User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
সমরেশ মজুমদারের লিখা এটাই আমার প্রথম পড়া কোনো বই। "আট কুঠুরি নয় দরজা" বইটি পলিটিকাল থ্রিলার জনরার বই। অনেক দ্রুততার সাথে গল্পের কাহিনী সামনের দিকে এগিয়েছে। উপন্যাসটা অনেক সুন্দর ভাবে শুরু হলেও লেখক শেষের দিকে খেই ধরে রাখতে পারেন নি। ফলের শুরুর দিকে যে উত্তেজনা বোধ করেছিলাম শেষের দিকে তার থেকেও বেশি হতাশ হয়েছি।
Was this review helpful to you?
or
নরম্যালি বিপ্লবী -বিদ্রোহ বিষয়ক বই পড়তে বিরক্ত লাগে। কিন্তু এই থ্রিলারটি বিপ্লবী রিলেটেড হওয়া সত্বেও বেশ আগ্রহ নিয়েই পড়তে পেরেছি। আকাশলাল হলেন বিপ্লবীদের নেতা, যাকে ধরার জন্য মরিয়া হয়ে একের পর এক অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ কমিশনার ভার্গিস। থ্রিলারে ম্যাডাম হলেন এক রহস্যময় চরিত্র, যার নামই ম্যাডাম। লুকিয়ে আড়ালে থাকতে থাকতে বিপ্লবীরা ক্লান্ত, তারা কি সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করবে নাকি ধরা পরে যাবে। নাকি ভার্গিস বিপ্লবীদের ধরে ইলেকট্রিক চেয়ারে বসিয়ে টর্চার করে সকল তথ্য বের করে মিনিস্টার পদে আসীন হতে।
Was this review helpful to you?
or
Finest thriller at the beginning but ending was poor
Was this review helpful to you?
or
????
Was this review helpful to you?
or
Excellent
Was this review helpful to you?
or
nice
Was this review helpful to you?
or
পার্সোনাল রেটিংঃ ৯.৫/১০ আকাশলাল, যাকে ভার্গিস নামের পুলিশ কর্মকর্তা খুঁজছেন। যার মাথার দাম দশ লক্ষ টাকা। কি কারণ তাকে এভাবে খোঁজার যার জন্য সরকার নির্ঘুম কাটিয়ে দিচ্ছে এমন কি শহরের প্রতাপশালী মিনিস্টার, ভার্গিসও দিন দিন আশাহীন হয়ে পড়ছে! লাল মারুতিতে ডক্টর স্বজন এবং তার স্ত্রী পৃথার ছুটে চলার পেছনে কারণ রয়েছে আকাশলাল নামের সেই লোকটির গোপন এক চিকিৎসার। সেই চিকিৎসার পেছনে রয়েছে এক শ্বাসরুদ্ধকর গল্প। স্বজন জানেও না কেন তাকে এসব করানো হচ্ছে। গাড়ির তেল ফুরিয়ে যাওয়ার পর একটা সময় এক বাংলোয় আশ্রয় নেয়ার সময় স্বজন আবিষ্কার করে বাংলোর নিচের ঘরে এক কফিনের ভেতরে লাশ। কার লাশ তারা জানেনা। এবং সেই বাংলোয় এক প্রকার আটকে থাকে। সেই লাশের সাথে কিসের যোগাযোগ রয়েছে হয়তো এই শহরের ম্যাডাম বলে পরিচিত সেই মহিলাই জানে, যার পুরুষদের প্রতি একটা অন্যরকম ধারণা জন্মানো। চিতা নামে পরিচিত আকাশলাল একসময় ধরা দেয় ভার্গিসের কাছে এবং ধরা দেয়ার পরই হার্ট এটাকে মৃত্যু হয় এবং ঠিক সেদিন রাতে কবর দেয়ার পরেই আকাশলালের সঙ্গী হায়দার, ডেভিড, ত্রিভুবন আকাশলালকে কবর থেকে তুলে নিয়ে যায় এবং দূর্ভাগ্যবশতঃ ডেভিড ভার্গিসের হাতে খুন হয়। শহরের চানঞ্চল্যকর পরিস্থিতিতে ভার্গিস ম্যাডামের আশ্রয় নিলেও শেষ পর্যন্ত আর রক্ষা হয় না। এক ঘোর রহস্যে ঘেরা গল্পের মোড় দ্রুত বদলাতে থাকে। এক পর্যায়ে ভার্গিস পদত্যাগ করলেও আকাশলালের প্রভাব যেনো বাড়তেই থাকে। মৃত্যুর পরেও কীভাবে আকাশলাল জীবিত হয়ে ফিরলো সেই রহস্যও ভার্গিসের নিকট পরিষ্কার না হওয়ায় এক প্রকার আশাই ছেড়ে দেন। কিন্তু গল্পের শেষটা ছিলো অন্যরকম! ভার্গিস নিজেও জানেনা তার কপালে কি লেখা আছে। মৃত আকাশলাল, যে নাকি দেশদ্রোহী হিসেবে চিন্হিত, যাকে সাধারণ জনগণ ভালোবাসে, কি কারণে সরকার তাকে আটক করবে এবং সরকারের বিরুদ্ধে কেনই বা আকাশলাল ওরফে চিতার এই লুকোচুরি খেলা এসব কিছু জানতে হলে আপনাকে পড়তে হবে এই বই! রিডার্স ব্লকে পড়ার পর বইটি আমি অনেক সময় নিয়ে পড়ি এবং খুব দ্রুত বইয়ের মাঝে ডুবে যাই। এই বইয়ের প্রতিটি পৃষ্ঠায় থ্রিল, রোমান্টিক সবকিছু মিলে একটা অন্ধকার রহস্য সৃষ্টি করেছে। যদিও শেষটা আমি মানতে পারিনি, এমন কি বইয়ের এন্ডিংটাতে আমি পুরোপুরি কনফিউজড ছিলাম। আমার মনে হয় যারাই বইটি পড়েছেন প্রায় সবারই এমন হয়েছে। শেষে আসলে কি হয়েছিলো, আকাশলালের আসল পরিচয় এসব কিছু আমার কাছে ধোঁয়াশা ছিলো। আমি মনে করি এই জায়গাটা পাঠক নিজ নিজ চিন্তা থেকে ভেবে নিলেই ভালো হয়।
Was this review helpful to you?
or
বইটি সম্পর্কে অনেকবেশি প্রশংসা শুনে খুবই আগ্রহ নিয়ে শুরু করেছিলাম। শুরু থেকেই টানটান উত্তেজনা ছিল, এরপর কি হবে এটা জানার জন্য ব্যাকুল হয়ে ছিলাম। কিন্তু শেষটা কেন যেন আমার কাছে একেবারেই যুৎসই মনে হয়নি। ফিনিশিংটা একদম বাজে লেগেছে। আরো অনেক ভালো হতে পারত।
Was this review helpful to you?
or
Boi porata amar shokh-er o valolagar bisoy . Sai shokh o valo laga hote amra gore tulesi amader office library . Thanks Rokomari amader sokol boi thik quality te ena dewar jonno . And aro thanks alokito bangladesh gorar proyash newar jonno . Thanks the all team member of Rokomari .
Was this review helpful to you?
or
বাংলা ভাষায় মৌলিক থ্রিলার।বইটি পড়লে নিজের মনে থেকেই একেক সময় একেকটি সমাধান বের হয়ে আসবে রহস্যের।কিন্তু শেষে গিয়ে দেখবেন, হায়হাউ! এ কী করে হলো? ডাক্তার, তার স্ত্রীর পাহাড়ে বেড়াতে যাওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এই উপন্যাস কে প্রথমে রোমান্টিক ঘরনার মনে হলেও মাঝামাঝি পর্যায়ে বুঝে যাবেন, যা ভাবছেন, তা নয়।সমরেশ মজুমদারের সবল হাত বইটিকে অনন্য পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
সমরেশ মজুমদারকে পড়ার অভিজ্ঞতা এই প্রথম,অকপটে স্বীকার করছি ওনাকে না পড়ে অবহেলা করাটা আমার পাঠকজীবনের অন্যতম ভুল। বইয়ের নাম "আট কুঠুরি নয় দরজা"। নাহ ইট কাঠের দরজা জানালা নয়, আমাদের শরীরের আটটা গ্রন্থি আর আটটা গ্রন্থির সাথে যুক্ত নয়টা এক্সিট পয়েন্টকেই লেখক বুঝিয়েছেন বইয়ের নামকরণে। ভারতবর্ষের কাছাকাছি কোনো দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়েই বইটির ব্যাপ্তি। দেশটার নাম নাহয় আপনি নিজেই কল্পনা করে নিন আর ঘুরে আসুন আপনার মনের মারুতি তে চড়ে। উপন্যাসের প্রথমেই দেখা মেলে স্বজন ও পৃথার,তরুন দম্পতি। স্বজন পেশায় ডাক্তার আর তাই একটা বিশেষ উদ্দেশ্যে এসেছিলো পাহাড়ী এই দেশে,কাজের পাশাপাশি সবুজ পরিবেশে বেশ খানিকটা সময় একসাথে নিশ্চিন্তে কাটানো যাবে ভেবে সাথে নিয়ে এসেছিলো তার সদ্য বিবাহিত স্ত্রীকেও। গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র আকাশলাল যাকে লোকে চিতা বলেও জানে। আকাশলালের ও তার দলের উদ্দেশ্য দুর্নীতিগ্রস্থ সরকারকে হটিয়ে জনগনের অধিকার পুনপ্রতিষ্ঠা করা৷ আর সরকারের লক্ষ্য যেকোনো মুল্যে আকাশলালকে গ্রেফতার করা। সরকার ও আকাশলালের চোর পুলিশ খেলা চলবে বইয়ের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত। পলিটিকার থ্রিলার হিসেবে বইটি দুর্দান্ত।রাজনীতির মারপ্যাচ,পজিশনের ওঠানামা,লোভ,বিদ্রোহ,সাসপেন্স সবকিছুকে লেখক সাবলীলভাবে গেঁথেছেন এক সুতোয়। উপন্যাসের প্রতিটি চরিত্র সতন্ত্র আর প্রতিটা চরিত্রের প্রতি পক্ষপাতহীন থেকে লেখক গল্পকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন চমৎকারভাবে। প্রথম দুচার পাতা বাদ দিয়ে বাকী বই পড়াত সময় "সময়" যে কীভাবে কেটে গেছে বুঝতেই পারিনি। আর আপনি চাইলেও বইটির স্পয়লার দিতে পারবেন না৷
Was this review helpful to you?
or
☆☆☆☆
Was this review helpful to you?
or
আট কুঠুরি নয় দরজা সমরেশ মজুমদার স্বজন বিয়ের চার মাস পরও তার স্ত্রী পৃথা কে নিয়ে কোথাও বেড়াতে নিয়ে যেতে পারেনি। হঠাৎ পাহাড়ি এলকায় একটা কাজ পেয়ে যাওয়ায় তার স্ত্রীকে নিয়ে চলে আসেন। তার স্ত্রীকে সে যে কাজে এসেছে তা বলেনি। পথের মধ্যে গাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। তারা এক খামার বাড়ির সামনে পৌছে যায় নষ্ট গাড়ি ঠেলতে ঠেলতে। তখন এক চিতা তাদের আক্রমণ করে এবং তার হাত থেকে বাঁচাতে আশ্রয় নেয় সেই বাড়িতে । ঘরে ঢুকেই একটা বিশ্রী গন্ধ পায়। ডাক্তার স্বজল বুঝতে পারে মৃত মানুষের গন্ধ। বাইরে চিতা ঘরে মৃত মানুষের পচা গন্ধ। কি করবে সে! পুলিশ কমিশনার ভার্গিসকে হুকুম দেয়া হয়েছে ৪ দিনের মধ্যে আকাশলালকে ধরার জন্য। যদি ধরতে না পারে তবে তার চাকরি হারাতে হবে। ভার্গিস আকাশলালকে ধরার জন্য উঠে পরে লেগেছে । শহরের দেয়ালে দেয়ালে পোষ্টর টানানো হয়েছে যে আকাশলালকে জীবিত বা মৃত ধরে দিতে পারবে তাকে ১০ লক্ষ টাকা দেয়া হবে। তবুও সন্ধ্যান পাওয়া যাচ্ছে না আকাশলালের। স্বৈরশাসক দের বিরুদ্ধে বিপ্লব করছে আকাশলাল। তার সংগ্রাম স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার সংগ্রাম। ছোট বেলা পুলিশের পৈশাচিক নির্যাতন দেখে বড় হওয়া তিন ছেলে আকাশলালের সাথে আছে। তারা ঘৃণা করে পুলিশদের। তাদের নিয়ে চলছিল আকাশলালের বিপ্লব। হঠাত আকাশলাল সিদ্ধান্ত নেই আত্নসমর্পন করবে। কিন্ত কেন? স্বজলকে আমার মোটামুটি ভালো লেগেছে। বিপদের মধ্যে মাথা ঠান্ডা রেখে খুব ভালো দেখিয়েছে সে। সবচেয়ে ভালোলেগেছে ম্যাডামকে। তার নাম উল্লেখ করা হয়নি। রবিন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেনি বই এর মুশকান এর মতো রহস্যময়ী ছিল এই ম্যাডাম। গল্পটি আমার কাছে একটা গাছ মনে হয়েছে। প্রথম বিচ লাগানো হয়েছে। আস্তে আস্তে ডাল পালা মেলে বড় হয়েছে। বড় হয়েছে এবং বড় হয়েছে। একসময় হঠাত করেই গাছ কেটে ফেলা হয়েছে । গল্পটি ঠিক তেমন ছিল। ডালপালা মেলে বড় করা হয়েছে। শেষ দিকে এসে হঠাত করেই খুব দ্রুত শেষ হয়ে গেছে। খারাপ লাগেনি । থ্রিলার গল্প হিসেবে একে ধরা যায়। আমার রেটিং যদি যায় তবে ৪/৫ দিব।
Was this review helpful to you?
or
প্রধাণ চরিত্রঃ আকাশ লাল, মিনিস্টার, ম্যাডাম, ভার্গিস, ত্রিভুবন, হায়দার, ডেভিড, স্বজন, পৃথা, বৃদ্ধ ডাক্তার। সার সংক্ষেপঃ বাউলের গান- "আট কুঠুরি নয় দরজা কোনখানে তালা নেই আর সেই ঘর তিনতালা" আট কুঠুরি হলো শরীরের আটটা গ্রন্থি। পিটুইটারি, থাইমাস, থাইরয়েড, প্যারা থাইরয়েড, অ্যালড্রিনাল, প্যারোটিড, প্যানক্রিয়াস এবং টেসটিস অথবা ওভারিস। এই শরীরের নয়টি দ্বার যুক্ত। তিন তলা হলো মস্তিষ্ক, কোমর থেকে শরীরের ঊর্ধ্বভাগ এবং নিম্নভাগ, নাক কান চোখ মুখ ইত্যাদি নটা দ্বার এই তিনতলা ছড়িয়ে আবদ্ধ, যা স্নায়ুশক্তির দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। বাউলের ভাষ্য এই দেহ রহস্যময়। পৃথিবীর যাবতীয় রহস্য এর কাছে হার মেনে যায়। সেই রহস্যকে ব্যবহার করার সাধ্য কারও নেই। কিন্তু তাকে নিয়ে একটু লুকোচুরি করার চেষ্টা করলে দোষ কী? স্বজন নামক ডাক্তার, তার স্ত্রী পৃথাকে চিৎকার করে বলছে "আই লাভ ইউ", আর এই শব্দ পাহাড়ে লেগে প্রতিধ্বণি হয়ে বার বার শোনার মধ্যদিয়ে শুরু উপন্যাসের। ভারতের পার্শ্ববর্তী কোনোএক দেশের রাজনৈতিক অবস্থাকে কেন্দ্র করে রচিত এই উপন্যাস। উপন্যাসিক দেশটার বর্ণনা এতো নিঁখুদ ভাবে উপস্থাপন করেছেন যে, পাঠক খুব সহজেই একটা দেশ তার কল্পনায় নিজের অজান্তে তৈরী করে ফেলবে। যেই দেশটির রাজনৈতিক অবস্থাকে উপজীব্য করে উপন্যাসটি এগিয়েছে, সেই দেশে স্বৈরতন্ত্রের অরাজকতা চলছে। এখানকার শাসনব্যবস্থার কেন্দ্রে রয়েছে "বোর্ড"। বোর্ড, মিনিস্টার ও পুলিশ পরিচালনাধীন দেশ পরিচালিত হয়। তাই এখানে পুলিশ কমিশনার, ভার্গিস জনগণের উপর নিজেকে সর্বময় ক্ষমতাধর মনে করেন এবং পুলিশ নরখাদকের সমান। এখানে আরও একজন ক্ষমতাধর আছেন। তিনি একজন মহিলা। সর্বসাধারনের কাছে তিনি "মেডাম" নামে খ্যাত। তিনি বোর্ডের কেউ নন কিন্তু বোর্ড তার আঙ্গুলের ইশারায় চলে। বোর্ড, মিনিস্টার ও পুলিশের আকাশ চুম্বী অত্যাচার অনাচারে মানুষ অতিষ্ঠ এবং নিরুপায়। পুলিশের অত্যাচারের দুটো নমুনাও পাবেন উপন্যাসে যা পড়লে শরীরের লোম দাঁড়িয়ে যাবে। এমনই এক শ্বাস রুদ্ধকর অবস্থায় আবির্ভাব ঘটে এক বিপ্লবী নেতার, যার নাম "আকাশ লাল"। আকাশ লাল দীর্ঘ সময় ধরে দেশে একটি বিপ্লব ঘটিয়ে জনগণের সরকার ব্যবস্থা কায়েমের চেষ্টা চাচ্ছেন। দেশের সকল শোষিত ও বঞ্চিত জনগণ তার পক্ষে। অনেক যুবকই তার সাথে যোগ দিয়েছে। তাদের মধ্যে হায়দার, ত্রিভুবন ও ডেভিড, আকাশ লালের সবচেয়ে কাছের লোক। সাধারণ মানুষ যখন আকাশ লালের চোখে চোখ রেখে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখছিল, আকাশ লালের দিকে তাকিয়ে মুক্তি পাবার আশার প্রদীপ মনে জ্বেলেছিল তখনই আকাশ লালের এক সিদ্ধান্ত আপনার মেরুদন্ডে শীতল হাওয়ার সঞ্চার করবে। মারা গেল আকাশ লালের প্রধান তিন সহচর ত্রিভুবন, হায়দার ও ডেভিড! বিপ্লবীরা ধরা পরল সব!! ভিনদেশি ডাক্তার স্বজনের এই বিপ্লবের সাথে কী সম্পর্ক থাকতে পারে? বোর্ডের উপর ক্ষমতাধর এই মেডামের আসল পরিচয় কী? বিপ্লবের কী হলো? জানতে হলে কী করতে হবে? পড়তে হবে ??? পাঠক প্রতিক্রিয়াঃ এই বই সম্পর্কে অনেকে অনেক কথা বলেছে, বেশ কয়েকটা রিভিউ ও লেখা হয়েছে, সত্যি বলতে বইটাকে যত ভালো সবাই বলেছে তার চেয়ে ও অনেক বেশী ভালো। পড়বেন আর ছোট ছোট রহস্য ও তার সমাধানের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাবেন। শেষ পৃষ্টা পড়ার পর বইটাকে মিস করবেন।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
বই : আট কুঠুরি নয় দরজা। লেখক : সমরেশ মজুমদার। প্রকাশনী : আনন্দ পাবলিশার্স। 'আট কুঠুরি নয় দরজা' বলতে মানবদেহের আটটি গ্রন্থি এবং মানব দেহের নয়টি প্রবেশ দ্বারকে বুঝায়। ভারতবর্ষের কাছাকাছি এক পাহাড়ী রাজ্য। একনায়কতন্ত্রী শাসনব্যবস্থাধীন এই রাজ্যের স্বৈরাচারী শাসকের বিরুদ্ধে তলে-তলে চলতে থাকে বিপ্লব সংগঠনের প্রয়াস। আকাশলাল পাহাড়ি রাজ্যের একনায়কতন্ত্রী স্বৈরাচার শাসকের বিপক্ষের এক বিদ্রোহী চরমপন্থী দলের নেতা। একনায়কের পতন ঘটিয়ে রাজ্যের আপামর সাধারণ মানুষকে মুক্ত করাই ছিল আকাশলালের দলের উদ্দেশ্য। কিন্তু রাজ্য সরকার তা মানবে কেন? তাই আকাশলালের বিদ্রোহী দলকে দমন করা হলো। ধরপাকড় চললো, পুলিশের ভয়ে গা ঢাকা দিলেও আকাশলালের দলের অনেক সদস্যই ধরা পড়ল। একে একে নিহতও হলো অনেক সঙ্গীরা। এমন পরিস্থিতিতে হঠাৎই স্বজন নামের এক বিখ্যাত প্লাস্টিক সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। স্বজন তাঁর স্ত্রী পৃথাকেও সাথে করে নিয়ে এলো পাহাড়ি এলাকায়, অনেকটা হানিমুনও হয়ে যাবে ভেবে, কিন্তু আসল উদ্দেশ্যটা অন্য কিছু নয়ত? একসময় দূর্ধর্ষ পুলিশ অফিসার ভার্গিসের কাছে আত্মসমর্পণ করে আকাশলাল! কিন্তু পুলিশী হেফাজতেই আকস্মিক মৃত্যু ঘটে গেল আকাশলালের। সম্ভাব্য জনরোষ ও উত্তেজনা এড়াতে চুপিচুপি কবর দেওয়া হল তাকে। আকাশলালের সঙ্গীরা মৃত্যুসম ঝুঁকি নিয়ে কেনই বা কবর থেকে উদ্ধার করতে গেল আকাশলালের মরদেহ? হঠাৎ করে রাজ্যে আবির্ভাব হলো আরেক রহস্যময় মানুষের, যার নাম গগনলাল। কে এই গগনলাল? মহাক্ষমতাধর ও রহস্যময় এক চরিত্র ম্যাডাম। কে সেই ম্যাডাম যে পর্দার পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে ? আচ্ছা, ডাক্তার স্বজন আর তাঁর স্ত্রী পৃথা কি ফিরে যেতে পেরেছিল নিজের শহরে? আর কী করে রাজ্যের মন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হলো রহস্যময় গগনলাল! জানতে, পড়ুন সমরেশ মজুমদারের বিখ্যাত থ্রিলার উপন্যাস 'আট কুঠুরি নয় দরজা'। থ্রিলার আমার প্রিয় জনরার মধ্যে অন্যতম। সমরেশ মজুমদারের অন্যান্য উপন্যাসের চাইতে আট কুঠুরি নয় দরজা অনেকটাই ভিন্ন। আমি বরাবরই লেখকের লেখার ভক্ত। তাই প্রিয় ঘরানার গল্প আর পছন্দের লেখের লেখা, দুইয়ে মিলে সোনায় সোহাগা! কিন্তু উপন্যাসটা পড়তে গিয়ে কিছু কিছু চরিত্র যেমন আমার ভীষণ ভালো লেগেছে, কিছু চরিত্রের আকায় ততটাই বিরক্ত করেছে। বিশেষ করে অত্যুৎসাহী মহিলা সাংবাদিক অনিকা। তাঁর অতি উৎসাহ মাঝেমধ্যেই বিরক্তের উদ্রেক ঘটিয়েছে। অন্যদিকে রহস্যময় ম্যাডাম চরিত্রের ব্যাপারে লেখক শুরু থেকে শেষ পর্যন্তই রহস্যে রেখে দিয়েছেন। যদিও আমি আশা করেছিলাম, লেখক তার রহস্য উন্মোচন করবেন। যাই হোক, গল্পের কাহিনী এতটাই থ্রিলিং ছিলো যে, পুরোটা বই এক বসায় শেষ করেছি। পাঠকেকে পুরোটা সময় ধরে সম্মোহন করে রাখার মত একটা চমৎকার থ্রিলার, আশা করি পাঠক আশাহত হবেন না।
Was this review helpful to you?
or
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দুরন্ত রহস্য-রোমাঞ্চ-উত্তেজনায় ভরপুর ‘আট কুঠুরি নয় দরজা’।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা। বই:- আট কুঠুরি নয় দরজা লেখক:- সমরেশ মজুমদার ঘরানা:- থ্রিলার প্রকাশনী:- আনন্দ পাবলিশার্স (ভারত) রকমারি মূল্য:- ৩৬০ টাকা। বইয়ের নামটা খুব অদ্ভত। আট কুঠুরি নয় দরজা। যার মানে দাঁড়ালো আটটি ঘরের নয়টি দরজা। প্রকৃতপক্ষে কি লেখক এটাই বুঝিয়েছেন? "না তিনি অন্য কিছু ইঙ্গিত করেছেন"? আমার কথাই বলি। বইটির নাম শোনা মাত্র আমার একটি গান মনে হয়েছিলো "মন আমার দেহ ঘড়ি সন্ধান করি কোন মিস্ত্রী বানাইয়াছে"। এই গানের মধ্যে একটি পয়েন্ট হচ্ছে "দেহ ঘড়া চৌদ্দ তলা। তার ভিতরে দশটি নালা, নয়টি খোলা, একটি বন্ধ গোপন একটি তালা আছে"। অর্থগত দিক থেকে এই "আট কুঠুরি নয় দরজা" বইয়ের নামটি গানের এই পয়েন্টের সাথে সম্পৃক্ত। শরীরের আটটি গ্রন্থিকে আট কুঠুরি বলা হয়েছে। এই আটটি গ্রন্থির সঙ্গে শরীরের নয়টি দ্বার যুক্ত। আটটি গ্রন্থির মধ্য দিয়ে হরমোন সিক্রিয়েশন হয়। আমাদের বেঁচে থাকার জন্য "হরমোন সিক্রিয়েশন" অতিব জরুরি। #রিভিউ:- বইটি মূলত ভারত ও ভুটানের মাঝের একটি দেশের বিপ্লবকে কেন্দ্র করে। দেশটিতে স্বৈরশাসন চলছে। বোর্ড নামক এক সংস্থা শাসন করছে দেশটি। সংস্থাটির সর্বোচ্চ ক্ষমতা মিনিষ্টার, পুলিশ কমিশনার ভার্গিস ও বোর্ডের হাতে। এই বোর্ডটির প্রধান এক রহস্যময় মহিলা। গল্পের শুরুতে তরুণ "ডাক্তার স্বজন" তার "স্ত্রী পৃথাকে" নিয়ে পাহাড়ি এলাকায় যায় অজ্ঞাত এক রোগীর বিশেষ চিকিৎসা করতে। বিয়ের পরে স্বজন তার স্ত্রীকে নিয়ে কোথাও যায়নি। তাই সে পৃথাকে জানয়নি সে এখানে ঊর্ধ্বতন চিকিৎসকের কথায় এসেছে। পৃথা ভাবে হয়তো তারা পাহাড়ে হানিমুনে এসেছে। পৃথা যেমন জানে না তার স্বামী এখানে ডিউটির জন্য এসেছে ঠিক তেমনি স্বজনও জানে না সে কার চিকিৎসার করতে এই দূর্গম পাহাড়ে এসেছে। পাহাড়ি অাঁকাবাকাঁ রাস্তায় তাতের ছোট একটি এক্সিডেন্ট হওয়ার তারা রাতের আশ্রয় খুঁজেতে গিয়ে, একটি নির্জন গেস্ট হাউজের সন্ধান পায়। সদর দরজায় তালা থাকায় তাঁরা ভিতরে ঢুকতে পারে না। পরে চিতা বাঘের তাড়া খেয়ে তালা ভেঙ্গে নিশুতি বাড়ির ভিতরে ঢুকে। বাড়ির ভিতরে কোন মানুষের চিহ্ন পায় না। তবে ঘরের পরিচ্ছন্নতা দেখে তাদের মনে হয় এই বাড়িতে কোন মানুষ বাস করে। বাড়ির ভেতর বিশ্রি দুর্গন্ধ পায় স্বজন ও পৃথা। সেই দুর্গন্ধের সন্ধান করতে গিয়ে গ্রাউন্ড ফ্লোরে কফিনে একটি লাশ পায়। ভয়ে বাড়ি ছেড়ে গাড়িতে আশ্রয় নেয়। গাড়ি থেকে তারা দেখতে পায় "এক্স পুলিশ অফিসার সোম" এই বাড়িতে আসেন। মিনিস্টারের আদেশে পুলিশ "কমিশনার ভার্গিস" সোমকে মারার জন্য খুঁজে বেরাচ্ছে। আর সোম প্রাণে বাঁচার জন্য পলাতক বিপ্লবিদের নেতা আকাশলালকে খুঁজছে। সোমকে যদি কেউ বাঁচাতে পারে তাহলে সেটা আকাশলাল। যাকে ধরিয়ে দিতে পারলেই পুরস্কার। দেশবাসি জানে কেউ যদি তাদেরকে সরকারের অরাজকতা থেকে মুক্তি দিতে পারে তাহলে সেটা তাদের বিপ্লবী নেতা আকাশলাল। তারা তাদের নেতাকে ভালোবাসে এবং তার আদেশকে শ্রদ্ধা করে। কিন্তু কেউ এই নেতার পাশে এসে দাঁড়ায় না। যারা আকাশলালের পাশে ছিল বেশির ভাগই পুলিশের হাতে ধরা পরেছে আবার কেউ কেউ মারাও পরেছে পুলিশের হাতে। একটি উৎসবকে কেন্দ্র করে এই পাহাড়ি এলাকায় হাজারো লোক একত্রিত হয়। এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে আকাশলাল একটি মারাত্মক গুপ্ত হামলার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। এবং এই কাজে সাহায্য করতে ডাকা হয় "ডাক্তার স্বজনকে"। এই গুপ্ত অপারেশনের আগে থেকেই আকাশলালের কাছে এক বৃ্দ্ধ ডাক্তার আছে এবার ডাকা হলো স্বজন কে। ডাক্তার স্বজন কি এই কাজে সাহায্য করবে??? নাকি করবেন না????? কি হবে দেখটির??? আকাশলাল কি পারবে দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোঁটাতে? #পাঠ_প্রতিক্রিয়া:- আমার ধারনা এই বইটি বহু মানুষ পড়া শুরু করে শেষ করতে পারেনি। গতরাতে আমি থ্রি এএম পড়ে রিভিউ লিখে ঘুমিয়েছি। আজ সকালে এই বইটি হাতে নিয়েছি বহু কষ্টে বইটির মাঝামাঝি এসে আর আগাতেই পারছিলাম না। বারবার মনে হচ্ছিলো রেখে অন্যকোন বই হাতে নেই। তারপর বহু কষ্টে আবার মন বসাই এই বইটির মধ্যে। কেউ যদি মাঝরাস্তায় বইটি পড়া বন্ধ করে থাকেন তাদের বলবো দ্রুত পড়ে নিতে। আমার এমন হওয়ার সঠিক কারণটি খুজে পাচ্ছিলাম না। তবে মনে হচ্ছে ভাষার জন্যই এমন হয়েছে। ভাষাটা একটু কঠিন মনে হলেও, কি নেই এই উপন্যাসে????? ভৌতিক, রহস্য, অ্যাডভ্যাঞ্চার, দেশপ্রেমে টইটম্বুর একটি উপন্যাস। আকাশলাল এবং তাঁর সঙ্গী "হায়দার, ডেভিড ও ত্রিভুবন" কে খুব ভালো লেগেছে। তবে স্বজন ও পৃথাকে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। সবমিলিয়ে অসাধারণ একটি উপন্যাস। না পড়ে থাকলে দ্রুত পড়া প্রয়োজন।
Was this review helpful to you?
or
"আট কুঠুরি নয় দরজা" -একটি শ্বাসরুদ্ধকর থ্রিলার। আপনি শেষ না করা পর্যন্ত আন্দাজ করতে পারবেন না শেষ কি হতে পারে। গল্পের শুরুতেই দেখা যায়,একজন তরুণ ডাক্তার তার স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছে। ঠিক ঘুরতে না, ডাক্তার তার কাজেই ছুটে যাচ্ছেন ভারত ও নেপালের মাঝামাঝি একটি দেশে। কিন্তু তার স্ত্রীকে সাথে নিচ্ছেন, যেহেতু তাদের কোনো হানিমুন হয় নি। কিন্তু পথে গাড়ি নস্ট হয়,চিতা ধাওয়া করে। তাই তারা একটা বাংলোতে আশ্রয় নেয়। বাংলোটা থেকে একধরনের দূর্গন্ধ টের পায় তারা। এরপর তারা বাংলোর নিচে মাটির তলায় একটা লাশ আবিষ্কার করে। থ্রিলারের শুরু এখানেই। এদিকে ওইদেশের পুলিশ আকাশলাল ওরফে চিতাকে মরিয়া হয়ে খুঁজছে। তার মাথার মুল্য ১০ লক্ষ টাকা। কিন্তু তারপরও কেউ ধরিয়ে দিচ্ছে না আকাশলালকে। আকাশলাল ওই দেশের বিপ্লবী নেতা।তার দলে যারা কাজ করে তারা প্রত্যেকেই কোন না কোনভাবে ওইদেশের পুলিশ দ্বারা নিগৃহীত। আকাশলালের ডানহাত হল হায়দার,ত্রিভুবন ও ডেভিড। তারা যেকোন সময়ে দেশের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত। এই বইয়ের একটি জোরালো চরিত্র হচ্ছে ম্যাডাম।যিনি আড়ালে থেকে রাজনৈতিক নীলনকশা আকেন। তার কথায় পুলিশ,বোর্ড মিনিস্টার সবাই ওঠে বসে। শেষ পর্যন্ত তার ভুমিকা কি জানার জন্য বইটা পড়তে হবে। আকাশলাল কি পারবে বিদ্রোহ করে টিকে থাকতে, নানাকি তার জীবন উৎসর্গ করবে স্বাধীনতার জন্য! তার সংগীরা তাকে কতটা সাহায্য করলো? ওই ডাক্তার দম্পতির কি হলো?---- এই সব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে শেষ করতে হবে বইটি। এই বইটির শুরুর দিকটা রোমান্টিক মনে হলেও এটা মোটেই রোমান্টিক বই না। এটি সম্পূর্ণ থ্রিলার বই। একবার এর মধ্যে ঢুকে যেতে পারলে চুম্বকের মত বইটি টানতে থাকবে আপনাকে। এই বই শেষ না করা পর্যন্ত আপনার এক ধরনের মাথায় যন্ত্রনা অনুভব হিবে শেষটা জানার জন্য। আমার মতে এই বইয়ের সেরা উক্তি হল-- " যা সত্য তা সবসময়েই সত্য।ক্ষেত্র বদল হলেও তার কোনও পরিবর্তন হয় না।পরিবর্তন যে করে সে সুযোগ সন্ধানী " পড়ার আমন্ত্রণ রইলো যাদের এখনো পড়া হয়নি। ☺☺
Was this review helpful to you?
or
Best thriller ?
Was this review helpful to you?
or
সমরেশ মজুমদারের আট কুঠুরি নয় দরজা উপন্যাস টি আমার কাছে এক কথায় অসাধারণ একটি বই। যার থ্রিলার আর এডভেঞ্চার কাহিনীর ফ্যান হয়ে গেছি। যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং একটি কাহিনী সম্বলিত একটি উপন্যাস।
Was this review helpful to you?
or
wonderful book.
Was this review helpful to you?
or
From my childhood I love adventure. I have read many books on adventure in my life. But this book is different from others. Reader who loves to read books on different taste of adventure, he/ she should read this book.
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামঃআট কুঠুরি নয় দরজা লেখকঃসমরেশ মজুমদার প্রকাশনীঃআনন্দ পাবলিশার্স মূল্যঃ৩৮০টাকা সমরেশ মজুমদার রচিত বাংলা সাহিত্যের অন্যতম সেরা রাজনৈতিক থ্রিলার বলে মনে হয়েছে আমার। এই উপন্যাসটি ভারতের পাশে একটি কাল্পনিক পাহাড়ি স্বতন্ত্র রাজ্যে স্থান পেয়েছে যা সামরিক একনায়কতন্ত্রের অধীনে চলছে। নেতা আকাশলালের নির্দেশে একদল বিদ্রোহী স্বৈরাচারী, রক্তাক্ত বিপ্লবকে স্বৈরশাসক বোর্ডের বিরুদ্ধে রূপান্তর করার চেষ্টা করছে। এই প্লটটি রহস্যময় ম্যাডাম, পুলিশ কমিশনার ভার্গিস, মন্ত্রী, সহ-বিদ্রোহী হায়দার, ডেভিড এবং ত্রিভূবন এবং আরও অনেক চরিত্রের চারপাশে ঘোরে।চমকপ্রদ পরিবেশ ও লেখনির অসাধারণ ভাষা ও বিভিন্ন নাটকীয়তা উপন্যাসটিকে আরো সমৃদ্ধ করে তুলেছে। আমার পড়া সেরা রাজনৈতিক উপন্যাস ।
Was this review helpful to you?
or
ওভার হাইপড লেগেছে। হয়তো এতো বছর ধরে প্রশংসা শুনে আসতে আসতে অনেক বেশি এক্সপেকটেশন ছিল। বেশিরভাগেরই ভালো লেগেছে। যাদের ভাল লাগেনি তাদের একটা মেজর কারণ ছিল খাপছাড়া লেখা। সত্যি কথা বলতে গেলে আমার কাছে খাপছাড়া লাগেনি কিন্তু কি যেন একটা অনুপস্থিত ছিল। সমরেশের কাছ থেকে এই রাজনৈতিক ঘরানার ভাল লেখা আরও পেয়েছি বলেই হয়তো ভাল লাগেনি। রহস্যময়ী 'ম্যাডামের' রহস্য খোলাসা না করাটা এবং আকাশলালের স্ট্রাটেজির আসল কারণ বর্ণনা না করাটাই আমার কাছে মাইনাস পয়েন্ত বলে মনে হয়েছে বইয়ের। কাহিনীর বিস্তারটা যদিও ভালই ছিল। ইদানীং কি বিপরীত স্রোতের মাছ হয়ে গেলাম নাকি! সবার যা ভাল লাগছে তা একেবারেই মন টানছেনা। কিছুদিন বিরতি দিয়ে আরেকবার বইটা পড়ে দেখতে হবে একই ইম্প্রেশন হয় নাকি।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_পাঠক_সমাগম_বুক_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_২ . মাস: জুলাই সপ্তাহ: চতুর্থ পর্ব: দুই বই - আট কুঠুরি নয় দরজা লেখক - সমরেশ মজুমদার প্রকাশক - আনন্দ পাবলিশার্স প্রকাশকাল: ১৯৯৩ প্রচ্ছদ - অনুপ রায় পৃষ্ঠা - ২৩২ মূল্য - ৩৬০ টাকা . লেখক পরিচিতি:সমরেশ মজুমদার একজন বাঙালি লেখক। তিনি জন্মগ্রহন করেন বাংলা ১৩৪৮ সনের ২৬শে ফাল্গুন, ১০ই মার্চ ১৯৪২। ডুয়ার্সের গয়েরকাটা চা বাগানে তার শৈশব কেটেছে। শিক্ষাজীবন শুরু করেন জলপাইগুড়ি জেলা স্কুল দিয়ে। বাংলায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে যথাক্রমে কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আনন্দবাজার প্রকাশনার সাথে যুক্ত ছিলেন লেখক। তিনি তার লেখায় উত্তরবঙ্গকে টেনেছেন অনেকবার। তিনি টিভি সিরিয়ালও নির্মাণ করেছেন। গ্রুপ থিয়েটারের প্রতি আসক্তির দরুণ প্রথম গল্প “অন্যমাত্রা” লিখেছিলেন মঞ্চনাটক হিসাবে। দেশ পত্রিকায় ১৯৬৭ সালে তার "অন্যমাত্রা" লেখাটি ছাপা হয়। একই পত্রিকায় সমরেশ মজুমদারের প্রথম উপন্যাস “দৌড়” ছাপা হয়েছিলো ১৯৭৬ সালে। তিনি লিখেছেন; ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী, কিশোর উপন্যাস। সমরেশ মজুমদারের উল্লেখযোগ্য উপন্যাসগুলি হচ্ছে, সাতকাহন, তেরো পার্বণ, স্বপ্নের বাজার, উজান গঙ্গা, ভিক্টোরিয়ার বাগান, আট কুঠুরি নয় দরজা, অনুরাগ ইত্যাদি। সমরেশ মজুমদার জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক অনেক পুরস্কার অর্জন করেছেন। ১৯৮২ সালে আনন্দ পুরষ্কার, ১৯৮৪ সালে সত্য আকাদেমী পুরষ্কার, বঙ্কিম পুরস্কার এবং আই আই এম এস পুরস্কার লাভ করেছেন। . নামকরণ: উপন্যাসটির নাম আট কুঠুরি নয় দরজা। উপন্যাসের ঘটনার সাথে এই নামের খুবই ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। এখানে মানবদেহকে আট কুঠুরি নয় দরজার সাথে তুলনা করা হয়েছে। শরীরের আটটা গ্রন্থি হচ্ছে আট কুঠুরি। পিটুইটারি, থাইমাস, থাইরয়েড, প্যরা থাইরয়েড, এলড্রিনাল, প্যারোটিড, প্যাংক্রিয়াস, ওভারিস। মানবদেহ টিকে আছে এই আটটি গ্রন্থির ভেতর দিয়ে হরমোন সিক্রিয়েশনের মাধ্যমে। এই আটটি গ্রন্থির সঙ্গে শরীরের আরও নয়টি দ্বার সংযুক্ত। তিনটি তলা হল, মস্তিস্ক, কোমর থেকে শরীরের ঊর্ধ্বভাগ এবং নিম্নভাগ। নাক, কান, চোখ, মুখ ইত্যাদি নয়টা দ্বার এই তিনতলায় ছড়িয়ে আবদ্ধ ,যা স্নায়ুশক্তির দ্বারা নিয়ন্ত্রন করা যায়।উপন্যাসের ঘটনা খেয়াল করলে, বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার মাধ্যমেই উপন্যাসের নামকরণের যথার্থতা নিরুপণ করা যায় এবং নামকরণ স্বার্থক হয়েছে বলা যায়। কাহিনী সংক্ষেপ: এই পলিটিক্যাল থ্রিলারটি লিখা হয়েছে ভারতবর্ষের কাছাকাছি এক পাহাড়ী রাজ্যের রাজনীতিকে আবর্তিত করে। দেশটির শাসনব্যবস্থা একনায়কতন্ত্রী বলে দেখানো হয়েছে বইটিতে। বোর্ড যেন সরকার আর পুলিশবাহিনী তাদের পুতুল। পুতুলরুপী পুলিশই দেশের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারি। পুলিশ যা খুশি করতে করতে পারে। বিচারের নামে খুন করে ফেললেও তাদের কারোর কাছে জবাবদিহি করতে হয় না। পুলিশ দেশবাসীর কাছে ঘচরমভাবে ঘৃণীত। কিন্তু জনগন আপন প্রাণ বাঁচাতে মুখ থাকতেও বোবা আর চোখ থাকতেও অন্ধ। এমন এক জঘন্য শাসনব্যবস্থার বেড়াজালে আবদ্ধ দেশের মানুষের জন্য গনতন্ত্র কায়েম করে দেশের মানুষকে শান্তি দিতে এক বিপ্লবী সংঘঠন সৃষ্টি করে একজন। নাম তার আকাশলাল। আকাশলালের গোপন বাহিনী গোপনে হামলা করে মেরে ফেলে অনেক পুলিশ সেপাইকে। প্রশাসন ভ্যাবাছ্যাকা খেয়ে যায়। আকাশলালকে নিশ্চিহ্ন করতে পুরষ্কার ঘোষনা করা হয়। জীবিত অথবা মৃত আকাশলালকে ধরিয়ে দিতে পারলেই দশ লক্ষ টাকা পুরষ্কার। যে পুরো দেশবাসীর মু্ক্তির কান্ডারি হয়ে আবির্ভূত হয়েছে, সেই অদম্য মানুষটি কী এমন কঠিন মুহুর্তে বসে বসে আঙ্গুল চুষবে? আকাশলাল আত্নরক্ষায় বানায় এক মাস্টারপ্ল্যান। এই প্ল্যানের কথা শুনলে যে কারোরই গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যাবে। বইয়ের এ পর্যায়ে এসে যে কোন পাঠকই বুঝতে পারবে যে, এটি সমরেশের একটি মাস্টারপিস পলিটিক্যাল থ্রিলার। বইটিতে এক তরুন ডাক্তারের উল্লেখ রয়েছে, যে একজন প্লাস্টিক সার্জারি স্পেশালিষ্ট। সে তার স্ত্রীকে নিয়ে পাশের দেশে মেলা পরিদর্শনে যায়। পরবর্তীতে জানা যায় ডাক্তারকে তার এক শিক্ষক নিমন্ত্রণ জানিয়ে নিয়ে এসেছে চিকিৎসার জন্য। আকাশলালকে পুলিশ ধরতে ব্যর্থ হলে উপর মহল থেকে কমিশনার ভার্গিসকে তিনদিনের সময় দেয়া হয়, এই তিন দিনের মধ্যে কমিশনার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে চাকরিচ্যুত হবে। আকাশলাল পালিয়ে থাকে। জনসম্মুখে যেতে না পারায় তার সংগ্রাম পরিচালনায় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। আকাশলাল তার চেহারা পালটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়। পুলিশ কমিশনার ভার্গিসের কাছে ধরা দিয়ে অল্প কিছুক্ষণের জন্য মরে যাবে সে। এই অল্প কিছুক্ষণ মরার জন্য আকাশলাল এক প্রবীণ ডাক্তারের শরনাপন্ন হয়। ডাক্তার এমন একটি ঔষধ তৈরি করে যা আকাশলালের হার্ট বন্ধ করে দিবে। আকাশলাল ধরা দেয় ভার্গিসের কাছে এবং সময় মত মারাও যায়। ভার্গিস ঘাবরে গিয়ে ফোন করে ম্যাডামকে। এই ম্যাডাম একটা ধোঁয়াশার মত চরিত্র। ম্যাডামের পরামর্শ অনুযায়ী পোষ্টমার্টম ছাড়াই দ্রুত কবর দেয়া হয় আকাশলালকে। পরিকল্পনা মোতাবেক বেঁচে উঠে আকাশ, কিন্তু হারিয়ে ফেলে স্মরণশক্তি। কী হয়েছিল তারপর? সে কী স্মরনশক্তি ফিরে পেয়েছিল আবার? আকাশলাল কী তার গনতন্ত্র রক্ষার মহাযাত্রায় সফল হয়েছিল? জানতে হলে পড়তে হবে সমরেশ মজুমদারের বই "আট কুঠুরি নয় দরজা" . পাঠ প্রতিক্রিয়া: থ্রিলার পড়ার সময় আমি বার বার রোমাঞ্চিত হই। আর বইটি যদি ছোট ছোট টুইস্টে ভরপুর একটি শিহরণ সৃষ্টিকারী বই হয়, তবে তো কথাই নেই। বার বার মনে হচ্ছিলো, ইশ্! যদি আকাশলালের স্মৃতিটা ফিরে আসতো! বইয়ের সবগুলো চরিত্রই আমাকে খুব আকর্ষিত করেছে। বইটা শেষ হয়ে যাবার পরও বইটা খোলে বসে ছিলাম। একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম। আকাশলালের জন্য বুকের ভিতরর কেমন একটা শূন্যতা অনুভব করছিলাম। এক কথায় অনবদ্য একটি বই। ব্যক্তিগত রেটিং ৫/৫। . সেরা উক্তি: "যা সত্য, তা সবসময়েই সত্য। ক্ষেত্র বদল হলেও তার কোন পরিবর্তন হয় না। পরিবর্তন যে করে সে সুযোগ সন্ধানী " রকমারি লিংক: https://www.rokomari.com/book/16494/at-kuthurio-noy-dorja . রিভিউ লিখেছেনঃ তানজিনা তানিয়া
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইঃ আট কুঠুরি নয় দরজা লেখকঃ সমরেশ মজুমদার ধরণঃ পশ্চিমবঙ্গের উপন্যাস প্রকাশনীঃ আনন্দ পাবলিশার্স মূল্যঃ ৩৬০ টাকা একটা উগ্রপন্থী দলের কিছু সংখ্যক মানুষের জন্য ব্যতিব্যস্ত একটি সতন্ত্র রাষ্ট্র, রাষ্ট্রের শাসকগোষ্ঠী এবং জনগণ। কিন্তু জনগণকে ঠিক ব্যতিব্যস্ত বলা যায় কী? হয়তো যায়, কারণ এই উগ্রপন্থী দলের মানুষ গুলোর জন্য রাজ্যের সাধারণ মানুষের মনে ভালবাসার একটু যেন কমতি নেই। তার প্রমাণ- #আকাশলাল! উগ্রপন্থী দলের নেতা আকাশলালকে যদি জীবিত অথবা মৃত অবস্থায় কেউ ধরিয়ে দিতে পারে তো সরকার পক্ষ থেকে তাকে দশ লক্ষ টাকা পুরষ্কার দেয়া হবে..... আচ্ছা, তাহলে এবার আকাশলালের ধরা পড়ার সম্ভাবনা কতটুকু? দশ লক্ষ টাকার আশায় রাজ্যের গরিব, অনাহারী মানুষ গুলো তো পারেই উগ্রপন্থী, বিপ্লবী আকাশলালকে ধরিয়ে দিতে। কিন্তু তারপরেও আকাশলালকে ধরিয়ে না দিয়ে কেন কেউ কেউ বরণ করে নিচ্ছে নিশ্চিত মরণ? . হ্যাঁ, বিপ্লবী আকাশলাল চান দেশের শাসনব্যবস্থা পাল্টাতে। বোর্ড, মন্ত্রীপরিষদের ওপর নেই আকাশলাল ও তার দলের অন্যান্য সদস্যদের আস্থা। আস্থা না থাকার হয়তো সঙ্গত কারণ ছিল.... সে কারণ গুলো #হায়দার, #ডেভিড এবং #ত্রিভুবন নামের আকাশলালের দলের এই তিন মূখ্য সদস্যের জীবনের লোমহর্ষক কাহিনী পড়লেই বুঝা যায়। অসীম সাহসী তিন যুবক! এদের তিনজনের মধ্যে তিনজনই হয়তো যুবক নয়, কিন্তু তাদের উদ্যমতা, ক্ষিপ্র-ভঙ্গি, মনের অসীম সাহসের জন্য সহজেই তাদেরকে যুবক বলে আখ্যায়িত করা যায়। . শহরে একটা উৎসব বসবে। ধর্মীয় উৎসব । হাজার হাজার মানুষ পাড়ি দিবে শহরে সেই উৎসবের উদ্দেশ্যে। এই উৎসবে হয়তো আকাশলাল আসতে পারে তার কোন গোপন কর্মকাণ্ড নিয়ে। যে কোন ভাবে এই উৎসবের সুযোগে আকাশলালকে পাকড়াও করতেই হবে পুলিশ কমিশনার #ভার্গিস কে। কারণ উপরের মহল থেকে আদেশ আছে, যেকোন ভাবেই এই ক'দিনের মধ্যেই আকাশলালকে ধরতেই হবে নয়তো গদি হারাবেন ভার্গিস। ব্যাস, উৎকণ্ঠিত ভার্গিস.... আকাশলাল নামক এই ধূর্ত চিতাকে গত কয়েক বছর ধরেও ধরা সম্ভব হয়নি কারো পক্ষে! এখন? কি করে এই আকাশলালকে ধরবেন ভার্গিস? চলতে থাকে পুলিশ সদস্যদের বৈঠক, মিনিস্টার মহলের তৎপরতা, জায়গায় জায়গায় চেকপোস্ট! হ্যাঁ, একের পর এক ফাঁদ পড়তেই থাকে আকাশলালের জন্য। . একটা মানুষের পক্ষে দিনের পর দিন লুকিয়ে থাকা খুব কষ্টকর একটা ব্যাপার, আর সেই মানুষটি যদি হন আকাশলাল তবে তো কথাই নেই! পরিকল্পনামাফিক কাজ বাস্তবায়ন করতে হলে আকাশলালকে অবশ্যই আসতে হবে প্রকাশ্যে। রাজপথে না নামলে বিপ্লবীদের বিপ্লব যে পূর্ণ হয়না! কিন্তু আকাশলালের পক্ষে রাস্তায় নামা যথেষ্ট বিপজ্জনক ব্যাপার। কেন? শহরের প্রতি গলিতে গলিতে আকাশলালের নির্ভীক-বিপ্লবী ছবি টানানো। যাতে যে কেউ চিনতে পারার সাথে সাথেই ধরিয়ে দিতে পারে তাকে। এমতাবস্থায় আকাশলালের জন্য প্রকাশ্যে রাস্তায় নামা ভয়ংকর ব্যাপার! কিন্তু যদি আকাশলাল বাইরে না বেরুতে পারেন তো পরিকল্পিত কাজের কোন ফল পাওয়া যাবেনা.... তবে উপায়? কি করে আকাশলাল যেতে পারেন প্রকাশ্য জনতার সরণিতে? . #ম্যাডাম নামের এক পরমা সুন্দরী, রহস্যময়ী মহিলার বেশ দাপট দেখা যায় উপন্যাসে। যার কথায় শাসনব্যবস্থা প্রায় উঠে-বসে। ইনি যেন "ধরি মাছ না ছুঁই পানি" এই বাগধারার বাস্তবিক প্রয়োগ দেখিয়েছেন। . দুজন ডাক্তারকেও দেখা যায় উপন্যাসের মধ্যে। একজন বৃদ্ধ, কোন এক চমকপ্রদ কাজ করে নোবেলজয়ী হওয়ার আশায় বিভোর তিনি এবং একজন তরুণ ডাক্তার, যিনি স্ত্রীকে নিয়ে হানিমুনে বের হয়ে জড়িয়ে পড়েন আরেক অদ্ভুত কাজে, কাজটি সারা হয়ে গেলেই নিজ বাড়ি ফিরে যেতে যেন অস্থির এই তরুণ ডাক্তার দম্পতি..... কি এমন অদ্ভুত কাজ এই দুই ডাক্তারের???? একের পর এক খুন শুরু হয় উপন্যাসে.... যে খুন গুলোর দায় উগ্রপন্থী আকাশলালের দলের উপর পড়লেও আদৌ কি সেই খুন গুলোর সাথে আকাশলাল জড়িত? নাকি অন্য কেউ?..... যাইহোক, সৃষ্টির চরম রহস্য মৃত্যুকে কি কেউ আজ পর্যন্ত জয় করতে পেরেছে? নাকি পারবে? কিন্তু এই রহস্য উপন্যাসে হঠাৎ করেই মারা যায় এক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। ঘটনা এখানেই- হঠাৎ করেই জীবিত অবস্থায় ফিরে আসে সেই মৃত ব্যক্তি! যার ডেথ সার্টিফিকেট হাসপাতাল কতৃক পায় শাসকগোষ্ঠী এবং শাসকগোষ্ঠীরই কড়া তৎপরতায় কবর দেয়া হয় তাকে! কিন্তু মৃত মানুষ জীবিত হয় কোন যাদুবলে???? #রহস্য_অবাক_রহস্য . #পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ একটা বই ঠিক তখনই সার্থক হয় যখন বইয়ের ভেতর তার পাঠক অজান্তেই প্রবেশ করে। #আট_কুঠুরি_নয়_দরজা বইটি অবশ্যই একটি সার্থক উপন্যাস! বইটি পড়তে গিয়ে পুলিশ কমিশনার ভার্গিসের মত আমিও ছিলাম উৎকণ্ঠিত! কি হয় কি হয়..... সব গুলো চরিত্র ছিল এক কথায় অসাধারণ!! বিশেষ করে আকাশলালের বিশ্বস্ত তিনজন সদস্য "হায়দার", "ডেভিড" এবং "ত্রিভুবন" এই তিনজন উপন্যাসের কল্পিত চরিত্র হলেও আমি এদের জন্য সত্যিকারের ভালবাসা অনুভব করেছি! . একটা রাজ্যে শাসকগোষ্ঠী কি পরিমাণ নির্যাতন চালাতে পারেন লেখক তার লেখনীর মধ্যে সে বাস্তবতা তুলে ধরেছেন। লেখকের আকাশলালের মাধ্যমে ফুঁটিয়ে তুলা একটি লাইন ছিল আমার পছন্দের - #ঘুম_তুমি_আমার_খুব_প্রিয়, #কিন্তু_আমার_হাতে_সময়_নেই_তোমায়_সঙ্গ_দেবার! শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রহস্য-উৎকণ্ঠায় পূর্ণ এক উপন্যাস এটি। সমরেশ মজুমদারের লেখনী মানেই চমৎকার কিছু.... চমৎকার এই বইটি পড়া না থাকলে পড়ে দেখতে পারেন। আর পড়ে ফেললেও আবার পড়তে পারেন। হ্যাপি রিডিং :)
Was this review helpful to you?
or
বিষয়ঃ পলিটিক্যাল থ্রিলার। ভারতবর্ষের কাছাকাছি পাহাড়ি এক রাজ্যে ঘুরতে আসে এক নবদম্পতি। পৃথার জন্য শুধু ঘুরতে আসা হলেও স্বামী ডা স্বজনের ছিল অন্য উদ্দেশ্য। অন্য এক মিশন ! একনায়কতান্ত্রিক এই রাজ্যের জনগণের প্রিয় ও বিপ্লবী নেতা আকাশলালকে ঘিরে রচিত হয়েছে এই উপন্যাসের কাহিনী। হন্যে হয়ে খোঁজার পরেও পুলিশ ব্যার্থ হয় আকাশলালকে ধরতে। এ যেন এক লুকোচুরি খেলা। অতঃপর একদিন নিজেই পুলিশের কাছে ধরা দেয় আকাশলাল। পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন মৃত্যু হয় তার। জনগণ ক্ষেপে যাওয়ার ভয়ে রাতের নিকষ কালো আঁধারে কবর দেয়া হয় আকাশলালকে। কিন্তু সেই রাতেই চুরি হয়ে যায় আকাশলালের লাশ। হয়না কোনো আন্দোলন , হয়না কোনো বিপ্লব , আর খুঁজে পাওয়া যায় না আকাশলালের লাশকে। আট কুঠুরি নয় দরজা ভেদ করে অন্য এক জগতে প্রবেশ করে আকাশলাল। মরা লাশ যেন জিন্দা হয়ে আবার ফিরে আসে সবার মাঝে। কিন্তু এই পৃথিবী আর আগের পৃথিবী যেন এক নয়। কেউ আর স্বপ্ন দেখে না স্বাধীন হওয়ার, কেউ আর করেনা বিপ্লব। সেই পৃথিবীর এক কোণে বসে পুলিশ কমিশনার ভার্গিস যেন মেলাতেই পারছে না আট কুঠুরি নয় দরজা ভেদের রহস্য। কীভাবে সম্ভব!!! বিঃদ্রঃ মানবদেহের আটটি গ্রন্থির সাথে যুক্ত শরীরের নয়টি দ্বার যেগুলো নিয়ন্ত্রণ করে আমাদের স্নায়ুতন্ত্র। এটিকে রূপক অর্থে বলা হয়েছে আট কুঠুরি নয় দরজা।
Was this review helpful to you?
or
থ্রিলার ধর্মী এই গল্পটির শুরুটা দারুন লিখেছেন সমরেশ মজুমদার। কিন্তু গল্পের মাঝ পথ থেকে লেখক পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখতে পারেননি । বইটি একবার পড়ার জন্য ভাল তবে পাঠক তা নিজস্ব সংগ্রহে রেখে কতটা ত্তৃপ্তি পাবেন সেটা বলা মুশকিল।
Was this review helpful to you?
or
উপন্যাসের বর্ণনা শুরু , পাহাড়ী রাস্তায় গাড়ি চলছে, আরোহী ভারতীয় নাগরিক "স্বজন" পেশায় একজন চিকিৎসক। সাথে তার স্ত্রী পৃথা। বিশেষ চিকিৎসা বিজ্ঞানে অভিজ্ঞ ভারতীয় ডাক্তার স্বজন। তার সিনিয়র এর আদেশক্রমে এই অঞ্চলে আসেন একজন পেশেন্ট কে দেখতে, যাকে আর কোথাও সরানো যাবে না। স্বজন এর মতে, পেশেন্ট খুব গুরুত্বপূর্ণ লোক। তবে, দীর্ঘ যাত্রাপথে বিভিন্ন সমস্যা এমন কি ভৌতিক সমস্যর ও সম্মুখীন হতে হয় তাকে।ভারতীয় রাজ্যের পার্শ্ববর্তী রাজ্যটির মন্ত্রিপরিষদ, রাজধানী শহরের পুলিশ কমিশনার "ভার্গিস" সহ সমগ্র প্রশাসনের ঘাম ছুটে যাচ্ছে দেশদ্রোহী এক বিপ্লবী নেতা গ্রেফতার করতে। তিন বছর ধরে লোক টা আড়ালে থেকে তাদের নাকানি চুবানি দিচ্ছে। ওর জন্য ভার্গিস কে মিনিস্টার চাপ দিচ্ছে খুব, এমন কি তার চাকরির মেয়াদ রেখেছে তিন দিন। তার মাথার মূল্য দশলক্ষ টাকা ঘোষণা করে, লোকটার টিকি টাও খুজে পাওয়া যাচ্ছে না।কোন মানুষই বিপ্লবের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে না।অন্যদিকে, ওই বিপ্লবী দলের নেতা যার নাম আকাশলাল। সে ও তাঁর সঙ্গীরা ব্যস্ত তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন নিয়ে। দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিতে হচ্ছে তাদের আকাশলাল কে। তাদের ধারণা এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলেই তাঁরা সফল। তার তিন সহযোদ্ধা হায়দার, ডেভিড আর ত্রিভুবন।হায়দার, যার বার বছর বয়সে বাবা কে হারাতে হয়েছিলো পুলিশের গুলি খেয়ে, আর মা অত্যাচারিত হয়ে গলায় ফাসি দিয়েছিলেন।ডেভিড, যার বোন কে লাঞ্চিত করে ছিলো তখন কার রাজনীতিতে অবস্থান কারি রা। তার প্রতিশোধ নেওয়ায় হারাতে হয়েছিলো মা ও বাবাকে।ত্রিভুবন, দলে সব থেকে কনিষ্ঠ আর চোখ ধাধানো রূপের তরুন যুবক। লেখক এর বর্ননায় সিনেমার হিরু হিসেবেই মানাত বেশি যাকে। বাবা কে হারিয়ে , মা ছিলো এক মাত্র অবলম্বন। কিন্তু এই মাকে হারাতে হয়েছিলো পুলিশের বর্বরতায়।এই রাজ্যের রাজনৈতিক জটিলতা এই উপন্যাসের মূল চিত্র।রাষ্ট্রের পুতুল রাজাকে নামে সিংহাসনে বসিয়ে তার দূর্বলতার সুযোগে শাসন বোর্ড এবং তাদের মন্ত্রী পরিষদ দ্বারা সারা দেশে স্বৈরাচারী ও পুলিশি শাসন ব্যবস্থা চলমান। তার ও পিছনে রয়েছে এক রহস্যময়ী নারী চরিত্র "ম্যাডাম"।সব কিছুর অগোচরে তিনি কিভাবে এই সকল কিছু নিয়ন্ত্রন করছেন তা এক বড় রহস্য এ উপন্যাসের। রাজধানী শহরের পুলিশ কমিশনার ভার্গিস, মিনিস্টার, বোর্ড,ম্যাডাম এই চতুর্মুখী সমস্যয় দেশের নাগরিকের স্বাধীনতা খর্ব হচ্ছে।গনতান্ত্রিক সরকার না হয়ে স্বৈরাচারী হওয়ায় দেশের পুলিশি জুলুম নির্যাতনের মাত্রা চরমে উঠছে।গ্রামের নিরস্র, অসহায় সাধারন মানুষকে হত্যা, নারী ধর্শন, ও শিশু অত্যাচারে অরাজক অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে, রাজ্যের কিছু নির্যাতিত ও মুক্তিকামী যুবক বিপ্লব এর ডাক দেয়। যাদের মূল নেতা "আকাশলাল" এই, সশস্র সংগ্রামে পুলিশের সাথে পেরে উঠছিলো না। দিনের পর দিন অন্ধকারে গা ঢাকা দিয়ে থাকেতে হচ্ছিল। আর তাই আকাশলাল কে নিতে হয় নতুন পদক্ষেপ। পুলিশের কাছে ধরা দেওয়ার তিনঘন্টা পর আকাশলাল এর হার্ট এট্যাক হলো। তাকে মৃত্যু ঘোষনা করে পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হলো। কিন্তু আসলেই কি আকাশলাল..!ঘটনার পরিক্রমায় খুন হন "বাবু বসন্তলাল" যিনি প্রচুর বৈদাশিক মুদ্রা অর্জন করে নিয়ে আসতেন দেশের জন্য। ম্যাডাম এর আস্তাভাজন লোক।একে একে খুন হন ইন্সপেকটর সোম, বাবু বসন্তলাল এর চৌকিদার, ম্যাডাম এর ড্রাইভার, পুলিশ সার্জেন্ট.. কিন্তু কেন?এর পিছনে কল কাটি কে..? না জানে পুলিশ অফিসার ভার্গিস, না জানে আকাশলাল।যদিও বিপ্লবীদের কাজ বলে চালিয়ে দেওয়া হয়েছিল।কিই বা ছিলো আকাশলাল এর পদক্ষেপ..! যে কারনে ডাক্তার দম্পত্তি কে বন্দীদশা ভোগ করতে হয়েছিলো।শেষ পর্যন্ত বিপ্লবীরাই কতোটা সফল হলো..?উপন্যাসের শেষদিকে লক্ষ করা যায় সেই অসীম ক্ষমতাশালী “ম্যাডাম” সরকারের একজন অদৃশ্য প্রভাবশালী সদস্য হয়েও বিপ্লবীদের শেল্টার দিচ্ছেন। কি তার কারণ? সবশেষে মনে হয় পুরো উপন্যাসটির সমস্ত ঘটনা যেন একজনের বিচক্ষণ ষড়যন্ত্রের ফসল! কে সেই রহস্যময় ব্যক্তি? জানতে হলে শেষ করতে হবে সমরেশ মজুমদারের এই বইটি।আট কুঠুরি নয় দরজা- মানব দেহে আটটি স্থান এবং নয়টি গমন পথ। যার একটা সম্পর্ক আছে উপন্যাস টিতে।সমরেশ মজুমদার..! আট কুঠরি নয় দরজা বইটি মুলত রাজনৈতিক আবার থ্রিলার টাইপ উপন্যাস।আবার এখানে লেখক বিজ্ঞানের খেলাও খেলেছেন। রাজ্যের শাসক ও শোষক দের মধ্যকার অবস্থান। উপন্যাসে বিপ্লব,বিপ্লবী, স্বৈরাচারি ও সাধারন জনতার নানাবিধ কর্মকান্ড বর্নিত।শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এক রহস্য -রোমাঞ্চ উত্তেজনায় ভরপুর। মৌলিক তবুও যেকোন বিদেশি থ্রিলার কে হার মানায় সমরেশ এর কীর্তিকর্ম।অনেক আগে পড়েছিলাম, ঠিক কতো আগে মনে নাই। তবে আজ আবার ও আকাশলাল এর ব্যক্তিত্বায় মুগ্ধ হয়েছি।যে মানুষটা স্বাধীনতার জন্য মৃত্যুর দোয়ার ছুয়েছিল।
Was this review helpful to you?
or
" আট কুঠুরী নয় দরজা " যা হল মানবদেহ। হুম, সত্যিই আজব এক জিনিস এই মানবদেহ। বিজ্ঞান আজও ধরতে পারে নি যার সব রহস্য। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রহস্য উদঘাটন করে কিছু প্রতঙ্গের উপাদান বিশ্লেষণ করা গেলেও কৃত্রিমভাবে তৈরী করা সম্ভব হয় নি। তবুও এই গল্পে যা বর্ণিত হয়েছে তা অনেকটা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীই বটে। যদিও যে প্রয়োজনে এর আবির্ভাব হয়েছিল শেষ মূহুর্তে তা ব্যর্থতায় পর্যবশিত হয়। দেহাতি নামক অঞ্চলের এক বিপ্লবী আকাশলাল। দেশের স্বৈরাচারী শাসকদের হাত থেকে বাঁচাতে সে লড়াই করে যাচ্ছে আজীবন। নিজের কথা সে কোনদিন ভেবেও দেখে নি। এভাবেই সে হয়ে পড়ে " ওয়ান্টেড " লিস্টের ১ নং আসামী, যার জন্য সরকারের পুরস্কার ১০ লক্ষ টাকা। তবে আকাশলালের নাগাল পাওয়াও চাট্টিখানি কথা নয়। সরকার মহলের ভেতরেই কয়েকজন অভিজাত তার মদদদাতা। এদেরই সাহায্যে সে নিজের কর্মকান্ড চালিয়ে যেতে স্বেচ্ছামৃত্যুর আগে শারীরিক পরিবর্তন ঘটিয়ে মৃত্যুর পর বিজ্ঞানের কৃতিতে বেঁচে উঠে আর সেই সাথে বদলে ফেলে তার মুখের আদল! কিন্তু হায়, বেঁচে ওঠার পর যে তার কিছুই মনে নেই! চেহারাও বদলে গেছে তার... নিজের পরিচয় সম্পর্কে নিঃসন্দেহ হতে সে বেড়িয়ে পড়ে পথে। আর তারপরই পেয়ে যায় তার পরিচয়... কিন্তু হায়, সে যে নেহাতই অন্যের দ্বারা সৃষ্ট আর তার অজান্তেই হয়ে গেছে তার হাতের পুতুল সেটা কেই বা জানত! তাই শেষ মেষ সে সব আশা ছেড়ে দিয়ে... থাক না তার কাজ টা অসম্পূর্ণ! এরপর কি হলো তা না হয় না ই বললাম। অবশ্য, বলার আর কিছু বাকি আছে কি?
Was this review helpful to you?
or
আট কুঠুরি নয় দরজা মানে কিন্তু এখানে আটটি ঘর আর নয়টি দরজাকে বুঝানো হয় নি। তাহলে এখানে কি বুঝানো হলো? মানুষের মোট গ্রন্থি আটটি। পিটুইটারি, থাইমাস, থাইরয়েড, প্যরা থাইরয়েড প্রভৃতি। এই শরীরটা বেঁচে আছে এই আটটি গ্রন্থির ভেতর দিয়ে হর্মোন সিক্রিয়েশন করার জন্য। আর এই আটটি গ্রন্থির সাথে যুক্ত শরীরের নয়টি দ্বার। আর তিনতলা হলো শরীরের মস্তিষ্ক, কোমর থেকে শরীরের ঊর্দ্ধভাগ এবং নিম্নভাগ। চোখ, মুখ, নাক, কান প্রভৃতি নয়টা দ্বার নিয়ে ছড়িয়ে আছে যা স্নায়ুশক্তি নিয়ন্ত্রণ করে। এই বইয়ের কাহিনী এক পাহাড়ি রাজ্যকে নিয়ে। যেখানে শাসনব্যবস্থা একনায়কতন্ত্র। পুলিশকে জনগণ প্রচন্ড ঘৃণা করলেও তা প্রকাশ করতে পারে না। পুলিশ কোন অন্যায় করলেও তার প্রতিবাদ করার সাহস নেই কারো। তবুও কিছু মানুষ প্রতিবাদ করতে শুরু করে। শুরু করে বিপ্লব। আর এই বিপ্লবের মূল নায়ক আকাশলাল। পুলিশ হন্য হয়ে খুজঁতে থাকে এই আকাশলালকে। কোথাও পায় না। হটাৎ আকাশলাল নিজেই ধরা দেয়। পুলিশি হেফাজতে থেকে মারা যায় আকাশলাল। জনগণ এই মৃত্যু সংবাদে ক্ষেপে উঠবে ভেবে রাতের আধাঁরে কবর দিয়ে দেয় পুলিশকিন্তু সেই রাতেই চুরি হয়ে যায় আকাশলালের লাশ। কিন্তু মৃতদেহ কেন চুরি হবে? তবে কি এই মৃত্যু সাজানো কোন নাটক?
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগীতা বই- আট কুঠুরি নয় দরজা। লেখক- সমরেশ মজুমদার। প্রকাশনী- অন্যপ্রকাশ। ধরন- রাজনৈতিক থ্রিলার। পৃষ্ঠাসংখ্যা- ২৩২। প্রধান চরিত্র- আকাশলাল, মিনিষ্টার, কমিশনার ভার্গিস, ম্যাডাম, হায়দার, ডেভিড, ত্রিভুবন, স্বজন, পৃথা। কাহিনীর আবর্তন ভারত ও ভুটানের মধ্যস্থলের একটি দেশের মধ্যে। দেশটিতে স্বৈরতন্ত্র চলছে। বোর্ড নামক এক স্বৈরসংস্থা নিজেদের মতো শাসন ব্যবস্থা জারি করে রেখেছে। সেখানকার সর্বময় ক্ষমতা মিনিষ্টার, পুলিশ কমিশনার ভার্গিস ও বোর্ডের হাতে। এই বোর্ড আবার রহস্যময় এক মহিলা যিনি সমগ্র অঞ্চলে ম্যাডাম নামে পরিচিত তার অঙ্গুলি হেলনে নিয়ন্ত্রিত হয়। যেহেতু স্বৈরতন্ত্র তাই সাধারন মানুষ এখানে বেচে রয় না বেচে থাকার মতো। পুলিশের অত্যাচার এখানে সর্বত্র বিরাজমান। এহেন পরিস্থিতিতে মানুষকে মুক্তি দিতে আবির্ভাব হয় এক বিপ্লবী নেতার। তার নাম আকাশলাল। দীর্ঘসময় ধরে সে দেশে একটি বিপ্লব ঘটিয়ে সরকারের পতন ঘটাতে চাচ্ছে। তার প্রধান সঙ্গী তিনজন। তারা হলেন হায়দার, ডেভিড ও ত্রিভুবন। এরা প্রত্যেকেই কোনো না কোনোভাবে একটা পর্যায়ে সরকারের দ্বারা অত্যাচারিত হয়ে সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছিলেন। আকাশলালের সংস্পর্শে এরা স্বপ্ন দেখেন বিপ্লবের মাধ্যমে দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনার। কিন্তু কমিশনার ভার্গিস অত্যন্ত শক্ত ও বুদ্ধিমান মানুষ। আকাশলালকে ধরিয়ে দেবার জন্য দশলক্ষ টাকা ঘোষনা করা হয়েছে। যদিও তাতে কোনো কাজ হয়নি। জনগন আকাশলালকে পছন্দ করে। এহেন পরিস্থিতিতে সেই দেশে একটি ধর্মীয় উৎসবের সময় শুরু হয় যারফলে আশেপাশের অঞ্চল ও প্রতিবেশী দেশ থেকে বহু মানুষের আগমন ঘটতে শুরু করে। এসময় আকাশলাল একটি রহস্যময় পরিকল্পনা করে। ভার্গিস বুঝতে পারে আকাশলাল কিছু একটা করবে কিন্তু সেটা কি তা তার আন্দাজের বাইরে রয়ে যায়। অপরদিকে মিনিষ্টার ক্রমাগত চাপ দিতে থাকে তারওপর। তিনদিনের সময় দেওয়া হয় ভার্গিসকে। এরমধ্যে ধরতে হবে আকাশলালকে। স্বজন একজন প্লাস্টিক সার্জন। সিনিয়রের অনুরোধে এক বিশেষ ব্যাক্তির চিকিৎসার জন্য স্ত্রী পৃথাকে সাথে নিয়ে দেশটিতে আসে। রোমাঞ্চের উদ্দেশ্যে তারা দুজন প্লেনের বদলে গাড়িতে করে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে থাকে। কিন্তু পথে একটি ছোট র্দুঘটনার শিকার হয় গাড়ি। এদিকে রাত নেমে আসে। সে সময় একটি চিতাবাঘের আক্রমনের শিকার হয় স্বজন ও পৃথা। কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে তাদের কোনো ক্ষতি হয়না। তারা একটি বিশাল প্রাসাদবাড়িতে আশ্রয় নেয়। সেখানে তারা একটি পচাঁ মৃতদেহ আবিষ্কার করে। সেসময় চাকরিচ্যুত হয়ে নিজের কোর্ট মার্শাল বাচানোর জন্য পালিয়ে সে পথে এসেছিলো এক্স এসিপি সোম। সোমের সাথে স্বজনদের দেখা হয়। সোমের সাহায্যে স্বজন তার গাড়িটা ঠিক করে শহরে প্রবেশ করে এবং প্রবেশ করেই সে ভার্গিসের হাতে গ্রেফতার হয়। পৃথা আশ্রয় নেয় তাদের জন্য নির্ধারন করা লজে। স্বজনকে অল্পক্ষন পরেই ছেড়ে দেওয়া হয় কিন্তু এরপরই গায়েব হয়ে যায় স্বজন ও পৃথা। পুলিশ তাদের খুজেই পায় না। এরপরই সোমকে পাওয়া যায় মৃত অবস্থায়। এদিকে বাংলোতে পাওয়া পঁচা মৃতদেহটি উক্ত অঞ্চলের বিশাল ধনী বসন্তলালের। ভার্গিসের অবস্থা যারফলে করুণ হয়ে যায়। তবে রহস্যময় ম্যাডামের সাহায্যে বোর্ডের কৃপাদৃষ্টি ধরে রাখতে সক্ষম হয় ভার্গিস। এদিকে স্বজনদের ধরে নিয়ে আকাশলালের লোকেরা। একটি বড় পরিকল্পনা করেছে আকাশলাল। সে আত্মসমর্পন করবে। ইতিমধ্যে সে খুব অসুস্থ। তার দুটো অপারেশন হয়েছে। তৃতিয় আরেকটি বিশেষ অপারেশন করানোর জন্য নাটকীয় ভাবে আনা হয়েছে স্বজনকে। যথাসময়ে আত্মসমর্পণ করে আকাশলাল। এর কয়েক ঘন্টা পরেই তাকে তার সেলে মৃত পাওয়া যায়। জানা যায় তার ম্যাসিভ হার্টঅ্যাটাক হয়েছে। গোপনে কার্ফিউয়ের মধ্যে পুলিশ তাকে কবর দিয়ে দেয়। কিন্তু পরদিন সুড়ঙ্গ খুড়ে তার সাগরেদগন তার লাশ চুরি করে নিয়ে যায়। সেসময় ডেভিড ধরা পড়ে। এদিকে ফাস হয়ে যায় কে খুন করেছে বসন্তলালকে। জানা যায় বসন্তলালের খুনী তার বাড়িরই কেয়ারটেকার এবং এটা সে করেছে ম্যাডামের আদেশে। ভার্গিস এক সার্জেন্টের মাধ্যমে কেয়ারটেকারকে লুকিয়ে রাখে সেই বাংলো বাড়িতেই। কিন্তু শেষরক্ষা হয়না। সেখানে তাদের দুজনকেই মেরে ফেলা হয়। সে স্থানেই আবার ম্যাডাম ভার্গিসকে ডেভিডকে সাথে করে নিয়ে আসতে বলেন। সেসময় কিছু ভুল বোঝাবুঝির ফলে সেখানে ম্যাডামের বডিগার্ড কাম ড্রাইভার ও ডেভিড ভার্গিসের হাতে মারা যায়। এদিকে আকাশলালের মৃতদেহ যেনো গায়েব হয়ে যায়। এহেন সময় আর্বিভাব ঘটে গগনলাল নামক আরেক ব্যাক্তির। ভাসা ভাসা স্মৃতিশক্তির অধিকারী গগনলাল নিজের অতীত সর্ম্পকে পরিষ্কার কিছুই জানেনা। শুধু জানে সে এককালে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তি ছিলো। রহস্যময় গগনলাল যেনো নতুন করে আবার কিছু উস্কে দিতে চায়। সে জানতে চায় তার পরিচয়। আর একমাত্র সেই রহস্যময় ম্যাডামই বলতে পারবে কে এই গগনলাল? কি হয় শেষ পর্যন্ত? আকাশলাল কি মরে গেছে, নাকি আবার ফিরে এসে থেমে যাওয়া বিপ্লব চালু করতে পারবে? গগনলাল কে? কি তার অতীত? আর রহস্যময় ম্যাডাম কে? কি তার স্বার্থ? সে আসলে কার পক্ষে? বইটার নামকরণের ব্যাখাটা আছে বইটার মাঝামাঝি পর্যায়ে তাই আমি আর সে প্রসঙ্গে যাচ্ছি না। ব্যাখাটা অনেকটা ডাক্তারি ভিত্তিক। নামকরণটাই কিন্তু বইটার মূল আকর্ষনীয় বিষয়। কাহিনীটা বেশ প্যাচালো। সুন্দরভাবে এগিয়েছে। পাঠককে অনেক ভাবনার খোড়াক দেবে এই বই। সুন্দর সব মারপ্যাচ ফুটে উঠেছে। এছাড়া এমন এক রাজনৈতিক অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে যা আসলে অনেক দেশেই হচ্ছে। স্বৈরতন্ত্র তার সাথে আবার বিপ্লব, সাধারন মানুষের নির্যাতন আর ভোগান্তি। আশা করি সবার ভালো লাগবে পড়তে। রেটিং- ৪.৮৫/৫.০০
Was this review helpful to you?
or
বিপ্লব সাধারণত যাকে ঘিরে আবর্তিত হয় অর্থাত বিপ্লবের আইকন, তার মৃত্যুর খবর যদি ছড়িয়ে পড়ে এবং মানুষের কাছে বিশ্বাস করার মত যথেষ্ট প্রমাণাদি থাকে তবে আইকন বিপ্লবী যদি আবার ফিরেও আসে তবু সে আগের সেই মোমেনটাম কখনোই তৈরী করতে পারেনা। আমি নিজেও এটা বিশ্বাস করি যে আইকন বিপ্লবীর মৃত্যু বিপ্লবকে ৮০ থেকে ৯০ ভাগ পঙ্গু করে দেয় যদি না সেই আইকন বিপ্লবী তার যোগ্য উত্তরাধিকারী গড়ে না দিয়ে যেতে পারে। এ পর্যন্ত পড়ে আপনার মনে হতে পারে এতে থ্রিলার এর কী আছে? মজাটা সেখানেই। এটা একটা আপাদমস্তক থ্রিলার বই। সমরেশ মজুমদারের মাস্টারপিসগুলোর একটা। আচ্ছা আমি সমরেশের সব বই পড়িনি। অল্প কয়টা পড়েছি। তাতে আমার মনে হয়েছে সমরেশ মজুমদারের মত নারী চরিত্র এত ভালভাবে আর কেউ ফুটিয়ে তুলতে পারে না। এ গল্পে অসাধারণ এক নারী চরিত্র আছে। পড়লেই বুঝবেন সে কে। কী সেই আট কুঠুরি নয় দরজার চিরন্তন রহস্য। বইটা পড়ে বাইরে গিয়ে একটু আকাশের দিকে তাকাবেন। দেখবেন আকাশটা এখন আর লাল নয়। আকাশটা নীল কিংবা ধূসর। আকাশলাল পারেনি আকাশটাকে রঙিন করে রাখতে। তবে সমরেশ পেরেছেন তার লেখনী রঙিন রাখতে।