User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
আমার মতন যারা অতিরিক্ত সাল মনে রাখার ভয়ে ইতিহাস পড়তে বিরক্তবোধ করে। আমি মনে করি, আমার জন্য এবং তাদের জন্য বেস্ট একটি বই সানজাক -ই উসমান।
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া সবচেয়ে সেরা উপন্যাসের একটা ধন্যবাদ রকমারি কে এবং ধন্যবাদ প্রিয় লেখক প্রিন্স মুহাম্মদ সজল কে☺️☺️
Was this review helpful to you?
or
ইতিহাসপ্রেমীদের জন্য ‘সানজাক-ই উসমান’ বইটি নিঃসন্দেহে এক অনন্য রত্ন। অটোমান সাম্রাজ্য, মঙ্গোল সাম্রাজ্য, ক্রুসেড, সেলজুকদের উত্থান-পতনসহ বহু ঐতিহাসিক ঘটনা এই বইয়ে এত চমৎকারভাবে তুলে ধরা হয়েছে যে একবার শুরু করলে থামা মুশকিল হয়ে পড়ে। লেখার ধরন এতটাই প্রাণবন্ত ও মসৃণ যে কোথাও একটুও বিরক্তিকর লাগে না। যারা ইতিহাস ভালোবাসেন, কিংবা জানতে চান মুসলিম বিশ্বের গৌরবময় অতীত, তাদের জন্য এই বই অবশ্যপাঠ্য। প্রত্যেক ইতিহাসপ্রেমীর সংগ্রহে থাকা উচিত এই বইটি।
Was this review helpful to you?
or
very nice book
Was this review helpful to you?
or
বেশ ঝরঝরে লেখা। একটু গল্পের ঢংয়ে, পড়তে ভালোই লাগে। তবে এবই ইতিহাসের সিরিয়াস পাঠকদের জন্য না।
Was this review helpful to you?
or
"সানজাক-ই-উসমান" নামের মধ্যেই একটা আকর্ষণ থাকায় যে কেউ বইটি হাতে নিবে। সেই আকর্ষণবোধের মধ্যেই লেখকের নামটি প্রিন্স সজল পড়েই আকর্ষণ একটু উবে যাবে। কারণ,বর্তমান লেখালেখির জগতে পাঠক হয়তো এই লেখকের নামটি এর আগে শুনেননি।তারপরও সানজাক-ই- উসমান নামটির আকর্ষণবোধের রেশ নিয়েই যখন বইটির পাতা উল্টাতে শুরু করবেন তখন আর বইটি হাতছাড়া করবেন না। অটোমেন সুলতান উসমানের নামে বইটির নাম হলেও এই বইয়ে উসমানের জীবনের রেশ খুব অল্পই আছে। লক্ষ লক্ষ মুসলিম হত্যা ও বর্বরতার মাধ্যমে উৎখান হওয়া বর্বর মোঙ্গল জাতিই মাত্র তিন পুরুষের ব্যবধানে এসে শান্ত মুসলিম জাতিতে পরিণত হওয়ার ঘটনা মহাকালের পট পরিক্রমায় সত্যিই বিস্ময়কর।বইটিতে মোঙ্গলদের যুদ্ধ ও বর্বরতার ঘটনা যতো বিশদভাবে এসেছে অটোমেনদের ঘটনাগুলো ততো বিশদ হয়নি।বইয়ের কলেবর বিবেচনায় কি-ই বা করার ছিলো। ইতিহাসের বই লিখা সবচেয়ে কঠিন । কারণ, ইতিহাসের বই লিখতে হলে সত্যের নৈতিকতার দায়ে নির্মোহ ইতিহাস লিখতে হয়। ফলে সংগৃহিত সকল তথ্য উপাত্ত নিরপেক্ষভাবে বিশ্লেষণের মানসিক চাপ বয়ে বেড়াতে হয়। একই সঙ্গে পাঠকের মনে পড়ার আগ্রহ ও ইতিহাস জানার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টির জন্য পাঠ্যপুস্তকের ইতিহাস বইয়ের মতো কাঠখোট্টা ইতিহাস লিখা পরিহার করতে গিয়ে আবেগকে ছুঁয়ে যাওয়ার মতো এমন তথ্য ও বর্ণনা লিখতে হয়,যা মিথ্যা কিংবা অতিরঞ্জিত নয়। যাইহোক, নিঃসন্দেহে সানজাক-ই-উসমান সর্বদিক বিচারে খুবই অসাধারণ একটি বই । লেখককে একজন সফল ও সমীহ জাগানিয়া ইতিহাস লেখক বলতেই হবে।
Was this review helpful to you?
or
অনেক ভাল একটা বই। ইতিহাস নিয়ে আসলেই অনেক কিছু জানা যায়। প্রিন্স মুহাম্মদ সজলকে অনুরোধ রইল এরকম আরো বই বের করার।
Was this review helpful to you?
or
ইতিহাসকে অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, ধন্যবাদ লেখক এবং গার্ডিয়ানকে এত সুন্দর একটি ইতিহাস ভিত্তিক বই প্রকাশ করার জন্য....।
Was this review helpful to you?
or
আমি এই বইটির পিডিএফ ক্রয় করেছি। এখন ওপেন হতে কাহিনী করছে.......সমাধান চাই।
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার লেখনী। ইতিহাসের প্রতিটি ঘটনা জীবন্ত হয়ে উঠেছে লেখকের মুনশিয়ানায়
Was this review helpful to you?
or
Such an awesome works for ummah to know the fact
Was this review helpful to you?
or
এটা কোনো নিয়মিত ইতিহাসের বই বা কোনো ঐতিহাসিক উপন্যাস নয়। এটা একই সঙ্গে ইতিহাস, ফিকশন আর থ্রিলার। মোঙ্গল যোদ্ধাদের দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীপনা থেকে মুক্ত থেকে কীভাবে গড়ে উঠেছিল উসমানীয় সালতানাদ, আর কীভাবে তা রাজত্ব করেছিল বিরাট এলাকা জুড়ে, কীভাবে আজকের পৃথিবী নির্মাণ হলো, তা জানতে এই বই আপনাকে দারুণ সহযোগিতা করবে, ইনশাআল্লাহ।
Was this review helpful to you?
or
‘সানজাক-ই উসমান: অটোমানদের সম্পর্কে অসাধারণ একটি অপ্রতিদ্বন্ধী একটি বই। এটা কোনো নিয়মিত ইতিহাসের বই বা কোনো ঐতিহাসিক উপন্যাস নয়। এটা একই সাথে ইতিহাস, ফিকশন আর থ্রিলার। আজকের পৃথিবী কী করে নির্মাণ হলো, তা জানতে এই বই আপনাকে দারুণ সহযোগিতা করবে ইনশাআল্লাহ। This is a time travel. Start your Journey!
Was this review helpful to you?
or
this book is very nice and interesting
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_বুক_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইঃ সানজাক-ই উসমান: অটোমানদের দুনিয়ায় লেখক: প্রিন্স মোহাম্মদ সজল প্রকাশনীঃ গার্ডিয়ান পাবলিকেশন মূল্য: ৪০০ টাকা ব্যাক্তিগত রেটিং:১০/১০ রিভিউ লিখেছেনঃ মারিয়াম আক্তার সানজাক ই উসমান বইটায় আসলে কি আছে??? বইটা শুরু হয়েছে এক অশ্রুতপূর্ব জাতির আক্রমণের ভেতর দিয়ে। আমরা হয়তো আর্তগুল সিরিজ দেখে অনেকই জানি৷ এসভ্য জগত থেকে অনেক দূরে,মঙ্গোলিয়ান স্তেপের আধাবুনো জীবনযাপন করা এক বর্বর জাতি হঠাৎ স্তেপ ছেড়ে বেরিয়ে এল।এরাই ভয়ানক মোঙ্গল।এদের নেতার নাম জীবনে অন্তত একবারও শোনে নি এমন মানুষ কম আছে।হ্যা,আমি পৃথিবীর ইতিহাসে নিষ্ঠুরতম হত্যাকারী চেঙ্গিজ খানের কথাই বলছি। যার নাম আমরা কম বেশি সবাই জানি। যার সমাধিস্থল এখনো খুঁজে যাচ্ছে মানুষেরা। মাত্র আট বছরের মাথায় বর্বর উপজাতিদের নিয়ে গড়ে তোলা এক দূর্বার সেনাবাহিনী নিয়ে চেঙ্গিজ খান জয় করে নেন প্রায় এক মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটার জমিন।প্রথমে সাইবেরিয়া,এরপর উত্তর চীন জয় করে চেঙ্গিজ খান নজর দিলেন মধ্য এশিয়ায়।পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে রক্তাক্ত সময়ের একটা জ্যান্ত প্রতিচ্ছবি দিয়ে শুরু হয়েছে সানজাক ই উসমান। চলার পথে যারাই পড়ছিল তাদেরই পিষে ফেলছিল মোঙ্গল বাহিনী,কিন্তু ফিলিস্তিনে এসে তারা মুখোমুখি হল এক শক্তিশালী প্রতিপক্ষের,এদের নাম বাহরিয়্যা মামলুক কিন্তু মামলুকরা বেশি দিন টিকে থাকেনি। তাহলে অটোমানরা কোথায়? তাদের উৎপত্তি কোন স্থান থেকে আর তারা কারা? যাদের এখন বর্তমান সময়ের জেনারেশন ফলো করতে শুরু করেছে? অটোমান বা উসমানীদের ঘটনা শুরু হয়েছে আনাতোলিয়ায়।উসমানীদের বুঝতে হলে আগে মোঙ্গল আক্রমণের ভয়াবহতাকে বুঝতে হবে এবং তাদের পড়তে হবে। উসমানীদের গল্প শুধু কোন রাজশক্তির উত্থানের গল্প নয় কিভাবে একটা জাতী নেকড়ের থেকেও বেশি ক্ষিপ্ত ছিলো।এই গল্প মোঙ্গল আক্রমণে ছাই হয়ে যাওয়া ইসলামী সভ্যতার ফের মাথা উচু করে উঠে দাড়ানোর গল্প মধ্য এশিয়া থেকে আসা যাযাবর ঘোড়সওয়াররা কিভাবে পৃথিবীর শাসক হয়ে উঠলো,সেই ইতিহাস আপনাদের সামনে নিয়ে এসেছে সানজাক ই উসমান। বইয়ের পাতায় পাতায় আপনি বিচিত্র সব চরিত্রের দেখা পাবেন।ভয়ংকর চেঙ্গিজ খান ছাড়াও আছে দুঃসাহসী তরুণ জালাল উদ দীন,বিলাসী খলিফা মুস্তাসিম বিল্লাহ আর দুঃসাহসী মামলুক সুলতানদের কথা।তারপর এসেছে একের পর এক উসমানী সুলতানদের জীবনী।মাঝে মাঝেই আবির্ভাব ঘটেছে ইস্কান্দার বেগ বা জন হুনয়াদীর মত দুর্ধর্ষ কমান্ডার অথবা পিশাচ ড্রাকুলার মত প্রায় আধিভৌতিক চরিত্রের। আছে চল্লিশটিরও বেশি রোমহর্ষক যুদ্ধের বর্ননা,শুধু বীরত্বগাথার কথা বর্ণনা করা হয়েছে এখান এবং মধ্যযুগের শেষদিকের ইউরোপের চিত্র। এটা কোন গৎবাধা তারিখ আর নামের ভারে জর্জরিত বই না,কোন ঐতিহাসিক উপন্যাস না,আবার থ্রিলারও না।এটা সম্পুর্ন নতুন কিছু। আস্থা রাখতে পারেন,সানজাক ই উসমান আপনাকে অবশ্যই নিয়ে যাবে অটোমানদের দুনিয়ায়। রাসূল সাঃ এর ভবিষ্যতবানী ঠিক তার ইন্তেকালের ৮২১ বছর পর। কনস্ট্যান্টিনোপল এর নাম করা হল ‘ইসলামবুল’ অর্থাৎ ইসলামের ঘর। এবং এই জয় কোনো সাধারণ যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জন হয়নি রয়েছে করুন কাহিনী। স্বপ্নে রাসুলুল( স:) এর দেখা সহ নানান আবেগও অনুপ্রেরণা সাথে এক অদম্য প্রতিজ্ঞা। এরি সাথে চেঙ্গিস খানের বংশের পরবর্তী নেতৃত্ব দান করি বিলুপ্তি এবং অটোমানদের নতুন অদম্য অগ্রযাত্রার ইতিহাস জানতে হলে অবশ্যই আপনাকে বইটি পড়তে হবেই এই কাহিনীর পরে অটোমান প্রশাসনের বিশাল এক ছবি আঁকার সাথে সাথেই মূলত বই এর পরিসমাপ্তি হলেও আরো অনেক কিছুর কথা উঠে এসেছিলো। যেমনঃ ইউরোপের প্লেগ রোগে ছয় থেকে আট কোটি লোকের মৃত্যুর কারন সেই ব্লাক ডেথ কাহিনি, অটোমানদের হাতে পিচাশ ড্রাকুলার মৃত্যু, হেরেমের বর্ণনা, ক্রুসেডারদের সাথে নানা যুদ্ধের বর্ণনা, মঙ্গলদের শেষ উত্তরাধিকারীকেও পরাজিত করা, স্পেনে মুসলিমদের পতন ও অটোমানদের স্পেনের মুসলিমদের সাহায্য করার ঘটনা। এভাবেই বইটি শেষ হয়। শেষের দৃশ্যে এসে মনে হয় শেষ হয়েও হইলো না শেষ। কারন সুলতান মুহাম্মদ এর পরেও অটোমানদের বিশাল সময় রয়ে যায়।
Was this review helpful to you?
or
আমার মতে ফালতু একটা বই । মোটামুটি সব গুলা সোর্স নেয়া হইছে Orientalist দের কাছ থেকে। আসল ইতিহাস জানতে আলি মোহাম্মদ সাল্লাবি এর বই পড়ুন আর নিরাপদে থাকুন।
Was this review helpful to you?
or
Best thrilling historical book I have ever read.
Was this review helpful to you?
or
ইতিহাস, ফিকশন আর থ্রিলার। আজকের পৃথিবী কী করে নির্মাণ হলো,কিভাবে মুসলিমদের ক্ষমতা ছড়িয়ে পড়লে বিশ্বজুড়ে সব কিছু অসাধারণ ভাবে বইটিতে তুলে ধরেছেন লেখক এক কথায় ইতিহাস, থ্রীলার প্রেমি পাঠকদের ধারুন সহযোগিতা করবে বইটি। রেটিং ১০ এ ১০ দিবো আমি। সবাই পড়তে পারেন অনায়াসে।
Was this review helpful to you?
or
sanjak e osman.. oshomvhob sundor 1 ti itihash vittik boi.. lekhok ei boi e temujin [gengish khan] theke shuru kore sultan Muhammad al faith er islambul joy kora soho pray sokol bishoy ottonto comotkar vabe tule dhoresen.. ei boi e mongol etihas ,byzantine etihash shoho baghad shoho bibinno oitihashik gurutto purno place dhongsho er bistarito bornona paben.. sathe sultan byzid ebong Taimurer kahinir ow bistarito bornona paben ta sara bibinno gurutto purno oitihashik muslim vir jmn Baibars,jalal uddin etc. shomporke jante parben ebong ottoman khilaphath er utthan tow asei..ei boi er finishing ow khub sundor. ei boiti pora shuru korle apni 1 bosatei boiti shesh korte caiben. amar pora itihash vittik sera boi gulur modde onnotomo 1 ti personal rating-10/10 ei boiti apnara sokolei pore dekhta paren asha kori itihash shomporke shothik information paben
Was this review helpful to you?
or
good book Written in simple language. The history has been presented beautifully.
Was this review helpful to you?
or
A very good book based on Islamic history.
Was this review helpful to you?
or
ইনশা আল্লাহ
Was this review helpful to you?
or
good book
Was this review helpful to you?
or
অনেক ভাল একটা বই
Was this review helpful to you?
or
It was with this book that my love for the Ottoman Empire was born. Since then I started reading many books and watching serials. I would not have understood that history is so sweet without reading this book.
Was this review helpful to you?
or
আপনি কয়জন সিরিয়াল কিলারকে চেনেন? এই জগতের ইতিহাসে ভয়ংকরতম খুনীর সাথে কি আপনার দেখা হয়েছে?‘সানজাক-ই উসমান: অটোমানদের দুনিয়ায়’ আপনাকে তার সাথে দেখা করিয়ে দিতে চলেছে। তাকে দেখতে হলে আমাদের উঁকি দিতে হবে আট শ বছর আগের পৃথিবীতে।ত্রয়োদশ শতাব্দীর শুরুতেই মঙ্গোলিয়ান স্তেপ থেকে যেন স্বয়ং আজরাইল হয়ে নেমে এলেন চেঙ্গিজ খান এবং তার মোঙ্গল বাহিনী। মাত্র কুড়ি বছরের ভেতর যেন নরকে পরিণত হলো সারা পৃথিবী। প্রথমে চীন, তারপর তুর্কিস্থান আর খোরাসান হয়ে মোঙ্গল ঝড় ধেয়ে এল ককেশাস, আনাতোলিয়া দিয়ে রাশিয়া আর হিন্দুস্থানের দিকে। মরে সাফ হয়ে গেল কোটি কোটি মানুষ।মোঙ্গলদের হাত থেকে কোনোমতে প্রাণ বাঁচিয়ে ইরান তুর্কিস্থান থেকে আনাতোলিয়ার দিকে রওনা দিল কিছু মানুষ।তারপর কী হলো? কী করে তারা গড়ে তুলল বিশাল সালতানাত? মোঙ্গলদের হাত থেকে কারা বাঁচালো মক্কা-মদীনাকে?এটা কোনো নিয়মিত ইতিহাসের বই বা কোনো ঐতিহাসিক উপন্যাস নয়। এটা একই সাথে ইতিহাস, ফিকশন আর থ্রিলার। আজকের এই পৃথিবী কী করে নির্মাণ হলো, তা জানতে এই বই আপনাকে দারুণ সহযোগিতা করবে। ইনশাআল্লাহ।
Was this review helpful to you?
or
আজকের পৃথিবী কী করে নির্মাণ হলো, তা জানতে এই বই আপনাকে দারুণ সহযোগিতা করবে ইনশা আল্লাহ।
Was this review helpful to you?
or
বাজে বই।ভুল-ভাল ইতিহাসে ভরা।পশ্চিমা মিথ্যুক রাইটারদের উৎস থেকে লিখিত বই।বইটায় নাই কোন গবেষণা
Was this review helpful to you?
or
Nice Book.
Was this review helpful to you?
or
Good write. By reading this book i knows a lot about usmanio khilafat
Was this review helpful to you?
or
Excellent book. Marvelously written. master story-tellling
Was this review helpful to you?
or
বিস্তারিত কম তবে সুন্দর
Was this review helpful to you?
or
One of the best purchase I have ever made
Was this review helpful to you?
or
nice products
Was this review helpful to you?
or
ভালোই লাগলো পড়ে।
Was this review helpful to you?
or
এক নিঃশ্বাসে শেষ করার মতে একটা বই। ইতিহাসের বইগুলো সাধারণত তরুণদের কাছে একঘেয়েমি লাগে। কিন্তু লেখক যেভাবে উপন্যাস আর ইতিহাসকে উপন্যাতিহাস হিসেবে লিখেছেন তা তরুণদের বই পড়তে আগ্রহী করে তুলবে ইনশাআল্লাহ।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ, একবার পড়া শুরু করলে শেষ না করে উঠতেই মন চায় না। ??
Was this review helpful to you?
or
সেরা একটি বই, ইতিহাস ও যে এত সুন্দর করে এত মজা করে লিখা যায় এই বইটা না পড়লে হইত বোঝতাম না। বইটা পড়ে কোনো ক্লান্তিবোধ হয় নাই, একবার শুরু করলে শেষ না করে উঠতে মন চাইবে না। এরকম আরও বইয়ের অপেক্ষায়। লেখকের জন্য শুভ কামনা রইল
Was this review helpful to you?
or
খুবই ভালো
Was this review helpful to you?
or
this was good
Was this review helpful to you?
or
Alhamdulliah
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ ?
Was this review helpful to you?
or
নতুন লেখক হিসেবে খুবই চমৎকার একটা বই লিখেছেন সজল ভাই। ঈমানী চেতনার সাথে ইসলামী ইতিহাস বর্ণরার চমৎকার একটা বই
Was this review helpful to you?
or
Alhamdulillah
Was this review helpful to you?
or
ইতিহাসের তথ্য সমৃদ্ধ বই সানজাক-ই-উসমান।লেখকের জন্য শুভ কামনা
Was this review helpful to you?
or
ইতিহাস নিয়ে রচিত অসাধারণ একটি বই। বইটা পড়া শুরু করলে পড়েই যেতে ইচ্ছা করে। বইটা পড়ার সময় মনে হবে আপনি যেন টাইম ট্রাভেল করছেন।
Was this review helpful to you?
or
আলহামদুলিল্লাহ
Was this review helpful to you?
or
eita nia web series o ache.. dirilis ertugul and kurulus osman
Was this review helpful to you?
or
Important book for Muslim Ummah
Was this review helpful to you?
or
জোস
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
উসমানি খেলাফত নিয়ে খুবই সুন্দর একটি বই।তবে উত্থানের ইতিহাস টা আরেকটু বিস্তারিত করলে ভালো হত।
Was this review helpful to you?
or
ইতিহাস আশ্রিত বই। জানার কোনো শেষ নেই
Was this review helpful to you?
or
Its was a very good book
Was this review helpful to you?
or
ভালো মানের একটি বই
Was this review helpful to you?
or
alhamdulillah best book ❤️
Was this review helpful to you?
or
?
Was this review helpful to you?
or
history in a easy way.
Was this review helpful to you?
or
এরকম মানের বই জীবনে আর একটাও পড়িনি।
Was this review helpful to you?
or
মাশা-আল্লাহ অত্যন্ত চমৎকার একটি বই
Was this review helpful to you?
or
ওনেক ভালো বই মাশা আল্লাহ
Was this review helpful to you?
or
ত্রয়োদশ শতাব্দীর শুরুর দিকে মঙ্গোলিয়া থেকে সারা বিশ্বের দিকে ঝাণ্ডা তুলে অভিযান শুরু করে এক মৃত্যুদূত, নাম তার চেঙ্গিস খান। মৃত্যুর পরোয়ানা নিয়ে হাজির হওয়া যমদূতের মতই, চেঙ্গিস খান যে এলাকা দিয়ে যেত, সে এলাকা বিলীন হয়ে যেত। আত্মসমর্পণ করেও কোনো লাভ ছিল না। নির্মমভাবে মৃত্যুই যেন ছিল ভবিতব্য। তবে ইতিহাসে কোনো পক্ষই চিরবিজয়ী থাকে না। পরাজয় আসবেই। মোঙ্গলরা ভাবতেও পারেনি তাদের কেউ বাধা দিবে। যে পরাশক্তি দিল্লিতে দেড় লাখ মানুষের মাথার খুলির পিরামিড তৈরি করে এসেছে, তাকে বাধা দেওয়ার সাধ্য কার! মোঙ্গল পরাশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের এই চেতনাই জন্ম দেয় পৃথিবীবিখ্যাত আরেক পরাশক্তির। উসমান বে'র পত্তনকৃত সেই পরাশক্তি আজ দুনিয়ায় অটোমান নামে পরিচিত। পূর্বপুরুষের কীর্তি অব্যাহত রেখে এই বংশেরই সন্তান দ্বিতীয় মুহাম্মদ মাত্র ২১ বছর বয়সে কনস্টান্টিনোপোল দখল করেন।
Was this review helpful to you?
or
অনেক সুন্দর একটি বই, আমি খুব উপভোগ করেছি বইটি৷ ধন্যবাদ এত সুন্দর বইটি আপনাদের কালেকশন এ নিয়ে আসার জন্য।
Was this review helpful to you?
or
এক কথায় মাস্টারপিস ।
Was this review helpful to you?
or
wow
Was this review helpful to you?
or
Alhamdulillah
Was this review helpful to you?
or
খুব সহজ ভাষায় অসাধারণ। ব্যাক্তিগতভাবে আমার খুব ভালো লাগছে।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ চমৎকার একটি বই
Was this review helpful to you?
or
Amazing!
Was this review helpful to you?
or
Ya Allah
Was this review helpful to you?
or
Best ekta Boi. Jara itihash porte obbhosto naa tader k recommend korbo ei boi. Lekhok prince Muhammad sojol khub sundur kore futiye tulechen 12th century er chengish khan er kahini. Ei boi theke easily ghure ashte parben ottoman der duniya theke. Asha kori Lekhok Ottoman Empire er baki sultan der niye r ekta boi likhben. Best wishes for you Prince Muhammad Sojol❤️
Was this review helpful to you?
or
Onek valo boi!!!??
Was this review helpful to you?
or
Great,
Was this review helpful to you?
or
boiti khubi valo chilo....
Was this review helpful to you?
or
অনেক তথ্যবহুল একটি বই। আশা করি পরবতী পাট খুব তাড়াতাড়ি পাব।
Was this review helpful to you?
or
বইটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। একবার পড়তে বসলে না শেষ করে উঠতে পারবেন না।
Was this review helpful to you?
or
Really good!!
Was this review helpful to you?
or
These book is very helpful for specially youth even all people to know Islamic history and culture.
Was this review helpful to you?
or
মুসলিম সাম্রাজ্যের ইতিহাস কতই না গর্বের , কতই না মানবিকতায় ভরা
Was this review helpful to you?
or
ইতিহাস কে এত সুন্দর করে উপস্থাপন করা যায় যা পাঠকের মন কে চুম্বকের মত ধরে রাখে সেটা এই বই না পড়লে জানতে পারতাম না। লেখক তার মুন্সিয়ানা দেখাতে পেরেছেন এই বই এর মাধ্যমে।
Was this review helpful to you?
or
তাত্ত্বিক পর্যালোচনা
Was this review helpful to you?
or
আসাদ বিন হাফিজের ক্রুসেড সিরিজ, শ্রদ্ধেয় আবুল আসাদ স্যারের সাইমুম সিরিজ পড়ার পড় এক ধরনের মুগ্ধতা চলে এসেছিল। . দিগ্বিজয়ী মুসলিম বীরদের ইতিহাস পড়ার প্রতি প্রবল আকর্ষণ তৈরী হয়েছিল। সেই প্রত্যাশা থেকেই সানজাক-ই-উসমান পড়া। প্রত্যাশার পুরোটা পুরন না করতে পারলেও হতাশ করে নি। বইটিতে উঠে এসেছে পৃথিবীর সবচাইতে নির্মম গনহত্যা চালানো ব্যক্তি চেঙ্গিস খানের মঙ্গোলীয় বাহিনীর আক্রমণ থেকে শুরু করে, উসমানীয় সাম্রাজ্যের উত্থান,বিস্তার এবং শেষ পর্যন্ত মুহাম্মদ আল ফাতিহ কর্তৃক কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের ইতিহাস, যা ইউরোপকে তার পদতলে এনে দিয়েছিলো। সেখানে তিনি গড়ে তুলেছিলেন নতুন প্রশাসন,নতুন আইন। নিশ্চিত করেছিলেন আইনের শাসন।২৫ বছরের মাথায় কনস্টান্টিনোপলকে পরিণত করেছিলেন বিশ্বের অন্যতম ঐশ্বর্যশালী শহরে।। . এই দ্বিগ্বিজয়ী মহাবীর মুহাম্মদ আল ফাতিহ এর মৃত্যুতে তৎকালীন খ্রিস্টান রাজা,পোপরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে বলেছিলঃ "The Great Eagle Is Dead" . বইঃ সানজক-ই-উসমান লেখকঃ প্রিন্স মুহাম্মাদ সজল পার্সোনাল রেটিংঃ ৮.২/১০
Was this review helpful to you?
or
কিছু বই এক পৃষ্ঠা পড়লে আরেক পৃষ্ঠা পড়তে ইচ্ছা করে। এটি এমনই একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
আলহামদুলিল্লাহ!খাদ্য ও পুষ্টি নিয়ে পড়ালিখা করে ইতিহাসের এরকম বই লিখে ফেলা সত্যি ই অবিশ্বাস্য❤️
Was this review helpful to you?
or
10
Was this review helpful to you?
or
অসাধরণ একটি বই
Was this review helpful to you?
or
Resourceful
Was this review helpful to you?
or
বইটি একটি ভিন্নধর্মী ইতিহাসের বই।যেটি পড়তে নিজেকে ক্লান্ত মনে হবে না কখনো!
Was this review helpful to you?
or
একটা মারাত্মক বই! পড়ার অনুরোধ রইল !
Was this review helpful to you?
or
excellent
Was this review helpful to you?
or
মুগ্ধতা নিয়ে পড়েছি।
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
A great book!!! Amazing!!!
Was this review helpful to you?
or
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম বইয়ের নাম:সানজাক-ই উসমান লেখক:প্রিন্স মুহাম্মদ সজল হার্ডকভার মূল্য:৫০০.০০টাকা প্রকাশন:গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স "সবাই শান্তিতে ঘরে মরতে চায়,কিন্তু আমি চাই যুদ্ধের ময়দানে আমার মৃত্যু হোক।লড়াইয়ের জন্য তোমরা তৈরী হও।" বলছি মধ্যযুগের টপ মোস্ট সিরিয়াল কিলার, মোঙ্গল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা তেমুজিনের কথা।যিনি স্বাভাবিক মৃত্যুর চেয়েও যুদ্ধের ময়দানে মৃত্যুবরণ করার অভিপ্রায় করতেন।মধ্যযুগের এক আতংকের নাম ছিলেন এই তেমুজিন।মানুষের কাছে তিনি চেঙ্গিজ খান নামেই পরিচিত।যিনি যেদিকেই যেতেন রক্তগঙ্গা বইয়ে দিতেন।যে জনপদেই আক্রমণ করতেন সে জনপদের শহরের প্রধান ফটকেই গড়ে তুলতেন মানুষের মাথার খুলির পিরামিড। মানুষদের খুন করা তাদের নেশা ও পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছিলো।কারণ,চেঙ্গিজ সাম্রাজ্য বিস্তারের ক্ষেত্রে "মানুষ নয়,ভূমি চাই" নীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন। এরকম বর্বর জাতির মাঝেও ইসলামের আলো প্রবেশ করেছিলো বারকি খান' নাম্নী চেঙ্গিজ খানের নাতির মাধ্যমে। বারকি খান' এমন একটি শ্রদ্ধার নাম, যিনি কিনা ইসলাম গ্রহণের দরুন মোঙ্গলীয় জাতীয়তাবাদ ভুলে মুসলিম পরিচয়কে বেশি ভালোবেসেছিলেন।তিনি তাঁর সমসাময়িক মুসলিম ভাইদেরকে মোঙ্গলদের অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য সাহায্য সহযোগিতা করেছিলেন নিজ জাতির বিরুদ্ধে গিয়ে।বারকি খান যেমন তাঁর মুসলিম পরিচয়কে বড় মনে করতেন, তেমনিভাবে তাঁর উত্তরসূরিরাও সেই পরিচয়কে সমুন্নত রেখে তাদের সমসাময়িক মুসলিম সাম্রাজ্যগুলোকে সহযোগিতা করেছিলো। কিন্তু এরকম ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্কের ব্যত্যয় ঘটে মোঙ্গল খাকান তৈমুর লং এর সময়।তৈমুর লং উসমানী সাম্রাজ্যের সুলতান বায়েজিদের সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।অবশ্য যুদ্ধে জড়ানোর ক্ষেত্রে সুলতান বায়েজিদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ চিঠিও যথেষ্ট দায়ী ছিলো।মধ্য এশিয়ার এই বীর তৈমুর লং যুদ্ধে জয়ী হয়ে ওই চিঠির বিভৎস জবাব দিয়েছিলেন বায়েজিদের স্ত্রীদেরকে তাঁর সামনে চরম লাঞ্ছিত করার মাধ্যমে।এই অপমান সইতে না পেরে সুলতান শত্রুর ডেরাতেই মৃত্যুবরণ করেন।এরই মধ্য দিয়ে সুলতান উসমানের গড়া সালতানাত সাময়িকভাবে নেতৃত্ব সংকটে পড়ে প্রথমবারের মত।এরই সুযোগে শুরু হয় গৃহযুদ্ধ।ইতিহাসের মোড় ঘুরে যায় তখন, যখন তৈমুর লং এর ইচ্ছায় বায়েজিদ ইয়িলদিরিমের সন্তান শাহজাদা মুহাম্মদ ক্ষমতার মসনদে বসেন। শান্ত, সুদর্শন,মধ্যম উচ্চতার শাহজাদা মুহাম্মদ ছিলেন প্রশস্ত বুকের অধিকারী এক সাহসী যোদ্ধা।সুলতান মুহাম্মদ সফলভাবেই তাঁর সাম্রাজ্যের ভেতরকার জঞ্জালকে সরাতে পেরেছিলেন এবং খন্ড খন্ড উসমানীয় সাম্রাজ্যকে আবারো জোড়া লাগান।তাঁরই ধারাবাহিকতায় উসমানী খেলাফতের ভিত্তি আরো মজবুত এবং সাম্রাজ্য আরো সম্প্রসারিত হয়। কিন্তু সাম্রাজ্য বিস্তারের পথ ছিলো বন্ধুর।সেই বন্ধুর পথে কখনো মুখোমুখি হতে হয়েছে বিজাতীদের আবার কখনো কঠোর হস্তে দমন করতে হয়ে স্বজাতীর বিদ্রোহীদের। ইতিহাসের এই মাস্টারপিস বইটির ঘটনাপ্রবাহ আপনাকে শুধু আটশো বছর আগের মধ্যযুগেই নিয়ে যাবে না, ক্ষণিকের জন্য আজ থেকে পনেরশত বছরের দুনিয়ায়ও ঘুরিয়ে নিয়ে আসবে।সেজন্য বইটির উপাধি 'টাইম ট্রাভেল' দিলেও মন্দ হয় না। মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ভবিষ্যদ্বাণী যিনি পূরণ করেছিলেন কনস্টান্টিনোপল জয় করে,সেই মহাবীর সুলতান মুহাম্মদ আল ফাতিহ'র গৌরবময় জীবনীর সাথেও পরিচয় মিলবে এই বইতে। আরো পরিচিত হবেন পাথুরে পাহাড়ের ঝর্ণার সাথে।দুনিয়ার সবচেয়ে নিকৃষ্ট মানুষের বুকপিঞ্জিরার ভেতরেও একটি নরম মন ছিলো।সে মনও ভীষনভাবে কাউকে ভালোবাসতো।যেমনটি,চেঙ্গিজ ভালোবাসতেন তার স্ত্রী বর্তিকে,তৈমুর বাসতেন তার স্ত্রী আলজাইকে। এছাড়াও এই বই ক্ষণে ক্ষণেই আপনাকে পরিচিত করাবে তৎকালীন বীর-মহাবীরদের সাথে।বীরের সংখ্যাধিক্য চোখে পড়ার মত হলেও মহাবীরের সংখ্যা হাতে গোনার মত।কারণ, বীর হতে হলে সাহসের সংযোগই যথেষ্ট,কিন্তু মহাবীর তো তাঁরাই যারা সাহসের সাথে মনুষ্যত্বকে সমুন্নত রাখে এবং যুক্ত করে আপন রবের প্রতি গভীর একনিষ্ঠতা। সেইরকমই একজন মহাবীর সুলতান আল ফাতিহ'র ইন্তিকাল আপনার চোখ ভিজিয়ে তুলবে।৪৩৮ পৃষ্ঠার এই বইটি ৭টি অধ্যায় এবং কতগুলো উপাধ্যায়ে বিভক্ত।মজার বিষয় হচ্ছে এই বইটি পড়তে আপনি ক্লান্তিবোধ করবেন না কিছুক্ষণের জন্যেও,বরং একেকটি অধ্যায় শেষ করার পর পরবর্তী অধ্যায়ের জন্য অনুভব করবেন এক টান টান উত্তেজনা।"
Was this review helpful to you?
or
Writer Onek valo likhcen.Chomotkar boi.
Was this review helpful to you?
or
আলহামদুলিল্লাহ! সেরা বইগুলির একটি।মুসলিম উম্মাহর জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি বই। কাফেররা কিভাবে মুসলিম দের ধ্বংসের পরিকল্পনায় নেমেছিল কিভাবে পুরো মুসলিম উম্মাহ এগুলো কাটিয়ে উঠিয়েছে সত্যিই অসাধারণ একটি বই। জাজাকাল্লাহ খাইরান
Was this review helpful to you?
or
পরিশ্রম/নির্যাতিত হয়ে যারা বেড়ে ওঠে তারাই পরবর্তীতে দাপিয়ে বেড়ায়, কথাটা মাথায় আসতেই মনে পড়লো ডারউইনের "Survivial of Fittest"-এর কথা। তারপরে বইয়ে পেলাম এমন কিছু মানুষের নাম যারা এই বাক্যের অন্তর্ভুক্ত, আছে উসমানীয় সাম্রাজ্য। . চেঙ্গিস খানের নামের 'খান' শব্দটা দেখে মনে করেছিলাম এই লোক মুসলিম কোন বীর হবে। তাই এই নাম নিয়ে মাঝেমধ্যে প্রাউড ফিল হলো কিন্তু ২০১৭ সালে যখন তাতারদের কাহিনী শুনলাম তখন আমি আকাশ থেকে পড়লাম। যাই হোক উঠে দাঁড়িয়ে হাতে নিলাম 'সানজাক-ই-উসমান' বইটি। . ক্রিকেট খেলায় আমরা যখন ফাস্ট বোলিং করতে যাই তখন আমরা কিছুটা পেছনে যাই, যেন বলটা জোরে ছুঁড়ে দিতে পারি। একই কাজ করেছেন লেখক, ছুঁটে গেলেন মোঙ্গলে, তারপর সেখান থেকে আস্তে আস্তে বিশ্ব, ততকালীন দুনিয়ার পরিস্থিতি সাথে মুসলিমদের ভেতরে আতংক, ইয়াজুজ-মাজুজের ভয়, সব মিলিয়ে মুসলিমরা তখন ভোগ বিলাসে মগ্ন। ঠিক তখনই এসে হাজির চেঙ্গিস খান। অনেক রাস্রা পেরিয়ে শেষমেষ তার বংশধরদেরকে আটকে দিলো মামলুকেরা। . এডাম স্মিথের মতে জমির উর্বরতা একটা সময় পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকে পরে তা ক্ষয় হতে থাকে, ঠিক তেমনি ভাবে মুসলিমদের চুড়ান্ত ক্ষমতায় যাওয়ার পর একে একে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ঐদিকে আস্তে আস্তে মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছিলো অট্যোম্যান সাম্রাজ্য। বলকান অঞ্চল ভালো ভাবেই তারা রাজত্ব করছিল, কয়েক যুগ ধরে ইউরোপ থেকে আগত ক্রুসেড মেহমানদের ভালো মতন খাতিরদারি করেছিলো। অভ্যন্তরীণ কোন্দন তো লেগেই ছিলো, তইমুর লং তো একবার টুকরো টুকরো করে দিয়েছিলেন তাও তারা ঘুরে দাঁড়িয়েছিলো, টিকে ছিলো প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত। . বই পড়ার সময় আপনি অট্যোম্যানদের দুনিয়ায় হারিয়ে যাবেন, মনে হবে আপনি তাদেরই একজন। লেখকের একটি কথা অনেক ভালো লেগেছে যার ভাবার্থ হলো 'পশ্চিমাদের চোখে আমরা কেন দেখবো? আমাদের কী চোখ নেই?' প্রসঙ্গটি ছিলো 'মুহাম্মদ ফাতিহকে (রাহিমাহুল্লাহ) নিয়ে। . বাইজেন্টাইনের পতন তো ১৪৫৩ এর অনেক আগেই হয়ে গিয়ছিল অফিসিয়াল পতন হয়েছিল উপরোক্ত বছরে। কন্সটেন্টিনোপল বিজয় করে রাসুলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম) ভবিষ্যত বানী পূরণ করলেন। ইউরোপীয়ানরা হাহুতাশ করে মরলো, যুদ্ধ হলো অনেক, কিন্তু কে আটকায় উসমানীয় সাম্রাজ্যকে! . এভাবে আস্তে আস্তে অট্যোম্যানরা তাদের সাম্রাজ্য বড় করতে থাকলো, এক সময় মুসলিমদের অবিভাবক হয়ে গেলো। মুহাম্মদ আল ফাতিহ (রাহিমাহুল্লাহ) তৈরি করে গিয়েছিলেন এক অনন্য সাম্রাজ্য যা কয়েকশ বছর ধরে টিকে রয়েছিল পৃথিবীর বুকে। তারপর কী? ইউরোপিয়ান রেঁনেসার রূপ নিতে থাকে, এক সময় হয়ে যায় বিশ্বযুদ্ধ। জমির উর্বরতা ক্ষয় হয়ে গিয়েছে পতন ঘটলো উসমানীয় সাম্রাজ্যের। . তবে আমি ভেবেছিলাম লেখক অট্যোম্যান সাম্রাজ্যের পতন পর্যন্ত লিখবেন কিন্তু তার দেখা না পেয়ে তৃষ্ণা মিটাতে পারিনি, ইতিহাস নিয়ে আমার বেশি ইন্টারেস্ট তাই সেইভাবে তৃপ্ত হতে পারিনি। কিন্তু যারা উসমানী খিলাফা নিয়ে কখনো পড়েনি তাদের উচিৎ বইতে হাত দেয়া। . বইঃ সানজাক-ই-উসমান। লেখকঃ প্রিন্স মুহাম্মদ সজল। পাবলিকেশনঃ গার্ডিয়ান পাবলিকেশন। মুদ্রিত মূল্যঃ ৫০০ - ওয়াহিদুল হাদী।
Was this review helpful to you?
or
দারুণ লিখেছেন প্রিন্স মুহাম্মদ সজল?পড়ে ভাল লাগলো
Was this review helpful to you?
or
বইটি পড়ে অনেক কিছু জানতে পেরেছি। সবার বইটি পড়া উচিত বলে আমি মনে করি। ধন্যবাদ।
Was this review helpful to you?
or
ভালো বই। সহজ ভাষায় লিখা। ইতিহাসগুলো কে সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। যারা ইতিহাস পছন্দ করেন তাদের খুবই ভালো লাগবে বইটি।
Was this review helpful to you?
or
Vrry goodthink
Was this review helpful to you?
or
নাইস
Was this review helpful to you?
or
আমি হয়েছি বিস্ময় বহুবার। সানজাক-ই উসমান এ যেন কোনো বই নয়, এক জীবন্ত ইতিহাস চলছে আমার সামনে! এ যেন যুদ্ধের ময়দান, আর আমি সেই যুদ্ধে এক দূর্বার সৈনিক! আমি হয়েছি বিস্ময়ে অভিভূত বহুবার! এ যেন কোনো ইতিহাস নয়, এক জীবন্ত উপাখ্যান! এ যেন কোনো বই নয়, উম্মতে মোহাম্মদীর রক্তের সমুদ্র! এ যেন কোনো বই নয়, ইতিহাসের জীবন্ত স্রোতধারা! এ যেন আবার ইতিহাসের পাতায় ফিরে চলা! এ যেন ইসলামের এক অকুতোভয় সৈনিকের জীবন গাঁথা! এ যেন কনস্টাটিনোপল অর্জনের পথ চলা! আমি হয়েছি বিস্ময়ে অভিভূত বহুবার। এ যেন কোনো বই নয়, ইসলামের বিজয়গাথা!
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই ৷
Was this review helpful to you?
or
বই পড়ি আর পড়ি
Was this review helpful to you?
or
এক কথায় অসাধারণ!!! ইসলামি ইতিহাস জানার জন্য অতুলনীয় এক বই। ধন্যবাদ লেখক,প্রকাশক এবং বই এর কলাকৌশলীদের যাদের প্রচেষ্টার ফসল এই অনবদ্য বইটি।
Was this review helpful to you?
or
আল্লাহ পৃথিবীতে যখন মানুষ পাঠাতে চাইলেন তখন তিনি ফেরেশতাদের নিয়ে এক পরামর্শ সভার আয়োজন করেছিলেন। তিনি ফেরেশতাদের বলেছিলেন আমি পৃথিবীতে মানুষ পাঠাতে চাই। তখন ফেরেশতারা আল্লাহকে বলেছিল, আপনি পৃথিবীতে এমন এক সম্প্রদায়কে পাঠাবেন যারা সব সময় রক্তপাতে লিপ্ত থাকবে? ফেরেশতারা মানব জাতি সম্পর্কে মাত্র একটি মন্তব্য-ই করেছিল তাহলো এরা এমন জাতি যারা সবসময় রক্তপারে লীপ্ত থাকে। পৃথিবীর ইতিহাসে প্রতিটি পরতে পরতে তার প্রমাণ মেলে। পৃথিবী কখনো শান্ত থাকেনি। কালে কালে এসেছে কিছু রক্ত পীপাসু, ঘটিয়েছে ধ্বংসজঞ্জ, দুনিয়ার মানচিত্র নতুন করে আবার একেছে রক্তের দাগ দিয়ে। ক্ষমতার লড়াইয়ে কেউ কাউকে ছাড় দেয়নি। রক্তের বিনিময়ে ক্ষমতা। মানব জাতি যেমন ভাংতে জানে তেমন গড়তে ও জানে, এই একমাত্র আশার বাণী। পৃথিবীর অজানা অবহেলিত একপ্রান্তে মঙ্গোলিয়ার ক্ষুদ্র এক গোত্রে জন্মেছিল এক শিশু, নাম তার তেমুজিন (চেঙ্গিস খান)। কে জানত সেই ছোট্ট শিশুটি একদিন পৃথিবীর বুকে রক্তের বন্যা বইয়ে দিবে? পৃথিবীর মানচিত্র পাল্টে দিবে? সাজানো গোছানো কত শত শহর নগর ধূলোয় ধূসরিত করবে? অর্ধ পৃথিবী তার শ্বাসনভারে কাঁপবে? কাহিনীর এখানেই শেষ নয় বরং কেবল শুরুর শেষ। এরপর এশিয়ার ক্ষুদ্র একটুকরো ভূখন্ড আনাতোলীয়া থেকে জন্ম নিবে পরবর্তী পৃথিবীর রাজাধীরাজদের সাম্রাজ্য, ওটোমান সাম্রাজ্য। চারপাশের ক্রিস্টান সাম্রাজ্যের কত শত কূট কৌশলকে ব্যার্থ প্রতিপন্ন করে তারা অর্ধ পৃথিবীতে চাঁদ তারা খচিত পতাকা উড়াবেই উড়াবে। বইটি প্রচন্ড রকমের সুখ পাঠ্য। লেখকের প্রথম বই হিসেবে তা অবশ্যই চরম প্রশংসার দাবীদার। ইতিহাস প্রেমীদের তৃপ্তী মেটাতে বইটির কোন জুড়ী নেই।
Was this review helpful to you?
or
এটা একটা থ্রিলার এর মত। আমি বিজ্ঞানের ছাত্র, তাই সারাজীবন ইতিহাস মানেই ডিজগাস্টিং একটা বিষয় মনে করতাম। তবে এই বইটা পড়ে সে ধারণা পাল্টেছে। আমি অটোমানদের কথা শুনতে শুনতে অটোমান সম্রাজ্য সম্পর্কে জানার খুব আগ্রহ ছিল। বইও খুজেছিলাম। কিন্তু তেমন ভাল বইয়ের খোঁজ পাইনি। বাতিঘরে একদিন একটা দেখেছিলাম পড়ে বিরক্তিকর মনে হওয়ায় আর বইয়ের সাইজ দেখে কিনিও নাই পড়িও নাই। এটা ছিল আজ থেকে তিন বছর আগের কথা। পরে গত বছর সানজাক-ই উসমান এর কিছু আলোচনা শুনে বইটা পড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। কিনে দুই তিনদিন বইয়ের ভাঁজে রেখে দিলাম। তো একদিন পড়া শুরু করলাম এই ভেবে যে আস্তে আস্তে পড়বো। তখন আমার একটা পরীক্ষা ছিল, কিসের মনে নাই। পড়ার শুরু থেকেই এতটাই ভাল লাগা শুরু করলো যে, পরীক্ষার কথা বাদ দিয়ে ভাবলাম আগে বইটা পড়া শেষ করি। চারদিনে পড়ে শেষ করলাম। আর এই চারদিন রীতিমত একটা এডভেঞ্চারে ছিলাম। বইটি পড়ার পরেও প্রায় কয়েক সপ্তাহ এইটার রেশ আমার ভিতর ছিল। আমার জীবনে যত বই পড়েছি, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মজার ছিল সাইমুম সিরিজ। যা পড়ার ক্ষেত্রে ঘুম , খাওয়া সব বাদ দিতাম। আর আরেকটা পেলাম এই সানজাক ই উসমান যেটা বাস্তব একটা থ্রিলার। যদিও বইটার নাম অটোমানদের দুনিয়ায়, এটা আপনাকে শুরুতে ইতিহাসের সেই দুনিয়া কাঁপানো চেঙ্গিস খাঁন এর জন্ম থেকে শুরু করে তার সংগ্রামের মধ্য দিয়ে একজন বীর হয়ে উঠার গল্প থেকে, তার দুনিয়া জয়, মুসলমানদের বিশাল বিশাল সম্রাজ্য ধ্বংস করে, চীনাদের শেষ করে, কিভাবে ২১ বছরের সাহসী বীর জালালউদ্দিনের সাহস আর বীরত্বের কাছে পরাজিত হওয়ার দ্বারপ্রান্তে এসে নিজের জীবনটা পর্যন্ত হারাতে বসেছিল সে কাহিনী শুনাবে। এরপর তার সন্তানদের থেকে শুরু করে হালাকু খাঁন পর্যন্ত মোঙ্গলদের দাপট, তারপর দুনিয়ার কুখ্যাত নরপীশাচ ড্রাকুলার অত্যাচার আর দাপট , অটোমানদের উত্থান, অটোমানদের দুনিয়ার আরেক দ্বিগ্বীজয়ী তৈমুর লং এর নিকট পরাজয়, তারপর অটোমানদের আবার ঘুরে দাড়ানোর পর আল্লাহর রাসূল সাঃ এর করা ভবিষ্যৎ বাণীকে সত্য করে প্রথম কন্সটান্ট্যিনোপল তথা আজকের ইস্তাম্বুল জয়ের কাহীনি, মুসলমানদের অভ্যন্তরীন কোন্দলের সুযোগ নিয়ে কিভাবে হালাখু খান বাগদাদ নগরীর হাজার বছরের ইতিহাসসহ বইপুস্তক সমৃদ্ধ জ্ঞানের ভান্ডারকে ধ্বংস করেছে, মামনুন সালতানাত, রোমানদের সাথে যুদ্ধ, ক্রুসেড এসব কিছু আপনাকে বাস্তব ঘটতেছে এমন একটা অনুভুতি সৃষ্টির মাধ্যমে এই বইটি আপনাকে সারা দুনিয়া ভ্রমণ করিয়ে আনবে। এই বইটি আপনার হারানো ঐতিহ্য আপনার মধ্যে জাগ্রত করবে আশা করি ইনশাআল্লাহ।
Was this review helpful to you?
or
এ বইটি আপনাকে পরিচয় করিয়ে দেবে সর্বপ্রথম মোঙ্গলদের প্রতিরোধ করা বীর সুলতান জালাল উদ্দিনের সাথে। মিশরের সিংহ বায়বার্সের সাথে। তারপর একে একে ওসমানীয় খেলাফতের মুরাদ, বায়োজীদ, মুহাম্মদ আল ফাতিহের মত বীরের সাথে। পরিচয় করিয়ে দেবে ইতিহাসের মোড় পরিবর্তনকারী আইনে জালুত,কাসোভার মত বহু যুদ্ধের সাথে। পাশাপশি বইটি আপনাকে পরিচয় করিয়ে দেবে ঐতিহাসিক বিভিন্ন বাহিনী এবং তাদের শক্তি এবং আক্রমনের সামর্থের সাথে। বইটির এক পর্যায়ে আপনি দেখবেন কতেক মুসলিম আমিরদের অলসতার কারণে কিভাবে ধ্বংস হয়ে যায় বিশাল বিশাল সাম্রাজ্য। মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হয় লাখ লাখ মানুষকে। বইটি আপনাকে পরিচয় করিয়ে দেবে ড্রাকুলার সাথে, যার আক্রমণ নীতি আপনাকে কাঁপিয়ে তুলবে। গেরিলা আক্রমনের কৌশল আপনাকে ভাবিয়ে তুলবে। সবিশেষ এ বইটা আপনার ইমানকে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করবে। ইতিহাস যেন আপনার চোখের সামনে ভাসবে। এ বই পড়ার পর মোহাম্মদ আল ফাতিহের জন্য অশ্রু আপনার ঝরবেই। ইতিহাস তাঁর অবদান কোনদিন ভুলবে না।
Was this review helpful to you?
or
just awesome?
Was this review helpful to you?
or
Highly recommend for history lovers.
Was this review helpful to you?
or
প্রথমেই বলি, আপনি নিশ্চিত অবাক হবেন যদি আপনি জানেন যে, এই ঢাউস সাইজের বই লিখা হয়েছে মোবাইলে টাইপ করে। প্রিন্স মুহাম্মদ সজল একেবারেই নবীন লেখক এবং প্রথম বই এটি, সেটা বই পড়ে আপনার কখনোই মনে হবেনা। অত্যন্ত সাবলীল বর্ণনায় ইতিহাসের একেকটি ঘটনা জীবন্ত হবে আপনার সামনে। উসমানী খেলাফত বিশ্ব ইতিহাসের অন্যতম আকর্ষণীয় অধ্যায়। সুলতানদের জীবনাচরণ, তৎকালীন সময়ে শাসন ব্যবস্থা, সেনাবাহিনী সবকিছুই একেকটি আলোচিত অধ্যায়। লেখক প্রত্যেক শাসকের সময়কাল গল্পাকারে ফুটিয়ে তুলেছেন ইতিহাসের বিন্দুমাত্র ব্যাত্যয় না ঘটিয়ে। বইয়ের শেষে আপনি আরেকবার অবাক হবেন রেফারেন্সের তালিকা দেখে। ইতিহাসপ্রেমী সব পাঠকের জন্য এক নিমিষেই পড়ে ফেলার মত বই।
Was this review helpful to you?
or
একটা মানুষ কতোটা রক্ত পিপাসু হতে পারে? কতো অযুত-নিযুত বনী আদমের নিষ্পাপ রক্তে তার হাত ভিজতে পারে?! সর্বোচ্চ কতো মানুষের হত্যাকারী হতে পারে সে? তার নিরেট সংখ্যা হয়তো কেউ গণনা করে রাখে নেই। তবে আধুনিক যুগের সর্বোচ্চ মানুষ হত্যাকারী কুখ্যাত হিটলার,স্ট্যালিন,মাওসেতুং বা বুশ, এরা সবাই মিলে যতো মানুষ হত্যা করেছে তা হয়ত মধ্যযুগের সেই নর পিশাচের অর্ধেকের সমানও হবে না!! তাহলে একটু বুঝেনিন সে একাই কতো লক্ষ কোটি বনি আদমকে হত্যা করেছে!!সেই ব্যক্তিটির নাম তেমুজিন। ইতিহাসে যিনি চেঙ্গিস খান নামে পরিচিত। কিন্তু তার এই পাষান হয়ে ওঠার পিছনেও আছে কিছু নিষ্ঠুর ও লোমহর্ষক গল্প। তেমুজিন তার ছোটবেলায় দেখেছে সৎভাইয়ের দ্বারা রাতের পর রাত নিজের মাকে ধর্ষিতা হতে! দেখেছে কিশোর বয়সে নিজের প্রিয়তমাকেও ধর্ষিতা হতে! তখন থেকেই বালক তেমুজিনের নিষ্ঠুর চেঙ্গিস খান হয়ে ওঠার গল্প শুরু! একুশ বছরের সদ্য এক যুবক মাত্র। জন্ম সূত্রে শাহজাদা হলেও রাজনৈতিক কারনে নিজের প্রাসাদেই ছিলেন উপক্ষিত। দেখতে দেখতে বাবার গোটা সাম্রাজ্যটা চলে গেছে মঙ্গল সাম্রাজ্যের উদরে! তিনি চলেন গেলেন সিমান্তের দিকে যদি সেখান থেকে কিছু সৈন্য বাহিনি গঠন করা যায় এই আশায়। অন্তত লড়াই করে সাহসি মৃত্যু বরন করা যাবে! খবর পেয়ে চেঙ্গিস খান নিজেই ছুটে গেলো দুই লাখ সৈন্য নিয়ে! মাত্র বিশ হাজার সেনা নিয়ে যুবকটি পরে গেলেন চেঙ্গিস খানের দুই লাখ সেনার বেষ্টনির মধ্যে! মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও লড়াই শুরু করলেন! যখন তিনি শত্রুর বুহো ভেদ করে বেড়িয়ে এলেন তখন তার সাথে জীবিত ফিরে এসেছে মাত্র সাতাশ জন সেনা!!! সেইদিন চেঙ্গিস খান দেখেছিলেন মাত্র একুশ বছরের প্রকৃত সাহসি এক যুবকের বীরত্ব! চেঙ্গিস খান তার বীরত্ব দেখে যে কথাটি বলেছিলো তা ইতিহাসের পাতায় আজো সংরক্ষিত আছে! সে বলেছিলো “ ধন্য সেই মা, যে এমন ছেলে পেটে ধরেছে। বাবার তো চাই এমনই এক ছেলে। ইশ, আমারও যদি এরকম একটা ছেলে থাকতো!!! " সেই যুবকটি ছিলেন খাওয়ারিজম শাহজাদা বিখ্যাত বীর জালাল উদ্দিন মিংবার্নু!!! মসুল! এটা সেই সময়ের একটি সমৃদ্ব শহর। এর আমিরের কাছে একই সাথে দুইটা চিঠি এসেছে। একটা বাগদাদ থেকে আব্বাসিয় খলিফা পাঠিয়েছেন। তাতে লেখা ছিলো “উন্নত মানের কিছু সেতারা এবং ভালো কিছু বেহালা পাঠিয়ে দেওয়ার আদেশ "!! অন্য চিঠিটা এসেছিলো মঙ্গলদের পক্ষ থেকে। তাতে লেখা ছিলো “ শহর থেকে আমরা উন্নত মানের কিছু অস্ত্র ক্রয় করতে চাই "!! দুইটা মাত্র চিঠি। কিন্তু এর দ্বারা দুইটা জাতির ভাগ্য গণনা করা সম্ভব। যা হবার তাই এ হয়েছিলো। মঙ্গলরা বাগদাদকে এমন ধ্বংস স্তুপ ও মৃত্যুপুরিতে পরিণত করেছিলো যে ইতিহাস তা কখনোই ভুলতে পারবে না! ♥♥♥ মঙ্গল ঝড়ে যখন চীন,বাগদাদ,খাওয়ারিজম খোরাসান সহ সম্পূর্ণ মধ্য এশিয়া একদম লন্ডভন্ড হয়ে গেলো, তখন তাদের নজর গিয়ে পরলো মিশর ও আনাতোলিয়ার উপর।তখনই এই অপরাজেয় মঙ্গলিয়ান বর্বর বাহিনিকে প্রথমবারের মতো পরাজয়ের স্বাদ আস্বাদন করালেন মিশরের মামলুক সুলতানরা! মিশরের সিংহ খ্যাত সাইফুদ্দিন কুতুজ, দ্যা প্যান্থার খ্যাত রুকুনুদ্দিন বাইবার্স এবং সুলতান কালাউন এরা একে একে মঙ্গল বাহিনিকে মিশর ও সিরিয়া থেকে কীটপতঙ্গের মতো তাড়িয়ে দিলেন। চূরমার করে দিলেন মঙ্গলদের অপরাজেয় দম্ভ ও অহংকার। বর্বর অসভ্য জাতি সাময়িক ভাবে জয়ী হলেও সভ্যতার জয় হয় স্থায়ী। কারন আদর্শ তার উজ্বল দীপ্তি দিয়ে জয় করে নেয় বর্বর জাতির হৃদয়কে। সেরকম ই হয়েছিলো মঙ্গলদের সাথেও। যে মঙ্গলিয়ান জাতি মুসলিম বিশ্বে নামিয়ে এনেছিলো কেয়ামতের বিভীষিকা! সেই তাদের মাঝেই পৌছে গেলো ইসলামের আলো! দেখতে দেখতে মঙ্গল সাম্রাজ্যের তিন চতুর্থাংশ অঞ্চলই হয়ে উঠলো মুসলিম অধ্যুষিত।কিভাবে সম্ভব হয়েছিলো এটা?! তাদের মাঝে সর্বপ্রথম কিভাবে পৌছাইলো ইসলামের আলো?! ♥♥♥ পাহাড়ের উপর দাড়িয়ে দুই দলের যুদ্ধ দেখছে একটি জাযাবর কাফেলা। এক পক্ষের সৈন্য অনেক কম। অপর পক্ষের সৈন্য অনেক বেশি। ছোট দলটি ক্রমশই দুর্বল হয়ে পরছে। পরাজয় তাদের নিশ্চিত। জাযাবর কাফেলা প্রধান টগবগে এক বীর যুবক। তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন তার সাথিদেরকে নিয়ে ছোটদলটাকে সাহায্য করবেন। কেননা এই মুহুর্তে তারা মজলুম! হঠাৎ পাহাড়ের দিক থেকে হুঙ্কার ভেসে এলো ‘হাইদির আল্লাহ'! বীর বিক্রমে লড়াই করে ছোট দলকে জয়ী করলেন! যুদ্ধ শেষে জানা গেলো এই দলটা ছিলো সেলজুক সুলতান আলাউদ্দিনের ফৌজ!! আর এই বীর যুবকটি ছিলেন বিখ্যা গাজি আর্তুরুল বে। তার হাত ধরেই শুরু হয় নতুন এক সাম্রাজ্যের উথান! তার ছেলে উসমানের হাতে যার পূর্ণতা আসে। নাম তার উসমানি(অটোমান)খিলাফাত! কিন্তু পথটা এত সহজ ছিলো না। কদমে কদমে ছিলো বাঁধা বিপত্তি। একদিকে মঙ্গল বাহিনি অন্যদিকে আছে হাজার বছরের পুরনো শক্তি বাইজান্টাইন সাম্রাজ্য! সেই সাথে সেলজুকি সাম্রাজ্যের আমীর ওমারাদের মাঝে ছিলো গাদ্দারী আর বিশ্বাসঘাতকতার প্রতিযোগিতা! তবুও কিভাবে সেই দূর্গম পথ মাড়িয়ে একটা মুসলিম সাম্রাজ্য গড়ে উঠলো?! কিভাবে সেটা প্রায় ছয়শত বছর স্থায়ী হয়েছিলো?! থান্ডারবোল্ট! তুর্কি ভাষায় বলে ‘ইয়ালদ্রিম'! বাংলায় যাকে বলে বজ্র!! এটা ছিলো উসমানি সুলতান বায়জিদের উপাধি! এই নাম তার শুধু শুধু হয়নি। তিনি শত্রু পক্ষের জন্য সাক্ষাত বজ্রের মতোই আপতিত হতেন। তিনি এত ক্ষিপ্র গতিতে ছুটে বেড়াতেন যে তার গতিবিধি লক্ষ করা ছিলো অসম্ভব! কিন্তু এইবার তার মুখোমুখি দাড়িয়েছে ইতিহাসের অন্যতম সাহসি বর্বর সেনাপতি তৈমুর লং! একপাশে সাহসি তুর্কি জাতি অন্যদিকে মঙ্গল রক্তের তৈমুর! এ যেন বাঘে-মহিষে লড়াই!ইতিহাসের যে সকল যুদ্ধ ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে এটাও ছিলো তার মধ্যে একটা। কি হয়েছিলো সেই যুদ্ধের ফলাফল?! কে হয়েছিলো বিজয়ী?! শক্তিশালি তৈমুর নাকি বাইজিদ ইয়ালদ্রিম?! ♥♥♥ খন্দক যুদ্ধের সময় নবী(স:) বলেছিলেন "আমার উম্মত রোম,পারস্য ও কস্তুন্তুনিয়া(কন্সট্যান্টিনোপল) তিনটি সাম্রাজ্যই জয় করবে "!! তার ভবিষ্যদ্বানীর প্রথম দুই সাম্রাজ্য তো ওমর(রা:) এর আমলেই জয় করা হয়েছিলো। কিন্তু বাইজান্টাইন এর রাজধানি কন্সট্যান্টিনোপল জয় করার জন্য মুসলমানদের অপেক্ষা করতে হয়েছে দীর্ঘ্য আটশতো বছর!! যে সেনাপতি এবং যে ফৌজ এই এটা জয় করার কৃতিত্ব অর্জন করবে তাদের জন্য নবী(স:) আটশত বছর পূর্বেই দিয়েছেন জান্নাতের অগ্রীম সুসংবাদ!! এর প্রতিরক্ষা ছিলো তখনকার দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতিরক্ষা দেয়াল। যা বিগত একহাজার বছরে কেউ ই জয় করতে পারে নেই। সব আক্রমন,অবরোধ এর দেয়ালের সামনে এসেই ব্যার্থ হয়ে যেত। কিন্তু যিনি এই অপরাজেয় দেয়ালকে ভেঙ্গে নবীর ভবিষ্যদ্বানীকে বাস্তবায়ন করলেন তিনি ছিলেন মাত্র একুশ বছরের সাহসি বীর যোদ্ধা সুলতান মুহাম্মদ আল ফাতিহ!! তিনি এই যুদ্ধে এমন কিছু কৌশল অবলম্বন করেন যা বাইজান্টাইন সম্রাট কল্পনাও করতে পারে নেই! কিন্তু কী ছিলো সেই কৌশল?! কিভাবে সম্বব হয়েছিলো শস্রাধিক বছর ধরে অপরাজেয় দম্ভের সাথে দাড়িয়ে থাকা শহরের পতন ঘটানো?! সুলতান মুহাম্মদ আল ফাতিহ ছিলেন অন্যতম শ্রেষ্ট উসমানি সুলতান। একে একে তিনি জয় করে নিলেন গ্রিস,পোল্যান্ড,হাঙ্গেরি সহ ইউরোপের বিখ্যাত সব শহর! মুহাম্মদ আল ফাতিহ ইউরোপের কাছে হয়ে উঠলেন মূর্তমান এক আতঙ্ক!! ইউরোপকে ইসলামের হাত থেকে রক্ষার জন্য পোপ ঘোষনা করলেন নতুন এক ক্রুসেডের! কিন্তু এবারও ফাতিহ ক্রুসেডের সম্মিলিত বাহিনিকে একদম পর্যদূস্থ করে ক্রুসেডের কোমরই ভেঙ্গে দিলেন!! স্বমূলে উপরে ফেল্লেন ক্রুসেডের ভিত! তিনি এবার ঘোষনা দিলেন তার পরবর্তি টার্গেট হচ্ছে রোম এবং পোপের প্রাণকেন্দ্র ভ্যাটিক্যান! ইউরোপে এই খবর পৌছা মাত্রই সাধারন লোকেরা পালাত শুরু করলো! স্বয়ং পোপ নিজেই সিদ্ধান্ত নিলেন ভ্যাটিকান ছেরে দুরে কোথাও পালিয়ে যাবেন!! কেননা আল ফাতিহকে ঠেকানোর সাধ্য কার কাছে নেই! কী ঘটেছিলো তারপর? তিনি কী পেরেছিলেন ভ্যাটিকান অভিযানে জয়ী হতে? নাকি অপরাজিত সুলতান ফিরে এলেন পরাজয়ের স্বাদ নিয়ে?! নাকি ঘটেছিলো অন্য কিছু?! হেরেম!! হেরেম শব্দটি শুনলেই আমরা যা বুঝি তা হচ্ছে সুলতানদের যৌনপল্লী বা এই টাইপ এর ঘৃণীত কিছু একটা। যেখানে সুলতান বা শাহজাদারা চাইলেই অবাধ মেলামেশা করতে পারে। এ যেন মনোরঞ্জনের এক আজব দুনিয়া!! কারন হেরেম বলতে শুরু থেকেই এরকম কিছু ধারণা আমরা লালন করে আসছি! কিন্তু উসমানি সুলতানদের হেরেম ছিলো সম্পূর্ণ অন্যরকম! এর উদ্দেশ্য ছিলো বিশেষ কিছু! কেননা এই হেরেম প্রধানের দায়িত্বে থাকতো স্বয়ং সুলতানের মা! তিনি ই এর সার্বিক দেখা শুনা করতেন। তাহলে কেন গঠন করা হয়েছিলো এই হেরেম?! কি ছিলো এর উদ্দেশ্য?!এই হেরেমের লোকগুলোর কাজ ছিলো কী? এখানে কারা বাস করতো?! কেন তাদেরকে এখানে আনা হতো?! এরকম অজস্র প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে আপনাকে অবশ্যই বইটি পড়তে হবে। ♥♥♥ বইটির একেবারে শেষ অধ্যায়ে আলোচনা করা হয়েছে ইউরোপের অপর প্রান্ত নিয়ে। এক প্রান্ত দিয়ে যখন উসমানীদের মাধ্যমে ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চল মুসলিম শাসনের ছায়াতলে আসছিলো ঠিক সেই সময়ই ইউরোপের অপর প্রান্তে স্পেন-পর্তুগাল জুড়ে বিস্তৃত ইসলামি সাম্রাজ্য 'আন্দালুস' মুসলমানদের হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছিলো! আটশতো বছর ধরে মুসলিম শাসিত এই বিশাল সাম্রাজ্য জয় করেছিলেন ইতিহাস বিখ্যাত বীর 'তারিক বিন যিয়াদ'! মাত্র বিশহাজার সেনা নিয়ে জয় করেছিলেন এই সাম্রাজ্য! অথচ তখন এই বীর তারিকের বয়স ছিলো মাত্র চব্বিশ বছর!!! লেখক খুব সংক্ষেপে আন্দালুসের প্রেক্ষাপট এবং সেই সব কারনগুলো বর্ণনা করেছেন যার জন্য এত বিশাল বড় সাম্রাজ্যটি মুসলিমদের হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিলো। #পাঠ প্রতিক্রিয়া: সানজাক ই উসমান। আমার কাছে এটাকে শুধু মাত্র দুইটা মলাটের মাঝে আটকে পরা কিছ পৃষ্ঠা মনে হয় নেই। বরং বলা যায় এটা একটা টাইম মেশিন! একটা অতিত ট্রাভেলার! যার দুই মলাটের ডানায় ভর করে আপনি পৌছে যাবেন সাত-আটশতো বছর পূর্বের দূর অতীতে! ভ্রমণ করবেন দ্বাদশ থেকে পঞ্চদশ শতাব্দির অদ্ভুত এক পৃথিবীতে! নিজেকে মনে হবে সেই যুগেরই এমন একজন অশ্বারোহী যার অশ্ব বুর্খান খালদুন থেকে দৌড় শুরু করেছে আর আর একদম জাবালে তারিক(জিব্রাল্টার) এ গিয়ে হাঁফ ছেড়েছে! মাঝপথে আপনাকে ভ্রমন করিয়েছে মঙ্গোলিয়ান স্তেপ থেকে শুরু করে ঐতিহাসিক আমু দরিয়া, প্রাচীন দজলা, ফোরাত, সির দরিয়া, সিন্ধু নদ, বিখ্যাত নীল নদ, ইউরুপের দানিয়ুব, ভল্গা সহ নাম না জানা অসাধারন সব নদীর তীরে! শুধু নদী কেন? পাহাড়ে ভ্রমন করতে ইচ্ছা করেনা? হুম তাইতো এই ট্রাভেলার আপনাকে নিয়ে যাবে বিখ্যাত তিয়েনশান, হিন্দুকুশ, আলবুর্জ, কারাকোরাম, অ্যাটলাস, ককেশাস পর্বতমালা সহ এশিয়া-ইউরোপের বিভিন্ন নয়নাভিরাম পর্বতমালার পাদদেশে! মনে হবে যেন সত্যিই আপনি ছুটে বেড়াচ্ছেন এসব পাহাড়ী গিরিপথে!! আচ্ছা দুই তিনটা মহাদেশ চষে বেড়াবেন অথচ কয়েকটা সাগর-মহা সাগর পাড়ি দিবেন না তা হয় কি করে?! তাইতো আপনার এই পাগলা ঘোড়া আপনাকে নিয়ে পাড়ি দিবে কৃষ্ণ সাগর, মারমারা সাগর, ভূমধ্যসাগর সহ অসাধারন এজিয়ান সাগর!! মালাক্কা প্রনালী, দার্দানেলিস প্রনালী, বিখ্যাত বসফরাস প্রনালী এ সবই হবে আপনার পর্যটন কেন্দ্র!! একপাশে সমুদ্রের নীল জলরাশি, অন্য পাশে দানবের মতো দাড়িয়ে থাকা দৃষ্টিনন্দন পর্বতমালা, সেই সাথে আছে যুদ্ধের উত্তেজনা-উৎকণ্ঠা! এ যে কেমন এক অনুভূতি তা বর্ণনা করার মতো শব্দ আমার ঝুলিতে খুজে পাচ্ছি না! এটি যে আপনাকে শুধু বন-বাদাড়, সমুদ্র আর পহাড়ের পাথুরে এলাকায় ঘোড়াবে তা নয়। এটি সর্বপ্রথম আপনাকে নিয়ে যাবে দ্বাদশ শতাব্দির পৃথিবীর ত্রাস চেঙ্গিস খানের রাজকীয় তাবুতে! সেখান থেকে যাবেন বিখ্যাত খাওয়ারিজম সাম্রাজ্যের রাজদরবারে! দেখবেন তাদের পতনের করুন দৃশ্য! এর একটু পরেই চলে যাবেন জ্ঞান-বিজ্ঞানের আলোয় সর্বোচ্চ শিখরে পৌছানো শহর এবং তখনকার দুনিয়ার সর্বাধুনিক নগরী বাগদাদে। দেখবেন সেখানের সেই কেয়ামতের বিভিষীকা! দেখবেন ইতিহাসের নিকৃষ্টতম নিষ্ঠুরতা ও পৈশাচিকতা! পরবর্তি স্পট হিসেবে আপনি উপস্থিত হবেন মিশরের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সালতানাত মামলুকদের রাজপ্রাসাদে! একদম কাছ থেকেই উপভোগ করবেন আইন জালুতের সেই মহা সমর! দেখবেন শতাব্দির সেরা অপরাজেয় বাহিনিকে কিভাবে মামলুক সাম্রাজ্যের সিমান্তছাড়া করা হয়! সেখানে দেখবেন সাইফুদ্দিন কুতুজের বীরত্ব, রুকুনউদ্দিন বাইবার্সের ক্ষিপ্রতা, সুলতান কালাউনের অসীম সাহসিকতা! এখান থেকেও বিদায় নিয়ে যেতে হবে। হাজির হবেন দিনে দিনে ক্রমান্বয়ে ধ্বসে পরা সেলজুক সাম্রাজ্যের রাজভবনে! সেখান থেকেই প্রবেশ করবেন আপনার চূড়ান্ত গন্তব্য 'সানজাক ই উসমান' তথা উসমানীদের দুনিয়ায়!!!! এক কথায় অসাধারণ একটি বই। শুধুমাত্র এরকম একটি রিভিউ দিয়ে এর আবেদন প্রকাশ করা কোনো ভাবেই সম্ভব বলে মনে হয় না। তবুও বইটির সাথে পাঠককে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্যই সামান্য একটু চেষ্টা মাত্র। বই পরিচিতি: বই: সানজাক ই উসমান। লেখক: প্রিন্স মুহাম্মাদ সজল। প্রকাশনী: গার্ডিয়ান পাবলিকেশান। ধরণ: ইতিহাস। প্রচ্ছদ: অর্ণব হাসান। প্রকাশ: এপ্রিল ২০১৮। পৃষ্ঠা: ৪৩০। প্রচ্ছদ মূল্য: ৫০০ টাকা।
Was this review helpful to you?
or
লেখকের লেখার হাত ভালো। ইতিহাসের অনেক অবহেলিত কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ অংশকে সামনে এনেছেন। তবে লেখাতে লেখকের ব্যক্তিগত উত্তাপ দেখতে পেয়েছি। হতে পারে এমন কিছু যা আমাদের মধ্যে আছে যা সেই সময়েও ছিল। লেখক সে বিষয়ে আমাদের সাবধান করতে চেয়েছেন।
Was this review helpful to you?
or
Onek valo ekti boi, lekhok onek valo vabe itihash gulo tule dhorece ejonno take dhonnobad.
Was this review helpful to you?
or
পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়াবহ খুনীর জন্ম কাহিনী দিয়ে এই বইয়ের ঘটনা শুরু হয়েছে।মঙ্গোলিয়ার বুরখান খালদুন পাহাড়ের কোলে এক শিশুর জন্ম হয়। যার রক্ত পিপাসায় নিশ্চিহ্ন হয়েছিল সুদূর চীন থেকে শুরু করে মধ্য এশিয়া, তৎকালীন মুসলিম বিশ্বের অধিকাংশ এলাকা, ভারত এবং ইউরোপের কোটি কোটি মানুষ। মানুশের কাটা মাথা দিয়ে পিরামিড বানানো ছিল তার প্রিয় শখ। প্রাচীন তাতারদের প্রবাদের মত তারও জীবনের লক্ষ ছিল একই " মানবজাতির পথ একটাই, যুদ্ধ।" তার আসল নাম ছিল " তেমুজিন "। তার দেশের লোক তাকে উপাধি দিয়েছিল খাকান কান। মানে খানেদের খান। কিন্তু সারা পৃথিবী তাকে চেনে "চেঙ্গিজ খান " নামে। এই বইয়ের মুল কাহিনী অটোম্যান সম্রাজ বা উসমানীয়া সালতানাত নিয়ে হলেও এতে প্রথম দিকে চেঙ্গিজ খান তথা মোঙ্গলদের উত্থান, চেঙ্গিজ খানের মৃত্যু, তার মৃত্যুর পর তার সম্রাজ্য চার ভাগ করে সন্তানদের মধ্যে বন্টন, সিরিয়া এবং মিসর এর মামলুকদের হাতে "আইনে জালুত " যুদ্ধে সর্ব প্রথম মোঙ্গলদের পরাজয়, কিভাবে চেঙ্গিজ খানের নাতি, কিপচাক খানাত বা গোল্ডেন হোর্ডের নেতা বার্কে খান মুসলিম ধর্ম গ্রহন করেন, তা বিশদভাবে আলোচিত হয়েছে। বইটির দ্বিতীয় ভাগে রয়েছে কীভাবে মোঙ্গলদের হাত থেকে বেঁচে যাওয়া ছোট এক গোত্রর নেতা আতঘুরল বে এর ছেলে উসমান অটোম্যান সম্রাজ্যের সূচনা করেন এবং কীভাবে সে সম্রাজ্য বিস্তার লাভ করে। বিভিন্ন অটোম্যান সুলতান এর জীবনের ঘাত-প্রতিঘাত যে ভাবে এই বইএ চিত্রিত হয়েছে তা এক কথায় অনবদ্য। সুলতান ওসমানের সম্রাজ্যের স্থাপনা, সুলতান বায়োজিদের বার বার ইউরোপে দুর্দান্ত আক্রমন, আরেক কিংব্দন্তী আমির তাইমুর বা তাইমুর লং এর কাছে বায়োজিদের পরাজয়, সেই পরাজয়ের প্রেক্ষিতে বিশৃঙ্খল সম্রাজ্যকে আবার পুনরায় সংঘটিত করতে সুলতান মুরাদের অবদান এবং বিশেষ করে সুলতান মুহম্মদ আল-ফাতিহ, যাকে পশ্চিমা দুনিয়া চেনে " মেহমেদ দ্য কনকোয়ার " নামে, তার অবিস্মরণীয় কনসট্যান্টিনোপাল বিজয় এই বিষয় গুলোর উপস্থাপনায় লেখক মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন। এই বইয়ে লেখক আরেক জন কুখ্যাত ব্যক্তির জীবন কাহিনীও বর্ননা করেছেন। সে ছিল ট্রানসিলভেনিয়ার শাসক কাউন্ট ভ্লাদ। তবে পৃথিবী তাকে চেনে কাউন্ট ড্রাকুলা নামে। ড্রাকুলার প্রিয় শখ ছিল মানুষকে লৌহ শলাকা বিদ্ধ করে হত্যা করা। হাজার হাজার মানুষকে সে এভাবে হত্যা করেছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে ড্রাকুলার ভাই রাদু ছিলেন সুলতান মুহম্মদ আল ফাতিহ এর ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং একজন মুসলমান। মুহম্মদ আল ফাতিহ এর এক জেনারেল এর হাতেই শেষ পর্যন্ত ড্রাকুলা মারা যায়। তবে রহস্যের ব্যাপার হল তার শিরোচ্ছেদের পর তার মস্তক বিহীন দেহ খুঁজে পাওয়া যায়নি। মস্তকটি বহুদিন টপকাপি প্রসাদের শীর্ষে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। সবশেষে বলবো বইটির লেখার মান অনেক উন্নত। তরুন লেখক প্রিন্স মুহাম্মদ সজল অসাধারন কাজ করেছেন। বইটিকে আমি রেটিং দেব ১০ এ ৮। যারা ইতিহাস নির্ভর বই পড়তে ভালোবাসেন বা ইসলামের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে জানতে চান তাদের জন্য এই বইটি অবশ্য পাঠ্য।
Was this review helpful to you?
or
ইতিহাস অন্যরকম চমৎকার একটি বই। যার পাতায় পাতায় আছে মধ্যে যুগের মুসলিমদের সমৃদ্ধ গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাস। যার রয়েছে পাশ্চাত্য থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন ইতিহাস।
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নাম ‘সানজাক-ই উসমান: অটোমানদের দুনিয়ায়’। নামেই বুঝা যাচ্ছে তুরস্কের উসমানী খিলাফত নিয়েই এই বই। এছাড়াও এখানে জায়গা পেয়েছে আধুনিক দুনিয়া, কলোনিয়াজম, গ্লোবালাইজেশন এসব ব্যাপার। ইউরোপে কেন রেনেসা শুরু হয়েছিল, মুসলিম দের তথ্য-প্রযুক্তি মোডারেট করে খ্রিস্টানরা এগিয়ে গেলেও মুসলিমরা কেন পিছিয়ে এসব প্রশ্নের উত্তর সংক্ষিপ্ত আকারে পাবেন।
Was this review helpful to you?
or
একটি নাম উল্লেখ করা ব্যতিত পৃথিবীর ইতিহাস অপূর্ণাঙ্গ । ইতিহাসের পাতায় কালোদাগ হয়ে গভীরভাবে খোদাই হয়ে আছে সে নাম। ভয়ংকর রক্তহোলির ছাপ মাখা অতীতে ভাসে সে নাম। চেঙ্গিস খান। তীর, ধনুক, তরবারি, গোলা, কামান কিংবা সৈন্যের প্রাচুর্যের চেয়েও বড় এক শক্তি ছিলো তার। মঙ্গল আতঙ্ক। তার সম্রাজ্য ছিলো কাটা মুন্ডুর পিরামিডের ওপর দাড়িয়ে থাকা আতঙ্কের চাদরে জড়ানো। দ্বাদশ শতাব্দির শুরুর দিকে চীনের জিন সম্রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযানে পৃথিবীর কাছে পরিষ্কার হয়ে যায় নির্মমতার নতুন পাঠ শেখাতে মঙ্গলরা আসছে। যেদিকে তাদের ঘোড়া মুখ ফিরিয়েছে, শহরের পর শহর ধ্বংস হয়েছে। কাটা মাথার অগনিত পিরামিড এই পিশাচের সামনে মানবতার অসহায়ত্বের ঘোষণা দিয়েছে। এই ভয়ংকর রূপ দেখে মানুষ তাদেরকে ইয়াজুজ-মাজুজ ভাবতে শুরু করলো। সবাই মনে করতে থাকলো কিয়ামত এসে গেছে। চেঙ্গিস খান দুনিয়ার বুকে কিয়ামতের আগেই কিয়ামত নামিয়ে এনেছিলো। চেঙ্গিস খান ও তার বাহিনী প্রায় চার থেকে সাড়ে চার কোটি মানুষ হত্যা করেছিলো। ইয়াজুজ-মাজুজের আতঙ্ক মুসলমানদের এতোটাই গ্রাস করেছিলো যে তারা এতটুকু সাহস সঞ্চয় করতে পারেনি তাদের বিরুদ্ধে । বাধ্য দাসের মতো গলা পেতেছে খানের তরবারির নিচে। "সানজাকই উসমান" বইয়ের শুরুর দিকে একটি বিরাট অংশ আলোচনা করা হয়েছে মঙ্গোলদের নিয়ে।যেখানে আপনি পেয়ে যাবেন মঙ্গোলদের পরিচয়, কিভাবে তারা এমন ভয়ংকর হয়ে উঠলো, তাদের উত্থান-পতন এবং তাদের নির্মমতার ভয়াল নাটকীয়তা। চেঙ্গিস খানের বাহিনী বাগদাদ আক্রমন করে ধ্বংস করে দিয়েছিল আব্বাসীয় খেলাফত। নেতৃত্বের অভাবে প্রায় ধ্বংস হতে বসেছিলো পাঁচশত বছরের ইসলামি সভ্যতা। পতনের শেষ সীমায় আবার উঠে ইনকিলাবের ঝান্ডা। মামলুক সালতানাত। অপরাজেয় মঙ্গোলরা মিশরে এক পালটা হাওয়ার মুখোমুখি হয় যাদের নাম মামলুক। মামলুকরা জীবন বাজি রেখে রক্ষা করে সিরিয়া, মিশর, মক্কা, মদিনা। যাদের সাথে ঐতিহাসিক আইন জালুতের যুদ্ধে মঙ্গলরা মুখোমুখি হয়। তার পরেই ঘুরে যেতে থাকে ইতিহাসের মোড়। আনাতোলিয়ায় তুর্কি মুসলিমরা গড়ে তুলছিলো নতুন এক সভ্যতা। যাদেরই একজন ছিলেন আরতুগরুল বের ছেলে উসমান। কঠোর পরিশ্রম, ইমানি শক্তি আর প্রখর বুদ্ধিমত্তা দ্বারা গড়ে তুলেছেন এক সুশৃঙ্খল সস্রাজ্য। যার নাম 'The Great Ottoman Empire' বা উসমানী খিলাফাহ। বইটি আপনাদের মঙ্গোলদের উত্থান-পতন, উসমানি সম্রাজ্যের বিস্তৃতি, সুলতান ফাতিহ মুহাম্মাদের কনস্টান্টিনোপল বিজয় এছাড়া মুসলিমদের আরো অনেক বিজয়গাথা কাহিনীর সাথে পরিচয় করিয়ে দিবে। এই বইটি আপনাকে পরিচয় করিয়ে দিবে ইতিহাসের আরেক ভয়ংকর নরপিশাচ তৈমির আর ড্রাকুলার সাথে। জানতে হলে আপনাকে আর দেরী না করে এখনই বের হতে হবে আটশত বছর আগের পৃথিবী ভ্রমনে। পড়তে হবে 'সানজাক - ই উসমান : অটোমানদের দুনিয়া'।
Was this review helpful to you?
or
টাইম ট্রাভেলের অভিজ্ঞতা আছে কারো? না থাকলে নিঃসন্দেহে সানজাক-ই উসমান বইটা নিয়ে বসে যেতে পারেন। গ্যারান্টি দিচ্ছি, আশপাশ থেকে কেও ধাক্কা না দিলে ঘোর ভাঙতে যথেষ্ট দেরি হবে। সানজাক-ই উসমান আপনাকে নিয়ে যাবে ১১৬২ সালে ইতিহাস কুখ্যাত চেঙ্গিস খানের জন্মের মুহূর্ত থেকে পঞ্চদশ শতাব্দির পর ইউরোপিয়ান রেঁনেসার আগ পর্যন্ত একটা দীর্ঘ সময়ের পরিভ্রমণে। মাঝে পাবেন ক্ষুদ্র পরিসর থেকে মহাশক্তিধর উসমানীয় সালতানাত বা অটোম্যান সাম্রাজ্যের গড়ে ওঠার দমবন্ধ করা গৌরবময় ইতিহাস। বইটা আপনাকে হাজির করবে ইতিহাসের রক্তক্ষয়ী সব যুদ্ধের ময়দানে। অনেক আগে, যখন তিন গোয়েন্দা পড়তাম তখন এমন অচেতনের মত পড়ে থাকতাম বইয়ের ভেতর। গোসল খাওয়ার সময় কখন যেতো টের পেতাম না। আম্মার ধমক খেয়ে ঘোর ভাঙতো। সর্বশেষ দ্য দা ভিঞ্চি কোড আর আমাজনীয়া পড়ার সময় ও অনেকটা ডুবেই গেছিলাম। কিন্তু সানজাক-ই উসমান আমাকে অনেকটা নতুন অভিজ্ঞতা ই দিলো। নিরেট ইতিহাসের বর্ণনা, কিন্তু হার মানিয়েছে যেকোন থ্রিলার উপন্যাসের কাহিনীর বর্ণনাকে। সাধারণত প্রথাগত ঐতিহাসিকেরা একের পর এক সাল, বাহারি সব নাম আর ইতিহাসের গৎবাঁধা ঘটনার বিবরণ লিখে এমন এক ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি করেন যে সাধারণ মানুষ ইতিহাসের বই দেখলেই চেষ্টা করে যতটুকু সম্ভব দূরে থাকার। এই বইটা ঠিক সেসব সাধারণ মানুষের জন্যই। ইতিহাসের গৎবাঁধা বিবরণের চেয়ে এখানে যথাসম্ভব বিশ্লেষণমূলক বিবরণ দেয়া হয়েছে। আর লেখকের সহজ ভাষায় ঘটনার বর্ণনা দেবার অসাধারণ দক্ষতা আপনাকে সত্যিই একটা টাইম ট্রাভেলে নিয়ে যাবে। কাহিনী সূত্র: "কিয়ামত ততদিন পর্যন্ত সংগঠিত হবে না, যতদিন না লাল মুখওয়ালা, ছোট ছোট তির্যক চোখ ও চ্যাপ্টা নাকবিশিষ্ট তাতারেরা তোমাদের ওপর চড়াও হবে। তারা পূর্বদিক থেকে আসবে এবং তারা পশম লাগানো চামড়ার জুতা পড়বে, তাদের মুখ হবে ঢালের মত প্রশস্ত। তারা তোমাদের এমনভাবে আচ্ছন্ন করে ফেলবে, যেমন করে পঙ্গপালের ঝাঁক আকাশকে ঢেকে দেয়।" - সহীহ বুখারি- ২৭৭০ এই ভবিষ্যৎবাণী মিথ্যে হয় নি। সত্যি সত্যিই রাসুল (সা.)- এর ওফাতের সোয়া ছয়'শ বছর পর পূর্বদিকে এক ঝড় ওঠে। চেঙ্গিজ খানের তলোয়ারের ধারে বদলে যেতে থাকে দুনিয়ার মানচিত্র। ১২০৬ সালে মঙ্গোলিয়ার স্তেপে আধাবুনো, অর্ধসভ্য কিছু যাযাবর উপজাতিকে নিয়ে চেঙ্গিজ খান যে সাম্রাজ্যের সূচনা করেন, তা পরবর্তী কুড়ি বছরে পৃথিবী জুড়ে নিয়ে আসে কেয়ামতের আগেই আরেক কেয়ামত। চীন, তুর্কীস্তান, আফগানিস্তান, খোরাসান, ইরান হয়ে ককেশাস থেকে রাশিয়া পর্যন্ত চেঙ্গিজ খান খুন করেন কয়েক কোটি মানুষকে। কায়েম করেন এক আতঙ্কের সাম্রাজ্য। চেঙ্গিজ খানের মৃত্যুর পরও মোঙ্গলরা থামেনি। একে একে তারা দখল করে নেয় পুরো মধ্যপ্রাচ্য। ১২৫৮ সাল নাগাদ তারা দখল করে নেয় ইসলামী সভ্যতার সবচেয়ে সমৃদ্ধ শহর বাগদাদ। চালায় নৃশংস হত্যাজজ্ঞ। তারপর মুসলিমদের পবিত্রভূমি মক্কা-মদীনার পতন এবং ইসলামের নাম নিশানা মুছে যাওয়া ছিলো সময়ের ব্যাপার। এবং সেদিকেই এগোতে থাকে মোঙ্গলরা.... তারপর হঠাৎ ই তারা মুখ থুবড়ে পড়ে মিশরে গিয়ে। দীর্ঘ সময়ে প্রথমবারের মত রুকুনুদ্দিন বাইবার্স এবং সুলতান সাইফ উদ্দিন কুতুজের নেতৃত্বে মিশরীয় মামলুকদের কাছে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয় মোঙ্গল শক্তি। মামলুকরা জীবণ বাজি রেখে মোঙ্গলদের হাত থেকে রক্ষা করে সিরিয়া-মিশর ও মক্কা মদীনাকে। আইন জালুত আর হোমসের যুদ্ধের পর পালটে যেতে শুরু করে ইতিহাসের স্রোতধারা। মোঙ্গলদের হাত থেকে পালিয়ে যাওয়া তুর্কী মুসলিমরা তুরষ্কের আনাতোলিয়াতে গড়ে তুলতে থাকে নতুন সভ্যতা। এদের মধ্যেই একজন ছিলেন আরাতুরুল বে'র ছেলে উসমান। আনাতোলিয়ার সবথেকে ছোট আমিরাতের সুলতান ছিলেন তিনি। এখান থেকে শক্তিশালী অটোমান সালতানাতের শুরু। তখন ইউরোপিয়ানদের অবস্থা যথেষ্ট ই করুণ। একের পর এক ক্রুসেডে পরাজয়, পোপের সাথে সম্রাটদের বিবাদ, রোগ বালাই, কুসংস্কার, সামাজিক অসংগতি সেই সাথে জলবায়ূ পরিবর্তন আর মহামারী ইউরোপের উপর মরণ আঘাত হানে। ব্ল্যাক ডেথ আর দুর্ভিক্ষে উজার হয়ে যায় ইউরোপের জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ। এদিকে চতুর্দশ শতাব্দীর শেষ দিকে এশিয়ায় আবির্ভাব ঘটে আরেক দিগবিজয়ীর। যিনি পুরো এশিয়াকে এক কবরস্থানে পরিণত করেন। তার নাম আমির তাইমুর, ইতিহাস কুখ্যাত তাইমুর লং। একটা সাম্রাজ্যের গড় আয়ু হয় সাধারণত একশ থেকে দেড়'শ বছর পর্যন্ত। কিন্তু এক শতাব্দী ধরে বেড়ে ওঠা অটোমান সালতানাতের ভেঙে পড়ার কোন লক্ষণই দেখা যাচ্ছিলো না। তাইমুরের আক্রমণে বিধ্বস্ত হওয়ার পরও টিকে যায় অটোমানরা। তাদের টিকে থাকার মূলমন্ত্র ছিলো সুশাসন, ইনসাফ আর পুরোনোকে লালনের সাথে সাথে নতুনকে গ্রহণ করার মানসিকতা। এভাবেই পঞ্চদশ শতাব্দীতে অটোমানরা পরিণত হতে থাকে এক বিশ্বশক্তিতে। ১৪৫৩ সালে অটোমান সুলতান মুহাম্মাদ আল ফাতিহ এর নেতৃত্বে তারা বাস্তবে রূপদান করে মহানবী (সা.) এর আরেকটি ভবিষ্যৎবাণী; কনস্টান্টিনোপল বিজয়। মোঙ্গলদের আক্রমণে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়ার দুই শ বছরের মাথায় ইসলামী সভ্যতার হাল ধরে অটোমানরাই। জ্ঞ্যান বিজ্ঞান আর শিক্ষা সুশাসনে অটোমানরা ছিলো এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষ দিকে দারিদ্রপীড়িত ইউরোপ ধীরে ধীরে আড়মোড়া ভেঙে উঠতে থাকে। হাজার বছর ধরে চেপে থাকা অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কার আর দুঃশাসনের মাঝেও ইউরোপে জন্ম নিতে থাকে কালজয়ী সব চিন্তাধারা ও চিন্তাচেতনা। এখান থেকেই শুরু ইউরোপীয় রেঁনেসা। সানজাক-ই উসমান মোট ৭ টা অধ্যায়ে বিভক্ত। এখানে পাঠকরা তিনটা সময়ের বিস্তারিত বিবরণ পাবেন। ১) চেঙ্গিজ খানের হাত ধরে মোঙ্গলদের পরাশক্তি হবার গল্প। তারপর মিশরে তাদের পরাজিত হওয়া, এবং নিজেদের অস্ত্রই বুমেরাং হয়ে ধীরে ধীরে তারা নিজেরাই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে মুসলিম হয়ে যাওয়া। আরো দেখা পাবেন জালাল-উদ-দীন নামে এক ২১ বছরের তরুণ বীরযোদ্ধার। যিনি একাই সমানে সমান তালে লড়াই করেন চেঙ্গিজ খানের মত ঝানু যোদ্ধার বিরুদ্ধে। ২) উসমানের হাত ধরে অটোমান সাম্রাজ্যের উত্থান। সুলতান মুরাদ, এবং বায়েজিদের এক হাতেই ইউরোপিয়ান আগ্রাসন এবং ক্রুসেড ঠেকিয়ে দিয়ে অটোমান সাম্রাজ্যকে দিনকে দিন আরো সমৃদ্ধশালী করা। বায়েজিদের হেঁয়ালিপূর্ণ আচরণের ফলে আরেক পরাক্রমশালী তৈমুর লং এর সাথে হওয়া যুদ্ধে সব এলোমেলো হয়ে যাওয়া। তারপর আবার আরেক সুলতান মুরাদ এবং সুলতান মুহাম্মাদ আল ফাতিহের হাত ধরে আগের থেকেও শক্তিশালী রুপে হাজির হওয়া। মহানবী (সা.) এর ভবিষ্যৎবাণী সত্যি করে ১৪৫৩ সালে সুলতান মুহাম্মাদ আল ফাতিহ এর কনস্টান্টিনোপল বিজয়। দেখা হবে ড্রাকুলার মত আধিভৌতিক পিশাচ চরিত্রের সাথে। মাওলানা জালালুদ্দিন রুমির বিবরণ। তরুণ সুলতান মুহাম্মাদ এবং তার প্রেয়সী গুলবাহারের প্রেম আপনাকে নিয়ে যাবে আরেক জগতে। ৩) পঞ্চদশ শতাব্দীর পর একদম বিধ্বস্ত অবস্থা থেকে ইউরোপের নবজাগরণ বা রেঁনেসার বিবরণ কলোনাইজেশন এবং গ্লোবালাইজেশন কিভাবে শুরু হলো, আর সেটার ভাল মন্দ প্রভাব, সেটাও পাবেন তৃতীয় অংশে। বিস্তারিত জানতে অবশ্যই পড়তে হবে সানজাক-ই উসমান: অটোমানদের দুনিয়ায়। বইটার ব্যাপারে মজার একটা তথ্য, ৪৩২ পৃষ্ঠার বিশাল বইটি তরুণ লেখক Muhammad Sajal ভাই মোবাইলে টাইপ করে লিখেছেন। উনার ২ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল এই অসাধারণ বই। আল্লাহর কাছে উনার আরো সমৃদ্ধি এবং কল্যাণের জন্য দোয়া করি, যাতে আমরা উনার কাছ থেকে আরও এমন মাস্টারপিস বই হাতে পেতে পারি।
Was this review helpful to you?
or
Mohammod Majed #বুক_রিভিউ সানজাক-ই উসমান লেখক:মুহাম্মদ সজল .আপনি কয়জন সিরিয়াল কিলারকে চেনেন?এই জগতের ইতিহাসে ভয়ংকরতম খুনীর সাথে কি আপনার দেখা হয়েছে? 'সানজাক-ই উসমান' আপনাকে তার সাথে দেখা করিয়ে দিতে চলছে।তাকে দেখতে হলে আমাদের উকিঁ দিতে হবে আট'শ বছর আগের পৃথিবীতে। এয়োদশ শতাব্দীর শুরুতেই মঙ্গোলিয়ান স্তেপ থেকে যেন স্বয়ং আজরাইল হয়ে নেমে এলেন চেঙ্গিস খান এবং তার মোঙ্গল বাহিনী।মাত্র কুঁড়ি বছরের ভেতর যেন নরকে পরিনত হলো সার পৃথিবী। প্রথমে চীন,তারপর তুকিস্তান আর খোরাসান হয়ে মঙ্গল ঝড় ধেয়ে এল ককেশাস,আনাতোলিয় া দিয়ে রাশিয়া আর হিন্দুস্তানের দিকে ।মরে সাফ হয়ে গেল কোটি কোটি মানুষ । মোঙ্গোলদের হাত থেকে কোনোমতে প্রান বাঁচিয়ে ইরান তুকিস্তান থেকে আনাতোলিয়ার দিকে রওনা দিল কিছু মানুষ । তারপর কি হলো ?কী করে তারা গড়ে তুলল বিশাল এক সালতানাত?মোঙ্গোলদের হাত থেকে কারা বাঁচালো মক্কা ও মদিনাকে? এটা কোনো নিয়মিত ইতিহাসের বই বা কোন ঐতিহাসিক উপন্যাস নয় ।এটা একই সাথে ইতিহাস,ফিকশন আর থ্রিলার।আজকের এই পৃথিবী কী করে নির্মান হলো,তা জানতে এই বই আপনাকে দারুন সহযোগিতা করবে ইনশাআল্লাহ। . This is a time travel. Start your journey !
Was this review helpful to you?
or
আমরা বাংগালীরা এমনিতেই ইতিহাস বিমুখ। আমরা ইতিহাস পড়তে চাই না, জানতে চাই না, কারণ ছোটবেলা থেকে অনেকের আগ্রহ নেই৷ কিন্তু সজল ভাই বইটি লিখেছেন এমনভাবে, মনে হবে, উনি আপনাকে গল্প বলছেন। যেমন একদম বাচ্চাকালে আমরা যেভাবে দাদী-নানী বা দাদা-নানা দের মুখে গল্প শুনতাম, অনেকটা তেমন, অথচ প্রতিটি কথা, প্রতিটি কাহিনী সঠিক রেফারেন্স সহ এতো সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যে আপনার একবার ও, একটুকু খারাপ লাগবে না, মনে হবে আপনি থ্রিলার পড়ছেন। আপনার ইমাজিনেশন পাওয়ার ভালো হলে বইতে পড়েই আপনি নিজ মস্তিষ্কে দেখতে পাবেন চেংগিস খানকে, তার মংগোল বাহিনীকে, এরপর পাবেন বাহারিয়া মামলুকদের৷ পরতে পরতে আনাতোলিয়ার উসমানীদের মধ্যে ঢুকে যাবেন, এবং আবিস্কার করবেন কন্সট্যান্টিনোপল বিজয়। দেড় হাজার বছরে এমন কোন জাতি পরাশক্তি নাই যারা এই শহরকে নিজের রাজধানী করতে চায় নাই, রোমের চেয়েও বেশি প্রাধান্য ছিলো এই শহরের। লেখকের লেখনী ৫/৫, কোন সন্দেহ নেই এতে। ইতিহাসপ্রেমী হন আর না হন, একবার পড়ে দেখার অনুরোধ করছি সবাইকে।
Was this review helpful to you?
or
ছোট্ট একটা আমিরাত। আধা যাযাবর গোষ্ঠী। নিজেদের কোন ভূমিও নেই। কিন্তু এরাই একসময় হয়ে উঠলো পৃথিবীর অন্যতম প্রতাপশালী সম্রাজ্যের শাষণকর্তা। এই সম্রাজ্যের ইতিহাসে রয়েছে রোমাঞ্চ, আছে নির্মমতা,সেই সাথে আছে ভালোবাসা আর বন্ধুত্বের গল্পও। একটা ছোট্ট আমিরাত কিভাবে ধীরে ধীরে এতো বিশাল ও শক্তিশালী সম্রাজ্যের জন্ম দিতে পারে সেটা জানার জন্য অবশ্যই সেই সম্রাজ্যের শুরুর আগের একশো থেকে দুইশো বছর ধরে চলা বিশ্ব রাজনীতি সম্বন্ধে জানার দরকার। ঠিক এই কারণেই লেখক তুলে ধরেছে চেঙ্গিজ খানের ইতিহাস৷ সে এক ভয়ংকর ইতিহাস। চেঙ্গিজ খান আর তার বংশধর খাকানদের তলোয়ারের খোচার কত জনপদ যে মিশিয়ে দিয়েছে সেই কাহিনী যেনো দুটো বিশ্বযুদ্ধ কে একত্র করলেও হার মানাবে। এতোদিন শুধু জেনেই এসেছি যে চেঙ্গিজ খান একজন নিষ্ঠুর শাষক ছিলেন। কিন্তু কতটুকু নিষ্ঠুর ছিলেন তিনি আর তার সেনাবাহিনী সেটা হয়তো সানজাক না পড়লে অনুভব করা যেতো না। আবার একটি সম্রাজ্য আপনা আপনি একদিনেই মহাশক্তিশালী হয়ে ওঠেনা। এরজন্য সেই শাষক, তার মন্ত্রীপরিষদ আর সেনাবাহিনীকে হতে হয় অত্যন্ত ত্যাগী। উসমানীয় সালতানাত এর প্রতিষ্ঠাও হয়েছিলো এরকম কয়েকজন ত্যাগী, বুদ্ধিমান, যুদ্ধবিদ্যায় পারদর্শী, চতুর কূটনীতিক আর একদল ত্যাগী সেনাবাহিনীর হাত ধরে। ইউরোপের মাটিতে টিকে থাকা এতো সহজ ছিলো না। তার মধ্যে আবার মুসলমানদের মধ্যেই বিভাজন। এভাবে কখনো তৈমুর লং, কখনো কাইজার, ক্রুসেড আবার কখনো ড্রাকুলা। একের পর এক শত্রুকে পরাজিত করেই প্রচুর রক্তের বিনিময়ে দেভলিত-এ-আলিয়ে-এ-উসমান এর টিকে থাকা। মুসলমানদের যত গৌরবের বিজয়গাঁথা ইতিহাস রয়েছে তার মধ্যে একটি হচ্ছে কন্সট্যান্টিনোপোল বিজয়। স্বয়ং হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন। তার ভবিষ্যৎবাণী করার বহু বছর পর সুলতান মুহাম্মাদ আল ফাতিহ কন্সট্যান্টিনোপোল বিজয় করেন, বিজয়ের পর শহরের নাম করেন 'ইসলামবুল'। শুধুমাত্র কন্সট্যন্টিনোপোল বিজয়ই নয়, ড্রাকুলার মত বীভৎস খুনিকে শায়েস্তা করার কৃতিত্বটুকুও মহান সুলতান ফাতিহ খানের। এই বইতে যে শুধুমাত্র যুদ্ধ, রাজনীতি আর কূটনীতির ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে তা নয় বরং কিভাবে প্লেগ এক মহামারী আকার ধারণ করেছিলো বিশ্বজুড়ে সেই ইতিহাসও রয়েছে। এবার আসি অন্যকথায়। আমরা সাধারণত ইতিহাস পড়তে চাই না। মনে হয় যেনো পাঠ্যবই পড়ছি। কিন্তু লেখক এক চমৎকার ধাচে বইটি লিখেছেন। তিনি ইতিহাসকে বিকৃত কিংবা অতিরঞ্জিত না করেই চেঙ্গিজ খান থেকে সুলতান মুহাম্মদ আল ফাতিহ পর্যন্ত যে রোমাঞ্চকর, টান টান উত্তেজনাকর ইতিহাস রয়েছে তা থ্রিলার আর ফিকশন স্টাইলে লিখেছেন। যেইজন্য বইটি পড়তে এক মূহুর্তের জন্য বিরক্ত হইনি। বরং শেষ পৃষ্ঠায় এসে আফসোস করতে হয়েছে যে সুলতান ফাতিহ খান পর্যন্ত এসেই লেখক ক্ষ্যান্তি দিয়েছে। ইনশা-আল্লাহ, খুব শীঘ্রই আমরা সানজাক-ই-উসমান এর নেক্সট এপিসোডটা পেয়ে যাবো এবং ডুব দিবো আরো রোমাঞ্চকর মূহুর্তে।
Was this review helpful to you?
or
লেখক সবকিছু সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। ইতিহাসের বই গুলা এমনই হবে।
Was this review helpful to you?
or
সত্যিই অসাধারণ এই বইটির তথ্য আর লেখনী। যদি কখনো মনে প্রশ্ন জাগে যে, মানুষ কতটা পিশাচ হতে পারে তাহলে তার উচিত চেংগিস খান সম্পর্কে পড়া। এই নরপিশাচের হুকুমে তার জীবদ্দশায় প্রায় চার কোটি মানুষ হত্যা করা হয়েছে যার অধিকাংশ ছিলেন মুসলিম। নিশাপুর, বোখারা, মারভ, সমরকন্দ ইত্যাদি রাজ্যগুলো চেংগিস মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছিলো। তবে মুসলিমরাও যে শুধু মার খেয়েছিলো সেটা নয়। খাওয়ারিজম শাহজাদা জালালুদ্দিন শাহ প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। প্রায় ৭টি যুদ্ধে তিনি মংগোলদের বিরুদ্ধে জয়লাভ করেন। কিন্তু তাও শেষরক্ষা হয়নি। এরপর উঘুয তুর্কীরা তিলে তিলে গড়ে তোলেন উসমানি সাম্রাজ্য। ১৪শ থেকে প্রারম্ভিক ২০শ শতাব্দী পর্যন্ত দক্ষিণ- পূর্ব ইউরোপ , মধ্য এশিয়া ও আফ্রিকার উত্তরাঞ্চল বেশিরভাগ অঞল উসমানীরা শাসন করতো। ঊসমানী সাম্রাজ্যের সপ্নদ্রষ্টা ছিলেন উসমান গাজীর পিতা আরতুগ্রুল গাজী। ১৪৫৩ সালে সুলতান মুহাম্মাদ আল- ফাতিহ কন্সটান্টিনপোল বিজয়ের মাধ্যমে উসমানীয়রা বাইজান্টাইন সাম্রাজ্য উচ্ছেদ করে। সেই দু্:সাহসিক অভিযানের কথা 'সানজাক-ই- উসমান' বইটিতে খুব সাবলীল ভাষায় তুলে ধরা হয়েছে। মনে হয় যেন চোখের সামনে সব কিছু জীবন্ত ফুটে উঠেছে।
Was this review helpful to you?
or
"সানজাক-ই-উসমান" নামের মধ্যেই একটা আকর্ষণ থাকায় যে কেউ বইটি হাতে নিবে। সেই আকর্ষণবোধের মধ্যেই লেখকের নামটি প্রিন্স সজল পড়েই আকর্ষণ একটু উবে যাবে। কারণ,বর্তমান লেখালেখির জগতে পাঠক হয়তো এই লেখকের নামটি এর আগে শুনেননি।তারপরও সানজাক-ই- উসমান নামটির আকর্ষণবোধের রেশ নিয়েই যখন বইটির পাতা উল্টাতে শুরু করবেন তখন আর বইটি হাতছাড়া করবেন না। অটোমেন সুলতান উসমানের নামে বইটির নাম হলেও এই বইয়ে উসমানের জীবনের রেশ খুব অল্পই আছে। লক্ষ লক্ষ মুসলিম হত্যা ও বর্বরতার মাধ্যমে উৎখান হওয়া বর্বর মোঙ্গল জাতিই মাত্র তিন পুরুষের ব্যবধানে এসে শান্ত মুসলিম জাতিতে পরিণত হওয়ার ঘটনা মহাকালের পট পরিক্রমায় সত্যিই বিস্ময়কর।বইটিতে মোঙ্গলদের যুদ্ধ ও বর্বরতার ঘটনা যতো বিশদভাবে এসেছে অটোমেনদের ঘটনাগুলো ততো বিশদ হয়নি।বইয়ের কলেবর বিবেচনায় কি-ই বা করার ছিলো। ইতিহাসের বই লিখা সবচেয়ে কঠিন । কারণ, ইতিহাসের বই লিখতে হলে সত্যের নৈতিকতার দায়ে নির্মোহ ইতিহাস লিখতে হয়। ফলে সংগৃহিত সকল তথ্য উপাত্ত নিরপেক্ষভাবে বিশ্লেষণের মানসিক চাপ বয়ে বেড়াতে হয়। একই সঙ্গে পাঠকের মনে পড়ার আগ্রহ ও ইতিহাস জানার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টির জন্য পাঠ্যপুস্তকের ইতিহাস বইয়ের মতো কাঠখোট্টা ইতিহাস লিখা পরিহার করতে গিয়ে আবেগকে ছুঁয়ে যাওয়ার মতো এমন তথ্য ও বর্ণনা লিখতে হয়,যা মিথ্যা কিংবা অতিরঞ্জিত নয়। যাইহোক, নিঃসন্দেহে সানজাক-ই-উসমান সর্বদিক বিচারে খুবই অসাধারণ একটি বই । লেখককে একজন সফল ও সমীহ জাগানিয়া ইতিহাস লেখক বলতেই হবে।
Was this review helpful to you?
or
khub shundor akti boi
Was this review helpful to you?
or
এই বইটা দিয়েই আমার উসমানী সাম্রাজ্যের প্রতি ভালোবাসা জন্মে। তখন থেকেই বহু বই পড়া, সিরিয়াল দেখা শুরু হয়। ইতিহাস যে এত মধুর হয় এই বই না পড়লে বুঝতেই পারতাম না। ইতিহাসকে ইতিহাসের মতই উপস্থাপন করা উচিৎ যা এই বইয়ে উঠে এসেছে। এখানে কোনো নতুন উপমা বা কোনো শাসকের প্রতি বিদ্রুপতা প্রকাশ পায় নাই। ইতিহাস যেভাবে ঘটেছে, সেভাবেই বইয়ে উপস্থাপিত হয়েছে। আমি এই বইটা পড়েছিলাম আরো ২ বছর আগে। তার পর বহু ডকুমেন্টারি দেখে, বই পড়ে আমার কাছে মনে হয়েছে এটাই এযাবতকালে উসমানীদের নিয়ে লেখা সেরা একটা বই।
Was this review helpful to you?
or
Excellent Book.
Was this review helpful to you?
or
খুবই চমৎকার ইসলামিক ইতিহাস ভিত্তিক একটি বই।এত সুন্দর এবং সাবলীল ভাষায় না ইতিহাস ব্যাখ্যা করা যায় তা এই বই না পড়লে বোঝা যাবে না।মজার ব্যাপার হলো বইটা পুরোটাই লেখক মোবাইল এ টাইপ করে লিখেছে। বইটার ভিতরের মজা নিতে হলে অবশ্যই পড়তে হবে।
Was this review helpful to you?
or
বইটার নাম শুনে উঁচু এক্সপেকটেশন জন্মেছিল মনে। পড়ার পর বলতেই হচ্ছে, আশাহত হইনি। চাইলেই একনিঃশ্বাসে পড়ে ফেলা যায়, এতটাই রোমাঞ্চকর এই বইটা । ইতিহাসের তথ্যে পরিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও এক মুহূর্তের জন্যও 'বোরড' হইনি। ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নিলে ইতিহাস পড়াই বৃথা। আশা করি সবাই বইটির পরতে পরতে লুকিয়ে থাকা বিষয়গুলো অনুধাবন করে নিজেকে বদলে ফেলতে সক্ষম হবেন।
Was this review helpful to you?
or
পড়তে পড়তে নেশা ধরে যায়। যেন মনে হয় নিজেই চোখের সামনে ঘটনাগুলো দেখছি। পড়ার সময় পাঠকের কল্পলোকের সামনে দৃশ্যপট ভাসিয়ে তোলা সহজ কাজ নয়। কিন্তু এই বইয়ের লেখনীতে তা আছে। দিরিলিস আর্তুরুল আর কুরুলুস উসমান দেখার পর কেউ পড়লে তার চোখের এই বইয়ের ঘটনাগুলো জীবন্ত দেখতে পাবে। আমার যেমন হয়েছে। যতক্ষণ বই পড়া শেষ হয়নি ততক্ষণ যেন আমার আমি হারিয়ে গেছিলাম অন্য এক ভূবনে। মনে হচ্ছিলো সেখানে আমি যেন ইতিহাসের সেই অটোম্যন দেরই একজন ,, অসাধারণ অনুভূতি
Was this review helpful to you?
or
♦বই রিভিউ♦♦ **************** বই: সানজাক-ই উসমান অটোমানদের দুনিয়ায়। লেখক: প্রিন্স মুহাম্মাদ সজল। রিভিউ লেখিকা: নিশাত তামান্না। প্রথম প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল,২০১৮ প্রকাশনায়: গার্ডিয়ান প্রকাশন। প্রচ্ছদ: অর্ণব হাসান। হার্ডকভার মূল্য: ৫০০টাকা পৃষ্ঠা: ৪৪০ "সিরিয়াল কিলার" শব্দটার সাথে আপনারা পরিচিত নিশ্চয়ই? "সানজাক-ই উসমান" এই অনন্য সাধারণ বইটি আপনাকে পরিচয় করিয়ে দিবে ইতিহাসের কিছু কুখ্যাত ভয়ংকরতম খুনির সাথে।এর পাশাপাশি টাইম ট্রাভেলের সাহায্যে আপনাকে নিয়ে যাবে আট শ বছর আগের পৃথিবীতে।যেখানে আপনি মঙ্গোলিয়ান স্তেপের বর্বর মোঙ্গল জাতির নিষ্ঠুরতা ও হত্যাতাণ্ডব থেকে শুরু করে কনস্টান্টিনোপল বিজয়,উসমানী সালতানাতের স্বর্ণশিখরে আরোহণ, এর পতন এবং এর পরবর্তী শিল্পযুগের ঘটনাপ্রবাহের সাথে ভেসে যেতে পারবেন কালের যাত্রায়। ♦♦লেখকের কথা♦♦ ইতিহাস বলতে আমরা কি বুঝি? আমি বুঝি,ইতিহাস হলো শব্দের ক্যানভাসে সময়ের ছবি আঁকা।এই ছবি নিখুঁত করে আঁকতে পারাটাই ইতিহাস নিয়ে লেখালেখির মূল কথা।শুধু বাংলাদেশ না, সারা পৃথিবীতেই ইতিহাস নিয়ে যে সমস্যাটা জারি আছে তা হলো,সময়ের ছবি নিখুঁত করে আঁকতে গিয়ে প্রথাগত ঐতিহাসিকরা ছবিকে এত বিরক্তিকর করে ফেলেন যে সাধারণ মানুষ,বিশেষ করে তরুণরা সময়ের সেই ছবির দিকে আর তাকাতেই চায় না।অপরপক্ষে,ঐতিহাসিক উপন্যাস যারা লেখেন,তারা এত রংচং লাগান যে, আমরা অতীতের ঘটনাগুলোর সঠিক ছবি পাই না।আমি এখানে দুটো জনরার মিশেলে নতুন ক্যানভাসে,নতুন রং-তুলি ব্যবহার করে ভিন্ন এক ছবি আঁকার পথে হেঁটেছি।(সংক্ষিপ্ত) প্রিন্স মুহাম্মদ সজল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২০মার্চ,২০১৮ ♦♦নির্দেশিকা♦♦ আপনি যদি অনুসন্ধিৎসু হৃদয়ের অধিকারী হোন তবে আপনার অনুসন্ধান সহজ করে দিতেই এখানে রয়েছে একটি নির্দেশিকা।বিভিন্ন ভৌগলিক পরিভাষা,নৃতাত্ত্বিক পরিভাষা,রাজনৈতিক পরিভাষা,উপাধিসূচক পরিভাষা এই নির্দেশিকারই অংশবিশেষ। ♦♦সংক্ষেপে বইকথন♦♦ গৎবাঁধা ইতিহাস ও নিছক উপন্যাস ছাড়াও যে দু'য়ের মিশেল ঘটিয়ে একটি ঘটনাপ্রবাহকে কত অসাধারণভাবে উপস্থাপন করা যায় তা লেখক এই বইটিতে প্রস্ফুটিত করেছেন।এই বইটিকে ৭টি অধ্যায়ে বিভক্ত করা হয়েছে। ♦১ম অধ্যায়: মৃত্যুর সম্রাট♦ এ অধ্যায়ে মোঙ্গলিয়ান স্তেপের চিত্র,জাতি হিসেবে তাদের দূর্বলতা,চেঙ্গিস খানের জন্ম,বেড়ে ওঠা,খান-ই খানান নির্বাচন,মোঙ্গল জাতি যেভাবে শক্তি সঞ্চয় করে বহির্দেশে আক্রমণ শুরু করে এসব বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। ♦২য় অধ্যায়: জানবাজ মামলুক♦ এ অধ্যায়ে মিসরের সিংহ সুলতান সাইফ উদ্দিন কুতুজের মোঙ্গলদের বিরুদ্ধে বিরত্ব প্রদর্শন,মোঙ্গল বংশধর বারকি খানের ইসলাম গ্রহণ ও মুসলিমদের সাহায্য,মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমি সম্পর্কে,দ্যা লাস্ট ক্রুসেডার,মামলুক- মোঙ্গলদের যুদ্ধ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। ♦৩য় অধ্যায়: গাজির ঘোড়া♦ আনাতোলিয়ার ক্ষুদ্র কায়ী গোষ্ঠীর উত্থান ও পরবর্তীতে উসমান বে-র সময়ে ছোটো একটি আমিরাত থেকে কিভাবে একটি সালতানাতের প্রতিষ্ঠা হলো এ ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে এখানে।এছাড়া আখি সংঘ,ইউরোপের প্লেগ রোগ,সুলতান মুরাদের স্বর্ণযুগ,জানিসারি বাহিনী,কসোভার যুদ্ধ এ বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে। ♦৪র্থ অধ্যায়: চারিদিকে শত্রু♦ সুলতান বায়েজিদ ইয়িলদিরিম বা থান্ডারবোল্ট এর ঘটনাসহ এ অধ্যায়ে রয়েছে নিকোপলিস যুদ্ধ,তৈমুর লং এর ক্ষমতা ও রাজ্য বিস্তারের কারণ,তৈমুর লং কর্তৃক আনাতোলিয়া আক্রমণ ও নৃশংসতা,সুলতান বায়েজিদের পরাজয়,সুলতান ২য় মুরাদের সাহসিকতা,ভার্নার যুদ্ধসহ আরো অনেক ঘটনা। ♦৫ম অধ্যায়: বারুদি সালতানাত♦ কনস্টান্টিনোপল বিজয়ী বীর সুলতান মেহমেদ(মুহাম্মদ) আল ফাতিহর মসনদ লাভ,স্থলবাহিনীর উন্নতি সাধন,নৌ বাহিনী গঠন,উন্নত সমরাস্ত্রের ব্যবহার,প্রশাসনিক কাঠামো মজবুতকরণ,তাঁর অত্যাধুনিক চিন্তাধারা,কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের ঘটনা,হেরেম-ই হুমায়ুন এ ঘটনাগুলো বিবৃত হয়েছে এ অংশে। ♦৬ষ্ঠ অধ্যায়: বীর মহাবীর♦ আপনারা ইতিহাসে নরপিশাচ নামে খ্যাত ড্রাকুলার নাম শুনে থাকবেন নিশ্চয়ই।যে ১৪৫৬-১৪৫৬ এই ছয় বছরে প্রায় এক লাখ মানুষ মেরেছে।পান করেছে কত সহস্র জনের রক্ত।আর এ অংশে রয়েছে ড্রাকুলার জন্ম,নৃশংসতা,সুলতান ফাতিহ কর্তৃক তাকে দমনের চেষ্টা,ড্রাকুলার দেহ নিখোঁজ রহস্য,সুলতান ফাতিহর মৃত্যু,আনাতোলিয়ার গৃহযুেদ্ধর বর্ণনা। ♦৭ম অধ্যায়: নয়া দুনিয়ায়♦ পরিসমাপ্তিতে,উসমানী খিলাফতের পতনের প্রতি ইঙ্গিত,স্পেনে ইসলামী শাসনের প্রদীপের নিভু নিভু দশা,কলোনিয়াল দুনিয়া,গ্লোবালাইজেশন ও নয়া দুনিয়ায় স্বাগতম জানানোর পাশাপাশি চেঙ্গিস খান ও উসমানী সুলতানদের বংশতালিকা বিবৃত হয়েছে। ♦♦বইটি যাদের জন্য♦♦ সব পর্যায়ের পাঠকের কাছে বইটি সমাদৃত হবে বলে আমি মনে করি।তবে যারা ছকে বাঁধা ইতিহাসের চেয়ে গল্পাকারে পড়তে পছন্দ করেন বইটি তাদের জন্য যথোপযুক্ত।এ বই আপনাকে ইতিহাসের আড়ালে অন্যরকম গল্প বলবে। ♦♦লেখক পরিচিতি♦♦ প্রিন্স মুহাম্মাদ সজল।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইন্সটিটিউট-এর শিক্ষার্থী।জন্ম,বেড়ে উঠা রাজধানী ঢাকায়।বিজ্ঞানের ছাত্র হলেও ইতিহাস,ভূগোল,দর্শন ও সমসাময়িক আন্তর্জাতিক রাজনীতির তিনি একজন উৎসাহী পাঠক।তাঁর লেখাতেও এসবের ছাপ স্পষ্ট।দেশের বৃহত্তম ফুটবল কমিউনিটিগুলোর একটি 'ফুটবল ম্যানিয়াক্স অফ বাংলাদেশ'-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হিসেবেও তাঁর পরিচিতি আছে।স্বপ্ন দেখেন ইনসাফের ভিত্তিতে গড়ে উঠা এমন এক পৃথিবীর,যেখানে ভাতৃত্ব আর ভালোবাসার বন্ধন ভিন্ন ভিন্ন মত-পথের মানুষকে একই সুতোয় বেঁধে রাখবে। ♦মন্তব্য♦ হাজার বছরের ইতিহাসকে একটি মলাটে কয়েকটি পৃষ্ঠায় তুলে ধরা কষ্টসাধ্য এমনকি দুষ্কর ও বটে।তবুও লেখক চেষ্টা করেছেন মুল বিষয়গুলোকে তুলে ধরার।মানসম্মত মলাট ও পৃষ্ঠা,বইয়ে চিত্রাঙ্কিত বিভিন্ন যুদ্ধের ট্যাকটিক্যাল মাপ বইটির চাহিদা ও মান বাড়িয়েছে বহুগুণে। সবশেষে লেখক ও প্রকাশনীকে ধন্যবাদ একটি অনবদ্য বই আমাদের উপহার দেয়ার জন্য।?
Was this review helpful to you?
or
বইঃ সানজাক-ই উসমান অটোমানদের দুনিয়ায়। লেখকঃ প্রিন্স মুহাম্মাদ সজল। প্রকাশনাঃ গার্ডিয়ান পাবলিকেশন। পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৪৪০। মুদ্রিত মূল্যঃ ৪৫০। সানজাকই উসমান, অটোমানদের দুনিয়ায়। নামটা দেখে বইটি শুধুমাত্র অটোমান সালতানাতের ইতিহাস মনে করলে ভুল করবেন। তৎকালীন বিশ্বরাজনীতির একটি চিত্র লেখক প্রিন্স মুহাম্মাদ সজল তার নিপুণ লিখনিতে ফুটিয়ে তুলেছেন। চেঙ্গিজ খান। মোঙ্গল জাতির প্রতিষ্ঠাতা খান-ই খানান। তার সম্পর্কে প্রথম পড়েছিলাম সম্ভবত অষ্টম শ্রেণির ইংরেজি বইতে। সেই থেকে মনে সুপ্ত কৌতুহল ছিলো তার সম্পর্কে। আর এ কৌতুহল অনেকাংশে মিটালাম এই বইটি পড়ার মাধ্যমে। বইয়ের প্রথম ভাগেই মোঙ্গলদের উত্থান, বর্বরতা, শাসন, নীতি, বিলুপ্তির একটা ছক পাওয়া যায়। দ্বিতীয় ভাগে সেলজুক সাম্রাজ্যের পতনের সাথে পাল্লা দিয়ে উসমানী সালতানাতের আবির্ভাব স্পষ্ট হয়। পাশাপাশি বাইজাইন্টাইন সাম্রাজ্যের পতনের সাথে উসমানীয়দের ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়া অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। এসব বিষয় দারুণভাবে লেখক লিপিবদ্ধ করেছেন। ক্রুসেডারদের নির্মম আক্রমণ, ষড়যন্ত্রের নকশা এবং তা কি নিপুণ ট্যাকটিক্সে মুসলিমদের জয় লাভ সবই পড়বেন এই বইতে। বইয়ের শেষাংশও দেখার মতো। লেখক তৎকালীন যুগের সাথে বর্তমান কালের একটা দারুণ সমন্বয় করে সমাপ্তি টেনেছেন যা নজর কাড়ে। যুদ্ধের বর্ণনা এমনভাবে লেখা হয়েছে মনে হবে যেন কোনো মুভি দেখছি। এই বই আপনাকে খুশি করবে, কাঁদাবে, অনুপ্রাণিত করবে। কখনো শিহরিত হবেন আনন্দের আতিশয্যে, কখনো চোখ বেয়ে টপাটপ অশ্রু ঝরবে। অথবা কখনো রোমাঞ্চকর অনুভূতি অনুভব করাবে। মোদ্দা কথায় এই বই যেন "এক ঢিলে কয়েক পাখি।" বইটি সুখপাঠ্য। -ওমর ফারুক।
Was this review helpful to you?
or
আমি ভালো লিখতে পারিনা তবে এইটুকু বলবো বইটি পড়ে দেখেন ভালো লাগবে ইতিহাস যানবেন। বইটি এক বসায় শেষ করতে চাইবেন। ধন্যবাদ রকমারি.com
Was this review helpful to you?
or
'কিয়ামত তত দিন পর্যন্ত সংঘটিত হবে না, যত দিন না লাল মুখওয়ালা, ছোটো ছোটো তির্যক চোখ ও চ্যাপটা নাকবিশিষ্ট তাতারেরা তোমাদের ওপর চড়াও হবে। তারা পূর্বদিক থেকে আসবে এবং পশম লাগানো চামড়ার জুতা পরবে, আর তাদের মুখ হবে ঢালের মত প্রশস্ত। তারা তোমাদের এমনভাবে আচ্ছন্ন করে ফেলবে, যেমন করে পঙ্গপালের ঝাঁক আকাশকে ঢেকে দেয়।' সহিহ বুখারি: ২৭৭০ এই Prophecy মিথ্যা হয়নি। রাসূল (সা:) এর ওফাতের প্রায় সোয়া ছয়শো বছর পর পূর্বদিক থেকে এক বড়োসড়ো ঝড় ওঠে যার তলোয়ারের ধারে বদলে যেতে থাকে পৃথিবীর মানচিত্র। জ্বী, এই বইটিতে মঙ্গোলিয়ান স্তেপ থেকে বর্বর এক বাহিনী নিয়ে চেঙ্গিস খানের উত্থান, মাত্র ২০ বছরের ব্যবধানে কিভাবে পৃথিবীর মানচিত্র তিনি বদলিয়ে দিলেন, ধর্মীয় চেতনাবোধ ও যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে কিভাবে আব্বাসীয় সাম্রাজ্যের পতন অনিবার্য হয়ে ওঠে সেগুলা খুব সাবলীলভাবে আছে। এখানেই শেষ নয়, বইটি প্রধানত লেখা হয়েছে কিভাবে অটোমান সাম্রাজ্য গঠিত হল, কিভাবে মোঙ্গলদের মাধ্যমে সমূলে ধ্বংস হওয়া স্তুপ থেকে এক বিরাট ক্ষমতাধর সাম্রাজ্য গঠিত হল, সে বিষয়ে। আপনি বইটিতে আরতুগ্রুল বে(১১৯১-১২৮১) থেকে শুরু করে সুলতান আহমদ(১৪৩২-১৪৮১) পর্যন্ত সকল অটোমান সুলতানদের যুদ্ধ, রাজ্য পরিচলনা,বিভিন্ন অভিযান সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারবেন। তাছাড়া স্পেনে মুসলমানের উত্থান-পতন, ইউরোপ দের আমেরিকা নামক ভূমি জয়ের মাধ্যমে পৃথিবীর বুকে আবারও ঘুরে দাড়ানোর কথাও জানতে পারবেন। বইটির প্রধান সৌন্দর্য হচ্ছে, এক মলাটে এত কিছু কাভার করা। বইটি পড়ার সময় এক মুহুর্তের জন্য বোরিং লাগেনি, বরং শেষের দিকে এটা ভেবে খারাপ লাগছিলো যে এত সুন্দর বইটির পাতা শেষ হয়ে যাচ্ছে। Authenticity'র ব্যাপারে লেখক একদমই compromise করেননি। অধিকাংশ পাতার নিচে দেখবেন শুধু reference আর reference. লেখকের ভাষায় বইটি হচ্ছে ইতিহাসের টাইম ট্রাভেলিং মেশিন। যে মেশিনের মাধ্যমে আপনি ফিরে যাবেন আজ থেকে আটশো বছর আগের পৃথিবীতে। পড়ে দেখতে পারেন এই অসাধারণ বইটি, আশাকরি সময় নষ্ট হবে না।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটা বই
Was this review helpful to you?
or
#রিভিউ বইঃ-সানজাক-ই উসমান লেখকঃ- প্রিন্স মুহাম্মদ সজল.. একটু সময় নিয়ে পড়ার অনুরোধ.. আপনি কি জানেন আজ থেকে ৮০০ বছর পূর্বে দুনিয়ার বুকে কিয়ামত নেমে এসেছিল.. সেই কিয়ামত শুরু করেছিলো তাতারেরা! তাতার কারা? চেঙ্গিস খানের নামত আমরা সবাই জানি কিন্তু কে এই চেঙ্গিস খান? সামান্য এক সাবেক গোত্র প্রধানের ছেলে এই চেঙ্গিস খান যার কিনা জন্ম হয় এক জঙ্গলে এবং সেখানেই বেড়ে উঠে.. তাহলে কিভাবে সে এতো বড় সাম্রাজ্য গড়ে তুলেন?কিভাবে অর্ধেক পৃথিবী জয় করে নেন!মঙ্গল বাহিনী যেদিক দিয়ে অগ্রসর হয়েছে শুধু ধংসই করে গিয়েছে.. তার মুসলিম বিশ্ব একদম পদদলিত করে দেয় তারা কসম কেটে ভের হয় পৃথিবী থেকে মুসলমানদের মুছে দিবে তাদের গৌরব ধূলিসাৎ করে দিবে তারা মুসলিমদের গৌরব বাগদাদের খেলাফত কে ধংস করে দেয়,তারপর কিভাবে কার হাত ধরে বাগদাদ তার পুরনো রুপ ফিরে পেলো!কিভাবে ফিরে আসলো ইসলামের খেলাফত! কিভাবে কে থামালেন এই মোঙ্গলদের! তা জানতে হলে অবশ্যই এই বইটি পড়তে হবে.. যখন মঙ্গল বাহিনী অর্ধেক দুনিয়া ধংস করে আসছিলেন তখন কায়ী গোত্রে আর্তুগ্রুল গাজীর ঘরে জন্ম নেয় এক বীর যার নাম উসমান গাজী যে পরবর্তীতে একটি সালতানাত কায়েম করে আর সেই সালতানাতের নাম উসমানীয় সাম্রাজ্য বা অটোমান সাম্রাজ্যে কি পরিচিত লাগছে নামটা?হ্যা এটা সেই সাম্রাজ্য যা দীর্ঘ ৬০০ বছর রাজত্ব করে যে সাম্রাজ্যের সুলতান আমাদের নবী হজরত মুহাম্মদ(সা.) এর ভবিষ্যৎ বানী পুরন করে, খ্রিস্টানদের হাজারো বছরের প্রাচীন শহর প্রাচীন রাজধানী অজয়ের খ্যাতি পাওয়া শহর কন্সট্যান্টিনোপল জয় করেন!কে সেই বীর?কিভাবে তার মনে এই শহর জয় করার স্বপ্ন জাগে কিভাবে সে এই শহর জয় করলো?তা জানতে বইটি আজই সংগ্রহ করুন.. দিগবিজয়ীর আরেক নাম তৈমুর লং হ্যাঁ ইনি হচ্ছেন আরেক দিগবিজয়ী আরেক মহান সুলতান যে দুনিয়া কাপিয়ে গিয়েছে এমনকি মৃত্যুর পরও মানুষ তাকে ভয় পেয়েছে তার লাশ দাফন করার সময়ও দাফন কারি ভয়ে কাপছিলো.. তৈমুর লং যখন সিংহাসনে তখন উসমানী সাম্রাজ্যের সিংহাসনে বসা উসমানীয় চতুর্থ সুলতান সুলতান বায়েজিদ খান.. এই সুলতান মুরাদ খান তৈমুর লং কে হেও করে এক যুদ্ধ বাত্রা লেখে যদিও তৈমুর লং তার সাথে যুদ্ধে জড়াতে চায়নি কিন্তু তার চিঠি পেয়ে তৈমুর লং ফেপে উঠে,চিঠিতে লেখা ছিলো. *আমি সুলতান বায়েজিদ যদি তোমাকে যুদ্ধে হারাতে পারি তাহলে তোমার স্ত্রীদের কে নগ্ন করে নাচের আসর বসাবো এবং তাদের হাতে শারাব পান করবো* এই চিঠি পেয়ে তৈমুর লং যুদ্ধের প্রস্তুতি নেন এবং সুলতান বায়েজিদকে পরাজিত করেন... তারপর কি হোলো সুলতান বায়েজিদ ? তৈমুর লং তার সাথে কি করলেন? কিভাবে আবার ঘুরে দাড়ালো উসমানীয় সাম্রাজ্য? তা জানতে আজই বইটি সংগ্রহ করুন.. বিঃদ্রঃ- Rokomari.com থেকে সংগ্রহ করা আমার প্রথম বই এটি,২৩ জুন ২০১৯ রাত ১১ পর বইটি অর্ডার করি এবং ২৫ জুন ২০১৯ আমার জন্মদিনের দিন বইটি হাতে পাই..ধরে নিয়েছিলাম Rokomari.com এর পক্ষ থেকে আমার জন্য এটি গিফট। আর হ্যা আপনাদের প্রসঙ্গে বলছি বইটি অসাধারণ,অসম্ভব সুন্দর একটি বই এই বইয়ের মাধ্যমে আপনি ততকালীন কয়েক্টি সাম্রাজ্যের কথা জানতে পারবেন এই বইটি পড়ার সময় আপনার কাছে মনে হবে আপনি টাইম ট্রাভেলে সেই সময়ে পৌঁছে গিয়েছেন আপনার চোখের সামনে সব ভেষে উঠবে একটু পরপর গায়ের লোম দাড়িয়ে যাবে.. তাহলে দেরি কিসের আজই ঘুরে আসুন আজ থেকে ৮০০ বছর আগের দুনিয়ায়.. ব্যাক্তিগত ভাবে আমি নিজে সানজাক-ই উসমান-২ এর অপেক্ষা করছি জানিনা লেখক কোনোদিন সানজাক-ই উসমান-২ লিখবেন কিনা বা পাবলিশ হবে কিনা তাও অপেক্ষায় আছি অপেক্ষায় থেকে যাবো... লেখকের কাছে একটি অনুরোধ আপনি এই বইটির দ্বিতীয় পর্ব লিখুন কথা দিচ্ছি প্রি-অর্ডারে rokomari.com থেকে বইটি সংগ্রহর করবো ইনশাআল্লাহ..
Was this review helpful to you?
or
অনেক ভাল একটা বই মোঙ্গল সম্রাট তেমুজিন(চেঙ্গিস খান) এর বিশ্বজয়ের ঘটনা,এবং একটা ছোট্ট প্রদেশ থেকে তিল তিল করে গড়ে উঠা এক সময়ের তিন মহাদেশ শাসনকারী উসমানীয়া সাম্রাজ্যের গোড়াপত্তনের ঘটনা লেখক অত্যন্ত সহজ সাবলীলভাবে বলতে চেয়েছেন তার লেখা "সানজাক ই উসমান" বইটিতে
Was this review helpful to you?
or
Excellent
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই
Was this review helpful to you?
or
গতানুগতিক ইতিহাসের বই মনে করলে ভুল করবেন।যুগ-যুগান্তরের মোড় ঘোরানো কালজয়ী ঘটনাগুলোর বর্ণনা এমন গল্পের ভাষায় আর কোথাও পড়েননি,এমনটা হয়তো চ্যালেঞ্জ করেই বলা যায়!ঝরঝরে লেখা আর পাতায় পাতায় ঘটনাপ্রবাহের এমন অসাধারণ পট-পরিবর্তনে বইয়ের ভেতর কখন হারিয়ে যাবেন টেরও পাবেন না।মুসলিম সভ্যতার স্বর্ণযুগ সম্পর্কে আগ্রহী হলে সানজাক-ই উসমান আপনার ভাল লাগতে বাধ্য। এই বইয়ের রিভিউগুলো পড়তে গেলে যে শব্দ দুটো সবচেয়ে বেশি আপনার চোখে পড়বে তা হচ্ছে "টাইম-ট্রাভেল"।প্রায় সাড়ে চারশো পৃষ্ঠার বইটির সন্তোষজনক একটা রিভিউ লেখা বেশ দূরহ ব্যাপার।এদুটো শব্দেই তাই হয়তো মনের সব ভাব প্রকাশ করে দেওয়া হয়! হ্যাপী রিডিং!
Was this review helpful to you?
or
আপনি যদি অটোমান সাম্রাজ্যের গোড়াপত্তন নিয়ে জানতে আগ্রহী থাকেন কিন্তু একই সাথে গম্ভীর ইতিহাস বই ঘাঁটতে নারাজ, এই বইটা আপনার জন্য পারফেক্ট। আমার জন্যও। :3
Was this review helpful to you?
or
আমি বিশ্বাস করি, বাংলা ভাষায় এত রোমাঞ্চকরভাবে ইতিহাস আগে কেউ লেখতে পারেনি। একবার শুরু করলে পুরোটা না পরে উঠা যায় না। ধন্যবাদ সজল ভাই.....
Was this review helpful to you?
or
ইতিহাসের প্রতি আগে থেকেই আলাদা একটা টান আছে। আর সেটা যদি হয় কোনো মসলিম বীর সেনানীদের তাহলে তো আর কোনো কথাই নাই। একবার পড়তে বসলে সেটি শেষ না করে উঠতে মন চায় না। আর সানজাক ই উসমান বইটাও সেই কাতারের। লেখকের উপস্থাপন,বইয়ের ভাষা,গল্পের রসকস,গল্পের বুনন দেখে বুঝাই যায় না তিনি নতুন লেখক।তবে বইতে কিছু কথা, তিনি যেহেতু মামলুকদের টেনে এনেছেন সেই সাথে রয়েছে ক্রুসেড আর মোঙ্গল, আর এই দুয়ের সাথে মামলুকরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সেক্ষেত্রে ক্রুসেড আর মোঙ্গলদের অন্যতম ত্রাস সুলতান রুকুনুদ্দিন বাইবার্স সম্পর্কে আরও বিস্তর আলোচনার দরকার ছিলো। হয়ত হতে পারে বইয়ের পৃষ্টা বেশি হয়ে যাওয়ার কারনে তিনি সংক্ষেপে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু সব মিলিয়ে বইটা অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
ব্যাক্তিগত ভাবে আমার বই পড়তে খুব একটা ভালো লাগেনা। কিন্তু ইতিহাস নিয়ে জানতে খুব ইচ্ছে হয়। আর এতটুকু বলতে পারি যারা ইসলামের স্বর্ণযুগে প্রবেশ করতে চান এবং তার ধারাবাহিক ঘটনাগুলো জানতে চান তাহলে 'সানজাক-ই-উসমান:অটোমানদের দুনিয়ায়' এই বইটি আপনার অসম্ভব পিপাশাকে মিটাবে। এখানে লেখক খুবই সাবলীল ভাষায় নিজের মনের ভাবনাকে আপনার সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন যেটা আমরা যেকোনো বইয়ে খুব জটিল ভাষার কারনে বিরক্ত হই। লেখক ' প্রিন্স মুহাম্মদ সজল' ভাইয়ের জন্যে রইলো অসংখ্য শুভ কামনা।
Was this review helpful to you?
or
বইটি পড়ার পর উসমানিয়া সাম্রাজ্য-তাতারিদের ইতিহাস সম্পর্কে কৌতুহল বৃদ্ধি পেয়েছে। অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
Expecting more from Mr. Prince,
Was this review helpful to you?
or
সানজাক-ই-উসমান বইটি পড়ার আগ্রহ তৈরি হয়েছিল মূলত তুর্কি সিরিজ দিরিলিস আরতুগুল দেখার পর থেকেই। উসমানি খিলাফত কিভাবে তাদের রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিল সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়েছিলাম।আমার এই আকাংখা এই বইটি প্রায় শতভাগ পূর্ণ করেছে।বইয়ের ভাষা ছিল খুবই প্রাঞ্জল, পড়ার সময় তাই কোনোরকম ক্লান্তিবোধ করিনি।বইটিতে ঘটনা বর্ণনার সাথে সাথে মানচিত্র যুক্ত করে আরো বেশি অনবদ্য করে তুলেছে।এছাড়াও বইটির প্রিন্টের কথাও বলতে হয় কেননা বইয়ের প্রিন্ট আমার কাছে খুবই উন্নত লেগেছে।আমি আশা করি এই নবীন লেখক আমাদের আরো অনেক জ্ঞানসমৃদ্ধ বই উপহার দিবেন
Was this review helpful to you?
or
বইটি এক কোথায় অসাধারণ। সাধারণত ঐতিহাসিক বিষয়ে লেখকরা সাহিত্যিক হয় না বা ভাষাজ্ঞান অত শক্তিশালী হয় না। লেখকের এইদুটি গুন্ একসাথে আছে বলা যায়। br কিছু কিছু সীমাবদ্ধতা আছে যেটা উল্লেখ করলে আশাকরি গঠনমূলক সমালোচনা হবে: ১। মামলুক সুলতান/যোদ্ধা রুকুউদ্দিন বাইবার্স সমদ্ধে অনেক কিছুই বলা হয়নি। এক অসামান্য যোদ্ধা যে মঙ্গোলিয়ান তাতারদের অসংখ যুদ্ধে নাস্তানাবুদ করে দিয়েছিল। ২। ছবিগুলোর নিচে ক্যাপশন থাকলে ভালো হতো। ছবিগুলোর পরিচয় দেয়া হয়নি ৩। বই এর শেষে নোট করার জন্য কিছু খালি পৃষ্ঠা সংযুক্ত করলে ভালো হয়। এটা সব বই এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
Was this review helpful to you?
or
একটি নাম উল্লেখ করা ব্যতিত পৃথিবীর ইতিহাস অপূর্ণাঙ্গ । ইতিহাসের পাতায় কালোদাগ হয়ে গভীরভাবে খোদাই হয়ে আছে সে নাম। ভয়ংকর রক্তহোলির ছাপ মাখা অতীতে ভাসে সে নাম। চেঙ্গিস খান। তীর, ধনুক, তরবারি, গোলা, কামান কিংবা সৈন্যের প্রাচুর্যের চেয়েও বড় এক শক্তি ছিলো তার। মঙ্গল আতঙ্ক। তার সম্রাজ্য ছিলো কাটা মুন্ডুর পিরামিডের ওপর দাড়িয়ে থাকা আতঙ্কের চাদরে জড়ানো। দ্বাদশ শতাব্দির শুরুর দিকে চীনের জিন সম্রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযানে পৃথিবীর কাছে পরিষ্কার হয়ে যায় নির্মমতার নতুন পাঠ শেখাতে মঙ্গলরা আসছে। যেদিকে তাদের ঘোড়া মুখ ফিরিয়েছে, শহরের পর শহর ধ্বংস হয়েছে। কাটা মাথার অগনিত পিরামিড এই পিশাচের সামনে মানবতার অসহায়ত্বের ঘোষণা দিয়েছে। এই ভয়ংকর রূপ দেখে মানুষ তাদেরকে ইয়াজুজ-মাজুজ ভাবতে শুরু করলো। সবাই মনে করতে থাকলো কিয়ামত এসে গেছে। চেঙ্গিস খান দুনিয়ার বুকে কিয়ামতের আগেই কিয়ামত নামিয়ে এনেছিলো। চেঙ্গিস খান ও তার বাহিনী প্রায় চার থেকে সাড়ে চার কোটি মানুষ হত্যা করেছিলো। ইয়াজুজ-মাজুজের আতঙ্ক মুসলমানদের এতোটাই গ্রাস করেছিলো যে তারা এতটুকু সাহস সঞ্চয় করতে পারেনি তাদের বিরুদ্ধে । বাধ্য দাসের মতো গলা পেতেছে খানের তরবারির নিচে। "সানজাকই উসমান" বইয়ের শুরুর দিকে একটি বিরাট অংশ আলোচনা করা হয়েছে মঙ্গোলদের নিয়ে।যেখানে আপনি পেয়ে যাবেন মঙ্গোলদের পরিচয়, কিভাবে তারা এমন ভয়ংকর হয়ে উঠলো, তাদের উত্থান-পতন এবং তাদের নির্মমতার ভয়াল নাটকীয়তা। চেঙ্গিস খানের বাহিনী বাগদাদ আক্রমন করে ধ্বংস করে দিয়েছিল আব্বাসীয় খেলাফত। নেতৃত্বের অভাবে প্রায় ধ্বংস হতে বসেছিলো পাঁচশত বছরের ইসলামি সভ্যতা। পতনের শেষ সীমায় আবার উঠে ইনকিলাবের ঝান্ডা। মামলুক সালতানাত। অপরাজেয় মঙ্গোলরা মিশরে এক পালটা হাওয়ার মুখোমুখি হয় যাদের নাম মামলুক। মামলুকরা জীবন বাজি রেখে রক্ষা করে সিরিয়া, মিশর, মক্কা, মদিনা। যাদের সাথে ঐতিহাসিক আইন জালুতের যুদ্ধে মঙ্গলরা মুখোমুখি হয়। তার পরেই ঘুরে যেতে থাকে ইতিহাসের মোড়। আনাতোলিয়ায় তুর্কি মুসলিমরা গড়ে তুলছিলো নতুন এক সভ্যতা। যাদেরই একজন ছিলেন আরতুগরুল বের ছেলে উসমান। কঠোর পরিশ্রম, ইমানি শক্তি আর প্রখর বুদ্ধিমত্তা দ্বারা গড়ে তুলেছেন এক সুশৃঙ্খল সস্রাজ্য। যার নাম 'The Great Ottoman Empire' বা উসমানী খিলাফাহ। বইটি আপনাদের মঙ্গোলদের উত্থান-পতন, উসমানি সম্রাজ্যের বিস্তৃতি, সুলতান ফাতিহ মুহাম্মাদের কনস্টান্টিনোপল বিজয় এছাড়া মুসলিমদের আরো অনেক বিজয়গাথা কাহিনীর সাথে পরিচয় করিয়ে দিবে। এই বইটি আপনাকে পরিচয় করিয়ে দিবে ইতিহাসের আরেক ভয়ংকর নরপিশাচ তৈমির আর ড্রাকুলার সাথে। জানতে হলে আপনাকে আর দেরী না করে এখনই বের হতে হবে আটশত বছর আগের পৃথিবী ভ্রমনে। পড়তে হবে 'সানজাক - ই উসমান : অটোমানদের দুনিয়া'।
Was this review helpful to you?
or
সানজাক-ই উসমান। ? লেখক : Muhammad Sajal নামের মধ্যেই বইটার আভিজাত্য প্রকাশ পায়। আমার পড়া সেরা বইগুলোর একটি। মাত্র দেড় দিনেই ৪৩০ পৃষ্টার বইটা পড়া শেষ করছি। হাতে পাওয়া মাত্র পড়া শুরু করে দিছিলাম। ইতিহাসের প্রতি আমার এক ধরণের টান আছে। ইতিহাসের বই ফেলেই পড়তে শুরু করে দিই। কিন্তু বইগুলোর এত এত সাল বছর দেখে বিরক্ত চলে আসতো। এ দিক থেকে সানজাক ই উসমান ভিন্ন। ইতিহাস এখানে উপন্যাস। ইতিহাস বিষয়ক বই, কিন্তু মনে হচ্ছিল উপন্যাস পড়ছিলাম। আনন্দ বেদনার নিপুণ এক উপন্যাস। যেখানে আছে জয় পরাজয়ের গল্প। এদিক দিয়ে বলবো, এটা উপন্যাস। এতোদিন চেঙ্গিস খানের শুধু নামটাই শুনেছিলাম। নাম ছাড়া কিছুই জানতাম নাহহ তার। আমার মনে হয়, চেঙ্গিস খান একটা প্রেরণা। শূণ্য থেকে যেভাবে তিনি অর্ধ পৃথিবীর শাসক হয়েছিলেন, সে গল্প যে কাউকে অভিভূত করবে, প্রেরণা যোগাবে। যুদ্ধবিদ্যার ইতিহাসের মাস্টারমাইন্ড ট্যাকটিশিয়ানদের সম্পর্কে জানতে পেরেছি। যার আবিষ্কৃত কামানের ডিজাইন এখনো ব্রিটিশ মিউজিয়ামে আছে, তার সম্পর্কে বিশদ জানতে পেরেছি। অটোমান সাম্রাজ্য নিয়ে জানার আগ্রহ অনেক দিনের। নির্ভরযোগ্য কোন বই বা সোর্স পাচ্ছিলাম নাহহ। সানজাক ই উসমান আমার সে আগ্রহটা মিটিয়ে দিলো। অটোমানদের উত্থান, গৃহযুদ্ধ, খ্রিষ্টানদের ক্রুসেড এই গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস জানতে পারলাম খুব সহজে। পুরো বইটি জুড়ে আছে হৃদয় সম্মোহিত করার এক জাদুকরি শক্তি। সুলতান মুহাম্মাদ আল ফাতিহর কনস্ট্যান্টিনোপল জয়ের হিস্ট্রি আর খ্রিষ্টবাদের রাজনৈতিক শক্তির প্রতীক চার্চ হাজিয়া সোফিয়ার ভেতরে আজানের ধ্বনি। অসাধারণ সে বর্ণনা। বই আমি খুব একটা পড়তাম নাহহ। শ্রদ্ধেয় আরিফ আজাদ ভাইয়ের সাজিদ পড়ার পর থেকেই বই পড়ার নেশা পেয়ে গেছে আমাকে। প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ বইটা আমাকে বইয়ের প্রতি নেশা ধরিয়ে দেয়, আর সানজাক ই উসমান তাতে যোগ করলো এক ভিন্নমাত্রা। লেখককে ধন্যবাদ দিতে চাইই। এমন একটা বই আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য। পরবর্তী বইয়ের জন্য অপেক্ষায় থাকবো। সানজাক ই উসমান আমার পড়া শ্রেষ্ট বইগুলোর একটি। ইতিহাস বিরক্তের নয়, ইতিহাস আনন্দের। বইটা পড়ে এটাই আমার অভিব্যক্তি।
Was this review helpful to you?
or
A very good book to read
Was this review helpful to you?
or
ইতিহাস কে এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা যায় তার উজ্জ্বল উদাহরন এই বইটি
Was this review helpful to you?
or
নতুন লেখকদের বই খুব ভয়ে ভয়ে পড়তে হয় আশাহত হওয়ার ভয়ে । কিন্তু সানজাক-ই উসমান আমাকে চমকে দিয়েছি । সাবলীল, নাটকীয় ভঙ্গীতে লেখক যে দুর্দান্তভাবে তুলে এনেছেন ইতিহাসের এক অধ্যায় কথা, যা আমাদের অনেকেরই অজানা, তা পাঠকমাত্রই বিমোহিত করবে । অসাধারণ এ প্রথম সৃষ্টি দিয়ে লেখক তার প্রতি প্রত্যাশার পারদ আকাশচুম্বী করে দিয়েছেন । তার কাছে থেকে এমন আরও লেখা পাওয়ার অপেক্ষায় থাকলাম । Highly Recommended.
Was this review helpful to you?
or
অনেক ভাল বই। একবার পড়া শুরু করলে শেষ না করে উঠতে চাইবেন না
Was this review helpful to you?
or
বই রিভিউঃ সানজাক-ই উসমান লেখকঃ প্রিন্স মুহাম্মাদ সজল প্রকাশকঃ গার্ডিয়ান পাবলিকেশন পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ৪৩০ মুদ্রিত মুল্যঃ ৫০০ (হার্ড কভার) ৪৫০ (পেপারব্যাক) রিভিউ লিখেছেন: শামসুর রহমান ওমর …………………. ১. উপন্যাস আর ইতিহাসের মধ্যে পার্থক্য কি? ইতিহাস পুরোনো দিনে ঘটে যাওয়া ঘটনার নিরেট বিবরন। উপন্যাসে থাকে কিছু কেন্দ্রীয় চরিত্র, বিভিন্ন ঘটনা যাদের ঘিরে আবর্তীত হতে থাকে। উপন্যাসে লেখকের অবাধ স্বাধীনতা থাকে। লেখক কল্পনার ঘোড়া ছুটিয়ে ভাব, আবেগ, রুপ কল্পের সাহায্যে তার চরিত্রগুলোকে ফুটিয়ে তুলেন। কিন্ত ঐতিহাসিকের হাত পা বাঁধা। ঘটনার বাইরে কল্পনার সুযোগ নেই। তেমন কিছুর দিকে হাত বাড়ালে ইতিহাসের মৃত্যু ঘটে, বিশ্বাসযোগ্যতার অভাবে। বিশ্বসাহিত্যে ইতিহাস নির্ভর কিংবা ঐতিহাসিক পটভুমিতে নির্মিত উপন্যাস অনেক হয়েছে। লিও তলস্তয়ের “ওয়ার এন্ড পিস”, আলেকজান্ডার দ্যুমার “থ্রি মাস্কেটিয়ার্স”, স্যার ওয়াল্টার স্কটের “তালিসম্যান”, হেনরি রাইড্যার হ্যাগার্ডের “ব্রেদেরেন”, এরিক মারিয়া রেমার্কের “অল কোয়ায়েট অন দ্যা ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট”, নসীম হিজাযীর “কায়সার ও কিসরা” “হিজাজের কাফেলা” তেমন কিছু উল্লেখযোগ্য নাম। বাংলা ভাষায় এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য সুনীলের ত্রয়ী উপন্যাস ‘পুর্ব পশ্চিম’, ‘প্রথম আলো’ এবং ‘সেই সময়’। এসব উপন্যাসে কাহিনীকাকারেরা ইতিহাসের পটভুমি ঠিক রেখে চরিত্র নির্মান করেছেন। কল্পনার রঙয়ে জীবন্ত করে তুলেছেন একেকটি চরিত্র। পড়তে পড়তে পাঠক অনায়াসে একদিকে সাহিত্যের স্বাদ পান, অন্যদিকে ইতিহাসের সে সময়ের প্রেক্ষাপট উপলব্ধি করতে পারেন। মুশকিল হল পাঠক কখনও কখনও দ্বিধায় পড়ে যান, কোনটি ঐতিহাসিক সত্য আর কোনটি লেখকের কল্পনা। নিরেট ইতিহাস এদিক দিয়ে কিছুটা এক ঘেয়ে, ম্যাড়মেড়ে। আমজনতা তাতে রস খুজে পান না। সানজাক-ই উসমান এই দিক দিয়ে এক অদ্ভুত সুন্দরের প্রতিচ্ছবি। উপন্যাস নয়, ইতিহাস। কিন্ত গোটা ইতিহাস এগিয়েছে উপন্যাসের গল্প বলার ঢঙয়ে। যে বলার ভংগী এতটাই টানটান, এতটাই চমৎকার, একবার হাতে তুলে নিলে পাঠক নিজেকে হারিয়ে ফেলবেন। ভুলে যাবেন নিজের আত্মসত্মা। স্থান কাল ভুলে ডুবে যাবেন ইতিহাসের এক ঘটবাহুল অতীতে। বই শেষ করার আগে যেখান থেকে বেরিয়ে আসার কোন সুযোগ নেই। . ২. বিশেষত্বঃ সানজাক–ই উসমান মুলত উসামানী সম্রাজ্যের ইতিহাস নিয়ে রচিত। পশ্চিমারা আমাদের শিখায় ইতিহাস কেবল পশ্চিমাদের নিয়েই হয়। জগতের সব সজ্জন সুসভ্য মানুষেরা পশ্চিমে ছিল, আছে, থাকবে। সভ্যতার উত্থান পতন সব সেখানেই। সানজাক-ই উসমান আপনাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিবে এই তত্ব কতখানি ভুল, কতখানি ভ্রান্তিতে ভরা। এশিয়া ও ইউরোপের বিস্তীর্ন অঞ্চলে উসমানীয়রা এক বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিল। রন কৌশল, কুটনীতি, রাষ্ট্র কাঠামো, বীরত্ব সব কিছুতে তারা ছড়িয়ে গিয়েছিল বিশের অন্য সব পরাশক্তিকে। আরতুরুল বে, উসমানের হাত ধরে যেই সম্রাজ্যের সুচনা হয় মুরাদ, বায়েজিদ, মুহাম্মাদ আল ফাতিহের নৈপুন্যে সেই সাম্রাজ্য পায় শক্তিশালী ভীত। বইয়ের পাতায় পাতায় মিলবে ঐতিহাসিক নানা চরিত্রের খোঁজ। মোঙ্গল হালাকু খান, চেঙ্গিস খানের নারকীয় বর্বরতা আপনার আত্মাকে কাঁপিয়ে তুলবে। তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো শাহজাদা জালাল উদ্দিনের প্রতিরোধ আপনার রক্তে নাচন ধরাবে। আপনি মুখোমুখি হবেন ইতিহাস কুখ্যাত রক্তপিপাসু চরিত্র ‘ড্রাকুলা’র। দেখা মিলবে জালাল উদ্দিন রুমী, ইবনে বতুতা, কবি হাফিজ কিংবা প্রেমের রানী গুলবাহারের। ক্রুসেড, স্পেনের উত্থান-পতন ইত্যাদি ইতিহাস বিখ্যাত ঘটনাগুলো আপনার চোখের সামনে ভাসবে। চেনা জানা হেরেমের বাইরে অন্য এক “হেরেমের’ সাথে পরিচয় ঘটবে আপনার। অবাক হয়ে জানবেন, আজকের সাধারন লবঙ্গ, এলাচ, গোলমরিচ এক সময়ের বিশ্ব রাজনীতিতে কী বিস্ময়কর ভুমিকা রেখেছিল। যুদ্ধ-সংঘাত-বিশ্বাসঘাতকতা, কুটচাল, খুন-ধর্ষন-লুট, ভাইয়ের সাথে ভাইয়ের নিষ্ঠুর বেঈমানী…ইতিহাসের এই পাঠ আমাদের চেনাজানা পৃথিবী থেকে একদমই আলাদা। . ৩. বইয়ের শক্তিশালী দিকঃ ক. বইয়ের ভাষা আর গল্পের বুনন সত্যি অসাধারন। যে কোন টানটান ড্রামা সিরিয়ালের চাইতে কোন অংশে কম নয়। খ. বাঁধাই, প্রচ্ছদ, কাগজের মান অত্যন্ত উন্নত। গ. যুদ্ধের বর্ননাগুলো অনেক বেশি প্রানবন্ত। পড়তে গিয়ে পাঠকের মনে হবে, তিনি নিজেই যুদ্ধক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে যুদ্ধ করছেন। ঘ. কাহিনীর ক্যানভাস অনেক বড়। তৎকালিন পৃথিবীর এক বিশাল দিক আবিষ্কার করবেন পাঠক। ঙ. আমাদের ইতিহাসের বইগুলো হয় গুরুগম্ভীর, ভারিক্কি। একেকটা প্যারা অনেক বড়। কিন্ত এই বই লেখা হয়েছে ছোট বাক্য, ছোট ছোট প্যারায়। পড়তে গিয়ে পাঠক একটুও ক্লান্তি অনুভব করবেন না। বই ছেড়ে উঠতেও পারবেন না। চ. গল্প বলার ঢঙয়ে ইতিহাস থাকায় খুব সহজেই কেন্দ্রীয় চরিত্রগুলো মাথায় গেঁথে যাবে। – বইয়ের দুর্বল দিকঃ ক. যুদ্ধের বর্ননায় অনেক ইংরেজি শব্দের ব্যবহার। যেমন ‘ক্যাভলরি চার্জ’, ‘অল আউট এসল্ট’, ‘ফেইন্ড রিট্রিট’ ইত্যাদি। যুদ্ধ সম্পর্কে অনভিজ্ঞ বাংলাভাষি পাঠকদের জন্য এর সঠিক অর্থ বের করা ক্ষেত্র বিশেষে দুরহ। খ. আরো কিছু শব্দ ইংরেজিতে ব্যবহার হয়েছে, যেগুলো অনায়াসেই বাংলা করা যেত। যেমন ডিসাইসিভ (যুগান্তকারী), ডেমোগ্রাফি (জনসংখ্যা), প্রাগম্যাটিজম (বাস্তব বোধ/বাস্তব অবস্থা সম্পর্কে জ্ঞান কিংবা ধারনা। গ. অনেক উদ্ধৃতি আছে ইংরেজিতে। সেগুলো অনুবাদ না থাকায় পাঠক কিছু ক্ষেত্রে রসবোধ থেকে বঞ্চিত হবেন। বিশেষ করে হাফিজ ও রুমির পঙতিগুলো। ঘ. বইয়ের কলেবড় বেশ বড়। হাতে ধরে পড়াটা কিছুটা অসুবিধা জনক। পাশাপাশি কাহিনীর ব্যপ্তির বিশালতার কারনে অনেক চরিত্র মনে রাখা কঠিন। ঙ. রাজনীতি কিংবা যুদ্ধ বিগ্রহের বর্ননার পাশাপাশি উসমানী সম্রাজ্যের আর্থ সামাজিক অবস্থা ও সংস্কারের বর্ননা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। মনে হতে পারে, রাজা রাজড়ারা যুদ্ধ বিগ্রহ আর খুন খারাবী নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। সভ্যতা বিনির্মানে তাদের তেমন কোন উল্লখেযোগ্য ভুমিকা কিংবা অবদান ছিল না। চ. গ্লোবালাইজেশন অধ্যায়ে আমেরিকা ও ইউরোপে রোগের প্রাদুর্ভাবের আলোচনায় হুট করে “রুদ্র মুহাম্মাদ শহীদুল্লাহর” নাম বেমানান লেগেছে। বিশেষ করে প্রসঙ্গ বিবেচনায় তার নামটা এমন কিছু জরুরী ছিল না। . ৪. Spoiler দুর্বল চিত্ত ও নরম মনের মানুষেরা বারেবারে শিউরে উঠতে পারেন। গনহারে মানুষ হত্যা, নারকীয় হত্যাযজ্ঞ, ধংসযজ্ঞ, লুটপাট, গনধর্ষনের বর্ননা আছে প্রায় প্রতি অধ্যায়ে। একটা অংশ আমার নিজের কাছে খুব অসহনীয় মনে হয়েছে। কিন্তু পাঠক হিসেবে যেমনই লাগুক, এটাই বাস্তবতা। এটাই ইতিহাস। সুলতান বায়েজিদ তাইমুর লংকে হুমকি দিয়ে চিঠি লিখেছিলেন “তোমাকে যদি যুদ্ধে হারাই, তাহলে তোমার স্ত্রীদের নগ্ন করে আমি নাচের আসর বসাব। তাদের হাতে আমি শরাব পান করব” যুদ্ধে বায়েজিদ পরাজিত হন। তাইমুর বায়েজীদের সাথে নিষ্ঠুর রসিকতা করেন। তাইমুর এক ভোজ সভার আয়োজন করেন। সেখানে বন্দী বায়েজীদকে ফিরিয়ে দেয়া হয় তার রাজকীয় পাগড়ি, পোশাক ও সিংহাসন। বায়েজিদ দারুন অবাক হন। শুরু হয় নাচ গান। এক সময় বায়েজিদ অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করলেন, তার প্রিয় তিন স্ত্রীকে এনে হাজির করা হয়েছে ভোজ সভায়। তিনজনই নগ্ন। এ অবস্থাতেই তারা তাইমুরকে খাবার পরিবেশন করছিলেন। বায়েজিদ আর এ দৃশ্য সহ্য করতে পারলেন না। তারপর কি হল? জানতে হলে চোখ রাখুন বইয়ের পাতায়। ৫. সানজাক-ই উসমান বাংলা সাহিত্যে এক কালজয়ী সৃষ্টি হিসেবে স্থান করে নিবে বলেই আমার বিশ্বাস। উপন্যাসের ঢঙয়ে এমন স্বার্থক ইতিহাস রচনা আর কেউ করেছেন কিনা জানা নেই। সে হিসেবে প্রিন্স সজল এক নতুন ধারার সুচনা করলেন। আমি অবাক হয়েছি শুনে, গোটা বইটা তিনি মোবাইলে লিখেছেন। বই পড়ে বুঝতে পারলাম, কী পরিমান পড়াশুনা ও অধ্যবস্যা তাকে করতে এই হয়েছে এই একটি বই লিখতে গিয়ে। দোয়া করি, তার এই সাধনা যেন চলমান থাকে। আমরা যেন ইতিহাস নির্ভর আরো এমন লেখার স্বাদ পাই। বইটি পড়তে গিয়ে আমার একটি গান বারবার মনে পড়ছিল “পৃথিবীতে কেউ স্থায়ী হয়না/হোক না সে ফেরাউন কিবা নমরুদ/কেউ ভবে চিরদিন রয় না” ইতিহাসের সে সব রথী মহারথীরা আজ আর নেই। এভাবেই একদিন সবাই চলে যাবে। কিন্ত ক্ষমতার মদমত্ততায় সবাই এ কথা ভুলে যায়। ধরাকে সরা জ্ঞান করে। ক্ষমতার লোভে মানবতার চরম অপমান করতে এতটুকু দ্বিধা করে না। ভুলে যায়, মৃত্যুর পরের জগতে তাদের সব অপকর্মের হিসাব দিতে হবে। লক্ষ মানুষের আর্তনাদ, চোখের পানি একদিন অভিশাপ হয়ে তাদের জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিবে মহামহিম প্রভুর আদালতে। এ যুগের রাষ্ট্রনায়কেরাও তার ব্যতিক্রম নয়।