User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
one of my best book I've read ?❤️?✨️
Was this review helpful to you?
or
Good to read
Was this review helpful to you?
or
ইস্টিশন বই টি মুহাম্মদ জাফর ইকবালের অন্যতম একটি ভালো বই। যারা নতুন নতুন বই পড়া শুরু করতে চাচ্ছেন।তাদের জন্য অনেক উপকারি হবে।বই টির গল্প আমার অনেক ভালো লেগেছে।আশা করি আপনারাও পছন্দ করবেন।ধন্যবাদ। আপি তপু এর পরে এই বইটিও আমার প্রিয় বই।
Was this review helpful to you?
or
জাফর ইকবালের বেশ ভালো ভালো কিছু বই পড়েছি। না বললেই নয় এটা তার মধ্যে একটা। বইয়ে শেষে উনি "শেষ কথা" বলে একটা অংশ রেখেছেন যেখানে উনি বলেছেন এই বইটা লেখার অনুপ্রেরণা কোত্থেকে এলো। তাই অবশ্যই উনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাতে হয় উনার মাথায় এত সুন্দর একটা কনসেপ্ট এসেছিলো এবং উনি সেটাকে বই লিখে আমাদের পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। ইস্টিশন এই নামটা শুনলেই প্রথমে মনে আসবে ট্রেন ইস্টিশনের কথা। হ্যাঁ, ঠিক তাই। কিন্ত ট্রেন ইস্টিশনে যে বাচ্চারা ভিক্ষে করে বেড়াই, আদর যত্ন না পেয়ে কিংবা একবেলাও না খেয়ে বাঁচে কেমন হয় তাদের জীবন!! বইটাই বলে দেবে এসব। আপনারাও পড়ে দেখতে পারেন একটি ভালো বই।
Was this review helpful to you?
or
satisfied
Was this review helpful to you?
or
While I was reading this book, my unconscious mind was in a railway station where I found the streetwalker. The book is figuring out how risky and adventurous, the life of the children who live in the slum
Was this review helpful to you?
or
onk valo chilo❤️
Was this review helpful to you?
or
I loved all of them.
Was this review helpful to you?
or
খুব আবেগময় বাস্তবসন্মত সুন্দর একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
plot was nice but ending was dull
Was this review helpful to you?
or
ইস্টিশনে বসবাসরত পথশিশুদের দৈনন্দিন জীবনের ওপর ভিত্তি করে লেখা একটি উপন্যাস হচ্ছে " ইস্টিশন"। যার মূল চরিত্র জালাল নামে একটি শিশু। কিভাবে তারা প্রতিনিয়ত নিজের জীবন বাঁচতে যুদ্ধ করছে, কিভাবে তারা জড়িয়ে যায় অন্যায় জগতে, কিভাবে তারা বেচে ফেরে অন্ধকার এক ভবিষ্যত থেকে তা জানতে চাইলে পড়তে হবে এটি
Was this review helpful to you?
or
জাফর ইকবাল স্যারের কল্প আমাদের যতটা রোমাঞ্চিত করে তার প্রত্যক্ষ বর্ণনার এই বইটিও ততটাই আমাদের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা দেবে।স্টেশনের কিছু পথশিশুদের জীবন এতটাই অসাধারণ নৈপুণ্য তুলে ধরা হয়েছে যে বইটি শেষে আপনি প্রত্যেক চরিত্রকে প্রচুর মিস করবেন। তাদের মূল্যবোধ থেকেও আমাদের যে শেখার জায়গা আছে স্যার তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছেন। একটি উপহার কিংবা কিশোর বয়সী হলে অনায়াসে বইটি কেনা যায়।
Was this review helpful to you?
or
'Station' is about a crew of homeless kids who live by the station and struggle towards an uncertain, doubtful future. They don't live, they merely survive. Muhammad Zafar Iqbal showed us a glance of their lives through this book. It is such a heart-touching book and makes you realize how hard life is for some people. Thank god, Zafar Iqbal thought about them and wrote this brilliant book.
Was this review helpful to you?
or
Very good book.The story is very interesting.It is about some children who live in a rail station.The lifestyle is also described here.There is some adventure and thrill in this book.A boy who saved many children describe in this boom is very interesting.
Was this review helpful to you?
or
মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার এর পুরো ভিন্নধর্মী একটি উপন্যাস হলো এই বইটি । এই বইটিতে রয়েছে স্টেশনে বসবাসরত কয়েকজন শিশুর জীবনযাপনের বাস্তব দৃশ্য । তারাওতো আমাদের সমাজেরই অংশ, তবে কেনো তাদের করা হচ্ছে সমাজ থেকে বঞ্চিত । আমাদের সকলেরই হওয়া উচিৎ এই গল্পের এক অন্যতম চরিত্র্য ইভার মত, যে কিনা ধনী গরীব সব ভেদাভেদ ভুলে এগিয়ে আসে ছোট শিশুদের পাশে।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_নভেম্বর_২০১৮ উপন্যাসঃইস্টিশন লেখকঃমুহম্মদ জাফর ইকবাল প্রকাশনীঃ তাম্রলিপি ধরনঃ শিশু কিশোর উপন্যাস মুল্যঃ ২০০ টাকা মুল চরিত্রঃজালাল পৃথীবিতে যত মানুষের বসবাস আছে,,তাদের নিজস্ব কিছু নিয়ম থাকে নিজ নিজ জীবন যাপন করার,, একেকজন অনুসরন করে একেকরকমের নিয়ম,,কারোটা স্বাভাবিক,,কারোটা বড়োই অদ্ভুত।। সেই দলের মানুষের মধ্যে একটা হলো ইস্টিশনের মানুষ, কিন্তু ইস্টিশনে তো থাকে ২ শ্রেনীর লোকজন, এক শ্রেনী, যারা জীবন চালায় দোকানদারি করে আর আরেক, শ্রেনী যারা চলে ভিক্ষাবৃত্তি করে।। তাহলে গল্পটি আসলে কাদের নিয়ে লেখা?? একটা নাম না জানা শহর,একটা স্টেশন,অনেকগুলো ট্রেনের আনাগোনা,,তৈরি করে নতুন নতুন গল্প।। ট্রেনের মধ্যে ঘটতে থাকে বিভিন্ন আয় রোজগারের গল্প,, কিন্তু রোজগার টা বৈধ তো??? আছে কিছু অপরাধীর গল্প,,অপরাধবোধ থেকে ভালো কিছু করার গল্প,,, কিন্তু অপরাধ জগতে যদি একবার কেউ চলে যায় ফিরে আসতে পারে কি??? বেচে থাকার লড়াই গুলো মাঝে মাঝে কতো নিষ্ঠুর হতে পারে,,সৃষ্টি করে কতো প্রার্থনার!!!! কিন্তু এরকম পরিস্থিতিরর সাথেও মানিয়ে চলার জন্য মাঝে মাঝে জন্ম হয় কিছু জালালের,, এভাবে ঠেকে শিখতে শিখতে কিভাবে যেন পরিচয় মেলে তাদের উজ্জল বুদ্ধিমত্তার। আর এরকম জালাল ই হয়ে থাকে কিছু পথশিশুর ভরসা। :) আচ্ছা আমাদের সবারই তো কতো শত আবদার। পুরন করে যাচ্ছে কখনো বাবা মা, কখনো আত্মীযস্বজন,, কখন প্রিয়জন।কিন্তু এই বাবা মা হারা বাচ্চাগুলোর আবদার কে মেটায়?? এদের জীবনে একটু হাসি ফোটানোর জন্য কখনও কি কারও আগমন ঘটে?? আর ঘটলেও কি সেটা স্হায়ী থাকে?? বইয়ের একটি উক্তি ছিলো "গরীব মানুষের পেটের ভাত মারার জন্যে কত রকম কায়দা কানুন তা দেখে জালাল মাঝে মাঝে তাজ্জব হয়ে যায়" নিজেদের কাজ সহজ করার জন্য কতোরকম কাজ ই আমরা সহজ ভাবে করি কিন্তু সেগুলোর জন্য যে কারোও উপার্জনের ও ব্যাঘাত ঘটে এটার কথা নিশ্চয় কেউ মাথায়ও আনেনা। পাঠ্যপ্রতিক্রিয়াঃ বইটি পড়ার সময় একমুহুর্তের জন্য মনে হয়েছিলো এই বাচ্চাদের সাথে আমি কিছুক্ষনের জন্য মিশে গেছি,, কষ্ট হচ্ছিলো যখন তাদের জর্জতিত জীবনের বর্ননা পড়ছিলাম। এ যেন সমাজের বাস্তবচিত্রের ফুটে ওঠা রুপ, হরহামেশা হচ্ছে আশেপাশে।। পুরো বইটি অন্যরকম লেগেছে,, কারন এদেরকে নিয়ে এতো সুন্দর বর্ননা সবসময় সবার লেখার সময় হয়না,, তারপরও যিনি লিখেছেন কৃতজ্ঞতা।। বইটি পড়ে অনেক মন খারাপ ছিলো,, হতাশ ছিলাম।।আর এই হতাশা লেখকের জন্য নয়, নিজেদের বিলাসিতায় ভরপুর জীবনের জন্য। পড়ে ফেলুন "ইস্টিশন"।। বিলাসিতার জীবন থেকে বেরিয়ে এসে তাদেরকে উপলব্ধি করার সুযোগটা মিস করবেন না। :)
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নাম:ইস্টিশন লেখকের নাম:মুহম্মদ জাফর ইকবাল প্রকাশনী:তাম্রলিপি মূল্য:১৭৬টাকা ইস্টিশন উপন্যাসটি জালাল,ইভা এবং ইস্টেশনে থাকা কিছু ছেলেমেয়ে নিয়েই তৈরী। উপন্যাসে মায়া,জালাল,জেবা,শাজাহানের মতো শিশুদের কথা বলা হয়েছে।যাদের ঘর রেললাইনের পাশে।যাদের ঠিকানা ইশটিসন।যাদের জীবন জটিলতায় ভরা থাকলেও যারা নিজের মাঝে খুঁজে পায় কোমলতা ও বেঁচে থাকার অদ্ভুত শক্তি। এই উপন্যাস এ অন্যতম চরিত্র ইভা যে ইস্টিশনের সকল ছেলেমেয়েদের আপন করে মায়াজালের বন্ধনে আবদ্ধ করে রাখে। ইস্টিশন বইটি আমাদের সমাজের বাস্তবতার সাথেই মিলে যায়। যা বরই করুন।কিছু পথচারী শিশু যারা সেই রেললাইন এই থাকে ঘুমায় তাহদের সবকিছুই সেই রেললাইন কে কেন্দ্র করে। ইস্টিশন বইটিতে বেশকিছু শিশুর কথা আছে। সকলেই ট্রেন থামলে সেটায় দৌড়াদৌড়ি করে উটগে। তাদের মধ্য ট্রেন থামার আগেই সবাই লাফিয়ে সেটাতে ওঠার চেষ্টা করে। জালাল সবার আগেই লাফ দিয়ে ট্রেনে উঠে যায়। জেবা, মজিদ, শাহজাহানও লাফিয়ে একেকজন একেকটা বগিতে ওঠে পড়ে। এর মধ্যে যারা ছোট, তারা চলন্ত ট্রেনে উঠে পারে না, এরা ট্রেন থামার সাথে সাথে উঠে পরে। ট্রেনে উঠে জালাল প্যাসেঞ্জারদদের দিকে ভালো করে লক্ষ করে একজনের দিকে গিয়ে তার ব্যাগ নামিয়ে দিতে চায় বেশ দুঃখী দুঃখী মুখ করে। কিন্তু সব জায়গায় সুবিধা করতে পারে না, তাকে অনেকের গালাগালও খেতে হয়। ভাগ্য ভালো থাকলে মাঝে মাঝে কয়েকটা প্যাসেঞ্জার জুটলেও জুটতে পারে। মাঝে মাঝে সে পানির খালি বোতল খুঁজে খুঁজে জমিয়ে তা নানা জায়গায় বিক্রি করে। জালাল বোতলগুলো শহরে বিক্রি করে। এদের পরিবার, আপনজন বলতে তেমন কেউ নেই। এখানে নিজেরাই যেন একটি পরিবার হয়ে গেছে। তারা বেঁচে থাকার জন্যে বিভিন্নরকম অন্যায় করে, চুরি-চামারি করে, নিজেদের ভিতরে ঝগড়াঝাটি করে কিন্তু দিনশেষে আবার একজন আরেকজনের ভালো-মন্দের খোঁজখবর নেয়, একই পরিবারের সদস্যদের মত একসাথে ঘুমায়। এর মাঝে একদিন তাদের স্টেশনে ইভা নামের একটা আপা আসে। তারা ইভার কাছে গিয়ে টাকা চায়। তখন ইভা কোন গালাগালি না করেই দুই টাকা সবাইকে দিতে থাকে। এতে স্টেশনের ছেলে-মেয়েরা খুব অবাক হয়ে যায়। তারা ইভার নাম দেয় ‘দুই টেকি’ আপা। ইভাকে চাকরির কারণে প্রতি বৃহস্পতিবারই স্টেশনে আসতে হত। আর তারা এভাবে প্রতি সপ্তাহেই টাকা নিতে থাকে। আস্তে আস্তে ইভার সাথে ছেলে-মেয়েগুলোর একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে। তবে স্টেশনে যারা থাকে তাদের সবসময়ই বিভিন্ন ঝুঁকির মধ্যে থাকতে হয়। এর মাঝে একদিন দেখা যায় সবুজ নামের এক ছেলে, যে আগে জালালদের সাথে স্টেশনে থাকতো সে হেরোইন ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে খুন হয়ে যায়। আর সবুজের মৃত্যুর পরে জালাল সবুজের লুকিয়ে রাখা কয়েক লক্ষ টাকার হেরোইন পেয়ে যায়। এভাবে আরও অনেক ঘটনার মধ্যে দিয়ে কাহিনী এগোতে থাকে। অনেক রোমাঞ্চকর কাহিনীই আমরা দেখতে পাই।হেরোইন ব্যাবসা, কাহিনীর এক পর্যায়ে মেয়ে ধরার কবলে পড়া এবং আমাকে সবথেকে বেশি মুগ্ধ করে এই ছোট ছোট শিশুগুলো যতই কিছু করুক এদের মধ্যে নীতিবোধ রয়েছে এরা নিজের জীবন বাজি রেখে আরেকজনের সাহায্য করে। এভাবেই সমস্ত গল্পটা আবর্তিত হয় একটি ট্রেন ইস্টেশনকে কেন্দ্র করে। বইয়ের শেষে লেখক ‘শেষ কথা’ অংশে লিখেছেন একসময় তাঁকে ব্যক্তিগত কারণে খুব ঘন ঘন ট্রেনে যাতায়াত করতে হত। তখন তিনি খুব কাছে থেকে এই স্টেশনের বাচ্চাগুলোকে লক্ষ্য করেছেন। সেই দেখা থেকেই এই ‘ইস্টিশন’ উপন্যাসটি লেখা। হয়ত তার মধ্যেও অপরাধবোধ কাজ করেছিলো আমাদের সমাজে এরকম অনেক শ্রেনীর বঞ্চিত শিশু রয়েছে যাদের কাছ থেকে আমরা নিজেরাই তাদের শৈশব ছিনিয়ে নিচ্ছি। বইটি পড়ে না থাকলে শীঘ্রই পড়ে ফেলুন।
Was this review helpful to you?
or
রেলস্টেশনে থাকা কিছু বাচ্চাদের নিয়ে এগিয়ে যাওয়া গল্প ইস্টিশন। গল্পের প্রধান চরিত্র জালাল, তাকে নিয়ে এগিয়ে চলে এই গল্প। জালাল, মায়ার মতো আরও যারা স্টেশনেই থাকে তাদের কাছে ট্রেনটাই হচ্ছে বেঁচে থাকার উপায়। এই ট্রেনের ওপরেই তাদের থাকা খাওয়া সবকিছু নির্ভর করে। ট্রেনে যে যত আগে উঠতে পারবে কিছু একটা আয় রোজগার করার সম্ভাবনা তার তত বেড়ে যায়।তাই ট্রেন থামার আগেই সবাই লাফিয়ে সেটাতে ওঠার চেষ্টা করে। জালাল সবার আগেই লাফ দিয়ে ট্রেনে উঠে যায়। তার মতো জেবা, মজিদ, শাহজাহানও লাফিয়ে একেকজন একেকটা বগিতে ওঠে পড়ে। এর মধ্যে যারা ছোট, মায়া কিংবা মতির মতো তারা চলন্ত ট্রেনে উঠে পারে না, এরা ট্রেন থামার সাথে সাথে উঠে পরে। ট্রেনে উঠে জালাল প্যাসেঞ্জারদদের দিকে ভালো করে লক্ষ করে একজনের দিকে গিয়ে তার ব্যাগ নামিয়ে দিতে চায় বেশ দুঃখী দুঃখী মুখ করে। কিন্তু সব জায়গায় সুবিধা করতে পারে না, তাকে অনেকের গালাগালও খেতে হয়। ভাগ্য ভালো থাকলে মাঝে মাঝে কয়েকটা প্যাসেঞ্জার জুটলেও জুটতে পারে। মাঝে মাঝে সে পানির খালি বোতল খুঁজে খুঁজে জমিয়ে তা নানা জায়গায় বিক্রি করে। জালাল বোতলগুলো শহরে বিক্রি করে, শহরে বিক্রি করার একটা কারণ আছে। কারণটা গোপন তাই সেটা কেউ জানে না। এভাবেই ট্রেন থেকে ট্রেনে, বগি থেকে বগিতে, প্লাটফরম থেকে প্লাটফরমে, মানুষ থেকে মানুষের কাছে ঘুরে ঘুরে এক মুঠ ভাত খাওয়ার টাকার সন্ধান করতে করতে জালালের দিন কাটে।
Was this review helpful to you?
or
"Ami Topu" r por aita r ekta boi jeta pore chokhe pani ashse. Khube shundor boi,sir amr boita pore iccha krse ami jodi oi station r nam ta jantam oi cele meye dr khuje tadr golpo ta shunay ashtm...
Was this review helpful to you?
or
nice
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
অসাধারন একটি বই?
Was this review helpful to you?
or
এই বইটি আমার পড়া জাফর ইকবাল স্যারের প্রথম গল্পের বই। ভাবিনি গল্পের কথাগুলোয় আমার মন ছুয়ে যাবে। যাদের প্রতি আমার সবসময় একটা মায়া মমতা কাজ করে তাদের নিয়েই গল্পটি লেখা। গল্পের কাহিনীগুলো কখন জানি চোখে অশ্রু এনে দিয়েছে, সেটা বুঝতেই পারিনি... ছোটদের নিয়ে লেখালেখি এবং তাদের বুঝতে পারা লেখকদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন মু. জাফর ইকবাল স্যার। সেটা আজ তার এই মন ছুইয়ে যাওয়া লেখনী তে প্রকাশ পেলো। বিঃদ্রঃ বইটি নিয়ে এটি সম্পূর্নই আমার একান্ত ব্যাক্তিগত মতামত। অন্যরা যারা পড়েছেন তাদেরও হয়তো কোনো ভিন্ন মতামত থাকতে পারে। তবে বইটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামঃইস্টিশন লেখকঃমুহম্মদ জাফর ইকবাল প্রকাশনীঃতাম্রলিপি মূল্যঃ১৭৬টাকা 'ইস্টিশন' বইটি মুহম্মদ জাফর ইকবালের শিশু-কিশোরমূলক মনোমুগ্ধকর এক সৃষ্টি। তিনি আবারো প্রমাণ করলেন যে তিনি ছোটদের মন।বইটিতে তিনি প্রধাণ চরিত্র করেছেন পথ শিশুকে। শিশুরা সমাজের জন্য সবচেয়ে সুন্দর উপহার।কিন্তু আমাদের চারপাশের পথশিশুদের আমরা যেনও দেখেও না দেখার ভান করি।আবার জারা ওদের পাশে দাড়ায় তাদেরও ধারনা ভুল প্রমান করার চেষ্টা করি।এই বইটিতে মায়া, জালাল,জেবা,শাজাহানের মতো শিশুদের কথা বলা হয়েছে।যাদের ঘর ্রেললাইনের পাশে।যাদের ঠিকানা ইশটিসন।যাদের জীবন জটিলতায় ভরা থাকলেও যারা নিজের মাঝে খুঁজে পায় কোমলতা ও বেঁচে থাকার অদ্ভুত শক্তি। এ বইয়ের অন্যতম চরিত্র হল ইভা নামের একটি মেয়ে।যে কিনা তাদের পাশে দাঁড়ায়।আই বইটিতে ফুটে উঠেছে একটি মাদক বিক্রয়কারি চক্র,একটি ছেলেধরা চক্র থেকে ভেজাল পানি বিক্রিকারি একজন মানুষের বর্ণনা পরজন্ত।আর সব শেষে নিজের জীবন বাজি রেখে অপরের জীবন বাঁচানোর উছানর।এরকম বাস্তবতায় ভরা একটা উপন্যাসের নাম "ইস্টিশন"। আর এই বইটি উপযোগী কোনও পরিবারের দাদু থেকে ছোট্ট বাচ্চাটির জন্য |শেষ কথায় জাফর ইকবাল স্যার লিখেছেন,এক সময় স্টেশনের এই ছোট ছোট বাচ্চাগুলোর সাথে তার একটা বন্ধুত্ব হয়েছিল এবং একটি দুটি ছাড়া উপন্যাসের বেশিরভাগ ঘটনাই তার নিজ চোখে দেখা । হয়তো বা সেজন্যই বইয়ের ভাষায় বাস্তবতার এতটা ছড়াছড়ি ।মনে গেঁথে থাকবে সারাজীবন।অসাধারণ এক উপন্যাস।
Was this review helpful to you?
or
হতদরিদ্র শিশুদের বাস্তব পরিণতি মুহম্মদ জাফর ইকবাল তুলে ধরেছেন তার ইস্টিশন উপন্যাসে । প্রধান জালাল কে কেন্দ্র করে আগাতে থাকে ইস্টিশন এর গল্প । ভিত্তিহীন ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা যারা স্টেশনে নিজেদের জগত তৈরি করে ফেলে তাদের কথা চিন্তা করার সময় কারোর হয়ে উঠে না । দানবিক বিকার গ্রস্ত কিছু মানুষ এই বাচ্চা গুলোকে ব্যবহার করে তাদের অপরাধের জগত কে প্রশমিত করতে । তবে একটু ভালোবাসা দিলে এই বাচ্চা গুলো যে সাধারণ জীবনকাল অতিবাহিত করতে পারে ইস্টিশন তারই উদাহরণ । মাদক , চোরা চালান এই ধরনের অপরাধ রোধ করতে এবং এদের ভালো ভাবে বেঁচে রাখতে সমাজের সবার এদের প্রতি দায়িত্ব নেয়া দরকার
Was this review helpful to you?
or
'ইস্টিশন' বইটি মুহম্মদ জাফর ইকবালের মনোমুগ্ধকর সৃষ্টি। তিনি আবারো প্রমাণ করলেন যে তিনি ছোটদের মন অনেক ভালো বোঝেন,অন্য যে কারো চেয়ে বেশী। শিশুরা সমাজের জন্য সবচেয়ে সুন্দর উপহার।কিন্তু আমাদের চারপাশের পথশিশুদের আমরা যেনও দেখেও না দেখার ভান করি।আবার জারা ওদের পাশে দাড়ায় তাদেরও ধারনা ভুল প্রমান করার চেষ্টা করি।এই বইটিতে মায়া, জালাল,জেবা,শাজাহানের মতো শিশুদের কথা বলা হয়েছে।যাদের ঘর ্রেললাইনের পাশে।যাদের ঠিকানা ইশটিসন।যাদের জীবন জটিলতায় ভরা থাকলেও যারা নিজের মাঝে খুঁজে পায় কোমলতা ও বেঁচে থাকার অদ্ভুত শক্তি। এ বইয়ের অন্যতম চরিত্র হল ইভা নামের একটি মেয়ে।যে কিনা তাদের পাশে দাঁড়ায়।আই বইটিতে ফুটে উঠেছে একটি মাদক বিক্রয়কারি চক্র,একটি ছেলেধরা চক্র থেকে ভেজাল পানি বিক্রিকারি একজন মানুষের বর্ণনা পরজন্ত।আর সব শেষে নিজের জীবন বাজি রেখে অপরের জীবন বাঁচানোর উছানর।এরকম বাস্তবতায় ভরা একটা উপন্যাসের নাম "ইস্টিশন"। আর এই বইটি উপযোগী কোনও পরিবারের দাদু থেকে ছোট্ট বাচ্চাটির জন্য | শেষ কথায় জাফর ইকবাল স্যার লিখেছেন,এক সময় স্টেশনের এই ছোট ছোট বাচ্চাগুলোর সাথে তার একটা বন্ধুত্ব হয়েছিল এবং একটি দুটি ছাড়া উপন্যাসের বেশিরভাগ ঘটনাই তার নিজ চোখে দেখা । হয়তো বা সেজন্যই বইয়ের ভাষায় বাস্তবতার এতটা ছড়াছড়ি ।
Was this review helpful to you?
or
বাস্তবতা বড়ই কঠিন- একথা সবার জানা। সমাজে এমন অনেক শিশুই আছে যাদের এই কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হয় জন্মলগ্ন থেকেই। পৃথিবীতে আসার মুহূর্ত থেকেই শুরু হয় তাদের সংগ্রাম। জীবনের কঠিন সত্য তাদের মেনে নিয়েই তাদের চলতে হয়। এমনই কিছু শিশুদের গল্প নিয়ে গড়ে উঠেছে ইষ্টিশন উপন্যাসটি। এ গল্পের শিশুরা 'ইস্টিশন'-এর বাসিন্দা। এই ইস্টিশনেই তাদের ঘর, তাদের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা সব। তাদের জীবিকা চলে মানুষের দয়ায়। দয়া করে কেউ দুটি টাকা দেয়, কেউবা শাসিয়ে চলে যায়। কারো জীবিকা চলে ফেলে দেওয়া পানির বোতল সংগ্রহ করে, কারো অন্যের পকেট কেটে, কারো বা মাদক ব্যবসা করে। যখন অন্য শিশুরা স্কুলে পাঠ্যবই থেকে নানা বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করে, খেলাধুলায় মেতে থাকে, তখন এই শিশুরা শিক্ষা নেয় কি করে ট্রেনের যাত্রীদের কাছ থেকে দুটি টাকা বেশি নেওয়া যায়। তারা এই পথ বেছে নেয় নি। কিন্তু জীবনের এই কঠিন সংগ্রামে নিজের জীবনের নৌকা তাদের নিজেদের চালিয়ে যেতে হয়। তবে একটু ভালবাসা পেলে যে তারা কত ভাল মানুষ হয়ে উঠতে পারে, তার পরিচয় পাওয়া যায় উপন্যাসটিতে। গল্পের মাধ্যমে শিশুদের একে অন্যের দুঃখ বোঝার বিষয়টিও প্রকাশ পেয়েছে অত্যন্ত সুন্দরভাবে। আমাদের চারপাশেও এমন অনেক শিশু আছে যাদের এখন আনন্দ-ফুর্তির, খেলাধুলার, লেখাপড়ার বয়স। কিন্তু দরিদ্রতার বাক্সে বন্দি হয়ে তারা প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করছে। আমরা তাদের দেখি, তাদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করি, কিন্তু তাদের জন্য কিছু করি না। এই বইটি আমাদের অনুপ্রেরণা দেয় এসব শিশুদের জন্য কিছু করার, তাদের দিকে ফিরে তাকাবার।
Was this review helpful to you?
or
শিশুরা সমাজের জন্য সবচেয়ে সুন্দর উপহার।কিন্তু আমাদের চারপাশের পথশিশুদের আমরা যেনও দেখেও না দেখার ভান করি।আবার জারা ওদের পাশে দাড়ায় তাদেরও ধারনা ভুল প্রমান করার চেষ্টা করি।এই বইটিতে মায়া,জালাল,জেবা,শাজাহানের মতো শিশুদের কথা বলা হয়েছে।যাদের ঘর ্রেললাইনের পাশে।যাদের ঠিকানা ইশটিসন।যাদের জীবন জটিলতায় ভরা থাকলেও যারা নিজের মাঝে খুঁজে পায় কোমলতা ও বেঁচে থাকার অদ্ভুত শক্তি। এ বইয়ের অন্যতম চরিত্র হল ইভা নামের একটি মেয়ে।যে কিনা তাদের পাশে দাঁড়ায়।আই বইটিতে ফুটে উঠেছে একটি মাদক বিক্রয়কারি চক্র,একটি ছেলেধরা চক্র থেকে ভেজাল পানি বিক্রিকারি একজন মানুষের বর্ণনা পরজন্ত।আর সব শেষে নিজের জীবন বাজি রেখে অপরের জীবন বাঁচানোর উছানর।আর এই বইটি উপযোগী কোনও পরিবারের দাদু থেকে ছোট্ট বাচ্চাটির জন্য
Was this review helpful to you?
or
আগে শুনতাম অমুক মানুষ অমুক বই পড়ে কেদেছে। আমি মনে করতাম কিই বা আছে বইটায় যা পড়ে কান্না আসবে??????? বিশ্বাস করুন আর নাই করুন,এই বইটা পড়ে সত্যিই আমি কেদেছি ........
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ!অসাধারণ!অসাধারণ!
Was this review helpful to you?
or
অনেকদিন পর মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা অসাধারণ একটি কিশোর উপন্যাস পড়লাম। ‘ইস্টিশন’ বইটি পড়া শেষ করেই এই রিভিউ লিখতে বসলাম। আমি খুব ছোটবেলা থেকেই মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের লেখা কিশোর উপন্যাসের ভক্ত। কিন্তু বেশ কয়েক বছর হল স্যারের লেখা কিশোর উপন্যাসগুলো আর আমাকে খুব একটা টানছিলো না। হয়তো কিশোর বয়সটা পার করে এসেছি সেই কারণে। কিংবা স্যারের লেখা কিশোর উপন্যাস অনেক বেশি পড়ার কারণে হয়তো সেগুলোকে গৎবাঁধা মনে হচ্ছিল। স্যারের লেখা কিশোর উপন্যাস সব সময়ই একটা ফর্মুলা অনুযায়ী চলে। শেষের দিকে একটা অ্যাডভেঞ্চার থাকে। এবং সব সময়ই গল্পের একটা সুন্দর পরিসমাপ্তি হয়। এই ব্যাপারে স্যার নিজেও বলেছেন যে, তিনি বাচ্চাদের মনে কষ্ট দিতে চান না, তাই এই কাজটি করেন। তা না হয় বুঝলাম, কিন্তু একই ফর্মুলার কাহিনী আর কত ভালো লাগে? ‘ইস্টিশন’ উপন্যাসটিও এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়। এখানেও স্যারের সেই ফর্মুলার বাস্তবায়নই হয়েছে। তবে এই উপন্যাসটি এত ভালো লাগার কারণ হল এখানে আরেকটি গভীর বাস্তবতাও খুব সহজভাবে উঠে এসেছে। সেটা নিয়েই এখন আলোচনা করবো। ‘ইস্টিশন’ উপন্যাসে লেখক রেলস্টেশনে থাকা সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জীবন-সংগ্রাম, আনন্দ-বেদনার কাহিনী বর্ণনা করেছেন। এই গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র জালাল এইরকমই স্টেশনে থাকা একটা ছেলে। জালালের বাবা মারা যাওয়ার পর তার মা জালালের চাচার সংসারে ছেলে-মেয়ে নিয়ে থাকা শুরু করে। কিন্তু জালালের চাচারা তাদেরকে একদমই পছন্দ করতো না। আর চাচার সবচেয়ে বেশি রাগটা যেন জালালের উপরই ছিল। তাই জালাল সেখানে টিকতে না পেরে এই স্টেশনে চলে আসে। স্টেশনে জালালের সাথে আরও থাকে জেবা, মায়া, মজিদ, শাহজাহান। ওদের সবার কাহিনীই জালালের মতই। পরিবার, আপনজন বলতে তেমন কেউ নেই। এখানে নিজেরাই যেন একটি পরিবার হয়ে গেছে। তারা বেঁচে থাকার জন্যে বিভিন্নরকম অন্যায় করে, চুরি-চামারি করে, নিজেদের ভিতরে ঝগড়াঝাটি করে কিন্তু দিনশেষে আবার একজন আরেকজনের ভালো-মন্দের খোঁজখবর নেয়, একই পরিবারের সদস্যদের মত একসাথে ঘুমায়। এর মাঝে একদিন তাদের স্টেশনে ইভা নামের একটা আপা আসে। তারা স্বভাব মত ইভার কাছে গিয়ে টাকা চায়। তখন ইভা কোন গালাগালি না করেই দুই টাকা সবাইকে দিতে থাকে। এতে স্টেশনের ছেলে-মেয়েরা খুব অবাক হয়ে যায়। তারা ইভার নাম দেয় ‘দুই টেকি’ আপা। ইভাকে চাকরির কারণে প্রতি বৃহস্পতিবারই স্টেশনে আসতে হত। আর তারা এভাবে প্রতি সপ্তাহেই টাকা নিতে থাকে। আস্তে আস্তে ইভার সাথে এই অনাথ ছেলে-মেয়েগুলোর একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে। তবে স্টেশনে যারা থাকে তাদের সবসময়ই বিভিন্ন ঝুঁকির মধ্যে থাকতে হয়। এর মাঝে একদিন দেখা যায় সবুজ নামের এক ছেলে, যে আগে জালালদের সাথে স্টেশনে থাকতো সে হেরোইন ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে খুন হয়ে যায়। আর সবুজের মৃত্যুর পরে জালাল সবুজের লুকিয়ে রাখা কয়েক লক্ষ টাকার হেরোইন পেয়ে যায়। কিন্তু সে সেগুলো সব পানিতে ফেলে দেয়। এভাবে আমরা দেখতে পাই, জালালেরা প্রতিনিয়ত অভাবের সাথে বাস করলেও তাদের নীতিবোধ পুরোপুরি বিসর্জন দেয় নি। এভাবে আরও অনেক ঘটনার মধ্যে দিয়ে কাহিনী এগোতে থাকে। এবং শেষে দেখা যায় জেবা আর মায়া একদিন এক ছেলেধরা মহিলার কবলে পড়ে। তাদের বাঁচাতে গিয়ে জালাল নিজেও সেই ছেলেধরা দলের হাতে ধরা খায়। তারপর শুরু হয় অসাধারণ সব অ্যাডভেঞ্চার। আমি আর সে সবের কথা বলে উপন্যাসটির মজা নষ্ট করতে চাই না। সে সব ঘটনা জানার জন্যে পাঠককে ‘ইস্টিশন’ বইটি পড়তে হবে। আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে এই বইয়ের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক মনে হয়েছে স্টেশনের ছেলে-মেয়েগুলোর জীবনধারা, তাদের একজনের আরেকজনের প্রতি মমতা-ভালোবাসা, তাদের নীতিবোধ। লেখক এই ব্যাপারগুলো অসাধারণ দক্ষতায় ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। আর বইয়ের শেষে লেখক ‘শেষ কথা’ অংশে লিখেছেন একসময় তাঁকে ব্যক্তিগত কারণে খুব ঘন ঘন ট্রেনে যাতায়াত করতে হত। তখন তিনি খুব কাছে থেকে এই স্টেশনের বাচ্চাগুলোকে লক্ষ্য করেছেন। সেই দেখা থেকেই এই ‘ইস্টিশন’ উপন্যাসটি লেখা। তাই এখানে সেই স্টেশনের ছেলে-মেয়েগুলোর জীবন খুব বস্তুনিষ্ঠভাবে ফুটে উঠেছে। সব পাঠকেরই এই উপন্যাসটি ভালো লাগবে বলে আমার বিশ্বাস।
Was this review helpful to you?
or
গল্পের মূল চরিত্র জালাল নামের একটি ছেলেকে কেন্দ্র করে পার্শচিত্রে ইস্টিশনের কিছু ছেলে মেয়ে।।এই গল্পে ইস্টিশনের মানুষদের জীবন চিত্র ফুটে উঠেছে।। গল্প কথন::জালাল,মায়া,জেবা,মজিদ এরা সবাই ইস্টিশ বাসী।।যাত্রীদের মালামাল নামিয়ে দিয়ে যা পায় তা দিয়ে চলে তাদের জীবন।।এভাবে চলে যায় তাদের জীবন।।তাদের সাথে পরিচয় হয় ইভা নামের এক জনের সাথে,যিনি চাকুরী করেন ঢাকার বাইরে।প্রতি বৃহস্পতিবার ঢাকায় আসেন শনিবারে চলে যান।।ইস্টিশনের বাচ্চাদের কাছে তিনি দুই টেকী আফা নামে পরিচিত।।ইস্টিশনের বাচ্চাদের সাথে তার একটা সর্ম্পক তৈরী হয় প্রতি সপ্তাহে সবাইকে দুইটাকা করে দেন।।এভাবেই দিন কাটতে লাগল ইস্টিশনে নতুন আগুন্তুকের আগমন ঘটে,মায়া আর জেবার সাথে সমর্পক তৈরী করে কিন্তু তারা বুজতে পারে না আগুন্তুক একজন পাচারকারী।।একদিন আগুন্তুক মায়া আর জেবাকে নিয়ে চলল জালালও তাদের পিছু পিছু চলল।।শেষ পর্যন্ত জালাল নিজের বুদ্ধি দিয়ে এবং ইভার সাহায্য নিয়ে পাচারকারীর হাত থেকে সকলকে মুক্ত করে।।বইটি জাফর ইকবাল স্যার এর ব্যক্তি জীবনের সাথে সসম্পৃক্ত।।সব মিলিয়ে গল্পটি চমৎকার।
Was this review helpful to you?
or
‘ইস্টিশন’ প্রখ্যাত সাহিত্যিক মুহম্মদ জাফর ইকবাল রচিত একটি কিশোর উপন্যাস। এই উপন্যাসে তিনি নিজ জীবনের স্মৃতিকাতরতার আবরণে স্টেশনে থাকা দরিদ্র শিশু-কিশোরদের পরিণতি, সেইসব ধনীদের মনোভাব, যারা কখনো ভেবে দেখেনি এদের ছোট্ট মনেও অনেক বড় দুঃখ থাকতে পারে, তাদের তিরষ্কার একটি রোমাঞ্চকর কিশোর উপন্যাসের মধ্য দিয়ে তুলে ধরেছেন। লেখক বইয়ের শেষে এজন্য দুঃখও করেন, যে যাদের নিয়ে তার এ উপন্যাস লেখা, তারা কেউ এ কথা কোনদিন জানতেও পারবে না। মায়া, জেবা, শাহ্জাহান, জালাল, সবুজ। এরা সবাই স্টেশনে থাকে। এদের কারো বাবা নেই, কারো মা নেই। কিংবা কারো বাবা-মা দুজনেই চলে গেছে। এরা স্টেশনে থাকে, ট্রেন আসলেই বিপজ্জনকভাবে ট্রেনে উঠে মালামাল বহন করে যৎসামান্য আয় করে। কোনদিন এক-দু’শ টাকা, কোনদিন তাও নয়। কেউ এদের ভালবাসে না। গরীব মনে করে সমাজের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করে। এদের প্রতি সামান্য দয়া দেখায় না কেউ। এদের সবাই মনে করে চোর, বদমাস্ নাহলে মাদকাসক্ত। হঠাৎই এদের সাথে পরিচয় হয় ইভা নামের এক মেয়ের। সে এই দরিদ্র বাচ্চাদের জীবনে এক নতুন দিক নিয়ে আসে। অন্য সবার মত সে এদের অবহেলা করে না, বরং আদর করে কাছে ডেকে দুই টাকা হাতে তুলে দেয়। কিন্তু তার জন্য কোন ভার এদের ছোট্ট কাঁধে তুলে দেয় না। পরিমাণে হয়তো দুই টাকা খুব কম মনে হবে, কিন্তু মানবতার দিক দিয়ে এর মূল্য ধনীর ব্যাংকে পড়ে থাকা দুই কোটি টাকার চেয়েও বেশি। একপর্যায়ে ইভার সাথে এক ভদ্রলোকের চ্যালেঞ্জ হয়, যে জালালের মত ছেলেদের যতই আদর দেয়া হোক না কেন, এরা চোরই থাকবে। ইভা জালালকে পাঁচশ টাকার একটি নোট দিয়ে পাঁচ টাকা ভাঙিয়ে আনতে বলে। জালাল যখন ফেরত টাকা নিয়ে আসে, তখন সেই তথাকথিত ভদ্রলোকদের মুখ বন্ধ হয়ে যায়। লেখক এখানে সার্থকভাবে সেইসব নিকৃষ্টমনা ধনীদের তিরষ্কার করেন। এখানে এক পর্যায়ে কাহিনী চিত্রায়নের মাধ্যমে লেখক এটাও দেখিয়েছেন যে একজন বড়লোকের ছেলে আর দরিদ্র সন্তানের মধ্যে কত পার্থক্য। একজন আধুনিক জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত, অপরজন তা ভাবতেও পারে না। অথচ এই দরিদ্র শিশুর এই বয়সে জীবনযুদ্ধ সম্পর্কে যে ধারণা আছে, ধনীর আদরের দুলালের তার লেশমাত্রও নেই। কাহিনীর পটভূমিতে হঠাৎই সবুজ’কে দেখা যায় খুব ভালো পোশাকে, চোখে দামি সানগ্লাস। যে সবুজ দশ টাকার জন্য ট্রেনে উঠত, সে পড়ে শ’ টাকার পোশাক। জালাল কৌতুহলী হলেও সদুত্তর পায় না। তবুও সে তার সাথে অনেক গল্প করে, যদি তথ্যটা জানা যায়? ঘটনাক্রমে সবুজ একদিন খুন হয়ে যায়। পুলিশ তার লাশ মর্গে নিয়ে যায়। এরই মধ্যে কিছু লোক এসে জালালকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যায়, সবুজ তার কাছে কিছু বলেছে কিনা। জালাল মিথ্যে বললে তারা চলে যায়। একদিন জালাল জানতে পারে, সবুজ হিরোইন বেচে টাকা পেয়েছে। এবং সে অল্প অল্প করে হিরোইন সরিয়ে রাখত। জালাল সেই হিরোইন খুঁজে পায়। কিন্তু সে সেগুলো সব নদীতে ফেলে দেয়। টাকার মূল্য তার কাছে প্রাণের চেয়ে বেশি নয়। সে তার মায়ের সাথে দেখা করতে গেলে জানতে পারে, তার পরিবারের লোকেরা তাকে জোর করে অন্যত্র বিয়ে দিয়েছে। জালাল কষ্টে জমানো টাকা দিয়ে একটা শাড়ি কিনে মায়ের সাথে দেখা করতে যায়। সে মিথ্যে বলে। সে বলে যে সে এক বিরাট ধনীর বাড়িতে থাকে। তারা তাকে খুব আদর করে। এ কথার মধ্য দিয়ে সে তার মায়ের সব দুঃখ মুছে দেবার চেষ্টা করে। মা চিরকাল বেঁচে থাকবেন এই আনন্দে, যে যাক্ ছেলেটা তো ভাল আছে! এর মধ্যে একদিন এক মহিলা এসে জেবা আর মায়াকে বিরিয়ানি খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে ঢাকায় কিডন্যাপ করে নিয়ে যায়। এরা শিশুদের দিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করায়। জালাল প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনে উঠে তাদের ফলো করে। এক পর্যায়ে সেও ধরা পড়ে। কিন্তু তার উপস্থিত বুদ্ধির কারণে সকলের প্রাণ রক্ষা হয়। জালাল ওদেরকে দেয়া ঘুমের ঔষধ বদলে দেয় এবং সকলে ঘুমের ভান করে। পরে সুযোগমত ওরা পালিয়ে যায় এবং ইভার সহায়তায় সকলের জীবনরক্ষা হয়। এরপর একদিন ইভার চাকরি ট্রান্সফার হল। সকলের কাছ হতে বিদায় নিয়ে চোখের পানিতে সে চলে এল। এই সব ঘটনার মধ্য দিয়ে একটি সাধারণ কিশোর উপন্যাস হয়েও কাহিনী, বাস্তবের সাথে সমার্থতা এবং একটি পরোক্ষ, কিন্তু প্রকট যে তথ্যটি লেখক সকলের কাছে পৌছে দিয়েছেন, তার গুণে গুণান্বিত হয়ে এটি একটি অনবদ্য, অনন্য এবং অবশ্যপাঠ্য এক মানবদলিলে পরিণত হয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
জাফর ইকবাল স্যারের অনেক উপন্যাস পড়েছি । তার সবগুলোই ভাল লেগেছে । তবে কয়েকটি উপন্যাস লেগেছে একেবারে অন্যরকম । অনেকদিন পর স্যারের এরকম "অন্যরকম" একটি উপন্যাসের দেখা পেলাম । ইস্টিশন । বইটা পড়তে গিয়ে বারবারই মনে হয়েছে যেন কোন বই পড়ছি না,চোখের সামনে বাস্তব একটা ঘটনা দেখছি বা সিনেমা দেখছি । রেল স্টেশনের ছিন্নমূল,বাবা- মা হারা শিশুদের নিয়ে বইটি লেখা হয়েছে । আসলে বইটি পড়লে বোঝা যায় বাস্তবতা কতটা নিষ্ঠুর,কতটা নির্মম। স্টেশনের বাচ্চাদের জীবন সংগ্রামটাই যেন দু মুঠো ভাতের সংগ্রাম । তারা মানুষের কাছে ক্ষুধার্তের মত ভঙ্গি করে করুণ নয়নে ক টা টাকার জন্য ভিক্ষা চায় । পারলে একটু চুরি করে দুটো খাবার জোগাড় করে ফেলে । তাদের বাবা মার কোন খোঁজ খবর নেই,তাই তারা কোথায় যায় বা না যায় তারও খোঁজ খবর কেউ রাখেনা । কখনও স্টেশনের পুলিশ এসে তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই টুকুও কেড়ে নিতে চায় আবার কখনওবা নেশাখোররা হামলা চালায় তাদের উপর । স্টেশনের সেই ছোট ছোট বাচ্চারা কখনও টাকার লোভে জড়িয়ে যায় অপরাধে । টাকার লোভ তাদের কাউকে উপহার দেয় নির্মম মৃত্যু ! সে মৃত্যুর কোন বিচার নেই । কখনও তাদেরকে ধরে নিয়ে যায় শিশু পাচারকারীরা এসে । তাদেরকে সামনে দাঁড়ায় অস্তিত্ব রক্ষার হুমকি । সে হুমকি কাটিয়ে উঠতে হয় তাদের নিজেদেরকেই ! এরকম বাস্তবতায় ভরা একটা উপন্যাসের নাম "ইস্টিশন"। উপন্যাসের কয়েকটি চরিত্র জালাল,জেবা,মজিদ,মায়া, শাহজাহান এবং আরো কয়েকজন । তবে প্রধান চরিত্র এবং যার উপর গিয়ে আকর্ষণের বেশির ভাগ আলোই পড়েছে তার নাম জালাল । সে স্টেশনের ছেলে হতে পারে কিন্তু তার বুদ্ধিমত্তা,সাহস সবকিছুই প্রশংসা করার মত । স্টেশনের এই অনাথ ছোট ছোট বাচ্চাগুলোকে কাছে টেনে নিয়ে যে মেয়েটি উপন্যাসটিকে আরো প্রাণবন্ত করে তুলেছে তার নাম ইভা । শেষ কথায় জাফর ইকবাল স্যার লিখেছেন,এক সময় স্টেশনের এই ছোট ছোট বাচ্চাগুলোর সাথে তার একটা বন্ধুত্ব হয়েছিল এবং একটি দুটি ছাড়া উপন্যাসের বেশিরভাগ ঘটনাই তার নিজ চোখে দেখা । হয়তো বা সেজন্যই বইয়ের ভাষায় বাস্তবতার এতটা ছড়াছড়ি ।
Was this review helpful to you?
or
আমি গত কয়েক বছরে জাফর ইকবালকে নিয়ে বেশ একটা অস্বস্তির মাঝে ছিলাম। আমি ছোট বেলা থেকে বাংলায় তার রচিত কিশোর উপন্যাস পড়ে বড় হয়েছি, মুগ্ধ হয়েছে টাইম টু টাইম। কিন্তু একটা সময়ে সেই মুগ্ধতা হতাশায় পরিনত হল। কোথায় সেই জাদুকরী লেখা? গত কয়েক বছরেই তার যত বই বার হয়েছে, পড়তে গিয়ে হোচট খেয়েছি বারে বারে। সেই আগের মানুষটিকে পাইনি যেন ঠিক। তবে এবারে ইস্টিশন বইটি পড়তে গিয়ে সেই যেন পুরাতন মানুষটিকে ফিরে পেলাম ক্ষানিকের জন্য। কোন এক অজানা শহরের অচেনা ইস্টিশন, তাতে বাস করে কিছু পথশিশু, স্টেশনে ট্রেইনের আগমন এবং চলে যাবার মাঝের সময়টুকুকে কাজে লাগিয়ে তারা যে যা পারে আয় রোজগার করে নেয়, মাল বয়ে দেয়া, পানি বিক্রি করা অথবা ভিক্ষা করা। জালাল, জেবা, মায়া, সবুজ.... কতজন এরা? সংখ্যাটা আসলে পরিস্কার হয়না কখনও। তবে তারা আছে, স্টেশনেই আছে, আর আশ্চর্য হলেও সত্য, কোন রকম অবিভাবক ছাড়া তারা ভালই চালিয়ে নিচ্ছে নিজেদের! স্টেশন আছে, আর তার সাথে আছে পেটি অপরাধী, নেশাখোর, আর নেশার উপকরণ সাপ্লাই দেবার মত সাংঘাতিক লোক, যারা চোখের পলকে একজন মানুষকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে পারে। আবার ব্যবহৃত পানির বোতলে নতুন করে পানি ভরিয়ে সেটা বিক্রি করে মুনাফা লোটার মত নিরীহ ঠকবাজও আছে এই স্টেশনে। গল্পের শেষে জাফর ইকবাল বলেছেন তার নিজের অভিজ্ঞতার কথা। সিলেট থেকে প্রতি সপ্তায় ঢাকা আসবার পথে স্টেশনে তার সাথে বন্ধুত্ব হয়েছিল একদল পথ শিশুর সাথে। তিনি মুগ্ধ হয়েছিলেন তাদের বেচে থাকার লড়াই দেখে, তাদের সরলতা দেখে। তার এই মুগ্ধতাই বার বার উঠে এসেছে এই নতুন বইটাতে। বেশি ইমোশনাল বলেই কি না কে জানে, পড়তে গিয়ে চোখ ছলো ছলো হয়ে উঠেছিল সময়ে সময়ে.... আশা করি জাফর ইকবাল রেগুলার এভাবেই নিত্য নতুন ভাবে লিখে যাবেন।
Was this review helpful to you?
or
মুহম্মদ জাফর ইকবালের 'ইস্টিশন' বইটি রেলস্টেশনে বসবাসরত কিছু শিশুদের বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি। আমাদের ব্যস্ত জীবনে বারবার তাদের সম্মুখীন হয়েও কোনো এক অজানা দাম্ভিকতা কিংবা যান্ত্রিক ব্যস্ততায় আমরা তাদের দেখেও দেখি না। সেই অজানা দাম্ভিকতা আর যান্ত্রিক ব্যস্ততার লাগাম টেনে ধরে ইস্টিশন বইটি। রেলস্টেশনের ওই স্বাধীন অথচ নিঃস্ব শিশুগুলোকে নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করে। জালাল,মায়া,জেবা,সবুজ ওরা স্টেশনে থাকে। ট্রেন থামতে না থামতেই ওরা দৌড় দেয় যাত্রীদের উদ্দেশ্যে। কখনো তাদের ব্যাগ বয়ে বা কখনো হাতে পায়ে ধরে ওরা টাকা পয়সা রোজগার করে। হাজার গালাগাল,নির্দয় মারামারি যেন তাদের স্পর্শই করে না। বেঁচে থাকতে হলে এভাবেই সংগ্রাম করতে হবে, এটা ওরা ভালোভাবেই জানে। তাইতো মৃত্যুর সাথে বাজি ধরেও ওরা জয়ী হয়। পেটের দায়ের ওরা মিথ্যা কথা বলে,ভেজাল পানি বিক্রি করে তবে মনের দিক দিয়ে তারা নিষ্পাপ। একটু ভালোবাসা পেলেই তারা তাদের সকল অসৎ কাজ পরিত্যাগ করে। তাইতো ইভার টাকাটা নিয়ে জালাল পালিয়ে যায় নি। একদিকে যেমন জালালের মত ছেলে আছে অন্যদিকে আছে সবুজ; যে কিনা অর্থলোভে নির্মমভাবে হিরোইন ব্যবসায়ীদের শিকার হয়। এ বইতে জালাল,মায়া ও জেবার বন্ধুত্ত্ব আমাকে মুগ্ধ করেছে। বন্ধুত্ত্বের আভিধানিক অর্থ হয়ত ওরা বোঝে না তবে তিন জন মিলে এক প্যাকেট বিরিয়ানী ভাগ করে খাওয়াটা তাদের বন্ধুত্ত্বের বহিঃপ্রকাশ। ইস্টিশন বইতে মা ও সন্তানের সম্পর্ক চমত্কারভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা মুহূর্তেই পাঠকের মন আবেগময় করে তুলতে পারবে। আসলে রেলস্টেশনে থেকেও যে জীবনটাকে উপভোগ করা যায় তা এদের কাছ থেকে শিক্ষণীয়। বইটি পড়তে পড়তে আমি হারিয়ে গিয়েছিলাম কল্পনায় ভেসে ওঠা কোনো এক অজানা রেলস্টেশনে। ইভার মত জালাল,মায়া,জেবাকে দুই টাকা দেওয়ার আনন্দ উপভোগ করছিলাম। কল্পনার পাশাপাশি বাস্তবেও 'দুই টেকী আপা' হওয়ার প্রবল ইচ্ছা জেগেছে আমার। সবশেষের এ্যাডভেঞ্চাচারটা বরাবরের মতই উপভোগ্য। এছাড়া বইয়ের 'শেষ কথা' অংশটুকু পড়ে আমি অভিভূত। সর্বোপরি, 'ইস্টিশন' বইটি মুহম্মদ জাফর ইকবালের মনোমুগ্ধকর সৃষ্টি। তিনি আবারো প্রমাণ করলেন যে তিনি ছোটদের মন অনেক ভালো বোঝেন,অন্য যে কারো চেয়ে বেশী।
Was this review helpful to you?
or
জালাল, জেবা, মায়া, সবুজ.... কতজন এরা? সংখ্যাটা আসলে পরিস্কার হয়না কখনও। তবে তারা আছে, স্টেশনেই আছে, আর আশ্চর্য হলেও সত্য, কোন রকম অবিভাবক ছাড়া তারা ভালই চালিয়ে নিচ্ছে নিজেদের! কোন এক অজানা শহরের অচেনা ইস্টিশন, তাতে বাস করে কিছু পথশিশু, স্টেশনে ট্রেইনের আগমন এবং চলে যাবার মাঝের সময়টুকুকে কাজে লাগিয়ে তারা যে যা পারে আয় রোজগার করে নেয়, মাল বয়ে দেয়া, পানি বিক্রি করা অথবা ভিক্ষা করা। এদের ভালবাসে না। গরীব মনে করে সমাজের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করে। এদের প্রতি সামান্য দয়া দেখায় না কেউ। এদের সবাই মনে করে চোর, বদমাস্ নাহলে মাদকাসক্ত। যাদের ঘর ্রেললাইনের পাশে।যাদের ঠিকানা ইশটিসন।যাদের জীবন জটিলতায় ভরা থাকলেও যারা নিজের মাঝে খুঁজে পায় কোমলতা ও বেঁচে থাকার অদ্ভুত শক্তি।হঠাৎই এদের সাথে পরিচয় হয় ইভা নামের এক মেয়ের। সে এই দরিদ্র বাচ্চাদের জীবনে এক নতুন দিক নিয়ে আসে। অন্য সবার মত সে এদের অবহেলা করে না, বরং আদর করে কাছে ডেকে দুই টাকা হাতে তুলে দেয়। কিন্তু তার জন্য কোন ভার এদের ছোট্ট কাঁধে তুলে দেয় না। পরিমাণে হয়তো দুই টাকা খুব কম মনে হবে, কিন্তু মানবতার দিক দিয়ে এর মূল্য ধনীর ব্যাংকে পড়ে থাকা দুই কোটি টাকার চেয়েও বেশি। একপর্যায়ে ইভার সাথে এক ভদ্রলোকের চ্যালেঞ্জ হয়, যে জালালের মত ছেলেদের যতই আদর দেয়া হোক না কেন, এরা চোরই থাকবে। ইভা জালালকে পাঁচশ টাকার একটি নোট দিয়ে পাঁচ টাকা ভাঙিয়ে আনতে বলে। জালাল যখন ফেরত টাকা নিয়ে আসে, তখন সেই তথাকথিত ভদ্রলোকদের মুখ বন্ধ হয়ে যায়। লেখক এখানে সার্থকভাবে সেইসব নিকৃষ্টমনা ধনীদের তিরষ্কার করেন। স্টেশন আছে, আর তার সাথে আছে পেটি অপরাধী, নেশাখোর, আর নেশার উপকরণ সাপ্লাই দেবার মত সাংঘাতিক লোক, যারা চোখের পলকে একজন মানুষকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে পারে।তবে প্রধান চরিত্র এবং যার উপর গিয়ে আকর্ষণের বেশির ভাগ আলোই পড়েছে তার নাম জালাল । সে স্টেশনের ছেলে হতে পারে কিন্তু তার বুদ্ধিমত্তা,সাহস সবকিছুই প্রশংসা করার মত । তার উপস্থিত বুদ্ধির কারণে সকলের প্রাণ রক্ষা হয়. ইভার সহায়তায় সকলের জীবনরক্ষা হয়। এরপর একদিন ইভার চাকরি ট্রান্সফার হল। সকলের কাছ হতে বিদায় নিয়ে চোখের পানিতে সে চলে এল। গল্পের শেষে জাফর ইকবাল বলেছেন তার নিজের অভিজ্ঞতার কথা। সিলেট থেকে প্রতি সপ্তায় ঢাকা আসবার পথে স্টেশনে তার সাথে বন্ধুত্ব হয়েছিল একদল পথ শিশুর সাথে। তিনি মুগ্ধ হয়েছিলেন তাদের বেচে থাকার লড়াই দেখে, তাদের সরলতা দেখে। তার এই মুগ্ধতাই বার বার উঠে এসেছে এই নতুন বইটাতে।