Our User Product Reviews

--------- উপমা -------- কবে তব হৃদয়ের নদী বরি নিল অসম্বৃত সুনীল জলধি! সাগর-শকুন্ত-সম উল্লাসের রবে দূর সিন্ধু-ঝটিকার নভে বাজিয়া উঠিল তব দুরন্ত যৌবন! পৃথ্বীর ভেলায় বসি কেঁদে মরে আমাদের শৃঙ্খলিত মন! ---------জীবনানন্দ দাশ আচ্ছা ফ্যামিলিতে সমস্যা তো সবারই আছে কম বেশি। কিন্তু যদি বাবার সাথে অন্য মেয়েদের স্ক্যান্ডাল নিয়ে গুজব আছে। মায়ের সাথে দুর্ব্যবহার। তাহলে সেই পরিবারের সন্তানের মানসিকতা ঠিক কি হতে পারে? সেই সমস্যাগুলো তার ব্যক্তিগত জীবনটাকে ঠিক কোনদিকে লিড করবে? ভুল নাকি ঠিক? আসুন জানি...... ---------------------- একটুখানি গল্প ---------------------- ভার্সিটি পড়ুয়া ফারজাদ বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে। বাবা প্রফেসর, ব্যাবসাো করেন,ওদিকে মা চাুরিজীবী। চাইবার মাত্রই পেয়েছে সব। কিন্তু সেই সব আসলে পুরোটা না। ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছে মা বাবার দ্বন্দ্ব, দাম্পত্য কলহ। ওদিকে বাবার সাথে মেয়েদের অবৈধ সম্পর্কের কথা। ফারজাদের খুব ইচ্ছে করে নিজের বাবাকে খুন করতে। দ কিন্তু হায় কিছুদিনের মাঝে তার মা মারা যায়। মারা যায় মানে খুন হয় আর ফারজাদ ধরেই নেয় খুনটা করেছে তার বাবা। এদিকে মায়ের বান্ধবীর মেয়ে মুনিরার সাথে বিয়ে হয়ে যায় ফারজাদের। মুনিরা মেয়েটা খুব সারল্য আপন করে নেয় পরিবারটাকে। নিজের মত করে আগলে রাখতে চায় সে পরিবারটাকে। কিন্তু এদিকে তার বাবা মুনিরার সাথে সম্পর্ক করতে চায়। মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে ফারজাদ। খুন করতে বদ্ধপরিকর সে। গল্পটা এখানে এসে মোড় ঘুরে যায়। ফারজাদ ভাড়া করে শহরের কুখ্যাত খুনি হুগোকে তার নিজের বাবাকে খুন করানোর জন্যে। আর ঠিক সেভাবে যেভাবে তার মাকে খুন করা হয়েছিল। তারপর গল্পটা এগিয়েছে দ্রুতগতিতে। শেষটা কোথায়? ---------------- প্রতিক্রিয়া ---------------- লেখকের প্রথম বই এটি। সে হিসেবে যথেষ্ট ভালো ছিল। ভাষাগত দিকটা যথেষ্ট সাবলীল ছিল। বাক্যগুলো সহজ সরল। সব মিলিয়ে দারুণ একটা বই। ক্লাইমেক্সে গিয়ে লেখক বেশ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। চরিত্রের দ্বৈততা ভালো ছিল। পরিণতিটা ভালো। মুল কথা অতিবর্ণনা বইটাকে দুষিত করেনি কখনো। বইটার শুরুটা যেরকম স্মুথ ছিল, শেষটা ততোটা লাগেনি। শেষদিকে মনে হয়েছে লেখক কিছুটা টেনে শেষ কর দিলেন। আরেকটু বর্ণনার প্রয়োজন ছিল। আরেকটু বিস্তার হলে ভালো লাগত। চরিত্রগুলো আরো ভালো করা যেত। নাফিসা চরিত্রটা একটা বিরক্তি ছিল। এহেম কথা প্রথম বই হিসেবে ভালো ছিল। তবে এই ভালোটাকে আরো ভালো করার সক্ষমতা লেখকের আছে লেখাটাই তার প্রমাণ দেয়।