User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
সুনীলের লেখায় আমি যেন সম্পূর্নরূপে হারিয়ে যাই , ৬২৬ পৃষ্ঠার বৃহৎ কলেবরের এই উপন্যাস আমি গপগপিয়ে গিলেছি।টাইম ট্রিলজি পড়ার পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে একা এবং কয়েকজন টাই আগে পড়লাম।একা এবং কয়েকজন মূলত ইতিহাসের আশ্রয়ে লিখিত এমন এক উপন্যাস যেখানে সুনীল দেখাতে চেয়েছেন জন্ম থেকে মৃত্যুর মাঝপথের যাত্রাকে খুব গভীর ও সুনিপুনভাবে। উপন্যাসটা গড়ে উঠেছে এমন এক সময়কে কেন্দ্র করে যখন সমগ্র বিশ্ব একটি অস্থিতিশীল সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে কাহিনীর সূত্রপাত, গল্প এগিয়ে চলে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অধ্যায়, দেশভাগ, ইংরেজ পতনের বিপ্লব ও স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ের সাময়িক হালচাল নিয়েই। গল্পের দুটি কেন্দ্রীয় চরিত্র সূর্যকুমার ও বাদল, অস্থিতিশীল সময়ের মধ্যে বেড়ে ওঠা দুই চরিত্র। বিপ্লবী ও স্বাধীনতাকামী সূর্যের জীবনের একেরপর এক ছন্দপতন ও নানা গতিময়তা। জীবনকে অতি তাচ্ছিল্যের সাথে কাটিয়ে ইংরেজদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নির্ভীকভাবে অংশগ্রহণ, উগ্র জীবনের সাথে তাল মেলাতে না পারায় শেষ অবধি ঘটে যাওয়া আকস্মিক ঘটনা নিয়ে বেশ অন্যরকম একটা চরিত্র সৃষ্টি করেছেন লেখক। অন্যদিকে বাদলের জীবনটা আদতে বেশ সহজ সাধারণ হলেও গল্পের মোড়ে মোড়ে দেখা যায় বাদলের শিশু থেকে বেড়ে ওঠা, বেড়ে ওঠার আবহ টা সূর্য থেকে একদম ভিন্ন। কেন যেন মনে হয়েছে লেখক বাদল চরিত্রটি ঠিক হয়তো নিজেকে ভেবেই তৈরি করেছেন , গল্প লিখেছেন বাদলের জবানীতেই। বৃহৎ কলেবরের এই উপন্যাসে অসংখ্য চরিত্রের দেখা মেলে, সেই সাথে উপন্যাসের পাতায় পাতায় মানুষের সমাজজীবন, ভারত উপমহাদেশের ইতিহাসে ঘটে যাওয়া বিচ্ছিন্ন ঘটনা, গভীর প্রেম ও বিচ্ছেদের দহন, মৃত্যুর মিছিল সবকিছু মিলেই বেশ সুন্দর এক সৃষ্টি। বইটি ঐতিহাসিক পটভূমি আদলে সৃষ্টি হলেও ইতিহাসের বিবরণ বেশ কমই আছে বলতে হবে। মূলত দেশের অস্থিতিশিল সময়ে চরিত্রগুলোর জন্ম মৃত্যু ,চিন্তা চেতনা, ভাবাবেগ, দেশপ্রেম ও দেশপ্রেমের আদলে ঘটতে থাকা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সমাচার। ব্যক্তিগতভাবে সুনীলের লেখা আমার কাছে জাদুর মত মনে হয়। চোখের পলকে পাতার পর পাতা পড়া হয়ে যায়। এতটাই সাবলীল সেই সাথে গভীর। বইয়ে যুদ্ধ হাঙ্গামা, হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা, স্বাধীনতা অর্জন, দেশভাগ, ভয়ঙ্কর দুর্ভিক্ষ সবকিছুকে ছাপিয়ে বেশ কিছু কঠিন বাস্তবতা উঠে এসেছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে কিছু স্বার্থ কেন্দ্রিক মানুষের আখের গোছানো ও আধিপত্য বিস্তার, ঘুষের প্রচলন, সাধারণ মানুষকে দেয়া নৈরাশ্যে নিয়ে লেখক কলম তুলেছেন কাল্পনিক ঘটনার মাধ্যমে। বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে মানুষে মানুষে কতটা পার্থক্য হতে পারে বইটি পড়লে বোঝা যায়। অসময় চিনিয়ে দেয় সময়কে । প্রত্যেকটি চরিত্র যেন নির্ধারিত ছিল মানুষ চেনাবার উদ্দেশ্যেই। এত বড় পরিসরের বই নিয়ে বলে শেষ করা সম্ভব নয়। প্রচুর দারুণ কিছু ডায়লগ ডেলিভারি আছে বইতে , একদম মন ছুঁয়ে যায়। ঐতিহাসিক এসপেক্ট ছাড়া সামাজিক জীবন, রোম্যান্টিক এস্পেক্ট থেকে ভাবলেও বইটি এতটাই চমৎকার যে শুধুমাত্র লিখে বোঝানো অসম্ভব। আগে একটা সময় চিন্তা করতাম সুনীলের এই রকম ভারী ভারী উপন্যাস কীভাবে পড়া সম্ভব! আর এখন সুনীলের লেখার মায়ায় পড়েছি । সবকিছু মিলিয়ে বইটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_বুক_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের ফ্ল্যাপ থেকে আমরা জানতে পারি, উপন্যাসের শুরু হয়েছে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের দু-এক বছর আগে। যবনিকা তখন কম্পমান; অচিরেই শুরু হবে বিস্ফোরণ ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের চুড়ান্ত অধ্যায়, বিয়াল্লিশের আগস্ট আন্দোলন, পূর্বপ্রাচ্যে মিত্রশক্তি বাহিনীর পতন, অসম-পূর্ববঙ্গ ছেড়ে ইংরেজ সরকারের পশ্চাদপসরণের পরিকল্পনা- এই সব সময়ের মধ্যে বড় হয়ে উঠছে দুজন কিশোর। একজনের নাম বাদল, আর একজন সূর্য। একজনের ভূমিকা দর্শকের, সে কোনও কিছুর সংগেই নিজেকে মেলাতে পারেনা। আর অন্যজন দুর্দান্ত ও উগ্র, সে আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়তেও ভয় পায়না। তারা একের পর এক পার হয়ে আসে দুর্ভিক্ষ, ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম দাঙ্গা এবং ভারতবিভাগের পর স্বাধীনতা। ৬২৬ পৃষ্ঠার বিশাল এক উপন্যাস, তাই শুরুতে একটু ভয় পেয়েছিলাম! যাইহোক তারপর শুরু করলাম.................আর শেষ করলাম। সাধারনত এরকম বিশাল বই পড়া শুরু করলে সেটার মাঝে অন্য ছোটখাটো বইও পড়ি, কিন্তু এবেলায় তা আর করিনি, আসলে করতে পারিনি। কারণ বইটা খুবই এঙ্গেজিং ছিল। উপন্যাসের প্রধান চরিত্র গুলো হলো; বাদল, সূর্য, বড়বাবু, রেণু, দীপ্তি। এছাড়া আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ ছোট চরিত্র আছে। Character Development এর ধারনাই পাল্টে গেছে বইটা পড়ার পরে। একদম পারফেক্ট যাকে বলে। আজ পর্যন্ত অনেক উপন্যাস পড়েছি কিন্তু এতো গুছানো চরিত্রের ক্রমবিকাশ পাইনি। সূর্য চরিত্রটা আমার কাছে সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং লেগেছে, পুরোটা উপন্যাস জুড়েই আনপ্রেডিক্টটেবল ছিল চরিত্রটা। সূর্যের জন্ম থেকে শুরু করে উপন্যাসের শেষ পর্যন্ত একটুর জন্যও সূর্যকে বোরিং লাগার সুযোগ নেই। যদিও কথাটা অন্য প্রধান চরিত্র গুলোর ক্ষেত্রেও বলা যায় তবে সূর্য একদম ব্যতিক্রম। কাহিনী নিয়ে বলতে গেলে উপন্যাসে লেখক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, ভারতভাগের সময়টার বর্ণনা দিয়েছে। যে অধ্যায় গুলোতে লেখক বর্ণনা করছিলেন, মনে হচ্ছিল যেন চোখের সামনেই সবটা ঘটছে। অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ইমেজ গুলো আমাদের সামনে নিয়ে এসেছেন লেখক। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধএর সময় আমাদের এ উপমহাদেশের অবস্থা আর ভারতভাগের আগের সময়টার বর্ণনা আমাকে বিশেষভাবে আকৃষ্ট করেছে। বিশেষ করে স্বাধীনতা পরবর্তী দেশের অবস্থা সম্পর্কে লেখকের মুল্যায়ন একটা অনেক বড় ভাবনার খোরাক। যেহেতু দুই কিশোরের বেড়ে ওঠার সময়টা নিয়ে উপন্যাস তাই বাস্তবসম্মত ভাবে তাদের জৈবিক ঘটনাগুলোর উপস্থাপন উপন্যাসটিকে আরো বাস্তবের কাছে নিয়ে গেছে যা একজন পাঠক হিসেবে আমি appreciate করি। আরো একটা ব্যাপার আমার ভালো লেগেছে সেটা হলো, চরিত্রগুলোর অর্ন্তদন্দ্ব আর তাদের সাইকোলজি। সূর্য আর বাদলের চরিত্রের ব্যাপক পার্থক্য এবং বড়বাবুর সাথে তার ভাইদের চরিত্রের বিরাট তফাৎ উপন্যাসটাকে সবসময় গতিশীল রেখেছে শুরু থেকে শেষ পৃষ্ঠা পর্যন্ত। অনেক বড় উপন্যাস বলে বইয়ে অনেক details আছে। যারা details পড়তে ভালোবাসে তাদের জন্য বইটা খুবই উপভোগ্য হবে আর যারা details পড়তে পছন্দ করেননা তারা কিছু কিছু চ্যাপ্টার বাদ দিয়েও পড়তে পারবেন, সমস্যা হবেনা। বইটা শেষ করে সুনীল বাবুর আরো বই হাতে নেবার অপেক্ষায় আছি। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের অন্য বইগুলোর তুলনায় এই বই নিয়ে আলোচনা কম, তবে আমার কাছে 'একা এবং কয়েকজন' লেখকের সেরা লেখাগুলোর একটা। বই - একা এবং কয়েকজন লেখা - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় জনরা - উপন্যাস রিভিউ - রাফিউল লিছিল তালুকদার পারসোনাল রেটিং - ১০/১০
Was this review helpful to you?
or
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের চূড়ান্ত অধ্যায়, বিয়াল্লিশের অগাস্ট আন্দোলন, অসম পূর্ববঙ্গ ছেড়ে ইংরেজ সরকারের পশ্চাদপসারণের সেই উত্তাল পটভূমিকায় লেখা উপন্যাস। সেই সময়, প্রথম আলো, পূর্ব-পশ্চিম এই ত্রয়ী উপন্যাসগুলো পড়ে যে মজা পেয়েছি তা সেই রোমাঞ্চকর আনন্দ পেয়েছি এই বইটিতে।
Was this review helpful to you?
or
এই উপন্যাসের শুরু হয়েছে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের দু-এক বছর আগে। যবনিকা তখন কম্পমান; অচিরেই শুরু হবে বিস্ফোরণ। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের চূড়ান্ত অধ্যায়, বিয়াল্লিশের আগস্ট আন্দোলন, পূর্বপ্রাচ্যে মিত্রশক্তি বাহিনীর পতন, অসম-পূর্ববঙ্গ ছেড়ে ইংরেজ সরকারের পশ্চাদপসরণের পরিকল্পনা- এই সব সময়ের মধ্যে বড় হয়ে উঠছে দুজন কিশাের। একজনের ভূমিকা দর্শকের, সে কোনও কিছুর সঙ্গেই নিজেকে মেলাতে পারে না। আর অন্যজন দুর্দান্ত ও উগ্র, সে আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়তেও ভয় পায় না। তারা পরের পর পার হয়ে আসে দুর্ভিক্ষ, ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম দাঙ্গা এবং ভারতবিভাগের পর স্বাধীনতা। এই উপন্যাসে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সেই তরঙ্গ-উত্তাল ঐতিহাসিক পটভূমিকাটিই শুধু চিত্রিত করেননি, তিনি সৃষ্টি করেছেন জীবন্ত মানুষের এক বিরাট মিছিল- কামনা-বাসনা, হৃদয়জ্বালা ও মৃত্যু সত্ত্বেও যারা পটভূমিকার চেয়েও বিশাল হয়ে ওঠে।
Was this review helpful to you?
or
চিরকালই সুনীলের মতই সুনীল তাঁর একা এবং কয়েকজন উপন্যাসটি। মন্ত্রমুগ্ধের মত পড়তেই হয়, কিছু বই থাকে যা পড়ার পরেও মনে হবে আপনি সেই ঘোর থেকে বের হতে পারেন নি। বইটি তেমনই এক সৃষ্টি। ❤
Was this review helpful to you?
or
অনেক ভাল একটা বই
Was this review helpful to you?
or
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় - বাঙলাভাষী এই সাহিত্যিক একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, সম্পাদক, সাংবাদিক ।একই সঙ্গে তিনি আধুনিক ও রোমান্টিক । তার লিখা এই দ্বিতীয় বই পড়লাম , এর প্রথমে 'সোনালি - দুঃখ' পড়েছি । আমার মতে তার লিখা কবিতা গুলোর জন্যই তিনি অধিক জনপ্রিয় । "একা এবং কয়েকজন" হচ্ছে উপন্যাস , যা দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের কয়েক বছর আগে থেকে শুরু করে ভারত মহাদেশের স্বাধীনতা অব্যবহিত কয়েক বছর পর পর্যন্ত যে পরিস্থিতি পার হয়েছে সেই সময়টা প্রকাশ করেছে ; এক পক্ষ সুবিধা ভোগের আশায় তারা হিন্দু মুসলমান এর মাঝে মারামারি - কাটাকাটি সূচনা করে দেয় এবং হুজুগে সাধারণ মানুষ গুলো মারামারি করে অকালে প্রাণ ত্যাগ করে কিন্তু ক্ষমতাধরদের কিছু আসে যায় না , তারা তাদের সুবিধা নিয়েই থাকে । ব্রিটিশ শাসন বিরুদ্ধে যখন মানুষ সোচ্চার হয়ে উঠেছিল তখন এই সম্পূর্ণ ভারত বর্ষের নাজেহাল অবস্থা বর্ণনা করেছেন এখানে। প্রধান দুটি চরিত্র রয়েছে উপন্যাসে , ঔপন্যাসিক 'বাদল' নামক চরিত্রের দৃষ্টিকোণ থেকে লিখেছেন । বিধবা বিবাহ প্রচলন আর বাল্য বিবাহ বন্ধ এসব এই সময়ই শুরু হয়েছিল । দেশ প্রেম , দেশের জন্য জীবন বাজী রেখে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পরা এবং কোন কিছুর তওয়াক্কা না করে জেলে বসে অনশন করা সব যেন এক ঘোরের মধ্যে থেকে করা হয় অর্থাৎ যখন দেশের জন্য লড়াই করতে হয় তখন যে আর কিছু নিয়ে মাথা ঘামানো যায় না তা এই উপন্যাসে স্যার সুন্দর করে বলেছেন । যারা আন্দোলন চলাকালীন সময় মৃত্যু বরণ করে তাদের সবাই মনে রাখে কিন্তু তাদের সাথি যারা এতো মৃত্যুর সাক্ষী হয়ে বেঁচে থাকে তাদের কেউ খোঁজ রাখে না, তারা ধীরে ধীরে কালের গর্ভে হারিয়ে যায় এবং দেশের ক্ষমতায় বসে কিছু লোভী মানুষ । সরকারি চাকুরীজীবীদের ঘুষ খাওয়ার চল এবং চাকরী পাওয়ার জন্য ঘুষ খাওয়ানোর প্রবণতা ব্রিটিশ আমলেই শুরু হয়েছিল , তারা চলে যাওয়ার পরও এসব নোংরা গুণ যে আমরা আঁকড়ে ধরে রেখেছি সেটাই খুব হাস্যকর। কর্মহীন একটা মানুষ তার সংসার জীবনে কতোটা অবহেলিত হয় আত তাকে কতো সংগ্রাম করে বাঁচতে হয় তা এই উপন্যাসের এক চরিত্রে প্রকাশ পেয়েছে ; নিজের দায়িত্ব যে অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হয় এবং এই দায়িত্ব বোধ টা নিজেই তইরী করে নিতে হয় তা 'সূর্য' নামক চরিত্র খুব ভালো ভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে ।টাকা - পয়সা বা ধন - দৌলত কিংবা সম্পতি এসব প্রয়োজন সুন্দর ভাবে এই পৃথিবীতে চলার জন্য কিন্তু বেঁচে থাকার জন্য এসব না এবং পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য এক ভালোবাসা -মায়ার টান লাগে যে টানে প্রতিদিন বেঁচে থাকার নতুন আশা জাগবে মনে আর এ টান ছাড়া এ জীবন কিছুই না - এই সত্য গুলোই প্রকাশ পেয়েছে বড়বাবু আর তার ছেলের চরিত্রে । পরিশেষে বলা যায় সেই প্রবাদ বাক্য 'শেষ ভালো যার সব ভালো তার' ; সবাই মানুষ কিন্তু কতো তফাৎ দেখা যায় এক একটা মানুষে এবং যাকে সাথে নিয়ে বাঁচার ইচ্ছে সে পাশে থাকলে জীবন কেমন হয় আর না থাকলে কেমন হয় তা বুঝা যায় এই উপন্যাসের শেষটায় । বলতে গেলে অনেক কিছুই বলা যায় কারণ বড় বই সম্পর্কে কোনটা রেখে কোনটা বলবো তা ঠিক করা যায় না । আমি এই 'একা এবং কয়েকজন' উপন্যাস অনেকটা মন্ত্র মুগ্ধ হয়ে পড়েছি , বড়বাবু'র চরিত্র আমার কাছে ভালো লেগেছে আর নায়কের কথা বলার কিছুই নেই ; বই তো মুগ্ধ হয়ে পড়ার কিছুই কিন্তু "সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়" স্যার এর এই বইটা পড়ার সময় অন্য রকম এক আকর্ষণ বোধ করেছি , এক বার পড়ে শেষ করে আবার প্রথম থেকে পড়েছি ; নতুন পাঠক হিসেবে আমি এই প্রথম কোন বই পর পর দুই বার পড়লাম । সব মিলিয়ে উপন্যাস আমার কাছে বেশ চমৎকার লেগেছে বাকীটা আপনারা পড়লেই বুঝতে পারবেন ।