User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_জানুয়ারি রিভিউ নংঃ২১ বই:অতীন্দ্রিয়া লেখক: ক্যামেলিয়া রওনক ধরন: উপন্যাসিকা ঘরানা: অতিপ্রাকৃত রোমান্টিক প্রকাশনী: দাঁড়িকমা প্রকাশনী মলাট মূল্য : ১৫০টাকা লেখক পরিচিতিঃ জন্ম বরিশাল, বেড়ে ওঠে ঢাকায়। কলেজের গন্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত আছে। পড়তে ভালোবাসেন।ছোট থেকেই গল্পে র বই নেশার মতো ছিলো জীবনে অনেক বই পড়েছেন। লেখিকার জগতে হুট করেই চলে আসা। কল্পনায় চরিত্র নিয়ে খেলতে ভালোবাসেন। সেগুলোই গল্প উপন্যাস হিসেবে সৃষ্টি হতে থাকে। কাহিনী সংক্ষেপেঃ বদলি হয়ে নতুন হাসপাতালে আসতেই দেখলো বাগানে একটা মেয়ে একজনের কাঁটা জায়গায় ব্যান্ডেজ করে দিচ্ছে। ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে রইল ডাঃ অভ্র। জানতে পারল মেয়েটির মানসিক সমস্যা আছে এবং এক সময় মেয়েটিও ডাক্তার ছিল! মেয়েটির নাম অতীন্দ্রিয়া। অতীন্দ্রিয়ার প্রিয় ফুল বেলী। এক রাতের বেলা অতীন্দ্রিয়া বারান্দায় বসে। বেশ কিছুক্ষণ পর সে বেলীফুলের ঘ্রাণ পেল। কিন্তু সকাল বেলা বাসার দারোয়ান কে বলল “চাচা বেলীফুল গাছ কি আমাদের ফ্লাটে আছে? দারোয়ান বলল না এই বাসায় কেন বাসার আশেপাশেও বেলীফুল গাছ নেই। অতীন্দ্রিয়া অবাক হলো এই কথা শুনে। হঠাৎ অন্য আর একদিন বারান্দায় গিয়ে অতিন্দ্রিয়া একটি আঁকা কাগজ পায় আর তাতে, একটি মেয়েকে বাচ্চা জড়িয়ে ধরেছে আর একজন লোক মেয়েটির মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু সবার চেহারা স্পষ্ট হলেও মেয়েটার চেহারা অস্পষ্ট। চেহারা অস্পষ্ট হলেও মেয়েটা যে অতীন্দ্রিয়া নিজেই তা বুঝতে বাকি রইলো না। ছবিটা বুকে জড়িয়ে ধরে প্রশান্তির হাসি ফুটে উঠলো অতীন্দ্রিয়ার ঠোঁটে কোণে।” ডায়েরির কাগজগুলো সাদা। তাতে স্পষ্ট করে কথাগুলো লেখা। কোথাও কোনো একটাবারের জন্য কাটা নেই। খুব যত্ন করে রাতের পর রাত পার করে হয়তো লিখেছে। একটা ডায়েরিতে এভাবে অনুভূতি প্রকাশ করা যায়! বুঝাই যাচ্ছে ডায়েরিটাকে মেয়েটা বন্ধু ভাবতো। ঠিক যেভাবে বন্ধুকে সব বলা যায় তেমনই ছিলো ডায়েরিটা অতীন্দ্রিয়ার। কিন্তু জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠল কিছু আঁকা ছবি। সেই ছবির জন্যেই কি মানসিক হাসপাতালে অতীন্দ্রিয়া? কিই বা আঁকা হতো সেই কাগজে? কিসের ইংগিত থাকতো আধো কি তা জানতে পেরেছিলো অন্যরা? কেন পেত শুধু অতীন্দ্রিয়া বেলীফুলের ঘ্রাণ? আর শুধু অতীন্দ্রিয়া ছবি আঁকা দেখতো অন্যরা সাদা কাগজ কেন দেখতে পেত? অপরদিকে অতীন্দ্রিয়ার ক্লাসমেট কলেজের সব মেয়েদের ক্রাশ অরিদ্র অনেক আগে থেকেই পছন্দ করে অতীন্দ্রিয়াকে।ভালোমন্দ, বিপদেআপদে সব সময় অতীন্দ্রিয়ার পাশে থাকে অরিদ্র।এইসব কিছু ডায়েরি পরে জানতে পারলেও অতীন্দ্রিয়া আসলে কাকে ভালোবাসতো??অতীন্দ্রিয়ার জগত মাঝারে কেই বা বিচরণ করছিল যাকে না দেখা স্বত্বেও অস্তিত্বের অনুভূতিতে শুধু সেই ছিল?? তাছাড়া অরিদ্র আর চিত্রকর কি একই মানুষ ছিল কিনা??এবং অতীন্দ্রিয়ার মানসিক বিপর্যয়ের কারণই বা কি?? এইরকম অনেকগুলো প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাচ্ছিলো না অতীন্দ্রিয়ার চিকিৎসক বিখ্যাত সাইক্রিয়াট্রিস্ট ডাঃঅভ্র। জানতে হলে অবশ্যই ক্যামেলিয়া রওনক অতীন্দ্রিয়া পড়তে হবে। পাঠ্য প্রতিক্রিয়াঃ অতিন্দ্রীয়ার লেখিকা নবীন, নতুনদের পাঠবোধের ছায়া পাওয়া যায় প্রথম এক দুই বইয়ে। অতিন্দ্রীয়া তেমনই একটি বই। অতিপ্রাকৃত গল্প নিয়ে যুক্তি তর্ক আওড়ানো দায়, লেখিকা চেষ্টা করেছেন তরুন পাঠকদের ছুঁয়ে দিতে সেটা বোঝা যায়।পুরো বইটাই ভীষণ ভালো লাগার তার মাঝে প্রিয় কিছু লাইন। ১.মানব মস্তিষ্ক বড় অদ্ভুত।অপ্রয়োজনীয় কথাই বসবাস করে সমগ্র মস্তিষ্কে অযথাই। ২.ভালোবাসার জিনিসকে কি বিক্রি করা যায়,না কি যায় প্রদর্শনীর পাত্র করা?তা শুধু একান্তে নিজেকেই অনুভব করতে হয়। ৩.মানুষ জানেনা প্রকৃতি তাকে সবসময় কথা রাখতে দেয় না। ৪.প্রকৃতি সবসময় ছাড় দেয় না।কখন সে নিষ্ঠুর রুপ ধারণ করে তা মানুষের বোঝা অসাধ্য। ৫.তুমি তোমার অস্তিত্বেই পাবে তোমার আকাঙ্ক্ষা।