User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
'দ্য গ্রেট ট্রেন রবারি' বইটির লেখক মাইকেল ক্রিচটন।এ বইটির যিনি কেন্দ্রীয় চরিত্র তিনি এডওয়ার্ড পিয়ার্স।পিয়ার্স ছিল অপরাধ জগতের মুকুটহীন সম্রাট।তার ডাকাতির কায়দা কানুন এতোটায় অভিনব ছিল যে, স্বয়ং মহারাণী ভিক্টোরিয়া তার সাথে দেখা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। প্রেক্ষাপট ছিল সেই ১৮৫৪-৫৫ সালের লন্ডন শহরকে ঘিরে,একটা ট্রেনের ভিতরের স্বর্ণ ডাকাতিকে কেন্দ্র করে। স্বর্ণগুলো যাচ্ছিল ক্রিমেনে যুদ্ধক্ষেত্রের খরচ বাবদ।যার মূল্য ছিল বারো হাজার পাউন্ডের ও বেশি। এই স্বর্ণ ডাকাতি করার জন্য সে পুরো একটা বছরের ও বেশি সময় প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। তার সেই প্রস্তুতি কতোটা বুদ্ধিদৃপ্ত ছিল তখনকার সময়ে,সেটাই আপনাদের বইটা পড়ার ব্যাপারে আগ্রহ আর উত্তেজনা জোগাবে। তবে বইটা পড়তে গিয়ে আমি আবারও আরেকটা ব্যাপারে নিশ্চিত হলাম যে,যেকোন ভুল কিংবা ঠিক এর মধ্যে মেয়ে মানুষের ভূমিকা কতটা তীব্র। এই এত্তোবড় ডাকাতিটা তে মেয়েদের চরিত্র বারবার উঠে এসেছে নানাভাবে । মেয়েদের সাহচর্যে পুরুষ কতোটা বোকা এবং হিতাহিতজ্ঞান শূন্য হয়ে যায় তাও এই বইয়ে দেখতে পাবেন।আরেকটা ব্যাপার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা হলো যিনি বাঙলায়ন করেছেন তা এতো সুন্দর ভাবে করেছেন যে, আমার মনে হয় নি আমি কোন অনুবাদ পড়ছি। তাই অাপনারা যারা রোমাঞ্চকর কাহিনী পড়তে ভালবাসেন তারা বইটি একবার পড়ে দেখতে পারেন।
Was this review helpful to you?
or
অপরাধ জগতের মুকুটহীন সম্রাট ছিলেন এডওয়ার্ড পিয়ার্স। আকর্ষণীয় ব্যাক্তিত্ত্বের অধিকারী ছিলেন তিনি, সেই সাথে ছিলেন বিপুল সম্পদের অধিকারী। তার কার্যক্রম এমন একটা স্তরে পৌছেছিল যে স্বয়ং মহারানী ভিক্টোরিয়া পর্যন্ত তার সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা পোষণ করেছেন। “দ্য গ্রেট ট্রেন রবারি” বইটি এডওয়ার্ড পিয়ার্স কে অনেক বেশী সুচারুতায় ফুটিয়ে তুলেছেন মাইকেল ক্রিচটন। ১৮৫৪ সালে যুদ্ধ চলছে ক্রিমেনে। যুদ্ধের খরচ বাবদ প্রতি মাসে লন্ডন থেকে স্বর্ণ পাঠানো হত যুদ্ধক্ষেত্রে, যার মূল্য ছিল ১২ হাজার পাউন্ডেরও বেশী! পিয়ার্স পরিকল্পনা করলো যে সে ঐ স্বর্ণ ডাকাতি করবে। দুর্ভাগ্যক্রমে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কড়া সতর্কতার কারনে স্বর্ণগুলোকে দুটি ভারি সিন্দুকে রাখা হয় যা কিনা খোলার জন্য ৪টি চাবি লাগবে। যা তার জন্য অনেক বড় একটা প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করলো। যে কারনে পিয়ার্স তার সহযোগী হিসেবে নিয়োগ করলো এগারকে। রবার্ট এগার ছাব্বিশ বছর বয়সেই হয়ে উঠেছিল তালা চাবি এবং সিন্দুক ভাঙ্গার ব্যাপারে ডাকসাইটে এক ওস্তাদ। তার আঙ্গুলের ক্ষিপ্রতা ছিল অসাধারণ। এই পরিকল্পনা সফল করার জন্য পিয়ার্স এক বছরের ও বেশী সময় ধরে প্রস্তুতি ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য ঘটনাও সামলে চলছিল। অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে পিয়ার্স চাবি গুলোর কপি তৈরি করলো। ১৮৫৫ সালে সেই বছরেই মে মাসের ২২ তারিখ বেছে নিল ট্রেন ডাকাতির দিন হিসেবে... দ্য গ্রেট ট্রেন রবারি কাহিনী নিয়ে ১৯০৩ সালে পোর্টার নির্মাণ করেন চলচিত্র, যার খ্যাতি আজও সমগ্র পৃথিবীময়। এমনকি চলচিত্রের ইতিহাসে প্রথম ওয়েস্টার্ন চলচিত্র হিসেবে স্বীকৃত “দ্য গ্রেট ট্রেন রবারি”!
Was this review helpful to you?
or
এই বই এর যিনি কেন্দ্রীয় চরিত্র তিনি এডওয়ার্ড পিয়ার্স। সে ছিল অপরাধ জগতের মুকুটহীন সম্রাট। তার ডাকাতির কায়দা কানুন এতোটায় অভিনব ছিল যে,স্বয়ং মহারাণী ভিক্টোরিয়া তার সাথে দেখা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। প্রেক্ষাপট ছিল সেই ১৮৫৪-৫৫ সালের লন্ডন শহরকে ঘিরে,একটা ট্রেনের ভিতরের স্বর্ণ ডাকাতিকে কেন্দ্র করে। স্বর্ণগুলো যাচ্ছিল ক্রিমেনে যুদ্ধক্ষেত্রের খরচ বাবদ।যার মূল্য ছিল বারো হাজার পাউন্ডের ও বেশি। এই স্বর্ণ ডাকাতি করার জন্য সে পুরো একটা বছরের ও বেশি সময় প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। তার সেই প্রস্তুতি কতোটা বুদ্ধিদৃপ্ত ছিল তখনকার সময়ে,সেটাই আপনাদের বইটা পড়ার ব্যাপারে আগ্রহ আর উত্তেজনা জোগাবে। তবে বইটা পড়তে গিয়ে আমি আবারও আরেকটা ব্যাপারে নিশ্চিত হলাম যে,যেকোন ভুল কিংবা ঠিক এর মধ্যে মেয়ে মানুষের ভূমিকা কতটা তীব্র। এই এত্তোবড় ডাকাতিটা তে মেয়েদের চরিত্র বারবার উঠে এসেছে নানাভাবে । মেয়েদের সাহচর্যে পুরুষ কতোটা বোকা এবং হিতাহিতজ্ঞান শূন্য হয়ে যায় তা-ও এই বইয়ে দেখতে পাবেন। আরেকটা ব্যাপার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা হলো যিনি বাঙলায়ন করেছেন তা এতো সুন্দর ভাবে করেছেন যে, আমার মনে হয় নি আমি কোন অনুবাদ পড়ছি। আর মানুষটা যে দুনিয়ার অনেক কিছু জানেন, দেখেছেন তা-ও আমি জেনেছি এই কয়েকদিনে। বই নিয়ে আমার কোন ভুল ব্যাখ্যা নেই তা আপনারা পড়লেই বুঝতে পারবেন। অনেক চেষ্টা করেছি একটা ভুল ধরতে,বলতে গেলে চিরুনি অভিযান চালিয়েছিলাম একটা বানান অথবা কিছু একটা ভুল খুঁজতে,কিন্তু আমি ব্যর্থ হয়েছি।