User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
অনেক ভালো একটা বই... বাংলাদেশের মাজার পূজারী ভন্ডদের মুখোশ উন্মোচন করা হয়েছে
Was this review helpful to you?
or
মানুষের জীবনে উত্থান পতন আছেই৷ কেউ পড়ে গিয়ে আরো শক্তভাবে উঠে দাড়াতে পারে। দিনশেষে কিন্তু সবাইকেউ রিক্ত হাতে ফিরতে হয়।
Was this review helpful to you?
or
খুবই ভালো মানের লেখা।
Was this review helpful to you?
or
মাস্টার পিস! বঙ্গালী আসল চরিত্র তুলে ধরেছে।
Was this review helpful to you?
or
Received in time. It was good. Thank you Rokomari.com
Was this review helpful to you?
or
????
Was this review helpful to you?
or
আলী কেনানের মতো লোকেরা এখনো আমাদের সমাজে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
Was this review helpful to you?
or
Good book
Was this review helpful to you?
or
খুবই ভালো
Was this review helpful to you?
or
Nice story and recommended.
Was this review helpful to you?
or
great book
Was this review helpful to you?
or
অনেক ভালো
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার বই
Was this review helpful to you?
or
লেখক সম্পর্কে আসলে আমার বলার কিছু নেই। প্রতিভাবান লেখনীতে বাংলাদেশ এর মাজার এর নীতি দুর্নীতি নিয়ে গল্পাকারে বাংলাদেশ এর সমাজের সত্যি তুলে ধরেছেন। এই বইয়ে আলি কেনান আমাদের সমাজের একজন সত্যিকার চরিত্রের কাল্পনিক রূপ। ক্ষমতা দুর্বৃত্তায়ন কিভাবে মানুষের কর্মের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে তাই খুঁজে পাবেন। বইটি খুবই প্রাঞ্জল ভাষায় লেখা। খুব জ্ঞানী না হলেও বইটির মধ্যে থাকা জ্ঞান নিতে খুব কষ্ট হবে না। কিন্তু মনের জানালা-দরজা খুলে পড়লে জ্ঞানটুকু ধারন করতে সুবিধা হবে। আলি কেনানের মতো একজন সাধারণ মানুষ কিভাবে ক্ষমতাবানের ছত্রছায়ায় প্রভাবশালী হয়ে উঠে তা দেখবেন একটি অংশে। আর মূল অংশে দেখবেন কিভাবে মাজার এর দরবেশ হয়ে উঠা যায়। আজ থেকে এত বছর আগে মাজার সম্পর্কে দুর্নীতি এত সুন্দর ভাবে লেখক তুলে ধরার পরেও আজও আমরা মাজারে যায়। বইটির প্রথম প্রকাশ ১৯৮৯। আমি বিশ্বাস করি এই বই পড়ছে এইরকম অনেকে এখনো মাজারে বিশ্বাস করে। আমরা পড়ি; জ্ঞান সংগ্ৰহ করি কিন্তু আমরা জ্ঞান ধারন করি খুব কম।
Was this review helpful to you?
or
#বুক_রিভিউ #উপন্যাসঃ একজন আলি কেনানের উত্থান পতন' #লেখকঃআহমেদ_ছফা #প্রচ্ছদঃ সমর মজুমদার #প্রকাশনাঃ খান_ব্রাদার্স_এন্ড_কোম্পানি #পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৭৯ মুদ্রিত মূল্যঃ ১৫০/ 'একজন আলি কেনানের উত্থান পতন' উপন্যাসটিতে লেখক গল্পের পটভুমি এবং লেখার ধারাবাহিকতার যে মুন্সীয়ানা দেখিয়েছেন তা এতটাই স্বাচ্ছন্দ্য এবং সাবলীল ছিল যে, বলতেই হবে গল্প বয়ানে লেখক ভীষণরকম চতুর ছিলেন। আর গল্পে প্রাঞ্জলতা, শৈলীর কথা বলতে গেলে বলতেই হয় একজন আহমদ ছফা সমৃদ্ধ আর পাকাপোক্ত হাত নিয়েই কলম ধরেছেন। দে তোর বাপরে ট্যাহা দিয়া দে।' এই বাক্য দিয়েই লেখক উপন্যাসের গোড়াপত্তন শুরু করেছেন। প্রথম দিনেই তৎকালীন তেরো (১৩) টাকা উপার্জন করে ফেলে আলি কেনান। দারুণ পথটা সে পেয়ে যায়। অর্থ আদায়ের বেশটা ছিলো দরবেশী ছদ্মবেশ। ভোলা তামাপুকুর গ্রামের একজন আলি কেনান যে কিনা এই গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র পিয়ন পদে পাকাপোক্ত ভাবে নিয়োগ পায় গর্ভনর অফিসে। পিয়ন হওয়া স্বত্বেও আলি কেনান বুদ্ধিমত্তার জোরে নানান ভাবে সকল গুরুত্বপূর্ণ পদের কর্মকর্তাদের পাশ কাটিয়ে গভর্নরের একান্ত লোক হয়ে উঠে। গভর্নরের নানান কাজের দেখভাল করবার সুযোগ হয় আলি কেনানের। এভাবে গভর্নর অফিসে তার অবস্থা হয়ে উঠে একেবারেই আলাদা এবং শক্তিশালী। এমন কি গভর্নর ঘুমানোর সময়টাতে গভর্নরের গুরুত্বপূর্ণ ফোন এলে সেটার জবাবে ফোন ধরতো আলি কেনান। আলি কেনান যখন গভর্নরের একনিষ্ঠ সহযোগী হয়ে উঠল তখন সে আর কাউকেই তেমন গুরুত্বের জায়গা থেকে দেখতো। সে ভুলে গিয়েছিলো সে একজন খাস পিয়ন মাত্র। প্রশ্রয়টা অবশ্যই গভর্নরেরই দেয়া। সেই জোরে আলি কেনান সেক্রেটারি থেকে শুরু করে মন্ত্রী কেবিনেট, উচ্চপদস্থ আমলা ও বড় বড় নেতাসহ সবার সাথেই আলাপ করতো। আলি কেনানের প্রভাব শুধু গভর্নর অফিসেই সীমাবদ্ধ ছিল না। সে ভোলাতেও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠে। নিকটস্থ লোকদের চাকরির সুযোগ করিয়ে দেয়। তাও সরকারি চাকরি। এসব তার প্রভাব আরো কয়েক গুণ বেড়ে যায়। সেটা প্রভাব বিস্তারে তার পরিবার একচেটিয়া ভাবে ইউনিয়ন পরিচালনা করতে শুরু করে। এসব আলি কেনান দ্বারা'ই হত। ঢাকায় গভর্নর অফিসে বসে আলি কেনান তামাপুকুর নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে। চারিদিকে তখন তার জয়জয়কার! কিন্তু অত্যাচারী কিংবা অহংকারী যা'ই বলি না কেন, ভালো সময় তাদের জন্য ক্ষীন তো বটে। গভর্নরের পি.এ. কে আলি কেনান পছন্দ করতো না। তাই তার চাকরিচ্যুত করবার দারুণ ফন্দি আঁটতে ব্যস্ত কেনান। পরিকল্পনা করলো গভর্নর ঘুমালে প্রেসিডেন্টের ফোন এলে সেটা গভর্নর অবধি না পৌঁছাতে পারলে পি.এ. এর চাকরি নিশ্চিত যাবে। তেমনটাই হল। কিন্তু দেরিতে হলেও ফোনটা গভর্নর অবধি গেল। কথা হল প্রেসিডেন্টের সাথে। কথা শেষ হবার পর গভর্নর কড়া কন্ঠে জানতে চায় প্রেসিডেন্ট এর ফোন ধরতে এত দেরি হল কেন! প্রতুত্তর বয়ানে পি.এ সবকথা খুলে বলল। আর নিজের করা ফাঁদে নিজেই ফেঁসে গেলো আলি কেনান। গভর্নর কঠিন কন্ঠে চাকরিচ্যুত করলো আলি কেনানকে। গভর্নর অফিস থেকে বিতাড়িত হয়ে রাস্তায় নামতে হলো তার। আহত মনে কিছুটা নুইয়ে আসে আলি কেনানের দাপট। এত দ্রুত এই পতম সে দেখতে চায়নি, আশাও করেনি। ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টার অভিপ্রায় জাগাতে চায় সে। কারণ আলি কেনান দমে যাওয়া লোক ছিল না। ভাবতে থাকে নতুন ফন্দি, নতুন ধান্ধা। পরবর্তীতে একটি কবরকে কেন্দ্র করেই আলি কেনান দরবেশ জীবনে প্রবেশ করলো। জায়গাটার নাম ফুলতলি। সেখানেই আলি কেনান নিজের নতুন ঠিকানা করে নিল। সেখান থেকেই শুরু হয় আয়ের উৎস। ভক্ত বাড়ে, আশেক বাড়ে। দলে দলে লোক আসে বাবার দরবারে। রাতারাতি আলি কেনান হয়ে উঠে 'গরম দরবেশ' নামকরণে এক ঠকবাজ। আরবি আর ইসলামি শরিয়তের নিয়ম না জানা এই লোক সহজসরল মানুষের মাঝে বিশ্বাস জাগাতে নিজের আরবি শিক্ষার জরুরি মনে করে। অধিক বেতনে নিয়োগ দেয় হুজুর। তারপর কি হয়? শেষটা উহ্য থাকুক। গল্পের মূল বিষয়বস্তু কে সারমর্ম করলে এটাই প্রতিনিয়ত হয় যে " সত্য চিরন্তন আর মিথ্যার পরিনতি ভয়াবহ, সত্যের জয় অবশ্যম্ভাবী আর মিথ্যা দিয়ে গড়া রাজ্য কিংবা অর্জন করা আসন চিরস্থায়ী হয় না উপযুক্ত সময়ে হারাতে হয় এই অর্জন। ©জাহিদ জুয়েল ২৬ এপ্রিল, ২০২০
Was this review helpful to you?
or
বই: একজন আলি কেনানের উত্থান পতন লেখক: আহমদ ছফা লেখক সম্পর্কে আসলে আমার বলার কিছু নেই। প্রতিভাবান লেখনীতে বাংলাদেশ এর মাজার এর নীতি দুর্নীতি নিয়ে গল্পাকারে বাংলাদেশ এর সমাজের সত্যি তুলে ধরেছেন। এই বইয়ে আলি কেনান আমাদের সমাজের একজন সত্যিকার চরিত্রের কাল্পনিক রূপ। ক্ষমতা দুর্বৃত্তায়ন কিভাবে মানুষের কর্মের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে তাই খুঁজে পাবেন। বইটি খুবই প্রাঞ্জল ভাষায় লেখা। খুব জ্ঞানী না হলেও বইটির মধ্যে থাকা জ্ঞান নিতে খুব কষ্ট হবে না। কিন্তু মনের জানালা-দরজা খুলে পড়লে জ্ঞানটুকু ধারন করতে সুবিধা হবে। আলি কেনানের মতো একজন সাধারণ মানুষ কিভাবে ক্ষমতাবানের ছত্রছায়ায় প্রভাবশালী হয়ে উঠে তা দেখবেন একটি অংশে। আর মূল অংশে দেখবেন কিভাবে মাজার এর দরবেশ হয়ে উঠা যায়। আজ থেকে এত বছর আগে মাজার সম্পর্কে দুর্নীতি এত সুন্দর ভাবে লেখক তুলে ধরার পরেও আজও আমরা মাজারে যায়। বইটির প্রথম প্রকাশ ১৯৮৯। আমি বিশ্বাস করি এই বই পড়ছে এইরকম অনেকে এখনো মাজারে বিশ্বাস করে। আমরা পড়ি; জ্ঞান সংগ্ৰহ করি কিন্তু আমরা জ্ঞান ধারন করি খুব কম।
Was this review helpful to you?
or
একদিক দিয়ে দেখলে একেকটা মাজার অন্য দশটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের চাইতে আলাদা নয়। তফাৎ এতোটুকু যে অন্য ব্যবসায়ে মূলধন মারা যাওয়ার ঝঁকি আছে, মাজার ব্যবসায়ে তা নেই। মাজারে মানুষ আসবেই। মানুষ আসবে কারণ সে দুর্বল,অসহায় এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষী। পড়ছিলাম আহমদ ছফার উপন্যাস,“#একজন_আলি_কেনানের_উত্থান_পতন”। বছর খানেক আগে বই এর গ্রুপে লেখকের নাম প্রথম চোখে পড়ে। তারপর থেকে লেখকের অনেক প্রশংসা শুনি। প্রসংশা শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে একটা পদফ ডাওনলোড করে নিয়ে পড়তে বসি। বইটা ছিল লেখকের স্মৃতিকথা নিয়ে। অন্যের স্মৃতি কথা পড়তে ভালো লাগেনা কখনো। অবশ্য জাফর ইকবাল আর হুমায়ূন আহমেদ অন্য ব্যাপার। যাইহোক কয়েক পৃষ্ঠা পড়ার পর আর ধৈর্য্য ধরেনি। তাই অন্য বই নিয়ে বসি। ধরে নিয়েছিলাম রবিন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্রের মতো এই লেখকের বই আমার জন্য না। ইভ্যালি থেকে ফ্রি বই দিলে অনেকটা বাধ্য হয়েই লেখকের উপন্যাস সমগ্রটা নেওয়া। বুকসেল্ফ সাজানোর জন্য রেখে দেওয়া যাবে এই চিন্তা ছিল মনে। বইটি হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করতে গিয়ে একজন আলি কেনানের উত্থান - পতন উপন্যাসের প্রথম লাইনটা নজর কাড়ে। “দে তর বাপরে একটা ট্যাহা।” তারপর শুরু হয়ে যায় গল্প আর আমি মুগ্ধ হয়ে গিলতে থাকি। সিনেমা হলে যখন মুভিতে নায়ক এন্ট্রি নেয় তখন দর্শক যে ভাবে সিটি দিয়ে উঠে আমিও ইকটু পর পর সিটি দিয়ে উঠছিলাম। কেন উঠছিলাম কে জানে! গল্পটি একটি মাজারের জন্ম হয়ে উঠার। মাছ ধরতে যাওয়া আলি কেনান থেকে মন্ত্রীর পিয়ন থেকে পথের ফকির থেকে মাজারে দরবেশ হয়ে উঠার গল্প। গল্পটা আমার কাছে ইকটু বেশিই ভালো লেগেছে কারণ অসুস্থতার ফলে নিজ চোখে এমন বেশ কিছু মাজার দেখেছি। তাই মাজারে প্রতিটি চরিত্র ছিল আমার চেনা। বই এর কথা বাদ দিয়ে আমার গল্প বলি, আমি শেষ যে মাজারে গিয়েছিলাম সেটা গড়ে উঠেছিল একটা চেয়ারকে কেন্দ্র করে। টিনের বেড়া দেওয়া ঘরে বিশাল সাইজের চেয়ার। শুনেছিলাম লক্ষ টাকা দামের এই চেয়ারে জিন এসে বসে। দরবেশ সেই জিনের সাথে কথা বলে রোগীর জন্য ঔষধ নিয়ে আসে। সেখানে গিয়ে কিছু পরিচিত মানুষের সাথে দেখা হয়। তাদের থেকে জানতে পারি দরবেশের বউ তার রোগি ছিল। বাচ্চা হয়না এই কষ্ট নিয়ে দরবেশের কাছে এসে একেবারে বউ হয়ে যায়! প্রতিদিন দুপুরে সেখানে বিরিয়ানি রান্না হয়। ভক্তরা তৃপ্তি করে খায়। আমিও খেয়েছিলাম। চেটেপুটে। বিরিয়ানিতে ধোঁয়ার গন্ধ ছিল তবুও খেয়েছিলাম চেটেপুটে! না ঔষধ মনে করে খাইনি। সকালে কিছু না খেয়েই যেতে হয়েছিল তাই। এইসব মাজার আমি জীবনেও বিশ্বাস করিনা। তবু যাই কারণ মা-বাবা বিশ্বাস নিয়ে যায় হয়তো ছেলেটা এবার ভালো হয়ে যাবে। একটু আশা দেখে। সেই জন্যই যাই বার বার। যাইহোক আমার মনে হয় মাজারের দরকার আছে। অনেক খেতে না পাওয়া মানুষ পেট ভরে সেখানে খেতে পায়। এটাই কম কি! কে ফ্রিতে খেতে দেয় রোজ? হোক গঞ্জা খাওয়া আর নাচানাচি তবুও। বইটি পড়ে দেখবেন ভাল্লাগবে গেরান্টি। কিছুটা রম্য ও ছিল। হেসেছি,ভেবেছি, আলি কেনান এর বুদ্ধিতে মুগ্ধ হয়েছি। আমার রেটিং..... ৫/৫ এর পর আহমদ ছফার কোন বইখান পড়ব ?
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_পাঠক_সমাগম_বুক_রিভিউ_প্রতিযোগিতা পর্ব-১ মাস- জুলাই সপ্তাহ -তৃতীয় (২১-২৬ জুলাই) বই-একজন আলি কেনানের উত্থান পতন লেখক-আহমদ ছফা প্রকাশনী- খান ব্রাদার্স অ্যান্ড কোম্পানি মূল্য-১৫০টাকা।(বই এর পাতায়) পৃষ্ঠা-৭৯ প্রচ্ছদ -সমর মজুমদার। প্রথম প্রকাশ -২১শে ফেব্রুয়ারি ১৯৮৯ "দে তর বাপরে একটা ট্যাহা" বই এর শুরুতেই এ উক্তিটি বই পাঠে পাঠকের মনোগত মনযোগে কৌতুহল সৃষ্টি করবে! স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে এক শ্রেণির মানুষ মাজারকে ভিত্তি করে যে জমজমাট ব্যবসা করছে এ উপন্যাসে তার মুখোশ খুলে দিয়েছেন লেখক। পতনের তল থেকে উত্থানের সর্বোৎকৃষ্ট পদে আরোহণ করে,বার বার পতনের শেষ তলানিতে ছিটকে পরার গল্প "একজন আলি কেনানের উত্থান পতন " নিঃস্ব অবস্থায় সাহস, মনোবল,সৃজনীশক্তি,ভণ্ডামি, মিথ্যাচার কিছুক্ষেত্রে ভাগ্যবলে মানুষ নিজেকে কতটা শক্তিশালীতে রূপান্তরিত করতে পারে,আবার অতি দাম্ভিকতা,অহংকার,ক্ষমতার দ্বন্দ্ব,অন্যের ক্ষতি,নারীর লোভ কিভাবে সাম্রাজ্য নিমিষে ধুলোয় মিশিয়ে দেয় তা আমরা এ উপন্যাস পড়ে জানতে পারবো। "কাল এ তোষকের তলায় থরে থরে সাজানো ছিল টাকার বাণ্ডিল। আজ কিচ্ছু নেই।সব হাওয়া।"- বইয়ের শেষ পাতায় এ চিত্র পেলেও শুরু থেকে উত্থান আর পতনের গোলকধাঁধায় উপন্যাসটি সহজেই পাঠককে সাহস যোগান দেবে,আর পাপে পতন হবেই যতোই শক্তিধর হোক না কেন এ শিক্ষা ও পাঠক উপলব্ধি করতে পারবে। অশ্লীল বাক্যবাণ ছাড়া উপন্যাসটি এক কথায় অসাধারণ!একাত্তর থেকে পঁচাত্তর এর খন্ড চিত্র ও অনুভব করা যায়।ভালো লাগবে সবার আশা করি। শিরিন আক্তার আইভি
Was this review helpful to you?
or
রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_জুলাই বইয়ের নাম: একজন আলী কেনানের উথ্থান পতন লেখক: আহমদ ছফা প্রকাশক: খান ব্রাদার্স এন্ড কোম্পানি ধরন: চিরায়ত উপন্যাস স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে এক শ্রেণীর মানুষ মাজারকে ভিত্তি করে যে জমজমাট ব্যবসা করেছে, এই উপন্যাসে লেখক সেসব ব্যবসায়ীদের মুখোশ উন্মোচন করেছেন। গল্পের প্রধান চরিত্র আলী কেনান তো একসময় চিৎকার করে বলে, আমার কাছে যতো টাকা আছে, শেখ মুজিবের ব্যাংকে ও এতো টাকা নাই! এতো টাকা একজন সাধারণ মানুষ কিভাবে পেলো, তার বিস্তর কাহিনী লেখক বর্ণনা করেছেন। পূর্ব বাংলার গভর্নরকে সলিল সমাধি হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে আলী কেনান এবং তার তিন ভাই। সেই থেকে গভর্নরের খাস লোকে পরিণত হয় আলী কেনান। গভর্নর ও তাকে যথাযথ আদর-আপ্যায়ন করতেন, আলী কেনান গভর্নরের বাসভবনে থাকা শুরু করে। গভর্নরের সাথে দেখা কররা জন্য আলী কেনানের কাছ থেকে 'পাস' নিতে হতো। এরকম দাপট ছিলো আলী কেনানের। একটা ভুলের জন্য সেই গভর্নর আলী কেনানকে গভর্নর হাউজ থেকে লাত্থি মেরে তাড়িয়ে দেন। ঐদিকে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আলী কেনান তার এলাকায় একাই আধিপত্য বিস্তার করেছিলো। ক্ষমতাচ্যুত হবার পর কিভাবে সে তার এলাকায় ফিরে যাবে সেটার ব্যাখ্যা লেখক এভাবে দিয়েছেন, "আলী কেনান যে মায়ের পেটে ন' মাস ছিলো সেখানে যেমন ফিরে যেতে পারেনা, তেমনি পারেনা ভোলার তামাপুকুর গ্রামে ফিরে যেতে ।" গভর্নর হাউজ থেকে বহিষ্কৃত হবার কয়েকদিন পর আলী কেনান ভিক্ষা শুরু করে। এটাকে অবশ্য ভিক্ষা বলা যায়না, চাঁদাবাজি বলা যায়। ভিখিরিরা সাধারণত ভিক্ষাদাতাকে 'বাবা' বলে সম্ভোধন করে। কিন্ত আলী কেনান নিজেকে বাবা বলে সম্ভোধন করে বলে, "দে, তর বাপরে একটা ট্যাহা দে।" বলার ভঙ্গিতে নেই অনুরোধ, আছে আদেশের ঝাঁজ। এভাবে প্রথমদিনই সে তেরো টাকা সংগ্রহ করে ফেললো। ভিক্ষাবৃত্তি শেষে কেনান আলী লাল সালুর একটা লুঙ্গি এবং একটা আজানুলম্বিত আলখাল্লা বানিয়ে মাজার ব্যবসা শুরু করে। একটা কুকুরছানাকে রঙ্গ মাখিয়ে, গলায় ঘন্টা লাগিয়ে দোকানে দোকানে গিয়ে চাঁদা চাওয়া শুরু করে। দোকানদাররাও টাকা দিতে মানা করেনা। কেনান আলী একটাকার কম টাকা নেয়না। মাজারে প্রতি বৃহস্পতিবারে গান-বাজনা হয়। গানের আসরে কেবল নিম্নবিত্ত মানুষ নয়, আস্তে আস্তে উচ্চবিত্তের মানুষজন ও আসা শুরু করে। লেখকের ভাষায়, গানের রস না থাকলে মাজারগুলো মরুভূমি হয়ে যেতো। সেখানে মানুষ যাওয়ার কোনো প্রয়োজনই দেখা দিতো না। অন্য ব্যবসায়ের মূলধন মারা যাওয়ার ঝুঁকি আছে, মাজার ব্যবসায় তা নেই। মাজারে মানুষ আসবে, কারণ সে দূর্বল অসহায় এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষী। মাজারের পাশের রসগোল্লা, জিলিপি, আগরবাতি একই দ্রব্য কতবার যে বিক্রি হয় তার কোনো হিসবে নেই। আলী কেনানের প্রভাভ প্রতিপত্তি এতোটাই বেড়ে যায় যে, ব্রিটিশ টেলিভিশনের কোনো এক চ্যানেল আলী কেনানকে নিয়ে একটা ডকুমেন্টারি করে। এই সংবাদ যেদিন জানা গেল, আলী কেনানের গলার জড়ির মালাটি চল্লিশ হাজার টাকা মূল্যে নিলাম হয়ে গেল। এইরকম উত্থাপনের পর আলী কেনানের সব প্রভাব প্রতিপত্তি ধুপ করেই পতন হলো। সেই কাহিনী জানার জন্য হলেও বইটা পড়ুন, এই টুইস্টটা রেখে দিলাম। পুনশ্চ : আমাদের সমাজে এখনো শত শত আলী কেনান আছে। এইসব আলী কেনানদের মুখোশ উন্মোচন করার চেষ্টা করতে পারি জনসচেতনতার মাধ্যমে। আলী কেনানদের ভন্ডামী ধরিয়ে দেয়ার মাধ্যমে।
Was this review helpful to you?
or
ভাগ্য ভালো হলে মানুষের উত্থান হতে পারে সহজেই। আবার সেখান থেকে দৈব দুর্বিপাকে নিচে পরে যাওয়াও অসম্ভব কিছু না। আলি কেনানের ক্ষেত্রেও হয়েছে তাই। ভাগ্যগুণে বাংলার গভর্নরের খাস পিয়ন থেকে তাঁর পদচ্যুতি। কিন্তু ভাগ্যের সাথে আর কয়েকটি জিনিস থাকলে আমাদের নিজের জীবন আমরা নিজেরা গড়তে পারি। তা হলো আত্মপ্রত্যয়, আত্মবিশ্বাস এবং গুঢ় বাস্তব বুদ্ধি। আলি কেনানের তা সবই ছিল। তাই আলি কেনান থেমে থাকলো না। এক পরিত্যাক্ত কবরকে কেন্দ্র করে আলি কেনানের দ্বিতীয় উত্থান। ধীরে ধীরে সে 'বাবা' হয়ে উঠলো। ধর্ম, সাধন কোন মার্গেই কোন জ্ঞান না থাকা সত্ত্বেও কেবল বুদ্ধির জোরে তাঁর এই উত্থান। কখনও পতনের প্রান্তে গিয়ে সামলে নিয়েছে। লেখক খুব চাতুরির সাহায্যে আলি কেনানের সাথে শেখ মুজিবকে সমান্তরালে উপস্থাপন করেছেন। ক্ষেত্র বিশেষে তিনি আলি কেনান এবং মুজিবের মধ্যে এক রকম তুলনাই করেছেন। সোহরাওয়ার্দির কাছের মানুষ থেকে মুজিবের যাত্রা এবং পরবর্তীতে এলমেলো সময়ে তাঁর জনপ্রিয় নেতা হয়ে ওঠার সাথে আলি কেনানের সাদৃশ্য দেখা যায়। মুজিবের যেমন কিছু শিষ্য ছিল, তেমন ছিল আলি কেনানের। এমনকি উভয়ের পতনের সময় তাঁরা ছিলেন নিঃসঙ্গ। মূলত আহমদ ছফার এই উপন্যাস আমাদের ধর্মভিত্তিক মানসিকতা, মাজার সংস্কৃতি, ক্ষমতার লোভ প্রভৃতি বিষয়কে সামনে রেখে একটি রাজনৈতিক ইতিহাসের রুপক পরিস্থিতি তুলে ধরেছে। লেখকের মুনশিয়ানা ঈর্ষাযোগ্য।
Was this review helpful to you?
or
an excellent tale of a life build with false things. i think its a critic and one of the best critic novel in bangladesh.