User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
"চিঠিটি পড়ে তোমার মনটা খারাপ হয়ে যাবে আমি জানি। তাই তোমার বিমর্ষ হৃদয় উষ্ণ করে তুলতে একটি সত্য বলে দিই,পুরুষরা তার মায়ের যে স্বভাবগুলো অন্য নারীর মধ্যে খুঁজে পায় তাকে অধিক পছন্দ করতে শুরু করে। আমার মা ও তোমার মতো শুচিবাই ছিল। দিদির মুখে শুনেছি। কি,হাসি পাচ্ছে শুনে, তাই না? জানতাম হাসি পাবে। আমার ও পেয়েছিল যেদিন প্রথম প্রশ্ন এবং উত্তরের মুখে জানতে পারলাম তুমি খুব শুচিবাই একটি মেয়ে।"-- দিপালি,অরিত্র দাস সার সংক্ষেপঃ ---------------------- স্কুল, কলেজের গন্ডি পার হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্পণ করার সময় আমাদের সকলের মনের অনেক বেশি পরিবর্তন হয়। কিছু মানুষে আগেই হয়৷ কিছু মানুষের পরে। হুট করে তখন হাজার মানুষ এর ভীড়ে একজন কে অন্যতম মনে হয়। হাজার হাজার নারীর ভীড়ে চোখ দুটো শুধু একজনের কাছে আটকে যায়। কিন্তু ঐ মানুষ সামনে আসলে চোখ গুলো উপরে উঠতে চায় না। তার সব অবহেলা, অপমান মাথা নত করে গ্রহণ করতে মন চায়। শুধু একটা আশায় একদিন তার সুদৃষ্টি আমাদের দিকে পড়বে। কিন্তু তা কি আদৌ সবার ক্ষেত্রে হয়? 'দিপালি' উপন্যাসটি এমন ই একটি সমকালীন উপন্যাস। যাতে আছে দিপালি নামে একজন সুন্দরী,ঠোঁটকাটা, রাগী বই পাগল, শিল্পী মেয়ে। সাথে আছে হেমেন্দ্র নামে একজন নম্র, ভদ্র, সাহিত্যমনা ছেলে। যার বুক ভালোবাসা দিয়ে ভর্তি। উপন্যাসটিতে দেখা যায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এ প্রথম বর্ষে বাংলা বিভাগে পড়া দিপালির গুণে রূপে মুগ্ধ হয়ে ৩য় বর্ষে পড়া হেমেন্দ্র ভালোবাসার সাগরে ডুব দেওয়া। কিন্তু সে কখন ও দিপালিকে নিজের মুখে তার অনুভূতি বলে নি। তবুও দিপালির কাছে প্রতিনিয়ত সে অবহেলা আর অপমান পেয়েছে। হেমেন্দ্রকে দূরে সরানোর জন্য পদে পদে অপমান পেয়েও হেমেন্দর কখনও হার মানে নি। দু'বছর ধরে প্রতি রবিবার দিপালির জন্য মহুয়াতলায় কাঠের ডাকবাক্সে একটি করে চিঠি লিখে রাখে। ঐ ডাক বাক্সের নাম দেয়ঃ 'পত্রমিতালীঃপ্রযত্নে দিপালি'। কিন্তু দু বছরে রাখা একটা চিঠি ও দিপালি ছুঁয়ে দেখে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে হেমেন্দ্র যার সাথে কথা বলেছে মিশেছে, সে ই তাকে অনেক আপন করে নিয়েছি, নেয় নি শুধু দিপালি। দিপালি শুধু তাকে অবহেলা আর অপমান করার জন্য উঠে পড়ে লেগে থাকত। তবুও হেমেন্দ্র বিশ্বাস করত দিপালি একদিন তার দিকে সুদৃষ্টি দিবে, তার অপেক্ষার ফল দিবে। দিপালি কি শেষ পর্যন্ত হেমেন্দ্রর প্রতীক্ষার ফল তাকে দেয়? পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ ------------------------ লেখকের লেখায় পশ্চিম বঙ্গের লেখকদের লেখার ছাপ আছে। অনেক বিশ্লষণ করে বিশ্ববিদ্যালয় জীবন এ রাজনীতি, দেশের রাজনীতি, বিভিন্ন অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন, ধর্ষণের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলন এর বিভিন্ন দিক আছে। ( যদিও রাজনীতি বিষয়ক জিনিস কম বুঝি।) এছাড়াও আছে বর্তমান যুগের লুতুপুতু প্রেম আর অপেক্ষমান ভালেবাসার সুন্দর ব্যাখ্যা। আর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে হলে থাকা ছাত্রদের বিভিন্ন স্ট্রাগল বা দিক ও লক্ষ্যনীয়। বাস্তবের সাথে কল্পনা মিশিয়ে অনেক সুন্দর সাবলীল ভাষায় উপন্যাস টি লিখা হয়েছে। ভালো লাগা কিছু লাইনঃ ----------------------------------- ★জীবনে অনেক কিছুই ছেড়ে দিতে হয়। ধরে রাখতে গেলেই কষ্ট পেতে হয়। যার জন্য পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ অসুখী। তারা জগতের সব কিছু ধরে রাখতে চা,কিছু ছেড়ে দিতে চায় না। ★ভালোবাসা!এই শব্দটি নিছকই একটি মানুষকে বন্দী করে রাখার সত্যায়িত অস্ত্র। এই অস্ত্র তাক করে যে কাউকে খুব শান্তভাবে এবং প্রকাশ্যে ধ্বংস করা যায়। ★মেয়েদের নিয়ে এত বেশি ভাবতে নেই গুরু। সমুদ্র নিয়ে ভাবলে তার হয়তো জীবন রহস্য উন্মোচন হবে কিন্তু মেয়েরা পুরাটাই মোহ এবং মায়া দ্বারা সৃষ্টি। ★কিছু মানুষ বোধ হয় হাসতেই জন্ম নিয়েছে পৃথিবীতে। ভালো কথা শুনলেও হাসে আবার মন্দ কথা শুনলেও হাসে। হাসি তাদের সহজাত প্রবৃত্তি। হতাশাগ্রস্ত ব্যক্তির স্বভাবচরিত্র থাকে এমন সহাস্য। তারা সব কিছু কর্পূরের মতো হেসে উড়িয়ে দিয়ে থাকে। ★বাঙালিরা নারীদের খুব কমই ভয় পায় এর কারণ এদেশে নারীর স্বাধীনতা এখনো হয় নি। কথার এধার ওধার হলেই পুরুষের হাত মুহূর্তেই উঠে যায় নারীর অঙ্গে। ★বিশ্ব যে কত প্রতিযোগিতাপূর্ণ হয়ে গেছে, এরা ঘরের মধ্যে থেকে কিছুই টের পায় না।বিশ্বে এখন নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে ভাতের প্রয়োজন হয় না;প্রয়োজন হয় মেধা এবং যোগ্যতার। ★যদি কখনো তুমি মানুষকে কথা দিয়ে বশে আনতে না পারো তাহলে ভালোবাসা দিয়ে তাকে জয় করবে। ★জগতের গতিপথে সব কিছুই কোনো না কোনো ভাবে থমকে দাঁড়ায়, দাঁড়াতে হয়। সময় কখনো থমকে দাঁড়ায় না। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে হাঁপিয়ে ওঠাই যান্ত্রিক জীবন। ★ধর্মকে ধর্মের জায়গায়,বিজ্ঞানকে বিজ্ঞানের জায়গায়,শিক্ষাকে শিক্ষার জায়গায় এবং আধুনিকতাকে আধুনিকতার জায়গায় রেখে যখন যেটা প্রয়োজন সেটি অর্জনের পথে ধাবিত হওয়াই মনুষ্য জাতির বিচক্ষণতার পরিচয়। ★নানাভাবে অপমান করাই কিছু মানুষের নেশা। মানুষকে আঘাত করতে পারাই যেন ওদের আনন্দ। নিজের অবস্থান বড় করে তুলতে অপরকে ছোট করতে কোথাও একটুও বাধে না ওদের। ★বাস্তবতা এবং কল্পনার সংমিশ্রণ এ সাহিত্যের সৃষ্টি। মূলত বাস্তবতা এবং কল্পনাকে আধার করেই সাহিত্যের কবিতা,উপন্যাস, ছড়া,ফিকশন এবং নন-ফিকশন সৃষ্টি হয়। ★কিছু লেখায় লেখকের ব্যক্তিগত জীবনের ছাপ থাকে বটে,কিন্তু তা ছিটেফোঁটা মাত্র। লেখকরা ঋষি-জ্যোতিষদের মতো।ভবিষ্যতে কি ঘটবে,বর্তমানে কি ঘটতে চলেছে তা ঘন গভীর বুদ্ধিদীপ্ত চিন্তার উপলব্ধি দিয়ে পূর্বক্ষনেই কলমের খোঁচায় টুকে যায়। ★ভালোবাসি বলে দিলে আর ভালোবাসা থাকে না। ভালোবাসি শব্দ টি যতক্ষণ বুকের তরঙ্গে চন্দন কাঠের আলমারিতে তোলা থাকে ততক্ষণই ভালোবাসা। ★মেয়েরা কাছের মানুষের উপেক্ষা বেশিক্ষণ সহ্য করতে পারে না। ★একটি সম্পর্ক দাঁড়িয়ে থাকে মায়া এবং বিশ্বাস শব্দ দুটির ওপর ভিত্তি করে। ★মেয়েরা শুধু রূপ আর গুণ নিয়ে অহংকার করে না। আরো একটি বিষয় নিয়ে অহংকার করে। ভালোবাসা। যখন বুঝে, কোন পুরুষ তাকে ভালোবাসতে চায়।নিমিষেই সে অহংকারী হয়ে ওঠে। ★ ভালোবাসা বলতে বোঝায় মায়া। যখন যে যার মায়ায় আটকে যায়,সেখান থেকে বের হতে না পারাটাই বন্ধন। ★জীবনে যারা সত্যিকার অর্থে ভালোবাসতে জানে তারা ভালোবাসাকে ছেড়ে দিয়ে ভালোবাসতে জানে। ★কাউকে কাছে পাওয়া মানে পুরোপুরি পাওয়া নয়, আংশিক পাওয়া এবং আংশিক হারিয়ে ফেলা। রেটিংঃ ⭐⭐⭐? happy reading ❤
Was this review helpful to you?
or
মেয়েরা শুধু রূপ আর গুণ নিয়েই অহংকার করে না। আরাে একটি বিষয় নিয়ে অহংকার করে। ভালবাসা। যখন বুঝে, কোন পুরুষ তাকে ভালবাসতে চায়। নিমেষেই সে অহংকারী হয়ে ওঠে। সেই অহংকার একসময় হৃদয়ের উষ্ণতায় রূপ নেয়। বৃক্ষপ্রতিম অচল সমাজের দুয়ারে সত্য ও সুন্দরের পুষ্প বর্ষণ করে সে উষ্ণতা। জীবনে যারা সত্যিকার অর্থে ভালােবাসতে জানে তারা ভালােবাসাকে ছেড়ে দিয়ে ভালােবাসতে জানে। কাউকে কাছে পাওয়া মানে পুরােপুরি পাওয়া নয়, আংশিক পাওয়া এবং আংশিক হারিয়ে ফেলা। মুক্ত পাখির মত ছেড়ে দিয়ে ভালােবাসা মানে নিজের যা কিছু আছে তার সবটুকু দিয়ে ভালােবাসা। তাতে মায়ার ধার দৃঢ় হয়। অথচ কী এক জীবনস্পর্ধী যান্ত্রিকতা এবং বিকৃত সমাজব্যবস্থার মুখে বিস্ফোরিত চারদিক। এতে ভষ্ম হচ্ছে শহর, উপশহর, বন্দর, নিভৃত গ্রাম এবং কিছু কিছু মানুষের জীবন। কখনাে মানুষরূপী হায়েনার ছােবলে, কখনাে বা ভালােবাসাহীনতায়। প্রতিটি মানুষ। চায়- তাকে কেউ ভালােবাসুক। তার জন্য প্রতীক্ষা করুক। সপ্তাহে না হলেও, অন্তত মাসে কেউ একজন বলুক- ভালাে আছাে তাে! ভালােবাসা বলতে বােঝায় মায়া। যখন যে যার মায়ায়। আটকে যায়, সেখান থেকে বের হতে না পারাটাই বন্ধন।