User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
একদম বাজে । কেউ কিনে টাকা নষ্ট করবে ন না ।
Was this review helpful to you?
or
my favourite now.....সবগুলো গল্পই mind blowing
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
very intensive book . Addictive . really loved it.
Was this review helpful to you?
or
awesome story
Was this review helpful to you?
or
বইটা পড়ে একটু কনফিউজড আমি। এটা কি এরকমই ছিলো নাকি অনুবাদক কিছু বাদ দিয়েছেন বুঝতে পারছি না। শেষটা কেমন যেনো খাপছাড়া। কিন্তু ভালো ছিলো। তবে লেখকের অন্য বইগুলার তুলনায় এটা একটু কনফিউজিং ছিলো।
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া সেরা বই এর তালিকায় প্রথম ৩ এ থাকবে। Unique and Perfect
Was this review helpful to you?
or
bolar kono vasha nai eto otulonio
Was this review helpful to you?
or
Terrible translation.
Was this review helpful to you?
or
This book delivers a very hardcore gothic flavour, a must-read book TBH
Was this review helpful to you?
or
জাপানি থ্রিলার লেখক অৎসুইশির নামের মতোই অদ্ভুত তাঁর বই 'গথ'। যদিও তাঁর আসল নাম হিরোতাকা আদাশি। এটাকে আসলে কোনমতেই উপন্যাস বলার কোন অবকাশ নেই। বরং ছয়টা আলাদা আলাদা সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার ধর্মী বড় গল্প নিয়ে সাজানো হয়েছে বইটাকে। এগুলোর মধ্যে একটা জিনিস কমন। সবগুলো কাহিনিতেই কোন না কোন ভাবে মোরিনো ইয়োরু ও তার ক্লাসমেট ছেলেটার ভূমিকা আছে। প্রত্যেকটা কাহিনিই ঠাসা ছিলো নৃশংস সব বর্ণনায়। 'গথ' সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার ঘরানার বই হলেও এর প্রত্যেকটা কাহিনিতে যেন সামান্য বিষণ্ণতা মেশানো ছিলো। যদিও এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। হারুকি মুরাকামির লেখাতেও আমি এমন বিষণ্ণতার স্বাদ পেয়েছি।
Was this review helpful to you?
or
I dont know about the main book but this is a very poor rendering of a book. No sequence of story
Was this review helpful to you?
or
In these haunting stories, two teenagers linked by an obsession with murder and torture explore the recesses of humanity's dark side.
Was this review helpful to you?
or
ভালো না। অন্য যেসব থ্রিলার পড়ার সময় যেমন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যে আগ্রহ থাকে, তা এই বইয়ে নেই।। শুরুর দিকে ভালো লাগলও শেষ করার মনে হলো আমি কোনো জ্বলন্ত মোমবাতি, কেউ একজন এসে ফু দিয়ে আগুন নিভিয়ে দিল।। অপরাধ হলে তদন্ত হবে জানা কথা। থ্রিলার বইগুলিতে তদন্তগুলি সাবলিল ভাবে তুলে ধরে।
Was this review helpful to you?
or
অদ্ভুত রহস্যময় কাহিনি!
Was this review helpful to you?
or
অনুবাদ অনেক খারাপ ছিলো ?
Was this review helpful to you?
or
'গথ 'অন্য রকম কতগুলো গল্প নিয়ে রচিত। পড়তে অবশ্যই ভালো লাগবে।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
“মৃত্যু কি? মৃত্যুই একমাত্র সত্যি ব্যাপার।” যুগ যুগ ধরে মানুষ চেষ্টা করেই যাচ্ছে এবং বারংবার তারা এই প্রশ্নের উত্তর দিতে ব্যর্থ হচ্ছেঃ গথ কি? গথ নামটা উচ্চারণ করতেই কয়েকটা ব্যাপার চলে আসে। যেমন- গথ জাতি, গথ ভাষা, গথিক শিল্পকর্ম, গথিক কালচার, গথিক স্থাপত্যরীতি ইত্যাদি। গথ জাতি ছিলো জার্মানি থেকে আগত দুইভাগে বিভক্ত দুটি সম্প্রদায়। ভিজিগথ আর অস্ট্রোগথ। অবশ্য জার্মান এই ট্রাইবকে টিউটনিকও বলা হয়ে থাকে। রোমান সাম্রাজ্যের পতন ঘটিয়ে নিজেদের সাম্রাজ্য বিস্তার করেছিল গথ জাতি ২য় থেকে ৩য় শতকের দিকে। অবশ্য ৫ম শতকের মাঝামাঝি গথিক শক্তি নিশ্চিহ্ন হয়ে বাইজেনটাইন সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা পায়। গথ জাতির আলাদা ভাষা, শিল্প-সংস্কৃতি ছিল। ভাষাটা কালের গর্ভে হারিয়ে গেলেও শিল্পের ছোঁয়া রয়ে যায় গ্রীক আর রোমানদের শিল্পে। পরবর্তীতে রেনেসাঁর সময়কালে শিল্পের জন্যে গথ শব্দটা আবার জনপ্রিয়তা লাভ করে। এ সময় গথিক শিল্পকর্ম এবং স্থাপত্যকলা প্রচুর জনপ্রিয়তা অর্জন করে পুরো বিশ্বজুড়ে। সে সুবাদে সাহিত্যেও এর একটা ছোঁয়া লাগে। পরবর্তীতে উনিশ শতকে সঙ্গীতেও এর একটা ছোঁয়া লাগে একটা কমিউনিটি তৈরী হয় যা গথ সাবকালচার নামে পরিচিত। তবে গথ শব্দটা বেশীরভাগ লোকের মনেই বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে। অনেকে আবার ভৌতিকতার সাথে তুলনা করে। কিন্তু একদম সহজ ভাষায় বলতে গেলে, গথ হচ্ছে এমন একটা ব্যাপার যা অন্যের কাছে অন্ধকারাচ্ছন্ন কিন্তু গথের কাছে তা সৌন্দর্য। ধরুন, আমরা বেশীরভাগ মানুষই কাককে অপছন্দ করি কিন্তু গথদের দুনিয়ায় কাক অন্ধকারাচ্ছন্ন সৌন্দর্যের প্রতীক। গথরা অন্ধকারাচ্ছন্ন আর রহস্যঘন বিষয়গুলোতে নিজেদের অস্তিস্ব খুঁজে বেড়ায়। তার মানে এই না যে গথরা শয়তানসদৃশ। এটা তাদের ভিন্ন ধারার চিন্তাভাবনা কিংবা দৃষ্টিভঙ্গি অথবা পারিপার্শ্বিকতা। “মৃত্যুর সাথে বোঝাপড়া করা অর্থহীন, অযৌক্তিক আর হাস্যকর।” গথ শব্দটাতেই কেমন অশুভ একটা ব্যাপার আছে। তারসাথে অৎসুইশি নামটাও কেমন অশুভ ঠেকে। যাই হোক, অৎসুইশি রচিত গথ বইটার কথা বলছি। গথ বইটি মূলত একটা সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার। তবে বইটাকে উপন্যাসের তকমা না দেয়াটাই ভালো হবে কেননা ছয়টা ভিন্ন ধারার খুনের কাহিনী নিয়ে ছয়টি ভিন্ন ধরনের গল্প আছে এতে। তবে প্রত্যেকটা গল্পেই মোরিনো এবং তার ক্লাসমেট কোন না কোনভাবে যুক্ত আছে। যদিও বইয়ের ব্যাক কভারে মোরিনোকে বেশী হাইলাইট করা হয়েছে কিন্তু আদতে মোরিনোর ক্লাসমেটই আমাদের গল্পগুলো শুনায়। প্রচ্ছদের ছবিটা যা সম্ভব কৌশিক ভাইয়ের পরিচিত কারো এমনটাই পড়েছিলাম কোথাও তবে যাই হোক ডিলান সাহেব প্রচ্ছদে বরাবরের মতোই সফল। পেইজ, বাইন্ডিং আই মিন বইটার টোটাল আউটলুক ভাল্লাগছে আমার। “হাত হলো অনেকটা আয়নার মতো, যা দিয়ে একজন মানুষের অতীত আর ভবিষ্যৎ দেখা যায়।” কাহিনীপ্রসঙ্গঃ বইটিতে প্রধান চরিত্র মূলত দুটি- আত্মকেন্দ্রিক এবং কিছুটা অসামাজিক মোরিনো এবং ওর ক্লাসমেট যে গল্পগুলোর বর্ণনা দেয়। দুজনের মধ্যে কোন মিল নেই শুধুমাত্র একটা ব্যাপার ছাড়া। আর তা হচ্ছে- দুজনেরই খুন আর খুনির প্রতি এক অস্বাভাবিক রকমের টান আছে। যাই হোক, বইয়ের গল্পগুলো হচ্ছে- গথ, কাটাহাত, সারমেয়, স্মৃতি/জমজ, সমাধি, কণ্ঠ। প্রত্যেকটা গল্পের টুকিটাকি বিবরণ দিতে গেলে স্পয়লারের ভয় থাকে তাই একদম সংক্ষেপে গল্পটা বলার চেষ্টা করলাম। গথ- মেয়েদেরকে টার্গেট করে নৃশংসভাবে খুন করছে এক সিরিয়াল কিলার। খুনের পর তাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কেটে গাছের সাথে কিংবা পরিত্যক্ত কোনো ঘরের দেয়ালে পেরেক মেরে আটকে রাখছে কিলার। অথবা লাশটাকে গাছের সাথে ঢেলান দেয়া অবস্থায় রেখে লাশের মাথা কেটে পেটের মধ্যে ঢুকিয়ে রাখা হচ্ছে। মোরিনো আর ওর এক ক্লাসমেট কেসের সাথে জড়িয়ে পড়ে। কোনক্রমে খুনির নোটবুক পেয়ে যায় ওরা। খুনির খুব কাছাকাছি চলে যায়। খুনি কে তা কি ওরা জানতে পারে? কাটাহাত- সাইকোপ্যাথরা সবসময় মানুষ খুন করে তা কিন্তু না। কিছু সাইকোপ্যাথ আবার সৌখিনও হয় বটে। তা না হলে একজন জ্বলজ্যান্ত মানুষ বা কুকুর-বিড়ালের হাত কেটে এনে কে ঘরে সাজায়? এই গল্পের সাইকোপ্যাথ একজন সামাজিক মানুষ। সমাজে ভালো এবং সৎভাবে চলাচল করে। সবাই তাকে বিশ্বাস করে। কিন্তু তার একটা আজব নেশা আছে আর তা হচ্ছে বড়-ছোট যে কোন বয়সী মানুষের কাটা হাত সংগ্রহ করা। শুধু মানুষই না কুকুর-বিড়ালের হাতের থাবা এমনকি পুতুলের হাতও তার নিজের সংগ্রহে রাখতে ভাল লাগে। মোরিনোর ক্লাসমেট ছেলেটা এই সাইকোপ্যাথের খোঁজ পায়। কে এই সাইকোপ্যাথ? সারমেয়- সিরিয়াল কিলার আর কাটাহাতের সংশয় কাটতে না কাটতেই নতুন এক আতংক ভর করে শহরটার উপর। এবার আর কোন নৃশংস খুন নয় কিংবা হাত কেটে সংরক্ষণ নয় একেবারে চিহ্নবিহীন ভাবে গুম হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু মানুষ নয় শহরের সব কুকুর। শহরের প্রতিটা বাড়ির পোষা কুকুর ধীরে ধীরে উধাও হয়ে যাচ্ছে। এবং তা সপ্তাহের নির্দিষ্ট দুদিন রাতের বেলা। কেউ জানে না কিভাবে এসব হচ্ছে। কিন্তু মোরিনো আর ওর ক্লাসমেট ছেলেটা একদিন মুখোমুখি হয়ে যায় গুম হয়ে যাওয়া কুকুরগুলোর কিডন্যাপার বা খুনির সাথে। তারপর কি হয়? স্মৃতি/জমজ- আপনার চেনা পরিচিত মানুষটার সম্পর্কে আপনি কতটুক জানেন? এই গল্পটা মোরিনো ইয়োরু এবং তার জমজ বোন মোরিনো ইয়ুকে নিয়ে। দুই বোনের মধ্যকার শৈশবকালের সম্পর্কীয় রসায়ন সমূহ এখানে প্রাধান্য পেয়েছে। দুই বোনের মধ্যে এক বোনের মৃত্যু হয়েছে খুবই অস্বাভাবিকভাবে যেটা অনেকটা আত্মহত্যা আবার অনেকটা খুন বলা যায়। মোরিনোর ক্লাসমেটের আগ্রহ জাগে বিষয়টার উপর। ছেলেটা অনুসন্ধানে যায় দূরের এক গ্রামে যেখানে আগে মোরিনো আর তার পরিবার থাকতো কিন্তু এখন শুধুমাত্র ওর নানা-নানী থাকে। ছেলেটা এত বছর ধরে গুপ্তধনের ন্যায় লুকিয়ে রাখা কিছু কথা খুঁজে পায় মোরিনো আর তার জমজ বোন সম্পর্কে। কথাগুলো কি যা এতটা বছর ধরে গোপন ছিল? সমাধি- শখের কাজের গহীনে বাস করা মনের অন্ধকারের দিকটাই তুলে ধরা হয়েছে এই গল্পে। সেইকি একজন নিতান্তই সাধারণ মানুষ। একা মানুষ তাই বাড়ির চর্তুদিক জুড়ে বাগান করাটা তার শখ। পাশের বাসার বাচ্চাটার সাথে তার খুব খাতির। কিন্তু একদিন হুট করেই কোন কারণ ছাড়াই বাচ্চাটাকে ফুল গাছের নীচে জীবন্ত কবর দিয়ে দেয় সেইকি। এক দারুণ সুখবোধ করে ভেতরে ভেতরে বাচ্চাটার আর্তনাদে। তেমনি একদিন একটা মেয়েকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে আসে সেইকি। একটা আইডি কার্ড পায় মেয়েটার সাথে মোরিনো নামে। মেয়েটা কে ছিল? মোরিনো নাকি অন্য কেউ? কণ্ঠ- গথ বইটার শেষ এবং সম্ভবত সবচাইতে বেশী রহস্যঘেরা গল্প। কিটাযাওয়া হিরোকো এবং কিটাযাওয়া নাটসুমি দুই বোন। হিরোকো বড় আর নাটসুমি ছোট তবে মুখের গড়ন একই ধরনের হওয়ায় অনেকেই জমজ হিসেবে ভেবে নিতো। দুই বোনের মধ্যে দারূণ মিল থাকলেও একদিন কোন এক অজানা কারণে বড় বোন ছোট বোনকে এড়িয়ে চলা শুরু করে। তারপর একদিন শহরের এক পরিত্যক্ত হাসপাতালে পাওয়া যায় এক মেয়ের ক্ষতবিক্ষত লাশ। মেয়েটা কিটাযাওয়া হিরোকো। লাশটাকে এত টুকরো করা হয়েছে যে কতৃপক্ষ তার পরিবারকে দেখতে দিতে চায় না। কিন্তু হিরোকোর বাবা-মা জোড়পূর্বক লাশটাকে দেখে কেমন নিস্তেজ হয়ে যায়। নাটসুমিও প্রচন্ডভাবে ভেঙ্গে পড়ে। ঠিক তখনই কেউ একজন এসে নাটসুমিকে একটা টেপ দিয়ে যায় যেটাতে তার বোন মৃত্যুর আগে তার জন্যে কিছু কথা বলে গিয়েছে। কি কথা? আর টেপটা যে দিয়েছে সম্ভবত সেইই খুনি। তাহলে কি এবার নাটসুমি খুনের স্বীকার হবে? গথ গল্পের নৃশংস সে খুনিটা কে ছিল? কাটাহাত গল্পে সাইকোপ্যাথটা কে ছিল যাকে সবাই বিশ্বাস করতো? সারমেয় গল্পে শহরের পোষা কুকুরগুলো কেন অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছিলো? স্মৃতি/জমজ গল্পের এত বছর ধরে লুকিয়ে থাকা কথাগুলো কি ছিল? সমাধি গল্পের সেইকির আসল পরিচয় কি কিংবা সেই মেয়েটা কে ছিল? আর কণ্ঠ গল্পে নাটসুমি আর হিরোকোর মধ্যে কি এমন হয়েছিল যাতে দুবোনের মধ্যে দূরত্ব তৈরী করেছিল? আর খুনিইবা কেন নাটসুমিকে সেই টেপ শোনাতে চায় যা তার বোন মৃত্যুর আগে রেকর্ড করে গেছে? তাহলে নাটসুমি কি খুনির পরবর্তী শিকার? এসব কিছু জানতে হলে অৎসুইশি রচিত ২৭০ পৃষ্ঠার অদ্ভুত সুন্দর বইটা পড়তে হবে। লেখকপ্রসঙ্গঃ অৎসুইশি এর আসল নাম “হিরোতাকা আদাশি”। “এইশি নাকাতা” নামেও পরিচিত তিনি। মূলত তিনি একজন জাপানী হরর ফ্যান্টাসী লেখক এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা। হাইস্কুলে থাকাকালীন সময়ে “সামার, ফায়ারওয়ার্কস অ্যান্ড মাই করপ্স” দিয়ে তার লেখালেখির জীবন শুরু হলেও মূলত “গথ” এবং “জু” বইদুটোই তাকে পাঠক মহলে জনপ্রিয় করে তোলে। “গথ” ২০০৩ সালে জাপানের সম্মানজনক “হনকাকু মিষ্ট্রি এ্যাওয়ার্ড” জিতে নেয়। এছাড়াও “কলিং ইউ” “সিসোউ হলিডে” এবং “দ্য ব্ল্যাক ফেইরী টেইল” অন্যতম। অনুবাদপ্রসঙ্গঃ অনুবাদক কৌশিক জামান। এরপরে কি আর অনুবাদ নিয়ে কিছু বলার আছে? আশা করি যারা কৌশিক জামানের অনুবাদ আগে পড়েছেন তারা আমার এই কথার মানে বুঝেছেন। তবে তাও কিছু কথা থেকে যায় কিংবা বলতে হয়। অনুবাদ বরাবরের মতোই বেশ সহজ আর সাবলীল ছিল। তবে শব্দগত এবং প্রিন্টিং মিসটেক ছিলো বেশ কয়েকটা। আর শেষ গল্পটার অল্প কয়েক জায়গা কিছুটা কঠিন লেগেছে আমার কাছে। এছাড়া, পুরো অনুবাদ এক কথায় দারুণ ছিল। “কত অসংখ্যবার সে নিজের ভেতরের মনুষ্যত্বের অভাবের কারণে কষ্ট পেয়েছে? কত অসংখ্যবার সে নিজের সত্তার জন্য, ওর ঘৃণ্য আকাঙ্খাগুলোর জন্য নিজেকে অভিশাপ দিয়েছে? কিন্তু এখন অবশেষে ওর অবশিষ্ট মনুষ্যত্ব যা রয়েছে তা জয়ী হয়েছে।” একটা বই একইসাথে কিভাবে ভালোও লাগে এবং খারাপও লাগে? এই কথাটার প্রমাণ মিলে গথ বইটা পড়ে। পড়তে পড়তে কখনো কখনো আফসোস করতে হয়, কখনোবা দীর্ঘশ্বাস ফেলতে হয়, অথবা ভাবতে হয় এটা কিভাবে হলো, কিংবা চিন্তার জগতে ডুবতে হয় এমনও কি মানুষ হয়? এই ধরনের হাজারটা চিন্তা লুকিয়ে আছে গথ বইটার প্রতিটা গল্পের ভাঁজে। লেখনী চমৎকার। জাপানিজরা স্বভাবে মিনিমালিস্ট তাই হয়তো অৎসুইশির লেখাতেও তেমন প্রভাবটাই লক্ষ্য করা গেছে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোন বর্ণনা দেয়া হয় নি। নৃশংস দৃশ্যের বর্ণনা লেখক খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। তবে হ্যাঁ এই বইটা সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার হলেও প্রত্যেকটা গল্পে বিষণ্ণতা কাজ করে যেমনটা মুরাকামির লেখাতে কাজ করে। জাপানিজ লেখার স্টাইলটাই হয়তো এমন। শুধুমাত্র মানুষের মনের অন্ধকার দিকই নয় বরংচ একজন সিরিয়াল কিলার কিংবা সাইকোপ্যাথের মনের অলিগলি ঘুড়িয়ে নিয়ে এসেছেন লেখক। তাদের চিন্তাভাবনা আর দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখিয়েছেন জগতটাকে। এই ধরণের সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার খুব কমই আছে। সবগুলাই দারুণ গল্প তবে আমার নিজের বেশী ভালো লেগেছে “স্মৃতি/জমজ” “সমাধি” এবং “কণ্ঠ”। মোটকথা বইটা আমার দারুণ লেগেছে নাহলে কি গুডরিডসে রেটিং ৫/৫ দেই? দুর্বলচিত্তের মানুষরা প্রথম গল্পটা পড়ে দেখতে পারেন সহ্য না হলে বাদ দিয়েন। কিন্তু সত্যি বলছি থ্রিলার প্রেমী হিসেবে এই বইটা না পড়া বোকামি হবে। হ্যাপি রিডিং। বইয়ের বাদবাকি ভালো লাগা উক্তিগুলোঃ “তুমি কি করে আশা করতে পারো কেউ তোমার সাথে অনন্তকাল সঙ্গ দেয়ার প্রতিজ্ঞা রক্ষা করবে?” “জ্যোতিষীরা হাত পড়ার চেষ্টা করে। রেখাগুলো নাকি প্রত্যেকটা মানুষের ব্যক্তিত্ব আর ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়।” “যেখানে অন্য সাধারণ ছেলেমেয়েরা তাদের কল্পিত বন্ধু আর প্রাণীর সাথে খেলাধুলা করে সেখানে আমি সময় কাটাতাম কল্পিত মৃতদেহের দিকে তাকিয়ে থেকে।” “সবার জীবন যার যার মত করে চলে। আপনি যদি একশোজন মানুষকে বেছে নেন, তাহলে একশো ধরনের জীবনধারা পাবেন। আর সবাই নিজেদেরটা বাদে অন্যদের জীবনধারা বুঝে উঠতে সমস্যায় পড়ে।” “ব্যাপারটা পরিষ্কার যে কিছু মানুষ অন্য মানুষদের খুন করে কোনরকম কোন কারণ ছাড়াই। আমি জানি না এর পেছনে তাদের বেড়ে উঠার কোন কারণ আছে কিনা, নাকি তারা জন্ম থেকেই এরকম। সমস্যা হলো, এই লোকগুলো তাদের আসল চেহারা লুকিয়ে রাখে, সাধারণ মানুষের ভেতর সাধারণ মানুষের মতই বসবাস করে। তারা এমনভাবে লুকিয়ে থাকে যে অন্য মানুষের সাথে তাদের কোন পার্থক্য চোখে পড়ে না।"
Was this review helpful to you?
or
গথ হচ্ছে কয়েকটি ছোট গল্পের সমন্বয়ে গঠিত চমৎকার একটা বই । এটি জাপানের বিখ্যাত লেখক আৎসুইসির লেখা বিখ্যাত বই গুলোর মধ্যে একটি । এই বইটি নিশ্চয়ই সকল প্রকার পাঠকের মন কাড়বে। বইটি অনুবাদ করেছেন কৌশিক জামান । তাই অনুবাদটাও আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে ।
Was this review helpful to you?
or
Awesome psycho-thriller.
Was this review helpful to you?
or
অতসুইশির লেখা প্রথম বই পরলাম এই গথ। প্রথমে কিছুটা কনফিউজড ছিলাম কিনবো নাকি না। টাকাটা নষ্ট করলাম নাকি না। বই পড়ার পরে বুযলাম না ভুল হয়নাই। সবগুলো গল্পই চমৎকার। সাসপেন্স থ্রিলার সবকিছুর সমন্বয়ে এই বই। সংগ্রহে রাখার মত।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_পাঠক_সমাগম_বুক_রিভিউ_প্রতিযোগিতা মাসঃ জুলাই সপ্তাহঃ তৃতীয় সপ্তাহ (২১-২৬ জুলাই) পর্বঃ ০১ বইঃ গথ লেখকঃ অৎসুইশি অনুবাদকঃ কৌশিক জামান প্রকাশনীঃ বাতিঘর প্রকাশনী পৃষ্ঠাঃ ২৭০ মুদ্রিত মূল্যঃ ২৮০ টাকা প্রচ্ছদঃ ডিলান প্রথম প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ঘরানাঃ সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার . ||রিভিউ|| ক্লাসের সবচেয়ে অদ্ভুত মেয়েটির নাম মোরিনো। একেবারে আলাদা ধাচের মেয়েটির তার ক্লাসের এক বন্ধুর সাথে অদ্ভুত রকমের মিল আছে। পুরো বইটিতে এই দুই অদ্ভুত চরিত্রই যেন এক নতুন স্বাদ জুগিয়েছে বইটির। মোরিনো আর তার বন্ধু যেন বিচরণ করেছে অন্য এক জগতে। কি সেই জগত? তাহলে চলুন কিছুটা ধারণা নেওয়া যাক অদ্ভুত এই চরিত্র দুটির বিচরণ করা জগতের সাথে। . নৃশংস ভাবে খুন করা হচ্ছে অল্পবয়সী মেয়েদের। খুনি তার পছন্দসই জায়গায় নিয়ে খুনগুলো করছে। খুন করার পর লাশগুলো নিয়ে যেন শিশুশুলভ খেলা খেলছে খুনি। টুকরো টুকরো করে ফেলছে লাশের শরীর। আর সেই টুকরো টুকরো শরীর বিভিন্ন জায়গায় পেরেক ঠুকে আটকে রাখছে। ক্রাইম স্পটগুলো যেন বিভৎস রূপে ফুটিয়ে তুলতেই খুনির এমন আয়োজন। বিভৎস এ সমস্ত খুনের বর্ণনাগুলো খুনি তার নোটবুকে নিঁখুতভাবে লিখেও রাখছে। আর সেই নোটবুকটাই পায় মোরিনো নামের অদ্ভুত মেয়েটি। মোরিনো তার বন্ধুর সাথে নোটবুকের ব্যাপারটা শেয়ার করে। প্রতিটা খুনের বর্ণনা ওদের বেশ আগ্রহ করে তুলে। খুনির নোটবুকে লেখা সর্বশেষ খুনের বর্ণনামতো মিজুগুশি নানামির খুনের তদন্তে নামে ওরা দুজন। যেন জেনেশুনে হঠাৎ করে খুনি আর খুনের সাথে জড়িয়ে পরে মোরিনো আর তার বন্ধু। সে এক উত্তেজিত আর শ্বাসরুদ্ধকর কাহিনী। #গথ . কিছু কিছু সুশীল আর সামাজিক মানুষের মাঝেও অস্বাভাবিক ও বেপরোয়াপোনা স্বভাব থাকে। আর তা যেন চিরায়ত রূপেই মুখোশের আড়ালে লুকানো থাকে। এরকমই এক মুখোশধারী সুশীল মানুষের গল্প এটা। যার জাগতিক একটাই নেশা আর তা হলো হাতের। হাত কেটে সংগ্রহে রাখে সিনোহারা। সে কাউকে খুন করে না কিন্তু মানুষকে আঘাত করে তার হাত কেটে নেই। জগতের এই একটা জিনিসই তাকে এত প্রশান্তি দিতে পারে। পুতুলের হাত কাটা দিয়ে শুরু করলেও সিনোহারা এখন মানুষের হাতই বেশি কাটে। নেশাটা যখন চরম পর্যায়ে উঠে তখন সে জন্তুর সামনের থাবাও কেটে সংগ্রহ করে। সিনোহারা'র বাড়ির ফ্রিজে সেই হাত গুলোর স্থান হয়। এ যেন অন্ধকার মানুষের জীবনের অন্ধকার দিকের এক অস্বাভাবিক গল্প। #কাটা_হাত . হঠাৎ করে শহর থেকে কুকুর কিডন্যাপ হচ্ছে। কুকুরগুলো কারো না কারো পোষা কুকুর। আর যে কুকুরগুলো কিডন্যাপ হচ্ছে তা বয়সেও ছোট। কে কুকুরগুলোকে কিডন্যাপ করছে আর কেনো করছে তা জানা যাচ্ছে না। এই কুকুর কিডন্যাপিং-এর হদিসে নেমে পড়লো মোরিনোর বন্ধু। আর তাতে যে রহস্য বেড়িয়ে আসলো তা যেনো সত্যিই এক অভাবনীয় এবং অবিশ্বাস্য ব্যাপার। কুকুর কিডন্যাপিং-এর জমজমাট এ রহস্য যেনো বইটিতে আরো একটি ভিন্ন ধাঁচের গল্পের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। #সারমেয় . মোরিনো ইয়োরুর শৈশবকালের গল্প। তার ও তার যমজ বোন ইয়ুকে নিয়ে সাদামাটা এক গল্পের শুরু হলেও পুরো গল্পটা জুড়ে আছে অতি রহস্য। দুজনেই যমজ ছিল আর দেখতে একই রকম ছিল। ছোট বেলায় মোরিনো ইয়োরু আর মোরিনো ইয়ু দড়িতে ঝুলে আত্মহত্যা আত্মহত্যা খেলতো। তারপর একদিন ইয়ু সত্যি সত্যি গলায় ফাঁস নিয়ে মারা যায়। সাদামাটা এ গল্পে যে রহস্য লুকিয়ে আছে তা নির্দ্বিধায় আপনাকে হতবিহ্বল করতে সক্ষম। আর এই চরম রহস্যের উদঘাটন করেছে মোরিনোর সেই অদ্ভুত ক্লাসমেটটিই। #স্মৃতি/যমজ . সেইকি তার বাড়িতে একাই থাকে। বাড়ির আশেপাশের খালি জায়গাতে সেইকি বিশাল বাগান করেছে। ছোটকাল থেকেই সেইকি বাগানের সাথে জড়িত খুব নিবিড়ভাবে। একদিন বাগানে গর্ত না করলে সেইকি শান্তি পাই না। কিন্তু সেই বাগানপ্রিয় মানুষটা হঠাৎ করে কফিন বানাতে শুরু করলো। সেই সাথে ও বাগানে গর্তও করতে লাগলো। আর শিকার করে করে নৃশংস কাজ করতে থাকলো। যা সেইকি'র জীবনের এক অন্ধকার দিক ছিল। যা একদিন প্রকাশ পায়। এবং কতটা কঠিন আর নৃশংসতম এ কাজ তা জানার পর যে কারোরই শিরদাঁড়া বেয়ে শীতল স্রোত নেমে যাবে। #সমাধি . কিটাযাওয়া হিরোকাে আর কিটাযাওয়া নাটসুমি ছিল দুই বোন৷ হিরোকো ছিল বড় আর নাটসুমি ছিল ছোট। হঠাৎ করে কিটাযাওয়া হিরোকাে খুন হয়ে যায়। হিরোকোর লাশটাকে খুনি এতটাই টুকরো করেছিল যে প্রশাসন তার পরিবারকেও দেখতে দিতে চাইছিল না। কিন্তু জোর করেই তার বাবা মা দেখে আর তারপর থেকেই তারা কেমন জানি বদলে যায়। হিরোকোর লাশ ছিল দেখতে বিভৎস আর তাকে খুন করা হয়েছিল খুব নৃশংসভাবে। কিন্তু মৃত্যুর আগমুহূর্তে হিরোকাে তার কণ্ঠ একটা টেপে রেকর্ড করে রাখে। সেই টেপটা পায় নাটসুমি। আর তারপর থেকেই সে যেনো সম্পূর্ণ বদলে যায়। হিরোকাের কণ্ঠ রেকর্ড করা টেপটা যেন এ গল্পের আশ্চর্য রহস্যকে উদঘাটন করেছে। এক চমকপ্রদ আর বিস্মিত করা রহস্য নিয়ে যেনো পুরো গল্পটা লেখক তুলে ধরেছেন সবার সামনে। #কণ্ঠ . পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ লেখক অৎসুইশি'র আসল নাম হিরোতাকা আদাশি। তিনি একজন জাপানি হরর ফ্যান্টাসি লেখক এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা। তবে জাপানি এই লেখকের অৎসুইশি নামটা যেমন অদ্ভুত আর আকর্ষণীয় তেমনি তার বই 'গথ'-ও যেন অদ্ভুত আর আকর্ষণীয়। যার কারণেই হয়তো ২০০৩ সালে বইটি জাপানের সম্মানজনক "হনকাকু মিস্ট্রি এ্যাওয়ার্ড" জিতে নেয়। পুরো বইটি জুরে রয়েছে অস্বাভাবিক কিন্তু মনোমুগ্ধকর সমস্ত ঘটনার বর্ণনা। এমন ভিন্ন ধারার লেখাতে খুব সহজেই যে কোন পাঠক মুগ্ধ হয়ে থাকবে। নিঃসন্দেহে এ বইটি দারুন উপভোগ্যের। বইটি ছয়টা ভিন্ন ভিন্ন বড় গল্পের অসাধারন টুইস্ট নিয়ে রচিত। প্রত্যেক গল্পই যেন রহস্যে টইটুম্বুর। পড়তে পড়তে স্নায়ু কখনও উত্তেজিত হয় আবার কখনও জোরেসোরে বেড়িয়ে আসে দীর্ঘশ্বাস। মনে হয় এটা কিভাবে সম্ভব আবার পরমুহূর্তেই মনে হয় জগতটা এমন ঘটনা ঘটার জন্যই তো তৈরি। মানুষের মনের অন্ধকার দিক কিংবা ইচ্ছা লেখক তার কলমের কালিতে নিপুণ হাতে ফুটিয়ে তুলছেন। আর অনুবাদক কৌশিক জামানের সহজ সাবলীল অনুবাদে বইটি বাঙালী পাঠক মনে সহজেই জায়গা করে নিয়েছে। এমন রহস্যমন্ডিত একটা বই অনুবাদ করে আমাদের পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য পাঠক হিসেবে আমি তার কাছে কৃতজ্ঞ প্রকাশ করতে বাধ্য। ছয়টা ভিন্ন ধারার গল্প থাকলেও প্রত্যেক গল্পেই দুজন একই মানুষ বিচরণ করেছে। যেনো একই সুতোয় গাঁথা ছয়টা গল্প। বইটির প্রচ্ছদে মোরিনোকে হাইলাইট করা হলেও মোরিনোকে খুব কম আগ্রহীই মনে হয়েছে তার ক্লাসমেটের চেয়ে। মোরিনোর ক্লাসমেটই যেনো সবকটা গল্পের মূল সুর ছিল। বইটিতে টুকিটাকি কিছু প্রিন্টিং মিসিং থাকলেও তা যেনো নজর এড়িয়ে যায়। সবকিছু ছাপিয়ে মনের ভেতরে গেঁথে থাকার মতো গল্প নিয়ে লেখা বইটির জন্যে লেখক আর অনুবাদকের প্রতি এক অন্যরকম ভালোবাসা জেগে উঠেছে আমার মনে। আমি সত্যিই মুগ্ধ আর বিস্মিত। . ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৪.৫/৫ ______নিষাদ নিনিত