User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
তোত্তচান। বইটা অনেক অনেক পুরনো। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের আগে লিখা। তবে বইয়ে বর্ণনা করা বাচ্চাদের জন্য এমন একটি শিক্ষা ব্যবস্থা এখনও, আজকের দিনেও প্রাসঙ্গিক। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তা স্বপ্নের মতো। খুবই ভালো উদ্যোগ হবে যদি বাংলাদেশে কেউ তোত্তচান বইয়ের ধারনার আলোকে স্কুল চালু করতে এগিয়ে আসে। এই কামনা করি ।
Was this review helpful to you?
or
cutest book ever...
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামঃ তোত্তোচান: জানালার ধারে ছোট্ট মেয়েটি লেখকঃ Tetsuko Kuroyanagi ইংরেজী অনুবাদঃ Dorothy Britton বাংলা অনুবাদঃ চৈতি রহমান এই বইটি একজন জাপানী লেখক এবং শিক্ষাবিদ Tetsuko Kuroyanagi এর মেমোরি। বইটি 1981 সালে জাপানে প্রকাশিত হয়েছিল, এবং 1985 সালে ইংলিশে অনুবাদ করা হয়েছিল। এই বইটি Tetsuko-এর বাচ্চাত্মক কাল এবং 1940-এর মধ্যে Tomoe Gakuen, টোকিও জাপানের একটি স্কুলে উপস্থাপন করানোর অনুভূতি এবং তার অনুভূতি সম্পর্কে লিখেছে। স্কুলটি অন্যান্য স্কুলের মতো সমান ছিল না, এটি তৈরি, ব্যক্তিত্ব ও খেলার উপর বিশেষ ধ্যান দিয়ে প্রগতিশীল এবং অন্যতম একটি! বইটি অসাধরন! বইটি পরার সময় আপনার মনে হবে আপনিও তোমোয়ে গাকুয়েন বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী। চৈতি রহমান কে ধন্যবাদ এত সু্ন্দর একটি বই অনুবাদ করার জন্য।
Was this review helpful to you?
or
শিশুদের মনস্তত্ত্ব বুঝতে দুর্দান্ত একটা বই। ?
Was this review helpful to you?
or
বইটি পড়ে রীতিমতো কান্না করেছি।বইটি এককথাই অসাধারণ। আমাদের দেশেও এমন শিক্ষা ব্যাবস্থা জরুরি।
Was this review helpful to you?
or
কেবলমাত্র বইটি হাতে পেলাম মনে হচ্ছে একটি নিষ্পাপ শিশু কোলে নিলাম সুমিষ্ট সুন্দর মেয়েটি তার মায়া মমতার দ্বারা আমায় আঁকড়ে ধরছে!!!
Was this review helpful to you?
or
বই টি অনেক ভালো। প্রত্যেক বাবা মা ও শিক্ষকদের বিশেষ করে প্রাইমারি শিক্ষক দের পড়া উচিত
Was this review helpful to you?
or
এই বইটি আমার পড়া অন্যতম সেরা একটি বই। পুরো বইয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে যে কতকিছু জানতে পারলাম বলে বোঝানো যাবে না। সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা বলে পড়তে আরো ভালো লেগেছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই বইটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বার্তা বহন করে। শিশুদের কে গৎবাঁধা শিক্ষার বাইরেও যে মানুষ করা যায় এই বই না পড়লে তা বোঝানো দুঃসাধ্য। প্রতিটি মা বাবার এই বইটা পড়া উচিত বলে আমি মনে করি।
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া এই বছর আর সব থেকে সুন্দর বই গুলোর মধ্যে একটা।
Was this review helpful to you?
or
কেউ যদি তার শৈশবে ফিরে যেতে চায় তার জন্য অসাধারণ বই
Was this review helpful to you?
or
Good Book ?
Was this review helpful to you?
or
অনেক ভালো একটি বই। এককথায় অসাধারণ ?
Was this review helpful to you?
or
really loved the story and the translation was also very good .
Was this review helpful to you?
or
বুক রিভিউ:- বইয়ের নামঃ তোত্তো-চান। মূল লেখিকাঃ তেৎসুকো কুরোয়ানাগি। অনুবাদঃ চৈতী রহমান। প্রকাশনীঃ দ্যু প্রকাশনী। মুদ্রিত মুল্যঃ ২৫০ টাকা। পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ২৫৬ (পেপার ব্যাক,পকেট সাইজ) প্রথম প্রকাশ:- ১৯৮১ সাল। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং শিশু সাহিত্যিকরা সবসময়ই বলে শিক্ষা হবে আনন্দময়।কিন্তু এশিয়ার দেশগুলোতে শিশুদের জন্য আনন্দময় শিক্ষার ব্যবস্থা এখনো অধরাই থেকে গেছে।শিশুদের জন্য আনন্দময় শিক্ষার প্রসঙ্গ নিয়েই চমৎকার একটি শিশুপাঠ্য বই "তোত্তোচান"। তোত্তো-চান। ছোট্ট এক মেয়ে।ছোট্ট মেয়ে তেৎসুকো। এত বড় নাম উচ্চারণ করতে না পারায় নিজেই নিজের নাম ছোট্ট করে ফেলে সে, হয়ে যায় তেত্তো। সাথে জাপানে প্রচলিত নামের শেষাংশ চান যোগ করে তার নাম দাঁড়ায় তোত্তো-চান। এই তোত্তো-চান আর দশটা সাধারণ ছেলেমেয়ে থেকে একটু ভিন্ন। ক্লাসে ও শিক্ষককে প্রশ্ন করে জর্জরিত করে, ক্লাসে গিয়ে জানালার ধারে দাঁড়িয়ে থাকতে পছন্দ করতো। রাস্তা দিয়ে যাওয়া বিজ্ঞাপনের বাজনাদারদের ডেকে বলতো " বাজাও"। ক্লাসের পড়া রেখে যে ছোট্ট মেয়েটি জানালায় দাঁড়িয়ে দোয়েল পাখির নাচ দেখতো। তার এহেন কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে তাকে স্কুল থেকে বরখাস্ত করা হয়। তার বুদ্ধিমতী মা তাকে এ বিষয়ে কিছু না বলে নতুন এক স্কুলে ভর্তি করতে নিয়ে যায়। ট্রেন থেকে নেমে নতুন স্কুলে পৌঁছে তোত্তো-চান তো অবাক! স্কুলের গেট হচ্ছে জ্যান্ত গাছের তৈরি। আর স্কুল হচ্ছে আস্ত রেলগাড়ীর কামরায়!!!! তোত্তো-চান খুশিতে নাচতে নাচতে স্কুলে ভর্তি হবার জন্য প্রধান শিক্ষক মহাশয়ের কামরায় যায়, সেখানে নিজের পেটের ঝুড়ি উপুড় করে দিয়ে একনাগাড়ে ৪ঘন্টা বকবক করে কোবাইয়াশি মহাশয়ের সাথে। টিফিন পিরিয়ডে কোবাইয়াশি মহাশয় বললেন বাচ্চাদেরকে পাহাড় থেকে কিছু আর সমুদ্দুর থেকে কিছু খেতে। প্রথমদিনেই তোমোয়ে স্কুলের প্রতি ভালোবাসা বুকে নিয়ে ফেরে তোত্তো-চান। যে ছোট্ট মেয়েটি পড়তে পছন্দ করতোনা, তোমোয়ে স্কুলে ভর্তি হবার পরে আনন্দে খেলতে খেলতে সবকিছু শিখে ফেলতে লাগলো। বুদ্ধিমান প্রধান শিক্ষক মহাশয় নানান কৌশলে বাচ্চাদের জীবনের পাঠ শিখাতেন, কিন্তু বাচ্চারা কেউ বুঝতে পারতোনা যে তাদেরকে পড়াশোনা করানো হচ্ছে। তোত্তো-চান তার স্কুলজীবনের বিভিন্ন ঘটনা বর্ননা করে বইতে, যার শিক্ষা তার জীবনের পরবর্তী সময়ে কাজে লেগেছে। মানুষ চোখ নিয়ে জন্মালো কিন্তু পৃথিবীর সৌন্দর্য দেখলোনা, হৃদয় নিয়ে জন্মালো কিন্তু তাতে ভালোবাসার স্ফুলিঙ্গ থাকলোনা। তাহলে এরকম সমাজ কতোটা ভয়ঙ্কর হবে? এই অদেখা সমাজের ভয় পেয়েই বিশাবের এক মহান শিক্ষক সোশাকু কোবাইয়াশি তৈরী করলে স্বপ্নের এক ইশকুল। যেখানে পড়ার স্বপ্ন বইটি পড়তে পড়তে আমরা সবাই ই কম বেশি চাইবো। বইটি পড়ে আমার প্রচন্ড মন খারাপ হয় এই ভেবে যে আমাদের দেশের শিশুরা এমন স্কুল, এমন শিক্ষক থাকতে যে পারে তা চিন্তা ও করতে পারবেনা।
Was this review helpful to you?
or
ধন্যবাদ rokomari.com কে একদিনেরও কম সময়ের মধ্যেই সেবা প্রদান করা জন্য, যা আমাকে মুগ্ধ করেছে। আর বইটা তো অসাধারণ!
Was this review helpful to you?
or
শিক্ষাব্যবস্থার সাথে জড়িত প্রত্যেকের বইটি পড়া উচিত।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই। রিভিউ দেওয়ার মতোন সাধ্য আমার নেই শুধু এইটুকু বলবো পড়ুন আর তোত্তোচান এর স্মৃতিতে হারিয়ে যান ?
Was this review helpful to you?
or
বইটির উল্লেখিত সময়টা হলো ১৯৩৭ - ১৯৪৫ এবং কাহিনি গুলো সব সত্য। এত্তো মায়া মাখা এই বইটি। বইটি পড়ে মনে হলো আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এমন হলে হয়তো মুখস্থ বিদ্যা বা প্রতিযোগিতা কি জিনিস সেইটা কেউ জানতো না। আমার মতে আমাদের সবার এই বইটি পড়া উচিত। যারা এখনো পড়েননি তারা নির্দ্বিধায় বইটি সংগ্রহ করে নিতে পারেন। আশা করে আপনাদেরও ভালো লাগবে বইটি। হ্যাপি রিডিং!
Was this review helpful to you?
or
বইটি অসাধারণ! শিশুদের নিজের প্রতি নিজের আত্ববিশ্বাস , ইচ্ছা ও ভালোলাগার ব্যপার গুলোকে মুল্যায়ন করার জন্য পিতা-মাতার প্রতি একটি বিশেষ বার্তা বহন করে এই বইটি!
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
ভীষণ ভীষণ সুন্দর। সব্বার পড়া উচিৎ
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই। মনে হয়েছে বই পড়েনি, আবার শৈশবে ফিরে গিয়েছি। শিশুদেরকে তাদের মতো করে কিভাবে আদর্শ মানুষ করা যায়, সেটা এই বই পড়ে বুঝা যায়।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ বই।
Was this review helpful to you?
or
সুন্দর
Was this review helpful to you?
or
I'm speechless?
Was this review helpful to you?
or
একটি চমৎকার শিশুপাঠ্য বই!!
Was this review helpful to you?
or
বইটা খুব সুন্দর!
Was this review helpful to you?
or
অনেক ভালো বই।
Was this review helpful to you?
or
?
Was this review helpful to you?
or
ভীষণ ভালো
Was this review helpful to you?
or
I loved the book
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
একটা বই এতো সুন্দর হয়??
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
প্রথমে ভেবেছিলাম শিশুতোষ বই, কিন্তু বইটা পড়ে বুঝলাম বড়দেরই পড়া উচিৎ। তোত্তোচানের শিশুসুলভ সারল্য আর নিষ্পাপ মনের দুস্টুমি গুলো যেকারোই মন কাড়তে বাধ্য। বইটা পড়ে আফসোস হবে কেন আমাদের কোবাইয়াশি মশাইয়ের মতন শিক্ষক নেই। কেন আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা এমন। কিন্তু অল্প হলেও যদি এই বই থেকে নেয়া শিক্ষা আমাদের জীবনে কাজে লাগাই, জীবনটা সুন্দর হতে বাধ্য! তাই বইটা সবার জন্য অবশ্য পাঠ্য। ধন্যবাদ বইটির লেখিকা কে এবং অনুবাদককে।
Was this review helpful to you?
or
একটা ছোট বাচ্চার মানসিক এবং শারিরীক বিকাশের জন্য কি কি পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে তা এই বই পড়ে জানা যায়। খুব উপকারী বই যারা নতুন বাবা মা হয়েছেন তাদের জন্য।
Was this review helpful to you?
or
অনেক অনেক দিন পর এত বেশি আগ্রহ নিয়ে একটা বই পড়লাম। অনুবাদকের উৎসর্গপত্র পড়েই মনটা ভরে গিয়েছিল। কি সুন্দর! আর বইয়ের কথা কি বলবো! টানা পড়েও কোনো বিরক্তি আসে নি। শুধু ভাবছিলাম আমাদের ছোটবেলাটা কেন এমন ছিলো না! কেন আমাদের দেশের কেউ ছোটবেলার শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে এভাবে ভাবতে পারে না! ছোটবেলাটা তো আমাদের পড়াশোনার যাতাকলেই পৃষ্ট হয়ে গিয়েছে। এমন একটা বই না পড়া মানে একটা ভালো বই পড়ার আনন্দ মিস করা। প্রতিটা পৃষ্ঠা মুগ্ধ হয়ে পড়েছি।
Was this review helpful to you?
or
nice to read
Was this review helpful to you?
or
satisfied
Was this review helpful to you?
or
A must read book! একজন শিশুকে মূল্যায়ন করা ( মূল্যায়ন করা মানে তার ওপর নীতিনির্ধারণী ক্ষমতা অর্পণ করা নয়, তাকে তার বয়স, যোগ্যতা সবকিছু মিলিয়ে গুরুত্ব দেয়া, তার গুণগুলোর বিকাশে সহায়তা করা, মানুষ হিসেবে তাকে সম্মান করা) যে তার জন্য কত গুরুত্বপূর্ণ, আমাদের বাবা মায়েরা হয়ত জানতেনই না। এবং এজন্যই বইটা আমাদের সময় গুরুত্বপূর্ণ।
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
বইটি পড়ে আমি হারিয়ে গিয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল আমি "তোমোয়ে গাকুয়েন বিদ্যালয়" এর নিয়মিত একজন ছাত্র।। সোশাকু কোবাইয়াশির মতো শিক্ষাকের সাথে সামান্য সময় ব্যায় করে অনেক মূল্যবান জ্ঞান অর্জন করলাম। শিক্ষাকদের এবং মা-বাবার বইটি পড়া উচিত। বইটার অনুবাদ আরেকটু সহজ হতে পারত। সব মিলে অসাধারণ!
Was this review helpful to you?
or
বইটি সবারই পড়া এবং অনুধাবন করা প্রয়োজন বিশেষ করে শিক্ষক, শিক্ষা প্রণয়ন সংঞান্ত বিশেষজ্ঞ কমিটির সম্মানিত সদস্য বৃন্দের
Was this review helpful to you?
or
ইস! ছোটবেলায় যদি তোমোইয়ের মত স্কুলে পড়ার সুযোগ হতো আর সোসাকু কোবাইশির মতো শিক্ষকের সান্নিধ্য পেতাম। বাচ্চাদের কোন কিছু কিভাবে শেখাতে হয়, বইটা পড়লে সে ধারণাই পালটে যাবে। স্কুলটা সবার জন্য স্বপ্নের মতো। ছোট্ট শিক্ষার্থী থেকে শিক্ষক এবং সকল স্তরের পাঠকদের জন্য অবশ্যপাঠ্য একটা বই। ❤️
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ, প্যারেন্টিং সম্পর্কে ধারণাটাই পাল্টে যাবে।
Was this review helpful to you?
or
good boy
Was this review helpful to you?
or
দারুন বই
Was this review helpful to you?
or
Very Good Book
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
Great book
Was this review helpful to you?
or
দারুণ একটা বই
Was this review helpful to you?
or
Great
Was this review helpful to you?
or
তোত্তোচান অসাধারণ একটি বই
Was this review helpful to you?
or
ভালো বই
Was this review helpful to you?
or
valo legeche
Was this review helpful to you?
or
Overrated book
Was this review helpful to you?
or
এই বইটি সকল অভিভাবকদের পড়া উচিত। বিশেষ করে পরিবারের সবার ও শিক্ষকদের না পড়লেই নয়।
Was this review helpful to you?
or
বইটি আমার ভালো লেগেছে। খুব সুন্দর গল্প।
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার বই। অনুবাদ বেশ ভালো।
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের কথা ছড়িয়ে পড়ুক, এই পৃথিবী বইয়ের হউক! সবাই হোক পাঠক,বাড়ুক বই পেতে চাওয়ার লোক!❤️
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
This was a good read!
Was this review helpful to you?
or
nice book. some translation clinged to lexicon. the words should be appropriate
Was this review helpful to you?
or
দারুণ একটি বই।।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ বই। পড়ার অনুরোধ থাকল ?
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
Very good book
Was this review helpful to you?
or
বইটা খুবই ভাল আমার এই বইটা দারুণ লাগছে আপনারা এটাকে একবারের জন্য হলেও পরে দেখবেন বইটা অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
ok
Was this review helpful to you?
or
সত্যিই অসাধারণ একটি বই " তোত্তোচান : জানালার ধারে ছোট্ট মেয়েটি "।ধন্যবাদ লেখক তেৎসুকো কুরোয়ানাগি এবং অনুবাদক চৈতী রহমানকে এই বইটির কাহিনী তুলে ধরার জন্য। শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা তোমোয়ে গাকুয়েন বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক সোশাকু কোবাইয়াশি কে শিশুদের মন ও পছন্দ নিয়ে ভেবে এত সুন্দর একটি শৈশব তার বিদ্যালয়ের শিশুদের তৈরি করে দেওয়ার জন্য।
Was this review helpful to you?
or
অনেক ভাল একটা বই ! এটা তথাকথিত কোন সাধারন গল্পের বই না , একজন বিখ্যাত মানুষের শৈশব নিয়ে লেখা । লেখক বইটাতে বুঝাতে চেয়েছেন শিশুদের সঠিক মানুষিক বিকাশের জন্য কি কি করা উচিৎ । তবে সবথেকে বেশি প্রভাবিত হয়েছি বইটার ট্রান্সলেশন দেখে । চমৎকার কাজ করেছেন । আমার কাছে মনে হয়েছে আসল লেখক যেভাবে চেয়েছেন ট্রান্সলেশনটা ঠিক সেভাবেই হয়েছে !
Was this review helpful to you?
or
এই বইটি বাংলাদেশের প্রতিটা পেরেন্টস, টিচার এবং স্টুডেন্ট সকলের ই পড়া উচিৎ! অনুবাদ হলেও সুখপাঠ্য ছিল। এরকম দারুণ বই এর আরো অনুবাদ চাই।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ, খুব ভালো লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ বইগুলো❤️। ধন্যবাদ রকমারি টিমকে,তাদের প্যাকেজিং অসাধারণ ছিলো।তবে ডেলিভারি সিস্টেমটা একটু ভালো করলে ভালো লাগবে,??❤️❤️!
Was this review helpful to you?
or
Loved it
Was this review helpful to you?
or
GOOD BOOK
Was this review helpful to you?
or
joss
Was this review helpful to you?
or
khub vlo legeche
Was this review helpful to you?
or
আমার কাছে বইটি ভীষণ ভালো লেগেছে।প্রত্যেকের বইটি পড়া উচিত।
Was this review helpful to you?
or
Good one.Highly recommended.
Was this review helpful to you?
or
খুব সুন্দর
Was this review helpful to you?
or
ছোট্ট মেয়ে তোত্তচান। ভয়ঙ্কর এক অপরাধে তাকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হল । জানেন কী ছিল তার মস্ত অপরাধ?একটা হলে তো বলব। তার হরেক রঙের , হরেক রকমের অপরাধ।প্রথম অপরাধ, স্কুলের জানালার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা আর পথচারীদের ডাকা, দ্বিতীয় অপরাধ ক্লাসে বন্ধুদের ডিস্টার্ব করা, পড়তে না দেয়া, তৃতীয় অপরাধ, বার বার নিজের ডেস্কের ডালা খোলা আর বন্ধ করা, এরকম আরো কত কিছু।অবশ্যি সেটা একটা পচা স্কুল ছিল। মা খুব ভয়ে ভয়ে তোত্তচানকে নিয়ে গেলেন “ তো-মো-ই গা-কু-য়েন” নামের এক অদ্ভুত স্কুলে। যেটা স্কুল না রেলগাড়ি সেটা নিয়ে সন্দেহ।রেলগাড়ির কামরার সেই স্কুলের টিফিনে সবাইকে খেতে হত “সাগরের থেকে আনা খাবার” আর “পাহাড় থেকে আনা খাবার”। এইগুলোর অর্থ কি পাঠক বলতে পারবেন?অদ্ভুত স্কুলের ইন্টারভিউ ছিল আরো অদ্ভুত, ভর্তি পরীক্ষার সময় টানা চার ঘন্টা কথা বলে গেছে তোত্তচান। কিন্তু হেডমাস্টার মশাই তত্তোচান কে থামিয়ে দেন নি একবারের জন্যেও, মেয়েটা বোঝেও নি যে সে একটানা চার ঘন্টা ধরে গল্প করে গেছে।কোনভাবে সেই স্কুলের প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি হল ছোট্ট তোত্তচান। কিন্তু এরপরে কি সব ঠিক ছিল? স্কুলটা কি আসলেও আলাদা ছিল? নাকি সব স্কুলের মতই হয়ে গিয়েছিল পরে? এই স্কুলের অন্য ছাত্র-শিক্ষক কেমন হবে? তাকে কি আবার বদলে ফেলতে হবে স্কুল, তার সেই “অপরাধ”এর জন্য।কেবল যে আমাদের দেশ এর শিক্ষা ব্যবস্থা গৎবাঁধা তা কিন্তু না, জাপান কিন্তু অনেক উন্নত একটি দেশ, সেখানেও শিক্ষা ব্যবস্থা এমন ছিল যে অনেক বাচ্চারায় সেটা মানিয়ে নিতে পারেনি, যদিও এটা বহু বছর আগের কথা। উন্নত প্রযুক্তির সাথে, শিক্ষা ব্যবস্থাতেও অনেক পরিবর্তন এসেছে জাপানে। কিন্তু তবুও একটু অন্যরকম স্কুল পেলে বোধহয় আমরা সবাই আরো সুন্দরভাবে শিখতে পারতাম। বিশেষকরে নৈতিকতার শিক্ষা, আদব-কায়দার শিক্ষাটা খুব দরকার। পরিবার থেকে একটা পাই আমরা কিন্তু, আরো বেশি দরকার। সুশিক্ষা আর স্বশিক্ষা আমাদের খুব দরকার। আর দরকার পরিবর্তিত একটা শিক্ষা ব্যবস্থা, যেখানে আমরা শিখব নিজের আনন্দে।সময় পেরিয়ে গেছে, স্কুল-কলেজ-ভার্সিটির গণ্ডি পেরিয়ে এসেছি। কিন্তু এই বই পড়ে মনে হয়েছে, এরকম স্কুল পেলে আমিও পড়ব আর একবার। যদি এই স্কুলের যোগ্য হতে পারি, যদি ইন্টারভিউতে টিকে যেতে পারি, তাহলে একবার পড়ব।প্রধান শিক্ষকের সেই কথাগুলো, চিন্তাভাবনা সত্যি নতুন করে ভাবাবে আপনাকে। বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না, কারন স্পয়লার হয়ে যাবে। ছোটদের জন্য লেখা হলেও বুড়োদেরও এই গল্প ভালো লাগবে, নিঃসন্দেহে।এই গল্পের যে যে চরিত্রগুলো আপনার ভালো লাগবে, তার মধ্যে অবশ্যই প্রধান শিক্ষক থাকবেই। অন্যদিকে মিয়ো-চান, আকিরা, রকি সহ বাকি সব চরিত্রগুলোকে ভালোবাসবেন।একটা ছোট্ট সত্যি কথা না বলে পারছিনা, এইরকম স্কুল কিন্তু সত্যি ছিল জাপানে, প্রতি বছর জাপানে ৩ নভেম্বর সেই স্কুলের রিইউনিয়ন হত। আচ্ছা সেই স্কুল কি আজো আছে?বইটা হাজারবার পড়লেও বোর হবেন না।
Was this review helpful to you?
or
এখন আমরা একটু নিজেদের শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে তাকাই, আশা করি কিছু বদলাতে পারবো
Was this review helpful to you?
or
অসম্ভব সুন্দর একটা বই❣️
Was this review helpful to you?
or
বইঃ তোত্তোচান - জানালার ধারে ছোট্ট মেয়েটি লেখিকাঃ তেৎসুকো কুরােয়ানাগি (জাপানি) বাংলায় অনুবাদ করেছেনঃ চৈতী রহমান প্রকাশনীঃ দুন্দুভি এই বইটি সম্বন্ধে লেখার আগে বলে নিতে হয় যে এই বইটি সম্পূর্ণই বাস্তব ঘটনার উপর লেখা হয়েছে। ঘটিনাটি জাপানে নির্মিত। লেখিকা তার ছোটবেলার প্রাইমারি স্কুলের জীবন নিয়ে বইটি লিখেছেন, লেখিকা "তোমায়ে" নামের একটি স্কুলে পড়ে যেটি তৈরি করেছিলেন "সোশাকু কোবাইয়াশি" নামক এক ভদ্রলোক। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কিছু আগেকার সময়ের ঘটনা। প্রধান শিক্ষক মশাই শিশুদের স্বপ্নের একটি প্রাইমারি স্কুল গড়ে তোলেন যেখানে শিশুরা পড়ালেখার বোঝা মাথায় না চেপে স্বাচ্ছন্দে বড় হয়ে উঠতে পারে এবং তিনি কিছু অদ্ভুত নিয়ম কানুন তৈরি করেন যেন শিক্ষার্থীরা ছোটবেলা থেকেই জীবন সম্পর্কে জানতে পারে শিক্ষার বোঝা মাথায় না চেপে শিশুরা যেন প্রকৃত মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে পারে তোত্তো-চান নামক শিশুটি অতন্ত্য ডানপিঠে হলেও প্রধান শিক্ষক মশাই কোন সময়ের জন্য তার বাবা-মাকে ডাকেনি অথবা তাকেও বকা দেয় নি এজন্যই সব শিশুরাই তাকে ভালোবাসতো তিনিও শিশুদের শিখিয়েছিলেন জীবনকে উপভোগ করার কিছু নিয়ম এবং জীবনকে আনন্দিত করার কিছু কৌশল। তোমায়ে স্কুলে তারা শিখেছিলো বন্ধুত্বের গুরুত্ব। গল্পের শেষটা জানতে হলে অবশ্যই বইটা পড়তে হবে। ব্যাক্তিগত অভিমতঃ ৯/১০
Was this review helpful to you?
or
Nice book. I would like to recommend for everyone.
Was this review helpful to you?
or
that was good
Was this review helpful to you?
or
Very Good
Was this review helpful to you?
or
বইঃ তোত্তোচান (জাপানি বইয়ের অনুবাদ) লেখকঃ তেৎসুকো কুরয়ানাগি অনূবাদঃ চৈতী রহমান [বইটি এতোটাই সুন্দর যে জাস্ট ছোট রিভিউয়ে এর সৌন্দর্য তুলে ধরা এবং বলে বোঝানো সম্ভব নাহ।] বইটি লেখা হয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন জাপানের কোনো এক গ্রামের গতানুগতিক ধারার পড়াশোনার বাইরের শিক্ষাব্যবস্থায় গড়া "তোমায়ে" স্কুলকে কেন্দ্র করে। তোত্তো-চান ছোট্ট, দুষ্টু,চঞ্চল প্রকৃতির মেয়ে। এতোটাই দুষ্টু ও চঞ্চল প্রকৃতির যে এই কারনে তাকে স্কুল থেকে বহিস্কৃত করা হয়।এতে তার মা চিন্তিত হয়ে পড়েন এবং তাকে সেটা বুঝতে না দিয়েই ভর্তি করান অদ্ভুতরকম সুন্দর "তোমায়ে গাকুয়েন বিদ্যালয়" নামক স্কুলে।স্কুলের পড়াশোনার পদ্বতি এতই মজার ছিলো সে স্কুলে যাওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকতো।ক্লাসরুমগুলো ছিলো ট্রেনের বগিতে।ছিলোনা নির্দিষ্ট কোনো সাবজেক্ট ।কেউ একজন দেখা গেলো আর্ট করছে,কেউ পদার্থ বিজ্ঞান, কেউ আবার অন্য কোনো সাবজেক্ট পড়ছে।ক্লাসের মাঝে টিফিন ঘন্টায় ছিলো একসাথে খাওয়া এবং গল্প করার সুন্দর একটি সিস্টেম। প্রতি সপ্তাহে সমুদ্রের পারে ঘুরতে নিয়ে যাওয়া হতো।ছিলো ক্যাম্পিং, পিকনিক, লাইব্রেরির ব্যবস্হা।সুন্দরমতোই স্কুল চলছিলো আর অন্যদিকে পৃথিবী আধার করে আসছিলো ভয়ানক এক যুদ্ধ। সেই যুদ্ব থেকে এই স্কুলটিও রেহাই পায়নি।আমেরিকার বোমারু বিমানগুলো ধ্বংস করে দিয়েছিলো স্কুলটিকে।ধ্বংস করে দিয়েছিলো কোবাইয়াশি মশাইয়ের শিশুদের নিয়ে সব স্বপ্ন। বইটিতে তোত্তো-চান এর ছোটবেলার খেলাধুলা,স্কুলে যাওয়া-আসা,বন্ধুদের সাথে মেশা,ক্লাস করা,আনন্দের মুহূর্তগুলোর সাথে মনে হবে আপনিও তোত্তো-চানেরের সাথেই সেগুলো ফেস করছেন।আপনাকে নিয়ে যাবে শৈশবে এবং গল্পের পরতে পরতে আপনি নস্টালজিয়ায় ভুগবেন।তোত্তো-চান এর মাধ্যমে আপনি বাচ্চাদের সাইকোলোজি সম্পর্কে জানতে পারবেন,শিশুদের ও যে নিজেদের একটা জগত আছে,তাদের চিন্তা, চেতনা, তাদের মনস্তাত্ত্বিক বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন। স্কুলের হেডমাস্টার সোশাকু কুবাইয়াসি ছিলেন তখনকার জাপানের একজন বড় শিক্ষাবিদ। প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্হার বাইরে গিয়ে নিজে ঐ স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।তিনি ইউরোপ ঘুরে ঘুরে বাচ্চাদের পড়ানোর কৌশল,তাদের শিক্ষা ব্যবস্হা দেখে সে অনুযায়ী পড়ার কৌশল উদ্ভাপন করেছিলেন।তাদের স্বাধিন ভাবে পড়তে, খেলতে,চিন্তা করতে উৎসাহিত করতেন।শিশুদের মনস্তাত্ত্বিক বিষয় সম্পর্কে তার ছিলো গভির জ্ঞান। ছোট বাচ্চাদের বাবা-মা,প্রাইমারি অথবা কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষক, বাচ্চাদের সাইকোলজি সম্পর্কে জানতে চাওয়া লোকদের জন্য মাস্টরিড একটি বই।এই বইটি নিয়ে যত বেশি কথা হবে,লিখা হবে,আলোচনা হবে ততোই আমাদের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্হা সম্পর্কে নতুন করে ভাবনার উদয় হবে।একগাদা পাখিপড়া বিদ্যা,অসুস্হ প্রতিযোগিতা ছাড়া এই শিক্ষাব্যবস্হা আমাদের শিশুদের আর কিছুই দিতে পারেনি। হ্যাপি রিডিং।এই পৃথিবী বইয়ের হোক।
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নাম:তোত্তোচান (জানালার ধারে ছোট্ট মেয়েটি) লেখক:তেৎসুকো কুরোয়ানাগি অনুবাদ:চৈতী রহমান ডরোথি ব্রিটেন কর্তৃক ইংরেজি ভাষায় অনূদিত 'তত্তোচান:দ্য লিটল গার্ল অ্যাট দ্য উইন্ডো'বইটি থেকে অনুবাদ করা হয়েছে। এই বইটি আমাকে পৌঁছে দিয়েছিলো এক কল্পিত,মমতাজড়ানো স্কুলে।যেখানে স্কুল মানেই ভীতিকর স্থান নয়,ভারী ব্যাগ বা ভারী ভারী বইপত্র নয়,শিক্ষকরা বকবেন বা একটা শিশুর শিশুসুলভ কথাকে তার বোকামি অথবা মূর্খতা ভেবে ক্লাসে সকলের সামনে অপমান করতে পারেন এই ভয়ে শিক্ষকদের সাথে কথা না বলতে পারা নয়,দামি টিফিন নিয়ে বন্ধুদের সামনে শো-অফ করা নয় বা নতুন স্কুল ড্রেস বা দামি কোন ড্রেস স্কুলের ফাংশনে পড়ে এসে শো-অফ করা নয়,দূর থেকে প্রধান শিক্ষককে দেখলে লুকিয়ে পড়া বা পড়া না করলে ভয়ে মিথ্যে অজুহাত দিয়ে স্কুল মিস করা নয় অথবা যা স্কুলে শিখানো উচিত তা বাড়ির কাজ দিয়ে বাচ্চাদের খেলার সময়টুকু তাদের থেকে কেড়ে নিয়ে তাদের শৈশব শেষ করে দেওয়াও নয়। বরং এই স্কুলটি হলো শিশুদের জন্য একটুকরো স্বর্গ।যেখানে তারা নিজেদের শৈশবটা কোন এক আনন্দ-উৎসবের মতোন করে কাটাতে পারে,যেখানে শিশুদের ভয় না পেয়ে কথা বলার অধিকার আছে;যা তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তোলে।ভারী ব্যাগ বা বইয়ের চাপ নেই বরং হাতে-কলমে তাদেরকে শেখানো হয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ হলেও শিশুরা তা একটুও ভয় না পেয়ে বা বিরক্ত না হয়ে বরং সেগুলো আনন্দের সাথে শেখে। রেলগাড়ির কামড়ার মতো ক্লাসঘরগুলোতে বসার কোন নিদির্ষ্ট আসন ঠিক করা নেই,যে যেকোনভাবে,যখন যে বিষয় ইচ্ছে তাই পড়তে পারে।পড়ার সময় একটু খেলতে ইচ্ছে হলে সবুজ মায়াঘেরা মাঠটাতে সবাই যেয়ে খেলাধুলো করতে পারে তারজন্যও কোন বাধাধরা নিয়ম বা পড়ার সময় কেনো খেলতে গেলো সেজন্য কোন শাস্তিও নেই।যেখানে তোমায়ে গাকুয়েন স্কুলের প্রধান শিক্ষক সোশাকু কোবাইয়াশির মতোন স্কুলের বাকি শিক্ষকেরাও ছিলেন এই স্কুলের শিক্ষার্থীদের বন্ধু।লঘু পাপে গুরুদন্ড দিয়ে যখন তখন টিসির ভয়ও দেখাতেন না কোন শিক্ষক।এই স্কুলে শিশুরা প্রতিদিনই নিজেদের মধ্যে আবিষ্কার করতো নতুন এক মানুষকে যা তাদের পরবর্তী জীবনে সৎ এবং সফল হতে বিরাট ভূমিকা রেখেছিলো। অন্যদিকে যুদ্ধের মতো ভয়ানক থাবা কিভাবে একটা স্কুলের সাথে সাথে অনেকগুলো ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে ফেলে দেয় বা ধ্বংস করে দেয় এবং ছোট শিশুদের মনে এর কিরকম বিরূপ প্রভাব পড়ে তার সাথেও আপনাকে পরিচয় করিয়ে দিবে। এই বইটি যেমন একজন আদর্শ প্রধান শিক্ষক,তার পজিটিভ মানসিকতা,শিশুদের জন্য মানবিক শিক্ষাব্যবস্থা,সুন্দর পরিবেশ এবং কিছু ছোট ছোট মায়াময় শিশুসুলভ ফুলের গল্প;তেমনি একটি যুদ্ধ কিভাবে অনেকগুলো স্বপ্ন এবং স্মৃতি আজীবনের জন্য তার কালোহাত দিয়ে বিনাশ করে দিতে পারে,এটি তারও গল্প।
Was this review helpful to you?
or
Excellent Book.
Was this review helpful to you?
or
চিন্তার পরিবর্তনের জন্য বইটি পাঠ আবশ্যক। আমরা এই বইয়ের বক্তব্যের সাথে অভ্যস্ত না। তথাপি নতুন প্রজন্মকে শিশুশিক্ষা নিয়ে ভাবতে হবে
Was this review helpful to you?
or
অভিভাবকদের পাঠ করার জন্য আবশ্যক একটি বই হলো তোত্তোচান। বইটিতে জাপানী শিশুদের শিক্ষাব্যবস্থা তুলে ধরা হয়েছে। আমাদের রাষ্ট্র শিশুদের জন্য উপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারেনি। গতানুগতিক শিক্ষার বাহিরে যেতেই পারেনি। ফলে শিশুরা স্কুলে যেতে আগ্রহী হয়না। তাদের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত হতে হয়। আর বইটিতে দেখা যায় তোমায়ে ইশকুলে তোত্তোচানকে ভর্তি করা হয়। সেখানকার প্রধানশিক্ষক খুবই সচেতন। আনন্দের মাধ্যমে পাঠদান করতো। যার ফলে শিশুরা কখনো ইশকুল যেতে বিরক্ত হতো না। প্রধানশিক্ষক মশাই ভাবতেন মানুষ দুটো চোখ নিয়ে জন্মাবে বটে, কিন্তুু পৃথিবীর সৌন্দর্য দেখতে শিখবে না। কান নিয়ে জন্মাবে, সংগীত শুনতে শিখবেনা। মস্তিষ্ক নিয়ে জন্মাবে কিন্তুু সাহিত্য চর্চা করা শিখবেনা এমন মানবসমাজ ভয়ংকর হবে ভবিষ্যত পৃথিবীর জন্য৷ তাই তিনি শিশুদের ইচ্ছার গুরুত্ব দিয়ে সুকৌশলে আনন্দের মাধ্যমে তাদের পাঠ দান করতেন। এক কথাই সুন্দর একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নাম: তোত্তোচান: জানালার ধারে ছোট্ট মেয়েটি লেখকের নাম: তেৎসুকো কুরোয়নাগি অনুবাদকের নাম: চৈতী রহমান প্রকাশনী: দুন্দুভি ক্যাটাগরি: স্মৃতিচারণ, শিশু-কিশোর মলাট মূল্য: ২৫০টাকা পৃষ্ঠা: ২৫৬ রেটিং: ১০/১০ স্কুলে যেতে কার ভালো লাগে? এমন প্রশ্নের উত্তরে নিশ্চয়ই খুব বেশি মানুষ হাত তুলবে না। স্কুল নিয়ে আমাদের অনেকেরই নানান বিভীষিকা আছে। ঘন্টার পর ঘন্টা বসে বসে টিচারের গুরুগম্ভীর কথা শোনা কোন মজার কাজ নয়। তারপর আছে এই কোচিং, ওই ছোটাছুটি, অমুক পরীক্ষা আর তমুক নাম্বারের ধাক্কা। নিরানন্দ এই শিক্ষাপদ্ধতি একটা শিশুর কাছে কেন আনন্দময় লাগবে? নীরস এই পদ্ধতি কী নির্মমভাবে কেড়ে নিয়েছে কত সোনালি শৈশব! শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে আমাদের হতাশা নতুন না। পৃথিবী দ্রুত বদলাচ্ছে। সময় এগিয়ে চলেছে। কিন্তু আমরা কি আমাদের নতুন প্রজন্মকে তাদের উপযোগী শিক্ষাপদ্ধতি দিতে পারছি? চেষ্টা হয়তো চলছে। তবে কাজ কতটুকু হচ্ছে? ১৯৮১ সালে জাপানের অন্যতম জনপ্রিয় টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব তেৎসুকো কুরোয়ানাগির স্মৃতিকথা হিসেবে একটি বই প্রকাশ হয়। যেখানে তিনি নিজের ছেলেবেলার স্কুলজীবনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন। প্রকাশের পরপরই বইটা জাপানে ব্যাপক সাড়া ফেলে, বেস্টসেলার হয়। অনেক ভাষায় বইটা অনূদিতও হয়েছে। বইটার বাংলা অনূদিত নাম "তোত্তোচান: জানালার ধারে ছোট্ট মেয়েটি"। তোত্তোচান এইটুকু একটা মেয়ে, সবে ক্লাস ওয়ানে পড়ে, অথচ এরই মধ্যে স্কুল থেকে তাকে বের করে দেয়া হয়েছে। তার দোষ ছিল অমনোযোগিতা। শিক্ষিকা যখন পড়াতো সে তখন নিত্য নতুন খেলা খেলতো, পড়া ফেলে জানলার ধারে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতো, বাজনাবাদকদের কাছে গান শুনতে চাইতো, পাখিদের সাথে গল্প করতো। পড়া বাদ দিয়ে এসব করলে শিক্ষিকা কেন সহ্য করবে? তাই তাকে বহিষ্কার করা হয় স্কুল থেকে। দুষ্টু মিষ্টি মেয়ে তোত্তোচান, হাজারটা প্রশ্ন উঁকি দেয় তার ছোট্ট মাথায়। ছোট্ট তোত্তোচান বড় হয়ে কখনো টিকেট চেকার হতে চায়। কখনো হতে চায় গুপ্তচর হতে। আবার কখনো সে চায় বাজনাবাদক হতে! স্কুল থেকে তাকে তাড়িয়ে দিয়েছে এ নিয়ে তার মাথাব্যথা নেই। আর থাকবেই বা কেন! সে তো জানেই না তাকে আগের স্কুল থেকে বের করে দিয়েছে। মনে চাপ পড়তে পারে এই আশঙ্কায় তার মা তাকে বলেইনি কথাটা। অথচ এখনকার দিনে ক্লাসটেস্টের একটা পরীক্ষায় দুই নাম্বার কম পেলে আমাদের অভিভাবকেরা মনে করেন তাদের বাচ্চার জীবনটাই বুঝি ধ্বংস হয়ে গেলো! তোত্তোচানের নতুন স্কুলটা ভারী অদ্ভুত। নাম তার "তোমোয়ে গাকুয়েন বিদ্যালয়"। সোশাকু কোবাইয়াশি এই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা এবং হেডমাস্টার। তার স্কুলটা ইট পাথরের দালানে নয়, খোলা আকাশের নিচেও নয়। আশ্চর্য হলেও সত্যি এই স্কুলটা রেলগাড়ির কামরার মধ্যে! হ্যাঁ, একদম সত্যিকারের রেলগাড়ির মধ্যে! এমন মজার স্কুল কার না পছন্দ হয়ে থাকতে পারে! তাইতো যেই তোত্তোচানকে অমনোযোগিতার জন্য স্কুল থেকে তাড়িতে দেয়া হয়েছিল সেই তোত্তোচানও স্কুলে যাওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে বসে থাকতো। আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে একটা শিশু বাস করে। কালের পরিক্রমায় সেটা আমরা ক্রমশ হারিয়ে ফেলি। কিন্তু মিস্টার কোবাইয়াশি সেটা যত্ন করে আগলে রেখেছিলেন নিজের মধ্যে। শিশুদের মনস্তাত্বিক জগতের সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়নি কখনো। তাই পেরেছিলেন এমন গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে তোমোয়ে স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে। যেখানে "সমুদ্দুরের কিছু আর পাহাড় থেকে কিছু" দিয়ে টিফিন করা হতো। সবচেয়ে খারাপ, পুরনো কাপড় পরে আসতে বলা হতো যেন বাচ্চাগুলো কাদা মেখে, লাফালাফি করে খেলতে পারে। ক্লাসে ছিল না নির্দিষ্ট কোন বিষয় পড়ার বাধ্যবাধকতা। ফলে দেখা যেতো একজন হয়তো ছবি আঁকছে আর অন্যজন পাশে বসে পদার্থবিজ্ঞানের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে! মিস্টার কোবাইয়াশি বাচ্চাদের পড়ালেখার মধ্যেই তার স্কুলের সব কাজ সীমাবদ্ধ রাখেননি। তিনি তাদের নিয়ে পিকনিক করেছেন, ক্যাম্পিং করেছেন, স্পোর্টসের দিন অদ্ভুত সব খেলার আয়োজন করেছিলেন যেন কেউ নিজের শারীরিক ত্রুটির জন্য প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে না পেরে হিন্যমন্যতায় না ভোগে। আর পুরস্কার হিসেবে রেখেছিলেন বিভিন্ন সবজি যাতে বাচ্চারা গর্ব করে বাসায় গিয়ে বলতে পারে "আমার নিজের রোজগার!" কল্পনার এই স্কুল বাস্তবে করা সম্ভব হয়েছিলো একজন মানুষের জন্য। তিনি সোশাকু কোবাইয়াশি, তোমোয়ে স্কুলের স্বপ্নদ্রষ্টা। অসাধারণ এই শিক্ষাবিদ খুব ভালো করে বুঝতে পারতেন শিশুদের। তাদের পরিপূর্ণ বিকাশের জন্য এতটুকু ছাড় দেননি কখনো। আনন্দ এবং স্বাধীনতার মাধ্যমে তিনি শিক্ষা দিয়েছেন তোমোয়ে স্কুলের সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের। "তোত্তোচান: জানালার ধারে ছোট্ট মেয়েটি" বইতে তেৎসুকো কুরোয়ানাগি ছোট বড় মিলিয়ে অনেকগুলো গল্প বলেছেন। গল্পগুলো সহজ ভঙ্গিতে একটা দূরন্ত বাচ্চার সুরে বলা। যেন সামনে বসে তোত্তোচান নিজেই গল্পগুলো শোনাচ্ছে আমাদের। বইটা মূলত বাচ্চাদের জন্য। তবে যেকোন পাঠক এই বই মুগ্ধ হয়ে উপভোগ করবে। বইটি একবার হলেও সবার পড়ে দেখা উচিত। বিশেষ করে অভিভাবক এবং শিক্ষকদের আর যাদের শিক্ষা নিয়ে কৌতূহল আছে তাদের। তোত্তোচান আর তার স্কুলের গল্পগুলো পাঠকে হাসাবে, কাঁদাবে আর শিক্ষাপদ্ধতি ও শিশুদের মনস্তাত্ত্বিক চিন্তাধারা সম্পর্কে নতুন করে ভাবতে শেখাবে। এবার আসি অনুবাদের কথায়। আক্ষরিক অনুবাদের একটা চল আমাদের অনুবাদ সাহিত্যে খুব লক্ষ্য করা যায়। এতে করে আর কিছু হোক বা না হোক বইয়ের ভাষা হয়ে ওঠে দুর্বোধ্য এবং রসহীন। তবে এই বইটির ক্ষেত্রে এমন অভিযোগ আনা যায় না। ডরোথি ব্রিটন কর্তৃক অনূদিত "তোত্তোচান: দ্য লিটল গার্ল অ্যাট দ্য উইন্ডো" বই থেকে অনুবাদ করেছেন চৈতী রহমান। আক্ষরিক অনুবাদ তিনি করেননি। বরং ভীষণ যত্ন নিয়ে শব্দ চয়ন করেছেন এবং বাক্যগুলো সাজিয়েছেন কবিতার মতো করে। ফলে অনুবাদটা হয়েছে চমৎকার আর প্রাণবন্ত। ছোট্ট তোত্তোচানকে বিদেশি হিসেবে নয়, আমাদের পরিচিত এক বাচ্চা হিসেবে উপস্থাপন করেছেন পাঠকদের মাঝে। কী সুন্দর আর অসাধারণ সব গল্পে ঠাসা জীবন ছিল তোত্তোচান বাচ্চাটার! পড়ার মাঝে বইটি আপনাকে নিয়ে যাবে আপনার মধুর শৈশবে, স্কুলের দিনগুলিতে। আর তোমোয়ে স্কুলের জন্য থেকে যাবে একরাশ দীর্ঘশ্বাস।
Was this review helpful to you?
or
এই বছরে আমার পড়া বইগুলোর মধ্যে এটা অন্যত্তম একটা বই, যেটা আমি চাই অন্যরা পড়ুক বিশেষ করে Teacher রা বা যারা ভবিষ্যতে Teaching প্রফেশনে যেতে চায় তারা। বইটির যিনি লেখিকা তিনি আসলে তার ছোটবেলার স্কুলকালীন ঘটনাবলি লিখেছেন, তিনি লিখেছেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভাবণার গল্প। তোত্তোচান যখন তার আগের স্কুল থেকে TC পেলো, তখন সে যে স্কুলে আসলো তার নাম তোমোয়েগাকুয়েন। স্কুলটার নাম ফলকটা লটকেছিলো দুটি গাছের সাথে। পুরো জ্যান্ত গাছের সাথে। এই স্কুল ছিলো একটা স্বপ্নের মতো স্কুল। স্কুলের ক্লাসরুম গুলো ছিলো রেলগাড়িতে। একদম আসল রেলগাড়িতেই ক্লাস হতো। হ্যা তবে রেলগাড়িগুলো চলতো না আরকি, ছাত্র - ছাত্রী রা ক্লাসে এসে ব্যাগগুলো মাথার উপরে থাকা বান্কারে রাখতো। তারপর ক্লাস যখন শুরু হতো তখন ছাত্র - ছাত্রীরা, যে যার মন মতো বিষয়ের বই খুলে পড়া শুরু করতো। ক্লাসে এভাবে পড়াশোনা করাতে, সুবিধা যেটা হতো তা হলো, একজন কি করছে, তার বিষয়ে অপর আরেক জনের অযথা কৌতুহল তৈরি হত না। (ছোট বাচ্চাদের একদম শুরুতে কিছুটা কৌতুহল তৈরি হলেও, পরে তারা এটাতে অভ্যস্ত হয়ে যেতো) ক্লাসের সময় গুলো ছিলো নিদিষ্ট, আপনি স্কুলে গেলে, স্কুল শেষেই আপনি বাসার জন্য রওনা হবেন। মাঝে পুরোটা সময় আপনি আপনার স্বাধীনতা অনুযায়ী আপনার শ্রেনির বইগুলো পড়বেন, কিছু না বুঝলে শিক্ষককে বলবেন, শিক্ষক আপনাকে বুঝতে সাহায্য করবে, পড়া শেষ হয়ে গেলে আপনি লাইব্রেরিতে গিয়ে আপনার পছন্দের বই পড়বেন। সব বাচ্চাদের ক্লাসের পড়া শেষ হলে, শিক্ষক বাচ্চাদের হাঁটতে নিয়ে যান। তোত্তোচান এর স্কুলে ছিলো অনেক গাছ, বাচ্চারা স্কুলের গাছগুলোকে ভাগাভাগি করে নিয়েছিলো। তোত্তোচান ক্লাসে একটা ছেলের পোলিও ছিলো। তার একটা হাত আর একটা পা ছিলো শুকনা, সে ঠিকমতো হাঁটতে পারতো না। তোত্তোচানের একদিন ইচ্ছে হলো, সে তার সেই বন্ধুটিকে তার গাছে চড়ার আমন্ত্রণ জানাবে। একদিন সে জানায়, তারপর তার বন্ধু আসে, তবে সে গাছে চড়তে পারবে না ( কারণ পোলিও ) , তোত্তোচান এরপর কতটা কসরত করে তার বন্ধুকে গাছে চড়াতে সক্ষম হয় সে ঘটনা না হয় আপনি বইটা পড়েই জেনে নিবেন। এই স্কুলের প্রধানশিক্ষক কোবায়াশি মশাই সব সময় বাচ্চাদের বাবা - মা দের বলতেন, তারা যেন তাদের সন্তানদের সবচেয়ে ময়লা কাপড়টা পরিয়ে স্কুলে পাঠায়, কারণ পরিস্কার কাপড় পরে আসলে, কাপড় নোংরা হওয়ার ভয়ে বাচ্চারা স্বাধীনভাবে খেলাধুলা করতে পারবে না। এই স্কুলের বাচ্চাদের মজার একটা সময় কাটতো টিফিনের সময়টাতে। এখন বলতে পারেন আজব টিফিনের সময়টাতো এমনি মানুষের আনন্দে কাটে!! হ্যা, তা ঠিক তবে এখানে একটু ঘটনা আছে, আচ্ছা আমি ঘটনাটা না বলি, আপনি বইটা পড়ে না হয় জেনে নিবেন। টিফিনের জন্য প্রধানশিক্ষক মশাই সবসময় বলতেন, ' পাহাড়ের কিছু আনতে, আর সমুদ্রের কিছু আনতে ' তিনি টিফিনের সময় বাচ্চাদের টিফিন ঘুরে ঘুরে দেখতেন, আর বাচ্চাদের Ask করতেন, কোনটা পাহাড়ের কিছু, আর কোনটা সমুদ্রের কিছু। বাচ্চারে জবাব দিতো। যে সমস্ত বাচ্চাদের পাহাড়ের কিছু বা সমুদ্রের কিছু আনতে মিস হয়ে যেতো, প্রধান শিক্ষক তার পাশে ঘূর্ণনরত তার স্ত্রী কে বলতেন পাহাড় বা সমুদ্র। সাথে থাকা স্ত্রী তখন সেই বাচ্চাকে তার সঙ্গে থাকা কড়াই হতে পাহাড়ের কিছু বা সমুদ্রের কিছু তুলে দিতেন। টিফিনের এই ঘটনায় যেটা হতো, বাচ্চারা কে কি টিফিন আনলো তাতে খুব কৌতুহলী হতো না, তাদের খাবার হতো সুষম আর তারা আনন্দিত হতো যে তারাসবাই পহাড়ের কিছুও সমুদ্রের কিছু খাচ্ছে । এইবইয়ের ঘটনাগুলো ঘটেছে ১৯৪৫ সালে, ২য় বিশ্বযুদ্ধের কিছুটা আগে। সে সময় জাপানে তখনো টেলিভিশন আসেনি। তোত্তোচানের পোলিও আক্রান্ত বন্ধুটা সুমো দেখতে খুব ভালোবাসতো, কিন্তু হুইলচেয়ারে করে সুমো দেখতে যাওয়া টা সম্ভব হতো না। তার আমেরিকায় থাকা বোন জানিয়েছিলো যে, জাপানে খুব দ্রুত টিভি আসবে, তখন সে বাড়িতে বসেই সুমো দেখতে পারবে৷ তার সেই বন্ধুটার আর টিভি দেখা হয়েছিলো কিনা, সে কথা তোত্তোচান জানতে পারেনি, কারণ পোলিও আক্রান্ত বন্ধুটা মারা গিয়েছিলো পোলিওতে। আমি অলরেডি অনেক লিখে ফেলেছি, বইটাকে আপনি ফিকশন বা নন - ফিকশন ক্যাটাগরাইজড করতে পারবেন না। বইটাই পুরো জাপানের শিক্ষাব্যাবস্থা না। তবে এটা আপনাকে একটা দারুণ শিক্ষাব্যবস্থার কথা জানাবে। এই স্কুলটি পৃথিবীতে সত্যি ছিলো, ২য় বিশ্বযুদ্ধে যা ধ্বংস হয়ে যায়। লেখিকা তেৎসুকো তার শিক্ষক কোবায়াসি মশাইয়ের চিন্তা চেতনা বড় হয়ে বুঝতে পেরেছিলেন, তাই গল্পগুলো বই আকারে লিখে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছেন। বইঃ তোত্তোচান লেখিকাঃ তেৎসুকো কুরোয়ানাগি। রুপান্তরঃ চৈতী রহমান।
Was this review helpful to you?
or
তোত্তোচান এক মুহূর্ত স্থির হয়ে থাকতে পারে না। সারাক্ষণ ছটফট করতে থাকে। এত এত কৌতূহল আর প্রশ্ন খেলা করে তার মনে। কখনো হতে চায় ট্রেনের টিকিট বিক্রেতা, কখনো গুপ্তচর আবার কখনো ব্যালে ডান্সার। ক্লাসের মাঝেও ছুটে যায় জানালার ধারে, বাজনাদারদের বাজনা শুনতে। ডেস্কের ডালা বারবার খুলে আর বন্ধ করে শিক্ষককে অস্থির করে তোলে। কোনোভাবেই তাকে শান্ত করা যায় না। শেষমেশ স্কুল থেকেই বহিষ্কার করা হয় তাকে। তোত্তোচানের নামটা আসলে তেৎসুকো। বাচ্চাদের নামের শেষে চান যোগ করে ডাকা হয়। সে হিসেবে তেৎসুকোচান। কিন্তু ছোট্ট মেয়েটি নিজের নাম বললে সেটা হয়ে যায় তোত্তোচান। তাকে যে স্কুল থেকে বের করে দেয়া হয়েছে মা একথা বলে তাকে কষ্ট দিতে চান না। বলা হয় নতুন একটা স্কুলে ভর্তি করানো হবে তাকে। নতুন স্কুলে যাবার পথে সারাটা পথ তার উত্তেজনায় কাটল। ওদিকে মা উদ্বিগ্ন। তার এই চঞ্চল বাচ্চাটাকে ভর্তি নেবে তো? তোমায়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মশাই তোত্তোচানের সাথে একা কথা বলতে চাইলেন। এরপর চারঘন্টা ধরে এক নাগাড়ে কথা বলে গেল সে। তিনি একবারও বিরক্ত হননি। মনযোগ দিয়ে শুনে গেলেন সব। একসময় তার কথা ফুরিয়ে গেল। বলার মত আর কিছু খুঁজে পেল না সে। এটা ছিল তার ক্ষুদ্র জীবনের এক অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা। তার বকবক শুনে সবাই এতদিন তাকে চুপ করিয়ে দিয়ে এসেছে। আজই প্রথম সে মনের সব কথা খুলে বলতে পেরেছে। প্রধান শিক্ষক মশাইও খুশি হলেন প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর এমন একটি বাচ্চা পেয়ে। এরপর সে হয়ে গেল তোমায়ে স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। স্কুলটা ঠিক অন্য দশটা স্কুলের মত ছিল না। বাচ্চাদের ক্লাসরুমগুলো ছিল পুরোনো রেলগাড়ির কামরা। যেন ক্লাসে নয় ভ্রমণে যায় বাচ্চারা। আর তাদের ক্লাসেও ধরা-বাঁধা কোনো নিয়ম ছিল না। ফলে দেখা যেত একই ক্লাসে কেউ ছবি আঁকছে, কেউ পড়ছে বা লিখছে আবার কেউ বৈজ্ঞানিক গবেষণায় ব্যস্ত। নতুন স্কুলে যাওয়ার জন্য এখন আর তোত্তোচানকে জোর করতে হয় না। বরং সে ছটফট করতে থাকে কখন স্কুলে যাবে? স্কুলের টিফিনের সময়টাও ছিল দারুণ। টিফিনের সময় তাদের আনতে হত সমুদ্রের কিছু আর পাহাড়ের কিছু। সে এক দেখার মত দৃশ্য। বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার খেলাগুলো হত অদ্ভূত আর তার পুরষ্কারগুলো হত আরও কিম্ভূত। বনভোজন, সাঁতার, চাষাবাদ, মন্দিরভ্রমণ আর নিত্যনতুন আবিষ্কারে মেতে থাকত বাচ্চারা। কাউকে কোনো কিছু জোর করে শেখাতে হত না। আদব-কায়দা বা পড়াশোনা হয়ে যেত এই আনন্দের মাঝেই। যদিও এধরনের শিক্ষাব্যবস্থায় অনেক অভিভাবকের আস্থা ছিল না। তবুও প্রধান শিক্ষক মশাইয়ের দু'চোখ ভরা স্বপ্ন ছিল বাচ্চাদের নিয়ে। তোমায়ে স্কুলে সাধারণ বাচ্চাদের পাশাপাশি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন বাচ্চারাও পড়ত। তবে তাদের কখনও আলাদা চোখে দেখা হত না। আর তোত্তোচানের মায়া ছিল সবচেয়ে বেশি। প্রধান শিক্ষক মশাই সবসময় বলতেন তোত্তোচান খুবই ভালো মেয়ে। আর তোত্তোচানও একথা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করত। এদিকে শিশুরা যখন বেড়ে উঠছে মনের আনন্দে, ওদিকে তখন চলছে বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা। স্বপ্নের তোমায়ে স্কুল আর তোত্তাচানের গল্পটা কি তবে অসম্পূর্ণই রয়ে যাবে? বইটি যখন পড়া শুরু করলাম বারবার নিজের ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল। বাচ্চারা কত কি কল্পনা করতে পারে সে সম্পর্কে বড়দের কোনো ধারণাই নেই। বাচ্চারাও বোঝে এবং নিজের মত করে ভাবতে পছন্দ করে। এই সহজ সত্যিটা বড় মানুষেরা বুঝতে চায় না। প্রাণ চাঞ্চল্যে ভরপুর একটা বাচ্চাকে জোর করে ভদ্র বানানোর চেষ্টা করা হয়। ফলে দেখা যায় কয়েক বছরের মধ্যে সে একরকম রোবট হয়ে যায়। বাচ্চাদের কখনও জোর করে কিছু শেখানো যায় না। অনুকরণ করতে তারা বেশি ভালোবাসে। তোত্তোচান বারবার আমাদের সে কথাই মনে করিয়ে দেয়। যে জিনিস তাকে হাজার বলেও শেখানো যায় নি সেটা সে নিজেই একসময় শিখে যায় শুধুমাত্র একটু আদর আর বুঝিয়ে বলার কারণে। আগে সে হাজার রকম বায়না করলেও এখন বোঝে তাকে আসলে ঠিক কিভাবে ব্যবহার করতে হবে। সারাদিন প্রজাপতির মত উড়ে বেড়ায়। অহেতুক কৌতুহল দেখাতে গিয়ে বিপদে পড়ে আবার নিজেই নিজেকে শাসন করে। ভালোবাসা, দায়িত্ববোধ, আনন্দ, শোক সবকিছুই উপলব্ধি করতে পারে ছোট্ট মেয়েটা। কে বলবে যে এই সেই মেয়ে, যাকে অবাধ্য বাচ্চা বলে একসময় একটা স্কুল থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল? যেখানে সবাই ভাবে বাচ্চাদের পড়াশোনা হচ্ছে না সেখানে বাচ্চারা পেয়ে যায় জীবনের সেরা শিক্ষাটা। আর এই নির্মল আনন্দের মুহূর্তগুলো বয়ে বেড়ায় সারাজীবন। সংকীর্ণতা তাদের মনে ঠাঁই নিতে পারে না। বহুবছর পরও অতীতের মধুর স্মৃতি তাদের ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটিয়ে তোলে। বইটিতে বর্ণিত স্কুলের অস্তিত্ব সত্যিই ছিল। এমনকি এর চরিত্ররাও বাস্তব। প্রকাশিত হবার পর রীতিমত সাড়া ফেলে দিয়েছে। অন্তর্ভুক্ত হয়েছে জাপানের পাঠ্যবইয়েও। বাচ্চারাও সাদরে গ্রহণ করেছে কালো অক্ষরের স্বপ্নগুলোকে। তোত্তোচানের কর্মকান্ডে বড্ড স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েছিলাম। আমি মনে করি বইটি একবার হলেও পড়ে দেখা উচিত। এ তো বই নয় যেন একমুঠো স্বপ্ন! অনুবাদ ভালোই ছিল। তবে আরেকটু সুন্দর হতে পারত। পেপারব্যাক বই হিসেবে চমৎকার। প্রচ্ছদও সুন্দর। নিজের ছোটবেলায় একবার ডুব দিয়ে আসতে চাইলে আর দেরী না করে উঠে পড়ুন তোত্তোচানের স্বপ্নের রেলগাড়িতে
Was this review helpful to you?
or
আশ্চর্য সুন্দর এক বই। আশ্চর্য সুন্দর এর ভাষা! অদ্ভুত রকম সরল, কিন্তু অনেক গভীর। সকল বাবা-মার জন্যে অবশ্যপাঠ্য।
Was this review helpful to you?
or
তোত্তোচান এইটুকু একটা মেয়ে, সবে ক্লাস ওয়ানে পড়ে, অথচ এরই মধ্যে স্কুল থেকে তাকে বের করে দেয়া হয়েছে। তার দোষ ছিল অমনোযোগিতা। দিদিমণি যখন পড়াতো সে তখন নিত্য নতুন খেলা খেলতো, পড়া ফেলে জানলার ধারে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতো, বাজনাবাদকদের কাছে গান শুনতে চাইতো, পাখিদের সাথে গল্প করতো। পড়া বাদ দিয়ে এসব করলে দিদিমণি কেন সহ্য করবে? তাই তাকে বহিষ্কার করা হয় স্কুল থেকে। দুষ্টু মিষ্টি মেয়ে তোত্তোচান, হাজারটা প্রশ্ন উঁকি দেয় তার ছোট্ট মাথায়। বড় হয়ে তোত্তোচান কখনো টিকেট চেকার হতে চায়। কখনো গুপ্তচর হতে চায়। কখনো বাজনাবাদক হতে চায়! স্কুল থেকে তাকে তাড়িয়ে দিয়েছে এটা সে জানেই না। যদি তার মনে চাপ পড়ে তাই তার মা তাকে বলেইনি কথাটা। স্কুলটা ভারী অদ্ভুত। নাম তার "তোমোয়ে গাকুয়েন বিদ্যালয়"। সোশাকু কোবাইয়াশি এই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা এবং হেডমাস্টার। তার স্কুলের ক্লাসরুমগুলো সত্যিকারের রেলগাড়ির কামরার মধ্যে। এমনকি স্কুলের লাইব্রেরিটা পর্যন্ত রেলগাড়ির একটা কামরাতে! এজন্যই তো ছোট্ট তোত্তোচান প্রথম দেখা হলে তাকে জিজ্ঞেস করে, "তুমি কি প্রধানশিক্ষক, নাকি ইস্টিশনের লোক?" নতুন স্কুলটা দেখেই তোত্তোচানের খুব পছন্দ হয়। তার মা তাকে নিয়ে যায় মিস্টার কোবাইয়াশির কাছে, তাকে ভর্তি করাতে। মায়ের মনে ভয় ছিল আদৌ তোত্তোচানকে এই স্কুলে ভর্তি নেবে নাকি। তোত্তোচানও ভেবেছিল হয়তো প্রধানশিক্ষক নিজেই প্রশ্ন করবে আর তাকে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। কিন্তু কথা শুরু করার আগেই মাকে বাড়ি চলে যেতে বলেন মিস্টার কোবাইয়াশি। এরপর তোত্তোচানকে বলেন নিজের সম্পর্কে যা খুশি তা বলতে। তোত্তোচান আনন্দে হড়বড় করে বলতে শুরু করে নিজের কথা। পাক্কা চার ঘন্টা ধরে সে বলে যায় নিজের কথা। অথচ মিস্টার কোবাইয়াশি একটি বার বিরক্ত হননি বরং আগ্রহ নিয়ে শুনেছেন সব কথা! আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে একটা শিশু বাস করে। কালের পরিক্রমায় সেটা আমরা ক্রমশ হারিয়ে ফেলি। কিন্তু মিস্টার কোবাইয়াশি সেটা যত্ন করে আগলে রেখেছিলেন নিজের মধ্যে। শিশুদের মনস্তাত্বিক জগতের সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়নি কখনো। তাই পেরেছিলেন এমন গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে তোমোয়ে স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে। যেখানে "সমুদ্দুরের কিছু আর পাহাড় থেকে কিছু" দিয়ে টিফিন করা হতো। সবচেয়ে খারাপ, পুরনো কাপড় পরে আসতে বলা হতো যেন বাচ্চাগুলো কাদা মেখে, লাফালাফি করে খেলতে পারে। ক্লাসে ছিল না নির্দিষ্ট কোন বিষয় পড়ার বাধ্যবাধকতা। ফলে দেখা যেতো একজন হয়তো ছবি আঁকছে আর অন্যজন পাশে বসে পদার্থবিজ্ঞানের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে! মিস্টার কোবাইয়াশি বাচ্চাদের পড়ালেখার মধ্যেই তার স্কুলের সব কাজ সীমাবদ্ধ রাখেননি। তিনি তাদের নিয়ে পিকনিক করেছেন, ক্যাম্পিং করেছেন, স্পোর্টসের দিন অদ্ভুত সব খেলার আয়োজন করেছিলেন যেন শারীরিক ত্রুটির জন্য প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে না পেরে হিন্যমন্যতায় না ভোগে। পুরস্কার হিসেবে রেখেছিলেন বিভিন্ন সবজি যাতে বাচ্চারা গর্ব করে বাসায় গিয়ে বলতে পারে "আমার নিজের রোজগার!" তোমোয়ে স্কুলের এমন আরো অনেক ঘটনা নিয়ে লেখা এই বইটি কোন বানানো গল্পের বই নয়। এটি তেৎসুকো কুরোয়ানাগির নিজের ছোটবেলার স্কুল জীবন নিয়ে লেখা। তোত্তোচান লেখিকার নিজের নাম। কল্পনার এই স্কুল বাস্তবে করা সম্ভব হয়েছিলো একজন মানুষের জন্য। তিনি সোশাকু কোবাইয়াশি, তোমোয়ে স্কুলের স্বপ্নদ্রষ্টা। এবার আসি অনুবাদের কথায়। ডরোথি ব্রিটন কর্তৃক অনূদিত "তোত্তোচান: দ্য লিটল গার্ল অ্যাট দ্য উইন্ডো" বইটি থেকে অনুবাদ করেছেন চৈতী রহমান। তিনি শব্দ চয়ন করেছেন অনেক যত্ন নিয়ে। ফলে এ অনুবাদটাও হয়েছে চমৎকার প্রাণবন্ত। "তোত্তোচান: জানালার ধারে ছোট্ট মেয়েটি" বইটা বাচ্চাদের জন্য হলেও যেকোন বয়সের পাঠকের জন্য উপযোগী। কী সুন্দর আর অসাধারণ সব গল্পে ঠাসা জীবন ছিল তোত্তোচান বাচ্চাটার! পড়ার মাঝে এই বই আপনাকে নিয়ে যাবে আপনার মধুর শৈশবে, স্কুলের দিনগুলিতে। আর তোমোয়ে স্কুলের জন্য থেকে যাবে একরাশ দীর্ঘশ্বাস।
Was this review helpful to you?
or
বইঃ তোত্তেচান জানালার ধারে ছোট্ট মেয়েটি মূল লেখকঃ তেৎসুকো কুরোয়ানাগি অনুবাদকঃ চৈতী রহমান প্রকাশকঃ দুন্দুভি পৃষ্ঠাঃ ২৫৬ মূল্যঃ মাত্র ২০০ টাকা তোত্তেচান ছিল এমন একটি বাচ্চা মেয়ে যার কিনা ছিল নিজস্ব এক জগৎ যেই জগতে সে প্রতিনিয়ত ঘুরপাক খেত। যার কিনা ক্লাসের পাঠ বাদ দিয়ে জানলার ধারে দাঁড়িয়ে থাকতে লাগত ভীষন ভালো। এমন শিশুকে কি বিদ্যালয়ে রাখা যায়! তাই তো তাকে বের করে দেওয়া হয়েছিল বিদ্যালয় থেকে। কিন্তু এই বের করে দেওয়ায়ই তাকে দিয়েছিল সুবর্ন এক সুযোগ। এই সুবর্ন সুযোগ প্রদান করেছিল সোশাকু কোবাইয়াশি যে কিনা তোমায়ে গাকুয়েন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তোমায়ে গাকুয়েন স্কুল ছিল প্রতিটি শিশুর স্বপ্নের মতো স্কুল। সোশাকু কোবাইয়াশি ছিল বিশ্বের এক মহান শিক্ষক যার চিন্তাচেতনা ছিল যুগান্তকারী। তিনি যেমন ভালোবাসতেন তোত্তেচান এর মতো চঞ্চল শিশুকে তেমনি ভালোবাসতেন ইয়াসুয়াকিকে যে কিনা ছিল পোলিও রোগে আক্রান্ত এক শিশু। কোবাইয়াশি মশাই তার শিশুদেরকে এতোই ভালোবাসতেন যে তিনি তাকাহাশি যার কিনা বামনত্ব রোগ ছিল তাকে স্কুলের বার্ষিক খেলায় প্রথম করার জন্য নতুন পদ্ধতির খেলা তৈরি করেছিলেন।তার সব কিছুই ছিল অভিনব। তিনি শিশুদেরকে সাগর থেকে কিছু পাহাড় থেকে কিছু নিয়ে আসা খাবার দিয়েই টিফিন খাওয়াতেন।খাবারের সময় চুপ না থেকে কিভাবে গান গেয়ে কথা বলে খাবার খাওয়া যায় তা শিখিয়েছিলেন।এমনি সব চমৎকার পদ্ধতির মাধ্যমে শিশুদের শিক্ষা দিচ্ছিলেন। মানুষ দুটো চোখ নিয়ে জন্মাবে বটে,কিন্তু পৃথিবীর সৌন্দর্য দেখতে শিখবে না।কান নিয়ে জন্মাবে কিন্তু সংগীত শুনতে শিখবে না।মস্তিক নিয়ে জন্মাবে কিন্তু সত্যের চর্চা করা শিখবেনা। হৃদয় নিয়ে জন্মাবে কিন্তু তাতে আপাত অপ্রয়োজনীয় সব ভালোবাসার স্ফুলিঙ্গ থাকবেনা। এই রকম এক সমাজ তৈরি হওয়া খুবই ভয়ংকর হবে ভবিষ্যৎ পৃথিবীর জন্য।এসব ভেবে ভয় পেতেন প্রধান শিক্ষক। তাই তিনি স্বপ্নের স্কুল তোমায়ে গাকুয়েন তৈরি করেছিলেন। বইটি এত সুন্দর যে পড়ে শুধু আনন্দই পাওয়া যায়।বইটি পড়ে আমার মনে হচ্ছিল ইশশ যদি তোমায়ে গাকুয়েন স্কুলের ছাত্রী হতে পারতাম! যদি হতে পারতাম প্রধান শিক্ষক সোশাকু কোবাইয়াশি! বইটি পড়ে আমার প্রচন্ড মন খারাপ হয় এই ভেবে যে আমাদের দেশের শিশুরা এমন স্কুল, এমন শিক্ষক থাকতে যে পারে তা চিন্তা ও করতে পারবেনা? পরিশেষে লেখিকা তেৎসুকী কুরোয়ানাগিকে কৃতজ্ঞতা,ভালোবাসা জানাতে চাই তার এত সুন্দর স্মৃতিটুকু জানানোর সুযোগ প্রদানের জন্য।
Was this review helpful to you?
or
পাঁচ তারা দিলেও কম হয়ে যায় এমন একটি বই 'তোত্তোচান'। বর্তমান পৃথিবীতে সোশাকু কোবাইয়াশি মশাই এর মত লোকের খুবই অভাব। আর এজন্যই বইটি সবার পড়া কর্তব্য বলে মনে করি। বইটি পড়ার সময় আমিও হেসেছি, স্বপ্ন দেখেছি এবং কেঁদেছিও। আমেরিকান বোমায় যখন তোত্তোচানদের রেলগাড়ি স্কুল পুড়ে যায় তখন মনে হয়েছে নিজের স্কুলটি বুঝি পুড়ছে! পোলিও তে আক্রান্ত ইয়াসুকিচানের মৃত্যু তোত্তোচানের মত আমাকেও ভাবিয়েছে। যদিও অনেক বড় আমি- সেই ক্লাস সিক্সে থাকতে সহপাঠীর মৃত্যু আমাকে যতটা কাদায়নি তার তুলনায় ছোট্ট তোত্তোচান অনেক বেশি অনুভূতিসম্পন্ন। এ সবই কোবাইয়াশি মশাইয়ের অবদান। সবশেষে বলি-বইটি পড়ুন, না পড়লে একটা ভালো বই পড়ার আনন্দ মিস করবেন। বইটি পড়ার পর আমারও ইচ্ছে করেছে কোবাইয়শি মশাইয়ের রেলগাড়ি স্কুলের মত একটা স্কুল দিব। কে যানে আপনি হয়তো ইচ্ছেতেই সীমাবদ্ধ থাকবেন না, সত্যি সত্যিই বানিয়ে ফেলবেন শিশুদের জন্য স্বপ্নময় কোন স্কুল!