User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বইটি বাস্তব জীবনের সঙ্গে মিল রেখে সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে। বইটিতে সহজ ব্যাখ্যা দেওয়া আছে। সবার জন্য অনেক ভালো হবে।
Was this review helpful to you?
or
আত্মউন্নয়নমূলক বই হিসেবে বেস্ট একটা বই।
Was this review helpful to you?
or
বইটি পড়ে জানতে পারলাম কীভাবে , কি কৌশলে সঠিক উপায়ে ক্যারিয়ার গড়ে তোলার দিকনির্দেশনা পাবো।আত্মউন্নয়নমূলক খুবই সুন্দর একটি বই। ভালো লাগলো বইটি পড়ে।
Was this review helpful to you?
or
আমার কাছে বইটি পড়ে খুব ভালো লাগছে।
Was this review helpful to you?
or
সহায়ক একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
এটি একটি অসাধারণ বই। বইটি সবার পড়া উচিত বিশেষ করে যারা শিক্ষার্থী আছেন তাদের। মোটিভেশনাল বইয়ের মধ্যে সেরা একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
আত্ন উন্নয়ন ও মোটিভেশন মুলক একটি বই।বইটি পড়ে অনেক ভালো লেগেছে।ভালো মানের একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
বই টি পাঠ করে জীবন পরিবর্তন হয়ে গেলো।নিজেকে সফল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে বইটির বিকল্প নেই।
Was this review helpful to you?
or
সাধারণত আমরা যখন একটা বই পড়ি। যতই ভাল লাগুক। বইটা পড়ার পর সে বই নিয়ে আর কোনো কাজ থাকে না। কিন্তু এই বইটি পড়ার পর আপনার আসল কাজ শুরু হবে। সেটা হলো নিজেকে গড়ার। বিশেষ করে নিজের জীবন কাজের ছোট ছোট অনেক ভুল ভ্রান্তি শুধরে নিতে বইটি পথ দেখাবে।
Was this review helpful to you?
or
আমার মনে ছাত্র ও বেকারদের জন্য বইটি পাঠ্য করে দেয়া উচিত। সারা জীবন লেখাপড়া করে যা শিখবেন তারচেয়ে বেশী কিছু আছে এই বইতে। একটি বই যদি জীবন সম্পর্কে আপনার ধারণা বদলে দিতে পারে তাহলে সেটা অনেক বেশী কিছু নয় কি?
Was this review helpful to you?
or
এই বই পড়ে এত ভাল লাগল যে, আমি গুগলে এই লেখক সম্পর্কে সার্চ দিলাম। তার জীবন কাহিনী এতটাই চ্যালেঞ্জের জেনে খুব অনুপ্রাণীত হলাম।
Was this review helpful to you?
or
ভেজালের ভীড়ে আসল পণ্য কেনার যে তৃপ্তি। ফাঁকি ঝুঁকির ভীড়ে একটা বই কিনে জিতে যাওয়ার আনন্দ পাবেন। প্রথমত, ভাল লাগবে বিষয়বস্তু ও তার বিন্যাস দেখে। দ্বিতীয়ত ভালো লাগবে- ৩৫ টি অধ্যায়ের আলোচনা থেকে। এত ছোট একটা বইতে ৩৫ টি বিষয় আলোচনা করা হয়েছে। মনে হবে সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছি। লেখক মনে হয় ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে ভেবে দেখেননি। তা হালে এটাকে ৩ থেকে ৫টা বই বানাতে পারতেন। যাই হোক আমার ভাল লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
এই বইটি আমি একটি অনুষ্ঠানে উপহার পেয়েছি। অনেকদিন প্যাকেটই খুলিনি। ভাবলাম কিছু ফেসবুক সেলিব্রেটির মতো একগাদা উপদেশ দিয়ে ভরিয়ে রেখেছে। উপদেশ দেয়াতো আমাদের দেশে খুব সহজ। লকডাউনের ভিতরে বইটি পড়ে আমি অবাক হয়েছি। যে ভাবনা আমরা অনেকে এখনো ভাবছিনা। সে ভাবনাগুলো এখানে উঠে এসেছে।
Was this review helpful to you?
or
গুগল আর ইউটিউব সার্চ করে মোটিভেশনালা বই লেখার এই যুগে একটা মৌলিক বই পড়লাম। যারা আরো অন্যান্য আত্মগঠনমূলক বই পড়েছেন। তারা জনপ্রিয় লেখকদের বইয়ের সাথে এই বইটি তুলনা করলে বুঝতে পারবেন। বইটি কতটা সমৃদ্ধ।
Was this review helpful to you?
or
আমরা অনেকে ভাবি, ‘‘আমার দ্বারা কিছুই হবে না।’’ এই ভাবনাটা আসলে কোথা থেকে আসে এবং কেন আসে? আর এর সমাধান কি? এই প্রশ্নের উত্তর ১০০ ভাগ মিলবে এই বই থেকে। আমি অন্তত এক কথায় এইটুকু জেনেছি। আপনারা যদি আরো বেশী জানতে পারেন। তাহলে সেটা আপনার জন্য বাড়তি পাওনা।
Was this review helpful to you?
or
কিছু চেনা মুখ ঈদানিং মোটিভেশনাল বই লেখা শুরু করেছে। কেউ কেউ নিজেকের বক্তৃতার ভিডিও থেকে বই বানাচ্ছে। একই বিষয় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কয়েকটা বই বানাচ্ছে। সেসব ‘‘জনপ্রিয়’’ ব্যক্তিদের ২/১টা বই পড়ে বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। বইটি পড়ার পর সিদ্ধান্ত নিলাম। সেলিব্রেটিদের ভীড়ে প্রকৃত আলোর দিশারীদের চিনতে আমরা ভুল করছি। আমি লেখকের সব বই পড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।
Was this review helpful to you?
or
আমি গল্পের বই ছাড়া অন্য বই পড়তে পারতাম না। মানে নিরস আর বিনোদনহীন মনে হতো। বিশেষ করে ননফিকশন বইসমূহতো স্কুলের পাঠ্য বইয়ের মতো নিরস মনে হতো। এই বই পড়ার আমার ধারণা এবং রুচি দুটোই বদলে গেছে। এই বইতে এমন কিছু জেনেছি। যা আমার আরো আগে জানা উচিত ছিল।
Was this review helpful to you?
or
আত্ম উন্নয়নমূলক বই।অনেক নির্দেশনা পেলাম।
Was this review helpful to you?
or
"নিজেকে গড়ে তুলতে " একটি মোটিভেশনাল বই। পড়ে ভালোই লাগল৷ ☺
Was this review helpful to you?
or
ভালো একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
“কথার কথা নয়, কাজের কথা। লেখাপড়া ও শিক্ষা- দুটো কি একই জিনিস? আমার কাছে অন্তত দুটোর ভিন্ন অর্থ রয়েছে। আমরা মূলত লেখাপড়া বলতে প্রথাগত শিক্ষাকে বুঝি, যা আমরা বিদ্যালয় থেকে গ্রহণ করি। আজকাল প্রাইভেট টিউশন থেকেও পাই। পেয়ে থাকি পাঠ্যপুস্তক থেকেও। পাঠ্যপুস্তকের লেখাপড়া আমরা শুরু করি অ আ ক খ দিয়ে, যা আর কখনো শেষ হয় না। সেই ২৬, ২৯ কিংবা ৫০টি অক্ষরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকি বিদ্যালয়ের শেষ দিন পর্যন্ত বা তার পরেও। এই যে অক্ষরজ্ঞান, একে আমরা লেখাপড়া বলছি। এই অক্ষর তো আদতে কোনো জ্ঞান নয়। এটা জ্ঞান ধারণ, সংরক্ষণ কিংবা বিনিময়ের মাধ্যম বটে। এই অক্ষরের মাধ্যমে আমরা তথ্য সংরক্ষণ করছি, চিন্তার বিনিময় করছি, ইতিহাস ধরে রাখছি এবং সেটা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে হাতবদল করছি। প্রাথমিকভাবে এই পড়ালেখার দুটো রূপ আমরা পেলাম। প্রথমত অক্ষরজ্ঞান; দ্বিতীয়ত তথ্য, চিন্তা বা ইতিহাস। সরাসরি অক্ষরজ্ঞান আমাদের কাজে লাগে না। যখনই জ্ঞানের বাহন কিংবা প্রতিরূপ হয়, তখনই জ্ঞানকে অক্ষরের মাধ্যমে প্রকাশ করি। তা হলে তথ্য ইতিহাস কিংবা চিন্তা সেটা কি কোনো কাজে লাগে? প্রত্যক্ষভাবে নয়। কারণ এর দ্বারা আপনি-আমরা সরাসরি কোনো উপকার পাই না। পরোক্ষভাবে এগুলো আমাদের জীবনের অংশ। লেখাপড়ার যে অংশ কাজে লাগে সেটাকে আমরা পড়াশোনা বলি। একেবারে পাঠ্যপুস্তকের বাইরে তা রয়েছে। যেমন দৈনিক কোনো তথ্য, অফিসের কাজ, খবরের কাগজ, গবেষণা কিংবা জীবনমুখী কোনো বিষয়। যেমন এই বইটি। ভালো ফল অর্জনকারী বা বেশি ক্লাস পড়া লোককে বলি ‘লোকটার লেখাপড়া আছে।’ আবার যারা পরীক্ষায় পাসের বাইরে কোনো বিদ্যায় আগ্রহী নয়। লোকে বলে ‘লোকটার পড়াশোনা নেই’। এই শব্দচয়ন কিতাবি ধারা থেকে আসা নয় বরং মৌখিক প্রচলন, তাই এমন বিশেষণ সব সময় একরকম নাও হতে পারে। তা হলে শিক্ষা কী? শিক্ষাই হচ্ছে আমাদের একান্ত মৌলিক ও প্রয়োজনীয় জিনিস। যেমন একজন কৃষক- তিনি চাষাবাদের আদ্যোপান্ত সব জানেন, একজন শ্রমিক তার নিজের কাজটা বোঝেন, একজন কামার লোহা সম্পর্কে অনেক জ্ঞান রাখেন, একজন তাঁতি কাপড় বোনার কত কিছুই-না জানেন। এটাই হলো শিক্ষা। এই শিক্ষা কদাচিৎই পাঠ্যপুস্তক কিংবা বইয়ের পাতায় থাকে। আর যা থাকে তা ওই কৃষকের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে লিখা হয়েছে। লিখা জ্ঞান দিয়ে জ্ঞানের পূর্ণতা পায় না, যতক্ষণ না তা বাস্তবতা থেকে আসে। তা হলে লেখাপড়া হলো আনুষ্ঠানিক অক্ষরজ্ঞান, প্রচলিত অর্থে পড়াশোনা হলো যাবতীয় আক্ষরিক জ্ঞান, আর শিক্ষা হলো জীবন থেকে নেয়া জ্ঞান। প্রশ্ন হলো, শুধুমাত্র অক্ষরজ্ঞান নেই বলে একজন কৃষক কিংবা শ্রমিককে কিংবা একজন রিকশাওয়ালাকে আমরা অশিক্ষিত বলছি কেন? তিনি তো একজন শিক্ষিত লোক এবং তার কাজটা তিনি বেশ ভালোভাবে শিখেছেন এবং সেটা তিনি দক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করতে পারেন। তা হলে তাকে অক্ষরজ্ঞানহীন না বলে আমরা অশিক্ষিত বলছি। এটা কি তার প্রতি অন্যায় নয়? যিনি চাষ করেন, যিনি রান্না করেন, যিনি সন্তান লালন-পালন করেন, যিনি ঘর বানান তিনি তো সে-কাজে শিক্ষিত। আর বাদবাকি একাডেমিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষিত লোকেরা কিছু অক্ষর তৈরি করে সেই কৃষক, যিনি রোপণ কাজে শিক্ষিত, সেই জেলে, যিনি মাছ ধরার পারঙ্গম, সেই মাঝি, যিনি নৌকা চালনায় দক্ষ; তাকে আমরা অশিক্ষিত বলছে। আসলে কি তিনি অশিক্ষিত? আমরা যাদের শিক্ষিত বলছি, তারা কারা? তারা হয়তো বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত ডিগ্রিধারী, তারা হয়তো প্রচলিত ভাষায় বিএ পাস, ম্যাট্রিক পাস, সেভেন পাস বা ফাইভ পাস। এদেরকে আমরা শিক্ষিত বলে লিখিত দিয়ে থাকি। যদিও বাস্তবতা হলো এই শিক্ষা থেকে তারা জীবনের জন্য কিছুই শিখছেন না। না তারা এই শিক্ষা দিয়ে বীজ বপন করতে পারেন, না তারা কুমোরের মতো মাটির পাতিল বানাতে পারেন, না তারা একজন পল্লিবধূর মতো নকশি রুমাল কিংবা শীতলপাটি বানাতে পারেন। জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো তারা এই শিক্ষায় পান না। কাজেই এটা জীবনমুখী শিক্ষা নয়। যদি তারা মূল্যবোধ শিখেন তা হলে অন্তত একটা কাজে লাগে। যদি তারা হার্ড বা সফট স্কিল, জীবনধারা কিংবা মূল্যবোধ, কৌশল কিংবা প্রকৌশল কোনোটাই না শিখেন তা হলে এটা কেবল অক্ষরজ্ঞান এবং কোনোভাবেই পরিপূর্ণ শিক্ষা নয়। অবশ্য কেউ কেউ আলাদা হয়ে থাকেন, যারা পাঠক্রম বা সিলেবাসের বাইরেও কিছু শিখে নিজেদের সমৃদ্ধ করতে জানেন। আবার কেউ যদি জীবনমুখী শিক্ষা বা ভোকেশনাল এডুকেশন সঠিকভাবে হাতে-কলমে গ্রহণ করেন সেক্ষেত্রে বিষয়টা আলাদা। তা হলে কি অক্ষরজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার প্রয়োজন নেই? অবশ্যই আছে। কিন্তু বাস্তবমুখী শিক্ষাকে বাদ দিয়ে শুধু অক্ষরজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাকে বিদ্যা বলে চালিয়ে দিয়ে আমরা ঠিক কী বোঝাতে চাই? একসময় রাজ-রাজড়ারা তাদের ইতিহাস লিখে রাখতেন। কখনো-বা তাদের ফরমান পাঠানো হতো অন্য রাজা কিংবা অধীনস্থদের কাছে। এজন্য যেমন লিপিবিদ্যার প্রয়োজন হতো তেমনি প্রয়োজন হতো লিপিকারের। এভাবে চাকরিজীবী একটা শ্রেণির উদ্ভব হয়, যারা লিপিকার বা কেরানি। ব্রিটিশ আমল পর্যন্ত তাদের খুব চাহিদা ছিল। তাই শিক্ষাব্যবস্থা ব্রিটিশ আমলে এমনভাবে গড়ে উঠেছে, যাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সে ধরনের কিছু কর্মী বেরিয়ে আসে। বাস্তবতা হলো এ ধরনের কর্মীর প্রয়োজন এখন ফুরিয়ে গেছে। এই শতাব্দীতে এদের কোনো কাজ নেই। তাই বলে কাজগুলো কিন্তু বিলুপ্ত হয়নি। কাজগুলো করছে হুকুম পালনকারী কর্মচারীরা নয় বরং আধিকারিক কর্তারা এবং সেটা দায়িত্ব নিয়ে। বর্তমানে প্রাইভেট অফিসে কম্পিউটার অপারেটর বলে কোনো পোস্ট নেই। এটা বিলুপ্ত হয়ে গেছে। অফিসে লেখার কাজ তিনি করে থাকেন যিনি যা লিখেন। এর জন্য আলাদা লোক নেই। ব্যবস্থাপনা, বিপণন, মানবসম্পদ, গণযোগাযোগ, সরবরাহ সেল প্রতিটি ক্ষেত্রে মূলত থাকে একজন অফিস বা বিজনেস লিডার আর তার অধীনে কিছু দায়িত্ববান কর্মী। যাদেরকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হয়। যে কাজটি তারা করেন, সে কাজটি তাদেরকে ভালোভাবে জানতে হয়। প্রয়োজনে কাজের তথ্যসমূহ দলিল সংরক্ষণের জন্য লিখে রাখতে হয়। আর সেজন্যই অক্ষরজ্ঞান প্রয়োজন। আমরা যারা প্রচলিত স্কুল-মাদরাসা কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা গ্রহণ করি, এই শিক্ষা থেকে আমরা অক্ষরজ্ঞান পাই ঠিকই। কিন্তু এই শিক্ষা থেকে কি আমরা কিছু শিক্ষা পাই বা শিখতে পারি? সেটা হতে পারে দপ্তরে নেতৃত্ব দেয়া, হতে পারে ব্যবস্থাপনা, পরিকল্পনা, হিসাবরক্ষণ, বিক্রয়, পরিবহন কিংবা অন্য কোনো কাজ। এগুলো ভোকেশনাল শিক্ষার বাইরে। সাধারণত আমরা যদি তথ্যপ্রযুক্তির কাজ, চিকিৎসাবিদ্যা, প্রকৌশল, হিসাববিদ্যার মতো এমন কোনো পেশাগত ও টেকনিক্যাল কাজে দক্ষ না হই, আমরা যদি ডাক্তার, আইনজীবী বা সাংবাদিক এমন কোনো স্বাধীন ও কুশলী পেশাজীবী না হই তা হলে আমাদের সত্যি একটা কাজ জানা চাই। তা না হলে আসলে আমার করার মতো কিছুই থাকবে না, সেটা অফিস কিংবা বাড়িতে। অনেকে ইংরেজি জানা, কম্পিউটার অপারেট করতে জানা, তৃতীয় ভাষা জানা, ইন্টারনেটে দক্ষতা এসবকে কাজ জানা বলেন। বস্তুতপক্ষে এগুলোও কাজ বা জ্ঞানের শাখা নয়। এগুলো কাজ করা এবং জ্ঞান অর্জনের মাধ্যম মাত্র। মূল কাজ না জানলে এগুলো আপনি কোনো কাজে লাগাতে পারবেন না। টাইপ না জানলে আপনি কম্পোজ করতে পারবেন না। আপনি একাউন্ট সম্পর্কে ধারণা না রাখলে কম্পিউটারে হিসাব সংরক্ষণ করতে পারবেন না। আপনি ভালো বক্তা না হলে ভালো ইংরেজি জানলেও সেটা প্রকাশ করতে পারবেন না। তা হলে বিষয়টা দাঁড়াল এমন যে, আপনি যদি নেতৃত্ব দিতে জানেন বা দায়িত্ব নিতে জানেন তা হলে ভাষা বা প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবেন আপনার কাজে। আপনি যদি টিম ম্যানেজমেন্ট ভালো বোঝেন, তা হলে হয়তো অর্জিত জ্ঞান বা হাতের কাছে থাকা টুলকে আপনি ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু আপনি যদি মূল কাজটা না জানেন, তা হলে বাড়তি যোগ্যতাগুলো আপনি হয়তো ব্যবহারই করতে পারবেন না। যেমন আপনার মধ্যে যদি সৃজনশীলতা না থাকে তা হলে আপনি গ্রাফিক্স-এর কাজ জেনেও সুন্দর একটি ডিজাইন তৈরি করতে পারবেন না। এই উপলব্ধিগুলো এখনো আমাদের সমাজে আসেনি। আমাদের ধারণা, আমরা পাস করে বের হব আর একটা চাকরি করব। কী চাকরি করব? নিয়োগকর্তা আমাকে কেন নেবে? কেন মাস শেষে বেতন দেবে? এই বিষয়গুলো মোটেই ভাবি না। এমনকি কে কোন সেক্টরে চাকরি করব সেটাও ঠিক করা নেই। বেশিরভাগ সময় বলি যেকোনো একটা চাকরি হলে হবে। এর মানে কিন্তু নেতিবাচক। কারণ একথা শোনার পর নিয়োগকর্তা বুঝতে পারেন, প্রার্থীর জীবনের লক্ষ্য ঠিক নেই এবং প্রার্থী কাজ পাওয়ার জন্য প্রস্তুত নয়। যদি প্রস্তুত হতো, তা হলে তিনি নিশ্চয় একটা নির্দিষ্ট কাজ ভালোভাবে জেনে নিতেন এবং তিনি যে কাজটি খুব ভালো পারেন সে কাজটিই তিনি পাওয়ার চেষ্টা করতেন। তথাকথিত ‘যেকোনো একটি কাজ’ খুঁজে বেড়াতেন না। এছাড়া আমরা অনেক সময় কেবল যোগ্যতা অর্জনের কথা ভাবি। কিন্তু আমাদের মাঝে অনেক ভুল ত্রুটি এমনভাবে বাসা বেঁধে থাকে যে, সেসব সমস্যা দোষ বা ভুলের কারণে আমরা আমাদের যোগ্যতাকে কাজে লাগাতে পারি না বরং অযোগ্যতার আস্ফালনে জীবনযাত্রার মহাসড়ক থেকে ছিটকে পড়ি। এমন ঘটনা প্রায়শই ঘটে থাকে।”
Was this review helpful to you?
or
বইটির লেখা খুব সাবলিল। নিরস লেখাও এত সুখপাঠ্য হতে পারে জানা ছিলনা। লেখার ভঙ্গি লেখকের নিজস্ব। প্রতিটি চ্যাপ্টারে রয়েছে সাবহেড। ছোট ছোট ভাগে বইটি এমনভাবে লেখা হয়েছে। ৩৫ হাজার শব্দের গাঁথুনি পড়েও ক্লান্ত মনে হয়না। প্রতিটি লাইনে জীবন গঠন করার উপাদান রয়েছে। খুব কম বইতে এরকম সুনির্দিষ্ঠ নির্দেশনা থাকতে দেখেছি। বইটির সাফল্য কামনা করছি।
Was this review helpful to you?
or
আমরা দেখি অনেক লেখক বইয়ের দাম বাড়িয়ে লাভ বাড়ানোর জন্য বইতে ফন্ট ছোট করে, লাইন স্পেস বেশী দিয়ে, মার্জিন বড়ো করে। ১০০ পৃষ্ঠার বইকে ২০০ পৃষ্ঠা বানিয়ে পয়সা বানানোর ধান্ধা করেন। এই বইটি তার ব্যতিক্রম। বলা যায় ৫টি চ্যাপ্টার থাকলেও এই বইটি কিনলে পোষাতো। বিশেষ করে প্রথম অধ্যায়ের ৫টি চ্যাপ্টার।
Was this review helpful to you?
or
নিজেকে গড়ে তুলতে একটি জীবনমুখি লেখার সংকলন।
Was this review helpful to you?
or
এটি অমর একুশে গ্রন্থমেলা 2018-এর একটি বেস্ট সেলার বই।
Was this review helpful to you?
or
কর্ম ও জ্ঞান একটা আরেকটার পরিপূরক। সবসময় কিছু মানুষ থাকেন, যারা কর্মকে ধ্যান-জ্ঞান মনে করেন। এধরনের লােকেরা জাগতিক বিষয়-আশয়কে এবং কোনাে কোনাে ক্ষেত্রে অর্থলাভকে বড় করে দেখেন। জ্ঞানচর্চাকারীদের চোখে তারা কিছুটা পার্থিব হয়ে থাকেন। তারা হতাশার চোখে ওদেরকে দেখেন। আবার কিছু মানুষ কর্মহীন জ্ঞানচর্চায় মত্ত থাকে। এরা মানুষের জাগিক কাজকে গৌণ করে দেখেন। এতে করে নিজেরা অর্থকষ্টে ভুগেও মানসিক প্রশান্তি লাভ করেন এবং যারা দুনিয়ার পেছনে ছুটছে তাদের দিকে কিছুটা করুণার চোখে তাকান। এই দুই ধরনের মানুষের জন্য এই বই। সে কর্মবীরকে শ্রদ্ধা, যিনি কাজের পাশাপাশি পারিপার্শ্বিক বিষয়েও জ্ঞান রাখেন। সে জ্ঞানকর্মীকেও শ্রদ্ধা, যিনি জ্ঞানচর্চা করে পরিবার-পরিজন এবং নিজের প্রতি দায়িত্বের কথা ভুলে যাননি। নিজেকে তৈরি করার জন্য জ্ঞানভিত্তিক বিদ্যাচর্চার সাথে সাথে কিছু একটা কাজ করে জীবিকা নির্বাহের জন্য অর্থাৎ জীবন ও জীবিকার জন্য তৈরি হওয়ার তাগিদ রয়েছে। তাই বলে স্বার্থের বেড়াজালে বন্দি হতে বলা হয়নি। সামাজিকতা, মানবিক মূল্যবােধ, শিষ্ঠাচার, পরিবারের প্রতি দায়িত্ব ইত্যাদিও আলােকপাত করা হয়েছে। শুধু কাজ আর জ্ঞান কিংবা সামাজিক দায়িত্ব নয়, নিজের প্রতি খেয়াল রাখার প্রতি তাগিদও দেয়া হয়েছে। মানসিক স্বাস্থ্য, খাবার, ব্যায়াম, ঘুম ইত্যাদি নানা বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। কারণ এগুলাের সবই আমাদের জীবনের অংশ। কোনােটাকে বাদ দিয়ে জীবন পূর্ণ হতে পারে না। চাকরিপ্রার্থী কিংবা উদ্যোক্তা, পেশাজীবী কিংবা স্বাধীন কর্মী- সকলের জন্যই কিছু ভিন্ন ভিন্ন ও সুনির্দিষ্ট পরামর্শের পাশাপাশি এই বইয়ে রয়েছে সাধারণ কিছু বিবেচ্য বিষয়ও।
Was this review helpful to you?
or
শুধু কি করতে হবে তা নয় এই বই বলে দেবে কিভাবে করতে হবে??? জীবন সংসারে আমরা সর্বদা নানা উপদেশ পাই, সৎ হতে হবে, ইতিবাচক হতে, আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। কিভাবে ইতিবাচক কিংবা আত্মবিশ্বাসী হবো সে পথ খুব কম সূত্র থেকে মেলে। বিশেষ করে যখন জগৎ সংসারে ব্যর্থতার গ্লানি ও হতাশার কালোছায়া আছড়ে পড়ে। তখন দিশা পাওয়া প্রয়োজন অথবা আগে থেকেই নিজেকে গড়ে তোলা প্রয়োজন জীবন সংসারের উপযোগী করে। এই বই সেদিক থেকে একটা আশার ঝলক কিংবা দিশারী হতে পারে। জাহাঙ্গীর আলম শোভন জীবনমুখী লেখনীতে তার একটি বিশেষ নাম। জীবনগঠনমুলক আলোচনায় তাকে স্বরুপে পাওয়া যায়। কিনলেজবস-সহ বেশকিছু সাইটে জাহাঙ্গীর আলম শোভনের জীবনমূখী লেখাসমূহ রয়েছে। তার লেখায় জীবন ও জগতের যে নির্ভেজাল বাস্তবতা ফুটে উঠে সেটা পাঠককে তার করনীয় সম্পর্কে সজাগ করে তোলে। এসব লেখা বাস্তব জীবন সম্পর্কে অগ্রিম বার্তা পৌঁছে দিতে ভূমিকা রাখছে। পাঠক অফেক্ষায় থাকেন লেখকের ক্যারিয়ার ও আত্ম উন্নয়ন মূলক লেখা সমূহ পাঠ করার। মূলত পাঠকদের আগ্রহ এবং অনুপ্রেরণার কারণেই এই উদ্যোগ। এর কিছু লেখা পাঠকরা অনলাইনে আগেই পাঠ করে নিয়েছেন তবুও নতুন আঙ্গিকে অনেকটা পরিমার্জিত হয়ে বই আকারে লেখাগুলো পাঠকের হাতে তুলে দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। আপনাদের সুন্দর জীবন কামনায়- সোহেল মৃধা, সিইও, কিনলে জবস।
Was this review helpful to you?
or
চাকরী প্রত্যাশী এবং উদ্যোক্তা হতে আগ্রহী তরুনদের জন্য একটি হাই ভোল্টেজ বই বইটি প্রথমে আর দশটি বইয়ের মতো পড়তে চেষ্টা করলাম। একটি নিরস বিষয় নিয়ে লেখা বই। পড়তে বেশ ভালো লাগছে। তাই একটু রসও পাচ্ছিলাম। ভাবলাম যাক আত্মন্নয়নমুলক একটি বইতে রস যুক্ত হয়ে খারাপ কি? কিন্তু ভাবনার জায়গাটাতে একটা বিশাল ঝাকি দেবে সেটা বুঝতে পারিনি। প্রতিনিয়ত চাকরী প্রাথীরা নানা ইন্টারভিউ দিয়ে থাকেন। সাক্ষাৎকার ভালো হওয়ার পরও চাকরী হয়না। যেখানে এমডির নিজস্ব লোক নিয়ে নেয়। সেটা না হয় আলাদা কথা। কিন্তু সব জায়গাতো আর তা হয়না। এখন কথা হলো। চাকরী হয়না কিন্তু কেন হয়না সেটাওতো কেউ বলে দেয়না। কেউ বলে না। কোথায় আমার ভুল ছিলো। না সবাই চুপ থাকলেও এই বই চুপ থাকবেনা। এই বই আপনাকে বলে দেবে। কেন আপনার চাকরি হয়না। ব্যস এটুকুই। ১০/১২ বছর লেখাপড়া করে আমরা নিশ্চই অনেক কিছু শিখেছি। এই একটা বই পড়ে না হয় এটুকুই শিখুন। এছাড়া ব্যবসায়, পেশাজীবি, ছাত্র কিংবা সাধারণ মানুষের আত্ম উন্নয়নমূলক অনেক প্রশ্নের জবাব আছে। ৫টি পর্বে ৩৫টি টপিক। প্রতি টপিকেই একএকটি গঠনমূলক স্পিচ। আর প্রতিটি পর্ব এক একটা ওয়ার্কশপের সমান। যেগুলো আমরা টাকার দিয়ে জয়েন করে থাকি। প্রতিটি পর্ব শেষে আছে একটি অনুশীলন বা মূল্যায়ন পর্বে। এখানে পাঠক নিজেই নিজের সম্পর্কে নাম্বার দিয়ে সে নাম্বার যোগ করে নিজেকে যাচাই করে নিতে পারেন। ধন্যবাদ।