User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
প্রথম প্রথম খেই পাচ্ছিলাম না। ধীরে ধীরে সবকিছু জোড়া লাগতে শুরু করে। আসলে অনেকদিন ফেলে রেখে রেখে না পড়ে বইটা টানা কয়দিন লাগিয়ে শেষ করলে হয়তো আরও বেশি উপভোগ্য হত। শেষটা সুন্দর আর চমকপ্রদ ছিল। আর বিজ্ঞানের অনেক অজানা কিছু জানা হল।
Was this review helpful to you?
or
Good book
Was this review helpful to you?
or
ভিন্ন ধাঁচের তথ্যপূর্ণ একটি সায়েন্স ফিকশন। শেষ মুহূর্তের টুইস্ট বইটিকে দিয়েছে ভিন্নরকম এক মাত্রা। বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর প্রচলিত ধারায় ছুরি-কাঁচি চালানো 'পলাতক' লেখক সজল চৌধুরীর প্রথম মৌলিক বই হিসেবে নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।
Was this review helpful to you?
or
বইটি নিয়ে যেটা না বললেই নয় তা হলো বইয়ের বানান ভুল। শুরু থেকে মাঝপথে বানান কোথাও আটকায় নি,তারপরই যেনো বানান দেখায় ঢিল পড়েছে কিছুটা। আশা করবো সামনে আরো সর্তক হবে ভূমিপ্রকাশ। বইটি সবাই পড়তে পারেন ভালো লাগবে।
Was this review helpful to you?
or
কতপ্রকার যে সায়েন্স ফিকশন আছে সে ধারণা আমার নাই কিন্তু ' থ্রিলার কল্পবিজ্ঞান ' কথাটা লিখা আছে এমন বই অন্তত চোখে পড়ে নি। বর্তমান সময়ে থ্রিলার পড়া হয় তুলনামূলক কম তারচেয়েও কম পড়া হয় কল্পবিজ্ঞান। সজল ভাইয়ের ক্রিয়েটিভ প্রচ্ছদগুলোর নিমিত্তে ইচ্ছা ছিলো পলাতক পড়ার। মজার ব্যাপার হলো এই নিয়ে তিনবার পড়ার চেষ্টা করেছি পলাতক দেখা গেছে দুবারই 'পলাতক' পলাতক। অর্থাৎ কেউ না কেউ নিয়ে গেছে। এবারও যাত্রাপথে ট্রেনে এক আন্টিই পড়েছে "পলাতক " তার নাকি খুব ভালো লাগছিলো। যাক গে অবশেষে সমুদ্রের ধারে ধরা পড়েছে পলাতক। মাদার অব আর্থ ছেড়ে মানুষ ছড়িয়ে পড়েছে মহাশূন্যের অসংখ্য গ্রহে। পরিকল্পিত নগরায়নে জ্ঞান-বিজ্ঞানে , প্রযুক্তিতে মানুষ বেঁচে থাকতে শিখে গেছে । জীবন জন্ম-মৃত্যুতে প্রবাহিত হয় প্রকৃতির নিয়মে। কিন্তু ব্যতিক্রম একজন। সে পলাতক। আড়াইশ বছরের এক রহস্য নিয়ে সে পলাতক। অবশেষে ধরা পড়ে গেছে পলাতক । এখন ছিনিয়ে নেওয়া হবে যা তার ছিল । কী নিয়ে সে পালিয়েছিল ? কেনই বা পালিয়েছিল ? হাইকিং করতে আসা ছেলেটি কে ? কী তার উদ্দেশ্য । জাফতিন কি পারবে ভালোবাসার মানুষকে পেতে ? ক্রমে ক্রমে খােলাসা হয় অনেককিছু । । জানা যায় , অাসলে কে পলাতক । । কিসের জন্য পলাতক । কার জন্য পলাতক । বেরিয়ে আসে এমন সব সত্য যা জানা ছিল না কারােই । । উঠে আসে এমন কিছু যা করে দেয় স্তব্ধ । পলাতক পড়তে গিয়ে পদে পদে চমকে গিয়েছি লেখনীতে। সত্যি বলতে বই হাতে নেয়ার আগে 'পলাতক' নিয়ে খুব একটা আশা করি নি। কিন্তু বই হাতে নেয়ার পর পরিস্থিতি পাল্টে গেছে, গ্রোগ্রাসে গিলছিলাম ছাপার কালো হরফগুলো। গল্পের শুরুতেই দারুন একটা থ্রিল চলে আসে গিরগিটি আর আজাদের উপস্থিতিতে। বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাগুলো এতো সুন্দর করে বোঝানো সম্ভব কল্পনাও করি নি। সাধারণত দেখা যায় আজগুবি নাম আর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আমাদের মতো আটস্ কমার্সে পড়া মানুষদের 'ব্রেন্টের উপর দিয়া যায়'। কিন্তু সজল ভাই গল্পে গল্পে দারুণ ভাবে সেগুলো বুঝিয়েছেন। ছোট ছোট অংকগুলোর সুন্দর প্লেসমেন্ট এবং তারচেয়েও অসাধারণ হচ্ছে জীবনানন্দ দাশের কবিতা ও অর্ণবের গানের ব্যবহার। ভাবতেই অবাক লাগে একজন কল্পবিজ্ঞান লেখক তার কল্পবিজ্ঞান কাহিনীতে জীবন বাবুর উপস্থিতি এভাবে ধরে রাখবেন! ড.একরামের জবানে আঞ্চলিক ভাষাতে জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাক'র কথা মনে পড়ছিলো বারবার। আমাদের সবার জন্য মুক্তিযুদ্ধ একটি অন্যরকম অনুভূতিময় শব্দ। কতো শহীদের নাম কতো আত্মত্যাগ জড়িয়ে রয়েছে এর সাথে, তেমন ই একটি নাম আজাদ । আবারো বলছি লেখক প্রতিটা গল্পে চমকে দিয়েছে আমাকে। উপন্যাসটির সবচেয়ে শক্তিশালী অবশ্যই এর প্লট। সেই আদিম যুগ থেকে মানুষ,দেবতা,অসুরেরা ছুটছে অমরত্বের খোঁজে। বিজ্ঞানের দৌলতে একদিন নিশ্চয় মানুষ অমরত্ব লাভ করবে কিন্তু জীবন কি মুক্ত হবে? বৌদ্ধদের হীনযান মতে - জীবন মানে দুঃখ। আমরা সবাই কোনো না কোনো স্তরে তা অনুভব করি। এই অনুভূতিটা বিশ্বাস করাই সত্য। লেখক যেনো এই সত্যি টাই তুলে ধরেছেন তার গল্পে। অমরত্ব মানেই সব কিছু থেকে মুক্ত নয়, অমরত্ব মানে বন্দি এক জীবন, পলাতক এক সত্ত্বা। মুক্ত জীবন অনেক সুন্দর ৷ পলাতক শেষ করার পর ভাবছিলাম এখানে কি নেই। যথেষ্ট থ্রিল আছে, দারুণ বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে, গল্পে যাতে একঘেয়েমি না আসে তাই কিঞ্চিৎ হাস্যরসও রয়েছে, আর আছে বাস্তব জীবনবোধ। অসংখ্য উক্তি রয়েছে যেগুলো বইটাকে মনে রাখতে সাহায্য করবে অনেকদিন। সুন্দর এক সমাপ্তিতে শেষ হয়েছে পলাতক। শুরুতেই বলেছি খুব একটা আগ্রহ নিয়ে ' পলাতক ' শুরু করি নি কারণ আগে কখনো সজল ভাইয়ের লেখার পরিচয় হয় নি। অবচেতন মন হয়তো চাইছিলো 'পলাতক' মন দিয়ে পড়ি। তাই কিছু কিছু ব্যাপার একটু ধোঁয়াশা এবং জিজ্ঞাসা রয়ে গেছে। যেমন, আজাদকে খুঁজে পাবার পর মনে হচ্ছিলো গিরগিটির বুলেটে ধরাশায়ী হবার পর অরূপ আজাদকে খুঁজে পায়, কিছুদূর গিয়ে বুঝতে পারি ওটা অন্যঘটনা । এছাড়া এক ঘটনার পেছনে আরেক ঘটনার বর্ণনা শুরুতে একটু কনফিউজড করছিলো আমাকে। হয়তো এই জায়গায় লেখকের আরেকটু কাজের প্রয়োজনীয়তা ছিলো বিশেষ করে গল্পের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে। ফ্ল্যাপের ' হাইকিং করতে আসা ছেলেটি কে ? কী তার উদ্দেশ্য । ' বলে অরূপ নিয়ে আরো কিছু বলা যেত অন্তত প্রাথমিক পরিচয়টুকু। এরকম ছোট ছোট বিষয় ধোঁয়াশা আছে। আশা রাখি পরের পার্ট ও সংক্রমণ এ সবকিছুর উত্তর খুঁজে পাবো। শেষের এসে কনফিউজড হচ্ছিলাম গল্পের ভিলেন কে ড.খুর্বিশ নাকি ড. একরাম? আসলে একেক জায়গায় একেক রকম অনুভূতি হচ্ছিলো, এমনটা খুব একটা হয় নি, লেখক'কে ধন্যবাদ চমৎকার একটি বই উপহার দেয়ার জন্য। শুভকামনা রইলো লেখকের প্রকাশিতব্য বইগুলোর জন্য। ভূমিপ্রকাশের প্রডাকশন নিয়ে বাড়তি কিছু বলার নেই। তবু মনে হয় এই বইটা আরো ভালো প্রডাকশন দাবি করতেই পারে। আশা রাখবো পরবর্তী সংস্করণে এর আরো সুন্দর প্রডাকশন পাবো। যেটা না বললেই নয় তা হলো বইয়ের বানান ভুল। শুরু থেকে মাঝপথে বানান কোথাও আটকায় নি। তারপর ই যেনো বানান দেখায় ঢিল পড়েছে কিছুটা। যতটুকু জানি ভূমির সকল বই ই সজল ভাই নিজে সর্বশেষ দেখে দেন। আশা করবো সামনে আরো সর্তক হবে ভূমিপ্রকাশ। ভালোবাসা 3 হ্যাপি রিডিং বইঃ পলাতক ধরণঃ থ্রিলার কল্প বিজ্ঞান লেখকঃ সজল চৌধুরী প্রকাশনীঃ ভূমি প্রকাশ পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১৯২ মলাটমূল্যঃ ২৩০/=
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নাম- পলাতক লেখক- সজল চৌধুরী প্রকাশনী- ভূমি পৃষ্ঠা সংখ্যা- ১৯২ মুদ্রিত মূল্য- ২৩০ টাকা একজন অমর ব্যক্তির বেশ কয়েকটি টাইমলাইনের গল্প এই বই। ব্যক্তিটি একরাম। সে কীভাবে অমর হলো ? তাহলে পলাতকই বা কে? পলাতক কেন পালিয়ে বেড়াচ্ছে? একরামই বা অমর হয়ে কি করছে? এর বেশী কিছু বললে নিশ্চিত স্পয়লার হয়ে যাবে। তবে হ্যাঁ এটা একটুখানি বিজ্ঞান এবং অনেকখানি ফিকশন নয়। বরং যতুটুকু ফিকশন তার থেকে একটু বেশী বিজ্ঞান। অনেক কিছু জানতে পেরেছি। পাঠ পতিক্রিয়া- বেশ ভিন্ন ধরণের সাই ফাই। অন্তত বাংলায় এমন সাইফাই আমি পড়িনি। সাথে থ্রিল টাও আছে মোটামুটি। প্রথমে সব কিছু কেমন কেমন খাপছাড়া লাগলেও যখন উত্তরগুলো পাওয়া শুরু হয় তখন বেশ চমকপ্রদ হয়ে ওঠে। প্লটটা বেশ। তবে এই বইটা আরও বড় হোলে ভালো হতো। কেমন যেন আধপেটা অনুভুত হচ্ছে। ব্যাপার না। পলাতক ২.০ আসছে। লেখককে শুভকামনা।
Was this review helpful to you?
or
হার্ডকোর সায়েন্স ফিকশন। তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। যথেষ্ট সাবলীলভাবে লেখা হয়েছে। পড়ার ক্ষেত্রে কষ্ট হবে না পাঠকের। আর সাথে আছে থ্রিলার এলিমেন্ট। সবমিলিয়ে চমৎকার বইটা। বাংলায় লেখা এমন একটা মৌলিক সাইফাই থ্রিলার বই নতুন সংযোজন। ভালো লেগেছে পড়ে। অমরত্বের বিষয়টি এতদিন ফ্যান্টাসিতে বেশি বেশি এসেছে। সাইফাইতে সেই বিষয়টি নিয়ে এসে চমৎকারভাবে সায়েন্টিফিক ব্যাখ্যা দিয়ে দৃঢ় ভিত প্রতিষ্ঠার ব্যাপারটা বেশ ভালো লেগেছে। লেখক বেশ খেটেছেন। আর তাতেই চমৎকার বইটি এসেছে। অবশ্য বইয়ের শেষ দিকে সম্বোধনে একটু এদিক সেদিক লক্ষ্য করা যায়। আশা করি পরবর্তীতে এই ত্রুটি ঠিক করে নেওয়া হবে।
Was this review helpful to you?
or
সাই-ফাই বলতে আমরা সাধারণত ভিন্নগ্রহের কোন এলিয়েন বা স্পেসট্রাভেল বা টাইম/প্যারাডক্স রিলেটেড কিছু সর্বপ্রথম চোখে ভেসে উঠে। কিন্তু এটা হচ্ছে অমরত্ব নিয়ে কাহিনী! গল্প বলার ধরন চমৎকার। গল্পের চরিত্রগুলোর নামকরণও চমৎকার, দেশীয় নামগুলো খুবই সতর্কভাবে সিলেক্ট করা হয়েছে। বিষয়টা ভালো লেগেছে তবে এটা যদি সিরিজের একটা স্পিনঅফ হয়, তাহলে ভাবছি আসল কাহিনী কোন দিকে যাবে যদিও লেখক অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপগুলো ইতোমধ্যে প্রকাশ করেছে। তারপরও পুরো প্লট কবে যে শেষ হবে... ভাবছি..
Was this review helpful to you?
or
বই: পলাতক জনরা: থ্রিলার কল্পবিজ্ঞান লেখক: সজল চৌধুরী প্রকাশক: ভূমিপ্রকাশ প্রকাশ কাল: বইমেলা ২০১৮ পৃষ্ঠা: ১৯২ প্রচ্ছদ: সজল চৌধুরী মুদ্রিত মূল্য: ২৩০৳ কাহিনী সংক্ষেপ: কে, কেন, কোথায় পলাতক? এমন সব কৌতুহলী প্রশ্ন নিয়ে যাত্রা শুরু পলাতকের। ডঃ একরাম নিজের তৈরি সিরাম প্রয়োগ করে প্রায় অমরত্ব লাভ করেও অাড়াই'শ বছর ধরে পলাতক জীবন যাপন করছে। কিন্তু কিসের জন্য এ পলাতক জীবন! বন্ধুবর খর্বিশের সাথেই বা কেন এত শত্রুতা! খর্বিশের বংশধর তনিমা কেন এত বছর পরেও পূর্বপ্রজন্মের দেয়া কথার পিছনে এখনো ছুটছে? অালোর স্কুলের জাফতিন যেন অালোকপ্রভা বিস্তারের এক বাস্তবচিত্র। প্রদীপের মতই নিজে জ্বলে অন্যকে অালোকিত করা যার ধর্ম। ৩০১৮ সালের পৃথিবীর অার্শীবাদ অথবা অভিশাপ বুদ্ধিদীপ্ত বায়োবট অাজাদ হন্যে হয়ে খুঁজছে ডঃ একরামকে বিদায় জানাতে অাগ্নেয়অস্রের মুখে, "শুভ বিদায় অাব্বু"। হাজারো কৌতুহলের অবসান অার দর্শন, গণিত, পদার্থ, সাহিত্যের খেরাক জোগাবে সজল চৌধুরীর "পলাতক" বই। নিজস্ব মতামত: কল্পবিজ্ঞান সেই স্কুল লেভেলের পর তেমন পড়া হয়নি। তবে কিশোর বয়সের সে কল্পবিজ্ঞান এখানে এসে যেন পুরোটাই পাল্টে গেছে থ্রিলারের স্বাদে। প্রতিটা অধ্যায়ের নামকরন যেমন অালাদা স্বাদ অানে তেমনি পরের অধ্যায়ের জন্য তৈরি করে উৎকন্ঠা, এরপরে কি হবে? অল্পকিছু বানান ভুল থাকলেও সেটা দৃষ্টিগোচর হয় না চমৎকার দার্শনিক জীবনবোধ অার কবিতার মাঝে। বইয়ের প্রিয় কিছু লাইন যা না বলেলেই নয়, "দুঃখ হলো ঢিলটার মতো, যা তোমার পানির মতো মনকে আঘাত করে। ঢেউগুলো সুখ, যা দুঃখ-কষ্টের পরেই আসে। কিন্তু আমরা তা খেয়াল করি না। খেয়াল করলে দেখতাম স্রষ্টা আমাদের এক টুকরো পাথরের বদলে কত বড়ো ঢেউ দেন।" “কিছু পুরুষদের ভালোবাসাটা বুকপকেটে থাকে প্রেমপত্রেরর মতো ঘাঁপটি মেরে চুপটি করে। এটা পয়সার মতো বাজে না। বাজে না নূপুরের মতোও।এটা ঘুড়ির মতো, অনেক উঁচুতে চুপচাপ উড়ে বেড়ায়-কিছু অতিসংকোচের টানে। এই পুরুষেররা কোনো কিছুর প্রেমে পড়ে না। কারো প্রতি প্রেম জমানোও তাদের জন্য নিষেধ। কাঁধে দায়িত্ব অনেক। হিসাবের খসড়াটা বারবার কাটাছেঁড়া করতে হয়। কদম ফেলার চেয়ে চিন্তা করতে হয় বেশি। তারা কাছের মানুষদের লজ্জায় বলতে পারে না ‘ভালোবাসি।’ কিন্তু লজ্জার মাথা খুঁইয়ে হাত পাততে পারে-বাকিদের লজ্জা নিবারণের জন্য। কারণ, অনেকগুলো চোখ তাদের দিকে চেয়ে থাকে, বেঁচে থাকার আশায়। আমরা এই পুরুষদের নাম দিয়েছি ‘বাবা’।”
Was this review helpful to you?
or
বেশ মজার একটা থ্রিলার কল্পবিজ্ঞান পড়লাম। মূল চরিত্রের আঞ্চলিক ভাষায় কথাগুলো মজার ছিল। পাশাপাশি আজাদ, খবিশ্যা গুষ্টির সবাই, গিরগিটির কাজগুলো ছিল পেশাদারি। আলোকমালার রাশেদা, ব্রেন্টের ওপুর দিয়ে যাওয়া মজনু, বাদল, হেনা সবাই নিজ নিজ ক্ষেত্রে উন্নতি করায় ভালো লেগেছে। জাফতিনের জন্য খারাপ লেগেছে। তবে কাহিনী শেষের দিকে এসে ধীর হয়ে গিয়েছে অনেক। শুরুর দিকের মত থাকলে পুরোটাই উপভোগ্য হত। পদার্থবিজ্ঞান আর জীববিজ্ঞানের অনেক টপিকস উঠে এসেছে বইতে। কিছু মানুষ যেটার পিছনে ছোটে সেটার ভালো একটা সমাধান দেয়ার চেষ্টা করেছেন লেখক তথ্য-উপাত্ত সহকারে। ভালো লেগেছে এটা। আর আজাদের পূর্ব জীবনের কাহিনী কষ্টদায়ক ছিল। তয় যেই লাইনটা পইড়্যা হাইস্যা ফালাইছিলাম সেইটা তুইল্যা দিলাম - তারা বুঝে গেছে, গিরগিটি নামের এত দামী ঐ রোবটটা আদতে একটা গাধা। গিরগিটি দাঁতে দাঁত চেপে বলল, “আজাদের বাচ্চা!” নেক্সট লটের অপেক্ষায় রইলাম...
Was this review helpful to you?
or
বই : পলাতক লেখক : সজল চৌধুরী ঘরানা : থ্রিলার, কল্পবিজ্ঞান ব্যক্তিগত রেটিং : ১০/১০ (প্রচ্ছদ রেটিং থাকলে বলব ১০/১০) পাঠ প্রতিক্রিয়া : #পলাতক একটি থ্রিলার কল্পবিজ্ঞান মৌলিক উপন্যাস। যেখানে কয়েক পাতা পরপরই পাঠক পাবেন অপ্রত্যাশিত থ্রিলের সাথে সাথে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক তথ্য, আর এটা সহজে বুঝতে তার সাথে থাকা বিভিন্ন ছবি। যার ফলে পাঠকের কাছে এগুলো মনে হবে না দূর ভবিষ্যতের দূর্বোধ্য কিছু বৈজ্ঞানিক নাম-তথ্য যা শুধু কল্পপনাই করা যায়, কিন্তু বোধগম্য নয়। বরং মনে হবে অগ্রগামী বিজ্ঞানের এই যুগে এই দিন আসতে আর বেশি দেরী নেই। (যদিও স্বল্পবিজ্ঞান জানা আমি “পলাতক” বইয়ের মজনুর মতোই বলব, “সবকিছুই ব্রেন্টের ওপুর দিয়ে গেল।”) আড়াই শ বছর পর ধরা পড়েছে পলাতক। কেন সে এত বছর ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছে সবার কাছ থেকে? কী নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে সে, যার জন্য আড়াই শ বছর ধরে তার পিছে অনেকে এক প্রজন্মের পর আরেক প্রজন্ম মরিয়া হয়ে খুঁজেছে? জাফতিন কি পারবে তার ভালোবাসার মানুষকে সাথে সুখের সংসার করতে? নাকি তার স্বপ্নভঙ্গ হবে? প্রিয়জনকে তার দেওয়া এক টুকরো স্মৃতিওও হারিয়ে যাবে? কেনই বা মানব ইতিহাসের সবচেয়ে দক্ষ রোবট, বায়োবট “আজাদ” তার বাবার মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র তাক করে বলে, “শুভ বিদায়, আব্বু।” কেনই বা তনিমার চোখে জ্বলছে প্রতিশোধের আগুন? এমন অনেক প্রশ্নের উত্তরই ক্রমে ক্রমে খোলাসা হতে থাকে “পলাতক”-এ। শেষ পর্যন্তু না পড়লে পাঠক জানতে পারবেন না কতটা বড়ো অপ্রত্যাশিত কিছু অপেক্ষা করছে তার জন্য। বিজ্ঞানমনস্ক পাঠকের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ খোরাকে পরিপূর্ণ আর আমার মতো থ্রিলার প্রিয় পাঠকদের জন্য অপ্রত্যাশিত বহু থ্রিল পেতে পড়তে পারেন সজল চৌধুরীর “পলাতক”-এ। লেখক পরিচিতি : সজল চৌধুরী। বিভিন্ন গল্প সংকলন ও পত্রিকায় লেখালেখি ছাড়াও সম্পাদনা করেছেন কিছু সংকলন ও ম্যাগাজিন। আগামীতে আসছে তার সংক্রমণ ১.০, সংক্রমণ ২.০, সংক্রমণ ৩.০, পলাতক ০.১, মায়াস্বর, ঘাসপাতার ফুল, গোয়েন্দা রুহেল, গোয়েন্দা প্রবাল-সহ বেশকিছু মৌলিক উপন্যাস, গল্প ও কবিতা সংকলন। “পলাতক” তার প্রথম একক থ্রিলার কল্পবিজ্ঞান মৌলিক উপন্যাস।
Was this review helpful to you?
or
কথ্য ভাষায় বললে বলা লাগে যে বইটা পড়ে পুরা তাবদা মাইরা গেছি । লেখক সজল চৌধুরীকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন সুন্দর, আকর্ষনীয়, ব্যতিক্রম একটি বই উপহার দেবার জন্য। প্রকাশক থেকে শুরু করে যারাই এই বই প্রকাশ ও প্রচারে যুক্ত ছিলেন তাদের প্রতিও রইলো কৃতজ্ঞতা। পাঠকদের প্রতি অনুরোধ, "অবশ্যই বইটা পড়বেন"। বইয়ের কাহিণী ছোট আকারে বলে দেয়ার জন্য এই রিভিউ না। এই রিভিউ বই প্রেমী, বই খাদক পাঠকদের বইটা পড়ার উৎসাহ দেয়ার জন্য। বইয়ে যা কিছু আছে তার মধ্যে সবচাইতে ভালো লেগেছে "বাবা" সম্পর্কে বলা কথাগুলো। কথাগুলো পড়তে পড়তে মনের অজান্তেই চোখে পানি এসে গিয়েছিল। সুতরাং পাঠক সমাজ আর দেরী করবেন না; দ্রুত বইটি কিনুন আর উপভোগ করুন সুন্দর কিছু সময়।
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নাম : পলাতক . লেখকের নাম : সজল চৌধুরী . ঘরানা : সাই ফাই থ্রিলার . গুডরিডস রেটিং : 4.33 (3 ratings) https://www.goodreads.com/book/show/38745585 . ব্যক্তিগত রেটিং : ৯/১০ (রেটিং বইয়ের জন্য কোনো মানদণ্ড নয়। এর পুরোটাই রুচিবোধের উপর নির্ভরশীল। তাই চেষ্টা করবেন রেটিং থেকে নয়, বরং আপনার রুচি অনুযায়ী বই সংগ্রহ করতে এবং পড়তে।) . . কাহিনী সংক্ষেপ : . অবশেষে ধরা পড়ে গেছে একজন, যে আড়াই’শ বছর ধরে পলাতক। এখন ছিনিয়ে নেওয়া হবে যা তার ছিল। . কী নিয়ে সে পালিয়েছিল? কেনই বা পালিয়েছিল? কোথায় পালিয়েছিল? তনিমাই বা কেন মরিয়া হয়ে উঠলো, তার পূর্ব প্রজন্মদের দেওয়া কথা রাখার জন্য! সে কি পারবে সেই স্বপ্নপূরণ করতে? . হাইকিং করতে আসা ছেলেটি কে? কী তার উদ্দেশ্য। কেনই বা সে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে লাগলো আজাদকে নিজের অজান্তে। . জাফতিন কি পারবে ভালোবাসার মানুষকে পেতে? নাকি পাওয়ার পরও হেরে যেতে হবে তাকে ভালোবাসার মানুষের জীবন থেকে? . ড. একরাম কিভাবে সফল হয়েছে তার গোপন পরিকল্পনায়! কতটুকুই বা সফল হয়েছে? . বায়োবট কি আসলেই শান্তি নিয়ে আসবে নাকি অশান্তি! . ক্রমে ক্রমে খোলাসা হয় অনেককিছু। জানা যায়, আসলে কে পলাতক। কিসের জন্য পলাতক। কার জন্য পলাতক। বেরিয়ে আসে এমন সব সত্য যা জানা ছিল না কারোই। উঠে আসে এমন কিছু যা করে দেয় স্তব্ধ। . সবকিছুর উত্তর ও ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে সজল চৌধুরী’র “পলাতক” বইটিতে। পাঠককে আমন্ত্রণ অদ্ভুত ও ভয়ঙ্কর সত্যের এক সাই ফাই থ্রিলারের জগতে। . . পাঠ প্রতিক্রিয়া : . বইটি পড়ার জন্য প্রচুর এক্সাইটেড ছিলাম। সেদিন ২৪ ফেব্রুয়ারি যখন মেলায় গিয়ে পৌঁছলাম, তখনও পরিচিতরা কেউ গিয়ে পৌঁছায়নি। মেলায় ঢুকে ঘুরাঘুরি না করে, সাহিত্য বিকাশের স্টলের সামনে গিয়ে চোখ বুলাতে লাগলাম বইগুলোর দিকে, কিন্তু খেয়াল করলাম প্রকাশিত পরিচিত সব বই সাজানো আছে, একটি বই নেই! সেল্সমেনকে জিজ্ঞেস করলাম, “পলাতক বইটা স্টলে নাই?”। তিনি বললেন, আছে। ভেতর থেকে দুই কপি বের করে একটা ওপরে অন্যান্য বইগুলোর সাথে সাজিয়ে, আরেকটা আমার হাতে দিয়ে বললেন, “উপরে রাখা কপিটা বিক্রি হয়ে গেছে”। হাতে দেওয়া বইটি নেড়েচেড়ে দেখে রেখে দিলাম। একটুখানি পড়লেও পরে একসাথে পড়ার মজাটা যদি কমে যায়! সেজন্য। . পরদিন ফিরে আসার সময় গাড়ি জ্যামে আটকা পড়ায় ভাবলাম, ‘বই পড়ি’। তখন এটাই তুলে নিলাম পড়ার জন্য। গাড়িতে বসে একটু পড়লাম, বাসায় এসে বাকিটা পড়লাম ঘুমের ফাঁকে ফাঁকে, কারণ এর আগের দুইদিনের জার্নি ও রাতে ঘুম না যাওয়ায় প্রচুর টায়ার্ড ছিলাম, ঘুম পাচ্ছিলো। সেজন্য এই ছোটো বইটি পড়ে শেষ করতে মোট দুই দিনের মত লেগে গিয়েছিল। শুরু থেকে কাহিনী খুব মসৃণভাবে চলেছে এবং সেটা একদম শেষ পর্যন্ত বিদ্যমান ছিল। কোথাও দৌঁড় দেয়নি বা ঝুলে যায়নি। বেশ টানটান উত্তেজনাময় ছিল পুরো উপন্যাসটি। যতটা এক্সপেক্টেশন নিয়ে পড়তে বসছি, হতাশ হইনি বরং এক্সপেক্টেশনের তুলনায় বেশিই পেয়েছি। অপেক্ষা করছি সিরিজের পরবর্তি বইয়ের জন্য। . বইয়ের একদম শুরু থেকেই আগ্রহজাগানো, প্রতিটি অধ্যায়কে আগ্রহপূর্ণ করেছেন অধ্যায়ের নামের মাধ্যমে এবং অধ্যায়ের শেষে এমন কন্টেন্টগুলো রেখেছেন যে, ‘এর পরে কী হবে’ এটা জানার জন্যই পরের অধ্যায়ে যেতে হবে। লেখক প্রতিটি অধ্যায়কে সংখ্যাভিত্তিক না করে প্রতিটির আলাদা আলাদা নাম দিয়েছেন সেই অধ্যায়ের মূল বিষয়ের ওপর। এই কাজটা খুব ভালো লেগেছে। . প্রথমত আমার প্রিয় দু’টি জনরা হচ্ছে সাই ফাই ও থ্রিলার। আর যদি এই দু’টিকে একত্রে জুড়ে দেওয়া হয় সেটা আমার জন্য হয়ে ওঠে অবশ্যপাঠ্য। সেই সাথে রয়েছে লেখকের বৈচিত্র্যময় প্লট ও দারুণ লেখনী। সাসপেন্স, মিস্ট্রি, সাইন্স, হিস্টোরি সবই আছে বইয়ে। রয়েছে চিকিৎসা বিজ্ঞান, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, ম্যাথস, দর্শন, ইতিহাস, রাজনীতি ও আরো বিভিন্ন বিষয়। . লেখক সাহিত্যের বিভিন্ন দিকগুলো নিয়ে যে এক্সপ্রেরিমেন্ট করতে ভালোবাসেন, সেটা তিনি আগেই দেখিয়েছিলেন তার আগেকার অনলাইন ও অফলাইনের বিভিন্ন সংকলন ও ম্যাগাজিনের কাজগুলোর মাধ্যমে। এই বইতে লেখক তা আরো পাকাপোক্তভাবে দেখিয়ে দিয়েছেন। বইটি লিখতে লেখককে যে কী পরিমাণ পরিশ্রম করতে হয়েছে সেটাই আমি ভাবছি শুধু পড়তে পড়তে! এত এত ইনফোর মিশেলে এত অসাধারণ একটা প্লট, যেই সেই কাজ না। দারুণ কাজ দেখিয়েন লেখক। অনেক অনেক তথ্য পেয়েছি পড়তে পড়তে, কিন্তু এত তথ্য ধারণ করতে একটুও ক্লান্তি আসেনি। সত্যি কথা বলতে, এত এত তথ্যসমৃদ্ধ লেখা আমার খুব পছন্দের। কিছু জানা তথ্য আবার জানলাম এবং অনেক অজানা তথ্য নতুন করে জানতে পারলাম। বেশ কয়েকবার পড়ার ফাঁকে ফাঁকে গুগল, উইকি ও বিভিন্ন ব্লগেও এবং বইতে লেখকের দেওয়া নির্ঘন্টের লিঙ্কগুলোতে ঢুঁ মেরেছি আরো বিস্তারিত জানার জন্য বিষয়গুলো। . প্রায় ক্ষেত্রে দেখা যায়, আমাদের পাঠকদের মধ্যে যারা সায়েন্স নিয়ে পড়াশুনা করেন তারাই সায়েন্স ফিকশনের টার্মগুলো বুঝতে পারেন, বাকি আর্টস ও কমার্সের স্টুডেন্টদের কাছে এসব টার্মগগুলো ‘ব্রেন্টের ওপুর দিয়ে যায়’। কিন্তু এই বইটির ক্ষেত্রে লেখক সেসব টার্মগুলোকে বিস্তারিতভাবে সবার বোঝার সুবিধার জন্য অনেক সহজভাবে ব্যবহার করেছেন। সেই সাথে আরো ভালো করে বোঝার সুবিধার্থে ব্যবহার করেছেন বিভিন্ন ছবি। ছবির সংযুক্তির কারণে বিষয়গুলো আরো ভালোভাবে উপভোগ্য হয়ে ওঠেছে। এবং আমার বিশ্বাস বইতে ব্যবহৃত সায়েন্স এলিমেন্টগুলো সবাই সহজভাবে বুঝবে এবং উপভোগ করবে। . একেকবার একেক চরিত্রের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ঘটনাগুলোকে দেখিয়েছেন লেখক। এই বিষয়টি ভালো লেগেছে। বর্ণনাভঙ্গি অনেক বাস্তবিক ছিল, যার কারণে ঘটনাপ্রবাহগুলো অনুভব করছিলাম। আর লেখকের যেই দারুণ লেখনী, সাসপেন্স ধরে রেখেছেন তিনি পুরো বইয়ে। পাঠককে বইতে ধরে রাখার মত লেখনী। মনেই হচ্ছিলো না যে, এটি লেখকের প্রথম একক বই। লেখক শুরু থেকে রহস্যের জাল যেভাবে ছড়িয়েছে, ঠিক সেভাবেই ধীরে ধীরে রহস্যের জাল গুটিয়েছেন। রহস্যের সমাধানের মাধ্যমে, বিষয়গুলো ব্যাখ্যার মাধ্যমে দারুণ তৃপ্তি দিতে পেরেছেন। . বইয়ে দৃশ্যায়ন, সংলাপ, ছোটখাটো একটি অ্যাকশন এবং খুঁটিনাটি বর্ণনা করা হয়েছে খুব সুন্দরভাবে। কাহিনীর মাঝে ঢুকে গেলে শেষ করেই উঠতে হবে। বইয়ের ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্ট খুব ভালো লেগেছে। লেখক যে এই কাজটিতে খুব পটু, সেটি দেখিয়ে দিয়েছেন এই বইয়ের প্রতিটি চরিত্রের মধ্য দিয়ে। সেই সাথে রেখেছেন লেখকের পরবর্তি বই “সংক্রমণ”র একটি ক্যারেক্টার ‘অরূপ’ এর ক্যামিও। সবগুলো চরিত্রকে ভালো লেগেছে। মজা লেগেছে হেনা, রাশেদা, বাদল ও মজনুর “সবকিছু ব্রেন্টের ওপুর দিয়ে যাওয়া” ঘটনাগুলো। . বইয়ের ঘটনাগুলোর প্রয়োজনে যেসব কবিতা, গান ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলা একদম যথাযথ ছিল এবং সেগুলোর ফন্টের জন্য আরো বেশি ভালো লেগেছে। . বইয়ের প্রচ্ছদ এবং নামকরণ একদম ঠিক আছে। প্রচ্ছদটাও বেশ ভালো লেগেছে। প্রচ্ছদটাও করেছেন লেখক নিজেই। প্রচ্ছদের দিক থেকেও দারুণ কাজ দেখিয়েছেন লেখক। . নন লিনিয়ার স্টোরিটেলিং এর কারণে হয়তো কারো কারো কাছে খাপছাড়া লাগতে পারে, কিন্তু আমি ভরসা করেছি লেখকের কাজে এবং সেজন্যই লাভবান হয়েছি। . বেশকিছু বানান ভুল ও প্রিন্টিং মিস্টেক ছিল, কিন্তু কাহিনীর মধ্যে মশগুল থাকায় এগুলো অতটা চোখেই আটকায়নি। একটি সঙ্ঘঠনকে দেখানো হয়েছে যেটি সম্পর্কে কিছু জানায়নি লেখক। জাফতিনের অতীত জানায়নি, আরো বিভিন্ন চরিত্রের জীবনকে আলো-আঁধারীতে রেখে দিয়েছেন, আশা করি পরবর্তি বইয়ে লেখক সেগুলো জানাবেন। সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি বইটি সংগ্রহ করার জন্য ও পড়ার জন্য। . . লেখক পরিচিতি : . জন্ম ২২শে ডিসেম্বর। আলহাজ্ব আবু বক্কর সিদ্দিক ও আলহাজ্ব সাহিদা বেগমের তৃতীয় সন্তান। বড়ো দুই ভাই মিলটন ও মেরিন। বর্তমানে বড়ো ভাইসহ ঢাকায় থাকলেও ভাবী শিরিন ও ভাতিজা তাহমিদ-কে নিয়ে পরিবারের বাকিরা রংপুরে বসবাস করেছেন। . বিভিন্ন গল্প সংকলন ও পত্রিকায় লেখালেখি ছাড়াও সম্পাদনা করেছেন কিছু সংকলন ও ম্যাগাজিন। আগামীতে আসছে সংক্রমণ সিরিজ, পলাতক’র সিক্যুয়াল, মায়াস্বর, ঘাসপাতার ফুল, গোয়েন্দা রুহেল, গোয়েন্দা প্রবাল-সহ বেশকিছু মৌলিক উপন্যাস, গল্প ও কবিতা সংকলন। . . এক নজরে... . বই : পলাতক ক্যাটাগরি : মৌলিক সিরিজ লেখক : সজল চৌধুরী প্রথম প্রকাশ : ফেব্রুয়ারি ২০১৮ প্রচ্ছদ : সজল চৌধুরী বাঁধাই : হার্ড কভার পৃষ্ঠা সংখ্যা : ১৯২ পৃষ্ঠা অধ্যায় : ৫৩ প্রকাশনী : ভূমিপ্রকাশ মুদ্রিত মূল্য : ২৩০৳ মাত্র অনলাইন প্রাপ্তিস্থান : যেকোনো অনলাইন বুকশপ প্রাপ্তিস্থান : ভূমিপ্রকাশ শো-রুম। ৩৮, বাংলাবাজার, ২য় তলা, ঢাকা-১১০০। . . ব্যক্তিগত মতামত : . রিভিউ এর মাধ্যমে একটা বইকে পুরোপুরি তুলে আনা যায় না। তবে ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা সব পাঠকেরই থাকে, তাই বইটি যে সবার একই রকম লাগবে তা নয়। একেকজনের রুচিবোধ একেক রকম, তাই রিভিউ দিয়ে নয়, বই পড়েই বইকে মূল্যায়ন করুন। হ্যাপি রিডিং।