Our User Product Reviews

চমৎকার একটি বই।

সাহিত্য মানুষকে দুই ধরনের আনন্দ দেয়। একটি রুপের আনন্দ ও একটি রসের আনন্দ। আর বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর লোকরহস্য ও মুচরামগুড়ের জীবন-চরিত্র এই দুটি রচনায় পাঠককে রম্যরস এর আস্বাদ দিয়েছেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। শিক্ষি্ত সমাজের নিবুদ্ধিতা ও অধোগতি দেখে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর অন্তরে যে কষ্ট অনুভব করেছিলেন তাই লোক রহস্যে অনেকটা বিরক্তি ও অসহিস্নুভাবে প্রকাশ পেয়েছে। বিকৃতবুদ্ধি, ক্ষুদ্রমতি ও পরের অনুকরণ প্রিয় সম্প্রদায়কে তিনি তার সমাজে বসাতে প্রস্তুত ছিলেন না। সেজন্য তিনি ব্যাঘ্র, গর্দভ ও হনুমান রুপেই চিত্রিত করেছেন। ব্যাক্তিতহীন বিকৃত মানুষকে তিনি পশু অপেক্ষাও নিকৃষ্ট মনে করেন। এই মানুষকে তিনি পশুর স্ত্রে নিয়ে এসে এবং প্সহুদের আচার আচরণ ও ক্তহাবারতা মানুষের পর্যায়ে উন্নিত করে তিনি যে উদ্ভট অবস্থা বিপর্যয়ের সৃষ্টি করেছেন তাতে ব্যঙ্গের কৌতুক এসে মিলেছে। লোকরহস্যের রস করুন নয়। নিষ্করুণ। এখানে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বিচারকের আসনে। তার দৃষ্টি তীক্ষ্ণ ও মর্মভেদী এবং তিনি যে শাস্তি নিরধারন করেছেন তা ক্ষমাহীন ও অলঙ্ঘনীয়। তবে এর লক্ষ্য কোনো ব্যক্তি নয়। সমাজ। মুচিরাম গুড়ের জীবন চরিত উপন্যাস না বলে উপ্ন্যাসিকা বলাই ভালো। মুচিরাম গুড় এক কল্পিত চরিত্র। মুচিরাম প্ললিগ্রামের ছেলে। বাবা মায়ের একমাত্র আদরের সন্তান। পড়ালেখা বিশেষ তার সেখা হয়নি। বাবার মৃত্যুর পর যাত্রা দলে যোগ দিয়েছিল সে। অধিকারীর অত্যাচারে একদিন সে দল ছেড়ে পালিয়ে যায়। এবং কোনো এক জেলার সদরের ফৌজদারি অফিসের হেড কেরানির আশ্রয় পায়। তার চেস্টায় ও ফন্দি ফিকিরে তদবিরে আদালতে মুহুরিগিরির চাকরি হল। নানা রকম ফন্দি ফিকিরের মাধ্যমে ও ঘুষের আশ্রয় নিয়ে মুচিরাম আর্থিক ভাবে ফুলে ফেপে ওঠে। অচিরে সে মীর মুন্সি হয়, তারপর পেশকার, অবশেসে ডেপুটি। পড়ে কলকাতায় এসে রামচন্দ্রবাবুর সহায়তায় ধ্নী সমাজে পরিচিত হয়ে ওঠে এবং সরকারের খয়ের খা হয়ে একদিন রাজা বাহাদুর উপাধি লাভ করে। এখানেও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সেই সব ব্যাক্তি ও সমাজকেই ক্টাক্ষ কড়েছেন ব্যাংগ করেছেন। সৃষ্টি হয়েছে এই অসাধারণ রচনা