User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
Wonderful writeup. It's a documentation that how uncertain the life can be.
Was this review helpful to you?
or
একটি অসাধারণ বই
Was this review helpful to you?
or
রিভিউয়ারঃ মোঃ আবীর আলী বইঃ দ্য ক্রসিং লেখিকাঃ সামার ইয়াজবেক জন্রাঃ রাজনীতি বইয়ের সারসংক্ষেপঃ "আমার ছিটকে পরা রক্ত একদিন এই দেশকে শত্রুমুক্ত করবে, কেঁদোনা মা। তোমার মুখে অশ্রু মানায় না। তোমার ছেলের রক্ত বৃথা যাবে না।" যুদ্ধে অংশ নেওয়ার আগে মাকে উদ্দেশ্য করে এক সিরিয়ান যুবকের লেখা ছোট এই কবিতাই যেনো সমগ্র সিরিয়ার যুদ্ধাবস্থার দিকেই অঙ্গুলি নির্দেশ করে। সিরিয়ার নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে থাকা মানবতার কান্না। ভেসে উঠে প্রিয়জন হারানো মানুষদের আহাজারি গাঁথা। এসবই স্বচক্ষে দেখেছেন সিরিয়ার আসাদ সরকার কর্তৃক নির্বাসিত সাংবাদিক ও লেখিকা সামার। ২০১২ সালে সিরিয়ার বর্তমান অবস্থা দেখতে,নাগরিকদের কথা শুনতে এবং বেশ কিছু প্রজেক্টের বাস্তবায়ন ঘটাতে তুরস্ক থেকে কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে মাতৃভূমি সিরিয়ায় আসেন সামার। আশ্রয় নেন বিপ্লবী মায়সারার বাড়িতে। তিনি দেখেছেন কীভাবে মানুষ স্নাইপারের রাইফেলের হাত থেকে বাঁচতে বিল্ডিংয়ের ফাঁকে ফাঁকে চলাচল করে। স্থানীয়দের কাছ থেকে শুনেছেন ১২ বছর বয়সী এক মেয়েকে কীভাবে যৌনাঙ্গে গুলি করে মারা হয়েছে। এরকম অগণিত লোমহর্ষক ঘটনা শুনেই বেলা কেটে যাচ্ছিল তার। সেসময় চরম দুঃসময় কাটছিলো সাধারণ সিরিয়ানদের। খাবারটাও ঠিকমতো জোটে না। ইদলিব প্রদেশে সরকার পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। অন্যান্য প্রদেশগুলোতেও বাশার আল আসাদ নাগরিকদের প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা ও অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছেন। তাই, এই দুঃসময়ে সিরিয়ান নারীদেরকে অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল করতে সামার হাতে নিলেন কিছু ওয়ার্কশপ এং প্রজেক্ট। প্রতিদিন ওই ওয়ার্কশপ এং প্রজেক্টে সময় দেন তিনি। আর রাতের বেলা মায়সারা ও মানাল দম্পতির সন্তান রুহা ও আলাকে নিজের গল্প বলেন তিনি। এদিকে নদীর স্রোতের মতোই অবিরাম শোনা যায় গোলা-বারুদের শব্দ। সারাকেবের দেয়ালে আঁকা গ্রাফিতিগুলোই সিরিয়ার করুণ অবস্থার প্রতিফলন। শেষ করছি মোহাম্মদ হাফ নামের এক শহীদের বাড়ির দেয়ালে অংকিত লেখা দিয়ে। “ফুল যেমন তার শিকড়কে ভুলে না তেমনি চোখও তার চোখের পাপড়িকে ভুলে না।“ আরেক দেয়ালে লেখা ছিলো, “প্রিয় দামেস্ক, আমরা চিরদিন এখানেই থাকব।“ শক্তিশালী দিকঃ লেখিকা নিজেকে সবখানেই ‘আলায়ি’ (যুদ্ধকালীন সিরিয়াতে ঘৃণিত গোত্র) বলে পরিচয় দিয়েছে এবং তার অভিজ্ঞতা দারুণ শব্দগাঁথুনিতে পাঠকবৃন্দের জন্য আকর্ষণীয় করেছেন।
Was this review helpful to you?
or
এই প্রথম বাংলাভাষায় প্রকাশিত হলো বিধ্বস্ত সিরিয়ার মৃত্যু-উপত্যকার সরেজমিন ধারাবর্ণনা! ৭ বছরে খুন হয়েছে চার লাখ মানুষ! কাউকে গুলি করে, কাউকে বোমা মেরে, কাউকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে পৃথিবীর চোখের সামনে। রাসায়নিক বোমায় খুন হওয়া শত শত শিশুর নীল হওয়া মৃত মুখ আমরা দেখেছি খবরের কাগজ কিংবা টিভি-ইন্টারনেটে। মৃত্যু থেকে বাঁচতে সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছে আয়লানের মতো আরও শত শিশু। পৃথিবী তবু নীরব। বলছি পৃথিবীর প্রাচীন পুণ্যভূমি সিরিয়ার কথা। যেখানে প্রতিদিন বাশার আল-আসাদের খুনী বাহিনী ঠা-া মাথায় খুন করে নিরীহ সিরিয়ানকে। যেখানে আমেরিকা আর রাশিয়া নিজেদের জঙ্গিবিমান থেকে টার্গেট প্র্যাকটিস করার জন্য বোমা ফেলে মানুষ মারে। মুসলিমদের জীবন সেখানে এতই সস্তা! সিরিয়ার বিধ্বস্ত মৃত্যু-উপত্যকার শহরে শহরে ঘুরে এক নারীসাংবাদিক তুলে এনেছেন সেখানকার অনিঃশেষ মৃত্যুর ধারাবর্ণনা। সামার ইয়াজবেক নামের সেই সাংবাদিকের মৃত্যু-যাত্রা গ্রন্থের নাম দ্য ক্রসিং। দ্য ক্রসিং বর্তমান সিরিয়ার সেই জলজ্যান্ত ছবি আমাদের সামনে তুলে ধরেছে, যে সিরিয়াকে আমরা এতদিন স্থিরচিত্র কিংবা কিছু ভিডিওক্লিপ আকারে দেখে এসেছি। বোমায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া শহরের পর শহর, যুদ্ধবিমান থেকে নেমে আসা অবশ্যম্ভাবী মৃত্যুদানব, উদ্বাস্তু মানুষের গ্লানিময় জীবন-সবকিছু লেখক তুলে এনেছেন পরম মমতায়। একই সঙ্গে সেখানে যুদ্ধরত এবং বিবদমান প্রত্যেকটি সশস্ত্র দল সম্পর্কে তাঁর প্রত্যক্ষ বর্ণনা পাঠককে নতুন করে ভাবিয়ে তুলবে।
Was this review helpful to you?
or
দা ক্রসিং বইয়ের রিভিউ একটা বই কিনে এবং পড়ে যতখানি আফসোস করা যায় তার সবটুকুই এই বইয়ের জন্য প্রযোজ্য। কেনার আগে জানতাম না যে লেখক একজন আলাবী শিয়া সেক্যুলারিস্ট যে সুন্নি ইসলামকে থোড়াই কেয়ার করে। ইসলামের প্রকৃত অনুসারীদের সন্ত্রাসী মনে করে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মুজাহিদ যারা জীবন দিচ্ছে তাদের কে বহিরাগত বলে ঘৃণা পোষণ করে সেই রকম একজন লেখকের বই আমি কেনার জন্য নিজেকেই মাফ করতে পারছিনা তা ছাড়া বইটিতে যুদ্ধকালীন বর্ণনাগুলিও মানুষের দুঃখ কষ্ট ছবির আকারে প্রকাশ করতে পারেনি। বইটিতে কোনো দর্শন নাই , শেখার কিছু নাই একটা পুরাই ফালতু বই আমার ৩০০ টাকার লস বইটিতে ইরান হিজুল্লাহর কোনো অপকর্মের কথা আসেনি। আসাদ পরিবারের অত্যাচার নির্যাতনের কথা আসেনি। সুন্নি নিধনের কথা আসেনি তার চাইতে বড় কথা হলো বইটিতে গত ৭ বৎসরের ঘটনা আসেনি ২০১৩ সালের পরে আর কোনো বর্ণনা নাই,এতবড় সিরিয়ার শুধুমাত্র ইদলিব শহর বাদে আর কোনো শহরের কথা আসেনি কি একটা বই লেখক লিখেছে যার আবার অনুবাদ করতে হবে এবং এইরকম সনামধন্য প্রকাশক আবার তা প্রিন্ট করে সাধারণ পাঠকদের মনে কষ্ট দিবে ???