
User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
this book consists of 7 stories.i read all. but best story is thermometer prem. what a twisting story it was!!
Was this review helpful to you?
or
#উপমা: “পাথর কি ভাই কাঁদতে জানে আমি বোধহয় নষ্ট পাথর কষ্টে কাঁদি পাথর হলেও প্রেমিক আমি ভুল মানবীর ভুল প্রেমে তাই প্রেমাবধি শুধুই কাঁদি ৷” (বই এর প্রস্তাবনা অংশ থেকে নেয়া) #বই_নিয়ে: এটি একটি গল্প সংকলন। মোট সাতটি ভিন্ন স্বাদের গল্প নিয়ে সাজানো বইটি। প্রতিটা গল্প নিয়ে চার পাঁচ লাইন লিখলেও বেশ বড়সড় একটা রিভিউ হয়ে যায়। আরো লিখতে ইচ্ছে ছিল। কিন্তু পাঠকের জন্য রিভিউ লিখছি, বই না। অতএব যথাসম্ভব সংযত থেকে গল্পগুলো নিয়ে একটু করে দেয়া হলো। ১ ৷৷ থার্মোমিটার প্রেম: কথকের পাশের ফ্ল্যাটে থাকে অনিক ভাই। পরিচয় সিগারেটের সুত্রে। কথক মাঝে মাঝে অতীত স্মৃতি মনে করেন। সেই দিনগুলো। নাবিলা! কথকের সাথে তার প্রেম সেই কৌশোরে। যখন অনুভুতিগুলো পরিপক্ক হয় না পুরোপুরিভাবে। এদিকে নাবিলা কথকের চেয়ে বয়সে বড়। পরিণতি অবশ্যই ছিল না। শহরের যান্ত্রিকতায় বাস করা মানুষগুলোর মাঝে একটা অবরুদ্ধ থাকার প্রবণতা থাকে। অনিক ভায়ের স্ত্রীও তেমন। কিন্তু সব কেমন যেন হয়ে যায়। আর হ্যাঁ গল্পে আছে একটা এনালগ থার্মোমিটার । আর? #মন্তব্য: বই এর বাকি গল্পের চেয়ে এটা একটু পিছিয়ে যদিও। তবে এটার শেষটা চমকপ্রদ এবং সেখানেই আসল মজা। বাক্যগুলো সহজ সরল আর সেগুলো মিলেই একটা ভালো প্লট তৈরি করেছে। রেটিং বিচারে ৪/৫ ২ ৷৷ ঈশ্বরজনিত ভুল কথক একটা মেয়েকে ভালোবেসেছিলেন। কিন্তু মেয়েটা বিয়ে করেছিল তাকে। একটা লুঙ্গি আর স্যান্ডো গেঞ্জী পড়া কথককে বিয়ে করে মেয়েটি। বাসর মেসের এক ঘিঞ্জি ঘরে। তবুও আশা ছিল! আশা! বলে না মিথ্যে আশা কুহকিনী! গল্পটাও তেমন। বর্তমান বাজারে চাকরি ঠিক কি তা সবার জানা । কথক সেই সোনার হরিণের পেছনে ছুটেছেন আর তার বেগম নিজেকে বিলিয়ে দিচ্ছিলেন সংসারের অলি গলিতে! সেই দারিদ্র, অভাব তার কি শেষ হয় না? হয়ত হয়। কিন্তু প্রকৃতি বড়ই নিষ্ঠুর। সাম্য রাখতে চায়। তার মুল্যও কম না! #মন্তব্য: আমার খুব পছন্দের একটা বই সুনীলের "জীবনীর দুই রকম খসড়া" হেম! এই গল্পটা সেই বই এর মতো না। তবুও কেন টানছি? সুনীল বাবুর বইটা আমার প্রিয় হবার কারণ পরিস্থিতির দ্বৈততা। এই গল্পটাও তেমনি। তবে এই গল্পের ভাষাগত দিকটা আরেকটু নজরে রাখা উচিত ছিল। রেটিং (৩.৫/৫) ৩ ৷৷ হিমুবিন্দ রুপা "এমনকি হতে পারে না, হুমায়ূন স্যার তার জীবনের সব পূণ্যের দোহাই দিয়ে একটা দিন বৃষ্টি বিলাসের জন্য পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন?" গল্পটা এক অদ্ভুত হিমুর, রুপার আর প্রকাশক নাজমুস হুদার। আর গল্পটা হুমায়ূন আহমেদেরও। মনে হয় ওই একটা লাইন গল্পের আকর্ষণ কাড়ার জন্য যথেষ্ট। আর কিছু বলছি না! । #মন্তব্য: গল্পটা পড়ে আমার বুকটা কেমন করে ওঠল। আহা! সেই রুপা আর হিমু! পড়ছি পড়ছি আর বিস্মিত হচ্ছি। গল্পটা এই বই এর আমার সবচেয়ে প্রিয় গল্প আবার সবচেয়ে বাজে লাগা গল্প। লেখক সাহেব শেষে একটু খোলাসা করতে গিয়ে বিরক্তি ধরিয়ে দিয়েছেন। কি হতো বাপু ওই কটা লাইন না দিলে? কি হত পরিশিষ্ট না থাকলে? খুবই খারাপ। আর প্রিয় গল্পে রেটিং করব না। আর গল্পের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল "হুমায়ূন" স্যারের নামের বানানটা ভুল পুরো গল্প জুড়ে! ৪ ৷৷ র ্যাপিং পেপারের গল্প: ডিমার্টমেন্টের সবচেয়ে সুন্দরী মেয়ে মারজান মেসেজ করে সকালে দেখা করতে বলে ৷ জানেন তো হলের ব্যাপারগুলো। প্রেমঘটিত কিছু মানেই হলময় উৎসব লেগে যায়। আর তাি হলো। এদিকে হাল যুগের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পুরো দেশময় খবরটা ছড়িযে দিল। কিন্তু হায়! সেটা যে ছিল এপ্রিলের ১ তারিখ। এপ্রিল ফুল ডে! এভাবে বোকা বনে যাওয়া অযৌক্তিক, অতএব আরেকটা প্ল্যান! শেষে কি হলো? #মন্তব্য: বেশ মজার একটা গল্প ছিল। কিন্তু শেষটা কেমন হতে পারে তা প্রেডিক্টেড ছিল। তবে বর্ণনা ছিল অনবদ্য। রেটিং বিচারে ৩.৭৫/৫ ৫ ৷৷ প্রিয়তীর ফিরে আসা "ভালোবাসার দাবিতে অনশন!" কেমন অদ্ভুত না? গল্পের হিরো মানে আমাদের স্পন্দন বেচারা এই সমস্যাতে ভুগছে। প্রিয়তী নামের মেয়েটার সাথে তার সম্পর্ক ফেসবুকে। কিন্তু হালযুগের ডিজিটাল প্রেমের লহ্মণরেখা পার করে বিয়ে করতে প্রিয়তী পাড়ি দেয় স্পন্দনের বাড়িতে। সেখানে বসে পড়ে আমরন অনশনে। এদিকে জাঁদরেল মা আর বাইরে উৎসুক পাবলিক। বেচারা স্পন্দনের কি হবে.? #মন্তব্য : পড়ে বেশ মজা পেলাম। হুমায়ূন আহমেদের #রুপা ছোটগল্পে এরকম প্রেমের দাবিতে অনশনের একটা বর্ননা পেয়েছিলাম। দুটিই আমার বিশেষ পছন্দ হয়েছে। এই গল্পের লেখক সাহেবের বলার ভাষা মাশাল্লাহ, বেশ ভালো । রেটিং (৪.২৫/৫) ৬ ৷৷ রাজবাড়ীর রহস্য সুব্রত আর নাইম। দুই মানিকজোড় পেপার কাটিং দেখে চলে গেল রাজবাড়ীতে। সেখানে নাকি এক অন্ধবাবা আছে। যে কিনা সর্বরোগ সারাতে পারেন। এদিকে আছেন নুরজাহান আপা আর কদম আলী। বংশের ইতিহাস মোনে দুই বন্ধুর আগ্রহ বাড়ল। খতিয়ে দেখে পেয়ে গেল রহস্য। তবে কি অন্ধবাবা ভন্ড? আর কিভাবেই বা সন্তান উৎপাদনে অক্ষম পুরুষের স্ত্রীরা গর্ভবতী হচ্ছেন? #মন্তব্য: গোয়েন্দা গল্প! বেশ একটা প্লট ফেঁদেছেন লেখক। কিন্তু গল্পের বিস্তার আরেকটু হওয়া উচিত ছিল। চরিত্রগুলো আরেকটু করে ফোকাস করলে ভালো হত। সর্বসাকুল্যে ১৫ পেইজ গোয়েন্দা গল্প হিসেবে ভালোই ছিল। রেটিং (৩.৫/৫) ৭ ৷৷ রুম নাম্বার ২০৩ আজ আর না প্লিজ,"আই এম পাসিং মাই পিরিয়ড মোমেন্ট" "আমার ভেতরটা তখন খুব জ্বলে যাচ্ছিলো। নিজেকে মানুষ ভাবার সাহস পাচ্ছিলাম না। আমি ঘড়ির দিকে তাকালাম। তিনটে পনেরো। বললাম, ঠিক আছে আপনি রেস্ট নিন,সব কিছু গুছিয়ে রাখুন। কারেক্ট চারটায় আসবো।" সমাজের সেইসব মানুষের গল্প এটা যারা বিত্তবান, নপুংসক, যারা অল্প বেতনের চাকরিজীবী। গল্পটা তার যে কিনা ভার্চুয়াল রিলেশনে জড়িয়ে পড়ে। সেই অপরুপ সুন্দরী মেয়ের। নাম অনিন্দিতা। গল্পটা সেইসব মানুষের যারা সামাজিক ব্যাধি ধর্ষনের নাম শুনে বুকের ভেতরে জ্বালা অনুভব করে, আর তার যে এই ব্যাধির হাল করতে কিছু করে দেখায়। #মন্তব্য: বইটার সবচেয়ে স্ট্রং গল্পের একটা এটি। অবশ্যই মোটিভ হিসেবে লেখক যা দেখাতে চেয়েছেন পাঠক তা বুঝবে। আর সেই বোধ থেকে আরেকটি ধর্ষক প্রবৃত্তির অপমৃত্যু হোক সেটাই কাম্য। রেটিং (৪.৫/৫) #ব্যক্তিগত_মতামতঃ- বর্তমান তরুণ লেখকদের মোটামুটি যেসব বিষয় নিয়ে লিখতে দেখা যায় তা হচ্ছে লুতুপুতু প্রেম, খুন, ধর্ষন! এসবের বাইরে যখন কথা ওঠে গল্পের পাঠকের কাছে মনে হয় ইশ! যদি ভিন্নধর্মী কিছু পেতাম। বইটির নাম গল্প আর হিমুবন্দি রুপা গল্প দুটি প্রকৃত অর্থেই যথেষ্ট ভিন্ন স্বাদের। আমি জানি না দাঁড়িকমার বইগুলোর পেইজে ঠিক কি দেয় কিন্তু পেইজগুলো থেকে একটা হালকা সুন্দর গন্ধ আসে। বারবার শুকতে মন চায়। লেখকের লেখার হাত বেশ ভালো। পড়ে মজা পাবেন। পড়ে নিতে পারেন বইটা!




