User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা নাকি খুব কঠিন। এটা সত্য এবং এই বইটিও এর ব্যতিক্রম নয় । তবে গল্পটির মধ্যে একেবারে ঢুকে যেতে পারলে পুরো বই শেষ না করে ওঠা কষ্টকর । গল্পটিতে অজপাড়াগায়ের সাধারণ মেয়ে প্রফুল্ল রায়ের দেবী চৌধুরানীতৈ রূপান্তরিত হওয়ার গল্প।সেখানে চৌধুরানী অন্যায়ের বিরুদ্ধে সকল প্রতিবাদে নিজেকে নিয়োজিত করেন । তিনি প্রচুর ধন সম্পদের মালিক হওয়া সত্ত্বেও যখনই কোন গরিব দুঃখী দেখেন তাদের মাঝে বিলিয়ে দেন ।
Was this review helpful to you?
or
এক অসহায় নারী প্রফুল্ল যাকে তার স্বামী নিজের অনিচ্ছার শর্তে ও পিতার(শুশুর) আদেশ পালনে স্ত্রী কে পরিত্যাগ করতে বাধ্য হয়।পরে এই নারী এক ডাকাত সর্দার ভবানী পাঠকের আশ্রয়ে তিনি হয়ে ওঠেন দেবী চৌধুরানী।এই উপন্যাসের প্রতিটি পাতায় সাহিত্যের ছোঁয়া আপনি পাবেন পাবেন।
Was this review helpful to you?
or
জমিদার হরবল্লভের পুত্রবধু প্রফুল্ল। বিয়ের সময় প্রফুল্লকে প্রতিবেশীরা জাতিভ্রষ্টা হিসেবে ঘোষণা করেন। ফলাফল, হরভল্লব বাবু পুত্রবধুকে ঘরে তুলতে অস্বীকৃত জানান। বিয়ের দিন মেয়েরা শ্বশুরালয়ে যায়; প্রফুল্লর দূর্ভাগ্য, তাকে চলে আসতে হল পিত্রালয়ে। প্রফুল্লরা অত্যন্ত গরীব। যতটুকু গরীব হলে দুইবেলা খাবার জোটেনা ততটুকুই গরীব। খাবারের যন্ত্রণায় প্রফুল্লর মা প্রফুল্লকে শ্বশুরবাড়িতে পাঠিয়ে দিতে চান। জমিদার বাড়ির বউয়ের এমন কষ্ট মায়ের সহ্য হয়না। কিন্তু যাকে একবার হরভল্লব বাবু বাড়িছাড়া করেছেন তাকে আবার ঘরে তুলতে যাবেন কেন? শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে সবার হাতেপায়ে ধরেও জায়গা হয়না প্রফুল্লর। এদিকে স্বামী ব্রজমোহন, যে প্রথমবার তাকে দেখেছে, অসাধারণ রূপে মুগ্ধ হয়ে প্রেমে পড়ে যায় প্রফুল্লর। ইতোমধ্যে প্রফুল্লর মা মারা যান। প্রফুল্ল হয়ে পড়ে সম্পূর্ণ একা। এরপর অনেক ঘটনার মধ্য দিয়ে প্রফুল্ল এক ডাকাত সর্দারের হাতে গিয়ে পড়ে। ততদিনে প্রফুল্ল অফুরন্ত ধন-রত্নের মালিক। ডাকাত সর্দার প্রফুল্লর মাঝে দেবীত্ব দেখতে পান। দীর্ঘ দশ বছর দীক্ষার ফলে প্রফুল্লকে তিনি তৈরী করেন অসাধারণ এক নেত্রী হিসেবে, নাম- দেবী চৌধুরানী। কিন্তু প্রফুল্লর ধন-সম্পদের প্রতি লোভ নেই। সে মনে মনে ভালোবাসে ব্রজমোহনকে। এভাবেই এগিয়ে চলেছে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অনন্যসাধারণ উপন্যাস দেবী চৌধুরানীর কাহিনী। বঙ্কিমচন্দ্রের লেখা অনেকের কাছেই কঠিন মনে হয়। কিন্তু একবার লেখার ভেতর ঢুকে যেতে পারলে শেষ না করে উঠতে পারবেননা। ভালো কথা, দেবী চৌধুরানী কিন্তু ঐতিহাসিক উপন্যাস। রংপুর অঞ্চলে দেবী চৌধুরানী বাস্তবেই ছিলেন। পড়ে দেখুন। গ্যারান্টি দিচ্ছি, শেষ করেই উঠতে হবে।