User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই।অনেক কিছু জানতে পেরেছি
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ বই। সবগুলো বই খণ্ড সংগ্রহে রাখতে পারলে খুব ভাল হবে।
Was this review helpful to you?
or
Greatest
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
Very good book
Was this review helpful to you?
or
জাযাকাল্লাহ খয়ির।।
Was this review helpful to you?
or
তথ্য পূন
Was this review helpful to you?
or
মা'শাআল্লাহ
Was this review helpful to you?
or
Awesome.
Was this review helpful to you?
or
Alhamdulillah
Was this review helpful to you?
or
Excellent
Was this review helpful to you?
or
good book
Was this review helpful to you?
or
Book ?ta kub useful
Was this review helpful to you?
or
এক কথায় অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
Good book
Was this review helpful to you?
or
Onek balo product paisy. Thanks rokomari
Was this review helpful to you?
or
Historical fiction is mostly smoke and mirrors. Modern writers really don't know what it was like to live in the past—no matter how much research they do—so the success of the enterprise depends largely on creating a convincing illusion. Liss rises to this challenge with great skill in this accomplished, atmospheric and thoughtful novel.
Was this review helpful to you?
or
খুবই চমৎকার একটি বই।অনেক কিছু শেখার আছে বইটি থেকে।ড.খোন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর আমার অত্যন্ত প্রিয় এখকজন ব্যক্তি।আল্লাহ তাকে জান্নাতবাসী করুক।
Was this review helpful to you?
or
good book
Was this review helpful to you?
or
সকল প্রশংসা মহান দয়াময় আল্লাহর নিমিত্ত। সালাত ও সালাম তাঁর বান্দা ও রাসূল, তাঁর হাবীব মুহাম্মাদ , তাঁর পরিজন, সহচর ও কল্যাণ কামনায় প্রলয়দিবস পর্যন্ত তাঁদের একনিষ্ঠ অনুসারীদের উপর। আমাদের রব মহান দয়াময়। তাঁর দয়ার অন্যতম নিদর্শন, দুনিয়ার অন্ধকারে কল্যাণপথে চলবার জন্য তিনি আপন বান্দাকে শিক্ষা দিয়েছেন ওহির জ্ঞান এবং আপন শরীআতে জ্ঞানার্জনকে দিয়েছেন সর্বোচ্চ মর্যাদা। বান্দার কথা ও কর্ম, এমনকি চিন্তাকে পর্যন্ত সঠিকভাবে চালিত করবার জন্য জ্ঞানকে করেছেন সকল বিধানের উপর অগ্রগামী। খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীতে যখন বিশ্বমানবতা ছিল ধ্বংস ও সর্বনাশের একেবারে দ্বারপ্রান্তে, যেখান থেকে আর এক পা ফেললেই সে হারিয়ে যাবে চিরপতনের অতল তলেÑ যদি আমরা চিন্তাশক্তির সবটুকু প্রয়োগ করে মানুষের দ্বারা সম্ভব এমন সকল পাপ ও অপরাধের তালিকা প্রস্তুত করি এবং ইতিহাসের পাতা উল্টে ফিরে যাই খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীর পৃথিবীতে, তবে সেখানে কোনো একটি জনপদ এমন পাওয়া সম্ভব নয়, যেখানে আমাদের প্রস্তুতকৃত অপরাধ ও পাপের তালিকার কোনো একটি পাপ অনুপস্থিত; সেসময়ে মানবতা যেন নিজেদেরকে ধ্বংস ও সর্বনাশের খেলায় ও নেশায় মেতে উঠেছিল, এই ধ্বংস-উন্মুখ, মুমূর্ষু মানবতাকে মুক্তি ও চিকিৎসার জন্য এই মঙ্গলময় কল্যাণকামী সর্বজ্ঞ সত্তা আমাদের উম্মি নবী এর নিকট যে আসমানি ব্যবস্থাপত্র পাঠালেন তার সর্বপ্রথম অবতারণ যে মাত্র পাঁচটি আয়াত, সেখান একটি মাত্র আদেশ ‘পড়ো’। এই অবতারণ-দস্তুরই বলে দেয়Ñ মানবতার মুক্তি, সুস্থতা, চিকিৎসা ও সফলতার জন্য ‘সর্ব¯্রষ্টা রবের নামে’ পড়ার গুরুত্ব কতটুকু। পথ-পদ্ধতির ভিন্নতা থাকতে পারে, কিন্তু ইসলামে জ্ঞানার্জনের কোনো বিকল্প রাখা হয় নি। ইমাম বুখারি রাহ. তাঁর ‘কিতাবুস সহীহ’র একটি পরিচ্ছেদের শিরোনাম দিয়েছেন, ‘কথা ও কর্মের পূর্বে জ্ঞানার্জন’। মহান আল্লাহ বলেন, “অতএব তোমাদের জানা না থাকলে যারা জানে তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করে জেনে নাও”। (সূরা: [১৬] নাহল, আয়াত: ৪৩; সূরা: [২১] আম্বিয়া, আয়াত: ৭।) নবীজি বলেন, “তোমরা সেভাবে সালাত আদায় করো যেভাবে আমাকে সালাত আদায় করতে দেখ”। (সহীহ বুখারি, হাদীস নং-৬৩১; সহীহ ইবন হিব্বান, হাদীস নং-১৬৫৮।) অতএব পড়া, শোনা ও দেখাÑ যে কোনো পথ ও পদ্ধতিতে আমাদেরকে জ্ঞানার্জন করতে আদেশ করা হয়েছে। জ্ঞানার্জন তাই মুসলিম উম্মাহর কাছে এক মহান ইবাদত। এই উম্মাহর মনীষী পুরুষগণ জ্ঞানের সন্ধানে ছুটে বেড়িয়েছেন জনপদের পর জনপদ। জ্ঞান তাদের কাছে হারানো সম্পদ, জ্ঞানের অন্বেষায় কদম উঠানো ‘আল্লাহর রাস্তা’, জান্নাতের সহজতম পথ। মহান আল্লাহ বলেন, “আমি এ উপদেশগ্রন্থ নাযিল করেছি আর আমিই তার সংরক্ষক”। (সূরা: [১৫] হুজর, আয়াত: ৯।) যেখানে অন্যান্য উম্মাত তাদের নবীদের তিরোধানের সাথেসাথেই বড় অবহেলায় নিজেদের কিতাব হারিয়ে ফেলেছে, বিস্মৃত হয়েছে, অপসারণ ও বিকৃত করেছে, সেখানে মুসলিম উম্মাহ আল্লাহর কিতাব ও নবী এর হাদীস অবিকল সংরক্ষণের জন্য সাধ্যের সবটুকু করেছে। এভাবেই মহান আল্লাহ তাঁর কিতাবের শব্দ, অর্থ ও মর্ম সংরক্ষণ করেছেন। আর চৌদ্দশত বছর পরে এই পতনুম্মুখ কালেও উম্মাতের অসংখ্য সদস্য কুরআন-সুন্নাহর বিধান জেনে জীবনে তা প্রতিপালনের জন্য পাগলপারা। যারা নানান কারণে ইসলামকে অ্যাকাডেমিকভাবে জানার সুযোগ পান নি তারা বিভিন্নভাবে আলিমদের কাছ থেকে জেনে নিয়ে শরীআত পালনের চেষ্টা করেন। ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহ. ছিলেন এমন অসংখ্য মানুষের জিজ্ঞাসাস্থল। দিনদুপুরে মেঘমুক্ত আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে সূর্যের পরিচয় দানের জন্য একটি শব্দও উচ্চারণ করা যেমন বাহুল্য ও বোকামি, ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহ.কে পাঠক মহলের কাছে পরিচিত করবার জন্য বাক্য ব্যয় করাও তেমনই। আমরা শুধু মহান আল্লাহর দরবারে সকৃতজ্ঞ শুকরিয়া আদায় করছি, তিনি আমাদেরকে এই সূর্যসম মহান মনীষীর ইলমি খেদমতের সাথে কোনোভাবে শরীক হওয়ার সুযোগ দান করেছেন। আর তাঁর নিকট সকাতর প্রার্থনা, তিনি যেন আমাদেরকে এই কল্যাণকর্মটি সমাপ্তিতে নিয়ে যাওয়ার তাওফীক দান করেন। আমীন। পাঠক, ‘জিজ্ঞাসা ও জবাব’ সিরিজের যে বইটিতে আপনি এখন চোখ রেখেছেন তা কোনো লিখিত পুস্তক নয়Ñ এর কিছু প্রশ্ন হয়ত লিখিত, যে প্রশ্ন আপনারা বিভিন্ন সময়ে মিম্বারে, ময়দানে ও টিভিতে করেছিলেন। আর জবাবগুলো সবই মৌখিক। তখন স্যার রাহ. আপনাদের জিজ্ঞাসার জবাব আর মুখভরা হাসি নিয়ে আপনাদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। তখন আপনারা ছিলেন শ্রোতা আর এখন পাঠক। আমাদের ইন্দ্রিয়গুলো তথ্য প্রেরক আর অনুধাবনকারী হচ্ছে মস্তিষ্ক। এক্ষেত্রে চক্ষু ও কর্ণের বিরোধ সুস্পষ্ট। কানের পাঠানো যে তথ্যগুলো মস্তিষ্কের জন্য সুখকর ও সহজবোধ্য, ঠিক সে তথ্যগুলোই যখন চোখ পাঠায় অবিকলভাবে তখন অনেক সময় তা হয়ে পড়ে বিরক্তিকর ও দুর্বোধ্য। উচ্চসাহিত্যমান সম্পন্ন সুলিখিত কোনো প্রবন্ধ, যার পাঠ আপনাকে মুগ্ধ, মোহিত ও আনন্দিত করেছে, সেটি একই গাঁথুনিতে যখন কোনো মঞ্চের বয়ান বা ওয়াযে আপনাকে শোনানো হবে আপনি বিরক্ত হয়ে পড়তে পারেন। তেমনি কোনো মঞ্চ কাঁপানো, দর্শক মাতানো বক্তব্য যখন হুবহু লিখিত হয়ে চোখের সামনে আসে তখন তা সম্পূর্ণ অখাদ্য বলে বিবেচিত হতে পারে। এজন্যই লেখা ও বলার রয়েছে আলাদা আলাদা ধাঁচ। পাঠক, স্যার রাহ.র হাসিমুখ দেখতে দেখতে যে জবাবগুলো এক সময় আপনারা শ্রবণ করেছেন এখন হতে যাচ্ছেন তার পাঠক। কিন্তু এক্ষেত্রে চক্ষু-কর্ণের বিরোধ যেন আপনার মস্তিষ্ককে পীড়িত না করে সে জন্য আমরা আমাদের সীমা ও সাধ্যের ভেতর থেকে চেষ্টা করেছি। তবে এদিকেও ষোলোআনা খেয়াল রাখা হয়েছে, যেন মূল বক্তব্যের মর্ম কোনোভাবেই ব্যাহত না হয়, আবার বক্তব্যের কথ্য আমেজ হারিয়ে সম্পূর্ণ লেখ্যাকৃতে পরিণত না হয়। আমরা চেয়েছি, এই সঙ্কলনটি পাঠ করতে গিয়ে আপনি একই সাথে পাবেন বক্তব্য শ্রবণ ও প্রবন্ধ পঠনের স্বাদ। ‘জিজ্ঞাসা ও জবাব’ সঙ্কলনটি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নজনের করা প্রশ্নের জবাবের সঙ্কলন হওয়ার কারণে একই প্রশ্নোত্তরের রিপিট হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে একই বিষয়ের একাধিক প্রশ্নের জবাবগুলোতে অতিরিক্ত ভিন্নভিন্ন কিছু তথ্য বা বিষয় থাকলে আমরা সবগুলো প্রশ্নোত্তরই অবিকল রেখে দিয়েছি। তবে এক্ষেত্রে একটি প্রশ্নোত্তরকে মূল রেখে অন্য উত্তরগুলোর অতিরিক্ত উপকারী অংশগুলো তার সাথে বিন্যাস্ত করে দেওয়া যেত। চূড়ান্ত সংস্করণের জন্য আমরা এই চিন্তাটা তুলে রাখছি এবং পাঠকের সুচিন্তিত পরামর্শ কামনা করছি। পাঠকের জন্য সুবিধাজনক ও উপকারী হত প্রশ্নোত্তরগুলো বিষয়ভিত্তিক সাজাতে পারলে। সেজন্য প্রয়োজন প্রশ্নোত্তরের পুরো ভা-ারটা লিখিত হয়ে যাওয়া। তাই এই বিষয়টাও আমরা চূড়ান্ত সংস্করণের জন্য রেখে দিচ্ছি। তবে এ খ-ের ভেতরের বিষয়গুলোকে বিষয়ভিত্তিক সাজিয়ে শুরুতে একটা সূচিপত্র সংযোজন করে দেওয়া হয়েছে। কোথাও কোথাও পাঠক দেখতে পাবেন, প্রশ্নে লিখিত বিষয়ের অতিরিক্ত কিছু পয়েন্ট স্যার উত্তরে আলোচনা করেছেন। প্রধানত তিনটি কারণে এমনটি হয়েছে। টেলিভিশনের লাইভ প্রোগ্রামে স্যার কোনো প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন, তখন হয়ত কোনো দর্শক-শ্রোতা ফোনে প্রশ্ন করলেন। উপস্থাপক প্রশ্নটির কিছু পয়েন্ট ইঙ্গিতে লিখে রাখলেন এবং চলমান প্রশ্নের জবাব শেষ হলে স্যারকে তার লেখা ইঙ্গিতের আলোকে প্রশ্নটি করলেন। কিন্তু কোনো পয়েন্ট হয়ত বাদ পড়ে গেছে। যেটা স্যার নিজের স্মৃতি থেকে জবাব দিয়েছেন, কিন্তু আমাদের লিখিত প্রশ্নে আসে নি। স্যারকে লিখিতভাবে প্রশ্ন করলে সবসময় তিনি পুরোটা প্রশ্ন শব্দ করে পড়তেন না, কিন্তু জবাব দিতেন। প্রশ্নের সেই নিঃশব্দে পঠিত অংশ আমরা লিখতে পারি নি। কেননা আমরা তো লিখেছি রেকর্ড থেকে শুনে। আবার কখনো স্যার রাহ. মনে করেছেন, এই প্রশ্নের মৌলিক জবাবের সাথে অতিরিক্ত কিছু কথা না বললে শ্রোতার জন্য বিষযটি বোঝা কষ্টকর হবে অথবা শ্রোতা ভুল বুঝতে পারেন। কখনো তিনি প্রশ্ন শুনে ভেবেছেন, সমাজে এ স¤পর্কে ব্যাপক ভুল ধারণা বিদ্যমান। যে কারণে শুধু প্রশ্নের উত্তরটুকু যথেষ্ট নয়। তখন তিনি অতিরিক্ত প্রয়োজনীয় কথা বলে সমাজের ভ্রান্তি দূর করতে চেয়েছেন। কেননা পর্দার সামনে শুধু একজন প্রশ্নকর্তা নয়, বরং সেখানে বসে আছে গোটা একটি সমাজ। সাধারণতই লিখিত বক্তব্যের মতো মৌখিক বক্তব্য উদ্ধৃতিসমৃদ্ধ হয় না। তবে স্যার রাহ. এক্ষেত্রে ছিলেন অনেকটা ব্যতিক্রম। এসব প্রশ্নের মৌখিক জবাবেও যথেষ্ট কোটেশন তিনি উল্লেখ করেছেন। তবে সাধারণত রেফারেন্স দেন নি। আমরা তাঁর উদ্ধৃতিগুলোর পাশে রেফারেন্স সংযুক্ত করে দিয়েছি। তবে তার অর্থ এই নয় যে, উদ্ধৃতিটি শুধু আমাদের উল্লেখিত রেফারেন্স গ্রন্থের মাঝেই সীমাবদ্ধ, এছাড়াও এক বা একাধিক গ্রন্থে তা থাকতে পারে। বিভিন্ন হাদীসের বইয়ের একাধিক অনুবাদ বাজারে আছে। সেসব অনুবাদের একটার সাথে আরেকটার হাদীস নাম্বারের অনেক অমিল রয়েছে। তাই পাঠক, বাজারের যেকোনো অনুবাদ হাতে নিয়ে যদি আমাদের উদ্ধৃতির সাথে মেলাতে যান হয়ত মিলবে না। আমরা হাদীসের মতন ও নাম্বার সংযোজন করেছি ‘মাকতাবা শামিলা’ থেকে। একই হাদীস যখন একাধিক সঙ্কলক তাদের নিজনিজ সঙ্কলনে বা একই সঙ্কলক তার কিতাবের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন শিরোনামের অধীনে উল্লেখ করেছেন সেক্ষেত্রে শব্দের তারতম্য ঘটেছে এবং কোথাও অংশবিশেষ, কোথাও পূর্ণ হাদীস উল্লেখিত হয়েছে। পাঠক সাধারণকে কোটেশন মেলানোর ক্ষেত্রে এই বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। কুরআন-হাদীসের কোটেশন উল্লেখ করে স্যার রাহ. সর্বত্র হুবহু অনুবাদ করেন নি। আগে বা পরের বক্তব্যের মধ্যে মর্ম উল্লেখ করেছেন। আমরাও সবক্ষেত্রে অনুবাদ সংযোজনের প্রয়োজন মনে করি নি। কোথাও সংযোজন করলে তা তৃতীয় বন্ধনীর মধ্যে রেখেছি। পাঠক দেখতে পাবেন, তিনি কখনো পূর্ণ কোটেশন উল্লেখ করে অংশবিশেষের অনুবাদ বা মর্ম উল্লেখ করেছেন, আবার কখনো আয়াত বা হাদীসের অংশবিশেষ উল্লেখ করে সম্পূর্ণ অনুবাদ বা মর্ম উল্লেখ করেছেন। আমরাও তেমনই রেখে দিয়েছি। তবে দুআর ক্ষেত্রে স্যার যেখানে আংশিক বলে ইঙ্গিত করে থেমে গেছেন, পাঠকের সুবিধার্থে আমরা সেখানে হাদীসের কিতাব থেকে পূর্ণ দুআ সংযোজন করে দিয়েছি। স্যার রাহ. ছিলেন অত্যন্ত শরীফ তবিয়তের মানুষ। ছোটবড়, দূরের, কাছের সবাইকেই ‘আপনি’ বলে সম্বোধন করতেন এবং হাসি মুখে কথা বলতেন। কিন্তু পাঠক, দেখবেন অনেক জবাবের ক্ষেত্রে স্যার প্রশ্নকর্তাকে ‘তুমি’ বলে সম্বোধন করেছেন। তিনি এমনটি করেছেন যখন বুঝতে পেরেছেন, এই প্রশ্নকর্তা তাঁর ছাত্র বা সন্তানতুল্য অত্যন্ত ¯েœহভাজন কেউ। উলামা ও আয়িম্মায়ে কিরামের প্রশ্নোত্তর সঙ্কলনের ধারা অনেক প্রাচীন। অনেকেরই প্রশ্নোত্তর সঙ্কলিত হয়ে উম্মাতের কাছে ব্যাপক সমাদৃত হয়েছে এবং ইলমি আকাক্সক্ষার পিপাসা মিটিয়েছে। তার ভেতর শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়া রাহ.র ‘মাজমুউল ফাতাওয়া’ সমাদর, গ্রহণযোগ্যতা ও উপকারিতায় অনন্য। ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহ. যে দরদ ও কল্যাণেচ্ছা নিয়ে দাওয়াতের ময়দানে ছুটে বেড়িয়েছেন এবং উম্মাতের বিভিন্ন জিজ্ঞাসার জবাব দিয়েছেন, আমাদের আশা, মহান আল্লাহ তাঁর এ প্রশ্নোত্তর সঙ্কলনকেও সমাদৃত, উপকারী ও দীর্ঘস্থায়ী করবেন। ‘জিজ্ঞাসা ও জবাব’ সিরিজির এখ-টির শ্রুতিলিখন করেছে ¯েœহাষ্পদ সাব্বির জাদিদ আর এর সম্পাদনায় আমাকে বিশেষভাবে সাহায্য করেছে আল মাসুদ আব্দুল্লাহ। মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করছি, তিনি যেন দয়া করে এ সঙ্কলনটির ভুলভ্রান্তি ক্ষমা করে কবুল করে নেন। একে অনুলেখক, সম্পাদক, ব্যবস্থাপক, প্রকাশক, শুভাকাক্সক্ষী ও পাঠকÑ সকলের নাজাতের ওয়াসীলা বানিয়ে দেন। একাজের মূল ব্যক্তিত্ব ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহ.র সকল উত্তম কর্মকে কবুল করেন, তাকে উম্মাতের জন্য কল্যাণকর করেন, তাঁর সকল ভুলভ্রান্তি ক্ষমা করে আপন রহমতের কোলে আশ্রয় দেন, তাঁর প্রিয় বান্দাদের সর্বোচ্চদের কাতারে শামিল করে নেন এবং আমাদেরকে জান্নাতে তাঁর সাথে একত্রিত করেন। আমীন! সালাত ও সালাম আল্লাহর খলীল ও হাবীব মুহাম্মাদ , তাঁর পরিজন ও সহচরগণের উপর।
Was this review helpful to you?
or
যারা বইটা কিনবেন এই সিরিজের জিজ্ঞাসা ও জবাব ১-২-৩ সবগুলো কিনার অনুরোধ করছি জিজ্ঞাসা ও জবাব আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যার এর এই সিরিজের ১-২-৩ তিনটি বই ই অসাধারণ। আপনার দৈনন্দিক জীবনের সকল ছোট বড়ো সব প্রশ্নের উত্তর বইগুলোতে পাবেন ইন শা আল্লাহ। যারা জিজ্ঞাসা ও জবাব কিনবেন আমি বলবো ৩ টা একসাথেই কিনবেন যদি সম্ভব হয়। বর্তমানে যে প্রশ্নগুলো সবচেয়ে বেশি করা হয় সবগুলো প্রশ্ন ও উত্তর পাবেন ইন শা আল্লাহ।
Was this review helpful to you?
or
যেসকল প্রশ্নোত্তরমূলক বই বাস্তব বা অনলাইন জগতে পাওয়া যায় তার মাঝে সেরাতমগুলোর অন্যতম হচ্ছে ড আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রচিত "জিজ্ঞাসা ও জবাব " বইটি। আমাদের সমাজে বিভিন্ন দল বা ফিরকা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় সাধারণ মুসলিম হিসেবে ইসলাম পালন করতে গিয়ে মনে অনেক প্রশ্ন জাগে আর তার শরিয়ত ভিত্তিক উত্তরের জন্য এদিক সেদিক ছুটে বেড়াই। অজ্ঞতাবশত হক্কানী আলেম চিনতে পারি না। তাই সবাইকে বলব, অবশ্যই এই বইটি পড়ুন এবং সাধারণ মানুষের ভিতর এই বইটি প্রচার করুন।