ লাগা আছে, বইয়ের বাধাই এবং কাগজের মান আরেকটু ভালো হলে, পাঠক সন্তুষ্টি বাড়বে।

      By Dewan Tanvir Ahmed

      17 May 2019 12:28 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      তরুণ লেখক আসিফ রুডলফাযের "কথুলহু" পড়া শেষ হয়েছে অনেকদিন(অনেকদিন মানে কিন্তু অনেএএএএএকদিন!) আগেই, কিন্তু নানান ব্যস্ততা এবং দৌড়াদৌড়ির কারণে রিভিউ লেখা হয়ে উঠছিলো না। এর মধ্যে আরো অনেকগুলো অসাধারণ বই পড়ে ফেলেছি, এবং প্রত্যেকটা বইয়ের রিভিউ লেখার জন্যেই অনেকদিন থেকেই হাত নিশপিশ করছিলো! যাই হোক, আজ হাতে সময় পেয়ে বসে গেলাম রিভিউ লিখতে। আর শুরুটা করলাম "কথুলহু"-এর রিভিউ দিয়েই.... :) উল্লেখ্য, এটাই এই লেখকের প্রথম প্রকাশিত বই। এবং প্রথম বইয়েই তিনি লেখক হিসেবে যেই মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন, তাতে এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে এই লেখক অনেক দূর যেতে পারবেন। লভক্রাফটিয়ান হরর থ্রিলার কী জিনিস তা পাঠকদের হারে হারে বুঝিয়ে দেবার জন্য এক "কথুলহু"-ই যথেষ্ট! এই উপন্যাসটির সবচাইতে শক্তিশালী দিক হচ্ছে, এখানে গভীর রহস্যের ঘনঘটা টের পাওয়া যাচ্ছিলো একদম শুরু থেকেই। এবং প্রথমার্ধে সেই রহস্যের মেঘ যেন কাহিনীর এগিয়ে চলার সাথে একটা সমানুপাতিক সম্পর্ক ধরে রেখেই ক্রমশ জমাট বেধে উঠেছে! আরো একটা ব্যাপার যেটা না বললেই নয়, সেটা হল, লেখক এই উপন্যাসটিতে প্রত্যেকটা চরিত্রকেই সমান গুরুত্ব দিয়েছেন। কোনো চরিত্রকেই হুট করে কাহিনীর ভেতরে টেনে এনে আবার হুট করেই তাকে কাহিনী থেকে হারিয়ে যেতে দেন নি। আর কাহিনীর গাথুনিও ছিল বেশ পোক্ত, পড়তে পড়তে কোথাও থমকে যাবার মত তেমন কোনো খুত কোথাও-ই চোখে পড়ে নি। সব মিলিয়ে এক কথায় বলতে গেলে অসাধারণ একটি উপন্যাস এই #কথুলহু.... :) তবে শেষার্ধে অনেক জায়গা দিয়েই মনে হচ্ছিলো, লেখক যেন খুব তাড়াহুড়ো করে ফেলছেন। তাকে যেন কেউ তাড়া দিচ্ছে দ্রুত উপন্যাসটা শেষ করবার জন্য। কে জানে, কথুলহুই তাড়া দিচ্ছিলো কিনা! ?? যাই হোক, "কথুলহু"-এর শেষ অধ্যায়টা পড়ে মনে হচ্ছিলো, লেখকের হয়ত এই বইটির দ্বিতীয় খণ্ড বের করার পরিকল্পনা আছে। তাই যদি হয়, তবে অধীর আগ্রহের সঙ্গে অপেক্ষায় রইলাম দ্বিতীয় খণ্ডের জন্য। তবে দ্বিতীয় খণ্ডটি পড়ার প্রচণ্ড আগ্রহ থাকলেও পাঠক হিসেবে লেখককে কোনো রকম তাগাদা দেব না, বরং চাইবো লেখক যেন একেবারেই তাড়াহুড়ো না করে আরো সময় নিয়ে ধীরে সুস্থে দ্বিতীয় খণ্ডটা লেখা শেষ করেন.... :) পরিশেষে একটা কথাই বলতে চাই, একজন থ্রিলারপ্রেমী হিসেবে একটা থ্রিলার পড়ে ঠিক যতটুকু আনন্দ পেলে সেই থ্রিলারকে আমার দৃষ্টিতে একটা সার্থক থ্রিলার বলে মনে হয়, বলতে গেলে প্রায় ততটুকু আনন্দই(এই ক্ষেত্রে রাতের ঘুম হারাম হওয়াটাই আমার কাছে আনন্দ!) আমাকে দিয়েছে আসিফ রুডলফাযের এই "কথুলহু"। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো তরুণ এই লেখকের জন্য। :) #লা_কথুলহু_ফহটাগন

      By Mitul Rahman Ontor

      28 Mar 2019 07:10 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_মার্চ Worth Reading. আসিফ আবদুল এর প্রথম বই, তবে লেখাতে প্রথম বইয়ের ছাপ খুজে পাওয়ার উপায় নেই। লেখনী বেশ সাবলীল। এক নিশ্বাসে পড়ে যাওয়ার মত। শেষের অংশে কিছুটা সুর কেটেছে বলে মনে হয়েছে। হরর বা থ্রিল আহামরি ছিল না, আরো কিছু টুইস্ট আশা করেছিলাম। প্রচ্ছদ সুন্দর৷ তবে দাম অনুযায়ি বইয়ের পৃষ্ঠাগুলো লো কোয়ালিটি ছিল। তবে সবমিলিয়ে বেশ ভালো ছিল। স্টোরি বিল্ডআপ, গল্পের চরিত্রগুলো ফুটিয়ে তোলা - এসবে বেশ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন লেখক তার প্রথম বইয়ে। লভক্রফটিয়ান হরর জনরার বই। তবে হরর না বলে, থ্রিলার বললেই বোধহয় আরো ভালো হতো। এই জনরা নিয়ে কাজ আমাদের দেশে এখনো নতুন। আশা করছি, শীঘ্রই এই জনরায় আরো অনেক ভালো ভালো থ্রিলার যোগ হবে। লেখককে তার পরবর্তী বইয়ের জন্য অগ্রীম শুভকামনা।

    • Was this review helpful to you?

      or

      লা কথুলহু ফহটাগন! কথুলহু তোমাকে ডাকছে! পড়লাম কথুলহু। লভক্রফটিয়ান ধারাটা সম্পর্কে একেবারেই কোনো ধারণা ছিল না। খুঁজতে গিয়ে দেখি লেখক ইতিমধ্যে এই বিষয়ে অনেকগুলো পোস্ট লিখেছেন। তার বরাতে জানলাম, এই জনরার প্রবক্তা হাওয়ার্ড লিফিপ লভক্রফট। লভক্রফট ধারার মূল পার্থক্য, অন্য হররের সাথে হল এখানে ভয়ের উপজীব্য ভুত, প্রেত নয় - বরং মানুষের ভিতরে লুকিয়ে থাকা অজানার ভয়, fear of the unknown. মানুষ যেটা জানে না, যেটার অস্তিত্ব সম্পর্কে ধারণা করতে পারে না, সেখানেই সে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে সর্বগ্রাসী এক ভয়ের মুখোমুখি হয়৷ এই জনরায় লেখা বাংলাদেশের প্রথম মৌলিক লভক্রফটিয়ান থ্রিলার কথুলহু। জহির একজন তরুণ চিত্রশিল্পী। সাহায্যের জন্য আসে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মোহাম্মদ জিয়াউল হকের কাছে। কিছুদিন ধরেই তার বিচিত্র সমস্যা হচ্ছে, ঘুমাতে পারছে না। ঘুমের মধ্যে প্রচন্ড ভয়ের সব স্বপ্ন দেখে, মাথার ভিতরে কে যেন ডাকে তাকে নাম ধরে। ঘুম ভেংগে স্বপ্নের বিষয়বস্তু আর মনে করতে পারে না জহির। কিন্তু তীব্র ভয়ের অনূভুতিটা কাটছে না, এমনকি ভয় পাওয়ার ভয়ে ঘুমাচ্ছেই না সে। প্রথমে কেসটা সাধারণ মনে হলেও দ্রুত এর ভয়ংকর দিকটা সামনে ফুটে উঠতে শুরু করল ডাক্তার জিয়ার। সারা দেশে এরকম আরও অনেকেই আছে, ভয়ে আতংকে অনেকে আত্মহত্যা করে বসেছে, বীভৎষ খুন করছে। মহাক্ষমতাশীল অশুভ কিছু এগিয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে। স্বপ্নাচ্ছন মানুষগুলোকে নিয়ে দেশের মাটিতেই গোপন গবেষণা চালাচ্ছে নিষিদ্ধ কিছু সংগঠন। ডেকে নিয়ে আসছে কথুলহুকে! কে এই কথুলহু? লেখকের গল্প বলার দক্ষতা চমৎকার৷ অজানার ভয়টা পাঠকের ভিতরে সঞ্চারিত করতে পেরেছেন। বইয়ের পাতায় আটকে যেতে হয় শুরু থেকেই। যারা কাহিনী নির্ভর হরর-থ্রিলার ভালোবাসেন পড়তে পারেন। লভক্রফটিয়ান জনরার আরো বই পড়তে আগ্রহী রইলাম।

      By asif

      28 Jan 2019 01:25 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      nice book

      By Moshiur Rahman

      13 Oct 2019 11:36 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Lovecraft একটা ভালোবাসার নাম। তার গল্প পড়া, অডিও স্টোরি শুনা সবই খুব উপভোগ্য। যখন শুনলাম একজন বাংলাদেশী লেখক Lovecraft অনুবাদ করেছেন, তখন খুবই উত্তেজিত ছিলাম। ভাবলাম এবার বাংলা ভাষাতেও তার গল্প পড়ব তার উপর তার সবচেয়ে বিখ্যাত গল্প কল অফ কথুলহু বলে তো উত্তেজনা আরো বেশি ছিল। অনলাইনে অর্ডার করে বইটি হতে পেয়েই প্রথমে হতাশ হতে হল। কভার টা একদম গুগল থেকে মেরে দেয়া। বিন্দুমাত্র এডিটিং পর্যন্ত করা হয় নাই। যাইহোক, কথায় আছে, Don't judge a book by its cover. সেটা উপেক্ষা করে ভিতরে কি আছে টা দেখতেই বসে পড়লাম। প্রথমেই যে খটকা টা লাগল তা হল অরিজিনাল গল্প টা মাত্র 44 পৃষ্ঠার। সেখানে এই বই 195 পৃষ্ঠা হল কেন! পরে ভুলটা ভাঙলো যে এটা অনুবাদ, লেখকের মাধুরী মিশানো রূপান্তর!! যাই হোক পড়তে থাকলাম আর অবাক হতে থাকলাম। লেখক এতে কি রাখেন নি? হালকা কমেডি, রোমান্স!! হরর, রহস্য, আর কি নাই। জাগতিক যত সাহিত্য উপাদান আছে সবই এই বইয়ে অপরিমেয় পরিমাণে আছে। লেখক এইদিক কোন কার্পণ্য করেন নাই। ধরে নিলাম এটা লেখকের উদারতা। পৃষ্ঠা সংখ্যা না বাড়ালে পাঠক কি আর বই কিনবে! তা না হয় বুঝলাম। তাও যদি একটু সুখাদ্য হত তাহলে ও মানা যেত। কিন্তু তা আর হলো কই! অখাদ্য বইগুলোর ও অনেক নিচে এই বইয়ের অবস্থান হবে। মোটেও বুঝতে পারছিনা লেখক যদি মৌলিক কিছুই লিখতে চান তাহলে Lovecraft এর গল্প অনুসারে লিখবেন কেন। আর যদি অনুবাদই লিখেন তাহলে এত জগাখিচুড়ী জিনিস লিখার মানে কি!! ফেসবুকে সস্তা প্রশংসা পাওয়ার জন্যই Lovecraft নাম এর আশ্রয় নেয়া। লেখক প্রথম লেখা দিয়েই ছক্কা মারতে চেয়েছিলেন। আমি দুঃখিত, এই বইয়ের প্রশংসা করা তো দূরে থাক, আমি যে একটা ভালো কিছু বলব তাও একদমই সম্ভব না। লেখকের প্রতি অনুরোধ, যা ইচ্ছা তাই লিখুন সমস্যা নেই। তবে দয়া করে আর কখনো অন্য লেখকের আশ্রয় নিয়ে এভাবে তার লেখার অপমান করবেন না।

      By Tasnim Rime

      30 Apr 2019 12:39 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বই: কথুলহু জনরা: লভক্রাফটিয়ান থ্রিলার লেখক: অাসিফ রুডলফায প্রকাশনী: ভূমিপ্রকাশ প্রকাশ কাল: বইমেলা ২০১৯ পৃষ্ঠা: ১৯২ প্রচ্ছদ: নাজিম উদ দৌলা, সজল চৌধুরী মুদ্রিত মূল্য: ২৬০৳ প্রথমেই লভক্রাফটিয়ান হরর সম্পর্কে জেনে নেই... "The oldest and strongest emotion of mankind is FEAR, and the oldest and strongest kind of fear is Fear Of The UNKNOWN" মানুষ মাত্রই অজানাকে ভয়। জেনে বুঝে কিংবা না বুঝেই ভয় পায়। ট্রাডিশনাল হররে ভুত প্রেত দৈত্য দানব দিয়ে ভয় দেখানো হয়। কিন্তু লভক্রফটিয়ান হররের ভয়টা তৈরি হয় মানুষের অস্তিত্বের সংকট (Existential Crisis) থেকে।  ধর্মিয় গ্রন্থগুলো ঈশ্বরের সাথে মানুষের সম্পর্ককে বলেছে ভালোবাসার সম্পর্ক। সৃষ্টিকর্তা আমাদের ভালোবাসেন, আমাদের পরম যত্নে লালন পালন করেন। আমাদের শত অপরাধ মাফ করে দেন। কিন্তু লভক্রফট তার জগতের ঈশ্বরদের উপস্থাপন করেছেন ভিন্ন রুপে। তার কল্পিত মহাকাশের মহাশক্তিধর ঈশ্বরদের কাছে মানুষ হল ব্যাক্টেরিয়ার মতো। আমরা প্রতিদিন হাটতে চলতে কত অসংখ্য ক্ষুদ্র পোকা মাকড় পায়ের তলায় পিষে ফেলি, হাচি দিলে কত ব্যাক্টেরিয়া মারা যায় আমরা তা খেয়ালও করি না। কারন একটা ব্যাক্টেরিয়া বা একটা পিপড়া মরল কি বাচল তাতে কিছু এসে যায় না। লভক্রফটের ঈশ্বরদের কাছে মানুষের অবস্থান ঠিক এমন। মানব জাতি মরল কি বাচল তাতে তাদের কিছু আসে যায় না। এমন কি তারা মানুষের অস্তিত্ব নিয়ে মাথাই ঘামায় না। মানুষ তাদের কাছে চলতে ফিরতে পায়ের নিচে পড়া ক্ষুদ্র পিপড়ার মতো। মরলে মরুক, ক্ষতি কি। কিন্তু মানুষের কাছে এই মহাপরাক্রমশালী ঈশ্বররা চিন্তা বা কল্পনার অতিত ক্ষমতার অধিকারি। এমনকি তাদের কথা ভাবলেও একজন সাধারণ মানুষ স্রেফ পাগল হয়ে যেতে বাধ্য। তাদের বিশালতা, তাদের অস্তিত্বের ব্যাপ্তি আমাদের চিন্তা চেতনার বাইরে। তারা আমাদের স্রেফ পিষে ফেলতে পারে, অবহেলায় তুড়ি মেরে এক মুহূর্তে শেষ করে দিতে পারে। যেকোনো দিন, যেকোনো সময়। আমাদের পালাবার কোনো পথ নেই। লুকোনোর কোনো জায়গা নেই। নিজেকে রক্ষা করার কোনো উপায়ই নেই। আমরা বেচে আছি সম্পুর্ণ সেই ঈশ্বরের দয়ায়। কিন্তু মানুষের জন্যে তাদের কোনো দয়ামায়া নেই। এই যে নির্মম অসহায়ত্ব, এটাই লভক্রফটিয়ান হরর। (তথ্য: লেখক) কাহিনী সংক্ষেপ : পেশায় শিল্পি জহির নিজের অসহায়ত্ব অার ভয়ের কাছে পরাজিত হয়ে মানসিক ডাক্তার জিয়ার সরনাপন্ন হয়। ছোটবেলা থেকেই জহিরের বোবায় ধরা সমস্যা ছিল কিন্তু ইদানিং তার সমস্যাটা প্রকট অাকার ধারণ করছে। এখন কেবল রাতের বেলাতেই নয় দিনেও ঘুমের মাঝে দুঃস্বপ্ন দেখে ঘুমাতে পারে না। অজানা ভয় তাকে তারা করে বেড়ায়। কে যেন সারাক্ষণ মাথার ভেতর নাম ধরে ডেকে যায়। ডাঃ জিয়া প্রথমে তেমন গুরুত্ব না দিলেও মনের কোনে কোথায় যেন একটা সুক্ষ্ম তার খোঁচাচ্ছে তাকে। অবচেতন মনে জহিরের কেসটা নিয়ে ভাবতে গিয়ে মনে পড়ল বছর দু'য়েক অাগে একই রোগে অাক্রান্ত হায়দার অালীর কথা। হায়দার অাললীকে খুঁজতে গিয়ে ডাঃ জিয়া অাবিস্কার করে এক অদ্ভুত প্যাটার্ন শহর থেকে একে একে নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছে নয়তো উন্মাদ খুনিতে পরিণত হচ্ছে শিল্পীমনা মানুষজন। অার প্রতিটা খুনের সাথে জড়িয়ে অাছে জহিরের অাঁকা নকশার মত অদ্ভুত এক চিহ্ন! কিসের চিহ্ন এটা? এদিকে হায়দার অালীকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় চট্টগ্রামের উখিয়া অঞ্চলে এক মানসিক চিকিৎসা কেন্দ্র অার্কহাম স্যানেটরিয়ামে। কিন্তু সে হাসপাতালের অস্তিত্ব বলতে গেলে বিলিন প্রায়। অাগুন লেগে পুড়ে গেছে সব চিহ্ন কেবল দাঁড়িয়ে অাছে কঙ্কালসার ভিত। কৌতুহলের বসে হাসপাতালটা দেখতে গিয়ে ডাঃ জিয়া নিজেই হতভম্ভ হয়ে পরে। এটা অাসলেই কোন মানসিক চিকিৎসা কেন্দ্র নাকি হাসপাতালের অাড়ালে প্রেতচর্চাগার। কথুলহু কি তবে সত্যিই অাছে? জেগে কি উঠবে র'লিয়ে নগরী! চেনাজানা দুনিয়ার ওপাশ থেকে বুঝি এগিয়ে অাসছে এক মহাজাগতিক অপশক্তি। লোকচক্ষুর অাড়ালে কীসের এক্সপেরিমেন্ট চলছে অার্কাহাম স্যানেটরিয়ামে? ডক্টর জিয়া কি পারবে এসবের রহস্য সমাধান করতে? নিজস্ব মতামত: লা কথুলহু ফহটাগন। বইটা শেষ করার পর থেকেই লাইনটা বারবার মুখে মুখে অাওড়াচ্ছি। ঠিক কতটা ভালো লাগলে পরে বইয়ের রেসটা এতটা কার্যকারী হয় তা অার বলার অপেক্ষা রাখে না। কম বেশি সবাই দুঃস্বপ্ন দেখে। ঘুম ভাঙার পর সেই স্বপ্নের ভয় হয়তো কখনও কখনও অামাদের অবচেতন মনে থেকে যায়। অার তেমনই এক ভয়ের অস্তিত্ব বা বোবায় ধরাকে কেন্দ্র করে মানসিক রোগীদের নিয়ে গড়ে ওঠা অাদি প্রাণের সঞ্চার কথুলহুর অস্তিত্ব তৈরি মিথ, হরর, থ্রিলার সব মিলিয়ে ক্রিসপি চিকেনের স্বাদ বলা যায় বইয়ের কাহিনীকে। এক বসায় যতক্ষণ না শেষ হবে লভক্রাফটিয়ান থ্রিলার কিংবা হরর প্রেমীরা বই রেখে উঠতে পারবে বলে অামার মনে হয় না। বই প্রেম অক্ষয় হোক। লা কথুলহু ফহটাগন....

      By Moshiur Rahman

      10 Sep 2019 01:49 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      আমি পড়লাম! আমি শেষ পর্যন্ত এটা পড়ে শেষ করতে পারলাম! আসলেই এটা আমার জন্য একটা অর্জন যে আমি এটা শেষ করতে পারলাম। বইটার প্রতি আগ্রহের একটাই কারণ লাভক্র্যাফটিয়ান থ্রিলার ট্যাগ লাগানো। লেখকের প্রশংসা করবো কারণ উনি আসলেই লেখার জন্য অনেক গবেষণা করেছেন। রোমান্স (লুতুপুতু প্রেম),কমেডি (খুবই অল্প যদিও), সাসপেন্স, মনস্তত্ত্ব, রহস্য, এডভেঞ্চার সাহিত্যের কোন উপাদান ই তিনি বাদ দিতে চান নি। মনের মাধুরী মিশিয়ে লাগামহীন ভাবে যখন খুশী একটা করে উপাদান উনি ঢেলে দিয়েছেন লেখায়। ফলাফল জগাখিচুড়ী না হয়ে আর কোনো উপায় ছিল না। কাহিনী সংক্ষেপ বলতে গেলে আদিম অপশক্তির উত্থানের আশঙ্কায় মানবজাতির টালমাটাল অবস্থা এবং তা থেকে কিভাবে পৃথিবীকে রক্ষা করা যায় এটুকুই। এখানে যে মহাজাগতিক অপশক্তির কথা অবতারণা করা হয়েছে তা মনের উপর কোনো জোরালো প্রভাব রাখতে পারে নি। অরিজিনাল বইয়ে যেখানে 40 পেজে যে সাসপেন্স লেখক তৈরি করেছিলেন সেখানে এই লেখক 196 পেজেও কোনো আবহ তৈরি করতে পারেন নাই লাভক্র্যাফট যে উদাহরণ গুলো রেখে গেছেন তার সমতুল্য আর কেউ কখনো হতে পারেনি। সেখানে একজন নব্য লেখক ঠিক কি চিন্তা করে তার প্রথম লেখা লাভক্র্যাফটিয়ান থ্রিলার (!) দিয়েই শুরু করলেন তা ঠিক বোধগম্য না। লেখকের প্রতি অনুরোধ থাকবে উনি যা খুশি তাই লেখুক, আমার আপত্তি নেই। তবে দয়া করে কখনো আর লাভক্র্যাফটিয়ান থ্রিলার ট্যাগ লাগিয়ে লাভক্রাফ্ট ভক্তদের আশাহত করবেন না। কভার টা পর্যন্ত চুরি করা।

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!