User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By Sumaiya Afroz

      22 Apr 2025 09:07 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ভালো

      By Md.Walee Zaman

      16 Jun 2021 02:05 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      Good read to learn the cruelty of USA

      By MIzanur rahman mizan

      19 Apr 2021 10:09 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      good

      By Abdullah al Mahmud pasha

      07 Dec 2020 12:27 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বই টি তে এ শতকের বিলাল (র) ছায়া দেখেছি ❤️❤️❤️

      By Rabiul Hosain

      24 Sep 2020 09:37 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Great

      By Israq Hassan Ani

      24 Jan 2020 01:22 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Ha ha.USA has surrendered to Taliban.Taliban won the war.So Who is terrorist USA or Taliban?USA has done 9/11 false flag for conquering middle east and its wealth.Now see they are defeated to Taliban.They are ashamed.They can never forget this.Taliban Taught them a great lesson.USA will be destroyed soon.They will be lost from world map.

      By Enamul Islam

      04 Jan 2020 11:05 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      আফগানিস্তানে আমেরিকা জোট আক্রমন শুরু করেছে। স্বাভাবিক ভাবেই সাংবাদিকদের কাজ হলো এতো বড় ঘটনা বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দেওয়া। কয়েদী ৩৪৫” শুধু একটি বই নয় এটি একটি জীবন্ত ইতিহাস। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সযত্নে লুকিয়ে রাখা এক মিথ্যার মুখোশ উন্মোচন। সামির আইনজীবির ভাষায় গুয়ান্তানামো সম্পর্কে সবচেয়ে নিখাদ বর্ণনা এই বইটি। সামির সাহস পথ দেখাবে আগামী প্রজন্মকে। সামির লেখনি শক্তি যোগাবে লাখো সাংবাদিককে নির্ভীক হতে।

      By Khaled Alam

      17 Oct 2019 06:26 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      সামি আলহায কাতারভিত্তিক বহুল পরিচিত গণমাধ্যম ‘আল জাজিরা’র সাংবাদিক। ২০০১ সালে তিনি পাকিস্তান সরকার কর্তৃক মিথ্যা অভিযোগে আটক হন। এরপর তাকে তুলে দেয়া হয় আমেরিকার হাতে। আমেরিকা দীর্ঘ ৬ বছর তাকে কয়েদ করে রাখে বিশ্বের কুখ্যাত কারাগার "গুয়ান্তানামো বে" তে। দীর্ঘ ৬ বছরের হৃদয় ভাঙা ব্যাথাতুর ঘটনা বর্ণনা করেছেন তিনি কয়েদী ৩৪৫ গ্রন্থে। গুয়ান্তানামো কারাগার সম্পর্কে জানার জন্য নিঃসন্দেহে শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ এটি।

      By Anwar Ibrahim

      30 Jul 2019 12:47 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      very interesting book

      By Nasir

      14 Jul 2019 03:17 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      সামির সাহস পথ দেখাবে আগামী প্রজন্মকে। সামির লেখনি শক্তি যোগাবে লাখো সাংবাদিককে নির্ভীক হতে।

      By Sajal Hossain

      24 Jun 2019 11:36 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      গুয়ান্তানামো থেকে মুক্তি পাওয়া প্রথম দলটির কথা চাউড় হলো। অধিকাংশই আফগান। আল্লাহর ফজলে সে দলের একজন হাজি ফয়জুল্লাহ। বয়স আশির উপরে। লিমা ব্লকে সে আমার প্রতিবেশি ছিল। একজন ক্ষীণকায় দুর্বল মানুষ। অশীতিপর বৃদ্ধ। শুরু থেকেই সে আমার সাথে আছে। সে তার খাবারের প্যাকেটটাও খুলতে পারতো না। নিজে নিজে ঠিকমতো চলতে পারতো না। এমনকি সৈন্যরাও অবাক হয়ে যেত: “যে মানুষ নিজের কাজ নিজে করতে পারে না সে কিভাবে আমাদের শত্রু হয়? কিভাবে আমাদের জিজ্ঞাসাবাদ (নির্যাতন) সহ্য করবে?” হাজি নিজের বিছানা নিজে পরিষ্কার করতে পারতো না। যখন সে তার প্রকোষ্ঠ থেকে বাথরুমে যেতো তখন আমাদের কোন কোন ভাই নিজেরা সৈন্যদের কাছে তার বিছানা পরিষ্কার করে দেয়ার জন্য অনুমতি চাইতো। আল্লাহ তাদেরকে উত্তম জাঝা দিন। সে দলটি গুয়ান্তানামো ত্যাগ করার পর আমি জিজ্ঞাসাবাদকারীদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া বন্ধ করে দিলাম। তারা জিজ্ঞেস করে: “কেন তুমি আমাদের প্রশ্নের উত্তর দাও না?” বললাম, তোমরা বলেছিলে, “গুয়ান্তানামো ত্যাগকারী প্রথম দলের একজন হব আমি। কিন্তু প্রথম দল তো চলে গেল। আমি তাদের মধ্যে নেই কেন?” তারা বললো সে দলটি শুধু আফগানিদের। আরবদের জন্য একটি দল হবে সে দলে আমি থাকবো। আমি তাদের কথা বিশ্বাস করলাম না। সেদিনই সব বিশ্বাস ভেঙে গিয়েছে ওদের প্রতি। কিছু দিন পর কয়েকজন সৈন্য মিলে একজন কয়েদীকে অত্যাচার করা শুরু করলো। গভীর ঘুম থেকে তারা তাকে জাগিয়ে তুলতো। অতি তুচ্ছ কাজ করাতো। সাবানের টুকরা চারিদিকে ছড়িয়ে রাখা কিম্বা এ জাতীয় হাবিজাবি কাজের আদেশ দিত। চিৎকার করে হাঁক ছাড়তো তার দিকে মুখ করে। তারা তার সবকিছু তল্লাশী করতো। এসময় একজন সৈন্য তাকে নির্দয়ভাবে পেটাতে থাকতো। অথচ তার শারীরিক অবস্থা এমন যে তাকে পেটানো উচিৎ না। আমি এ নির্মমতা সহ্য করতে না পেরে প্রতিবাদ করলাম। ফলে আমাকে টেনে হিঁচড়ে একটি একক প্রকোষ্ঠে নিয়ে রাখা হয়। অস্কার নামের একক কয়েদখানাটি বেশ জনবিচ্ছিন্ন। সেসময় প্রথমবার এখানকার অভিজ্ঞতা লাভ করি। তারা আমার মাথা মু-িয়ে ফেলে। দাড়ি, গোঁফও শেভ করে দেয়। দু’সপ্তাহের মতো সেখানে বন্দি রাখে। সেখানে আমি যাদের সাথে কথা বলতাম সেলের দরজায় এসে বলতাম। আমরা একে অপরকে দেখতাম না। কানাডা থেকে কেউ একজন সেখানে ছিল। কেউ ছিল অস্ট্রেলিয়ার। কেউ সৌদি আরবের। আবু যিয়াদ আল ঘামাদি এবং সুলতান আল মাদানী ছিল সৌদির। একে অপরের সাথে পরিচিত হই। তাদের দরজা খোলার সময় একবার এক ঝলক দেখেছিলাম। তারা সেখানে সন্ধ্যায় আমাদের খাবার দিত। জানালা দিয়ে। তখন একটু কথা বলা যেত। ছোট জানালা; তিন বাই পাঁচ ইঞ্চি। সেখান দিয়ে শুধু ছোট একটি প্লেট ঢুকতো। দু’সপ্তাহ পর তারা আমাদের অন্য আরেকটি একক প্রকোষ্ঠে স্থানান্তরিত করে। সেখানে আরেকজন বন্দিকে পাই। মদিনার শাকেরকে। আমি মনে করতাম শাকের কান্দাহার ও বাগরাম থেকে এসেছে। সে আসলে একজন মানবাধিকার কর্মী যে কিনা ইংল্যান্ডে সপরিবারে বসবাস করতো। পাকিস্তানি এক নারীকে বিয়ে করেছে। সে ভাল ইংরেজি জানে। আমেরিকানদের ভাবভঙ্গি ভালই বোঝে। অন্য আরেকটি ব্লক পরিচ্ছন্ন করে তাকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে। টানাহেঁচড়া করে সৈন্যরা তাকে সেখানে নিয়ে যাবার সময় তার কথা শুনেই আমরা বুঝেছি সে কে! যখন আমরা বুঝতে পারলাম যে তাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, আমরা অবাধ্য হয়ে উঠলাম। ধাতব দরজায় আঘাত করা শুরু করলাম। ফলে একজন অফিসার আসে পরিস্থিতি দেখার জন্য। আমরা তাকে তখন বললাম আমরা শাকেরের স্থানান্তর মানি না। আমরা আন্দোলন করতেই থাকলাম যতক্ষণ না শাকেরকে আমাদের সাথে রাখা হয়। এরপর আমরা শাকেরসহ সেখানে বেশ কিছুদিন ছিলাম। দুদিন পর শাকের আমাদেরকে বলে যে সে সৈন্যদের একটি শব্দ শুনে ফেলে। যে শব্দ তারা শুধু বিপদজনক অবস্থা বোঝাতে ব্যবহার করে। এরপর কী ঘটেছে বোঝার চেষ্টা করে শাকের। রাতের খাবার শেষে সে বলে: “ভাইয়েরা, মনে হয় একজন কয়েদী মারা গেছে। সৈন্যরা বলেছে সে সৌদির। ইন্ডিয়া ব্লকের একক সেলে বন্দি ছিল। মার্কিন সেনারা বলছে সে আত্মহত্যা করেছে।” সেদিন জানালাগুলো খোলা রাখে তারা। সৈন্যরা তাদের টহল বাড়িয়ে দেয়। দরজার কাছে দাঁড়িয়ে থাকে। জানালা দিয়ে উঁকি দেয়। সম্ভবতঃ আমরা কি বলি তা আড়ি পেতে শোনার চেষ্টা করে। একজন অফিসার আসে। বলে: “তোমাদের এক কলিগ বাইরের হাসপাতালে আছে। দোভাষী বিস্তারিত বলবে। সে পুরো খবর নিয়ে এসেছে।” দোভাষী কিছুক্ষণ পরে আসলো: “তোমাদের একজন সৌদিয়ান কলিগ আত্মহত্যা করেছে। সৈন্যরা তাকে বাঁচিয়ে তোলার চেষ্টা করছেন। কিন্তু ডাক্তাররা তাকে ক্লিনিক্যালি মৃত ঘোষনা করেছেন। বর্তমানে সে লাইফ সাপোর্টে রয়েছে। তার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক।” ঘটনাটি নিয়ে আমরা আলোচনা করলাম। সবাই একমত হলাম যে, কী ঘটেছিল তা আমাদের নিশ্চিত জানতে হবে। আমরা জানিনা সৈন্যরা আমাদের কথপোকথন শুনছে কিনা! নাকি এটি পরিকল্পিত কোনো ঘটনা। কিন্তু তারা তখন ইন্ডিয়া ব্লকের এক কয়েদীকে নিয়ে আসে যে ঘটনার সময় সেখানে ছিল। তার নাম আহমদ আল মাগরিবি আবু ওমরান। সে আমাদের ঘটনা বিস্তারিত খুলে বলে: “মৃতের নাম মাশাল। সে মদিনার এক যুবক। সে খুব রক্ষণশীল ও ধর্মপরায়ণ। সৌদির হারব গোত্রের। মাশাল যেখানে থাকতো সেখানে সৈন্যরা আরেকজন কয়েদীকে নিয়ে আসে। হাম্মাদ আল তুর্কেস্তানি তার নাম। তুর্কেস্তানির সাথে এক কপি ‘কুরআন মাজীদ’ ছিল। তুর্কেস্তানির প্রকোষ্ঠ মাশালের প্রকোষ্ঠর বিপরীতে। সৈন্যরা তার কাছ থেকে কুরআনটি কেড়ে নেয় এবং মাটিতে ছুঁড়ে ফেলে। তার মুখে আঘাত করে। সে কাঁদতে থাকে এই বলে: “তারা আল্লাহর কিতাবের অবমাননা করেছে!” এরপরই আশেপাশের বন্দিরা তাদের দরজায় আঘাত করে এর প্রতিবাদ করতে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে সৈন্যরা পুরো ব্লকে ছড়িয়ে পরে। বাতি বন্ধ করে দেয়। মাশালের সেলে তা-ব চালায়। সে ছিল সেখানকার প্রত্যক্ষদর্শী। পনের মিনিটের মধ্যে মেডিকেল টিম মাশালকে স্ট্রেচারে করে নিয়ে যায়। তার দেহ থেকে রক্ত ঝড়ছিল। কিছু বন্দি এ দৃশ্য দেখে ফেলে। পরিস্থিতি ঘোলাটে হতে শুরু করে। প্রতিবাদে দরজা পিটিয়ে শব্দ করা হয়। যাতে অন্য কয়েদীরা বুঝতে পারে গুরুতর কিছু ঘটেছে। দাঙ্গা পুলিশ মোতায়ন করা হয়। তারা এসে কয়েদীদের নির্দয়ভাবে পেটাতে শুরু করে। তিনজনকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরদিন একটি তদন্ত দল আসে। সবাই সাদা পোশাকে। তারা ঘটনাস্থলের চিত্র নিয়ে যায়। কক্ষটি সিল গালা করে দেয়। এরপর পুরো ব্লকটির সব কয়েদীকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়। এরপর থেকেই কয়েদীরা মাশালের সমর্থনে সম্মিলিত পদক্ষেপ নেবার ব্যাপারে কথা বলতে থাকে। প্রশাসন সত্য ধামাচাপা দেবার চেষ্টা করে। তারা মিডিয়াকে বলে মাশাল আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল। সৈন্যরা তাকে রক্ষার চেষ্টা করেছে। তারা মনে করছে তারা সত্যকে ধামাচাপা দিতে সক্ষম হয়েছে। যাইহোক, আমাদের পদক্ষেপ বাস্তবায়ন হতে শুরু করে। আমাদের অনশন, প্রতিবাদ, সাংবাদিকদের কাছে বলা চলতে থাকে। বন্দিদের সাথে অমানবিক আচরণ, অমানুষিক নির্যাতনের নানা দিক তুলে ধরি। মিডিয়ায় এসব সত্য প্রকাশিত হলে প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। কুকর্ম ঢাকতে ভারসাম্যপূর্ণ আচরণ করতে শুরু করে তারা। সেনারা বন্দিদশার নিয়মকানুন কিছুটা শিথিল করে। ক্যাম্প-৪ নির্মাণ শুরু করে। সেই ক্যাম্পে তাদেরকেই রাখা হয় যাদেরকে মুক্তি দেয়া হবে। কিছু দিন বিশ্রামের জন্যে সেখানে রাখা হয়। বিশ্ব জনমতকে শান্ত করার জন্যও এর নির্মাণ হয়। তারা সে ক্যাম্প শুধু সেসব দুর্বল মানুষদের এনে রাখাতো যারা তাদের পক্ষে গোয়েন্দাগিরি করতে রাজি হতো। তারা অন্য বন্দিদের প্রলুব্ধ করতো। ক্যাম্প-৪ এর সামনে দিয়ে প্যারেড করিয়ে নিয়ে যেত। অল্প কিছু লোককেই তারা তাদের দলে ভিড়াতে পেরেছিল। যারা তাদের শিখিয়ে দেয়া কথা মিডিয়ার সামনে বলতো। বলতো, তারা মার্কিন প্রশাসনে আরামেই আছে। তাদের মুখ মিডিয়ার সামনে আসতো বারবার। তারা সাদা পোশাক পড়তো। খেলাধুলা করতো। মৌজমাস্তি করতো। অল্প কয়েকজন। তারা কখনোই বন্দিদের প্রতিনিধিত্ব করে না। দীর্ঘ বন্দিত্বের যাতনা তারা ভোগ করেনি। তারা কয়েকজন মিথ্যা প্রত্যক্ষদর্শীও দাঁড় করায়। যারা জিজ্ঞাসাবাদকারীদের শিখিয়ে দেয়া বুলি আওড়ায়। সন্দেহ দূর করার নানা কসরত তারা করে। কিন্তু ফুসরত মিলে না। পৃথিবীর মানুষকে তারা ধোঁকা দিতে চেষ্টা করে। প্রত্যেককে বলে দিলাম এই কুকর্ম ঢাকার শত চেষ্টা রুখে দিতে হবে। মাশালের সাথে যা ঘটেছে তা আমাদের স্মৃতিতে আজো গেঁথে আছে। মাশালের সাথে এই পরিস্থিতির মূল কারণ পবিত্র গ্রন্থ কুরআন অবমাননা। তাদের এই অবমাননার ঝুকি সত্ত্বেও আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম আমাদের যাদের কুরআন আছে হাতে রাখবো। কয়েদীরা সব একমত হল। কিন্তু প্রশাসন আশংকা করতে লাগলো আমাদের এই কুরআন অবমাননার প্রতিবাদ আরো ব্যাপক হবে এবং মিডিয়ায় চলে আসবে। নতুন ইস্যু তৈরি হবে। ফলে পরিচালন নীতিমালায় পরিবর্তন আনতে তারা বাধ্য হবে। সবাইকে এক কপি করে কুরআন দিতেও বাধ্য হবে। অবিশ্বাস্যভাবে, দাঙ্গা পুলিশ বাহিনী বিভিন্ন সেলে যেতে লাগলো। সেখানে ‘কুরআনের’ কপি রেখে আসতো। কয়েদীদের পেটাতো। মুখে পিপার স্প্রে করতো। টেনে হিঁচড়ে সেলের বাইরে নিয়ে আসতো কিন্তু সেলের ভেতর ‘কুরআন’ রেখে আসতো। আবার এই প্রশাসনই রমাদানে সেলে কুরআন রাখতে দিতো না। অথচ বলতো রমাদানে মানসিক নির্যাতন একটু কম করবে। এসব খামখেয়ালির প্রতিবাদস্বরূপ আমরা আরো একটি প্রতিবাদ আন্দোলনের ডাক দিই... সাধ্যের সবটুকু দিয়ে আমরা লড়াই করে যাই। আমাদের আন্দোলন চলতে থাকে।

      By A MAHMUD

      14 Oct 2019 08:30 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ২০০১ সাল। আফগানিস্তানে আমেরিকা জোট আক্রমন শুরু করেছে। স্বাভাবিক ভাবেই সাংবাদিকদের কাজ হলো এতো বড় ঘটনা বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দেওয়া। সামি আলহায ছিলেন বহুল পরিচিত গণমাধ্যম আলজাজিরা মিডিয়া নেটওয়ার্কের ফটোজার্নালিস্ট। অফিস থেকে আফগানিস্তানের সংবাদ কভার করতে পাঠিয়ে দেওয়া হলো সামি আলহাযকে। কিন্তু পাক সীমান্তে আটকে গেলেন তিনি। নানা নাটকীয়তার পরে অবশেষে সামিকে তুলে (কিংবা বিক্রি করে) দেওয়া হলো মার্কিন বাহিনীর কাছে। অকথ্য নির্যাতনের মাধ্যমেই একজন সাংবাদিক সামি আলহাযকে স্বাগত জানালো মানবতাবাদী (!) মার্কিন সেনারা। এরপর একসময় পাঠিয়ে দেওয়া হলো কুখ্যাত গুয়ান্তানামো বে কারাগারে। অত্যাচারের স্টিম রোলার চালানো হলো। নূন্যতম মৌলিক অধিকারগুলো থেকে বঞ্চিত করা হলো। একে একে জীবন থেকে অন্যায়ভাবে কেড়ে নিলো ছয় ছয়টি বসন্ত। অতঃপর বলা হলো, “আমরা সত্যিই দুঃখিত, তোমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই” সামি আলহায একজন অকুতোভয় কয়েদী। তাকে আমেরিকা বন্দি করেছিল ঠিকই কিন্তু তার মনকে বন্দী করার সক্ষমতা ছিল না কারো। সামিকে বন্দি করেছিল ঠিকই কিন্তু হার মানাতে পারেনি। “কয়েদী ৩৪৫” শুধু একটি বই নয় এটি একটি জীবন্ত ইতিহাস। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সযত্নে লুকিয়ে রাখা এক মিথ্যার মুখোশ উন্মোচন। সামির আইনজীবির ভাষায় গুয়ান্তানামো সম্পর্কে সবচেয়ে নিখাদ বর্ণনা এই বইটি। সামির সাহস পথ দেখাবে আগামী প্রজন্মকে। সামির লেখনি শক্তি যোগাবে লাখো সাংবাদিককে নির্ভীক হতে।বই পড়া শুরু করলে আরও আগ্রহ বাড়বে,আগ্রহি পাঠকরা পড়বেন বইটি।

      By Anirban

      30 Jul 2019 05:44 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      আমেরিকার মিথ্যাচারের এক অমূল্য দলিল। যতোবার পড়েছি, প্রতিবার নতুন করে ব্যাথিত হয়েছি... খুবই যুগোপযোগী একটি বই...

      By Tahmid

      14 Jul 2019 02:23 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      সন্ত্রাসবাদের অমূল্য দলিল

      By Sumon Datta

      16 Jun 2019 08:05 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকার অপকর্মের একটি অমূল্য দলিল

      By Hasan Tariq

      16 Jun 2019 07:47 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      মানবতার মুখোশ পড়ে মানবতাকে যেভাবে দলিত করে আসছে আমেরিকা তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ এই কয়েদী ৩৪৫।

      By Wahid Tusar

      31 May 2019 01:36 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      যারা আমাদের মানবতা শেখায়, তাদের গালে এই বইটি একটি চপেটাঘাত।

      By Projonmo Publication

      19 Dec 2018 07:55 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      গুয়ান্তানামো কারাগার নিয়ে সেরা বই

      By Talha bhaia

      23 Feb 2019 01:37 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইটি কেনা হয়েছে, এখনো মূল অংশ পড়া হয়নি। তবে লেখকের ভূমিকা পড়ে যা অনুমিত হলো "গুয়ান্তানামো নামক নরকের ওপর লেখা এটিই শ্রেষ্ঠ বই"

      By Kendrobindu

      12 Feb 2019 06:10 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      এই বইটি সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকার অপকর্মের একটি অমূল্য দলিল। তারা নাকি আমাদের মানবতা শেখায়... বইটি সকলের পড়া উচিৎ ।

      By Nilufar Islam

      12 Dec 2018 12:36 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      “সামি আলহায” কাতার ভিত্তিক বহুল পরিচিত গণমাধ্যম “আল-জাজিরা’র” সাংবাদিক। বর্তমানে তিনি দোহায় আল জাজিরা মিডিয়া নেটওয়ার্ক এর প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত। আল জাজিরার পাবলিক লিবার্টিজ এন্ড হিউম্যান রাইটস বিভাগের পরিচালক। ভারতের পূনা ইউনিভার্সিটি থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক সম্মান ডিগ্রী অর্জন করেন। পিএইচডি করেছেন খার্তুন ইসলামিক ইউনিভার্সিটি থেকে “মানবাধিকার রক্ষায় মিডিয়ার ভূমিকা” প্রতিপাদ্য নিয়ে। ২০০১ সালে আফগানিস্তানে সংবাদ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে যাত্রার সময় পাকিস্তান সেনা বাহিনীর হাতে আটক হন। তাঁর বিরুদ্ধে আল কায়েদা ওসামা বিন লাদেনের ভিডিও চিত্র সংগ্রহের অভিযোগ আনা হয়। যদিও তিনি আল জাজিরার পক্ষে তৃণমূল সাংবাদিকতা ও ভিডিওচিত্র সংগ্রহের কাজ করছিলেন। পরবর্তীতে তাঁকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কুখ্যাত কিউবার গুয়ান্তানামো বে কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তিনি ছয় বছর বন্দী ছিলেন। ছয় বছর অবর্ণনীয় নির্যাতন আর সীমাহীন কষ্ট ভোগের পর ২০০৮ সালের ১লা মে নিঃশর্ত মুক্তি লাভ করেন। ব্রিটিশ মানবাধিকার আইনজীবী ক্লাইভ স্টাফোর্ড স্মিথ আলহাযের পুরো বন্দী অবস্থায় আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন। ২০০৫ সালে তাঁর সাথে দেখা করার সুযোগ পান। স্টাফোর্ড এর মতে, সামি বন্দী অবস্থায় ভয়ংকর শারীরিক-মানসিক নির্যাতন, যৌন নিপীড়ন এবং ধর্মীয় নিগ্রহের মুখোমুখি হন।২৩ নভেম্বর ২০০৫ সালের এক জিজ্ঞাসাবাদে সামিকে মার্কিন কর্মকর্তারা জিজ্ঞেস করে আল জাজিরা আল কায়েদার অঙ্গসংগঠন কিনা। ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে গুয়ান্তানামো কারাগারে মার্কিন সেনাদের বর্বর নির্যাতনের প্রতিবাদে অনশন শুরু করেন তিনি এবং আরও কয়েকজন সহকয়েদী। সে সময় তাঁর ৫৫ পাউন্ড ওজন কমে যায়। অনশন ভাঙ্গাতে তাঁদের জোর করে খাওয়ানো হতো। সে ফোর্স ফিডিং ছিল আরেক অত্যাচার। সামির অনশন চলে টানা ৪৩৮ দিন। তাঁর মুক্তির দিন পর্যন্ত। দিনটি ছিল ১লা মে ২০০৮।

      By Abdul Malak

      12 Feb 2019 12:35 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ২০০১ সাল। আফগানিস্তানে আমেরিকা জোট আক্রমন শুরু করেছে। স্বাভাবিক ভাবেই সাংবাদিকদের কাজ হলো এতো বড় ঘটনা বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দেওয়া। সামি আলহায ছিলেন বহুল পরিচিত গণমাধ্যম আলজাজিরা মিডিয়া নেটওয়ার্কের ফটোজার্নালিস্ট। অফিস থেকে আফগানিস্তানের সংবাদ কভার করতে পাঠিয়ে দেওয়া হলো সামি আলহাযকে। কিন্তু পাক সীমান্তে আটকে গেলেন তিনি। নানা নাটকীয়তার পরে অবশেষে সামিকে তুলে (কিংবা বিক্রি করে) দেওয়া হলো মার্কিন বাহিনীর কাছে। অকথ্য নির্যাতনের মাধ্যমেই একজন সাংবাদিক সামি আলহাযকে স্বাগত জানালো মানবতাবাদী (!) মার্কিন সেনারা। এরপর একসময় পাঠিয়ে দেওয়া হলো কুখ্যাত গুয়ান্তানামো বে কারাগারে। অত্যাচারের স্টিম রোলার চালানো হলো। নূন্যতম মৌলিক অধিকারগুলো থেকে বঞ্চিত করা হলো। একে একে জীবন থেকে অন্যায়ভাবে কেড়ে নিলো ছয় ছয়টি বসন্ত। অতঃপর বলা হলো, “আমরা সত্যিই দুঃখিত, তোমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই”সামি আলহায একজন অকুতোভয় কয়েদী। তাকে আমেরিকা বন্দি করেছিল ঠিকই কিন্তু তার মনকে বন্দী করার সক্ষমতা ছিল না কারো। সামিকে বন্দি করেছিল ঠিকই কিন্তু হার মানাতে পারেনি। “কয়েদী ৩৪৫” শুধু একটি বই নয় এটি একটি জীবন্ত ইতিহাস। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সযত্নে লুকিয়ে রাখা এক মিথ্যার মুখোশ উন্মোচন। সামির আইনজীবির ভাষায় গুয়ান্তানামো সম্পর্কে সবচেয়ে নিখাদ বর্ণনা এই বইটি। সামির সাহস পথ দেখাবে আগামী প্রজন্মকে। সামির লেখনি শক্তি যোগাবে লাখো সাংবাদিককে নির্ভীক হতে।

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!