User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বই : অর্ধেক জীবন লেখক : সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় প্রকাশক : আনন্দ পাবলিশার্স (ভারত) প্রকাশকাল : দ্বিতীয় প্রকাশ ২০১৬ ঘরনা : সাহিত্যিক, কবি ও সংগীত ব্যক্তিত্ব পৃষ্ঠা : ৩২০ মুদ্রিত মূল্য : ৫৪০ (রকমারি মূল্য) আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় । জীবনের অধিকাংশ সময় পার করেছেন কলকাতায় । কিন্তু জন্ম পূর্ববঙ্গ অর্থাৎ হালের বাংলাদেশের ফরিদপুরে । অবিভক্ত বাংলার ফরিদপুর জেলার মহকুমা শহর মাদারিপুর , সেই শহর থেকেও বেশ দূরে অজপারাগায় উনার জন্ম । তাই কলকাতায় উনারা পরিচিত ছিলেন বাঙ্গাল বলে । পিতা ছিলেন শিক্ষক , পিতামহও ছিলেন টোলের পণ্ডিত অর্থাৎ ব্রাহ্মণ ঘরে উনার জন্ম । পিতা কলকাতা শহরে শিক্ষকতার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন শুরু করেন । গোটা পরিবার কলকাতায় এসে থিতু হয় । সুনীলও কলকাতায় বড় হতে থাকেন । একসময় উপলব্ধি করেন একসময়কার ব্রিটিশ ভারতের সর্ববৃহৎ , ইংরেজদের লন্ডনের পর ব্রিটিশ শাসিত সর্ববৃহৎ এই শহরটি স্বাধীনতা লাভের পর আর আগের মতন নেই । নষ্ট হয়ে গিয়েছে এর জৌলুস , গুরুত্ব হারিয়েছে , পেয়েছে বিমাতা সুলভ আচরণ কেন্দ্র হতে । পূর্ববঙ্গের উদ্বাস্তুদের আগমনে কলকাতা হারিয়েছে তার চিরায়ত আভিজাত্য । কলকাতায় উনার প্রেম , বড় হওয়া , কৃত্তিবাস পত্রিকার সম্পাদনা । করেছেন জীবনে সাংবাদিক্তা , এর আগে কয়েকদিন সরকারি জবও করেন । সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় দেখেছেন বিশ শতকের ব্রিটিশ রাজ , দেখেছেন দেশ ভাগের সময়কার দাঙ্গা , বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর নিজ মাতৃভূমিতে গিয়ে হয়েছেন আবেগতাড়িত । উনার পিতার শেষ দিন পর্যন্ত ইচ্ছা ছিল মাদারিপুরে গিয়ে পৈতৃক বাড়িটা দেখে আসবেন । এই সব কিছুই লেখক তুলে ধরেছেন সর্বপ্রথম 'দেশ' পত্রিকায় প্রকাশিত হউয়া ধারাবাহিকে । অর্ধেক জীবন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এর আত্মজীবনী , লেখকের ভাষায় নিবিড় অন্তর্জীবনের অনুপুঙ্খ ইতিহাসও নয় । বরং এই দুইয়ের মাঝে এক আশ্চর্য জীবনগাথা । ব্যক্তিগতভাবে এটি আমার অনেক পছন্দের বই । লেখকের জীবনের ভালো-মন্দ , খারাপ সবকিছুই তিনি আমাদের এই বই এ জানিয়েছেন । সেই সাথে ফুটিয়ে তুলেছেন ইতিহাসের কিছু খেরোখাতা । পার্সোনাল রেটিং : ৪.৫/৫
Was this review helpful to you?
or
একজন কবি,উপন্যাসিকের বৈচিত্র্যময় জীবনের কাহিনীর উপর লেখা বইটি। কবি ছোটবেলায় কোথায় কোথায় স্কুল করেছেন, বসবাস করেছেন। পাঠশালার মজার কাহিনী, বন্ধুদের নিয়ে বেড়াতে যাওয়া, ছবি দেখতে যাওয়া, প্রিয়তমাকে চিঠি লেখা--সব কিছুর খোলামেলা বর্ণনা এই বইতে পাওয়া যাবে। কবি তার জীবনে একটা পর্যায়ে কি দুর্বিষহ অর্থকষ্টে কাটিয়ে তা তিনি এই বইতে তুলে ধরেছেন। খারাপ ভালো কোন কিছুই তিনি এই বইতে বর্ণনা করতে বাদ দেন নাই। তিনি জীবনের অর্ধেকটা এখানে বর্ণনা করেছেন বলে এই বইয়ের নাম দিয়েছেন অর্ধেক জীবন। অবশ্য এরপরে তার আর আত্নজীবনী বের হই নি।
Was this review helpful to you?
or
'অর্ধেক জীবন ' সুনীলের আত্মজীবনীমুলক বই। একদম শুরু থেকে, অর্থাৎ পূর্ব বাংলার ফরিদপুরে তাঁর আদি নিবাসস্থলের স্মৃতি থেকে মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তীকাল পর্যন্ত এর বিস্তার। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর যেসব বন্ধুদের নিয়ে একসাথে সাহিত্যচর্চা শুরু করেছিলেন, যাদের অনেকেই পরবর্তীকালে বাংলা ভষার উল্লেখযোগ্য কবি এবং লেখকের মর্যাদা পান, তাদের নিয়ে কাটানো বোহেমিয়ান জীবনের কথা লিখেছেন। অগ্রজ সাহিত্যিকদের সাথে আড্ডার কথাও বিশদভাবে লিখেছেন। বেশ ভালো লেগেছে কৃত্তিবাস পত্রিকাকে ঘিরে গড়া ওঠা কবিগোষ্ঠী এবং তাদের কার্যক্রম। সুনীলের প্রথম প্রেমিকা যে অপর্ণা, তা এই বইয়ের মাধ্যমেই জানলাম। আর মার্গারিটার সাথে তার হৃদ্যতার কথা 'ছবির দেশে কবিতার দেশে ' বইয়ে বিস্তারিত লিখেছেন বিধায় এই বইয়ে খুব একটা পুনঃরুল্লেখ করেন নি। কেবল পরিচয়পর্ব এবং তারপরের কিছু স্মৃতিচারণা। তেমনিভাবেই এসেছে এলেন গিনেসবার্গ এবং অন্যান্য আমেরিকান, ফরাসী, জার্মান লেখকদের কথা। আরও যেটা জানলাম, তা হলো 'আত্মপ্রকাশ ' নয়, বরং 'যুবক যুবতীরা ' হলো সুনীলের লেখা প্রথম উপন্যাস। সাগরময় ঘোষ অনেকটা নতুন আঙ্গিকে লেখা 'যুবক যুবতীরা ' পড়ে মুগ্ধ হন এবং তারপরে এক আড্ডায় সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়কে আলাদা ডেকে নিয়ে দেশ পত্রিকার শারদীয় সংখ্যায় উপন্যাস লেখার জন্য বলেন। সেই উপন্যাসটি হলো 'আত্মপ্রকাশ '। সারাজীবন ধরে বিচিত্র সব অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন সুনীল। সেই সব অভিজ্ঞতা নানাভাবে, নিজস্ব ভাষায় তিনি তাঁর বিভিন্ন লেখায় ব্যবহার করেছেন। বিভিন্ন সম্পাদকদের তাড়ায় হোক, জীবিকা নির্বাহের জন্যই হোক আর সাহিত্যকে পবিত্রতা থেকে নামানোর জন্যই হোক, সারাজীবন ধরে সুনীল লিখেছেন প্রচুর। হয়তো সেই কারণেই তাঁর গদ্যের ভাষা অনেকটাই সরল, তথ্যমূলক এবং অলংকারবর্জিত। একটানা পড়ে যেতে সমস্যা হয় না, আবার একঘেয়েও লাগে। এই আত্মজীবনীগ্রন্থেও ভাষার সেই ভঙ্গিমাই অনুসৃত হয়েছে।