User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া প্রথম উপন্যাস। এই বই পড়েই সাহিত্যের জগতে প্রবেশ। তারপর সমরেশের কত বই কিনেছি, আহা। অসাধারণ বই।
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া একটি সেরা রোমান্টিক উপন্যাস। আমি এই বইকে ১০ য়ে ১১ দিতে বাধ্য
Was this review helpful to you?
or
অসম্ভব সুন্দর একটি বই।একটি আবেশ সৃষ্টি করে বাস্তব জীবনে।মূলত,জীবনের হঠাৎ সুর কেটে যাওয়া পরিস্থিতিতে নিজেকে সামলানোর বর্ণনা অত্যন্ত সুন্দর ও সাবালীল ভাষায় প্রকাশ পেয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
স্বপ্নাশিষ খুব ভালো ক্রিকেট খেলে । ভালো ব্যাটসম্যান হিসেবে কলকাতায় বেশ নামডাক তার । কয়েকবার পত্রিকায় নামও উঠেছিল । দেশবন্ধু পার্কে রোজ ক্রিকেট প্র্যাকটিস করে স্বপ্নাশিষ। তার একমাত্র স্বপ্ন দেশের বড় ক্রিকেটার হবে। স্বপ্নাশিষের পিতৃদেব চাননা তার মা হারা ছেলে ক্রিকেটার হোক। বড় ভাই দেবাশিষের সহযোগিতায় খেলাধূলায় বেশ কিছুটা স্বস্তি পেলেও বাবা হয়তো সে প্রশ্রয়টা দেননি কখনো। স্বপ্নাশিষের কোচ, হরিমাধব জানতেন স্বপ্নাশিষের পক্ষে হয়তবা কখনো শচীন টেন্ডুলকার কিংবা সৌরভ গাঙ্গুলী হওয়া সম্ভব না । তবুও তিনি কঠোর অনুশীলন ও পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে তৈরি করছিলেন স্বপ্নাশিষকে । একদিন হরিমাধবদাকে লুকিয়ে লুকিয়ে তার বন্ধু সুব্রতর জোরাজুরিতে শ্যামনগরে খেপ খেলতে গিয়ে নৈহাটি লোকালে চাপতেই দেখা পেলো রোদ চশমা, পরনে সালোয়ার কামিজ, হাতে মোটা বাঁধানো খাতার এক রমনীর দিকে। উদাস ভঙ্গীমার জানলার ধারে বসে বসে বাইরের দিকে তাকানো মেয়েটিকে এক নজর দেখার পরই মনে হলো, এই মেয়েটা হয়তো খুব আপন কেউ! এতোটা শান্তির মুখ, চোখ ফেরানো যায় না! ট্রেন থেকে নেমেই যে যার গন্তব্যস্থলে চলে গেলেও ভাগ্য হয়তো স্বপ্নাশিষের জন্য অন্য কিছু রেখেছিল। শ্যামনগরে মাঠে খেলার সময় হঠাৎ পাশের বাড়ির বারান্দায় দেখতে পেলো সেই মেয়েটি দাঁড়ানো! বুকে এলো সুখের আভাস। কিন্তু একটা দূর্ঘটনায় বল গিয়ে লাগল সে মেয়ের কপালে! ব্যাস ম্যাচ ডিসমিস! কিন্তু বেশ কিছুদিন পরেই দেখা হলো আবার। এবার তার বন্ধুর সাথে। একটা সময় স্বপ্নাশিষ বুঝতে পারলো যে, ক্রিকেট ছাড়াও তার আরেকটা জগৎ আছে, সে জগৎটার নাম আহির! আহির! যে নাকি নিজেও জড়িয়ে পড়ে স্বপ্নাশিষের ভালোবাসায়। প্রগাঢ় ভালোবাসা দিয়ে ভরে উঠলেও একসময় বাধা হয়ে দাঁড়ায় আহিরের বাবা। সে আহিরতে অন্যত্র বিয়ের ব্যবস্থা করার কথা বললেই স্বপ্নাশিষের ভালোবাসার টানে পেছনে ফেলে আসে জন্মান্তরের বন্ধন। কঠোর এবং স্ত্রী হারা পিতা কোনভাবেই মেনে নেন না তার ছেলে একটা মেয়েকে এভাবে তুলে এনে বিয়ে করবে। ও হ্যাঁ, ওরা কিন্তু বিয়ের প্ল্যানিং ও করেছে। কেননা সব সম্পর্কেরই একটা পবিত্র সমাপ্তি থাকে আর সেটা ওদের জন্য ছিলো বিয়ে। কিন্তু পিতৃদেব ছোট পুত্রকে ত্যাজ্য ঘোষণা করে বাসা থেকে বিতাড়িত করার পরেই আহির আর স্বপ্নাশিষের উপর নেমে আসে প্রবল ঝড়। এ সময় একেবারে আপন মায়ের মতো পাশে ছিলো স্বপ্নাশিষের দূর সম্পর্কের মাসি। তিনি আহিরকে থাকতে দেন, তাদের মেন্টালি সাপোর্ট পর্যন্ত দেন যেটা খুব খুব প্রয়োজন ছিলো তাদের। এতো কাহিনীর পর যখন স্বপ্নাশিষ আর আহির এক হয় ঠিক তখুনি নেমে আসে তাদের উপর আরেক বিপর্যয়। আহির, যাকে ছাড়া বাঁচা অনেকটা কষ্টসাধ্য সেই আহিরের ধরা পড়ে এক কঠিন রোগ। কোনরকম কষ্টে জোগানো এক চাকুরিতে কীভাবে কী করবে সে চিন্তায় আরো ভয়াবহ অবস্থার সম্মুখীন হতে হয় তাদের। শেষ পর্যন্ত কী হয়েছিলো তাদের? আহিরের কী হয়েছিলো যার জন্য আহিরের মা পর্যন্ত চলে এসেছিলো? আর এতোটা পথ হেঁটে স্বপ্নাশিষ কী পারবে আহিরের রোগ থেকে মুক্তি দিতে? নাকি মুখোমুখি হবে কঠিন বাস্তবতার? আমি সমরেশের বই পড়েছি খুব কম। তার লেখনশৈলী আমার ভীষণ পছন্দের। বিশেষ করে কলকাতার গল্প, ট্রাম বাস এসব টপিক আমার রীতিমতো ভালোবাসার জন্ম দিয়েছে। তবে তার যে কয়টা বই পড়েছি তারমধ্যে এই বইটা আমার কাছে একটু সিনেম্যাটিক লেগেছে বেশী। কেনো লেগেছে জানিনা তবে আমি গল্পটার পুরোটাই অন্য রকম আশা করেছিলাম! যারা সমরেশের লেখা ভালোবাসেন তারা হয়তো ইতিমধ্যেই বইটি পড়ে ফেলেছেন। যারা পড়েননি তারা পড়তে পারেন। আর ক্রিকেট প্রেমী হলে তো কথাই নেই! খাপে খাপ
Was this review helpful to you?
or
বুক রিভিউ: "মনের মত মন" শুধু সুন্দর বললে কম হয়ে যাবে অসাধারণ একটি গল্প। বইটির মূল চরিত্র স্বপ্নাশিষ একজন ক্রিকেটার হিসেবে অসাধারণ। প্রেমিক হিসেবে ভালো খুব ভালো, স্বামী হিসেবে ভালোবাসার কমতি রাখেনা। একজন স্ত্রী নারী হওয়ার যা যা যোগ্যতা প্রয়োজন তার সবটুকুই হারায় অহরির। স্বপ্নাশিষ ভালোবাসার কমতি ছিল না অহরিরের জন্য। সমরেশ মজুমদারের বেশিরভাগ বই আমার পড়া এ বইটির প্রতিটি লাইন অনুভব করার মতো। বইটি খুব বেশি মন ছুঁয়েছে
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_জুন রোমান্টিসিজম বলতে আপনি কি বুঝেন? আবেগমথিত অভিব্যক্তি দিয়ে বইয়ের পাতার পর পাতা ভরে রাখা হবে, তাই? তাহলে আপনার মতে ভালোবাসা জিনিসটার উৎপত্তি কোথায়? কারো মন ছুঁয়ে যাবার আগে তার প্রতি শারীরিক মোহ কাজ করে? দুঃখিত, তবে ব্যপারটা আর যাই হোক, ভালোবাসা মোটেও নয়। অর্থনীতির ভাষায় একটা কথা আছে, অপরচুনিটি কস্ট। একটি প্রিয় জিনিস পেতে আরেকটি প্রিয় জিনিসের ত্যাগ করা। বাস্তব জীবনে এই ফর্মুলা এপ্লাই করলে সম্পর্কের টানাপোড়েন কতটা সুন্দর হতে পারে! ভূমিকা না করে মূল কাহিনীতে চলে আসি... বইয়ের নাম: মনের মতো মন লেখক: সমরেশ মজুমদার প্রকাশনী: আনন্দ পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১৩৪ মূল্য: ১.৮ কনভার্সন রেটে ২৮৫/- স্বপ্নাশীষ, আপাদমস্তক ক্রিকেটে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার প্রচন্ড স্বপ্ন বুকে লালনকারী মধ্যবিত্ত এক যুবক। পিতা ও ভায়ের সঙ্গে তার সংসার। মা ছোটবয়সে মারা যাবার কারণে কাজের মাসী কেলোর মা ছাড়া অন্য কোন নারীর ছায়া মাড়ায়নি কখনো। হরিমাধবদার কাছে প্রশিক্ষণ নেয়া এই কড়া শাসনে বড় হওয়া স্বপ্নাশীষই তার ধ্যানজ্ঞান সব ক্রিকেটেই সীমাবদ্ধ রেখেছিলো। কিন্তু বিপত্তি ঘটলো অন্যভাবেই! শ্যামনগরে একটি খেপ খেলতে গিয়ে ঘটনাচক্রে স্বপ্নের দেখা হয় আহিরের সঙ্গে। ঠিক সেইই প্রথম দেখায়ই যেন উইকেটের আশায় দৌড়ানো স্বপ্নের মনকে একটু ভাবায় সংসার জীবনে থিতু হয়ে বসতে। কিন্তু যে বাসায় অন্য মেয়েদের ছায়াও নিষিদ্ধ সেই বাসায় আবার বিয়ে-থা! তাছাড়া প্রেমই বা কিভাবে হবে? দুদন্ড মাঝেমাঝে দুপলক দেখা হলেই কি ভালোবাসার জন্য যথেষ্ট? সবার জন্যে না হলেও কারো কারো জন্যে, অন্তত তাদের বেলায়। স্বপ্ন বুঝতে পারে যে আহিরের সঙ্গে সে কিভাবে যেন নিজেকে বেঁধে ফেলেছে। এই কাঠখোট্টা ছেলেটাকে আহির কবিতা পড়তে শিখিয়েছে। অনুভূতির বোধ গভীর না হলে কবিতার ভাষা যে কারো বোধগম্য নয়। তাকে এখানে সেঞ্চুরি না করলে চলবে না। আহিরকে স্বপ্ন পায়, হ্যাঁ; ঠিক পায়। অনেক বিপত্তি পার করে আহিরকে সে অর্জন করে নেয়, যেভাবে সে ম্যাচে একটির পর একটি ছয় মেরে ইনিংসে দৌড়াচ্ছিলো। তার প্রেমের এই প্রতিমা কি করে তার অনুপ্রেরণা হয়ে গেল সে জানে না। কিন্তু জীবন কঠিন, যতটা কঠিন ভাবা হয় তারচেয়েও। প্রকৃতি সব সুখ একসঙ্গে কাউকে দেয় না। দিলেও নিয়ে নেবার কারসাজি করে যায়। অথবা রেখে যায় খুব কঠিন পরীক্ষাবিদ্ধ করে। আহিরকে পেয়েও না পাওয়ার অনিশ্চয়তা থেকে বের হবার এই খেলাও ক্রিকেট থেকে ব্যতিক্রম নয়! কিসের খেলা এটা? হার-জিত, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির? স্বপ্ন জানেনা সেটা, সে শুধু জানে এই ইনিংসের খেলায় তার জিতা চাই! এই বই পড়ে স্বপ্নকে অনেকেই তার স্বপ্নে ধারণ করবে বিশুদ্ধ এবং মোহবিহীন ভালোবাসার ধারক হিসেবে। পাতাভর্তি প্রেমরস ঢেলে না দিয়েও কি একটি প্রেমময় আখ্যান লিখে দেয়া যায়? কি করলো এটা সমরেশবাবু! মনের অভিব্যক্তিটা এমনভাবে লিখে দিলো... মনেহলো এরচে শুদ্ধ করে যেন ভালোবাসার বয়ান করা যায়না। আমি মুগ্ধ। বইটি পড়ে একটা সুন্দর রাতের কয়েক ঘন্টা ব্যায় করা স্বার্থক।
Was this review helpful to you?
or
বইঃ মনের মত মন লেখকঃ সমরেশ মজুমদার ধরনঃ রোমান্টিক উপন্যাস ব্রহ্মাচারী আর রগচটা বিপত্নীক বাবার উদীয়মান ক্রিকেটার ছেলে স্বপ্নাশিষ। যে পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে ক্রিকেটকে বেঁছে নিয়েছে ধ্যান জ্ঞান হিসেবে। ব্রহ্মচারী বাবার ইচ্চা ছেলে তার মত ব্রহ্মচর্য করুক। স্বপ্নাশীষের দাদা দেবাশীষ ডাক্তারি পড়ুয়া। দেবাশিষ ভাইকে সার্পোট করে তাকে ক্রিকেট খেলায় উৎসাহ দেয়। পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে সে হরিমাধব দাদার ক্রিকেট ক্লাবে প্রাকটিস করতে থাকে। হরিমাধবের স্বপ্নাশিস কে নিয়ে অনেক স্বপ্ন। একদিন স্বপ্নাশিষ ভারতের জাতীয় দলে ডাক পাবে। স্বপ্নাশিষ কি সত্যি জাতীয় দলে ডাক পাবে নাকি হারিয়ে যাবে অন্য কোনো রং এর দুনিয়ায়? স্বপ্নাশিষ একদিন তার বন্ধুর পাল্লায় পড়ে খেপ খেলতে যায় শ্যামনগরে। শ্যামনগরের মাঠে খেলা শুরু হলো। স্বপ্নাশিষ ব্যাটে গিয়ে খেলতে শুরু করে। কেউ যখন প্রেমে পড়ে তখন ক্রিকেট বলকে ফুটবল মনে করে চার ছয় মারতে থাকে। স্বপ্নাশিষের ও সেদিন তাই হয়েছিল। কিন্তু কার প্রেমে পড়েছিল স্বপ্নশিষ?? আপনাদের কি জানতে মন চায় না? যদি জানতে চান তাহলে পড়ুন রোমান্টিক উপন্যাস মনের মত মন। স্বপ্নাশিষ ছোট ক্লাবে দারুণ খেলে ডাক পায় প্রাদেশিক দলের হয়ে খেলার। খেলা আর প্রেম কি একসাথে চলতে পারে না । তাইতো স্বপ্নাশিষকে উদ্দেশ্য করে হরিমাধব দা বলেন- ভেবেছিলাম তুই রনজি খেলবি, দিলীপ খেলবি, ইন্ডিয়ার দলে ঢুকতে চেস্টা করবি, তা না করে প্রেম করে বসলি। স্বপ্নাশিষের কাছে কোনটা বড় প্রেম না ক্রিকেট? স্বপ্নাশিষের ক্রিকেট খেলাকে কিছুটা ছাড় দিলেও ব্রহ্মাচারী পিতাকে আঘাত দেয় পুত্র পিতার মতো ব্রহ্মচারী না হয়ে তার উল্টোটা হওয়ায়। স্বপ্নাশিষ প্রেম আর ক্রিকেট নিয়ে মেতে থাকে। রাগী বাবা পুত্রকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এখন বিকেলের মাঠে স্বপ্নাশিষ একা দাঁড়িয়ে, সামনে যুদ্ধ। সে কি করে যুদ্ধ করবে? তাকে কে বা কারা কিভাবে সার্পোট করবে? এ সবের মাঝে স্বপ্নাশিষ তার স্বপ্নকন্যা দেবীকে বিবাহ করে ফেলেন। তার স্বপ্নকন্যা দেবী কে হতে পারে মনে করুন তো?? বিয়ের কিছুদিন পরে তার স্বপ্নকন্যার জরায়ুতে টিউমার ধরা পড়ে। এদিকে স্ত্রীর অপারেশন অন্যদিকে দিল্লিতে ক্রিকেট খেলার জন্য আহ্বান। শেষ পর্যন্ত স্বাপ্নাশিষ দিল্লীতে যায় এবং ভাল ম্যাচ খেলে দলকে বিজয়ী করে বাড়ি ফেরে। কিন্তু দল জয়ী হলেও সে নিজে জয়ী নয় । সে বার বার পরাজিত হচ্চে তার ভালবাসার অসুখের কাছে। স্বপ্নাশিষের স্বপ্নকন্যার অপারেশন হয়, তার জরায়ু আর স্তন কেটে ফেলা হয়েছে। সে আর নারী থাকে না। তবু স্বপ্নশীষ তাকে গ্রহন করে। অঙ্গ যেখানে থাকবে না সেখানে প্রত্যঙ্গ নিয়ে চিন্তা করে কি হবে। আমি তোমাকে চাই- এই মুখ, এই হাঁসি এই কথা ব্যস এইটুকু আর কিছু না। আমি তোমাকে চাই আহির। পৃথিবীর নারীদের কোটি কোটি কোটি ইউটেরাস আর বুকের সাথে তোমার পার্থক্য আমি করতে পারবো না, কিন্তু পৃথিবীর কোনো মানুষীর মুখ তোমার মুখকে আড়াল করতে পারবে না? তুমি আমার আহির। স্বপ্নাশিষ মনে মনে দৌড়াচ্চে, এক উইকেট থেকে অন্য উইকেট। তার সঙ্গী আহির তার স্বপ্নকন্যা। ব্যাক্তিগত মতামতঃ উপন্যাস টা ছিল সত্যি অসাধারন। লেখক এখানে খেলা আর প্রেম এক করে দেখেছেন। কোন খেলায় খেলোয়াড়ের পাশে যদি ভালবাসার মানুষ থাকে তাহলে সে খেলোয়াড় অনেক ভাল খেলতে পারে। লেখক এখানে স্বপ্নাশিষের সাফ্যলকে তুলে ধরেছেন আহির প্রতি তার ভালবাসার মধ্য দিয়ে। একটা মেয়ে ভালবেসে ঘর ছেড়ে যখন বের হয়ে আসে তখন তার পাশে ভালবাসার মানুষ ছাড়া আর কেউ থাকে না। স্বপ্নাশিষ আহির পাশে ছিল, চিরকাল থাকতে চাওয়ার মনোভাব ব্যক্ত করেছে। জরায়ু আর স্তন কেটে বাদ দেয়ার পরও স্বাপ্নশিষ আহিরকে ত্যাগ করে নি। সে তাকে চিরকাল পেতে চেয়েছে। ক্রিকেট খেলা ছাঁপিয়ে স্বপ্নাশিষ আহিরে প্রতি যে ভালবাসা ব্যাক্ত করেছে সত্যি তা বিরল। হ্যাপি রিডিং ♥♥♥ পৃথিবী হোক বইময় ♥♥♥
Was this review helpful to you?
or
বেস্তসেলার বই।
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামঃমনের মতো মন লেখকঃসমরেশ মজুমদার প্রকাশনীঃআনন্দ পাবলিশার্স মূল্যঃ২৮৫টাকা এটি সমরেশ মজুমদারের অন্যতম একটি রোমান্টিক উপন্যাস। প্রবল নাটকীয় কাহিনীর প্রবাহের মাধ্যমে উপন্যাসটি হয়ে উঠেছে আরো চমকপ্রদ। উপন্যাসের মূল চরিত্র, ব্রহ্মাচারী আর রগচটা বিপত্নীক বাবার উদীয়মান ক্রিকেটার ছেলে স্বপ্নাশিষ,যে ছোট ক্লাবে দারুণ খেলে ডাক পায় প্রাদেশিক দলের হয়ে খেলার। স্বপ্নাশিষের ক্রিকেট খেলাকে কিছুটা ছাড় দিলেও ব্রহ্মাচারী পিতাকে আঘাত দেয় পুত্র পিতার মতো ব্রহ্মচারী না হয়ে তার উল্টোটা হওয়ায়, রাগী বাবা পুত্রকে বাড়ি থেকে বের করে দেন ওদিকে পুত্র স্বপ্নাশিষ তার স্বপ্নকন্যা আহির দেবীকে বিবাহ করে ফেলেন। বিবাহ সমস্যা না, সমস্যা সৃষ্টি করে সুটু সেন নামক পালের গোদা (পড়ুন ক্লাবের গোদা) যার ক্লাবে স্বপ্ন নৈতিক কারণে খেলতে রাজি হয়নি। এ ঝুটমুট সমস্যা স্বপ্ন সমাধান করলেও পড়ে গভীর জলে। স্বপ্নের স্বপ্না আইমিন আহির ভীষন অসুস্থ, এদিকে দিল্লি যেতে হবে স্বপ্নের স্বপ্নপূরণ করতে। স্বপ্ন ক্রিকেট খেলবে নাকি আহির কে বাঁচিয়ে তুলতে ঝাপিয়ে পড়বে।এমনই দোটানার মাধ্যমে উপন্যাসটি এগিয়ে গিয়েছে এবং আমার মনে হয় এটি স্বার্থক উপন্যাসের শীর্ষে পৌঁছে গেছে। অসাধারণ এক কাহিনী সংবলিত উপন্যাস।
Was this review helpful to you?
or
কড়া মেজাজী বাবার ছেলে স্বপ্নাশিষ। বাবার নিয়মতান্ত্রিক জীবনে আদর আহ্লাদ বা আবদারের বিশেষ জায়গা ছিল না। দাদা দেবাশিষ ডাক্তারি পড়ে আর বাবার বাঁধা নিয়মে চলে। জগতের সকল চাকাই সেই নির্দিষ্ট নিয়মের পথ ধরে চলে তার। দিকভ্রষ্ট হয় না কখনো। সকল রমণীরুপ তার কাছে মাতৃসম। স্বপ্নাশিষ কিন্তু সেরকম নয়। মা শূণ্য সংসারে বড় হয়ে নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলেছিল সে। সে সাহসী এবং প্রতিবাদী। ক্রিকেট খেলার প্রতি দুর্বার আগ্রহ থেকে সে স্বপ্ন দেখে বড় ক্রিকেটার হবার। সম্ভাবনাময় তরুণ ক্রিকেটার হিসেবে কোচ হরিমাধবের অশেষ স্নেহও সে অর্জন করতে পেরেছিল। বন্ধুর অনুরোধে প্রথমবারের মত খেপ খেলতে যেয়ে পরিচয় হয় মফস্বলের স্নিগ্ধতায় বেড়ে ওঠা মিষ্টি মেয়ে আহিরের সঙ্গে। দুজনের বন্ধুত্ব একটা সময় পরিণতির দিকে এগোয়। স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলে দুজনের জীবনও। স্বপ্নাশিষ হঠাৎই আবিষ্কার করে ক্রিকেট খেলার সব নিয়ম জীবনের মাঠে খাটে না। তাদের সখ্যতার পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় স্বপ্নাশিষের বাবা। এমনকি মেনে নিতে পারেন নি আহিরের বাবাও। ঠোঙার কাগজে লেখা কয়েকটি বাক্য যেন স্বপ্নকেই ইঙ্গিত করে- "তুমি যদি জিততে চাও তা হলে তোমাকে নির্মম হতে হবে।" অনেক শঙ্কা, বাঁধা আর ঝড় পেরিয়ে আহিরকে আপন করে পেয়েছিল স্বপ্নাশিষ। জিত হয়েছিল তারই। এবার শুরু হল জীবনের আসল খেলা। কি হবে তারপর? তারা কি পারবে জয়ের কাপটা ধরে রাখতে? #পাঠ_প্রতিক্রিয়া: প্রথমেই প্রচ্ছদের কথাটা না বলে পারছি না। প্রচ্ছদসহ বইটির সমগ্র গেট আপ এক কথায় খুবই মনোরম এবং আকর্ষণীয়। বইটা গিফট হিসেবে পেয়েছিলাম একজন বড় ভাইয়ের কাছ থেকে। বইয়ের চেহারা দেখেই মুগ্ধ! কঠিন শাসনের বেড়াজাল ছিন্ন করে ও শত প্রতিকূলতা পেরিয়ে স্বপ্নাশিষ তার লক্ষ্যপথ ধরে নিষ্ঠার সাথে এগিয়ে চলেছিল। ফলও পেয়েছিল। স্বপ্নের স্বপ্ন দেখার শক্তি, সাহস, কর্মতৎপরতা, নিষ্ঠা ও সততা আমার ভাল লেগেছে। অন্যদিকে, এক কথায় মুগ্ধ হবার মত মিষ্টি একটা মেয়ে আহিরকে পাঠকমাত্রেরই ভাল লাগবে আমার বিশ্বাস। তবে মূল এই দুটি চরিত্রই এত নিখুঁত রকমের ভাল, মাঝে মাঝে মনে হয়েছে আরেকটু খুঁত থাকলে তাদের বাস্তব হবার পথটা একটু সহজ হত। উপন্যাসের শুরু কিছুটা ঝিমোনো গতির হলেও মাঝদিকে এসে তা কেটে গেছে। তবে আমার মনে হয়েছে, লেখক অনেক আয়োজন নিয়ে শুরু করলেও কোন কারণে শেষ দিকে হুটহাট করে ইতি টেনে দিয়েছেন। সব মিলে, বইটি আমাকে আশা-নিরাশার দোলায় দুলিয়ে বেশ আনন্দ দিয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
মনের মতো মন' বই টি সমরেশ মজুমদার এর লিখা একটি ভিন্নধর্মী প্রেম প্রেমকাহিনী মুলক উপন্যাস । ক্রিকেট মানে উইকেট থেকে উইকেটের মধ্যে দৌড়। কিন্তু ক্রিকেট মাঠের সেই লাল বলটার মতো তো মাপা ছকে জীবনের বল চলে না। জীবনের লাল বলটা চলে নিজস্ব ছকে, নিজস্ব গতিতে। সমরেশ মজুমদারের এই উপন্যাসে ক্রিকেট, কবিতা আর নারীকে নিয়েই প্রাণের খেলা। মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে স্বপ্নাশিষ। ক্রিকেট খেলতে ভীষণ ভালবাসে। শচীন, সৌরভের মতো খেলবে একদিন স্বপ্নাশিষ। এই স্বপ্নকে গভীরভাবে আকড়ে ধরে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে স্বপ্নাশিষ। কিন্তু তার বাবার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা না ছেলেকে ক্রিকেটার হওয়ার। ব্রহ্মাচারী আর রগচটা বিপত্নীক বাবার উদীয়মান ক্রিকেটার ছেলে স্বপ্নাশিষ,যে ছোট ক্লাবে দারুণ খেলে ডাক পায় প্রাদেশিক দলের হয়ে খেলার। স্বপ্নাশিষের ক্রিকেট খেলাকে কিছুটা ছাড় দিলেও ব্রহ্মাচারী পিতাকে আঘাত দেয় পুত্র পিতার মতো ব্রহ্মচারী না হয়ে তার উল্টোটা হওয়ায়, রাগী বাবা পুত্রকে বাড়ি থেকে বের করে দেন ওদিকে পুত্র স্বপ্নাশিষ তার স্বপ্নকন্যা আহির দেবীকে বিবাহ করে ফেলেন। বিবাহ সমস্যা না, সমস্যা সৃষ্টি করে সুটু সেন নামক পালের গোদা (পড়ুন ক্লাবের গোদা) যার ক্লাবে স্বপ্ন নৈতিক কারণে খেলতে রাজি হয়নি। এ ঝুটমুট সমস্যা স্বপ্ন সমাধান করলেও পড়ে গভীর জলে। স্বপ্নের স্বপ্না আইমিন আহির ভীষন অসুস্থ, এদিকে দিল্লি যেতে হবে স্বপ্নের স্বপ্নপূরণ (ক্রিকেটীয়) করতে। স্বপ্ন ক্রিকেট খেলবে নাকি আহির কে বাঁচিয়ে তুলতে ঝাপিয়ে পড়বে? জানতে পড়ুন বইটি। সমরেশ মজুমদারের মিডিওকোর বই, টাইমপাস হিসেবে একেবারে মন্দ না।
Was this review helpful to you?
or
'মনের মতো মন' বই টি সমরেশ মজুমদার এর লিখা একটি ভিন্নধর্মী প্রেম প্রেমকাহিনী মুলক উপন্যাস । লেখক সমরেশ মজুমদার এর জন্ম ১০ ই মার্চ ১৯৪২ সালে জন্মগ্রহন করেছিলেন । তার শৈশব কেটেছে ডুয়ার্সের চা বাগানে । জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলে তার প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় । এরপর কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এ পড়াশোনা করেন। মনের মতো মন বইটি ১৯৯৬ সালের নভেম্বর মাসে আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড প্রকাশনী থেকে প্রথম প্রকাশিত হয় । বইটির প্রকাশক সুবীর মিত্র । বইটির মুল চরিত্র মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে স্বপ্নাশিষ । ক্রিকেট খেলার প্রতি তার প্রচন্ড আগ্রহ । ইচ্ছা শচীন বা সৌরভ এর মত ক্রিকেটার হওয়া । পরিবারের বাধা উপেক্ষা করে সে ক্রিকেট খেলে যায় । তার ক্রিকেট খেলায় সার্বিক সহায়তা করে স্বপ্নাশিষ এর হরিমাধব দা । লুকিয়ে এক সময় খেলতে নিয়ে যায় শ্যামনগরে । শ্যামনগরে যাওয়ার পর স্বপ্নাশিষের পরিচয় হয় মিষ্টি মেয়ে আহির এর । স্বপ্নাশিষের জীবনে আহির আসার পরে তার মনে বিশাল পরিবর্তন আসে । ক্রিকেট এর পাশাপাশি স্বপ্নাশিষ আবিষ্কার করে তার জীবনে ক্রিকেটের জন্য যে স্থান টি ছিল সেই স্থান টি অনেকাংশেই দখল করে নিয়েছে আহির । সে আগে শুধু ক্রিকেট এর ২২ গজে দৌড়াতে চাইত, এখন সে আর দৌড়াতে চায় না,সে এখন সংসারের প্যাভিলিয়নে বসে পড়তে চায় । এইভাবেই গল্পটির কাহিনী এগিয়ে গেছে শেষ পর্যন্ত । মনের মতো মন উপন্যাস টি সমরেশ মজুমদার এর লিখা ক্রিকেট এর সাথে প্রেমের খেলা নিয়ে উপন্যাস। অসাধারন মানের লেখক সমরেশ মজুমদার তার লেখনীর জন্য জীবনে অনেক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরষ্কার পেয়েছেন । ১৯৮২ সালে আনন্দ পুরষ্কার, ১৯৮৪ সালে সত্য একাডেমী পুরষ্কার, বঙ্কিম পুরস্কার এবং আইয়াইএমএস পুরস্কার জয় করেছেন।
Was this review helpful to you?
or
ক্রিকেট মানে উইকেট থেকে উইকেটের মধ্যে দৌড়। কিন্তু ক্রিকেট মাঠের সেই লাল বলটার মতো তো মাপা ছকে জীবনের বল চলে না। জীবনের লাল বলটা চলে নিজস্ব ছকে, নিজস্ব গতিতে। সমরেশ মজুমদারের এই উপন্যাসে ক্রিকেট, কবিতা আর নারীকে নিয়েই প্রাণের খেলা। মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে স্বপ্নাশিষ। ক্রিকেট খেলতে ভীষণ ভালবাসে। শচীন, সৌরভের মতো খেলবে একদিন স্বপ্নাশিষ। এই স্বপ্নকে গভীরভাবে আকড়ে ধরে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে স্বপ্নাশিষ। কিন্তু তার বাবার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা না ছেলেকে ক্রিকেটার হওয়ার। কিন্তু স্বপ্নাশিষের এই ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন পূরণের দায়িত্ব নিয়েছেন তাদের দলের কোচ হরিমাধবদা। তিনিই স্বপ্নাশিষকে ঘষে, মেজে তৈরী করে তুলছেন একজন ভালো ক্রিকেটার হিসেবে। এই হরিমাধবদাকে লুকিয়ে একদিন সুব্রতর সাথে খেপ খেলতে যায় শ্যামনগর। এই খেপ খেলতে গিয়েই দেখা হয়ে যায় আহিরের সাথে। শ্যামনগরের মেয়ে আহির। আহিরের সাথে বন্ধুত্বও হয়ে যায় স্বপ্নাশিষের। একটা সময় দুজন দুজনকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। কিন্তু সমস্যা হলো স্বপ্নাশিষের বাবাকে নিয়ে। তিনি তার দুই ছেলেকে ব্রক্ষ্মাচারি করবেন। ছোটবেলা থেকেই শিক্ষা দিয়ে এসেছেন মেয়েদের থেকে দূরে থাকতে। স্বপ্নাশিষের বড় ভাই দেবাশিষ বাবার এসব কথা মেনে চললেও মানতে পারল না স্বপ্নাশিষ। নিজের জীবনের একটা অংশ করে তুলল মিষ্টি মেয়ে অাহিরকে। এই রগচটা, গম্ভীর বাবা আহিরকে নিয়ে আসলে যে মেনে নিবেন না তা স্বপ্নাশিষ ভালোই জানে। তবুও হাল ছাড়েনি স্বপ্নাশিষ। অনেক ঝড়, অনেক বিপদ সামলিয়েই আপন করে পেয়েছিলো এই মিষ্টি মেয়েটাকে। শুরু হয় জীবনের দ্বিতীয় ইনিংসের খেলা। কি হবে এ খেলার ফলাফল? এ খেলা কি হার-জিদের? নাকি প্রাপ্তি- অপ্রাপ্তির?