User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামঃ Shall We Tell the President? লেখকঃ Jeffrey Archer ভাষাঃ ইংরেজি ঘরনাঃ Action, Mystery, Thriller বইয়ের পৃষ্ঠাঃ ৩৩৬ মূল্যঃ ৭১৬ টাকা প্রকাশনীঃ St. Martin's ব্যক্তিগত অনুযোগ (রেটিং): ৪.৭৫/৫ চরিত্রঃ মার্ক অ্যান্ডুজ, এলিজাবেথ ডেক্সটার, প্রেসিডেন্ট এডোয়ার্ড কেনেডি, ডিরেক্টর টাইসন..... সহ প্রমুখ। হাসপাতালে শুয়ে থাকা এক রোগী, যে কি না আমেরিকায় একজন গ্রিক অবৈধ অভিবাসী, অজ্ঞাত কোনো এক ব্যক্তির হাতে গুলি খেয়ে পড়ে আছে হাসপাতালের বিছানায়। সাধারণ ঘটনার জন্য পুলিশ তদারকিতে আসলে মুখ খুলতে নারাজ হয় সে, শুধুমাত্র এফবিআই এর কর্তাধর্তার সাথে কথা বলবে সেই অভিবাসী, অ্যাঞ্জেলা মেক্সিস। কিন্তু, কি এমন বলতে সে, যার জন্য এফবিআই এর কর্তাধর্তাকে আসতে হবে সেই কথা শোনার জন্য?! শেষমেষ, মেট্রোপলিটন পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে ওয়াশিংটনে এফবিআইয়ের ফিল্ড এজেন্টদের প্রধান নিক স্টেমস এর কাছে একটি ফোনকল আসে, যেখানে অ্যাঞ্জেলো মেক্সিস এর আবদার জানানো হয়। আর, কাহিনীর প্রেক্ষাপট শুরু হয় সেখান থেকে ই! খবর পেয়ে নিক স্টেমস তৎক্ষণাত দু’জন ফিল্ড এজেন্টকে পাঠানো হয় উইলসন হাসপাতালে, অ্যাঞ্জেলো মেক্সিসের সাথে কথা বলার জন্য। দুই এজেন্ট, ব্যারি কোলভার্ট এবং মার্ক অ্যান্ড্রুজ, ভয়ে ভীত হয়ে কাঁপতে থাকা অ্যাঞ্জেলা মেক্সিসের সাথে কথা বলে। জানতে পারে একটি ভয়ানক চক্রান্তের কথা, তা মুহূর্তের মাঝে কাঁপিয়ে দেয় ঐ দুই এজেন্টকেও। কিন্তু, কী ছিলো সেটি? সদ্য নির্বাচিত আমেরিকার প্রেসিডেন্ট এডয়ার্ড কেনেডিকে হত্যার খবর, আগামী এক সপ্তাহ পর দীর্ঘ এবং প্যাঁচানো এক পরিকল্পনার অংশ হতে যাচ্ছে স্বয়ং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট! মৃত্যু এখন তার থেকে মাত্র এক সপ্তাহ দূরে! এই খিস্তি খাওয়া ঘোর বিপদের কথা শুনে হাঁটুতে কাঁপুনি ধরে যায় এজেন্টদের, খবরটি সত্য-মিথ্যা যাই হোক, তাদের কর্তা নিক স্টেমসকে রিপোর্ট করে এজেন্ট কোলভার্ট এবং অ্যান্ড্রুজ। সাথে সাথে, ঘটনার গুরুত্ব বুঝে নিয়ে নিক অ্যান্ডুজকে আদেশ দেয় হাসপাতালে থাকা একমাত্র জলজ্যান্ত সাক্ষী অ্যাঞ্জেলো মেক্সিসকে পাহারা দেয়ার জন্য! আদেশ নিয়ে মার্ক ফিরে আসে উইলসন হাসপাতালে, কিন্তু, বড় অদ্ভুতভাবে এফবিআইকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কোনো কিছু করার সুযোগ না দিয়ে নিষ্ঠুরভাবে গলা কেটে খুন হয়ে গেলো অ্যাঞ্জেলো মেক্সিস ও তার পাশের কেবিনের রোগী! মার্ক অ্যান্ড্রুজ তখনো অমানিশায় ডুবে আছে, হতবিম্ব হয়ে গিয়েছে এমন ধৃষ্ট নিষ্ঠুরতায়! ঘটনার বিস্তারিত খবর দেওয়ার জন্য কর্তা নিক স্টেমসের বাসায় এবং অফিসে ফোন করেও পাওয়া যাচ্ছে না তাকে, অথচ তার অনেক আগে বাসায় পৌছে যাওয়ার কথা। একইভাবে, সহযোগী কালভার্টকেও ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না! এক অজানা ভয় আর শঙ্কা জড়িয়ে ধরেছে মার্ক অ্যান্ড্রুজকে! শেষমেষ জানতে পারে যে, মারাত্মক এক গাড়ির দূর্ঘটনায় মেরে ফেলা হয়েছে নিক স্টেমস এবং এজেন্ট কোলভার্টকে। প্রেসিডেন্টের আসন্ন বিপদ সম্পর্কে যারা যারা জানে, তাদের একে একে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে পৃথিবী থেকে। রাত সাড়ে আটটা নাগাদ খবরটি জেনে গেল পাঁচজন মানুষ। আর রাত সাড়ে নয়টার মধ্যে এদের চারজন হয়ে গেল খুন! এখন? আমেরিকার সবচেয়ে ক্ষমতাবান ব্যক্তি কি বাঁচতে পারে পরিকল্পিত আততায়ীর হামলা থেকে? একা, সদ্য এফবিআই তে যোগদান করা শিক্ষানবীশ এজেন্ট মার্ক অ্যান্ড্রুজ কি করতে পারবে একা? আদৌ কি কিছু পারবে?? নিজের ব্যক্তিগত পাঠ প্রতিক্রিয়ায় বলবো যে, লেখক জেফরি আর্চারের “শ্যাল উই ট্যাল দ্য প্রেসিডেন্ট” বইটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি চমকপ্রদ এক রাজনৈতিক উপন্যাস, যেখানে ক্ষমতার দ্বন্দ্বে এসে স্বার্থবাজরা ধেয়ে আসে সন্তর্পণে। পুরো বইটি একটি চমৎকার রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের পরিকল্পনায় সাজানো, প্রতিটি তারিখ এবং প্রতিটি অংশ একদম পরিপূর্ণ করে তুলেছে এই উপন্যাসটিকে, বইটিকে। আমেরিকার চল্লিশতম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দৃপ্ত ভঙ্গিতে শপথ গ্রহণ করলেন এডোয়ার্ড মুর কেনেডি। এই পর্যায়ে আসার জন্য স্বাভাবিকভাবে ই তাঁকে অনেক কঠিন একটা পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। কিন্তু, ১৯৮৩ সালের মার্চ মাসের চমৎকার একটা দিনে এফবিআই’র গুটিকয়েক সদস্য এক ভয়াবহ তথ্য আবিষ্কার করলেন। প্রেসিডেন্ট কেনেডিকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র চলছে, আর, সেই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে মদদ দিচ্ছেন স্বয়ং এক সিনেটর! পরিকল্পনার অংশ করে প্রেসিডেন্টকে আনা হয়েছে একটি আইন ঘোষণার দিনে, যেখানে প্রেসিডেন্ট মঞ্চে উঠবেন আর ঘোষণা করবেন সেই আইন, সংবিধান! কি এমন আইন ছিলো সেটি? এখন এফবিআই বা কী করবে? তখন, তারা পরস্পর ভেবে চলছে, “শ্যাল উই টেল দ্যা প্রেসিডেন্ট?” দুর্দান্ত এই রাজনৈতিক থ্রিলার, উদ্বেগেপূর্ণ এই রোমাঞ্চিত বইটি পড়ার জন্য সব প্রেমীদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি...... (আর হ্যাঁ, যারা বাংলা অনুবাদ পড়তে ইচ্ছুক তাদের জন্য ছবিটা দেওয়া। অপু দা’র অনুবাদ করা বইটি ই আপনারা পড়বেন। কারণ, অপু’দা এতো সরল আর সহজ অনুবাদ যেকোনো পাঠকের মনকে উদ্বেলিত করে তুলবে। উনার অনুবাদ করা সবগুলো পড়ার জন্য আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি…)
Was this review helpful to you?
or
☆☆☆☆
Was this review helpful to you?
or
শপথ নিলেন প্রেসিডেন্ট কেনেডি। এরপর থেকেই ঘটনার শুরু।কে বা কারা প্লান করল খুন করার প্লান করল প্রেসিডেন্ট কে।আমেরিকার মত রাষ্ট্রের কোন এক সিনেটর কে সন্দেহ করল FBI. তারা এক গ্রীক অভিবাসীর কথায় এই ধারণা পেল।যে খুন হয়ে গেল সেইদিনই।আরও খুন হলেন FBI এর দুই টপ লেভেলের অফিসার । কারা করল এই খুন? কারা মারতে চাইছে প্রেসিডেন্ট কে? সিনেটর? নাকি মাফিয়া গ্রুপ? খুজে বের করতে আপ্রাণ চেস্টা শুরু করল FBI পরিচালক আর তরুন এজেন্ট মার্ক।মার্ক আবার প্রেমে পড়ল এক সিনেটর এর মেয়ের।সর্বশেষ কি হল জানতে হলে অবশ্যই পড়তে হবে এই অসাধারণ থ্রিলার। অসাধারণ। পাঠকের মনে হবে সব যেন চোখের সামনে ঘটছে। লেখকের বর্ণনা অসাধারণ। অনুবাদক কয়েক জায়গায় বড্ড বেশি প্যাঁচানোর চেস্টা করেছেন।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_পাঠক_সমাগম_বুক_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_৪ পর্ব - ৪ বইয়ের নাম: শ্যাল উই টেল দ্য প্রেসিডেন্ট লেখক: জেফরি আর্চার অনুবাদক: অনীশ দাস অপু ঘরানা: কনস্পিরেসি থ্রিলার/স্পাই থ্রিলার/পলিটিকাল থ্রিলার প্রকাশনী: রোদেলা প্রকাশনী প্রকাশকাল: ফেব্রুয়ারি, ২০১০ প্রচ্ছদ: হাসান খুরশীদ রুমী পৃষ্ঠা: ২২৪ মূল্য: ২৫০ টাকা অনলাইন পরিবেশক: রকমারি.কম . #লেখক_পরিচিতি: জেফরি আর্চার ১৯৪০ সালের ১৫ এপ্রিল ইংল্যান্ডের একটা মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। এই বিশ্ব বরেণ্য লেখকের জীবনে কী নেই? ব্যবসায় প্রতারণার শিকার হয়ে সর্বশান্ত হওয়া থেকে শুরু করে বৃটিশ পার্লামেন্টের সদস্য হওয়া বা জেল খাটা, কী হয়নি তার জীবনে! কৈশোরে ইংরেজি সাহিত্যে 'ও লেভেল' করেই বিভিন্ন ধরণের ছোট ছোট কাজের পাশাপাশি তিনি মিলিটারীতে ট্রেনিং নিয়েছেন এবং কিছুদিন মেট্রোপলিটান পুলিশেও কাজ করেছেন। অর্থনৈতিক দুরবস্থা কাটাতে ১৯৭৪ সালে তিনি লেখালেখি করার সিদ্ধান্ত নেন। ৩৬ বছর বয়সে তার প্রথম বই "নট আ পেনি মোর" প্রকাশিত হয়। এরপর যত বই লেখেছেন বেশির ভাগই নিউইয়র্ক বেস্টসেলার তালিকায় চলে গেছে। তার বই ৯৭টি দেশে ৩৭টি ভাষায় প্রকাশিত হচ্ছে। তিনিই একমাত্র লেখক যিনি সবচেয়ে বেশিবার আন্তর্জাতিক বেস্টসেলার হয়েছেন ( ১৮বার ফিকশনে, ছোট গল্পে চারবার এবং নন ফিকশনে একবার )। তাঁর দুটি বই Paths of glory এবং False Impression সিনেমা হিসেবে নির্মিত হয়েছে। এমনিই তো আর 'দ্য টেলিগ্রাফ' তাকে নিয়ে নিম্নোক্ত উক্তি করেনি: "If there were a Nobel prize for storytelling, Archer would win." . #অনুবাদক: অনীশ দাস অপুর জন্ম ৫ ডিসেম্বর ১৯৬৯। জন্মস্থান বরিশাল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে অনার্সসহ এম. এ করেছেন ১৯৯৫ সালে। লেখালেখির প্রতি তার ঝোক ছেলেবেলা থেকে । এ পর্যন্ত তাঁর অনুদিত গ্ৰন্থ সংখ্যা ১০০’র বেশি। অনীশ দাস অপু লেখালেখির পাশাপাশি সাংবাদিকতা পেশায় জড়িত। তিনি দৈনিক যুগান্তর- এ সিনিয়র সাব এডিটর হিসেবে কাজ করেছেন । তবে লেখালেখিই তার মূল পেশা এবং নেশা । . #পাঠ_পর্যালোচনা : মেট্রোপলিটন পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে ওয়াশিংটনে অবস্থিত এফবিআইয়ের ফিল্ড এজেন্টদের প্রধান নিক স্টেমস একটি ফোনকল পায়। অ্যাঞ্জেলো মেক্সিস নামের একজন পায়ে গুলি খাওয়া অবৈধ গ্রিক অভিবাসী কথা বলতে চায় শুধু এফবিআইয়ের সাথে।মূল কাহিনী শুরু হয় এই গ্রিক লোকটিকেই দিয়ে। খবর পেয়ে দু'জন ফিল্ড এজেন্টকে পাঠানো হয় উইলসন হাসপাতালে অ্যাঞ্জেলো মেক্সিসের সাথে কথা বলার জন্য। ব্যারি কোলভার্ট এবং মার্ক অ্যান্ড্রুজ ভয়ে ভীত মেক্সিসের সাথে কথা বলে জানতে পারে একটি ভয়ানক চক্রান্তের কথা। কী ছিলো তা? . সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এডয়ার্ড কেনেডির সামনে নাকি ঘোর বিপদ। খবরটি সত্য মিথ্যা যাই হোক বসকে রিপোর্ট করে এজেন্ট দুজন। বসের নির্দেশে অ্যাঞ্জেলো মেক্সিসকে পাহারা দেয়ার জন্য মার্ক ফিরে আসে উইলসন হাসপাতালে। কিন্তু বড় অদ্ভুতভাবে এফবিআইকে কোন কিছু করার সুযোগ না দিয়ে নিষ্ঠুরভাবে গলা কেটে খুন করা হলো অ্যাঞ্জেলো মেক্সিস ও তার পাশের কেবিনের রোগীটাকে। মার্ক অ্যান্ড্রুজ বুঝতে পারে না কি করবে সে। বস নিক স্টেমস এবং এজেন্ট কোলভার্টকে বাসায় এবং অফিসে ফোন করে পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ তাদের অনেক আগেই বাসায় পৌছে যাওয়ার কথা। অন্য কোন উপায় না দেখে মার্ক ফোন করে এফবিআইয়ের ডিরেক্টর টাইসনকে। অনেক কষ্টে পনের মিনিটের জন্য ডিরেক্টরের সাথে দেখা করার অনুমতি পায়। তবে সে বাড়ি ফেরার সময় জানতে পারে মারাত্মক এক কার অ্যাক্সিডেন্টে মেরে ফেলা হয়েছে নিক স্টেমস এবং এজেন্ট কোলভার্টকে। প্রেসিডেন্টের আসন্ন বিপদ সম্পর্কে যারা যারা জানে তাদের একে একে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে পৃথিবী থেকে। রাত সাড়ে আটটা নাগাদ খবরটি জেনে গেল পাঁচজন মানুষ। আর রাত সাড়ে নয়টার মধ্যে এদের চারজন হয়ে গেল খুন! এফবিআই’র স্পেশাল এজেন্ট মার্ক অ্যান্ড্রুজ এখন সম্পূর্ণ একা। ঠিক সাতদিনের মাথায় গুপ্তঘাতকের হাতে প্রাণ হারাতে যাচ্ছেন তৃতীয় কেনেডি। মার্ক কি পারবে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করতে? . এফবিআইয়ের ডিরেক্টর টাইসনকেও ঠিক মত বিশ্বাস করতে পারছে না সে।টাইসনের পুরো নাম এইচ এ এল টাইসন। এই বদমেজাজী ডাইরেক্টরকে এফবিআই এর সবাই মজা করে নামের অাদ্যক্ষর দিয়ে "হল্ট" ডাকে। কিন্তু তারা জানে না, সেই আগের তিনটা অক্ষরের মাঝে লুকিয়ে আছে আরেক রহস্য। কী সেটা? . আবার মার্কও নিজের অজান্তে হয়ে উঠছে হল্টের সন্দেহভাজন। সে প্রেমে পড়ে গেছে এলিজাবেথের। যার বাবাকেও রাখা হয়েছে সম্ভাব্য অপরাধীর সর্ট লিস্টে! . খুন হচ্ছে একের পর এক। অন্যদিকে খুনি মাফিয়ারা এক সিনেটরের সহায়তায় তাদের সব কাজ গুছিয়ে ফেলেছে। শুধু আড়াই মিনিট সময় প্রয়োজন। ২০০ গজ দূর থেকে স্নাইপার রাইফেল দিয়ে জাপানী শার্প শ্যূটারটি একটি চিনাবাদামকে আঘাত করতে পারে, আর প্রেসিডেন্টের মাথাতো আরও অনেক বড়! কিন্তু হল্ট এখনও জানে না সিনেটরটি কে। সে জানতে চায়। পৌঁছাতে চায় গোড়ার অপরাধীর কাছে। তারা প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার জন্য কোনো খবরই লিক করতে চায় না। কিন্তু আইন ঘোষণার দিন প্রেসিডেন্টকে মঞ্চে আনা মানে তার জীবন জিম্মি করা। কিন্তু এই আইনের ঘোষণাটা দেশের জন্য খুবই জরুরি। কী এমন আইন ছিলো তা? এখন তারাই বা কী করবে? তারা পরস্পর ভেবে চলছে, 'প্রেসিডেন্টকে কী খুলে বলব সব?' 'শ্যাল উই টেল দ্যা প্রেসিডেন্ট?' . #ব্যক্তিগত_মতামত: এককথায় বলব আমার পড়া সেরা একটি থ্রিলার। পড়তে শুরু করলে বই থেকে ওঠার কোনোই উপায় থাকবে না। পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা সাসপেন্স আর রহস্যে ভরা। মার্ক আর এলিজাবেথের মজার প্রেমময় কথোপকথন পড়ে খুব হেসেছি। এতই চমৎকার আর বাস্তব লেখনি যে পড়ার সময় মনে হবে পুরো হোয়াইট হাউজে আপনি ঘুরে ঘুরে দেখছেন সব। আর এত সহজে হোয়াইট হাউজসহ পুরো আমেরিকা ভ্রমণের সখ কারই বা না আছে! তাই চোখ বুজে হাতে নিতে পারেন বইটি। আর অবশেষে কী ঘটেছিল প্রেসিডেন্ট এডয়ার্ড কেনেডির ভাগ্যে? এটাও জানতে পারবেন শ্বাসরুদ্ধকর উপন্যাসটি থেকে। . #সমালোচনা: কিছুু বানান ভুল ছিলো। হয়তো টাইপিং মিস্টেক। এক জায়গায় ১৯৮৩ সালেকে লেখা হয়েছে ১৯৮৯। এটা চোখে লেগেছে। তাছাড়া অসাধারণ অনুবাদ। . #ব্যক্তিগত_রেটিং: ৪.৯/৫ লিখেছেনঃ আয়েশা সিদ্দিকা
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা || রিভিউ || বই : শ্যাল উই টেল দ্য প্রেসিডেন্ট মূল : জেফরি আর্চার অনুবাদ : অনীশ দাস অপু প্রকাশক : রোদেলা প্রকাশনী প্রকাশকাল : ফেব্রুয়ারি, ২০১০ ঘরানা : কনস্পিরেসি থ্রিলার/স্পাই থ্রিলার/পলিটিকাল থ্রিলার পৃষ্ঠা : ২২৪ প্রচ্ছদ : হাসান খুরশীদ রুমী মুদ্রিত মূল্য : ২৫০ টাকা ইউনাইটেড স্টেটস অভ আমেরিকার চল্লিশতম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দৃপ্ত ভঙ্গিতে শপথ গ্রহণ করলেন এডোয়ার্ড মুর কেনেডি। এই পর্যায়ে আসার জন্য স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে অনেক কঠিন একটা পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। কিন্তু ১৯৮৩ সালের মার্চ মাসের চমৎকার একটা দিনে এফবিআই'র গুটিকয়েক সদস্য এক ভয়াবহ তথ্য আবিষ্কার করলেন। প্রেসিডেন্ট কেনেডিকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র চলছে। আর সেই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে মদদ দিচ্ছেন স্বয়ং এক সিনেটর। দুর্বৃত্তরা এই পরিকল্পনা সফল করার জন্য ডলারের বন্যা বইয়ে দিতেও পিছপা হচ্ছেনা। কাকতালীয় ভাবে পাওয়া এই ভয়াবহ তথ্য স্বাভাবিকভাবেই সিরিয়াসলি নিলেন এফবিআই'র ওয়াশিংটন ফিল্ড অফিস চিফ নিক স্টেমস। বিশ্বস্ত দুজন তরুণ স্পেশাল এজেন্ট ব্যারি কোলভার্ট ও মার্ক অ্যান্ড্রুজকে নিয়ে শুরু করলেন অনুসন্ধান। সবকিছু স্বাভাবিকভাবেই এগোচ্ছিলো। কিন্তু হঠাৎ করেই রক্তের নহর বইতে শুরু করলো। একজন আহত ও সেই সাথে একজন নিরপরাধ হাসিখুশি মানুষকে অত্যন্ত নৃশংস ভাবে কে বা কারা হত্যা করলো। গেলো আরো কিছু মানুষের প্রাণ। সমস্ত অস্বাভাবিক মৃত্যুর সাথে শুধুমাত্র একটা জিনিসেরই যোগসূত্র আছে। তা হলো প্রেসিডেন্টকে হত্যার ষড়যন্ত্র। অকুল পাথারে পতিত মানুষের মতো অবস্থা হলো এফবিআই স্পেশাল এজেন্ট মার্ক অ্যান্ড্রুজের। অগত্যা এফবিআই ডিরেক্টর এইচ এ এল টাইসনের সাহায্য চাইতে হলো তাকে। তদন্তে নেমে মার্ক আবিষ্কার করলো একেবারে সহজ নয় কেসটা। সন্দেহের বাইরে নয় কেই-ই। এদিকে ড. এলিজাবেথ ডেক্সটারের সাথে মার্কের প্রণয়ও তাকে বিপরীতমুখী এক অবস্থানে দাঁড় করাতে চাইছে যেন। কেঁচো খুঁড়তে সাপ বের হবার উপক্রম হলো। আর সেই সাথে এগিয়ে আসতে লাগলো প্রেসিডেন্টকে হত্যার ডেডলাইন। কারণ, ওদিকে ষড়যন্ত্রকারীরাও বসে নেই। প্রেসিডেন্টকে একেবারে শেষ মুহূর্তের আগে কিছুই জানানো চলবেনা। এতে বাধাগ্রস্ত হবে একটা গুরুত্বপূর্ণ আইনের বিল পাশ। যা আমেরিকার সাধারণ জনগনের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ। স্পেশাল এজেন্ট মার্ক অ্যান্ড্রুজ দিন রাত এক করে পুরো ব্যাপারটার সমাধান করার চেষ্টা করে যেতে লাগলো। আর এভাবেই এগিয়ে যেতে লাগলো টানটান উত্তেজনাকর এক কাহিনি। ব্যক্তিগত মতামত : উচ্চগতির থ্রিলার হিসেবে নিঃসন্দেহে 'শ্যাল উই টেল দ্য প্রেসিডেন্ট'-কে অভিহিত করা যায়। কাহিনির শুরুর দিকের ঘটনাবলী শান্তিপূর্ণভাবে ঘটতে থাকলেও হঠাৎ করেই অশান্ত হতে শুরু করে দেয় সবকিছু। লেখক জেফরি আর্চার এমনভাবে পুরো কাহিনিটা পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন যাতে পাঠক মাত্রই রোমাঞ্চের এক দারুন জগতে অবস্থান করতে বাধ্য। বর্ণনার ভঙ্গিটাও ছিলো পারফেক্ট। হোয়াইট হাউস, এফবিআই সহ বেশ কিছু ব্যাপারে জেফরি আর্চারের দেয়া গবেষণালব্ধ তথ্যগুলো বইটা উপভোগে দারুন সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। এবার অনুবাদের ব্যাপারে কিছু বলা যাক। অনীশ দাস অপুর অনুবাদ কখনো খারাপ লাগেনি। তবে 'শ্যাল উই টেল দ্য প্রেসিডেন্ট'-এর শুরুর দিকে পড়তে গিয়ে বেশ আড়ষ্ট লাগছিলো। সাবলীলতার দেখা পাচ্ছিলামনা। অবশ্য ধীরে ধীরে ব্যাপারটা কেটে যায়। বইয়ে বেশ অনেকগুলো জায়গায় প্রিন্টিং মিসটেক ছিলো। দুই-এক জায়গায় ১৯৮৩ সালের স্থানে লেখা হয়েছে ১৯৮৯। এই ভুলগুলো চোখে লেগেছে। পরবর্তী মুদ্রণে আশা করি এই ভুলগুলো শুধরে দেয়া হবে। প্রচ্ছদ ভালো লেগেছে। এখনো যারা বইটা পড়েননি, পড়ে ফেলতে পারেন। রেটিং : ৪/৫ © শুভাগত দীপ
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের কাহিনী সুন্দর। শেষটা আর একটু নাটকীয় হলে ভালো হতো। যারা লেখকের "নট এ পেনি মোর, নট এ পেনি লেস" পড়েছেন তারা একটু কম আশাবাদী হবেন। মধ্যম মানের বই। প্রকাশকের উচিত ভালো একজন প্রুফ রিডারের; কারণ অসংখ্য বানান ভুল।