User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামঃ- অমৃতের পুত্রকন্যা লেখকঃ- সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় পর্যালোচনাঃ- উপন্যাসটিতে আমরা দেখতে পাই, পৃথিবী ধ্বংস হয়ে গেলে বা বিশাল ক্ষমতাসম্পন্ন বোমার আগাতে পৃথিবী ক্ষযপ্রাপ্ত হলে। কিংবা মানুষের বিবর্তন কিভাবে হয়েছিল। কিভাবেই বা তারা পৃথিবীতে তাদের সংসার বেধেছিল।কিভাবে তারা আসন্ন বিপদ জয় করেছে। এরকম একটি গবেষণা করা হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। আর এজন্য কয়েকজন বিজ্ঞানী ও গবেষক চারজন সৃতিহীন মানুষকে কয়েকটি ধাপে একটি নির্জন দ্বীপে প্রেরণ করেছিলেন্ আর তাদেরকে পর্যবেক্ষন করছিলেন গবেষকদল। গবেষকদলের সাথে একজন কবিও ছিলেন।জনমানবহীন এই নির্জন দ্বীপে প্রথমত একটি তরুণকে পাঠানো হয়। সে প্রথমে ভয় পেলেও বাঁচার তাগিদে সে খাবার সংগ্রহ করা সহ নিজের আশ্রয়ের জন্য একটা ঘর বাঁধে। কয়েকদিন পর সেখানে আরো একটি কিশোরের আগমন ঘটে।কিশোরটি নির্জন দ্বীপে প্রচন্ড ভয় পায়। কিন্তু যুবকটি তাকে অভয় দিয়ে আশ্রয় দেয় ।এখন তাকে বাঁচার তাগিদে আরো বেশি খাবার সন্ধান করতে হয় এখানে তাকে হিংস্র প্রাণীর মোকাবেলাও করতে হয়।পরিবেশের বিপর্যয় সম্পর্কেও তাদের অভিজ্ঞতা হয়।তৃতীয়ত সেখানে আরো একজন তরুণীকে পাঠানো হয়।তখন সেখানে প্রয়োজনের তাগিদে খাবার,বাসস্থান ও আশ্রয়ের জন্য আরো বেশি পরিশ্রম করতে হয়।এই সময়টাতে অভিমান ,প্রেম-ভালোবাসা,নারী ও পুরুষের জৈবিক চাহিদার ব্যাপারটি পরিলক্ষিত হয়। চতুর্থত একটা দৈত্যাকৃতির একটা বিকৃত লোককে পাঠানো হলো ঐ দ্বীপে । এখন তারা চারজন। এই সময়ে দেখা জৈবিক চাহিদা মিঠানোর জন্য জন্ম নিলো হিংসা-বিদ্বেষ,হানাহানি,খুন। আর তখন ভালোবাসা ভুলে গিয়ে লোকটির বিশাল আকৃতির দেহের কাছে হেরে গিয়ে নায়িকা তথা তরুণীকে বললো ঐ লোকটিকেও ভালবাসতে। সবশেষে আমরা দেখতে পাই সমুদ্রঝড়ে যখন তাদের বানানো ঘর লন্ডভন্ড হলো তখন তারা সবাই আবার উচু পাহাড়ে আশ্রয় নিলো।প্রয়োজনের তাগিদে মানুষ নতুনত্বের জন্ম দেয় এই কথাটাই ফুঠে এসেছে পুরো বইটিতে।
Was this review helpful to you?
or
ধরুন, আপনাকে একটি জনশূন্য জায়গায় ফেলে রেখে আসা হলো। নির্জন জায়গা, মানুষ নেই। আছে জন্তু, পশু। সেই পরিবেশকে আপনি নিজেকে বাঁচানোর জন্য কি করবেন? খাবার খুঁজবেন? সঙ্গী খুঁজবেন? লড়বেন জন্তু-পশুদের সাথে? ধরুন, এরপর আগে দ্বিতীয় একজন লোক এলো। একদল গবেষনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘অমৃতের পুত্রকন্যা’ বইটি এক অনন্য সৃষ্টি। পাতার প্রতিটি ভাঁজে ভাঁজে দুর্দান্তপনা আর রহস্যের হাতছানি। ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্র সৃষ্টি করে তিনি সর্বজনীন খ্যাতি পেয়েছেন, পেয়েছেন পাঠকদের সমাদার। ধীরে ধীরে চলতে থাকা সময়টায় একসময় তখন পুরুষ আর নারীর মধ্যে সৃষ্টি হলো অভিমান, প্রেম-ভালোবাসা আর আদিম কালের সেই আদিমত্তা। পরিলক্ষিত হলো নারী ও পুরুষের জৈবিক চাহিদা, এক সময়ে সেখানে নিজেদের জৈবিক চাহিদা মেটানোর জন্য জন্ম নিলো হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানি, মারামারি আর খুনাখুনি! ভালোবাসা ভুলে গিয়ে যখন সর্বশেষে আসা বিশাল আকৃতির এক লোক যখন নিজেদের কাছে হেরে গেলো, তখন পুরোটা যেন এক নতুন করে রূপ নিলো। জন্ম নিলো এক অ্যাখানের ও উপ্যাখানের। সৃষ্টি হলো এক গাঁথা, অমৃতের গাঁথা! প্রয়োজনের তাগিদে মানুষ নতুনত্বের জন্ম দেয়, প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে যে তা মূল্যহীন হয়ে যায়, আমাদের প্রিয় লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সেটি এঁকে তুলেছেন পুরো বইটিতে। প্রতিটি সাহিত্যদের প্রেমীদেরকে, বইপ্রেমীদেরকে এবং বিশেষ করে যারা ‘থ্রিল বা চমক’ পেতে ভালোবাসেন, তাদের সবাইকে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের এই অনবদ্য বইটি পড়ার সাদর আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। কথা দিচ্ছে, হতাশ হবেন না, বিরক্তও হবেন না।
Was this review helpful to you?
or
'অমৃতের পুত্রকন্যা' উপন্যাসটি বিখ্যাত উপন্যাসিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় কর্তৃক রচিত হয়েছে। পৃথিবী ধ্বংস হয়ে গেলে বা বিশাল ক্ষমতাসম্পন্ন বোমার আগাতে পৃথিবী ক্ষয়প্রাপ্ত হলে কি হবে? মানুষের বিবর্তন কিভাবে হয়েছিল? কিভাবে ই বা তারা পৃথিবীতে তাদের সংসার বেঁধেছিল?কিভাবে তারা আসন্ন বিপদ জয় করেছে? এসব প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য কয়েকজন বিজ্ঞানী ও গবেষক চারজন স্মৃতিহীন মানুষকে কয়েকটি ধাপে একটি নির্জন দ্বীপে প্রেরণ করেছিলেন আর তাদেরকে পর্যবেক্ষন করছিলেন গবেষকদল।আর এভাবে শুরু হয় উপন্যাসটি।ধীরে ধীরে চলতে থাকা সময়টায় একসময় তখন পুরুষ আর নারীর মধ্যে সৃষ্টি হলো অভিমান, প্রেম-ভালোবাসা আর আদিম কালের সেই আদিমত্তা। পরিলক্ষিত হলো নারী ও পুরুষের জৈবিক চাহিদা, এক সময়ে সেখানে নিজেদের জৈবিক চাহিদা মেটানোর জন্য জন্ম নিলো হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানি, মারামারি আর খুনাখুনি। ভালোবাসা ভুলে গিয়ে যখন সর্বশেষে আসা বিশাল আকৃতির এক লোক যখন নিজেদের কাছে হেরে গেলো, তখন পুরোটা যেন এক নতুন করে রূপ নিলো।জন্ম নিলো এক অ্যাখানের ও উপ্যাখানের। সৃষ্টি হলো এক গাঁথা, অমৃতের গাঁথা! প্রয়োজনের তাগিদে মানুষ নতুনত্বের জন্ম দেয়, প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে যে তা মূল্যহীন হয়ে যায়, আমাদের প্রিয় লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সেটি এঁকে তুলেছেন পুরো বইটিতে। প্রতিটি সাহিত্যদের প্রেমীদেরকে, বইপ্রেমীদেরকে এবং বিশেষ করে যারা ‘থ্রিল' বা চমক পেতে ভালোবাসেন, তাদের সবাইকে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের এই অনবদ্য বইটি পড়ার সাদর আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।অাশা করি, হতাশ হবেন না, বিরক্তও হবেন না।
Was this review helpful to you?
or
ধরুন, আপনাকে একটি জনশূন্য জায়গায় ফেলে রেখে আসা হলো। নির্জন জায়গা, মানুষ নেই। আছে জন্তু, পশু। সেই পরিবেশকে আপনি নিজেকে বাঁচানোর জন্য কি করবেন? খাবার খুঁজবেন? সঙ্গী খুঁজবেন? লড়বেন জন্তু-পশুদের সাথে? ধরুন, এরপর আগে দ্বিতীয় একজন লোক এলো। একদল গবেষক গবেষণার কাছে আপনাকে সেখানে পাঠিয়ে এবং আপনার বেঁচে থাকা উপর তাদের গবেষণাপত্র আসবে। সঙ্গত খুঁজে পাবার জন্য তখন দ্বিতীয় একজনকে পাঠানো হলো। দুইজনে মিলে তখন বনে, জঙ্গলে শিকার করে খাবার খুঁজবেন। বেঁচে থাকার জন্য দুইজনের মধ্যে বন্ধুত্ব হবে, দুইজন একে অপরের সহযোগিতা করবেন। কিন্তু, এরপর, তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে, সেখানে একজন ‘মেয়ে’ আসলো। নারী এলো। তখন কি হবে? আপনারা কি মানুষ হয়ে থাকবেন? নাকি পশু হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বেন? প্রেম, যন্ত্রণা, সৌহার্দ্য, ক্ষোভ... এমন যা কিছু অনুভব আশ্রয় করে আমাদের বেড়ে ওঠা এবং যাপনজনিত সুখ-দুঃখগুলো। বিভিন্ন চরিত্রের মুখ আর মনের আলো-অন্ধকারে সেই অনুভবের ছবি আঁকার কঠিন দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করছে যথাসাধ্য, আমাদের জীবন। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বিংশ শতকের শেষার্ধে আবির্ভূত একজন প্রথিতযশা বাঙালি সাহিত্যিক। ২০১২ খ্রিস্টোব্দে মৃত্যুর পূর্ববর্তী চার দশক তিনি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা-ব্যক্তিত্ব হিসাবে সর্ববৈশ্বিক বাংলা ভাষা-ভাষী জনগোষ্ঠীর কাছে ব্যাপকভাবে পরিচিত ছিলেন। পৃথিবী ধ্বংস হয়ে গেলে বা বিশাল ক্ষমতাসম্পন্ন বোমার আগাতে পৃথিবী ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছিলো! কিংবা মানুষের বিবর্তন কিভাবে হয়েছিল! কিভাবে ই বা তারা পৃথিবীতে তাদের সংসার বেঁধেছিল। কিভাবে তারা আসন্ন বিপদ জয় করেছে। আর এজন্য কয়েকজন বিজ্ঞানী ও গবেষক চারজন সৃতিহীন মানুষকে কয়েকটি ধাপে একটি নির্জন দ্বীপে প্রেরণ করেছিলেন্ আর তাদেরকে পর্যবেক্ষন করছিলেন গবেষকদল। আর এভাবে শুরু হয়ে গেলো উপন্যাসটি। নিজের ব্যক্তিগত পাঠ প্রতিক্রিয়ায় বলবো যে, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘অমৃতের পুত্রকন্যা’ বইটি এক অনন্য সৃষ্টি। পাতার প্রতিটি ভাঁজে ভাঁজে দুর্দান্তপনা আর রহস্যের হাতছানি। ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্র সৃষ্টি করে তিনি সর্বজনীন খ্যাতি পেয়েছেন, পেয়েছেন পাঠকদের সমাদার। ধীরে ধীরে চলতে থাকা সময়টায় একসময় তখন পুরুষ আর নারীর মধ্যে সৃষ্টি হলো অভিমান, প্রেম-ভালোবাসা আর আদিম কালের সেই আদিমত্তা। পরিলক্ষিত হলো নারী ও পুরুষের জৈবিক চাহিদা, এক সময়ে সেখানে নিজেদের জৈবিক চাহিদা মেটানোর জন্য জন্ম নিলো হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানি, মারামারি আর খুনাখুনি! ভালোবাসা ভুলে গিয়ে যখন সর্বশেষে আসা বিশাল আকৃতির এক লোক যখন নিজেদের কাছে হেরে গেলো, তখন পুরোটা যেন এক নতুন করে রূপ নিলো। জন্ম নিলো এক অ্যাখানের ও উপ্যাখানের। সৃষ্টি হলো এক গাঁথা, অমৃতের গাঁথা! প্রয়োজনের তাগিদে মানুষ নতুনত্বের জন্ম দেয়, প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে যে তা মূল্যহীন হয়ে যায়, আমাদের প্রিয় লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সেটি এঁকে তুলেছেন পুরো বইটিতে। প্রতিটি সাহিত্যদের প্রেমীদেরকে, বইপ্রেমীদেরকে এবং বিশেষ করে যারা ‘থ্রিল বা চমক’ পেতে ভালোবাসেন, তাদের সবাইকে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের এই অনবদ্য বইটি পড়ার সাদর আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। কথা দিচ্ছে, হতাশ হবেন না, বিরক্তও হবেন না।