User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
অসাধারন বই একটি।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ বই। সবাই পড়ে ভালো লাগবে।
Was this review helpful to you?
or
মহাযাত্রা নামটা শুনে কেমন লাগছে জানি না তবে আমার পড়া বইগুলোর মধ্যে সব থেকে ভালো লেগেছে এই বইটি পড়ে। অসাধারণ একটা চরিত্রের সাথে আমার পরিচয় হয়েছে এই গল্পে। একটা মানুষ, যে তার পরিবারের সঙ্গে ঘটে যাওয়া অন্যায়ের বিচার চায় কিন্তু পায়না আর তখন থেকে সে সবার সাথে ঘটা আন্যায়ের বিচারের সিদ্ধান্ত নেয়। আর সে অনুযায়ী সে কাজ ও করে। এইভাবেই শুরু হয় তার খুনের খেলা। বইটি এই পর্যন্ত যতবার পড়েছি ততোবারই ভালো লেগেছে। অসাধারণ একটা বই।।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_পাঠক_সমাগম_বুক_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_৩ . মাস: আগষ্ট সপ্তাহ: দ্বিতীয় পর্ব: ৩ বইয়ের নাম: মহাযাত্রা লেখক: নাজিম উদ দৌলা প্রকাশনী: রোদেলা পৃষ্ঠা: ২০৭ মূল্য: মুদ্রিত মূল্য ২৫০ . "কোন সে ভুলে কোন মাশুলে এমন খেলা বর্তায়? মুক্তি লাভে নেমেছ তুমি, মুক্তি তো নেই মহাযাত্রায়" বইটি পড়ে লিখা আমার এই দুটি লাইন যদি উপন্যাসের নায়ক আদিব "মহাযাত্রা" খেলায় নামার আগে বুঝতে পারতো, তবে এমন ভয়ঙ্কর খেলায় সে নামতো কি না, আমার জানতে খুব ইচ্ছা করে। কোন থ্রিলার উপন্যাস থ্রিলিং সৃষ্টি করার পাশাপাশি এত বেশী মন খারাপ করে দিতে পারে সেটা মহাযাত্রা না পড়লে বুঝতে পারতাম না। থ্রিলার উপন্যাসের রিভিউ লিখতে বসলে সবচেয়ে বেশী প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হতে হয় বলে মনে হয় আমার। কারণ, থ্রিলার বইগুলো টুইস্টে ভর্তি থাকে। টুইস্ট প্রকাশ করে দিলে পাঠক বই পড়ার মজা হারিয়ে ফেলবে। আর টুইস্ট এঁড়িয়ে গেলে নিজের কাছে রিভিউ লেখার ব্যাপারে কেমন একটা অতৃপ্ততা থেকে যাবে। অনেক বিখ্যাত বিখ্যাত লেখকের অনেক থ্রিলার উপন্যাস রয়েছে। কেউ যদি হুটহাট করেই প্রশ্ন করে বসেন যে, ওসব রেখে "মহাযাত্রা" কেন পড়ব? এই প্রশ্নের উত্তর একটাই হতে পারে, সেটা হচ্ছে বইটা পড়ুন। আপনার মুখ বন্ধ হয়ে যাবে। এবং বইটা পড়ার পর কেউ যদি আপনাকে এমন প্রশ্ন করে, তাহলে আপনার রাগ হবে। আমি হলফ করে বলতে পারি যে, বইটি পড়লে আপনার জীবনে পড়া বিখ্যাত সব থ্রিলারগুলোর পাশে বইটিকে বসাতে আপনি বাধ্য হবেন। লেখক পরিচিতি: মহাযাত্রা বইয়ের লেখক নাজিম উদ দৌলা ১৯৯০ সালের ৪ ই নভেম্বর জন্মগ্রহন করেন। উনার বাবার বাড়ি যশোর জেলাতে, কিন্তু উনি বেড়ে উঠেছেন ঢাকাতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগ থেকে বিবিএ এমবিএ সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে গিকি সোশ্যাল ডিজিটাল এজেন্সিতে কর্মরত আছেন লেখক। "মহাযাত্রা" উনার পঞ্চম বই। লেখকের বাকী চারটি বই হচ্ছে যথাক্রমে, ইনকারেকশন, ব্লাডস্টোন, স্কারলেট ও ব্রিজরক্ষক। মহাযাত্রা উনার সর্বশেষ প্রকাশিত বই। . নামকরণ,ফ্রন্ট,বাঁধাই: পুরো বইটা একটা খেলাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত। "মহাযাত্রা" নামক একটা খেলা খেলতে গিয়ে বইয়ের মূল চরিত্র আদিব মুখোমুখি হয়েছে নানান ধরণের পরিস্থিতির। সাতটি খুনের এক ভয়ংকর যাত্রাকেই মহাযাত্রা বলে বুঝানো হয়েছে। তাই নামকরণ স্বার্থক হয়েছে বলা যায়। আর রোদেলা প্রকাশনী একটি বিখ্যাত প্রকাশনা সংস্থা। রোদেলার বইয়ের বাঁধাই নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। বইয়ের শব্দগুলোর ফ্রন্টসাইজও ভালো ছিল। পড়ে আরাম পেয়েছি। . কাহিনী সংক্ষেপ: চারদিকে যখন খুন, ধর্ষনসহ সর্বোপরি অরাজকতার ছড়াছড়ি ঠিক তখনই নিয়াজ আহমেদ নামের এক ব্যাক্তির বোন ও স্ত্রীকে ধর্ষন করে খুন করে তৌহিদ ও আসলাম নামে দুজন। নিয়াজ আহমেদ সেই খুনের সুষ্ঠ বিচার পায় না। সেখান থেকেই তার মাথায় প্রতিশোধের নেশা চাপে। সে উদ্ভাবন করে "মহাযাত্রা" নামক এক ভয়ঙ্কর খেলার। যে খেলার পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সবাই নিয়াজ আহমেদের মতই আপনজনদের সাথে হওয়া অন্যায়ের বিচার না পেয়ে প্রতিশোধের নেশায় নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে দিয়েছে "মহাযাত্রা" নামক এক দুর্ধর্ষ খেলার তরে। খেলার উদ্ভাবক হিসেবে মহাযাত্রার প্রথম পরিচালক নিজের জীবন উৎসর্গ করে খেলার ভয়াবহতা বাড়িয়ে দিয়ে যায়, আর নিয়মানুযায়ী তার খুনী মহাযাত্রার দ্বিতীয় মৌসুমের পরিচালক নির্বাচিত হয়। ভয়ঙ্কর সব নিয়ম কানুনের গন্ডিতে আবদ্ধ "মহাযাত্রা" খেলাটি। কাউকে এই খেলার আওতায় নিয়ে এলে, হয় তাকে পুরো খেলা শেষ করতে হবে না হয় নিজে নিজে আত্নহত্যা করতে হবে। তাই এই খেলার আওতায় চলে আসা কোন ব্যক্তি না চাইলেও খেলার শেষ পর্যন্ত খেলতে বাধ্য হয়। নিজের করা কিছুটা ইচ্ছাকৃত আর কিছুটা অনিচ্ছাকৃত একটি ভুলের জন্য নিজের অজান্তেই মহাযাত্রা খেলার দাবার ঘুটিতে পরিণত হয় আদিব ওরফে মাহতাব নামের এক ব্যাংকার। তার স্ত্রী কন্যাকে জিম্মি করে রেখে তাকে "মহাযাত্রা" খেলাটা খেলতে বাধ্য করা হয়। বাধ্য করা হয় খেলার আদলে সাতটি খুন করতে। তাকে ঢাকার একটি বস্তিতে থাকার আদেশ দেওয়া হয়। সেই বস্তিতে থাকাকালীনই উপন্যাসের হার্ট টাচিং সব ঘটনাগুলো ঘটে। বস্তির একেকটা মানুষের একেকটা পরিবারের গল্প যেন একটা আলাদা আলাদা জীবনমুখী উপন্যাসের সারমর্ম। সাতটি খুন করতে গিয়েও যে সাতজন মানুষের ক্রাইম এবং খুনের সময়কার ঘটনাগুলোও যেন আলাদা অলাদা একটি গল্প। যে গল্পগুলো যে কোন পাঠককে চুম্বকের মত আকর্ষিত করে রাখবে। পারভীন, আদিব যে বস্তিতে থাকে সেই বস্তির মালিক। উপন্যাসের একটি গুরুত্বপূর্ন চরিত্র। একটা সময় "মহাযাত্রা" খেলা খেলতে খেলতে জীবনের উপর অতিষ্ঠ হয়ে যাওয়া আদিব পারভীনের কাছে একটু সুখের অস্তিত্ব খুঁজে নিতে চায়। মনে মনে নিজের স্ত্রী কন্যার কথা ভেবে অনুশোচনায় ভোগে সে। তবুও তার এমন বেঁধে দেওয়া জীবনকে আর না নিতে পেরে সে পারভীনকে নিয়ে পালিয়ে যায় ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ শহরে। পালিয়েও রেহাই পায়নি আদিব। তখন আদিবের ছয়টি খুন পূর্ন হয়েছে। সপ্তম খুনটির আদেশ আদিবের জন্য কতটা ভয়ঙ্কর আদেশ ছিল সেটা তো মহাযাত্রা পড়লেই বুঝতে পারবেন। ব্যক্তিগত মতামত: পুরো বইটা আমি এতটা আগ্রহের সাথে পড়েছি যে, সময় কোথা দিয়ে গেলো টেরও পাই নি। বইয়ের ফ্ল্যাপের লিখাটি অকেজো মনে হয়েছে আমার। না ঐ অংশটুকু পড়ে কেউ পুরো বইটি পড়ার আগ্রহ অনুভব করবে, না ঐ অংশে বইয়ের কোন গুরুত্বপূর্ন অংশ তুলে ধরা হয়েছে। একটা থ্রিলার বইয়ের ফ্ল্যাপের লিখা এমন হতে হবে যে, কোন ক্রেতা/পাঠক সেই অংশটা পড়েই বইটি পড়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠবে। ময়মনসিংহ সম্পর্কে লেখক দুটো ভুল তথ্য দিয়েছে। ফ্ল্যাপ, আর ময়মনসিংহ সম্পর্কে ভুল তথ্য ছাড়া পুরো উপন্যাসে সমালোচনা করার মত আর কিছুই খুঁজে পাই নি আমি। লেখক উনার গল্পগুলোতে যেমন মুখ হা করা টুইস্ট দিয়ে পাঠককে চিৎপটাং করে রাখেন, উপন্যাসেও তার ব্যতিক্রম করেন নি। ব্যক্তিগত রেটিং ৪.৮/৫ . পাঠ প্রতিক্রিয়া: আমার জীবনে আমি খুব বেশী বই পড়িনি, যেগুলো পড়েছি সেগুলোও অনেক সময় নিয়ে আস্তে আস্তে অল্প অল্প করে অনেকদিনে পড়েছি। কিন্তু এই বইটা আমাকে তাকে দ্রুত পড়তে বাধ্য করেছে। ২০৭ পৃষ্ঠার বইটিকে আমার কাছে লেখকের হাজার তিনেক শব্দের একটা গল্প মনে হচ্ছিলো। এ পর্যন্ত পড়া আমার থ্রিলার বইগুলোর সিরিয়ালে বর্তমানে এটাকে আমি প্রথম সাড়িতে রেখেছি। যে মানুষগুলোর দ্বারা যে অন্যায় সম্ভব নয়, তারা যখন সেরকম অন্যায় করেছে তখন আমি পুরোই হা হয়ে গিয়েছিলাম। যখন এমন একজন অপরাধী সাজা পায়, যে তার জীবনে প্রচুর নির্যাতনের স্বীকার হতে হতে অপরাধী হয়েছে, তখন তার জন্য আমি মনের কোনে ব্যথা অনুভব করি। আমি পিলে চমকে যাই উপন্যাসের ২০৭ অর্থাৎ শেষ পাতাটি পড়ে। ঐ পাতাটি পড়ে আমার মনটা আদিবের জন্য কেমন করে উঠে। তখন আমার জীবন্ত আদিবকেও মৃত মনে হচ্ছিলো। যারা পড়েন নি এখনো, বইটি পড়ে ফেলুন, টাকা সময় কোনটাই অকেজো গেলো বলে মনে হবে না। বইয়ের থ্রিলিং একটি অংশ: আপনার তো শুরু থেকেই বোঝা উচিত ছিল এই খেলা থেকে মুক্তির একমাত্র পথ হচ্ছে মৃত্যু! এখানে মরে যাওয়া মানেই জাগতিক সমস্ত চিন্তাভাবনা থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়া। . রকমারি লিংক: https://www.rokomari.com/book/162824/mohajatra . রিভিউ লিখেছেনঃ তানজিনা তানিয়া
Was this review helpful to you?
or
?
Was this review helpful to you?
or
Quite Different story from other books in market place but I personally think it was not a great story for feel the thrill!!
Was this review helpful to you?
or
আমাদের দেশের কোন লেখকের মৌলিক থ্রিলার বের হলেই আগ্রহ নিয়ে পড়ার চেষ্টা করি। লেখক নাজিম উদ দৌলার প্রথম যে বই আমি পড়ি তা হলো "ব্লাডস্টোন"। সে বই পড়ে উপলব্ধি হয়েছিল যে কিভাবে একটি সম্ভাবনার মৃত্যু হতে পারে। সেই বইয়ে শুরু ও মাঝের অংশ ভালো থাকলেও লেখক কাহিণীর শেষে এসে লেজে গোবরে করে ফেলেছিলেন। মহাযাত্রা নামটা দেখে আশায় বুক বেঁধে আবার পড়া শুরু করি লেখক নাজিম উদ দৌলা এই উপন্যাস। বইটার ভিতরে যতই যাচ্ছিলাম ততই মনে হচ্ছিল "নাহ, এবারও মনে হয় লেখকের কাছ থেকে হতাশ হতে হবে"। কারণ বইটা পড়ার সময় কেন যেন কিছু ইংরেজি, কোরিয়ান ভাষার সিনেমার কথা মনে পড়ছিল। বইটা শেষ করলাম এক সময়। শেষে যে টুইস্টটা লেখক রেখেছেন তার কল্যাণে লেখকের এই উপন্যাস প্রাণ পেয়েছে, ভুলিয়ে দিয়েছে অন্য ভাষার চলচিত্রের কথা। লেখকের প্রতি অনুরোধ থাকবে ভবিষ্যতে যেন আমাদের তিনি আর একটু শক্ত গাঁথুনির উপন্যাস উপহার দেন।