User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
Notun hisebe valo legeche. Kichu kichu khetre bornona ojotha dirgho koreche. Abar kichu dirgho bornona valo legeceh. like-“শীত মহাজনের যেন খাজনা অনাদায়ে দ্রৌপদীর মত এই বৃক্ষরাজির বস্ত্র হরণ করে নিয়েছে। অনেকের কাছে নেড়া ছন্নছাড়া মনে হলেও আদিলের চোখে গাছগুলো ধরা পড়লো নাঙ্গা সৌন্দর্য রূপে গুমোড় প্রকৃতিতে সূর্য্য মহাশয়েরও কি খাজনা বাকি পড়েছে কি না কে জানে। বৃক্ষের মত বিবসনা হওয়ার ভয়েই হয়তো সেও আজ উদিত হয়নি” MEGH BALOK-BALIKAR bornonaou valo legeche. Tobe notun mone hoyni. Mone hoyeche emon MEGH BALOK-BALIKAR kachakachi rokom bornona ageo jeno kothay porechi.
Was this review helpful to you?
or
সহজ,সরল, সাবলীল ভাষায় আমাদের চারপাশের তেতো দৈনন্দিন জীবনের জীবন্ত চিত্রায়ন লেখকের লেখাকে আকর্ষনীয় করে তুলেছে নিঃসন্দেহে। বইটি পড়ে মনে হয়েছে আমার সার্কেলেরই কারো কারো ছোট গল্প লেখকের চোখে পড়েছে। আশাকরি, সামনের দিনগুলোতে এইরকম সুন্দর আরো গল্পের বই পাবো লেখকের কাছ থেকে। সর্বপরি, লেখকের জন্য শুভকামনা রইল
Was this review helpful to you?
or
#নীলাম্বরী_ছায়ানট প্রিয় AKASH MAMON ভাইয়ের ছোট গল্প সংগ্রহ। গল্পগুলো পড়লে মনে হবে আপনার, পরিবারের, প্রতিবেশির, ইট-পাথরের শহুরের যান্ত্রিক জীবনে বা আবহমান বাংলার গ্রামীণ জনপদের হাসি, কান্না, দুঃখ ঘেরা নাগরিক জীবনেরই ছায়া। যেখানে খুজে পাবেন প্রেম, ভালবাসা, ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা। আপনি গল্পের মাঝে প্রত্যক্ষদর্শী হয়ে আবিস্কার করবেন নিজেকে। একবারও মনে হবে না গল্প পড়ছেন, মনে হবে নিজেই দৃশ্যায়ন করছেন। প্রতিটি শব্দ নাড়া দেয়। চরিত্রগুলি চোখে ভেসে ওঠে জীবন্ত। কৃতজ্ঞতা ভাইয়ের প্রতি। সংগ্রহ করুন, বই পড়ুন এবং প্রিয়জনকে বই উপহার দিন। সংগ্রহ ঃ সৃজনী প্রকাশনী (বই মেলা) অনলাইনে রকমারি.কম ঃ https://www.rokomari.com/book/176199/nilambori-chayanot
Was this review helpful to you?
or
"রূপন্তি জানে ফেরদৌসের মত মেয়ে ঘেঁসা পুরুষদের গ্রাম্য কুকুরের মত লাঠি পেটা করলেও এ্যাঁটো-কাটার নেশায় ফের ঘুরঘুর করবেই। এও জানে নিজের বাহাদুরি দেখাতে সাহায্য করার উপায় একটা বের করবেই।" বইয়ের ফ্ল্যাপ ভালো লাগছে।
Was this review helpful to you?
or
হারুর মা বিন্তিকে বুঝিয়েছি, ঐ ছেরি, এলা ক্ষেমা দে। রাগআলা মরদ মানুষ, কি করবি? আর এই সুংসারে আমি কিছু করমু না। খামু আর হাগমু। যা যা নাগবো আমার সময় মতো জানি দেয়। আরে আমার কাপরে গাইটআলা। তার মুরগী পালন নাগবো না। বড় জমিদার হইয়া গেছে। ট্যাকা ঝুমঝুম করতাছে! কামের মোরদ নাই। গোস্বা করার মোরদ। মোহাব্বত মুরগী নিয়ে গঞ্জে গেলে চেঁচামেচি করে বাড়ি মাথায় তুলেছিল বিন্তি। চিৎকার করে শাপ-শাপান্ত করে যাচ্ছিলো। ভাল লাগছে ডাইলগ। অরিজিনাল গ্রামের ঝগড়া। মেলায় কেনার লিস্টে রাখলাম। তবে প্রচ্ছদ পছন্দ হয় নাই।
Was this review helpful to you?
or
লেখকের ভিরত একটা কবি স্বত্তা আছে মনে হয়। ভূমিকাতেই লিখেছেন, “গভীর রাতে বেওয়ারিশ কুকুর যখন ডাক পাড়ে দোর পেরিয়ে দুঃখগুলো শোবার ঘরে ভিড় করে” গভীর রাতে কুকুরের ডাকের সাথে সত্যি দুঃখের কোন সম্পর্ক আছে কি না, ঠিক জানি না। তবে এটা সত্যি-হঠাৎ হঠাৎ গভীর রাতে মন খারাপ হয়। ঘুম হতে চায় না। বইটি পড়ার পর কয়েক রাত কুকুরের ডাক শুনার জন্য দেরিতে ঘুমিয়েছি। কিন্তু কুকুর মনে হয় আমার সাথে বিট্রে করেছিল-ডাকলোই না। “আততায়ী প্রেমিক” নামের গল্পের নায়িকা রূপন্তি। তবে নায়ক ফেরদৌস কারিগর না ইমরান সাদিক তা ঠিক বোঝে উঠতে পারিনি। চিরাচরিত নিয়মে দীর্ঘদিন পর যোগাযোগ হয়ে ফেরদৌস আর রূপন্তির মধ্যে আকর্ষণ দেখা যায়। ইমরানের ব্যস্ততা আর অবহেলায় ফেরদৌসের প্রতি রূপন্তির টান বাড়তে থাকে। শেষে সেনাবাহিনীর অপারেশন ক্লিন হার্টে ইমরান ক্রস ফায়ারে মারা যায়। এর পিছনে ফেসদৌসের হাত থাকে। পুলিশকে হাত করা যায় শুনেছি, সেনাবাহিনীকেও! যায় মনে হয়। নারায়নগঞ্জেতো সাত খুন হয়েছিল। তবে শেষের রূপন্তির দৃঢ় মানষিকতা তার ব্যক্তিত্বকে উজ্জ্বল করেছে। “ওয়ারিশ” গল্পে মরিয়ম আর মরিয়মের মাকে সংগ্রামী নারী হিসেবে দেখানো হয়েছে। তবে সব সংগ্রাম বোধ হয় একটা জায়গায় এসে থেমে যায়! মৃত্যু। মরিয়মের মায়ের মৃত্যুতে মরিয়মের কান্না আর অসহায়ত্ব পাঠককেও কাঁদাবে। “ঘর ভাঙ্গা ঝড়” গল্পে লেখক তাঁর বেড়ে উঠা গ্রামে ফিরে গেছেন। বিন্তিকে একজন সংগ্রামী নারীর চরিত্রে দেখানো হয়েছে। তবে এমন গ্রামীণ দৃশ্য এখন মনে হয় আর বাংলাদেশে আছে কি না! তবে এখানেও একটা মৃত্যু। নায়িকাকে স্বামীর হাতে মেরে ফেলা হয়েছে। তবে মারার পর স্বামীর অনুশোচনা আর পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ পায়। যদিও সেই ভালোবাসার কোন মূল্য নেই। “হৃদয়ের গহীনে” একটি চিরাচরিত চটুল নর-নারীর প্রেমের গল্প । তবে হাস্যকর (!) লেগেছে নায়ক নায়িকার জন্মদিনে রক্ত বিক্রি করে গিফট কিনে দেয়। সেটা বোধ হয় গল্পেই সম্ভব! পরের গল্প “অচেনা সন্ধ্যা” এখানে আজব একটা ঘটনা বলা হয়েছে। মাটির নিচ পুতে রাখা টাকা ইদুরে খেয়ে ফেলেছে। তবে ভাল লেগেছে। গ্রামীণ পটভূমিতে, গল্পের গাথুনিতে, কথোপকথনে চমৎকার। “অন্ধকার” গল্পেও গ্রামীণ চিত্র। তবে কোন নতুনত্ব নেই। পড়লে মনে হয়, কোথাও মিলে যাচ্ছে। এমন বর্ণনা, চরিত্র আগেও কোথাও দেখেছি। “অপাঙতেয়” গল্পে একজন স্বজন-পরিজনহীন রোহিঙ্গা নারীরকে তুলে ধরা হয়েছে। তবে সচরাচর তাদের জীবনের দুঃখ-বেদনার চিত্র নয়। একটু ভিন্ন ভাবে অপরাধী চরিত্র তুলে ধরে হিরো হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। তবে আসলে সে মাদক চোরাকারবারি। “ক্ষমা করো মোরে” প্রচলিত লুতুপুতু প্রেমের গল্প। উপস্থাপনায় কোন ভিন্নতা নেই। তবে বর্ণনায় চমৎকারিত্ব আছে। লেখকের দৃষ্টিতে পাতাহীন গাছ যেন নাঙ্গা মেয়ে। যদিও এখানে অন্য সবার মত লেখকও নারীকে যৌন বাক্স হিসেবেই দেখেছেন। তারপরও ভালো লেগেছে। পড়ার পর বিভিন্ন ভাবে পাতা ঝরা গাছের দিকে তাকিয়েছি। আমার চোখে তেমন কিছু মনে হয়নি। লেখকদের আসলেই বোধ হয় ভিন্ন চোখ থাকে! লেখকের ভাষায়- “শীত মহাজনের যেন খাজনা অনাদায়ে দ্রৌপদীর মত এই বৃক্ষরাজির বস্ত্র হরণ করে নিয়েছে। অনেকের কাছে নেড়া ছন্নছাড়া মনে হলেও আদিলের চোখে গাছগুলো ধরা পড়লো নাঙ্গা সৌন্দর্য রূপে গুমোড় প্রকৃতিতে সূর্য্য মহাশয়েরও কি খাজনা বাকি পড়েছে কি না কে জানে। বৃক্ষের মত বিবসনা হওয়ার ভয়েই হয়তো সেও আজ উদিত হয়নি” ঘনায়মান সন্ধ্যার বিপরীতে, মাতৃত্ব, টান গল্পগুলো পড়লে মনে হয় লেখক নারীবাদী। গল্পগুলোতে নারীকে সংগ্রামী হিসেবে দেখানো হয়েছে। গড়পড়তা ভালো লেগেছে। অমীমাংসিত, সাধু ও ছিনালীর গল্প পড়লে লেখককে হিন্দু বিদ্বেষী মনে হতে পারে। একজন হিন্দু নারীকে গণিকার চরিত্রে দেখানো হয়েছে। মুসলমান নারীকে ঐ চরিত্রে কি দেখানো যেতো না? অমীমাংসিততে ঢাকশ্বরী মন্দিরের মূর্তি ভাঙ্গা হয়েছে। প্রজন্ম একাত্ত্বর গল্পের জন্য লেখক বিতর্কীত হতে পারেন। মুক্তিযোদ্ধের বিরোধিতাকারীরা ছাড়া সবাইকে লেখক প্রজন্ম একাত্ত্বর মনে করেন। এতে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার আহত হতে পারেন। “ডুমুর ফুলের কাইতাই” গল্পে লেখক একজন পৌঢ়ের স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা আর জীবনের শেষ দিনের অপেক্ষার কথা বলেছেন। ভালো লেগেছে। তবে কাইতান নামটাই কেমন যেন অকল্পনীয়। এছাড়াও “নীল জ্যোস্নায় নীল বেদনা” এবং “আত্মদহন”সহ বইটিতে ১৭টি গল্প সংকলিত হয়েছে। লেখক পরিচিতিতে লিখা আছে, গ্রামের প্রকৃতি স্নিগ্ধতা আর শহরের যান্ত্রিকতার মিশেলে কেটেছে তাঁর জীবন। আততায়ী প্রেমিক গল্পে শহরের অভিজাত জীবনের বর্ণনা পাওয়া যায়। তবে অভিজাত সমাজের জীবন চিত্রে যে লেখক খুব একটা অভ্যস্ত নন-তা স্পষ্ট। কিছু মদ্য পান আর পার্টিতেই, সে সমাজের বর্ণনা সীমিত রেখেছেন। গ্রামীণ জীবন বর্ণনাতেই যেন লেখক সিদ্ধ হস্ত। বইটির নাম “নীলাম্বরী ছায়ানট” কেন রাখলেন তা আমার কাছে স্পষ্ট নয়। ছায়ানট নামে কাজী নজরুল ইসলামের একটি কবিতার বই আছে। নীলাম্বরী নামেও বই আছে। দুইটা নাম মিলিয়ে এমন একটা নাম না দিয়ে গল্পগুলোর সাথে মিলিয়ে অন্য কোন সুন্দর নাম রাখতে পারতেন। সব শেষে খারাপ লাগেনি। আমার রেটিং ৮/১০।