User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
গল্পটা আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। প্রতি পৃষ্ঠায় রোমাঞ্চে ভরা। এক পৃষ্ঠা পড়লে মনে হয় আরেক পৃষ্ঠা পড়ি।
Was this review helpful to you?
or
বই টা এতো সুন্দর!! খুবই ভালো লেগেছে বইটা পড়ে
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার একটি বই।❤
Was this review helpful to you?
or
স্পয়লার এলার্ট গল্পটা এক অচিন দেশের। নাম ঝিন্দ। সে দেশের রাজার অভিষেক এর আগে হঠাৎ উধাও রাজকুমার। রাজকুমার কে খুঁজতে গিয়ে দেখা মেলে গৌরিশঙ্করের। উপায়ন্তর না দেখে তাকে রাজা হবার অনুরোধ করে। যতদিন না খোঁজ মেলে আসল রাজার সন্ধান ততদিন যেন তিনি রাজার আসনে বসেন। এর মাঝে রোমাঞ্চ খুঁজে পায় গৌরীশঙ্কর। রহস্য সন্ধানে পাড়ি জমায় ঝিন্দ রাজ্যে। সেখানে অপেক্ষা করছে বিপদ,রহস্য, রোমাঞ্চ। কিভাবে হয় রহস্যভেদ জানতে পড়তে হবে বইটি। এর প্রতিটি চরিত্র অনবদ্য। পড়তে পড়তে মনে হবে যেন সব ঘটনা চোখের সামনেই ঘটছে।
Was this review helpful to you?
or
#কাহিনী_সংক্ষেপঃ কলকাতার পূর্ব-দক্ষিণে অবস্থিত রায় দেওয়ান জমিদারবাড়ি। সেটা প্রায় বিঘা দশেক জমির উপর স্থাপিত। এই জমিদার বাড়ি স্থাপন করেছিলেন কালীশঙ্কর রায়। প্রায় দেড়শো বছর পূর্বে হঠাৎ একদিন রায় দেওয়ান আদিগঙ্গার ঘাঠে পাঁচটি বজরা নিয়ে এসে উপস্থিত হন এবং সেখানে জমি কিনে কালীশঙ্কর রায় নাম ধারন করে জমিদারি শুরু করেন। বিয়ে করে সংসারও পেতেছিলেন, কিন্তু তিনি সেই সুখসংসার আর জমিদারী জীবন বেশিদিন ভোগ করতে পারেননি। কেননা বিয়ের বছর পাচেঁক পরেই এক রাতে কালীশঙ্কর তার বন্ধুর বাড়ি থেকে নিমন্ত্রণ খেয়ে ফেরার সময় তার নিজ জমিদারবাড়ি সিং-দরজার সামনে অাততায়ীরা তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন এবং সেই ছুরিটি মৃতের পাশেই ফেলে যান। যাতে একদম অপরিচিত ভাষায় খোদাই করা কি একটা লিখা ছিল। যা কেউ ঠিক বুঝতে পারেনি। কী লিখা ছিল?... বর্তমানে সেই জমিদার বাড়ির মালিক দুইভাই, গল্পের নায়ক গৌরীশংকর রায়, আর তার দাদা শিবশঙ্কর রায়। শিবশঙ্কর বিবাহিত, বয়স ত্রিশ-বত্রিশ পক্ষান্তরে গৌরীশঙ্কর পঁচিশ-ছাব্বিশ বছরে সুদর্শন পুরুষ হলেও এখনো বিয়ে করেনি। বরাবরই সে খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত । বিয়ের নামটি মাত্র শোনতে পারে না। এভাবেই দুই ভাই আর বৌদির সংসার সুখে শান্তিতেই কাটছিলো। হঠাৎ একদিন বাড়িতে এসে হাজির হলেন অদ্ভুত বেশভূষার এক ব্যক্তি, নাম ধনঞ্জয় ক্ষেত্রী। তিনি ঝিন্দ নামের এক রাজ্যের রাজার বংশানুক্রমিক পার্শ্বচর। সবচেয়ে অবাক করার মত বিষয় হলো তিনি দেয়ালে টানানো শিবশঙ্কর ও গৌরীশঙ্কর রায়ের পঞ্চম পুরুষ কালীশঙ্কর রায় এর তৈলচিত্র দেখে তাকে চিনতে পারলেন, আর এরা তার বংশধর শুনে নিজেও হতভম্ব হয়ে গেলেন। কেননা কালীশঙ্কর রায় এর পূর্বজীবনি তার জানা ছিল। এবার সেই অদ্ভুত ব্যক্তি ধনঞ্জয় ক্ষত্রী দুই ভাইকে শোনালেন এক আশ্চর্য ঘটনা, আর দিলেন এক অদ্ভুত প্রস্তাব। তিনি গৌরীশঙ্কর রায় কে ঝিন্দের রাজা বানাতে চান । কেননা গৌরী নাকি দেখতে হুবহু তাদের যুবরাজ শঙ্কর সিংহের মত, যার ক'দিন বাদে অভিষেক। কিন্তু এর মাঝেই তাকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই অভিষেকের আগে শঙ্কর সিংহকে খোঁজে না পাওয়া গেলে তার ছোট ভাই উদিত সিংহ হয়ে যাবে ঝিন্দের রাজা। কিন্তু ধনঞ্জয় ক্ষেত্রী কখনো সেটা হতে দেবে না, কেননা উদিত মানুষ হিসাবে জঘন্য । তাই শঙ্কর সিংহকে খোঁজে না পাওয়া পর্যন্ত গৌরী যেন তার ভূমিকায় অভিনয় করে তাদের সাহায্য করেন, তার প্রস্তাব দেন ধনঞ্জয়। পদে পদে বিপদের ভয় ও দাদা শিবশঙ্করের বাধা থাকা সত্বেও বরাবর কৌতূহলী গৌরী সাথে সাথে রাজি হয়ে গেল। এবং ধনঞ্জয়ের সাথে চলে গেল ঝিন্দের দেশে। সেখানে গিয়ে ঘটলো আরেক ঘটনা , বলা যায় দু্র্ঘটনা। গৌরী প্রেমে পড়ল শংকর সিংয়ের পূর্ব নির্ধারিত বাগদত্তা ঝড়োয়ার রাজকুমারী কস্তূরীবাঈ এর। তারপর কি ঘটেছিল? গৌরীশঙ্কর কতদিন সেখানের রাজা ছিলেন? তিনি কি কস্তূরী বাঈকে শেষ পর্যন্তু পেয়েছিলেন? আসল রাজা শঙ্কার সিং কে কি খোঁজে পাওয়া গিয়েছিলো? শেষ পর্যন্ত আসল শঙ্কর সিং নাকি নকল শঙ্কার সিং হলো ঝিন্দের রাজা? আর গৌরীশঙ্কর আর কালীশঙ্কর রায়ের পঞ্চম পুরুষ কালীশঙ্কর রায়ের পূর্বজীবনই বা কি ছিল, তার হত্যা কেন হয়েছিল, যে ছুরিকাঘাতে কালীশঙ্করের হত্যা হয়েছিল তাতে কি বা লিখা ছিল? এরকম আরো শত শত প্রশ্নে ছিল গল্পটির মাঝে আর অপ্রত্যাশিত উত্তর দিতে দিতে শেষ হয়েছিল উপন্যাসটি। তো সেই সকল প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে তো অবশ্যই পড়তে হবে বইখানা। তো আর দেরি করা কি চলে??? সম্ভব হলের আজেই শুরু করে দেন। আশা করি বেশ তৃপ্ত হবেন। #পাঠকপ্রতিক্রিয়াঃ শরদিন্দু বন্দ্যােপাধ্যায়ের 'ঝিন্দের বন্দী' বইটাই আমার প্রথম পড়া বই এই লেখকের। এক কথায় এক উপন্যাস পড়েই আমি রিতিমত তার ভক্ত হয়ে গেছি। তার ঘটনার বর্ণনা, ঝিন্দের, ঝড়োরা রাজ্যের প্রাকৃতিক রূপালঙ্কারের বর্ণনা এমন কি প্রতি লাইনে লাইলে একটা নতুন রহস্য সৃষ্টি করে উচ্চমর্যাদায় নিয়ে গেছেন উপন্যাসটিকে। বেশ ভাল লাগলো উপন্যাসটি যা শুধু লিখে প্রকাশ করার মত নয় । সবথেকে ভাল লাগলো যে, কোথাও কোন বাহুল্য নেই। একদম যেখানে যতটুকু দরকার লেখক ঠিক ততটুকুই বলেছেন। আমার মতে সকল পাঠক এই উপন্যাসটি পড়ে বেশ তৃপ্তি পাবেন। একবার শুরু করে দিলে শেষ না করে উঠতেই পারবে না। #ব্যক্তিগত_রেটিং : ৯.৫/১০