User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
মোটামুটি ভালো লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
নসিব পঞ্চম জিহাদীর লেখার সাথে পরিচয় ফুল লাগলে চেয়ে নিবেন বইয়ের মাধ্যমে। হরর আর থ্রিলারের একটা ভালো কম্বিনেশন পেয়ে উনার বই পড়া শুরু করি।অরিত্রিকাও সেই থ্রিল বর হরর এক্সপেক্ট করে নেওয়া। হতাশ করেনি বইটি আমায়।একেবারে দুর্দান্ত না হলেও একটা মজাদার সফর ছিলো বইটি
Was this review helpful to you?
or
বই: অরিত্রিকা, ওইখানে যেওনাকো তুমি লেখক: নসিব পঞ্চম জিহাদী জনরা: লাভক্রাফটিয়ান হরর প্রচ্ছদ: রাফুল আহাম্মেদ চৌধুরী প্রকাশনী: বুক স্ট্রিট প্রথম প্রকাশ: ফেব্রুয়ারী ২০১৯ পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১৫৪ মুদ্রিত মূল্য: ২৮০/- ❝পৃথিবীর ধ্বংস অনিবার্য...❞ স্বল্প স্যালারির ছোট একটা পদে কাজ করে শওকত। দু'জনের সংসার খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হয়। হঠাৎ পেয়ে যায় সুযোগ অতিরিক্ত আয়ের কিন্তু অদ্ভুত কিছু কাজ করতে হবে! অফিসে একজনের কল আসে। পরিচয় দেয় নিজেকে এলভিস বলে। শওকত চমকে ওঠে। ত্রিদিবের আগমনের সময় হয়ে যায়নি তো? লাভক্রাফটিয়ান যেখানে থাকবে অন্য জগতের কথা তো আসবেই। এই ❝অন্য জগৎ❞ নিয়ে লেখক যে গল্প বলেছেন এককথায় ❝অদ্ভুত❞! অরিত্রিকার ঘটনার বর্ণনা... নিজের চুল নেড়েচেড়ে দেখছি জীবন্ত না তো! বইয়ের দুটো থিওরি আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আর এই ভালো লাগার কারণ আমার মনেও মাঝেমধ্যে এমন চিন্তা উঁকি দেয়। প্রথমটা হলো, পৃথিবীর ধ্বংসযজ্ঞের মূল কারণ মানুষ। চারিপাশে ভালোভাবে দেখলেই বুঝা যায়। মানুষ যতই উন্নতি করছে পৃথিবী যেন ততই ধ্বংস হচ্ছে, বিলুপ্ত হচ্ছে প্রাণী জগৎ। মানুষ ফরেন অবজেক্ট কি? দ্বিতীয়তা হলো, কোনো মিথ্যাকে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করলে একসময় সেটাই আমাদের কাছে সত্যি মনে হয়। ফলস মেমোরিও বলা যায়। ত্রিদিব, এহসানের ব্যাকস্টোরি দারুণ। সুন্দর একটা পরিবার হতে পারতো কিন্তু... ত্রিদিবের সাইকোলজি, ইমোশনাল কনসেপ্টটা ভালো লেগেছে। সিরিয়াস ব্যাপারের মধ্যেও তমিজ আলীর জন্য কিছুটা হিউমার যোগ হয়েছে বলে মজা পেয়েছি। শুরু যেভাবে হয়েছে সে তুলনায় শেষটা জমে নাই। হোস্টের কনসেপ্টে কিছু কনফিউশন আছে। হোস্ট বানানোর সব এলিমেন্ট অন্য জগৎ থেকে আসলে পরে পৃথিবীর মানুষ হোস্ট হয় কী করে? হোস্টকে তো স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে। তৃতীয়, পঞ্চম মাত্রার জগতে প্রবেশের জন্য শরীর অদলবদলের যে ব্যাপারটা! এক্সপেরিমেন্টে আরও ডিটেলিং থাকলে সম্ভবত প্রশ্নগুলোর জবাব পাওয়া যেতো। দুজন বাদে যখন বাকিদের নিবে না তাহলে এক্সপেরিমেন্ট, পৃথিবীর মানুষদের রক্ষা ; এসব কেন টেনে জটিল করা হলো? রানু চরিত্রটা আসলেই ঘোল খাইয়ে দিয়েছে। ছিমছাম গোছানো লেখনশৈলীর জন্য পড়ে আরাম পেয়েছি। বইয়ে টুকিটাকি বেশ কিছু বানানে গন্ডগোল আছে।
Was this review helpful to you?
or
Great work!
Was this review helpful to you?
or
অরিত্রিকা মারাত্মক সুন্দর বই ???
Was this review helpful to you?
or
ভালো উপন্যাস!
Was this review helpful to you?
or
#রবিজ_রকমারি_বুক_রিভিউ_কন্টেস্ট অরিত্রিকা, ওইখানে যেওনাকো তুমি (নসিব পঞ্চম জিহাদী) কথায় আছে, শেষ ভালো তো সব ভালো। আসলেই কি তাই? আর শেষ ভালো না হলে? শওকত, সাধাসিধে সাধারণ এক কেরাণি। এতটাই সাধারণ যে - তার দিকে একবার কারো চোখ পড়লেও দ্বিতীয়বার আর কেউ ফিরে তাকায় না। অভাবের সংসারে স্ত্রী রানুর সাথে জীবন কোনোরকমে পার হয়ে যাচ্ছিলো। যেই জীবনে নেই কোনো নতুনত্ব। বাঁচার তাগিদও নেই। তবুও বাঁচতে হবে। একদিন শওকতের ডাক পড়লো তার অফিসের এম.ডি আনিসুজ্জামানের কামড়ায়। যেই এম.ডি স্যারের বদমেজাজের কারণে অফিসের সবাই ভয়ে তটস্থ থাকে। এম.ডি স্যারের নির্দেশে শওকতকে একটা জিনিস আনতে যেতে হবে একজায়গায়। তবে গোপনে। কি জিনিস সেটা? সে জিনিস আনতে গিয়ে শওকতের পরিচয় হলো টেকো, রক্তমাখা, ভূড়িওয়ালা এক কসাইয়ের সাথে। চৌধুরি সাহেবের ছোট ছেলে এহসান। একটু কেমন যেন। সারাদিন বইয়ের মধ্যে মুখ গুজে থাকে। মাঝেমাঝে বাসা থেকে লাপাত্তা হয়ে যায়৷ একবার সে ৩মাসের জন্য লাপাত্তা হয়ে হঠাৎ একদিন ফিরে এলো। সাথে নিয়ে আসলো ৫/৬ বছরের এক ছেলে। যেই ছেলে স্বাভাবিক না। ঝামেলা আছে। কি সেই ঝামেলা? এলভিস হওয়ার স্বপ্ন দেখা তরুণ "ওয়াসি"র আগামসি লেনের বাড়িতে ত্রিদিব একদিন বমি করে ভাসিয়ে দিলো। বমির সাথে পাকস্থলী উগড়ে বেড়িয়ে এলো কুচকুচে কালো, লম্বা একগাদা চুল। এর উত্তর ঠিক কোথায়? প্রতিটা ঘটনা একটার সাথে অন্যটা কানেক্টেড। এই সবগুলা খোলা সুতা একসাথে জুড়ে দেওয়ার জন্যে দরকার যে সুতার - সেই সুতার উৎস কি? আর কে এই অরিত্রিকা? কোথায় যেতে মানা করা হয়েছে তাকে? (বইটির ফ্ল্যাপেই কাহিনী সংক্ষেপ বেশ ভালোভাবে দেয়া আছে। তাই ফ্ল্যাপের আলোকেই উপরের অংশ লেখা হয়েছে।) পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ বাংলায় প্রবাদ আছে - "প্রথমে দর্শনদারী, পরে গুণ বিচারী।" এই বইয়ের ক্ষেত্রে প্রবাদটি ষোলআনা সত্য। বইটি হাতে নেয়ার সাথে সাথে প্রথমেই যেটি আপনাকে আকর্ষণ করবে তা হলো বইটির নাম এবং এর প্রচ্ছদ। বইটির নাম যেমন আগ্রহ জাগানিয়া, প্রচ্ছদ তেমনি সুন্দর। আমার পড়া বইগুলির মধ্যে অন্যতম সেরা প্রচ্ছদ এই বইটির। তাই প্রথমেই বইটির প্রচ্ছদশিল্পী "আবুল ফাতাহ" প্রশংসার দাবিদার। এবার আসি বইয়ের কন্টেন্টে। ১৩৪ পেজের ছোট বই। নভেলা বলাই শ্রেয়। বইটি কোন জনরায় পড়বে বলা মুশকিল। হরর/মিস্ট্রি/ফ্যান্টাসি/লভক্রাফটিয়ান/সুপারন্যাচারাল থ্রিলার - সবগুলার মধ্যেই বইটি রাখা যায়। তবে বইয়ে হরর উপাদান একেবারেই কম ছিল। আমি বরং বইটিকে সুপারন্যাচারাল থ্রিলার নভেলাই বলব। গল্পের শুরুটা দুর্দান্ত। এককথায় অসাধারণ। এক বসায় শেষ করতে অনেকটা বাধ্য করবে আপনাকে। শুরুতেই বরশি দিয়ে পাঠককে আটকে ফেলার ক্ষমতা খুব কম বইয়েই পেয়েছি। "অরিত্রিকা, ওইখানে যেওনাকো তুমি" - সেই স্বল্পসংখ্যক বইয়ের শেলফে নতুন এডিশন। লেখকের লেখনী ধারালো। প্রথমেই গল্পে ডুবে যেতে হবে। আগেও বলেছি, আবার বলছি। গল্পের বিল্ডাপ দুর্দান্ত। আভাস মিলছিল অসাধারণ কিছুর। তবে গল্পের দ্বিতীয়ার্ধে গল্প ধীরে ধীরে জটিল হলো। যেই রিদমে গল্প শুরু হলো, সেখানে কেমন যেন ছেদ পড়লো। গল্পের ফিনিশিংও কিছুটা হতাশ করেছে। গল্পটি স্লো ছিল না কখনোই, প্রথম থেকেই বেশ দ্রুত গল্প এগিয়ে গেছে। তবে শেষের দিকে কেমন যেন অতিরিক্ত তাড়াহুড়া মনে হয়েছে। ছোট করে বললে, শুরুটা যেভাবে হয়েছে, এক্সপেকটেশন অনেক বেশি ছিল।। অসাধারণ প্লটে, শেষটা যতটা ভালো হতে পারতো, তা হয় নি। তাই শেষ ভালো তো সব ভালো - "অরিত্রিকা, ওইখানে যেওনাকো তুমি" এর জন্য প্রযোজ্য নয়। গল্পে চরিত্রের ঘনঘটা ছিল না। ছোট বই, চরিত্রের সংখ্যাও কম। গল্পের প্রধান চরিত্র হিসেবে শওকত এর ক্যারেক্টার বেশ ভালোভাবেই ফুটে এসেছে। "এই আতংক/ভয় এর জন্ম এই জগতে নয়, অন্য এক জগতে। অন্য এক ভুবনে।" এই কথাটি হুমায়ুন আহমেদের ভৌতিক উপন্যাসসমগ্রে এতটা ব্যবহৃত হয়েছে যে, এটি ক্লিশের পর্যায় চলে গেছে। "অরিত্রিকা..." বইয়েও এই লাইনটি অনেকবার এসেছে। কিছুটা বিরক্তিকর ছিল। অন্য কোনোভাবে ভৌতিক অনুভূতিটা এক্সপ্লেইন করা যেত। বইটি ২০১৯ সালে "বুকস্ট্রিট" প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত। বুকস্ট্রিটের বইগুলির মধ্যে নতুন এক ধারায় লেখার সূচনা লক্ষ্য করছি। বেশ ভালো লেগেছে। আগামী বইগুলিতেও সেটা কতটা থাকে - দেখার বিষয়। বইয়ের বানান ভুল তেমন ছিল না। তবে দুই-এক জায়গায় মিস প্রিন্টিং ছিল। বইয়ের বাইন্ডিং ভালো, প্রচ্ছদ সুন্দর। পেজ কোয়ালিটি এভারেজ মানের। দাম অনুযায়ী আরেকটু ভালো হতে পারতো। ১৩৪ পেজের বইটির মুদ্রিত মূল্য ২৪০টাকা। "অরিত্রিকা, ওইখানে যেওনাকো তুমি" - নসিব পঞ্চম জিহাদীর ২য় মৌলিক বই। লেখকের প্রথম বই "মাঝরাতে একটা গল্প শুনিয়েছিলেন" - ২০১৭সালে বুকস্ট্রিট প্রকাশনী থেকেই প্রকাশিত হয়৷ সুপারন্যাচারাল থ্রিলারে আগ্রহী পাঠকরা পড়ে দেখতে পারেন। Happy Reading! Personal Rating: 07/10 (প্রচ্ছদের জন্য 0.5 বেশি) Goodreads Rating: 3.76/5.0
Was this review helpful to you?
or
ছা-পোষা একটা কেরাণির চাকরি। সিটি কর্পোরেশনের বিশাল ময়লার ডাস্টবিনের পাশে গলিতে একটি কংকালসার বাড়িতে রানু আর শওকতের জীবন কোন রকম পার হয়ে যাচ্ছিল। ভোর আট টায় উঠবে শওকত। বাস ধরে আবার সেই তেল চিটচিটে ময়লা অফিসে গিয়ে নামবে। ওর এই একঘেয়ে জীবনে কোন নতুনত্ব নেই। বেঁচে থাকার কোন তাগিদও নেই। কিন্তু তবুও বেঁচে থাকতে হবে। কিন্তু কেন? হয়তো ধ্বংসের অপেক্ষায়। কিন্তু হঠাৎ এম.ডি আনিসুজ্জামানের কামরায় ডাক পরল শওকতের। সেই সাথে শুরু অজানা চক্রে জড়িয়ে পরার। প্রতি দিনকার মত একদিন বাড়ি ফিরছিলেন আনিসুজ্জামান। গাড়ি থেকে নেমে দেখলেন বহু বছরের পরিচিত গলি, রাস্তা, বাড়ি সব কিছু পাল্টে গিয়েছে। কোথাও কেও নেই। তিনি স্পষ্ট বুঝতে পারলেন এই ভয়, এই জগত কোন ভাবেই পৃথিবীর হতে পারে না। এই আতংকের জন্ম অন্য আরেক জগতের। ‘অরিত্রিকা, ওইখানে যেওনাকো তুমি’ অন্ধকারের গল্প, আতংক আর অসারতার গল্প। কংক্রিটের জঞ্জালের ছায়ায় লুকিয়ে রাখা গল্প। প্রতিদিনের ক্লান্তি যাপন শেষে আমরা আর পেছনে ফিরে তাকাই না বলে এই আতংক শুধু ছায়াতেই থেকে যায়...